Tag: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে

  • লালদিঘীকে না চিনলে চট্টগ্রামকে চেনা যাবে না: সুজন

    লালদিঘীকে না চিনলে চট্টগ্রামকে চেনা যাবে না: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, লালদিঘীকে না-চিনলে, না-জানলে চট্টগ্রামকে চেনা ও জানা যাবে না। লালদিঘীকে ঘিরেই চট্টগ্রামের ইতিহাস, রাজনীতি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নানান বর্ণিল অধ্যায় সুচিত হয় এবং অনেক বীরত্ব গাঁথার স্মৃতির হীরকখণ্ড এখনো ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে এসে চোখের মণিতে জ্বলজ্বল করে। তাই লালদিঘী শুধু এক টুকরো নৈ:সর্গিক ভূমি নয়, স্মৃতি, সত্তা ও অস্তিত্বের শিকড়।

    তিনি আজ শুক্রবার সকালে লালদিঘীর চারপাশ ঘিরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে গড়ে তোলা বাহারী ফুল ও বৃক্ষরাজির সজীব সবুজে শোভিত পার্কটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে এভাবেই এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।

    তিনি লালদিঘী ও তৎসংলগ্ন মাঠের ঐতিহাসিক গুরুত্ব উপস্থাপন করে বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অংশ নেয়া তরুণ ও যুবকদের শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি কল্পে আজ থেকে শতবর্ষ আগে আবদুল জব্বার বলী খেলার সূচনা করেন। একে ঘিরেই প্রতি বাংলাবর্ষের ১২ বৈশাখ লালদিঘীর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে দেশের সর্ববৃহৎ বৈশাখী লোকখেলা হয়ে আসছে। এই লালদিঘীর পূর্বে চট্টগ্রাম, জেল কারাগারে ব্রিটিশ রাজশক্তি অগ্নিযুগের বিপ্লবী মাস্টার দা সূর্যসেন ও তারকেশ্বর দস্তিদারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ছিল। তারপরের ইতিহাস আরো গৌরবোজ্জ্বল। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় রমনা ভাষা শহীদদের রক্তে রঞ্জিত হবার পর দিন লালদিঘী ময়দানে একুশের প্রথম কবিতা মাহবুবু উল আলম চৌধুরীর কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি’ পাঠ করেছিলেন চৌধুরী হারুনুর রশীদ।

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই লালদিঘীর মাঠে সর্বপ্রথম জনসভায় ৬ দফা ঘোষণা করেন। একাত্তরের অসহযোগের অগ্নিক্ষরা দিলে অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদের ‘এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নাটক এই লালদিঘী মাঠে অভিনীত হয় এবং মৌলভী ছৈয়দ আহমদ ও এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে জয়বাংলা স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর মার্চপাস্ট অনুষ্টিত হয়। এটাই ছিলো সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিমূলক মহড়া।

    স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লালদিঘী মাঠে জনসভা করতে আসার পথে তাঁকে হত্যার প্রচেষ্টায় সামরিক স্বৈরাশাসকের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ বাহিনীর নির্বিচারে গুলিবর্ষণে লালদিঘীর অনতিদূরে শহীদ ২৬ জন বাঙালি। এ ধরণের অনেক বীরত্বগাঁথার অনুঙ্কার আছে লালদিঘীকে ঘিরে। তাই চট্টগ্রামের ইতিহাস, রাজনীতি-ধর্ম-সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও বিনোদনের ক্ষেত্রে লালদিঘীর সম্পৃক্ততা চিরকালীন ও সর্বজনীন তাই চট্টগ্রামকে চেনা ও জানার নাভিমূল বই লালদিঘী।

    তিনি আরো বলেন, ১৯৩৯ সালে তৎকালীন কুলীন জমিদার নন্দনকাননের রাজ কুমার ঘোষ তাঁর নিজস্ব জায়গায় লালদিঘীর গোড়াপত্তন করেন এবং লালদিঘীর চারপাশে বাগান করেন। পরবর্তীতে সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী রাজ কুমার ঘোষের পরিবার থেকে প্রতীকী মূল্যে লালদিঘী চসিকের মালিকানাধীন করেন এবং দিঘী ও পার্কের নানন্দিক রূপ দেন। তখন এটা হয়ে ওঠে নগরবাসীর প্রাত: ও বৈকালিক ভ্রমণের একটি অতুলনীয় উপাদান। তবে পরে এটা ধীরে ধীরে নান্দনিকতা হারিয়ে ফেলে এবং অসামাজিক কর্মকান্ডের জন্য এর পরিবেশ দুষিত হয়ে ওঠে। মাহিউদ্দিন চৌধুরীর ইচ্ছা ছিলো এই লালদিঘীতে সাধারণ নাগরিকদের সন্তানদের নামমাত্র মূল্যে সাঁতার শেখার জন্য একটি স্যুইমিং পোল করা। তিনি কাজও শুরু করেছিলেন। তবে ভুল বোঝাবুঝির জন্য কাজটি শেষ করতে পারেন নি।

    এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ধনী পরিবারের জন্য অভিজাত ক্লাবে স্যুইমিং পোল থাকলেও সাধারণ পরিবারের সন্তানদের জন্য সাঁতার শেখার কোন সুযোগ নেই। আউটার স্টেডিয়ামের একাংশে ক্রীড়া পরিষদ একটি স্যুইমিং স্টেডিয়াম তৈরী করলেও তা অপরিকল্পিত ও নির্মাণগত ত্রুটির কারণে এখন পর্যন্ত ব্যবহার অনুপযোগী। আমি সাধারণ পরিবারের কথা ভেবে তাদের সন্তানরা যাতে এখানে স্বল্প মূল্যে সাঁতার শিখতে পারে সে ব্যবস্থা করতে চাই।

    তিনি জানান, লালদিঘী পারে সিটি কর্পোরেশন লাইব্রেরিটি একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার। এখানে মূল্যবান দুর্লভ গ্রন্থের সংগ্রহ রয়েছে। জাইকার অর্থায়নে এই লাইব্রেরি ৮ম তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এটাকে মানব সম্পদ গঠনের উপযোগী করে তুলে ডিসেম্বররের মাঝামাঝি সময়ে উদ্বোধন করার চিন্তা রয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, লালদিঘীর পারে চারপাশ দিয়ে প্রাত: ও বৈকালিক ভ্রমণকারীদের ¯^চ্ছন্ধে হাঁটাহাটির জন্য ওয়াকওয়ে করে দেয়া হয়েছে। নানান উপাদানে পার্কটি নানন্দনিক করা হয়েছে। এখন সকাল ৬ টা থেকে ৮ টা এবং বিকেল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পার্কটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। লালদিঘীর চারপাশে মিউজিক্যাল লাইটিংয়ের মাধ্যমে আলো ও সুরের মুর্চ্ছনা ইভেন্ট যুক্ত করা হবে। খাবার সামগ্রীর প্যাকেট নিয়ে এখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া যত্রতত্র ভাবেকোন বর্জ্য ফেলা যাবে না।

    তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, লালদিঘী মানবিক নগরতৈরীর একটি আবশ্যিক উপাদান। লালদিঘী কংক্রিটের ঝঞ্জালে ¯^চ্ছ জল, বাহারী ফুল ও সুবুজের এক টুকরো ভূ-¯^র্গ ভূমি এর প্রতি সমতা ভরা সংবেদনশীলতা সৌন্দর্য্য ও পবিত্রতা রক্ষার দায়িত্ব নগরবাসীর আর চসিকের দায়িত্ব নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষনের। ঐ সময় পার্কে প্রাত: ভ্রমণে আসা লোকজনকে চসিকের চিকিৎসক ও ¯^াস্থ্যকর্মীরা ডায়বেটিক, রক্তের উচ্চচাপ পরীক্ষাসহ বিনামূল্যে ¯^াস্থ্যসেবা প্রদান করেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, বিপ্লব কুমার দাশ, ডা. অঞ্জন কুমার দাশ, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরমেদুল আলম চৌধুরী, সাবেক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, আবুল মনসুর, মাহবুবুল হক সুমন, কাউন্সিলা প্রার্থী নোমান লিটন, পুলক খাস্তগীর, আব্দুস সালাম মাসুম, মহিউদ্দিন শাহ, রুমকি সেনগুপ্ত, কামরুল হক, জানে আলম, সোলায়মান সুমন প্রমুখ।

    এছাড়াও চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন লালদিঘী থেকে ফেরার পথে নিউমার্কেট ও স্টেশন রোড রেয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে আবর্জনা দেখতে পান।

    তিনি গাড়ি থেকে নেমে এই আবর্জনাগুলো দোকান মালিকদের দিয়ে অপসারণ করেন এবং এখন থেকে দোকানের সামনে কোন আবর্জনা ফেলা হলে তাদেরকেই সেই আবর্জনা পরিস্কার করতে হবে বলে সর্তক করে দেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ধর্মচর্চা ও পালন মানুষকে পরিশুদ্ধ করে : সুজন

    ধর্মচর্চা ও পালন মানুষকে পরিশুদ্ধ করে : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে শুভবোধের ঈশ্বরীয় প্রতীক। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে সত্যের পথে শ্রী কৃষ্ণ পঞ্চ পান্ডবদের প্রেরণা যুুগিয়ে ছিলেন। আজ আমরা যারা সত্যের পথে চলছি তাদের জন্য তিনি এখনও অনুসরণীয়। মনে রাখতে হবে সকল ধর্মেরই মূল বাণী শান্তি, সত্য ও মানবতার চর্চা। ধর্মচর্চা ও পালন মানুষের জীবনকে পরিশুদ্ধ করে। আমার প্রত্যাশা ধর্ম চর্চার মাধ্যমে সমাজ থেকে হিংসা, বিদ্বেষ দূর হবে। মানুষের জীবন ফুলের মত পবিত্র হয়ে উঠবে।

    তিনি আজ বুধবার দুপুরে নন্দনকানন ইসকন রাধা মাধব মন্দিরে শ্রী শ্রী অন্নকূট মহোৎসব ও শ্রী প্রভুপাদ এর ৪৩ তম তিরোধাম দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইসকন বাংলাদেশ এর সিনিয়র সহ সভাপতি ভক্তিপ্রিয় গদাধর গোস্বামী শ্রীমৎ ভক্তি অদ্বৈত নবদ্বীপ স্বামী মহারাজ, নগর আওয়ামী লীগ নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ বহ্ম্যচারী, মুকুন্দ ভক্তি দাস বক্তব্য রাখেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • চাক্তাই খালে পচা পেঁয়াজ, মজুতদারিদের প্রতিরোধের আহ্বান সুজনের

    চাক্তাই খালে পচা পেঁয়াজ, মজুতদারিদের প্রতিরোধের আহ্বান সুজনের

    বাজারে পেঁয়াজের মূল্যে ঊর্ধ্বগতি চলছে বেশ কয়েকমান যাবত। আর এই ঊর্ধ্বগতির কারণে দৈনন্দিন বাজারে নিত্য পণ্যের চাহিদা তালিকায় আবশ্যিক এই কাট ছাট করছে ভোক্তা সাধারণ। অথচ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ব্যবসার নামে মজুতদারি করে গোডাউনে রাখা পঁচা পেঁয়াজ ফেলে দিচ্ছে খালে। এই ঘটনা দেখে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আজ মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকালে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর চকবাজার ধুনির পোল এলাকায় চাক্তাই খাল থেকে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার কার্যক্রম ও মশার ওষুধ ছিটানো পরিদর্শনে গিয়ে এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন।

    এসময় ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর, রাজনীতিক ও আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ শহিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, চকবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দিন, চসিকের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রশাসকের সাথে ছিলেন।

    খালের এসব ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার কাজ চলাকালে তিনি ওই এলাকায় জনসাধারণের মাঝে করোনা ভাইরাস, ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সচেতনতায় প্রচারপত্র বিলি করেন। সে সময় প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, খাল-নালা হলো পানি চলাচলের পথ। অথচ খালে ফেলা হচ্ছে পঁচা পেয়াজ, আবর্জনা, এটা তো কাম্য নয়। ব্যবসায়ী নামে এসব গণদুশমন মজুতদারিদের প্রতিহত করতে হবে।

    তিনি ওই এলাকায় বাজার কেন্দ্রিক যেসব অবৈধ চাঁদাবাজ আছেন তাদেরকেও সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করতে বলেন।

    প্রশাসক সুজন চকবাজার কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীদের বাজারের উচ্ছিষ্ট খাল-নালায় না ফেলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এখন একদিকে করোনা মহামারিতে জনবীজন বিপর্যস্ত। অপর দিকে শীতের শুষ্ক মৌসুমে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ বাড়ে। ইতোমধ্যেই করোনার সংক্রামন বেড়েছে। এর মধ্যে যদি ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াকেও নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করবে নগরীর জনজীবনে। তাই আপনাদের প্রতি আমার উদাত্ত আহ্বান আপনারা নিজ বাড়ি, বাসা, ব্যবসা-বাণিজের আশপাশ, আঙ্গিনা নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আমরা এবার নালা-খালের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করছি। এরপর যদি পরিষ্কার হওয়া স্থানে কোন ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র পড়ে থাকতে বা ফেলতে দেখি, তাহলে ওই এলাকার আশ-পাশের বাসিন্দা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

    তিনি আরো বলেন, নগরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে নগরবাসীরও নাগরিক দায়িত্ব রয়েছে। নগরবাসীর সহযোগিতা ছাড়া সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে কোন সেবাকার্যক্রম নির্বিঘ্নে চালানো সম্ভব নয়।

    সুজন করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজনে বাইরে বের হলে মাস্ক পরিধান না করলে শাস্তির ববস্থা করা হবে জানিয়ে নগরবাসীকে সর্তক করে দিয়ে বলেন, আজ (মঙ্গলবার) থেকে নগরীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৬টি টিম জনসাধারণের মাঝে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে অভিযান চালাবে।

    উল্লেখ্য, চকবাজার-পশ্চিম বাকলিয়া এলাকায় চাক্তাই খাল থেকে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারে সিটি কর্পোরেশনের দুটি স্কেভেটর, ১০টি ড্রাম ট্রাক, ৪০ জন পরিচ্ছন্ন সেবক কাজ করবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • চট্টগ্রাম বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি উর্বর ভূমি : সুজন

    চট্টগ্রাম বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি উর্বর ভূমি : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক বন্দর এর অবস্থান ও বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে চট্টগ্রাম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আন্ত:দেশীয় গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে ওঠার শতভাগ সম্ভাবনার আশাবাদ ব্যক্ত করে চট্টগ্রামে শিল্প-বাণিজ্য-পর্যটন খাতে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাতে চান।

    তিনি আজ সকালে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনে তাঁর অফিস কক্ষে ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসনের সাথে সাক্ষাতকালে তাঁকে বলেন, চট্টগ্রাম ব্রিটিশ সু-সভ্যতার স্পর্শে ধন্য হয়ে যথেষ্ট আলোকিত। শিক্ষা, সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অনেক ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সভ্যতার ছাপ সুস্পষ্ট। রেলের পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তরসহ অনেকগুলো ভিক্টোরিয়াল স্থাপত্য রীতি তারই সাক্ষ্য বহন করে। একাধিক ব্রিটিশ কোম্পানী এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের ভিত্তি সোপান তৈরী করে দিয়েছে। চা’য়ের বাগান ও এই শিল্পের বিকাশ ব্রিটিশদের হাত ধরেই অত্তন হয়েছে এবং চট্টগ্রামের বাগান থেকে উৎপাদিত চা বিশ্ব সেরা। এগুলো এখন বাঙালি মালিকানাধীন। সব মিলিয়ে ব্রিটিশের সাথে চট্টগ্রামের সুমধুর বন্ধনের স্মৃতি জ্বলজ্বল করে।

    তিনি চট্টগ্রামের সাথে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যেও বন্ধনের কথা উল্লেখ করে বলেন, হাজার বছর ধরে চট্টগ্রাম প্রাকৃতিক বন্দর সমুদ্র পথে প্রাচ্য, প্রতীচ্য ও পাশ্চাত্যের প্রবেশ দ্বার। তাই চট্টগ্রাম এতদঞ্চলের অর্থনৈতিক হৃদপিণ্ড। পৃথিবীর নানান প্রান্ত থেকে আসা বণিক ও পর্যটকরা এখানে এসে মুগ্ধ হয়েছেন, কেউ কেউ থেকেও গেছেন। তারা আমাদের সমাজ-সভ্যতা-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রকে উর্বর করে গেছেন। ব্রিটিশদের অবদান এ ক্ষেত্রে আরো বেশি। তাঁরা দু’শ বছর এদেশ শাসন করেছে। তাই অনেক ক্ষেত্রেই ব্রিটিশ আইন ও রীতি-নীতি এখনও বহাল আছে।

    চসিক প্রশাসক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক গুরুত্বের কথা তুলে ধরে বলেন, বে-টার্মিনাল ও মহেশখালীর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর হয়ে গেলে চট্টগ্রাম আন্ত: দেশিয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে এবং এর ভবিষ্যত সিঙ্গাপুরের চেয়েও উজ্জ্বল।

    কক্সবাজার থেকে মিরসরাই পর্যন্ত সরকারের পরিকল্পিত উপকূলীয় মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ হলে এ বিশাল বেল্টে শিল্প ও পর্যটনের বিশাল অর্থনৈতিক জোন গড়ে উঠবে। এ বিশাল সম্ভাবনার সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য প্রশাসক ব্রিটিশ হাইকমিশনারের প্রতি আহবান জানান।

    ব্রিটিশদেরই গড়ে তোলা ফয়’সলেক যথাযথ পরিচর্যায় হয়ে উঠতে পারে পর্যটকদের জন্য চমকপ্রদ চারণভূমি। এখান থেকে ভাটিয়ারী পর্যন্ত ক্যাবল কার এর সংযোগ স্থাপন করে, একপাশে স্যাটেলাইট কটেজ নির্মাণ ও এংলিং (বড়শি দিয়ে মাছ ধরা) এর ব্যবস্থা করে হলে এটি উপমহাদেশের ভ্রমণ পিপাসুদের অন্যতম ভ্রমণ কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে। এছাড়া কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে ট্যানেলটি হয়ে গেলে নদীর দক্ষিণ তীরে একাধিক শিল্পজোন গড়ে ওঠার সম্ভাবনা উজ্জ্বল।

    তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের অর্থনেতিক অঞ্চলগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগ আসা শুরু হয়েছে। চীন, কোরিয়া, জাপানসহ বিদেশি বিনিয়োগকারী সাড়া দিয়েছে। সবমিলিয়ে ১২টি দেশ থেকে এখানে বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। তাই চট্টগ্রাম শুধু আঞ্চলিক নয়, আন্ত:দেশীয় থেকে আন্ত:মহাদেশীয় অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের মূল কেন্দ্র হতে খুব বেশি দেরী নেই। তাই এতে সামিল হতে ব্রিটিশ বিনোয়োগকে সাদরে আমন্ত্রণ জানান চসিক প্রশাসক। কারণ চট্টগ্রাম সকল বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্যে লাভ যোগ্য ও সম্ভাবনাময় একটি উর্বর ভূমি।

    ব্রিটিশ হাইকমিশনার বরার্ট চ্যাটারটন ডিকশন চসিক প্রশাসকের আহবানকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রামের সৌন্দর্যে আমরা মুগ্ধ। এখানকার পরিবেশ, পরিস্থিতি ও আর্থ-সামাজিক চিত্র সম্পর্কে আমাদের পূর্বসূরীদের ভালো অভিজ্ঞতা আছে। চট্টগ্রামে বর্তমান ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা সম্পর্কেও আমাদের জানা আছে। তাই এখানে আমরা বিনিয়োগে আগ্রহী। এখানে চীন, কোরিয়া ও জাপানের বিনিয়োগকারীরা যে-ধরণের সুযোগ-সুবিধা ও নিশ্চয়তা নিরাপত্তা পান সেভাবে আমরা পেলে এবং পরিবেশ অনুকুল থাকলে আন্ত:দেশীয় ও আন্ত: মহাদেশীয় আর্থ-সামাজিক উন্নতি ও অগ্রযাত্রার স্বার্থে ব্রিটিশ বিনিয়োগের ঢল নামবে।

    এ সময় ব্রিটিশ হাই কমিশনারের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব মুহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম ও এল আই ইউপিসি প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার সরোয়ার হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ডিজিটাল যুগে অর্থনৈতিক হৃদপিন্ড চট্টগ্রাম পিছিয়ে থাকতে পারে না: সুজন

    ডিজিটাল যুগে অর্থনৈতিক হৃদপিন্ড চট্টগ্রাম পিছিয়ে থাকতে পারে না: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর সমাজ বিনির্মানের স্বপ্ন পূরণ এবং বাংলাদেশকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে সামিল হতে হলে সকল ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এই বাস্তবতার প্রেক্ষিতে দেশের অর্থনৈতিক হৃদপিন্ড এবং ৮০ শতাংশেরও জাতীয় আয়ের উৎস বন্দর নগরী চট্টগ্রাম আগামীতে ডিজিটাল ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে।

    অর্থনেতিক গুরুত্ব বিবেচনায় ডিজিটাল যুগে চট্টগ্রাম পিছিয়ে থাকতে পারে না এবং এজন্য প্রয়োজন স্থাপনা, অবকাঠামো নির্মাণ, চর্চা ও গবেণার জন্য পর্যাপ্ত প্লেস বা স্থান। এই বিষয়টি মাথায় রেখে কোন শর্ত ও বিধি-বিধান ছাড়াই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরীতে হাইটেক পাওয়ার পার্ক স্থাপনের জন্যে বাংলাদেশ হাইটেক পাওয়ার কর্তৃপক্ষকে ১২ একর জমি দিয়েছে ন্যূনতম ভাড়ায়।

    তিনি আজ সকালে টাইগারপাসস্থ প্রশাসক দপ্তরে আইসিটি ডিভিশনের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগমের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সাথে সাক্ষাতকালে একথাগুলো বলেন।

    তিনি আরো বলেন, শীঘ্রই মিরসরাইতে অর্থনৈতিক অঞ্চল হতে যাচ্ছে। কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে ট্যানেল নির্মাণ শেষ হলে নদীর দক্ষিণ তীরে একাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠবে। ইতোমধ্যেই এতদ্ অঞ্চলে ১২টি দেশ থেকে বড় অংকের বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ এসব স্থানগুলো অচিরেই শিল্পনগরীতে পরিণত হবে।

    তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আগামীতে এই সকল শিল্প নগরীসহ চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ চলাচল থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দৈনন্দিন কার্যক্রম তথ্য প্রযুক্তির উপর নির্ভর করবে। এ ছাড়াও শিল্প, বাণিজ্যসহ চট্টগ্রামের সকল আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রযুক্তি যথোপযুক্ত ব্যবহার অনিবার্য হয়ে উঠবে।

    হাইটেক পাওয়ার পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম চসিক প্রশাসককে অবহিত করেছেন যে, সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ১১ দশমিক ৫৫ একর জায়গায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পথে। অতি শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এই তথ্য প্রযুক্তি স্থাপনা ও পার্কটি পরিদর্শন করবেন।

    তিনি এই পার্কের জন্য ১ বর্গফুট জায়গার ভাড়া ৩০ টাকার পরিবর্তে ২৫ টাকা ধার্য করার জন্য প্রস্তাব করলে চসিক প্রশাসক তাতে সায় দেন।

    এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ পিএসসি, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ডায়াবেটিস জীবনকে সুশৃঙ্খংল ও নিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দেয়:সুজন

    ডায়াবেটিস জীবনকে সুশৃঙ্খংল ও নিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দেয়:সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, ডায়াবেটিস ভয়াবহ কোন মরণব্যাধি নয়, তবে যিনি আক্রান্ত হন পরীক্ষার আগে তিনি বুঝতে পারেন না আক্রান্ত হয়েছেন। তাই উপসর্গ বেড়ে ওঠার আগেই প্রত্যেকেরই প্রয়োজন ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা।

    তিনি আরো বলেন, এই রোগ নিরাময় যোগ্য না হলেও মানুষকে নিজ নিজ জীবন যাপনে নিয়ন্ত্রণ সাধন ব্রতের শিক্ষা দেয়। কোন ভারী ডোজ ও দামী ঔষধপত্র নয়, নিয়ম মাফিক শৃংখলপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বিধি এই ব্যাথির একমাত্র শাস্ত্রসম্মত চিকিৎসা। যারা ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তারা বেশি দিন বাঁচেন এবং জীবনধারাও পরিশ্রম সাধ্য ও সুশৃঙ্খল হয়ে ওঠে। কাজে ও সৃজনে এই ব্যধি বাধা হয়ে ওঠে না। পৃথিবীর অনেক নামী-দামী মানুষ, এমন কি ক্রীড়াবিদ ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রনে রেখে নিজ নিজ কর্ম-কর্তব্য করে যাচ্ছেন।বিশ্বখ্যাত পাকিস্তানী ক্রিকেটার ওয়াসিম আক্রাম ডায়াবেটিস রোগী হয়েও দোর্দন্ড প্রতাপে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন।

    তিনি আজ সকালে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালনোপলক্ষে চট্টগ্রাম ডায়াবেটিস সমিতি আয়োজিত জাকির হোসেন রোডস্থ হাসপাতাল কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, আজকের সভ্য মানুষের পরিবারগুলো প্রায়ই কলহ কেন্দ্রিক। মা-বাবার অমিল ও ঝগড়া ঝাটিতে অনেক সন্তন গৃহবিমূখ। তাই মানসিক ও শারীরিক রোগ-বালাই মুসিবতে তারা ভুগছে। ডায়াবেটিসের আরেকটি কারণ মানসিক ও স্নায়ুবিক উত্তেজনা। তাই সন্তানদের ভালোর জন্য আজকে মা-বাবাদের এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

    তিনি চট্টগ্রাম ডায়াবেটিস হাসপাতালকে একটি মহৎ মানবিক সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, একটা ছোট পরিসর ও অবস্থান থেকে প্রতিষ্ঠানটি বড় মহীরুহে পরিণত হয়ে মানুষকে শীতল ছায়া দিচ্ছে। এখানে অনেকেই সূলভে ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পান, তাই প্রতিষ্ঠানটি আমাদে গর্ব।

    তিনি এই প্রতিষ্ঠানের গৃহকর বাবদ নবমূল্যায়ন জরীপে ধার্যকৃত ১ কোটি ২২ লাখ টাকার পরিবর্তে পূর্বের হারে গৃহকর আদায়ে চসিকের রাজস্ব বিভাগকে নির্দেশন দেন।

    চট্টগ্রাম ডায়াবেটিস সমিতির অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর চৌধুরীর চসিক প্রশাসককে ধন্যবাদ জানয়ে বলেন, তিনি প্রকৃত অর্থে আমাদেরই লোক। একজন রাজনীতিক হিসেবে তিনি জনকল্যাণমূখী কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের যেমন জানেন ও বুঝেন তেমনি আমরাও তাঁকে জানি ও বুঝি।

    তিনি আরো বলেন, ইনসুলিন ইনজেকশনের প্রবক্তা জন বেস্টিক ও বেনজিমের প্রতি সম্মান জানিয়ে ২০০৬ সাল থেকে জাতি সংঘ প্রতি বছর ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন করে আসছে।

    চট্টগ্রাম ডায়েবেটস সমিতির সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী জাবেদ আফছার চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন, পুস্টিবিদ হাসিনা আক্তার লিপি, ডাক্তার নওশের উল্লাহ চৌধুরী, জাফর আহমেদ প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • খাল ও নালা-নর্দমায় পলিথিন ও আবর্জনা নিজেরা না ফেলা পর্যন্ত জলাবদ্ধাতা নিরসন হবে না: সুজন

    খাল ও নালা-নর্দমায় পলিথিন ও আবর্জনা নিজেরা না ফেলা পর্যন্ত জলাবদ্ধাতা নিরসন হবে না: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, দোকান-পাট ও বাসা-বাড়ির সামনে খাল ও নালা-নর্দমায় যদি পলিথিন, প্লাস্টিক বর্জ্য ও আবর্জনা ফেলি তা হলে কিছুতেই জলাবদ্ধাতা নিরসন হবে না। যারা এধরণের অপরিনামদর্শী অপকর্ম করেছেন তারা যদি এ থেকে বিরত না হন এবং নিজ উদ্যোগে খাল ও নালা-নর্দমা থেকে স্তূপকৃত ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্য অপসারণ না করেন তাদের তাদের জরিমানসহ আইনের আওয়াত আনা হবে।

    তিনি আজ সকালে নগরীর ৩৯নং ওয়ার্ডে সৈকত খাল পরিস্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে একথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, আমরা যতই নালা-নর্দমা ও খাল পরিস্কার, প্রশস্তকরণ এবং রাস্তা উঁচু করি না কেন, দেখা যাচ্ছে সেগুলো স্থানীয়রা ময়লা আবর্জনা ও পলিথিন-প্লাষ্টিকের ভাগাড়ে পরিণত করেছে। এমনকি কর্ণফুলী তীরবর্তী ও উপকূলীয় এলাকায় যত্রতত্র গৃহস্থালী ও শিল্প বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। এতে প্রকৃতির উপর ভয়াবহ বিরুপ প্রভাব পড়ছে, নাগরিক দুর্ভোগ বেড়ে যাচ্ছে।

    তিনি সৈকত খালে এবং আশে-পাশের নালা নর্দমায় স্তুূপকৃত পলিথিন ও ময়লা-আবর্জনা দেখে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি নগরীর বিভিন্ন এলাকায় খাল-নালা-নর্দমা ও পানি চলাচলের পথ থেকে পলিথিন প্লাস্টিক বর্জ্য ও আবর্জনা টনে টনে সরিয়ে নিয়ে পানি চলাচলের পথ উম্মোক্ত করেছি কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই সেগুলো পূর্বের আবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। এখানে বাইরে থেকে এসে কেউ পলিথিন ও আবর্জনা ফেলেনি, এই অপকর্ম স্থানীয়রাই করেছে। এখন থেকে যার যার বাড়ি ও দোকান পাটের সামনের খাল ও নালা-নর্দমা নিজেরাই পরিস্কার রাখবেন এবং যাতে পনি চলাচলের পথ বাধাগ্রস্ত না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখবেন।

    তিনি আরো বলেন, যারা সৈকত খালের উপর পারাপারের জন্য বিনা অনুমতিতে স্ল্যাব স্থাপন ও ওয়াসা খলের মধ্যে যে পাইপ লাইন করেছে সেগুলো ১৯ নভেম্বরের মধ্যে অপসারণ ও সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে। এসময়ের মধ্যে স্ল্যাব না সরালে সিটি কর্পোরেশন ভেঙ্গে ফেলবে।

    তিনি আরো বলেন, এই করোনাকালে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব লক্ষণীয়। বর্ষা অতিক্রান্ত হলেও শীতকালে কোথাও যেন পানি জমাট ও পনি চলাচলের পথ আটকে না থাকে সে জন্য নিজ উদ্যোগেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এডিস মশা প্রজনন যাতে না হয় সে জন্য নিজ নিজ আঙ্গিনা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় তিনি মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য নগরবাসীকে পরামর্শ দেন।

    এ সময় চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন এলাকাবাসীর কাছে করোনা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিক হাজী হারুনুর রশিদ, সুলতান মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন, সমির মাহাজন লিটন, মোহাম্মদ কবির, মো. সামসুদ্দিন, মো. সেলিম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী অসীম বড়ুয়া, প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্চন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী।

    পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে করোনা, ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া প্রতিরোধ কার্যক্রম উদ্বোধন করছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    উন্নয়নশীল বাংলাদেশে লক ডাউন নয়, সচেতনতাই প্রধান: সুজন

    আজ বিকেলে নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা এবং ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে আজ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাসব্যাপী সচেতনতামূলক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    এইসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, কভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ হানা দিয়েছে। ইউরোপে দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় আবার লক ডাউন শুরু হলে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশে তা শুরু করা সম্ভব নয়। কারণ জীবন ও জীবিকার চাকা একই সাথে সচল রেখে বৈশ্বিক বিরুপ পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তাই নতুন করে ছন্দ পতন সংকটকে ঘনীভূত করবে। এখন আমরা নিজেকে সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুনিয়ন্ত্রিত ও সুশৃংখল জীবন যাপন ও জীবিকা ধারণ করে পরিস্থিতিকে সামালে দেয়ার পাশাপাশি করোনা পূর্ব কালের সক্ষমতার জায়গায় পৌঁছতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, করোনাকালের প্রথম পর্বে ৭ মাসের অভিজ্ঞতায় আতঙ্ক কেটে গেছে, তেমন ডর-ভয়ও নেই। তবে একেবারে পরোয়া না করার মানসিকতা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিকে ডেকে আনবে। যাকে করোনা ছোবল দিয়েছে তিনি বুঝেন এটা কতটা ভয়ঙ্কর। তাই বিন্দুমাত্র অসচেতনতা ও ঢিলেমির কোন সুযোগ নেই। যারা মাস্ক না পরে বাইরে খোরাফেরা করছেন, বা মাস্ক সাথে রাখলেও নাক-মুখ ঢাকছেন না এবং অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরা ফেরা করছেন তারা ঝুঁকিতে আছেন। আপনারা বিপদ ডেকে আনবেন না। মনে রাখবেন একজন আক্রান্ত হলে পুরো পরিবার ও সমাজ আক্রান্ত হতে পারে।

    তিনি এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র পরিস্কার, সাফ-সুরত করা এবং বাড়ি-ঘর-রাস্তা-ঘাট বাজার দোকান পাট এমনকটি ছাদ বাগন, টব, পরিত্যক্ত প্লাস্টিক সামগ্রী, পরিত্যক্ত টায়ার, টিনের কোটা, ডাবের খোসা, পলিথিন-চিপসের খালি প্যাকেট ইত্যাদিতে যেন পানি জমে থাকতে না পারে এ ব্যাপারে প্রতিটি, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠনকে লক্ষ্য রাখতে আহ্বন জানিয়ে বলেন, নিজেকে সুরক্ষা করার জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন তা নিজেকেই আগে করতে হবে। তা না হলে আমরা আপনারা কেউই নিরাপদ নই। তিনি পঙেঙ্গা সৈকতে ৫ হাজার মাস্ক ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।

    এসময় উপস্থি ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান প্রকৌশলী কর্ণেল সোহেল আহমেদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী অসিম বড়ুয়া, প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, মোরশেদ আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ ইসকান্দর, মোঃ নুরুল আলম, মোঃ সেলিম, সমির মাহাজন লিটন ও জাহেদুল ইসলাম দুর্জয়।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম।

    পরমত সহিষ্ণুতাই হলো বিশুদ্ধ রাজনৈতিক সংস্কৃতি: সুুুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সাথে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চসিক কার্যালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এই সময় প্রশাসক সাবেক মেয়রকে অভ্যর্থনা জানিয়ে বলেন, আমরা দু’জনই রাজনীতিক। রাজনীতির মমার্থ হলো সেবা ও জনকল্যাণ। আমাদের মধ্যে মত ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু পরমত সহিষ্ণুতা থাকতে হবে এবং এভাবেই বিশুদ্ধ রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠতে পারে। তা হলে সমাজে কখনো সহিংসতা, অসহিষ্ণুতা থাকবেনা এবং স্থিতি ও শান্তি বিরাজ করবে।
    মোহাম্মদ মনজুর আলম বলেন, এই চট্টগ্রাম নগরী দেশের অর্থনৈতিক প্রাণ স্পন্দনের কেন্দ্র। সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই নগরীর বিদ্যমান সমস্যা নিরসন করা সম্ভব। তিনি চট্টগ্রামকে সকলের বাসযোগ্য নগরীর হিসেবে গড়ে তুলতে প্রশাসককে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন এবং প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁর জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • হালিশহরে ক্যারাভান: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ও ডেঙ্গু মোকাবেলায় সুজনের নাগরিক বার্তা

    হালিশহরে ক্যারাভান: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ও ডেঙ্গু মোকাবেলায় সুজনের নাগরিক বার্তা

    নাগরিক সচেতনতায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের আজকের বুধবার (১১ নভেম্বর) ‘নগর সেবায় ক্যারাভান’ কর্মসূচিতে ছিল কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা ও ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে খাল-নালায় যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকার নাগরিক আহ্বান। সল্টগোলা ক্রসিং হয়ে পুরাতন ডাকঘর ২নং সাইট বাকের আলী ফকিরের ও চৌচালা মোড় পর্যন্ত। কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন ও প্রকৌশল বিভাগের সমন্বয়ে প্রশাসকের এই কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে চলমান আছে। তাৎক্ষণিক নাগরিক সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন এই ক্যারাভান কর্মসূচি গ্রহণ করেন।

    এর ফলে নগরবাসী তাদের নাগরিক জীবনের সুবিধা, অসুবিধা, অভাব, অভিযোগ সহজে জনপ্রতিনিধিদের জানাতে পারেন। এতে পারস্পরিক মতামত আদান-প্রদানের মাধ্যমে নাগরিক জীবনের বেশ কিছু সমস্যা স্পটেই সমাধান হয়। কর্পোরেশন প্রশাসকের ওই কর্মসূচি নগরবাসীর মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে।

    আজকের ‘ক্যারাভান’ কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে প্রশাসক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জলাবদ্ধতা নিরসনে হালিশহর সল্টগোলা ক্রসিং মোড়ে মহেশখালের মুখে রেগুলেটর পয়েন্ট স্থাপনের কাজ পরিদর্শন করেন। এই রেগুলেটর স্থাপনে চউকের ১৫০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর কাজ সম্পূর্ণ শেষ হলে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি ও জলাবদ্ধতা থেকে দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর এলাকায় জনসাধারণ রক্ষা পাবে।

    এ কাজ পরিদর্শনকালে চউকের চলমান প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কর্ণেল আলী উপস্থিত ছিলেন। পরে ক্যারাভান কর্মসূচিতে রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নগরবাসীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। নালা-খালের পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক আছে কিনা তা প্রত্যক্ষ করেন।

    এ সময় নগরবাসীর মাঝে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচারপত্র বিলির পাশাপাশি দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর স্কুল ডাকঘরের পাশে খালে ফগার মেশিনের সাহায্যে মশার ওষুধ ছিটান ও অনেককে মাস্ক বিতরণ করেন।

    কিছু পথ হেঁটে কিছু পথ স্কুটি চালিয়ে পুরো এলাকার লোহার পুল, নিশ্চিন্তা পাড়া, মিস্ত্রি পুকুর পাড়, মহাজন পাড়া, পুরাতন ২ নম্বর সাইড, সাচী চৌধুরী পাড়া, বরহান পাড়া, আলী মিয়া সরকার বাড়ি এলাকার অধিবাসীদের সাথে কথা বলে তারা কর্পোরেশনের নাগরিকরা ঠিকঠাক ভাবে সেবা পান কিনা তা জানতে চান।

    সে সময় বরহান পাড়া, আলী মিয়া সরকার বাড়ির সড়কটি নীচু হওয়ায় বৃষ্টির মৌসুমে জলামগ্ন থাকে শুনে, এই সড়ক সহসা কর্পোরেশনের উদ্যোগে উঁচু ও পাকা করার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ঘোষণা করেন প্রশাসক।

    পুরো ক্যারাভান কর্মসূচিতে প্রশাসক হ্যান্ড মাইকে কিছু দূর পর পর নগরবাসীর মাঝে নাগরিক সচেতনতায় তাঁর বার্তা পৌঁছে দেন। প্রশাসক বলেন, আসন্ন শীত মৌসুমে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ হিসেবে সংক্রমন বাড়তে পারে। অপরদিকে শুস্ক মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপও বাড়ে। তাই করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে নগরবাসীকে সচেতন হতে হবে। নিজ বাড়ির আঙ্গিনা, পুকুর, ডোবা আশাপাশের নালা-খাল পরিস্কার রাখতে হবে। যাতে মশার উপদ্রব না বাড়ে। পাশাপাশি করোনা মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব মেনে বাইরে গেলে মাস্ক পরিধানের পাশাপাশি কিছুক্ষণ অন্তর সাবান পানিতে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, এই শহর আমাদের তাই একে নান্দনিক, পরিবেশ বান্ধব করে রাখতে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। প্রশাসক করোনার ঠিকা দেশে সহজলভ্য না হওয়ায় পর্যন্ত নগরবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, সামান্য অবহেলায় নিজের ও জনজীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে তাই সাবধানতা অবলম্বনের বিকল্প নাই।

    এ সময় সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, সমাজসেবক হাসান মুরাদ, জানে আলম, হাজী মো. সুলতান, এ এ মান্নান, কামরুল হোসেন, হাবিব শরীফ প্রমুখ প্রশাসকের সাথে ক্যারাভান কর্মসূচিতে ছিলেন।
    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • আমার আকাঙ্ক্ষা নগরে সবুজে ছোঁয়া: সুজন

    আমার আকাঙ্ক্ষা নগরে সবুজে ছোঁয়া: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে প্রকৃতির নন্দিনী। অপরূপ সৌন্দর্যের বন্দর নগর চট্টগ্রামের সৌন্দর্য্য আজ নগরায়নের কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে। আমি চাই আমাদের এই প্রিয় শহর আবারো সবুজের সমারোহে পত্র পল্লবে নানা রঙ ও বর্ণের ফুলে পল্লবিত হউক। বর্তমানে নগরীতে সৌন্দর্য্যবর্ধনের নামে যা হয়েছে তাতে চোখ ভরলেও মন ভরে না।

    তিনি আজ সকালে আন্দরকিল্লাস্থ পুরনো নগর ভবনের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে নগরীর নার্সারী মালিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়ের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, স্থপতি আবদুল্লাহ ওমর, মো. নুরুদ্দীন, বস্তি উন্নয়ন ও বনায়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন আলী উপস্থিত ছিলেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, বিগত সময়ে সৌন্দর্য্যবর্ধনের কার্যক্রম- বাগান দিয়ে শুরু হয়ে দোকান ভাড়া দিয়ে শেষ হয়েছে। এতে গোষ্ঠী বিশেষের লাভ হলেও কর্পোরেশন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমি চাই নগরে সবুজের ছোঁয়া।

    প্রশাসক আসন্ন শীত মৌসুমকে সামনে রেখে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্পটগুলো নানা জাতের ফুলগাছ রোপন করে বর্ণিল ফুলে সজ্জিত করতে নগরীর নার্সারী মালিকদের এগিয়ে আসতে বলেন।

    তিনি বলেন, প্রকৃতির ছোঁয়ায় আমাদের শহরের বৃদ্ধি পাক এটা আমার আকাক্সক্ষা। আশাকরি নগরের নার্সারী মালিকরা আমার আহŸানে সাড়া দিবেন।

    নার্সারী মালিকরা কর্পোরেশনের জায়গায় ফুলের বাগান করার জন্য প্রশাসকের কাছে অনুরোধ জানালে, তিনি তাদের প্রস্তাব নিয়ে আবারো বৈঠকে বসবেন বলে আশ্বস্ত করেন। মতবিনিময়ে নগরের ২০ নার্সারী মালিক উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • চট্টগ্রামের উন্নয়নে আমাদের স্বার্থ এক ও অভিন্ন: চসিক প্রশাসককে রেলমন্ত্রী

    চট্টগ্রামের উন্নয়নে আমাদের স্বার্থ এক ও অভিন্ন: চসিক প্রশাসককে রেলমন্ত্রী

    রেলপথ মন্ত্রী মো.নুরুল ইসলাম সুজন এমপি বলেছেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গৃহীত মেগা প্রকল্পের সাথে আমাদের স্বার্থ এক ও অভিন্ন। দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বন্দর নগর চট্টগ্রাম এগিয়ে গেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আজ সোমবার সকালে মন্ত্রীর সাথে তাঁর সচিবালয়ের দপ্তরে স্বাক্ষাতকালে তিনি একথা বলেন।

    এসময় ফজলে হোসেন বাদশা এমপি ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সেলিম রেজা উপস্থিত ছিলেন।

    স্বাক্ষাতকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন নগরীর মাদারবাড়ি এলাকায় বরাদ্দের টাকা ও জমির উন্নয়ন বাবদে টাকা পরিশোধের পরও ৭একর জায়গা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দখলে থাকা সত্ত্বেও ওই জমির বরাদ্দ বাতিল হওয়ার বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রীকে অবহিত করে তা প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। মন্ত্রী প্রশাসকের বক্তব্য শুনে তা মিমাংসার আশ্বাস দেন।

    প্রশাসক সুজন মন্ত্রীর নিকট মিরসরাই হতে বেজার ব্যবস্থাপনায় চালু হতে যাওয়া বাংলাদেশের বৃহত্তম শিল্পাঞ্চল বঙ্গবন্ধু শিল্প পার্কের গুরুত্ব অনুধাবন করে ওই এলাকার সাথে শহর কেন্দ্রীক মানুষের যোগাযোগের সুবিধার্থে কয়েক জোড়া শাটল ট্রেন চালু ও চট্টগ্রাম দোহাজারি রুটে কমপক্ষে ৪ জোড়া ট্রেন চালুর প্রস্তাব করেন। এতে একদিকে বঙ্গবন্ধু শিল্প পার্কের সাথে সকল শ্রেণির কর্মজীবীদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় পবির্তনের পাশাপাশি শ্রমিক ও কর্মজীবীদের সহজলভ্যতা নিশ্চিত হবে।

    এসময় চট্টগ্রাম নগরীকে পরিচ্ছন্ন, পরিবেশ বান্ধব মানবিক শহরে পরিণত কতে আরো বেশ কিছু প্রস্তাবনা রেলপথ মন্ত্রীর বরাবরে উত্থাপন করেন চসিক প্রশাসক সুজন।

    রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সাথে তাঁর অফিস কক্ষে সাক্ষাত করেন চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশনের প্রশাসক মাহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    মন্ত্রী সাময়িক দায়িত্ব পাওয়ার পরও নগরীর উন্নয়নে প্রশাসকের দূরদৃষ্টি সম্পন্ন চিন্তা ভাবনায় প্রশংসা করে তাঁকে ধন্যবাদ জানান।

    প্রশাসক সুজন রেলপথ মন্ত্রীর নিকট আরো যেসব প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছেন তা হলো চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারবাহী রেল লাইনের সংস্কার ও বগী বাড়ানো, পাহাড়তলীতে স্থাপিত রেল ওয়ার্কশপ পুনরায় চালু ও সংস্কার করা, চট্টগ্রাম নগরীর নতুন রেল স্টেশনের সামনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বা রেলের উদ্যোগে মাল্টি স্টোর বা বহুমুখি পার্কিং চালু করন, রেলওয়ের মালিকানাধীন পাহাড়তলী জোড় ডেবা সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তার করা।

    প্রস্তাবগুলো মন্ত্রী ও প্রশাসকের পারস্পরিক আলাপ-আলোচনায় প্রশাসক সুজন তাঁর প্রস্তাবনার বিষয়ে বেশ কিছু যুক্তি মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। এরমধ্যে বন্দরের কন্টেইনার জট কমাতে রেললাইন সংস্কারের পাশাপাশি বগী বাড়ানোর সুজনের প্রস্তাব মন্ত্রী গুরুত্বসহকারে আমলে নেন।

    এছাড়াও নগরীর যানজট নিরসনে নতুন রেল স্টেশনের সামনে বহুমুখি পার্কিং চালু ও পাহাড়তলী জোড় ডেবার অপব্যবহার রোধের পাশাপাশি এর আশে পাশে অপরাধমূলক ও অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে স্টেশনের ওই জায়গা ও জোড় ডেবা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে বরাদ্দ দেয়ার জন্য রেলপথ মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন চসিক প্রশাসক সুজন।

    প্রশাসক রেলপথ মন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন পাহাড়তলী জোড় ডেবার একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে। এক সময় এলাকার অধিবাসীরা সুপেয় পানির সংকট দূর করতে এই দীঘি খনন করে। আজ অনাদরে অবহেলায় প্রকৃতির এই সৌন্দর্যকে আমরা ম্লান হতে দিতে পারি না। এই জোড় ডেবাকে আমি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নান্দনিক সাজে সাজিয়ে বিনোদনকেন্দ্র রূপে গড়ে তুলতে চাই। আশাকরি আপনি আমার প্রস্তাবে সায় দিবেন।

    স্বাক্ষাতকালে প্রশাসকের সকল প্রস্তাব ও কথা রেলপথ মন্ত্রী মনোযাগ সহকারে শুনে বলেন, আমিও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক দুজনই ছাত্ররাজনীতি থেকে উঠে আসা রাজনৈতিক কর্মী। জাতীয় উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, প্রধানমন্ত্রীর মিশন ভিশন ২০৪০ বাস্তবায়নে আমাদের সম্মিলিত প্রয়াসে চট্টগ্রাম আঞ্চলিকতার গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সুদৃঢ় অবস্থান করে নিবে বলে আমার বিশ্বাস।

    সে সময় রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুবিধাজনক সময়ে চট্টগ্রাম সফরে এসে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের প্রস্তাবিত স্থানগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে এর সম্ভ্যবতা যাচাই করে দ্রুত তাঁর একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত চসিক প্রশাসককে জানাতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী’র সাথে তাঁর অফিস কক্ষে সাক্ষাত করেন চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশনের প্রশাসক মাহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    চসিকের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকার সচেষ্ট: সাক্ষাতকালে প্রশাসক সুজনকে নৌ- সচিব

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আজ ঢাকায় সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী’র সাথে তাঁর অফিস কক্ষে সাক্ষাত করেন।

    এই সময় তিনি সচিবকে চট্টগ্রাম বন্দরের বাৎসরিক আয় থেকে চসিককে ১ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ পরিশোধ, সদরঘাট থেকে কাপ্তাই ও কাপ্তাই থেকে রাঙামাটি পর্যন্ত নৌ রুটে সী-বাস চালু এবং সদরঘাট থেকে বিমানবন্দর সংলগ্ন ১৫নং ঘাট পর্যন্ত সূলভ ভাড়ায় সী-বাস সার্ভিস চালুকরণ প্রসঙ্গে ইতোপূর্বে যে তিনটি পৃথক পৃথক চাহিদা পত্র প্রদান করে ছিলেন তার আলোকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

    সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী চসিক প্রশাসকের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বলেন, চাহিদা পত্রে উল্লেখিত প্রস্তাবনা ও দাবী জনস্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিষয়গুলো মন্ত্রণালয় আমলে এনেছে এবং গুরুত্ব বিবেচনায় এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় সাধন করে পর্যায়ক্রমে যথাযথ উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নেয়া হবে।

    সচিব চসিকের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও জনস্বার্থে প্রদত্ত চাহিদা পত্রের জন্য প্রশাসককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার জনবান্ধব। তাই জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা ও চাহিদা আমলে এনে তা পূরণ করা ও সমাধান নিশ্চিত করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গীকার। সর্বোপরি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকার সচেষ্ট।

    চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন চট্টগ্রাম বন্দরের বাৎসরিক আয় ১ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ পরিশোধ প্রসঙ্গে সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীকে অবহিত করেন, চট্টগ্রাম বন্দর ও চসিক অভিন্ন। চট্টগ্রাম নগরীর টেকসই সড়ক অবকাঠামো ব্যবস্থাপনার উপরই নিভরশীল বন্দরের আমদানী ও রপ্তানী পণ্য পরিবহনের বিষয়টি। বন্দরমুখী ও বহিমুখী ভারীযান গুলোর মাত্রাতিরিক্ত চাপের ফলে সড়কগুলো মারাত্নক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে বন্দরের সক্ষমতায় বিরুপ প্রভাব ও সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে জনদুর্ভোগ অসহনীয় পর্যায়ে ঠেকেছে। চট্টগ্রাম বন্দরে বে-টার্মিনাল এবং মহেষখালীর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর হলেও সড়ক ও স্ট্রাকচারাল সক্ষমতা না থাকলে বন্দরের সক্ষমতার ক্ষেত্রে বড় ধরণের ঘাটতি থেকে যাবে। তাই বন্দরের বাৎসরিক আয় থেকে ১ শতাংশ হারে চসিককে পরিশোধ করা হলে আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নের কর্মকান্ড চলমান রাখা সম্ভব হবে। এতে সাধারণ মানুষ ও পণ্য পরিবহন সহজ, নিশ্চিত ও নিরাপদ হবে এবং এর সুফল হিসেবে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

    সদরঘাট থেকে কাপ্তাই ও রাঙামাটি নৌ-রুটে সী-বাস সার্ভিস চালুর চাহিদা পত্র প্রসঙ্গে চসিক প্রশাসক বলেন, সড়কের পাশাপাশি অন্য কোন বিকল্প চলাচল পথ না থাকায় যানজট সহ নানা দুর্ভোগ হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় নৌ-রুট। সদরঘাট থেকে কাপ্তাই হয়ে রাঙামাটি পর্যন্ত সী-বাস বা লঞ্চ রুট হলে যাত্র ওজন্য পরিবহন এবং পার্বত্য এলাকা থেকে তরিতরকারী, শাক-সবজীসহ কৃষিপণ্য চট্টগ্রাম শহরে পরিবহন সহজলভ্য হবে এবং কৃতি অর্থনীতির ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

    চাহিদাপত্রে সদরঘাট থেকে বিমান বন্দর সংলগ্ন ১৫নং ঘাট পর্যন্ত সী-বাস চালু ও এর সূলভ মূল্যে ভাড়া নির্ধারণ প্রসঙ্গে বলেন, এতে নগরীতে যানজট নিরসন কিছুটা হলেও সম্ভব হচ্ছে। বিশেষ করে বিমান বন্দর ব্যবহারকারী যাত্রীদের জন্য বেশ স্বস্থিদায়ক তবে জনপ্রতি ৪০০ টাকা করে ভাড়া নিধারণ করাটা সবার জন্য সক্ষমতার বাইরে। সূলভ মূল্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন বিআইডব্লিউবিসি বা বন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে একই জেটি ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের জন্য সী-সার্ভিস চালু হলে এয়ারপোর্ট রোডে চলাচলে যানজট থেকে নগরবাসী রেহাই পাবে।

    তিনি মেরিন রোড সদরঘাট থেকে কর্ণফুলী ব্রীজ পর্যন্ত সরাসরি সংযোগ করার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এই রোড দিয়ে এখন ফিরিঙ্গিবাজার থেকে কর্ণফুলী ব্রীজ পর্যন্ত চলাচল করতে পারছে। এতে যানজট কিছুটা নিরসন হচ্ছে। তবে সদরঘাট থেকে ফিরিঙ্গিবাজার পর্যন্ত রোডটি সংযোগ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় ভারী যানবাহন সদরঘাট কর্ণফুলী সেতু হয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টেকনাফ পর্যন্ত সরাসরি চলাচল করতে পারছে না। তাই সদরঘাট থেকে ফিরিঙ্গিবাজার পর্যন্ত অংশটি দ্রুত সম্পন্ন করে মেরিন রোডের সাথে যুক্ত হলে পুরো নগরী যানজট মুক্ত হবে এবং দূরপাল্লার সড়ক যোগাযোগ সহজতর হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • অনুমতি ছাড়া সড়ক কাটায় ওয়াসার মালামাল জব্দ করলো চসিক

    অনুমতি ছাড়া সড়ক কাটায় ওয়াসার মালামাল জব্দ করলো চসিক

    চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম বিমান বন্দর সড়কে অনুমতি না নিয়ে সড়ক কাটায় চট্টগ্রাম ওয়াসার মালামাল জব্দসহ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

    আজ সোমবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে অনুমতি ছাড়া সড়ক কাটার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঝটিকা পরিদর্শনে গিয়ে সত্যতা পান। এসময় সড়ক কাটার মালামাল জব্দ করে কাজ বন্ধ করে দেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমেদ।

    জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে বোর হোল ড্রিলিং মেশিন, একটি পিকআপ ভ্যাট ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি। সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগের টীমে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অসীম বড়–য়া ও সহকারী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম।

    পূবানুমতি ও রোডম্যাপ ছাড়া নগরীর আর কোন সড়ক চট্টগ্রাম ওয়াসা যাতে কাটতে না পারে সে ব্যাপারে ওয়াসার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেওয়ার জন্য মৌাখিকভাবে নির্দেশনা দেন ঢাকায় দাপ্তরিক কাজে অবস্থারত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

    প্রয়োজনে তিনি ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকে ফোনে এ ব্যাপারে জানাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন আমরা রাস্তা মেরামত করবো ওয়াসা তাদের ইচ্ছামাফিক কাটবে এটা মানা যায় না, হতে পারেনা।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • চসিক প্রশাসকের নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে প্যাচওয়ার্ক

    চসিক প্রশাসকের নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে প্যাচওয়ার্ক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের নির্দেশে নগরীর ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করেছে কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ। নয় ভাগে বিভক্ত হয়ে ভেঙে যাওয়া সড়কসমূহের গর্ত ভরাট ও প্যাচওয়ার্ক করে যান চলাচলের উপযোগী করতে

    আজ সোমবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে কাজ শুরু করেছে কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ।

    নগরীর যেসব স্থানে প্যাচওয়ার্কের কাজ শুরু হয়েছে সেসব স্থান হলো: মেহেদীবাগ গোলপাহাড় মোড় হতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মোড়, চকবাজার গুলজার টাওয়ার মোড় থেকে চট্টগ্রাম কলেজ গেট মোড়, ফিরিঙ্গীবাজার কবি নজরুল ইসলাম রোডের ওয়ার্ড অফিস সংলগ্ন এলাকা, মোহরা দেওয়ান মহসিন রোড, সল্ট ক্রসিংয়ের ভিতরের এলাকা, হালিশহর আনন্দবাজার রোডের চৌচালা মোড়, হালিশহর বিজিবি’র ভিতরের এলাকা। এসব এলাকার কাজ শেষ হতে আনুমানিক ১৫ দিন লাগবে।

    কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ের বৃষ্টির কারণে নগরীর বিস্তীর্ণ এলাকার বেশকিছু সড়ক ভেঙে গিয়ে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

    এছাড়াও সরকারের চলমান মেগা প্রকল্পের কারণে চউক, চট্টগ্রাম ওয়াসাও খোঁড়াখুঁড়ি করায় সড়কগুলোতে যান ও জনচলাচলের ক্ষেত্রে দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। তাই কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন ধারাবাহিক কর্মসূচি ক্যারাভান এর মাধ্যমে নগরীর অলিগলির যাবতীয় সমস্যা সরেজমিন অবলোকন করে তাৎক্ষণিক সমাধানের চেষ্টা করছেন। তারই আলোকে নগরীর ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর প্যাচওয়ার্কের মাধ্যমে মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। এতে নগরবাসীর দুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করেন প্রশাসক।

    নগরীর বিভিন্ন সড়কে কার্পেটিংয়ের পাশাপশি প্যাচওয়ার্ক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। নগরবাসীর ভোগান্তি লাঘবই হচ্ছে চসিক প্রশাসকের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম