Tag: চট্টগ্রাম

  • চট্টগ্রামে প্রতীক পেয়ে ভোটের মাঠে প্রার্থীরা, লড়াই হবে আ.লীগ-স্বতন্ত্রে

    চট্টগ্রামে প্রতীক পেয়ে ভোটের মাঠে প্রার্থীরা, লড়াই হবে আ.লীগ-স্বতন্ত্রে

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৬ জন পেয়েছেন ঈগল প্রতীক, ৪ জন কেটলি প্রতীক, ৩ জন ট্রাক প্রতীক, ২ জন ফুলকপি এবং এক জন করে পেয়েছেন তরমুজ ও বেঞ্জ প্রতীক।

    সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে চট্টগ্রামে বিভাগীয় কমিশন ও জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

    রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম–১ (মীরসরাই) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন পেয়েছেন ঈগল প্রতীক।

    এ আসনে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূলত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুব উর রহমানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের।

    চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবু তৈয়ব পেয়েছেন তরমুজ প্রতীক এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান পেয়েছেন ঈগল প্রতীক।

    এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮ প্রার্থী। আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আবু তৈয়বের।

    চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতা মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ঈগল প্রতীক। এ আসনে ৮ জন প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাজফুজুর রহমানে সঙ্গে জামাল উদ্দিনের।

    চট্টগ্রাম-৩ (সীতাকুণ্ড): এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ বিভিন্ন দলের ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় দলীয় প্রতীকই প্রার্থীদের বরাদ্দ দেওয়া হয়।

    চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান চৌধুরী পেয়েছেন কেটলি প্রতীক। হাটহাজারীর এ আসনটিতে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালামকে। শেষ মুহুর্তে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি হওয়ায় প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে হয় তাকে। এ আসনে ৭ জন প্রার্থী থাকলেও জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের বিপরীতে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সাবেক চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে আভাস মিলছে।

    চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজম পেয়েছেন ট্রাক প্রতীক। এ আসনে ৫ জন প্রার্থী হলেও পর পর তিন বার নির্বাচিত আওয়ামী লীগের প্রার্থীর এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর বিপরীতে শক্ত প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে।

    চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে নেই কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে আছেন মোট ৬ জন প্রার্থী। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আবদুচ ছালাম পেয়েছেন কেটলি প্রতীক। বিভিন্ন দলের ১০ জন প্রার্থী রয়েছে আসনটিতে। জাতীয় পার্টির সোলাইমান আলম শেঠের সমর্থনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুচ ছালামের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর।

    চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বিন্দ্বীতা করেছেন। কোনো শক্ত প্রতিপক্ষ না থাকায় অনেকটা খালি মাঠেই গোল দিতে পারেন বর্তমান শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

    চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং) এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদ পেয়েছে কেটলি প্রতীক। এছাড়া এ আসনে সাবেক মেয়র মঞ্জুর আলম পেয়েছেন ফুলকপি প্রতীক। আসনটিতে ৯ জন প্রার্থী থাকলেও সাবেক মেয়র মঞ্জুর আলমের সঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন বাচ্চুর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে।

    চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) এ আসনের সাত জন প্রার্থী রয়েছে। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন পেয়েছেন কেটলি প্রতীক। আসনটিতে আওয়ামী প্রার্থী রয়েছে এম এ লতিফ। অন্যান্য প্রার্থী থাকলেও এই দুই প্রার্থীর মধ্যে হতে পারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

    চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ঈগল প্রতীক। পর পর তিন বার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে হুইপের দায়িত্বে থাকার পরও দলীয় মনোনয়ন পাননি তিনি। এ আসনে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী নৌকার মনোনয়ন পান। এ আসনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৮ জন।

    চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনে ৭ প্রার্থী দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনে নির্বাচন করছেন বর্তমান ভূমিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।

    চট্টগ্রাম-১৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল জাব্বার পেয়েছেন ট্রাক প্রতীক। এ আসনে মোট ৮ জন প্রার্থী রয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী নজরুল ইসলাম ও আব্দুল জাব্বারের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে এলডিপির দূর্গ হিসেবে খ্যাত আসনটিতে।

    চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া) এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব পেয়েছেন ঈগল প্রতীক। সাতকানিয়া এ আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছেন আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী। এ আসনে নদভীর মূল প্রতিপক্ষ মোতালেব। নির্বাচনের প্রচারণা শুরু আগেই দুই পক্ষের সমর্থকদের উত্তেজনায় হাড্ডাহাড্ডি লাড়াইয়ের আভাস মিলছে।

    চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে তিন জন স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুজিবুল হক সিআইপি। এ আসনের নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বিভিন্ন কারণে বিতর্কিত হওয়ায় অনেকটাই কোণঠাসা। নির্বাচনের মাঠে মুজিব-মোস্তাফিজের ভোটের লাড়াই দেখার অপেক্ষায় বাঁশখালীর ভোটরা।

    প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে মোট ১৪৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরমধ্যে যাচাই-বাছাইয়ে ৩২ জনের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। ১১৬ জনের মনোননয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। বাছাইয়ে বাদ পড়াদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের আপিল করে প্রার্থীতা ফিরে পান ১২ জন। আরেকজন উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রার্থীতা ফিরে পান। সবমিলে ১৬ আসনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১২৯ জন। তাদের মধ্যে থেকে গতকাল ৯ জন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। এখন ভোটের মাঠে আছেন ১২০ প্রার্থী।

  • চট্টগ্রামে বিপুল পরিমাণ টিসিবির পণ্যসহ গ্রেপ্তার ৭

    চট্টগ্রামে বিপুল পরিমাণ টিসিবির পণ্যসহ গ্রেপ্তার ৭

    চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকায় একটি গোডাউন থেকে বিপুল পরিমাণ টিসিবির পণ্য কালোবাজারি মাধ্যমে সংগ্রহ ও বিক্রির অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় টিসিবির ৫৪০০ লিটার সয়াবিন তেল, ৬৩৫০ কেজি মসুরের ডাল জব্দ করে পুলিশ।

    রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে নগরীর উত্তর মোহরা এজাহার শাহ মাজার সংলগ্ন এলাকার ওই গোডাউন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

    গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- চট্টগ্রাম জেলার চান্দগাঁও থানার পূর্ব মোহরা কাজীরহাট কাজী বাড়ির মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন, ভোলা জেলার লালমোহন থানার চরলক্ষী এলাকার হাফিজ সওদাগর বাড়ীর মো. মনির, চট্টগ্রাম জেলার চান্দগাঁও থানার উত্তর মোহরা এলাকার নুর আলম, ভোলা জেলার লালমোহন থানার রায়চাঁদ বাজার এলাকার খালেক মাস্টারের বাড়ির মো. মফিজুর ইসলামের ছেলে মো. জসিম, ভোলা জেলার লালমোহন থানার চরভূতা এলাকার উত্তর জমাদার বাড়ীর মো. শহিদুল ইসলাম মোল্লার ছেলে সাগর মোল্লা, একই থানা এলাকার মো. শহিদুল ইসলাম মোল্লার ছেলে মো. সালমান ও একই এলাকার মো. লিটনের ছেলে মো. রায়হান।

    চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর উত্তর মোহরা এজাহার শাহ মাজার সংলগ্ন মোহরা কোম্পানির বাড়ির রাস্তার পাশে দেলোয়ারের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে টিসিবির পণ্য কালোবাজারি মাধ্যমে সংগ্রহ ও বিক্রির অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় গোডাউন থেকে ৫৪০০ লিটার সয়াবিন তেল যার আনুমানিক মূল্য ৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকা, ৬৩৫০ কেজি মসুরের ডাল যার আনুমানিক মূল্য ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা ও পণ্য বিক্রির ১ লাখ ৮৪ হাজার টাকার মালামাল জব্দ করা হয়।

    এ ঘটনায় গোডাউনের মূল মালিক দেলোয়ার ও মো. মনিরসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

  • চট্টগ্রামে ভোটের লড়াইয়ে ১২০ প্রার্থী

    চট্টগ্রামে ভোটের লড়াইয়ে ১২০ প্রার্থী

    মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিনে গতকাল (রবিবার) ৯ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ভোট-লড়াইয়ে টিকে থাকলেন ১২০ জন প্রার্থী। আজ সোমাবার প্রতীক নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু করবেন প্রার্থীরা।

    নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে ১৪৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরমধ্যে যাচাই-বাছাইয়ে ৩২ জনের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। ১১৬ জনের মনোননয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। বাছাইয়ে বাদ পড়াদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান ১২ জন। আরেকজন উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রার্থিতা ফিরে পান। সবমিলে ১৬ আসনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১২৯ জন। তাদের মধ্যে থেকে গতকাল ৯ জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। এখন ভোটের মাঠে আছেন ১২০ প্রার্থী।

    মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন যারা

    চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে করেছেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে বিকল্পধারা বাংলাদেশের মাজহারুল হক শাহ ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এমএ মতিন। চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে জাসদ মনোনীত প্রার্থী কামাল মোস্তফা চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ এমরানুল হক।

    আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেওয়ায় দুটি আসনে নৌকা প্রার্থীরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। তারা হলেন, চট্টগ্রাম-৫ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম। এ আসনে কল্যাণ পার্টির প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। চট্টগ্রাম-৮ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ। এছাড়াও চট্টগ্রাম-১১ আসনে জাসদের প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

    প্রতীক নেবেন ১২০ প্রার্থী

    মনোনয়ন বাছাই ও প্রত্যাহারের পর এখন ভোটের মাঠে আছেন ১২০ জন প্রার্থী। বৈধ প্রার্থীদের মধ্যে আজ (সোমবার) প্রতীক বরাদ্দ করবে নির্বাচন কমিশন।

    চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে বর্তমানে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা সাত জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহবুব উর রহমান রুহেল, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মো. ইউসুফ, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ (বিএমএল) এর শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নুরুল করিম আবছার, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ প্রার্থী আব্দুল মান্নান ও জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ এমদাদ হোসাইন চৌধুরী।

    চট্টগ্রম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে বৈধ প্রার্থী হলেন আট জন। তারা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভা-ারী, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হোসাইন মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, ইসলামিক ফ্রন্টের মীর মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম, জাতীয় পার্টির মো. শফিউল আজম চৌধুরী, ইসলামী ফ্রন্টের মো. হামিদ উল্লাহ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান।

    চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনের বৈধ প্রার্থী আট জন। তারা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতা, সুপ্রিম পার্টির মুহাম্মদ নুরুল আনোয়ার, জাসদের নুরুল আকতার, জাপার এমএ ছালাম, ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ উল্লাহ খান, ইসলামিক ফ্রন্টের আবদুর রহিম, স্বতন্ত্র ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, এনপিপির মো. মোকতার আজাদ খান।

    চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বৈধ প্রার্থী আছেন ছয়জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী এসএম আল মামুন, জাপার মো. দিদারুল কবির, তৃণমূল বিএনপির মো. খোকন চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, ইসলামিক ফ্রন্টের মো. মোজাম্মেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আকতার হোসেন।

    চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে প্রার্থী আছেন ছয় জন। তারা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, তৃণমূল বিএনপির মো. নাজিম উদ্দিন, সুপ্রিম পার্টির কাজী মহসীন চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, ইসলামী ফ্রন্টের সৈয়দ মুক্তার আহমেদ, বিএনএফের আবু মোহাম্মদ সামশুদ্দিন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ছৈয়দ হাফেজ আহমদ।

    চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, ইসলামিক ফ্রন্টের স ম জাফর উল্লাহ, তৃণমূল বিএনপির মো. ইয়াহিয়া জিয়া চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মো. সফিকুল আলম চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজম।

    চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে বৈধ প্রার্থী আছেন ছয় জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সুপ্রিম পার্টির মো. মোরশেদ আলম, ইসলামিক ফ্রন্টের আহমেদ রেজা, তৃণমূল বিএনপির খোরশেদ আলম, জাতীয় পার্টির মুছা আহমেদ রানা, ইসলামী ফ্রন্টের মো. ইকবাল হাসান।

    চট্টগ্রাম-৮ আসনটি মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বর্তমানে ভোটের লড়াইয়ে আছেন ১০ জন। তারা হলেন, জাতীয় পার্টির সোলায়মান আলম শেঠ, স্বতন্ত্র প্রার্থী সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, বিএনএফের প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ, সাবেক কাউন্সিলর বিজয় কুমার চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহিবুর রহমান বুলবুল, তৃণমূল বিএনপির সন্তোষ শর্মা, কল্যাণ পার্টির মো. ইলিয়াছ, ইসলামিক ফ্রন্টের সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, এপিপি মো. কামাল পাশা, আবদুল নবী।

    চট্টগ্রাম-৯ (বাকলিয়া-কোতোয়ালী) আসনে সাত প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ইসলামিক ফ্রন্টের মো. ওয়াহেদ মুরাদ, ন্যাপের মিটল দাশগুপ্ত, ইসলামী ফ্রন্টের আবু আজম, কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ নূরুল হোসাইন, তৃণমূল বিএনপির সুজিত সাহা ও জাপার সানজিদা রশিদ চৌধুরী।

    চট্টগ্রাম-১০ (খুলশী, পাহাড়তলী, হালিশহর) আসনে ভোটের মাঠে আছেন নয় জন। তারা হলেন, সাবেক মেয়র মনজুর আলম, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু, নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, তৃণমূল বিএনপির মো. ফেরদাউস বশির, ইসলামী ফ্রন্টের আলমগীর হোসেন বঈদী, ইসলামিক ফ্রন্টের আবুল বাশার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, সুপ্রিম পার্টির মিজানুর রহমান, জাতীয় পার্টির জহুরুল ইসলাম, জাসদের মো. আনিসুর রহমান।

    চট্টগ্রাম-১১ (পতেঙ্গা-বন্দর) আসনে ভোটে আছেন সাত জন। তারা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ প্রার্থী এম এ লতিফ, ইসলামিক ফ্রন্টের আবুল বাসার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, সুপ্রিম পার্টির মো. মহিউদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন, তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত, এনপিপির নারায়ণ রক্ষিত, গণফোরামের উজ্জ্বল ভৌমিক।

    চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে ভোটে আছেন আট জন। তারা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী, আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের এম এয়াকুব আলী, জাতীয় পার্টির মো. নুরুচ্ছফা সরকার, ইসলামিক ফ্রন্টের কাজী মো. জসিম উদ্দিন, তৃণমূল বিএনপির রাজীব চৌধুরী, কংগ্রেসের সৈয়দ মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জিহাদী ও ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন।

    চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে আছেন ৭ জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, ইসলামিক ফ্রন্টের সৈয়দ মুহাম্মদ হামেদ হোসাইন, তৃণমূল বিএনপির মকবুল আহমেদ চৌধুরী, সুপ্রীম পার্টির মো. আরিফ মঈনউদ্দিন, জাতীয় পার্টির আবদুর বর চৌধুরী, খেলাফত আন্দোলনের মৌলভী রশিদুল হক, ইসলামী ফ্রন্টের মো. আবুল হোসাইন।

    চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে আছেন আট জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মাহমুদ আবদুস সামাদ, বিএনএফের মো. গোলাম ইসহাক খান, বিএসপির মো. আইয়ুব, জাতীয় পার্টির আবু জাফর মো. ওয়ালিউল্লাহ, তরিকত ফেডারেশনের মো. আলী ফারুকী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী, ইসলামী ফ্রন্টের আবুল হোসাইন।

    চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে আছেন সাত জন। তারা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব, জাতীয় পার্টির মো. ছালেম, ইসলামী ফ্রন্টের মো. আলী হোসাইন, কল্যাণ পার্টির সোলায়মান কাশেমী, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. হারুন, মুক্তিজোটের মো. জসিম উদ্দিন।

    চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে ভোটের মাঠে আছেন ১০ জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান, আ. লীগ নেতা আবদুল্লাহ কবির লিটন, মো. খালেকুজ্জামান, এনপিপির মুহাম্মদ মামুন আবছার চৌধুরী, ইসলামী ফ্রন্টের মো. মহিউল আলম চৌধুরী, কংগ্রেসের এম জিল্লুর করিম শরীফি, ইসলামিক ফ্রন্টের আবদুল মালেক, ন্যাপের আশীষ কুমার শীল ও ইসলামী ঐক্যজোটের মো. শওকত হোসেন চাটগামী।

  • চট্টগ্রামে ৩ স্বতন্ত্র ফিরে পেলেন প্রার্থিতা

    চট্টগ্রামে ৩ স্বতন্ত্র ফিরে পেলেন প্রার্থিতা

    দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিট না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া তিন আওয়ামী লীগ নেতা প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।

    এর আগে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক সইয়ে গড়মিল থাকায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

    রোববার (১০ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শুনানিতে তিনজনই প্রার্থিতা ফিরে পান।

    প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া তিন আওয়ামী লীগ নেতা হলেন, চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনের মো. গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী, চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশের একাংশ) আসনের আবদুচ ছালাম এবং চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের এম এ মোতালেব।

    এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেয়া ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের মধ্যে ত্রুটিপূর্ণতার অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। মনোনয়নপত্র বৈধতা ফিরে পাওয়ার পর গিয়াস উদ্দিন বলেন, প্রার্থিতা যখন বাতিল হলো, তখন শোকের ছায়া ছিল।আমি আজকে ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি মীরসরাইয়ের মানুষের ভালোবাসা ও তাদের অনুরোধে। আমি বিশ্বাস করি মীরসরাইয়ের আপামর জনসাধারণ আমাকে ৭ জানুয়ারি বিপুল ভোটে জয়ী করবেন।

    অন্যদিকে গত ৩ ডিসেম্বর সকালে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে আবদুচ ছালামের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। মনোনয়ন ফিরে পাওয়ার পর আবদুচ ছালাম বলেন, প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় সবাই আনন্দিত। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। আমরা পারিবারিকভাবে সবসময় মানুষের সঙ্গে ছিলাম, এখনও আছি। আমি সিডিএ চেয়ারম্যান ছিলাম। আমার নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এ দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আল্লাহ আমার মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহরের কী কী উন্নয়ন করেছেন, সেটা নগরবাসী জানেন। হয়তো আল্লাহ অবহেলিত বোয়ালখালীর উন্নয়নও আমার মাধমে করাবেন। হয়তো কালুরঘাট সেতু আমার হাত দিয়েই হবে। জনগণ আমার সঙ্গে আছেন, ইনশাল্লাহ আমি জয়ী হবো।

    এছাড়া গত ৪ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে এম এ মোতালেবের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। মনোনয়ন ফিরে পাওয়ার পর এম এ মোতালেব বলেন, অনেক ষড়যন্ত্রের পরও ন্যায়বিচার পেয়েছি। প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় সবাই আনন্দিত। আজই (রোববার) ঢাকা থেকে এলাকায় ফিরে নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু করব। আমি বিশ্বাস করি সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার আপামর জনসাধারণ আমাকে সাত জানুয়ারি বিপুল ভোটে জয়ী করবেন।

  • চট্টগ্রামে সাড়ে ১৩ লাখ শিশু ‘ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাবে

    চট্টগ্রামে সাড়ে ১৩ লাখ শিশু ‘ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাবে

    চট্টগ্রাম জেলার নগর ও উপজেলা পর্যায়ে ৬-৫৯ মাস বয়সী ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৬২৫ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে আগামীকাল মঙ্গলবার।

    চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী গতকাল রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।

    সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনে চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় ৮ লাখ ২৭ হাজার ৬২৫ জন এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় ৫ লাখ ৪১ হাজার জন শিশুকে টিকা দেওয়া হবে। জেলায় ৮ লাখ ২৭ হাজার ৬২৫ জনের মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৯৬ হাজার ৭৯০ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ৩০ হাজার ৮৩৫ জন।

    এছাড়া সিটি করপোরেশন এলাকায় ৫ লাখ ৪১ হাজার জনের মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৮১ হাজার জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৬০ হাজার জন।

    এ সময় সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

    চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলার ২০০টি ইউনিয়নে একযোগে এ ক্যাপসুল খাওয়া হবে। এর জন্য স্থায়ী, অস্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ ৪ হাজার ৮৩২টি কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    ভ্রমণে থাকাকালীন সময়েও বিভিন্ন স্টেশন, টার্মিনাল, লঞ্চ ও ফেরী ঘাটে শিশুকে টিকা দেওয়া যাবে।
    তিনি আরও জানান, ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুরা পাবে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

    কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, এমওডিসি ডা. নুরুল হায়দার, স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া প্রমুখ।

    প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৮ জুন অনুষ্ঠিত ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনে চট্টগ্রাম জেলায় ৯৯ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়।

  • চট্টগ্রামে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাবে ৮ লাখ ২৭ হাজার শিশু

    চট্টগ্রামে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাবে ৮ লাখ ২৭ হাজার শিশু

    সারাদেশের ন্যায় আগামী ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলায় অনুষ্টিত হবে দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩। ঐ দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলার ১৫ উপজেলার ২’শ ইউনিয়নের ৬’শ ওয়ার্ডের ১৭টি স্থায়ী, ১৫টি ভ্রাম্যমান ও ৪ হাজার ৮’শটি অস্থায়ীসহ মোট ৪ হাজার ৮৩২টি কেন্দ্রে ৬-১১ মাস বয়সী ৯৬ হাজার ৭৯০ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ৩০ হাজার ৮৩৫ জন শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানো হবে। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে জেলার ১৫ উপজেলায় মোট ৮ লাখ ২৭ হাজার ৬২৫ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি সালের গত ১৮ জুন জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-১১ মাস বয়সী মোট ৯৪ হাজার ৮৮ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানো হয়েছিল, যার অর্জিত হার ছিল ৯৯ শতাংশ ও ১২-৫৯ মাস বয়সী মোট ৭ লাখ ২৬ হাজার ৩৮৭ জন শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানো হয়েছিল, যার অর্জিত হার ছিল ৯৯ শতাংশ। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন নিয়ে গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। উৎসবমুখর পরিবেশে এ ক্যাম্পেইন সফল করা হবে।

    এ উপলক্ষে আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা পর্যায়ে এডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী এসব কথা বলেন।

    স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্টান ও জাতীয় পুষ্টি সেবার বাস্তবায়নে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এডভোকেসী সভার আয়োজন করেন।

    সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্তাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার।

    সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোঃ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, জেলা পুলিশের পরিদর্শক ফরিদা ইয়াসমিন, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. মোঃ নওশাদ খান, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর সালমা আক্তার, লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. মোঃ হানিফ প্রমূখ।

    জেলার ১৫ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ও মেডিকেল অফিসারসহ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গণমাধ্যম, সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ের কর্মকর্তা সভায় অংশ নেন।

    সভাপতির বক্তব্যে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, জেলার বাইরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ ৪১ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য এ ক্যাম্পেইন সফল করতে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। আগামী ১২ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপজেলাগুলোতে ৫০ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ১৬০ জন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ৪৮৫ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ৭২০ জন পঃ পঃ সহকারী, ১৯৬ জন পঃ পঃ পরিদর্শক, ৯ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক, ১৪ জন স্যানিটারী ইন্সপেক্টর, ৫৩২ জন সিএইচসিপি ও ৮৫ জন স্যাকমো জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে নিয়োজিত থাকবে। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে।

    তিনি বলেন, এ কর্মসুচী সফল করতে সকল ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ৬-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশু যাতে ঐদিন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাসসুল পায় সে লক্ষ্যে প্রত্যেক উপজেলা সদর, প্রত্যেক ইউনিয়নের মসজিদে নামাজের সময়, জুমার খুৎবায়, ইপিআই কেন্দ্র ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ সর্বত্র মাইকিং করে জনগণকে জানান দেয়া হবে। ভ্রমণে থাকাকালীন সময়েও রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল, ফেরী ঘাট ও লঞ্চ ঘাটে অবস্থিত টিকা কেন্দ্রসহ যে কোন টিকাদান কেন্দ্র থেকে শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে পারবে। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে সরকারী প্রতিষ্টান, জনপ্রতিনিধি, আনসার-ভিডিপি ও এনজিও সংস্থাগুলো কাজ করবে। সরকারী কর্মকর্তা, মাঠকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী শিশুদেরকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে।

    সিভিল সার্জন বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরণের মৃত্যুর হার হ্রাস করে। ভরাপেটে এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। তবে কোন অসুস্থ বাচ্চাকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবেনা। পরিবারের রান্নায় ভিটাামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ভোজ্য তেল ব্যবহার শিশুর জন্য যথেষ্ট উপকারী। মা ও শিশুর পুষ্টির জন্য গর্র্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি করে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ খাবার খেতে দিতে হবে। শিশুর জন্মের সাথে সাথে মায়ের বুকের শাল দুধ খাওয়াতে হবে এবং ৬ মাস পর্যন্ত বুকের দুধ ছাড়া অন্য কিছু দেয়া যাবে না। শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে দুই বছর পর্যন্ত মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমত ঘরে তৈরি পুষ্টি সমৃদ্ধ সুষম খাবার খাওয়াতে হবে। কোন শিশু ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো থেকে যাতে বাদ না যায় সে দিকে সবাইকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে। সকলের আন্তরিক সহযোগিতা পেলে এ কর্মসূচী সফল হবে।

  • চট্টগ্রামে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ছাত্রদলের ৩ কর্মী গ্রেপ্তার

    চট্টগ্রামে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ছাত্রদলের ৩ কর্মী গ্রেপ্তার

    চট্টগ্রামের দামপাড়ায় বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ছাত্রদলের তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (উত্তর ও দক্ষিণ) বিভাগ।

    পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তাররা তাঁদের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে বাসে আগুন দিয়েছেন।

    মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মনসুরাবাদ ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর ও দক্ষিণ) বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার সাদিরা খাতুন।

    গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন হৃদয় (২২), নাজির শরীফ (২১) ও রায়হান (২৪)।

    উপপুলিশ কমিশনার সাদিরা খাতুন বলেন, সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলশী ও চান্দগাঁও থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে প্রযুক্তির সহায়তায় তিনজনকে শনাক্ত করা হয়।

    তিনি বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, গত ৩ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরীফুল ইসলাম তুহিনের নির্দেশে খুলশী থানার ছাত্রদলের সদস্যসচিব নূর আলম সোহাগের নেতৃত্বে তাঁরাসহ আরো ১০-১২ জন খুলশী থানার দামপাড়ার সোহাগ বাস কাউন্টারের সামনে থেকে অবরোধের সমর্থনে মশাল মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি থেকে রিলাক্স বাস কাউন্টারের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা একটি বাস ভাঙচুর করে বিস্ফোরক পদার্থ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।

    পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার হৃদয় জানিয়েছেন, বাসে আগুন দেওয়ার সময় তাঁর বাঁ হাত আগুনে পুড়ে যায়। তাঁর হাতে আগুনে পোড়ার সেই ক্ষত দৃশ্যমান রয়েছে। শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে আগুন দিয়েছেন বলে তাঁরা স্বীকার করেছেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল, বাসচালক ও হেলপার হত্যার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে জনগণের চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা।

    এ ছাড়া গত ৩০ অক্টোবর গরিবুল্লাহ শাহ বাস কাউন্টার এলাকায় বাসে আগুন দেওয়া এবং গত ১ ডিসেম্বর পাহাড়তলী পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা তাঁরাই সংঘটিত করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচালের জন্য তাঁদের এই ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চলমান ছিল।

    গত ৩ ডিসেম্বর রাতে দামপাড়ায় রিলাক্স পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হলে এতে বাসটির চালক ও হেলপার দগ্ধ হন। তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

  • চট্টগ্রামে হেলে পড়েছে ২ ভবন

    চট্টগ্রামে হেলে পড়েছে ২ ভবন

    চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলীতে দুটি তিন তলা ভবন হেলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে।

    মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিস।

    আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার উদয়ন চাকমা বলেন, দুটি বাড়ি সামান্য হেলে গেছে। তবে বাড়ির গায়ে কোনো ফাটল নেই। সকাল থেকে সিটি করপোরেশন এলাকার পাহাড়তলী সরাইপাড়ায় ড্রেনের কাজ চলছিল। এ সময় হঠাৎ ওই তিন তলা ভবনটি হেলে পড়ে। এ ঘটনার পরই ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।

    এর আগে গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে নগরীর পশ্চিম শহীদ নগরের তৈয়াবিয়া হাউজিং এলাকায় একটি চারতলা ভবন পাশের ছয়তলা ভবনের ওপর হেলে পড়েছিল। অবশ্য এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ঝুঁকি এড়াতে এই দুটিসহ পাশের আরও একটি ভবন থেকে সব বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল ।

  • চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ১১৬ জনের মনোনয়ন বৈধ

    চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ১১৬ জনের মনোনয়ন বৈধ

    চট্টগ্রামের ১৬ আসনে যাচাই-বাছাই শেষে ১১৬টি মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়। বাতিল হয়েছে ৩২ জনের মনোনয়ন। রোববার (৩ ডিসেম্বর) ও সোমবার (৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করা হয়।

    যাচাই-বাছাই শেষে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) মনোনয়ন বৈধ ও বাতিলের এ তথ্য জানানো হয়।

    জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এক শতাংশ ভোটারের তথ্যে গরমিল, বিভিন্ন সেবাসংস্থায় প্রার্থীদের বকেয়া বিল থাকা, আয়কর রিটার্ন দাখিল না করা, ঋণ খেলাপিসহ নানান অফিযোগে ৩২ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়াদের মধ্যে ১৩ জন বিভিন্ন দলের এবং ১৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

    চট্টগ্রাম মহানগর সংশ্লিষ্ট ছয়টি আসনে বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম এবং জেলার ১০টি আসনে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন।

    চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই): এ আসনে মোট আটজন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। এর মধ্যে এক শতাংশ ভোটারের তথ্যে গরমিল থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল হয়। এ আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- মাহবুব উর রহমান (আওয়ামী লীগ), দিলীপ বড়ুয়া (বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল), মো. আবদুল মন্নান (ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. নুরুল করিম আফছার (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী (বাংলাদেশ মুসলিম লীগ), মো. ইউসুফ (বিএনএফ), মো. এমদাদ হোসেন চৌধুরী (জাতীয় পার্টি)।

    চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি): এ আসনে মোট ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে এক শতাংশ ভোটারের তথ্যে গরমিল পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম নওশের আলী, মোহাম্মদ শাহজাহান, রিয়াজ উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। এ আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (আওয়ামী লীগ), সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), মীর মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), হোসাইন মো. আবু তৈয়ব (স্বতন্ত্র), মাজাহারুল হক শাহ চৌধুরী (বিকল্পধারা বাংলাদেশ), মো. শফিউল আজম চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ হামিদ উল্লাহ (ইসলামিক ফ্রন্ট) ও এম এ মতিন (ইসলামী ফ্রন্ট)।

    চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ): এ আসনে ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন দাখিল করেন। এর মধ্যে জাকের পার্টির প্রার্থী নিজাম উদ্দিন নাছির ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আমিন রসূল নামে দুই প্রার্থীর মনোনয়নও বাতিল হয়। এ আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- মাহফুজুর রহমান মিতা (আওয়ামী লীগ), নুরুল আক্তার (জাসদ), মুহাম্মদ নুরুল আনোয়ার (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), এম এ ছালাম (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ উল্লাহ খান (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী (স্বতন্ত্র), মো. মোকতাদের আজাদ খান (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি) এবং মো. আবদুর রহীম (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ)।

    চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড): এ আসনে নয়জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। এর মধ্যে দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ চারজনের মনোনয়ন বাতিল হয়। এক শতাংশ ভোটারের তথ্যে গরমিল পাওয়ায় দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও মোহম্মদ ইমরানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। অন্যদিকে দিদারুল আলম আওয়ামী লীগের প্রার্থী উল্লেখ করলেও দলীয় কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি। এছাড়া আয়কর রিটার্ন না দেওয়ায় বিএনএফের আখতার হোসেনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এ আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- এস এম আল মামুন (আওয়ামী লীগ), মো. দিদারুল কবির (জাতীয় পার্টি), খোকন চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি), মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী (বাংলাদেশ কংগ্রেস) এবং মো. মোজাম্মেল হোসেন (স্বতন্ত্র)।

    চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী): এ আসনে আটজন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন দাখিল করেন। তাদের মধ্যে এক শতাংশ ভোটারের তথ্যে গড়মিল থাকায় দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী নাছির হায়দার চৌধুরী এবং মোহাম্মদ শাহজাহানের মনোনয়ন বাতিল হয়। এ আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- মোহাম্মদ আবদুস সালাম (আওয়ামী লীগ), ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (জাতীয় পার্টি), কাজী মহসীন চৌধুরী (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (কল্যাণ পার্টি), মো. নাজিম উদ্দিন (প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরাম) এবং আবু মোহাম্মদ শামশুদ্দীন (বিএনএফ)।

    চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান): এ আসনে পাঁচজন মনোনয়ন দাখিল করেন। এর মধ্যে এক শতাংশ ভোটারের তথ্যে গরমিল থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজমের মনোনয়ন বাতিল হয়। এ আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), স. ম. জাফর উল্লাহ (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. ইয়াহিয়া জিয়া চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি) এবং মো. সফিক উল আলম চৌধুরী (জাতীয় পার্টি)।

    চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া): এ আসনে সাতজন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। এর মধ্যে একজনের মনোনয়ন বাতিল হয়। এ আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- ড. হাছান মাহমুদ (আওয়ামী লীগ), মো. মোরশেদ আলম (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), আহমেদ রেজা (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), খোরশেদ আলম (তৃণমূল বিএনপি), মুছা আহমেদ রানা (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ ইকবাল হাছান (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট)।

    চট্টগ্রাম-৮ (চট্টগ্রাম মেট্রো আংশিক-বোয়ালখালী): এ আসনে ১৩ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন দাখিল করেন। এতে পাঁচ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এর মধ্যে এক শতাংশ ভোটারের তথ্যে গরমিল থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস ছালাম, আশরাদুল আলম বাচ্চু ও বিজয় কুমারের মনোনয়ন বাতিল হয়। অন্যদিকে ঋণখেলাপির অভিযোগে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহিবুর রহমান বুলবুল এবং হলফনামায় প্রয়োজনীয় কাগজ না দেওয়ায় আরেক প্রার্থী মঞ্জুর হোসেন বাদলের মনোনয়নও বাতিল হয়। এ আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- নোমান আল মাহমুদ (আওয়ামী লীগ), সোলায়মান আলম শেঠ (জাতীয় পার্টি), এসএম আবুল কালাম আজাদ (বিএনএফ), সন্তোষ শর্মা (তৃণমূল বিএনপি), মোহাম্মদ ইলিয়াছ (বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি), সৈয়দ মো. ফরিদ উদ্দিন (ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. কামাল পাশা (এপিপি) এবং আবদুল নবী (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট)।

    চট্টগ্রাম-৯ (কোতয়ালী): এ আসনে সাতজন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন জমা দেন। তবে কারও মনোনয়ন বাতিল হয়নি। এ আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (আওয়ামী লীগ), মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মিটুল দাশগুপ্ত (ন্যাপ), সৈয়দ আবু আজম (ইসলামী ফ্রন্ট), মুহাম্মদ নুরুল হুসাইন (বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি), সুজিত সরকার (তৃণমূল বিএনপি), সানজীদ রশীদ চৌধুরী (জাতীয় পার্টি)।

    চট্টগ্রাম-১০ (হালিশহর, পাহাড়তলী, ডবলমুরিং, খুলশী): এ আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদ, মো. ওসমান গনি ও ফয়সাল আমীনের মনোনয়ন বাতিল হয় এক শতাংশ ভোটারের তথ্য গরমিলের কারণে। অন্যদিকে সমর্থনকারীর তথ্য না থাকায় বিএনএফের মঞ্জুরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এ আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- মহিউদ্দিন বাচ্চু (আওয়ামী লীগ), সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম (স্বতন্ত্র), মো. ফেরদৌস রশিদ (তৃণমূল বিএনপি), মুহাম্মদ আলমগীর ইসলাম বঈদী (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), আবুল বাশার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন (ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মিজানুর রহমান (বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট), জহুরুল ইসলাম (জাতীয় পার্টি) এবং মো. আনিসুর রহমান (জাসদ)।

    চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর): এ আসনে নয়জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন দাখিল করেন। এর মধ্যে এক শতাংশ ভোটার গরমিলের কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেখা আলমের মনোনয়ন বাতিল হয়। এ আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- এম আবদুল লতিফ (আওয়ামী লীগ), মো. জসিম উদ্দিন (জাসদ), আবুল বসার মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), মো. মহি উদ্দিন (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), জিয়াউল হক সুমন (স্বতন্ত্র), দীপক কুমার পালিত (তৃণমূল বিএনপি), নারায়ণ রক্ষিত (এনপিপি) ও উজ্জ্বল ভৌমিক (গণফোরাম)।

    চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া): এ আসনে ১০ প্রার্থী তাদের মনোনয়ন দাখিল করেন। এর মধ্যে এক শতাংশ ভোটারের তথ্যে গরমিলের কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইলিয়াস মিয়া ও গোলাম কিবরিয়া চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। বিদ্যুৎবিল বাকি থাকায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী এম এ মতিনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এ আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), সামশুল হক চৌধুরী (স্বতন্ত্র), এম এয়াকুব আলী (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন–বিএসএম), মো. নুরুচ্ছফা সরকার (জাতীয় পার্টি), কাজি মুহাম্মদ জসীম উদ্দিন (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), রাজীব চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি) ও সৈয়দ মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।

    চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা–কর্ণফুলী): এই আসনে মোট সাতজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তাদের সবার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার। প্রার্থীরা হলেন- সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ (আওয়ামী লীগ), সৈয়দ মুহাম্মদ হামেদ হোসাইন (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মোহাম্মদ আরিফ মঈনু উদ্দীন (সুপ্রিম পার্টি–বিএসপি), আবদুর রব চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), মৌলভী রশিদুল হক (বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন), মো. আবুল হোসাইন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট) এবং মকবুল আহম্মদ চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি)।

    চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ): এ আসনে আট প্রার্থীর মনোনয়ন জমা পড়ে। এর মধ্যে সবগুলো প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার। এ আসনের প্রার্থীরা হলেন- মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), মো. আবদুল জব্বার চৌধুরী (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ আবুল হোছাইন (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), মো. গোলাম ইসহাক খান (বিএনএফ), মোহাম্মদ আয়ুব (সুপ্রিম পার্টি–বিএসপি), আবু জাফর মোহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহ (জাতীয় পার্টি), এবং মোহাম্মদ আলী ফারুকী (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন)।

    চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া): এ আসনে নয়জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন দাখিল করেন। এর মধ্যে এক শতাংশ ভোটারের তথ্যে গরমিল পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেব ও ডা. আ ন ম মিনহাজুর রহমানের মনোনয়ন বাতিল হয়। আয়কর বিটার্ন দাখিল না করায় এনপিপির ফজলুল হকের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। এ আসনে বৈধ প্রার্থীর হলেন- আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী (আওয়ামী লীগ), মোহাম্মদ ছালেম (জাতীয় পার্টি), মো. সোলাইমান কাশেমী (বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি), মোহাম্মদ হারুণ (ইসলামিক ঐক্যজোট), মো. জসীম উদ্দিন (মুক্তিজোট) এবং মুহাম্মদ আলী হোসাইন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট)।

    চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী): এ আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। এর মধ্যে ঋণখেলাপি হওয়ায় এনপিপির আশীষ কুমার শীল ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল হয়। আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় ইসলামী ঐক্যজোটের মো. শফকত হোসাইন চাটগামীর মনোনয়ন বাতিল হয়। এ আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান (আওয়ামী লীগ), মুজিবুর রহমান সিআইপি (স্বতন্ত্র), মো. খালেকুজ্জামান (স্বতন্ত্র), আব্দুল্লাহ কবির (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ এমরানুল হক (স্বতন্ত্র), মুহাম্মদ মামুন আবছার (এনপিপি), আবদুল মালেক (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. মহিউল আলম চৌধুরী (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), কামাল মোস্তফা চৌধুরী (জাসদ) এবং এম জিল্লুর করিম শরীফি (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।

    ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৩ লাখ ৯৬৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩২ লাখ ৭৯ হাজার ৬২ জন এবং নারী ভোটার ৩০ লাখ ২১ হাজার ৯০২ জন।

  • চট্টগ্রামে বাসে আগুন

    চট্টগ্রামে বাসে আগুন

    চট্টগ্রাম নগরের আকবরশাহ থানা এলাকায় একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।

    চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

    আগুনে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।

     

  • চট্টগ্রামের পাঁচ আসনে ১২ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

    চট্টগ্রামের পাঁচ আসনে ১২ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

    ভুয়া ভোটার দেখানোর দায়ে চট্টগ্রাম-১, ২, ৩, ৪ ও ৫ আসনের ১২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

    আজ ৩ নভেম্বর রোববার) সকাল ১০টা থেকে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই করে তাদের মনোনয়ন বাতিল হয়।

    জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে মনোনয়ন যাচাই বাছাইকালে চট্টগ্রাম-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল হয়। চট্টগ্রাম-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম নওশের আলী, মোহাম্মদ শাহজাহান ও রিয়াজ উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল হয়। সকলের মনোনয়নের সঙ্গে জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের তথ্যে গরমিল পাওয়া যায়।
    একই অভিযোগে চট্টগ্রাম-৩ আসনের নিজাম উদ্দিন নাছির ও আমিন রসূল নামে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নও বাতিল করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

    অন্যদিকে, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ে চট্টগ্রাম-৪ আসনের ৪ প্রার্থী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, মোহম্মদ ইমরান, দিদারুল আলম, আখতার হোসেনের মনোনয়ন বাতিল হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম-৫ আসনের দুই প্রার্থী নাছির হায়দার চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। তাদের বিরুদ্ধেও ভোটার-সমর্থকদের ভুল তথ্য দেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    প্রথম দফা যাচাই-বাছাই শেষে চট্টগ্রামর জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটার সমর্থকের তালিকায় গরমিল থাকায় মনোনয়ন পত্রগুলো বাতিল করা হয়। বাতিল হলেও প্রার্থীদের আপিলের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া কয়েকজন প্রার্থীর নথিপত্র পর্যাপ্ত না থাকায় তাদের সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আজ রোববার চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই), চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি), চট্টগ্রাম-৩ (সন্ধীপ), চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) ও চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুন্ড), চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী), চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়।

    চট্টগ্রামের ১৬ আসনে মোট ১৫১ জন মনোনয়ন জমা দেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।

    প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত, নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি। #

     

  • চট্টগ্রামে ৪০ লাখ টাকার তুলা চুরি, গ্রেফতার ৬

    চট্টগ্রামে ৪০ লাখ টাকার তুলা চুরি, গ্রেফতার ৬

    চট্টগ্রাম থেকে ৪০ লাখ টাকার কাঁচা তুলা চুরির ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

    ৩০ নভেম্বর এবং ২ ডিসেম্বর পৃথক পৃথক অভিযানে ভোলা জেলার বোরহার উদ্দীন, সদর থানা এবং চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন, ভোলা জেলার বোরহানউদ্দীন থানার কুঞ্জেরহাট গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. রুবেল (২৪), একই গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে মো. মুনসুর আলম মোহন ওরফে সুজন ড্রাইভার (২৭), লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার চররমিজ গ্রামের মো. মহিউদ্দিনের ছেলে মো. আমিরুল ইসলাম (২৮), চট্টগ্রামের ভুজপুর থানার দাঁতমারা ইউনিয়নের পেলারখীল গ্রামের মো. জহিরুল ইসলামের ছেলে মো জয়নাল (২৬), নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার সোনাপুর মাস্টার বাড়ির মোস্তফা কামালের ছেলে নুরনবী শাওন (২২) এবং চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার শাহা পোয়া গ্রামের আজিজ খাঁর ছেলে মো. জাইসুল (২৩)।

    রোববার (৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআই পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান।

    পিবিআই পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৪ নভেম্বর রাত ৯টায় সীতাকুণ্ড পোর্ট লিংক ডিপো থেকে আমদানিকৃত তুলা নারায়ণগঞ্জের ভুলতা এলাকার কারখানায় নেওয়ার পথে চুরি করে নিয়ে যায় চোরচক্রের সদস্যরা। এ ঘটনায় পরিবহন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোকাম লিমিটেডের রিজিওনাল অপারেশন ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল মুনিম তুলা উদ্ধারে পিবিআইয়ের সহযোগিতা চান।

    তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ৩০ নভেম্বর ভোলার বোরহানউদ্দীন থানার কুঞ্জেরহাট গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মো. রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী ওইদিনই ভোলা সদর থানার ইলশা ফেরিঘাট এলাকা থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত কাভার্ডভ্যানসহ চক্রের হোতা সুজন ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ১ ডিসেম্বর আবদুল্লাহ আল মুনিম বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্য চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনায় ব্যবহৃত দুইটি কাভার্ড ভ্যান, একটি কার্গো এবং ১০ বান্ডেল কাঁচা তুলা উদ্ধার করা হয় বলে জানান পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান।

    তিনি বলেন, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আমেরিকা থেকে ৪৮ বান্ডেল কাঁচা তুলা আমদানি করেন। এসব তুলার মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা। গ্রেফতার সবাই একটি চক্রের সদস্য। এর মধ্যে সুজন ড্রাইভার এর আগেও একই কায়দায় আমদানিপণ্য চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। ৩০ নভেম্বর গ্রেফতারকৃতদের ১ ডিসেম্বর সীতাকুণ্ড থানার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। শনিবার গ্রেফতার চারজনকে রোববার দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়েছে বলে জানান তিনি।