Tag: চসিকের

  • চসিকের ২৫০ শয্যা আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধন কাল/ আজ পরিদর্শনে গেলেন মেয়র

    চসিকের ২৫০ শয্যা আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধন কাল/ আজ পরিদর্শনে গেলেন মেয়র

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : সীকম গ্রুপের অত্যাধুনিক সেন্টারটিকে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই করোনা চিকিৎসার উপযোগী করে তুলেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।

    আগামীকাল শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় চসিকের এ আইসোলেশন কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এই উপলক্ষে আজ সন্ধ্যায় এর প্রস্তুতি পরিদর্শনে যান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    সরেজমিন দেখা গেছে, শয্যা, মেট্রেস, বিছানার চাদর, বালিশ, ঝুড়ি, গামলা ইত্যাদি সাজানো হয়ে গেছে। প্রতি আসনের সঙ্গে ওষুধপত্র রাখার ছোট্ট বাক্স দেওয়া হয়েছে। ৫০টি নতুন অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ আনুষঙ্গিক চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনা হয়েছে। প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে।

    উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা আইসোলেশন কেন্দ্রটি আজ পরিদর্শণে গিয়ে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, কম ও মৃদু উপসর্গ আছে এমন রোগীদের চসিকের আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হবে। কারও যদি আইসিইউ সাপোর্ট দরকার হয় তবে অন্য সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে রেফার করা হবে।

    প্রাথমিকভাবে এ আইসোলেশন সেন্টারের জন্য ৫০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার সংগ্রহ করা হয়েছে। যদি প্রয়োজন হয় আরও অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হবে। আগামী ১৫ জুন থেকে রোগী ভর্তি করা হবে।

    তিনি বলেন শনিবার ১১টায় চসিকের ২৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারের জন্য নিয়োগ দেওয়া চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের নিয়ে আন্দরকিল্লার নগর ভবনের কেবি আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে জরুরি সভা করা হবে। দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি কিছু নির্দেশনা দেওয়া হবে এ সভায়।

    আইসোলেশন কেন্দ্রের পরিদর্শণকালে রাজনীতিক বেলাল আহমেদ, মেয়রের একান্ত সহকারী রায়হান ইউসুফ, মামুনুর রশীদ মামুন, আনিসুর রহমান আনিস, মহসিন আলি বাদশা, লিটন, ইব্রাহিম, রিদুয়ান বাদশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • চসিকের ‘একুশে পদক’ পেলেন সাংবাদিক নেতা রিয়াজ হায়দার

    চসিকের ‘একুশে পদক’ পেলেন সাংবাদিক নেতা রিয়াজ হায়দার

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : পেশাজীবী নাগরিক সংগঠক ও সাংবাদিক নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরী পেলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিকে) একুশে পদক-২০২০। চসিকের বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত এবারের বইমেলায় সাংগঠনিক ক্যাটাগরিতে ‘মুজিব বর্ষ একুশে পদক’ পেলেন তিনি। পদক তুলে দেন সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দিন।

    সবচেয়ে কমবয়সেই তিনি পেলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের(চসিকে) এই পদক । এবার একুশে পদক পেলেন ১১জন, সাহিত্য পদক পেলেন ৪ জন। শুধু এবার নয়, এযাবতকালে চসিকের যতবার একুশে ও স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়েছে, তন্মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সে প্রাপ্তির স্বীকৃতি জুটল রিয়াজের ।

    বিষয়টিকে চট্টগ্রামের তরুণ সংগঠকরা বেশ ইতিবাচকভাবে দেখছেন । সংগঠক ও তরুণদের মধ্যে আশাবাদ তৈরি হয়েছে। পারিবারিক পর্যায় থেকেই আওয়ামী ঘরানার এই সংগঠক চট্টগ্রামে প্রগতিশীল বিভিন্ন রাজনৈতিকদলের নেতৃবৃন্দের কাছেও নানা ভাবে গ্রহনযোগ্য। নেতৃত্বে ও পেশায় সফলতার সিঁড়িতে পা রাখা এই সংগঠক একই সাথে তিনটি সংগঠনের শীর্ষ নেতা ।

    কর্মক্ষেত্রেও একাধারে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সফল । রাজনীতি, অর্থনীতি, অপরাধ ও সংস্কৃতি নিয়েই লেখালেখির কারনেও পাঠকপ্রিয় নাম রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। টেলিভিশনের টকশো সঞ্চালনা করেও তৈরি করেছেন নিজস্ব বলয়।

    রাজনীতি-সংস্কৃতির মাঠে সক্রিয় প্রতিবাদি এই সংগঠক শিক্ষক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর সংগ্রামে ব্যাপক সম্পৃক্ত। জীবনের পদাঘাত তাকে করেছে সমকালীন অন্য অনেকের চেয়ে আলাদা, সফল এবং আত্মপ্রত্যয়ী।

    বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচিত সহ-সভাপতি ছাড়াও চট্টগ্রামের নাগরিক উদ্যোগের তিনি আহবায়ক। এছাড়া প্রগতিশীল পেশাজীবী সংগঠনগুলোর সমন্বিত মোর্চা ‘পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদে’র সাধারণ সম্পাদকও এই সাংবাদিক নেতা। চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য তিনি। বাংলাদেশের সবচে বেশি প্রচারিত দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশেষ প্রতিনিধি ও চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান ।

    দায়িত্বশীল সাংগঠনিক ঘনিষ্ঠরা জানান, শুধু এবারের একুশে পদক প্রাপ্তিই নয়, সব সাংগঠনিক অর্জনই সবচেয়ে কম বয়সেই করেছেন তিনি।‌ আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে এই পেশাজীবী সংগঠক বারেবারে ঝুঁকি নিয়েছেন, হামলারও শিকার হয়েছেন।

    প্রায় তিন দশক ধরেই টানা সাংগঠনিক চর্চায় যুক্ত রিয়াজ। ২০বছর ধরেই নির্বাচন করেছেন সাংবাদিকদের অঙ্গনে। সাংবাদিকদের মধ্যে একমাত্র রিয়াজই গত ১৮বছর ধরে প্রগতিশীল পেশাজীবী মোর্চার নেতৃত্বে রয়েছেন। এই সংগঠক চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সবচেয়ে কম বয়সেই দফায় দফায় সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত সভাপতি (২০১৬-২০১৮), দু’দফায় সাধারণ সম্পাদক (২০০৬-২০০৮, ২০১২-২০১৪) ও দু’দফায় সাংগঠনিক সম্পাদক (২০০২-২০০৩, ২০০৩-২০০৪) ।

    ওয়ান-ইলেভেনে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে তাঁর মুক্তি দাবি, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদ , ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্দোলন-গণজাগরণ ও বিএনপি-জামায়াত শিবিরের হরতাল অবরোধ নৈরাজ্য, পেট্রোল -বোমা জ্বালাও-পোড়াও আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এবং চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ও জাতীয় নানা ইস্যুতে বরাবরই মাঠে থেকেছেন এই পেশাজীবী নাগরিক সংগঠক।

    বিএনপি সরকারের আমলে বাংলাদেশের কোথাও যখন জাতির বিবেক খ্যাত সাংবাদিকদের প্রেসক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টাঙানো হতো না তখনই সাহসী কাজটা করেন সাংবাদিক নেতা ও পেশাজীবী নাগরিক সংগঠক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। শুধু তাই নয়, জাতির একটি ক্রান্তিকালে বঙ্গবন্ধুকন্যার নামে তিনি উদ্ভাবন করেন এক নতুন স্লোগানও।

    ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে যখন দেশের রাজনৈতিক দলগুলো দু’ভাগে বিভক্ত তখন ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জাতীয় পেশাজীবী সম্মেলনে চট্টগ্রাম থেকে অংশ নেয়া পেশাজীবী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বদানকারী রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’র সাথে ‘জয় শেখ হাসিনা’ যুক্ত করে একটি নতুন শ্লোগানের উদ্ভাবন করেন ।

    সেসময়ে দেশের এক পক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে, অন্যপক্ষ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে অনড়। বহির্বিশ্বের চোখ ছিল এদেশের নাগরিক পেশাজীবী শক্তির দিকেও। এমনি সময়ে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জাতীয় পেশাজীবী সম্মেলন ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

    ঠিক এমন অবস্থায় জাতীয় পেশাজীবী সম্মেলনটিতে রিয়াজ প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ও সারা দেশের পেশাজীবী নেতাদের সামনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনেই জাতীয় নির্বাচনের পক্ষে জোরালো বক্তব্য তুলে ধরেন। শুধু তাই নয় সরকারের সে সময় চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়া ও দেশের কালিমামুক্ত করার মতো যুদ্ধাপরাধ বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখায় পেশাজীবীদের পক্ষে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে কৃতজ্ঞতাও জানান ।

    চট্টগ্রামের তিনিই প্রথম সাংবাদিক নেতা, যিনি বাংলাদেশের সাংবাদিক সমাজের জন্য অসামান্য অবদান রাখায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁর কার্যালয়ে গিয়ে কৃতজ্ঞতা ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

    ২০১৮ এর একাদশ জাতীয় সংসদ জাতীয় নির্বাচনের আগে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযান উপলক্ষে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা; নৌকা পারে, নৌকাই পারবে’ শীর্ষক প্রচারপত্রটিও রচনা করেন তিনি।

    ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় নাগরিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক রিয়াজ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে ২০০৫ , ২০১০ সালে সক্রিয় ছিলেন।

    ২০১৫ সালে সিটি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দীনের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটিরও আহ্বায়ক ছিলেন। নির্বাচনটিতে চট্টল মেয়রের যেন ছায়াসঙ্গীই ছিলেন।

    ২০১৮ এর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম সদর আসনে পেশাজীবী-নাগরিক প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের এই মনোনয়ন প্রত্যাশীর মনোনয়ন না মিললেও সেই আসনে মনোনয়ন পাওয়া জননেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর পুত্র ব্যারিস্টার চৌধুরী মহিবুল হাসান নওফেল সহ চট্টগ্রাম শহর ও শহরযুক্ত ৬টি আসনের প্রার্থীদের জন্য প্রচারণায় তিনি ‘পেশাজীবী-নাগরিক স্কোয়ার্ড’ গঠন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নৌকা প্রতিকের প্রার্থীদের পক্ষে টানা প্রায় সপ্তাহব্যাপী প্রচারণা শেষে চট্টগ্রাম শহীদ মিনার চত্বরে মহাসমাবেশ করেন।

    তৃণমূল থেকে উঠে আসা এ সংগঠক ২০০১এর জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এলে চট্টগ্রামের রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি মানিকছড়ি বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মাঠে ছিলেন। এছাড়াও রামুতে বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা-অগ্নিসংযোগ, পাথরকাটা, ফতেয়াবাদস্থ বিভিন্ন স্থানে সনাতনী সম্প্রদায়ের উপর হামলা-নির্যাতনের উপর হামলা নির্যাতনের প্রতিবাদ আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।

    প্রায় ৬০ বছরের পুরনো সংগঠন সিইউজে’র ইতিহাসে তিনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হন। অংশ নেন দুশতাধিক দেশের প্রতিনিধিত্বে ইরানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ন্যাম সম্মেলনে(২০১২)।

    সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রশিক্ষক হিসেবেও সমাদৃত এই সাংবাদিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস, মালয়েশিয়ার ট্যুরিজম বোর্ডসহ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন সনদ স্বীকৃতি লাভ করেন। একাধিক গ্রন্থ প্রণেতা এই সাংবাদিক ইউরোপ ও এশিয়ার দেশ ঘুরে রাজনীতি-পর্যটন নিয়েও দারুণ লিখেছেন। তাঁর ‘ইউরোপের পথে পথে’ শীর্ষক প্রতিবেদন দেশের সবচে বেশি প্রচারিত কাগজ ‘বাংলাদেশ প্রতিদিনে’ ধারাবাহিক প্রকাশ হলে পাঠক মহলে ব্যাপক সমাদৃত হয়।

    তিনি দুইবার জাপান সফরসহ পেশাগত ও সাংগঠনিক সফর করেন জার্মানি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, ন্যাদারল্যান্ডস, ইরান, তুরস্ক, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া ও ভারতসহ ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন রাষ্ট্র। নেতৃত্ব, সাংবাদিকতা, গবেষণা, গদ্য পদ্যে যেন যুথবদ্ধ পথ চলেছেন রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।

    বর্ণাঢ্য পেশাগত জীবনের সিংহ ভাগ সময়েই তিনি একাধারে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কাজ করেন। কখনো পূর্বকোণে কাজ করলেও পাশাপাশি করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রিক বাংলা স্যাটেলাইট টিভি এসটিভিইউএস,(STVus), একুশে টেলিভিশন কিংবা যমুনা টেলিভিশনে , আবার কখনো বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাজ করলেও যুক্ত হন স্যাটেলাইট টেলিভিশন নিউজ টুয়েন্টিফোরে(NEWS24)।

    টেলিভিশনে চট্টগ্রাম থেকে ব্যাপক জনপ্রিয় এই মুখ রোজ সকালে চট্টগ্রামের সংবাদপত্রগুলোর সংবাদ বিশ্লেষণ লাইভের যাত্রা শুরু করেও গড়ে তুলেন নিজস্ব ভক্তবলয়। গণমাধ্যমে যেন নতুন পালক যুক্ত করে এ সংবাদ বিশ্লেষণ।

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল পরিচালনা কমিটি, কমিউনিটি পুলিশিং চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রিয়াজ । চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)’র নগর উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিষয়ক নাগরিক পরামর্শক কমিটির সদস্য এবং চসিকের উদ্যোগে চট্টগ্রামের প্রথম সর্বজনীন অমর একুশে বইমেলা ২০১৯, মুজিববর্ষ চট্টগ্রাম অমর একুশে বইমেলা ২০২০ এর উপদেষ্টা, চট্টগ্রামের সর্বজনীন মুজিব জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন পরিষদের কো-চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম কলেজ প্রাক্তন ছাত্রলীগ পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিনি।

    সংবাদত্রসেবী ঐক্য পরিষদের সচিব (২০০৬-২০০৮)ছিলেন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি, মা- শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের স্থায়ী সদস্য, জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন চাঁদের হাট, তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, পূর্বাশার আলো, পরিবর্তন উপদেষ্টা সহ শতাধিক সংগঠনে নানাভাবে যুক্ত ।

    বিশেষ প্রতিনিধি ও ব্যুরো প্রধান হিসেবে এক দশক ধরে কাজ করছেন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে। সিনিয়র রিপোর্টার ছিলেন চট্টগ্রামের দৈনিক পূর্বকোণে। এতে কাজ করেন প্রায় এক যুগ। দৈনিক রূপালী, দৈনিক খবর ও দৈনিক বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সাপ্তাহিক আজকের সূর্যোদয়েও কাজ করেন । দৈনিক সংবাদ, দৈনিক প্রথম আলো , আজকের কাগজ , দৈনিক আজাদী, দৈনিক নয়াবাংলা,দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ, দৈনিক পূর্বদেশ, খবরের কাগজ, দেশচিন্তা সহ অসংখ্য কাগজে লেখা ছাপা হয় এই কবি সাংবাদিক ও গবেষকের।

    ১৯৯৫ সালেই তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় দেশ চেতনার কাগজ ‘বঙ্গজ’।কৈশোরে আবৃত্তি চর্চায় যুক্ত রিয়াজ বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র চালু হলে সেখানে একুশের প্রথম কবিতার প্রথম একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন। কেন্দ্রের প্রথম শ্রেণির তালিকাভুক্ত এই উপস্থাপক গ্রন্থনায়ও পারদর্শী। কেন্দ্রটি চালুর আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন রিয়াজ।

    সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ আদায় ও বাস্তবায়ন ছাড়াও হকার্স এবং কম্পিউটার অপারেটরদের অধিকারের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

    চট্টগ্রামের জ্ঞানজ্যোতি ভিক্ষু হত্যা ও অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা, শিক্ষাবিদ ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা, সাংবাদিক শামসুর রহমান কেবল, হুমায়ূন কবির বালু, সাগর-রুনি-শিমুল হত্যার প্রতিবাদ আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। সিলেটে মৌলবাদিদের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে শিক্ষাবিদ ড. জাফর ইকবাল অনশন-ধর্মঘটের ডাক দিলে সেখানেও ছুটে যান ।

    যশোরে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আক্রান্ত হলে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ছুটে যান সেখানেও। বিডিআর বিদ্রোহ’র নামে সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের হত্যা করা হলে প্রতিবাদে মাঠে ছিলেন । এ নিয়ে লিখেছেনও প্রচুর। এছাড়া আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু এবং চট্টগ্রাম বন্দর-কাস্টমস নিয়ে বিভিন্ন আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন।

    এছাড়া একুশের প্রথম কবিতার জনক চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান ‘সীমান্ত’ সম্পাদক মাহবুব উল আলম চৌধুরীর প্রয়াণের খবর শুনে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছুটে যান তিনি। চট্টগ্রামের সংগঠক হিসেবে একমাত্র পূস্পার্ঘ্য দেন।

    একইভাবে নাট্যগুরু সেলিম আল দীনের প্রয়াণেও ছুটে গিয়ে যেন বনপোড়া হরিণের মত আর্তনাদ করেন এই সংগঠক। এ নিয়ে তাৎক্ষণিক লিখেনও।

    এই অনুসন্ধিৎসু সাংবাদিক বহু রাজনৈতিক প্রতিবেদনের জন্য আলোচিত। শুধু রিপোর্টিং নয় প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও কাব্য প্রচেষ্টায়ও তিনি সমধিক পরিচিত।

    ১৯৯৪ সালে ঘাতক গোলাম আযমের লালদীঘি মাঠের জনসভা প্রতিরোধ প্রচেষ্টার পূর্বাপর সময়ে মুক্তিযোদ্ধা ছাত্রকমান্ডের এই সাহসী কর্মী শৈশব থেকেই বেড়ে উঠেছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাশ্রিত পরিবেশে।

    ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের পুলিশের বেধড়ক হামলার প্রতিবাদে ন্যায্য বিচার চেয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বিরুদ্ধে পেশাজীবী সাংবাদিকদের সফল আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন । সেসময় ঘটনার জন্য তিন মন্ত্রণালয় বৈঠকে ডেকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন তৎকালিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।
    ২০০১ সাল।

    তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াত জোট নেত্রী বেগম জিয়ার প্রতিশ্রুতির ব্যত্যয় তুলে ধরে রাজনৈতিক-সামাজিক ও গণমাধ্যম অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করেন অনুসন্ধিৎসু সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। বেগম জিয়া মহান জাতীয় সংসদে ৬ মাসের সন্ত্রাস বিরোধী কর্মসূচি ঘোষণা দেন সে বার। কিন্তু সেদিনই টপটেরর শিবির ক্যাডার নাছির কুমিল্লা কারাগার থেকে চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে পুলিশি পাহারায় চকবাজারে গোপন বৈঠক করে সহযোগী সন্ত্রাসীদের সাথে। সরকারের এই স্ববিরোধীতা রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই সুনিপুণ অনুসন্ধানে সংবাদপত্রের পাতায় তুলে ধরেন একমাত্র রিয়াজই।

    সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আর প্রগতির ব্যানারে ছদ্মবেশে থাকা প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর হামলা-মামলার টার্গেট এই সাংবাদিক পথ চলেন মৃত্যু হুমকি উপেক্ষা করে। হামলায় আক্রান্ত হয়ে দুই বার মরতে মরতে বেঁচেও যান। যুদ্ধাপরাধি কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবির মধ্য দিয়ে সৃষ্ট গণজাগরণে চট্টগ্রামের প্রধানতম এই সংগঠক হামলার শিকার হন।

    অল্পের জন্যই প্রাণে বেঁচে যান। ২০১৮’র নভেম্বরে ফের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হলে সে ঘটনাকে ঘিরে পেশাজীবী ও নাগরিক সমাজ আন্দোলন গড়ে তোলেন। গোপন আততায়ীরা চট্টগ্রামের বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. অনুপম সেন ও পেশাজীবী সাংবাদিক নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরীসহ পাঁচ বিশিষ্টজনকে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেও উড়ো চিঠি দেয়।

    ‘মহিউদ্দিনের আইয়ের’ : ওয়ান ইলেভেনের আগের কথা। ‘মহিউদ্দিনের আইয়ের’ শিরোনামে আরেকটি প্রতিবেদনে তীব্র আলোড়ন তোলেন তিনি। প্রতিবেদনটিতে সে সময়ের মেয়র জননেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর তুমুল তুখোড় সাহসী অবস্থান তুলে ধরেন।-এমন অসংখ্য আলোচিত প্রতিবেদনের জনক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও পেশাজীবী নেতা।

    জীবনের বৈভব : মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রিয়াজের জন্ম ঢাকাই হলেও ব্যাংকার পিতার বদলী সুত্রে শৈশব থেকেই বসতি চট্টগ্রামে। অবশ্য উত্তর চট্টগ্রামের হালদা পাড়ের হাটহাজারীর উত্তর মাদার্শা গ্রামের চৌধুরী বাড়িই পৈতৃক নিবাস। শহর ও গ্রামের জল হাওয়া, সমুদ্রের ঢেউ আর পাহাড়ের মৌনতা তাকে দিয়েছে জীবনের বৈভব।

    কৈশোর থেকে লেখালেখির প্রবল নেশা তার। আর এই নেশা তাকে সহসা পেশাদারও করে তোলে। স্নাতককালীন সময়ে যুক্ত হন পেশাদার সাংবাদিকতায়, পরবর্তীতে স্নাতকোত্তর সময়ে গতি পায় নৈমিত্তিক চাকুরীজীবন, সমানে চলে বিদ্যার্জন ও লেখার নেশা।

    ভাষার লড়াই-শেখের বেটি: ভাষা সংগ্রাম ও এতে বঙ্গবন্ধুর অবদানের পথ ধরে বাংলার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার অবদানকে এক মলাটে সংযুক্ত করে ২০১১ সালে কবি সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর প্রকাশিত প্রথম গবেষণাগ্রন্থ ‘ভাষার লড়াই’।

    ২০২০ এ প্রকাশিত তাঁর কাব্য গ্রন্থ ‘শেখের বেটি’ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলা ছাড়িয়ে বিশ্ব জয়ের অদম্য অগ্রযাত্রায় দেশের রাজনীতি, সমাজ মননের বদলে যাওয়া, অথচ শংকাময় জনগোষ্ঠীর হৃদয়ের উথালপাতাল ঢেউয়েরই সমাহার।

    এতে বাঙালি মানসের আবেগ আশাবাদ ফুটে উঠেছে। তারুণ্যের দেশচেতনা, প্রেম, স্বপ্ন ও স্বপ্ন ভঙ্গের কাব্যিক শব্দসুর সংযুক্ত হয়েছে। রাজনীতি, প্রকৃতি ও প্রেমের এক অনন্য মিশেলের চেষ্টা করেছেন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার আলোচিত মুখ রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।

    কবি সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ‘শেখের বেটি’ গ্রন্থে শেখ হাসিনাকে সামনে রেখে তুলে এনে পুরো বাংলাদেশ, তার ইতিহাস ও ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধারণ করেছেন কাব্য ছন্দে। রিয়াজ দেখেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যার মুখে দুঃখিনী বর্ণমালার পোড়াচিহ্ন। লক্ষ স্বজন হারার আর্তনাদ। তিনি ভাবেন, শেখের বেটি শেখ হাসিনা মানেই শোষকের রক্ত চক্ষু ডিঙ্গিয়ে যাওয়া গণমুক্তির নাম।

    শব্দ শ্রমিক : সব ছাপিয়ে শব্দ শ্রমিক হিসেবেই রিয়াজের এগিয়ে চলা। মঞ্চ মাঠে ময়দানে সক্রিয়তা আর সাংবাদিকতা- কার্যত শব্দেরই কাজ। কারো কারো দৃষ্টিতে হয়তো এমন সব্যসাচী অবস্থান বেঢপ। ঈর্ষার কারণও । তবুও প্রগতি পথের এই সারথির অগ্রযাত্রা রয়েছে অদম্য।

  • বছরের প্রথম অভিযান চসিকের : ওয়ালটনসহ ১৪ প্রতিষ্ঠানে সোয়া লক্ষ টাকা জরিমানা

    বছরের প্রথম অভিযান চসিকের : ওয়ালটনসহ ১৪ প্রতিষ্ঠানে সোয়া লক্ষ টাকা জরিমানা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে মৌলভী বাজার পর্যন্ত আরাকান সড়কে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। নতুন বছরের প্রথম দিনে চসিকের পরিচালিত প্রথম ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১৪ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সোয়া লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

    সড়কে উভয় পার্শে নালা ও ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে দোকানের পরিধি বৃদ্ধি করা এবং দোকানের মালামাল স্তুপ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করায় এসব প্রতিষ্ঠান থেকে জরিমানা আদায় করে ম্যাজিস্ট্রেট। তাছাড়া এসব অভিযোগে প্রায় দুইশতাধিক দোকানের বর্ধিত অংশ ভাঙ্গা হয় এবং স্তুপকৃত পন্যসামগ্রী অপসারন করা হয়।

    অভিযানের নেতৃত্ব দেন চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতার ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস।

    তিনি জানান, নালার উপর দোকানের সামনের অংশ স্থায়ীভাবে বর্ধিত করায় ওই এলাকার ওয়ালটন শোরুমকে দশ হাজার, চান্দগাঁও ডায়াবেটিক সেন্টারকে দশ হাজার, ইউছুফ এন্ড ব্রাদার্সকে দশ হাজার, আল মক্কা হোটেলকে দশ হাজার, খাজা ইলেক্ট্রিককে দশ হাজার, নিউ মক্কা স্টোরকে দশ হাজার, আবদুল জব্বার ইলেক্ট্রোনিক্সকে দশ হাজার, মোস্তাফা মার্কেটের মনছুরকে দশ হাজার, হাবিবুল্লাহকে দশ হাজার, এস.এম ইলেক্ট্রোনিক্সকে দশ হাজার, ডিভিশন ইলেক্ট্রোনিক্সকে দশ হাজার, সিরাজকে পাঁচ হাজার, শোভা জুয়েলার্সকে পাঁচ হাজার ও সাগর স্টোরকে পাঁচ হাজার টাকা সহ সর্বমোট এক লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

    সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী, চান্দগাঁও থানা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ উচ্ছেদ অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয়কে সহায়তা প্রদান করেন।

  • চসিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা, মৌখিক ২ ডিসেম্বর

    চসিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা, মৌখিক ২ ডিসেম্বর

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০১৯-এর বিষয় ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ফলাফল ঘোষণা করেছে চসিক।

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চসিকের জনসংযোগ শাখা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞিপ্তিতে ফলাফল ঘোষণার বিষয়টি জানানো হয়। এতে বলা হয় লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা আগামী ২ ডিসেম্বর সোমবার থেকে শুরু হবে।

    এ বিষয়ে বিস্তারিত আগামী ২৭ নভেম্বর বিকেল ৩ টায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ওয়েবসাইট (www.ccc.org.bd) -তে আপলোড করা হবে।

    চসিকের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা যারা উত্তীর্ণ হয়েছে নি¤েœ তাদেও রোল নম্বর দেয়া হয়েছে।

    বাংলা বিষয়ে ৩০ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন এর মধ্যে রোল নম্বর যথাক্রমে ১৩, ২০, ২৩, ৩০, ৩৫, ৩৮, ৩৯, ৮৬, ১০০, ১০৮, ১১২, ১২৮, ১২৯, ১৩৩, ১৩৫, ১৩৮, ১৪৪, ১৫৮, ১৬৬, ১৭৮, ১৮৬, ১৮৮, ১৯২, ২০৫, ২১৮, ২২১, ২২৪, ২২৭, ২৪২ ও ২৪৩।

    ৩৬ জন উর্ত্তীর্ণ হয়েছে ইংরেজী বিষয়ে-রোল নম্বর : ১১, ১৫, ১৬, ২১, ৪৮, ৬৪,৬৮, ৮১, ৮৮, ৮৯, ১১৭, ১১৯,১৩২, ১৫৪, ২০৩, ২৩৯, ২৪০, ২৪৮, ২৫১, ২৬০, ২৬৩, ২৭৩, ২৮২, ৩২৮, ৩৫৮, ৩৬৩, ৩৬৫, ৩৬৯, ৩৭১, ৩৭৮, ৩৯৫, ৪০৩, ৪১৭, ৪৬৮, ৪৮৭ ও ৫০৮।

    গণিত বিষয়ে ৩৮ জন উত্তীর্ণ হন। এদের মধ্যে রোল নম্বর ১৫, ৩১, ৪২, ৭৩, ৮৬, ৮৭, ৯৩, ৯৭, ১০৭, ১১১, ১১৪, ১১৭, ১২১, ১২৯, ১৩৫, ১৪১, ১৫১, ১৫৭, ১৫৯, ১৬০, ১৭১, ১৭৩, ১৭৭, ২০৬, ২১৪, ২২০, ২২৫, ২২৭, ২২৮, ২৩৬, ২৪৫, ২৬৬, ২৭৮, ২৯০, ৩০৯, ৩১৪, ৩৩৯ ও ৩৪৭।

    ১৩ জন রয়েছে সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে। রোল নম্বর : ১১৫, ১৫৩, ১৮১, ২০৩, ২২৫, ২৭৮, ২৯১, ৩১৯, ৩৮৩, ৩৮৯, ৪০৩, ৪০৫ ও ৪৪৬।

    ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে ১৬ জন এবারের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। রোল নম্বর ০২,১২,৪০,১১১,১২০,১৩৫, ১৪০, ১৯০, ২৯২, ৩০১, ৩০৫, ৩৫৭, ৪৫৫, ৪৭১, ৪৯৮ ও ৫০৫।

    ভৌত বিজ্ঞান বিষয়ে ৩৪ জন উত্তীর্ণ হন। রোল নম্বর ০২, ০৩, ০৪, ০৭, ১০, ১৪, ১৬, ১৮, ২০, ৩০, ৫৪, ৫৭, ৬০, ৬৫, ৬৮, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৬, ৭৯, ৯৫, ১০০, ১১৩, ১২৯, ১৪৪, ১৪৬, ১৫০, ১৫৭, ১৬২, ১৬০, ১৬৫, ১৭৫, ১৭৭ ও ১৮৩।

    জীব বিজ্ঞান বিষয়ে উত্তীর্ণ হন ৩৬ জন। রোল নম্বর : ২০, ২১, ২৯, ৩১, ৩৯, ৪৪, ৫১, ৫৫, ৫৭, ৬০, ৬৪, ৭৪, ৮৫, ১০০, ১০৪, ১০৫, ১১২, ১২৯, ১৩২, ১৩৩, ১৩৪, ১৩৬, ১৪৭, ১৬০, ১৬১, ১৬২, ১৬৩, ১৬৪, ১৬৮, ১৭২, ১৮৮, ১৯৬, ২০০, ২০৯, ২১০ ও ২১৭।

    তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ২০ জন। রোল নম্বর : ০১, ০২, ০৫, ০৬, ১০, ১৪, ২০, ২৮, ৩৭, ৪২, ৪৪, ৪৭, ৪৯, ৫২, ৫৪, ৫৬, ৫৮, ৬৬, ৭৮ ও ৮০।

    ইসলাম ধর্ম বিষয়ে ১১ জন। রোল নম্বর : ৭৬, ১১৫, ১৫১, ১৫৮, ১৬৫, ১৭৬, ১৯৩, ১৯৬, ১৯৭, ১৯৯ ও ২০৪।

    হিন্দু ধর্ম বিষয়ে ৮জন উত্তীর্ণ হন। রোল নম্বর : ০৭, ১০, ২৫, ২৭, ৩০, ৩১, ৩৫ ও ৩৮। এছাড়া বৌদ্ধ ধর্ম বিষয়ে ৬জন পরীক্ষার্থী উত্তির্ণ হন। রোল নম্বর : ০৬, ০৭, ০৯, ১৪, ১৬ ও ১৭।