Tag: চসিক প্রশাসক

  • নিজের মনের কালিমা মুছতে পারলে সমাজ-পরিবেশ- প্রকৃতি শুদ্ধ হবে:বিদায়ী চসিক প্রশাসক

    নিজের মনের কালিমা মুছতে পারলে সমাজ-পরিবেশ- প্রকৃতি শুদ্ধ হবে:বিদায়ী চসিক প্রশাসক

    নিজের মনের মনীলতা ও কালিমা মুছতে পারলে সমাজ, প্রকৃতি, রাষ্ট্র ও সরকার মঙ্গলময় হবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে আমার ১৮০ দিনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনের যে পরিবর্তন তার প্রধান কারিগর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আমি সাধুবাদ জানাই তাদের।

    আজ সকালে আন্দরকিল্লাস্থ সিটি কর্পোরেশনের পুরোনো নগর ভবনের কে.বি আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেয়া বিদায়ী শুভেচ্ছা প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন সদ্য সাবেক চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আরো বলেন, বিদায় বলতে বুঝি শেষ বিদায়, তবে তা নয়। আমি কর্মে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। এই শহরে আমার জম্ম, এই শহরে বেড়ে ওঠা, এই শহরেই আমার মৃত্যু হবে। ছাত্র জীবনে রাজনীতির হাতেখড়ি নিয়ে রাজপথকে আমার ঠিকানা বানিয়েছি। এখান থেকে চট্টগ্রাম নগরকে নিয়ে আমার স্বপ্ন দেখা। ১৮০ দিনের অভিজ্ঞতায় ভালকে গ্রহণ করেছি-মন্দকে পরিহার করেছি। আমি অনুধাবন করেছি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে অনেক মেধাবী কর্মকর্তা -কর্মচারী আছেন। তাঁদেরকে ঠিকমত ফিডব্যাক দিলে অনেক সফলতার দুয়ার তারাই খুলে দিতে পারেন এবং ইতোমধ্যে দিয়েছেনও। আমার দায়িত্ব অল্প সময়ে হলেও যারা নগরকে পরিচ্ছন্ন করেছেন যা দৃশ্যমান। এটাই তার ভাল প্রমান। তাদের স্যালুট জানাই।

    তিনি আরো বলেন, চসিকের শিক্ষাখাত নিয়ে অনেক চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। ভূর্তুকির ভার কমাতে হবে। প্রাইমারী ও মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা খাত রেখে বাড়তি বোঝা ছেড়ে দেয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখা প্রয়োজন।

    তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন চাকরি করে অবসর নেয়ার পর আনুতোষিক না পাওয়া দু:খ জনক। আমি দায়িত্ব নিয়ে ইতোমধ্যে কিছু আনুতোষিক পাওনা পরিশোধ করেছি। আশাকরি এধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি জ্যোৎস্না উৎসবের মত একটি ব্যাতিক্রম অনুষ্ঠান নগরবাসীর সামনে উপস্থাপন করে দেশে বিদেশে অনেকের সাড়া এবং উৎসাহ পেয়েছেন বলে মত ব্যক্ত করেন।

    তিনি আরো জানান, আমি প্রশাসকের দায়িত্বে না থাকলেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আমার দুয়ার সব সময় খোলা থাকবে।

    প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হুমায়ন কবির চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মীর্জা ফজলুল কাদের, কুলগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল হক খান, কাট্টলী স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম, সার্কেল-৫ এর টিও এ কে এম সালাউদ্দীন, ইউএনডিপির টাউন ম্যানেজার মো. সরোয়ার হোসেন খান, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, চসিক সিবিএ সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ, মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

    সভাপতির বক্তব্যে কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, খুব কম সময়ে বিদায়ী প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন এমন কিছু কাজ করেছেন যাতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্ম ও প্রাণের সঞ্জীবনী শক্তি পেয়েছে। এই শক্তিকে আমরা ধারন করতে চাই। আমাদের উচিত ভাল কাজকে গ্রহণ করা এবং মন্দকে প্রত্যাখান করা।

  • ‘চট্টগ্রামের উন্নয়নে ঢাকায় লবিং গ্রুপ থাকা চাই’

    ‘চট্টগ্রামের উন্নয়নে ঢাকায় লবিং গ্রুপ থাকা চাই’

    চট্টগ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে ঢাকায় বসবাসরত চট্টগ্রামবাসীর একটা লবিং গ্রুপ থাকা উচিত বলে মত দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের পরামর্শক কমিটির সদস্যরা।

    আজ সোমবার সকালে তাঁরা প্রশাসকের সাথে এক জুম কনফারেন্সে মিলিত হন। কনফারেন্সে প্রশাসক সুজন সভাপতিত্ব করেন।

    বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড.আবদুল করিম, জাতীয় দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, শিক্ষাবিদ হসিনা জাকারিয়া বেলা, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট টিমের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির কর্মকর্তা আকরাম খান, প্রকৌশলী প্রবীর সেন, স্থপতি আশিক ইমরান, চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক সদস্য কমোডর জোবায়ের, মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আলম, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া।

    চসিক প্রশাসক বলেন, জুম কনফারেন্সে অংশগ্রহনকারী পরামর্শক কমিটির সকল সদস্য ৬ মাসের দায়িত্বে চট্টগ্রাম নগরীতে যে অভাবনীয় পরিবর্তন এনেছেন, তা সকলের জন্য অনুসরনীয় হয়ে থাকবে। পরামর্শক কমিটির সকল সদস্য প্রশাসককে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁর এই কর্মযজ্ঞের সাথে তাদের সম্পৃক্ত করায়।

    সভাপতির বক্তব্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন,স্বল্প সময়ের মেয়াদকালে আমি চেষ্টা করেছি চট্টগ্রাম নগরীকে পরিচ্ছন্ন,পরিবেশবান্ধব, মানবিক ও চিত্তের শহরে পরিণত করতে। আমি সকল কর্মকাণ্ডে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছি। সফলতার বিচার ভার নগরবাসীর হাতে। চসিকের সকল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সকল গণমাধ্যম কর্মীরা আমাকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। এজন্য তাদের ধন্যবাদ। তারা পাশে না থাকলে আমার পক্ষে কাজ করা সম্ভব হতো না। তিনি বলেন, আমি সৌভাগ্যবান একঝাঁক যোগ্য মানুষকে আমার পরামর্শক হিসেবে পেয়েছিলাম। প্রশাসক ৫ ফেব্রুয়ারি নতুন নির্বাচিত মেয়রের হাতে দায়িত্ব ভার অর্পণ করার আশা প্রকাশ করেন।

    প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড. আবদুল করিম প্রশাসকের এই পরামর্শক কমিটি রাখা না রাখার বিষয়ে নব নির্বাচিত মেয়রের সাথে ব্যক্তিগতভাবে প্রশাসককে আলাপ করার বিষয়ে মতামত দেন। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর সার্বিক পরিবর্তনে প্রশাসক যে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন তার প্রতিফলন নগরবাসী প্রত্যক্ষ করেছে বলে উল্লেখ করেন। ড. করিম প্রশাসকের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে নব নির্বাচিত মেয়রকে তাঁকে সাথে নিয়ে কাজ করার পক্ষে মত দেন।

    শিক্ষাবিদ হাসিনা জাকারিয়া বেলা বলেন, জনগণের জন্য কিছু করতে হলে জনগণের সাথে মিশে যেতে হয়। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আপনি সেই কাজ সফলভাবে করতে পেরেছেন। আপনি চসিকের শিক্ষা বিভাগে যে অব্যবস্থাপনা দেখেছেন আশাকরি নব নির্বাচিত মেয়র অপ্রয়োজনীয় কলেজগুলো বন্ধ করে পাশ্ববর্তী কলেজের সাথে একত্রিকরণ করে পরিচালনার ব্যবস্থা নিবেন। এতে কর্পোরেশন আর্থিকভাবে সাশ্রয় হবে।

    দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত নব নির্বাচিত মেয়রের জন্য প্রশাককে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ রেখে যাওয়ার মত দেন। তিনি বলেন, প্রশাসক হিসেবে আপনি প্রমান করেছেন উদ্যোগী ও আন্তরিক হলে অল্প সময়েও ভাল কাজ করা যায়।

    বিজি এমইএ নেতা এম ছালাম চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে প্রশাসককে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে তাঁকে আগামীতে আরো উচ্চ পদে দেখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন আপনার দেখানো পথ অনুসরণ করলে নব নির্বাচিত মেয়রও সফল হবেন।

    জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান চট্টগ্রামে প্রশাসকের ৬ মাসের দায়িত্বকালে নগরীতে অভাবনীয় পরিবর্তন হয়েছে জানিয়ে বলেন, নতুন নির্বাচিত মেয়রসহ সব মহলের নগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ গুলোকে খেলার উপযোগী করার উদ্যোগ নিতে বলেন। তিনি প্রয়োজনে নগরীর খেলার মাঠের সংস্কারে সরকারি সহয়তাসহ,বাফুফে ও বিসিবি থেকে উন্নয়নে সহযোগিতা করা যায় বলে ঊল্লেখ করেন।

    চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক কর্মকর্তা কমোডর জোবায়ের বলেন, প্রশাসক সুজন দেখিয়েছেন কিভাবে স্বল্প সময়ে সৃষ্টিশীল কাজ করতে হয়। প্রশাসক সুজনের মধ্যে নেতৃত্বের সবগুণ আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। কমোডর জোবায়ের বলেন, পরামর্শক কমিটির সদস্যরা সোচ্চার ছিল বলে নগরীতে প্রশাসকের দায়িত্বকালে দৃশ্যমান পরিবর্তন হয়েছে।

    প্রকৌশলী প্রবীর সেন বলেন, প্রশাসক স্বল্প সময়ে অনেকটাই সফল। তবে নগরীর যানজট, হকার সমস্যা যত্রতত্র ভ্যানগাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখার সমস্যার সমাধান হলে চট্টগ্রাম নগরী আরো সুন্দর হতো। তবে প্রশাসক এসব সমস্যা চিহ্নিত করে যে কাজ শুরু করেছেন তা, আশাকরি নতুন নির্বাচিত মেয়র সম্পন্ন করবেন।

    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর ওয়াসার পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ওয়াসাকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ প্রায় ৩০-৪০ কোটি লিটার তরল বর্জ্য প্রতিদিন হালদাতে গিয়ে পড়ে কর্ণফূলীর পানিকে দূষিত করছে। তাই এই দূষণ ঠেকাতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে ওয়াসাকে। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পাশের ও চকবাজার সিরাজদৌল্লা রোডের ব্রিজের নির্মাণ কাজ দ্রুত সময়ে শেষ করার মতামত দেন। কারণ এই এলাকাগুলো জনবহুল ও ব্যস্ততম এলাকা। তিনি সরকারি সুফল গুলো জনগণ পাচ্ছে না দেখে তা ফিরিয়ে দিতে সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো উদ্যোগী হয়ে কাজ করতে বলেন।

    স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন কাজের মাধ্যমে অল্প সময়ের জন্য হলেও স্থায়ীভাবে আমাদের মনে আসন করে নিয়েছেন। দেশে তাঁর মত মেধাবী ও ভিশনারী রাজনৈতিক নেতার অভাব রয়েছে। তিনি হাতে কলমে দেখিয়েছিলেন কিভাবে কাজ করতে হয়। আমরা চাই আগামীতেও তাঁর নেতৃত্বে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো চিহ্নিত করে রক্ষা করার চেষ্টা করতে।

  • বাঙালি সংস্কৃতির প্রতিফলন দেখি সুজনের মধ্যে: রানা দাশগুপ্ত

    বাঙালি সংস্কৃতির প্রতিফলন দেখি সুজনের মধ্যে: রানা দাশগুপ্ত

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, ফেব্রুয়ারী মাস বাঙালির ভাষার অধিকার আদায়ের মাস। এই একুশের চেতনাকে ধারন করে আমাদের আজকের এই স্বাধীনতা। এই মাঘ মাস তীব্র শীতের মাস। এই মাসে বাঙালি ঘরে ঘরে পিঠে পুলির আয়োজন থাকে, এটিই আমাদের সংস্কৃতি। আজকের এই দিনে পিঠা উৎসবের মত একটি আয়োজন করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এই উৎসব বাঙালির ঐতিহ্য। আমাদের এই দেশের সংস্কৃতিতে মিশে আছে নবান্নের ধান, পিঠেপুলির আয়োজন। মাঘের হীম শীতল পরিবেশে কবি সাহিত্যিকদের মিলন মেলায় পিঠা উৎসবের আয়োজন যান্ত্রিক জীবনের একটু হলেও প্রাণের আনন্দের সঞ্চার করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

    তিনি আজ সোমবার সন্ধ্যায় চসিকের লালদিঘী পার্কে চসিক আয়োজিত পিঠা উৎসবের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি এখন সংস্কৃতি বিবর্জিত। ৬০-৭০ এর দশকের রাজনীতিতে যুক্ত কর্মীরা সংস্কৃতির চর্চাও করেছেন। যে কারনে তাদের মনন জগতে গুনগত পরিবর্তন হয়েছিল। বাংলা ও বাঙালির যে মনন ও বাংলার যে সংস্কৃতি তাঁর প্রতিফলন ঘটিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি বলেন, প্রশাসক জ্যোৎস্না উৎসবের আয়োজন করেছেন। আগামীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সংস্কৃতি চেতনাকে ধারন করে এগুতে পারলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা গড়া সম্ভব।

    পিঠা উৎসবের কবিতা পাঠের পাশাপাশি আড্ডারও আয়োজন ছিল। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমনা প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের চট্টগ্রামের কবিতা প্রেমী মানুষ ও কবি- সাহিত্যিকদের জন্য নানা রকম পিঠাপুলির আয়োজন করেন।

    আয়োজনের মধ্যে ছিল ভাপা পিঠা, খেজুরের রস, ছাঁচ পিঠা , পাঠি সাপটা, সঁই ফাকুন,তালের পিঠা, ছ্যাইনা পিঠা, চিতল পিঠা আরো কত কি।

    এসময় স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন প্রফেসর ড. মোহিতুল আলম, কবি খুরশিদ আনোয়ার, রাশেদ রউফ, খালিদ আহসান, শুক্লা ইফতেখার, সাথি দাশ, আনন্দমোহন রক্ষিত, হোসাইন কবির, আকতার হোসেন, ইউসুফ মাহমুদ, বিজন মজুমদার, আবু মুসা চৌধুরী, হাসিনা শিরিন, আবুল কালাম বেলাল, মুনিরুল মুনির, তালুকদার আব্দুল হালিম, বিপুল বড়ুয়া, মোদাচ্ছের আলী, সাইফুদ্দিন সাকিব, লিটন কুমার চৌধুরী।

  • আমার রেখে যাওয়া কাজ শেষ  করবেন নতুন নির্বাচিত পর্ষদ: সুজন

    আমার রেখে যাওয়া কাজ শেষ করবেন নতুন নির্বাচিত পর্ষদ: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন কর্পোরেশনের নতুন নির্বাচিত পর্ষদ নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে তিনি যেসব কাজ শেষ করে যেতে পারেননি তা তাঁরা সম্পন্ন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

    তিনি আজ রোববার সকালে নগরীর টাইগারপাসস্থ চসিকের অস্থায়ী অফিসে তাঁর দপ্তরে কর্পোরেশনের বিভাগীয় প্রধানদের সভায় এই আকাঙ্খা প্রকাশ করেন। এসভায় চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, চসিক আঞ্চলিক অফিস জোন-৬ এর প্রধান নির্বাহী আফিয়া আকতার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ন কবির চৌধুরী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন তাঁর দায়িত্বকালে সহযোগিতা করায় চসিকের বিভাগীয় প্রধানদের ধন্যবাদ জানান।

    তিনি বলেন,আমি আমার দায়িত্বকালে নগরীর প্রধানতম সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানে সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। ১৭ টি খাল পরিস্কার করে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার পাশাপাশি মশার প্রজনন ধ্বংসে ওষুধ ছিটানোর ব্যবস্থা নিয়েছি। ৬ মাসের দায়িত্বকালে আমার নাগরিকসেবার কার্যক্রমে কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহযোগীতা করেছেন। তাদের সহযোগীতায় আমি নগরবাসীর আকাঙ্খা অনুযায়ী সেবা দেয়ার চেষ্টা করেছি। আমি বিশ্বাস করি সবার আন্তরিক প্রয়াস ও আমার ঐকান্তিক চেষ্টায় নগরবাসী জনপ্রতিনিধিদের ব্যাপারে আশাবাদি হবেন।

    সভায় প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার করোনা মহামারির টীকা চট্টগ্রাম এসে পৌঁছেছে বলে প্রশাসককে অবহিত করেন। যা এখন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিসের কেন্দ্রীয় স্টোরে সংরক্ষিত আছে। আগামীকাল (১ ফেব্রুয়ারি) চসিকের ৩১ জন স্থাস্থ্যকর্মী ও ইপিআই কর্মী কোভিডের টীকা প্রদানে তাদের প্রশিক্ষণ শুরু করবেন। প্রশিক্ষন শেষে তারা টীকা প্রদান কার্যক্রমে অংশ নিবে।
    উল্লেখ্য সরকারি পর্যায়ে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে করোনার টীকা দেয়ার কর্মসূচি শুরু হবে।

    মুসলিমাবাদ খাল পরিস্কার করলো চসিক

    মুসলিমাবাদ খাল পরিস্কার করলো চসিক

    নগরীর পতেঙ্গা কাঠগড় জেলেপাড়া এলাকার ৪০ নং ওয়ার্ডের মুসলিমাবাদ খাল পরিস্কার শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন সেবক ও শ্রমিকরা আজ রোববার সকালে এই পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চালান।

    গতকাল শনিবার সকালে ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে খালে ময়লা আবর্জনা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাৎক্ষণিক চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগকে নির্দেশ দেন খালটি পরিস্কারের। পরিচ্ছন্নতা কাজে ড্রাম ট্রাক, এসকেভেটর, ও শতাধিক শ্রমিক ও পরিচ্ছন্ন সেবক নিয়োজিত ছিল।

    চসিকের উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী জানান প্রশাসক মহোদয় এ পর্যন্ত ১৭ টি খাল আমাদের বিভাগের শ্রমিক সেবকদের দিয়ে পরিস্কার করিয়েছেন। আশাকরি নগরবাসী পরিস্কার করা খালগুলো পরিস্কার রাখতে সহযোগীতা করবেন। কারণ অপরিস্কার থাকলেন,গৃহস্থালী বর্জ্য ফেললে খালে মশার বংশ বিস্তারের পাশাপাশি পানি প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়।

  • নতুন চসিক মেয়রকে অভিনন্দন জানালেন প্রশাসক সুজন

    নতুন চসিক মেয়রকে অভিনন্দন জানালেন প্রশাসক সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন নব নির্বাচিত মেয়র মুক্তিযোদ্ধা এম. রেজাউল করিম চৌধুরীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    প্রশাসক আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বহদ্দারহাটস্থ বাসভবনে গিয়ে নব নির্বাচিত মেয়রকে ফুল ও মিষ্টি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। প্রশাসক মেয়রের পাশাপাশি নির্বাচিত সকল ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদেরও অভিনন্দন জানান।

    এ সময় প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আপনার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত পর্ষদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম নগরী আগামী দিনে একটি সুন্দর, পরিবেশবান্ধব, পরিচ্ছন্ন, বাসযোগ্য ও আধুনিক নগরে রূপান্তরিত হবে এটাই আমার প্রত্যাশা।

    তিনি গতকাল ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুশৃংখলভাবে সম্পন্ন করায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি), বিজিবি, র‌্যাব, আনসার ভিডিপিসহ সকল আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন আইনশৃংখলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান ও আন্তরিকতার কারণে জানমালের বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। এই কৃতিত্বের অংশীদার নির্বাচন কমিশনও। নির্বাচন কমিশন ও তাদের সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদেরও অভিনন্দন জানান চসিক প্রশাসক। এসময় প্রশাসকের সহকারি একান্ত সচিব স্বরুপ কুমার দত্ত রাজু উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ মার্চ কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় অন্তবর্তী মেয়াদকালের জন্য রাজনীতিক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনকে প্রশাসকের দায়িত্বে নিয়োগ দেয় সরকার।

  • চসিকের উন্নয়ন প্রকল্পের বকেয়া ম্যাচিং ফান্ড ৬৩২ কোটি টাকা মওকুফ চান প্রশাসক সুজন

    চসিকের উন্নয়ন প্রকল্পের বকেয়া ম্যাচিং ফান্ড ৬৩২ কোটি টাকা মওকুফ চান প্রশাসক সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বকেয়া ম্যাচিং ফান্ড ৬৩২ কোটি ১৪ লাখ ৪৩ হাজার মওকুফকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এম.পি, অর্থমন্ত্রী আ.ফ.ম মোস্তফা কামাল এম.পি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এম.পি, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালউদ্দিন আহমেদ বরাবরে পৃথক পৃথক চাহিদা পত্র (ডি.ও লেটার) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একান্ত ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ ও আন্তরিক সুবিবেচনা প্রত্যাশা করেছেন।

    তিনি বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একটি নাগরিক সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। একজন নাগরিকের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল ধরণের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা সিটি কর্পোরেশনের মূল দায়িত্ব। দুষণ মুক্ত, যানজটমুক্ত, পরিচ্ছন্ন একটি আধুনিক উন্নত নগর গঠন ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এ সকল প্রতিজ্ঞা পূরণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ইতোমধ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে যা বর্তমানে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

    তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক অসক্ষমতার কথা উল্লেখ করে বলেন, নিজস্ব রাজস্ব এবং বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে সরকার থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দ দিয়ে উন্নত নাগরিক সেবা প্রদান নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। মহাসড়ক, সড়ক, নর্দমা, রাস্তা, মেরামত/সংস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখা, মশক নিধন এবং সর্বত্র আলোকায়ন নিশ্চিত করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল কর্মযজ্ঞ। এ বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদনের জন্য প্রাপ্ত অর্থ খুবই অপ্রতুল। আর্থিক দৈন্যতার কারণে নাগরিক সেবার মান নাগরিকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী বৃদ্ধি করা সম্ভব হচ্ছে না। অত্র কর্পোরেশনের নিজস্ব রাজস্ব আয়ের স্বল্পতার কারণে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দের বিপরীতে ২০-৩০% ম্যাচিং ফান্ড নিশ্চিত করা খুবই কঠিন। এছাড়াও এক সময় অকট্রয় অথবা নগর শুল্ক থেকে প্রাপ্ত আয় ছিল অন্যতম প্রধান রাজস্ব। কিন্তু আশির দশকে সরকার সেটি বন্ধ করে দিয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালিত আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয় প্রসারের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় আমদানী-রপ্তানী কাজে নিয়োজিত যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে সড়ক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সিটি কর্পোরেশন প্রচুর অর্থ ব্যয় করে থাকে। বর্তমানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকেল্পের ম্যাচিং ফান্ড বাবদ বকেয়া ৬৩২.১৪৪৩ কোটি টাকাসহ নিজস্ব তহবিলে উন্নয়ন কার্যক্রমের বকেয়া এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনুতোষিক বাবদ প্রায় ৮৩০ কোটি টাকা’র বিশাল অর্থ ঘাটতির বোঝা নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এমতাবস্থায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ম্যাচিং ফান্ড বাবদ বকেয়া ৬৩২.১৪৪৩ কোটি টাকা মওকুফের ব্যবস্থা করা হলে নগরবাসীকে কাক্সিক্ষত সেবা প্রদান করা এবং সরকারের প্রতিশ্রুত উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে।

  • ২৪ জানুয়ারির শহীদদের স্মরণে চসিক প্রশাসক সুজনের শ্রদ্ধা নিবেদন

    ২৪ জানুয়ারির শহীদদের স্মরণে চসিক প্রশাসক সুজনের শ্রদ্ধা নিবেদন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারির নৃশংসতম গণহত্যার শহীদদের স্মরণে আজ রোববার সকালে নগরীর পুরাতন বাংলাদেশ ব্যাংক চত্বরে স্থাপিত শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

    শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে চসিক প্রশাসক বলেন, লোমহর্ষক ঘটনা সম্বলিত ২৪ জানুয়ারি আসলেই জাতির বিবেকবান হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। সেদিনের ভয়াবহতা ও মানুষের আহাজারী কখনো স্মৃতি থেকে মোছার নয়। যারা সেদিন বুকের তাজা রক্ত ঢেলে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছিল তাদের ঋন কখনো শোধ হবেনা। ৩৩ বছর পর এই মামলার বিচারে ৫ অভিযুক্তের মৃত্যু দন্ডের সাজা হয়েছে। আদালেতে রায়ে এটাকে পরিকল্পিত গণহত্যা বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

    শ্রদ্ধা নিবেদনকালে চসিক প্রশাসকের সাথে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

    বিভাগীয় প্রধানদের উদ্দেশ্যে চসিক প্রশাসক : সেবার মাধ্যমে নগরবাসীর আস্থা অর্জন করুন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সাথে আজ রোববার সকালে টাইগারপাসস্থ চসিকের অস্থায়ী অফিসে তাঁর দপ্তরে কর্পোরেশনের বিভাগীয় প্রধানদের সাথে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কর্পোরেশনের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়।

    প্রশাসক বিভাগীয় প্রধানদের উদ্দেশ্যে বলেন, কর্পোরেশনের প্রধানতম নাগরিকসেবা কার্যক্রম আলোকায়ন, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট সমূহ পেচওয়াকের মাধ্যমে মেরামত করে জন ও যান চলাচলের উপযোগী রাখার ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে হবে।

    তিনি বলেন, এসব নাগরিক সেবার কার্যক্রম গতিশীল থাকলে নগরবাসী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উপর আস্থাশীল হবে। কর্পোরেশন যেহেতু পৌর করের উপর তাঁর সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করে, তাই নগরবাসীর কাছে জবাবদিহিতা রয়েছে। কারণ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনই একমাত্র নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা পরিচালিত হয়। কাজেই কর্পোরেশনের কর্মকর্তাগণ দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হবেন এটাই আমার প্রত্যাশা।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল সোহেল আহম্মেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জোন-৬ এর আঞ্চলিক প্রধান নির্বাহী আফিয়া আকতার, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট ও যুগ্ম জেলা জজ জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাসেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।

  • মোহরার কৃষ্ণ খাল পরিস্কার করলো চসিক

    মোহরার কৃষ্ণ খাল পরিস্কার করলো চসিক

    নগরীর ৫নং ওয়ার্ডের পশ্চিম মোহরার কৃষ্ণ খাল পরিস্কার করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশেন। আজ শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের নির্দেশে বর্জ্য ও গৃহস্থালী আবর্জনায় ভরা খালটি পরিস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে।

    দিনব্যাপী এই কার্যক্রম চলবে। কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মী ও সেবকরা প্রকৌশল বিভাগের যান্ত্রিক শাখার সহযোগিতায় এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

    প্রশাসকের দায়িত্ব পাওয়ার পর খোরশেদ আলম সুজন বর্ষা মৌসুমে যাতে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে নগরীর বিভিন্ন খাল পরিস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাঁর মেয়াদ কালের সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার খাল পরিস্কারের এই কাজ চলে। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরে নগরীর ১৫ টি খাল পরিস্কারের ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক।

    শুক্রবার ১০টি ড্রাম ট্রাক, স্কেভেটর, পঞ্চাশ জন পরিচ্ছন্ন সেবক ও কর্মী পশ্চিম মোহরার কৃষ্ণ খাল পরিস্কারের কাজে নিয়োজিত ছিল। তাদের এই কাজ তদারক করেন কর্পোরেশনের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী। সাথে ছিলেন প্রশাসকের একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী স্বরূপ কুমার দত্ত রাজু।

    কর্পোরেশনের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কৃষ্ণ খাল পরিস্কারকালে মোহরার অধিবাসীদের চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের বার্তা পৌঁছে দিয়ে বলেন, আপনাদের প্রতি প্রশাসক মহোদয় অনুরোধ জানিয়েছেন খাল নালায় গৃহস্থালী আবর্জনা ও ময়লা না ফেলতে। আবর্জনা ফেললে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি মশার বংশ বিস্তার হয়। তাই খাল পরিস্কারের মাধ্যমে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি মশার প্রজনন স্থান ধ্বংস করা হলো। আশাকরি নগরবাসী নিজেরা সচেতন হয়ে খাল নালা পরিস্কার রেখে কর্পোরেশনকে সহযোগিতা করবেন।

  • চট্টগ্রামের বৃহত্তর স্বার্থে নৌকার প্রার্থীকে জয়যুক্ত করতে হবে : সুজন

    চট্টগ্রামের বৃহত্তর স্বার্থে নৌকার প্রার্থীকে জয়যুক্ত করতে হবে : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরবাসীর মহা উৎসবের দিন। এই দিন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাঁকে নৌকার প্রতীক দিয়েছেন চট্টগ্রামের বৃহত্তর স্বার্থে তাঁকে অবশ্যই জয়যুক্ত করতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, মেয়র পদে বিএনপি প্রার্থী দিয়েছে। এতে তাঁরা সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পারবে। তবে বিএনপি’র সচেতন অংশ ও চট্টল দরদীরা চট্টগ্রামের স্বার্থেই তাঁরা শেখ হাসিনার প্রার্থীকে ভোট দেবেন। কেননা শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলছেন।

    তিনি আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস.রহমান হলে তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় একথাগুলো বলেন।

    খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমি স্বস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত হয়ে নিজের বাসভবনে আইসোলেশনে ছিলাম। সকলের দোয়া ও ভালোবাসায় বৃহস্পতিবার নেগেটিভ রির্পোট পেয়ে করোনা মুক্ত হয়েছি। যাঁরা আমাকে দোয়া করেছেন তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমি সুস্থ হয়ে সাংবাদিকদের কাছে ছুটে এসেছি বিবেকের তাড়নায়, কিছু না বলা কথা আকাংখা সাংবাদিকদের কাছে খুলে বলার তাগিদ থেকে।

    তিনি উল্লেখ করেন, ইতোপূর্বে ৩১ মার্চ চসিক নির্বাচন করোনা প্রার্দুভাবে স্থগিত হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আমাকে প্রশাসক পদে নিযুক্তি দিয়ে ধন্য করেছেন। আমি আমার যোগ্যতা, সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতা দিয়ে নগরবাসীর ভালবাসা ও আস্থায় নিষ্ঠার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে চেষ্টা করেছি। আমার মেয়াদকালীন সময় ৬ মাসের মধ্যে দেড় মাস সাপ্তাহিক ও সরকারি সাধারণ ছুটি থাকলেও আমি প্রায় প্রতিদিন মানুষের কাছে গেছি, সমস্যার কথা শুনেছি এবং সমাধানের চেষ্টা করেছি।

    তিনি আরো বলেন, প্রশাসক পদে থাকায় নির্বাচনী আচরণ বিধির বাধ্যবাধকতার কারণে চসিক নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি প্রচরনায় অংশ নিতে পারছিনা। তবে অন্তর থেকে উপলব্দি করি মেয়র পদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী বিজয়ী হলে চট্টগ্রামের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এবং নতুন নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে।

    তিনি আরো উল্লেখ করেন, প্রয়াত জননেতা এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হবার সময় চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও স্বপ্ন পূরণে ২৮ দফা অঙ্গীকার ছিলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগুলো একে একে পূরণ করে চলেছেন। এগুলোর মধ্যে কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে ট্যানেল নির্মাণ, মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্র বন্দর, বে-টার্মিনাল নির্মাণ, ফেনী থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত বাইপাস নির্মাণ, মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মান, চট্টগ্রাম-ঢাকা ডবল রেল লাইন, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারন প্রকল্প বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে। এসব বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রামের গুরুত্ব হিমালয়সম উচ্চতায় সমুন্নত হবে। চট্টগ্রাম অবশ্যই বাণিজ্য ও পর্যটন বান্ধব নগরীতে পরিণত হবে। আমারা এখন সেই সুদিনের অপেক্ষায় আছি।

    আমি আজ বিবেকের তাড়ণায় সেই কাংখিত শুভ দিনের বার্তা দিয়ে গেলাম।

    তিনি ঘোষণা করেন, এম.এ. আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী, এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রামের জন্য যে স্বপ্ন দেখতেন তা বাস্তব হবার পথে, এবার যিনি মেয়র হবেন তিনি দলের প্রার্থী হলেও নগর পিতা হিসেবে সকলের। সবার সম্মিলিত সহযোগে সমৃদ্ধ চট্টগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। যিনি নির্বাচিত হবেন তাঁকে মনে রাখতে হবে পাবলিক মানি ও পাবলিক প্রপার্টি কখনো যেন নিজের না হয়। তা হলেই জনমঙ্গল নিশ্চিত হবে। চট্টগ্রামের প্রতি ইঞ্চি মাটি খুবই দামী। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের অনুরোধ করেন, সংঘাত ও সংঘর্ষ চাই না। শক্তি দিয়ে নয়, ভালবাসা দিয়ে মানুষের অন্তর জয় করা যায়।

    তিনি আরো বলেন, আমার মেয়াদকাল ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। শেষ দিনটি পর্যন্ত আমি অর্পিত দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর।

    তিনি জানান, আগামী পূর্নিমা রাতে লালদিঘী মাঠে রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক জ্যোৎস্না উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এতে গান, কবিতাসহ নানান আয়োজনে আনন্দ-উৎসবের উপাদান যুক্ত হবে।

  • সস্ত্রীক করোনামুক্ত চসিক প্রশাসক সুজন

    সস্ত্রীক করোনামুক্ত চসিক প্রশাসক সুজন

    সস্ত্রীক করোনামুক্ত হলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

    এর আগে বুধবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসার পর থেকে তিনি চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন। এ সময় তার স্ত্রীরও করোনা পজেটিভ ছিল।

    বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) মা ও শিশু হাসপাতাল থেকে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সুজন বলেন, ‘আমি এবং আমার স্ত্রী দু’জনই করোনামুক্ত হয়েছি। আজ রিপোর্ট পেয়েছি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে যারা আমার জন্য দোয়া করেছেন আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

    উল্লেখ্য, চসিকের পঞ্চম নির্বাচিত পরিষদের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের মেয়াদ গত ৫ আগস্ট শেষ হওয়ায় ৬ আগস্ট প্রশাসকের দায়িত্ব নেন সুজন। নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন না হওয়ায় খোরশেদ আলম সুজনকে চসিকের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আগামী বুধবার (২৭ জানুয়ারি) চসিকের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

  • এবার মজাপুকুর পরিস্কার করলো চসিক

    এবার মজাপুকুর পরিস্কার করলো চসিক

    কচুরিপানা আবর্জনায় ভরে যাওয়া মধ্যম রামপুরা যাত্রা মহাজনের বাড়ির পুকুরটি আজ বৃহস্পতিবার সকালে পরিস্কার করলো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। গত ২০ জানুয়ারি বুধবার চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদীতে এই পুকুরটির ছবি প্রকাশিত হলে, তা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের দৃষ্টিগোচর হয়।

    জনস্বার্থে এই পুকুরটি প্রশাসক পরিস্কারের নির্দেশ দেয়ায় কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগ আজ পরিস্কার করে তা ব্যবহার উপযোগী করে দেয়।

    পরিস্কার অভিযান কার্যক্রম তদারকি করেন কর্পোরেশনের উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী।

    মোরশেদ আলম চৌধুরী জানান গত ২০ জানুয়ারি দৈনিক আজাদীতে প্রকাশিত ছবি সম্বলিত কচুরিপানা ও আবর্জনা ভরা পুকুরটি সংবাদ প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন মহোদয়ের চোখে পড়লে তিনি তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিস্কারের ব্যবস্থা নিতে বলেন। তাই আজ আমরা পুকুরটি পরিস্কারের ব্যবস্থা করলাম।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এতোদিন নগরীর বিভিন্ন খাল নালা পরিস্কার করছিলো। এবার পুকুর পরিস্কারের উদ্যোগ নেয়া প্রসঙ্গে প্রশাসক ফোনে চসিকের জনসংযোগ শাখাকে জানান, পানির অপর নাম হলো জীবন। আর সেই পানি যদি দূষিত হয় তাহলে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ে। পানির দূষণ থেকে পেটের পীড়া ডায়রিয়া, টায়ফয়েডসহ নানা রোগ বালাই দেখা দিতে পারে। তাই পুকুরটি পরিস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাছাড়া নগরীর অনেক এলাকায় এখনো সুপেয় পানির সংকট রয়েছে। নগরীর সমুদ্র উপকূলীয় এলাকাগুলোতে এখনো লবনাক্ত পানি ব্যবহার ও পান করে। তাই এই পুকুরটি পরিস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করা হলো। আশা করি যাত্রা মোহনের বাড়ির বাসিন্দারা নিজেদের প্রয়োজনে পুকুরটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন।

  • প্রশাসকের নির্দেশে এবার পরিস্কার হলো চান্দগাঁওয়ের বামনশাহী খাল

    প্রশাসকের নির্দেশে এবার পরিস্কার হলো চান্দগাঁওয়ের বামনশাহী খাল

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের দায়িত্ব পালনের মেয়াদকাল শেষের পথে। কিন্তু প্রশাসকের দায়িত্ব পওয়ার শুরু থেকে যেভাবে কর্পোরেশনের সার্বিক কাজে গতির সঞ্চার করেছিলেন শেষ পর্যায়েও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সার্বিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আর এর মূল কারীগর হলেন প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। তাঁর নির্দেশনায় এবার নগরীর অন্যান্য খালের ন্যায় পরিস্কার করা হলো ৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ডের বামনশাহী খাল।

    মঙ্গলবার ভোরে থেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম চালায় চসিকের পরিচ্ছন্ন সেবকরা, তাদের সহযোগীতা করে কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগের যান্ত্রিক শাখা। দীর্ঘদিন অপরিস্কার না হওয়ার কারণে নগরীর এই খালটি বড় বড় কচুরিপানা ও গৃহস্থালি বর্জ্যে ভরে যায়। ফলে পানি প্রবাহ বন্ধের পাশাপাশি বৃদ্ধি পায় মশার বংশ বিস্তার। খালের এই পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার ফলে পানি চলাচল স্বাভাবিক হয়। ধংস হয় মশার আবাসস্থল। পরিস্কার হওয়া এই খালে মশার ওষুধ এডাল্টি সাইড ও ফগার মেশিনের সাহয্যে স্প্রে করা হয়। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)। যে কারণে দীর্ঘ সময় ধরে নগরের সবগুলো খাল অপরিস্কার ছিলো।

    এবারই প্রথম প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন কর্পোরেশনের দায়িত্বের বাইরে গিয়ে খাল পরিস্কারে হাত দিলেন। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাকালে চান্দগাঁও ওয়ার্ডের বাসিন্দারা চসিকের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

    তারা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত রির্পোট দেখে প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন নাগরিক দুর্ভোগ নিরসনে এ ব্যবস্থা নেন। যা সব সেবা সংস্থার প্রধানদের জন্য দৃষ্টান্ত হতে পারে। পরিচ্ছন্ন অভিযান চলাকালে কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তারা প্রশাসকের খালে ও নালায় ময়লা আবর্জনা না ফেলার বার্তা পৌঁছে দেন। তারা নিজ স্বার্থে খালগুলো পরিস্কার রাখার অনুরোধ করেন।

    এসময় অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী ও প্রশাসকের একান্ত সচিব সৌরভ দত্ত রাজু উপস্থিত ছিলেন।