Tag: চট্টগ্রাম

  • চট্টগ্রামে বিএনপি-যুবদলের ৯ নেতাকর্মী কারাগারে

    চট্টগ্রামে বিএনপি-যুবদলের ৯ নেতাকর্মী কারাগারে

    চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে তা বাতিল করে পাহাড়তলী থানা বিএনপি ও যুবদলের ৯ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

    আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।

    কারাগারে পাঠানো বিএনপির নেতাকর্মীরা হলেন- চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি নুর আহমেদ গুড্ডু, ৯নং উত্তর পাহাড়তলি ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ খোরশেদ, মোহাম্মদ নেজাম, রফিকুল ইসলাম পারভেজ, মোহাম্মদ মনির, মো. জানে আলম, মো. সেলিম ও আবু মিয়া।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ফখরুদ্দীন চৌধুরী বলেন, ২০১৮ সালে পাহাড়তলী থানায় দায়ের একটি নাশকতার মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন আসামিরা। বুধবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

  • আকতার গ্রুপ বিপিএলে চট্টগ্রামের স্পন্সরশীপ স্বত্ব কিনেছে

    আকতার গ্রুপ বিপিএলে চট্টগ্রামের স্পন্সরশীপ স্বত্ব কিনেছে

    আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ব্যাট-বলের লড়াই, মাঠে গড়াবে বিপিএলের সপ্তম আসর। প্রথমবারের মতো বিপিএলে স্পন্সরশীপ স্বত্ব কিনলো আকতার গ্রুপ।

    দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে দর্শকপ্রিয় ঘরোয়া আসর বিপিএলের পরবর্তী আসরে চট্টগ্রাম বিভাগের স্পন্সরশীপ স্বত্ব কিনে নিয়েছে আকতার গ্রুপ। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি এ তথ্য জানিয়েছে।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর সম্মানার্থে এবারের বিপিএলের নামকরণ করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু বিপিএল’।

    ক্রিকেট বিশ্বে অন্যতম এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া ক্রিকেটের আসরে আবারও ভক্তরা মেতে উঠবে ক্রিকেট উন্মাদনায়।

    আগামী ডিসেম্বরে শুরু হতে যাওয়া ভিন্নধর্মী এ আয়োজনে প্রথমবারের মতো স্বত্বাধিকারী হওয়া আকতার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম রিফাতুজ্জামান বলেন, দর্শকপ্রিয় খেলা ক্রিকেটের অগ্রযাত্রার সঙ্গী হতে পেরে আমরা আনন্দিত।

    বিপিএলের মতো বড় আসর একদিকে যেমন ক্রিকেটকে অনন্য উচ্চতা নিয়ে গেছে সেইসঙ্গে ক্রিকেটের গঠনমূলক উন্নয়ন ও খেলোয়াড় তৈরিতে ভূমিকা রেখে চলেছে।

    বিপিএলের উৎসবমুখর পরিবেশ দেশের মানুষকে আনন্দের এক সূতায় গেঁথে নেয়। তরুণদের খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে সুস্থ জীবনযাপনে উৎসাহী করে তুলে।

    তিনি বলেন, এমন বড় মাপের আসর ক্রিকেটের জন্য তো বটেই; বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি।

    প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একটি পূর্ণাঙ্গ দল তৈরির প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যে দলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সৈয়দ ইয়াসির আলম।

    এছাড়া খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, ফিজিও নিয়োগসহ আনুষঙ্গিক সব প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। নিয়ম ও সময় মেনে সব ধরণের কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে চলতে থাকবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

  • আজ থেকে দেওয়ানহাট-বারিক বিল্ডিং সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ

    আজ থেকে দেওয়ানহাট-বারিক বিল্ডিং সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ

    চট্টগ্রামের ব্যস্ততম দেওয়ানহাট-বারিক বিল্ডিং সড়কে রাস্তার উভয়পাশে রিক্সা চলাচল নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। রিকশা চলাচল বন্ধে সিন্ধান্ত নিয়েছে নগর ট্রাফিক পুলিশ। যানজট নিরসনে ঢাকার পর বন্দরনগরী চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ এই রিকশা চলাচল বন্ধের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    আজ ৬ নভেম্বর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) মো. তারেক আহমেদ।

    বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ব্যস্ততম বিমানবন্দর সড়ককে পুরোপুরি রিক্সামুক্ত করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে প্রাথমিকভাবে দেওয়ান হাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত রিক্সা চলাচল বন্ধ করা হচ্ছে। তবে চৌমুহনী মোড় এবং বাদামতলী মোড়ে পূর্ব পশ্চিমে রাস্তা ক্রস করতে পারবে রিক্সা। মোড়ের একশ’ গজের মধ্যে রিক্সাসহ কোন যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না।

    সড়কে শৃঙ্খলার স্বার্থে ট্রাফিক পুলিশের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মহানগর রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিক মিয়া।

    পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানায়, নগরীর যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে রিক্সাকে দায়ী করা হয়। ধীরগতির এই বাহন রাস্তার যান্ত্রিক যানবাহনের গতি থমকে দিচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে রিক্সার জটলার কারণে ভয়াবহ যানজট হয় নিত্যদিন।

    চট্টগ্রাম মহানগরীতে রাস্তার পরিমাণ খুবই কম। একটি মানসম্পন্ন বিশ্বমানের শহরে কমপক্ষে বিশ শতাংশ রাস্তা থাকলেও চট্টগ্রামে এর পরিমান দশ শতাংশেরও কম। বেহাল এই অবস্থার মাঝে প্রধানতম যন্ত্রনা রিক্সা। এক লাখের মতো রিক্সা চলাচল করে নগরীতে। এর বাইরে হাজার হাজার অবৈধ রিক্সাও চলাচল করে। রিক্সার কোন নিয়ন্ত্রণ মোটর যান আইনে না থাকায় এগুলো নিয়ে পুলিশেরও তেমন কিছু করার থাকে না। কোন কোন রাস্তায় দুই তিন সারি করেও রিক্সা চলাচল করে। পেছনে প্রাইভেট গাড়ি হর্ণ দিলেও রিক্সা বেপরোয়াভাবে চলাচল করে। তবে এতকিছুর পরও বিপুল সংখ্যক মানুষের জীবন জীবিকা এই বাহনের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় পুলিশ রিক্সা পুরোপুরি বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতে পারছে না। মানুষ যাতে বেকার হয়ে না পড়েন সেদিকেও পুলিশকে সতর্ক থাকতে হচ্ছে।

    ব্যাংক পাড়া ও বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদের অবস্থান ওই এলাকায় হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি দেওয়ানহাট থেকে বারিক বিল্ডিং সড়ক দিয়ে চলাচল করে।

    এছাড়া বিমানবন্দরগামী যাত্রীরা ও চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা (সিইপিজেড) ও কর্ণফুলী রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা (কেইপিজেড) অবস্থিত কারখানার গাড়িগুলো ওই সড়ক ব্যবহার করে।

    কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক যানজটের কারণে প্রায় সময়ই স্থবির থাকে। বিশেষ করে দেওয়ানহাট থেকে বারিক বিল্ডিং অংশে সড়কে প্রচন্ড যানজট লেগে থাকে। রিকশার কারণে এই যানজট সৃষ্টি হয় বলে দাবি ট্রাফিক বিভাগের।

    পুলিশ কর্মকর্তা মো. তারেক আহমেদ বলেন, ব্যস্ততম অংশ দেওয়ানহাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত রিকশা চলাচল বন্ধে সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৬ নভেম্বর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। “এ বিষয়ে রিকশা মালিক সমিতি নেতা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা উদ্যোগের পক্ষে আছে বলে জানিয়েছেন। আশা করছি এ সিদ্ধান্ত কার্যকরে কোনো বাঁধা থাকবে না। পাশাপাশি যাত্রীদের এ সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য প্রচারণা চালানো হবে। এ ছাড়া নগরের রিকশা চালকদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট পোশাক সংগ্রহের জন্য মালিক পরিষদকে বলা হয়েছে।”

    তিনি আরও বলেন, “পাইলট প্রকল্প হিসেবে ওই অংশে রিকশা চলাচল বন্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পর যানজট কমলে নগরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে রিকশা বন্ধ করা হবে।”

    রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিক মিয়া বলেন, “ট্রাফিক বিভাগ থেকে সিদ্ধান্ত জানানোর পর আমরা সেটি স্বাগত জানিয়েছি। তবে ওই এলাকায় সংযোগ সড়কগুলোতে রিকশা চলতে পারবে। শুধু মূল রাস্তায় রিকশা উঠতে পারবে না বলে ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ট্রাফিক পুলিশকে রিকশা মালিক পরিষদ সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছি” তিনি আরও বলেন, “ট্রাফিক পুলিশকে চালকদের জন্য হলুদ রঙের পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করেছে। ১৫ দিনের মধ্যে এটি করতে বলেছে।”

    উল্লেখ্য, চলতি বছর জুলাই মাসে ঢাকার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ করা হয়।

  • পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে হত্যা

    পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে হত্যা

    চট্টগ্রাম শহরের খুলশীর আমবাগান এলাকায় পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে নাহিদ (১৯) নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে।

    রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরের খুলশী থানার আমবাগান ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

    নাহিদ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গ্রিলে লাগানোর কাজ করতেন। তার বাড়ি সিলেট। থাকতেন আমবাগান এলাকায়। তার বাবা আবদুল্লাহ কাউন্সিলর অফিসের পাশে জাবেদ গ্যারেজে কাজ করেন।

    জাবেদ গ্যারেজের মেকানিক মো. সোহেল (২২) পূর্ব বিরোধের জেরে নাহিদকে খুন করে পালিয়ে গেছে বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। তাকে আটকে অভিযান শুরু হয়েছে।

    স্থানীয় কাউন্সিলর হিরণ বলেন, ‘আমার অফিসের পাশেই ঘটনা ঘটেছে। ভিডিও ফুটেজে দেখেছি, নাহিদসহ কয়েকজন তরুণ-যুবক সোহেলকে মারতে গিয়েছিল। তার হাতে স্ক্রু ড্রাইভার ছিল। এসময় সে নাহিদের পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় নাহিদকে কয়েকজন ধরাধরি করে নিয়ে যেতে দেখেছি।’

    খুলশী থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, মুমূর্ষু অবস্থায় নাহিদকে নগরের আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম গেছে। ঘটনার পরপরই সোহেল পালিয়ে গেছে। তাকে আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

  • লালা-সবুজের পতাকাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে চান তোরসা

    লালা-সবুজের পতাকাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে চান তোরসা

    চলতি বছর ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৯’ নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রামের মেয়ে রাফাহ নানজীবা তোরসা। প্রায় ৩৮ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে সেরার মুকুট মাথায় তুলেছেন ২১ বছর বয়সী এ তরুণী।

    সুন্দরীদের এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বের কাছে লালা-সবুজের পতাকা বহন করে দেশের মান আরও বাড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।

    সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানী গুলশানের একটি হলে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৯’র সেরা ১২ প্রতিযোগীকে নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ইচ্ছা প্রকাশ করেন তোরসা।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের আয়োজক প্রতিষ্ঠান অমিকন গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান, এক্সপার্ট প্রোভাইডারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অপু খন্দকারসহ সেরা ১২ প্রতিযোগী।

    রাফাহ নানজীবা তোরসা বলেন, ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৯’র মুকুটটি মাথায় নেওয়ার পর আমার মধ্যে প্রথম যে অনুভূতিটা হয়েছে, সেটা হচ্ছে প্রচুর দায়িত্ববোধ। নিজের দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি আমার যে দায়িত্ববোধ আছে, সেটি এখন তুঙ্গে কাজ করছে। আমি আশা করব, আপনারা সবাই সবসময় আমার পাশে থাকবেন। আমার দেশবাসীর প্রতি আমি খুব কৃতজ্ঞ। ইনআশাল্লাহ আমার বিশ্বাস, নিজের দেশকে, লাল-সবুজের পতাকাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যেত পারব এবং ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারব। সবার কাছে আমি দোয়াপ্রার্থী। আমি খুবই আনন্দিত এরকম একটি মঞ্চে নিজেকে বিজয়ী হিসেবে দেখতে পেয়ে।

    এবার লন্ডনে বসছে মিস ওয়ার্ল্ডের ৬৯তম আসর। আগামী ১৪ ডিসেম্বর হবে চূড়ান্ত পর্ব। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা সেরা সুন্দরীরা অংশ নেবেন সেখানে। সবার মধ্য থেকে বাছাই হবে ২০১৯ সালের বিশ্বসুন্দরী। আর এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন তোরসা।

    ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান বলেন, তোরসা নির্বাচিত হওয়ায় আমরা অনেক আনন্দিত। কারণে মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার সব ধরনের যোগ্যতা তার মধ্যে আছে বলে আমাদের বিশ্বাস।

  • হেদায়েতুল ইসলাম ছিলেন জাতীয়তাবাদী আদর্শের কিংবদন্তী : বক্কর

    হেদায়েতুল ইসলাম ছিলেন জাতীয়তাবাদী আদর্শের কিংবদন্তী : বক্কর

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, মরহুম হেদায়েতুল ইসলাম চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রামের বিএনপি তথা জাতীয়তাবাদী আদর্শের কিংবদন্তী। যতদিন জাতীয়তাবাদীর আদর্শ ঠিকে থাকবে ততদিন হেদায়েত বেঁচে থাকবে কর্মের উপহারস্বরূপ।

    তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্রহীন বাংলাদেশে
    হেদাযেত চৌধুরীর মত সংগঠকের বড় অভাব। চট্টগ্রামের সাংগঠনিক রাজনীতির গোড়াপত্তন করে গেছেন মরহুম হেদায়েত চৌধুরী।

    তিনি আজ ১৩ অক্টোবর বাদ জোহর নগর যুবদলের উদ্যোগে নগরীর কদম মোবারক মসজিদে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী যুব-আন্দোলনের রূপকার, মহানগর যুবদলের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক মরহুম হেদায়েতুল ইসলাম চৌধুরীর ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ বক্তব্য রাখেন।

    এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গণতন্ত্রের নমুনা আজ দৃশ্যমান নেই। সবই আজ একদলীয় শাসনের যাতাকলে পিষ্ঠ। মরহুম হেদায়েতুল ইসলাম চৌধুরী যে আদর্শ নিয়ে সাংগঠনিক রাজনীতির চর্চা শুরু করে গেছেন তা চট্টলার রাজনীতিবিদগণ আজীবন স্মরণ রাখবেন। চট্টগ্রামের বিএনপিকে
    সুসংগঠিত করতে আমৃত্যু নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন মরহুম হেদায়েতুল ইসলাম চৌধুরী। গণতন্ত্রের নামে শাসকগোষ্ঠী ভিন্নমত ধমনে মরিয়া সামান্য একটু সমালোচনাও সহ্য করতে পারছে না তার জ্বলন্ত উদাহরণ বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ।

    তিনি চট্টলার যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে আগামীর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে যুবদলের
    নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানান।

    চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদের পরিচালনায় মরহুমের জীবনী নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও মরহুমের আত্মার
    মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ কবরস্থানে মরহুমের কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

    মিলাদ মাহফিল ও দোয়া পরিচালনা করেন মসজিদের খতীব মাওলানা একরাম হোসেন।

    অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি এম এ আজিজ, সংযুক্ত আরব আমিরাত কেন্দ্রীয় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম তালুকদার, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়সিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, শাহেদ বক্স, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, কোতোয়ালী
    থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহসভাপতি ফজলুল হক সুমন, আবদুল করিম, আবদুল গফুর বাবুল, সাহাব উদ্দিন হাসান বাবু, মিয়া মো. হারুন, হায়দার আলী চৌধুরী, নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, হাসান মুরাদ, জসিমুল ইসলাম কিশোর, মুজিবুর রহমান, মো. আলী সাকি, সি. যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন, যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান মাসুম,
    মো. সেলিম, আবদুল হামিদ পিুন্ট, সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, ওমর ফারুক, হেলাল হোসেন, কুতুব উদ্দিন, সহসাধারণ সম্পাদক ওসমান গণি, জাফর আহমদ খোকন।

    সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জিল্লুর রহমান জুয়েল, মো. সাগির, জসিম উদ্দিনসাগর, আলা
    উদ্দিন, মহিউদ্দিন মুকুল, এনামুল হক এনাম, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, ওমর
    ইমতিয়াজ টিটু, আসাদুজ্জামান রুবেল, সহসম্পাদকবৃন্দ আতিকুর রহমান, কমল
    জ্যোতি বড়–য়া, মো. জহিরুল ইসলাম জহির, গিয়াস উদ্দিন টুনু, কামরুল ইসলাম, হাফেজ মো. কামাল উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, সালাহ উদ্দিন, জাহাঙ্গির আলম বাবু, হামিদুল হক, আশরাফ উদ্দিন আনোয়ার হোসেন,
    জাহাঙ্গির আলম মানিক।

    নগর যুবদলের সদস্য আরশাদা হোসেন আশু, আবদুল্লা আল মামুন, আবদুস সাত্তার, পাহাড়তলী যুবদলের সদস্য সচিব শওকত খান রাজু, মনজুর
    আলম মঞ্জু, মোর্শেদ কামাল, ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ডের আহাবয়ক এস এম আলী, ৩ নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের আহাবয়ক মো. হাসান, ১০ নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, ১২ নং সরাইপাড়া ওয়ার্ডের আহবায়ক সাইফুল আলম, ৯ নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আহবায়ক মো. ইউনুস প্রমুখ।

  • শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিদেশী সিগারেট ও স্বর্ণের বার উদ্ধার

    শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিদেশী সিগারেট ও স্বর্ণের বার উদ্ধার

    শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শারজাহ থেকে আসা দুই যাত্রীর কাছ থেকে ২৯৫ কার্টন বিদেশি সিগারেট ও একটি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তারা।

    আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে আটটায় জি৯-৫২১ এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইটে তারা চট্টগ্রাম আসেন। এসময় তল্লাশীকালে কাছে একজনের কাছে একটি স্বর্ণের বার অপরজনের কাছে সিগারেটের কার্টূন পাওয়া যায়।

    চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের এয়ারপোর্ট ও এয়ারফ্রেইট শাখার সহকারী কমিশনার আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শারজাহ থেকে আসা দুই যাত্রীর কাছ থেকে ২৯৫ কার্টন বিদেশি সিগারেটসহ একটি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। একজনের লাগেজের মধ্যে সিগারেটের কার্টনগুলো পাওয়া যায়। অপর যাত্রীর দেহ তল্লাশি করে একটি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়।

    তিনি আরও জানান, উদ্ধার হওয়া সিগারেট ও স্বর্ণের বারের মূল্য ১২ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। এ ঘটনায় কাস্টম আইনে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

    তবে কাষ্টমস কর্মকর্তা তাৎক্ষনিক দুজনের নাম পরিচয় জানাতে পারেন নি।

  • চট্টগ্রামে নববধূকে হত্যা, স্বামী আটক

    চট্টগ্রামে নববধূকে হত্যা, স্বামী আটক

    চট্টগ্রাম শহরের পাঁচলাইশের নাজির পাড়ায় বিয়ের দুই মাসে মধ্যে শারমিন আক্তার সুমি (১৯) নামে এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী সোলায়মান হোসেন লিটনকে আটক করেছে পুলিশ।

    সোমবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুমির মৃত্যু হয়। এর আগে নাজির পাড়ায় মানিক ভিলার নিচ তলায় শ্বশুরের বাসায় পারিবারিক কলহের জেরে সুমিকে নির্যাতন করা হয় বলে দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

    নিহত সুমির মা চেমন আরা বেগম জানান, দুই মাস আগে নোয়াখালীর উত্তর শুল্লিকা এলাকার কামাল উদ্দিনের ছেলে লিটনের সাথে সুমির বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং আসবাবপত্রসহ অন্য মালামাল দেয়া হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে সুমির ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন লিটন। এ নিয়ে সালিশও হয়েছে।

    চেমন আরা আরও জানান, সোমবার সন্ধ্যায় লিটন তাদের ফোন করে জানায় সুমি অসুস্থ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে তারা সুমির লাশ দেখতে পান।

    সুমির মায়ের অভিযোগ, তার মেয়েকে নির্যাতন চালিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তার গলায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

    এ ব্যাপারে পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাসেম বলেন, ‘দাম্পত্য কলহের জেরে সুমি নামে এক গৃহবধূ নির্যাতনের কারণে মারা গেছেন। আমরা তার স্বামীকে আটক করেছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।’

  • চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে তরুণীর মৃত্যু

    চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে তরুণীর মৃত্যু

    চট্টগ্রাম নগরীতে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে সুমি বৈদ্য (১৯) নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওমরগণি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এ বছর এইচএসসি পাস করেছেন। এদিকে সুমীর ছোট ভাই অরুপ বৈদ্যও (১৬) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    শনিবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর মেহেদিবাগে বেসরকারি ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমীর মৃত্যু হয়।

    সুমি বৈদ্য নগরীর ফ’য়সলেক এলাকার সুমী মেডিকোর মালিক সুনিল বৈদ্যের মেয়ে।

    হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রদীপ বড়ুয়া জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর জ্বরে আক্রান্ত সুমি বেসরকারি ইউএসটিসি হাসপাতালে ভর্তি হন।

    বৃহস্পতিবার তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার দুপুরে তাকে আবার নিজাম রোডের মেডিকেল সেন্টারে নেয়া হয়।

    এর পর তাকে ন্যাশনাল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে শনিবার রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন থেকে তার মৃত্যু হয়।

    এদিকে সন্ধ্যায় সুমি ও অরুপের ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পর সন্ধ্যায় নগরীর বেসরকারি ন্যাশনাল হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নেন স্বাস্থ্য দপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।

    আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ‘মূলত ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হওয়ায় সুমির শরীরে রক্ত প্রবাহিত হয়েছে। তাদের দুজনের খবর শুনে আমরা দেখে এসেছি। এর কিছুক্ষণ পরেই সুমির মৃত্যু হয়। যতটুকু শুনেছি, সুমির ডেঙ্গু ধরা পড়ার পর তার বাবার ফার্মেসির দোকান থাকায় নিজে নিজেই চিকিৎসা করেছিলেন। এ বিষয়ে অবহেলা না করে যদি প্রথমেই চিকিৎসা করাতো হয়তো সুমি বেঁচে যেতেন। তবে চমেক হাসপাতালে গিয়ে সুমির ছোট ভাই অরুপকে দেখে এসেছি। সে বর্তমানে কিছুটা ভালো আছে। আশা করছি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।’

  • দুই পিকআপ টাকার রহস্য উদঘাটনে মাঠে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা

    দুই পিকআপ টাকার রহস্য উদঘাটনে মাঠে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা

    গতমাসের মাঝামাঝি ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার দুই দিন পর রাজধানী ঢাকা থেকে দুই পিকআপ ভর্তি টাকা গেছে চট্টগ্রামের দিকে! গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এই টাকা কোথায় গেছে, কার টাকা, এখন কী অবস্থায় আছে- সব কিছু উদঘাটনের চেষ্টা করছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।

    হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করার আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ায় দুর্নীতিবাজ নেতারা এখন বেকায়দায়। এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে এটা তাদের ধারণাতেই ছিল না। তাই অনেকে বস্তায় ভরে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে, আত্মীয়-স্বজনদের কাছে। সম্প্রতি একজন প্রকৌশলী কয়েক বস্তা টাকা তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাখতে যান। কিন্তু ঐ আত্মীয় রাখতে রাজি হননি।

    জানা গেছে, অবৈধ টাকা রাখার জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনা, দুর্নীতি, মাদক, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত এক শ্রেণির রাজনৈতিক নেতা। কয়েক শত কোটি টাকা নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন। সূত্র জানায়, উল্লিখিত দুই পিকআপ ভর্তি টাকা খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া কিংবা এমন এক নেতার হতে পারে যার নামের আদ্যক্ষর ‘স’। গোয়েন্দারাও এমনটি ধারণা করছেন। সম্প্রতি অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া ও ‘স’ আদ্যক্ষরের ঐ নেতার টাকা সবচেয়ে বেশি।

    রাজনীতির নামে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, পেশিশক্তির প্রয়োগসহ যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই ধারাবাহিকতায় চলছে শুদ্ধি অভিযান। এ অভিযানের ফলে দীর্ঘদিন ধরে অপকর্ম করে দলের ইমেজ ক্ষুণ্নকারী নেতাকর্মীরা আছেন ‘দৌড়ের ওপর’। দুই বছর আগে থেকেই বিতর্কিতদের তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। দুর্নীতি করলে কেউ যে ছাড় পাবেন না, এমনকি আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় কোনো নেতা, শীর্ষ আমলা, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পরিবহন নেতারাও যে অভিযানের বাইরে নেই, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে এ পর্যন্ত যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গডফাদারের নাম চলে এসেছে।

    গ্রেফতারকৃতরা অনেক আমলা, মন্ত্রী, এমপি, প্রভাবশালী রাজনীতিক এমনকি কিছু ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নামও বলেছেন, নাম এসেছে প্রভাবশালী অনেক সাংবাদিকের; যারা আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে অবৈধ উপায়ে কাড়ি কাড়ি টাকা বানিয়েছেন এবং বিদেশে পাচার করেছেন।

    সূত্র জানায়, দুর্নীতিবাজরা সিংহভাগ টাকা পাচার করেছেন ব্যাংককে অবস্থানকারী চট্টগ্রামের শাহীন চৌধুরী নামের হুন্ডি ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারির মাধ্যমে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এই নাম। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে আমলা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক শ্রেণির কর্মকর্তা শাহীন চৌধুরীর মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। শুধু এই সরকারের আমলে নয়, বিগত সরকারের আমলেও একই কায়দায় শাহীন চৌধুরীর মাধ্যমে ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও আবুধাবিতে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এ ধরনের তথ্যও বেরিয়ে আসছে।

    উল্লেখ্য, ব্যাংককের একটি ব্যাংকে শাহীন চৌধুরীর জন্য একটি আলাদা ডেস্ক রয়েছে এই হুন্ডি ব্যবসার জন্য।

  • ঢাকা থেকে দাওয়াত করে চট্টগ্রামে এনে ৪ বন্ধুকে অপহরণ!

    ঢাকা থেকে দাওয়াত করে চট্টগ্রামে এনে ৪ বন্ধুকে অপহরণ!

    রাজধানী ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে বেড়াতে এসে অপহরণের শিকার হয়েছেন চার তরুন। গতকাল শুক্রবার রাতে (৪ অক্টোবর) এ ঘটনা ঘটে।

    অপহরনের শিকার হওয়া তরুনরা হলো, রিয়াজ হোসেন (১৮) পিতা-মোঃ হোসেন, রাকিব হাওলাদার (১৮) পিতা -জলিল হাওলাদার, সুমন (১৯) পিতা-মোহাম্মদ সাদেক, মিল্লাত হোসেন (২১) পিতা-নুরুস সাফা।

    জানা যায়, ঢাকার সাভার এলাকা থেকে বৃহস্প্রতিবার রাতে রয়েল পরিবহনের একটি গাড়িতে করে চট্টগ্রাম বেড়াতে আসেন চার তরুন। শুক্রবার বিকেলে তাদের দাওয়াত দিয়ে ফটিকছড়ির হেয়াকো বাজারে নিয়ে যায় স্থানীয় পূর্বপরিচিত বন্ধু সুমন।

    তাদের অভিযোগ সুমনের সহযোগিতায় হেয়াকো বাজার থেকে তাদের মাইক্রো করে গহীন জঙ্গলে নিয়ে আটকে রাখে সন্ত্রাসীরা। অপহৃত হওয়া তরুনদের ধারনা আটকে রাখা জায়গাটি রামগড়ের কোন গভীর জঙ্গল। তাদের কাছ থেকে ৪টি মোবাইল ফোনসহ ১২ হাজার নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। পরে তাদের মোবাইল ফোন থেকে যার যার বাসায় দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপন চেয়ে ফোন দেয় সন্ত্রাসীরা।

    মুক্তিপন চেয়ে ফোন পেয়ে সাভার থানায় গিয়ে জিডি করে তাদের স্বজনরা। পরে পুলিশের তৎপরতা টের পেয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে তাদের জঙ্গলে এনে ছেড়ে দেয় অপহরনকারিরা। ছেড়ে দেয়া স্থান থেকে গাড়িতে করে গভীর রাতে বারোইয়ার হাট এসে পৌছে চার তরুন।

    এই বিষয়ে নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ও রামগড় থানায় যোগাযোগ করা হলে এমন কোন অভিযোগ পুলিশ পায় নি বলে জানানো হয়। সাভার থানায় যোগাযোগ করা হলে ডিউটি অফিসার জানান, চার তরুনের স্বজনরা শুক্রবার সাভার থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছে।

    অপহৃত রিয়াজ প্রতিবেদককে জানায়, অপহরণকারীরা সংখ্যায় ছিল ৭ জন। এদের মধ্যে সুমন তাদের পুর্ব পরিচিত। সুমনই মুলত বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে হেয়াকোঁ এলাকায় নিয়ে যায় তাদের। পরে তাদের ধরে নিয়ে মারধর করে বলেও জানায় রিয়াজ।

  • জালালাবাদ এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত, সিলেট-চট্টগ্রাম যোগাযোগ বন্ধ

    জালালাবাদ এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত, সিলেট-চট্টগ্রাম যোগাযোগ বন্ধ

    আখাউড়ায় জালালাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন সিলেট থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে লাইনচ্যুত হয়েছে।

    শুক্রবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনার পর সিলেটের সঙ্গে চট্টগ্রামের রেলযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

    ট্রেনটির উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। উদ্ধারকাজ শেষ করতে আরও ঘণ্টা দুয়েক সময় লাগতে পারে।

    আখাউড়া রেলওয়ে থানার এসআই মো. সেতাফুর রহমান জানান, আখাউড়া রেলস্টেশনে ঢোকার মুহূর্তে সকাল সোয়া ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুই বগির মাঝখানের যন্ত্রাংশ ভেঙে গিয়ে ট্রেনটির চারটি মালবাহী বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

    আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার মো. খলিলুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পর সিলেটের সঙ্গে চট্টগ্রামের যোগাযোগ বন্ধ থাকলেও ট্রেন সিডিউলের বিপর্যয় ঘটবে না। ওই পথে বেলা ১টার আগে আর কোনো ট্রেন নেই। উদ্ধারকাজ শেষ করতে ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় লাগবে বলে তিনি জানান।