Tag: চসিক

  • চসিকের ওয়ার্ড কাউন্সিলর জসিম সাময়িক বরখাস্ত

    চসিকের ওয়ার্ড কাউন্সিলর জসিম সাময়িক বরখাস্ত

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের(চসিক) ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। বুধবার তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তিনি উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।

    বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়িতে ঢিল ছোড়া ও হুমকি দেওয়ার মামলায় অভিযোগপত্রে ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহরুল আলমকে ১ নম্বর আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হওয়ায় তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে মন্ত্রণালয়।

    স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. আব্দুর রাফিউল আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জহুরুল আলম জসিমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ থানায় দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হয়েছে। এ জন্য স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯-এর ধারা ১২(১) অনুযায়ী তাঁকে স্বীয় পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই আদেশ জারি করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

    প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বুধবার রাতে জহুরুল আলমকে মুঠোফোনে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

    বেলার প্রধান নির্বাহী রিজওয়ানা হাসানের নেতৃত্বে বেলার একটি প্রতিনিধিদল গত বছরের ২৬ জানুয়ারি আকবর শাহ থানা এলাকায় পাহাড় কাটার স্থান পরিদর্শনে গেলে কাউন্সিলর জহুরুল ও তাঁর সহযোগীদের মারমুখী আচরণের শিকার হন। এ ঘটনায় রিজওয়ানা হাসান আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আকবর শাহ থানা-পুলিশ গত বছরের ১২ জুন ছয়জনকে আসামি করে মামলার অভিযোগপত্র দেয়। এতে অভিযোগপত্রে কাউন্সিলর জহুরুলকে ১ নম্বর আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন জহুরুলের সহযোগী বিল্লাল হোসেন, আবু নোমান, সাইফুদ্দিন ভূঁইয়া, আনিছ চৌধুরী ও মো. শাকিল। তাঁদের মধ্যে নোমান ছাড়া বাকিরা জামিনে আছেন।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন আকবর শাহ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহেদ উল্লাহ জামান। অভিযোগপত্রে বলা হয়, সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পাহাড় কাটা এলাকা পরিদর্শনে গেলে কাউন্সিলর জহুরুল আলমের নেতৃত্বে আসামিরা বেলার প্রধান নির্বাহীসহ প্রতিনিধিদলকে বাধা দেয়, গাড়ি আটকে রাখে ও বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। আটকে রাখা সেই গাড়ি পুলিশ গিয়ে ছাড়িয়ে নেয়।

     

  • পাহাড় কেটে বাড়ি বিলাস করছিল ৯২ পরিবার, চসিকের হানা

    পাহাড় কেটে বাড়ি বিলাস করছিল ৯২ পরিবার, চসিকের হানা

    পাহাড় কেটে তিনটি ভবন নির্মাণ করছিলেন স্বপ্নীল ফ্যামিলি ওনার্স নামে একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) অভিযানে বন্ধ হল পাহাড় কেটে এসব বাড়ি বানানো।

    বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) নগরের আসকার দীঘির পাড়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতি সর্ববিদ্যা।

    অভিযান সম্পর্কে চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতি সর্ববিদ্যা বলেন, ‘৯২টি পরিবার একজোট হয়ে স্বপ্নীল ফ্যামিলি ওনার্স নামের একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আসকার দীঘির পাড়ে পাহাড় কেটে ৩টি ভবন নির্মাণ করছিলেন। এমন খবর জানতে পেরে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানের কথা জানতে পেরে প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা সাইট ইঞ্জিনিয়ার পালিয়ে যান।’

    তিনি আরও বলেন, ‘অভিযান চলাকালে দায়িত্বশীল আর কাউকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। আমরা প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। ঘটনাস্থলে মালিকপক্ষের কাউকে না পাওয়ায় আমরা মামলা বা জরিমানা করতে পারিনি। তবে, পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানাচ্ছি। পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা হবে।’

  • চসিকের সংবর্ধনা নিলেন ১১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা

    চসিকের সংবর্ধনা নিলেন ১১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা

    ১১৩ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

    মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট, সম্মাননা ও সম্মানির টাকা তুলে দেন সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র রেজাউল বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিতে পেরে আমি আনন্দিত। বঙ্গবন্ধুর ডাকে যাদের সাথে যুদ্ধ করেছি তাদের অনেকেই আর বেঁচে নেই। আমিসহ আমার সহযোদ্ধারাও জীবনের শেষপ্রান্তে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের শপথ হওয়া উচিত আমৃত্যু তরুণদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ঐতিহ্য, চেতনা, আদর্শকে তুলে ধরতে কাজ করা।

    “মানুষের মুক্তির যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা যুদ্ধ করেছি তা বাস্তবায়নে তরুণদের প্রস্তুত করতে হবে। সোনার বাংলা গড়ার অভিযাত্রায় পাড়ি দিতে হবে আরো বহুদূরের পথ। এ দায়িত্বটা তরুণদেরই নিতে হবে। কারণ তরুণরা যা পারে অন্যরা তা পারেনা। মুক্তিযুদ্ধেও সম্মুখ সারির লড়াইয়ে ছিলেন মূলত তরুণরাই।”

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করা ভারতের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। চিকিৎসাসহ যেকোন প্রয়োজনে মুক্তিযোদ্ধাদের ভিসা ও সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশ্বে মডেলে পরিণত হয়েছে। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো দৃঢ়তর হবে বলে আমার বিশ্বাস।

    চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরোয়ার কামাল।

    আরো বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সমাজকল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম মাসুম, কাউন্সিলর নুরুল আমিন। আরো উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর শহীদুল আলম, ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী, হাজী নুরুল হক, হাসান মুরাদ বিপ্লব, নাজমুল হক ডিউক, আবদুল মান্নান,আবুল হাসনাত মো বেলাল, জাফরুল হায়দার চৌধুরী, পুলক খাস্তগীর, নূর মোস্তফা টিনু, হুরে আরা বিউটি, শাহীন আকতার রোজী, আইন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সাব্বির রাহমান সানি, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, শাহরীন ফেরদৌসী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা, চসিকের উপ-সচিব আশেকে রসুল টিপুসহ সিবিএ নেতৃবৃন্দ।

  • অনিয়ম-দুর্নীতি খুঁজতে চসিকে দুদকের অভিযান

    অনিয়ম-দুর্নীতি খুঁজতে চসিকে দুদকের অভিযান

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) বিদ্যুৎ উপ-বিভাগের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাসের অনিয়ম খুঁজতে অভিযানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে চসিকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযানে যায় দুদকের একটি টিম। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম দুদক কার্যালয় -১ এর সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক। প্রায় সাড়ে তিনঘন্টা অভিযান চালায় দুদকের এ টিম।

    সূত্র জানায়, প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাসের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে এসেছেন দুদক কর্মকর্তারা। তারা ঝুলন কুমার দাশের ৪১৬ নম্বর রুমে বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই করেছেন। পরে ঝুলন দাশকে নিয়ে দুদকের টিম নির্বাহী প্রকৌশলী তাসমিয়া তাহসিনের রুমে (৩০৩ নম্বর কক্ষ) যান।

    এদিকে, ঝুলন কুমার দাশের বিরুদ্ধে জাইকার এলইডি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল শুরু থেকেই। প্রকল্পটির বৈদ্যুতিক পোল স্থাপনে ঠিকাদারের যোগসাজশে নজিরবিহীন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। একটি বৈদ্যুতিক পোলে উচ্চতা কমিয়ে বিশ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটে। চসিকের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে জাইকা এলইডি প্রকল্পে মানহীন ক্যাবল ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়ার পর ঝুলন কুমার দাশ নিজ উদ্দ্যোগে চুয়েটের ল্যাবে পুনরায় ক্যাবল পরীক্ষা করে ‘মানসম্পন্ন’ ক্যাবলের রিপোর্ট নথিভুক্ত করেছেন। এ কারণে গত বছরের আগস্টে শোকজও খান প্রকৌশলী ঝুলন দাশ।

    অভিযান প্রসঙ্গে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক বলেন, ‘২০১৯ সালে জাইকার অর্থায়নে ৪৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে টেন্ডারে অনিয়ম, নিজের পছন্দমতো ঠিকাদারকে কাজ দেওয়াসহ দুনীর্তির অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে এসেছি। অভিযানে প্রাথমিকভাবে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এখন যাচাইবাছাই করতে হবে। আরও কিছু কাগজপত্র আমরা চেয়েছি। সেগুলো যাছাইবাছাই শেষে একটা পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দুদক প্রধান কার্যালয়ে পাঠাবো। তারপর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’।

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৪ জুন ঝুলনের দুনীর্তি বিষয়ে আরও একটি অভিযোগ দেন নাছির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। নগরের রহমতগঞ্জ এলাকায় জায়গার মালিকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে আবাসন প্রতিষ্ঠান ‘স্কাই প্রপার্টিজ’ নামের একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করেন এ প্রকৌশলী। তবে চুক্তি অনুযায়ী ভবন মালিকদের ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো টাকা আত্মসাৎ করেছেন ঝুলন কুমার দাশ। দুদক সেই অভিযোগেরও তদন্তে নেমেছে বলে জানা যায়।

  • চট্টগ্রামের ২১ ওয়ার্ডে মিলেছে এডিসের লার্ভা

    চট্টগ্রামের ২১ ওয়ার্ডে মিলেছে এডিসের লার্ভা

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ২১টি ওয়ার্ডেই মিলেছে এডিস মশার প্রজননস্থল। এসব ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভা শনাক্তের পাশাপাশি কোন কোন ওয়ার্ডের লার্ভার ঘনত্বও অনেক বেশি পাওয়া গেছে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এডিস মশার উপর পরিচালিত স্বাস্থ্য বিভাগের এক জরিপে এমন তথ্য ওঠে এসেছে।

    গতকাল সোমবার জরিপের প্রতিবেদন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাছে পাঠিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক। যেখানে আধুনিক ও সময়োপযোগী গাইড লাইনের ভিত্তিতে মশক নিধনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে চসিককে ৯ দফা সুপারিশ করা হয়।

    এর আগে গত ৮ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত ১৩ দিন নগরীতে এডিস মশার জরিপ পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের চার সদস্যের একটি দল। এসময় তাঁরা নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে মশার প্রজননস্থল শনাক্তের পাশাপাশি এডিস লার্ভার নমুনা সংগ্রহ করেন। যাতে সিটি কর্পোরেশনের ২১টি ওয়ার্ডের ৩২০ টি বাড়ি এবং ৪শ’টি পাত্রের থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যাতে বাসা বাড়ির পাশাপাশি পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের পাত্র ও ফুলের টবে সবচেয়ে বেশি এডিসের উপস্থিতি পায় তারা।

    স্বাস্থ্য বিভাগের জরিপে বলা হয়, ৩২০টি বাড়ির মধ্যে ৯৭টিতে এডিসে লার্ভা পাওয়া যায়। অর্থাৎ ৩০ দশমিক ৩১ শতাংশ বাড়িতেই এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। সবচেয়ে বেশি লার্ভার অস্তিত্ব মিলেছে প্লাস্টিক কন্টেইনারের মধ্যে। ২১টি ওয়ার্ডের ৪’শ কন্টেইনারের মধ্যে ১৪৮টিতেই লার্ভা শনাক্ত হয়েছে। যা ৩৭ শতাংশ। এরবাইরে পরিত্যক্ত বিভিন্ন প্লাস্টিক কন্টিনারের জমানো পানিতে সর্বোচ্চ শতকরা ২১ দশমিক ৬২ শতাংশ, পরিত্যক্ত টায়ারে ১৮ দশমিক ৯১ শতাংশ, প্লাস্টিক ড্রামে শতকরা ১৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ, মাটির পাত্রে শতকরা ৮ দশমিক ১১ শতাংশ, পানির হাউস, ফুলের টব ও এলুমিনিয়াম সিটে ৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ, প্লাস্টিকের বালতিতে ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং লিফটের গর্তে জমানো শতকরা ২ দশমিক ৭ শতাংশ এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া যায়।

    ২১টি ওয়ার্ড হচ্ছে : ২ নম্বর জালালাবাদ, ৩ নম্বর পাঁচলাইশ, ৪ নম্বর চান্দগাঁও, ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর, ৮ নম্বর শুলকবহর, ৯ নম্বর উত্তর-পাহাড়তলী, ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী, ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী, ১২ নম্বর সরাইপাড়া, ১৩ নম্বর পাহাড়তলী, ১৪ নম্বর লালখানবাজার, ১৫ নম্বর বাগমনিরাম, ১৬ নম্বর চকবাজার, ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া, ২২ নম্বর এনায়েত বাজার, ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ, ২৬ নম্বর উত্তর হালিশহর, ৩০ নম্বর পূর্ব মাদারবাড়ি, ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গী বাজার, ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ও ৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ড।

    এদিকে, আধুনিক ও সময়োপযোগী গাইড লাইনের ভিত্তিতে মশক নিধনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে চসিককে ৯ দফা সুপারিশ করে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগীয় স্বাস্থ্য ডা. মো. মহিউদ্দিন। এরমধ্যে অফিস আদালত ও বাসাবিড়র আঙিনা ছাদ ও আশপাশ এলাকা সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং কোন ধরনের পাত্রে ৩ থেকে ৪ দিন বেশি পানি জমতে না দেয়া। ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পরিষ্কার করা, জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিলবোর্ড প্রদর্শন, নিয়মিত মাইকিং, লিফলেট বা পোস্টার বিতরণ এবং কাউন্সেলিং করা, জনগণকে সম্পৃক্ত করে মশার প্রজনন স্থান নির্মূল করা ও ওয়ার্ড ভিত্তিক কীটনাশক ছিটানোর কার্যক্রম যথাযথভাবে করা হলে মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ সম্ভব এবং ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্তের হার কম হবে, মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে বছরব্যাপী জরিপ পরিচালনা করে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ, মশক নিধনের জন্য ব্যবহৃত কীটনাশকের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করা, লার্ভিসাইড এবং এডাল্টিসাইড সময়োপযোগী প্রয়োগ করা, সূর্যোদয়ের পরপর এবং সূর্যাস্তের পূর্বে এডালটিসাইড ফগিং করা, দক্ষ মশক নিধন কর্মীর দ্বারা কীটনাশক ছিটানোর সময় মনিটরিং টিম গঠন করে সুপারভিশন জোরদার করা এবং চসিকের প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠনপূর্বক আধুনিক ও সময়োপযোগী গাইড লাইন ভিত্তিতে মশক নিধন কার্যক্রম করার সুপারিশ করা হয়।

    জরিপটি পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কীটতত্ত্ববিদ মো. মফিজল হক শাহ, জেলা কীটতত্ত্ববিদ এনতেজার ফেরদাওস, বিভাগীয় এন্টোমোলজিক্যাল টেকনিশিয়ান মো. মাকসুদুর রহমান ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এন্টোমোলজিক্যাল টেকনিশিয়ান সৈয়দ মো. মঈন উদ্দীন।

  • মশার বাসস্থান খুঁজতে ড্রোন ওড়াল চসিক

    মশার বাসস্থান খুঁজতে ড্রোন ওড়াল চসিক

    মশার বাসস্থান খুঁজতে ড্রোন ওড়াল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আর তাতে ধরা পড়ল বিভিন্ন বহুতল ভবনের সুুইমিংপুল আর ছাদবাগানে জমে থাকা পানিতে গড়ে ওঠা মশার আবাসস্থল।

    রোববার নগরীর নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে চালানো অভিযানে উঠে আসে এ চিত্র। ৮৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ৭ ভবন মালিককে। বাকী ভবন মালিকদের সতর্ক করা হয়। জনসচেতনতা সৃষ্টিতে নাগরিকদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

    অভিযানে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমরা আজকে ড্রোন দিয়ে বহুতল ভবনগুলোর ছাদ পর্যবেক্ষণ করে প্রায় সবগুলো ভবনের ছাদেই পানি জমে থাকতে দেখেছি। আজ সবাইকে ডেকে সতর্ক করছি, পরবর্তীতে উনারা জমে থাকা পানি না সরালে জরিমানাসহ কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিব। “আমরা ৪৩৫টি ঝুকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে লার্ভিসাইডসহ বিভিন্ন মশা নিধনকারী ঔষধ ছিটাচ্ছি। তবে এক্ষেত্রে সাফল্যপ্রাপ্তিতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কিছু অসচেতন বাড়ি মালিকের ছাদে জমে থাকা পানি। বিশেষ করে সুইমিংপুল আর ছাদবাগানগুলো মশার নিরাপদ আবাসস্থল হয়ে উঠেছে। অনেক বাড়ির মালিক আবার নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে আমাদের কর্মীদের ছাদে উঠতে দেননা। আমরা মশার ঔষুধ ছিটাচ্ছি নালা-নর্দমায় কিন্তু আবাসিক ভবনগুলােই হয়ে উঠছে মশার বড় আবাসস্থল। তাই বাধ্য হয়ে ড্রোন দিয়ে ছাদ পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে।”

    অভিযানে মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম জানান, মশার সংক্রমণ কমাতে আমরা ১০০ দিনের ক্রাশ প্রোগ্রামের পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টিতে জোর দিচ্ছি। আজকে আরবান ভলান্টিয়ার ও রেডক্রিসেন্টের ভলান্টিয়ারদের ৮টি টিম গঠন করে নগরীর ৮টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মাইকিং এবং লিফলেট বিতরণ করে জনগণকে তাদের বাসায় জমে থাকা পানি অপসারণের আহবান জানানো হচ্ছে এবং মশার ঔষুধ ছিটানো হচ্ছে। এসময় ছাদে মশার লার্ভা ও আবাসস্থল পাওয়ায় চসিকের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন ৭টি ভবনের মালিকপক্ষকে মোট ৮৭ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

    চসিকের ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোঃ শরফুল ইসলাম মাহি জানান, নগরীর মোট ৬০টি আবাসিক এলাকায় ক্রমান্বয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। ক্র্যাশ প্রোগ্রামকে সফল করতে মশক নিধনে লোকবল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলর মোঃ মোরশেদ আলম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসীসহ নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি কল্যাণ পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

  • এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ৪১ ওয়ার্ডে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু চসিকের

    এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ৪১ ওয়ার্ডে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু চসিকের

    ডেঙ্গু রোগের জীবাণুবাহী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নগরীর ৪১ টি ওয়ার্ডে বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

    রোববার চকবাজার ওয়ার্ডের পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে ফগার মেশিনে ওষুধ ছিটিয়ে বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণের এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্যানেল মেয়র আফরোজা জহুর।

    এসময় প্যানেল মেয়র আফরোজা জহুর বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও নগরবাসীর সমন্বিত উদ্যোগেই এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মশক মুক্ত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এ ক্রাশ প্রোগ্রাম বর্ষা মৌসুমজুড়ে ৪১ টি ওয়ার্ডে চলমান থাকবে।

    চসিক মশক নিধন কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহির সঞ্চালনায় ও কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকি সেন গুপ্ত, পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতির সভাপতি এ কে এম সাঈদুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সেলিম, জোন পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা হাছান রশিদ, স্থানীয় মো.নিজামুদ্দিন, শহিদুল হক মিন্টু প্রমুখ।

    প্যানেল মেয়র আরও বলেন, সমন্বিত মশক নিধন ব্যবস্থাপনার আওতায় প্রথম পদক্ষেপটিই হচ্ছে পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা। আমাদের চারপাশে যে সমস্ত জায়গায় এডিস মশা জন্মায় সেই সমস্ত জায়গায় যাতে এডিস মশা জন্মাতে না পারে সেই ব্যাপারে সকলকে সচেতন হতে হবে। আবহাওয়াগত কারণে নগরীতে এখন মশার উপদ্রপ বেড়েছে। এই বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রতি ওয়ার্ডে ঝোপঝাড় পরিস্কার ও নালায় যেখানে মশার জন্ম হয় সেখানে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। ক্রাশ প্রোগ্রাম ছাড়াও চসিকের নিয়মিত কার্যক্রমের মধ্যে প্রতিদিন মশক নিধন স্প্রে চলমান রয়েছে।

    নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করে প্যানেল মেয়র বলেন,পরিস্কার ও বদ্ধ পানি এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র। তাই বসত বাড়ির আশে পাশে ডাবের খোসা,,ফুলের টব,ছাদ ও ফ্রিজের নীচের ট্রেতে তিন দিনের বেশি পানি যাতে জমানো না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাসা বাড়ি, ছাদ-আঙ্গিনা নিজ নিজ উদ্যোগে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এটি আমাদের সকলের নাগরিক দায়িত্ব। চট্টগ্রাম নগরীকে একটি নিরাপদ বাসযোগ্য ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন নগর গড়তে তিনি সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীকে সহযোগিতা করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

  • কাউন্সিলর জসিম ও চসিকের ৩ প্রকৌশলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

    কাউন্সিলর জসিম ও চসিকের ৩ প্রকৌশলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

    চট্টগ্রামের আকবরশাহ এলাকায় পাহাড় ধসে এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তিন প্রকৌশলী ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে নগরের আকবর শাহ থানায় পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাছান আহম্মদ বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

    মামলায় আসামিরা হলেন- সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপ-প্রকল্প পরিচালক জসিম উদ্দিন, সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ওয়ালি আহমেদ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবি হক ব্রাদার্সের ওমর ফারুক ও তাকিয়া বেগম, ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম ও মোহাম্মদ ইসমাইল।

    এ বিষয়ে আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালি উদ্দিন আকবর বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের একজন কর্মকর্তা বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি তদন্ত করবে পরিবেশ অধিদপ্তর।

    প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বিকালে আকবর শাহ এলাকার বেলতলী ঘোনায় এডিবির অর্থ সহায়তায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত একটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে রাস্তা নির্মাণের সাথে রিটেইনিং ওয়াল তোলার সময় পাহাড়ের মাটি ধসে এক শ্রমিক নিহত ও তিনজন আহত হন।

    এ ঘটনায় নিহত শ্রমিক মুজিবুর রহমান খোকার স্ত্রী বাদী হয়ে আকবর শাহ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তিনদিন পর পরিবেশ অধিদপ্তর আরেকটি মামলা করলো।

  • প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় ফ্ল্যাট পাচ্ছেন চসিকের সেবকরা

    প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় ফ্ল্যাট পাচ্ছেন চসিকের সেবকরা

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ২৩০ কোটি টাকার প্রকল্পে ফ্ল্যাট পাচ্ছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৮০০ সেবক পরিবার।

    বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র (প্রতিমন্ত্রী) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এ প্রকল্পের আওতাধীন জামালখান ঝাউতলা সেবক কলোনির প্রথম তলার ছাদ ঢালাই পরিদর্শনে যান। ৩৩ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই স্থানে ১৪ তলা বিশিষ্ট নতুন ভবনে ফ্ল্যাট পাবেন ১৫০টি সেবক পরিবার। ফ্ল্যাটগুলো কমন স্পেসসহ ৮০১ বর্গফুটের। প্রতিটি ফ্ল্যাটে থাকছে ২ টি বেডরুম, ২ টি বারান্দা, ১ টি করে লিভিং ডাইনিং, টয়লেট, শাওয়ার ও কিচেন।

    মেয়র প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, একসময় সেবকরা ছিলেন সমাজের উপেক্ষিত শ্রেণি। প্রধানমন্ত্রী সমাজের এই প্রান্তিক গোষ্ঠীর আবাসনের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এই মহতী প্রকল্প নেয়ায় চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। উন্নয়নের সুফল যাতে সমাজের পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীও ভোগ করতে পারে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমৃত্যু কাজ করে যাব।

    পরিচ্ছন্ন সেবকদের জীবনমান উন্নয়নে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ৫টি ভবন নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে পাথরঘাটা সেবক কলোনিতে ২টি, জামাল খান ঝাউতলা সেবক কলোনিতে ১টি, ফিরিঙ্গীবাজার সেবক কলোনিতে ১টি ও সাগরিকায় ১টি। ৫ টি ভবনের ঠাই হবে ৮০০ সেবক পরিবারের।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, আনজুমান আরা, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শাহীনুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফারজানা মুক্তা, সহকারী প্রকৌশলী আসীর হামীম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিজাম হোসেন রাসেল, ঠিকাদার মো. কাশেমসহ সেবক নেতৃবৃন্দ।

    এছাড়া এদিন মেয়র ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডস্থ ত্রিপুরা খাল, হাটহাজারী সড়ক সহ বিভিন্ন ছোট বড় নালার বর্তমান অবস্থা পরিদর্শন করেন।

  • চসিকে প্রকল্প পরিচালকের ওপর হামলা, কক্ষ ভাঙচুর

    চসিকে প্রকল্প পরিচালকের ওপর হামলা, কক্ষ ভাঙচুর

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. ইয়াজদানীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরিচালকের কার্যালয়ে ঢুকে এ হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় প্রকল্প পরিচালকের টেবিল ও নামফলক ভাঙচুর করা হয়।

    কাজ না দেয়ায় ঠিকাদাররা এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে অভিযোগ ইয়াজদানীর।

    রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর টাইগারপাসে সিটি কর্পোরেশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। মূলত চার তলায় অবস্থিত প্রকল্প পরিচালকের কক্ষে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

    চসিক মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম জানান, কয়েকজন ঠিকাদার প্রকল্প পরিচালকের কক্ষে হামলা চালিয়েছে। পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করেছে।

    হামলার শিকার প্রকল্প পরিচালক জানান, কার্যালয়ে বসার পরপরই অনুমতি ছাড়া প্রায় ২০-২৫ জন ঠিকাদার তার কক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় তারা হামলা করে। উপর্যুপরি কিলঘুষি মারতে থাকেন। অফিস সহকারী তিলক দে তাকে রক্ষা করতে গেলে তিনিও মারধরের শিকার হন। প্রায় ১০ মিনিটের মতো মারধরের পর হামলাকারীরা সেখান থেকে চলে যান।

    সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ’প্রকল্প পরিচালকের কক্ষে হামলা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। সিটি কর্পোরেশনে এসে টিভি, গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’

    যে ছেলেটার নেতৃত্বে এসব হয়েছে তার নাম সাহাবউদ্দীন বলে জানান রেজাউল করিম।

    তিনি আরও জনান, স্বচ্ছতার মাধ্যমে টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ চলছে। ভয়-ভীতি দেখিয়ে কাজ বাগিয়ে নেয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। হামলার সঙ্গে জড়িতরা চসিকের ঠিকাদার হলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও কালো তালিকাভুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।

  • ২১৬১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করল চসিক

    ২১৬১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করল চসিক

    ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ২ হাজার ১৬১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এ ছাড়া আগের অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও উপস্থাপন করা হয়েছে।

    আজ রবিবার (২৭ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ বাজেট ঘোষণা করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

    ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ২ হাজার ১৬১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার বাজেটের মধ্যে নিজস্ব উৎসে আয় ধরা হয়েছে ৯০৪ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। উন্নয়ন অনুদান খাতে সরকার থেকে সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২১২ কোটি টাকা। অন্যান্য উৎস খাতে ৩৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে।

    এদিকে ২০২১-২২ অর্থবছরের ২ হাজার ৪৬৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা মূল বাজেট হলেও সংশোধিত বাজেটে তা দাঁড়ায় ১ হাজার ২০২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

    অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • চসিকের অমর একুশে বইমেলা শুরু হচ্ছে ২৩ মার্চ

    চসিকের অমর একুশে বইমেলা শুরু হচ্ছে ২৩ মার্চ

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত এবারের অমর একুশে বই মেলা নগরীর কাজীর দেউড়ি স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম চত্বরে শুরু হবে ২৩ মার্চ মঙ্গলবার।

    মেলায় মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কোন প্রকাশনা সংস্থাকে স্টল বরাদ্দ দেয়া হবে না। বই মেলার আয়োজক কমিটি ঠিক করবে কারা আলোচক থাকবেন। প্রকৃত লেখক,কথাসাহিত্যিক,কবি, গবেষকদের পুরস্কৃত করবে বই মেলা কমিটি।

    আগামীকাল ৩ মার্চ (বুধবার) কর্পোরেশনের টাইগারপাস অফিসে সিটি মেয়রের নেতেৃত্বে বই মেলা কমিটি পুনঃগঠনে বসবে লেখক প্রকাশকগণ।

    আজ মঙ্গলবার বিকেলে কর্পোরেশনের আন্দরকিল্লাস্থ পুরনো নগর ভবনের কে বি আব্দুস সাত্তার মিলনায়তনে বই মেলা উপলক্ষে আয়োজিত মনবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো.রেজাউল করিম চৌধুরী এসব তথ্য জানান। সভায় সবার মতামতের ভিত্তিতে মেলার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এই মেলা আয়োজক হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শুধুমাত্র পৃষ্ঠপোষকতা দেবে। যাবতীয় সব কাজ করবে চট্টগ্রামের সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ ও মেলা কমিটি। এবারের মেলায় অতীতের ভুল-ভ্রান্তি সংশোধন করে ঢাকার বাছাই করা প্রকাশকদের অংশগ্রহনের সুযোগ দেয়া হবে। যাতে মেলার গুণগত মান বৃদ্ধি পায়।

    সভায় মুক্তিযোদ্ধা, গবেষক ও প্রকাশক ডা. মাহফুজুর রহমান, প্রকাশক জামাল উদ্দীন, সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদের শাহ আলম নীপু, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ,কবি ওমর কায়সার উপন্যাসিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান শিক্ষ কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন।

    এতে সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার,সাংস্কৃতিক সংগঠক শুক লাল দাশ, আব্দুল হালিম দোভাষ, অঞ্চল চৌধুরী, অধ্যাপক গোফরান টিটু, নজরুল ইসলাম মোস্তাফিজ, সাইফুদ্দিন সাকী, সাইফুল আলম বাবু, প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার প্রমুখ মত প্রকাশ করেন।

    ছড়াকার মোদ্দাচ্ছের আলী, কবি সেলিনা শেলী, নাজিম উদ্দিন শ্যামল, শামসুল হক সহ লেখক প্রকাশকরা মেলায় যাতে কোনভাবেই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কোন অপশক্তি স্টল বরাদ্দ না পায়, মেলায় যাতে প্রকৃত লেখকদের যাচাই বাছাই করে পুরস্কৃত করা হয়, স্টলের পরিমান কমিয়ে পরিধি বাড়িয়ে ঢাকার বাছাইকৃত নামী প্রকাশকদের সমাগম ঘটানা,আলোচনা অনুষ্ঠানের আলোচক নির্ধারণ ও সাস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে যাতে প্রকৃত সাংস্কৃতিক সংগঠন দিয়ে আয়োজন করা যায় তা নিশ্চিত করতে অনুরোধ করেন।

    অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান ২৬ মার্চের পূর্বে নগরীর সকল অফিস আদালত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাইন বোর্ডের নামফলক ইংরেজির পরিবর্তে বাংলায় চালু করতে মেয়রকে ব্যবস্থা নিতে বলেন।

    সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহিতুল আলম  এবারের একুশে পদক প্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, গত বছরের বাংলা একাডেমি পদক প্রাপ্ত রাশেদ রউফ, কাউন্সিলর শহিদুল আলম, নেছার আহমেদ মঞ্জু , নাজমুল হক ডিউক, পুলক খাস্তগীর, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু।

    সভাপতির বক্তব্যে মেয়র আরো বলেন, গতবারের বই মেলায় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী প্রকাশনা সংস্থা ঢুকলো কিভাবে ! এবার যদি এরকম হয় তাহলে সাথে সাথে স্টল বন্ধ করে দেয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করি। চেতনা আবেগের বিষয়, ধারণ করা যায়। চেতনা ইতিহাস নয় যে লিখা যাবে। অতীতে যা হয়েছে তা বলে আর লাভ নাই। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এবারের বই মেলায় ভুল ত্রুটি সংশোধন করে এগুতো হবে। যাতে এই মেলার সৃজনশীলতা ফুটে উঠে । কোন মৌলবাদী গোষ্ঠীকে স্টল বরাদ্দ দিতে কেউ হুমকি ধমকি দিলে মুক্তি যুদ্ধের চেতনাকে দমানো যাবে না। যেভাবে ঢাকার অমর একুশে বই মেলায় প্রফেসর ড, হুমায়ুন আজাদকে হত্যা করেও মুক্তমত প্রকাশকে দমানো যায়নি।