Tag: চট্টগ্রাম

  • চট্টগ্রামে হকার-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, গুলিবিদ্ধ ১

    চট্টগ্রামে হকার-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, গুলিবিদ্ধ ১

    ফুটপাতে অবৈধ স্থাপনারোধে মনিটরিং কার্যক্রম চলাকালে চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে হকারদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশসহ বেশ কয়েকজনের আহতের খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। প্রায় এক ঘণ্টার সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় নগরের নিউমার্কেট, জহুর হকার্স এবং আমতলাসহ এর আশপাশের এলাকা। পুলিশের শর্টগানের গুলিতে নাজিম উদ্দিন নামের এক হকার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেছেন হকার নেতারা।

    সোমাবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট ও এর আশপাশের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    হকার ফেডারেশনের সভাপতি মিলন হোসেন মিলন বলেন, ‘আজকে ম্যাজিস্ট্রেট এসে আমাদের কয়েকজন হকারকে জরিমানা করেছেন। একজন হকার নেতাকে কারাদণ্ড দিয়েছেন। প্রতিবাদ জানাতে গেলে পুলিশ আমাদের ওপর গুলি চালায়। নাজিম উদ্দিন নামের এক হকারের গুলি লেগেছে। তাকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার চোখের এক পাশে গুলি লেগেছে।’

    তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) অভিযান চলাকালে হঠাৎ চড়াও হয় হকাররা। এ সময় তারা চসিকের টিমের ওপর হামলা চালায়। ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি করা হয়েছে। তবে এতে কেউ গুলিবিদ্ধ হয়নি।

    ওসি ওবায়দুল হক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগান থেকে গুলি ছুড়লেও কেউ গুলিবিদ্ধ হননি।

    এদিকে গণমাধ্যমের হাতে আসা কয়েকটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হকারদের হামলার হাত থেকে বাঁচতে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন সংলগ্ন পাবলিক টয়লেটে অবস্থান নেয় চসিক মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেমসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। এ সময় রিয়াউদ্দিন বাজারের পাশ থেকে তাদের দিকে পাথর ছোড়া হচ্ছিল। পাথরের আঘাত থেকে বাঁচতে একপর্যায়ে পাবলিক টয়লেটের গ্রিল টেনে দেওয়া হয়। পরে পুলিশের দুজন সদস্যকে গুলি ছুড়তে দেখা গেছে।

    এর আগে দুপুরে চট্টগ্রামের ফলমুণ্ডি থেকে আমতলা পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা রোধে মনিটরিংয়ে যায় চসিকের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় হকারদের সঙ্গে চসিকের কর্মকর্তাদের বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে নিউমার্কেট মোড়ে জড়ো হয়ে চসিকের কর্মকর্তাদের ওপর চড়াও হয় হকাররা। সেখানে চসিকের চারটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। প্রায় এক ঘণ্টা চলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া।

    চসিক মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম জানান, ফুটপাত ও সড়কে পুনঃদখল ঠেকাতে অভিযানে গিয়েছিল চসিকের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় হকারা আকস্মিক হামলা চালায়। এতে চসিকের ২টি ডাম্প ট্রাক, একটি পিকআপ এবং একটি এরিয়াল লিফট ভাঙচুর করা হয়। পুলিশের তিনজন সদস্য এবং চসিকের ৪ জন স্টাফ আহত হয়। ঘটনার ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। ভিডিও ফুটে দেখে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এর আগে গত বৃহস্পতিবার নগরের ফলমুণ্ডি লেইন, পুরাতন রেলস্টেশন, রিয়াজউদ্দিন বাজার, নতুন রেলস্টেশন, নিউমার্কেট, তামাকুণ্ড লেইন, আমতলাসহ আশপাশের প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রায় এক হাজার ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদ করে চসিক। সাম্প্রতিক সময়ের বড় এ অভিযানে অংশ নেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থার সাতজন ম্যাজিস্ট্রেট।

  • চট্টগ্রামে ডাকাত দলের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার, সোনাসহ অস্ত্র উদ্ধার

    চট্টগ্রামে ডাকাত দলের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার, সোনাসহ অস্ত্র উদ্ধার

    চট্টগ্রামে ডাকাত দলের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ৫১ ভরি সোনাসহ একটি দেশীয় পাইপগান উদ্ধার করা হয়েছে।

    শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

    গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন- মো. আরিফ হোসেন মেহেদী ওরফে মেহেদী হাসান (২৬), মো. শরীফ (২০), মেহেদী হাসান রুবেল (২৩), মো. সাইদুল ইসলাম রিগ্যান (২২), মো. হান্নান হোসেন (২৩) ও মো. রিয়াদ হোসেন (১৯)।

    বিভিন্ন থানায় মেহেদীর নামে তিনটি মামলা, হান্নান ও রুবেলের নামে একটি করে মামলা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদরঘাট থানাধীন পশ্চিম মাদারবাড়ী ওয়্যার মার্কেট এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    চকবাজার থানা পুলিশ সূত্র জানায়, চকবাজার থানাধীন মেহেদীবাগের আমিরবাগ আবাসিক এলাকার একটি বাসায় চুরির ঘটনায় মালামাল উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে মাদারবাড়ী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১টি দেশীয় তৈরি পাইপগান, ১ রাউন্ড কার্তুজ ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

    পুলিশ জানায়, পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে বারিক বিল্ডিং এলাকা থেকে ৫১ ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়।

    চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, ‘যৌথ উদ্যোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দেখানো তথ্যমতে চুরি হওয়া স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।’

  • কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণে আরও ৪-৫ বছর লাগবে: রেলমন্ত্রী

    কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণে আরও ৪-৫ বছর লাগবে: রেলমন্ত্রী

    রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, পুরোনো কালুরঘাট সেতু মেরামত করা হচ্ছে। মার্চের মাঝামাঝিতে এ সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে। নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণে ৪ থেকে ৫ বছর সময় লাগবে।

    বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের রেস্ট হাউসে রেলওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, রেল এক সময় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। রেললাইন উপড়ে ফেলা হচ্ছে। ট্রেনে আগুন দেওয়া হচ্ছে। এরপরেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলকে ঢেলে সাজাচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলা রেল যোগাযোগের আওতায় নিয়ে আসার কাজ করছেন। গ্রামীণ কৃষকদের উৎপাদিত ফসল যাতে ট্রেন যোগে শহর পর্যন্ত চলে আসে, প্রান্তিক কৃষক যেন যথাযথ মূল্যে ফলফলাদি ও সবজি বিক্রি করতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করছি৷

    রেলমন্ত্রী বলেন, রেলকে সচল করার চেষ্টা করবো। অনেক স্থানে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেগুলো স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা রয়েছে। কক্সবাজার রুটে আগামী দুই মাসের মধ্যে একটি কমিউটার ট্রেন চালু করা হবে। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা সেটা হলো লোকো মাস্টার সমস্যা। লোকো মাস্টার নিয়োগ হলে আমরা খুব শিগগিরই এ রুটে আরও কিছু ট্রেন চালু করবো।

    তিনি আরও বলেন, আমি নতুন হলেও চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। রেল নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে পরিকল্পনা সেটি আমি বাস্তবায়ন করবো। রেলের পঙ্গু অবস্থা থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। সকলের সহযোগিতায় রেল ব্যবস্থাকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে চাই। ইতোমধ্যে রেলকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে পাঁচ হাজারের উপরে লোকবল নিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অনেকগুলো ইঞ্জিন ও কোচ আমদানি করা হচ্ছে। কিছু আমদানি হয়েছে। এসব ইঞ্জিন রেল বহরে যুক্ত হলে রেলে ইঞ্জিন সংকটে দূর হবে।

  • চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করা সেই জাহিদ গ্রেফতার

    চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করা সেই জাহিদ গ্রেফতার

    চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে ফাঁকা গুলি ছোঁড়া অস্ত্রধারী মোহাম্মদ জাহিদ (২২) নামের সেই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত গোলাপ (৩২) নামে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোহাম্মদ নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতে সোপর্দ করলে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

    বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, গতকাল রাতে মোহাম্মদ নগর এলাকা থেকে জাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত গোলাপ নামে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তে এ ঘটনায় গোলাপ জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত হিলভিউর ঘটনায় ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তন্মধ্যে এজাহারনামীয় ৮ জন, তদন্তে প্রাপ্ত আসামি ১১ জন।

    উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি হিলভিউ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অস্ত্রের মহড়া দেয় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। ওই সময় তাদের বাধা দিলে আবদুল্লাহ আল মাহমুদ নামের স্থানীয় এক ব্যক্তিকে কিরিচ দিয়ে আঘাত করে সন্ত্রাসীরা। এসময় তারা বিভিন্ন দোকানপাটেও ভাঙচুর করে।

    পরে এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৪ জানুয়ারি ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে।

    তাদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল ও ১০টি ধারালো অস্ত্র (কিরিচ) উদ্ধার করে।

  • কারিগরি ত্রুটিতে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ, রেস্তোরাঁয়ও মিলছে না খাবার

    কারিগরি ত্রুটিতে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ, রেস্তোরাঁয়ও মিলছে না খাবার

    চট্টগ্রামের মহেশখালীতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটে (এফএসআরইউ) কারিগরি ত্রুটির কারণে আজ শুক্রবার সকাল থেকে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সকালে গ্যাস বন্ধ থাকায় অনেকেই রেস্তোরাঁয় খাবারের জন্য লাইন দিয়েছেন। কিন্তু বহু রেস্তোরাঁয় রান্নাও হয়নি। অনেক এলাকায় বৈদ্যুতিক চুলা ও লাকড়ি জ্বালিয়ে রান্নার কাজ সারতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

    এদিকে হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নগরের ফিলিং স্টেশনগুলোতেও গ্যাস মিলছে না। এ কারণে সড়কে কমে গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চলাচল। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এ নিয়ে ভোগান্তি ছিল তুলনামূলক কম।

    শুক্রবার পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে পাঠানো ক্ষুদেবার্তায় গ্যাস সরবরাহ সাময়িক বন্ধের তথ্য জানানো হয়েছে।

    এছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকায় শীতের কারণে গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করছে বলেও জানায় পেট্রোবাংলা।

    মহেশখালীর এলএনজি এফএসআরইউতে কারিগরি ত্রুটি দ্রুত মেরামতের লক্ষ্যে কাজ চলছে উল্লেখ করে ক্ষুদেবার্তায় পেট্রোবাংলা জানায়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা এবং কোম্পানিসমূহ সার্বক্ষণিক তদারকি করছে। দেশীয় গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।সম্মানিত গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

    চট্টগ্রামে পুরোপুরি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) মহাব্যবস্থাপক আমিনুর রহমান। তিনি বলেন, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হয়। আমদানি করা এলএনজি রূপান্তর করে পাইপলাইনে সরবরাহের জন্য কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি ভাসমান টার্মিনাল আছে। এর মধ্যে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনালটি গত ১ নভেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে। এটি গতকাল বৃহস্পতিবার চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চালু করা যায়নি। এ ছাড়া পেছনের গতি বা ব্যাক প্রেশার না থাকার কারণে সামিট এলএনজি টার্মিনালটিও গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে না। এ কারণে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

    আমিনুর রহমান আরও বলেন, আজ সারা দিন গ্যাস না পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, সামিটের টার্মিনালটি খালি করা হচ্ছিল। এটিও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে যাওয়ার কথা আছে। সব মিলিয়ে কখন পরিস্থিতি ভালো হবে বলা যাচ্ছে না।

    গ্রাহকদের দুর্ভোগ
    গ্যাস না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রাহকেরা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আদনান মান্নান থাকেন নগরের কাতালগঞ্জ এলাকায়। তিনি জানান, গ্যাস না থাকায় বিপাকে পড়েছেন তিনি। চুলা জ্বলছে না।

    নগরের মোমেনবাগ এলাকার বাসিন্দা রিদুয়ানুল হক বলেন, ‘বাসায় গ্যাস না থাকায় সকালের নাশতা করতে দোকানে গিয়েছিলাম। কিন্তু দোকানেও কোনো নাশতা তৈরি হয়নি। না খেয়ে আছি।’

    বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা সালমা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তিন মাস ধরে গ্যাসের তীব্র সংকটে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এসব যেন দেখার কেউ নেই।

    নগরের হামজারবাগ, মোমেনবাগ, হিলভিউ, আসকার দিঘীরপাড়, এনায়েতবাজার, লাভলেন, আন্দরকিল্লার ১০ গ্রাহক বলেন, হোটেলে গিয়েও খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে তাঁদের কেউ কেউ বিকল্প হিসেবে মাটির চুলা ব্যবহার করছেন। কেউ সিলিন্ডার কিনেছেন।

    এদিকে গ্যাস না পাওয়ায় সড়কে গ্যাসচালিত যানবাহনের সংখ্যাও কমে গেছে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা নেই বললেই চলে। হাতে গোনা দু–চারটি চলাচল করছে। মুরাদপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মুরাদ পারভেজ বলেন, গতকাল কোনোরকমে তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে গ্যাস নিয়েছিলেন তিনি। আজ দুপুর পর্যন্ত চলবে।

    জানা গেছে, চট্টগ্রামে কেজিডিসিএলের গ্রাহক সংযোগ ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪টি। এর মধ্যে গৃহস্থালি সংযোগ ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬১টি, বাকিগুলো শিল্প-বাণিজ্যসহ অন্য খাতে। এসব খাতে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু স্বাভাবিক সময়ে মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল থেকে পাওয়া যায় ২৮০ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। ১ নভেম্বর থেকে কমবেশি ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস কম পাওয়া যাচ্ছিল। এ কারণে সব ধরনের গ্রাহকই বিপাকে পড়েন।

    কেজিডিসিএলের কর্মকর্তারা বলছেন, মার্কিন টার্মিনালটি চালু হলেও সংকট যাবে না। কারণ, সামিটের টার্মিনালটি রক্ষণাবেক্ষণে যাবে। দুটি সমানতালে চালু থাকলেই গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার সুযোগ আছে। দুটি টার্মিনাল মিলে দিনে ৮৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হতো। এ গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়।

  • চট্টগ্রামে সবজির বাজারে আগুন

    চট্টগ্রামে সবজির বাজারে আগুন

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়ে মন্ত্রিপরিষদ গঠন হয়ে গেছে। অথচ এখনও লাগামহীন চট্টগ্রামের সবজির বাজার। বিক্রেতাদের মুখে নানা ইঙ্গিতে ভেসে আসছে নির্বাচন প্রসঙ্গ। শীতের ভরা মৌসুম, অথচ চড়া দামেই সবজি কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। প্রায় বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকার ওপরে। ফলে নাভিশ্বাস দেখা দিয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। তবে সরবরাহ কম হওয়ার পাশাপাশি পরিবহন খরচকে দুষছেন বিক্রেতারা। এ কারণেই সবজির এমন দাম বলে জানিয়েছে তারা।

    শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের দুই নম্বর গেট এলাকার কর্ণফুলী কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব দোকানেই শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এখনও দাম কমেনি বাঁধাকপি ও ফুলকপির। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। গোল কিংবা যে কোনো বেগুনের অবস্থা একই, বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০-৯০ টাকা দরে।

    চট্টগ্রামের কাজীর দেউরি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা ও বরবুটির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। কম নেই টমেটুর দামও, এখনও ১২০ টাকায় টমেটু বিক্রি করছেন দোকানিরা।

    রিয়াজউদ্দিন বাজারে আসা গার্মেন্ট শ্রমিক চন্দ্রনাথ বড়ুয়া বলেন, পৌষ শেষে এখন মাঘ মাস চলছে। অথচ সবজির বাজারে আগুন জ্বলছে। কেনা যাচ্ছে না কোনো পণ্যই। এমন পরিস্থিতির লাগাম টানতে কি প্রশাসনের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।

    নগরের বহদ্দারহাট কাঁচা বাজারের চিত্রও একই। ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি শসা। করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

    নগরের কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় বাজার করতে আসা কামাল উদ্দিন বলেন, প্রতি বছর সবজির দাম কম থাকে, তাই চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু এ বছরের চিত্র উল্টো। শীতের মৌসুম চলছে, কিন্তু সবজির দাম কিছুতেই কমছে না। সব জিনিসের দাম বাড়তি।

    নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তদার আবু হানিফ বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সবজির দাম অনেক বেশি।

  • চট্টগ্রাম থেকে সংসদে যাচ্ছেন যারা

    চট্টগ্রাম থেকে সংসদে যাচ্ছেন যারা

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে ১৩টি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রতীকের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বাকি তিনটি আসনের মধ্যের দুটিতে স্বতন্ত্র এবং একটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।

    বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন-

    চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুব উর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গিয়াস উদ্দিন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯৫ ভোট।

    চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে এক লাখ ৩৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তরমুজ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মো. আবু তৈয়ব পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৮৭ ভোট।

    চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে ৫৪ হাজার ৭৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. জামাল উদ্দিন পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭০ ভোট।

    চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে এক লাখ ৪২ হাজার ৭০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এস এম আল মামুন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী দিদারুল কবির পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৮০ ভোট।

    চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ৫০ হাজার ৯৭৭ ভোট পেয়েছেন বিজয়ী হয়েছেন নাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টির প্রার্থী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান পেয়েছেন ৩৬ হাজার ২৫১ ভোট।

    চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দুই লাখ ২১ হাজার ৫৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজম পেয়েছেন ৩ হাজার ১৫৯ ভোট।

    চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে এক লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ ইকবাল হাছান পেয়েছেন ৯ হাজার ৩০১ ভোট।

    চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে ৩৩ হাজার ৫৩৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী ফুলকপি প্রতীকের প্রার্থী চসিকের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা বিজয় কুমার চৌধুরী পেয়েছেন ২৬ হাজার ৫৭০ ভোট।

    চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে এক লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি প্রার্থী সানজিদ রশীদ চৌধুরী পেয়েছেন ১ হাজার ৯৮২ ভোট।

    চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনে ৫৯ হাজার ২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সিটি মেয়র এম মনজুর আলম পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৫৩৫ ভোট।

    চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে ৫১ হাজার ৪৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী এম এ লতিফ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেটলি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী চসিকের কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৫২৫ ভোট।

    চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে এক লাখ ২০ হাজার ৩১৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ৩৫ হাজার ২৪০ ভোট।

    চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনে এক লাখ ৮৭ হাজার ১২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী আবুল হোসাইন পেয়েছেন ৫ হাজার ১৪১ ভোট।

    চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে ৭১ হাজার ১২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী চন্দনাইশের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৮৪ ভোট।

    চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া) আসনে ৮৫ হাজার ৬২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাতকানিয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৫২ ভোট।

    চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে ৫৭ হাজার ৪৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শিল্পপতি মুজিবুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ কবির লিটন পেয়েছেন ৩২ হাজার ২২০ ভোট।

  • চট্টগ্রামে ছিনতাইয়ের শিকার ইতালিয়ান ফটোগ্রাফার

    চট্টগ্রামে ছিনতাইয়ের শিকার ইতালিয়ান ফটোগ্রাফার

    ইতালিয়ান নাগরিক ও আন্তর্জাতিক ফটোগ্রাফার ক্রিস্টিনা জেমা ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউরি এলাকায়। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১১ টায় কোতোয়ালি থানার কাজীর দেউরি ১ নম্বর গলির মুখে এ ঘটনা ঘটে।

    সম্প্রতি আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ চট্টগ্রামে ক্রিস্টিনা জেমা এর তোলা ছবির প্রদর্শনী সম্পন্ন হয়।

    ক্রিস্টিনা জেমা পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর দুই বন্ধু শিল্পকলা একাডেমি থেকে জামালখান যাচ্ছিলেন। পথে এটিএম বুথ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন। ব্যাগে সেই ত্রিশ হাজার টাকা, মোবাইল এবং ক্যামেরা ছিল। কাজীর দেউরি ১ নম্বর গলির মুখে সিএনজি যোগে আসা ছিনতাইকারিরা তাঁর গা ঘেঁষে সিএনজির গতি কমিয়ে ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

    কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম ওবায়েদুল হক বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। খুব সহসা ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করার আশা রাখছি।

  • চট্টগ্রামে ২ অস্ত্র ব্যবসায়ী গ্রেফতার, সরঞ্জামাদি জব্দ

    চট্টগ্রামে ২ অস্ত্র ব্যবসায়ী গ্রেফতার, সরঞ্জামাদি জব্দ

    চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বিশেষ দুইটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ২ অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।

    শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানাধীন পশ্চিম খুরসীয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন ওই এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. রোকন (৪১) ও কক্সবাজার টেকনাফের মৃত আমীর হোসেনের ছেলে মো. সিরাজুল হক (৩২)।

    র‌্যাব জানায়, অভিযানে তাদের হেফাজতে দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি রয়েছে বলে স্বীকার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রান্নাঘর থেকে তাদের নিজ হাতে বের করে দেয়া দেশীয় তৈরি ২ টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরীর বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদি উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।

    জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা পরস্পর যোগসাজসে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করে অপরাধ সংঘটনের জন্য দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি, বিক্রয়সহ নানাবিধ অপরাধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল।

    র‌্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারি পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. নূরুল আবছার বলেন, ‘গ্রেফতার আসামিদের উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র এবং জব্দকৃত সরঞ্জামাদি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাঙ্গুনিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

  • এবার আগের রাতে ভোট হবে না—এটা শতভাগ নিশ্চিত করলাম : সিইসি

    এবার আগের রাতে ভোট হবে না—এটা শতভাগ নিশ্চিত করলাম : সিইসি

    আগের রাতে ভোটসহ যেসব কথাবার্তা হয়েছে সেটি কোনো অবস্থাতেই হবে না বলে শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

    তিনি বলেন, ‘আগের রাতে ভোটসহ যেসব কথাবার্তা হয়েছে আমরা ৯৯ নয়, শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি সেটি কোনো অবস্থাতেই হবে না। এজন্য অনেক কেন্দ্রে ব্যালট পেপার সকালে যাবে।’

    মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরের পিটিআই মিলনায়তনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাঠ প্রশাসন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভাশেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

    কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এখন ব্যালট পেপার সকালে না গিয়ে ১০ দিন আগে অথবা ১০ মাস আগেও যায়, তাহলেও প্রার্থীরা তাদের পোলিং এজেন্ট দিয়ে সকালে ভোট কেন্দ্রে স্বচ্ছ বাক্সগুলো খালি কি না সেটি দেখে নিয়ে তারপর বন্ধ করবেন। সেক্ষেত্রে অবৈধ কোনো ব্যালট বক্সে ঢোকার সুযোগ নেই। তারপরও আমরা বিশ্বাস এবং আস্থা অর্জনের জন্য বলেছি ব্যালট পেপার সকালে পাঠাব।

    তিনি আরও বলেন, ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্টরা অবশ্যই দাঁড়িয়ে থেকে দেখে নেবেন ব্যালট বাক্সগুলো খালি আছে কি-না। তারা ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ গণনা ও ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করবেন। সবকিছু সঠিকভাবে হয়েছে কি না জানবেন। যদি গণনা যথাযথভাবে শেষ হয় তাহলে নিশ্চিতভাবে ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়ে গেল।

    ভোট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ফুটে উঠবে মিডিয়ার মাধ্যমে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, মিডিয়ার কর্মীরা ভোটকেন্দ্রের বাইরে এবং ভেতরে থাকবেন। ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে মিডিয়া ও পর্যবেক্ষকদের প্রিজাইডিং অফিসারের অনুমতি নিতে হবে না। তারা সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন এবং ভেতরে ঢুকে সবই ছবি তুলতে পারবেন। সত্য-মিথ্যা জনগণকে জানাতে পারবেন।

    প্রার্থীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের আচরণে সন্তুষ্ট জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনের সংস্কৃতিতে অনেকে কালো টাকার বিনিময় পেশাদার কিছু সন্ত্রাসী ব্যবহার করে। তারা যাতে ভোটকে প্রভাবিত না করতে পারে সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। তাদের বক্তব্য শুনেছি। আমরাও যথাযথ নির্দেশনা দিয়েছি। তারা আমাদের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের কথা বলেছেন। পোস্টার ছেঁড়া, দুয়েক ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন। কিন্তু সার্বিকভাবে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা আমাদের জানিয়েছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের আচরণে তারা সন্তুষ্ট।’

    অ্যাপসের মাধ্যমে প্রতিটি কেন্দ্রের ভোটের হার জানা যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি অ্যাপস তৈরি করেছি যেখানে দুই ঘণ্টা পর পর প্রতিটি কেন্দ্রে কত শতাংশ ভোট পড়লো ইনপুট দেওয়া হবে। মোবাইলের মাধ্যমে অ্যাপস ডাউনলোড করে সেটা সবাই জানতে পারবেন। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ১০টার সময় দেখা গেল ১০ শতাংশ ভোট পড়ল। কিন্তু ১২টার দিকে গিয়ে হঠাৎ ৮০ শতাংশ হয়ে গেল। এটি বিশ্বাসযোগ্য হবে না। এজন্য আমরা বিভিন্ন পরিমাপক নিয়েছি। যাতে ভোট গ্রহণের সত্যতা মানুষের মাঝে ফুটে ওঠে।’

    কোনো পেশিশক্তির উদ্ভব ঘটলে প্রিজাইডিং অফিসারকে ভোট বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘প্রিজাইডিং অফিসার যদি বন্ধ না করেন রিটার্নিং অফিসার অবহিত হলে তিনি বন্ধ করে দেবেন। তিনিও যদি বন্ধ না করেন, আর আমরা ঢাকা থেকে অবহিত হলে সেখান থেকে বন্ধ করে দেবো।’

    কেন্দ্রে যাতে কোনো অননুমোদিত ব্যক্তি প্রবেশ না করে সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি বলা হয়েছে জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা তাদের আরেকটি বার্তা দিয়েছি, যেদিন ভোটগ্রহণ করা হবে সেদিনের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে থাকবে। ভোটটা কি অবাধ হলো, সেখানে কারচুবি হয়েছে কি-না সেটি নিশ্চিত করার জন্য যারা ভোট পরিচালনা করবেন অর্থাৎ প্রিজাইডিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে, কেন্দ্রে যাতে কোনো অননুমোদিত ব্যক্তি প্রবেশ না করে। যদি অননুমোদিত ব্যক্তি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে তাহলে বুঝতে হবে তিনি কুমতলব নিয়ে প্রবেশ করেছেন। তাহলে ভোটগ্রহণ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। আমরা কঠিন বার্তা দিয়েছি, এ ধরনের কোনো কিছু যাতে না হয়।’

    ভোট নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘কতগুলো বক্তব্য আমি আরও ৬টি স্টেশনে ঘুরে শুনেছি। একটি কথা কয়েকজনে বলেছেন ভোট দিয়ে কী লাভ, ভোট তো এক জায়গায় চলে যাবে। আবার কেউ কেউ নাকি মুখে মুখেও বলেছেন, আপনারা যে যেখানে ভোট দেন, ভোট জায়গামতো চলে আসবে। আমরা বিষয়টি শুনেছি। এর মধ্যে আমরা জেনে গেছি, এটি হয়তো ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার অথবা ভ্রান্ত ধারণা। ভোট যেখানেই দেন সেখান থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার সম্ভাবনা নেই ,সেটি আমরা শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি।’

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের আয়োজনে সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলা প্রশাসক, জেলার পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উপস্থিত ছিলেন।

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ ।

     

  • বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ডাক ফিউজ হয়ে গেছে : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ডাক ফিউজ হয়ে গেছে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি অগ্নি সন্ত্রাস করেও নির্বাচনের উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আমেজকে কোনভাবেই ম্লান করতে পারেনি, তাদের অগ্নি সন্ত্রাসেও কোন কাজ হচ্ছে না। অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। কার্যত বিএনপি’র নির্বাচন বর্জনের ডাক ফিউজ হয়ে গেছে।

    তিনি বলেন, এগুলো দেখে বিএনপি এখন দিশেহারা হয়ে গেছে। তারা এখন অসহযোগ কর্মসূচি দিয়েছে। বিএনপি’র নেতাকর্মীরাই এই অসহযোগ কর্মসূচিতে তাদের সহযোগিতা করছে না। যেহেতু তাদের নেতাকর্মীরা কোনভাবেই সাড়া দেয়নি, সুতরাং এই অসহযোগ কর্মসূচি বিএনপি’র ক্ষেত্রেই সফল।

    শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    দেশের নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এবং প্রতি আসনে গড়ে সাড়ে ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যে সমস্ত বিদেশীদের কাছে বিএনপি বারে বারে ধর্ণা দিত, সেই বিদেশিরাও এখন নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, নির্বাচনে যাতে কেউ বাঁধা না দেই, সেই কথাই বলছে। অর্থাৎ, নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নিরপেক্ষ সরকার, নির্বাচনকালীন সরকার, এই সমস্ত বিষয় এখন আর নাই। এখন নির্বাচনটা কিভাবে সুষ্ঠু করা প্রয়োজন সেটি নিয়েই সবাই পরামর্শ দিচ্ছে।

    তিনি বলেন, গতকাল এবং এর আগেও জাতিসংঘের বিবৃতি এবং ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, নির্বাচনে যাতে কেউ বাঁধা না দেয়, অর্থাৎ সহিংসতা না হয়। একই সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে, দেশে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন তারা দেখতে চাই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা সবাইকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন নির্বাচনকালে যেন সহিংসতা না করে, এবং অবাধ ও সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করার জন্য। সত্যিকার অর্থে দেশে অত্যন্ত সুন্দর এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেজন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ সহায়তা করছে।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও উৎসবমূখর হবে এটি অনুধাবন করতে পেরে বিএনপি তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অগ্নি সন্ত্রাসকে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে গেছে। তারা এখন ট্রেনে হামলা চালানো শুরু করেছে, কয়েকদিন আগে যেভাবে ট্রেনে ঘুমন্ত মানুষের উপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মা এবং শিশু সন্তানসহ চারজনকে হত্যা করেছে এগুলো মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। সবচে বড় ব্যাপার, সেটি যত না নৃশংস ও বিভৎস ছিল, তারচেয়েও নৃশংস ও বীভৎস মিথ্যাচার করেছে বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদসহ অন্যরা।

    তিনি বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচন সব সময় একটি উৎসব, সে নির্বাচনী উৎসব প্রকৃতপক্ষে এখন বাংলাদেশে শুরু হয়ে গেছে। এতে করে বিএনপি নির্বাচন বর্জনের যে ডাক দিয়েছিল সেটি ভন্ডুল হয়ে গেছে। তারা শুরুতে মনে করেছিল নির্বাচন হবে না, এখন তারা উপলব্ধি করতে পেরেছেন, নির্বাচন তো হচ্ছেই, সারা দেশে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে হচ্ছে। গণমাধ্যম জুড়েও এখন নির্বাচনী বিষয় স্থান পাচ্ছে।

    চট্টগ্রামের কয়েকটি নির্বাচনী এলাকায় ইতিমধ্যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে, সামনে আরো বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, নির্বাচনে সহিংসতা কোনভাবেই কাম্য নয়, যে বা যারা করছে তারা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করছে। নির্বাচন কমিশন সে ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। আমাদের দলেরও কেউ করলে সেটি আমরা বরদাস্ত করব না। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।
    নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে জনগণকে না আসার জন্য বিএনপি লিফলেট বিতরণসহ প্রচারণা চালাচ্ছে, এটি কাটিয়ে জনগণকে কিভাবে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এ ধরনের লিফলেট বিতরণ করে মূলত ঢাকা শহরে ফটোসেশন করা হয়। সকালবেলা যখন মানুষ ঘুম থেকে উঠে না, তখন দৌড় দিয়ে একটা মিছিল করা হয়, আর একটা ছবি তোলা হয়। এগুলোর কোন ইমপ্যাক্ট নির্বাচনে নাই।

    চট্টগ্রাম মেডিকেলে আইসিইউ বেডের সংকট রয়েছে, আগামী ২৭ তারিখ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবেন, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের জন্য সেখানে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার প্রতিটি জেলা শহরে আইসিইউ বেড স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, অনেক জেলা শহরে স্থাপন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেলের জন্য একটি বড় প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, সেটি হলে সেখানে শুধু আইসিইউ নয়, সমস্ত সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।

    তিনি বলেন, আরেকটি বিষয় হচ্ছে, স্বাস্থ্য সেবার সাথে যুক্ত একটি চক্র চায় না সরকারি সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাক। সরকারি সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পেলে যেসব প্রাইভেট ক্লিনিক, হাসপাতাল আছে সেগুলোর ব্যবসা কমে যাবে। এই চক্রটা সরকারি হাসপাতালগুলোকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে একটি প্রতিবন্ধক।

    পত্র-পত্রিকায়ও রিপোর্ট বেরিয়েছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন মেডিকেলে ইকুইপমেন্ট কেনা হয়েছে, সেগুলো বছরের পর বছর তালাবদ্ধ থাকার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। সরকার কিনে দেয়ার পরও যারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে চাই না, সেগুলোকে চালু করে না, এরা আসলে জনগণের বিপক্ষে কাজ করছে, এবং এটি কোনভাবেই কাম্য নয়, বলেন- তথ্যমন্ত্রী।

  • চট্টগ্রামে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন ২৩ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট

    চট্টগ্রামে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন ২৩ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অপরাধের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে সারাদেশের মতো চট্টগ্রামে ২৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৫ দিন দায়িত্ব পালন করবেন তারা।

    নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের আইন-১ শাখার সহকারী সচিব মো. আল-আমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    এতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬৫৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন এবং তার আগের দু’দিন ও পরের দু’দিনসহ মোট ৫ দিন দায়িত্ব পালন করবেন।

    চট্টগ্রামে নিয়োগপ্রাপ্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনে সহকারী জজ ফারজানা তাবাসসুম মেরী, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জোনাইদ, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারদিন মুস্তাকিম তাসিন, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোছাইন, সহকারী জজ তৈয়ব উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে সহকারী জজ মুজিবুর রহমান, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ম্যাজিস্ট্রেট আইরিন পারভিন, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম সরোয়ার, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান পুনম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোহিনুর আক্তার নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।

    এছাড়া চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা, সিনিয়র সহকারী জজ মো. হাসান জামান, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসনে সিনিয়র সহকারী জজ মো. হেলাল উদ্দিন, সহকারী জজ মোহাম্মদ মোস্তাফা, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাউদ্দিন, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহ, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং) আসনে সিনিয়র সহকারী জজ শামসুল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুন, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হক, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আক্তার, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাররাহুম আহমেদ, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ার) আসনে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূরুল হক, সহকারী জজ আবদুল মান্নান, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইসুমা সুলতানা, সহকারী জজ কামাল উদ্দীন, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া) আসনে সহকারী জুডিসিয়াল সুব্রত দাশ, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল হামিদ, সহকারী জজ কাওসার মাহমুদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।

    গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাই, ব্যালট পেপার ধ্বংস করা, ব্যালট বক্স ছিনতাই, ভোটদানে বাধা দেওয়া, ভোটকেন্দ্রের পরিবেশকে ভোটের উপযোগী না রাখা- এসব অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচার করতে পারবেন।