Tag: চবি ছাত্রলীগ

  • তুমি কে, আমি কে- রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে ছাত্রলীগের হামলা

    তুমি কে, আমি কে- রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে ছাত্রলীগের হামলা

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যেকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাঝরাতে ‘তুমি কে, আমি কে- রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে মিছিল করলে ক্যাম্পাসের কাটাপাহাড় সড়কে পেছন থেকে অতর্কিত হামলা করে ছাত্রলীগ। এতে আহত হয় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।

    রবিবার (১৪ জুলাই) রাত ১১ টায় চবি জিরো পয়েন্টে প্রধানমন্ত্রীর কোটা বিষয়ক মন্তব্যের প্রতিবাদে “চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার”, “তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার” স্লোগানে বিক্ষোভ শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে তাদেরকে ছাত্র ভঙ্গ করে দেয় ছাত্রলীগ

    বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা জিরো পয়েন্ট থেকে কাটা পাহাড় রোড হয়ে শহিদ মিনারের দিকে যাচ্ছিলেন। এমতাবস্থায়, হামলা করে সে ছাত্রলীগ। হামলায় ছত্রভঙ্গ হয়ে আন্দোলনকারী একদল শিক্ষার্থী বলেন, “আন্দোলনরত অবস্থায় পেছন থেকে ছাত্রলীগ কর্মীরা লাঠি সহ ধাওয়া করে এবং আমাদের মারপিট করে।”

    মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ চবি শাখার সভাপতি ও সিএফসি গ্রুপের অনুসারী শরিফ উদ্দিন, কনকর্ড গ্রুপের অনুসারী আবরার শাহরিয়ারের নেতৃত্বে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়।

  • মধ্যরাতে চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, দেশীয় অস্ত্রের মহড়া

    মধ্যরাতে চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, দেশীয় অস্ত্রের মহড়া

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সোমবার (২৯ জানুয়ারি) মধ্যরাতে শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক দুই গ্রুপ চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) এবং ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

    মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ১টার দিকে চবির সোহরাওয়ার্দী হল ও শাহ আমানত হলের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    এসময় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখা যায়।

    জানা গেছে, ভিএক্স গ্রুপের অনুসারী চারুকলার শিক্ষার্থী আলমাসকে মারধরের জেরে সংঘর্ষের জড়ায় ভিএক্স ও সিএফসির অনুসারীরা।

    পরে শাহ আমানত হলের সামনে সিএফসি এবং সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে ভিএক্সের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়।

    ভিএক্স গ্রুপের নেতা চবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, আমরা চাই মিলেমিশে রাজনীতি করতে।

    কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় একসঙ্গে থাকতে গিয়ে ঝামেলা তৈরি হয়। আজকেও জুনিয়রদের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে এ সংঘর্ষ হয়েছে।

    সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন বলেন, সিএফসি ও ভিএক্সের জুনিয়রদের মধ্যে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশ এবং প্রক্টরিয়াল বডি উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

  • চবি ছাত্রলীগ সভাপতির কক্ষ ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা

    চবি ছাত্রলীগ সভাপতির কক্ষ ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা

    নিজের গ্রুপের কর্মীকে কোপানোর অভিযোগে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের আবাসিক হলের কক্ষ ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুর ২টার দিকে শাহ আমানত হলের ৩১১ নম্বর কক্ষ ভাঙচুর করে করা হয়।

    এর আগে নিজ গ্রুপ সিএফসির কর্মীকে কোপানোর ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের বিরুদ্ধে। এই সংক্রান্ত একটি ফোনকল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

    অডিও রেকর্ডটি ভাইরাল হওয়ার পর রেজাউল হক রুবেলকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে তার গ্রুপ সিএফসি। গত বুধবার রাত ১টার দিকে শাহ আমানত হলের সামনে রুবেলের গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে, রুবেলের চামড়া, তুলে নিব আমরা সংবলিত স্লোগান দিতে দেখা যায় সিএফসির কর্মীদের।

    তাদের অভিযোগ, রুবেলের বিরুদ্ধাচারণ করলে নিজ দলের কর্মীদের শায়েস্তা করতে দ্বিধাবোধ করেন না। এছাড়া ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে বিভিন্নভাবে রুবেল অনৈতিক ফায়দা লুটেছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তারই দলের কর্মীরা।

    এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সিএফসির কর্মী খালেদ মাসুদ বলেন, রুবেল নিজের কর্মীকে আঘাত করার কথা স্বীকার করছে। যে নিজ দলের কর্মীকে আঘাত করতে পারে তার আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন উঠে। অতীতেও সে এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে। তার কাছে আমরা কেউই নিরাপদ না। সে যেকোন সময় আমাদেরকেও অন্য দলের কর্মীদের দিয়ে আঘাত করতে পারে। তাছাড়া সে ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে বিভিন্নভাবে অনৈতিক ফায়দা লুটেছে। আদর্শ বিবর্জিত কোন নেতার নেতৃত্ব আমরা মানবো না। তাই চবি ক্যাম্পাস থেকে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।

    এদিকে ভাইরাল হওয়া রেকর্ডে শোনা যায়, নিজ দলের এক কর্মীকে পাশে থাকার কথা বলতে গিয়ে সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, রমজাইন্নারে (শাখা ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক ও সিএফসির কর্মী) মারতে হইছে আমার? আমারে চিটাগাং ভার্সিটির সবাই ভয় পাইতো রে ভাই, ভয় পায়। তুই শুধু আমার পাশে থাক। বাকি কাজ অটো হয়ে যাবে। রমজাইন্নারে কোপ পড়ছে না? অনেক লাফাইছে না? লাফাইছে রমজান। ওই হিসেবে পড়ি গেছে। সবকিছু মুখে বলতে হবে কেন? চুপ করে থাক না। আমারে দাঁড়াইতে দে। দেখবি অনেকে অনেক হিসাবের মধ্যে হয় পায়ে এসে পড়বে নয়তো নিজের মতো নিজের হিসাব মিলাই নিবে।

    তবে অডিও ফোনকল রেকর্ডটিকে সুপার এডিটেড দাবি করে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এটা সুপার এডিটেড। আমার বিভিন্ন কথাবার্তাকে সংযোজন বিয়োজন করে এই অডিও রেকর্ডটা বানানো হয়েছে।

    এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সিএফসির নেতা সাদাফ খান বলেন, এটা রেজাউল হক রুবেলেরই ফোনকল রেকর্ড। নিজের কর্মীকে আঘাত করার কথা স্বীকার করছে সে (রুবেল)। তার কাছে নিজ দলের কর্মীরাও নিরাপদ না। সে ছাত্রলীগের আদর্শ বহির্ভ‚ত। তাই তাকে চবি ক্যা¤পাস থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা তার রুম ভাংচুর করেছে। তার ক্যা¤পাসে থাকার কোনো অধিকার নেই।

    প্রসঙ্গত, গত পহেলা জুন ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিন শাখা ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক রমজান হোসাইনকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের কর্মীরা।

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ২০১৯ সালের ১৩ জুলাই সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি। এর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে নানা অপকর্মের সাথে সংশ্লিষ্টতায় আলোচনায় আসেন এই নেতা। এমনকি তার বিরুদ্ধে ঝাড়-মিছিলও করেছেন খোদ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

  • প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভ প্রত্যাহার ছাত্রলীগের

    প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভ প্রত্যাহার ছাত্রলীগের

    মানহীন খাবারের দাম বৃদ্ধি, ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়, ভর্তিচ্ছুদের ভোগান্তি, হলের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ইত্যাদি কারণ দেখিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলা বিক্ষোভ প্রশাসনের আশ্বাসে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

    বুধবার (১৮ মে) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে প্রধান গেট আটকে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশ। জানা যায়, ১৬ মে থেকে চবিতে শুরু হয় ২০২২-২৩ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষার শুরু থেকেই খাবারের দাম ও রিকশা এবং বাস ভাড়া নিয়ে শুরু হয় অভিযোগ। মানহীন খাবারের ইচ্ছামতো দাম রাখছে বিশ্ববিদ্যালয় দোকানিরা।

    তবে ভ্রুক্ষেপহীন প্রশাসন। পাশাপাশি ভাড়া বেড়েছে কয়েকগুণ। ২০ টাকার ভাড়া ক্ষেত্রবিশেষে রাখা হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে চলছে সমালোচনা। আন্দোলনকারীরা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর কর্মী এবং নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

    আন্দোলকারী ছাত্রলীগকর্মী সৌরভ ভূইয়া বলেন, ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সিন্ডিকেট করে কয়েকগুণ ভাড়া আদায় করছে বাস, সিএনজি চালকরা। বারবার ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও প্রশাসনের অবস্থান শূন্য। এর প্রতিবাদে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি।

    তবে ৩ নম্বর বাসের ড্রাইভার মোহাম্মদ নূরনবী বলেন ভিন্ন কথা। বলেন, ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলেই আমাদের থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা নেয়। এজন্য আমরা কিছু টাকা বাড়িয়ে নেই। তবে কে চাঁদা নেন তার যথাযথ জবাব দিতে পারেননি তিনি।

    শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু জানান, অসংখ্য শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে আসছে। কিন্তু প্রশাসনের কোনো তদারকি নেই। হলে থাকে না বিদ্যুৎ ও পানি। হাজার হাজার ভর্তিচ্ছুর কষ্ট দেখেও দেখার কেউ নেই। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলতে পারে না। আমাদের দাবিগুলো অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছে তারা কাল থেকে বিষয়গুলো জোরালোভাবে দেখবেন। সেই আশ্বাসে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, কিছু অভিযোগে ছাত্রলীগের কর্মীরা আন্দোলন শুরু করে।অভিযোগগুলো আমরা আগেও পেয়েছি। এরই মধ্যে বিকেলে ভাড়া বেশি নেওয়ার কারণে কয়েকজন বাস সিএনজি চালককে জরিমানাও করা হয়েছে। কাল থেকে আরও কঠোরভাবে বিষয়গুলো দেখা হবে।

     

  • চবি ছাত্রলীগকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শোকজ

    চবি ছাত্রলীগকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শোকজ

    একের পর এক সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ ক্ষুণ্ণ হওয়া, গঠনতান্ত্রিক কার্যক্রমের ব্যত্যয় ও পূর্বে দেওয়া শোকজ নোটিশের জবাবের উপযুক্ত প্রতিফলন না হওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুকে নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

    শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নোটিশ করা হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্তমোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, ধারাবাহিক সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ ক্ষুণ্ণ হওয়া, গঠনতান্ত্রিক কার্যক্রমের ব্যত্যয় ও পূর্বে প্রদানকৃত শোকজ নোটিশের জবাবের উপযুক্ত প্রতিফলন না হওয়ায় রেজাউল হক রুবেল (সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) ও ইকবাল হোসেন টিপু (সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) আপনাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার উপযুক্ত কারণসহ লিখিত জবাব উল্লেখিত ব্যক্তিদের আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

  • চবি ছাত্রলীগে ত্রি মুখী সংঘর্ষ

    চবি ছাত্রলীগে ত্রি মুখী সংঘর্ষ

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গভীর রাতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়িয়েছে। সংঘর্ষে জড়ানো গ্রুপগুলো হলো বিজয়, সিএফসি ও সিক্সটি নাইন। এর মধ্যে বিজয় ও সিএফসি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং সিক্সটি নাইন নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

    মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।

    এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে চলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ। দেশীয় অস্ত্রসহ অনেক ছাত্রলীগ কর্মীকে দেখা যায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

    জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশনতলায় সিক্সটি নাইনের এক কর্মীর সঙ্গে সিএফসির এক কর্মীর কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়, যা একপর্যায়ে রূপ নেয় সংঘর্ষে। সিএফসিকে সমর্থন দেয় বিজয় গ্রুপ। এতে সংঘর্ষ ত্রিমুখীতে রূপ নেয়।

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তাদের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা চলছে। আশা করি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

  • চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩

    চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩

    কথা-কাটাকাটির জের ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) রাত ১০টায় সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    আহতরা হলেন ২০১৯-২০ সেশনের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের মামুন, ২০১৮-১৯ সেশনের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের মানিক এবং ২০১৭-১৮ সেশনের বোটানি বিভাগের শাহ পরান। এরমধ্যে শাহ পরানকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে।

    ছাত্রলীগের এ গ্রুপ দুইটি হলো-ভিএক্স ও সিক্সটি নাইন গ্রুপ। গ্রুপ দুইটিই নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। এর মধ্যে সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতৃত্ব দেয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু এবং ভিএক্স গ্রুপের নেতৃত্ব দেয় সহ-সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দূর্জয়।

    জানা গেছে, শহর থেকে ক্যাম্পাসগামী রাতের শাটলে সিট ধরাকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ভিএক্সের কর্মীরা সিক্সটি নাইনের একজনকে মারধর করে। পরে শাটল স্টেশনে পৌঁছালে সিক্সটি নাইনের কর্মীরা ভিএক্স এর কয়েকজনকে ধাওয়া করে যা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষ প্রচুর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আবু তৈয়ব জানান, আহত ৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেকে পাঠানো হয়েছে।

    শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ইকবাল হোসেন টিপু জানান, এখানে কে কোন গ্রুপের তা দেখার সুযোগ নেই। প্রশাসন যেন অপরাধী খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করে।

    ভিএক্স গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদেক হোসেন টিপু বলেন, তারা অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরে আমরা তা প্রতিহত করি। যারা আমাদের ওপরে হামলা চালিয়েছে প্রশাসনের কাছে তাদের বিচারের দাবি জানাই।

    চবি প্রক্টর রবিউল হাসান ভুঁইয়া জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তারা সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষের খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অপরাধীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • চবি ছাত্রলীগের অবরোধ: ফটকে তালা, বন্ধ শাটল ট্রেন

    চবি ছাত্রলীগের অবরোধ: ফটকে তালা, বন্ধ শাটল ট্রেন

    পদবঞ্চিতদের মূল্যায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের একাংশ। এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। চলাচল করেনি শাটল ট্রেন-বাস। স্থগিত করা হয়েছে বিভিন্ন অনুষদের ক্লাস-পরীক্ষা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

    সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরসহ বিভিন্ন বিভিন্ন দপ্তরে তালা দিয়ে অবরোধ শুরু করেন তারা।

    বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ছয়টি উপগ্রুপ অবরোধে অংশ নেয়। এগুলো হলো- ভিএক্স, কনকর্ড, আরএস, বাংলার মুখ, এপিটাফ ও উল্কা। সবগুলো গ্রুপই সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী।

    পদবিঞ্চত একাদিক নেতা জানান, পদবঞ্চিত, ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটি বর্ধিতকরণ, কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের যোগ্যতা অনুসারে পদ পুনঃমূল্যায়ন ও পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাগ্রহণ এ তিনটি দাবি করে আসছি।

    ষোলশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অবরোধের কারণে সকাল সাড়ে ৭টা ও ৮টার শাটল ট্রেন চলাচল করেনি। চালকরা প্রশাসনের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে। বিষয়টি সুরাহা হলে স্বাভাবিক শিডিউলেই শাটল চলবে।

    বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি রকিবুল হাসান দিনার বলেন, পদবঞ্চিতরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ করছেন। তিনটি দাবিতে এ আন্দোলন। দাবি পূরণ না হলে আমরা আন্দোলন থেকে সরে আসবো না। দীর্ঘদিন থেকেই আমরা নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসছিলাম।

    তিনি বলেন, আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন কমিটি বর্ধিত করবেন। কিন্তু এখন তিনি উল্টো হল ও ফ্যাকাল্টি কমিটি দেওয়ার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। তাই আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শহিদুল ইসলাম জানান, তাদের কমিটির দাবিতো আমরা পূরণ করতে পারবো না। এর জন্য তাদের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। ঠুনকো কারণে এভাবে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে ফেলার এখতিয়ার তাদের নেই। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।

    এর আগে তিন বছর পর ৩১ জুলাই চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছে পদবঞ্চিতরা।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে চবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

    বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে চবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

    চবি প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

    শনিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে জিরো পয়েন্টে এসে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

    প্রতিবাদ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল হাসান দিনার বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে হামলা দেশের মানচিত্রে হামলার শামিল। এ দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে, তাদের অতি দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো চবি ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়নি। আমরা অতি দ্রুত ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

    এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা নিয়াজ আবেদিন পাঠান, রাজু মুন্সি, অনুপম রুদ্র, দ্বীন ইসলাম, মারুফসহ শতাধিক ছাত্রলীগ কর্মী।

    ২৪ ঘণ্টা/মেহদি

  • মামুনুল হক হাটহাজারী আসায় সড়ক অবরোধ করেছে চবি ছাত্রলীগ

    মামুনুল হক হাটহাজারী আসায় সড়ক অবরোধ করেছে চবি ছাত্রলীগ

    চবি প্রতিনিধিঃ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি কারি বক্তা মামুনুল হক চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মাহফিলে আসার খবরে সড়ক অবরোধ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর ) বেলা পৌনে ১২টার দিকে চবির এক নম্বর গেইটে চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে তারা।

    বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, বিতর্কিত বক্তা মামুনুল হকের হাটহাজারীতে আগমন রুখতে সড়কে অবস্থান নিয়েছি। কোনোভাবেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারীকে ছাড় দেওয়া হবে না।

    হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, কিছু ছেলে সড়ক অবরোধ করেছিল। তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

    এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে মামুনুল হককে প্রতিরোধের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ।