Tag: চসিক নির্বাচন

  • চসিক নির্বাচন বাতিল চেয়ে সিইসি-মেয়র এর বিরুদ্ধে শাহাদাতের মামলা

    চসিক নির্বাচন বাতিল চেয়ে সিইসি-মেয়র এর বিরুদ্ধে শাহাদাতের মামলা

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে মামলা করেছেন নির্বাচনে পরাজিত বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। মামলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা ও নবনির্বাচিত সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিমসহ ৯ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

    বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাইরুল আমিনের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন তিনি।

    বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য ও ডা. শাহাদাত হোসেনের আইনজীবি দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    মামলায় সিইসি, ইসি সচিব ও চসিক মেয়র ছাড়াও অন্য যাদের বিবাদী করা হয়েছে তারা হলেন- চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং রিটার্নিং অফিসার, মেয়র প্রার্থী আবুল মঞ্জুর, এম এ মতিন, খোকন চৌধুরী, মোহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ ও জান্নাতুল ইসলাম।

    অভিযোগ দায়েরের পর ডা. শাহাদাত উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, চসিক নির্বাচনে ভোটের দিন দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪-৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু দিন শেষে সাড়ে ২২ শতাংশ ভোট দেখানো হয়েছে। নির্বাচনের দিন প্রতিঘণ্টার ভোটের হিসাব দেখতে চেয়েছিলাম। ৭ দিন সময়ও দিয়েছি। কিন্তু ১০ দিন পরেও এই তথ্য কমিশন দিতে পারেনি। নির্বাচনে ৪ হাজার ৮৮৫টি ইভিএম ব্যবহার করা হয়। সেখানে মাত্র ১০টি বুথে ইভিএম’র প্রিন্টেড কপি দেওয়া হয়েছে। যদি ১০টি বুথের ইভিএম’র প্রিন্টেড কপি থাকে তাহলে সবগুলো ইভিএম’র প্রিন্টেড কপি থাকার কথা। কিন্তু তারা এটা দেখাতে ব্যার্থ হয়েছে। ভোট কারচুপির অভিযোগ এবং বির্তকিত নির্বাচন বাতিল করে নতুন তফশীল ঘোষণা মাধ্যমে নিরপেক্ষভাবে পুণ:নির্বাচনের দাবীতে ৯ জনকে বিবাদী করে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    গত ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেন।

    গত ১১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে ভোটগ্রহণের তথ্য চাইতে যান বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। এসময় তিনি নির্বাচনে জোর করে হারিয়ে দেয়া অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধের মামলা করার ঘোষণা দেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ানসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

  • চসিকে কাউন্সিলর পদে যারা বিজয়ী হলেন

    চসিকে কাউন্সিলর পদে যারা বিজয়ী হলেন

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে অনুষ্ঠিত ভোটে কাউন্সিলর নতুনের জয়জয়কার হয়েছে। ৩৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবকটিতে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে ১৯টিতে জয় নতুনদের।

    এদিকে এবারই প্রথম চসিকের কোনো ওয়ার্ডে জয় পাননি বিএনপির কোনো কাউন্সিলর প্রার্থী।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড এবং ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৯ ওয়ার্ডে (১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ও ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ড ছাড়া) নির্বাচিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

    ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
    অপরদিকে ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিমের মৃত্যুতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। নতুন তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি।

    বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান সাধারণ এবং সংরক্ষিত মিলিয়ে ৫৩ ওয়ার্ডের ফলাফল নগরীর স্টেডিয়ামস্থ জিমনেশিয়াম চত্বর থেকে ঘোষণা করেন ।

    সাধারণ ওয়ার্ডে নির্বাচিতদের তালিকা
    ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী: আওয়ামী লীগের গাজী মো. শফিউল আজিম (ঘুড়ি)
    ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড: বিদ্রোহী মো. সাহেদ ইকবাল বাবু (ঝুড়ি)
    ৩নং পাঁচলাইশ: বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম (মিষ্টি কুমড়া)
    ৪নং চান্দগাঁও: বিদ্রোহী প্রার্থী মো. এসরারুল হক (ঘুড়ি)
    ৫নং মোহরা: আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ কাজী নুরুল আমিন মামুন (ঘুড়ি)
    ৬নং পূর্ব ষোলশহর: আওয়ামী লীগের এম আশরাফুল আলম (ঘুড়ি)
    ৭নং পশ্চিম ষোলশহর: আওয়ামী লীগের মো. মোবারক আলী (টিফিন ক্যারিয়ার)
    ৮নং শুলকবহর: আওয়ামী লীগের মো. মোরশেদ আলম (লাটিম)
    ৯নং পাহাড়তলী: বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ জহুরুল আলম জসিম (মিষ্টি কুমড়া)
    ১০নং উত্তর কাট্টলী: আওয়ামী লীগের নিছার উদ্দিন আহমেদ (মিষ্টি কুমড়া)
    ১১নং দক্ষিণ কাট্টলী: আওয়ামী লীগের মো. ইসমাইল (টিফিন ক্যারিয়ার)
    ১২নং সরাইপাড়া: আওয়ামী লীগের মো. নুরুল আমিন (রেডিও)
    ১৩নং পাহাড়তলী: আওয়ামী লীগের মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী (লাটিম)
    ১৪নং লালখান বাজার: আওয়ামী লীগের আবুল হাসনাত মো. বেলাল (ঘুড়ি)
    ১৫নং বাগমনিরাম: আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন (ঘুড়ি)
    ১৬নং চকবাজার: আওয়ামী লীগের সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু(ব্যাডমিন্টন র‌্যাকেট)
    ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া: আওয়ামী লীগের এ মোহাম্মদ শহিদুল আলম (ঘুড়ি)
    ১৮নং পূর্ব বাকলিয়া: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
    ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া: আওয়ামী লীগের মো. নুরুল আলম (মিষ্টি কুমড়া)
    ২০নং দেওয়ান বাজার: আওয়ামী লীগের চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী (ঠেলাগাড়ি)
    ২১নং জামালখান: আওয়ামী লীগের শৈবাল দাশ সুমন (ঠেলাগাড়ি)
    ২২নং এনায়েত বাজার: আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ সলিম উল্লাহ বাচ্চু(ঘুড়ি)
    ২৩নং উত্তর পাঠানটুলী: আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ জাবেদ (মিষ্টি কুমড়া)
    ২৪নং উত্তর আগ্রাবাদ: আওয়ামী লীগের নাজমুল হক ডিউক (ঠেলাগাড়ি)
    ২৫নং রামপুরা: আওয়ামী লীগ সমর্থিত আব্দুস সবুর লিটন(টিফিন ক্যারিয়ার)
    ২৬নং উত্তর হালিশহর: আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ হোসেন (ঠেলাগাড়ি)
    ২৭নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ: মো. শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী(লাটিম)
    ২৮নং পাঠানটুলী: আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম বাহাদুর (রেডিও)
    ২৯নং পশ্চিম মাদারবাড়ি: আওয়ামী লীগের গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের (রেডিও)
    ৩০নং পূর্ব মাদারবাড়ি: আওয়ামী লীগের আতাউল্লাহ চৌধুরী(ঘুড়ি)
    ৩১নং আলকরণ: কাউন্সিলর প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিমের মৃত্যুতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। নতুন তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি।
    ৩২নং আন্দরকিল্লা: আওয়ামী লীগ সমর্থিত জহর লাল হাজারী (মিষ্টি কুমড়া)
    ৩৩নং ফিরিঙ্গি বাজার: বিদ্রোহী প্রার্থী হাসান মুরাদ বিপ্লব (মিষ্টি কুমড়া)
    ৩৪নং পাথরঘাটা: আওয়ামী লীগের পুলক খাস্তগীর (ঠেলাগাড়ি)
    ৩৫নং বক্সিরহাট: আওয়ামী লীগের হাজী নুরুল হক (ঘুড়ি)
    ৩৬নং গোসাইলডাঙ্গা: বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মোর্শেদ আলী।
    ৩৭নং মুনিররগর: আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আবদুল মান্নান (ঠেলাগাড়ি)
    ৩৮নং দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর: আওয়ামী লীগের গোলাম মো. চৌধুরী (ঠেলাগাড়ি)
    ৩৯নং দক্ষিণ হালিশহর: আওয়ামী লীগের জিয়াউল হক সুমন(লাটিম)
    ৪০নং উত্তর পতেঙ্গা: আওয়ামী লীগের আবদুল বারেক(ঠেলাগাড়ি)
    ৪১নং দক্ষিণ পতেঙ্গা: আওয়ামী লীগের ছালেহ আহম্মেদ চৌধুরী (ঘুড়ি)।

    সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররা হলেন-
    ১ নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থী ফেরদৌস বেগম মুন্নী (আনারস)।
    ২নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের জোবাইরা নার্গিস খান (মোবাইল ফোন)।
    ৩নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের জেসমিন পারভীন জেসী (চশমা)।
    ৪নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের তছলিমা বেগম নুরজাহান (বই)।
    ৫নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের আনজুমান আরা বেগম (বই)।
    ৬নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের শাহীন আকতার রোজী (আনারস)।
    ৭নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের রুমকি সেনগুপ্ত (হেলিকপ্টর)।
    ৮নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নীলু নাগ (মোবাইল ফোন)।
    ৯নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের জাহেদা বেগম পপি (স্টিল আলমারি)।
    ১০ নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের হুরে আরা বেগম (মোবাইল ফোন)।
    ১১নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের ফেরদৌসি আকবর (বই)।
    ১২ নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের আফরোজা জহুর (আফরোজা কালাম) (গ্লাস)।
    ১৩ নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবী (গ্লাস)।
    ১৪ নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের শাহানুর বেগম (গ্লাস)।

  • চসিক নির্বাচন: সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে নিহত ২

    চসিক নির্বাচন: সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে নিহত ২

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ভোট শুরুর পর থেকে নগরীর বেশ কয়েকটি জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে পাহাড়তলী ও খুলশীর দুই কেন্দ্রে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন।

    জানা গেছে, ভোট শুরুর কিছুক্ষণ পরে নগরীর পাহাড়তলীতে দুপক্ষের মধ্যকার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত নিজাম উদ্দিন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের হোসেনের কর্মী বলে জানা গেছে। গুলিবিদ্ধ নিজাম উদ্দিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    অপরদিকে নগরের খুলশী থানাধীন ইউসেপ আমবাগান কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে আলাউদ্দিন আলো (২৮) নামের একজন নিহত হন।

    চমেক মেডিকেল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মো. জহির জানান, নগরীর খুলশী আমবাগান এলাকার ইউসেপ স্কুল কেন্দ্র থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে আলাউদ্দিন আলোর মৃত্যু হয়। মরদেহ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে নগরীর ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আমাবাগন ইউসেপ স্কুল কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পথচারী আলাউদ্দিন ঘটনাস্থলের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তার বুকের নিচে গুলি লাগে।

    অন্যদিকে, নগরীর লালখান বাজার শহীদ নগর সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া অন্যদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কাউন্সিলির প্রার্থী শাহ আলম। সেখানে আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত তিন জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

    তবে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও ভোটগ্রহণে কোনও সমস্যা হয়নি বলে জানান প্রিসাইডিং অফিসার বশির আহমদ। তিনি বলেন, বাইরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও কেন্দ্রের ভেতরে কোনও বিশৃঙ্খলা নেই।

    ২০২০ সালের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ষষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় নির্বাচনের আট দিন আগে তা স্থগিত করা হয়। এরপর পরিস্থিতির উন্নতি বিবেচনায় ২৭ জানুয়ারি ভোটের দিন ঠিক করে নির্বাচন কমিশন। এবার মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিএনপির দুই প্রার্থীর বাইরে আরও পাঁচ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্য প্রার্থীরা হলেন এনপিপি’র আবুল মনজুর (আম), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন (মোমবাতি), স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী (হাতি), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা)।

    এদিকে, ৪১টি সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৩৭ জন। এবার ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিম মারা যাওয়ায় সেখানে কাউন্সিলর নির্বাচন হবে না। তবে ওই ওয়ার্ডে মেয়র পদে ভোটগ্রহণ হবে।

    অন্যদিকে, ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হারুন অর রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাই এই ওয়ার্ডেও এবার কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হচ্ছে না। নগরীর ৩৯টি ওয়ার্ড নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ৩৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৪টিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

  • ভোট ডাকাতির মহোৎসব চলছে: ডা. শাহাদাত

    ভোট ডাকাতির মহোৎসব চলছে: ডা. শাহাদাত

    ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত থাকবেন জানিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অনিয়ম বিশ্বকে দেখিয়ে দেবো। ভোট ডাকাতির মহোৎসব চলছে, প্রশাসন আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে জেতাতে উঠেপড়ে লেগেছে।

    বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় নগরের পশ্চিম বাকলিয়া ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিএড কলেজ কেন্দ্র ভোট দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

    ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রত্যেক কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশকে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন কোনো সাহায্য সহযোগিতা করছে না।

    তিনি বলেন, বিএড কলেজ কেন্দ্রে নারী এজেন্টদের মারধর করা হয়েছে। তাদের কেন্দ্রে ঢুকতেও দেওয়া হয়নি। এতো অনিয়ম, তা আপনারা দেখছেন। ভোটের নামে এসব সন্ত্রাস বিশ্বকে দেখিয়ে দেবো।

    বিএনপির এজেন্ট সুমি আক্তার, শারমিন আক্তার ও নাজমা বেগম অভিযোগ করেন, তাদের মারধর করা হয়েছে। কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি।

  • চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

    চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ষষ্ঠ পরিষদের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৭৩৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলবে। ভোটে একজন মেয়র, ৪১ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন। এবার মেয়র পদের জন্য সাতজনসহ মোট প্রার্থী ২৩২ জন। ভোটার সংখ্যা সর্বমোট ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন।

    এই ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপি। অপরদিকে আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

    নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, সুষ্ঠু, প্রতিযোগিতামূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    তবে এই ভোটকে কেন্দ্র করে শঙ্কাবোধে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করেছে ইসি। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ বলছে, সিটির মোট ভোটকেন্দ্রের অর্ধেকের বেশি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে কেন্দ্রের পরিবেশ ঠিক রাখতে মোট ১৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    এই ভোটকে কেন্দ্র করে সোমবার মধ্যরাত থেকে প্রার্থীরা তাদের টানা দুই সপ্তাহের নির্বাচনি প্রচারণা শেষ করেছেন। ৪১টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় নয় হাজার পুলিশ-আনসারের পাশাপাশি মোতায়েন রয়েছে ২৫ প্লাটুন বিজিবি, ২৫ প্লাটুন র‍্যাব, স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ মোট ১৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। এ ছাড়া যে কোনো ধরনের অপরাধের তাৎক্ষণিক বিচারের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় আছেন ২০ জন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট।

    চট্টগ্রাম সিটির এই ভোটে ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান। গতকাল মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে ৭৩৫টি কেন্দ্রে নির্বাচনের সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামসহ চারটি ভেন্যু থেকে এসব সামগ্রী বিতরণ করে ইসি। এ নির্বাচনে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ভোটার নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।’

    বুধবার সকাল ৯টায় বহদ্দারহাট এখলাসুর রহমান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন রেজাউল করিম চৌধুরী। এ ছাড়া বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বাকলিয়া বিএড কলেজ কেন্দ্রে সকাল ৯টায় ভোট দেবেন।

    এদিকে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বহিরাগতদের শহরে না আসার আহ্বান জানিয়েছেন মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মো. তানভীর। এ ছাড়া ভোটারদের এনআইডি কার্ড সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

    পুলিশ কমিশনার বলেন, ৪১টি ওয়ার্ডের ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪১৭টি ভোটকেন্দ্রকে তাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সব কেন্দ্রে সমানভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নয় হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করছে। পাশাপাশি ২৪ প্লাটুন বিজিবি, ২৫ প্লাটুন র‍্যাব, আনসারসহ ১৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    মেয়রপদে যারা অংশ নিয়েছেন

    আওয়ামী লীগ মনোনীত এম রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা), বিএনপি মনোনীত ডা. শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মাওলানা এমএ মতিন (মোমবাতি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবুল মনজুর (আম), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী (হাতি)।

    নির্বাচনে ১৪ সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রার্থী রয়েছেন ৫৭ জন। সাধারণ ৪১ ওয়ার্ডের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৩৯ ওয়ার্ডে। ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর হারুনুর রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। আর ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিম মৃত্যুবরণ করায় ওই পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। তবে ওই ওয়ার্ডে মেয়র ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ হবে। ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী হোসেন মুরাদ ইন্তেকাল করলে সেখানে আবদুল মান্নানকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে ৩৯ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ১৬৮ প্রার্থী।

    উল্লেখ্য, পঞ্চম নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ শেষের আগে গত বছরের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে দলীয় মনোনয়ন পর্যন্ত সবই সম্পন্ন হয়। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় মাত্র কয়েক দিন আগে স্থগিত করা হয় নির্বাচন।

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রে বুথ চার হাজার ৮৮৬টি। মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন এবং মহিলা ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন। ভোট গ্রহণের দায়িত্বে আছেন ১৬ হাজার ১৬৩ জন কর্মকর্তা। সবাইকে ইভিএম বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এর মধ্যে রয়েছেন প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা পাঁচ হাজার ৯০২ জন এবং পোলিং কর্মকর্তা ১০ হাজার ২৬৮ জন।

    চসিক নির্বাচনে এবার প্রথমবারের মতো সব কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। ভোটের জন্য প্রস্তুত ১১ হাজার ৫৭২ ইভিএম। চার হাজার ৮৮৯টি বুথের জন্য একটি করে ইভিএম। এ ছাড়া দুটি কক্ষের জন্য একটি করে ইভিএম অতিরিক্ত আছে। আর ঝুঁকি এড়ানোর জন্য বিশেষ ব্যাকআপও রাখা হয়েছে।

    সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ইভিএমের কন্ট্রোল প্যানেলের মাধ্যমে ভোটারকে ইলেকট্রনিক ব্যালট ইস্যু করবেন। ভোটার নম্বর অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ভোটার শনাক্ত করা হবে। তারপর আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে ভোটার শনাক্ত করার পর ভোটারের ছবিসহ পরিচয় পর্দায় ভেসে উঠবে। এরপর গোপন কক্ষে একজন ভোটার মেয়র, সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরসহ তিনটি পদে ভোট প্রদান করতে পারবেন। ব্যালট ইউনিটে প্রার্থীর নাম ও প্রতীকের ডান পাশে সাদা বোতামে চাপ দিয়ে ভোটার তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। পরে সবুজ বোতাম চেপে ভোট নিশ্চিত করবেন।

    ভোট গ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম থেকে।

  • রেজাউল নাকি শাহাদাত, কে হচ্ছেন চসিক মেয়র?

    রেজাউল নাকি শাহাদাত, কে হচ্ছেন চসিক মেয়র?

    গত বছরের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ষষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে নির্বাচনের আট দিন আগে তা স্থগিত করা হয়। এরপর পরিস্থিতির উন্নতি বিবেচনায় ১০ মাস পর চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি ভোটের দিন ঠিক করে নির্বাচন কমিশন।

    সে অনুযায়ী আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ইভিএমসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম।নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপির দুই প্রার্থীর বাইরে আরও ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন রেজাউল করিম চৌধুরী। বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ডা. ডা. শাহাদাত হোসেন। এরবাইরে অন্য প্রার্থীরা হলেন এনপিপি’র আবুল মনজুর (আম), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন (মোমবাতি), স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী (হাতি), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা)।

    নির্বাচনে মেয়র পদে সাত প্রার্থী থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যেই। এদিকে, ৪১টি সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৩৭ জন। এবার ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিম মারা যাওয়ায় সেখানে কাউন্সিলর নির্বাচন হবে না। তবে ওই ওয়ার্ডে মেয়র পদে ভোটগ্রহণ হবে। ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হারুন অর রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাই এই ওয়ার্ডেও এবার কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হচ্ছে না। তাই বুধবার (২৭ জানুয়ারি) নগরীর ৩৯টি ওয়ার্ড নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ৩৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৪টিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

    চট্টগ্রাম সিটিতে ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩। নারী ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন। এবার ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রের ৪ হাজার ৮৮৬টি ভোট কক্ষে এই ভোটাররা ভোট প্রদান করবেন।

    ভোট গ্রহণে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ৭৩৫ জন, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ১৪৭০ জন, পোলিং ও কর্মকর্তা ২৯৪০ জন দায়িত্ব পালন করবেন।নিরাপত্তার দায়িত্বে মোট ১৮ হাজার পুলিশ ও আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে র‌্যাবের সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। ইতোমধ্যে ২৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি ২০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৬৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন।

    রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এবার নগরীর ৭৩৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। বুধবার সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হবে। আশা করছি, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে বিকাল ৪টায় নির্বাচন শেষ হবে। ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীকে মেয়র নির্বাচিত করতে পারবেন নগরবাসী।’

  • ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ ২৮ ফেব্রুয়ারি

    ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ ২৮ ফেব্রুয়ারি

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের (আলকরণ) সাধারণ কাউন্সিলর পদে স্থগিত হওয়া ভোটগ্রহণের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।

    নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

    প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ এর বিধি ১০ (১) অনুযায়ী গত ২০ জানুয়ারি বাতিলকৃত সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর সাধারণ কাউন্সিলর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।

    সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোপূর্বে নিয়োগকৃত রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং আপিল কর্তৃপক্ষ বহাল থাকবে। এছাড়া ইতোপূর্বে কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়ে থাকলে নতুন করে তাকে মনোনয়ন দাখিল করতে হবে না।

    নতুন তফসিল অনুযায়ী ২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ। মনোনয়ন যাচাই-বাছাই হবে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১১ ফেব্রুয়ারি।

    গত ১৮ জানুয়ারি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে সাত মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিম।

    তার মৃত্যুর পর ওই ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

  • চসিক নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি: সিইসি

    চসিক নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি: সিইসি

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা।

    রবিবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

    সিইসি বলেন, চসিক নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে। বিপুল পরিমাণ মানুষ প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছে। পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কর্মকর্তাদের। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ভোট সংশ্লিষ্ট কাজে যারা নিয়োজিত থাকবেন তাদের সকল প্রার্থীর প্রতি সমান নজর রাখতে হবে। যাতে এটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন না উঠে।

    ইভিএম নিয়ে কেএম নুরুল হুদা বলেন, যেখানে ইভিএম থাকবে সেখানে সশস্ত্র পুলিশ থাকবে। ভেতরে ঢুকে একজনের ভোট আরেকজনের দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) একটি গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি। ধীরে ধীরে মানুষ এই পদ্ধতি গ্রহণ করছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সব নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করার পরিকল্পনা করছি আমরা।

    বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এ রকম কোন ঘটনার সত্যতা আমরা পায়নি।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান প্রমুখ।

  • বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীদের এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়ে চসিক নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে আ.লীগ

    বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীদের এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়ে চসিক নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে আ.লীগ

    আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন বানচাল করার জন্য বিএনপি মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থীদের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

    বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় নগর বিএনপি কার্যালয় নাসিমন ভবনে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।

    আমীর খসরু বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন বানচাল করার জন্য আওয়ামী লীগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে। গত দুই-তিনদিন ধরে পতেঙ্গা থেকে শুরু করে কালুরঘাট পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে পুলিশ।

    ২০-৩০ জনের গ্রুপ নিয়ে বাড়ি ঘেরাও করছে, আর বিএনপি নেতাকর্মীদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলছে। কাউন্সিলর প্রার্থীকেও এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।

    তিনি বলেন, যেখানে নেতাকর্মীরা অনুপস্থিত, সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীদের পরিবারকে হেনস্থা করা হচ্ছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, সেটি না করে তারা নির্বাচনী কাজকে বাধাগ্রস্ত করছে।

    ‘আগামী যে কয়দিন আছে, সেই দিনগুলো কীভাবে কাটবে তা পুরোপুরি অনিশ্চিত। গতকালও নির্বাচনী কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। মেয়র প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করেছে। তাদের ক্যাম্প তারা ভেঙে ইস্যু তৈরি করে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা করেছে’ বলেন আমীর খসরু।

    তিনি বলেন, তারা এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, যাতে মানুষ নির্বাচনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, ভোটকেন্দ্রে না যায়। গেলেও তাদের নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় পুরো নির্বাচন চলে, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই নির্বাচনের তো কোনো প্রয়োজন নেই।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ-সাংঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, চসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান প্রমুখ।

  • চসিক নির্বাচন: বাবুল হত্যার পলাতক আসামি দেলোয়ার গ্রেফতার

    চসিক নির্বাচন: বাবুল হত্যার পলাতক আসামি দেলোয়ার গ্রেফতার

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলিতে আজগর আলী বাবুল (৫৫) নিহতের ঘটনায় পলাতক আসামি দেলোয়ার রশিদকে (৪২) গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

    সোমবার সকালে নগরীর চকবাজার থানাধীন কাপাসগোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতার দেলোয়ার রশিদ ডবলমুরিং থানাধীন মোগলটুলি ওসমান গনি কন্ট্রাক্টর বাড়ির মফিজুল হকের ছেলে। তিনি আজগর আলী বাবুল হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি।

    র‌্যাব ৭-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, চকবাজার থানাধীন কাপাসগোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেলোয়ার রশিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজগর আলী বাবুল হত্যার সঙ্গে দেলোয়ার রশিদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। ওই ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

    গত ১২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন পাঠানটুলী মগপুকুর পাড় এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলিতে আজগর আলী বাবুল নিহত হন। এ সময় অপর দুজন আহত হয়েছেন।

    আহতরা হলেন- মো. মাহবুব ও অলিউদ্দিন। তিনজনই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়।

    এদের মধ্যে নিহত আজগর আলী ও মাহবুব ২৮নং পাঠানটুলী ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুরের সমর্থক। অপরজন পথচারী।

    ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ বলেন, মগপুকুর এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর ও একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কাদেরের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও গোলাগুলি হয়।

    এতে গুলিবিদ্ধ হন আজগর আলী বাবুল ও মাহবুব। দুজনই বাহাদুরের সমর্থক বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ছাড়া একজন পথচারী গুলিবিদ্ধ হন।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক মো. আমির হোসেন বলেন, গুলিবিদ্ধ তিনজনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে আজগর ও মাহবুবকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আজগরের মৃত্যু হয়।

  • করোনা মহামারী কালীন মুহুর্তে চসিক নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা সরকারের স্বাস্থ্য সুরক্ষার পরিপন্থী

    করোনা মহামারী কালীন মুহুর্তে চসিক নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা সরকারের স্বাস্থ্য সুরক্ষার পরিপন্থী

    বৈশ্বিক মহামারী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বর্তমানে দেশে চলমান রয়েছে। সরকার বিভিন্ন স্বাস্থ্য সতর্কবানী ঘোষনা ও প্রচার করলেও নির্বাচন কমিশন কোন দিকে দৃষ্ঠি নিক্ষেপ না করে মহামারীকে উস্কে দেবার মতো কান্ডজ্ঞানহীন আচরণে লিপ্ত। করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাব রোধে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা বন্ধ রেখেছেন। বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ভর্তি পরীক্ষা বাদ দিয়ে লটারীতে নেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ন পরীক্ষাসমুহ বন্ধ রেখেছেন। গণপরিবহন, হাট-বাজার ও সভা-সমাবেশে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানা নিশ্চিতে জেলা-উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালতও পরিচালনা করছেন। সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে অনেকগুলি সভা সরাসরি বাদ দিয়ে অনলাইনে করছেন।

    এ অবস্থায় আগামি ২৭ জানুয়ারি ২০২১ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন পৌরসভার নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা সরকারের করোনা মহামারী সংক্রান্ত প্রস্তুতি ও সতর্কতার পরিপন্থী বলে মত প্রকাশ করে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে এই তারিখ পেছানোর দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নগর ও বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ।

    মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রেরিত বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ উপরোক্ত দাবি জানান।

    বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কান্ডজ্ঞানহীন আচরণের কারনে সাধারণ জনগনের ভোট অধিকার প্রয়োগ মানুষের কাছে হাস্যকর বিষয়ে পরিনত হয়েছে। সেখানে করোনার স্বাস্থ্য বিধি ও সতর্কতাকে উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন পৌরসভার ভোট গ্রহনের তারিখ ঘোষনা সাধারণ ভোটারদেরকে করোনার মৃত্যু ঝুঁকিতে নিক্ষেপ করার মতো আত্মঘাতি ও অপরিপক্ষ সিদ্ধান্ত।

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন যেহেতু দেশের বৃহত্তম সিটি করপোরেশন। সেকারনে বিপুল সংখ্যক প্রার্থী ও সমর্থকদের ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা, ভোটারদের বাড়ী পরিদর্শন এবং নির্বাচনী সভা, সমাবেশ ও প্রচারণা করবেন বিধায় নগরীর ৭০ লক্ষ নগরবাসী পুরোটাই করোনার প্রবল ঝুঁকিতে পতিত হবেন। তাই অবিলম্বে এই নির্বাচনের তারিখ পেছানো উচিত মন্তব্য করেন।

    নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, যেহেতু সিটি করপোরেশনের নির্বাচন, স্থানীয় সরকারের নির্বাচন, সেকারনে নির্ধারিত সময় পার হলেও সংবিধান লংঘন হবার মতো কোন পরিস্থিতির উৎভব ঘটবে না। আর মানুষের জীবন বাঁচানো প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। নির্বাচন কমিশনের এই অপরিপক্ষ সিদ্ধান্ত প্রার্থী, সমর্থক ও ভোটারদেরকে করোনার মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের মৃত্যু ঝুঁিকতে ফেলানো মতো পরিস্থিতি শুভকর ও যথার্থ নয়। তাই স্বতঃস্পূর্ত ও অংশগ্রহনমুলক নির্বাচনের স্বার্থে এ ধরণের খামখেয়ালীপনা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।

  • চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও দুই আসনের উপনির্বাচন স্থগিত

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও দুই আসনের উপনির্বাচন স্থগিত

    করোনা পরিস্থিতির কারণে ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন, বগুড়া-১ ও যশোর-৬ উপনির্বাচনের ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    আজ শনিবার (২১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার পর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

    করোনাভাইরাসের কারণে জনস্বার্থে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিতের দাবি জানিয়েছিলেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।

    গতকাল চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে সিটি নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের কাছে নির্বাচন স্থগিতের আবেদন জমা দেন তিনি।