Tag: চট্টগ্রাম

  • চট্টগ্রামের ১৬ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ১৫১ প্রার্থী

    চট্টগ্রামের ১৬ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ১৫১ প্রার্থী

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ১৫১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৪টা পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা।

    এসময় আচরণ বিধি ভঙ্গ করে প্রার্থীদের সমর্থকদের শোডাউন দিতে দেখা গেছে। নির্বাচনে পুলিশ প্রটোকল নিয়ে জাতীয় পতাকাবাহী গাড়িতে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীও। তবে প্রার্থীদের আচরণ বিধি ভঙ্গ করে শোডাউন দেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন রিটার্নিং অফিসাররা।

    নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা তোফায়েল ইসলাম ও আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সুষ্ঠুভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে বলে জানান।

    চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে, চট্টগ্রাম-১ আসনে ৮ জন, চট্টগ্রাম-২ আসনে ১৪ জন, চট্টগ্রাম-৩ আসনে ১০ জন, চট্টগ্রাম-৪ আসনে ৯ জন, চট্টগ্রাম-৫ আসনে ১০ জন, চট্টগ্রাম-৬ আসনে ৫ জন, চট্টগ্রাম-৭ আসনে ৭ জন, চট্টগ্রাম-৮ আসনে ১৩ জন, চট্টগ্রাম-৯ আসনে ৭ জন, চট্টগ্রাম-১০ আসনে ১২ জন, চট্টগ্রাম-১১ আসনে ৯ জন, চট্টগ্রাম-১২ আসনে ১০ জন, চট্টগ্রাম-১৩ আসনে ৭ জন, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ৮ জন, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ৯ জন এবং চট্টগ্রাম-১৬ আসনে ১৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।

    এরমধ্যে চট্টগ্রাম–১, মীরসরাই আসনে মাহবুব উর রহমান (আওয়ামী লীগ), মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন (স্বতন্ত্র), দিলীপ বড়ুয়া (বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল), মো. আবদুল মন্নান (ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. নুরুল করিম আফছার (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী (বাংলাদেশ মুসলিম লীগ), মো. ইউসুফ (বিএনএফ), মো. এমদাদ হোসেন চৌধুরী (জাতীয় পার্টি)।

    চট্টগ্রাম–২, ফটিকছড়ি আসনে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (আওয়ামী লীগ), ত্বরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), মোহাম্মদ গোলাম নওশের আলী (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ শাহজাহান (স্বতন্ত্র), রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী (স্বতন্ত্র), মীর মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), হোসাইন মো. আবু তৈয়ব (স্বতন্ত্র), মাজাহারুল হক শাহ চৌধুরী (বিকল্পধারা বাংলাদেশ), মো. শফিউল আজম চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ হামিদ উল্লাহ (ইসলামিক ফ্রন্ট) ও এম এ মতিন (ইসলামী ফ্রন্ট)।

    চট্টগ্রাম–৩, সন্দ্বীপ আসনে মাহফুজুর রহমান মিতা (আওয়ামী লীগ), নুরুল আক্তার (জাসদ), মুহাম্মদ নুরুল আনোয়ার (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), এম এ ছালাম (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ উল্লাহ খান (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী (স্বতন্ত্র), মো. মোকতাদের আজাদ খান (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), মো. আবদুর রহীম (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. নিজাম উদ্দিন নাছির (জাকের পার্টি), আমিন রসুল (বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট)।

    চট্টগ্রাম–৪, সীতাকুণ্ড-মহানগর আংশিক আসনে এস এম আল মামুন (আওয়ামী লীগ), দিদারুল আলম (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ ইমরান (স্বতন্ত্র), মো. দিদারুল কবির (জাতীয় পার্টি), মো. আকতার হোসেন (বিএনএফ), খোকন চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি), মো. শহীদল ইসলাম চৌধুরী (বাংলাদেশ কংগ্রেস), মো. সালাউদ্দিন (স্বতন্ত্র)।

    চট্টগ্রাম–৫, হাটহাজারী-মহানগর আংশিক আসনে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম (আওয়ামী লীগ), ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী (স্বতন্ত্র), কাজী মহসীন চৌধুরী (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), মোহাম্মদ নাছির হায়দার করিম (স্বতন্ত্র), সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (কল্যাণ পার্টি), মো. নাজিম উদ্দিন (প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরাম), আবু মোহাম্মদ শামশুদ্দদীন (বিএনএফ)।

    চট্টগ্রাম–৬, রাউজান আসনে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), স.ম. জাফর উল্লাহ (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), শফিউল আজম (স্বতন্ত্র), মো. ইয়াহিয়া জিয়া চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি), মো. সফিক উল আলম চৌধুরী (জাতীয় পার্টি)।

    চট্টগ্রাম–৭, রাঙ্গুনিয়া আসনে বর্তমান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ (আওয়ামী লীগ), মো. মোরশেদ আলম (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), আহমেদ রেজা (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), খোরশেদ আলম (তৃণমূল বিএনপি), মুছা আহমেদ রানা (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ ইকবাল হাছান (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট)।

    চট্টগ্রাম–৮, বোয়ালখালী–চান্দগাঁও আংশিক আসনে নোমান আল মাহমুদ (আওয়ামী লীগ), আবদুচ ছালাম (স্বতন্ত্র), সোলায়মান আলম শেঠ (জাতীয় পার্টি), মো. আরশেদুল আলম বাচ্চু (এনপিপি), বিজয় কুমার চৌধুরী (স্বতন্ত্র), এসএম আবুল কালাম আজাদ (বিএনএফ), সন্তোষ শর্মা (তৃণমূল বিএনপি), মোহাম্মদ ইলিয়াছ (বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি), সৈয়দ মো. ফরিদ উদ্দিন (ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. কামাল পাশা (এপিপি), আবদুল নবী (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), মহিবুল রহমান বুলবুল (স্বতন্ত্র), মনজুর হোসেন বাদল (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।

    চট্টগ্রাম–৯, কোতোয়ালী আসনে বর্তমান শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (আওয়ামী লীগ), মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মিটুল দাশগুপ্ত (ন্যাপ), সৈয়দ আবু আজম (ইসলামী ফ্রন্ট), মুহাম্মদ নুরুল হুসাইন (বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি), সুজিত সরকার (তৃণমূল বিএনপি), সানজীদ রশীদ চৌধুরী (জাতীয় পার্টি)।

    চট্টগ্রাম–১০, ডবলমুরিং–হালিশহর আসনে মহিউদ্দিন বাচ্চু (আওয়ামী লীগ), সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম (স্বতন্ত্র), ফরিদ মাহমুদ (স্বতন্ত্র), মো. ফেরদৌস রশিদ (তৃণমূল বিএনপি), মো. ওসমান গনি (স্বতন্ত্র), মুহাম্মদ আলমগীর ইসলাম বঈদী (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), আবুল বাশার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন (ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ), ও মিজানুর রহমান (বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট), জহুরুল ইসলাম (জাতীয় পার্টি), মো. আনিসুর রহমান (জাসদ), মঞ্জুরুল ইসলাম (বিএনএফ), মো. ফয়সাল আমিন (স্বতন্ত্র)।

    চট্টগ্রাম–১১, বন্দর–পতেঙ্গা আসনে এম আবদুল লতিফ (আওয়ামী লীগ), মো. জসিম উদ্দিন (জাসদ), আবুল বসার মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), মো. মহি উদ্দিন (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), জিয়াউল হক সুমন (স্বতন্ত্র), দীপক কুমার পালিত (তৃণমূল বিএনপি), রেখা আলম চৌধুরী (স্বতন্ত্র), নারায়ণ রক্ষিত (এনপিপি), উজ্জ্বল ভৌমিক (গণফোরাম),

    চট্টগ্রাম–১২, পটিয়া আসনে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), সামশুল হক চৌধুরী (স্বতন্ত্র), মো. গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী (স্বতন্ত্র), এম এয়াকুব আলী (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন–বিএসএম), মো. নুরুচ্ছফা সরকার (জাতীয় পার্টি), মো. ইলিয়াছ মিয়া (স্বতন্ত্র), এম এ মতিন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), কাজি মুহাম্মদ জসীম উদ্দিন (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), রাজীব চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি), সৈয়দ মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।

    চট্টগ্রাম–১৩, আনোয়ারা–কর্ণফুলী আসনে বর্তমান ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ (আওয়ামী লীগ), সৈয়দ মুহাম্মদ হামেদ হোসাইন (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মোহাম্মদ আরিফ মঈনু উদ্দীন (সুপ্রিম পার্টি–বিএসপি), আবদুর রব চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), মৌলভী রশিদুল হক (বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন), মো. আবুল হোসাইন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), মকবুল আহম্মদ চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি)।

    চট্টগ্রাম–১৪, চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক আসনে মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), মো. আবদুল জব্বার চৌধুরী (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ আবুল হোছাইন (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), মো. গোলাম ইসহাক খান (বিএনএফ), মোহাম্মদ আয়ুব (সুপ্রিম পার্টি–বিএসপি), আবু জাফর মোহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহ (জাতীয় পার্টি), মোহাম্মদ আলী ফারুকী (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন)।

    চট্টগ্রাম–১৫, সাতকানিয়া আংশিক–লোহাগাড়া আসনে আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী (আওয়ামী লীগ), আবদুল মোতালেব (স্বতন্ত্র), আ ম ম মিনহাজুর রহমান (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ ছালেম (জাতীয় পার্টি), ফজলুল হক (এনপিপি), মো. সোলাইমান কাশেমী (বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি), মোহাম্মদ হারুণ (ইসলামিক ঐক্যজোট), মো. জসীম উদ্দিন (মুক্তিজোট), মুহাম্মদ আলী হোসাইন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট)।

    চট্টগ্রাম–১৬, বাঁশখালী আসনে মোস্তাফিজুর রহমান (আওয়ামী লীগ), মুজিবুর রহমান সিআইপি (স্বতন্ত্র), মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), মো. খালেকুজ্জামান (স্বতন্ত্র), আব্দুল্লাহ কবির (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ এমরানুল হক (স্বতন্ত্র), মুহাম্মদ মামুন আবছার (এনপিপি), আবদুল মালেক (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. মহিউল আলম চৌধুরী (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), কামাল মোস্তফা চৌধুরী (জাসদ), আশীষ কুমার শীল (ন্যাপ), এম জিল্লুর করিম শরীফি (বাংলাদেশ কংগ্রেস), মো. শফকত হোসাইন চাটগামী (ইসলামী ঐক্য জোট)।

    ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত, নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৩ লাখ ৯৬৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩২ লাখ ৭৯ হাজার ৬২ জন এবং নারী ভোটার ৩০ লাখ ২১ হাজার ৯০২ জন।

  • চট্টগ্রামে সাংবাদিকের ওপর চড়াও হলেন আ.লীগ প্রার্থী মোস্তাফিজ

    চট্টগ্রামে সাংবাদিকের ওপর চড়াও হলেন আ.লীগ প্রার্থী মোস্তাফিজ

    সাংবাদিকের ওপর চড়াও হয়েছেন চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মোস্তাফিজ সমর্থকদের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

    বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে সাড়ে ১১টার দিকে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে চড়াও হন তিনি। এসময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন সাংবাদিকদের।

    বিপুল পরিমাণ নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে আসায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নে তিনি প্রশ্নকর্তা ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক রাকিব উদ্দিনকে ঘুষি দেন। এসময় তার কাছ থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে মারধর শুরু করে নেতা-কর্মীরা। তারা আছড়ে ভেঙে ফেলে মাছরাঙা টেলিভিশনের মাইক্রোফোন ও ট্রাইপড। এতে দুই সাংবাদিক আহত হন।

    মারধরের শিকার সাংবাদিক রাকিব উদ্দিন বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী ৫ জনের বেশি নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সুযোগ নেই। তিনি অনেক নেতা-কর্মী নিয়ে আসেন রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে। এ নিয়ে প্রশ্ন করায় আমার ওপর হামলা করেন এবং মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে ফেলে দেন। তিনি আমাকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরাও তাদের হাতে লাঞ্ছিত হন।

    জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দোতলা থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের টেনে-হিঁচড়ে নিচতলা পর্যন্ত নিয়ে যায় মোস্তাফিজুর রহমান ও তার কর্মীরা। এরপর ব্যক্তিগত গাড়িতে করে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে থেকে চলে যাওয়ার সময় আবারও সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করে তারা। এ ঘটনায় বেলা একটায় সাংবাদিকরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করে বিচার দাবি করেছেন।

    রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কাছে সাংবাদিকরা মৌখিক অভিযোগ দিলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়। এসময় তিনি ভুক্তভোগী সাংবাদিককে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন।

    চট্টগ্রামে কর্মরত টিভি সাংবাদিকদের ওপর বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের হামলার নিন্দা জানিয়েছেন টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন।

  • চট্টগ্রামে আ. লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা

    চট্টগ্রামে আ. লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা

    দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

    চট্টগ্রামে যারা মনোনয়ন পেছয়েছেন তারা হলেন- চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মাহবুবুর রহমান রুহেল, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) মনোনয়ন পেয়েছেন খদিজাতুল আনোয়ার সনি, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) মনোনয়ন পেয়েছেন মাহাফুজুর রহমান মিতা, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন এস এম আল মামুন, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আব্দুস সালাম, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন নোমান আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-ডবলমুরিং) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মহিউদ্দিন বাচ্চু, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগড়া) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আবু রেজা মোহাম্মদ নদবি, চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান।

  • চট্টগ্রামে হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবন

    চট্টগ্রামে হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবন

    চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদের রৌফাবাদ এলাকায় একটি ৪ তলা ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেছে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। রৌফাবাদ হাউজিং সোসাইটি এলাকায় হেলে পড়া ভবনে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম অপারেটর জালাল আহমেদ বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টা ১৮ মিনিটে আমাদের কাছে ভবন হেলে পড়ার খবর আসে। যতটুকু জেনেছি ভবনের পাশে নালা বা ড্রেনের কাজ চলছে। ধারণা করছি, এ কারণে ভবন হেলে পড়ার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে বিস্তারিত আরও পরে জানা যাবে।’

    একই বিষয়ে বায়েজিদ থানার ওসি তদন্ত সুজন কুমার দে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমাদের টিম রয়েছে। ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে কাজ করছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। এর বাইরে আপাতত কোনো কিছু বলতে পারছি না। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।’

  • চট্টগ্রাম মহানগরীতে স্মার্ট স্কুল বাসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা ২৭ নভেম্বর : ডিসি

    চট্টগ্রাম মহানগরীতে স্মার্ট স্কুল বাসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা ২৭ নভেম্বর : ডিসি

    স্মার্ট জেলা উদ্ভাবন চ্যালেঞ্জ-২০২৩ এর আওতায় প্রথম পুরস্কার পেয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ‘স্মার্ট স্কুল বাস’ নামক উদ্ভাবনী উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোদনকৃত ১০টি স্কুল বাসে বিভিন্ন প্রযুক্তি সুবিধা প্রদান করে স্মার্ট স্কুল বাস হিসাবে আগামী ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরে করবে। মহানগরীর যে কোন প্রান্ত থেকে আপাতত মাত্র পাঁচ টাকায় স্মার্ট স্কুল বাসে স্কুলে যেতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

    আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে স্মার্ট স্কুল বাস উদ্যোগটির অনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর লক্ষ্যে অংশীজন সভায় সবার সম্মতিতে এ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। যদিও স্মার্ট স্কুল বাস মনিটরিং কমিটির সদস্যরা বাসে যুগোপযোগী সেবার মান বড়ানোর জন্যে ভাড়া বাড়ানোর মতামত দেন। সে প্রেক্ষিতে এ বছর ৫ টাকা ও আগামী বছর ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

    এ সময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘স্মার্ট স্কুল বাস’ উদ্ভাবনী উদ্যোগটির জন্য প্রধানমন্ত্রী ৮০ লাখ টাকা উপহার দিয়েছেন, এটা বাস কেনার জন্য নয়, এ উদ্যোগটি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য। স্মার্ট স্কুল বাস চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে অসহনীয় যানজট, অভিভাবকদের ভোগান্তি, অধিক যাতায়াত খরচ, জ্বালানি অপচয়, সড়ক দুর্ঘটনা, অনিরাপদ স্কুল যাত্রাসহ অভিভাবকদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হওয়ার মতো সমস্যার সমাধান হবে।

    জেলা প্রশাসক আরও বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ইতোমধ্যে ১০টি সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১০টি দোতলা বাস মহানগরীতে বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে। আগামী ২৭ নভেম্বর সোমবার থেকে স্মার্ট স্কুল বাস অনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করবে।

    অংশীজন সভায় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও লেখক আবুল মোমেন বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা যখন রাস্তায় বের হয় তখন অভিভাবকরা উৎকণ্ঠায় থাকেন। ছেলে-মেয়েরা ঠিকমতো স্কুলে পৌঁছেছে কি-না, সে টেনশনে থাকতে হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের স্মার্ট স্কুল বাস উদ্যোগটির কারণে এখন সে উৎকণ্ঠা আর টেনশন থাকবে না। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকদের আসতে হবে না। স্কুলের সামনে তাদের বসে থেকে অপেক্ষা করতে হবে না। স্মার্ট স্কুল বাসে নিরাপদে শিক্ষার্থীদের স্কুলে নিয়ে আসবে স্কুল ছুটি হয়ে নিরাপদে পৌঁছে দিবে। ব্যক্তিগত গাড়ির কারণে স্কুলের সামনে প্রতিনিয়তই আমরা যানজটের মুখোমুখি হচ্ছি। সেটিও কমে আসবে।

    অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সাবেক সচিব ও চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল আলীম বলেন, সময় বাঁচানো, টাকা কম ও গতিশীল জীবন পরিচালনা করতে স্মার্ট স্কুল বাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে। স্মার্ট স্কুল বাস যখন নিরাপদ ও খরচ কম তখন অভিভাবকরা এ বাসে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে উদ্বুদ্ধ হবে।

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. রাশেদ মোস্তফা স্মার্ট স্কুল বাসের বেশ কিছু আইডিয়া শেয়ার করেন।

    নগরের পতেঙ্গা, হালিশহর ও বন্দর এলাকায় আরও ১০টি স্কুল বাস চলাচলের দাবি জানান স্মার্ট স্কুল বাস মনিটরিং টিমের আহ্বায়ক মিনহাজুল ইসলাম।

    অংশীজন সভায় কবি আবুল মোমেন, জিপিএইচ ইস্পাতের কর্মকর্তাবৃন্দ, চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ সাদি উর রহিম ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন।

  • চট্টগ্রামের ১৬ আসনে নৌকার মাঝি হতে চায় ২২১ জন

    চট্টগ্রামের ১৬ আসনে নৌকার মাঝি হতে চায় ২২১ জন

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকার মনোনয়ন ফরম বিতরণ ও জমা দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার শেষদিনে ২৩ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। চার দিনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে নৌকা প্রতীকের ২৩০টি ফরম বিক্রি করা হয়েছে। এরমধ্যে কয়েকজন একাধিক আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। ২২১ জন নৌকা-প্রত্যাশী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

    আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-কমিটির সদস্য ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সালাউদ্দিন সাকিব বলেন, গতকাল শেষদিনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ২৩ জন। গত চার দিনে ২৩০টি মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়েছে।

    আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানায়, চার দিনে চট্টগ্রামের ১৬ টি আসনে আওয়ামী লীগের ফরম কিনেছেন ২২১ জন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন চট্টগ্রাম- ৮ (বোয়ালখালী-পাঁচলাইশ) আসনে।

    চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই):
    মাহবুব উর রহমান, মো. গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ মোস্তফা।

    চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি):
    মোহাম্মদ শাহজাহান, সাদাত আনোয়ার সাদী, খদিজাতুল আনোয়ার, বেলাল মোহাম্মদ নূরী, সাবরিনা চৌধুরী, হাসিবুন সুহাদ, মোহাম্মদ গোলাম নওশের আলী, আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, হোসাইন মো. আবু তৈয়ব, ফখরুল আনোয়ার, সৈয়দ রাজিয়া মোস্তফা, মোহাম্মদ হারুন, তৌহিদ মু. ফয়সল কামাল, সরোয়ার উদ্দিন চৌধুরী, এমআর আজিম, মোহাম্মদ ছালামত উল্লাহ চৌধুরী, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, খোরশেদ আহমদ জুয়েল, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, কাজী মো. তানজীবুল আলম, আব্দুল নাসের।

    চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ):

    মো. রাজিবুল আহসান, মাহফুজুর রহমান, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মো. জাফর উল্লাহ, মানিক মিয়া তালুকদার, একেএম বেলায়েত হোসেন, মহিউদ্দিন আহমেদ, মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, সরোয়ার হাসান জামিল, রুমানা নাসরিন, রফিকুল ইসলাম, মো. ইউনুছ আলী জীবন।

    চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুন্ড ও চসিক আংশিক):

    মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া, মোহাম্মদ পারভেজ উদ্দীন, ড. নিছার উদ্দীন আহমদ মঞ্জু, মোহাম্মদ ইমরান, এসএম আল মামুন, দিদারুল আলম, চৌধুরী মোহাম্মদ জিন্নাত আলী, রতেন্দু ভট্টচার্য্য, আবু মনির মোহাম্মদ শহীদুল হক চৌধুরী, মহিউদ্দিন।

    চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও চসিক আংশিক):

    মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ শামীম, মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, মনজুরুল আলম চৌধুরী, এড. মো. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, ইউনুস গনি চৌধুরী, মোহাম্মদ আবদুস সালাম, মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন, মোহাম্মদ ইউনুছ, বাসন্তী প্রভা পালিত, মো. নাছির হায়দার করিম, ডা. নূরউদ্দিন জাহেদ, মাহমুদ সালাহউদ্দিন চৌধুরী, মাসুদুল আলম।

    চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান):

    এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী, মো. মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী, ইমরানুল কবির, মোহাম্মদ আবুল কালাম, দেবাশীষ পালিত, বখতেয়ার উদ্দিন খান, মো. ছালামত আলী।

    চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী আংশিক):

    মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, মো. ওসমান গনি চৌধুরী।

    চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চসিক আংশিক) :

    মো. খোরশেদ আলম, মো. মনছুর আলম পাপ্পী, এটিএম আলী রিয়াজ খান রক্সি, জিনাত সোহানা চৌধুরী, মো. এমরান, জাবেদুল আজম মাসুদ, মো. আরশাদুল আলম, মো. সাইফুল ইসলাম, কফিল উদ্দিন খান, নোমান আল মাহমুদ, মোহাম্মদ আবদুল কাদের, মো. মোবারক আলী, মো. বেলাল হোসেন, সেলিনা খান, আবদুচ ছালাম, এসএম কফিল উদ্দিন, মো. দিদারুল আলম, কাজী শারমিন সুমি, এসএম নুরুল ইসলাম, বিজয় কুমার চৌধুরী, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মো. দিদারুল আলম, মুজিবুর রহমান, মো. নুরুল আনোয়ার, মো. আবু তাহের, আশেক রসুল খান, এম.এ সুফিয়ান সিকদার, শেখ আমেনা খাতুন।

    চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী):

    মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, আমিনুল হক, শাহাজাদা মোহাম্মদ ফৌজল মুবিন খান, এড. মো. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, শফিক আদনান, শেখ ইফতেখার সাইফুল চৌধুরী, আ জ ম নাছির উদ্দীন, শফর আলী, মো. রাশেদুল হাসান, মহিবুল হাসান চৌধুরী, মুজিবুর রহমান, মো. দিদারুল আলম, মো. শহিদুল আলম, রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, এম. জহিরুল আলম দোভাষ, মশিউর রহমান চৌধুরী, মো. জালাল উদ্দীন।

    চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-ডবলমুরিং):

    মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু, মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম, আ জ ম নাছির উদ্দীন, শফর আলী, কেবিএম শাহজাহান, মো. খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ ইউনুছ, সৈয়দ মাহমুদুল হক, মো. দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, মো. আসলাম হোসেন, সাইফুদ্দিন খালেদ, জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, আব্দুস সবুর লিটন, মো. ছালামত আলী, একেএম বেলায়েত হোসেন, মো. ফয়সল আমীন, মোহাম্মদ অহিদ সিরাজ চৌধুরী, মো. সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন, মো. এরশাদুল আমীন, আবুল ফজল কবির আহমদ।

    চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা):

    শেখ মাহমুদুল ইসহাক, মোহাম্মদ এনামুল হক, মো. আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আ জ ম নাছির উদ্দীন, শফর আলী, জিয়াউল হক সুমন, মো. রাশেদুল হাসান, মো. খোরশেদ আলম, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, এম. আবদুল লতিফ, দেবাশীষ পাল, রেখা আলম চৌধুরী, মো. জাবেদ ইকবাল, সওগাতুল আনোয়ার খান, মশিউর রহমান চৌধুরী, ইকবাল আলী, মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, মোজাফ্ফর আহমদ, হাজী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মো. ইলিয়াছ, ইমরান ফাহিম নূর, সায়রা বানু রুশনী, মো. মাহবুবুর রহমান, নওশাদ সরোয়ার, ছালেহ আহমদ চৌধুরী, আকবর হোসেন, এম.এনামুল হক চৌধুরী।

    চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া):

    মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন, মো. আবদুর রশীদ, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ, সামশুল হক চৌধুরী, চেমন আরা বেগম, সত্যজিৎ দাশ রুপু, হাজী মুহাম্মদ হারুনুর রশিদ, জুলকারনাইন চৌধুরী, মো. হাবিবুল হক চৌধুুরী, মো. মহিউদ্দিন, মোহাম্মদ ফারুক, রাশেদ মনোয়ার, মো. আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী, প্রদীপ কুমার দাশ।

    চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী):

    শাহজাদা মহিউদ্দিন, সমীরন নাথ, সাইফুজ্জামান চৌধুরী, মুহাম্মদ বদিউল আলম।

    চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া আংশিক):

    মফিজুর রহমান, নাছির উদ্দীন, আফতাব মাহমুদ, মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, এম. মাসুদ আলম চৌধুরী, ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমদ আসিফ, রফিকুল ইসলাম, মোহা. কায়কোবাদ ওসমানী, মোহাম্মদ আবদুল কৈয়ম চৌধুরী, মোহাম্মদ আবদুল জব্বার চৌধুরী, মো. জাহিদুল ইসলাম, মীর মো, মহিউদ্দিন, মো. আবুল বশর ভূঁইয়া, মাহবুবুর রহমান, মামুন উল হক চৌধুরী, শাহিদা আক্তার জাহান, আবু আহমেদ চৌধুরী।

    চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া):

    আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, সৈয়দ মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, আব্দুল মোতালেব, সাজেদা সুরাত, মো. মইনুল ইসলাম মামুন, কামরুন নাহার, মোহাম্মদ আমান উল্লাহ জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, আ. ম. ম মিনহাজুর রহমান, মো. এরশাদুল হক, মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী, মো. আমিনুল ইসলাম, আবু সুফিয়ান, মোহাম্মদ অহিদ সিরাজ চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন।

    চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী):

    চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী, আরেফ উল হক, মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. আলমগীর চৌধুরী, আবদুল্লাহ কবির, মোহাম্মদ জমির উদ্দিন সিকদার, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, মুজিবুর রহমান, আবু নাছের মো. সরওয়ার আলম, এড. মুজিবুল হক, শেখর দত্ত, সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি, আবুল হোসেন মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন, সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (শামস্), মোসলেহ উদ্দিন মনসুর, মো. ছৈয়দুল মোস্তফা রাজু, নাজমা আক্তার।

  • চট্টগ্রামে গ্যারেজে আগুন, পুড়লো অটোরিকশা-মোটরসাইকেল

    চট্টগ্রামে গ্যারেজে আগুন, পুড়লো অটোরিকশা-মোটরসাইকেল

    চট্টগ্রাম নগরের বউবাজার অটোরিকশার গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে গ্যারেজে থাকা ২০টি সিএনজি অটোরিকশা ও ৫টি মোটরসাইকেল পুড়ে গেছে।

    রোববার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত দুইটার দিকে হালিশহরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

    আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার খান খলিলুর রহমান বলেন, রাতে একটি গ্যারেজে আগুনের ঘটনা ঘটে।

    এতে ২০টি সিএনজি অটোরিকশা, ৫টি মোটরসাইকেল পুড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট কাজ শুরু করে।
    প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার কারণ তদন্তসাপেক্ষে জানা যাবে।
    প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

  • চট্টগ্রামের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে

    চট্টগ্রামের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে

    চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় সোমবার (২০ নভেম্বর) হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে আপাতত দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

    রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টি হয়নি।

    সোমবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল ফেনীতে।

    সোমবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানান, অস্থায়ী মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে, তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

    তবে মঙ্গলবার সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।

  • চট্টগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

    চট্টগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

    চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁওয়ে পেপসি এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

    শনিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে কেউ হতাহত হয়নি।

    চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

    তিনি বলেন, হরতাল সমর্থকেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

    উল্লেখ্য, রবিবার থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে এ হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে।

     

  • তিন আসনের মনোনয়ন ফরম নিলেন আ জ ম নাছির

    তিন আসনের মনোনয়ন ফরম নিলেন আ জ ম নাছির

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে তিন আসনের দলীয় মনোনয়ন নিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তিনি মনোনয়ন সংগ্রহ করেন।

    তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রার্থী হতে চট্টগ্রাম ৯, চট্টগ্রাম ১০ ও ১১ আসনেরও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। যেহেতু ৯ আসনে আমার পৈতৃক বাড়ি, ওই আসন থেকে প্রার্থী হতে পারলে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করবো।

    তবে দলীয় সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে আসনে মনোনয়ন দেবেন সেখান থেকেই নির্বাচন করতে প্রস্তুত আছি। আমি চট্টগ্রামবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থী।

    আ জ ম নাছির উদ্দীন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাশাপাশি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সহ-সভাপতি এবং চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক। বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মকাণ্ডে জড়িত হন তিনি।

    আশির দশকের শুরুতে নাছির উদ্দীন রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৭৭ সালে, তিনি চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং একই সঙ্গে নগর ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ১৯৮০ এবং ১৯৮২ সালে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৮৩ এবং ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। নাছির উদ্দীন পর পর দুইবার নগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালের নভেম্বরে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন। ২০১৫ সালের চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন।

  • চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের শঙ্কা, লোকজনকে সরে যেতে মাইকিং

    চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের শঙ্কা, লোকজনকে সরে যেতে মাইকিং

    ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়ি এলাকার বসতি থেকে লোকজনকে সরে যেতে মাইকিং করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

    শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে আকবর শাহ এক, দুই ও তিন নম্বর ঝিল এবং বিজয়নগর এলাকায় মাইকিং করে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়।

    নগরীর কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. উমর ফারুক বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে চট্টগ্রামে ৬নং বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়েরর কারণে বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। নগরীর পাহাড়ি এলাকাগুলোতে অসংখ্য মানুষ ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করে। শুক্রবার সকাল থেকে পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারীদের সরিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। লোকজনকে নিরাপদে আশপাশের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে চলে যাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।

    আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরের ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা কিংবা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।

    ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল।

    ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসব এলাকার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

    ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে। অতিভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে আবহাওয়া অফিস। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

  • ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে চট্টগ্রামে বৃষ্টি, প্রশাসনের প্রস্তুতি

    ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে চট্টগ্রামে বৃষ্টি, প্রশাসনের প্রস্তুতি

    বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে। এরপর বন্দর নিজেদের নিয়মানুযায়ী দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে।

    এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান জেলার সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে অনলাইনে জরুরি সভা করেছেন। এতে ঘূর্ণিঝড়ের আগাম প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সভায় জেলার ৬০৯টি (মহানগর ১১৬টি ও জেলা ৪৯৩টি) আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখতে বলা হয়। একই সঙ্গে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখতে বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার জানান, বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নিকট ত্রাণের জন্য ২২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ২৪৪ মেট্রিক টন চাল, ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার মূল্যের গো-খাদ্য, সমপরিমাণ মূল্যের শিশুখাদ্য, ৪৭২ ব্যাগ শুকনা খাবার, ১ হাজার পিস কম্বল এবং ৪৭ হাজার ওরস্যালাইন মজুত রয়েছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এসব সামগ্রী দ্রুত বরাদ্দ প্রদান করা হবে।

    এদিকে, ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত আবহাওয়ার ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মিধিলি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (২০.৩০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.৬০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ (১৭ নভেম্বর) সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৬৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা নাগাদ খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

    ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের ওপর দিয়ে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।

    ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এমতাবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত ৬ দেখাতে বলা হয়েছে।