Tag: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন

  • আমার মেয়াদকালীন সময়ে কেউ দুর্নীতি করে পার পাবেনা-সুজন

    আমার মেয়াদকালীন সময়ে কেউ দুর্নীতি করে পার পাবেনা-সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন করপোরেশনের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে তাঁর কঠোর অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সেই সাথে নির্দেশ দিয়েছেন নগরীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে চসিকের ব্যাহাত সম্পত্তি উদ্ধারের।

    তিনি আজ টাইগারপাসস্থ নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠকে এই ঘোষণা দেন।

    তিনি আরো বলেন, আমার মেয়াদকালীন সময়ে কেউ দুর্নীতি করে পার পাবেনা। আমি যদি নিজে দুর্নীতি করি তাহলে আমাকে কেনো আপনারা সুযোগ দেবেন। আপনাদেরও দ্বায়িত্ব আছে। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের চিত্র দেখে প্রশাসক অসন্তোষ প্রকাশ করে আগামী একমাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায় এবং চট্টগ্রাম মহানগরের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন।

    রাজস্ব বিভাগে কর্মরতরা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করার তাগাদা দিয়ে প্রশাসক বলেন, আপনাদের উপরই চসিকের আর্থিক সঙ্গতি নির্ভরশীল। বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ চসিকের আয় সংশ্লিস্ট খাতসমূহকে শক্তিশালী করতে রাজস্ব বিভাগে কর্মরতদের ভূমিকা অপরিসীম।

    তিনি বলেন, চসিকের রাজস্ব খাতটি হচ্ছে আমাদের মূল চালিকা শক্তি। এথেকেই চসিকের সকল কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। তাই হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদানে নগরবাসীকে উব্দুদ্ধ করতে রাজস্ব বিভাগে কর্মরতদের পরামর্শ দেন প্রশাসক।

    সম্প্রতি রাজস্ব বিভাগে আভ্যন্তরিন বদলী বিষয় তুলে ধরে প্রশাসক বলেন, এটি একটি চলমান পক্রিয়া। এতে করে এক সার্কেলে কর্মরতরা অন্য সার্কেলে গিয়ে অভিজ্ঞতা আদান-প্রদানের সুযোগ পাবেন। রাজস্ব আদায়কারীদের মধ্যে যারা তাদের টার্গেট ফিলাপ ও আয়বর্ধক কাজে অবদান রাখবেন তাদের চসিকের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হবে বলে প্রশাসক জানান অন্যথায় ব্যর্থতার দায়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনও করা হবে।

    তিনি রাজস্ব আনাদায়ী হোল্ডিং নম্বরগুলো চিহ্নিত করে স্ব স্ব এলাকায় প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেন।

    মতবিনিময়কালে চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দোহা,সবিচ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা সাহেদা পারভীন, সহকারী এস্টেট অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন, কর কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন, মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, নুরুল আলম, এস এম সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ ইউসুফ,উপ কর কর্মকর্তা এখলাস উদ্দিন আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    চসিকের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত, অলংকার মোড়ে উচ্ছেদ হলো অবৈধ দোকান

    চট্টগ্রাম নগরীর প্রবেশদ্বার সিটি গেইট হতে অলংকারমোড়ে এতদিন যাবত অবৈধ স্থাপনাসমূহ শহরের সৌন্দর্যহানি ও যানজটের কারণ হয়ে উঠেছিল। চসিকের বর্তমান প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন দায়িত্ব নেয়ার পর এই বিষয়টি আমলে এনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা প্রদান করেন। এরই অংশ হিসেবে আজ বৃহষ্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জাহানারা ফেরদৌস এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়।

    অভিযানকালে নগরীর অলংকার মোড়স্থ ২টি যাত্রী ছাউনি সংলগ্ন অবৈধ দুটি দোকান ও নির্মাণাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ করে রাস্তা ও ফুটপাতের জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়।

    উল্লেখ্য উক্ত সড়কে আরো কিছু অবৈধ দোকানপাট থেকে যাওয়ায় মানবিক দিক বিবেচনায় তাদেরকে আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে নিজ দায়িত্বে সকল স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। অন্যথায় কর্পোরেশন উচ্ছেদকালে উচ্ছেদের সমস্ত ব্যয়ভারসহ জরিমানা আদায় করা হবে। আজকের এই উচ্ছেদের ফলে জনমনে স্বস্থি ও যানজট অনেকাংশে কমে আসবে বলে অভিমত জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এজন্য তারা প্রশাসকসহ চসিকের সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।

    অভিযানকালে চসিক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ.কে.এম রেজাউল করিম,নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়বসহ সিএমপি পুলিশ ও চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয়ের সাথে ছিলেন।

    চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম এর সাথে
    দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম.এ মালেকের সৌজন্য সাক্ষাত

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, বাংলাদেশের প্রথম দৈনিক আজাদী চট্টগ্রামের একটি মাসদর্পন। বিশেষত চট্টগ্রামের রাজনীতি,সাহিত্য,সংস্কৃতি ও শিল্প বিকাশে এ গণমাধ্যমটি যুগের চাহিদা পূরণ করেছে। আমি মনে করি দৈনিক আজাদী কর্তৃপক্ষ তাদের অতিতের কথা স্মরণ রেখে সংবাদ পত্র জগতে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে যাবে। যারা আজাদীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাদের চাওয়া পাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে এবং আজাদীর সাথে সংশ্লিষ্টরাও মালিক পক্ষের সাথে সু-সম্পর্ক বজিয়ে রেখে সাংবাদিকতা ও জনদায়বদ্ধতার ক্ষেত্রটিকে একটি শৃজনশীল ক্ষেত্র হিসেবে সুন্দর ও পারস্পরিক সহাবস্থানের সেতুবন্ধন রচনা করবেন।

    তিনি আজ অপরাহ্নে দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম.এ মালেক এর বাসভবনে তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে একথাগুলো বলেন।

    তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত পাঁচটি দৈনিক পত্রিকার প্রকাশনা আকস্মিকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় পনের দিন ধরে পাঠকরা এসব পত্রিকা পড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সংবাদমাধ্যম সূত্রমতে জানা যায় চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) বেতন বোনাসের দাবিতে দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেকের বাসা ঘেরাও কর্মসূচি পালনের পর থেকে এই সংকটজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে সাংবাদিকসহ পত্রিকায় কর্মরতরা গভীর সংকটের মধ্যে পড়েছেন। শুধু তা নয়, পাঠকরাও তাদের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ প্রেস শ্রমিকরা চাকরি হারানোর শঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই পত্রিকার বিক্রি আগের তুলনায় অনেকাংশে কম, তার ওপর আকস্মিক পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শত,শত হকারের উপার্জনের পথও সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে বসে সংকটময় এ পরিস্থিতি উত্তরনের অনুরোধ জানান চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রামবাসী চাতকের মত তাকিয়ে আছে কখন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে প্রিয় পত্রিকাগুলো আবারও পড়তে পারবেন।

    জাতীয় শোক দিবস-২০২০ উপলক্ষ্যে চসিকের কর্মসূচী
    স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস ২০২০ ইং পালনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচীর আলোকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর্মসূচীর মধ্যে ১৪ই আগস্ট শুক্রবার সকালে চসিক পরিচালিত সকল কিন্ডারগার্টেন ও বিদ্যালয় এবং কলেজ পর্যায়ে অন লাইন (পযরবভবফঁপধঃরড়হড়ভভরপব১৮@ুধযড়ড়.পড়স ঠিকানায় পিডিএফ বা জেপিজি ফরম্যাটে প্রেরণ) রচনা প্রতিযোগিতা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা।

    ১৫ আগস্ট শনিবার সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকাসহ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পতাকা অর্ধনমিত করণ (চসিকের প্রধান কার্যালয়সহ সকল আঞ্চলিক অফিস, ওয়ার্ড অফিস, স্কুল, কলেজ, হাসপাতালসহ কর্পোরেশনের অন্যান্য সকল কার্যালয়) এবং কালো ব্যাজ ধারণ। সকাল ৯টা ০১ মিনিটে টাইগারপাস্থ নগরভবন প্রাঙ্গনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন, সকাল ৯ টা ১৫ মিনিটে টাইগারপাস্থ নগরভবনের মিলনায়তনে খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল, বিশেষ মোনাজাত, এতিম সমাবেশ, তবারুক বিতরণ ও আলোচনা সভা। সকাল ১০ টায় টাইগারপাসে বৃক্ষরোপন কর্মসুচী উদ্বোধন। সকাল সাড়ে ১০ টায় দিনব্যাপী ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান কর্মসূচী । এর পর চসিক পরিচালিত মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, সমূহে মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাত এছাড়াও মন্দির, গির্জা ও প্যাগোড়ায় বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।

    উল্লেখিত সকল কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। চসিকের এসব কর্মসূচীগুলোতে সংশ্লিস্ট সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।

    দানেশ ফাউন্ডেশন চারাগাছ প্রদান: আজ সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক নগরভবনে ৫শ চারাগাছ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের হাতে তুলে দিয়েছেন দানেশ ফাউন্ডেশন। এসব চারাগাছের মধ্যে ফলজ,বনজ ও ওষুধি গাছ রয়েছে।

    এসময় চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আদিল মো. সরফরাজ চৌধুরী, উপদেষ্টা এস এম নুরুল হক, আকতার মিয়া, আনাস চৌধুরী, শোয়েবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্বে খোরশেদ আলম সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্বে খোরশেদ আলম সুজন

    অবশেষে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রশাসক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি।

    চসিক প্রশাসক মনোনীত হওয়ার পর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

    চট্টগ্রামের উন্নয়নে মহিউদ্দিন চৌধুরীর পথ ধরে এগুবেন জানিয়ে তিনি বলেন ‘এই শহর বাংলাদেশের হৃদপিণ্ড। এই শহরকে এগিয়ে নেয়ার জন্য এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর যে স্বপ্ন ছিল আমি চেষ্টা করবো সেটাকে এগিয়ে নিতে।’

    চট্টগ্রামের কিংবদন্তি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহচর খোরশেদ আলম সুজন শহরের বিভিন্ন দূর্ভোগ সমস্যা নিয়ে সব সময় সরব ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে নাগরিকের নানা সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করে আসছিলেন তিনি। স্থগিত হওয়া চসিক নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন।

    খোরশেদ আলম সুজন ছাত্রজীবনেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতি হিসেব দায়িত্ব পালন করেন। পরে চবি থেকে সমাজতত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরি সায়েন্সে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে ১৯৮৬ সালে জাতীয় ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
    সেই থেকে প্রায় ৫০ বছরের বর্ণিল রাজনীতিক ক্যারিয়ারে অনেকবার সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন লাভের সুযোগ আসলেও তা বারবারই হাতছাড়া হয়েছে তাঁর। কিন্তু রাজনীতির মাঠে সজ্জন পরিছন্ন পোড় খাওয়া এই নেতা জীবনের শেষ বেলায় এসে তাঁর প্রাপ্য মূল্যায়ন পেলেন।

    ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত পরিষদের দায়িত্ব নেওয়ার পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে ৫ আগস্ট। গত ২৯ মার্চ চসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সেটা স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

    স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯-এর ২৫ (১) ধারায় বলা আছে, সিটি করপোরেশন মেয়াদোত্তীর্ণ হলে সরকার সিটি করপোরেশন গঠিত না হওয়া পর্যন্ত এর কার্যক্রম সম্পাদনের উদ্দেশ্যে একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে।

    একই আইনের ২৫ (২) ধারায় বলা হয়েছে, সরকার প্রয়োজনবোধে যথাযথ বলে বিবেচিত হয়— এমন সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকে প্রশাসকের কর্মসম্পাদনে সহায়তার জন্য নিয়োগ করতে পারবে।

    আর ২৫ (৩) ধারায় বলা হয়েছে, প্রশাসক এবং কমিটির সদস্যরা যথাক্রমে মেয়র ও কাউন্সিলরের ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

    ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত পরিষদের দায়িত্ব নেওয়ার পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে ৫ আগস্ট। গত ২৯ মার্চ চসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সেটা স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

    স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯-এর ২৫ (১) ধারায় বলা আছে, সিটি করপোরেশন মেয়াদোত্তীর্ণ হলে সরকার সিটি করপোরেশন গঠিত না হওয়া পর্যন্ত এর কার্যক্রম সম্পাদনের উদ্দেশ্যে একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে।

    একই আইনের ২৫ (২) ধারায় বলা হয়েছে, সরকার প্রয়োজনবোধে যথাযথ বলে বিবেচিত হয়— এমন সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকে প্রশাসকের কর্মসম্পাদনে সহায়তার জন্য নিয়োগ করতে পারবে।

    আর ২৫ (৩) ধারায় বলা হয়েছে, প্রশাসক এবং কমিটির সদস্যরা যথাক্রমে মেয়র ও কাউন্সিলরের ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

    ঈদুল আজহার ছুটি শেষে অফিস খোলার প্রথম দিনেই এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

    স্থগিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি দলটির নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তার বদলে নৌকার মনোনয়ন পান নগর কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী। অন্যদিকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পান দলটির নগর কমিটির সভাপতি শাহাদাত হোসেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বর্তমান কার্যকর পদ্ধতিতে বার্ষিক সোয়া দু’কোটি টাকার বেশি সাশ্রয় হচ্ছে:চসিক মেয়র

    বর্তমান কার্যকর পদ্ধতিতে বার্ষিক সোয়া দু’কোটি টাকার বেশি সাশ্রয় হচ্ছে:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, নিজস্ব জনবল নিয়োগ না করে নগরীর সড়ক বাতি জ্বালানো-নেভানোতে মসজিদ-মন্দিরসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে সুইচ অন-অফের দায়িত্ব ইমাম-মুয়াজ্জিন পুরোহিতদের হাতে তুলে দেয়ায় সিটি কর্পোারেশনের বার্ষিক বেতন-ভাতা ও বিদ্যুৎ বাবদ সোয়া দু’কোটি টাকারও বেশি অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে। এ ছাড়াও সড়ক বাতির সুইচ অন-অফের বর্তমান পদ্ধতি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রয়োজনীয় জনবলের চাহিদার চাপ কমানোর পাশাপাশি মসজিদ, ধর্মীয় উপাসনালয়ের প্রধানদের মাঝে এবাদত-প্রার্থনার সাথে সামাজিক দায়বদ্ধতা পালনের তাগিদ তৈরী হয়েছে।

    তিনি আজ সকালে থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম মিলনায়তনে নগরীর সড়ক বাতির সুইচ অন-অফকারী মসজিদের ইমাম- মুয়াজ্জিন ও মন্দিরের পুরোহিতদের সম্মানীভাতা প্রধান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, সড়ক বাতি জ্বালানো-নেভানোর বর্তমান পদ্ধতির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। ১৯৯৪ সালের আগে সিটি কর্পোরেশনের দৈনিক ভিত্তিক লোকবল দ্বারা সুইচ অফ-অন করার ব্যবস্থা ছিলো। একই ব্যক্তি দ্বারা ১০/১৫টি সুইচ অফ-অন করায় দৈনিক কমপক্ষে ২ ঘন্টা বিদ্যুৎ অপচয় হতো। বর্তমান পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পাশাপাশি কর্পোরেশনের আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে। তাই পদ্ধতিটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একটি জনকল্যাণমুখী সফল ও কার্যকর উদ্যোগ।

    তিনি সমজিদ ও ধর্মীয় উপাসনালয়ের প্রধানদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সমাজের শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব। আপনাদের কথা সকলে শুনেন ও বুঝতে চেষ্টা করেন। আপনারা যে-ভাবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সড়ক বাতি অফ-অন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয়ে সমাজকে সেবা দিচ্ছেন একই ভাবে করোনাকালে জনসেচতনতা বৃদ্ধিতেও দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

    উল্লেখ্য যে, ১৯৯৪ সালের আগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ১৮টি ওয়ার্ড এলাকায় সড়ক বাতির ব্যবস্থা ছিল। পরবর্তীতে ৪১টি ওয়ার্ড এলাকায় আলো সেবা প্রদান কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে সম্প্রসারিত হয়। যার সংখ্যা বর্তমানে সোডিয়াম ও এলইডি বাতিসহ ৫১ হাজার ৫ শত ৭৩টি। বর্তমানে ১৪২৯টি সুইচিং পয়েন্ট মসজিদ, মন্দিরে স্থাপন করা হয়েছে।

    এজন্য ইমাম, মুয়াজ্জিন ও পুরোহিতদের সম্মানিভাতা বাবদ ব্যয় হচ্ছে ৩৫ লাখ ৭২ হাজার ৫শত টাকা। এই একই সুইচিং পয়েন্টগুলোতে পূর্বের নিয়মানুযায়ী দৈনিক ভিত্তিক লোকবল দ্বারা অন-অফ করা হলে বার্ষিক ব্যয় হবে ১ কোটি ৮৫ লাখ ২৮ হাজার ৮ শত টাকা। বর্তমান পদ্ধতিতে সুইচ অফ-অন করানোর ফলে বেতন বাবদ বার্ষিক সাশ্রয় হচ্ছে ১ কোটি ২৯ লাখ ৫৬ হাজার ৩ শত টাকা। বিদ্যুৎ বাবদ সাশ্রয় হচ্ছে ৯৮ লাখ ৩৬ হাজার ৭৫০ টাকা। সর্বমোট বার্ষিক সাশ্রয়ের পরিমাণ হলো ২ কোটি ২৭ লাখ ৯৩ হাজার ৫০ টাকা।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিদ্যুৎ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মানী প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কান্তি দাশ, প্রকৌশলী আনোয়ারুল হক চৌধুরী ও জাহিদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • অর্থহীন সমালোচনা নয়, যুদ্ধ জয়ের সঠিক রণকৌশল চাই:চসিক মেয়র

    অর্থহীন সমালোচনা নয়, যুদ্ধ জয়ের সঠিক রণকৌশল চাই:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, সম্পূর্ণ অজানা-অচেনা-অদৃশ্য করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের রণকৌশল আগে থেকে নির্ধারিত থাকার কথা নয়। বাংলাদেশের তো নয়, উন্নত দেশগুলোরও ছিলো না। প্রস্ততিবিহীন এই যুদ্ধ সম্পুর্ণ নিরস্ত্র অবস্থায় শূন্য থেকেই শুরু করতে হয়েছে। তাই অযৌক্তিক সমালোচনা অর্থহীন,সক্ষমতা ও সামর্থ্যরে মাত্রা বিবেচনা এবং বাস্তবতার নিরীখে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও সম্মিলিত অংশগ্রহণ এবং সমন্বয় ছাড়া শুধু মুখের কথা বার বার আউড়িয়ে কোন ফলোদয় হবে না।

    আজ ৩৪ নং পাথরঘাটা ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইল বালীর উদ্যোগে বিনামূল্যে প্রতিষ্ঠিত অক্সিজেন,জরুরী ওষুধসরবরাহ ও টেলি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, করোনা সংক্রমণের পিক-টাইমে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে ঠাঁই নেই অবস্থা। তাই আক্রান্তরা কাঙিক্ষত সেবা না পাওয়ারই কথা। গণমাধ্যমে এ- নিয়ে হাহাকার ফলাও করে প্রচার হচ্ছে কিন্তু বাস্তবতা,সক্ষমতা ও চিকিৎকদের সীমাবদ্ধতার ঘাটতিগুলো তুলে ধরা হচ্ছে না। মনে রাখতে হবে তড়িঘড়ি প্রশিক্ষণ দিয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তৈরী করা যায় না এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম ও করোনা বিশেষায়িত চিকিৎসা কেন্দ্র আগে থেকেই ছিলো না। তাই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাময়িক অসুবিধা থাকলেও তা নিরসন হবে।

    তিনি উল্লেখ করেন যে, প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও আতঙ্কের কারণ নেই। সংক্রমন সাংঘাতিক ছোঁয়াছে হলেও মারাত্মক নয়। আক্রান্তকে সুস্থ হতে ১৪ দিন লাগে এবং ঘরে থেকেই চিকিৎসা নেয়া সবচেয়ে উত্তম।

    তিনি সামনের সময়কে কঠিন বলে উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বের সকল অর্থনৈতিক খাত ভঙ্গুর। বাংলাদেশে বিগত ১২ বছরে দারিদ্রের হার শতকরা ৭ এর নীচে নামিয়ে আনা হয়েছিল। করোনা ছোবলে মাত্র ৪ মাসে তা ৩০ শতাংশে পৌঁছেছে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেই করোনা মোকাবেলায় যুদ্ধের রণ-কৌশল নির্ধারণ করেছেন।

    অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইল বালী বলেন, মৃত্যুর আগেই মৃত্যু চাইনা। তাই জীবন বাঁচাতে সকল সামর্থ্য ও সক্ষমতা নিয়ে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে আছি।

    তিনি আগামীতে এই ওয়ার্ডে মাসে ১শ টি পরিবারকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের অঙ্গীকার ঘোষণা করেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন ৩৩ নং ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, মোহাম্মদ ইকবাল, মহল্লা সর্দার আবু মোহাম্মদ জামাল, সমাজ সেবক দেবব্রত দাশ দেবু, মাওলানা মোহাম্মদ ইউছুফ প্রমূখ।

    জহুর আহমদ চৌধুরী
    উজান ঠেলে এগিয়ে যাওয়া তরী-আ.জ.ম নাছির

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, জহুর আহমদ চৌধুরী শুধু চট্টগ্রামের নন, তিনি একাধারে জাতীয় রাজনীতিক এবং পাশাপাশি উপমহাদেশ খ্যাত শ্রমিক আন্দোলনের অগ্রদূত। তাঁর জীবন উজান ঠেলে সামনে এগিয়ে চলা তরী। দল ও জাতির ক্রান্তিকালে তিনি এক অদম্য শক্তি হয়ে ইতিহাসে স্বাক্ষী হয়ে আছেন।

    গতকাল বুধবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ইষ্টার্ণ জোনের চেয়ারম্যান মরহুম জহুর আহমদ চৌধুরীর ৪৬ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে তাঁর কবরে খতমে কোরআন দোয়া মাহফিল ও শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে সংক্ষিপ্ত স্মরণানুষ্ঠানে একথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, করোনাকালে সংকট মোকাবেলায় মরহুম জহুর আহমদ চৌধুরী প্রেরণার উৎস। তিনি রাজনীতিক ও মানবিক বিপর্যয়ে ত্রাতা হিসেবে নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। তাই তিনি আমাদের নির্ভরতার প্রতিক।

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও মরহুম জহুর আহমদ চৌধুরীর পুত্র মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমার পিতা রাজনীতিকে অর্থ বিত্তের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেননি। এই চট্টগ্রামে তিনি কোন সম্পদের পাহাড় গড়েন নি। তবু তিনি গোটা জাতির মানব সম্পদ।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা আলহাজ্ব সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সফিকুল ইসলাম ফারুক, কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন, সলিম উল্লাহ বাচ্চু এবং বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • পোর্ট কানেকটিং রোডের চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে মেয়র

    পোর্ট কানেকটিং রোডের চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন নগরীর তাসপিয়া হতে সাগরিকা পর্যন্ত চলমান রাস্তার কাজ পরিদর্শন করেছেন।

    এসময় মেয়র কাজ সমাপ্তিতে দীর্ঘসুত্রিতা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও দায়িত্বরত প্রকৌশলীদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

    পরিদর্শনকালে মেয়র অত্র এলাকার যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটায় দু:খ প্রকাশ করেন এবং কাজের গুনগত মান বজায় রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

    এসময় তিনি বলেন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার কাজের দীর্ঘ সুত্রিতা জন দূর্ভোগকে বাড়াচ্ছে। এটা ঠিকাদারদের চুক্তির বরখেলাপ। কোন অজুহাতে কাজের দীর্ঘসূত্রিতা এবং গুনগত মান রক্ষা করা না হলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করা হবে না।

    পরিদর্শনকালে চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান, নাসির উদ্দিন, মোহাম্মদ মাহবুব, উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনার এ সংকটে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আক্রান্ত ব্যক্তিকে সনাক্ত করা: চসিক মেয়র

    করোনার এ সংকটে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আক্রান্ত ব্যক্তিকে সনাক্ত করা: চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস ঢাকা, নারায়নগঞ্জের পর বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় নগরের বিভিন্ন স্পটে ১২টি টেস্টিং বুথ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। তন্মোধ্যে এখন পর্যন্ত ৫টি বুথ স্থাপন কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

    তিনি বলেন, ‘করোনার এ সংকটে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আক্রান্ত ব্যক্তিকে সনাক্ত করা। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে নমুনা সংগ্রহ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে সবখানেই। এ সময় সংকট কাটাতে নমুনা সংগ্রহের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

    আজ কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন কলেজে যে বুথ স্থাপন করেছে, এতে বুথে নমুনা দিতে হলে মোবাইল নম্বর এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। বুথে আসার পর আমাদের প্রশিক্ষিত কর্মীরা করোনা আক্রান্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছে কয়েকটি তথ্য জানতে চান। যেমন, তিনি ডায়াবেটিস কিংবা কিডনিজনিত রোগে ভুগছেন কি না। এমন কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে গেছেন কি না, যিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। সব তথ্য ডেটা ফর্মে লিপিবদ্ধ করার পর প্রশিক্ষিত কর্মীরা করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন। এখন পর্যন্ত আমাদের বুথে কাজ করা কোনো কর্মী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হননি।

    আজ সকালে নগরীর কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন কলেজে করোনা নমুনা সংগ্রহ বুথ উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

    উদ্বোধনকালে কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবু, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, ব্র্যাকের আঞ্চলিক পরিচালক হানিফ উদ্দীন, মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য বেলাল আহমদ, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ এয়াকুব, কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল হক, স্কুলের প্রধান শিক্ষক এস এম এহসান উদ্দিন,প্রভাষক শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ সহিদুল আকতার, এস এম মামুনুর রশিদ মামুন, মোহাম্মদ রাশেদ, আবু তাহের, আজগর আলী, আকতার জামাল, জুয়েল রানা উপস্থিত ছিলেন।

    মেয়র আরো বলেন, বুথে সেবাদানকারী প্রত্যেক কর্মীকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর নমুনা সংগ্রহের কাজে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যেক কর্মীকে পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সরবরাহ করাসহ সব ধরনের জিনিসপত্র সরবরাহ করে আসছি। সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় যেকোনো মানুষ আমাদের বুথে নমুনা দিয়ে করোনা পরীক্ষা করাতে সক্ষম হচ্ছেন।’

    বুথের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করা হলে স্বাস্থ্যকর্মী সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে না বলে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, ‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাঁরা নমুনা সংগ্রহ করা হলে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে, কারণ নাকের ভেতর থেকে সোয়াব সংগ্রহ করতে হলে স্বাস্থ্যকর্মীকে ওই ব্যক্তির খুব কাছাকাছি চলে যেতে হয়। আবার যখন নাকের ভেতর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়, তখন রোগী অবধারিতভাবে হাঁচি দেন। এতে নমুনা সংগ্রহকারী কিন্তু সব সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।’

    তিনি নগরবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে বলেন, বিজ্ঞাণীরা ভ্যাকসিন বা ঔষধ আবিস্কার করবেন, চিকিৎসকরা চিকিৎসা প্রয়োগ করবেন কিন্তু ধৈর্য্যসহকারে সাহসের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবন যাপন করতে হবে।

    লকডাউনের কার্যকারিতার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, লকডাউন কার্যকর থাকাকালীন সময়ে ওই এলাকায় কেউ প্রবেশ ও বের হতে পারবে না। সরকারি-বেসরকারি অফিস থাকবে সাধারণ ছুটির আওতায়। খাবার ও ওষুধসহ সবধরণের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। চলবে না গণপরিবহন, থাকবে না স্টপেজও। লকডাউন এলাকায় অবস্থানকারী সকল সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবেন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তারা যাতে কোন ধরণের সমস্যার সম্মুখীন না হন সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, লকডাউন মানে লকডাউন। সবাইকে অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে। ইতোমধ্যে আমরা মাইকিং করেছি। প্রতিটি ঘরে ঘরে নির্দেশনা দিয়ে লিফলেট পৌঁছে দিচ্ছি। সবকিছু মনিটরিং করার জন্য কেন্দ্রের ফরম্যাট অনুযায়ী, স্থানীয় কাউন্সিলরকে আহবায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, ই-কমার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি, সমাজ কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম সদস্য আছেন।

    লকডাউনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে চসিকের সমন্বয় বৈঠক
    মানতে হবে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি
    চসিকের প্রদর্শিত নিয়ম-কানুন-মেয়র
    আজ রাত ১২ টা থেকে লকডাউন কার্যকর হচ্ছে নগরীর ১০নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে। লকডাউনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আজ দুপুরে চসিক কনফারেন্স হলে এক সমন্বয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ. ম নাছির উদ্দীন। এসময় প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর ড.নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, বাংলাদেশ ইনফেন্ট্রি রেজিমেন্ট সিও লে. কর্ণেল মাহবুব, চট্টগ্রামে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোস্তফা খালেদ আহমদ, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি, সিএমপি’র এসপি মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, ব্রাকের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. হানিফ উদ্দিন, চসিকের ডা.মোহাম্মদ আলী, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ রেজাউল করিম, আইটি অফিসার ইকবাল হাসান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডা. সরোয়ার আলম, সহকারি পরিচালক স্বাস্থ্য কামরুল আজাদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    বৈঠকে সিদ্ধান্তানুযায়ী লকডাউনকৃত ১০ নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে ২০ টি প্রবেশ পথ রয়েছে। তন্মধ্যে ১৪টি রাস্তা বন্ধ থাকবে এবং প্রয়োজনীয় কাজের জন্য ৬টি রাস্তা খোলা থাকবে। লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে সাগরিকাস্থ বিসিক শিল্প এলাকা। প্রতিদিন রিক্সাভ্যানের মাধ্যমে ন্যায্য বাজার মূল্যে কাঁচা বাজার সরবরাহ করা হবে। ধর্মীয় ইবাদত ঘরে থেকেই আদায় করতে হবে, এলাকাবাসীর সার্বিক সহায়তার জন্য থাকবে সিটি কর্পোরেশনের একাধিক কন্ট্রোলরুম ও এলাকাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক টীম।

    জরুরী প্রয়োজনে চসিকের কন্ট্রোল রুমের নম্বর সমুহ- ঃ ০৩১-৪৩১৫১৩৬৮, ০৩১-৪৩১৫১৩৬৯, ০৩১-৪৩১৫১৩৭০, ০৩১-৪৩১৫১৩৭১, ০৩১-৪৩১৫১৩৭২, মোবাইল- ০১৮১৯-০৫৬৮৪৪, ০১৮১১-৮৮৭০৮৪-তে যোগাযোগ করা যাবে। চসিকের ব্যবস্থাপনায় কোভিড ও নন- কোভিড রোগীদের চিকিৎসা ও হাসপাতালে প্রেরণের জন্য সার্বক্ষণিক এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা থাকবে। লকডাউন এলাকায় অবস্থানকারী সকল সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবে। এসময় মেয়র এলাকাবাসীকে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি ও চসিকের প্রদর্শিত নিয়মকানুন মেনে লকডাউন কার্যকর করার জন্য অনুরোধ জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

     

  • বিভাগীয় ও শাখা প্রধানদের সাথে সিটি মেয়রের বৈঠক

    বিভাগীয় ও শাখা প্রধানদের সাথে সিটি মেয়রের বৈঠক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সেবাধর্মী কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয় সাধনের লক্ষে আজ রবিবার সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক নগরভবনে মেয়র দপ্তরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানদের সাথে বৈঠক করেন মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কমকর্তা সুমন বড়ুয়া, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আকতার, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীব বসাক, নির্বাহী প্রকোশলী অসীম বড়ুয়া, নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

    বৈঠকে আয়বর্ধক প্রকল্প সমূহের অসম্পূর্ন কাজ সম্পন্ন করা, ইজারা সংক্রান্ত বিষয়গুলোর ইজারা সম্পাদন, বিগত অর্থবছরের অসম্পূর্ণ কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজের দরপত্রের বিস্তারিত বিবরন, রাজস্ব আদায়, কর পুন:মূল্যায়ন কর্মসূচি, ডোর টু ডোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের কার্যক্রমের পর্যালোচনা সহ মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত উন্নয়ন কার্যক্রমের বিষয়গুলো আলোচনা ও পর্যালোচনা করা হয়।

    বৈঠকে মেয়র বিভাগীয় ও শাখা প্রধানদের আন্তরিকতা, সততা ও একনিষ্ঠতার সাথে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করে নগরবাসীর কাংখিত প্রত্যাশা পুরনের নির্দেশনা দেন।

    মেয়র দায়িত্বশীল প্রত্যেককে নিজ নিজ স্বার্থের উর্ধ্বে থেকে নগরবাসীর স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে মহামারীকালীন সময়ে শতভাগ সেবা প্রদানের আহবান জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি চসিকের

    ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি চসিকের

    বিশ্বময় মহামারি করোনার মধ্যেই বিধ্বংসী রূপ নিয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এটি আরো শক্তি সঞ্চয় করে সুপার সাইক্লোনে রূপ নেয়া ঝড়টি উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে মঙ্গলবার রাতেই। এর প্রভাবে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বেড়েছে তাপপ্রবাহ, জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি।

    আবহাওয়া অধিদপ্তর হতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরের জন্য রয়েছে ৬ নম্বর সর্তক সংকেত। পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে সুপার ঘূর্ণিঝড় আকারে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

    আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে ১৯ মে শেষরাত থেকে ২০ মে বিকাল/সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে আঘাত হানতে পারে চট্টগ্রাম ও বরিশালে মাঝামাঝি উপকূলে।

    গতকাল সোমবার থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ ম নাছির উদ্দীন এর নির্দেশে চসিক এর পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দামপাড়াস্থ কন্ট্রোলরুম হতে সার্বক্ষণিক যোগাযো রক্ষা করা হচ্ছে নগরীর ঝূকিপূর্ণ ওয়ার্ড ৫, ৭, ৯, ১০, ১১, ২৬, ৩৪, ৩৫, ৩৭, ৩৮,৩৯, ৪০ ও ৪১ এর স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলদের সাথে। এই সমস্ত এলাকার বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগিদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানান্তর করা হচ্ছে। ঝুঁকি এড়াতে চসিকের পক্ষ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থানরত ও উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে করা হচ্ছে মাইকিং।

    এছাড়া দূর্যোগ পূর্ববর্তী, দুর্যোগকালিন ও দূর্যোগ পরবর্তী সময়ে অবস্থানের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে তৎসংশ্লিষ্ট সাইক্লোন শেল্টার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এইসব আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে জীবনুনাশক স্প্রে করে জীবানুমুক্ত করা হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রশিক্ষিত ভোলান্টিয়ার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জরুরী চিকিৎসাসেবায় চসিকের মেডিকেল টীম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

    আজ সকালে দামপাড়স্থ চসিক কন্ট্রোলরুমে ঘূর্ণিঝড় আস্ফান বিষয়ে প্রস্তুতি বৈঠকে চসিকের পক্ষ থেকে এইসব তথ্য জানানো হয়।

    বৈঠকে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ.কে.এম রেজাউল করিম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌলশী সুদীপ বসাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    ঘূর্ণিঝড়ের আম্ফান-এ ভীত না হয়ে মনোবল নিয়ে প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলার আহবান জানিয়ে মেয়র বলেন, বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দূর্যোগ নতুন নয়। এর পূর্বেও আমরা বহু প্রাকৃতিক দূর্যোগের মোকাবেলা করেছি। তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। তাই আমাদের প্রস্তুতির আয়োজনও ভিন্ন। নগরবসীর জান-মাল সুরক্ষায় আমরা প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছি। আমাদের নির্দেশনা মেনে সমন্বিতভাবে ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলা করলে আমরা এর ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো। তবে যেহেতু এখন করোনার প্রাদুর্ভাব রয়েছে তাই অবশ্যই তাড়াহুড়ো না করে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব মেনে ও সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে কার্য সম্পাদন করতে হবে। ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কীত যে কোন প্রয়োজনে আমাদের কন্ট্রোল রুম ০৩১-৬৩০৭৩৯, ০৩১-৬৩৩৬৪৯-তে যোগাযোগ করলে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

    সিটি মেয়রের ত্রাণ বিতরণ: আজ দুপুরে আন্দরকিল্লা ব্যবসায়ী কল্যাণ পরিষদের ২ শ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন।

    এসময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হাসান, জাবেদুল আলম সুমন, সোয়েবুল হক, ওয়াহেদ রাসেল, আবু হেলাল শাকিল, মামুনুল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    পরে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকায় মেয়রের ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রদত্ত অভুক্ত কুকুরদের খাবার খাওয়ান।

    এসময় এলাকা ভিত্তিক পশুপ্রেমী সংগঠন সেইড এ্যানিমেল ফাউন্ডেশন ও সোস্যাল এন্ড এ্যানিমেল এক্টিভিটি চট্টগ্রাম এর সদস্যদের হাতে কুকুরের জন্য রান্না করা খাবার তুলে দেন। তারা এলাকায় এলাকায় গিয়ে অভুক্ত কুকুরদের এই খাবার পরিবেশন করবেন।

    এসময় এসব সংগঠনের মোহাম্মদ ফারুক, আমির ইসাবা ফারুক, সুরাইয়া আকতার, সনেট বাপ্পা, রবিন বণিক, তানভির, সাইমুল উপস্থিত ছিলেন।

    বিলবোর্ড অপসারণ করলো
    চসিকের মোবাইল কোর্ট

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতার এবং স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস এর নেতৃত্বে আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।

    অভিযানকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকার দালানের দেয়ালের সাথে স্থাপিত চারটি অবৈধ বিলবোর্ড অপসারণ করা হয়। এসময় অবৈধভাবে দালানের সাথে বিলবোর্ড স্থাপনের দায়ে জাকির হোসেন রোডের খুলশী ১নং রোডের মাথাস্থ ভবন মালিক জনৈক আবুল হোসেন কে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদের এই অভিযান অব্যহত থাকবে।

    অভিযানকালে সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও চট্টগ্রাম মেট্রেপলিটন পুলিশ অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয়কে সহায়তা প্রদান করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা ও মশা থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করুন: মেয়রকে সুজন

    করোনা ও মশা থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করুন: মেয়রকে সুজন

    সাম্প্রতিক সময়ে আতংক সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস এবং মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিনের নিকট আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আজ রবিবার (২২ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের কার্যালয়ে মতবিনিময়কালে উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

    এ সময় জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা সুজন বলেন সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা চট্টগ্রামের জনগন খুবই উদ্বিগ্ন। চট্টগ্রামও ঝুঁকির বাহিরে নয়। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে এখনো স্বীকৃত কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়ায় এর প্রতিরোধও সম্ভব হচ্ছে না। আর সে কারণেই ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্ক। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ভাইরাস থেকে দেশের জনগনকে রক্ষার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

    তিনি দেশের মানুষকে আতংকিত না হয়ে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এছাড়া এ ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকরা সচেতনতার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তাই আমরা চট্টগ্রামের জনগনও এ ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কার্যকর দিকনির্দেশনা প্রত্যাশা করছি।

    তিনি বলেন, এখন শুস্ক মৌসুম ফলত নালা নর্দমায় মশার লার্ভা বেড়ে গিয়ে মশার উৎপাত বাড়ছে। আর বিভিন্ন গবেষনা মারফত আমরা জানতে পেরেছি এবার ডেঙ্গু মশার উপদ্রবও বাড়বে। এতে করে নগরবাসী অস্বস্তিতে রয়েছে।

    তিনি মশার উৎপাত থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করতে মশক নিধন কার্যক্রম গতিশীল করার অনুরোধ জানান। এছাড়া করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার উপর গুরুত্বারোপ করে জনাব সুজন প্রতিদিন দুইবেলা ময়লা আবর্জনা অপসারণ করার জন্য চসিক মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষন করেন এবং ময়লা আবর্জনা অপসারণ করে যাতে দূর্গন্ধ না ছড়ায় সেজন্য নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর আহবান জানান। তাছাড়া ময়লা আবর্জনা পরিবহনকালে যেন ত্রিপল ব্যবহার করা হয় সেদিকে দৃষ্টি দানের অনুরোধ করেন। নগরীর বাজারসমূহ নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে বাজারের উচ্ছিষ্ট ময়লা আবর্জনাসমূহ প্রতিদিন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করন এবং খোলা স্থানে গবাদি পশু জবাই না করার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য চসিক মেয়রের সহযোগিতা কামনা করেন।

    তিনি বাজারের মাছ, মাংস বিক্রেতা এবং মাছ কাটার সাথে নিয়োজিত ব্যাক্তিদের হ্যান্ড গ্লাভস পরিধান করতে উৎসাহিত করার আহবান জানান।

    সুজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের চিহ্নিতকরণ এবং এসব প্রবাসীদের প্রশাসনের সহায়তায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে চসিক এর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গ্রহন করার আহবান জানান। এছাড়া নগরীর চলমান অসমাপ্ত উন্নয়ন কর্মকান্ড দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন জনদুর্ভোগ লাঘবে নাগরিক উদ্যোগের গৃহীত প্রতিটি কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন।

    তিনি বলেন, নাগরিক সমাজ সচেতন থাকলে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা অনেকাংশে লাঘব হয় নাগরিক উদ্যোগই তার প্রমাণ।

    তিনি নাগরিক উদ্যোগকে বর্তমান সময়ের আতংকিত নভেল করোনাভাইরাস বিষয়ে তার দফতরে মতবিনিময় করতে আসায় অভিনন্দন জানান।

    তিনি বলেন, আমিও এই শহরের বাসিন্দা। এ নগরীর যে কোন দূর্যোগ কিংবা বিপর্যয়ে নগরবাসীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে আমি প্রস্তুত। তাছাড়া নগরীর জনগনের নাগরিক সুবিধা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা নিশ্চিত করাই আমার অন্যতম দায়িত্ব। সে দায়িত্ব পালনে আমি সদা সচেষ্ট আছি। কর্পোরেশনের সীমিত সাধ্য দিয়ে নগরবাসীর সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করতে আমি বদ্ধপরিকর। করোনাভাইরাস নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনই প্রথমেই জনগনের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

    নগরবাসীকে অধিকতর সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে চসিক মেয়র বলেন, আপনারা বারেবারে সাবান দিয়ে হাত ধৌত করবেন। নিজের আঙ্গিনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। জনসমাগম এড়িয়ে চলবেন। বিভিন্ন সামাজিক এবং ধর্মীয় সমাবেশ পরিহার করবেন। নিজ নিজ সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করবেন। একমাত্র সচেতনতাই পারে এ ভাইরাস থেকে মুক্তি দিতে। এছাড়া ইতিমধ্যে নগরবাসীকে সচেতন করার লক্ষ্যে সচেতনতামূলক ধারাবাহিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে সিটি কর্পোরেশন। নগরজুড়ে মাইকিং, প্রচারপত্র বিতরণ এবং স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত সকল ডাক্তার, নার্স এবং কর্মচারীদের করোনাভাইরাস নিয়ে জনগনকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করার জন্য ইতিমধ্যে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

    তিনি সরকারী হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারী হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার, নার্স, প্যারামেডিকেল, আয়াদের সুরক্ষার উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।

    তিনি বলেন, এখন জ্বর, সর্দি, কাশির সময়। এ সময় করোনাভাইরাস আতংকে নগরবাসী যেন জ্বর, সর্দি, কাশির চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চিকিৎসকসহ নগরীর সরকারী, বেসরকারী হাসপাতালের সকল চিকিৎসকের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তিনি। তবে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ পরিচালনা করতে গিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ সৃষ্টি করে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এর ফলে জলমগ্ন হয়ে পানিতে মশার বংশবৃদ্ধি ঘটছে। তিনি সামনে বর্ষা মৌসুমের পূর্বেই বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্ট বাঁধ অপসারণ করার জন্য জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সাথে নিয়োজিত সেবা সংস্থাসমূহের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এছাড়া ডেঙ্গু রোগের বিস্তার ঠেকাতে মশক নিধনে মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্ধ আনয়নের জন্যও সরকারের উর্দ্ধতন মহলের নিকট আবেদন জানান বলে নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন।

    তিনি যে কোন দূর্যোগ কিংবা ভোগান্তিতে চসিক এর হটলাইন নাম্বার ১৬১০৪ এ যোগাযোগ করার জন্য নগরবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ হাজী মোঃ ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, এস এম আবু তাহের, সাইদুর রহমান চৌধুরী, নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন, এজাহারুল হক, মোরশেদ আলম, নুরুল কবির, মোঃ শাহজাহান, সমীর মহাজন লিটন, মাহাদী হাসান সনন প্রমূখ।

  • চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও দুই আসনের উপনির্বাচন স্থগিত

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও দুই আসনের উপনির্বাচন স্থগিত

    করোনা পরিস্থিতির কারণে ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন, বগুড়া-১ ও যশোর-৬ উপনির্বাচনের ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    আজ শনিবার (২১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার পর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

    করোনাভাইরাসের কারণে জনস্বার্থে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিতের দাবি জানিয়েছিলেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।

    গতকাল চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে সিটি নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের কাছে নির্বাচন স্থগিতের আবেদন জমা দেন তিনি।

  • আ.লীগের বিদ্রোহীদের বিষয়ে ৮ মার্চ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

    আ.লীগের বিদ্রোহীদের বিষয়ে ৮ মার্চ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

    চট্টগ্রামের সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী নিয়ে নির্ভার আওয়ামী লীগ কোন বিদ্রোহী প্রার্থী নেই । তবে প্রায় সবগুলো ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে বিদ্রোহীদের নিয়ে দুশ্চিন্তা কমেনি ক্ষমতাসীন দলের। এদিকে বিদ্রোহীদের সরে দাঁড়াতে হবে বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চসিক নির্বাচনে দলের প্রধান সমন্বয়কারি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

    বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চসিক নির্বাচনে দলের সমর্থন পাওয়া এবং সমর্থনবঞ্চিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

    ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

    বৈঠকে উপস্থিত দলের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীরা সবাইকে নির্বাচনের সুযোগ করে দেওয়ার অনুরোধ জানালে তা নাকচ করে দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন উপস্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, এই নির্বাচনে যারা দলের সমর্থন পেয়েছেন, তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দলের হাই কমান্ডের দেওয়া এ সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ কারও নেই।

    বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবাই একই পরিবারের সন্তান, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সন্তান। দলে আপনাদের অবদান রয়েছে। দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন আপনারা। তবে সবার উপরে দল। তাই দলের সিদ্ধান্ত সবাইকে মানতে হবে।

    দুই পর্বের এ বৈঠকের শেষ পর্যায়ে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ চান। তবে তাদের সুযোগ না দিয়ে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা বলেন, ৮ মার্চ আইসিসি কনভেনশন সেন্টারে তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে আয়োজিত সমাবেশে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আসবেন। আপনাদের কোনো বক্তব্য থাকলে তার কাছেই বলতে পারবেন। বক্তব্য দিতে না দেওয়ায় এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। তারা চিৎকার করে তাদের কথা বলার চেষ্টা করেন। তাদের ক্ষোভের মধ্যেই মঞ্চ ছাড়েন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা। ভিতরে কথা বলতে না দেওয়ায় বাইরে এসেও বিক্ষোভ করেন বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

    জানা গেছে, এক ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ ১০ জনও বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন। দলের আহ্বান-অনুরোধও তারা আমলে নেননি। তাই এবার বিদ্রোহীদের বাগে আনতে হার্ডলাইনে দলটির নীতিনির্ধারকরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিদ্রোহীদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ নির্দেশ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। অন্যথায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

    চসিক নির্বাচনে ৫৫টি সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মধ্যে ৫১টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আছে। নগরীর একটি ওয়ার্ডে (চান্দগাঁও) সর্বোচ্চ ১০ জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে আওয়ামী লীগের। ৫১টি ওয়ার্ডে প্রায় ১২৫ জন বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনের মাঠ না ছাড়ায় এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

  • রেজাউল-শাহাদাত-শেঠসহ ৭ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ

    রেজাউল-শাহাদাত-শেঠসহ ৭ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ

    আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন(চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ,  বিএনপি ও জাতীয়পার্টির প্রার্থীসহ মেয়র পদে সাতজনের মেয়রপ্রার্থী মনোনয়ন বৈধ এবং দুইজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

    রোববার (১ মার্চ) সকালে নগরীর চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে চসিক নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়। যাচাই বাছাই শেষে চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান সাতজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ও দুইজনের বাতিল ঘোষণা করেন।

    আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী, বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন, জাতীয় পার্টির সোলায়মান আলম শেঠ, ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী আল্লামা এমএ মতিন, ইসলামিক ফ্রন্টের অহেদ মুরাদ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জান্নাতুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।

    খোকন চৌধুরী ও মো. তানজির আবেদীন নামে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

    নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটারদের স্বাক্ষরসহ মনোনয়নপত্র জমা দিতে হয়। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এ বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়ায় তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

    এদিকে নিজের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগেরে প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী । আর বিএনপি প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক আছে। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকবে বিএনপি। এছাড়া নির্বাচন দুই দিন পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানান তিনি।

    অন্যদিকে জাতীয় পার্টি প্রার্থী নির্বাচনের দিন গাড়ি চলাচলের অনুমতি দাবি করেছেন।

    ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৮ মার্চ প্রার্থিতা প্রত্যাহার, পরদিন ৯ মার্চ প্রতীক বরাদ্দ এবং ২৯ মার্চ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।