Tag: চন্দনাইশে

  • মাইক্রোবাসে চালকের সিটের নিচে মিলল ৬৭ লক্ষ টাকার ইয়াবা, আটক ২

    মাইক্রোবাসে চালকের সিটের নিচে মিলল ৬৭ লক্ষ টাকার ইয়াবা, আটক ২

    চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের দোহাজারী পৌরসভা এলাকায় একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশী চালিয়ে চালকের সিটের নিচ থেকে ১৩ হাাজার ৫শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে র‌্যাব

    এসময় ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি (চট্ট-মেট্রো-চ-১১-৩৯৮১) জব্দ করার পাশাপাশি ইয়াবা পাচারে জড়িত দুজনকে আটক করা হয়।

    আটককৃত দুজন হলেন, কক্সবাজার জেলা টেকনাফের সাবরাং রুহুল্লারডেবা এলাকার মৃত ফজল আহমেদেও ছেলে মো. আলম (৪৩) ও একই জেলার উখিয়া রাজাপালং তুতুরতলি এলাকার নুর মোহাম্মদেও ছেলে মো. আইয়ুব (১৯)।

    তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাহমুদুল হাসান মামুন। তিনি বলেন, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি মাইক্রোবাসযোগে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য নিয়ে কক্সবাজার হতে চট্টগ্রামের দিকে আসছে।

    এমন সংবাদ পেয়ে আজ সোমবার (১২ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৫টার সময় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দোহাজারী বাজার মেসার্স কাসেম এন্ড ব্রাদার্স নামক একটি পেট্রোল পাম্প এর সামনে বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে র‌্যাব সদস্যরা।

    এসময় একটি মাইক্রোবাসের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র‌্যাব সদস্যরা থামানোর সংকেত দেয়। গাড়িটি র‌্যাবের চেকপোস্টের সামনে রেখে গাড়ি থেকে নেমে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে দুজন।

    পরে র‌্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে মাইক্রোবাস চালক আলমসহ দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃতদের উপস্থিতিতে মাইক্রোবাসের চালকের বাম পাশের সিটের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় ১৩ হাজার ৫শ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৬৭ লক্ষ ৫০ হাজার টকা।

    পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ আটক দুজনকে চন্দনাইশ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বললেন র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • চন্দনাইশে জোড়া খুনের ঘটনায় ওসি প্রদীপসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা

    চন্দনাইশে জোড়া খুনের ঘটনায় ওসি প্রদীপসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা

    ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম নিউজ : চট্টগ্রামের চন্দনাইশ পুলিশের সহায়তায় নিজ গৃহ থেকে ২ ভাইকে ধরে নিয়ে টেকনাফের মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে নিহত দুই ভাই আমানুল হক ফারুক ও আজাদুল হক আজাদের ছোট বোন রিনাত সুলতানা শাহীন।

    মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্ ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ) এর আইনি সহায়তায় আজ বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুন নাহার রুমী’র আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি। শাহীন একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বলে জানা গেছে।

    মামলায় বর্তমান সময়ের আলোচিত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও টেকনাফ থানার আরো ৪ পুলিশ সদস্যসহ মোট ৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং একই মামলায় চন্দনাইশ থানা পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়।

    এ মামলায় আসামির তালিকায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নাম ছাড়াও উল্লেখ রয়েছে টেকনাফ থানার উপপরিদর্শক ইফতেখারুল ইসলাম, কনস্টেবল মাজহারুল, দ্বীন ইসলাম ও আমজাদের নাম।

    দুই ভাই হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাদির আইনজীবী এডভোকেট জিয়া আহসান হাবীব।

    তিনি বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের এএসপিকে (আনোয়ারা) মামলাটি তদন্ত করে আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

    মামলার আরজিতে বলা হয়, চলতি বছরের ১৩ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে বাহারাইন ফেরত ছোট ভাই আজাদুল হক আজাদ নিখোঁজ হয়। এর দুদিন পরেই ১৫ জুলাই দুপুর ২ টার দিকে বাসা থেকে তার বড় ভাই আমানুল হক ফারুককে ধরে নিয়ে যায় চন্দনাইশ থানা পুলিশ।

    একইদিন সন্ধ্যায় ফারুককে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়। রাতে নিখোজ আজাদ ও বাসা থেকে তুলে নেওয়া ফারুকের মায়ের মুঠোফোনে অজ্ঞাত পরিচয়ে একটি ফোন আসে। দুই ভাইকে জীবিত পেতে চাইলে ৮ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়।

    মুক্তিপনের টাকা না দেওয়াতে পরদিন দুই ভাইকে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে হত্যা করা হয়। চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেশব চক্রবর্তীর যোগসাজশে ওই দুই ভাইকে তুলে নিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছিলেন নিহতদের স্বজনরা।

    এ বিষয়ে মামলার বাদি আইনজীবী এডভোকেট জিয়া আহসান হাবীব বলেন, দুই সহোদর ভাইকে টেকনাফের মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে হত্যার কথা বললেও প্রকৃত পক্ষে তাদেরকে ধরে নেয়া হয় চন্দনাইশের ঠিকানা থেকে। যার ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য সাক্ষ্য প্রমান আদালতে দাখিল করা হয়।

    বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট এ.এম জিয়া হাবীব আহসান, এডভোকেট এ.এইচ.এম জসিম উদ্দিন, এডভোকেট দেওয়ান ফিরোজ আহমদ, এডভোকেট মোঃ হাসান আলী, এডভোকেট প্রদীপ আইচ দীপু, এডভোকেট সাইফুদ্দিন খালেদ ও এডভোকেট মোহাম্মদ বদরুল হাসান।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • চন্দনাইশে মিনিবাস ও মোটর সাইকেলের সংঘর্ষে বাবুর্চির মৃত্যু

    চন্দনাইশে মিনিবাস ও মোটর সাইকেলের সংঘর্ষে বাবুর্চির মৃত্যু

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশে মিনিবাস ও মোটর সাইকেলের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন নুরুল ইসলাম প্রকাশ একরাম (৫০) নামে এক হোটেল বাবুর্চি।

    আজ ১৪ মার্চ শনিবার ভোর ৬টার দিকে উপজেলার গাছবাড়িয়া ফিলিং স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নুরুল ইসলাম উপজেলার মধ্যম গাছবাড়িয়া পক্ষী মার্কা এলাকার আবু তালেব মুন্সী বাড়ির মৃত আবদুল আজীমের ছেলে এবং পেশায় তিনি একজন বাবুর্চি বলে জানা গেছে।

    পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভোরে চট্টগ্রাম শহরমুখী একটি মিনিবাস গাছবাড়িয়া ফিলিং স্টেশন এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি মোটর সাইকেলের সাথে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

    মোটরসাইকেলটি বাঁচানোর চেষ্টা করলে মিনিবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পার্শ্ববর্তী গাছবাড়িয়া ফিলিং স্টেশন এলাকায় ঢুকে পড়ে। এসময় সড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে নিজের কর্মস্থলে যাওয়ার পথে হোটেল বাবুর্চি নুরুল ইসলামকে সজোরে ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

    সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের তথ্যটি নিশ্চিত করেন দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াছির আরাফাত। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দোহাজারী হাইওয়ে পুলিশ দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল থেকে বাবুর্চি নুরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।

    তাছাড়া দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নেয়া হয়েছে জানিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বাসের সাথে ধাক্কা লেগে ২ মোটরসাইকেল আরোহী আহত হলেও তারা ঘটনার পর পর মোটরসাইকেলটি ফেলে চলে যাওয়ায় তাদের নাম ও ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

    ২৪ ঘন্টা/ আরএসপি