Tag: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি

  • গত ১২ বছরে এলাকায় এলাকায় গডফাদার, সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে: ডা.শাহাদাত

    গত ১২ বছরে এলাকায় এলাকায় গডফাদার, সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে: ডা.শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির আহবায়ক ও চ‌সিক নির্বাচ‌নে বি‌এন‌পির মেয়র প্রার্থী ডা.শাহাদাত হো‌সেন ব‌লে‌ছেন, গত ১২ বছরে এলাকায় এলাকায় গডফাদার, সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। গত ১২ বছরে আওয়ামী লীগ একটি নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করতে পারেনি। গণতন্ত্রের ছিটেফোটাও দেশে আজ নেই।

    ১০ টাকায় চাল, ঘরে ঘরে চাকরি, মা বোনদের ইজ্জত দিবে বলে সরকার ক্ষমতায় এসেছে।পক্ষান্তরে আজ চালের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকার আজ পথে পথে ঘুরছে। মা-বোনদের ইজ্জত বলতে কিছু নেই, প্রতিদিনই ধর্ষিত হচ্ছে আমাদের মা বোনরা। জনগণের সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্র আজ আওয়ামী যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। আইনের শাসন, কথা বলার মুক্ত চিন্তা এখন যেন সোনার হরিণ।

    তি‌নি আজ বৃহস্প‌তিবার (২৪ ডি‌সেম্বর) বিকা‌লে ৪২ নং পূর্ব না‌ছিরাবাদ সংগঠ‌নিক ওয়া‌র্ডে ক‌রোনা সুরক্ষা সামগ্রী ও মত‌বি‌নিময় সভায় প্রধান অ‌তি‌থির বক্ত‌ব্যে এসব কথা ব‌লেন।

    ডা.শাহাদাত হো‌সেন আরো ব‌লেন, ভোটা‌ধিকার ও গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য আন্দোলনের বিকল্প নাই। বেগম খালেদা জিয়া গৃহব‌ন্দি থাকলেও তারেক রহমান দেশের মানুষের জন্য এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিদেশের মাটি থেকে যোগ্যতম নেতৃত্ব প্রদান করছেন। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে খুন, গুম, হামলা, মামলা, জেল, জরিমানার শিকার হ‌য়েও অদ্যবধি বিএনপি সর্বস্তরের নেতাকর্মী ঐক্যবন্ধ থে‌কে গণতন্ত্র ও ভোটা‌ধিার প্র‌তিষ্ঠার আ‌ন্দোল‌নে রাজপ‌থে আ‌ছে। আগামী চ‌সিক নির্বাচন শুধুমাত্র একটা কথাক‌থিত নির্বাচন নয়। এই নির্বাচ‌নে বিএন‌পি আ‌ন্দোল‌নের অংশ হিসা‌রে নয়, বিজয় অর্জ‌নের জন্য মা‌ঠে নে‌মে‌ছে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, মামলা হামলা নিপীড়ন চালিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করে দেওয়ার সে দিন শেষ। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছে, সে জনগনের কাছে মামলা হামলা কোন বিষয় না। তাই গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করার যে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ তা বন্ধ করতে হবে৷ ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসার যে পথে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ তা জনগণ প্রতিহত করতে হবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের আগে থেকে বিএনপি নেতা কর্মীদের বাসায় বাসায় পুলিশ গিয়ে হয়রানি শুরু করেছে। এটা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র, এসব চলতে দেওয়া হবে না। নির্বাচনে কোন ধরনের কারচুপি হলে, আবারো জাতীয় নির্বাচনের মতো চুরি করলে জনগণকে সাথে নিয়ে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।

    ৪২ নং নাসিরাবাদ সাংগঠনিক ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ শায়েস্তা উল্লাহ চৌধুরী এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাসান এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগর বি এন পির যুগ্ন আহবায়ক এসএম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য গাজী মোঃ সিরাজ উল্লাহ, কামরুল ইসলাম, পাঁচলাইশ থানা বিএনপি সভাপতি মাইনুল ইসলাম হুমায়ুন, নগর সেশাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সম্পাদক আব্দুল হালিম স্বপন, আব্দুল হাই, বিএনপি নেতা কাজী শামসুল আলম, কাউন্সিলর প্রার্থী হাসান চৌধুরী ওসমান, নুরুল ইসলাম লেদু, হেলাল উদ্দিন, মোঃ কামরুল, মনির হোসেন মনু, ইব্রাহিম, এস এম শাহ আলম রব,শাহাবুদ্দিন হাসান বাবু, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ন সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন সরল, আলী আজগর কাজল, রফিকুল ইসলাম তুতু, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, আব্দুল মান্নান, নুরুল কবির কাউন্সিলর প্রার্থী জিন্নাতুন নেসা জিনিয়া, নগর ছাত্রদল নেতা আসিফ চৌধুরি লিমন, নজরুল ইসলাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

  • নগর বিএনপির নেতৃত্বে আবারও শাহাদাত-বক্কর, উত্তরে আকবর

    নগর বিএনপির নেতৃত্বে আবারও শাহাদাত-বক্কর, উত্তরে আকবর

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও উত্তর জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। মহানগরে বর্তমান সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনকে আহবায়ক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সদস্য করা হয়েছে আরও ৩৭ জনকে।

    এছাড়া উত্তর জেলায় আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকারকে। ওই কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে ৪২ জনকে। তবে উত্তরের কমিটিতে কাউকে সদস্য সচিব করা হয়নি।

    বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিএনপি’র কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর জেলা কমিটির অনুমোদন দেন।

    জানা গেছে, গত ২০১৬ সালের ৬ আগস্ট চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর প্রায় এক বছর পর ২০১৭ সালের জুলাইয়ে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে ২৭৫ জন সদস্যদের নিয়ে নগর বিএনপি’র কমিটি ঘোষণা করা হয়। দুই বছরের জন্য দেওয়া এ কমিটি পার করছে চার বছরেরও বেশি সময়।

    এদিকে প্রায় ৬ বছর আগে আসলাম চৌধুরীকে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কাজী আবদুল্লাহ আল হাসানকে সদস্য সচিব ঘোষণা করে ৯১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মামলায় কারাগারে অবস্থান করছেন আসলাম চৌধুরী আর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে মারা যান সদস্য সচিব কাজী আবদুল্লাহ আল হাসান।

    নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছেন:

    যুগ্ম আহ্বায়ক পদে এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, এডভোকেট আব্দুস সাত্তার, সৈয়দ আযম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস এ খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, শাহ আলম, ইস্কান্দার মির্জা, আব্দুল মান্নান।

    এছাড়া সদস্য করা হয়েছে এরশাদ উল্লাহ, আবু সুফিয়ান, কমিশনার শামসুল আলম, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, মো, আলী কমিশনার মাহবুবুল আলম, এড. মফিজুল হোক ভূঁইয়া, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, ইকবাল চৌধুরি, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এসএম আবুল ফয়েজ, আশরাফ চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন, আর ইউ চৌধুরি সাইন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম কমিশনার, শামসুল হক, মনজুর আলম মঞ্জু (পাঁচলাইশ), আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মনজুর আলম মঞ্জু (আকবরশাহ) ও কামরুল ইসলাম।

    উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য হিসেবে যারা স্থান পেয়েছেন:

    নুরুল আমিন, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, আবদুল আউয়াল চৌধুরী, শাহীদুল আলম চৌধুরী, মো সালাউদ্দিন চেয়ারম্যান, ফকির আহমেদ, দিদারুল আলম মিয়াজী, কর্ণেল আজিম উল্লাহ বাহার, আলহাজ্ব সালাউদ্দিন, ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, সারোয়ার আলমগীর, মোবারক হোসেন কাঞ্চন, এড. আবু তাহের, আহসানুল কবির রিপন তালুকদার, আজমত আলী বাহাদুর, আলমগীর ঠাকুর, ইসহাক কাদের চৌধুরী, কাজী সালাউদ্দিন, ইউসুফ নিজামী, জয়নাল আবেদীন দুলাল, জহুরুল আলম জহুর, শামসুল আলম আজাদ, নূর মোহাম্মদ, প্রফেসর মির্জা মোহাম্মদ শহীদ উল্লা বাবুল, ডাক্তার রফিকুল আলম চৌধুরী, সেলিম চেয়ারম্যান, সোলেমান মঞ্জু, জাকির হোসেন, এম এ হালিম, জসিম উদ্দিন সিকদার, অ্যাড এনামুল হক, সেকান্দার চৌধুরী, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জাফর আহমদ চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, আজম খান, শওকত আলী নূর, অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, আবু আহমেদ হাসনাত, অধ্যাপক মহসিন ও মাহবুব সাফা।

  • সরকার দেশকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের রোল মডেলে পরিণত করেছে : ডা. শাহাদাত

    সরকার দেশকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের রোল মডেলে পরিণত করেছে : ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। জনগনের ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতায় টিকে থাকা আওয়ামী সরকার দেশকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের রোল মডেলে পরিণত করেছে। দেশে এক অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে জনগনে প্রতিবাদি কণ্ঠকে স্তব্দ করতে গুম-খুন, হামলা-মামলাকে প্রধান হাতিয়ার হিসাবে গ্রহণ করেছে। সরকারের গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকার সময় শেষ হয়ে আসছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না।

    আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, মামলা, হামলা গুম খুন, রক্ত ঝরিয়ে ক্ষমতায় বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না। কোন স্বৈরশাসক নির্যাতন নিপিড়ন করে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে পারে নাই। দেশপ্রেমিক জনতা প্রয়োজনে বুকের রক্ত দিয়ে এই দেশে সুশাসন, গণতন্ত্র ও ভোটধিকার ফিরিয়ে আনবে।

    তিনি আজ সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে নগরীর ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ডে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছে, বাংলাদেশের সংবিধানে প্রত্যেক নাগরিকের ভোটাধিকার অধিকার রয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রশাসন ও দলীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশের জনগনের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। বিএনপির প্রতিটি সৈনিককে ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আগামী চসিক নির্বাচনে সকল বাধা বিপত্তি, হুমকি, দুমকি উপক্ষো করে চট্টগ্রাম নগরবাসীর পাশে দাঁড়াতে হবে। মনে রাখবেন কোন স্বৈরাচারী সরকার কখনো মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেয় না। অধিকার আদায় করে নিতে হয়। ভয়কে জয় করে জণগনকে সাথে নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নামতে হবে।

    ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি খাজা মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি শামসুল আলম, এডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, গাজি সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম,আরো উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ আলী আজম, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চৌধুরী, ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম, নগর যুবদলের সহ সভাপতি নুর আহমেদ গুড্ডু, যুগ্ম সম্পাাদক ফজলুল হক সুমন, দিদারুল ফেরদৌস, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সি: যুগ্ম সম্পাদক আলী মুর্তোজা খান, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী খালেদা বোরহান, নগর যুবদলের দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মাদ সাগির, সদস্য মোহাম্মদ সেলিম,ওয়ার্ড় বিএনপি নেতা এনামুল হক, আশরাফ আলী, মোঃ দিদার, জহুর মিঞা, ইদ্রিস , আলী হোসেন, মোঃ সাইফুল, মোহাম্মদ ইকবাল, আবু ঈশা বাবুল,পাহাড়তলী থানা যুবদলের সদস্য সচিব শওকত খান রাজু, যুগ্ম আহবায়ক শফিকুর রহমান, মোবারক মিয়া, ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রাসেল খান, ছাত্রদল নেতা রাসেল মির্জা সাজ্জাদ হোসেন ইভান,ওয়াহিদুজ্জামান অভি, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আনিসুজ্জামান টুটুল, আনোয়ার পারভেজ সহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিকদল, মহিলা দল নেত্রী নেতৃবৃন্দ।

  • আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতির সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছে : ডা. শাহাদাত

    আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতির সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছে : ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামীলীগ ভোট ডাকাতি সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছে। বিগত ১২ বছরে আওয়ামীলীগ একটি নির্বাচন ও সুষ্ঠু করতে পারেনি। বর্তমান সরকার দে‌শের জনগ‌নের উপর আস্থা হা‌রি‌য়ে মাস্তান নির্ভর হ‌য়ে গণতন্ত্র বাদ দি‌য়ে একদলীয় শাসন কা‌য়েম করে‌ছে। আজ‌কে তারা সন্ত্রাস নিভর্র হ‌য়ে বিএন‌পির নিয়মতা‌ন্ত্রি কর্মসূ‌চি‌তে বাধা দি‌চ্ছে।

    বিএন‌পির সভা সমা‌বে‌শে জণ‌শ্রোত দে‌খে তা‌দের অন্তর আত্মা কেঁ‌পে উ‌ঠে। গণতন্ত্রহীন বাংলাদেশে এখন নির্বাচনের নামে খেলা চলছে। এ খেলার মাস্টার মাইন্ড শেখ হাসিনা আর খেলোয়াড় হিসাবে আছে পুলিশ প্রশাসন। নির্লজ্জ রেফারি নির্বাচন কমিশন এখানে হাতের পুতুল। গণভবনের চিরকুটে নির্ধারণ হয় জয়-পরাজয়। যার কারণে এদেশের মালিকানা আর ক্ষমতার পটপরিবর্তনে জনগণের কোন হাত নাই।

    শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধায় নগরীর ২৩ নং পাঠানটুলি ওয়ার্ডে করোনা সুরক্ষা সামগ্রি বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা শাহাদাত হোসেন এসব কথা বলেন।

    ডা.শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, জনগণের মৌলিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার হরণ করে একদলীয় বাকশালী কায়দায় দেশ চলছে। দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা গভীর সংকটে। ফ্যা‌সিষ্ট সরকারের অ‌নেক জুলুম নির্যাতন শিকার হ‌য়ে‌ছেন, এবার আমাদের ঘুরে দাঁড়া‌তে হ‌বে। আমরা অ‌নেক কিছু হা‌রি‌য়ে‌ছি, আমাদের হারা‌নোর কিছু নাই। আ‌ন্দোল‌ন ক‌রে বিজয় অর্জন ক‌রে ঘ‌রে ফিরব, অন্যথায় কারাগারে যাব। যতদিন গণতন্ত্র পুনরূদ্ধার হবে না, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে না এই ফ্যাসিস্ট সরকার ততদিন ক্ষমতায় থাকবে।

    প্রধান বক্তা চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বাংলাদেশের মানুষের এখন নির্বাচনে কোন আগ্রহ নেই। কারণ বিগত দিনগুলোতে আওয়ামী লীগ প্রশাসন ও দলীয় গুন্ডা বাহিনী ব্যবহার করে মানুষের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। যার কারণে আওয়ামী লীগ ও প্রশাসন নামের আওয়ামী যন্ত্রের উপরে জনগণ আর ভরসা রাখতে পারছে না। এ সরকার একটি অমানবিক, অগতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। দেশকে দিন দিন অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দে‌শের কার্যকর রা‌ষ্ট্রে প‌রিণত কর‌তে ও গণতা‌ন্ত্রিক ব্যবস্থা ফি‌রি‌য়ে আন‌তে হ‌লে বিএন‌পির নেতাকর্মী‌দের ত্যাগ শিকা‌রে জণগ‌নের পা‌শে দাঁড়া‌তে হ‌বে।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন, চ‌সিক নির্বচ‌নে আমাদের ভূল‌ণ্ঠিত গণতন্ত্র ও ভোটা‌ধিকার প্রতিষ্ঠা কর‌তে হ‌বে। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এই অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলনে রাজপতে নামতে হবে।

    ২৩ নং উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ড বিএন‌পির আহবায়ক ও কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী মোঃ মহ‌সি‌নের সভাপ‌তি‌ত্বে অনু‌ষ্ঠিত মত‌বি‌নিময় সভায় বক্তব্য রা‌খেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির সি‌ঃ যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক আবদুর হা‌লিম শাহ আলম, ইয়া‌ছিন চৌধুরী লিটন, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, সহ সাধারণ সম্পাদক সালাউ‌দ্দিন, ডবলমু‌রিং থানা বিএন‌পির সভাপ‌তি মোঃ সেকান্দর, সাধারণ সম্পাদক হাজী বাদশা মিয়া, নগর বিএন‌পির সহ সম্পাদক মোস্তা‌ফিজুর রহমান বুলু, সদস্য আবুল হা‌শেম, থানা বিএন‌পির সাংগঠ‌নিক সম্পাদক নূর উ‌দ্দিন সো‌হেল, মহিলা সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী খালেদা বোরহান, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ হাসেম, আব্দুল হালিম, মোহাম্মদ ইকবাল, নগর যুবদ‌লের সহ সভাপ‌তি ম‌জিবুর রহমান ম‌জিব, আকবর কবির ডিউ, সিরাজুল ইসলাম, মো.আলমগীর, মোহাম্মদ আলী, বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিকদল ও মহিলা দলের নেতৃবৃন্দ।

  • নির্বাচন কমিশন ও সরকার প্রশাসন নিরপেক্ষ না হলে নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না: ডা. শাহাদাত

    নির্বাচন কমিশন ও সরকার প্রশাসন নিরপেক্ষ না হলে নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন ও সরকার প্রশাসন নিরপেক্ষ না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সুষ্ঠ নির্বাচনের প্রধান অন্তরায় অগণতান্ত্রিক সরকারের নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন। দেশের জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষায় বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলমান।

    বিএনপি গণতান্ত্রিক পদ্ধতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের পক্ষপাত মূলক আচরণে গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত। এই সরকার দীর্ঘ ১৪ বছর অগণতান্ত্রিক পন্থায় একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। তাই আগামী চসিক নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন নিরপেক্ষ না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।

    তিনি আজ শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে মোহাম্মদ নগরে ৪৩ নং আমিন শিল্প অঞ্চল ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    ডা.শাহাদাত হোসেন প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণায় নিজেদেরকে মানবিক পুলিশ হিসেবে দাবি করছেন। ভোট মানুষের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। বর্তমান সরকারের অধীনে সকল নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার হরণের আপনারা প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন। বিগত নির্বাচনের কোনো নারী ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয় নাই। চটগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১০ লক্ষাধিক নারী ভোটার রয়েছে। তারা আগামীর ২৭ জানুয়ারি ভোট সেন্টারে গিয়ে ভোট দিতে পারবে কিনা তাদের মধ্যে সংশয় বিরাজ করছে। যদি আপনারা নিজেদেরকে সত্যিকার অর্থে মানবিক পুলিশ দাবি করে থাকেন। তাহলে সরকারের অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে আসন্ন চসিক নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষার্থে ভোটারদের ভোট সেন্টারে যেতে উদ্বুদ্ধ করুন এবং ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, অগণতান্ত্রিক সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর অমানবিক আচরন করছে। প্রতিনিয়ত জুলুম, নির্যাতন, খুন করছে, গুম করছে, তারপরও নেতা-কর্মীদের হতাশ হয়নি, মাথা নোয়াননি, হার স্বীকার করেননি। বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়নি। চট্টগ্রামবাসী বিএনপির দিকে আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। বিএনপি আন্দোলনের অংশ হিসাবে চসিক নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, পরাজিত হওয়ার জন্য নয়। চট্টগ্রামবাসীর ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বচনে অংশ নিয়েছে। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি অতীতে যেমন লড়াই-সংগ্রাম করেছে, এখনও লড়াই করেছে বিএনপি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে। নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, চসিক নির্বচনে সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। সকল ভেদাভেদ ভুলে সাহস নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটকেন্দ্রে অবস্থান নিতে হবে। তবেই কাঙ্খিত বিজয় অর্জন সম্ভব হবে।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন, এই সরকারের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নিয়ে আসেনি। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তাদের একটাই লক্ষ্য, একটি একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু রাখা। আজকে সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তারা ক্ষমতায় বসে রয়েছে। বিএনপি একটা মুক্ত ও গণতান্ত্রিক পরিবেশে তৈরি করার জন্য সংগ্রাম করেছে। অচিরেই সেই বিজয় অর্জন হবে।

    ৪৩ নং আমিন শিল্পাঞ্চল শিল্প অঞ্চল সাংগঠনিক ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এডভোকেট এফ এ সেলিম এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইস্কান্দার মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মনজুর আলম মঞ্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, এতে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সকল সহ প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল হাই, সহ ধর্ম সম্পাদক রঞ্জিত বডুয়া, বায়েজিদ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের জসিম, থানা বিএনপি নেতা বাবুল কোম্পানি, মফজল কোম্পানি, সালামত আলী, ডা.ফরহাদ, রুহুল আমিন, মোহাম্মদ তানহা, পমপম বডুয়া, মোহাম্মদ তৌহিদ, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মনিরুল ইসলাম মনি, জিয়াউর রহমান জিয়া, তহিদুল ইসলাম রাসেল, গুলজার হোসেন, আবদুল মান্নান, মো: হাসান, আসাদুজ্জামান রুবেল,জাকির হোসেন মিশু, ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ দিদারুল আলম দিদার, সেলিম আনসারী, আব্দুল খালেক,মোহাম্মদ সোলায়মান, আব্দুল হালিম কালু প্রমুখ।

  • গণতন্ত্র ফিরে আসার পথ কেউ রোধ করতে পারবে না: ডা.শাহাদাত

    গণতন্ত্র ফিরে আসার পথ কেউ রোধ করতে পারবে না: ডা.শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ২৫ মার্চ জাতি যখন দিক নির্দেশনাহীন ঠিক তখনই দিশেহারা জাতিকে মুক্তি দিতে জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের আবির্ভাব ঘটেছিল। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। কিন্তু আজকে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে দেয়া হচ্ছে না।

    ক্ষমতাসীনেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে গোটা জাতিকে বিকৃত ইতিহাস দিচ্ছেন। বর্তমানে দেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো রাজনীতি নেই, আছে শুধু দলনীতি। এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে এর পরিপন্থী কাজ করে। স্বাধীনতার চেতনা কি একদলীয় শাসন? মানুষের ভোটাধিকার হরণ? এসব অপকর্ম করে আর বেশীদিন চালানো যাবেনা। জনগন জেগে ওঠেছে। গণতন্ত্র ফিরে আসার পথ কেউ রোধ করতে পারবে না। একদলীয় নীতি বেশি দিন চলবে না। সব রাজনৈতিক দল-মত-শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে।

    তিনি মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।

    এসময় ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচন। বিগত নির্বাচনের মতো এবারও আওয়ামীলীগ ভোট ডাকাতি করার চেষ্টা করবে। তার জন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাহারা দিতে হবে। ভোট ডাকাতি করতে আসলে তাদেরকে শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে। এ চট্টগ্রাম আমাদের, ভোট আমাদের, কাউকে পবিত্র আমানত ভোট ডাকাতি করতে দেওয়া যাবে না।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষক সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের দল। চট্টগ্রামের মাটি থেকে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। আর সে ঘোষণায় মুক্তিকামী জনতা উদ্ধৃত হয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছে। আজকে যারা বড় গলায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফেরি করে বেড়াচ্ছে তাদের বেশিরভাগই সে সময়ে ভারতে নিরাপদ আশ্রয়ে জীবন পার করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে যে স্বপ্ন নিয়ে বীর বাঙালি অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল সে স্বপ্ন আজ ভূলুণ্ঠিত। আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। তাদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা মানাই না। তাদের হাতে দেশ ও স্বাধীনতা নিরাপদ নয়।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিঃ সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে আওয়ামী লীগ এখন মুক্তিযু্দ্ধের চেতনা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হয়েছে। যে ভোট আর মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিল সেই মতো প্রকাশের স্বাধীনতা এখন নাই। আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসে মানুষের সংবিধানিক সকল অধিকার ক্ষুন্ন করেছে। দেশের প্রশাসনকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছে। এর থেকে আমাদের উত্তোরনের পথে বের করতে হবে। তার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে ভোট ডাকাত ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির সহ সভাপ‌তি আলহাজ্ব এম এ আ‌জিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, শামসুল আলম, এড.আবদুস সত্তার, এস কে খোদা তোতন, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, শ‌ফিকুর রহমান স্বপন, মাহবুবুল আলম, নিয়াজ মোঃ খান, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফ‌য়েজ, সিঃ যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক কা‌জি বেলাল উ‌দ্দিন, মোঃ শাহ আলম, ইসকান্দার মির্জা, জাহা‌ঙ্গির আলম দুলাল, আবুল হা‌সেম, আ‌নোয়ার হো‌সেন লিপু, গাজী মোঃ সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, থানা বিএন‌পির সভাপ‌তি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মোশারফ ‌হো‌সেন ডিপ‌টি, হাজী হানিফ সওদাগর, মোঃ সেকান্দর, আবদুস সাত্তার সেলিম, হাজী মোঃ সালাউদ্দীন, মোঃ আজম, আবদুল্লাহ আল হারুন, মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারন সম্পাদক জেলী চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, থানা বিএনপির সাঃ সম্পাদক জাকির হোসেন, আফতাবুর রহমান শাহীন, মোঃ শাহাবুদ্দীন, আবদুল কাদের জসিম, মাঈনুদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, রোকন উদ্দীন মাহমুদ, মৎসজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, তাতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু ও সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ সহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক দলের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ।

  • প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদেরকে জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায়ও রাস্তায় নামতে হবে: ডা. শাহাদাত

    প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদেরকে জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায়ও রাস্তায় নামতে হবে: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। তাদের সেই স্বপ্ন এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। স্বাধীনতার পর থেকেই অগণতান্ত্রিক শক্তি দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো হরণ করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করেছে।

    বর্তমান ক্ষমতাসীনরা গণতন্ত্রকে রাষ্ট্র সমাজ থেকে উচ্ছেদ করেছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা আজকে রাস্তায় মিছিল করছে। তারা যদি ভাস্কর্য ইস্যুতে মিছিল করতে পারে, তাহলে মানুষের ভোটাধিকার রক্ষার জন্যও রাস্তায় নামতে পারেন। কিন্তু তারা সেটাতো করবেন না, কারণ তারাইতো মানুষের ভোটাধিকার হরণে জড়িত। ভোট ডাকাতীর সাথে রাষ্ট্রযন্ত্রের অতি উৎসাহী কিছু অফিসার জড়িয়ে গেছে। এই অতি উৎসাহী অফিসারদের কারণে দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আজ হুমকীর মুখে।

    তিনি সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, জেড ফোর্সের অধিনায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তম ১৯৭১ সালে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন বলেই আজকে তাকে নিয়ে আওয়ামীলীগের গাত্রদাহ। আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে। অথচ বিএনপির শাসনামলে চট্টগ্রামের সাগরিকা স্টেডিয়ামের নাম বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীনের নামে নামকরণ করা হয়েছিল। আওয়ামীলীগ সেই নাম পরিবর্তন করে আওয়ামীলীগ নেতা জহুর আহমদ চৌধুরীর নামে করেছে। বিএনপির শাসনামলে সারাদেশে স্টেডিয়ামগুলো বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে করেছিলেন। অর্থাৎ বিএনপি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেয় আর আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ব্যবসা করে। তারা জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে জগদ্দল পাথরের মত মানুষের ঘাড়ে বসে আছে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান। বাংলাদেশের মহান মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের প্রেরণা জুগিয়েছিলেন তারা। নিজেদের মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে জনগণকে উদ্দীপ্ত করেছিলেন সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত মুহূর্তে বীর বাঙালি যখন অত্যাসন্ন বিজয়ের আনন্দে উন্মুখ, ঠিক তখন দখলদার বাহিনীর গুপ্ত ঘাতকরা রাতের আঁধারে মেতে ওঠে বুদ্ধিজীবী নিধনযজ্ঞে। জাতি হারায় তার অসংখ্য মেধাবী সন্তানকে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতীয় জীবনে একটি বেদনাময় দিন। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের দুই দিন আগে হানাদার বাহিনীর দোসররা দেশের বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। তারা মনে করেছিল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করলেই এই দেশ দুর্বল হয়ে পড়বে। কিন্তু তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি।

    চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট এ এস এম বদরুল
    আনোয়ার বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবিদেও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেশের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা আন্তর্জাতিক অপশক্তির কারণে বাস্তবায়িত হতে পারেনি। তারা বিভেদ ও অনৈক্যের দ্বারা জাতীয় অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

    চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনওয়াজ বলেন, বিএনপির হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আওয়ামীলীগ এখন আত্ম তৃপ্তিতে ভুগছে। চারিদিকে কোন প্রতিপক্ষ নেই যা ইচ্ছা তাই করছে। আমরা পায়ের আওয়াজ পাচ্ছি। পতনের ধ্বনি শুনতে পাচ্ছি।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, হারুন জামান, শফিকুর রহমান স্বপন, এড. মফিজুল হক ভূঁইয়া, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, এডভোকেট ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, এড. তারিক আহমেদ, এডভোকেট হাসান আলী, সি: যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক কাজি বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, মো: কামরুল ইসলাম, সম্পদকবৃন্দ আবদুল নবী প্রিন্স, ইয়াকুব চৌধুরী, অধ্যাপক ঝন্টু বড়ুয়া, হালিশহর থানা বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন ডিপটি, সহ সম্পাদকবৃন্দ, এ কে এম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, রফিকুল ইসলাম, মোঃ ইদ্রিস আলী, মো. শাহজাহান, খোরশেদ আলম কুতুবী, জেলী চৌধুরী, আবদুল হাই, রঞ্জিত বড়ুয়া, আবদুল মতিন, আলী আজম, সদস্য আলী ইউসুফ, মালেক ফারুকী, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নবাব খান, মোশারফ জামান, ফারুক আহমদ, সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক হাজী জাহেদ, শফিউল্লাহ, হাসান ওসমান, জসিম মিয়া, সিরাজুল ইসলাম মুন্সি, মোঃ হাসান, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আলি মর্তুজা খান, মনিরুজ্জমান টিটু, শাহ নেওয়াজ চৌধুরী মিনু, গুলজার বেগম প্রমুখ।

  • কারো রক্তচক্ষুকে ভয় না পেয়ে ভোট কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে: ডা.শাহাদাত

    কারো রক্তচক্ষুকে ভয় না পেয়ে ভোট কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে: ডা.শাহাদাত

    চট্টগাম মহানগর বিএন‌পির সভাপ‌তি ও চ‌সিক নির্বাচ‌নে বিএন‌পি ম‌নোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত‌ হোসেন বলেছেন,কারো রক্তচক্ষুকে ভয় না পেয়ে ভোট সেন্টার পাহারা দিতে হবে। আমরা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সৈনিক। শহীদ জিয়া পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং দীর্ঘ নয় মাস রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে এই দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। আর স্বাধীনতার ঘোষকের দল হচ্ছে বিএনপি। আগামীর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মামলা -হামলা নির্যাতন উপেক্ষা করে ভোট সেন্টারে যেতে হবে। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

    তি‌নি আজ শনিবার (১২ ডি‌সেম্বর) দুপুরে স্টেশন রোড প্যারামাউন্ট সিটি হলে ৩১ নং আলকরণ ওয়ার্ডের উদ্যোগে ক‌রোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মত‌বি‌নিময় সভায় প্রধান অ‌তি‌থির বক্ত‌ব্যে একথা ব‌লেন।

    ডা.শাহাদাত হোসেন আরো ব‌লেন, এই মাস বিজয়ের মাস। আমাদের শপথ নিতে হবে গণতন্ত্র মুক্তির। সন্ত্রাস, দুর্নীতি বাজ, ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই দুর্নীতিবাজ সরকার বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে দুর্নীতিবাজ ও দুঃশাসনের রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি করেছে।

    প্রধান বক্তার বক্ত‌ব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির সাধারণ সম্পাদক আবুল হা‌শেম বক্কর ব‌লে‌ন, এই ওয়ার্ডে অতীতের কোনো নির্বাচনে বিএনপিকে হারাতে পারে নাই। আলকরণ ওয়ার্ড বি এন পির একটি শক্তিশালী সংগঠন। এই সরকার বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দিয়েছে। কিন্তু এত নির্যাতন নিপিডনের পরও কেউ রাজপথ ছেড়ে যায়নি। আমরা অনেক স্বৈরাচার সরকার দেখেছি। কিন্তু কোন স্বৈরাচার বেশিদিন টিকে থাকতে পারে নাই। আর এই সরকারও পারবে না। আগামী মেয়র নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু হলে বিএনপি’র মনোনীত মেয়র প্রার্থী জননেতা ডা. শাহাদাত হোসেন বিপুল ভোটের মাধ্যমে জয়লাভ করবে। তাই আপনাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ভোট সেন্টার পাহারা দিতে হবে। আর যারা দলের সাথে বেইমানি করবে,তাদেরকে এবার ছাড় দেওয়া হবে না।

    ৩১ নং আলকারন ওয়ার্ড বিএন‌পির সভাপ‌তি দিদারুল রহমান লাবু’র সভাপ‌তি‌ত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জ‌সিম মিয়া’র সঞ্চালনায় মত বি‌নিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রা‌খেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির সি‌নিঃ যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়া‌ছিন চৌধুরী লিটন, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, ক্ষুদ্র ও কু‌টির শিল্প সম্পাদক আবদুল নবী প্রিন্স, হকার্স সম্পাদক আবদুল বা‌তেন, সহ বা‌নিজ্য সম্পাদক ওয়া‌হেদুল আলম, কোতোয়ালি থানা বিএন‌পির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জা‌কির হো‌সেন, আরো বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির সদস্য হা‌মিদুর রহমান, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সি‌নিঃ যুগ্ম সম্পাদক আ‌নোয়ার হো‌সেন, আবুল কালাম, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক আবদুর শুক্কুর, প্রচার সম্পাদক মোঃ রিয়াদ, সহ শ্রম সম্পাদক সা‌লে আহাম্মদ, সংর‌ক্ষিত ম‌হিলা কাউ‌ন্সিলর প্রার্থী আরজুন নাহার মান্না, স্বেচ্ছাসেবক দ‌লের সিঃ যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা, নগর যুবদ‌লের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সে‌লিম, সহ সম্পাদক মোঃ বেলাল, নগর শ্র‌মিক দ‌লের সাংগঠ‌নিক সম্পাদক মোঃ জ‌সিম উ‌দ্দিন, ব্যবসায়ী নেতা ‌মোঃ আবু তা‌লেব, মোজা‌ম্মেল হক, দোকান কর্মচারী স‌মি‌তির সা‌বেক সা‌বেক সভাপ‌তি মোঃ আজম উ‌দ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ‌মোঃ আকরাম, অঙ্গ সংগঠ‌নের নেতৃবৃন্দ মোঃ ইসহাক, মোঃ রা‌সেদ, মোঃ সা‌দেক, গিয়াস উ‌দ্দিন বাবুলু, মোঃ সে‌লিম, মাঈন উ‌দ্দিন, সাইফুল ইসলাম শিপন, ফয়সাল ভুইয়া, র‌ফিকুল ইসলাম খোকন, মোঃ মোতা‌লেব, মোঃ ডা‌লি, মোঃ ফ‌রিদ, মোঃ ম‌হিন, হা‌বিবুর রহমান, মোঃ শ‌ফি, মোঃ শাহজাহান, মোঃ কা‌সেম, মোঃ ফারুক, মোঃ জু‌য়েল, দে‌লোয়ার, ‌মোঃ সুরুজ, মোঃ জয়নাল, মোঃ জা‌বেদ প্রমূখ।

  • ভোটা‌ধিকার রক্ষায় নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার কর‌তে হ‌বে: ডা. শাহাদাত

    ভোটা‌ধিকার রক্ষায় নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার কর‌তে হ‌বে: ডা. শাহাদাত

    চট্টগাম মহানগর বিএন‌পির সভাপ‌তি ও চ‌সিক নির্বাচ‌নে বিএন‌পি ম‌নোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত‌ হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্রকে বিতাড়িত করে সরকার দেশে একদলীয় শাসন প্রবর্তনের সকল ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করেছে। বিগত ১৪ বছর সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা মিথ্যা মামলা, গুম-খুন নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে।তারপরেও বিএন‌পি গণতন্ত্র ও ভোটা‌ধিকার পুনঃপ্র‌তিষ্ঠা আ‌ন্দোলন অব্যহত রে‌খে‌ছে। আগামী চ‌সিক নির্বাচ‌নে চট্টগ্রামবাসীর ভেটিা‌ধিকার প্র‌তিষ্ঠার লড়াই। এই ভোটা‌ধিকার প্র‌তিষ্ঠার লড়াই‌য়ে আমা‌দের সকল নেতা কর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার কর‌তে হ‌বে। মামলা হামলা উপেক্ষা করে ভোট সেন্টার পাহারা দিতে হবে।

    ‌তি‌নি আজ শুক্রবার (১১ ডি‌সেম্বর) বিকা‌লে নগরীর ২২ নং এনা‌য়েত বাজার ওয়ার্ড ক‌রোনা সুরক্ষা সামগ্রী ও মত‌বি‌নিময় সভায় প্রধান অ‌তি‌থির বক্ত‌ব্যে একথা ব‌লেন।

    ডা.শাহাদাত হোসেন আরো ব‌লেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়েছিলেন। আর এই সংগ্রাম এখনো অব্যাহত আছে। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে। অ‌বৈধ অগণতা‌ন্ত্রিক আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, ‘বিএনপিকে জনগণ নাকি প্রত্যাখান ক‌রে‌ছে’। আমরা বল‌তে চাই, যদি তাই হ‌য়ে থা‌কে তা‌হ‌লে আগামী চ‌সিক নির্বাচনটা অবাধ সুষ্ঠু, নির‌পেক্ষ ক‌রেন। নগরবাসীকে ভোট দেওয়ার সু‌যোগ ক‌রে দেন। তাহলে নগরবাসী প্রমাণ করে দি‌বে, তারা কাকে চান। জনগনের রায়ে আমরা বিশ্বাসী। জনগণ যে রায় দেবে তা আমরা তা মেনে নেব।’

    প্রধান বক্তার বক্ত‌ব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির সাধারণ সম্পাদক আবুল হা‌শেম বক্কর ব‌লে‌ন, এই সরকারের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নিয়ে আসেনি। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তাদের একটাই লক্ষ্য, একটি একদলীয় শাসনব্যবস্থা। আজকে সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তারা ক্ষমতায় বসে রয়েছে। ১৯৭১ সালে দেশ প্রেমী জনতা যে চেতনা নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ, একটি গণতান্ত্রিক সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। কিন্তু এই সরকার দেশের মানুশের সব স্বপ্ন ধ্বংস করে দিয়েছে।বাংলাদেশের মানুষ মুক্ত একটা পরিবেশে বাস করতে চেয়েছে। একটা মুক্ত পরিবেশে তৈ‌রি করার জন্য সংগ্রাম করেছে বিএন‌পি।

    ‌এনা‌য়েত বাজার ওয়ার্ড বিএন‌পির সভাপ‌তি আ‌লি আব্বাস খাঁন এর সভাপ‌তি‌ত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জা‌হেদ উল্লাহ রা‌সেদের সঞ্চালনায় মতবি‌নিময় সভায় বক্তব্য রা‌খেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির সিনঃ যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়া‌ছিন চৌধুরী লিটন, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ আলী মিঠু, সহ গ্রাম বিষয়ক সম্পাদক সালাউ‌দ্দিন লাতু, ‌কো‌তোয়লী থানা বিএন‌পির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জা‌কির হো‌সেন, নগর বিা‌নে‌পির সদস্য কাউ‌ন্সিলর প্রা‌র্থী আবদুল মা‌লেক, আলমগীর আলী, নগর যুবদ‌লের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সে‌লিম, নগর স্বেচ্ছা‌সেবক দ‌লের সিঃ যুগ্ম সম্পাদক আলী মু‌র্তোজা খান, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সংর‌ক্ষিত ম‌হিলা কাউ‌ন্সিলর প্রার্থী আরজুন নাহার মান্না, থানা বিএন‌পির সহ সভাপ‌তি এনা‌য়েত উল্লাহ, ওয়ার্ড বিএন‌পি সহ সভাপ‌তি মাহাবুব আলম রান, মোঃ সা‌ফি সওদাগর, সৈয়দ আহমদ, মে‌াঃ আলম, আলী মোহাম্মদ, শাহজাহান (মু‌ক্তি‌যোদ্ধ) মোঃ ম‌হিউদ্দন, আইয়ুব আলী, সুলতান আহম্মদ, যুগ্ম সম্পাদক আকতার আলম, মোঃ এনামুল হক রাজু, মোঃ ইউনুছ, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক মুছা আলম, সম্পাদক মোঃ মিন্টু, আ‌লি হাসান খাঁনা, সোহান চৌধুরী, ম‌হিউ‌দ্দিন, ম‌নির ভূইয়া, মোঃ শাহজাহান, আবদুল ম‌তিন, সা‌লেহ আহম্মদ, মোঃ আবুল, মোঃ আ‌জিম, নওশাদ আহমদ, মোঃ আ‌জিম, আবদুর র‌সিদ, মোঃ আ‌নোয়ার, মোঃ ইউনুছ বেটা, ‌মোঃ জা‌হিদ, মোঃ সে‌লিম, সামছুল ইসলাম, হারুন জামান টিটু, মোহরম আলী, মোঃ না‌ছির, মোঃ মোশারফ, মোঃ জসিম, মুস‌লিম উ‌দ্দিন বা‌লি। অঙ্গ সংগঠ‌নের নেতৃবৃন্দ, নওশাদা, তানভীর ম‌ল্লিাক, মোঃ জ‌হিরুল ইসলাম, মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন, মোঃ হাসান, ওয়া‌হেদ মুরাদ, মোঃ জা‌হেদ, মোঃ সাইফুল, মোঃ আ‌মিন,আবদুল্লাহ আল ‌সোনা মা‌নিক, আবু সা‌লেহ আ‌বিদ, আ‌জিজুল হক জ‌নি, মোঃ ফয়সাল, মোঃ আবদুল্লাহ, মোঃ সা‌নি প্রমূখ।

  • দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচার এরশাদের পতন হয়েছিল: ডা. শাহাদাত

    দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচার এরশাদের পতন হয়েছিল: ডা. শাহাদাত

    চট্টগাম মহানগর বিএন‌পির সভাপ‌তি ও চ‌সিক নির্বাচ‌নে বিএন‌পি ম‌নোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত‌ হোসেন বলেছেন, আজকের এই দিনে ১৯৯০ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচার এরশাদের পতন হয়েছিল। ৯০’র স্বৈরাচা‌রের পতন হ‌লেও গণতন্ত্র আজ বিপন্ন। দেশ এখন নব্য স্বৈরাচা‌রের আবির্ভাব হ‌য়ে‌ছে। বর্তমান সরকার স্বৈরাচার এরশাদের চেয়ে বড় স্বৈরাচার সরকার। এরশাদ যদি স্বৈরাচার হয়, শেখ হাসিনা আরো বড় স্বৈরাচার। স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের আমলে ১০০ থেকে ১৫০ লোক মারা গিয়েছিল। কিন্তু এই সরকারের আমলে সহস্রাধিক শুধু মারা যায় নাই, গুমও হয়েছে অসংখ্য। তাই আজ আমাদের স্লোগান হওয়া হবে নব্য স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক। সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। এখন সরকার জনগণকে ভয় পায়, তাই নিরপেক্ষ নির্বাচনে তারা বিশ্বাস করে না। এরা আবারো চট্টগ্রামে নাইটমেয়র এর স্বপ্ন দেখছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ‘ভয়াবহ’। একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে সরকার দেশের বিচার বিভাগ, সংসদ ও প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করে সব লুটপাট করছে। যখনই আন্দোলন দানা বেঁধে উঠে তখনই সরকার নানা ইস্যু তৈরি করে।

    আমরা সরকারকে বলে দিতে চাই, মামলা হামলা নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না, ভোটের অধিকার ফেরানোর জন্য বিএনপি আন্দোলন করে যাবে।আমাদের আন্দোলন হচ্ছে মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন।

    তি‌নি আজ, রবিবার(৬ ডিসেম্বর) বিকা‌লে ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড বিএন‌পি আ‌য়ো‌জিত ক‌রোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মত বি‌নিময় সভায় প্রধান অ‌তি‌থির বক্ত‌ব্যে উপ‌রোক্ত বক্তব্য রা‌খেন।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বলেছেন, মানু‌ষের গণতন্ত্র, ভোটা‌ধিকার কে‌ড়ে নি‌য়ে ফ্যা‌সিষ্ট সরকার দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রায় বিপন্ন। ‌দে‌শের গণতন্ত্র প্র‌তিষ্ঠায় আওয়ামী লী‌গের কোন ভূ‌মিকা নাই। তারা গণত‌ন্ত্রে বিশ্বাসী নয়, তার একদলীয়, এক ব্য‌ক্তির শাস‌নে বিশ্বাসী। দে‌শের জনগ‌নের জন্য গণতা‌ন্ত্রিক অ‌ধিকার পুনঃপ্র‌তিষ্ঠার সংগ্রাম কর‌তে বেগম খা‌লেদা জিয়া কারান্ত‌রিন থে‌কে গৃহব‌ন্ধি আবস্থায় আ‌ছেন। এই অপশক্তিকে রুখতে হলে বেগম খা‌লেদা জিয়া ও তা‌রেক রহমা‌নের নেতৃ‌ত্বে যে গণতন্ত্র ও ভোটা‌ধিকার পুনঃপ্র‌তিষ্ঠার যে আ‌ন্দোলন চলছে তা‌কে আরো বেগবান কর‌তে হ‌বে। এই জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হ‌তে হ‌বে। জনগন‌কে সা‌থে নি‌য়ে ঐক্যবদ্ধ আ‌ন্দো‌লনের মাধ্যমে ফ্যা‌সিষ্ট নব্য‌-স্বৈরাচার‌কে পরা‌জিত করে বেগম খা‌লেদা জিয়াকে ম‌ুক্ত কর‌তে হ‌বে।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী মঞ্জু, মোঃ কামরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা গাজী মোঃ ইউসুফ এর সভাপতিত্বে এম ইলিয়াছ আলীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম রাশেদ, রোকসানা বেগম মাধু, বিএনপি নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ মহসিন, অধ্যাপক ফজলুল কাদের, জিয়াউর রহমান জিয়া, সরোয়ার জাহান পুতুল, খোরশেদ আলম, শহিদুল ইসলাম, শাহজাহান মঞ্জু, মোহাম্মদ জাবেদ, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মোহাম্মদ নাছির, শাহজাহান খাঁন, গাজী মোমিনুল হক সুমন, গাজী আলমগীর টিটু, মিনু আরা বেগম, মালা বেগম, এরশাদ আহম্মদ, মোরশেদ আলম, এম টি তালুকদার, মোহাম্মদ লোকমান, মোহাম্মদ হাসেম, মোহাম্মদ ইজ্জাজ, এমদাদ উল্লাহ, আলাউদ্দিন তালুকদার, মিনহাজ মাসুদ বাবু, শাহনেওয়াজ জাহান মুন্না, জুয়েল আলম প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।

  • আওয়ামী লীগ জনআতঙ্কে ভুগছে: ডা. শাহাদাত

    আওয়ামী লীগ জনআতঙ্কে ভুগছে: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান শর্ত। কিন্তু বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকার গণতন্ত্রের গন্ধটুকুও মুছে ফেলেছে। আসন্ন চসিক নির্বাচনকে চট্টগ্রামবাসী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য দেখতে চায়। বিএনপি বিশ্বাস করে নগরবাসীর গণরায় সুষ্ঠুভাবে প্রতিফলিত হবে। কিন্তু বর্তমান ক্ষমতাসিন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের রায়ের প্রতি আস্থাশীয় নয়। তাই আওয়ামি লীগ জনআতঙ্কে ভুগছে। তারা চর দখলের মতো জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে নিয়ে যাচ্ছে।

    এক সময় নির্বাচন ছিল মানুষের কাছে উৎসব। এখন নির্বাচন মানে আতঙ্ক, মামলা, হামলা, গ্রেফতার ও নির্যাতন। দেশের জনগণ নির্বাচনের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব চসিক নির্বাচনে সে আস্থা ফিরিয়ে আনা। জনগণের দেওয়া রায় যেন ভূলুণ্ঠিত না হয় এবং নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সে ব্যবস্থা করা। ভোটাররা ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে আনন্দঘন পরিবেশে ভোট দিতে পারে তার ব্যবস্থা করা। তাই নির্বাচন নিয়ে জনমনে যে আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করার জন্য সরকার ও ইসিকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

    তিনি শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর ৩৮ নং দক্ষিন মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরন ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করতে গিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন। তাই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনের বিকল্প নাই। তারই ধারাবাহিকতায় আন্দোলনের অংশ হিসাবে বিএনপি চসিক নির্বাচনে গিয়েছে। আন্দোলন মানে মিছিল করে ঘরে ফিরা নয়, আন্দোলন মানে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে লিপ্ত হওয়া। এই চসিক নির্বাচনেই আমাদের ভূলণ্ঠিত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ফ্যাসিষ্ট সরকারের অনেক জুলুম নির্যাতন শিকার হয়েছেন, এবার আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আমরা অনেক কিছু হারিয়েছি, আমাদের আর হারানোর কিছু নাই। আন্দোলন করে বিজয় অর্জন করে ঘরে ফিরব, অন্যথায় কারাগারে যাব। ইনশাআল্লাহ বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে, প্রতিষ্ঠিত হবে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার।

    ৩৮ নং দক্ষিন মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আজম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাজী জাহিদ হোসেন এর সঞ্চালনায় করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরন ও মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, সিনিঃ যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি ও কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী হানিফ সওদাগন , নগর বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সেলিম, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর সাহেদা খানম, বন্দর থানা বিএনপির সহ সভাপতি হাজী এবাদুর রহমান, সালাউদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুব আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোঃ হোসেন, যুব সম্পাদক নেজাম উদ্দিন, ওয়ার্ড বিএনপির সিনিঃ সহ সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, সহ সভাপতি শাহ আলম বাচা, আবদুস সাত্তার, মোঃ কামরুল, সিনিঃ যুগ্ম সম্পাদক আলী হাসান, মোঃ হোসেন মনা, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জুনু, মাহাবুব আলম, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাজ উদ্দিন, মোঃ বকতিয়ার উদ্দিন, রিয়াজ উদ্দিন রাজু, সাদ উদ্দিন চৌধুরী, আবদুর রহির, জাহেদ আলম, মোঃ সাকিব মোঃ সাজ্জাদ, মোঃ এসকান্দর, মোঃ টিপু প্রমূখ।

  • বিএন‌পি দে‌শের মানুষের গণতন্ত্র ও ভোটা‌ধিকার প্র‌তিষ্ঠায় সংগ্রাম কর‌ছে: ডা. শাহাদাত

    বিএন‌পি দে‌শের মানুষের গণতন্ত্র ও ভোটা‌ধিকার প্র‌তিষ্ঠায় সংগ্রাম কর‌ছে: ডা. শাহাদাত

    চট্টগাম মহানগর বিএন‌পির সভাপ‌তি ও চ‌সিক নির্বাচ‌নে বিএন‌পি ম‌নোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত‌ হো‌সেন বলেছেন, বিএন‌পি দে‌শের মানুষের গণতন্ত্র ও ভোটা‌ধিকার প্র‌তিষ্ঠায় সংগ্রাম কর‌ছে। বর্তমান অগণতা‌ন্ত্রিক সরকার এদেশের মানুষের ভোটাধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার হরণ করেছে। যে চেতনাকে ভিত্তি করে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল, সেই গণতান্ত্রিক চেতনাকে বর্তমান দখলদার সরকার হরণ করেছে।

    সরকার দে‌শের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দি‌য়ে নি‌জে‌দের অঙ্গ সংগঠ‌নে প‌রিণত ক‌রেছে। যার ফ‌লে গণতন্ত্র, ভোট‌ধিকার সহ জনগণের সব অধিকার হরণ করেছে। সা‌মনে চ‌সিক নির্বাচ‌নে আমা‌দের ভোটা‌ধিকার প্রতিষ্ঠার সু‌যোগ আস‌ছে। তার জন্য আমা‌দের প্রস্তুতি নি‌তে হ‌বে। ভোট ডাকাতরা বাব বার আপনার ভোটা‌ধিকার কে‌ড়ে নি‌তে না পা‌রে, তার জন্য জনগন‌কে সা‌থে নি‌য়ে কেন্দ্র পাহারা দিতে হ‌বে। বাংলাদে‌শের মানুষ গণতন্ত্র ও ভোটা‌ধিার প্রতিষ্ঠায় রাজপ‌থে রক্ত দি‌য়েছে, নি‌জে‌দের অ‌ধিকার প্রতি‌ষ্ঠিত করে‌ছে।

    তি‌নি আজ শুক্রবার(৪ ডিসেম্বর) বিকা‌লে ৩নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ড বিএন‌পি আ‌য়ো‌জিত ক‌রোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মত বি‌নিময় সভায় প্রধান অ‌তি‌থির বক্ত‌ব্যে উপ‌রোক্ত বক্তব্য রা‌খেন।

    ডা.শাহাদাত‌ হো‌সেন আরো বলেন, দেশের মানুষ ভয়াবহ একটা দুঃসময় অতিক্রম করছে। বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্দী করা হয়েছে। বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী মিথ্যা মামলার আসামি। শুধু বিএনপির নয়, বাংলাদেশের মানুষ ভয়াবহ একটা অবস্থার মধ্যে, দুঃসময়ের মধ্যে কাটাচ্ছে। এই ভীতিকর অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বলেছেন, বিএনপি গণতন্ত্র ও নির্বাচনে বিশ্বাসী। চ‌সিক নির্বাচ‌নে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। সরকার সত্যিকারভাবে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে চাইলে সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং সমান সু‌যোগ নি‌শ্চিত কর‌তে হ‌বে। কিন্তুু প্রশাসন ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা বি‌ভিন্ন জায়গায় বিএন‌পি‌কে সভা সমা‌বে‌শে বাধা দি‌চ্ছে। সরকার ও প্রশাসন চাই‌ছে ৫ জানুয়ারির মতো এক তরফা নির্বাচন কর‌তে। য‌দি চ‌সিক নির্বাচ‌নে ভোটাররা যদি ইচ্ছামতো ভোট দিতে না পারে, প্রার্থীরা যদি ভোট চাইতে না পারে, বিএন‌পি নেতাকর্মীরা আর ঘ‌রে ব‌সে থাক‌বেনা। আমা‌দের পিঠ দেওয়ালে ঠে‌কে গেছে। ভোটা‌ধিকার, গণতন্ত্র ‌ও বেঁ‌চে থাকার অ‌ধিকার প্রতি‌ষ্ঠিত ক‌রতে সকল ভেদা‌বেদ ভুলে আমা‌দের ঐ‌ক্যেবদ্ধ হ‌তে হ‌বে।

    বি‌শেষ অ‌তি‌থির বক্ত‌ব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির সি‌নিঃ সহ-সভাপ‌তি আবু সু‌ফিয়ান ব‌লে‌ছেন, দে‌শে গণতন্ত্রের মুখোশ পরে এক ব্যক্তির শাসন চলছে। আওয়ামী লীগের সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। শুধুমাত্র জনগণকে বোকা বানানোর জন্য তারা গণতন্ত্রের মুখোশ পরে আ‌ছে। এই ফ্যা‌সিষ্ট সরকারের জুলুম নির্যাতন হ‌তে মু‌ক্তি পে‌তে হ‌লে আ‌ন্দোল‌নের বিকল্প নেই।

    পাঁচলাইশ ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী মোঃ ইলিয়াছের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবুর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ শাহ আলম, ইস্কান্দার মির্জা, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম, সহ সাধারন সম্পাদক শামসুল আলম, জি এম আইয়ুব খান, সহ দপ্তর সম্পাদক মো ইদ্রিস আলী, বায়েজিদ থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম।

    আরো বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির সদস্য আব্দুর রহিম, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, থানা বিএনপি নেতা মাহবুবুল আলম, মফজল কোম্পানি, বকতিয়ার আলম, আবুল বশর, আবসার উদ্দিন , মোহাম্মদ নূরু, মোহাম্মদ ইলিয়াস, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ছৈয়দুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ ইসমাইল, আব্দুল হালিম কালু, বেলাল সরদার, যুবদলনেতা মহি উদ্দিন জুয়েল, আনোয়ার হোসেন, ছাত্রদল নেতা এম এ হাসান বাপ্পা, রাশেদ খান টিপু, মহিউদ্দিন রুবেল, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা নাজিম উদ্দিন হিরু, ফিরোজ মাহমুদ, কাজী মহিউদ্দীন, খোরশেদ আলম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।