Tag: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি

  • শোষণ,নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে: ডা. শাহাদাত

    শোষণ,নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামীলীগ দেশে এক দলীয় শাসন চালাচ্ছে। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, সাম্য,মানবাধিকার আজ বিপন্ন। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগ কিন্তু সেখানেও বিচার প্রার্থীরা ন্যায় বিচার পাচ্ছে না। বিএনপির হাজার হাজার নেতা কর্মীরা মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় জর্জরিত। শোষণ, নিপীড়ন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। ভয়কে জয় করতে হবে।স্থগিত মেয়র নির্বাচনে ভোট ডাকাতদের পাহারা দিতে হবে। জুলুম নির্যাতন অনেক হয়েছে। এবার সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

    তিনি আজ সোমবার (২৬ অক্টোবর) বিকালে রেলওয়ে কলোনী মাঠে ১৩ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    এতে ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, দেশের সব শ্রেণী ও পেশার মানুষ নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত। সাংবাদিক, পেশাজীবি, সাধারণ মানুষ কেহই এ সরকারের ছোবল থেকে রেহাই পায় নাই। এ সরকার একটি ফ্যাসিবাদী সরকার। সরকারের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান আজ দুনীর্তিগ্রস্ত। এ সরকারের দুর্নীতির কারণে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশ একটি দুর্নীতিপরায়ন ও দু:শাসনের দেশে পরিণত হয়েছে। ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ নিদারুন কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছে।দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ আজ হাহাকার করছে। বাজার মনিটরিংয়ে সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দেশ এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। চারদিকে ধর্ষণ,লুটপাট, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ দিশেহারা। দেশের মানুষের ভোটাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। এদেশের জনগণের অধিকার, ভোটের অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে। আজকে কেউ কথা বলতে পারে না, কেউ লিখতে পারে না। সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারবে না। আজকে আমাদের মতবিনিময় সভায় পুলিশ বাঁধা দিচ্ছে। বিএনপির সভা সমাবেশ দেখলে সরকারী দলের মাথা নষ্ট হয়ে যায়। এরা এখন সম্পূর্ণভাবে একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারে পরিণত হয়েছে। এক নায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। ভিন্নকথা বললেই মামলা। দল-মত-নির্বিশেষে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।

    ১৩ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবদুজ জাহেদ মাস্টারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উৃপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এস কে খোদা তোতন, শফিকুর রহমান স্বপন, যুগ্ম সম্পাদক কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল হালিম শাহ আলম, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, কান্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গির আলম দুলাল, নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম।

    আরো বক্তব্য রাখেন রেলওয়ে কেন্দ্রীয়
    শ্রমিক নেতা এম আর মঞ্জু, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী সখিনা বেগম, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, আসাদুজ্জামানদিদার, আবদুল হালিম পিন্টু, খুলশী থানা যুবদলের আহবায়ক মো. হেলাল হোসেন, তানভীর মানিক, আবদুল আউয়াল টিপু, আবুল কালাম, গোলজার হোসেন মিন্টু, ডা.শরীফ, শাহ আলম, দিলীপ, গোফরান, আমজাদ, রিদোয়ান বারী, এবায়দুল্লাহ, শামীম চৌধুরী, বাদশা, জাহাঙ্গির, হাবিবুল ইসলাম, আশিক মল্লিাক, ইউনুস মুন্না, মিল্টন, দেলোয়ার, হোসেন, জাবেদ, আবদুর রহমান, জসিম, এন আই চৌধুরী, মো.সরওয়ার, আলিম উদ্দিন গুড্ডু, আকতার হোসেন, মাহবুব খালেদ, নুর আলম, জুয়েল,রিফাত হোসেন সাকিল, সামশুদ্দিন সামশু, ইসমাইল রকি প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ধর্ম যার যার,রাষ্ট্র সবার: ডা. শাহাদাত

    ধর্ম যার যার,রাষ্ট্র সবার: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ধর্ম যার যার,রাষ্ট্র সবার। বাংলাদেশের মানুষ অসম্প্রদায়িক মানুষ। এই বাংলাদেশে আমরা
    মুসলিম,হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিস্টান, রাখাইন, মার্মা সকলেই একসাথে বসবাস করি। আমাদের একটাই পরিচয়, আমরা সকলেই বাংলাদেশি।

    তিনি আজ রবিবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডে শিলপাড়া কৃষ্ণ মন্দির পূজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে বস্ত্র বিতরণ কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    ডা.শাহাদাত হোসেন এ সময় মহানবমীতে পূজায় আগত সনাতনী ভাই-বোনদের শারদ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

    ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলি ওয়ার্ডে শিলপাড়া কৃষ্ণ মন্দির পূজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি জনি সিল শিবু এর সভাপতিত্বে জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরাম নেতা বাপ্পী দে এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু জহুর, পাহাড়তলী থানা বিএনপির সভাপতি হাজী বাবুল হক, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জিয়া, ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক হাজী সাইফুল আলম, সদস্য সচিব মোহাম্মদ শফি উল্লাহ, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চৌধুরী, আরো উপস্থিত ছিলেন ১১, ২৫, ২৬নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ও মহানগর মহিলাদলের সহ সভাপতি জেসমিন খানম, সদস্য শামসুন্নাহার, ১১নং ওয়ার্ড বিএনপি মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী সোহরাব হোসেন চৌধুরী শাহীন, ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুম ভূইয়া, ওয়াকিল আহমেদ রমজান, নুর সেলিম বাঙালী, জাহাঙ্গীর আলম মুন্না, ওমর সওদাগর, এস কে জামাল উদ্দিন, নুরুন্নবী সুমন। মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি দিদারুল ফেরদৌস, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সহ সভাপতি মোঃ সেলিম রেজা, সহ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মাহানগর যুবদলের সহ সম্পাদক মোঃ হোসেন,পাহাড়তলী থানা যুবদলের আহবায়ক কুতুবউদ্দিন, আরো উপস্থিত ছিলেন সজীব দত্ত, সুজন দাস, রিপন কান্তি নাথ, রাজীব দত্ত,১১নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল ফিরোজ টিপু, মোঃ নুরুজ্জামান, মোঃ সোহেল, যুবদল নেতা আলম হোসেন আরিফ, মোঃ রিয়াদ, মোঃ জসিম উদ্দিন, মহানগর ছাত্রদল নেতা ওমর কাইয়ুম, আসিফ, মোঃ জাহিদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • অসুর যতই শক্তিশালী হোক তাকে পরাজিত করতে হবে: ডা.শাহাদাত

    অসুর যতই শক্তিশালী হোক তাকে পরাজিত করতে হবে: ডা.শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, যুগ যুগ ধরে এই দেশের মাটিতে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্বের মধ্য দিয়ে বাস করে আসছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে একসাথে আমাদের স্বাধীনতা ও অধিকার রক্ষার জন্য সংগ্রাম করেছি। আমাদের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিয়েছি। এই দেশ নির্মাণ করতে চেয়েছি সত্যিকার অর্থে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ হিসেবে।

    তিনি বলেন, কিন্তু বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকারের সময়ে আমরা গণতান্ত্রিক পরিবেশে বেঁচে থাকবার অধিকারগুলো সত্যিকার অর্থে ভোগ করতে পারছি না। বিভিন্ন সময়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘর বাড়ী, জায়গা সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে। দূর্গাপূজার সময় তারা প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। বিশ্বজিতকে নিশংষভাবে হত্যা করেছে। অথচ বিএনপি সবসময় সকল সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে ছিল। তাই মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সকলের প্রার্থনা হোক, বাংলাদেশ থেকে অন্যায়, অত্যাচার ও নির্যাতন চলে যাক। আমরা অন্ধকার থেকে আলোয় যেতে চাই। আমরা মুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চাই। অসুর যতই শক্তিশালী হোক তাকে পরাজিত করতে হবে।

    তিনি শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ছাত্র ও যুব এক্য পরিষদের উদ্যোগে লাভ লেইনস্থ মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন হলে বস্ত্র বিতরন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    ডাঃ শাহাদাত বলেন, আসুন আমরা আমাদের প্রিয় চট্টগ্রামকে দলমত নির্বিশেষে সকলের অধিকারকে রক্ষা করে একটা সুন্দর সৃষ্টিশীল বাংলাদেশ গড়ে তুলি। তিনি সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানান এবং সবার কল্যাণ কামনা করেন।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দেবী দুর্গার আরাধনা করা হয় শক্তির জন্য। অসুরের যে শক্তি তাকে বদ করবার জন্যে। অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে এই উপাসনা। সব সময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে এবং সব রকমের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দুর্গতিনাশিনী দেবী দূর্গার আরাধনা। এটা বাংলাদেশের সার্বজনীন পূজা। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ।

    হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ছাত্র ও যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী সন্জয় চক্রবর্তী মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী, নগর বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ গোলাম কাদের চৌধুরী নোবেল, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাঃ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন।

    সংগঠনের সাধারন সম্পাদক অর্জুন কুমার নাথের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা অমলেন্দু দাস কনক, গোপাল শর্মা, হিন্দু ছা্ত্র ফোরামের সভাপতি রাজিব ধর তমাল, নগর ছাত্রদল নেতা সৌরভ প্রিয় পাল, মান্না দে, সংগঠনের নগর কমিটির সাঃ সম্পাদক আকাশ চৌধুরী অপু, বিভুতীভূষণ নাথ, পন্ডিত মিথুন আচার্য্য, মিথুন বৈষ্ণব, উজ্জল দত্ত, তাপশ চৌধুরী, বাসু দেব দাস, বাপ্পা অধিকারী রবি নাথ, মোহন দে, দিলিপ মিত্র প্রমূখ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • জনগণের অধিকার আদায়ে বিএনপি রাজপথে আছে: ডা.শাহাদাত

    জনগণের অধিকার আদায়ে বিএনপি রাজপথে আছে: ডা.শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন
    বলেছেন, জনগণের অধিকার আদায়ে বিএনপি রাজপথে আছে। জনগণের দল বিএনপি তাই জনগণের অধিকার আদায়ে রাজপথে আছে এবং থাকবে। যতদিন পর্যন্ত এই দেশের মানুষের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না ততদিন পর্যন্ত বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাবে। শোষণ আর শোষকের নিপীড়ন থেকে নিছস্তার পেতে নির্যাতিত জনগণের উদগ্রীব হয়ে আছে। স্বৈরাচার ও নির্যাতনকারী সরকার বেশি দিন টিকে থাকতে পারে না। এই সরকারও টিকে থাকতে পারবে না। সেই জন্য আপনাদেরকে নিজ নিজ অধিকার আদায়ে সোচ্চার হতে হবে। রাজপথে নামতে হবে।

    তিনি আজ দুপুরে ৯ নং উত্তর পাহাড়তলি ওয়ার্ডে করোনার সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    ডা.শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, দেশের মানুষের গণতন্ত্র কোথায়? ভোটাধিকার কোথায়? আজ এই সরকার জনগণের সব অধিকার ধ্বংস করে ফেলেছে। এই সরকার দীর্ঘ এক যুগ ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশকে একদলীয় বাকশালী রাষ্ট্রপতি করেছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে আওয়ামীলীগের মুখে গণতন্ত্রের মানায় না। এই সরকার গণতন্ত্রের লেবাসে স্বৈরতন্ত্র চালাচ্ছে।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, স্বাধীন রাষ্ট্রে চলছে বাকশালী শাসন। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশে আর গণতন্ত্র থাকে না। বাকশালী কায়দায় তারা একদলীয় শাসন কায়েম করে। সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বললেই দেওয়া হয় মিথ্যা মামলা। বিরোধী দলকে মাঠছাড়া করতে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি চালিয়ে যাওয়াই হচ্ছে এই সরকারের প্রধান কাজ।

    ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব জমির আহমেদের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক এসএম সাইফুল আলম, যুগ্ন সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসেম, সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, আকবরশাহ থানা বিএনপির সভাপতি কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুস সাত্তার সেলিম।

    আরো বক্তব্য রাখেন- নগর বিএনপি নেতা নুরুল আকবর কাজল, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাইন উদ্দিন চৌধুরী মাইনু, রেহান উদ্দিন প্রধান, আলী আজম, ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি কাউন্সিলর প্রার্থী রফিক উদ্দিন চৌধুরী, ৯ নং ওয়ার্ড মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী সকিনা বেগম, মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি দিদারুল ফেরদৌস, যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান মাসুম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ বাহার, মাসুম চৌধুরি,থানা বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান, মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, পলাশ চৌধুরী, আলী আক্কাস, কামরুল হাসান, ফজলুল হক মাস্টার, গোলাম কিবরিয়া, আনোয়ার হোসেন, কাজী মোনায়েম, জানে আলম, যুবদল নেতা কুইন্টন রিভারু, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ ইলিয়াস, মোঃ শামীম, ইমাম উদ্দিন,খুরশিদ ছাত্রদল নেতা মহরম আলী, নাজিম উদ্দিন, অপ চৌধুরী, মোহাম্মদ মনি প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • বিএনপি সবসময় সনাতনী সম্প্রদায়ের পাশে থাকে: ডা.শাহাদাত

    বিএনপি সবসময় সনাতনী সম্প্রদায়ের পাশে থাকে: ডা.শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি সবসময় সনাতনী সম্প্রদায়ের পাশে থাকে। বিএনপি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। বেগম খালেদা জিয়ার সময় রোজা, পূজা একসাথে হয়েছে।ক্ষমতাসীনদলের সন্ত্রাসীরা এখন মন্দির ভাংচুর করে। বিশ্বজিৎ দাশকে কুপিয়ে হত্যা করে। মা-বোনদের ধর্ষণ করে। হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করে। কিন্তু কোন বিচার হয় না। আইনের শাসন না থাকার কারণে দেশে এখন দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ভিত্তিহীন, মিথ্যা গায়েবী মামলার দ্রুত বিচার হয়। কিন্তু সরকারী দলের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গণধর্ষণের বিচার হয় না। দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির কোন বিচার হয় না।

    তিনি আজ, বুধবার দুপুরে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবন মাঠে জাতীয়তাবাদী হিন্দু ছাত্র ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর শাখা কর্তৃক আয়োজিত শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে ৪১টি ওয়ার্ডের সনাতনী ভাইবোনদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতারণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, আপনারা আমাদের সম্পত্তি নয়, সম্পদ। সনাতনী ভাইবোনদের জন্য দুর্গাপূজা একটি প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এবারও উৎসবমুখর পরিবেশে সনাতনী ভাইবোনেরা তাদের দুর্গাউৎসব উদযাপন করবেন। আমরা আপনাদের পাশে আছি থাকবো। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আপনারা আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে কষ্ট করে উপহার সামগ্রী নিতে এসেছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
    শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতনী ভাইবোনদেরকে আমার ও আমার দলের পক্ষ থেকে শারদীয় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দেশের আজ কোন মানুষ ভাল নেই কারণ দুর্নীতি দু:শাসনের রাজত্বে আমরা বসবাস করছি। মামলা-হামলা নির্যাতনে আজ সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ।অতীতের যে সকল নির্বাচন এই সরকারের অধীনে হয়েছে এবং বর্তমানে যে সকল উপনির্বাচন হচ্ছে সব নির্বচনই একদলীয় নির্বচনে পরিণত করেছে।

    জাতীয়তাবাদী হিন্দু ছাত্র ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি বিপ্লব চৌধুরী বিল্লুর সভাপতিত্বে এবং সুকান্ত তালুকদার জুয়েলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় হিন্দু ছাত্র ফোরামের সভাপতি রাজীব ধর তমাল।

    আরো উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, সদস্য মোহাম্মদ জাকির হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, বিএনপি নেতা
    খায়রুজ্জামান জুনু, দিদার হোসেন, যুবদল নেতা মো. লিটন, আসাদুর রহমান টিপু।

    বক্তব্য রাখেন বাপ্পী দে, সুমন ঘোষ বাদশা, সুব্রত সেন, রূপক মল্লিক, জীবন মিত্র দাশ, দিলীপ মিত্র, জুয়েল আইচ, মিথুন দাশ, সঞ্জয় ধর,রাজীব দত্ত, সাজু দাশ, প্রান্ত বশাক, রানা শীল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • রুহুল কবির রিজভীর রোগমুক্তি কামনায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দোয়া মাহফিল

    রুহুল কবির রিজভীর রোগমুক্তি কামনায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দোয়া মাহফিল

    ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর রোগমুক্তি কামনায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বুধবার (২১ অক্টোবর) বাদে জোহর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে রুহুল কবির রিজভীর সুস্থ্যতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পাশাপাশি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু ও সুস্থ্যতা কামনা করা হয় এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এহসানুল হক।

    উক্ত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন, সাধারন সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিঃ সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান, সহ সভাপতি এস কে খোদা তোতন, জয়নাল আবেদীন জিয়া, এস এম আবুল ফয়েজ, জাহিদুল করিম কচি, সিঃ যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মোঃ কামরুল ইসলাম, সম্পাদকবৃন্দ মোঃ সালাউদ্দীন, মুজিবুল হক, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মোশারফ হোসেন ডেপটী, সহ সম্পাদক একেএম পেয়ারু, আবদুল হালিম শপন, মোঃ ইদ্রিস আলী, আলমগীর নূর, আবু মুছা, আলী আজম, থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, নুর হোসাইন, নগর বিএনপির সদস্য মালেক ফারুকী, ইউসুফ সিকদার, জাকির হোসেন, মোঃ ইলিয়াছ, হাজী নুরুল হক, মনিরুজ্জামান টিটু, শাহাবুদ্দীন সাবু, খায়রুজ্জামান জুনু, ওয়ার্ড় বিএনপির সভাপতি রফিক চৌধুরী, মোঃ মহসিন, মোঃ আজম, এস এম আজাদ, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মোঃ মুছা, জিয়াউর রহমান জিয়া, আসাদুর রহমান টিপু, আবু বক্কর সিদ্দিকী, আবু মহসিন চৌধুরী, আবদুল জলিল, দিদারুল আলম, আবদুল আহাদ রিপন, মোঃ ইদ্রিছ প্রমূখ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

     

  • আইনের শাসন না থাকার কারণে ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে:ডা. শাহাদাত

    আইনের শাসন না থাকার কারণে ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে:ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশের মানুষের ভোটাধিকার,গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা নেই।

    তিনি বলেন, আজ দেশের মানুষের গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার ভূলুণ্ঠিত। দেশে আইনের শাসন নেই গণতন্ত্র নেই, ভোটাধিকার নেই, মানবাধিকার বলতে কিছুই নেই। দেশে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন-নিপীড়ন প্রতিনিয়ত ঘটছে। দেশে যতদিন পর্যন্ত নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা হবে না, ততদিন পর্যন্ত এই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। দেশের প্রতিটি মানুষকে নিজ,নিজ অধিকার আদায়ে সোচ্চার হতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাজপথে নামতে হবে।

    আজ দুপুরে হাজিরা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে একথা বলেন।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান বক্কর বলেন, দেশে চলছে গণতন্ত্রহীন এক দলীয় সরকারের অধীনে। বাক স্বাধীনতা বলতে কিছুই নেই। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষকে নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হতে হচ্ছে।

    এসময় আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, এডভোকেট মফিজুল হক ভুঁইয়া, এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ, এডভোকেট নেজাম উদ্দিন , এডভোকেট মাহবুবুল আলম চৌধুরী মারুফ, এডভোকেট এরফান, এডভোকেট জাহিদ বিন রশিদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

     

  • ধর্ষণ, দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ভোটাধিকার হরণে জনগণের নাভিশ্বাস:ডা.শাহাদাত

    ধর্ষণ, দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ভোটাধিকার হরণে জনগণের নাভিশ্বাস:ডা.শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন হোসেন বলেছেন, ধর্ষণ, দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ভোটাধিকার হরণে জনগণের নাভিশ্বাস। দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই কিন্তু আজ একের পর এক ধর্ষণ, গুম, খুনের মত অপরাধ বাড়ছে। আর এই সব অপরধের সাথে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা প্রত্যক্ষভাবে জাড়িত। দেশে প্রশাসন ও বিচার বিভাগ একচোখা নীতি অবলম্বন করছে। সরকারী দলের নেতাকর্মীদের সকল অপকর্ম আড়াল করাই যেন প্রশাসনের রুটিন কাজ। সরকারের দুর্নীতি-দুঃশাসনে আজ দেশের মানুষ অসহায়। সর্বক্ষেত্রে চলছে দুর্নীতির মহাউৎসব।

    তিনি আজ রবিবার (১৮ অক্টোবর) বিকালে দলীয় কার্যাল নাসিমন ভবনে ৪ নং চান্দগাঁও ওয়ার্ড ডবিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আজ চরম পর্যায়ে। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সাধারণ জনগণ আজ দিশেহারা। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে।

    তিনি আরো বলেন দেশের মানুষ গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। প্রতিটি নির্বাচনকে একদলীয় নির্বাচনে পরিণত করে সরকার দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী সুনিশ্চিত করেছে। এই হচ্ছে বর্তমান সরকারের একদলীয় ফ্যাসিষ্ট নীতি।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এমনিতে করোনা পরিস্থিতির কারণে অসংখ্য মানুষের ব্যবসা-চাকরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে, এর মধ্যে সব কিছুর দাম প্রতিদিন বাড়ছে। বর্তমান মুনাফাখোরী অবৈধ সরকারের সিন্ডেকেটের কারসাজিতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মূল কারণ। সরকারের জনগণের প্রতি কোন দায়িত্ববোধ নেই।দেশের জনগণ না খেয়ে মরে যাক তাতে তাদের কিছুই আসে যায় না।

    তিনি অবৈধ দানব সরকারের সিন্ডেকেটের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানন।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই বলেই প্রশাসনের জবাবদিহিতা নেই। যে দেশে এসকে সিনহা প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় তাকে দেশ ছেড়ে যেতে হলো সে দেশে বিচার চাওয়াটা ও হাস্যকর।

    চান্দগাঁও ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. ইলিয়াছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি আলহাজ্ব মাহবুবুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুর ইসলাম, আইনবিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল ইসলাম,চান্দগাঁও থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফ উদ্দিন খান। আরো উপস্থিত ছিলেন নগর যুবদলের সি. যুগ্ম সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসাইন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মিয়া, চান্দগাঁও ওয়ার্ডের সি. যুগ্ম সম্পাদক হাজী ওসমান গণি,যুগ্ম সম্পাদক হাজী মো. কামাল উদ্দিন, মোহাম্মদ ইউনুস, ছাত্র বিষয়ক
    সম্পাদক মো. আলমগীর নিরু, আরিফুল ইসলাম, সি. সহসভাপতি মো. নাছির, মো. মোশাররফ হোসাইন, দিপংকর ভট্টচার্য, মো. ফজলুল করিম, ফোরকান উদ্দিন চৌধুরী জাবেদ, মো. নুরুল আমিন, এস এম ফারুক, নূহ গাজী সেলিম, মো. ওসমান গণি, মো.আলমগীর কোম্পানী, মো. নাছির, মো. নাছির, যুবদল নেতা মো. আলমগীর, বিএনপি নেতা মো.আলমগীরসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ঢাকা ও নওগাঁর নির্বাচনে সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে: ডা. শাহাদাত

    ঢাকা ও নওগাঁর নির্বাচনে সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন হোসেন বলেছেন, দেশের মানুষের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা নেই। আজকের ঢাকা-৫ ও নওগাঁও এর উপনির্বাচনে জাতি যা দেখেছে। তাই একটি হাস্যকর ও অগ্রহণযোগ্য তামাশার নির্বাচনে পরিণত হয়েছে। ভোটারবিহীন একদলীয় প্রহসনের নির্বাচন ছাড়া এই সরকার জাতিকে কিছুই দিতে পারেনি। শুধু গুম, খুন, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, মামলা ও হামলা এই সরকারের অলংকার হিসেবে পরিণত হয়েছে। এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না।

    তিনি আজ শনিবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির কারণে দেশের আপামর জনগণ আজ দিশেহারা। নিম্নআয়ের মানুষ আধপেটা খেয়ে দিন-যাপন করছে। যেসকল মানুষের আয়ের বেশির ভাগ অংশ ব্যয় হয় খাদ্যদ্রব্য ক্রয়ের জন্য তারা লাগামহীন খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে আজ অসহায়। বাজার সিন্ডিকেট, আমলা এবং ক্ষমতাসীন দল ও জোটের নেতৃবৃন্দের অসৎ চক্রের কারসাজির কারণেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও বাংলাদেশে তা হু হু করে বাড়ছে। সরকারের নিস্ক্রিয়তা এসকল অসৎ চক্রকে উৎসাহ যুগিয়ে যাচ্ছে।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, জেল জুলুম সহ্য করতে করতে বিএনপি নেতাকমীর্দের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জেলের ভয় বিএনপি নেতাকমীর্রা পায় না। এবার প্রতিরোধের মাধ্যমে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বিএনপির নেতাকমীর্রা জনগণকে সাথে সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি: সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, বর্তমান গণতন্ত্রহীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে প্রিয় স্বদেশ। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার না থাকায় দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হওয়ায় ধর্ষকেরা বার বার ধর্ষণ করার সাহস পাচ্ছে। ধর্ষনের ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তারা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী।

    ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. বেলালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ভিপি নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি এস এম আবুল ফয়েজ, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ইয়াকুব চৌধুরী, বায়েজিদ থান বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল হারুন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হাই, বায়েজিদ থান বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম, সৈয়দ জাকারিয়া সেলিম, রোকসানা বেগম মাদু, এড. আবু তাহের, মকবুল হোসেন, ইসমাঈল, ফোরকান, নুরুন্নবী, মিলন, মো. আজগর, মো. খোরশেদ, মো. আলমগীরসহ থানা ওয়ার্ড ও অঙ্গসংগঠনের প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ধর্ষণের বিরুদ্ধে সরকারি দলের নির্লিপ্ততাই প্রমাণ করে তারা ধর্ষকদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে: ডা.শাহাদাত

    ধর্ষণের বিরুদ্ধে সরকারি দলের নির্লিপ্ততাই প্রমাণ করে তারা ধর্ষকদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে: ডা.শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠিত না হওয়ার কারণে আজ দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র নেই। আইন বিরোধী দলের জন্য প্রয়োগ হয়। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করতে গেলেও সরকার প্রশাসনের বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বিএনপিকে। অন্যদিকে সরকারি দলের কোনো অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এই হচ্ছে এই সরকারের দ্বৈতনীতি। সরকারি দলের জন্য এক আইন, বিরোধী দলের জন্য আরেক আইন। এই সরকার একদলীয় শাসনের মাধ্যমে দেশকে অঘোষিত বাকশালী রাষ্ট্রে পরিনত করেছে। দেশের মানুষের কষ্টার্জিত স্বাধীনতার আজ আর নেই। এই সরকার দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার হরণ করেছে। প্রতিনিয়ত খুন, ধর্ষণ, মামলা- হামলা, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হচ্ছে এদেশের সাধারন মানুষ। শুধু তাই নয়, দুর্নীতি-দুঃশাসনের কারণেও বিশ্বদরবারে সরকার এই দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।

    তিনি আজ বুধবার (১৪ই অক্টোবর) দুপুরে ৪০ নং উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের মাঝে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, সারাদেশে এখন করোনাকাল চলছে। এই করোনা কালেও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা ধর্ষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন, বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে। ধর্র্ষনের বিরুদ্ধে সরকারি দলের নির্লিপ্ততাই প্রমাণ করে, তারা ধর্ষকদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। দেশে আইনের শাসন, বিচার ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলায় ভয়াবহ ধ্বস নেমেছে। এতে দেশের নারী সমাজ ও অভিবাবক মহলে আতংঙ্ক ও অসহায়ত্ব ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা ও নাগরিক নিরাপত্তা কত ভয়াবহ মাত্রায় ভেঙে পড়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনমান ও নিরাপত্তা কতটা অসহায় ও জঘন্য রূপ নিয়েছে, বেগমগঞ্জ, সিলেট, খাগড়াছড়ি, সীতাকুন্ড, পটিয়া’সহ গোটা দেশের নিত্যদিনকার ধর্ষণ ও খুনাখুনির ঘটনা প্রমাণ বহন করে। ধর্ষণ যেন সারাদেশে করোনার চেয়েও মহামারির রূপ নিয়েছে।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এই সরকার জনগণের সরকার নয়, এই সরকার হচ্ছে একটি স্বৈরাচার সরকার। এই করোনাকালীন সময়েও সাধারণ মানুষ এই সরকারের জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ওয়ার্ডের প্রতিটি ইউনিটকে শক্তিশালী করতে হবে। দেশের মানুষের গণতন্ত্র ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকলকে এগিয়ে এসে গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।

    ৪০ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মোহাম্মদ হারুন এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনজুর কাদের এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নগর বিএনপির সহ-সভাপতি মো. মিয়া ভোলা, ভিপি নাজিম উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, কামরুল ইসলাম, মো. মুজিবুল হক, পতেঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি ডা. নুরুল আবছার, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দিন। আরো উপস্থিত ছিলেন, আবু জাফর, মোহাম্মদ ইউসুফ, মোহাম্মদ ছারের, মোহাম্মদ লোকমান, শহিদুল ইসলাম রানা, গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ শাহজাহান, যুবদল নেতা মোহাম্মদ জাহিদ, আশরাফ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • হেদায়েতুল ইসলাম স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের রুপকার ছিলেন: ডা.শাহাদাত

    হেদায়েতুল ইসলাম স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের রুপকার ছিলেন: ডা.শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম হেদায়েতুল ইসলাম ছিলেন ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক ও চট্টগ্রামের এরশাদ বিরোধী যুব আন্দোলনের অন্যতম রূপকার। তিনি দলের একজন দায়িত্বশীল ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন। দলের সব সংকটকালে তিনি সাহসী নেতৃত্ব দিয়েছেন।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রামে বিএনপিকে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করতে তার ভূমিকা ছিল অপরিসিম। বর্তমান স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হলে হেদায়েতুল ইসলামদের মতো নির্ভীক নেতার বড় বেশী প্রয়োজন। দলের প্রতি তার অবদান বিএনপি আজীবন স্মরণে রাখবে। তিনি মরহুম হেদায়েতুল ইসলামের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

    তিনি মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে আন্দরকিল্লাস্থ কদম মোবারক মসজিদে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম হেদায়েতুল ইসলাম এর ২৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন।

    এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, মরহুম হেদায়েতুল ইসলাম একজন কর্মীবান্ধব দক্ষ সংগঠক ছিলেন। দলের দুঃসময়ে তিনি শুধু যুবদলই নয় বরং বিএনপি, ছাত্রদল, শ্রমিক দলকে সুসংগঠিক করতে আগ্রণী ভুমিকা পালন করেছেন। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামের যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যে ভুমিকা রেখেছেন তা যুগ যুগ ধরে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মৃত্যুতে দলের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তা আজ ২৮ বছরেও পুরণ করা সম্ভব হয়নি।

    মরহুম হেদায়েতুল ইসলামের ২৮ তম মৃত্যুবার্ষিকীর দোয়া মাহফিলে ও পুস্পস্তবক অর্পনে ডাঃ শাহাদাত হোসেন ও আবুল হাশেম বক্কর

    মরহুম হেদাযেতুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর বিএনপি’র পক্ষ থেকে বাদে জোহর কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। পরে কদম মোবারক কবরস্থানে মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন কদম মোবারক শাহী মসজিদের খতিব মাওলানা ইকরাম হোসেন।

    দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি হারুন জামান, ইকবাল চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, অহামেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সিহাব উদ্দিন মুবিন, নগর উন্নয়ন সম্পাদক জিয়া উদ্দিন খালেদ, হকার্স সম্পাদক আবদুল বাতেন, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, পাঁছলইশ থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, নগর বিএনপির সহ সম্পাদক এ কে এম পেয়ারু, রফিকুল ইসলাম, মো: ইদ্রিস আলী, আবু মুছা, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, আবদুল হাই, সালাউদ্দিন লাতু, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জাহিদ হাসান, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, হবিবুর রহমান, নগর সদস্য ইউসুফ শিকদার, আলী ইউসুফ, মো: বুলবুল, তাঁতী দলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, আলাউদ্দিন আলী নুর, আলী আব্বাস খান, এস এম ফরিদুল আলম, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ উল্লাহ রাসেদ, সৈয়দ আবুল বশর, হাজী আবু ফয়েজ, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সি: যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান প্রমূখ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন : ডা. শাহাদাত

    ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন : ডা. শাহাদাত

    দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম মহানগর নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম।

    সোমবার (১২ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন। এসব অপকর্মের পেছনে সরকারের মদদ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতিসংঘ পর্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এই ধর্ষণের ঘটনাগুলোতে। এর চেয়ে লজ্জা কী হতে পারে একটা জাতির জন্য?

    ডাঃ শাহাদাত বলেন, ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্যেই স্বীকার করে নিয়েছেন এই ধর্ষণ, লুণ্ঠন ও নিপীড়নের পেছনে সরকারী দলের মদদ রয়েছে। তাই দেশ পরিচালনায় বার্থতার দায় নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার দিকে যান। যদি না যান, জনগণ জেগে উঠছে। আপনাদের চলে যেতে বাধ্য করবে।

    দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে মন্তব্য করে ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, ধর্ষণ ও নারী-শিশু নির্যাতনের মতো বিষয়গুলো এই অবৈধ সরকারের ছত্রছায়ায় নিরন্তর বিষয় হয়ে গেছে। এগুলো এখন একটি মহোৎসবে পরিণত হয়েছে। আজকে এই যে ধর্ষণ এটা শুধু একজন নারীকে ধর্ষণ না, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধর্ষণ। বর্তমানে মানুষের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। আজকে দ্রব্যমূল্যের চরম উর্ধগতি। নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন। কারণ এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত না। রাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতি করে তারা ক্ষমতায় বসে আছে।

    তিনি বলেন, আজকে নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ থামলে চলবে না। এই প্রতিবাদ ছড়িয়ে দিতে হবে দেশের প্রতিটি এলাকায়। এবার প্রতিবাদ নয় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যত বাধা-বিপত্তিই আসুক।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বাংলাদেশে যে পরিস্থিতিগুলো চলছে, এই পরিস্থিতি সভ্য সমাজের নয়। এটা সম্পূর্ণ একটি অসভ্য সমাজে পরিণত হয়েছে। এই অবস্থার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী আজকের আওয়ামী লীগ সরকার। তারা এই সমাজে ভয়ঙ্কর নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। সারাদেশে যারা ধর্ষণ, অত্যাচার, অবিচারের সাথে যুক্ত রয়েছে তারা এই সরকারের আশ্রয় প্রশ্রয় পাচ্ছে এবং এ কারণেই তারা আরো বেশি অপকর্ম করতে উৎসাহিত হচ্ছে।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, এই সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, মানুষের অধিকারকে ধ্বংস করেছে। একটা মানুষের যে নূন্যতম বেঁচে থাকার অধিকার, সে অধিকার থেকে সরকার বঞ্চিত করেছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে, আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই।

    চট্টগ্রাম মহানগর নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ডাঃ বেলায়েত হোসেন ঢালীর পরিচালনায় মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, ফোরামের যুগ্ম আহবায়ক ইন্জিনিয়ার সেলিম মোঃ জানে আলম, বিএনপি নেতা ইন্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, মোঃ কামরুল ইসলাম, মন্জুর রহমান চৌধুরী, হামিদ হোসাইন, ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য জেলী চৌধুরী, ড্যাব নেতা ডাঃ আবুল কালাম, ডাঃ কাজী মাহবুব আলম, ডাঃ এস এম সরোয়ার আলম, আবদুল হালিম শপন, মোঃ ইদ্রিস আলী, আলমগীর নুর, আলী আজম, আলহাজ্ব জাকির হোসেন, নারী নেত্রী আখি সুলতানা, লায়ন অহিদুল ইসলাম সিকদার, হাজী নুরুল হক, মনিরুজ্জামান টিটু, মোঃ মুছা, জসিম উদ্দীন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, জমির উদ্দীন নাহিদ, আওরঙ্গজেব মোস্তফা সম্রাট, লায়ন আনোয়ার হোসেন উজ্জল, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক হাসান, ডাঃ প্রতীক, সাজ্জাদ হোসেন খান, আসিফ চৌধুরী লিমন, ফখরুল ইসলাম শাহীন, এন মোঃ রিমন, আরশে আজিম আরিফ প্রমূখ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম