Tag: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি

  • এদেশে ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্ট ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক: শামীম

    এদেশে ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্ট ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক: শামীম

    বাংলাদেশ সারাবিশ্বে অসাম্প্রদায়িকতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। পলাতক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশ বিরোধী অপশক্তির প্রত্যক্ষ মদদে তাদের এদেশীয় দোসরদের দ্বারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়ে এখন দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নস্যাতের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।

    সম্প্রতি ভারতে বাংলাদেশের উপ-হাই কমিশনে হামলা-ভাঙচুর, জাতীয় পতাকা অবমাননা ও ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার বিকাল তিনটায় অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম এসব কথা বলেন।

    ভারতের মাটিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ন্যাক্কারজনক হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বিগত ষোলটি বছর স্বৈরতন্ত্র বলবৎ রাখতে ভারত নগ্নভাবে আওয়ামী লীগকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। এদেশের জনগণের ভাত ও ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নেয়া পলাতক স্বৈরাচারকে আশ্রয় প্রদান পূর্বক সহযোগিতা অব্যাহত রাখায় এদেশের মানুষের মাঝে ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্ট আরও তীব্র হয়েছে। এদেশে ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্ট ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক। এটা ভারতের শাসকগোষ্ঠী যতো দ্রুত অনুধাবন করতে পারবে দু’দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তা মঙ্গলজনক হবে।

    মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের সঞ্চালনায় নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন বলেন, কোনো সভ্য দেশের মানুষ কখনও অন্য দেশের দূতাবাসে হামলা করতে পারে না। ভারত আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মতো হবে। কোনোভাবেই তাদের সঙ্গে আমাদের রাজা-প্রজার সম্পর্ক হতে পারে না।

    তিনি বলেন, এদেশের জনগণ ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছে দিল্লির দাদাদের দাদাগিরি করার জন্য না।

    উক্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব শামসুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এম এ আজিজ, অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, শফিকুর রহমান স্বপন, হারুন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, শওকত আজম খাজা, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, শিহাব উদ্দিন মুবিন, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু।

    অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম ফয়েজ, ইস্কান্দর মির্জা, মুজিবুল হক, মোহাম্মদ মহসিন, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, মামুনুল ইসলাম হুমায়ূন, মশিউল আলম স্বপন, মোশাররফ হোসেন ডিপটি, জাফর আহমেদ, এ কে খান, গাজী আইয়ুব, এম এ সবুর, নুরু উদ্দিন হোসেন নুরু, আবু মুসা, মোহাম্মদ আজম, ইসমাইল বালি, মোহাম্মদ ইউসুফ প্রমুখ।

    সমাবেশে শেষে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে নগরীর নুর আহমদ সড়ক, লাভ লেইন মোড়, এনায়েত বাজার মোড়, জুবলি রোড হয়ে রিয়াজ উদ্দিন বাজার তিন পুলের মাথায় এসে শেষ হয়। মিছিলে বিএনপির নেতাকর্মী ছাড়াও বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নেয়।

  • চট্টগ্রাম নগর বিএনপির ১৫ থানা ও ৪৩ ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

    চট্টগ্রাম নগর বিএনপির ১৫ থানা ও ৪৩ ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

    চট্টগ্রাম মহানগরের ১৫টি থানা ও ৪৩টি ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার নগরীর একটি কনভেনশন হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ।

    এ সময় তিনি জানান, মহানগরের সব থানা ও ওয়ার্ড কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। সামনের দিনে দলকে আরও সুসংগঠিত ও বিকশিত করতে খুব দ্রুত দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত কর্মীদের নেতৃত্বে আনার পরিকল্পনা চলছে।

    তিনি জানান, দেশের এমন ক্রান্ত্রিলগ্নে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বর্তমানে বিএনপি আগের চেয়ে আরও বেশি সংগঠিত। তবে দলের কোনো নেতাকর্মী কোনো ধরণের অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এর আগে গত সাত জুলাই এরশাদ উল্লাহকে আহবায়ক ও নাজিমুর রহমানকে সদস্য সচিব করে ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।

  • ভোটার বিহীন এই নির্বাচন ইতিহাসে কলঙ্কময় অধ্যায় রচনা করলো: ডা. শাহাদাত

    ভোটার বিহীন এই নির্বাচন ইতিহাসে কলঙ্কময় অধ্যায় রচনা করলো: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, রবিবার দেশে একটি একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে কোনো ভোটার যায়নি। চট্টগ্রামবাসী এই ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণের এই ভোট বর্জন ইতিহাসের মাইল ফলক হয়ে থাকবে। ভোটার বিহীন এই নির্বাচন ইতিহাসে কলঙ্কময় অধ্যায় রচনা করলো। আওয়ামীলীগ প্রহসনের এই নির্বাচনেও ভোটার উপস্থিতি দেখানোর জন্য রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রেখেছে। তাই আওয়ামী লীগের এখনই পদত্যাগ করা উচিত। কারণ জনগণ ভোট কেন্দ্রে যায়নি। চট্টগ্রামের মানুষ এই জালিম সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। জনগণের নীরব ভোট প্রত্যাখানে ফ্যাসিবাদ সরকারের পরাজয় হয়েছে। এই অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

    তিনি ভোট বর্জন ও হরতাল পালন করায় চট্টগ্রামবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

    তিনি রবিবার (৭ জানুয়ারী) দুপুরে নগরীর জুবলী রোড় ও তিন পুলের মাথা এলাকায় সরকার পতনের একদফা দাবি ও ডামি নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ডাকা হরতালের সমর্থনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।

    ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এই ভূয়া নির্বাচনে ভোটের হার ছিল খুবই নগণ্য। কিন্তু গণভবন থেকে ভোটের হার বৃদ্ধি করে বিজয়ীদের নাম নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে। নির্লজ্জ নির্বাচন কমিশন তাই পাঠ করে শুনাবে। এই নির্বাচনেও ১৪ ও ১৮ সালের সেই ভোট ডাকাতির কলঙ্কজনক অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। এই সরকার দেশ ও জনগণের জন্য একটি মহাবিপদ ডেকে এনেছে। তাই এই আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের বিদায় না করা পর্যন্ত জনগণের মুক্তি আসবে না। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ একদফার দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

    আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগ ভোট চুরির পুরানো অভ্যাস বদলাতে পারেনি। জনগণ তাদের ভোট বর্জনের উচিত জবাব আওয়ামী লীগের মুখের উপর বসিয়ে দিয়েছে। জনগণ এই সরকারকে প্রত্যাখান করে ভোট দিতে যায়নি।হরতাল জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করেছে। তাদের মনে রাখা উচিত বাংলার মজলুম মানুষেরা পরাজয় মানে না। আমরা শেখ হাসিনার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকব। ইনশাআল্লাহ জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।

    এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য জসিম উদ্দিন শিকদার, মহানগর বিএনপি নেতা নকিব উদ্দীন ভূইয়া, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সি. যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবুল বশর, বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন চৌধুরী, মাঈনুদ্দীন খান রাজিব, মো. ফয়সাল, মো. রাফসান।

    এছাড়া হরতালের সমর্থনে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি আলিফ উদ্দিন রুবেলের নেতৃত্বে রবিবার দুপুরে চট্টেশ্বরী মোড় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে কাজীর দেউরী ও আসকার দিঘীর পাড় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

  • জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামীলীগের জাল ভোটই একমাত্র সম্বল: ডা. শাহাদাত

    জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামীলীগের জাল ভোটই একমাত্র সম্বল: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিগত তিনটি নির্বাচনের মতো শেখ হাসিনা সরকার আবারও গায়ের জোরে একতরফা ভোটহীন একটি পাতানো নির্বাচন করতে যাচ্ছে। সরকার এবারের নির্বাচনেও ভোট ডাকাতির উৎসব করতে চায়। কিন্তু তামাশা ও প্রহসনের এই নির্বাচনে কোন বিরোধী দল অংশগ্রহণ করছে না। দেশের জনগণেরও এই নির্বাচনে ন্যূনতম কোনো আগ্রহ নেই। এখন আমরা শুনতে পাচ্ছি, আওয়ামীলীগের সকল এমপি প্রার্থীরা ভোটার সংগ্রহের জন্য এবং জাল ভোট প্রদানের জন্য রাষ্ট্রীয় ভোটার আইডির সার্ভার ব্যবহার করতেছে। ভোট ডাকাতিতে জড়িত আওয়ামীলীগের নেতাদের মুঠোফোনে জাতীয় ভোটার আইডির মূল সার্ভার অপারেটিং হচ্ছে। আমরা জানতে চাই, রাষ্ট্রীয় ভোটার আইডির মূল পাসওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃত্বের হাতে কিভাবে আসলো? ইতিপূর্বে লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপনির্বাচনে ৫৭ সেকেন্ডে ৪৬ টি জাল ভোট দেওয়ার রেকর্ড হয়েছে। এই নির্বাচনেও তারা গায়েবি জাল ভোট দিয়ে পার্সেন্টিস বাড়িয়ে বিদেশীদের দেখানোর আয়োজন করছে। ভোটার টানতে সাধারণ মানুষের এনআইডি, সরকারি সুবিধাভোগীদের কার্ড ও অফিসের কার্ড নিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামীলীগের জাল ভোটই একমাত্র সম্বল।

    তিনি শুক্রবার (৫ জানুয়ারী) দুপুরে প্রবর্তক মোড়, পাঁচলাইশ আবাসিক ও মেডিকেল এলাকায় সরকার পতনের একদফা দাবি ও ৭ জানুয়ারীর নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জনমত তৈরির লক্ষ্যে মহানগর সিএনজি চালক দলের মিছিল, গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন।

    তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, দোকানদার ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে আসন ভাগাভাগির একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, বিনা ভোটের আওয়ামী সরকার ও নির্বাচন কমিশন একাট্টা হয়ে গণ আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে দাঁড়িয়ে একটি প্রহসনের নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এক তরফা নির্বাচনের নামে হাজার কোটি টাকা ধ্বংস করে দেশের অর্থনীতি ক্ষতি করা হচ্ছে। এই নির্বাচন হচ্ছে মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতাসীনদের লুটপাট ও অনিয়ম জারি রাখার নির্বাচন। দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে কোটিপতি হওয়ার অবৈধ পদ্ধতিকে অব্যাহত রাখার নির্বাচন। এই নির্বাচন হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের পারস্পরিক ক্ষমতা ভাগাভাগির নির্লজ্জ খেলা। গত তিনটি নির্বাচনে দেশের তরুণ প্রজন্মের ভোট ডাকাতি করা হয়েছে। এই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার মানে হল ক্ষমতাসীনদের সকল অন্যায় জুলুম ও দুর্নীতিকে বৈধতা দেওয়া। তাই দেশপ্রেমিক কোন নাগরিক ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। দেশ ও জাতির স্বার্থে ৭ জানুয়ারি ভোট বর্জন করুন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য জাকির হোসেন, চালক দলের উপদেষ্টা জসিম উদ্দিন, সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. আনিস, মহানগর সিএনজি চালক দলের সভাপতি নুর মিয়া মধু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাকিব, সহ সভাপতি মো. খোকন, মো. ইদ্রিছ, মো. ইসরাফিল, আইয়ুব আলী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইসমাঈল, নুর আলম প্রমূখ।

    এছাড়া মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান ও আহবায়ক কমিটির সদস্য সাবেক কাউন্সিলর আবুল হাশেমের নেতৃত্বে হালিশহর বড়পুল এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। এতে অংশ নেন বিএনপি নেতা শহীদ মো. চৌধুরী, দিদারুল আলম, নকিব উদ্দীন ভুইঁয়া, ইলিয়াছ চৌধুরী, খুরশিদ মাঝি, পারভেজ আলম, মো. আসিফ, মো. মুরাদ, আফছারুল ইসলাম, মো. মাইনু, মো. ইউনুছ। তাছাড়া দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আজম উদ্দিনের নেতৃত্বে বন্দর ইপিজেড এলাকায় কারাবন্দী বিএনপি নেতা এম এ আজিজ সহ সকল নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন রবি ও সদস্য সচিব কামরুদ্দিন সবুজের নেতৃত্ব শাহ আমানত ব্রীজ এলাকায় হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি মো. হোসেন টিটুর নেতৃত্বে বন্দর নেভী হাসপাতাল গেইট এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করা হয়।

  • অর্থহীন নির্বাচনে দুই হাজার কোটি টাকা নয় ছয়ের হিসাব জণগণকে দিতে হবে: ডা. শাহাদাত

    অর্থহীন নির্বাচনে দুই হাজার কোটি টাকা নয় ছয়ের হিসাব জণগণকে দিতে হবে: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশের জনগণের কষ্টার্জিত টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে আওয়ামীলীগ সরকার। আজকে দেশের অর্থনীতির করুণ অবস্থা। সিপিডির হিসাব অনুযায়ী, শুধু ব্যাংক খাত থেকে অনিয়মের মাধ্যমে ৯২ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। এখন সেই লুটের টাকা ডামি ভোটে ঢালছে আওয়ামীলীগ। আজকে আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দল ছাড়াই একতরফা ডামি নির্বাচনের আয়োজন করেছে। গায়ের জোরে রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করে নিশিরাতের প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা নবায়ন করার চেষ্টা করছে। অথচ এই নির্বাচনকে শুধু বাংলাদেশের জনগণ নয়, গণতান্ত্রিক বিশ্বও প্রত্যাখ্যান করেছে। জাতিসংঘ ও অস্ট্রেলিয়া এই পাতানো নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। ইসির অর্থহীন সাজানো নির্বাচনে দুই হাজার কোটি টাকা নয় ছয়ের হিসাব জণগণকে দিতে হবে।

    তিনি বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারী) দুপুরে বিআরটিসি ষ্টেশন রোড় ফলমন্ডি এলাকায় সরকার পতনের একদফা দাবি ও ৭ জানুয়ারীর নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জনমত তৈরির লক্ষ্যে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন।

    তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, দোকানদার ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে আসন ভাগাভাগির একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানান।

    এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।

    তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার যতই টালবাহানা করুক কোনো লাভ হবে না। তাদের ক্ষমতা ছেড়ে চলে যেতেই হবে।বিএনপির চলমান অসহযোগ আন্দোলনে জনগণ সাড়া দিয়ে বলছেন ‘আওয়ামী লীগ আর না, ডামি নির্বাচনে ভোট দেব না’। দেশের জনগণ, ভোটার ও সচেতন নাগরিকদের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা নিজে ভোট বর্জন করুন এবং ভোট বর্জনে অন্যকে উৎসাহিত করুন।

    আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বর্তমান সরকার দেশের জনগণকে জিম্মি করে ফেলেছে। এই সরকারের কাছে জনগণ কোনো অবস্থাতেই নিরাপদ নয়। বর্তমান সরকার বিনা ভোটের সরকার। জনগণের প্রতি তাদের কোনো আস্থা নেই। তারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আবারও ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পাঁয়তারা করছে। তাই সরকারকে পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারে দাবি মানতে বাধ্য করা হবে। এই লক্ষ্যে গণআন্দোলন আরো জোরদার করা হবে।

    এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা হাজী আবু ফয়েজ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক আবদুল আহাদ রিপন, মাঈনুদ্দীন খান রাজিব।

    এছাড়া মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলমের নেতৃত্বে সকালে দেওয়ান হাট এলাকায় গার্মেন্টসের পোশাক শ্রমিকদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়। তাছাড়া মহানগর বিএনপির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, চান্দগাঁও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইলিয়াছ চৌধুরী, জাফর আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক উসমান গণি ও কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে মোহরা হামিদচর এলাকায়, মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম দুলালের নেতৃত্বে সরদার বাহাদুর স্কুল ক্যাম্প ও ফ্লোরা পাশ রোড এলকায়, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সহ সভাপতি আমিনুর রহমান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল নাসের সাজ্জাদ, মহানগর যুবদলের সহ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন মিন্টুর নেতৃত্বে কোতোয়ালি মোড় ও ফিরিঙ্গী বাজার এলাকায়, ইপিজেড থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে ইপিজেড এলাকায়, মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল হক টুটুল, হালিশহর থানা আহ্বায়ক কাফি মুন্নার নেতৃত্বে হালিশহর কে ব্লক বসুন্ধরা এলাকায়, মহানগর যুবদলের সি. সহ‌ সভাপতি ইকবাল হোসেন, সম্পাদক মো. ইকবাল, হালিশহর থানা যুবদলের আহবায়ক মোশাররফ হোসেন সোহেল, সদস্য সচিব হাবিব উল্লাহ খান রাজুর নেতৃত্বে হালিশহর এলাকায়,

    মহানগর যুবদলের সি. সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের আহবায়ক মোহাম্মদ আলী সাকি, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সেলিম উদ্দিন রাসেল, প্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান জুয়েলের নেতৃত্বে খতিবের হাট এলাকায়, মহানগর যুবদলের সহ‌ সভাপতি ফজলুল হক সুমন, পাহাড়তলী থানা যুবদলের সদস্য সচিব শওকত খাঁন রাজু, বন্দর থানা যুবদলের সি. যুগ্ম আহবায়ক মো. ইয়াছিনের নেতৃত্বে বন্দর এলাকায়, চাঁন্দগাও থানা যুবদলের আহবায়ক গোলজার হোসেন, নগর যুবদলের সহ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম ও থানা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাজিদ হাসান রনির নেতৃত্বে পূর্ব ষোলশহর শাহী আবাসিক এলাকায়, আকবর শাহ থানা যুবদলের সদস্য সচিব ইলিয়াছ খানের নেতৃত্বে ফিরোজ শাহ বিশ্ব কলোনি এলাকায়, বিএন‌পি নেতা আ‌জিজ উ‌দ্দিন মিন্ট‌ু ও মহানগর স্বেচ্ছা‌সেবক দ‌লের যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দীন নাহিদের নেতৃ‌ত্বে বায়েজীদ বোস্তামী ক্যান্টমেন্ট এলাকায়, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি আলিফ উদ্দিন রুবেলের নেতৃত্বে শোলক বহর এলাকায়, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রবিউল হোসেন রবির নেতৃত্বে শাহ আমানত ব্রীজ এলাকায়, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব কামরুদ্দিন সবুজের নেতৃত্বে কর্ণফুলী ফকিরনীর হাট কাঁচা বাজার এলাকায়, আকবর শাহ থানা শ্রমিক দলের সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম সুজনের নেতৃত্বে কর্নেল হাট এলাকায়, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন খানের নেতৃত্বে বিবির হাট সুন্নিয়া মাদ্রাসা, নাজির পাড়া ও হিন্দু পাড়া এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।

  • ডামি নির্বাচন ইতিমধ্যেই ড্যাম হয়ে গেছে: ডা. শাহাদাত

    ডামি নির্বাচন ইতিমধ্যেই ড্যাম হয়ে গেছে: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আসন ভাগাভাগির এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নিজেরা নিজেরা খুন করছে, নাশকতা করছে, মানুষ মারছে, আর এটা চাপিয়ে দিচ্ছে বিএনপির উপর। যারা দীর্ঘদিন ধরে মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করছে তাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। তারা জোর করে অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়। তাই একতরফা নির্বাচনের ফলাফল ভোটের আগেই ঠিক করে রেখেছে। ১৮ সালে কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া ভোট ডাকাতরা ২৪ সালে এসে কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। তবে অবৈধ সরকার যাতে জোর করে ক্ষমতায় থাকতে না পারে তাদের বিরুদ্ধে জণগণের শান্তিপূর্ণ অধিকার প্রয়োগ করতে হবে, কেউ ভোট দিতে যাবেন না, অবৈধ নির্বাচন মানবেন না। শুধু শুধু রাষ্ট্রের কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করা ছাড়া আর কিছু নেই। তারা দেশের জনগণকে একদিকে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে। একনেত্রীর নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। ডামি নির্বাচন ইতিমধ্যেই ড্যাম হয়ে গেছে। এই নির্বাচন দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। আওয়ামী লীগের সমর্থকরাও ভোট দিতে যাবে না।

    তিনি মঙ্গলবার (২ জানুয়ারী) দুপুরে বকসির হাট ও টেরি বাজার এলাকায় সরকার পতনের একদফা দাবি ও ৭ জানুয়ারীর নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জনমত তৈরির লক্ষ্যে কোতোয়ালি থানা বিএনপির গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন।

    তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, দোকানদার ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে আসন ভাগাভাগির একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, সরকার জানে তাদের নৈতিক পরাজয় এরই মধ্যে হয়েছে। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনে আসতে তাদের ভয় দেখেই তারা পাতানো নির্বাচন করছে। তারা উন্নয়ন আর অগ্রগতির কথা বলে। এত উন্নয়ন করেও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় কেন? তারা পরাজয় নিশ্চিত জেনেই সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায়। তারা দেশে আবার বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাদের এই দ্বিতীয় বাকশাল হতে দেয়া হবে না। মুক্তিযুদ্ধের পর একদলীয় শাসন ব্যবস্থা যেমন সফল হয়নি। তেমনি বর্তমান দ্বিতীয় বাকশাল শাসন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার অপচেষ্টাও সফল হবে না। আওয়ামী লীগ দেশের ওপর যে অবস্থা চাপিয়ে দিয়েছে, এটা অস্বাভাবিক, এভাবে চলতে পারে না। অবশ্যই পরিবর্তন হবে।

    এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, মো. কামরুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, বকসির হাট ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এস এম মুফিজ উল্লাহ, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবুল বশর, জসিম মিয়া, আবু ফয়েজ, বিএনপি নেতা দিদারুল আলম, নকিব উদ্দীন ভূইয়া, আনোয়ার হোসেন, আবুল কালাম, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন, মো. সালাউদ্দিন, বিএনপি নেতা মো. রিয়াদ, আবু বক্কর প্রমূখ।

    তাছাড়া মঙ্গলবার সকালে রিয়াজুদ্দিন বাজার ও চৈতন্য গলি কাঁচা বাজার এলাকায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির সদস‌্য স‌চিব আবুল হা‌শেম বক্ক‌রের নেতৃ‌ত্বে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।

    এতে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ৭ জানুয়ারী ‌জবরদস্তি করে জনগণকে ধমক দিয়ে আওয়ামী লীগ একটি অবৈধ একতরফা নির্বাচন করতে যাচ্ছে। তারা গণতন্ত্রকে আগেই হত্যা করেছে, এখন ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে দাফন করতে চায়। তারা একটা ‘আমরা আর মামুরা’ নির্বাচন করতে ছাচ্ছে। এ নির্বাচনের বিরুদ্ধে গোটা দেশ, গোটা জাতি। গত ১৫ বছর ধরে দুঃশাসনের হাতে বাংলাদেশের জনগণ জিম্মি। মানুষের মানবাধিকার আজ ধ্বংসের পথে। অবৈধ সরকারের পাতানো এই নির্বাচনে প্রার্থী নিজেই বলেন, আমি ভারতের প্রার্থী। ভাগ বাটোয়ারার এই নির্বাচন দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে।

    এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, মো. শাহ আলম, আলকরন ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম মিয়া, বাগমনিরাম ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ফয়েজ, কোতোয়ালি থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, আবুল কালাম, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সেলিম খান, তানভীর মল্লিক, কোষাধ্যক্ষ নুর হোসেন উজ্জ্বল, সহ সম্পাদক মো. বেলাল, বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন, মো. রিয়াদ, জানে আলম বাচা, যুবদল নেতা মাঈনুদ্দীন খান রাজিব, মাঈন উ‌দ্দিন, এমরান হো‌সেন প্রমূখ।

    এছাড়া মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আহমেদ উল আলম চৌধুরী রাসেল, মহানগর যুবদলের ক্রীড়া সম্পাদক জসিম উদ্দিন সাগর, সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. আলমগীর, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহেদ হোসেন জোসির নেতৃত্বে বদরপাতি এলাকায়, ইপিজেড থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে মাদ্রাজী শাহ রোড, নেভী কলোনী রোড এলাকায়, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপনের নেতৃত্বে মতিঝর্না, টাইগারপাস ও বাঘঘোনা এলাকায়, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি ফজলুল হক সুমন, পাহাড়তলী থানা যুবদলের সদস্য সচিব শওকত খাঁন রাজু ও যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন ফরহাদের নেতৃত্বে পাহাড়তলী স্টেশন রোড, ডেবারপাড় ও লেক ভিউ আবাসিক এলাকায়, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি ফজলুল হক সুমন, বন্দর থানা যুবদলের সি. যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইয়াছিন ও হালিশহর থানা যুবদলের সি. যুগ্ম আহবায়ক সাজ্জাদ আহমেদ সাদ্দামের নেতৃত্বে নিমতলা ও হালিশহর থানার রঙ্গীপাড়া বাজার এলাকায়, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের আহবায়ক মো. আলী সাকি, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সেলিম উদ্দিন রাসেল, সহ সম্পাদক হামিদুল হক চৌধুরী ও থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সরোয়ার উদ্দিন সেলিমের নেতৃত্বে হামজার বাগ এলাকায়, চবি ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে কাজীর দেউড়ী এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।

  • ভয় দেখিয়ে মানুষকে ভোট কেন্দ্রে নেওয়া যাবে না: ডা. শাহাদাত

    ভয় দেখিয়ে মানুষকে ভোট কেন্দ্রে নেওয়া যাবে না: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনকে চিরবিদায় দিয়েছে আওয়ামীলীগ। তারা আবারো একতরফা নির্বাচনের জন্য সকল শক্তি নিয়োগ করেছে। বর্তমানে দেশ এক ভয়ঙ্কর ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। ভয় আর শঙ্কা মানুষের পিছু নিয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্বকে বিক্রি করে দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার গ্যারান্টিপত্র আদায় করা হয়েছে। আর এই অবৈধ নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো সংগ্রাম করছে জনগণের ভোটের জন্য। কিন্তু সরকার জনগণকে হুমকি দিয়ে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে ভোট দেওয়াতে চায়। যেখানে মানুষের মন থেকে ভোট দেওয়ার কোনো আগ্রহ নেই, সেখানে হুমকি দিয়ে সে ভোটে নেওয়া যাবে না। জনগণ একতরফা তামাশার নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। ভয় দেখিয়ে মানুষকে ভোট কেন্দ্রে নেওয়া যাবে না।

    তিনি সোমবার (১ জানুয়ারী) সকালে বাকলিয়া বউ বাজার এলাকায় সরকার পতনের একদফা দাবি ও ৭ জানুয়ারীর নির্বাচন বর্জনে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জনমত তৈরির লক্ষ্যে বাকলিয়া থানা বিএনপির গণসংযোগ, মিছিল ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন।

    তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, দোকানদার ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে আসন ভাগাভাগির একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার দেশের সম্পদ লুট করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মন্ত্রী এমপিদের দুর্নীতির খবর এখন মানুষের মুখে মুখে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলফনামায় মন্ত্রী এমপিদের সম্পদের যেসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, টিআইবি যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাদের লুটের সম্পদের পরিমাণ আরও বহুগুণ বেশি। অবৈধ সরকারের নেতাকর্মীদের সম্পদ বাড়লেও ঋণের বোঝা পড়ছে জনগণের কাঁধে। তাদের হাত থেকে মুক্তি পেতে পাতানো নির্বাচনের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

    এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, বাকলিয়া থানা বিএনপির সি. সহ সভাপতি এম আই চৌধুরী মামুন, দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী নবাব খান, পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান উদ্দিন, মহানগর বিএনপি নেতা নকিব উদ্দীন ভূইয়া, ইসমাইল বাবুল, পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম ডিউক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক খান, বাকলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক দুলাল মিয়া, সদস্য সচিব শামিম আহমেদ প্রমূখ।

  • ৭ জানুয়ারী আওয়ামীলীগ ভোট ডাকাতির হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছে: ডা. শাহাদাত

    ৭ জানুয়ারী আওয়ামীলীগ ভোট ডাকাতির হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছে: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামীলীগের অবৈধ ক্ষমতার মেয়াদ বাড়াতে পূর্বনির্ধারিত ফলাফল ঘোষণার পাতানো ডামি নির্বাচন নিয়ে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। শেখ হাসিনার ভাগবাটোয়ারার নির্বাচনে কে জিতবে, তার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ২৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে এক মতবিনিময় সভায় স্বীকার করেছেন যে, ২০১৮ সালে রাতে ভোট হয়েছিল। এবারের নির্বাচনে বহু এলাকায় ডামি প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরাই প্রকাশ্যে স্বীকার করছেন কীভাবে ১৮ সালে রাতে ভোট ডাকাতি করেছিল। এবারও নির্বাচনকে ঘিরে ভয়ংকর অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো শেখ হাসিনা সরকার আবারও গায়ের জোরে একতরফা ভোটহীন আরও একটি পাতানো নির্বাচনের চেষ্টা করছে। আগামী ৭ জানুয়ারীর ভুয়া নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগ ভোট ডাকাতির হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছে। মানুষের ভোটাধিকার ধ্বংস করার জন্য আওয়ামীলীগ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বুকে স্থান পাবে।

    তিনি শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে মুরাদপুর এন মোহাম্মদ, মির্জা পুল ও শোলক বহর এলাকায় সরকার পতনের একদফা দাবি ও ৭ জানুয়ারীর নির্বাচন বর্জনে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জনমত তৈরির লক্ষ্যে পাঁচলাইশ থানা বিএনপির গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন।

    তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, দোকানদার ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে আসন ভাগাভাগির একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, পাতানো নির্বাচনে আওয়ামী প্রার্থী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন, রাষ্ট্রযন্ত্র, প্রিসাইডিং অফিসার সব একাকার হয়ে গেছে। তারা ছলেবলে কৌশলে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেছে। কোনো কোনো প্রার্থী হুমকি দিচ্ছে, ভোট কেন্দ্রে না গেলে নাগরিক সুবিধা বাতিল করা হবে। কিন্তু সরকার যত যাই করুক, কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। মাফিয়াচক্রের জন্য অনিবার্য পতন অপেক্ষা করছে। ৭ জানুয়ারি জনগণ শেখ হাসিনাকে লাল কার্ড দেখিয়ে বিদায় করবে। গণতন্ত্রকামী মানুষের চলমান আন্দোলন এগিয়ে যাবে, জনগণের বিজয় হবে।

    এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইস্কান্দার মির্জা, পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ূন, শোলক বহর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কাজী শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক হাসান উসমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, থানা বিএনপির সহ সভাপতি লেদু মেম্বার, আবদুল মান্নান, শাহজাহান বাবুল, পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সি. যুগ্ম সম্পাদক এম এ হামিদ দিদার, শোলক বহর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. হাসান, তৌহিদুল ইসলাম রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আকবর, মহানগর যুবদল নেতা আলিফ উদ্দিন রুবেল, মো. সেলিম প্রমূখ।

    এছাড়া মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবদুল হালিম শাহ আলমের নেতৃত্বে লালখান বাজার ইস্পাহানি মোড়, মতিঝর্ণা কাঁচা বাজার, বাটালী রোড ও টাইগার পাস এলাকায় লিফলেট বিতরণ করা হয়। এতে অংশ নেন মহানগর যুবদলের কোষাধক্ষ নূর হোসেন উজ্জল, থানা বিএনপি নেতা জানে আলম বাচা, থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো, জাবেদ। তাছাড়া উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইন্জি. বেলায়েত হোসেন, জেলা বিএনপি নেতা আজমত আলী বাহাদুর, গাজী হানিফ, মোশারফ হোসেন আকবর, এম এ হালিমের নেতৃত্বে রিয়াজুদ্দিন বাজার এলাকায় ও মহানগর মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনির নেতৃত্বে রামপুর ওয়ার্ডের নয়াবাজার এলাকায় মহিলাদলের লিফলেট বিতরণ, আকবর শাহ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাঈনুদ্দীন চৌধুরী মাঈনু ও কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রফিক উদ্দীন চৌধুরীর নেতৃত্বে কাট্টলী কমিউনিটি সেন্টার ও বিশ্বাস পাড়া এলাকায় লিফলেট বিতরণ করা হয়। এতে অংশ নেন আকবর শাহ থানা বিএনপির সি. সহ সভাপতি মহসীন তালুকদার, কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন, মহানগর যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম, থানা যুবদলের আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন টুনু, নগর ছাত্রদলের সদস্য আব্বাস রিপন, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি ফজলুল হক সুমন, পাহাড়তলী থানা যুবদলের সদস্য সচিব শওকত খাঁন রাজু ও বন্দর থানা যুবদলের সি. যুগ্ম আহবায়ক মো. ইয়াছিনের নেতৃত্বে পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজার ও বন্দর নিমতলা এলাকায়, মহানগর যুবদলের সি. যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসাইনের নেতৃত্বে চান্দগাঁও বণিক পাড়া ও উত্তর চান্দগাঁও এলাকায়, খুলশী থানা যুবদলের আহবায়ক হেলাল হোসেন ও নগর যুবদলের সহ সম্পাদক হোসেন উজ জামান, আবু কালাম, বাদশা আলমগীর ও জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ফয়েস লেক এলাকায়, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক এম. আবু বক্কর রাজু, চান্দগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাজিদ হাসান রনি ও সদস্য সচিব মো. শহীদুজ্জামানের নেতৃত্বে বহদ্দারহাট এলাকায়, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন চৌধুরী ও খুলশী থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. মিল্টনের নেতৃত্বে বড়পুল ও নয়াবাজার এলাকায়, কোতোয়ালী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এন মোহাম্মদ রিমনের নেতৃত্বে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন করা হয়।

  • পাক হানাদার বাহিনীর মতো বর্তমান সরকারও নির্যাতন চালাচ্ছে: ডা.শাহাদাত

    পাক হানাদার বাহিনীর মতো বর্তমান সরকারও নির্যাতন চালাচ্ছে: ডা.শাহাদাত

    ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল, আজকে বর্তমান সরকারও একই কায়দায় মানুষের উপর নির্যাতন নিপীড়ন চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।

    তিনি বলেন, আজকেও একইভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দুরে রাখার জন্য আওয়ামী সরকার পুলিশ দিয়ে হামলা করে বিএনপির মহাসমাবেশ পন্ড করে দিয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে শেখ হাসিনার দেওয়া তালিকা অনুযায়ী বিজয়ী ঘোষণা করতে শত কোটি টাকা নষ্ট করে নির্বাচন কমিশন আরেকটি জালিয়াতির নির্বাচন করতে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে অটোপাস নির্বাচন এবং ২০১৮ সালে রাতের ডাকাতির পর এবার আরেকটি ভাগাভাগির ডামি নির্বাচন হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও উৎসবমুখর পরিবেশের পরিবর্তে সারাদেশে ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিএনপির সক্রিয় নেতা ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিচার বিভাগের মাধ্যমে বেছে বেছে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের লোকজন ছাড়া মানুষ এখন গ্রেপ্তারের ভয়ে পলাতক এবং অনেক গ্রাম মানুষহীন হয়ে পড়েছে। নির্বাচন কমিশন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে দেওয়া তালিকানুযায়ী বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করবে। গণভবন থেকে যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তা নির্বাচনের রাতেই পড়ে শোনানো হবে। বর্তমান সরকার ১৯৭১ সালের হানাদার বাহিনীর চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।

    তিনি বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম, মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনওয়াজ, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. এনামুল হক, চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ত‌মিজ উ‌দ্দিন আহমেদ মানিক, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সেলিম মো. জানে আলম।

    এসময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর থেকেই অগণতান্ত্রিক শক্তি দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো হরণ করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করেছে। আজকে আওয়ামীলীগের অধীনে নির্বাচন এখন একটি কৌতুক, প্রহসন এবং ব্যবসার মাধ্যম হয়ে উঠেছে। কারণ জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার ক্ষমতা হারিয়েছে। আসন বণ্টনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সহানুভূতি ও করুণায় জনপ্রতিনিধি তৈরি করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতি রাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে। এভাবে মাফিয়া সরকার নির্বাচন করতে যাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের নামে এই খেলা কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে বানচাল করা হবে।

    এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান। বাংলাদেশের মহান মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের প্রেরণা জুগিয়েছিলেন তারা। নিজেদের মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে জনগণকে উদ্দীপ্ত করেছিলেন সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে।

    জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন পূরণে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। গণতান্ত্রিক অধিকার মানুষের সর্বজনীন অধিকার, সেটি সমুন্নত রাখতে আমাদের মিলিত শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।

    বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতীয় জীবনে একটি বেদনাময় দিন। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের দুই দিন আগে হানাদার বাহিনীর দোসররা দেশের বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। তারা মনে করেছিল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করলেই এই দেশ দুর্বল হয়ে পড়বে। কিন্তু তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি।

    এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, হারুন জামান, জসিম উদ্দিন শিকদার, নিয়াজ মো. খান, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, এড. আবু তাহের, এড. আবদুল মান্নান, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ বাহার, কেন্দ্রীয় মহিলাদলের যুগ্ম সম্পাদক ফাতেমা বাদশা, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, ডবলমুরিং থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাদশা মিয়া, আকবর শাহ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাঈনুদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, ইপিজেড থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন মাহমুদ, চান্দগাঁও থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া প্রমুখ।

  • আওয়ামী লীগ একটি গণতন্ত্রবিরোধী সন্ত্রাসী শক্তিঃ ডা. শাহাদাত

    আওয়ামী লীগ একটি গণতন্ত্রবিরোধী সন্ত্রাসী শক্তিঃ ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং তিনজন কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে বিএনপির সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হচ্ছেন। এটি দেখে সরকার এখন বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ প্রতিহত করতে মরিয়া ওঠেছে। ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপির সমাবেশে হামলা চালিয়ে বরকত উল্লাহ বুলুসহ নেতাকর্মীদের আহত করেছে। আওয়ামী লীগ একটি গণতন্ত্রবিরোধী সন্ত্রাসী শক্তি। তারা অতীতেও একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। এখনো তারা একই উদ্দেশ্যে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা সারা দেশে একই কায়দায় বিএনপির সমাবেশে হামলা করছে। পুরোপুরিভাবে উসকানি দিয়ে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। বিএনপির পক্ষে গণজোয়ার দেখে আওয়ামীলীগ ভয় পেয়েছে। ভয় পেয়েই তারা ভয় দেখাচ্ছে।

    তিনি রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামীলীগের হামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশ হয়।

    ডা. শাহাদাত বলেন, পত্রিকায় দেখলাম, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আওয়ামী লীগের জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিজয়ের জন্য দোয়া মোনাজাত করছেন। তিনি এই নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র গ্রহণ করে আবার তাদের উদ্দেশে বক্তৃতাও দিয়েছেন। সেখানে তিনি শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনতে বিএনপি জামায়াতের দোয়াও চেয়েছেন। আমরা বুঝতে পারছি না, উনি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক নাকি চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ? একজন রিটার্নিং অফিসার হিসেবে তিনি শুধু আচরণবিধিই লঙ্ঘন করেননি, নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করে নিরপেক্ষতা হারিয়ে নির্লজ্জ দলবাজের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। যদি দলবাজী করতে হয় তাহলে চেয়ার ছেড়ে আওয়ামীলীগে যোগ দিন। এই মুহুর্তে চট্টগ্রামের ডিসিকে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করছি।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার সারাদেশের প্রশাসনকে প্রশাসন লীগ বানিয়ে রেখেছে। ৬৪ জেলায় ৬৪ জন প্রশাসন লীগের নেতা জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই পুলিশ আর প্রশাসন লীগের সহযোগিতায় বিনা ভোটের সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ভুলে গেছেন, তিনি একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। তিনি আওয়ামী লীগের নেতা বা কর্মী নন। এই দলবাজ জেলা প্রশাসকের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমরা চট্টগ্রামের ডিসি’র দলীয় কর্মীর মতো ভূমিকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, আবদুল কাদের জসিম, মহিলাদলের মনোয়ারা বেগম মনি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম প্রমূখ।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • আগামীকাল কেবি কনভেনশন হল মাঠে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ সফল করুন

    আগামীকাল কেবি কনভেনশন হল মাঠে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ সফল করুন

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে আগামীকাল ৩০ নভেম্বর বিএনপি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সেই প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে আমরা পুলিশ কমিশনারের সাথে সাক্ষাৎ করেছি। আমরা চাই শান্তিপূর্ণভাবে বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে চাই। আগামীকাল ৩০ নভেম্বর কালামিয়া বাজার কে.বি কনভেনশন হল মাঠে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে চাই এবং আশাকরি প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করবে।

    ডা.শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।সরকার দেশকে একটি একদলীয় রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, গণতন্ত্র নেই, মানবিকতা নেই।

    এই সরকার মানুষের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আগামীকাল বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সকল অঙ্গসংগঠন এবং দেশপ্রেমী জনতাদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান

    তিনি আজ সাংবাদিকদের আগামীকালের বিভাগীয় সমাবেশ নিয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আগামীকাল বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং বিএনপি’র যুগ্ন মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সহ বিভাগীয় ও মহানগর উত্তর-দক্ষিণ জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এই সমাবেশ সফল করব।

    দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন, খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে বিদেশে সুচিকিৎসা সুযোগ দিতে হবে। আগামীকালের বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে জেলা নেতৃবৃন্দের দুপুর দুইটার মধ্যে উপস্থিত হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

    এন-কে

  • মুক্তিযুদ্ধের বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নিতে চাচ্ছে মাফিয়া রাষ্ট্রযন্ত্র: বক্কর

    মুক্তিযুদ্ধের বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নিতে চাচ্ছে মাফিয়া রাষ্ট্রযন্ত্র: বক্কর

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য-সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, জেড ফোর্সের অধিনায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নিতে চাচ্ছে মাফিয়া রাষ্ট্রযন্ত্র। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতা পরবর্তী শেখ মুজিবর রহমানের সরকার জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বীর উত্তম খেতাব দেওয়া হয়। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর তার রাষ্ট্রীয় খেতাব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত সরকারের কুটিল প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। গণতন্ত্রকে হত্যা করার পর সেটিকে জায়েজ করতে এখন নানা অপকর্মের আশ্রয় নিয়েছে এ সরকার। তার সর্বশেষ কুৎসিত নাটক হলো স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত।

    তিনি আজ বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে স্বৈরতন্ত্র ও মাফিয়াতন্ত্রের পতনের দাবিতে এবং শহীদ জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে কেন্দ্রঘোষিত চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    আবুল হাশেম বক্কর বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের এমনিতেই তালিকা থেকে বাদ দিয়ে এবং নানা ধরনের অপকর্মের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বিতর্কিত হয়েছেন। সে জন্যই জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছেন। কারন জিয়া পরিবারের নামে বিষোদগার করলেই আওয়ামী নেতাদের পুরস্কৃত করেন শেখ হাসিনা। জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতি আওয়ামী সরকারের লাগামহীন ক্রোধ এবং প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এরা হুকুমের অপেক্ষায় থাকে। জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তো অত্যন্ত ঘৃণ্য ও ন্যাক্কারজনক সিদ্ধান্ত। সরকারের প্ররোচনায় জামুকা এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

    তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে বর্তমান সরকারের মাফিয়া দুঃশাসনের যে সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে, তা আড়াল করার জন্যই রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু সরকারের যে মাফিয়া চরিত্র দেশবাসী ও বিশ্বের কাছে উম্মোচিত হয়েছে তা মুছে ফেলতে পারবে না। আমরা একদিন স্বৈরশাসক দেখেছি, সেনাশাসক দেখেছি বিশ্ববাসী এবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মাফিয়া শাসক দেখেছে। এটা সরকারের জন্য অনেক বিশাল বড় অর্জন হলেও আমাদের বাংলাদেশের জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায়।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহিলা বিষয়ক সম্পাাদক নূরে আরা ছাফা, এতে আরো বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মো: মিয়া ভোলা, এড. আব্দুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দীন, মো, শাহ আলম, ইসকান্দার মির্জা, আবদুল মান্নান, সদস্য হারুন জামান, মোঃ আলী, মাহবুবুল আলম, এড. মফিজুল হক ভুইয়া, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাসেম, শামসুল হক, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মোঃ সিরাজ উল্লাহ, মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, নগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভপতি এইচ এম রাশেদ খান, মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলি চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, হাজী বাবুল হক, মোশারফ হোসেন ডেপটি, হাজী হানিফ সওদাগর, মো. সালাউদ্দিন, মোঃ সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল হারুন, সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাব উদ্দিন, জসিম উদ্দিন জিয়া, জাহিদ হাসান, রোকন উদ্দিন মাহামুদ, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, আবদুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গির আলম, তাঁতি দলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, নগর জাসাস সাধারণ সম্পাদক মামুনুল রশিদ শিপন, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নবাব খাঁন, আকতার খান, রফিক উদ্দিন চৌধুরী, জমির আহমদ, ইলিয়াছ চৌধুরী আলাউদ্দিন আলী নূর, আলি আব্বাস খান, মোঃ ইলিয়াছ, জানে আলম জিকু, এড আবুল কাশেম মজুমদার, মোঃ ইলিয়াছ, ফারুক আহমদ, মোঃ বেলাল, খাজা আলাউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির সোহেল, ফয়েজ আহমদ, শায়েস্তা উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, আবুল কালাম আবু, ফরিদুল আলম, সৈয়দ আবুল বসর, নাছিম আহমদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, জসিম মিয়া, হাজী আবু ফয়েজ, আবু সাঈদ হারুন, আনোয়ার হোসেন আরজু, সিরাজুল ইসলাম মুন্সি, এস এম আজাদ, মোঃ হাসান, মামুন আলম, হাজী জাহেদ, মনজু মিয়া, আশ্রাফ খান, মনজুরুল কাদের, হাজী এমরান প্রমুখ।