Tag: চট্টগ্রাম সিটি মেয়র

  • করোনাকালের শিক্ষা নিয়ে স্বাস্থ্যখাতের দীনতা দূর করতে হবে:চসিক মেয়র

    করোনাকালের শিক্ষা নিয়ে স্বাস্থ্যখাতের দীনতা দূর করতে হবে:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ. ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, করোনাকালের দু:সহ পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদেরকে সকল সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ক্রান্তিকাল অতিক্রমে হিম্মত অর্জন করতে হবে। সাহস, মনোবল ও প্রবল ইচ্ছাশক্তিই পরিস্থিতি মোকাবেলার সবচেয়ে বড় অবলম্বন। সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে যে-সব চিকিৎসক,নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আক্রান্তদের সেবা দিচ্ছেন তার ধারাবাহিকতায় অবশ্যই পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব।

    তিনি আজ মঙ্গলবার মোহরাস্থ ছাফা মোতালেব মাতৃসদন হাসপাতালের কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনকালে এসব কথাগুলো বলেছেন।

    তিনি আরো বলেন, অদৃশ্য শক্র মরণঘাতী করোনা ভাইরাস এমনই একটি মারণাস্ত্র যার জীবন বিধ্বংসী নাশকতার চরিত্র-প্রকৃতি কারো জানা ছিল না। তাই এ রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধির সাথে সাথে আমাদের স্বাস্থ্যখাতের দীনতাগুলো সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। করোনাকালের এই শিক্ষা নিয়ে স্বাস্থ্যখাতে দীনতা দূর করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সামর্থ্য ও সক্ষমতা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠলেও সরকার নির্বিকার ও নির্লিপ্ত নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিজেই মনিটরিং করছেন এবং ব্যবস্থাপনার ত্রুটিগত দীনতাগুলো দ্রুত নিরসন করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য যুদ্ধকালীন অবস্থার মতোই স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজাতে সবধরণের উদ্যোগ ও প্রস্তুতি অব্যাহত রেখেছেন।

    তিনি চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, তারা অবশ্যই দেশপ্রেমিক। আমরা ইতোমধ্যেই অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীকে হারিয়েছি। তাঁরা বীরের মর্যাদায় অভিসিক্ত। পাশাপাশি এটাও লক্ষ্যণীয় যে, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি অংশ তাদের পেশাগত দায়িত্ব ভুলে গিয়ে করোনা ভীতিতে আক্রান্ত হয়ে নিজেকে গুটিয়ে রেখে দেশপ্রেম বিবর্জিত আচরণে লিপ্ত হয়েছেন। এমনকি সরকারি বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র নির্বিশেষে কোন কোন হাসপাতালের অব্যবস্থপনার চিত্র সহ্যের সীমা অতিক্রম করেছে। মেয়র দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত নগরবাসীর চিকিৎসা সেবায় চিকিৎসকদের শতভাগ অবদান রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই মানবিক দায়িত্বটুকু পালনে চিকিৎসক-নার্সদের অবশ্যই সচেষ্ট হতে হবে। যারা এ ক্ষেত্রে অবহেলা করবেন তারা ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে অপরাধী হয়ে থাকবেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক কাউন্সিলর মোহাম্মদ আজম, সাফা মোতালেব মাতৃসদন হাসপাতালের ইনচার্জ ডা. মো. তৌহিদুল আনোয়ার খান, ডা. কাউছার পারভীন, ডা. আলমগীর, ডা. জোৎস্না রানী বড়ুয়া, ডা. রিয়াজ আহমদ, ডা. রনজিত পাল, ডা. কুসুম আক্তার, ডা. তানজিনা খাতুন, ডা. সামিয়া আফরিন, ডা. ওয়াহিদা বেগম, আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, আনোয়ার মিজ্জা, মোঃ ফারুক, রুবায়েত হোসেন, নঈম উদ্দিন, খান,আবুল কালাম প্রমুখ।

    পরে নগরীর ২নং জালালাবাদ ও ১৩নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে থিয়েটার ইনষ্টিটিউটে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

    এই কর্মশালার প্রশিক্ষকদের নির্দেশনা মেনে নিয়ে দূর্যোগকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিবেদিত হওয়ার আহবান জানিয়ে মেয়র বলেন, আপনাদের এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের জন্য আপনারা অবশ্যই স্বীকৃতিযোগ্য।ভবিষ্যতে সকল সংকট মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আপনারা অগ্রাধিকার পাবেন।

    এ সময় চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, কর্মশালার আইইডিসিআর এর প্রশিক্ষক ডা. মোহাম্মদ ওমর কাইয়ুম, ডা. তৌহিদুল আনোয়ার খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চিকিৎসা নিয়ে তালবাহানা না করতে মেয়র নাছিরের হুঁশিয়ারি

    চিকিৎসা নিয়ে তালবাহানা না করতে মেয়র নাছিরের হুঁশিয়ারি

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ. জ. ম. নাছির উদ্দীন চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কোভিড ও নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে তালবাহানা না করতে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ।

    চিকিৎসা না পেয়ে বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের মা-বাবা বা কোনো স্বজন মারা গেলে কেমন লাগবে সেই প্রশ্নও করেন মেয়র নাছির।

    মেয়র নাছির বলেন, আপনারা তো ফ্রিতে চিকিৎসা দিচ্ছেন না। চিকিৎসা ফি নিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন৷ কয়েকদিন ধরে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে মারা যাওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বেসরকারি স্বাস্থকর্মীরা প্রণোদনা দাবী করছেন কিন্তু সে প্রণোদনা তো বেসরকারি ক্লিনিক মালিকদেরই দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে কারণ তারা টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন।

    সিটি মেয়র বলেন, বারবার অনুরোধ করে বলার পরও চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতালগুলো রোগী নিতে তালবাহানা করছে। কোনো রোগী হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোভিড বা নন-কোভিডের সার্টিফিকেট খোঁজে। কিন্তু একজন মানুষ কিভাবে সঙ্গে সঙ্গে এই সার্টিফিকেট দিবে? অন্তত তাকে পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে। পরীক্ষা দেওয়ার সাথে সাথে রিপোর্ট ও পাওয়া যাচ্ছে না। সার্টিফিকেট এর কথা বলে এভাবে রোগী ভর্তি না করে মেরে ফেলা ফৌজদারি অপরাধ, জনগণের সঙ্গে স্রেফ প্রতারণার শামিল।

    তিনি বলেন, প্রশাসনকে এবার সংক্রামক ব্যাধি আইনে শাস্তি প্রয়োগের দিকেই যেতে হবে। আর কোন রোগীকে ফেরত দিলে ছাড় দেওয়া হবে না মর্মে তিনি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকদের হুশিয়ার করে দেন।

    মঙ্গলবার (৯ জুন) বিকাল ৩ ঘটিকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব জনাব আহমদ কায়কাউসের সঙ্গে জুম কনফারেন্সিং সিস্টেমে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকদের সাথে মতবিনিময় সভা উপলক্ষে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এভাবে চট্টগ্রামের চিকিৎসার বেহাল অবস্থার কথা তুলে ধরেন।

    একইদিন সকালে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালে করোনা ইউনিট উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য কালে ও একই বক্তব্য তুলে ধরেন।

    মেয়র তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন,আর কোনো অনুরোধ হবে না। এবার অ্যাকশন শুরু হবে৷ যদি কোনো রোগী বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে মারা যায় বা আপনারা চিকিৎসা না দেন তবে এর পরিণাম ভালো হবে না।

    মঙ্গলবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি সগির আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র আ জ ম নাছির।

    তিনি মুখ্যসচিবকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আজকে সকালে আমাদের থানা আওয়ামী লীগের এক সেক্রেটারি স্ট্রোক করেছিলেন। তাকে তিন চারটা হাসপাতালে নেওয়া হলেও কোনও হাসপাতালেই সিট খালি নেই এমন অজুহাতে ভর্তি করায়নি। পরে যখন পার্কভিউ হাসপাতালে নেওয়া হলো তখন চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন তিনি আর বেঁচে নেই।’

    তিনি বলেন, এ ধরণের নৈরাজ্য প্রতিরোধে সংক্রমণ আইন প্রয়োগের মাধ্যমে অপরাধীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • জানুয়ারিতে চট্টগ্রামে নামছে ২০০ এসি বাস

    জানুয়ারিতে চট্টগ্রামে নামছে ২০০ এসি বাস

    চট্টগ্রাম নগরের তিনটি রুটে আগামী জানুয়ারিতে ২০০টি এসি বাস চালু হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    বুধবার (২০ নভেম্বর) নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সিটি করপোরেশনের ৫২তম সাধারণ সভার বক্তব্যে এ তথ্য জানান তিনি। এ ছাড়া সভায় এ বছর মহান বিজয় দিবসে ১৫০ মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

    মেয়র বলেন, নগরে সুষ্ঠু ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট না থাকায় নগরবাসীর ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে। এই ভোগান্তি থেকে উত্তরণে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থা অপরিহার্য।

    সূত্র জানায়, প্রাথমিক পর্যায়ে ১০০ এসি বাস রাস্তায় নামানো হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে তা ২০০-তে উন্নীত করা হবে। ইতোমধ্যে এই বাসগুলোর জন্য নগরের মেরিনার্স রোডের পাশে টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে।

    নগরীর কালুরঘাট থেকে পতেঙ্গা, ভাটিয়ারী থেকে লালদিঘী এবং নিউ মার্কেট থেকে ফতেয়াবাদ, এই তিন রুটে পরীক্ষামূলকভাবে পরিচালিত হবে। আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে এগুলো চালানো হবে।”

    একেকটি রুটের বাসের একেক রং হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “এতে বিশৃঙ্খলা দূর হবে। নগরীর সৌন্দর্য অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবে।”

    এই প্রকল্পের আওতায় ২০০ বাস চালুর পরিকল্পনা জানিয়ে মেয়র বলেন, চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে বাসগুলো দেশে চলে আসবে।

    সিটি করপোরেশনের সচিব আবু সাহেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ূয়া, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আকতার, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরীসহ চসিকের প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, বিভাগীয় ও শাখা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

  • শাহ আমানত মার্কেট আধুনিকায়নে ১০ কোটি টাকা ব্যয় করবে চসিক

    শাহ আমানত মার্কেট আধুনিকায়নে ১০ কোটি টাকা ব্যয় করবে চসিক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, শাহ আমানত মার্কেট চট্টগ্রাম নগরীর জনবহুল এলাকায় অবস্থিত। নগরবাসীর কাছে এই মার্কেটের চাহিদা গুরুত্ব অত্যাধিক। ক্রেতা সাধারণের কাছে মার্কেটের চাহিদা আরো আকর্ষণীয় করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

    অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এই বহুতল মার্কেট উন্নয়নে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ১০ কোটি টাকা ব্যয় করবে। এ প্রসঙ্গে তিনি শাহ আমানত সিটি কর্পোরেশন সুপার মার্কেটের সকল সমস্যা শিঘ্রই সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দেন।

    আজ শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর শাহআমানত মার্কেট প্রাঙ্গনে শাহ আমানত সিটি কর্পোরেশন সুপার মার্কেট দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন ২০১৯ উপলক্ষে আযোজিত সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মেয়র।

    মেয়র বলেন, নির্বাচনে প্রতিদন্ধিতা করা সকলের অধিকার রয়েছে। এ নির্বাচনে জয় পরাজয় রয়েছে। তবে এই জয় পরাজয় রোষানলে না যায়, সে ব্যাপারে তিনি সকলকে সহনশীলতার পরিচয় দেয়ার পরামর্শ দেন। এ নির্বাচন নিয়ম-কানুন ও আচরণ বিধি-বিধান মেনে অনুষ্ঠিত হবে।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন ২০১৯ এর প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার মো. দিদারুল হক চৌধুরী। অনুষ্ঠিত সভায় সমিতির সদস্য সচিব দিদারুল আলম, ইসমাইল আজাদ, পলাশ পাল, ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সৈয়দুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মুনসুর আলম চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রবাল চৌধুরী মানু।