Tag: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন

  • নিজের মনের কালিমা মুছতে পারলে সমাজ-পরিবেশ- প্রকৃতি শুদ্ধ হবে:বিদায়ী চসিক প্রশাসক

    নিজের মনের কালিমা মুছতে পারলে সমাজ-পরিবেশ- প্রকৃতি শুদ্ধ হবে:বিদায়ী চসিক প্রশাসক

    নিজের মনের মনীলতা ও কালিমা মুছতে পারলে সমাজ, প্রকৃতি, রাষ্ট্র ও সরকার মঙ্গলময় হবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে আমার ১৮০ দিনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনের যে পরিবর্তন তার প্রধান কারিগর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আমি সাধুবাদ জানাই তাদের।

    আজ সকালে আন্দরকিল্লাস্থ সিটি কর্পোরেশনের পুরোনো নগর ভবনের কে.বি আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেয়া বিদায়ী শুভেচ্ছা প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন সদ্য সাবেক চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আরো বলেন, বিদায় বলতে বুঝি শেষ বিদায়, তবে তা নয়। আমি কর্মে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। এই শহরে আমার জম্ম, এই শহরে বেড়ে ওঠা, এই শহরেই আমার মৃত্যু হবে। ছাত্র জীবনে রাজনীতির হাতেখড়ি নিয়ে রাজপথকে আমার ঠিকানা বানিয়েছি। এখান থেকে চট্টগ্রাম নগরকে নিয়ে আমার স্বপ্ন দেখা। ১৮০ দিনের অভিজ্ঞতায় ভালকে গ্রহণ করেছি-মন্দকে পরিহার করেছি। আমি অনুধাবন করেছি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে অনেক মেধাবী কর্মকর্তা -কর্মচারী আছেন। তাঁদেরকে ঠিকমত ফিডব্যাক দিলে অনেক সফলতার দুয়ার তারাই খুলে দিতে পারেন এবং ইতোমধ্যে দিয়েছেনও। আমার দায়িত্ব অল্প সময়ে হলেও যারা নগরকে পরিচ্ছন্ন করেছেন যা দৃশ্যমান। এটাই তার ভাল প্রমান। তাদের স্যালুট জানাই।

    তিনি আরো বলেন, চসিকের শিক্ষাখাত নিয়ে অনেক চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। ভূর্তুকির ভার কমাতে হবে। প্রাইমারী ও মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা খাত রেখে বাড়তি বোঝা ছেড়ে দেয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখা প্রয়োজন।

    তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন চাকরি করে অবসর নেয়ার পর আনুতোষিক না পাওয়া দু:খ জনক। আমি দায়িত্ব নিয়ে ইতোমধ্যে কিছু আনুতোষিক পাওনা পরিশোধ করেছি। আশাকরি এধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি জ্যোৎস্না উৎসবের মত একটি ব্যাতিক্রম অনুষ্ঠান নগরবাসীর সামনে উপস্থাপন করে দেশে বিদেশে অনেকের সাড়া এবং উৎসাহ পেয়েছেন বলে মত ব্যক্ত করেন।

    তিনি আরো জানান, আমি প্রশাসকের দায়িত্বে না থাকলেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আমার দুয়ার সব সময় খোলা থাকবে।

    প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হুমায়ন কবির চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মীর্জা ফজলুল কাদের, কুলগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল হক খান, কাট্টলী স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম, সার্কেল-৫ এর টিও এ কে এম সালাউদ্দীন, ইউএনডিপির টাউন ম্যানেজার মো. সরোয়ার হোসেন খান, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, চসিক সিবিএ সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ, মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

    সভাপতির বক্তব্যে কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, খুব কম সময়ে বিদায়ী প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন এমন কিছু কাজ করেছেন যাতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্ম ও প্রাণের সঞ্জীবনী শক্তি পেয়েছে। এই শক্তিকে আমরা ধারন করতে চাই। আমাদের উচিত ভাল কাজকে গ্রহণ করা এবং মন্দকে প্রত্যাখান করা।

  • চসিক প্রশাসকের নির্দেশে নগরীর অলিগলিতে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মকান্ড অব্যাহত

    চসিক প্রশাসকের নির্দেশে নগরীর অলিগলিতে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মকান্ড অব্যাহত

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন আমরা যদি নিজ নিজ আঙ্গিনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখি ও খাল-নালায় ময়লা আবর্জনা না ফেলি তাহলে কোন অবস্থায় খাল-নালা ভরাট হবে না এবং পানি চলাচলে কোন প্রতিবন্ধকতা হতে পারে না। পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা না থাকলে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।

    আজ সকালে চসিক প্রশাসকের নির্দেশনায় সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম মুহাম্মদ ইসহাক মিয়ার বাড়ী সংলগ্ন আগ্রাবাদ ২৪নং ওয়ার্ডস্থ নাছির খান খাল থেকে বিপুল পরিমান ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা হয়।

    দীর্ঘদিন ধরে ময়লা আবর্জনায় পরিপূর্ণ থাকার ফলে এলাকাটি সামান্য বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতায় পতিত হয়। তাছাড়া ময়লা আবর্জনার ফলে মশার প্রজনন কেন্দ্র সৃষ্টি হয়েছে সেখানে। তাই বর্ষা মৌসুমের আগেই নগরীর খাল ও নালাগুলোকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করনের মাধ্যমে জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা করাই হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের বর্তমান কর্মপ্রয়াস।

    সকালে পরিচ্ছন্ন কর্মকান্ড তদারকি করতে গিয়ে হোয়াটসআপে ভিডিওকলে প্রশাসক আরো বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে নগরীর খাল ও বড় আকারের ড্রেইনগুলো পরিস্কারের ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু পরিস্কার করার পরও দেখা যাচ্ছে যে কোন কোন এলাকায় জেনে বুঝে আবারো ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

    আমরা নগরবাসীকে আহবান জানাচ্ছি আপনার নিজ ঘরের, বাসা, বাড়ীর কিংবা ফ্ল্যাটের আবর্জনা আপনার আঙ্গিনায় রাখুন সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মী এসে আপনার আঙ্গিনা থেকেই ময়লা আবর্জনাগুলো অপসারণ করে নিয়ে যাবে। যদি কোন এলাকার কোন বাসা, বাড়ী কিংবা ফ্ল্যাট থেকে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ময়লা আবর্জনা নিয়ে না যায় সেক্ষেত্রে আমাকে অথবা সিটি কর্পোরেশনে অবহিত করলে আমরা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করবো। তাই জনসাধারনকে আমরা অনুরোধ করবো খালে নালায় ময়লা আবর্জনা ফেলার মতো দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করা মোটেও উচিত নয়। যারা এই ধরনের গর্হিত কাজ করে ভবিষ্যতে তাদেরকে আইনের আওয়তায় আনা হবে। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের সবাইকে এ ধরনের কর্মকান্ড রোধে সচেষ্ট হতে হবে তাতেই পুরো নগরবাসী এর সুফল ভোগ করবে।

  • এবার ওয়ার সিমেট্রির পাশের খাল পরিস্কার করলো চসিক

    এবার ওয়ার সিমেট্রির পাশের খাল পরিস্কার করলো চসিক

    নগরীর ওয়ার সিমেট্রির পাশের খাল থেকে ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নগরবাসী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনকে অবহিত করায় তিনি তাঁর দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে ধারাবাহিকভাবে নাল-খাল পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম শুরু করেন। তারই আলোকে এবার ওয়ার সিমেট্রির পাশের খালটি পরিস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগ।

    দীর্ঘদিন ধরে এই খালে কোন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কাজ না করার কারণে প্লাস্টিক, পলিথিনসহ গৃহস্থালী বর্জ্যে এটি মশার উর্বর প্রজনন ক্ষেত্রে পরিণত হয়। তাই প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের নির্দেশে খালটি পরিস্কার করা হলো। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলাকালে কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদ আলম চৌধুরী সহ পরিচ্ছন্ন সুপারভাইজারগণ কাজের তদারকি করেন।

  • আমি চাই নগরীর ৬০লাখ অধিবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা: চসিক প্রশাসক

    আমি চাই নগরীর ৬০লাখ অধিবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা: চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষায় জনসাধারণকে সচেতন করতে মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে নগরীর পাঁচ পয়েন্টে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর্মী, চট্টগ্রাম সিটি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) কর্ণফুলী রেজিমেন্ট’র সমন্বয়ে চেকপোস্ট বসিয়েছেন।

    আজ বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে নগরীর সিমেন্ট ক্রসিং, সিটি গেইট, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, অক্সিজেন মোড়, শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন মোড়ে এ লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশন, রেড ক্রিসেন্ট ও বিএনসিসির একটি যৌথ টীম মাঠে নেমেছে। অপর একটি টীম কাজ করছে নগরীর শপিংমল, কাঁচা বাজারগুলোতে।

    মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে সিটি কর্পোরেশনের নেয়া কার্যক্রমের তদারক করতে আজ বুধবার সকাল ৮টায় প্রথমে নগরীর সিটি গেইট, অক্সিজেন মোড় ও শাহ আমানত ব্রিজ এলাকা প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন সরেজমিন পরিদর্শন করেন।

    পরিদর্শনকালে তিনি সিটি গেইটে আন্তঃজেলা, অক্সিজেন মোড়ে চট্টগ্রাম উত্তর ও শাহ আমানত সেতু এলাকায় দক্ষিণ জেলা থেকে শহরে ঢুকা বেশকিছু দূরপাল্লার বাস, ট্রাক, লরি থামিয়ে চালক-হেলপার ও যাত্রীগণ মাস্ক পরিধান করছেন কিনা তা তল্লাশি চালান।

    এসময় তিনি যারা মাস্ক পরিধান করেনি তাদের শহরে ঢুকতে না দিয়ে বুঝিয়ে নিজ বাসস্থানে ফেরত পাঠান । সে সময় রেড ক্রিসেন্ট ও বিএনসিসির কর্মীগণ জনসাধারণকে মাস্ক পরিধান করতে মাইকিং এর পাশাপাশি হ্যান্ডবিল, প্রচারপত্র বিলি করে।

    পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, করোনা মোকাবেলায় আমাদের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো মানুষকে সচেতন করা। একমাত্র সচেতনতায় পারে এই সংক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করতে। কোভিড-১৯’র দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে চট্টগ্রাম শহরেও সংক্রমণ মারত্মকভাবে বেড়েছে। নগরীর স্বনামধণ্য অনেক ব্যক্তি এতে আক্রান্ত হয়েছে। পত্রিকা-গণমাধ্যম মারফত আমরা সংক্রমণ ও মৃত্যুর যে পরিসংখ্যান দেখছি তা দিয়ে সঠিকতা নির্ণয় করলে হবে না। অনেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করলেও সামাজিকভাবে তা চেপে রাখেন। কারণ এতে মৃত্যুবরণ করলে আত্মীয়-পরিজন সমাজের লোকেরা জানাযা ও দাফন কাফনে অংশ নিতে চান না। এটা আরেক সামাজিক বিড়ম্বনা। অথচ চিকিৎসকদের মতে মৃত্যুর পরে কোন লাশে করোনার কোন জীবানু থাকেন। কাজেই এর মাধ্যমে করনোয় সংক্রমিত হওয়ার সুযোগ তেমন নাই বললেই চলে। বরং জানাযা বা জমায়েতে উপসর্গ আছে এরকম যেকোন উপস্থিত ব্যক্তি থেকে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই ভ্যাকসিন বা টীকা না আসা পর্যন্ত আমাদের স্বাস্থবিধি মেনে মাস্ক পরিধান করে, বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কোন বিকল্প নেই । জনসাধারণকে মনে রাখতে হবে এখন পর্যন্ত মাস্কই টীকা। কোনভাবেই মাস্ক পকেটে, থুতনিতে রাখা যাবে না। যথা নিয়েমে নাক মুখ ঢেকে তা পরিধান করতে হবে।

    প্রশাসক বলেন, আমি চাই আমার প্রিয় প্রাণের চট্টগ্রাম নগরীর ৬০লাখ অধিবাসী স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকুক। আমার এই কঠোরতা নগরবাসীর ভুল বুঝার কোন অবকাশ নাই। দেশের স্বার্থে নগরবাসী আমাকে ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশেনকে সহযোগীতা করবে এটাই আমার প্রত্যাশা।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন মাস্ক পরা মানে ৮০ ভাগ নিরাপদ। তিনি বলেন, বর্তমানে সংক্রমন যেভাবে বাড়ছে, তাতে লকডাউন দেয়ার পরিস্থতি বিরাজ করছে। কিন্তু দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হলে এটা সম্ভব না। তাই সচেতন হয়ে আমাদের এই দুর্যোগ কাটাতে হবে।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আলী, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) কর্ণফুলী রেজিমেন্টের কমান্ডার মেজর এ কে এম শামসুদ্দিন, সার্জেন্ট বশীর হেলাল, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার, চসিকের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী, রেড ক্রিসেন্টের সব্যসাচী দেবনাথ, রাহাত ইসলাম, তমা দেব নাথ প্রমুখ।

  • পাথরঘাটা, ফিরিঙ্গী বাজার-আলকরনে মশক নিধনে বাড়ি বাড়ি অভিযান সুজনের

    পাথরঘাটা, ফিরিঙ্গী বাজার-আলকরনে মশক নিধনে বাড়ি বাড়ি অভিযান সুজনের

    চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন নগরবাসীকে মশার বংশবিস্তার রোধে নিজ নিজ বাড়ি বাসস্থানের আঙ্গিণা, আশ-পাশ পরিষ্কার রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, শুষ্ক মৌসুমে মশার উৎপাত বাড়ে। তাই এই সময় আশ-পাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা হলো ঈমানের অঙ্গ। নগরবাসীর প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা নিজেরা পরিষ্কার থাকুন, আপনাদের আশ-পাশ পরিষ্কার রাখুন। আর যারা ছাদ বাগান করেছেন তাদেরকে ডেঙ্গমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে নিয়মিত ছাদ বাগান পরিস্কার রাখার আহবান জানান।

    তিনি বলেন এ নগরী আপনার আমার সকলের। এ নগরী পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের সকলের নাগরিক দায়িত্ব। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন যথাসাধ্য আপনাদের পাশে থাকবে।

    প্রশাসক আজ রোববার বিকেলে নগরীর ৩৪নং পাথরঘাটা, ৩৩নং ফিরিঙ্গিবাজার এবং ৩১নং আলকরণ ওয়ার্ডে মশক নিধনে মশার ওষুধ ছিটানোকালে এসব কথা বলেন।

    এ সময় প্রশাসক পাথরঘাটা গীর্জার মোড় থেকে হেঁটে নালার পানি চলাচল, নালার নির্মাণ কাজ পরিদর্শনের পর ফিরিঙ্গী বাজার বংশাল রোড হয়ে আলকরন পর্যন্ত বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ফগার মেশিনের সাহায্যে মশার ওষুধ স্প্রে ও লার্ভা ধ্বংসে ঘরের আঙিনায় এবং নালায় এডালটিসাইট স্প্রে করেন। পরিচ্ছন্ন বিভাগের প্রায় ৫০ জন সেবক ও কর্মী এ সময় ওষুধ ছিটানোর কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

    সে সময় পাথরঘাটা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী পুলক খাস্তগীর, ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, ফরহান আহমেদ, আলকরন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রাার্থী আব্দুস সালাম মাসুম, মাইনুল হক লিমন, মো. নাছির উদ্দিন, কামরুল ইসলাম, মো. সাইফুল, জানে আলম, সোলেমান সুমন, নুর আহম্মদ, ফরমান উল্লাহ, মহিউদ্দিন রনি, নিয়াজ উদ্দিন, ফরহাদ আনোয়ার তপু, মনিরুল হক মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    পাথরঘাটা, ফিরিঙ্গী বাজার এবং আলকরন ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে প্রশাসক সুজন নগরবাসীকে আরো বলেন, বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির কারণে প্রতিদিন অকালে মানুষ মারা যাচ্ছে। তাই অবশ্যই স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলবেন। তিনি সে সময় যাত্রাপথে নগরবাসীর মাঝে করোনা সচেতনায় মাস্ক ও সাবান বিতরণ করেন।

    প্রশাসক সুজন নগরবাসীকে সুরক্ষা নিয়ে মাস্ক পরিধান করে চলাচলের আহ্বান জানান। তিনি ফিরিঙ্গী বাজারের বংশাল রোডের নালার বিদ্যমান অবস্থা প্রত্যক্ষ করেন। এ সময় এলাকাবাসী নালার উপর স্থাপিত ওয়াসার পাইপের কারনে পানি চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে বলে প্রশাসককে অবহিত করলে তিনি ওয়াসার সাথে আলাপ করে পাইপ সরিয়ে পানির গতি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার আশ্বাস প্রদান করেন।

  • পিসি রোডের কার্পেটিং শুরু, যানজট ও নাগরিক ভোগান্তি হলে ব্যবস্থা : সুজন

    পিসি রোডের কার্পেটিং শুরু, যানজট ও নাগরিক ভোগান্তি হলে ব্যবস্থা : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করে নির্বিঘ্নে চলাচলের সুবিধার্থে আমরা সড়ক বানাই। পরে গিয়ে দেখা যায় নতুন নির্মিত এসব সড়ক ট্রাক, লরি, ট্রেলারের পাকিংয়ের মাধ্যমে দখলে চলে গেছে। আর এ জন্য নগরবাসীর সমালোচনা ও তোপের মুখে থাকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। তাই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে আপনারা সড়কের উপর অবৈধ পার্কিং বন্ধে ব্যবস্থা নিন। কর্পোরেশন ও আপনাদের পাশে থেকে সহযোগীতা করবে।

    সড়কে অবৈধ দখলের কারণে যানজট সহ কোন ধরণের নাগরিক ভোগান্তি হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্পোরেশন স্কুল পরিমান ও ছাড় দিবে না। এজন্য ট্রাফিক পুলিশকেও উদ্যোগী হতে হবে।

    তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাগরিকা মোড় হতে কলকা মোড় (মাজার অংশ) পর্যন্ত পোর্ট কানেক্টিং (পিসি রোড) রোডের কার্পেটিং কাজের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

    জাইকার অর্থায়নে এই কাজ চলছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাহের ব্রাদার্স এর অধীনে চলমান এই কার্পোটিংয়ের কাজ শেষের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত।

    এ সময় চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, বিপ্লব দাশসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, চট্টগ্রামের লাইফ লাইন বলে খ্যাত পোর্ট কানেক্টিং রোড ঢালাই কাজ শুরু হওয়ায় আমি খুশি। গত ৩ বছর ধরে এই সড়কটির কারণে নগরবাসী বিশেষ করে এই এলাকার অধিবাসীদের নিদারুন কষ্ট ও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এজন্য নগরবাসীর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

    তিনি বলেন, এই পিসি রোডের মোট ৬ কিলোমিটার এর মধ্যে এখন সাগরিকা হতে কলকা মোড় পর্যন্ত ২ কিলোমিটার কার্পেটিং করা হচ্চে। বাকি ৪ কিলোমিটার কলকা হতে তাসফিয়া পর্যন্ত এই অংশ শেষে কার্পেটিং করা হবে। কলকা মোড়ে একই প্রকল্পের অধীনে কালভার্টও নির্মিত হচ্ছে।

    প্রশাসক আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো পিসি রোডের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই সময়সীমার মধ্যে কাজশেষ করতে না পারলে ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল হবে বলে প্রশাসক ঘোষণা দেন।

    সেসময় প্রশাসক নির্মাণ কাজ চলাচলে ধুলাবালি থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় প্রতিদিন ১ ঘন্টা অন্তর পানি ছিটাতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও চসিকের প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

  • নো মাস্ক নো সার্ভিস ঘোষণা বাস্তবায়নে ২০ নভেম্বর থেকে চসিক সরাসরি অভিযানে নামবে: সুজন

    নো মাস্ক নো সার্ভিস ঘোষণা বাস্তবায়নে ২০ নভেম্বর থেকে চসিক সরাসরি অভিযানে নামবে: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ঘোষণা যাতে নগরীতে লক্সিখত না হয় সে-জন্য ডাইরেক্ট এ্যাকশানে যেতে চসিক প্রস্তুত।

    তিনি আরো বলেন, জীবন-জীবিকার চাকাকে সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী লকডাউনের মতন অচলায়তনে মানুষকে বন্দী করতে চান না। তবে ঘরে বাইরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিক-পারিবারিক-সামাজিক নিরাপত্তা ও দায়িত্বর বিষয়টি প্রত্যেকের নিজের কাঁধেই বর্তায়। এ ক্ষেত্রে তিল পরিমাণ ছাড় দেয়া ও শিথিলতা প্রদর্শনের অবকাশ নেই। ভাই প্রত্যেককে প্রথমে অনুরোধ জানালাম। তারপরও যারা ‘ডোন কেয়ার’ আচরণ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।

    তিনি আজ সকালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জুবিলী রোড, তিন পোল, রেয়াজউদ্দিন বাজার, স্টেশন রোড, নিউমার্কেট এলাকায় মাস্ক ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে এ কথাগুলো বলেন।

    তিনি আরো বলেন, ১৯ নভেম্বরের পর থেকে জেলা প্রশাসকের ভ্রাম্যমাণ আদালত টিমের সাথে সমš^য় করে করোনাকালে এখনও যারা বেপরোয়া তাদের বিরুদ্ধে চসিক সরাসরি অভিযানে নামবে। একই সাথে মানবিক নগরী গড়ে তুলতে যে আবেদন-নিবেদন করা হয়, তাতে যারা এখনো কর্ণপাত করছে না তাদের খুঁটির জোর যতই গভীর হোক না কেন তা উপড়ে ফেলা হবে।

    তিনি হকারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি কারো পেটে লাথি মারতে চাইনা। হকারদের জন্য কিছু নিয়ম-কানুন ও টাইম টেবল বেঁধে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তা মানা হচ্ছে না। তারা ফুটপাতই শুধু দখল করে রাখেনি, সড়কের বড় অংশও দখল করে জন ও যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা করে নাগরিক দুর্ভোগ বাড়িয়ে সহ্যের সীমা লক্সঘন করে চলেছে। এদেরকে যাঁরা প্রশ্রয় দিচ্ছে তাদেরকে চিনি। এদের মধ্যে বেড ইমেজের তথাকথিত কিছু নেতা আছে। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবে সকলের সহযোগিতা চাই।

    এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আমরা কাঁচাবাজারগুলো নিয়মিত পরিস্কার করছি। কিন্তু কিছু অবিবেচক বিক্রেতা তরিতরকারীর বর্জ্য ও পঁচা পণ্য রাস্তা ও নালা-নর্দমায় ফেলছে। মানুষ চলাচলসহ পানি চলাচলের পথও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দুর্গন্ধময় ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এখন থেকে বাজার কমিটি এবং সড়কের উপর বসা ভ্রাম্যমান তরিতরকারী বেঁচা-কেনার সাথে যারা জড়িত তারা এই বিষয়টির দেখ-ভাল করবেন। এতে ব্যত্যয় ঘটলে আমি কঠোর হতে বাধ্য হবো।

    এ সময় মাহাবুবুল হক সুমন, কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সালাম মাসুম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, আলী আকবর, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, রকিবুল আলম সাজ্জাদ, আবদুর রহমান বাহার, মো. জয়নাল উদ্দিন, সিবলী সাদেক, অনির্বান দাশ বাবু, মোহাম্মদ হানিফ, মোহাম্মদ নোমান, মো. আকতার, মো. এনাম উদ্দিন, সরওয়ার উদ্দিন ও মুনিরুল হক মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • নাগরিক সেবা নিশ্চিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছি : সুজন

    নাগরিক সেবা নিশ্চিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছি : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, আমি সাময়িক সময়ের জন্য কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছি। ১২’শ কোটি টাকার দেনার বোঝা নিয়ে কর্পোরেশনের রুটিন কাজের পাশাপাশি নগরীর নাগরিক সেবা নির্বিঘ্ন করতে গত তিন মাসে আপ্রাণ চেষ্টা চালালাম। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন অফিসের অব্যবস্থাপনা ঠিক ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে গিয়ে দেখি নগরবাসী তাদের নানান সমস্যা নিয়ে আমার কাছে ধর্না দিচ্ছেন। কিন্তু সব সমস্যার সমাধান আমার একার পক্ষে এই সীমিত সময়ে করা সম্ভব নয়।

    তিনি আজ টাইগারপাস বাটালী হিলস্থ কর্পোরেশনের সম্মেলন কক্ষে লেকসিটি হাউজিং সোসাইটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।

    এ সময় কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, লেকসিটি হাউজিং এর সভাপতি এ কে এম মুজিবুল হক, সাধারণ সম্পাদক আফাজ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানে লেকসিটি হাউজিংয়ের সাধারণ সম্পাদক বিগত সময়ে টাকা প্রদানের পরও অল্প কয়েকটি প্লট ছাড়া বাকি মালিকদের প্লট বুঝিয়ে না দেয়ার বিষয়ে প্রশাসককে অবহিত করেন। তখন তারা তাদের বিগত সময়ে প্রদেয় টাকার হিসেবসহ বর্তমানে প্লটের রেজিস্ট্রি খরচ বেড়ে যাওয়ার বিষয়েও জানান।

    প্রশাসক সুজন তাদের কথা শুনে বলেন, আপনাদের সাথে অতীতে যা হয়েছে তা অন্যায়। এটা কাম্য ছিলোনা। এই সমস্যার যাতে একটা সুরাহা করা, সেজন্য আমার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে। আমি আপনাদের এই সমস্যার সমাধানে দু-একদিনের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর বরাবরে পত্র প্রেরণ করে ওনার নির্দেশনা চাইবো। মন্ত্রণালয় যা বলবে, সেই মতে ব্যবস্থা হবে। এর বেশি আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়।

    তিনি আরো বলেন, আমি আমার দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কর্পোরেশনের অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভবিষ্য তহবিলের টাকা অল্প অল্প করে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতাও যথা সময়ে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। গত কয়েকদিন আগেও নগরীর খাল থেকে ৮৫ ট্রাক আবর্জনা অপসারণের ব্যবস্থা করলাম।

    তিনি লেকসিটি হাউজিং এর কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যে অধিকার নিয়ে আমার কাছে এসেছেন, আমি ওয়াদা করলাম আপনাদের সমস্যার সমধানে আমার শতভাগ চেষ্টা থাকবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ঢাকায় অবস্থানরতদের সহায়তা চসিককে সক্ষমতার ভিত্তি দেবে: সুজন

    ঢাকায় অবস্থানরতদের সহায়তা চসিককে সক্ষমতার ভিত্তি দেবে: সুজন

    চট্টগ্রামের সামগ্রিক উন্নয়নে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন ঢাকায় অবস্থানরত চট্টগ্রামের সন্তান সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সাংস্থার সাবেকও বর্তমান পদস্থ কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিসহ বিশিষ্ট নাগরিকদের সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নগরী হওয়ায় জাতীয় অর্থনীতির হৃদপিন্ড। চট্টগ্রাম থেকে চীন পর্যন্ত সরাসরি সড়ক যোগাযোগ এবং বন্দরের মাধ্যমে পূর্ব ভারতের ৭টি রাজ্য, নেপাল ও ভূটানের সাথে ট্রানজিট লিংক এতদ্ অঞ্চলের অথনৈতিক সমৃদ্ধি ও শ্রী বৃদ্ধির সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে। তাই চট্টগ্রাম বাঁচলে শুধু দেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার যুগান্তকারী পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বৈল্পবিক ভূমিকা রাখবে।

    তিনি আজ ঢাকায় সমাজ উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক’র চেয়ারপার্সন হোসাইন জিল্লুর করিমের সাথে তাঁর অফিস কক্ষে সাক্ষাৎকালে একথাগুলো বলেন।

    তিনি আরো বলেন, জাতীয় আয়ের ৮০ শতাংশেরও বেশি চট্টগ্রাম থেকে অর্জিত হলেও জাতীয় আয় বৃদ্ধির অনেকগুলো খাত নির্জিব রয়ে গেছে। এগুলোকে জাগিয়ে তোলা, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, উপকূলীয় অঞ্চলে পর্যটন কেন্দ্র ও স্থাপনা গড়ে তোলা, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো দেশি-বিদেশী বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন-ভিশন অনুযায়ী বাংলাদেশ উন্নত দেশের মাইল ফলক স্পর্শ করবে।

    তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি কল্পে আয়বর্দ্ধক প্রকল্প বাস্তবায়ন, প্রধান সেবা খাত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিভাগের গতিশীলতা আনয়ণে ঢাকায় অবস্থঅরতন চট্টগ্রামের বিশিষ্ট জন ও কৃতি সন্তনদের প্রণোদনামূলক সহায়তার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, তাঁরা এগিয়ে এলে চসিক জনকল্যণমূখী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজের পায়ে দাঁড়াবার ভিত্তি পাবে।

    ব্র্যাক চেয়ারপার্সন হোসাইন জিল্লুর করিম চসিক প্রশাসকের বক্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করে বলেন, প্রশাসক হিসেবে খোরশেদ আলম সুজনের প্রচেষ্টা আশা জাগানিয়া। মহৎ ও ভালো কাজের জন্য যে মানসিক ও নৈতিক দৃঢ়তা প্রয়োজন তা থাকলে কোন কিছুই অসাধ্য নয়।

    তিনি আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকান্ড এবং রাস্তা-ঘাটের সংস্কার বর্তমানে যে গতি পেয়েছে সে গতি ধরে রাখতে পারলে চট্টগ্রাম নগরী অচিরেই একটি সুন্দর, সুস্থ এবং পরিচ্ছন্ন নগরীতে পরিণত হবে।

    তিনি চসিক প্রশাসকের যে কোন কর্মকান্ডে সর্বাত্নক সহযোগিতার আশ্বাসও প্রদান করেন। সেসময় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মূখ্য সচিব ও ব্র্যাকের উপদেষ্টা আবদুল করিম, চসিক প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • নগরীর কোন খালে খোলা পায়খানা রাখা যাবে না: সুজন

    নগরীর কোন খালে খোলা পায়খানা রাখা যাবে না: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন খালের মধ্যে কোন খোলা পায়খানা রাখা যাবেনা বলে ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমানে যে বা যারা নগরীর বিভিন্ন খালে খোলা পায়খানা স্থাপন করেছেন তা নিজ দায়িত্বে দ্রুত অপসারণের নির্দেশ দেন। না হয় কর্পোরেশন তা উচ্ছেদ করবে।

    তিনি আজ শুক্রবার সকালে চলমান মশক নিধন কার্যক্রমের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর মাস্টার পোল এলাকায় ক্র্যাশ প্রোগ্রামে একথা বলেন।

    এসময় কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, স্থানীয় অধিবাসী ও সাংস্ককৃতি কর্মী শাহরিয়ার খালেদ, সাবেক ছাত্রনেতা শাহ নেওয়াজ খালেদ, কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রশাসকের সাথে ছিলেন।

    ক্র্যাম প্রোগ্রামে মাস্টার পোল এলাকার চাক্তাই খালে মশার ঔষধ ছিটানোকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমি নগরবাসীর প্রতি বিনীতভাবে অনুরোধ করবো আপনারা নালা-নর্দমা, খাল ও যত্রতত্র আবর্জনা ফেলবেন না। খালে খোলা পায়খানা স্থাপন করবেন না। এসব কার্যকলাপ পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ।এশহর আমার-আপনার সবার। শহরকে পরিচ্ছন্ন আবর্জনা মুক্ত, পরিবেশবান্ধব মানবিক শহরে পরিণত করতে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়ে আমি সেই চেষ্টা করছি। আশাকরি নগরবাসীও তাদের সামাজিক দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হবেন।

    এসময় তিনি কর্পোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রমের ক্র্যাশ প্রোগামের প্রথম ১০দিন নগরবাসীকে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলতে নিজ বাড়ির আঙ্গিনা, আশ-পাশ, ডোবা পরিস্কার রাখতে সচেতন করে প্রচার-প্রচারনা চালানো হবে বলে জানান। এরপর যদি এই প্রচার-প্রচারনায় কাজ না হয়, তাহলে কর্পোরেশনের উদ্যোগে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    প্রশাসক এলাকার স্থানীয় যারা ঘরা ভাড়া দিয়েছেন তাদেরকে নিজ এলাকা পরিস্কার রাখতে উদ্যোগী হওয়ারও আহবান জানান। ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র না ফেলে থলেতে ভরে নির্দিষ্ট সময়ে কর্পোরেশনের সেবকদের কাছে জমা করতে বলেন।

    তিনি ডেঙ্গু থেকে রাক্ষা পেতে এডিশ মশার প্রজনন স্থান ধ্বংসে নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এডিশ মশা স্বচ্ছ পানি, ফুলের টব, ডাবের খোষা, রেফ্রিজারেটরের ট্রেতে জমে থাকা পানিতে বংশ বিস্তার করে। তাই এগুলোতে যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

    পশ্চিম খুলশী এলাকায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন

    খুলশীতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দিলেন
    চসিক প্রশাসক সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন বাংলাদেশ দুর্যোগ প্রবণ দেশ। এখানকার জনসাধারণ দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম। যেকোন ধরনের দুর্যোগে সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করবো। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনও যে কোন ধরণের সহায়তায় পাশে থাকবে।

    তিনি আজ শুক্রবার সকালে নগরীর পশ্চিম খুলশী এলাকায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে একথা বলেন।

    মোট ১৪টি পরিবারের প্রত্যেককে নগদ ২ হাজার টাকার পাশাাশি, চাল-ডাল, সয়াবিন তেল, লবন, চিনি, সুজি, সাবান, মাস্ক ও হ্যান্ড সেনিটাইজার প্রদান করা হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের হাতে এসব ত্রাণ সমাগ্রী তুলে দেন।

    এসময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রশাসকের একন্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম অঞ্চলের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল জাব্বার, যুব প্রধান ইসমাঈল হক চৌধুরী ও স্থানীয় সমাজসেবক ওয়াসিমুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

    লালদিঘী পার্ক সর্বসাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে পরিদর্শন করছেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন

    সর্বসাধারনের জন্য লালদিঘী পার্ক উম্মোক্ত করলেন চসিক প্রসাশক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, লালদিঘী ও চট্টগ্রাম অভিন্ন। লালদিঘী একটি দৃষ্টিনন্দন বিনোদন কেন্দ্র। এই পার্কে একবারও আসেননি এরকম কোন চট্টগ্রামবাসী নেই। ১৯৩৯ সালে জমিদার রায় বাহাদুর রাজ কুমার এই দিঘী ও পার্কটির গোড়াপত্তন করেন। এই দিঘীতে সাঁতার শিখেছেন অনেকে। প্রাতঃভ্রমণ করেছেন এবং এখনও করেন শত শত নাগরিক। লোহা-ইট-সিমেন্টের স্থাপনা ও ইমারতে ঠাঁসাএই নগরীতে লালদিঘী পার্ক সবুজে বনে টলমলে জলে এক টুকরো ভূ-স্বর্গ। তাই নগরবাসীর কাছে এই ভূ-স্বর্গটি প্রাণ সঞ্চারিনী। তিনি আজ সকালে লালদীঘি পার্কটি জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত করণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র মরহুম আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী রায় বাহাদুর রাজ কুমারের পরিবার থেকে প্রতীকি মূল্যে লালদিঘী পার্কটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মালিকানায় কিনেন। দিঘী ও পার্কটিকে নানান উপাদানে নান্দনিক করে তোলেন। প্রাসঙ্গিক কারণে প্রাতঃ ও বৈকালিক ভ্রমণ কাল এতদিন এটা সর্বসাধারণের জন্য উম্মুক্ত ছিলোনা। নগরবাসীর চিত্তের আনন্দ ও হেটে বসে ক্ষণিকের স্বস্থি ও পরিতৃপ্তির জন্য পার্কটি আজ থেকে সর্বসাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া হয়।

    এই লালদিঘী পার্কের রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন ও শ্রী বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পর্যায়ক্রমে সৌন্দবর্দ্ধন ও নান্দনিক রূপদানে বিভিন্ন প্রকল্প ও উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে।

    তিনি আরো বলেন, লালদিঘীতে অল্প খরছে শিশু-কিশোরদের সাঁতার শেকার পুলসহ দীঘির চারপাশে চমকপ্রদ ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে দেয়া হবে।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি এ.কে.এম রেজাউল করিম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্চন্ন কর্মকর্তা মোঃ মোরশেদুল আলম চৌধুরী, বন ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন আলী চৌধুরী প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • বৃষ্টি উপেক্ষা করে খালের আবর্জনা পরিস্কারে সুজন

    বৃষ্টি উপেক্ষা করে খালের আবর্জনা পরিস্কারে সুজন

    ঝুম বৃষ্টি। সময় সকাল ৭ টা। আর এই বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আজ বুধবার (৪ নভেম্বর) সকালে নগরীর বির্জা খাল থেকে আবর্জনা ও বর্জ্য পরিস্কারের মাধ্যমে মশকনিধন কার্যক্রমের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে যান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    দায়িত্বের কারণে কোন বাধা মানতে নারাজ তিনি। তাই বৃষ্টি উপেক্ষা করে মশকনিধন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে খবর পান নগরীর পূর্ব বাকলিয়া ইছহাইক্যার পুলের নীচে বৃষ্টিতে জলজট সৃষ্টি হয়েছে। এই খবর শুনে সাথে সাথে ওই স্থানে পরিদর্শনে ছুটে যান প্রশাসক।

    পরিদর্শনকালে প্রশাসক সুজন ‘ইছহাইক্যার পুলের’ নীচে ওয়াসার সংযোগ লাইনের দুটি বিশাল আকৃতির লোহার পাইপ দেখতে পান। আর এ পাইপের সংযোগ লাইনের সাথে বড় বড় কচুরিপানা, ঘাস, বিভিন্ন আগাছা, লতা-গুল্ম আটকে খালের পানি চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে দেখে তাৎক্ষণিক কর্পোরেশনের শতাধিক শ্রমিক নিয়োজিত করে তিনি এসব আবর্জনা পরিস্কারের ব্যবস্থা নিয়ে পানি চলাচল স্বাভাবিক করেন।

    এসময় প্রশাসক ‘ইছহাইক্যার পুলে’র নীচে থাকা ওয়াসার সংযোগ লাইনের পাইপের কারণে খালের পানি প্রবাহ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সে জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নিতে ওয়াসার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে ঘটনাস্থল থেকে ফোন করেন। সে সময় স্থানীয় জনসাধারণ প্রশাসকের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। প্রয়োজনে তিনি এ ব্যাপারে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে কথা বলবেন বলে স্থানীয় জনসাধারণকে আশ্বস্থ করেন।

    মশকনিধন কার্যক্রম উদ্বোধনকালে প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, স্থানীয় রাজনীতিক আহমদ ইলিয়াছ, মুক্তিযোদ্ধা এছাক মন্টু, সমাজসেবক শামসুল আলম, আবু জাফর, শফিউল আজম বাহার, মফজল আহমদ, নাঈম রনি, কফিল উদ্দীন, শহীদুল ইসলাম শহীদ, আনিসুল আজাদ, আকতার জামান রানা প্রশাসকের সাথে ছিলেন।

    মশক নিধন কর্মসূচির উদ্বোধনের কাজে নিয়োজিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের শ্রমিক সেবকদের জন্য এমদাদ হাসান বাবু নামের স্থানীয় এক অধিবাসী সকালে নাস্তার ব্যবস্থা করেন। তাঁর এই আতিথেয়তা ও মানবিক সহায়তায় প্রশাসক সুজন প্রশংসা করেন এবং ওই অধিবাসীকে ধন্যবাদ জানান।

    মশক নিধন কার্যক্রম উদ্বোধনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, নগরীর চাক্তাই-মহেষখালসহ অধিকাংশ খাল এখন ময়লা আবর্জনায় ভরা। কর্পোরেশন মশক নিধনে এসব আবর্জনা পরিস্কারে কাজ শুরু করেছে। আগামীতে পরিস্কার হওয়া খাল-নালায় কোন ময়লা,আবর্জনা দেখলে কঠোর ব্যবস্থা নিব। আমি আজ সরেজমিন বির্জা খাল পরিদর্শন করে দেখলাম খালে পলিথিন,ককসিট !

    এ সময় তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা নিজ নিজ বাড়ির আঙিনা, পুকুর, খাল-নালা পরিস্কার রাখুন। এটা আমার আপনার সামাজিক দায়িত্ব।

    প্রশাসক নগরবাসীকে খাল-নালায় পলিথিন, ককসিট ও অপঁচনশীল দ্রব্য ফেলা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

    তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা পলিথিন বর্জন করুন। পলিথিনের কারণে আজ কর্ণফুলী নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে।

    তিনি নগরবাসীকে নগরীর জীবনযাত্রা ব্যাহত করে এই ধরণের পণ্য ব্যবহার না করার আহ্বান জানান। পলিথিন ব্যবসায়ীদেরও বিকল্প ব্যবসার পথ খুঁজতে বলেন।

    তিনি বলেন, কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে আমরা ইতোমধ্যে নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার ও স্টেশন রোডের ফলম-িতে ময়লা রাখার জন্য পলিথিনের বিকল্প থলে (ব্যাগ) সরবরাহ করেছি। আমি চাই আমোদের এই প্রিয় নগর সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে পরিস্কার রাখতে।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রশাসক বলেন, ময়লা-আবর্জনার মধ্যে মশা বংশ বিস্তার করে। সামনে ডেঙ্গুর মৌসুম। ম্যালেরিয়ার পাশাপাশি এডিশ মশা ফুলের টবে জমে থাকা স্বচ্ছ পানি,রেফ্রিজারেটরের পানি ও ছাদের কর্নিশে জমা পানিতে বংশ বিস্তার করে। তাই এডিশ মশার প্রজনন ধ্বংসে আমাদের নিজ বাসা-বাড়ি,আঙিনা পরিস্কার রাখতে হবে।

    তিনি বলেন, মশার প্রজনন ধ্বংসে আমরা পরিবেশবান্ধব ওষুধ ছিটানোর কথা ভাবছি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শমতে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি নয়,এই ধরণের ওষুধ ছিটাতে হবে। আমরা এখন তা নিয়ে ভাবছি। নগরবাসী সচেতন হলে ডেঙ্গুসহ ম্যালেরিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে প্রশাসক মন্তব্য করেন। তিনি সরকারি নির্দেশনা মেনে নগরবাসীর সহযোগীতায় চট্টগ্রাম নগরকে পরিচ্ছন্ন মানবিক ও করোনামুক্ত শহরে পরিণত করা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ‘নগরীর পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতায় যুক্ত হলো স্যুইপিং ট্রাক’

    ‘নগরীর পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতায় যুক্ত হলো স্যুইপিং ট্রাক’

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আজ বুধবার সকালে জিইসি মোড় ও দেওয়ানহাট মোড়ে নগরীকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে আধুনিক স্যুইপিং ট্রাকের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

    এ সময় তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরীকে বিশ্বমানের নগরী হিসেবে গড়ে তোলার অংশ হিসেবে এই কার্যক্রম শুরু করেছি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে পরিচ্ছন্নতা কাজে প্রায় ৩ হাজার সেবক প্রতিদিন কাজ করে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পরিচ্ছন্নতা কাজ আরো ত্বরান্বিত করতে পুরণো পদ্ধতিতে বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হলো এই আধুনিক স্যুইপিং ট্রাক। নতুন এ যন্ত্রের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নতুনমাত্রা যোগ হবে এবং এ পরিচ্ছন্ন কাজের প্রসারতা বৃদ্ধি পাবে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় চসিককে ৩টি আধুনিক ভ্যাকুয়াম টাইপ রোড সুইপার ট্রাক উপহার দিয়েছেন। ২০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী এক সাথে যে কাজ করতে পারবে, তার চেয়েও বেশি পরিচ্ছন্নতা কাজ করার সক্ষমতা রাখে এক একটি ট্রাক। ইতালী থেকে আনা এক একটি ট্রাক দিয়ে অন্তত ১২ কি.মি. রাস্তা পরিস্কার করতে পারবে। ট্রাকের যন্ত্রটি মুহূর্তের মধ্যে রাস্তার ধুলোবালি-বর্জ্য পাইপ দিয়ে তুলে নিবে। এর সংগে আলাদা পানির ট্যাংকও যুক্ত আছে। প্রয়োজনে পানি ছিটিয়ে রাস্তা পরিস্কার করা যাবে। আবর্জনা সংগ্রহের পর সুবিধাজনক স্থানে তা আনলোড করবে। আবর্জনা আনলোডের পর গাড়ির পানি দিয়ে গাড়িটি ধুয়ে ফেলার সুযোগও রয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে ট্রাকগুলো চালানোর জন্য চালকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ট্রাকগুলো মেরামত কাজের জন্য একজন ফোরম্যান ও একজন মেকানিককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আশাকরি প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে।

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম নগরীকে সুন্দর ও পরিবেশবান্ধব বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে যে আন্তরিক, এই আধুনিক স্যুইপিং ট্রাক প্রদানের মাধ্যমে তা আবারো প্রমাণিত হলো।

    প্রশাসক প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর প্রতি এ জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী জয়সেন বড়–য়া, মির্জা ফজলুল কাদের, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী চাল বিতরণ মানবিক উদ্যোগ: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, প্রজনন পরিবেশ সুরক্ষায় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকা সময়ে নিবন্ধিত মৎসজীবীদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভি.জি.এফ চাল বিতরণ প্রণোদনা কার্যক্রম একটি প্রশংসনীয় মানবিক উদ্যোগ। এর ফলে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে বেকার মৎস্যজীবী পরিবারের দুর্ভোগ লাঘব ও দু’মুঠো অন্নের সংস্থান সম্ভব হচ্ছে।

    তিনি আজ সকালে নগরীর উত্তর কাট্টলীস্থ খেজুর তলা জেলে পাড়ায় মৎস্যজীবীদের মাঝে সরকারী চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, মৎস্য প্রজননকালীন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকায় সামৃদ্রিক মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আকার ও ওজনে বড় হচ্ছে। এতে মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই লাভবান হচ্ছেন। এ ছাড়াও সামুদ্রিক মাছ রফতানী করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

    তিনি জেলেদের উদ্দেশ্যে বলেন, সাময়িক একটু সমস্যা হলেও নির্দ্দিষ্ট সময়ে মৎস্য আহরণের নিষেধাজ্ঞা মেনে চললে বাকীটা সময় মাছে-ভাতে বাঙালির সুখেই কাটবে।

    তিনি সর্তক করে দেন যে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে কর্ণেল হাট ও ঝোলার হাটে সামুদ্রিক মাছ দেখা গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    এই সময় মৎস্যজীবীরা প্রশাসককে অবহিত করেন যে, মাছ শিকারের জন্য তাদের নির্ধারিত স্থানে ভোলা থেকে আসা মৌসুমী মৎস্যজীবীরা স্থানীয় কিছু মানুষের সহযোগিতায় তারা স্থানীয় জেলেদের বাঁধা দেয় এমন কি নির্যাতনও চালায়। তিনি এ বিষয়টি আমলে এনে বলেন, কোস্টগার্ড ও নৌ-বাহিনীকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হবে। এ সময় জেলা সম্প্রদায়ের পক্ষে বক্তব্য রাখেন অনাথ বন্ধু দাস, সুভাষ দাস, সমীরণ দাস, রতন দাস, রতন দাস সহ স্থানীয় রাজনৈতিক আবদুস সালাম, আলী আজমী মিন্টু, শাহাদাত হোসেন, আলাউদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম