Tag: চট্টগ্রাম

  • চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ৬, পায়রা-মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত

    চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ৬, পায়রা-মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত

    বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যা নাগাদ খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর ঘূর্ণিবড়টির অগ্রভাগ আজ দুপুর নাগাদ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে।

    ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত আবহাওয়ার ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

    সকালে সাড়ে ৯টার এই বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে— পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত ৬ দেখাতে বলা হয়েছে।

    ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্রাবিত হতে পারে।

    ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হলো।

    আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে— উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (২০.৩০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.৬০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ (১৭ নভেম্বর) সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৬৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা নাগাদ খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

    ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের ওপর দিয়ে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।

    ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

  • চট্টগ্রামে দুইটি বাস ও একটি ট্রাকে আগুন

    চট্টগ্রামে দুইটি বাস ও একটি ট্রাকে আগুন

    জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম নগরে দুইটি বাস ও একটি ট্রাকে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

    বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাত ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে নগরের ওয়াসা মোড় এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা দুটি বাসে আগুন দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নির্বাপণে কাজ করছে।

    এর আগে, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরের পাঁচলাইশ থানার বাদুরতলা এলাকায় একটি ট্রাকে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। তবে সেটির আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই স্থানীয়রা দ্রুত নির্বাপণ করে ফেলে।

    বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সেখানে তিনি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    এদিকে তফসিল ঘোষণার পরপরই চট্টগ্রামের একাধিক স্থানে পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। তফসিলকে প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে, তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

  • যেসব সুফল মিলবে চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে

    যেসব সুফল মিলবে চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে

    চট্টগ্রামে প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ ১৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ তোফায়েল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি নূরে আলম মিনা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার একেএম শফিউল্লাহসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের পর বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ‘মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী সিডিএ এক্সপ্রেসওয়ে’ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় তিন ঘণ্টা পর যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় পতেঙ্গা থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত নির্মিত এক্সপ্রেসওয়েতে আসা-যাওয়া করেছেন সাধারণ মানুষজন।

    চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ জানান, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অবশিষ্ট কাজ শেষ হলে নগরবাসীর জন্য এটি খুলে দেওয়া হবে। বিমানবন্দর থেকে লালখানবাজারে পৌঁছাতে বর্তমানে দুই-তিন ঘণ্টা লাগছে। তখন সময় লাগবে ২০ মিনিট। এ উড়াল সড়কের কারণে চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে অনেক জেলার যোগাযোগ সহজ হবে। মাতারবাড়ীতে যে গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে, সেটাও এ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে উপকৃত হবে।

    চউক সূত্র জানায়, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল ফ্লাইওভারের প্রায় ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ চলমান রয়েছে। নগরীর পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত এই এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬ কিলোমিটার। ৫৪ ফুট প্রসস্ত ও চার লেনের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে থাকবে ১৫টি র‌্যাম্প।

    এরমধ্যে জিইসি মোড়ে একটি, টাইগারপাসে দুটি, আগ্রাবাদে চারটি, ফকিরহাটে একটি, নিমতলায় দুটি, সিইপিজেডে দুটি এবং কেইপিজেড এলাকায় দুটি র‌্যাম্প থাকবে। চলতি বছরের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তৃতীয় দফায় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়।

    এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হলে আটটি ক্ষেত্রে সুবিধা পাবে নগরবাসী।

    সিডিএ কর্মকর্তারা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের সঙ্গে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হওয়ায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে শহরের নতুন রোড নেটওয়ার্ক সৃষ্টি হবে। চট্টগ্রাম শহরের মধ্যে অবস্থিত সিইপিজেড, কেইপিজেডের সঙ্গে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হওয়ায় শহরের ভেতরে যানজট কমবে।

    চট্টগ্রাম শহর থেকে মাত্র ২০ মিনিটে যাত্রীরা বিমানবন্দরে যেতে পারবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার ও বহদ্দারহাট এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ায় উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হবে।

    দক্ষিণ চট্টগ্রামের যানজট সমস্যা কমবে। মানুষের প্রতিদিনের যাতায়াতের সময় সাশ্রয় হবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি বাড়বে। যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হবেন।

  • কর্ণফুলী নদী দখলকারীদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট

    কর্ণফুলী নদী দখলকারীদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট

    চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ ও পূর্বপাশের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ ও পূর্বপাশের জায়গা সিএস ও আরএস অনুযায়ী জরিপ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ ও পূর্বপাশের জায়গা দখল করে মাটি ভরাট বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

    মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

    পরিকল্পনা সচিব, পরিবেশ সচিব, ভূমি সচিব, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

    আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

    এর আগে গত ১২ নভেম্বর ‘কর্ণফুলী নদী দখল করে তৈরি হচ্ছে ড্রাই ডক’ এই শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।

    মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবি এ রিট দায়ের করে।

    পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের একাংশে বলা হয়, কর্ণফুলী নদী দখল করে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় তৈরি হচ্ছে ব্যক্তিমালিকানাধীন ‘ড্রাই ডক’। এতে নদী সংকুচিত হচ্ছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন বলছে, নদীসংক্রান্ত আইন ও হাইকোর্টের রায় লঙ্ঘন করে এই স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। এখনই সব ধরনের নির্মাণকাজ বন্ধ করা দরকার।

    ড্রাই ডক হচ্ছে বড় বড় জাহাজ বা নৌযান তৈরি, সংস্কার বা রং করার জন্য শুকনো কোনো স্থান। কর্ণফুলী ড্রাই ডক লিমিটেডের মালিক আবদুর রশিদ। ইঞ্জিনিয়ার রশিদ নামে ব্যবসায়ী মহলে তিনি পরিচিত।

    কর্ণফুলী নদীর বাম তীরে আনোয়ারা উপজেলার বদলপুরা মৌজায়, সাগরের মোহনা থেকে দুই কিলোমিটার উজানে এই ড্রাই ডক তৈরি হচ্ছে। যেখানে এই নির্মাণকাজ চলছে, নদীর ঠিক অন্য পারে একইভাবে নদী দখল করে আরও স্থাপনা তৈরি হয়েছে, কিছু স্থাপনা তৈরির প্রস্তুতি চলছে। নদীটি এখানে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে এই স্থানে কর্ণফুলীর প্রস্থ ৪৫০ মিটারের কিছু বেশি, দুই দশক আগেও প্রস্থ ছিল প্রায় এক হাজার মিটার।

  • এক্সপ্রেসওয়েসহ চট্টগ্রামের ১২ প্রকল্পের উদ্বোধন

    এক্সপ্রেসওয়েসহ চট্টগ্রামের ১২ প্রকল্পের উদ্বোধন

    দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে তিনি চট্টগ্রামের আরও ১১টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

    এগুলো হলো— পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, বে-টার্মিনাল মাস্টারপ্ল্যান, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় সিজিএস কলোনিতে জরাজীর্ণ ১১টি ভবনের স্থলে ৯টি বহুতল ভবনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৬৮৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ, চট্টগ্রাম শহরে পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাট ও ডরমিটরি নির্মাণ, ফৌজদারহাট থেকে বায়েজিদ বোস্তামী পর্যন্ত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সড়ক নির্মাণ, সিরাজুদ্দৌলা রোড থেকে শাহ আমানত ব্রিজ সংযোগ সড়ক (বাকলিয়া এক্সেস রোড), চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, আনোয়ারা-ফৌজদারহাট গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ, চট্টগ্রাম-ফেনী-বাখরাবাদ গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাইন নির্মাণ, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ ও কেজিডিসিএল গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্ক আপগ্রেডেশন ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের ২৫২ তম কিলোমিটারে মুরালী খালের ওপর ১২১ মিটার দীর্ঘ ভেল্লাপাড়া সেতু নির্মাণ।

    জানা গেছে, উদ্বোধন হওয়া প্রকল্পগুলোর অন্যতম বৃহৎ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। নগরের লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার লম্বা এই এক্সপ্রেসওয়ে ৫৪ ফুট প্রশস্ত। তবে উদ্বোধন হলেও এই উড়ালসড়ক দিয়ে যানচলাচল শুরু হতে আরও মাসখানেক সময় লাগতে পারে।

    সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন হলেও কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে। এগুলো মাসখানেকের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এটি চালু হলে ১৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া যাবে মাত্র ২০ মিনিটে। এতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রুটের বিমান যাত্রীরা যেমন লাভবান হবেন তেমনি করে চট্টগ্রাম শহরের যানজটও কমবে। যানজটের কারণে জ্বালানি তেলের অপচয়, মানুষের কর্মঘণ্টার অপচয়, ফ্লাইট মিসহওয়াসহ যে ক্ষতি প্রতি বছর হয় তা টাকার অঙ্কে নিরূপণ করা যাবে না।

    সিডিএ সূত্র জানায়, চার লেনের এক্সপ্রেসওয়েতে থাকবে ১৪টি র‌্যাম্প। এর মধ্যে জিইসি মোড়ে একটি, টাইগারপাসে দুটি, আগ্রাবাদে চারটি, ফকিরহাটে একটি, নিমতলায় দুটি, সিইপিজেডে দুটি এবং কেইপিজেড এলাকায় থাকবে দুটি র‌্যাম্প। তবে এসব র‍্যাম্প নির্মাণ কাজ এখনই শুরু হয়নি। আপাতত মূল ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করা হচ্ছে। এরপর শুরু হবে র‍্যাম্পসহ অন্যান্য নির্মাণ কাজ।

    চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। ২০১৭ সালে প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। অনুমোদনের প্রায় দুই বছর পর ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২০ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।

  • চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন আজ

    চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন আজ

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের পর চট্টগ্রামে উদ্বোধন হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। আজ মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সে এই প্রকল্পসহ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের উদ্বোধন করবেন তিনি। প্রকল্প চারটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৬ হাজার কোটি টাকা। অন্য দুটি প্রকল্প হলো– বাকলিয়া এক্সেস রোড ও ফৌজদারহাট-বায়েজিদ সংযোগ সড়ক প্রকল্প।

    সিডিএর প্রকল্প তিনটির নামকরণ হয়েছে– ‘মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী সিডিএ ফ্লাইওভার’, ‘জানে আলম দোভাষ সড়ক’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব সড়ক’। এসব প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষে নগরীর পতেঙ্গায় সুধী সমাবেশের আয়োজন করেছে সিডিএ।

    প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলছেন, প্রকল্পগুলো উদ্বোধনের ফলে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে যানজট দূর হবে। নগরীর মূল কেন্দ্র থেকে ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পৌঁছা যাবে, এখন সেখানে যেতে লাগে এক ঘণ্টার বেশি।

    নগরীর লালখানবাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ এখনও শেষ হয়নি। নির্মাণ হয়নি এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠা-নামার র‍্যাম্প। তাই উদ্বোধন হলেও এতে যান চলাচল শুরু হবে না। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প অনুমোদন হয়। ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে প্রকল্প ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।

    এই প্রকল্পের পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়ে চালুর পর চট্টগ্রামের যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। এটি শুধু চট্টগ্রাম নয়, তিন পার্বত্য জেলা ও কক্সবাজারের বিমানবন্দরগামী লোকজনের যাতায়াত সহজ করবে।’

    যাতায়াত সহজ করবে বায়েজিদ সংযোগ সড়ক

    প্রায় এক দশক আগে ‘এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের বহিঃসীমানা দিয়ে লুপ রোড নির্মাণসহ ঢাকা ট্রাংক রোড থেকে বায়েজিদ বোস্তামী রোড পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্প হাতে নেয় সিডিএ। ২০১৩ সালের অক্টোবরে একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৭২ কোটি টাকা এবং মেয়াদ ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর পর কয়েক দফা সময় ও ব্যয় বাড়ে। বর্তমানে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৫৩ কোটি টাকা। পুরোপুরি কাজ শেষ না হলেও সড়কটিতে যান চলাচল শুরু হয়েছে। ফলে ঢাকা থেকে আসা যানবাহন চট্টগ্রাম নগরে না ঢুকে সরাসরি পার্বত্য চট্টগ্রাম ও উত্তর চট্টগ্রামে যেতে পারে।

    বাকলিয়া সংযোগ সড়ক

    ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাকলিয়া সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয় চউক। ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর একনেকে প্রকল্পটি পাস হয়। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ২২০ কোটি ৭১ লাখ টাকা। সড়কটি নগরের সিরাজউদ্দৌলা সড়কের চন্দনপুরার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পাশ থেকে শুরু হয়ে শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়কে গিয়ে শেষ হয়েছে।

    চালু হবে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল

    চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ হয়েছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নকশা অনুযায়ী সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে এটি নির্মাণ করে দেশি প্রতিষ্ঠান ই-ইঞ্জিনিয়ারিং। ২০২২ সালের মাঝামাঝি এর কাজ শেষ হয়। বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলী নদীর মোহনায় ড্রাইডক ও বোটক্লাবের মাঝে ২৬ একর জায়গাজুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল। এটি চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দর ১০ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের (পানির নিচে জাহাজের গভীরতা) জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা অর্জন করবে। একই সঙ্গে জাহাজ চলাচলের দূরত্ব কমবে।

  • মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ১৫ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

    মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ১৫ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

    চট্টগ্রামের ৯টি প্রতিষ্ঠানের ১৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল মঙ্গলবার অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

    একই সঙ্গে একটি প্রতিষ্ঠানের একটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    জেলা প্রশাসন জানায়, মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি, চট্টগ্রাম পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক জানান, প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান সফল করতে আজ (সোমবার) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সব সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে মিটিং হয়েছে। এতে অনুষ্ঠানের যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

  • চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ ৩ প্রকল্পের উদ্বোধন ১৪ নভেম্বর

    চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ ৩ প্রকল্পের উদ্বোধন ১৪ নভেম্বর

    আগামী ১৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে উদ্বোধন হবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাকলিয়া এক্সেস রোড ও ডিটি-বায়েজীদ সংযোগ সড়ক।

    কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে টানেল উদ্বোধনের পর ১১ নভেম্বর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ। যাতায়াত ব্যবস্থায় দুই মেগা প্রকল্পের উদ্বোধনের পরই আগামী ১৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের আরেক মেগা প্রকল্প এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রকল্প পরিচালক সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘পতেঙ্গা টানেলের মুখ থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত গাড়ি চলাচলের জন্য প্রস্তুত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। আপাতত এই অংশ খুলে দেওয়া হবে। তবে লালখান বাজার থেকে টাইগারপাস অংশের কাজ শেষ না হওয়ায় এটি এখনই খুলে দেওয়া হচ্ছে না। এক থেকে দুই মাসের মধ্যে বাকি সব কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।’

    প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটির কাজ ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এ ব্যাপারে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে। নির্বাচনের আগে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেওয়া চট্টগ্রামবাসীর জন্য সরকারের উপহার। এটি চালু হলে মাত্র ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম শহর থেকে বিমানবন্দর পৌঁছানো যাবে। তবে দিতে হবে নির্ধারিত হারে টোল। বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হওয়ায় টানেলমুখী যানবাহনের চাপ সামলাতে এই এক্সপ্রেসওয়ে সহায়তা করবে বলে মনে করছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা।

    সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদন পায় প্রকল্পটি।

    নগরীর যানজট নিরসনে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে একনেক সভায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প অনুমোদন পায়। ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৬ দশমিক ৫ মিটার চওড়া এই অবকাঠামোর প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে।

    চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) সূত্র জানায়, যৌথভাবে নির্মাণকাজ পায় বাংলাদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ও চীনা প্রতিষ্ঠান র‌্যাঙ্কিন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলার পাইলিং কাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন জটিলতার কারণে মেয়াদ ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। মোট নির্মাণ ব্যয় ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকা।

    উল্লেখ্য, লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে মূলত শাহ আমানত সেতু থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আওতায় চলে আসবে। শাহ আমানত সেতু থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ বিভাগ ছয় লেনের একটি রোড নির্মাণ করেছে। এতে সড়কে বিরতিহীনভাবে গাড়ি চলাচল করতে পারে। আর সেই রোড দিয়ে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার দিয়ে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে যুক্ত রয়েছে। আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার দিয়ে সরাসরি চলে যাওয়া যাবে পতেঙ্গা সৈকত হয়ে টানেল দিয়ে নদীর ওপারে কিংবা ঢাকামুখী আউটার রিং রোডে যুক্ত হওয়া যাবে।

  • চট্টগ্রামে বাসে আগুন

    চট্টগ্রামে বাসে আগুন

    চট্টগ্রামে আরও একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। রোববার রাত ১১টায় বন্দর নগরীর অক্সিজেন মোড় এলাকায় ওই বাসে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নির্বাপন করে।

    অক্সিজেন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মৃণাল মজুমদার বলেন, ঈশা পরিবহনের বাসটি চট্টগ্রাম থেকে রাউজান রুটে চলাচল করে। অক্সিজেন মোড় এলাকায় বাসটি রেখে রেখে চালক কোথাও গিয়েছিলেন। জায়গাটাও কিছুটা নির্জন। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নির্বাপণ করে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

    এর আগে এদিন ভোরে পতেঙ্গা এলাকায় গার্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য অপেক্ষায় থাকা একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

    সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার (রোব ও সোমবার) অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি-জামায়াত।

     

  • চট্টগ্রাম থেকে প্রথম ট্রেন যাচ্ছে কক্সবাজার

    চট্টগ্রাম থেকে প্রথম ট্রেন যাচ্ছে কক্সবাজার

    নির্মাণ কাজ পরিদর্শন এবং কোনো ত্রুটি যাচাই করতে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজারে যাচ্ছে একটি ট্রেন। রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল নয়টায় আটটি বগি ও একটি ইঞ্জিন নিয়ে ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়।

    ট্রেনটিতে রয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম ও রেলের পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। রেলওয়ে সূত্র জানায়, রোববার ট্রেনটি সকাল ১০টায় দোহাজারী স্টেশনে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

    এরপর সেখান থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেবে। ট্রেনটি বিকেল সাড়ে পাঁচটায় কক্সবাজার পৌঁছার কথা রয়েছে। রেলের পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কক্সবাজারে অবস্থান করবেন। ৬ নভেম্বর ওই টিম কক্সবাজার রেলস্টেশন ইয়ার্ড পরিদর্শন করবে এবং আগামী ৭ নভেম্বর সকাল সাতটায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেবে।

    সরকারি রেল পরিদর্শক (জিআইবিআর) রুহুল কাদের আজাদ বলেন, আজ ট্রেনযোগে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে যাচ্ছেন রেলের পরিদর্শন দপ্তরের টিম। এসময় নির্মাণাধীন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন ও বিভিন্ন স্টেশন পরিদর্শন করা হবে। এতে কোনো ত্রুটি আছে কি না যাচাই করা হবে।

    দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক সুবক্তগীন বলেন, ‘১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে আসবেন। সেখানে সুধী সমাবেশ হবে। আইকনিক স্টেশন দেখবেন ও একটা অংশ থাকবে উদ্বোধনের।’

    তিনি আরও বলেন, ‘১১ নভেম্বর কক্সবাজারের পথে ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের পর বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলবে ২০-২৫ নভেম্বর থেকে। কক্সবাজার রুটে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে ছয় জোড়া ট্রেন চলাচলের পরিকল্পনা আছে। তবে ইঞ্জিন ও বগি সংকটের কারণে এখনই তা হচ্ছে না। পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।’

    রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘এটি আমাদের রুটিন কাজ। এটিকে ট্রায়াল রান বলা যাবে না। আমাদের সঙ্গে আছেন রেলের পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তারা এই রেল পরিদর্শন করবেন সেখানে কোনো ত্রুটি আছে কিনা দেখবেন। ইন্টারলকিং সিগন্যালিং ব্যবস্থা, প্ল্যাটফর্ম উঁচু সঠিক কিনা, কালভার্ট, লেভেল ক্রসিং গেট এসব দেখবেন। পরে রেলের পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সার্টিফাই করবেন। এরপর ট্রেন চলবে।’

    দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প ২০১০ সালের ৬ জুলাই একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৮ সালে এই রেলপথ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ৩০ জুন। পরে এক দফা বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ করা হয় ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এতে ব্যয় ধরা হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রকল্পে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়েনি। এ প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলায় নির্ধারিত সময়ের আগেই তা সমাপ্ত হতে যাচ্ছে।

    ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল প্রকল্পটি ‘ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। রেলপথটি নির্মিত হলে মিয়ানমার, চীনসহ ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডোরে যুক্ত হবে বাংলাদেশ।

  • চট্টগ্রামে পোশাক শ্রমিকদের বাসে আগুন

    চট্টগ্রামে পোশাক শ্রমিকদের বাসে আগুন

    চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানার কাঠগড়ের গুমপাড়ায় পোশাক শ্রমিকদের একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

    বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ শুরুর দিন রোববার (৫ নভেম্বর) ভোরে এ আগুন দেয়।

    এদিকে, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতালও চলছে।

    এই দুই কর্মসূচির ফলে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে ভোর থেকে যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে। কমে গেছে মানুষের কোলাহল।

    পতেঙ্গা থানার ওসি আফতাব হোসেন বলেন, বাসটি পোশাক শ্রমিকদের নেওয়ার জন্য পতেঙ্গা থানার কাঠগড়ের গুমপাড়ায় অপেক্ষা করছিল। চালক বাসটি রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে ফজর নামাজ পড়তে মসজিদে যান। এ সময় একদল লোক সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর কয়েকজন পোশাক শ্রমিকের সামনে তারা বাসে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পুলিশ ২০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিভিয়ে ফেলে।

    এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান ওসি।

  • রবিবার চট্টগ্রামে বিএনপির সকাল সন্ধ্যা হরতাল

    রবিবার চট্টগ্রামে বিএনপির সকাল সন্ধ্যা হরতাল

    বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ঢাকায় গুলশানের একটি বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেওয়ার প্রতিবাদে আগামীকাল রবিবার (৫ নভেম্বর) চট্টগ্রামে সকাল সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি আহ্বান করেছে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবির আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক, চট্টগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেফতার নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাতে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনসাধারণকে এ কর্মসূচিতে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

    হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে সফল করার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং চট্টগ্রামবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন নেতৃবৃন্দ।

    চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরে সর্বাত্মকভাবে এ কর্মসূচি পালন করা হবে, তবে অ্যাম্বুলেন্স, সংবাদপত্রবাহী ও সাংবাদিকদের বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত থাকবে। পাশাপাশি রবিবার ও সোমবার বিএনপির ডাকা দেশব্যাপী দুইদিনের অবরোধ কর্মসূচিও চলমান থাকবে।

    চট্টগ্রামের সকাল সন্ধ্যা হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে সফল করার জন্য আহবান জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মো. নাছির উদ্দীন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা
    বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম।

    নেতৃবৃন্দ বলেন, হরতাল অবরোধ জনগণের অধিকার আদায়ের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মসূচি। বিএনপি ঘোষিত এই কর্মসূচী হচ্ছে শান্তিপূর্ণ, জনসম্পৃক্ত, সিনিয়র নেতাদের মুক্তি ও এক দফার দাবি আদায়ের। এই হরতাল, অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সরকারের পক্ষ থেকে নানামুখী অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তাই চট্টগ্রামবাসীকে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল অবরোধ কর্মসূচি পালন করার আহবান জানাচ্ছি।