Tag: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি

  • জিয়ার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত সরকারের হীনমন্যতার বহি:প্রকাশ: ডা.শাহাদাত

    জিয়ার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত সরকারের হীনমন্যতার বহি:প্রকাশ: ডা.শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা, শাহাদাত হোসেন বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশ ও শহীদ জিয়া একে অপরের সম্পুরক। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার অপর নাম জিয়াউর রহমান। জিয়াকে বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস রচনা করা সম্ভব নয়। মেজর জিয়া ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক, রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সেনাপ্রধান এবং বাংলাদেশের একজন সফল রাষ্টনায়ক। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য স্বাধীনতা উত্তর শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার “বীর উত্তম” খেতাবে ভুষিত করেন শহীদ জিয়াকে। জিয়াউর রহমানকে যে খেতাব দেওয়া হয় তা বাতিলের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটা নিকৃষ্টতম সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ন ও হীনমন্যতার বহিঃপ্রকাশ। আল জাজিরার প্রতিবেদনে সরকারের অপকর্ম ও দুর্নীতির ফাঁস হওয়া চিত্র ধামাচাপা দিতেই মুলত শহীদ জিয়ার স্বাধীনতা খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    তিনি আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারী) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত ও তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ফরমায়েশী সাজা প্রদানের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, শহীদ জিয়া সংকট মূহুর্তে শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি, সেক্টর কমান্ডার হিসেবে রনাঙ্গনে যুদ্ধে নেতৃত্বও দেন। মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবদান অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করা হলে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে অস্বীকার করা হবে। এটাই সত্য ও ইতিহাস। ইতিহাস তার নিজস্ব গতিতে চলে। প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষের রাজনীতি এবং আদালতের রায় দিয়ে ইতিহাস বদলানো যায় না। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সাথে শহীদ জিয়ার নাম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সুতরাং কখনোই স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ থেকে জিয়াকে বিচ্ছেদ করা যাবে না।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সাথে এদেশের মানুষের আবেগ অনুভূতি জড়িত। স্বীকৃত সত্য হচ্ছে শহীদ জিয়া মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক ও রনাঙ্গনের বীর যোদ্ধা। এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই। শহীদ জিয়া যে স্বাধীনতার ঘোষনা করেছিল তা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও শিকার করে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর যারা জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা মূলত স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে। তাই জিয়াউর রহমানের খেতাব সরকার বাতিল বা যাই করুক না কেনো তিনি এদেশের মানুষের বুকের মধ্যে রয়েছেন। বাংলাদশের ইতিহাসও এটাই বলে। জিয়াউর রহমানের স্বাথীনতার স্বীকৃতি নিয়ে কোন হঠকারী সিদ্ধান্ত নিলে চট্টগ্রামের মাঠি থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

    দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদেরকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দিয়েছেন। শহীদ জিয়ার খেতাব বাতিলের সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশের রাজনীতিকে আরও দুর্বিসহ ও সংকটময় করে তুলবে। তবে দেশের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে প্রতিহিংসার যে মনোভাব জায়গা করে নিয়েছে, এর সূচনা পরিষ্কারভাবেই ঘটিয়েছে স্বাধীনতার পর বিরোধী মত দমন ও একদলীয় শাসন কায়েমের মাধ্যমে।

    সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইস্কান্দর মির্জা, আব্দুল মান্নান, সদস্য এরশাদ উল্লাহ, সামশুল আলম, জয়নাল আবেদিন জিয়া, মো. আলী, এ্যাড. মফিজুল হক ভূঁইয়া, নিয়াজ মো. খান, ইকবাল চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আশরাফ চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাসেম, সামশুল হক, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মঞ্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, মনোয়ারা বেগম মনি, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, থানা, বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, মোশারফ হোসেন ডেপটি, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী হানিফ সও, সালাহ উদ্দিন, ডা. নুরুল আফসার, আব্দুল্লাহ আল হারুন, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, মো. শাহাব উদ্দিন, জসিম উদ্দিন জিয়া, নুর হোসেন, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আব্দুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গীর আলম, নগর অঙ্গ সংগঠনের সম্পাদকবৃন্দ জেলী চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন বুলু, মনিরুজ্জামান টিটু, মামুনুর রশীদ শিপন, সাইফুল আলম, শরীফুল ইসলাম তুহিন, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, অঙ্গ সংগঠন নেতৃবৃন্দ নুর আহমদ গুড্ডু, এস এম রব, ফজলুল হক সুমন, মিয়া মো. হারুণ, নাসিম চৌধুরী, আবু সুফিয়ান, আসাদুজ্জামান দিদার, এমদাদুল হক বাদশা, জিয়াউর রহমান জিয়া, মো. হারুন, মাঈনুদ্দিন রাসেদ, মোহাম্মদ রেজা, হাবিবুর রহমান মাসুম, হুমায়ুন কবির, এরশাদ হোসেন, সেলিম উদ্দিন রাসেদ, জমির উদ্দিন নাহিদ, আসিফ চৌধুরী লিমন, সালাউদ্দিন সাহেদ, সামিয়াত আমিন জিসান প্রমুখ।

  • নির্দোষ তারেক রহমান আওয়ামী সরকারের আক্রোশের শিকার:বক্কর

    নির্দোষ তারেক রহমান আওয়ামী সরকারের আক্রোশের শিকার:বক্কর

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেছেন, সমকালীন রাজনীতির সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমান। তাকে মইনুদ্দিন ফখরুদ্দিনের অসাংবিধানিক সরকারের নির্দেশে গ্রেফতারের পর থেকে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো শুরু হয়। তারা গণতন্ত্র ও ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধা দিয়ে তারেক রহমানকে নিয়ে নানা চক্রান্তের জাল ছড়ায়। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে তাকে হেয় করার জন্য রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করা হয়। অথচ দেশের কোথাও তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ বা মামলা ছিল না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ১/১১ সরকারের দায়ের করা মামলায় সম্পূরক চার্জশিট দিয়ে তারেক রহমানের নাম দেওয়া হয়েছে। বিদেশে অবস্থান করলেও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া এখনো অব্যাহত রেখেছে। এই নাম দেওয়া সরকারের প্রতিহিংসা চরিতার্থের নামান্তর। নির্দোষ তারেক রহমান আওয়ামী সরকারের আক্রোশের শিকার।

    তিনি আজ বুধবার (১৩জানুয়ারী) সকাল ১১টায় উদ্যোগে নগরীর বারিক বিল্ডিং মোড়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চার্জগঠন ও গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেনন্দ্র ঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন।

    এতে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, তারেক রহমানের ওপর সরকারের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের ধারা এখনও বয়ে চলেছে। নানাভাবে তাকে বিপর্যস্ত ও বিপন্ন করার জন্য সরকার কূটচাল চালিয়েই যাচ্ছে। তথাকথিত আইনি প্রক্রিয়ার নামে মিথ্যা মামলা ও অন্যায় সাজা দিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা পূরণের গতি অব্যাহত আছে। এক ব্যক্তির হিংসার চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটছে জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ওপর। এমতাবস্থায় আমরা দুঃশাসনের অবসানে অতি দ্রুত তার দেশে ফেরার জন্য প্রতীক্ষা করছি।

    মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহবায়ক কমিটির সদস্য গাজী সিরাজ উল্লাহ, মঞ্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, মহানগরী বিএনপির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম (ডক), মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, মহানগর জাসাস সভাপতি কন্ঠশিল্পী আব্দুল মান্নান রানা, গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো. হারুণ, গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির সোহেল, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ হারুণ, দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আজম, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী কামরুন্নাহার লিজা, বিএনপি নেতা আলী আজম চৌধুরী, মো. নাছির, মো, ইউসূফ, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সি. যুগ্ম সম্পাদক আলী মুর্তজা খান, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক তারিকুল ইসলাম তানভীর, নুর জাফর রাহুল প্রমুখ।

  • চট্টগ্রামের মানুষ স্বত:স্ফুর্তভাবে ধানের শীষ প্রতিকেই রায় দেবেন : ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রামের মানুষ স্বত:স্ফুর্তভাবে ধানের শীষ প্রতিকেই রায় দেবেন : ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও চসিক নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রামের মানুষ সবসময় সংগ্রামী এবং প্রতিবাদী। তাই চট্টগ্রামের বিভিন্ন সমস্যা, অনিয়ম দ্রব্যমূল্যের যে উর্ধ্বগতি এবং চট্টগ্রামের প্রতি যে অবহেলা তার জবাব দিতে ২৭ জানুয়ারী চট্টগ্রামের মানুষ স্বত:স্ফুর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ধানের শীষ প্রতিকে তাদের রায় দেবেন।

    তিনি আগামীতে চট্টগ্রামকে একটি পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪১ ওয়ার্ডে আরবান হেল্থ সেন্টারগুলো চালু করতে পারলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপর কিছুটা হলেও চাপ কমতো। তাই আরবান হেল্থ সেন্টার, চাইল্ড কেয়ারগুলো বাড়ানোর পরিকল্পনা নিতে হবে। করোনা মহামারীর মধ্যে একটি স্পেশালিষ্ট হেলদি স্মার্ট সিটি গড়ে তোলার জন্য আমি কাজ করে যাবো।

    তিনি আজ রবিবার (১০ জানুয়ারী) দুপুরে নগরীর পাঁচলাইশ ৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন।

    তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আতুরার ডিপু নুর টাওয়ারের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করে তুলা কোম্পানি, ঈদগাঁ মোড়, চালিতাতলী বাজার, বোর্ড অফিস, নেজামে হামচা, অক্সিজেন কুয়াইশ সংযোগ সড়ক, ওয়াজেদিয়া, হরিপুর, নয়াহাট, ফকিরাবাদ, কয়লারঘর, অক্সিজেন, পাঠানপুর, শহীদ নগর হয়ে বেলতল মোড়ে পথসভায় বক্তব্য রাখেন। গণসংযোগ কালে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে সালাম বিনিময় এবং ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করেন।

    নির্বাচনী প্রচারণায় লেভেল প্লেইন ফিল্ড নেই অভিযোগ করে ডা: শাহাদাত বলেন, কথা ছিল সব প্রার্থীর জন্য নির্বাচনে লেভেল প্লেইন তৈরী হবে। অথচ দেখা যাচ্ছে সরকারী দলের প্রার্থী যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই পুলিশ সার্পোট পাচ্ছেন। বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনিক সুবিধা পাচ্ছেন। প্রতিদিন ৩০/৩৫টি গাড়ীর বহর নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এটা কি লেভেল প্লেইন হল..? তারপরও আমরা মনে করি একটি সুন্দর, সুষ্ঠু ভোট হোক। তারা যদি এসব অনিয়ম করে তাহলে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে অনিহা সৃষ্টি হবে। মানুষের মধ্যে ভয়ভীতির সঞ্চালন হবে। তাই নির্বাচন কমিশনার ও প্রশাসনের দায়িত্ব ভোটারদের কেন্দ্রে নিতে পরিবেশ সৃষ্টি করার।

    ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, যেহেতু ইভিএম’এ ভোট হবে সেহেতু আইডি কার্ড ছাড়া কেউ যেন ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে সে দায়িত্ব প্রশাসনকে নিতে হবে।

    পথসভায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশম বক্কর বলেন, গণসংযোগে জনস্রোত প্রমান করে চট্টগ্রাম মহনগরীতে ধনের শীষের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রামে অলিগলিতে যেখানে ধানের শীষের গণসংযোগ হচ্ছে সাধারণ মানুষ স্বত:স্ফুর্তভাবে সাড়া দিচ্ছে। বিএনপি জনগণেন ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেমেছে। আগামী ২৭ জানুয়ারী চট্টগ্রামবাসীর ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠির দিন।

    দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ধানের শীষের প্রতীক দিয়ে ডাঃ শাহাদাতকে পাঠিয়েছেন আপনাদের রায় নেয়ার জনা। এ রায় হবে বেগম খালেদা জিয়ার পরিপূর্ণ মুক্তির রায়, গণতন্ত্রের মুক্তির রায়। ২৭ জানুয়ারী ধানের শীষের পক্ষের রায় হবে মৌলিক অধিকার প্রতিষ্টার রায়।

    গণসংযোগ কালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ০৮ আসনের সাবেক বিএনপি প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন,মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, নগর বিএনপির সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম, জি এম আইয়ুব খাঁন, বায়েজিদ থানা বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল হারুন, নগর বিএনপির সবেক সহ দপ্তর সম্পাদক মো: ইদ্রিস আলী, বায়েজিদ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম, নগর বিএনপির সবেক সদস্য নুরুল ইসলাম সাধু মিয়া, আবদুর রহিম, ০৩ নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী মো: ইলিয়াছ, সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রোকসানা বেগম মাধু, ০২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো: বেলাল, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, সহ সভাপতি আবু ইউসুফ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খাঁন, নগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সেলিম উদ্দীন রাসেল, আবদুল আহাদ রিপন, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার, মোর্শেদুল আলম, খুরশেদ আলম, মো: ইউসুফ, আবসার উদ্দিন, আবুল কালাম আবু, সামছুল আলম মেম্বার, ইসমাইল বালী, সাইফু সওদাগর, আবদুল হালিম কালু, মো: বেলাল সর্দার, নাছিমা আলম, মো: ওসমান, যুবদল নেতা মো: ইসমাইল, মহিউদ্দিন জুয়েল, মনজু আলম মনজু, নাজিম উদ্দিন হিরু, এম আর খাঁন ফারুক, মো: হাসান, আনোয়ার হোসেন, রাশেদ খাঁন টিপু, ফিরোজ মাহমুদ, নগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক এম এ হাসান বাপ্পা, কাজী মহিউদ্দীন, মহিউদ্দীন রুবেল প্রমূখ।

  • সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হবে : ডাঃ শাহাদাত

    সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হবে : ডাঃ শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আগামী ২৭ জানুয়ারী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতীক ধানের শীষ’কে বিজয় করতে হবে। এই কাজ আমাদের জন্য অনেক কঠিন হলেও সকল বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে আমাদের এগিয়ে যেতেই হবে। এখন সময় শুধু সামনে এগিয়ে যাওয়ার। গত ১২ টি বছর আমরা শুধু সরকারের জুলম নির্যাতন সহ্য করেছি। এখন আর ঘরে থাকার সময় নাই। মামলা হামলা যাই হোক সাহসিকতার সাথে রাজপথে থাকতে হবে, জনগণকে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে। ধানের শীষের প্রতীককে বিজয়ী করতে পারলে বেগম খালেদা জিয়ার পরিপূর্ণ মুক্তির আন্দোলন তরান্বিত হবে। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতন্র পূনঃপ্রতিষ্টা হবে।

    তিনি আজ বুধবার (৬ জানুয়ারী) দুপুরে নগরীর একটি রেষ্টুরেন্টে চসিক নির্বাচন উপলক্ষে ১৫ থানা ও ৪৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাঃ সম্পাদকের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।

    ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, ধানের শীষ হচ্ছে গৃহবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার প্রতীক। আপনারা প্রত্যেক ভোটারের কাছে যাবেন এবং বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সালাম জানাবেন। সে সাথে ধানের শীষ প্রতীক, কাউন্সিলর প্রার্থী ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইবেন। ইনশাল্লাহ বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত হবে।

    বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রামসহ সারাদেশের মানুষ ২৭ জানুয়ারীর নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছেন। নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত না করে জালজালিয়াতে আশ্রয় নিলে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হরে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের এনআইডি দেখে ঢুকাতে হবে। ভোটকেন্দ্রের ব্যালট প্যানেলের নিরাপত্তা দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে আমাদের এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহন করার আহবান জানাচ্ছি।

    দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন- ডাঃ শাহাদাত হোসেন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। তাঁর গায়ে কোন প্রকার কালীমার চিহ্ন নেই। একজন পরিশ্রমী কর্মবীর হিসেবে তাঁকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করলে তিনি চট্টগ্রামকে একটি নিরাপদ স্মার্ট ও আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন।

    মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আহবায়ক কমিটির সদস্য আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, কামরুল ইসলাম থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, হাজী বাবুল হক, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, আব্দুস সাত্তার সেলিম, মোশারফ হোসেন ঢেপটি, মোঃ আজম, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, মোঃ সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, ডা নুরুল আবছার, আবদুল্লাহ আল হারুন, সরফরাজ কাদের রাসেল, থানার সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন, আফতাবুর রহমান শাহীন, মোঃ শাহাবুদ্দিন, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, মনির আহমেদ চৌধুরী, শরিফ উদ্দিন খান, মাইন উদ্দিন চৌধুরী মাইনু, নূর হোসাইন, আব্দুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, হাবিবুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম ও ৪৩ টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দ।

  • ৫ জানুয়ারী একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল বর্তমান সরকার : মাহবুবের রহমান শামীম

    ৫ জানুয়ারী একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল বর্তমান সরকার : মাহবুবের রহমান শামীম

    বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল বর্তমান সরকার। তারা ভিন্ন আঙ্গিকে জনসমর্থনহীন একটি তামাশার নির্বাচনে সেই একদলীয় বাকশালের নতুন সংস্কৃতি চালু করেছে। সবার মতামতকে উপেক্ষা করে শুধুমাত্র এক ব্যক্তির ইচ্ছায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। যারা জ্বালাও—পোড়াওয়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার জন্য আন্দোলন করেছিল, তারাই আজীবন ক্ষমতায় থাকার লালসায় সেই ব্যবস্থাটি সংবিধান থেকে মুছে দেয়।

    ৫ জানুয়ারী গণতন্ত্রের পথচলাকে থমকে দেয়া হয়েছিল। একদলীয় ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রিত হাইব্রিড গণতন্ত্রকে জেঁকে বসানো হয়েছে জনগণের কাঁধের ওপর। তিনি বলেন, আসন্ন চসিক নির্বাচন একটি অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিবে আমরা প্রত্যাশা করি। যদি চসিক নির্বাচনে কারচুপির করে ভোট ডাকাতি করা হয় তাহলে ওই চট্টগ্রাম থেকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করা হবে।

    তিনি আজ মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারী) দুপুরে নগরীর একটি রেষ্টুরেন্টে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা, শাহাদাত হোসেন বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। দেশে ভোটের অধিকার, মানবিক মূল্যবোধ, কথা বলার অধিকার ও আইনের শাসন কোন কিছুই আজকে উপস্থিত নেই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই মির্জা কাদের ইতিমধ্যে বলেছেন, যদি দেশে সুষ্ঠু ভোট হয় তাহলে আওয়ামী লীগের কোন এমপি পালানোর সুযোগ পাবে না। এটাই হচ্ছে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি।
    নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে চসিক নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে করার আহবান জানিয়ে ডা: শাহাদাত বলেন, প্রশাসন যেন আওয়ামী যন্ত্রে পরিণত না হয়। ভোট মানুষের পবিত্র আমানত। এই ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে। মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে নির্বাচন কমিশনকে তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। চসিক নির্বাচনের জন্য আমরা শতভাগ প্রস্তুত, ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবো।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দেশে এক ভয়াবহ শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজমান। বিরোধী কণ্ঠ, মত ও পথকে নিশ্চিহ্ন করে বেপরোয়া দেশ শাসন করতে গিয়ে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। জনগণ যাতে কোনো প্রতিবাদ করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনকে নগ্ন ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। গণতন্ত্রকে রাষ্ট্র ও সমাজ থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে দেশের আপামর নির্যাতিত জনগণ এখন গতন্ত্র পুণরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। জনগণের উদ্বেল অভিযাত্রা যেকোনো মূহূর্তে রাজপথে প্রবল স্রোত তৈরি করবে।

    বিএনপির কেন্দ্রীয সহ সংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসেও গণতন্ত্রকে এখনো বিকশিত করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ বর্তমানে জোর করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে আছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে কিন্তু আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার মূলমন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আগামী চসিক নির্বাচনে জনগনের ভোটাধিরার রক্ষার শপথ নিতে হবে।

    দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য। যদিও নির্বাচন নিয়ে এখন কারও আগ্রহ নেই। তারা প্রকাশ্যে ভোট চুরি করছে, তারপরও র্নিলজ্জ নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ না করে সেটাকে ডিফেন্ড করছে। এর চেয়ে কলঙ্কময় অধ্যায় আর হতে পারে না

    পরিচিতি সভায় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মো: মিয়া ভোলা, এড. আব্দুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, মো, শাহ আলম, ইসকান্দার মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, শামসুল আলম, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, মোঃ আলী, মাহবুবুল আলম, এড. মফিজুল হক ভুইয়া, নিয়াজ মোঃ খান, ইকবাল চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আশরাফ চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাসেম, মনজুর আলম মঞ্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মোঃ সিরাজ উল্লাহ, মনজুর আলম মঞ্জু, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

     

  • স্বাধীনতার ৫০ বছর পু‌র্তিতে গণতন্ত্র, ভোটা‌ধিকার রক্ষার শপথ নি‌তে হ‌বে : ডা. শাহাদাত

    স্বাধীনতার ৫০ বছর পু‌র্তিতে গণতন্ত্র, ভোটা‌ধিকার রক্ষার শপথ নি‌তে হ‌বে : ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়া‌মী লীগ সরকার দলীয়করণের মাধ্যমে রাষ্ট্রযন্ত্রকে জণগ‌নের বিরু‌দ্ধে ব্যবহার করছে। তারা জনগ‌নের ভোট ডাকা‌তি করার মাধ্যমে, জনগণের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পু‌র্তিতে গণতন্ত্র, ভোটা‌ধিকার রক্ষার শপথ নি‌তে হ‌বে।

    ভোট সেন্টারে ভোট ডাকাত ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গণ-প্রতিরোধ গড়ে তুল‌তে হ‌বে। ভোট আপনার পবিত্র আমানত। ভোটের অধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে আপনাকে ভোট সেন্টারে গিয়ে ভোট প্রদান করতে হবে। বহিরাগত কোন সন্ত্রাসী দেখলেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এই আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সব অধিকার লুটে নিয়েছে। দুর্নীতি আর দুঃশাসনের মধ্য দিয়ে দেশ চলছে। দেশের মানুষ আজ অসহায়।

    তিনি র‌বিবার (০৩ জানুয়ারী ) সন্ধ্যায় নগরীর জামালখাঁন ওয়া‌র্ডে ক‌রোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মত‌বি‌নিময় সভায় প্রধান অ‌তি‌থির বক্ত‌ব্যে উপ‌রোক্ত বক্তব্য রা‌খেন।

    ডা.শাহাদাত হো‌সেন প্রশাস‌নকে উ‌দ্দেশ্য ক‌রে ব‌লেন, আপনারা জনগ‌ণের পালস বুঝার চেষ্টা করুন। দে‌শের মানুষ আওয়া‌মী লীগ‌কে ঘৃণা করে। দয়া ক‌রে আপনারা তা‌দের পক্ষ নি‌বেন না। চ‌সিক নির্বাচন‌কে অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপক্ষ করুন। জনগ‌নের ভোটা‌ধিকার ফি‌রি‌য়ে দিন। জনগ‌নের মতামত বিএন‌পি মে‌নে নি‌বে। যদি কোন ষড়যন্ত্র বা ফরামা‌য়ে‌শি ফলাফল ঘোষণা করা হয় তাহলে চট্টগ্রাম থেকে আন্দোলনের দাবানল সৃষ্টি হবে , যার দায় সরকার ও প্রশাসনকে নিতে হবে। তাই নিরপেক্ষ নির্বাচনে সহায়তা করার আহবান জানাচ্ছি।

    প্রধান বক্তার বক্ত‌ব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির সদস্য স‌চিব আবুল হা‌শেম বক্কর ব‌লে‌ছেন, নির্বাচন নি‌য়ে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্ক জনক অধ্যায় রচনা করে‌ছে। ২৯ ডিসেম্বর রাতে ভোট ডাকাতি’র অনবদ্য কৌশল ক‌রে জনগ‌নের অ‌ধিকার কে‌ড়ে নি‌য়ে যে কলঙ্ক রচনা করেছে, তা সারা‌বিশ্বের মানু‌ষের কা‌ছে কালো রাত হিসাবে চিহ্নিত থাক‌বে। আসন্ন চ‌সিক নির্বাচ‌নেও ভোট ডাকা‌তির নির্বচ‌নের নীলনকশা বাস্তবায়‌নের পায়তারা চলছে। চ‌সিক নির্বাচ‌নে ব‌হিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে ভয় ভী‌তি প্রদর্শন ক‌রে কেন্দ্র দখলের চেস্টা করা হ‌লে চট্টগ্রামবাসী চুপ ক‌রে ব‌সে থাক‌বে না। ভোট ডাকাতদের বিরুদ্ধে দূর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

    ২১ নং জামালখান ওয়ার্ড় বিএনপির আহবায়ক ও কোতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান এর সভাপতিত্বে বিএনপি নেতা দিদারুল আলম এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য কামরুল ইসলাম, আরো বক্তব্য রাখেন নগর মহিলা দলের সভানেত্রী কাউন্সিলর প্রার্থী মনোয়ারা বেগম মনি, নগর স্বেচ্ছাসেবক দল দলের সভাপতি এইচ.এম রাশেদ খান, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ জাকির হোসেন, বিএনপি নেতা কাউন্সিলর প্রার্থী আবু মোহাম্মদ মহসিন চৌধুরী, কামাল হোসেন, বেলাল উদ্দিন,মো. আলমগীর, মোহাম্মদ সেলিম, সৈয়দ হারুনুর রশিদ, ডা.কামরান, বেলাল হোসেন, দিদারুল ইসলাম, বাবুল খান, এফ এম রুমি, মোতালেব, ইমরান হোসেন, আব্দুল আহাদ স্বপন সহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিকদল, মহিলা দল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

  • সার্কিট হাউসে বসে সরকারী মন্ত্রী-এমপিরা কেন্দ্র দখলের পায়তারা চালাচ্ছে : ডা. শাহাদাত

    সার্কিট হাউসে বসে সরকারী মন্ত্রী-এমপিরা কেন্দ্র দখলের পায়তারা চালাচ্ছে : ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সার্কিট হাউসে বসে সরকারী মন্ত্রী-এমপিরা কেন্দ্র দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করে যেভাবে মন্ত্রী-এমপি হয়েছে,ঠিক সেই ভোট ডাকাতির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কিভাবে জয়লাভ করা যায় তার হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আওয়ামী মন্ত্রী-এমপিরা। কাজেই দেশ প্রেমিক চট্টগ্রামবাসীকে আগামী ২৭ তারিখ নির্বাচনে সমস্ত ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।কোন বহিরাগত যাতে ভোট সেন্টারে আমার মা-ভাই-বোনদের ভোট দিতে যাতে বাধা দিতে না পারে সেজন্য স্ব-স্ব সেন্টারে সবাইকে ব্যাঙ্গালোর ভ্যানগার্ড়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।

    তিনি আজ শনিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরীর ২৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির করোনা সুরক্ষা সামগ্রী ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    ডা. শাহাদাত হো‌সেন আরো ব‌লে‌ন, সরকারের চরিত্র প্রকাশের জন্য এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএন‌পি অংশ নিচ্ছি। সরকা‌রের দ‌ুর্নী‌তি ও দুঃশাস‌নে অ‌তিষ্ঠ দে‌শের জনগন। আওয়ামী লীগ এখন দেউ‌লিয়া সংগঠ‌নে প‌রিণত হ‌য়ে‌ছে। তাই তারা জনগ‌নের মতম‌তের উপর ভরসা না ক‌রে প্রশাসন ও দলীয় সন্ত্রাসী দি‌কে কেন্দ্র দখল ক‌রে নির্বচ‌নে জয় লাভ করাকে অন্যতম হা‌তিয়ার হিসবে ব্যবহার কর‌ছে। চ‌সিক নির্বচ‌নের তফ‌সিল ঘোষনার পর নির্বাচনী আচরণ‌বিধি লঙ্গন ক‌রে চট্টগ্রাম সা‌র্কিট হাউ‌জে সরকারী দ‌লের মন্ত্রী এম‌পি’রা বৈঠক কর‌ছে। বর্তমান সরকার জনগ‌ণের ভোটা‌ধিকার হ‌রণ করার মধ্য দি‌য়ে সকল মৌ‌লিক অ‌ধিকার কে‌ড়ে নি‌য়ে‌ছে।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির আহবায়ক ক‌মি‌টির সদস্য স‌চিব আবুল হা‌শেম বক্কর ব‌লে‌ন,বর্তামান আওয়ামী লীগ সরকা‌রের অ‌ধীনে হওয়া প্র‌তি‌টি নির্বাচনে চল‌ছে ব্যাপক কারচুপি এবং জবরদখল উৎসব। সামনে চ‌সিক নির্বাচ‌ন, সেখানে যদি কারচু‌পি করা হ‌য় তাহলে চট্টগ্রাম থে‌কে সরকার পত‌নের আ‌ন্দোলনের বৃহত্তর কর্মসূ‌চি ঘোষণা হ‌বে। ই‌তিম‌ধ্যে চ‌সিক নির্বাচন নি‌য়ে সরকা‌রের মন্ত্রী এমপিরা চট্টগ্রাম সা‌র্কিট হাউ‌জে বসে ষড়য‌ন্ত্রের জাল তৈরিতে লিপ্ত হ‌য়ে‌ছে। ভোট ডাকা‌তি কর‌তে বি‌ভিন্ন জেলা থে‌কে সন্ত্রাসী ভাড়া করে আবার পরিকল্পনা চল‌ছে। আমরা প্রশাসন ও নির্বাচন ক‌মি‌শ‌নের কা‌ছে আহবান জানা‌বো, চ‌সিক নির্বাচ‌নে শান্ত চট্টগ্রামের প‌রি‌বেশ‌কে অশান্ত কর‌বেন না।

    ২৮ নং ওয়ার্ড় বিএনপির সভাপতি কাউন্সিলর প্রার্থী এস.এম.জামাল উদ্দীন জসিম এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক এস.এম সাফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য মন্জুর আলম মন্জু,আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা জাহিদ হোসেন, মোহাম্মদ আকবর আলী, সেলিম খান, নুর উদ্দিন সোহেল, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী আব্দুর রহিম, শেখ ইয়াসিন নওশাদ, আবু সৈয়দ রিকু, রাজু হাসান, রাকিবুল হাসান রানা, সহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিকদল, মহিলা দল নেত্রী নেতৃবৃন্দ।

  • নতুন বছর হউক গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করার বছর : ডা. শাহাদাত

    নতুন বছর হউক গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করার বছর : ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, জনগণকে ভোট সেন্টারে আসার জন্য উৎসাহী করতে হলে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের দৃশ্যমান নিরপেক্ষ নির্বাচন মূখী পদক্ষেপ নিতে হবে। জনগণকে উৎসাহী করতে হলে ভোট সেন্টারে নিরাপদে ভোট দেয়ার নিরাপত্তা দিতে হবে। যেহেতু ১০ লক্ষ ভোটার নারী ও মহিলা। ই.ভি.এম-এ ব্যালট প্যানেলকে সুরক্ষা দিতে হবে। নির্বাচনের পরিবেশ এখনো সবার জন্য সমান নয়। প্রশাসন এখনো সরকারের নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে। চসিক নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সভা সমাবেশের সমান সুযোগ পচ্ছেনা। ভয় ভীতি প্রদর্শন করে সরকার কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কমনো পায়তারা করছে। কেন্দ্র দখল ও ভোট কারচুপি ঠেকিয়ে চসিক নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। সে জন্য নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করতে হবে। বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী ভয় ভীতিকে উপেক্ষা করে সাধারণ জনগনকে সাথে নিয়ে ভোট ডাকাতদের প্রতিহত করার দীপ্ত শপথ নিতে হবে।

    তিনি শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরীর ৫ নং মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির করোনা সুরক্ষা সামগ্রী ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, দেশের জনগন মনে করে ভোট দিলেও পাস না দিলেও পাস’। দেশের নির্বাচনব্যবস্থা নির্বাসনের পথে পাড়ি দিয়েছে। নির্বাচনের নিয়ে ভোটারদের দিন দিন অনাগ্রহ এবং নিরুৎসাহ দেখা দিয়েছে। চসিক নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছে ভোটারদের কেন্দ্রমূখি করে জণগনের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে। ভোটের দিনের আগেই বিশেষ প্রতীকের পক্ষে আগাম সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার ঘটনা চট্টগ্রামবাসী আর হতে দিবেনা। বিনা ভোটে নির্বাচনের ঢেউ যেন আছড়ে পড়ছে সর্বত্র। আসন্ন চসিক নির্বাচনে চট্টগ্রামবাসী বিনা ভোটে পাস কোন মেয়র কাউন্সিলর দেখতে চায় না। আমরা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে আহবান জানাবো আগামী সুন্দর সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে ভয় ভীতিহীন নির্বাচনরে পরিবেশ নিশ্চিৎ করার।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও নগর বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত এই ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে জনগনে প্রতিবাদি কণ্ঠকে স্তব্দ করতে গুম-খুন, হামলা-মামলাকে প্রধান হাতিয়ার হিসাবে গ্রহণ করেছে। সরকারের গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকার সময় শেষ হয়ে আসছে। আগামী ২৭ তারিখ সিটি নির্বাচনে ঐক্ষবদ্ধভাবে সেন্টার পাহারা দিতে হবে। ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভোট সেন্টারে থাকতে হবে।

    মোহরা ওয়ার্ড় বিএনপির সভাপতি জানে আলম জিকু সভাপতিতে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, কামরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা দিদারুল আলম চৌধুরী হীরামন এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন এসএম আবুল কালাম আবু, আহমদ উল্লাহ, ইকবাল রহমান চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম বাদশা, হাসনাত আলী, মোশারফ হোসেন, জিয়াউর রহমান জিয়া, গোলজার হোসেন, জমির উদ্দিন মানিক, আবু বক্কর শিকদার, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মোরশেদ কামাল, নূরনবী আক্তার হোসেন, মো: মামুন, আব্দুল আজিজ, মোহাম্মদ ফরহাদ, আবু বক্কর আবু. জাহাঙ্গীর আলম বাবলু, আনোয়ার সাদেক রবিন, জয়নাল আবেদীন, সরোয়ার, শহিদুল ইসলাম ছোটন, মোহাম্মদ মনসুর, ফকির শাহাবুদ্দিন, সহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিকদল, মহিলা দল নেত্রী নেতৃবৃন্দ।

  • সরকার নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে : মাহাবুবের রহমান শামীম

    সরকার নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে : মাহাবুবের রহমান শামীম

    সরকার নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে
    বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম বলেন, জনগণের ওপর আস্থা নেই বলে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে সরকার। ৫ জানুয়ারি ও ৩০ ডিসেম্বর ভোটার বিহীন একতরফা কারসাজির নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণ ঘৃণাভরে বর্জন করেছেন।

    বর্তমান সরকার নির্বাচনকে প্রহশনে পরিণত করেছে। এখন নির্বাচন মানে আতঙ্ক আর বিরোধী মতের উপর মামলা, হামলা, নির্যাতন, দিনের ভোট রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়ের প্রতিফলন ঘটেনা। সরকারের প্রশাসন ও দলীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে কেন্দ্র দখল করে জনগনের ভোটাধিকার হরন করা। এই সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই অবিলম্বে প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে সরকারকে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে সবার অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে।

    তিনি বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকালে দলীয় কার্যালয় নাছিমন ভবন মাঠে গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে ভোট ডাকাতির নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবিতে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    চট্টগ্রাম মহানগন বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ভোট ডাকাতির নির্বাচনে ক্ষমতায় আসা সরকার এখন নির্বাচনকে হাস্যরসে পরিণত করেছে। ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও প্রশাসনের নির্মম নির্যাতন, নির্মমতা সারাবিশ্ব উপলব্ধি করেছে। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে ২৯ তারিখ রাতেই ব্যালট বক্স ভরিয়ে দিয়েছে। স্বাধীন রাষ্ট্রের পরিপন্থী কাজে সরকার সেদিন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ব্যবহার করো স্বাধীনতার চেতনাকে ধংস করেছে। এ ফ্যাসিবাদ সরকার জনগনকে ধোকা দিয়ে তিন তিন রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে গণতন্ত্রের লেবাসে অগণতান্ত্রিক আচরণ করছে। ভোট ও জনগণের অধিকার রক্ষায় সরকারকে নিয়তান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগে বাধ্য কারা হবে। তার জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে জনবিস্ফোরণ ঘটাতে হবে।

    চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা বিএনপির আহবায়ক ও নগর বিএনপির সদস্য আবু সুফিয়ান বলেন, ভোট ডাকাতির সরকার জোর করে ক্ষমতায় আছে। জনগনের কাঁধে বন্দুক রেখে গণতন্ত্র হরণ চলছে। স্বাধীনতার চেতনার কথা বলে স্বাধীনতা হরণ করছে আওয়ামী লীগ। এ নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের দলীয় সংগঠন পরিণত হয়েছে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ এর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদ ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, আবদুল হালিম শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, সদস্য নিয়াজ মোহাম্মদ খান, এস এম আব্লু ফয়েজ, আবুল হাসেম, মনজুর আলম মনজু, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, এতে আরো উপস্থিত ছিলেন থানা সভাপাত মোঃ সেকান্দর, মোশারফ হোসেন ডেপটি, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন,সালাউদ্দিন, আবদুল্লা আল হারুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন জিয়া, মনির আহমদ চৌধুরী, নূর হোসেন, জাহাঙ্গির আলম, রোকন উদ্দিন মাহামুদ, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাইনু, আবদুল কাদের জসিম, জেলী চৌধুরী, শেখ নুর উল্লাহ বাহার, ওয়ার্ড সভাপতি আকতার খান, আলী আব্বাস খান, মনজুর আলম মনজু, আশ্রাফ উদ্দিন, মোঃ হরুন, মোশারফ জামান, মোঃ বেলাল, হাজী ইলিয়াছ, খন্দকার নরুল ইসলাম, আলাউদ্দিন আলী নূর, নবাব খান, জমির আহমদ, শরিফুল ইসলাম, ফারুক আহমদ, রফিক চৌধুরী, মোঃ আজম উদ্দিন, মোঃ ইলিয়াছ, মোঃ সাইফুল , এস এম মফিজুর রহমান, খাজা আলাউদ্দিন, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, আবুল কালাম আবু, হাজী এমরান,জসিম মিয়া, মোঃ সফি, মনজু মিয়া, মনজুর কাদের, এ কে আজাদ, আলহাজ্ব আবুল ফয়েজ, আনোয়ার হোসেন আরজু, মামুন আলম, সৈয়দ আবুল বসর, হাসান ওসমান, মোস্তফিজুর রহমান মোস্তাক, ফরিদুল আলম, শফি উল্লাহ, হাজী জাহেদ, মোঃ হাসান, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, আশ্রাফ খান, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ হাজী নুরুল হক, মনিরুজ্জামান টিটু, এস এম রব, সাহাব উদ্দিন, নাছিম চৌধুরী, মোঃ সেলিম, আমান উল্লাহ আমান, জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমূখ।

  • ভোটাররা নির্বিগ্নে ভোটা‌ধিকার প্রয়োগ কর‌তে পার‌লে বিএন‌পির বিজয়‌কে কেউ ঠেকাতে পার‌বেনা: ডা. শাহাদাত

    ভোটাররা নির্বিগ্নে ভোটা‌ধিকার প্রয়োগ কর‌তে পার‌লে বিএন‌পির বিজয়‌কে কেউ ঠেকাতে পার‌বেনা: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী জননেতা ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি চসিক নির্বাচনের জন্য শতভাগ প্রস্তুত। তবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা সন্দিহান। আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি তাকে দিব, সেই উৎসবমূখর পরিবেশ এখন ধ্বংস হয়ে গেছে। বর্তমান নির্বাচনের সার্বিক চিত্র গণতন্ত্রের জন্য একটি আঘাত।

    নির্বাচন কমিশন যে ২৫ শতাংশ ভোট পড়ার কথা বলেছে, একে জনগণের ম্যান্ডেট বলা যায় না। নির্বাচনের প্রতি জনগণের যে অনীহা, ভোটাররা যে অনাস্থা প্রকাশ করছেন সেটি একটি অশুভ লক্ষণ। ‌বিএন‌পি নির্বাচ‌নে অংশ নি‌য়ে‌ছে জ‌য়ের জন্য । ভোটার‌দের কেন্দ্রমূ‌খি কর‌তে পার‌লে আর ভোটাররা নির্ভিগ্নে ভোটা‌ধিকার প্রয়োগ কর‌তে পার‌লে বিএন‌পির বিজয়‌কে কেউ ঠেকাতে পার‌বেনা।

    তিনি সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ৪১ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের সাথে নগরীর একটি রেষ্টুরেন্টে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ভোটার‌দের ভোট কেন্দ্রমূ‌খি কর‌তে আমা‌দের কাউ‌ন্সিলর প্রার্থী‌দের ঘ‌রে ঘ‌রে গি‌য়ে মা বোন‌দের বুঝা‌তে হ‌বে এবং তাদেরকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। আর প্রশাসন‌কে নিরপেক্ষ ভূমিকার পাশাপাশি ভোটার‌দের নিরাপত্তা বিধান কর‌তে হ‌বে যেন নির্বিঘ্নে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে।এই জন্য নির্বাচন কমিশন ও পুলিশসহ দায়িত্বে থাকা সকলকে নির্বাচনের সুষ্টু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন,বর্তমান সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। নিজেদের অপকর্মে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ভোটারদের ওপর তারা বিশ্বাস রাখতে পারছে না। তারা উপলব্ধি করছে তাদের পায়ের তলে মাটি নেই। ক্রমশ: গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে তারা। যুগে যুগে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত পতিত স্বৈরশাসকদের প্রেতাত্মা ভর করেছে এই ভোট ডাকাত সরকারের ঘাড়ে। তারা গায়ের জোরে আজীবন ক্ষমতায় থাকার গভীর দুরভীসন্ধি পূর্ণ করতে চাচ্ছেন। এখন তার দলের নেতারা প্রকাশ্যে তাদের নেত্রীর অভিলাষের কথা বলে বেড়াচ্ছেন।

    দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন, এবারের নির্বাচনে ইভিএম এ ভোট হবে। তাই ভোটার আইডি কার্ড ব্যাতিত কাউকে ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার পাশাপাশি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণ মূলক নিবার্চন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে ভূমিকা রাখতে হবে।

    মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এসএম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ শাহ আলম,কাউন্সিলর প্রার্থী ইস্কান্দার মির্জা, আব্দুল মান্নান, নগর আহবায়ক কমিটির সদস্য কাউন্সিলর প্রার্থী শামসুল আলম, কাউন্সিলর প্রার্থী মাহবুবুল আলম, কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসেম, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, কামরুল ইসলাম।

    আরো উপস্থিত ছিলেন ১নং থেকে ৪১ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিরাজুল ইসলাম রাশেদ, ইয়াকুব চৌধুরী, হাজী ইলিয়াছ,আজম উদ্দিন, হাসান লিটন, হাসান চৌধুরী ওসমান, আব্দুস সাত্তার সেলিম, রফিক উদ্দিন চৌধুরী, সৌহরাব হোসেন শাহীন, চৌধুরী সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী রাশেদ, সালাউদ্দিন কায়ছার লাভু, এ কে এম আরিফুল ইসলাম ডিউক, ইয়াসিন চৌধুরী আষু, মোহাম্মদ লিয়াকত আলী, আবু মহসিন চৌধুরী, এম এ মালেক, মোহাম্মদ মহসিন, এস.এম ফরিদুল আলম, শহীদ মোহাম্মদ চৌধুরী, মোহাম্মদ সেকান্দর, এসএম জামাল উদ্দিন জসিম, হাজী মো.সালাউদ্দিন, হাবিবুর রহমান, দিদারুর রহমান লাভু,সাদেকুর রহমান রিপন, হাজী মোহাম্মদ ইসমাইল বালী, এডভোকেট তারিক আহমেদ, মোহাম্মদ হারুন, মোহাম্মদ ওসমান, হাজী হানিফ সওদাগর,সরফরাজ কাদের রাসেল, মোহাম্মদ হারুন, নুরুল আবছার, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মনোয়ারা বেগম মনি, খালাদা বোরহান, এডভোকেট পারভিন আক্তার চৌধুরী, রোকসানা বেগম মাধু, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, সখিনা বেগম, জেসমিনা খানম, মনোয়ারা বাবুল, কামরুন নাহার লিজা, মাহমুদা সোলতানা ঝর্ণা, নাসরিন আক্তার, আরজু নাহার মান্না, সাহিদা খানম, জাহিদা হোসেন নেতৃবৃন্দ।

  • চসিক নির্বাচনে ভোট ডাকাতদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলে নিজেদের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষার শপথ নিতে হবে: ডা.শাহাদাত

    চসিক নির্বাচনে ভোট ডাকাতদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলে নিজেদের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষার শপথ নিতে হবে: ডা.শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির আহবায়ক ও চ‌সিক নির্বাচ‌নে বি‌এন‌পির মেয়র প্রার্থী ডা.শাহাদাত হো‌সেন ব‌লে‌ছেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন করোনাকালীন সময়ে মানুষ অনেকটা নির্বাচন বিমুখ হয়ে গেছে। কাজেই নির্বাচন কমিশন, সরকার, প্রশাসনকে নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।

    ২০ লক্ষ ভোটারের মধ্যে ১০ লক্ষ ভোটার মহিলা ও নারী। তাই নারীদের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মদের ভোটা সেন্টার মুখী করার জন্য নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। জনগণের কাছে নির্বাচনকে হাসি-তামাশা পাত্র করে ক্ষমতার স্বাদ বেশিদিন আর নিতে পারবেন না। জনগণ রাস্তায় নেমে এসেছে। শাসকগোষ্ঠীর চারদিকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস আর লুটপাটের মহাউৎসব চলছে তাতে জনগণ অতিষ্ঠ। জনগণকে ক্ষেপাবেন না, জনগনকে ক্ষেপিয়ে জুলুম-নির্যাতন করে কোন স্বৈরশাসক ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি, আপনারাও পারবেন না।

    নিজেদের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষার শপথ নিতে হবে। আগামী ২৭ জানুয়ারি সিটি নির্বাচনে ভোট ডাকাতদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলে নিজেদের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষার শপথ নিতে হবে।

    তি‌নি আজ ২৬ ডি‌সেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যায় ৩৭ নং উত্তর মধ্যম হালিশহর মুনির নগর ওয়া‌র্ডে ক‌রোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মত‌বি‌নিময় সভায় প্রধান অ‌তি‌থির বক্ত‌ব্যে এ কথা ব‌লেন।

    ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা এখন সম্পূর্ণরুপে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দেশজুড়েই চলছে আওয়ামী লীগ সরকারের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের নারকীয় তাণ্ডব। এদের দ্বারা জনপদের পর জনপদে রক্ত ঝরছে, অত্যাচারিত হচ্ছে বিরোধী পক্ষের মানুষসহ সাধারণ জনগণ। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে নগ্নভাবে ভোট ডাকাতি করে এরা ক্ষমতায় এসেছে। এরপর থেকে তাদের অত্যাচার আর নির্যাতনের মাত্রা ভয়ঙ্কর রূপ বেড়ে গেছে। এদের প্রতিহত করতে হবে, জনগণকে রাস্তায় নামতে হবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সরকার স্বাধীনতার সমস্ত চেতনাকে ধবংস করে দিয়েছে। তারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে দলীয়করণ করে নষ্ট করেছে, অর্থনীতিকে লুটপাটের অর্থনীতিতে পরিণত করেছে। পার্লামেন্টকে পুরোপুরি অকেজো করেছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিয়েছে। যার ফলোশ্রুতিতে এই নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। বিগত নির্বাচন গুলোতে আমরা সেটা উপলব্ধি করেছি। তাই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রাণের শহর চট্টগ্রামকে ভোট ডাকাতদের উত্তরসূরীর হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। ভোট ডাকাতদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে ডা. শাহাদাতের বিজয় সুনিশ্চিত করার জন্য নেতা্কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কেন্দ্র পাহারা দেওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি।

    ৩৭ নং উত্তর মধ্যম হালিশহর মুনির নগর ওয়া‌র্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদের এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাসান এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগর বি এন পির যুগ্ন আহবায়ক আলহাজ্ব এমএ আজিজ, এসএম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, বিভাগীয় শ্রমিক দল নেতা শেখ নুরুল্লাহ বাহার, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের উপদেষ্টা শামসুল আলম, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি হাজী হানিফ সওদাগর, আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা এডভোকেট সেলিম উদ্দিন শাহীন, হাসান মুরাদ, কামাল উদ্দিন চৌধুরী,বন্দর থানা বিএনপি নেতা ইসমাইল খান, মোঃ শওকত, কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ ওসমান গনি, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী শাহিদা খানম, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম, হারুনুর রশিদ, শহিদুল আলম, শাহাবুদ্দিন সাবু, মোহাম্মদ সিরাজ, হারুনুর রশিদ শুকুর, কফিল উদ্দিন, বকতিয়ার সালাউদ্দিন মিয়া,আব্দুল হক, শহিদুল আলম
    লাবু,মোহাম্মদ তারেক, মোঃ কামরুল, মাসুদ হোসেন সাজু,বশিরুল ইসলাম পলাশ, মিফতাহুল শিকদার টিটু, নাজিম উদ্দিন , আলী আজম , শহিদুর রহমান , মোরশেদ আলম , দিদারুল আলম, সাজ্জাদ হোসেন, মোহাম্মদ সিরাজ, মোহাম্মদ সোহেল, মোহাম্মদ রাব্বি হেলাল তালুকদার, রাসেল মির্জা, গোলাম নবী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

  • দুর্নীতি ও ভোট ডাকাতির দায়ে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন কমিশন কিভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে সেটা জনমনে প্রশ্ন? ডা.শাহাদাত

    দুর্নীতি ও ভোট ডাকাতির দায়ে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন কমিশন কিভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে সেটা জনমনে প্রশ্ন? ডা.শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির আহবায়ক ও চ‌সিক নির্বাচ‌নে বি‌এন‌পির মেয়র প্রার্থী ডা.শাহাদাত হো‌সেন ব‌লে‌ছেন, দুর্নীতি ও ভোট ডাকাতির দায়ে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন কমিশন কিভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে সেটা জনমনে প্রশ্ন? সরকার, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ না হলে বাংলাদেশে কখনও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ,অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।

    তি‌নি আজ ২৫ ডি‌সেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় ৩৬ নং গোসাইলডাঙ্গা ওয়া‌র্ডে ক‌রোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মত‌বি‌নিময় সভায় প্রধান অ‌তি‌থির বক্ত‌ব্যে এসব কথা ব‌লেন।

    ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বর্তমানে দেশের গণতন্ত্র সংকটে আছে, নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দেশে এখনকোন নির্বাচন নেই, নির্বাচন-নির্বাচন একটা খেলা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অসদাচরণ ও আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেশের বিশিষ্ট ৪২ নাগরিক রাষ্ট্রপতি বরাবর আবেদন করেছেন। সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিতদের বিরুদ্ধে যখন গুরুতর অভিযোগ আসে তখন তা তদন্তের ক্ষমতা একমাত্র সুপ্রিম কোর্ট জুডিশিয়াল কাউন্সিলের। তাই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ওঠায় তাদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা উচিৎ।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরাসরি আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসদাচরণে জড়িয়ে পড়েছে, যা আগে কখনো কোনো কমিশন করেনি। এমনকি আগে এ রকম দৃষ্টান্ত দেখা যায়নি। যা আগের সমস্ত রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। কমিশনাররা প্রতিষ্ঠানটির যে গুরুত্ব, তার অবমাননা করছেন। কমিশনকে কলঙ্কিত করেছেন।

    ৩৬ নং গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কটির সোহেল এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ হারূন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগর বি এন পির যুগ্ন আহবায়ক আলহাজ্ব এমএ আজিজ, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য কামরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের উপদেষ্টা শামসুল আলম, আরো উপস্থিত ছিলেন মহা নগর বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিম, আব্দুস সবুর , মোঃ শাহজাহান, বন্দর থানা বিএনপি নেতা আবুল মনসুর, কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ হারুন, মোহাম্মদ ইউসুফ, জোবায়ের, মোহাম্মদ হোসেন, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম, শওকত মন্নান, কামরুল ইসলাম, সাইফুল আলম, মোঃ আকতার সৈয়দ, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুবদল নেতা মোহাম্মদ আজম, মোহাম্মদ ইয়াসিন, জাবেদ, ফারুক, কামাল, নগর ছাত্রদলের যুগ্ন সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তানভির, ছাত্রদল নেতা হাসান, রাসেল, সাগর, ইমরান, লিটন, রাহুল, অভি প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।