Tag: চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল

  • চট্টগ্রামে ৩০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট উদ্বোধন করলেন ভুমিমন্ত্রী

    চট্টগ্রামে ৩০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট উদ্বোধন করলেন ভুমিমন্ত্রী

    সাধারণ মানুষের দানের ২০ কোটি টাকায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৩০ শয্যার আইসিইউ ইউনিটের উদ্বোধন করা হয়েছে।

    আজ শনিবার চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ৩০ শয্যার আন্তর্জাতিক মানের আইসিইউ ইউনিটের উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এম এ তাহের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী বলেন, বরাবরের ন্যায় মা ও শিশু হাসপাতালের প্রতি চট্টগ্রামবাসীর আন্তরিকতা অক্ষুন্ন রয়েছে। যখনই প্রয়োজন হয়েছে, নগরবাসী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। করোনার মতো সংকটময় মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই আইসিইউ ইউনিট।

    তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হাসপাতাল পরিচালনা করতে হবে সস্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিকভাবে। যাতে মানুষ এ হাসপাতালে সেবা পেয়ে উপকৃত হয় এবং সেবা নিতে বারবার এ হাসপাতালকেই বেছে নেয়। এসময় তিনি আরও বলেন, আইসিইউ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনায় কঠোর পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে যাতে, বাহকের মাধ্যমে জীবাণু প্রবেশ করতে না পারে।

    চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল সুত্র জানায়, ধনাঢ্যদের দানের ২০ কোটি টাকায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৩০ শয্যার আইসিইউ স্থাপন করা হয়। সিঙ্গাপুর ও ব্যাংককের আদলে আধুনিক যন্ত্রপাতির ওই ৩০ শয্যার আইসিইউতে আছে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা। ওই আইসিইউতে একই ছাদের নিচে সব ধরণের সেবার পাশাপাশি কম খরচে সাধারণ মানুষ সেবা পাবে।

    চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের আইসিইউ প্রধান অলক নন্দী জানান, ধনাঢ্য ব্যক্তিদের দানের টাকায় স্থাপিত এই আইসিইউ থেকে কম খরচে উন্নতমানের সেবা পাবেন গরিব রোগীরা। করোনা মহামারিতে পাশে থাকবে সাধারণ মানুষের। আইসিইউতে আছে ডায়ালাইসিস ও আলাদা আইসোলেশন আইসিইউ। এটি নির্মাণে খরচ হয়েছ ২০ কোটি টাকা।

    চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের জেনারেল সেক্রেটারি মো. রেজাউল করিম আজাদ বলেন, আমরা করোনার নতুন ধরন বিএফ সেভেন মোকাবিলায় প্রস্তুত। প্রয়োজন হলে আরও শয্যা বাড়াব। করোনায় শ্বাসকষ্টের রোগীদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আইসিইউ সেবা। আগামীর ভয়ংকর নতুন ধরন বিএফ.৭ মোকাবিলায় আছে আলাদা আইসোলেশন আইসিইউও।

    আইসিইউ ইনচার্জ ডা. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, সাধারণ মানুষ কম খরচে এক লাখ টাকার সেবা পাবে মাত্র ৮ হাজার টাকায়। উন্নত বিশ্বের আদলে এই আইসিইউ তৈরি করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর ও ব্যাংককের আদলে হয়েছে সবই।
    মহামারি করোনার ভয়াবহ সময়ে চট্টগ্রামে আইসিইউ বেডের জন্য স্বজনদের আহাজারি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অসহায়ত্ব দেখেছে চট্টগ্রামবাসী। এমনকি ছেলের জন্য আইসিইউ বেড ছেড়ে দিয়ে মা প্রভা পালের মৃত্যুর মর্মান্তিক ঘটনাও সেই সময় নাড়া দিয়েছিল নগরবাসীকে। সেই ভয়াবহতা ও সংকটময় মুহূর্ত থেকে শিক্ষা নিয়ে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের ৩০ শয্যার আইসিইউ বেড।

  • চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু ৩, শনাক্ত ৫৩

    চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু ৩, শনাক্ত ৫৩

    চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ২৬৮ জনে। একইসাথে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন ৫৩ জন। ফলে জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ লাখ ৮০১ জনে।

    রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

    আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু ২, শনাক্ত ১০৬

    প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন ল্যাবে ১ হাজার ১১৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৩ জনের দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে নগরের ৩০ জন এবং উপজেলার ২৩ জন।

    সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ল্যাবে ১৭ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৫ জন ও শেভরণ হাসপাতাল ল্যাবে ১ জনের শরীরে করোনার শনাক্ত হয়।

    একই সময়ে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৬ জন, জেনারেল হাসপাতাল আরটিআরএল ল্যাবে ২ জন এবং ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ২ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

    এন-কে

  • মাতৃত্বকালীন ছুটি বাতিল করে করোনা ইউনিটে রোগীর সেবা করার আগ্রহ ডা. মাহমুদা আফরোজা’র

    মাতৃত্বকালীন ছুটি বাতিল করে করোনা ইউনিটে রোগীর সেবা করার আগ্রহ ডা. মাহমুদা আফরোজা’র

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের জেনারেল সার্জারি বিভাগের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত নবীন চিকিৎসক মাহমুদা সুলতানা আফরোজা।

    স্বামী ম. মাহমুদুর রহমান শাওন। তিনি একজন সমাজকর্মী ও ব্যবসায়ী। তাদের কোল জুড়ে ফুটফুটে এক সন্তান এসেছে চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি।

    এ দম্পত্তির সদ্যজাত পুত্র সন্তানের নাম রেখেছেন আজমাইন রহমান জেইন। সন্তান জন্মগ্রহণের পর থেকে নবীন এ চিকিৎসক ছিলেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে।

    মায়ের আদর স্নেহ ও ভালবাসায় দেখতে দেখতে সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুটির বয়স এখন চার মাস পেরিয়ে গেছে। এরপরও সময়টা মায়ের বুকের দুধই একমাত্র সন্তানের খাবার। আর বেড়ে উঠতে প্রতিমুহুত্বে চাই মায়ের মমতা, আদর আর পরশ।

    তবে সবকিছুর মায়া ত্যাগ করে একজন মা হিসেবে নয় বরং একজন চিকিৎসক হিসেবে একাধিক মায়ের প্রাণ রক্ষার্তে ছুটে যেতে চান পেশায়। বৈশ্বিক মহামারির এই সময়ে নিজের মমতাময়ী সন্তানের কথা ভুলে মাতৃত্বকালীন ছুটি বাতিল চেয়ে আবেদন করেছে নিজ কর্মস্থলের হাসপাতালে।

    শুধ তাই নয়, হাসপাতালে নতুন করে প্রস্তুত করা করোনা ওয়ার্ডের রোগীদের চিকিৎসার আগ্রহ প্রকাশ করেন ডা. মাহমুদা সুলতানা আফরোজা। তার এই আবেদনের ফলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমে ইতস্ততবোধ করলেও পরে ওই চিকিৎসকের আগ্রহের কারণে আবেদন গ্রহণ করেন।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে ডা. মাহমুদা সুলতানা আফরোজা ২০১৬ সালে এমবিবিএস পাস করেন। ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর তিনি মা ও শিশু হাসপাতালের জেনারেল সার্জারি বিভাগের মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগ দেন।

    কোভিড-১৯ সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীদের সেবাদানে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। আর এ কঠিন সময়ে একের পর এক নার্স ও চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী সংকট দেখা দিয়েছে।

    ঠিক এমন সময়ে মাতৃত্বকালীন ছুটি বাতিলের আবেদন করেছেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের জেনারেল সার্জারি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদা সুলতানা আফরোজা।

    তথ্যটি নিশ্চিত করে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির ট্রেজারার রেজাউল করিম আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, করোনার কঠিন পরিস্থিতিতে মাতৃত্বকালীন ছুটি বাতিল করে করোনা ওয়ার্ডের রোগীদের সেবা করার আগ্রহ প্রকাশ করে কঠিন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে চিকিৎসক আফরোজা।

    বিষয়টি অত্যন্ত মানবিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিজের সন্তানকে রেখে ঝুঁকি নিয়ে করোনা ওয়ার্ডে কাজ করাটা অনেক বড় বিষয়। উন্নত মানসিকতা লালন করেন বলেই তিনি এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন। সাধুবাদ জানাই এ সিদ্ধান্তকে। ডা. মাহমুদা সুলতানা আফরোজার বিষয়টি দেখে অন্যরা অনুপ্রাণিত হবেন।

    এ ব্যাপারে ডা. মাহমুদা সুলতানা আফরোজা বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে স্তব্ধ চারিদিক। ঘরবন্দি মানুষ। চারিদিকে করোনা আতঙ্ক। সাধারণ মানুষের অভিযোগ এমন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা পাচ্ছেন না সাধারণ রোগীও।

    বৈশ্বিক মহামারিতে একজন চিকিৎসক হিসাবে ঘরে বসে থাকাটা সমীচীন মনে করছি না। চিকিৎসা না দিলে নিজের মধ্যে অপরাধবোধ কাজ করছে। বিবেকের তাড়ানায় আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

    তিনি বলেন, এমন কঠিন মুহূর্তে করোনাকালীন সময়ে চিকিৎসক সংকট আছে। তাই রেগীদের চিকিৎসা না দিয়ে ঘরে বসে থাকা সম্ভব না। ফলে মাতৃত্বকালীন ছুটি বাতিল করে করোনা ওয়ার্ডের রোগীদের সেবা করার চিন্তা থেকেই পারিবারিকভাবেই আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরত দেয়া মানবতাবিরোধী আচরণ:তথ্যমন্ত্রী

    হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরত দেয়া মানবতাবিরোধী আচরণ:তথ্যমন্ত্রী

    ‘করোনার এ সময়ে সুযোগসুবিধা থাকা সত্ত্বেও হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরত দেয়া মানবতাবিরোধী আচরণ’ উল্লেখ করে এসময়ে যারা চিকিৎসা দিচ্ছেন, তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম ৭ আসনের এমপি ড. হাছান মাহমুদ।

    তিনি আজ শনিবার (৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে করোনা ইউনিট উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

    ভূমিমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম ১৩ আসনের এমপি সাইফুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম ৯ আসনের এমপি ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন।

    ড. হাছান মাহমুদ চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে ৫০ বেডের কোভিড ইউনিট স্থাপনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আজ মা ও শিশু হাসপাতাল যেভাবে এগিয়ে এসেছে, তা অন্যদের জন্য উদাহরণ তৈরি করেছে।

    তিনি বলেন আজকের পত্রিকায়ও আমরা দেখছি, হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভর্তি হতে না পেরে স্ত্রীর সামনে অসহায়ভাবে স্বামীর মৃত্যু ঘটেছে। এধরণের মর্মান্তিক ঘটনা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত।

    ‘কোনো হাসপাতাল থেকে রুগীকে এভাবে ফেরত দেয়া মানবতাবিরোধী কাজ এবং যেসব হাসপাতাল এটি করছে, তারা চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কাছ থেকে শিক্ষা নেবে’ বলে আশা প্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী।

    সেইসাথে তিনি জানান, সরকার এগুলো পর্যবেক্ষণ করছে এবং সময়মতো কঠোর ব্যবস্থা নেবে। ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে করোনার সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ করে তাদের এসময় কাজে আসতে না চাওয়াটা কোনোভাবে সমীচীন নয়।

    তিনি বলেন, ‘তারা মানুষকে চিকিৎসা ও সেবাদানের জন্যই লেখাপড়া করেছেন। তাদের হাত গুটিয়ে নেয়া যুদ্ধের ময়দান থেকে সৈন্য পলায়নের মতো।’

    এসময় পুলিশবাহিনীর উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, মৃত ব্যক্তির পরিবার যেখানে এগিয়ে আসেনি, পুলিশ ও প্রশাসন সেখানে সৎকারের ব্যবস্থা করেছে।

    তথ্যমন্ত্রী এ মহামারি পরিস্থিতিতে গুজব ও আতংক ছড়ানো প্রতিরোধে গণমাধ্যমকর্মীদের অব্যাহত ভূমিকার প্রশংসা করেন ও সবাইকে অহেতুক সমালোচনা পরিহার করে মানুষের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

    চট্টগ্রামে অন্যান্য হাসপাতালও মা ও শিশু হাসপাতালের মতো দ্রুত এগিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী যেসব ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী এসময় কাজে আসতে অপারগতা জানিয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করতে বলেন।

    শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, এই ইউনিট চালুর ফলে চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসা একধাপ এগিয়ে গেলো।

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবি এম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতির সমন্বয়ক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম মোর্শেদ হোসেন, পরিষদ সদস্য ও করোনা ইউনিট উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ জাবেদ আবছার চৌধুরী এবং ট্রেজারার রেজাউল করিম আজাদও এ সময় বক্তব্য রাখেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • অবিলম্বে মা ও শিশু হাসপাতালকে করোনা বিশেষায়িত ঘোষণার দাবীতে মানববন্ধন

    অবিলম্বে মা ও শিশু হাসপাতালকে করোনা বিশেষায়িত ঘোষণার দাবীতে মানববন্ধন

    অবিলম্বে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালকে করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করার দাবী জানিয়েছেন জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আজ রবিবার (৩১ মে) সকাল ১১ ঘটিকায় মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে নাগরিক উদ্যোগ আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

    এ সময় সুজন বলেন বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে মুক্ত করতে প্রতিদিনই নানারকম দিকনির্দেশনা প্রদান করছেন। দেশের রাজধানী ঢাকার পরেই চট্টগ্রামের স্থাণ। চট্টগ্রামের গুরুত্ব বিবেচনা করে চট্টগ্রামের মানুষকেও এ ভাইরাসের কবল থেকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী তার কার্যকরী পরিকল্পনা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর এতোসব উদ্যোগের পরেও চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসায় নানারকম অসঙ্গতি, অব্যবস্থাপনা লেগেই রয়েছে। সর্বত্র চিকিৎসাসেবা নিয়ে মারাত্নক হাহাকার।

    সুজন বলেন,আজ এটা আছে তো কাল সেটা নেই, আবার কাল সেটা আছে তো পরশু ওটা নেই। যেন লেজেগোবরে অবস্থা। সরকার কিংবা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোন সিদ্ধান্তই এখানে সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ফলতঃ চট্টগ্রামের মানুষ এক প্রকার বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচলে দিনাতিপাত করছে। কোথায় গেলে কাংখিত চিকিৎসাসেবা পাওয়া যাবে তার কোন সদুত্তর নেই। মানুষের জীবন মৃত্যুর এ সন্ধিক্ষণে বেসরকারি হাসপাতালগুলো প্রতিদিনই তাদের নিত্যনতুন গল্প জনগনের সামনে উপস্থাপন করছে। তারা প্রতিদিন করোনা চিকিৎসায় তাদের নানারকম প্রস্তুতির কথা শুনিয়েই সময় পার করছে অথচ চিকিৎসাসেবার জন্য তাদের দুয়ারে গেলে তাদের সে দুয়ার আর খোলে না।

    তিনি বলেন,এমন যখন দুরবস্থা চারিদিকে তখন চট্টগ্রামের কিছু হাসপাতাল করোনা রোগীদের চিকিৎসায় এগিয়ে আসলেও তাদেরকে সেভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে না। অন্যদিকে প্রতিদিনই জনগনের অমূল্য প্রাণ বিনা চিকিৎসায় নিভে যাচ্ছে। অথচ আমরা যদি একটু মানবিক হয়ে এগিয়ে আসতাম তাহলে হয়তো অমূল্য জীবনগুলো বাঁচাতে পারতাম। চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র আগ্রাবাদের জাম্বুরী মাঠের পাশেই বিশাল আকারের স্থাপনা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে রয়েছে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের নতুন ভবনটি। এ হাসপাতালটি যে কোন সময় ৪০০ মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। রয়েছে পর্যাপ্ত আইসিইউ সুবিধা। এখন শুধু প্রয়োজন হাসপাতালটিকে করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা প্রদান করার।

    তিনি বলেন,বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মা ও শিশু হাসপাতালকে ঘিরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করেছে জনগনের স্বাস্থ্যসেবার কথা মাথায় রেখে। প্রধানমন্ত্রীর শুভ উদ্যোগটি পুরোপুরি পরিপূর্ণতা লাভ করবে যদি হাসপাতালটিকে সম্পূর্ণ করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলা যায়। আমরাও চাই হাসপাতালটি চট্টগ্রামের করোনা চিকিৎসায় মাইলফলক হিসেবে কাজ করুক। অথচ কেন জানিনা এ হাসপাতালটিকে করোনা চিকিৎসায় বিশেষায়িত হাসপাতালের ঘোষণা না দিয়ে অযথা সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে।

    সুজন বলেন,মা ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও চায় স্বাস্থ্যসেবার চরম এ দুঃসময়ে তারা জনগনের পাশে গিয়ে দাড়াবে কিন্তু তাদেরকেও সে সুযোগটা পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। অথচ যারা হাসপাতাল সুবিধা দেওয়ার কথা বলে বারবার জনগনকে প্রতারিত করছে তাদের পিছনেই আমাদের সকল সময় এবং প্রস্তুতি বিনষ্ট করা হচ্ছে, কিন্তু কেন? আমরা স্পষ্টতই দেখতে পাচ্ছি যে জনগনকে পরিকল্পিতভাবে চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত করে সরকারের বিরুদ্ধে জনগনকে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য একটি মহল বিশেষভাবে চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। মা ও শিশু হাসপাতালকে করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল ঘোষণা না দেওয়াটা তাদের সে চক্রান্তেরই অংশ।

    সুজন অভিযোগ করে বলেন যাদের অদৃশ্য আঙ্গুল হেলনীতে সরকারের শুভ উদ্যোগসমূহ বাঁধাপ্রাপ্ত হচ্ছে তারা সকলেই হত্যাকারী। এদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের জনগন মামলাসহ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছে।

    তিনি বলেন সরকার জীবন ও জীবিকার তাগিদে ধীরে ধীরে সবকিছু চালু করতে যাচ্ছে। সেই সাথে মানুষের জীবন বাঁচানোর তাগিদে চিকিৎসাসেবাও সম্প্রসারন করতে হবে। চট্টগ্রাম দেশের অর্থনৈতিক হৃদপিন্ড, বাণিজ্যিক রাজধানী। চট্টগ্রামের মানুষকে মৃত্যুর মিছিলের দিকে ঠেলে দিয়ে কোন উন্নয়নই পরিপূর্ণ রূপ লাভ করবে না বলেও মন্তব্য করেন সুজন।

    তিনি অবিলম্বে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালকে করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালের ঘোষণা দেওয়ার আহবান জানান নচেৎ চট্টগ্রামের জনগনকে সাথে নিয়ে চট্টগ্রামের জনগনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে অনশনসহ প্রয়োজনীয় সকল কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলেও মানববন্ধনে ঘোষণা করেন তিনি।

    নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসন এর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রহমান মিয়া, মোরশেদ আলম, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের আজীবন সদস্য ফোরামের সদস্য সচিব লায়ন মাহমুদুর রহমান শাওন, আজীবন সদস্য জাহিদ তানছির, এম. এ জলিল, মোঃ শাহজাহান, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ ওয়াসিম, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক রনি মির্জা, ইব্রাহিম বাপ্পি, সাজ্জাদ হাসান মনু, মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক কালাচাদঁ ভট্টাচার্য সীমান্ত, হাসান মুরাদ, ফরহাদ সায়েম, মোহাম্মদ কাইয়ুম, শহিদুল ইসলাম শহিদ, মো.আবিদ, সাজ্জাদ হোসেন সাজ্জাদ, নাজমুল আলম শুভ, শুভ চক্রবর্ত্তী, আজম আলী জুয়েল, শাহাদাত আলম সাগর, আসিফ খান, অনিক চক্রবর্তী, প্রান্ত দে (পার্থ), পিয়াল দে, মেহেরাজ খান অপি, সাদমান জাওয়াদ, রেদোয়ান খান সাফিন, আরফিন চৌধুরি রবিন, জিহান আলী খান, সাদ্দাম হোসেন ইভান প্রমূখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর