Tag: চমেকে

  • এবার চমেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেল সিএমপির পুলিশ কনেস্টেবল

    এবার চমেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেল সিএমপির পুলিশ কনেস্টেবল

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যুর খবর জানা গেছে।

    আজ ১ জুন সোমবার সকাল ১১টার সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুবরণকারী ওই পুলিশ সদস্যের বয়স ২৮।

    তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি}‘র পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) কন্সটেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে সিএমপি সূত্রে জানা গেছে।

    তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও জনসংযোগ কমকর্তা আবু বকর সিদ্দিক। করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর পর করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা জানা যাবে।করোনা উপসর্গ নিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু জানাজা

    এদিকে সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান সহ সিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে মারা যাওয়া ওই পুলিশ কনস্টেবলের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

    নগরীর সিএমপির দামপাড়া পুলিশ লাইনে জানাজা শেষে সিএমপি’র ব্যবস্থাপনায় মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে বললেন সিএমপির জনসংযোগ শাখার এ কর্মকর্তা ।

    মৃত্যুবরণকারী পুলিশ কনস্টেবলের বাড়ি ফেনী জেলার পরশুরামে এলাকায়। তিনি ২০১২ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেছিলেন বলে সিএমপি সূত্রে জানা গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • সীতাকুণ্ডে করোনায় নারীর মৃত্যু, উপসর্গ নিয়ে চমেকে মারা গেছে তরুণ চিকিৎসক

    সীতাকুণ্ডে করোনায় নারীর মৃত্যু, উপসর্গ নিয়ে চমেকে মারা গেছে তরুণ চিকিৎসক

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : দিন যতই যাচ্ছে করোনার থাবায় দিশেহারা হয়ে উঠছে বাণিজ্যিক নগর চট্টগ্রাম। আক্রান্তের তালিকায় ইতিমধ্যে দেশের রাজধানী ঢাকার পরেই এখন চট্টগ্রামের অবস্থান। রীতিমতো করোনা মহামারির হটস্পটে পরিণত হয়েছে।

    সোমবার (২৫ মে) সকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৭১০ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরে ১ হাজার ৩০৬ ও উপজেলায় ৩০৪ জন।

    গত ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে মৃত্যুবরণকারীর তালিকায় যোগ হলো আরো একজনের নাম। করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯ এ) আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায়।

    গতকাল ২৪ মে রবিবার সকালে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নে করোনার উপসর্গ নিয়ে ৭০ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়। রাতে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে তাঁর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। সীতাকুণ্ডে করোনা সংক্রমণ শুরুর দেড় মাস পর প্রথমবারের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।

    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, ওই নারীর জ্বর ও শ্বাসকষ্ট থাকায় গত শনিবার দুপুরে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রোববার সকালে তিনি মারা যান। সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।

    ২৪ মে রবিবার রাতে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার ফলে তাঁর করোনা পজিটিভ আসে। এছাড়া একই দিনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে আরও পাঁচজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে তিনি জানান। এ মৃত্যুটিসহ চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত সরকারি তালিকায় ৫৪ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।

    করোনা উপসর্গ নিয়ে তরুণ চিকিৎসকের মৃত্যু : আজ সোমবার (২৫ মে) ভোর ৬টার দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ৩৪ বছর বয়সী তরুণ চিকিৎসক ডা. এস এম জাফর হোসাইন রুমি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    মৃত্যুবরণকারী তরুণ চিকিৎসক ডা. এস এম জাফর হোসাইন রুমি বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের ৩য় ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন।

    আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালক ডা. নুরুল হক তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৬ মে শনিবার তরুণ এ চিকিৎসকের শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তিনি আমাদের হাসপাতালের কেবিনে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নেন। শারিরীক অবস্থা খারাপের দিকে গেলে ওইদিন দুপুরেই তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ)তে নেওয়া হয়।

    গত ১৯ মে তার অবস্থা আরো খারাপ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণের উদ্দ্যেশে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স তৈরি করা হলেও করোনা উপসর্গ জানতে পেরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি তাকে না নিয়ে ফিরে যায়। পরে পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার ভোর ৬ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে এর আগেও চিকিৎসক জাফর হোসাইনের করোনা পরীক্ষার নমুনা নেওয়া হয়েছে। প্রথম বার নমুনা পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ এসেছিল। পরে পরীক্ষার জন্য আবারও নমুনা নেওয়া হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষার জন্য বিআইটিআইডি ও চমেকে ৮ হাজার কিট!

    চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষার জন্য বিআইটিআইডি ও চমেকে ৮ হাজার কিট!

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : দেশে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল রূপ ধারণ করছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।

    আক্রান্তের সংখ্যায় থেমে নেই চট্টগ্রামও। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে ৬৭ জন।

    স্বস্তি বলতে, করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামে এলো ৮ হাজার কিট। এর মধ্যে চট্টগ্রামের করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রধান পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটে অবস্থিত বিআইটিআইডি পেলো ৫ হাজার কিট।

    এর আগে রাজধানীর রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (আইইডিসিআর) করোনাভাইরাসের কিটের জন্য চাহিদাপত্র দিয়েছিল চট্টগ্রামের ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)। এরপর ২৭ এপ্রিল বিআইটিআইডিতে এসে পৌঁছায় মোট পাঁচ হাজার কিট।

    এর আগে গত ১৬ এপ্রিল রাতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের গাড়িতে করে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য ১ হাজার ৯২০টি কিট এনে বিআইটিআইডিকে হস্তান্তর করা হয়েছিলো।

    এদিকে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রামের আরো একটি করোনা পরীক্ষাগার। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবেই হবে করোনা পরীক্ষা।

    তবে নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবটি এখনো চালু না হলেও তাদের হাতে পৌছে গেছে ৩ হাজার কিট। ল্যাবটি চালু হতে আরো এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

    গতকাল মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯ টার সময় চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা: সেখ ফজলে রাব্বি জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বিআইটিআইডিতে এখন পর্যন্ত ২৭৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৭ জন।

    শুধুমাত্র নগরীতেই করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ৪২ জন। তাছাড়া সাতকানিয়ার ১৫ জন, সীতাকুণ্ডের ২ জন, বোয়ালখালীর ২ জন, পটিয়ার ২ জন, আনোয়ারার ১ জন, চন্দনাইশের ১ জন, ফটিকছড়ির ১ জন, হাটহাজারীতে ১ জন ও মিরসরাইতে ২ জন এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছে।

    এর মধ্যে পাঁচজন ইতিমধ্যে মারা গেছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • ডবলমুরিংয়ে আগুন : না ফেরার দেশে একই পরিবারের ৪ সদস্য

    ডবলমুরিংয়ে আগুন : না ফেরার দেশে একই পরিবারের ৪ সদস্য

    চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার মৌলভীপাড়া এলাকায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় একই পরিবারের দগ্ধ আরো তিন সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা গেছে। এ ঘটনায় একই পরিবারের ৪ সদস্যই চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে তথ্যটি নিশ্চিত করেন ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সদীপ কুমার দাশ। তিনি বলেন, গত ১৯ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরী ডবলমুরিং থানার মৌলভীপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। এতে একই পরিবারে স্বামী স্ত্রী ও তাদের দুই সন্তান অগ্নিদগ্ধ হয়েছিল।

    অগ্নিদগ্ধদের উদ্ধার করে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ৪ বছরের শিশু সন্তান আশরাফুলকে মৃত্যু হয়। একই পরিবারের বাকি তিনজনের অবস্থা গুরুতর দেখে সকলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে চমেকের কর্তব্যরত চিকিৎসক। ঘটনার ৪দিন পর গত বুধবার ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় দগ্ধ তিনজনের মৃত্যু হয়। আরো খবর : আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যু

    নিহতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের গৌরনগর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে আমির হোসেন (৩২), তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী খালেদা আক্তার (২৫) এবং তাদের সন্তান উনিয়া (৫)। এর আগে ঘটনার পরদিন সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে পরিবারের অপর সন্তান আশরাফুল (৪)।

    নিহত আমির হোসেনের ভাই জামাল হোসেন জানান, আমির হোসেন পেশায় মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তিনি চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার মৌলভীপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত ১৯ অক্টোবর রাতে ঘুমানোর পর হঠাৎ করে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে ঘরে আগুন ধরে যায়। এতে তারা চারজনই দগ্ধ হয়।

    পরে তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশরাফুলকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে আমির হোসেন, রাত ১১টার দিকে উনিয়া এবং দিবাগত রাত ২টার দিকে খালেদা মারা যান।

    নিহতদের মধ্যে আশরাফুলের মরদেহ চট্টগ্রামেই দাফন করা হয়েছে। বাকি তিনজনের মরদেহ গৌরনগর গ্রামের ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলেও নিহতদের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে।