Tag: চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল

  • করোনার টিকা মানুষের জন্য সহজলভ্য করে দিতে হবে : ডা: শাহাদাত

    করোনার টিকা মানুষের জন্য সহজলভ্য করে দিতে হবে : ডা: শাহাদাত

    চসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চিকিৎসা সেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। করোনা মহামারীর মধ্যে মানুষ তাদের চিকিৎসা পাওয়ার মৌলিক অধিকারগুলো ঠিকমতো পাচ্ছে না। সরকারের সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে তা ব্যাহত হয়েছে। অতি সাধারন মানুষগুলো তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এমতাবস্থায় করোনার টিকা মানুষের জন্য সহজলভ্য করে দিতে হবে। বেসরকারি খাতে দিয়ে হলেও মানুষ যাতে এই টিকা সহজভাবে পায় তার ব্যবস্থা নিতে হবে ।

    তিনি আজ শুক্রবার (১৫ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, আপনারা ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে নগর পিতা নয়, নগরবাসীর সেবক হিসেবে নির্বাচিত করুন। আমি চট্টগ্রামবাসীর সেবক হয়ে সুখ দুখে পাশে থাকবো। নগরীর ভোটারদের মাঝে প্রায় ৬০ শতাংশ ভাড়ায় বসবাস করে। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে তাদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করব। নগরবাসীর জন্য গণপরিবহন ও পার্কিং ব্যবস্থা উন্নত করবো। সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজমুক্ত চট্টগ্রাম উপহার দেবো। তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদেরকে ভোটকেন্দ্রে অতন্দ্র প্রহরীর মতো ভূমিকা রাখার আহবান জানান।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামীলীগ অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। তারা নির্ভর করে পেশী শক্তি ও রাষ্ট্র শক্তির উপর। কিন্তু বিএনপি বিশ্বাস করে ব্যালট বুলেটের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। ভোটাধিকার মানুষের পবিত্র আমানত। এই পবিত্র আমানত রক্ষার জন্য ২৭ জানুয়ারী ডাঃ শাহাদাত হোসেনকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জয়ী করতে হবে। আপনাদের একটি মূল্যবান ভোট হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির লড়াই। নেত্রীর মুক্তির লড়াইয়ে আপনাদের এক একটি ভোট হবে মুক্তির সনদ হিসেবে।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভোটের দিন ভোটাররা যেন ভয় ভীতি ছাড়া কেন্দ্রে আসতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে ইসিকে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যেন ভোটারদের হুমকি—ধুমকি দিতে না পারে সেজন্য কেন্দ্রের বাইরে প্রশাসনকে ভূমিকা রাখতে হবে। অন্যথায় যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সরকার এবং প্রশাসনকে দায়ী থাকতে হবে।

    বিশেষ বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল বলেন, বিগত নির্বাচন গুলোতে সরকার দিনের ভোট রাতে নেওয়ার কারণে মানুষ ভোট কেন্দ্রমুখী হচ্ছে না। আমরা চট্টগ্রামে সিটি নির্বাচনকে উৎসবমুখর পরিবেশে করার জন্য কাজ করছি। তাই নির্বাচনে ইসিকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্যথায় চট্টগ্রামবাসী সমুচিত জবাব দেবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ—সভাপতি আনু মোহাম্মদ শামীম আজাদ, আলহাজ জামির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলী, সহ—সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আজম খাজা, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সাদরেজ জামান, হাসান বিন শফিক সোহাগ, সহ—সাধারন সম্পাদক এম জি মাসুম রাসেল, সাইদুর রহমান মামুন, সহ— সাংগঠনিক সম্পাদক সরোয়ার আলম সারু, মহসিন চৌধুরী রানা, দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারন সম্পাদক সরোয়ার উদ্দীন সেলিম।
    বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনি: সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, শফিকুল ইসলাম রাহি, সহ—সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, শহীদুল্লাহ বাহার, এম এ ইউসুফ, সিরাজ উদ্দীন, মজিবুর রহমান, এ্যাড: সাইদুল ইসলাম, সেলিম রেজা, হারুন আল রশিদ, মামুনুর রহমান, মাইনুদ্দিন রাশেদ, শফিকুল আলম, এন আই চৌধুরী মাসুম, এম এ সালাম, এ্যাড: নাসির উদ্দীন আহমেদ রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সিনি: যুগ্ন সম্পাদক আলী মতুর্জা খান, যুগ্ন সম্পাদক জমির উদ্দীন নাহিদ, গিয়াস উদ্দীন সেলিম, সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া, জসিম উদ্দীন রকি, আবু বক্কর রাজু, আনোয়ার হোসেন এরশাদ, গোলাম সরোয়ার, ফজলুল কবির ফজলু প্রমুখ।

  • বিজয় দিবসে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বর্ণাঢ্য র‌্যালি

    বিজয় দিবসে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বর্ণাঢ্য র‌্যালি

    চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ইতিহাসে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াও গভীর শ্রদ্ধায় বেঁচে থাকবেন জনগণের হৃদয়ে। এদেশের মুক্তিকামী জনগণ ও জিয়াউর রহমান যে বাংলাদেশের জন্য লড়েছিলেন সেটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, আর আওয়ামী লীগের চেতনায় রয়েছে কর্তৃত্ববাদী, ফ্যাসিবাদী দর্শণ। সেকারণে তারা স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে সহ্য করতে পারে না।

    আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব যখন স্বাধীনতা ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হয়েছে সেখানে গভীর দেশপ্রেম এবং জনগণের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার টানে একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করার দু:সাধ্য কাজটি করতে এগিয়ে এসেছিলেন মেজর জিয়াউর রহমানই।

    বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বর্ণাঢ্য র‌্যালি পরবর্তী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি আরোও বলেন, যে গণতান্ত্রিক চেতনার উপর ভিত্তি করে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেই গণতন্ত্র আজ ফ্যাসিস্ট সরকারের দ্বারা লুন্ঠিত। দেশে গণতন্ত্র, মানুষের ভোটের অধিকার, আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার বলতে কিছু নেই। লুণ্ঠিত গণতন্ত্র পুন: প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ মিথ্যা মামলায় সাজাভোগ করছেন এবং দেশনায়ক তারেক রহমান নির্বাসনে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখতে এবং জনগণের কাছে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হলে বিজয়ের এই দিনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে কারামুক্ত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার দীপ্ত শপথ নিতে হবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন,শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে জীবন মৃত্যু উপেক্ষা করে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন বলেই আমরা আজ স্বাধীন দেশ পেয়েছি। তিনি মিশে আছেন মানুষের হৃদয়ে-অন্তর জুড়ে। তাই যারা কটাক্ষ করে অপবাদ দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন তারা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও জনগণের ভোটাধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান এর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা গনতন্ত্রের চূড়ান্ত বিজয় না আসা পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি
    তোফাজ্জল হোসেন, সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, খায়রুল আলম দিপু, এড.সাইদুল ইসলাম, মোঃ আসলাম উদ্দিন, হারুন আল রশিদ, মামুনুর রহমান, মঈনউদ্দিন রাশেদ, হারুন অর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মুর্তজা, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, গিয়াস উদ্দিন সেলিম,সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, নুরুল আলম শিপু, আবু বক্কর রাজু, গোলাম সরোয়ার ,আব্দুল হালিম গুড্ডু, সহ-সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, মনির শাহ্, সাজ্জাদ হোসেন, দিদার হোসেন, আব্দুল মান্নান আলমগীর, মনির হোসেন, শাহাদাত হোসেন সোহাগ, টিপু সুলতান, জাকির হোসেন, ইমরান চৌধুরী বাবলু, ইমদাদুল হক স্বপন, মোখলেছুর রহমান,আব্দুল মান্নান, মোঃ হাসান, নুহ গাজী সেলিম, মাহবুব খালেদ, রাসেল খান, সহ-সাংগঠনিক ইসহাক খান, নাছির উদ্দিন, মিজানুর রহমান সাইফুল, সাইফুল আলম দিপু, ইকবাল হোসেন রুবেল, মোঃ রবিউল ইসলাম

    সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নূর আলম, লুৎফর রহমান জুয়েল, এরশাদুল কাইয়ুম, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ এসকান্দর, মো. জসিম উদ্দিন, সহ-সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মোঃ জাহিদুল ইসলাম, বাকের হোসেন, আলমগীর হোসেন, আকতার হোসেন, খোরশেদ আলম, জাকির হোসেন মিশু, মোঃ সোহেল, জাহেদুল আলম, মোঃ কালাম, মোঃ পারভেজ সহ প্রমুখ।

    র‌্যালিটি কাজীর দেউড়ী মোড় থেকে শুরু করে লাভ লেইন, এনায়েত বাজার সহ নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিন করে।

  • সাইনবোর্ড থেকে জিয়ার নাম মুছে ফেলা হীন মানসিকতার বহি:প্রকাশ- রাশেদ

    সাইনবোর্ড থেকে জিয়ার নাম মুছে ফেলা হীন মানসিকতার বহি:প্রকাশ- রাশেদ

    জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এইচ. এম রাশেদ খান বলেন, সাইনবোর্ড থেকে মুছে দিলেও দেশের কোটি মানুষের হৃদয় থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলা যাবে না। মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ের মনি কৌঠায় অবস্থান করছেন। তিনি ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার ও রাখাল রাজা। তিনি কখনো ক্ষমতার মোহে রাজনীতি করেননি, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতেই রাজনীতি করেছেন। তাঁর জনপ্রিয়তাই ঈর্ষান্বিত হয়ে সরকার প্রতিহিংসা বশত এই ঘৃণ্য কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে।

    তিনি আজ মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) বিকালে নগরীর ইস্পাহানি মোড়ে ‘রাজধানীর পুরান ঢাকার মোগলটুলী এলাকায় জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে মোগলটুলী উচ্চ বিদ্যালয় নামকরণের’ প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।

    এতে তিনি আরও বলেন, সাইনবোর্ড ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে জিয়াউর রহমান নাম মুছে ফেলা, সরকারের হীন মানসিকতার বহি:প্রকাশ। সরকারের দুর্নীতি ও দু:শাসনের যাতাকলে দেশবাসী অতিষ্ঠ। লুটপাটের মাধ্যমে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে পুঙ্গু করা হয়েছে। বাংলাদেশী এমপি-মন্ত্রী ও আমলারা বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। জনগণের দৃষ্টি সরানোর জন্য তারা নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করে। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে এবং ইতিহাস বিকৃতির অংশ হিসেবে তারা আজ জিয়াউর রহমানের নাম অপসারণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের সকল ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবক দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করবে।

    কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, এদেশের জন্ম, মাটি ও মানুষের সাথে জিয়াউর রহমানের সম্পর্ক তাই ষড়যন্ত্র করে জিয়াউর রহমান এর নাম জনগণের হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যাবে না। জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কারণে আজকে সরকারি দল রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলাদেশের ইতিহাস মানে জিয়াউর রহমান, আর জিয়াউর রহমান মানেই বাংলাদেশ। আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ করে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে আছি। তাঁরা মানুষের কল্যাণের জন্য, এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য লড়াই করেছেন, এখনো করে যাচ্ছেন। আমরা মানুষের পক্ষে, জনগণের পক্ষে, জনগণের আর্থিক উন্নয়নের পক্ষে আছি। পুলিশ দিয়ে, মিথ্যা মামলা দিয়ে, জনগণের অধিকার আদায়ের লড়াই ও সংগ্রাম থেকে আমাদের বিচ্যুত করা যাবে না।

    চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ.এম রাশেদ খান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, হারুন আল রশিদ, মামুনুর রহমান , মঈনউদ্দিন রাশেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, দপ্তর সম্পাদক আবু বক্কর রাজু , সহ-সাধারন সম্পাদক হাজী মোঃ আলম,আকতার হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন,হাসান মাহমুদ, দিদার হোসেন, মনির হোসেন, শাহাদাত হোসেন সোহাগ, মো. জাকির হোসেন, ইমদাদুল হক চৌধুরী স্বপন, মোঃ হাসান, গাজী নুহ সেলিম, রাসেল খান, সহ-সাংগঠনিক ইসহাক খান, মোঃ লিটন, মাঈনুদ্দিন বারেক, মোঃ নাছির উদ্দিন, শাহাজাহান বাদশা, ইকবাল হোসেন রুবেল, মোঃ রবিউল ইসলাম, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আকবর হোসেন মানিক, জসিম উদ্দিন, নূর আলম, লুৎফর রহমান জুয়েল, ফরহাদ আলম মৃধা, সহ-সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মোঃ জাহিদুল ইসলাম, বাকের হোসেন, কার্যকরী সদস্য জাকির হোসেন মিশু, মোঃ জাবেদ সহ প্রমুখ।

    বিক্ষোভ মিছিলটি ওয়াসা মোড় থেকে আরম্ভ হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে।

  • মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন থেকে নেতাকর্মীদের বিচ্যুত করতে পারবে না: পারভেজ রেজা

    মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন থেকে নেতাকর্মীদের বিচ্যুত করতে পারবে না: পারভেজ রেজা

    কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম বিভাগীয় টিম প্রধান এবিএম পারভেজ রেজা বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে জগদ্দল পাথরের মত অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরেছে আওয়ামীলীগ। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনার নামে দেশে লুটপাট, নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। দেশের মানুষকে ধোঁকা দিয়ে সম্পদ বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। আর জোর করে ক্ষমতার মসনদ দখল করে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর স্টীম রোলার চালানো হচ্ছে। বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে প্রেরণ করা হচ্ছে।
    কোনো অপশক্তি ও ষড়যন্ত্রই সত্য ও ন্যায় এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন থেকে নেতাকর্মীদের বিচ্যুত করতে পারবে না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগণের ভোট ও মৌলিক অধিকারসমূহ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে ও দেশনায়ক তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে হবে। বিএনপির
    ভ্যানগার্ড হিসেবে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলকে সুসংগঠিত ভাবে গড়ে তুলতে সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।

    তিনি আজ মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরীর আওতাধীন থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন কল্পে বাকলিয়া, পাহাড়তলী ও হালিশহর থানার কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সভাপতি শওকত আজম খাজা বলেন, অশুভ শক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। তারেক রহমানের
    নেতৃত্বে আমরা দেশে গণতন্ত্র ফিরে আনব। দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসলে তারেক রহমান বীরের ভেসে দেশে ফিরে আসবে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ১৯দফা বাস্তবায়নে তিনি কাজ করবেন।

    সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচএম রাশেদ খান বলেন, গণতন্ত্র, সংবিধান, আইনের শাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে বিএনপির কোন বিকল্প নেই। ৯০ই এ রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে
    স্বৈরাচার সরকারকে উৎখাত করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। ফ্যাসিস্ট সরকারকে উৎখাত করতে জনগণকে সাথে নিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
    জনগণের গণআন্দোলনের কাছে নতিস্বীকার করতে বাধ্য হবে।

    চট্টগ্রাম নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ আওয়ামীলীগকে পছন্দ করে না। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারবেনা জেনেই তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে। দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে বিরোধী মত দমনে ব্যবহার করা
    হচ্ছে। কিন্তু সবকিছুরই একটা শেষ আছে। আওয়ামী স্বৈরাচারী শক্তিকেও বিদায় নিতে হবে। সময়ের ব্যবধানে তারাও ইতিহাসের আস্থাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

    চট্টগ্রাম নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম রাশেদ খানের সভাপতিত্বে, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর
    সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সওগাতুল ইসলাম সাগির, সহ-সাধারণ সম্পাদক এমজি মাসুম রাসেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সরওয়ার হোসেন সারু।

    উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, হারুন আল রশিদ, সেলিম রেজা, হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক
    সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, জসিম উদ্দিন রকি, আবু বক্কর রাজু, আনোয়ার হোসেন এরশাদ, গোলাম সরোয়ার, সহ-সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ আলম, জাকির হোসেন, মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, এমএ হানিফ, সোহাগ খান , দেলোয়ার হোসেন বাবু, নিজাম
    উদ্দিন বুলু, সৈয়দ মফিজ উদ্দিন সুমন, সহ-সাংগঠনিক ইসহাক খান, মোঃ নাসির উদ্দিন, মোঃ লিটন , মিজানুর রহমান সাইফুল।

    সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আকবর হোসেন মানিক, মোঃ আবুল কালাম , জাহাঙ্গীর হোসেন , সহ-সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মোঃ জাহিদুল ইসলাম, জাকির হোসেন মিশু, শরীফ আহমেদ রানা, কার্যকরী সদস্য মোঃ রাজীব, মেহেদী হাসান সহ প্রমুখ।

  • বেগম জিয়ার নেতৃত্বে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে: পারভেজ রেজা

    বেগম জিয়ার নেতৃত্বে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে: পারভেজ রেজা

    জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম প্রধান এবি এম পারভেজ রেজা বলেছেন, আজকের বাংলাদেশ গুম খুন ও ধর্ষণের বাংলাদেশ। আজকের বাংলাদেশ লুটপাঠ, দুর্নীতি ও দু:শাসনের বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ৫০ বৎসর পূর্তির প্রাক মুহুর্তে আমরা এই বাংলাদেশ চাইনি।

    বিরোধী দল ও মতের টুঁটি চেপে ধরে সরকার আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চায়। তাদের সে স্বপ্ন জনগণ পূরণ হতে দেবে না। জনগণের দাবী আদায়ে বিএনপি রাজপথে ছিল আগামীতেও থাকবে। আধিপত্যবাদী ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সেই আন্দোলনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সৈনিকেরা অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিয়ে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে।

    চট্টগ্রাম মহানগরীর আওতাধীন থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনকল্পে সোমবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক কোতোয়ালী, চকবাজার ও আকবর শাহ থানা আয়োজিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সওগাতুল ইসলাম সাগির বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার নামে ডিজিটাল কারচুপির মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। নতুন প্রজন্ম তাদের ভোটের অধিকার হারিয়েছে। শাসক গোষ্ঠীর অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই গৃহপালিত দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লেলিয়ে দেয়া হয়। গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে চলমান আন্দোলনকে নসাৎ করতে বিএনপি নেতা কর্মীদের বানোয়াট গায়েবী মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হচ্ছে।

    সভাপতির বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার সরকারের সকল অপচেষ্টা আজ ব্যর্থ। শত হামলা মামলা নির্যাতন নীপিড়ন স্বত্বেও নেতাকর্মীদের মনোবলকে দুর্বল করতে পারেনি। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে তারা যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারের আন্দোলন দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যাবে।

    নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, আগামী রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমান জাতীয়তাবাদী দলকে তৃণমূল পর্যায় থেকে সুসংগঠিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ত্যাগী, যোগ্য ও মেধাবীদের সমন্বয়ে শীঘ্রই থানা ওয়ার্ড।কমিটি গঠন করা হবে। নতুন নেতৃত্ব দলকে সুসংগঠিত করবে এবং চলমান আন্দোলনকে বেগবান করবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে স্থায়ী মুক্ত করে এবং দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে জনগণের অধিকার পুন:প্রতিষ্ঠা করবে।

    চট্টগ্রাম নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম রাশেদ খানের সভাপতিত্বে, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর সঞ্চালনায় কর্মী সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সাধারন সম্পাদক এমজি মাসুম রাসেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সরওয়ার হোসেন সারু।

    চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, মো.সিরাজ উদ্দিন, এডভোকেট সাইদুল ইসলাম, হারুন আল রশিদ, মামুনুর রহমান, হারুনুর রশিদ হারুন, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, নুরুল আলম শিপু, আনোয়ার হোসেন এরশাদ, আবু বক্কর রাজু, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো.সাজ্জাদ হোসেন, হাসান মাহমুদ, দিদার হোসেন, আলমগীর হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লিটন, মো.নাছির উদ্দিন, ইকবাল হোসেন রুবেল, সাইফুল আলম দিপু। সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আকবর হোসেন মানিক, জাহাঙ্গির হোসেন, তাজ উদ্দিন লিটন, আবদুল হান্নান, সহ-সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম, ইমরান সিদ্দিকী জেকসন, জাকির হোসেন মিশু, মো. রনি, মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, কার্যকরী সদস্য রুবেল খান, মোঃ সোহেল প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

  • দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে: পারভেজ রেজা

    দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে: পারভেজ রেজা

    জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম প্রধান এবি এম পারভেজ রেজা বলেছেন, দেশ ও জাতি আজ গভীর সংকটে নিমজ্জিত। দেশে গণতন্ত্র, মানুষের ভোটের অধিকার, আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার বলতে কিছু নেই। নির্বাচন কমিশন, আইন, বিচার ও শাসন বিভাগসহ সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়ে একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করছে সরকার।

    উন্নয়নের ফাঁকা বুলি ছড়িয়ে প্রিয় স্বদেশকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, লুটতরাজ, দুর্নীতিবাজ, ধর্ষকদের স্বর্গভূমিতে পরিণত করেছে। যে গণতান্ত্রিক চেতনার উপর ভিত্তি করে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেই গণতন্ত্র আজ নির্বাসনে। লুণ্ঠিত গণতন্ত্র পুন: প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ মিথ্যা মামলায় সাজাভোগ করছেন এবং দেশনায়ক তারেক রহমান নির্বাসনে।

    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান জাতীয়তাবাদী দলকে তৃণমূল পর্যায় থেকে সুসংগঠিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই উদ্ভট পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে প্রয়োজন দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখতে এবং জনগণের কাছে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে কারামুক্ত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

    চট্টগ্রাম মহানগরীর আওতাধীন থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনকল্পে আজ রবিবার (২২ নভেম্বর) বিকালে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল বন্দর ও সদরঘাট থানা আয়োজিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সভাপতি শওকত আজম খাজা বলেন, সংগঠনকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে ত্যাগী, যোগ্য ও মেধাবীদের সমন্বয়ে অচিরেই থানা ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হবে। নতুন নেতৃত্ব দলকে শক্তিশালী করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে স্থায়ী মুক্ত করে এবং দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠায় তারা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।

    সভাপতির বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেন, গোটা দেশ আজ আওয়ামী কারাগারে পরিণত হয়েছে। সাধারণ জনগণ ও বিরোধী দল ও মতাদর্শের মানুষেরা শান্তিতে নেই। দেশের এমন কোন থানা বা এলাকা নেই যেখানে বিএনপির অসংখ্য নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়নি এই ফ্যাসিস্ট সরকার। নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালত সর্বত্র আজ বিএনপি নেতাকর্মীদের ভীড়। আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা কেউ এই মামলা থেকে রক্ষা পায়নি। একটি অমানবিক পরিস্থিতি দেশে তৈরি হয়েছে। এই অবস্থা থেকে দেশবাসী মুক্তি চায়। আর সেই বৃহত্তর মুক্তি আন্দোলনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের শরিক হওয়ার জন্য আগামী দিনে প্রস্তুতি নিতে হবে।

    চট্টগ্রাম নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম রাশেদ খানের সভাপতিত্বে ও নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর সঞ্চালনায় কর্মী সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম
    সাধারণ সম্পাদক সওগাতুল ইসলাম সাগির,সহ-সাধারন সম্পাদক এমজি মাসুম রাসেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সরওয়ার হোসেন সারু, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, হারুন আল রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, জসিম উদ্দিন রকি, আবু বক্কর রাজু, সহ-সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান, ইমরান চৌধুরী বাবলু, মোঃ মোখলেছুর রহমান, এস্কান্দার মির্জা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সেলিম, রবিউল ইসলাম, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আকবর হোসেন মানিক, মোঃ এস্কান্দার, সহ-সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম,আকতার হোসেন, মোঃ সোহেল সহ প্রমুখ।

  • তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ

    তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অসমাপ্ত স্বপ্নপূরণে তারেক রহমান ১৯ দফা কর্মসূচির আলোকে নেতকর্মীদের সাথে নিয়ে দেশব্যাপী কাজ শুরু করেন। তার এই পথচলা মেনে নিতে পারে নাই ষড়যন্ত্রকারীরা। তারেক রহমান পারিবারিক উত্তরাধিকার হিসেবে রাজনীতিতে আসেননি। যোগ্যতা বলে রাজনীতিতে এসেছেন। তারেক রহমানের সুদূর প্রসারী চিন্তা ও কর্ম কৌশল দেখে আওয়ামী লীগ আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

    তিনি বলেন, রাজনীতিতে অংশগ্রহণের পরই তার জনপ্রিয়তা ও জাতীয়তাবাদী শক্তির জাগরণে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ভীত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করে। সরকার তারেক রহমানের জনপ্রিয়তাকে ভয় পায় বলেই একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে স্তব্দ করার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রই তারেক রহমানকে রুখতে পারবে না। অচিরেই সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে তিনি জনগণের মাঝে ফিরে আসবেন।

    তিনি আজ শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয় চত্বরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক, প্রিয়নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান এর ৫৬ তম শুভ জন্মদিন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও শিশুদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    এতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, তারেক রহমানের অভাবনীয় জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ওয়ান ইলেভেনের সরকার গভীর চক্রান্ত্রের নীলনক্সার চক একেছিল। তার নির্মম বলি হন আধুনিক রাজনীতির এই আইডল। কথিত দূর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা করা হয়। সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকার তাকে গ্রেফতার করে নির্মম নির্যাতন করে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে আরো অনেক মিথ্যে মামলায় জড়িত করেছে। এই অবৈধ বাকশালি সরকার অনেক চেষ্টা করেও একটি মামলা প্রমাণ করতে পারেনি।

    বিশেষ বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন,বাংলাদেশের জনগণের মুক্তি, অধিকার আদায় ও গণতন্ত্র রক্ষা করতে গিয়ে তারেক রহমান আজ পরবাসে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন। ৫৬ তম জন্মদিনে ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র নায়ক তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমান’র জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। ভবিষ্যৎ এ দেশনায়ক সুস্থ হয়ে বীরের বেশে দেশে ফিরে আসবেন এবং দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবেন, ইনশাআল্লাহ।

    সভাপতির বক্তব্যে এইচ এম রাসেদ খান বলেন, তারেক রহমান স্বেচ্ছাসেবক দলে নতুন প্রাণ সৃষ্টি করেছেন। দুঃসময়ে দূর থেকে দলকে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। কোন ষড়যন্ত্র তারেক রহমানের অগ্রযাত্রাকে দাবিয়ে রাখতে পারবেনা। তারই নেতৃত্বে ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতন হবে এবং দেশের গণতন্ত্র পূণরুদ্ধার হবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়ত হোসেন বুলুর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, এ্যাড.সাইদুল ইসলাম, মোঃ আসলাম, হারুন আল রশিদ, মামুনুর রহমান, এম এ সালাম, হারুনুর রশিদ হারুন, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, নুরুল আলম শিপু, আবু বক্কর রাজু, গোলাম সরোয়ার।

    উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ আলম, আব্দুল হাই, হাসান মাহমুদ, এম এ হানিফ, দিদার হোসেন, শওকত আকবর রিপন, মোঃ মনির হোসেন, শাহাদাত হোসেন সোহাগ, জাকির হোসেন, মিজানুর রহমান বাবুল, ইমরান চৌধুরী বাবলু, মোখলেছুর রহমান, আব্দুল মান্নান, মোঃ হাসান, মাহবুব খালেদ, নিজাম উদ্দিন বুলু, রাসেল খান, মোঃ আলমগীর, মফিজ উদ্দিন সুমন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক খান, মোঃ লিটন, সাইফুল আলম দিপু, ইকবাল হোসেন রুবেল, রবিউল ইসলাম, মোঃ সুমন, শাহজাহান বাদশা, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আকবর হোসেন মানিক, বাবুল মিঞা, লুৎফর রহমান জুয়েল, নুর আলম, মোঃ ইসকান্দর, বেলায়েত হোসেন মাসুদ, হারুনুর রশিদ মনি, মোঃ জসিম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর হোসাইন, ফরহাদ আলম মৃধা, আব্দুল হান্নান, সহ-সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মোঃ আলী, আকতার হোসেন, খোরশেদ আলম, মোঃ পারভেজ, মোঃ বারেক, জাকির হোসেন মিশু, ইমরান সিদ্দিকী জ্যাকসন, মোঃ রনি, কার্যকরী সদস্য আবুল হোসেন, নুরুল আলম রাজু প্রমুখ।

    আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল শেষে কদম মোবারক এতিমখানা ও হেফজখানার ১০০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়।

  • আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিএনপি শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবে: পারভেজ রেজা

    আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিএনপি শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবে: পারভেজ রেজা

    জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম প্রধান এবি এম পারভেজ রেজা বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, আইনের শাসন নিশ্চিত করে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং একটি সুখী সমৃদ্ধ স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শহীদ জিয়া দেশে যে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারার সুচনা করেছিলেন সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ ভুয়া ও ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফরমায়েসী রায়ে সাজা ভোগ করছেন।

    বিএনপি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক চড়াই-উৎড়াই, নানাবিধ ষড়যন্ত্র ও সীমাহীন জুলুম উপেক্ষা করে আজো বিএনপি তার লক্ষ্যে অটুট আছে।

    ভয়কে জয় করে সকল ষড়যন্ত্র নস্যাত করে বিএনপি দুর্বার গতিতে সামনে এগিয়ে চলছে। বিএনপির অগ্রযাত্রা রুখে দাড়াঁনোর সাধ্য কারো নেই। আপাদমস্তক দুর্নীতিতে নিমজ্জিত থাকা আওয়ামী ফ্যাসীবাদী অপশক্তির হাত থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিএনপি শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবে। শহীদ জিয়ার ১৯দফা বাস্থবায়নের মাধ্যমে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সৈনিকদের আরও অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে হবে।

    চট্টগ্রাম মহানগরীর আওতাধীন থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনকল্পে আজ বুধবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ইপিজেড ও পতেংগা থানা আয়োজিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সভাপতি শওকত আজম খাজা বলেন, আওয়ামী লীগের মুখে উন্নয়নের বুলি থাকলেও আড়ালে দুর্নীতি আর লুটপাটের মহোৎসব। দেশে এখন আছে শুধু খুন, গুম, ধর্ষণ, দুর্নীতি ও শেয়ারবাজার লুটেরা। আর ‘উন্নয়ন’ হচ্ছে তাদের দুর্নীতির মূল খোড়াক। জনগণের উপর নানাবিধ ট্যাক্স ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সহ বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি করে তারা লুটপাটের টাকা সমন্বয় করে। দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ তাদের পছন্দ করেনা। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারবেনা জেনেই তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে। দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে বিরোধী মত দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু সবকিছুরই একটা শেষ আছে। আওয়ামী স্বৈরাচারী শক্তিকেও বিদায় নিতে হবে। সময়ের ব্যবধানে তারাও ইতিহাসের আস্থাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

    সভাপতির বক্তব্যে এইচ এম রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র এক সাথে চলার নজির নেই। যখনই তারা ক্ষমতায় গিয়েছে হয়তো বাকশাল করেছে, নয় তো গণতন্ত্র হত্যা করেছে। ভোট চুরি করে, বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতায় থাকা যায়, কিন্তু মানুষের ভালবাসা পাওয়া যায়না। বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। গণমানুষের প্রিয় এই দলকে দমিয়ে রাখার সাধ্য কারো নেই। বিএনপি ছিল আছে এবং থাকবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল আর দেশনেত্রী খালেদা জিয়া দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। দেশনায়ক তারেক রহমান আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশের কান্ডারি। তাই তো বাকশালী ফ্যাসিস্ট সরকার বিএনপি এবং শহীদ জিয়ার পরিবারকে ভয় পায়।

    চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর সঞ্চালনায় উক্ত কর্মী সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের সদস্য ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সওগাতুল ইসলাম সাগির,সহ – সাধারণ সম্পাদক মোকসেদ আলম, সহ- সাধারণ সম্পাদক এম জি মাসুম রাসেল, সহ – সাংগঠনিক সম্পাদক সরোয়ার হোসেন সারু, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সহ-সভাপতি হারুন আল রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম।
    পতেঙ্গা ও ইপিজেড থানার আওতাধীন মহানগর নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সাধারন সম্পাদক মোঃ সাজ্জাদ হোসেন,সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহাগ খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুদ্দীন বারেক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সুমন, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক নাসিরুল ইসলাম মানিক,শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সাইফুল রহমান, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ফরহাদ আলম মৃধা, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মোক্তার হোসেন, সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন মাহমুদ নিজাম।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম