Tag: চট্টগ্রাম-৮ আসন

  • ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপ-নির্বাচন

    ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপ-নির্বাচন

    মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ এপ্রিল।

    আজ (বুধবার) সকালে কমিশন বৈঠক শেষে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৭ মার্চ, বাছাই ২৯ মার্চ। মনোনয়নপত্র আবেদন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৫ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ৬ এপ্রিল।

    এ ভোটে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ হবে। তবে এ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা থাকবে না।

    গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।

  • শপথ নিয়েছেন মোছলেম উদ্দিন

    শপথ নিয়েছেন মোছলেম উদ্দিন

    জাসদ নেতা মাঈনুদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে শূণ্য হওয়া বোয়ালখালী এবং চান্দগাঁও(আংশিক) নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ শপথ নিয়েছেন।

    সোমবার (২০ জানুয়ারী) সংসদ ভবনে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তার কার্যালয়ে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

    শপথ অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম, আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামমুদ্দীন নদভী এমপি, ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি, খালেদা খানম এমপি এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

    জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান শপথ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

    এ সময় সংসদ সদস্যের নির্বাচনী এলাকার নেতৃবৃন্দ ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • ভোট পেয়েছিলাম ৬০ হাজার ডিজিটাল জালিয়াতির ইভিএমে দেখায় ১৭ হাজার-সুফিয়ান

    ভোট পেয়েছিলাম ৬০ হাজার ডিজিটাল জালিয়াতির ইভিএমে দেখায় ১৭ হাজার-সুফিয়ান

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলনে আবু সুফিয়ান সরকার নির্বাচন কমিশনকে ভোটাধিকার হরণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে মন্তব্য করেন।

    এ আসনের উপ-নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ ভোট পড়েছে ঘোষণা করলেও বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান দাবি করেছেন, মাত্র পাঁচ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে পেরেছেন। বাকি ভোট ইভিএমের মাধ্যমে ডিজিটাল জালিয়াতি করে দেখানো হয়েছে।

    শনিবার (১৮ জানুয়ারী) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে দলীয় পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ‘জালিয়াতির চিত্র’ তুলে ধরেন আবু সুফিয়ান। উপ-নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, বিভিন্ন অনিয়ম এবং ইভিএমে ভোট কারচুপি জাতির সামনে উপস্থাপনের জন্য এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

    লিখিত বক্তব্যে আবু সুফিয়ান বলেন, উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, প্রশাসন ও দলীয় সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে তথাকথিত ইভিএমের মাধ্যমে ডিজিটাল জালিয়াতি করে জনগণের বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। এই নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে, ইভিএমের মাধ্যমে ভোট ডাকাতি করা যায়। এটি মধ্যরাতের নির্বাচনের মতো আরেকটি কৌশল।

    ইভিএম এখন মহাপ্রতারণার নতুন পদ্ধতি। এতে ডিজিটাল ডাকাতির পর অভিযোগ করারও সুযোগ নেই। একজন ভোটার কোথায় ভোট দিলেন তা নিজে জানারও সুযোগ নেই।

    এক প্রশ্নের জবাবে সুফিয়ান বলেন, ‘মাত্র পাঁচ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু দেখানো হয়েছে ২২ শতাংশ। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সহায়তায় ইভিএম মেশিনের পাসওয়ার্ড নিয়ে প্রতি বুথে ৭০ থেকে ৮০টি জাল ভোট দিয়েছে। এভাবে ২২ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন বলে দেখানো হয়েছে।

    আবু সুফিয়ান বলেন, উপ-নির্বাচন ছাড়াও বিগত এক বছর আগে অনুষ্ঠিত ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আমি এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলাম। বিশ্বের ইতিহাসে কলঙ্ক জনক এই নির্বাচনে আমি ধানের শীষ প্রতিকে ভোট পেয়েছিলাম প্রায় ৬০ হাজার। কিন্তু ইভিএম মেশিনে জালিয়াতির মাধ্যমে আমাকে ভোট দেখানো হয়েছে মাত্র ১৭ হাজার।

    একই প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ’২২ শতাংশ ভোটের মধ্যে আসলে ভোট পড়েছে ৫ শতাংশ। ১০ শতাংশ ভোট দিয়েছেন প্রিজাইডিং অফিসার নিজে। বাকি ভোট কেন্দ্র দখল করে পাসওয়ার্ড নিয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দিয়েছে।

    সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্র দখল করে ইভিএমের পাসওয়ার্ড নেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগও তুলে ধরেন আবু সুফিয়ান। তিনি জানান, নগরীর হামজারবাগ রহমানিয়া স্কুল কেন্দ্রে বেলা ১২টার সময় ২ নম্বর কক্ষে কয়েকজন বহিরাগত সন্ত্রাসী প্রবেশ করেন।

    তারা নির্বাচন কমিশনের আইটি বিশেষজ্ঞ ও প্রিজাইডিং অফিসার ছোটন চৌধুরীকে নিয়েই সেখানে যান। তার মোবাইল থেকে নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে ডিভাইস নম্বর দিয়ে কোড অথবা পাসওয়ার্ড চাইলে +৮৫৮৪৭৭৬৭+ নম্বরটি দেওয়া হয়। তারা এসময় বলতে থাকেন, ১০ শতাংশ ম্যাচিং কোড দিয়ে তাড়াতাড়ি ভোট নিয়ে নেন।

    তখন অন্যজনের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। অবৈধভাবে শুরু করা ভোটার নম্বর- ৪২২, ৫০২, ৪৯৯ ও ৫৮০। মৃত ব্যক্তি এবং প্রবাসীদের নামেও ভোট দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর জানান, ভোটগ্রহণের সময়ই অনিয়মের বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামানকে অভিযোগ করা হলেও তিনি নীরব থাকেন এবং অস্বীকার করেন। এভাবে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন পূর্ব নির্ধারিত ফলাফল ঘোষণা করেছে।

    ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়ে সুফিয়ান বলেন, ‘জনগণের করের টাকা খরচ করে সরকার ও নির্বাচন কমিশন তামাশা করেছে। তামাশার নির্বাচন জনগণ মেনে নেয়নি।

    পরপর তিনবারের সাংসদ জাসদ নেতা মঈনউদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চট্টগ্রাম-৮ আসনে গত ১৩ জানুয়ারী উপ-নির্বাচন হয়েছে। এতে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ৮৭ হাজার ৩৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির আবু সুফিয়ান পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৩৫ ভোট।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি মাহবুবুল আলম, নাজিম উদ্দিন আহমদ, সি. যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দর মীর্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য বোয়ালখালীর পৌর মেয়র আবুল কালাম আবু, এস এম মামুন মিয়া, হুমায়ুন কবীর আনসার, এডভোকেট আবু তাহের, আবুল কালাম আবু চেয়ারম্যান, মহানগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, সহশ্রম সম্পাদক আবু মুসা, বায়েজিদ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম প্রমুখ।

  • মোছলেম উদ্দিন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত

    মোছলেম উদ্দিন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত

    দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ-বিএনপির প্রার্থীর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচন সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও বড়ধরণের কোন বিশৃঙ্খলা ঘটেনি।

    এতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদ নৌকা প্রতীকে মোট ৮৭ হাজার ২৪৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান ধানের শীষ প্রতীকে ১৭ হাজার ৯৩৫ ভোট পেয়েছেন।

    সোমবার রাত সাড়ে আটটায় চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান নগরের জিমনেশিয়াম মাঠের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

    চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও ও বায়েজিদের কিছু অংশ এবং বোয়ালখালী উপজেলার ১৭০টি কেন্দ্রের এক হাজার ১৯৬টি ভোট কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

    আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ইভিএম পদ্ধতিতে টানা ভোটগ্রহণ চলে। এই আসনে ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৫ জন। এরমধ্যে দুই লাখ ৪১ হাজার ১৯৮ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ৩৩ হাজার ২৮৭ জন নারী। ২২.৯৪ শতাংশ ভোটার ইভিএম পদ্ধতিতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

    এবার এই আসনে আওয়ামী লীগ বিএনপির প্রার্থী ছাড়া আরো ৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। তার মধ্যে টেলিভিশন প্রতীকে বিএনএফের এস এম আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন ১ হাজার ১৮৫ ভোট, চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পেয়েছেন ৯৯২ ভোট, কুঁড়েঘর প্রতীকে ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত ৬৫৬ ভোট ও আপেল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক পেয়েছেন ৫৬৭ ভোট।

  • নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আবু সুফিয়ান বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে:শাহাদাত

    নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আবু সুফিয়ান বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে:শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা.শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ধানের শীষের প্রার্থী আবু সুফিয়ান বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। প্রতিটি গণসংযোগ গণমিছিলে পরিণত হয়েছে। আগামী ১৩ ই জানুয়ারি চট্টগ্রাম ৮ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে সাধারণ জনগণ তাদের মূল্যবান ভোট ধানের শীষের প্রার্থী আবু সুফিয়ানকে বিজয়ী করবে।

    কিন্তু এদেশের জনগণ এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে বিশ্বাস করে না। এই সরকার একটি দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্ট সরকার। ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা বিভিন্ন অপকৌশল অবলম্বন করছে। কারণ বিগত ২০১৮ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের আগেও জাতিকে বুঝিয়েছিল অবাধ ও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। কিন্তু তারা ৩০ শে ডিসেম্বর ভোট ২৯ শে ডিসেম্বর রাত্রে নিয়ে ফেলেছে। তাই এই সরকার যত বেশি চাপাবাজি করবে তত বেশি জালিয়াতি করবে।

    তিনি আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারী) দুপুরে পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড গণসংযোগকালে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, নির্বাচনে প্রতি ভোটারদের আস্থার সংকট কাটানোর উদ্যোগ সরকার বা প্রশাসন কেউ এখনো গ্রহণ করেনি। গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা চট্টগ্রামে এসে আমাদেরকে বলেছে এই উপনির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। তাই আমরা এই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। এই সরকার বারবার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দী করে রেখেছে। আগামী ১৩ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোট প্রয়োগগের মাধ্যমে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন বেগবান হবে।

    ধানের শীষের প্রার্থী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন, এই সরকার জনগণের ভোট ভোটাধিকার হরণ করেছে। এই সরকারের অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে দেশের কোন জনগণ ভোট দিতে ভোট সেন্টারে যেতে পারে নাই। এই সরকার বিগত জতীয় সংসদ নির্বাচনেও দিনের ভোট নিয়ে ভোট জালিয়াতি করেছে । আর এই ভোট জালিয়াতি করে এমপি, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী হয়েছে। চট্টগ্রাম ৮ সংসদীয় আসনের মানুষ নিজেদের অধিকার ফিরে পেতে চায়। গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে চায়। আমার ভোট আমি দিব। আমার ভোটাধিকার প্রয়োগ করব। উন্নয়ন উন্নয়ন করে নিজেদের উন্নয়ন করছে। আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। আপনাদের উন্নয়েনের গল্প আর মানুষ শুনতে চায় না। আপনারা বিদায়ের প্রস্থিতি নিন। আগামী আগামী ১৩ই জানুরি নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ের মাধ্যমে তাদের বিদায়ের পথ খোলা হবে।

    এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, শফিকুর রহমান স্বপন, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু , যুগ্ন সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, কাউন্সিলর আবুল হাসেম, গাজী মোঃ সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সম্পাদক ইব্রাহিম বাচ্চু, সহ-সম্পাদক অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, মোঃ শাহজাহান সিরাজ, আজাদ বাঙালি, ইসমাইল বাবুল, আব্দুল আজিজ, আলমগীর নূর, নগর সদস্য আবদুস সবুর, আলী ইউসুফ, মঞ্জুর আলাম মঞ্জু, সাহেদা বেগম, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ সেকান্দর আলম, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, নাসিম উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, এমদাদুল হক বাদশা, হাজী ইমরান উদ্দিন, হাজী ইউসুফ, কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম ডিউক, মুকতার আহমদ, গোলজার হোসেন লেদু, আইয়ুুব খান, জমির উদ্দিন বাবলু, সাইফুল ইসলাম নিরব, মো:হোসেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

  • আব সুফিয়ানের সমর্থনে যুবদলের গণমিছিল

    আব সুফিয়ানের সমর্থনে যুবদলের গণমিছিল

    চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশররফ হোসেন দীপ্তি বলেছেন, দুর্নীতি, দু:শাসন, লুটপাট, গুম, খুন ও ধর্ষণের রোলমডেল আজকের এই বাংলাদেশ। চারিদিকে লুপাটের হরিলুট চলছে। আইনের চোখ শুধু বিরোধী দল-মত দমনে ব্যস্ত। গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ক্ষমতালোভী আওয়ামীলীগ।

    তিনি এ সময় আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ১৩ জানুয়ারী উপনির্বাচনে ধানের শীষ
    প্রতীকে আবু সুফিয়ানকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার উদাত্ত্ব আহ্বান জানান চট্টগ্রাম- ৮ আসনের ভোটারদের।

    আজ বুধবার (৮ জানুয়ারী) বিকালে নগর যুবদলের উদ্যোগে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ও নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ানের সমর্থনে মুরাদপুর মোড় থেকে গণসংযোগ শুরু হয়ে মোহরা ৫ নং বিএনপি কার্যালয় সামনে এক পথসভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন

    নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক ধানের শীষ। আমাদের যুবসমাজ জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রতীক ধানের শীষকে বুকে ধারণ করেছে। অন্যদিকে লুটপাট আর দু:শাসনের প্রতীক হলো নৌকা। নৌকা আজ ষোল কোটি মানুষের কষ্টের ঠিকানা। এদেশের মানুষ আজ মুক্তি চায়।
    গণতন্ত্রের পথে কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হল প্রথম ধাপ। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এদেশে হারানো গণতন্ত্র ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ।

    তিনি এ সময় আবু সুফিয়ানকে বিজয় করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শরীক হতে চট্টগ্রাম-৮ আসনের জনগণকে অনুরোধ জানান।

    মুরাদপুর মোড় থেকে আজকের গণসংযোগ হাজার হাজার মানুষের গণমিছিলে পরিণত হয়। চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে যুবদলের নেতাকর্মীগণ স্বত:স্ফূর্তভাবে মিছিল সহকারে গণমিছিলে অংশ নেন। মুরাদপুর থেকে গণমিছিল বহদ্দারহাট মোড় হয়ে পুরাতন চান্দগাঁও,সিএন্ডবি, বাহার সিগন্যাল, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, মোহরা, মৌলভীবাজার ও কালুরঘাট এলাকায় গণমিছিল প্রদক্ষিণ শেষে এক পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশররফ হোসেন দীপ্তির সভাপতিত্বে ও নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ’র পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন, সহ-সভাপতি নুুর আহমেদ গুড্ডু, এস এম শাহ আলম রব, শাহেদ আকবর, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, ফজলুল হক সুমন, জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল করিম, আবদুল গফুর বাবুল, সাহাব উদ্দিন হাসান বাবু, মোহাম্মদ মুছা, নাসির
    উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, হাসান মুরাদ, জসিমুল ইসলাম কিশোম, অরুপ বড়ুয়া, মো.আলী সাকি, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ মনজুর হোসেন, আমান উল্লাহ আমান, মো. হুমায়ুন কবীর, ইকবাল পারভেজ,
    আবদুল্লাহ আল টিটু, এরশাদ হোসেন, তাজুল ইসলাম, আবদুল হামিদ পিন্টু, দীপঙ্কর ভট্টাচার্য্য, সেলিম উদ্দিন রাসেল, শাহীন পাটওয়ারী, নগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশাহ, ওমর ফরুক, হেলাল হোসেন, গুলজার
    হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সাজু, ওসমান গণি, মুজিবুর রহমান রাসেল, সাইফুদ্দিন মো. মারুফ, আহাদ আলী সায়েম, জাফর আহমদ খোকন, রাসেল নিজাম, মো. ইয়াছিন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জিল্লুর রহমান জুয়েল, মোহাম্মদ সাগীর, আলাউদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, মহিউদ্দিন মুকুল, আরিফুল ইসলাম, এস এম বখতেয়ার উদ্দিন, ইফতেখার শারিয়ার আজম, মো. ইকবাল, ওমর ইমতিয়াজ টিটু,
    দিদারুল আলম, সহ সম্পাদক আতিকুর রহমান, কমল জ্যোতি বড়ুয়া,কামাল উদ্দিন, মনোয়ার হোসেন মানিক, জিয়াউল হক মিন্টু, মাহবুবুর রহমান, কোরবান আলী, কামরুল ইসলাম,
    জহিরুল ইসলাম জহির, গিয়াস উদ্দিন টুনু, হামিদুল হক চৌধুরী, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, হাফেজ কামাল উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গির আলম বাবু, ফারুক হোসেন স্বপন, শেখ কামাল আলম, আশরাফ উদ্দিন, সিরাজ সিকদার, আবদুল আওয়াল টিপু, এস এম ফারুক, আরিফ হোসেন, আবু বক্কর সিদ্দিকী আবু, মো. ইদ্রিস,
    ইব্রাহিম খান, ইয়াসিন আজাদ, জাফর সাদেক সোহেল, মিজানুর রহমান দুলাল, হোসেন জামান, জসিম উদ্দিন, সাইদুল হক, দেলোয়ার হোসেন, ইমরান ভূঁইয়া, নগর যুবদলের সদস্য আফসারুদৌলা অপু, লতিফুল বারী সুমন, হাবিব উল্লাহ খান,সাবাব ইয়াজদানী, আবদুর রহমান আলমগীর, কলিম উল্লাহ, সোহাগ খান, সাব্বির
    ইসলাম ফারুক, আবদুস সাত্তার, জাহেরী মাসুদ, আবদুল করিম, সাখাওয়াত কবীর সুমন, থানা যুবদলের কুতুব উদ্দিন, শেখ রাসেল, মনজুর আলম মঞ্জু, শওকত খান রাজু, মোরশেদ কামাল, ইউনুস মুন্না, আকতার হোসেন, মেজবাহ উদ্দিন, মো: মুজাহিদ, আবু বক্কর বাবু, এস এম আলী, জাবেদ হোসেন, মোহাম্মদ হাসান, বাদশা আলমগীর, সাইফুল আলম, এস এম শাহবাজ, জহিরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।

  • সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান রোধে আসন্ন উপ-নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিন: মোছলেম

    সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান রোধে আসন্ন উপ-নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিন: মোছলেম

    সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান রোধে আগামী ১৩ই জানুয়ারি উপ-নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে ৫নং মোহরা ওয়ার্ডের সনাতন ধর্মীয় ভোটারদের প্রতি বিনীত আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ।

    তিনি গতকাল সোমবার রাতে মোহরা ওয়ার্ডের আওতাধীন বিভিন্ন মঠ-মন্দিরের নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

    এ সময় মোছলেম উদ্দিন আরো বলেন, একসময় নির্বাচন আসলে সনাতনী সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন থাকতো। নির্বাচনের ভোট কেন্দ্রে যাওয়া তো দূরের কথা, তাদের বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ লুটতরাজ এমনকি প্রাণেও মেরে ফেলা হতো। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির সুবাতাস বইছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আজ মন খুলে তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্টান পালন করতে পারছে। শারদীয়া দূর্গাপুজাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্টানের জাকজমকই প্রমাণ করে শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির ধারক বাহক। আর সেই সংগঠনের একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মী হিসেবে আসন্ন উপ-নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে আপনাদের কাছে এসেছি আপনাদের সহযোগিতা দোয়া এবং ভোট চাইতে। আশা করি সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক হিসেবে আপনারা আমাকে নৌকা মার্কায় আপনাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে অত্র সংসদীয় এলাকাকে একটি অসাম্প্রদায়িক এলাকায় রূপান্তর করার সুযোগ দিবেন।

    তিনি সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে আগামী ১৩ জানুয়ারি সকল সনাতনী সম্প্রদায়ের ভোটারগণকে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দানের বিনীত আহ্বান জানান।

    বিশিষ্ট সমাজসেবক সুকুমার চৌধুরীর সভাপতিত্বে মোহরাস্থ তার বাড়িতে সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য বাবু’র সঞ্চালনায় আশীর্বাদক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমৎ স্বামী অক্ষরানন্দ মহারাজ, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক পার্থ সারথী চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট সুনীল সরকার, খোরশেদ আলম সুজন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক দিলীপ চৌধুরী, দিপক দেওয়ানজী, সাধন দাশ, আলী রিয়াজ রক্সী, মোঃ এসকান্দর, মোঃ ফয়সাল, এডভোকেট শিবু মজুমদার, রানা মজুমদার, সানু বিশ্বাস চন্দন, সমীরন মল্লিক, অমিত চৌধুরী, নিউটন কুমার মজুমদার, একান্ত সেন অর্ঘ্য, সমীরন দাশ, শুভ দেবনাথ, পলাশ দাশ প্রমূখ।

    অনুষ্টানের শুরুতে পবিত্র গীতা পাঠ করেন মঙ্গল প্রভু।

  • আওয়ামী দু:শাসনে জনজীবন অতিষ্ঠ:দীপ্তি

    আওয়ামী দু:শাসনে জনজীবন অতিষ্ঠ:দীপ্তি

    আসন্ন ১৩ জানুয়ারী চট্টগ্রাম- ৮ আসন (বোয়ালখালী, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, বায়েজীদ আংশিক) উপনির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ও নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ানের সমর্থনে ৬ নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড যুবদলের উদ্যোগে আজ ৬ জানুয়ারী ২০২০ ইং সোমবার বিকালে চকাবজারস্থ ঘাসিয়া পাড়া থেকে গণসংযোগ শুরু হয়ে কেবি আমান আলী রোড় হয়ে আতুরার দোকান, রাহত্তার পুল হয়ে বড় কবরস্থান মোড়ে এসে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়।

    এ সময় বিভিন্ন অলিতে গলিতে ধানের শীষ’র ভোট দেয়ার জন্য ঘরে ঘরে লিফলেট বিতরণ ও বেগম খালেদা জিয়ার সালাম পৌঁছে দেন নগর যুবদল নেতৃবৃন্দ।

    উক্ত গণ সংযোগ কর্মসূচী শেষে বড় কবরস্থান মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত পথ সমাবেশে নগর যুবদলের সভাপতি মোশররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, আওয়ামী দু:শাসনে জনজীবন অতিষ্ঠ। লাগামহীন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারে জনগণ আজ দিশেহারা। আওয়ামীলীগ শুধু নিজ দলীয় নেতা কমীদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে। জাতীয়তাবাদী শক্তি দেশ তথা জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের রাজনীতি করে।

    তিনি এ সময় আগামী ১৩ জানুয়ারী উপনির্বাচনে আবু সুফিয়ানকে ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিয়ে হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে শরীক হতে ৬নং পূর্বষোলশহর ওয়ার্ডবাসীকে আহবান জানান।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্য নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, ক্যাসিনো লীগ, ধর্ষণ লীগের উন্নয়নের সুফল সুইচ ব্যাংকে পাচার হচ্ছে। গতকালও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। দেশের মানুষ ভাল নেই। আওয়ামীলীগের উন্নয়নের বিজ্ঞাপন দেখতে দেখতে জনগণ এখন বিরক্ত। তিনি এ সময় পূর্বষোলশহর ওয়ার্ড যুবদলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী ১৩ জানুয়ারী উপনির্বাচনে আবু সুফিয়ানকে ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

    ৬ নং পূর্বষোলশহর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক এস. এম শফিউল্লাহ মামুন’র সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক সাইদুল ইসলাম শহিদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন, সহ-সভাপতি নুুর আহমেদ গুড্ডু, ফজলুল হক সুমন, মুহাম্মদ মুছা, নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল পারভেজ, নগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশাহ, গুলজার হোসেন, জাফর আহমদ খোকন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জিল্লুর রহমান জুয়েল, মোহাম্মদ সাগীর, আলাউদ্দিন, সহ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মানিক, জিয়াউল হক মিন্টু, কামরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, হামিদুল হক চৌধুরী, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, সালাউদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, শেখ কামাল আলম, আশরাফ উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, সাইদুল হক, দেলোয়ার হোসেন, নগর যুবদলের সদস্য কলিম উল্লাহ, সাব্বির ইসলাম ফারুক, থানা যুবদলের আব্দুল জলিল, মোহাম্মদ ইকবাল, মোঃ সেলিম, সোহেল, জাহেদ, শফিউল বশর সাজু, মোঃ মিজান, শওকত খান রাজু, মোরশেদ কামাল, শাহেদ খান পারভেজ, শাহ আলম, রিদুয়ান হোসেন জনি, রাসেল আকাশ, রিদুয়ান, জাবেদ আলী, সুজাত হোসেন সুজন, সাদ্দাম, দিদার, জালাল, ইয়াসিন, বাদশাহ, ইউসুফ, তাহের, রাজু মিঞা, রাশেদ, সাইফুল, ফয়সাল, মোঃ মুজাহিদ, সাইফুল আলম, আমজাদ, হাসান তোফা, মাসুদ আলম, রাসেল খান, এম এস অভি, আজিম, মোঃ রুবেল, বাবুল প্রমূখ।

  • দেশের স্বার্থে আমরা এক ও অভিন্ন : মোছলেম উদ্দিন

    দেশের স্বার্থে আমরা এক ও অভিন্ন : মোছলেম উদ্দিন

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে সিপিবি নেতৃবৃন্দের সাথে চট্টগ্রাম ৮ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন মতবিনিময়কালে বলেছেন, সুস্থ রাজনীতি চর্চার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সকলকে কাজ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনে সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই। স্বাধীনতার বিরোধী চক্র এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাই দেশ ও মানুষের কল্যাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

    রবিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পাটির (সিপিবি) কার্যালয়ে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

    এ সময় তিনি বলেন, খালি হাতে এসেছি, মনে করেছিলাম খালি হাতেই চলে যাবো। জীবন সায়াহ্নে এসে মানুষের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে চট্টগ্রামের এ উপ-নির্বাচনে যার যার অবস্থান থেকে নৌকায় ভোট দিতে হবে।

    এ দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি, আমার জন্মস্থান এ এলাকায়। দেশ ও মানুষের জন্য রাজনীতি করছি দীর্ঘদিন ধরে, কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করিনি। এরপরও সমতা বা নিরপেক্ষতার নামে আমাকে কারো কারো সাথে তুলনা করছে-এটা কাম্য ছিলো না। যা হোক, এ এলাকার সমস্যা নিরসনে নৌকায় ভোট দিন। এক বছরের মধ্যে কালুরঘাট সড়ক সেতু নির্মাণ কাজ দৃশ্যমাণ করতে যা যা করা দরকার তাই করবো।

    উপজেলা সিপিবি’র সভাপতি অধ্যাপক কানাই লাল দাশ বলেন, সুস্থ রাজনীতি চর্চার পরিবেশ তৈরিতে কাজ করার আহ্বান জানান মোছলেম উদ্দিনকে।

    এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সিপিবি’র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জামাল আবদুল নাসের, কমরেড মোহাম্মদ আলী, ডা. অসীম কুমার চৌধুরী, শিক্ষক আমীর হোসেন, অনুপম বড়ুয়া পারু, মো. শাহাজাহান, মৃত্যুঞ্জয় দাশ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আলম, ভাইস চেয়াম্যান মুক্তিযোদ্ধা এসএম সেলিম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোকারম, ইউপি চেয়ারম্যান এসএম জসিম উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আবদুল মান্নান, আওয়ামীলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন খোকন উপস্থিত ছিলেন।

  • বাংলাদেশের মালিক এদেশের জনগণ আ’লীগ নয়:দীপ্তি

    বাংলাদেশের মালিক এদেশের জনগণ আ’লীগ নয়:দীপ্তি

    আসন্ন ১৩ জানুয়ারী চট্টগ্রাম – ৮ আসন (বোয়ালখালী, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, বায়েজীদ আংশিক) উপনির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ও নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ানের সমর্থনে ৩ নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ড যুবদলের উদ্যোগে আজ রবিবার (৫ জানুয়ারী) ৩ নং ওয়ার্ডস্থ আবু সুফিয়ানের নির্বাচনী কার্যালয় জি. এম আইয়ুব খানের বাড়ী থেকে গণসংযোগ শুরু হয়ে কামারাবাদ হয়ে হাজী পাড়া, চালতাতলী, নয়ার হাট হয়ে ওয়াজেদিয়া মোড়ে এসে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়।

    এ সময় বিভিন্ন অলিতে গলিতে ধানের শীষ’র ভোট দেয়ার জন্য ঘরে ঘরে লিফলেট বিতরণ করেন নগর যুবদল নেতৃবৃন্দ।

    উক্ত গণসংযোগ কর্মসূচী শেষে ওয়াজেদিয়া মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত পথ সমাবেশে নগর যুবদলের সভাপতি মোশররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, বাংলাদেশের মালিক এদেশের জনগণ আওয়ামীলীগ নয়। ২০১৪ সালের আজকের এদিন ৫ জানুয়ারী একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে আওয়ামীলীগ। ৫ জানুয়ারী এদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে শাসক গোষ্ঠী। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এ দেশ, লালসবুজের পতাকা আজ শকুনের থাবায় আহত। আগামী ১৩ জানুয়ারী উপনির্বাচনে আবু সুফিয়ানকে ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে শরীক হতে পাঁচলাইশবাসীকে তিনি অনুরোধ জানান এ সময়।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্য নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, ৫ জানুয়ারী এদেশের গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছিল আওয়ামীলীগ। তারাই ধারাবাহিকতায় গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর রাতে সীল মেরে ভোটের বাক্স ভরে ক্ষমতা দখল করে আছে আজ অবধি। এটাই শাসকগোষ্ঠীর আসল চরিত্র। শাসন ব্যবস্থায় গিয়ে সবসময় লুটপাটে পারদর্শী এদলটি। তিনি এ সময় যুবদলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী ১৩ জানুয়ারী উপনির্বাচনে আবু সুফিয়ানকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার দৃঢ়সংকল্প ব্যক্ত করেন।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক জি. এম আইয়ুব খান।

    ৩ নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক মো. হাসানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহসভাপতি ইকবাল হোসেন, সহসভাপতি এস এম শাহ আলম রব, ফজলুল হক সুমন, জাহাঙ্গীর আলম, মিয়া মো: হারুন, আবু সুফিয়ান, অরুপ বড়ুয়া, যুগ্ম সম্পাদক সেলিম উদ্দিন রাসেল, ওমর ফারুক, হেলাল হোসেন, জাফর আহমদ খোকন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জিল্লুর রহমান জুয়েল, মোহাম্মদ সাগীর, মহিউদ্দিন মুকুল, সহ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মানিক, কোরবান আলী, জহিরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, আশ্রাফ উদ্দিন, সিরাজ সিকদার, নগর যুবদলের সদস্য শাবাব ইয়াজদানী, বায়েজিদ থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মনজুর আলম মঞ্জু, শওকত খান রাজু, ওসমান, শাহ আলম, নেজাম উদ্দিন, ওবাইদুল হক, জানে আলম, শাহেদ খান পারভেজ, আইয়ুব খান, মো. মনসুর, থানা যুবদলের সদস্য তাজিব, কাইয়ুম, আফসার, জসিম, সেলিম, শাহাব উদ্দিন শাবু, সুজাতা হোসেন সুজন, আলমগীর, আনিসুল ইসলাম লাল্টু, সৌরভ বড়ুয়া টুম্পা, সুমন রাশেদ, জুনায়েদ হাসান রানা, এস এম আলী, মো. জাবেদ হোসেন, ৩ নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোজাম্মেল হোসাইন, তারেক রহমান, মেহেদী হাসান রানা, সোলাইমনা হোসেন মনা, মঈন সিদ্দিকী নিক্কি, এম এস অভি, মো. আজিম, কিরণ হোসেন, ওমর ফারুক, রাশেদ আলম, জসিম উদ্দিন, মো. জহির, ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য সাজ্জাত হোসেন সাজু, নুরুল ইসলাম, পারভেজ কামাল, আবদুল মজিদ বাবুল, আহমেদ আলী টিটু, হেদায়েত উল্লাহ, আমজাদ, শরীফ, সবুজ, ইব্রাহিম, মিন্টু, শান্ত, লিটন, মুক্তার হোসেন প্রমুখ।

  • অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত বোয়ালখালী

    অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত বোয়ালখালী

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : ঘনিয়ে আসছে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচন। বৃষ্টি ও শীত উপেক্ষা করে প্রচার প্রচারণায় মেতে আছেন প্রার্থীরা। এ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র অভিযোগ- পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বোয়ালখালী। এতে সংঘাত-সংঘর্ষের আশংকা করছেন সাধারণ ভোটাররা। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠুৃ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।

    শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও শীতে বোয়ালখালী উপজেলার জন জীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। সমান তালে আওয়ামী লীগ বিএনপি’র অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে ভোটের আমেজ ম্রিয়মান হয়ে পড়েছে। থমথমে এ পরিস্থিতিতে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় রয়েছেন এলাকাবাসী।

    গত বছরের ৭ নভেম্বর এ আসনের সাংসদ মঈন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৩ জানুয়ারি। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোছলেম উদ্দীন আহমদ (নৌকা), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ান (ধানের শীষ), বিএনএফ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ (টেলিভিশন), ইসলামিক ফ্রণ্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ আহমদ (চেয়ার), ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত (কুঁড়েঘর) এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক (আপেল) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

    এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোছলেম উদ্দীন আহমদকে পেয়ে উজ্জ্বীবিত দলীয় নেতাকর্মীরা। প্রচার প্রচারণায় মেতে আছেন তারা। বিএনপিও দলীয় প্রার্থী আবু সুফিয়ানকে বিজয়ী করতে গণসংযোগে নামেন। এছাড়া অন্যান্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় খুব বেশি সাড়া না জাগালেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র পাল্টাপাল্টি অভিযোগে আতংকিত এলাকাবাসী। সর্বত্র আলোচনা চলছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার।

    শুরু থেকে শাসক দলের বিরুদ্ধে নিবার্চনী প্রচার-প্রচারণায় বাধা প্রদান, পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা, গাড়ি ভাংচুর ও হামলার অভিযোগ আনছেন বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান। এছাড়া সরকার দলীয় সাংসদ, মেয়র ও এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ আনেন তিনি।

    একই সাথে বিএনপির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোছলেম উদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন নৌকার পক্ষে সাধারণ মানুষের জনজোয়ার দেখে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা অপপ্রচার চালিয়ে ভোটারদের বিভ্রান্ত করছেন। তারা গুজব ছড়িয়ে আতংক সৃষ্টি করে সুন্দর নির্বাচনী পরিবেশ বানচালের চেষ্ঠা করছেন।

    উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোকারম বলেন, একের পর এক গুজব ছড়িয়ে ভোটের সুষ্ট পরিবেশকে বিনষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছেন বিএনপি। ৩ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে বোয়ালখালীতে বহিরাগত লোকজন এনে একটি এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে গুজব ছড়ায়। ওইদিন রাতের আধাঁরে পৌরসভার কয়েকটি স্থানে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে থাকা পোস্টার-ব্যানার ও নৌকার আদলে তৈরী প্রতীকে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    পৌরসভা বিএনপি’র সভাপতি ও পৌর মেয়র হাজি আবুল কালাম আবু বলেন, প্রতিদ্ধন্দ্বি প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে শংকায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। প্রচারণায় বাধা, পোষ্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলাসহ হামলার ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা।

    বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, ধানের শীষের গণজোয়ার দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগ। ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এ গণজোয়ার রুখে দেওয়া যাবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো এবং এলাকাবাসীর আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাবো।

    ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচনে মুখ্য হলেন ভোটাররা। তারা ভোট দিয়েই তাদের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে চান। কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা বা সংঘাত-সংঘর্ষ চান না। ভোটের সুষ্ঠ পরিবেশ যেন বজায় রাখতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান তাঁরা।

    বোয়ালখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী জানান, নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা নিজ নিজ সমর্থনে জমজমাট প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এখনো পর্যন্ত ঘটেনি। পুলিশ সর্তক রয়েছে জানিয়ে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুন বলেন এখনো পর্যন্ত সুনিদিষ্ট কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে। আতংকিত হওয়ার কোন কারণ নেই। কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্ঠা করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • আ’লীগ ক্ষমতায় থাকলে জনগণের নয় নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে ব্যস্ত থাকে:দীপ্তি

    আ’লীগ ক্ষমতায় থাকলে জনগণের নয় নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে ব্যস্ত থাকে:দীপ্তি

    আসন্ন ১৩ জানুয়ারী চট্টগ্রাম – ৮ আসন (বোয়ালখালী, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, বায়েজীদ আংশিক) উপনির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ও নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ানের সমর্থনে যুবদলের উদ্যোগে আজ শনিবার (৪ জানুয়ারী) বিকালে রৌফাবাদ থেকে গণসংযোগ শুরু হয়ে মোহাম্মদ নগর বাস্তহারা, বার্মাকলোনী, আমিন কলোনী, আতুরার ডিপো জাঙ্গালপাড়া, সংঙ্গীত সিনেমা রোড হয়ে হামজারবাগ মোড়ে এসে শেষ হয়।

    এ সময় ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিভিন্ন অলিতে গলিতে ধানের শীষ’র ভোট দেয়ার জন্য ঘরে ঘরে লিফলেট বিতরণ করা হয়। দেশনেত্রী বেগম খলেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার দেশনায়ক তারেক রহমানের সালাম পৌঁছে দেন নগর যুবদল নেতৃবৃন্দ।

    উক্ত গণ সংযোগ কর্মসূচী শেষে হামজারবাগ মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত পথ সমাবেশে নগর যুবদলের সভাপতি মোশররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে জনগণের নয় নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে ব্যস্ত থাকে। দেশের মানুষ গায়েবী উন্নয়নের গল্প শুনতে শুনতে বিরক্ত। দৃশ্যমান বাস্তবতা হচ্ছে দশেরে মানুষ ভাল নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি জন জীবন অতষ্ঠি। বেকরত্বের অভিশাপে জর্জরিত আমাদের যুব সমাজ। মুক্তির একমাত্র উপায় জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রতীক ধানের শীষ। আগামী ১৩ জানুয়ারী উপনির্বাচনে নির্ভয়ে ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে ভোটারদের শরীক হওয়ার আহবান জানান।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্য নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জরীপে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের অবস্থান তলানীতে। স্বৈরতন্ত্রের দিকে ধাবমান। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা আজ হুমকীর মুখে। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের আপোসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে শরীক হতে আগামী ১৩ জানুয়ারী চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী আবু সুফিয়ানকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।

    তিনি এ সময় যুবদলের নেতাকর্মীদের এক এক জন আবু সুফিয়ানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ভোট চোরদের প্রতিহত করতে প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানান।

    ৭ নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক জাবেদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও ৪৩ নং আমিন শিল্পাঞ্চল যুবদলের আহবায়ক ফয়সাল হোসেন মানিকের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন, সহ-সভাপতি এস এম শাহ আলম রব, এম এ রাজ্জাক, ফজলুল হক সুমন, জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ মুছা, মিয়া মো: হারুন, নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, মোহাম্মদ আলী সাকী, যুগ্ম সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, ইকবাল পারভেজ, রাশেদুল হাসান লেবু, এরশাদ হোসেন, সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, রাজন খান, ওমর ফারুক, গুলজার হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক জাফর আহমদ খোকন, মো. ইয়াসিন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জিল্লুর রহমান জুয়েল, মোহাম্মদ সাগীর, মহিউদ্দিন মুকুল, আসাদুজ্জামান রুবেল, সহ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মানিক মাহবুবুর রহমান, কোরবান আলী, জহিরুল ইসলাম, হাফেজ কামাল উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, ইদ্রিস, মো. সাইদুল, ইব্রাহিম খান, দেলোয়ার হোসেন, এমরান ভূঁইয়া, থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শওকত খান রাজু, মনজুর আলম মঞ্জু, শাহেদ খান পারভেজ, শাহআলম, ওবাইদুল বাবু, মোঃ হাসান, সরওয়ার সেলিম, আইয়ুব, রিদুয়ান হোসেন জনি, রাসেল আকাশ, জাবেদ আলী, মিল্লাত, ইয়াছিন আরাফাত, হুমায়ুন আহমদ, সুজাত হোসনে সুজন, মামুন, আলাউদ্দিন, নাসির, আমজাদ হোসেন, নিজাম উদ্দিন, সাজ্জাত হোসেন সাজু, মহিউদ্দিন রুবেল, জুনায়েদ হোসেন রানা, ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান রানা, মইন সিদ্দীকি নিক্কি, ইমতিয়াজ মিন্টু, সোলাইমান হোসেন মনা, রাসেল আহমদ, রাশেদ আলম, সাইফুল ইসলাম, মাসুদ আলম, মো. কামাল, মো. সাইফুল, সুমন, মাহবুব, বেলাল, হামজা, হানিফ রানা, সদস্য মাসুদ, দেলোয়ার, মানিক, শাহজাহান, মোজাম্মেল, নুর ইসলাম প্রমূখ।