Tag: চবি শিক্ষার্থী

  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

    চবি প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থী সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাত তিনটার দিকে নিজ বাড়িতে সে আত্মহত্যা করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থীর নাম নাইমুল হাসান। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার বাবা কামাল হোসেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত। তার গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার সোনাইপুল গ্রামে।

    আত্মহত্যার পূর্বে নাইম একটি সুইসাইড নোটে লিখেছেন, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, আমার বেঁচে থাকার কোনো ইচ্ছা নেই তাই আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। ডারউইন বলেছিলেন, surrvival for fittest, but I not even fit. আমার জন্য কেউ কখনো কষ্ট পেয়ে থাকেন, পারলে মাফ করে দিয়েন।

    তিনি আরও লিখেছেন, আম্মু আমাকে মাফ করে দিয়েন, লিমনের খেয়াল রাখিয়েন। আব্বু আমাকে সফল করার জন্য অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন, আমি পারিনি, তাই ক্ষমাপ্রার্থী।

    নাইম হাসানের প্রতিবেশী ও বাল্যবন্ধু মো. আরমান ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে নাইমুল রুম থেকে বের হয়ে মা ও ভাইকে দেখে আসে। পরে পানি খেয়ে আধা ঘণ্টা ঘরের বাইরে অবস্থান করে। এরপর সম্ভবত তিনটার দিকে রুমে এসে দরজা লাগিয়ে গলায় গামছা প্যাঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

    তিনি আরও জানান, তার মা ফজরের নামাজ পড়তে উঠলে রুমে বাতি জ্বলতে দেখেন। সাধারণত সে বাতি জ্বালিয়ে ঘুমায় না। এ সময় তাকে অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খুললে সকাল সাতটার দিকে দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।

    রামগড় থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনির হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছি। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

    ২৪ ঘণ্টা/মেহেদি

  • মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চবি শিক্ষার্থী গুরুতর আহত

    মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চবি শিক্ষার্থী গুরুতর আহত

    চবি প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থী মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন।

    রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চবির প্রীতিলতা হলের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    আহত শিক্ষার্থীর নাম মো. আফসার। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাবা বেলায়েত হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী।

    প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারণে নিয়ন্ত্রণ হারান আফসার। এতে পড়ে গিয়ে তার মাথায় ও মুখে জখম লাগে তার।

    এ বিষয়ে চবি মেডিকেল সেন্টারের প্রধান মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, আহত আফসারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    বর্তমানে সে চমেকের ২৮ নম্বর নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/মেহেদি

  • হাসপাতাল থেকে বের হয়ে নিখোঁজ চবি শিক্ষার্থী

    হাসপাতাল থেকে বের হয়ে নিখোঁজ চবি শিক্ষার্থী

    চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি)শিক্ষার্থী আবরার লাবিব।

    মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা যায়।

    নিখোঁজ আবরার লাবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজার জেলায়। সে ক্যাম্পাসস্থ কটেজে থাকত। করোনার বন্ধের পর পরিবারের সাথে গ্রামের বাড়ি কক্সবাজার থাকে সে।

    নিকটাত্মীয়দের থেকে জানা যায়, লাবিবের বাবা করোনা আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিল। হাসপাতালে বাবাকে দেখাশোনা করে আসছিল লাবিব। তার পরিবারও হাসপাতালে অবস্থান করছিল। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তার বাবার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে হাসপাতাল থেকে হাটতে বের হয় লাবিব।

    পরে রাত ১১ টার পরেও হাসপাতালে না ফিরলে সবাই চিন্তিত হয়ে পড়ে। বের হওয়ার সময় মোবাইল সাথে নেয়নি সে। গ্রামের বাড়ি, আত্মীয়দের বাড়ি ও বন্ধুদের কাছে খোঁজ নিয়েও সন্ধান মেলেনি।

    অনেক খোঁজাখুঁজির পর এখনও তার সন্ধান না মেলাতে আজ (বুধবার) ডবলমুরিং থানায় একটা জিডি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ডবলমুরিং থানার তদন্ত কর্মকর্তা এমএম মানিক বলেন, নিখোঁজ চবি ছাত্র আবরার লাবিবের পরিবার বুধবার (৬ জানুয়ারি) সকালে থানায় জিডি করেছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিচ্ছি। দ্রুত লাবিবকে খুঁজে বের করা হবে।

  • স্মার্টফোন কেনার জন্য ঋণ পাচ্ছে চবির ৩৭৫০ শিক্ষার্থী

    স্মার্টফোন কেনার জন্য ঋণ পাচ্ছে চবির ৩৭৫০ শিক্ষার্থী

    চবি প্রতিনিধিঃ অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণের সুবিধার্থে স্মার্টফোন কেনার জন্য বিনা সুদে শিক্ষাঋণ পাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৩ হাজার ৭৫০ জন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তরফ থেকে প্রতি শিক্ষার্থী ৮ হাজার টাকা করে ঋণ পাবে।

    এ বিষয়ে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, করোনাকালীন অনলাইনে ক্লাসের প্রয়োজনে স্মার্টফোন কিনতে শিক্ষাঋণ পাচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ হাজার ৭৫০ জন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটলোন অনুমোদন কমিটির সুপারিশের পর শিক্ষার্থীরা আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে এই টাকা পেতে শুরু করবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই ঋণ প্রদান করা শেষ হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ের মধ্যে চার কিস্তি বা এককালীন এই ঋণ শিক্ষার্থীদের পরিশোধ করতে হবে।

    এর আগে বুধবার (৪ নভেম্বর) অনলাইন প্লাটফর্মে ইউজিসি আয়োজিত এক সভায় শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ক্রয়ে সুদবিহীন ঋণ দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ।

    সভায় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কর্তৃক গঠিত ‘সফটলোন অনুমোদন কমিটির’ সুপারিশের আলোকে অনধিক ৮ হাজার টাকা শিক্ষার্থীকে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলা হয়। শিক্ষার্থীকে শুধুমাত্র আসল অর্থ পরিশোধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর কিংবা অধ্যয়নকালীন ৪টি সমান কিস্তিতে বা এককালীন তারা এই ঋণ পরিশোধ করতে পারবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/মেহেদী

  • চবি শিক্ষার্থীর মাথা ফাটালো সিএনজি চালকরা

    চবি শিক্ষার্থীর মাথা ফাটালো সিএনজি চালকরা

    চবি প্রতিনিধিঃ ভাড়া নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক আবু হেনা মাসুমের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে সিএনজি চালকরা। এতে ওই শিক্ষার্থীর মাথায় পাঁচটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

    শুক্রবার (৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেটের মক্কা-মদিনা হোটেলে এই ঘটনা ঘটে। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

    জানা যায়, গত দুই তিনদিন আগে মাসুমের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে এক সিএনজি চালকের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। পরে আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেট এলাকায় ভাত খেতে গেলে আগে থেকে তাকে অনুসরণ করে তিন সিএনজি চালক। হঠাৎ করে তাকে মারধর শুরু করে। এতে মাসুমের মাথা ফেটে যায় ও প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।

    মাসুমের বন্ধু সাইফুল বলেন, এই ঘটনায় আগামীকাল (শনিবার) আমরা হাটহাজারী থানায় মামলা করবো। এছাড়া প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দিবো।

    বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. মো. আতিকুর রহমান বলেন, ভাড়া নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে এক শিক্ষার্থীর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে সিএনজি চালকরা। আমরা শিক্ষার্থীকে দেখে এসেছি। তার মাথায় সেলাই করা হয়েছে। ঘটনা যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে হয়েছে তাই পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/মেহেদী

  • পাহাড়ে উঠে ছিনতাইয়ের শিকার চবির ১৬ শিক্ষার্থী

    পাহাড়ে উঠে ছিনতাইয়ের শিকার চবির ১৬ শিক্ষার্থী

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদের পেছনে অবস্থিত টেলিটক পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন ১৬ শিক্ষার্থী।

    সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এ ঘটনা ঘটে।

    ছিনতাইয়ের শিকার সকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা যায়। এ সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১১টি মোবাইল, একটি সোনার চেইন ও প্রায় পাঁচ হাজার নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা।

    ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাফহিমুল নিহাল বলেন, ‘আমাদের ব্যাচের ১৬ জন বন্ধু-বান্ধব মিলে টেলিটক হিলে ঘুরতে গেলে পাঁচজন মুখোশ পরা ছিনতাইকারী রামদা হাতে নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় আমাদের কাছ থেকে ১১টি স্মার্ট ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ বিষয়ে আমরা প্রক্টরের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

    তিনি আরো বলেন, ছিনতাইয়ের কিছুক্ষণ পর আমাদের আরো কয়েকজন সহপাঠীদের নিয়ে পুনরায় ঘটনাস্থলে গেলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। তাদের দেখে আমরা দৌঁড়ে পিছু নেই। একপর্যায়ে তারা খালের মধ্যে দিয়ে জঙ্গলের ভিতরে ঢুকে যায়। এ সময় আমরা দুটি ফোন সেখান থেকে উদ্ধার করি।

    এ বিষয়ে চবি প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ছিনতাই নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।