Tag: চসিক প্রশাসক

  • ক্যারাভান জনতার আস্থার কর্মসূচীতে পরিণত হয়েছে-সুজন

    ক্যারাভান জনতার আস্থার কর্মসূচীতে পরিণত হয়েছে-সুজন

    নগরবাসীকে অযাচিত দূর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে নতুন ও কার্যকর কিছু করার অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আজ অপরাহ্নে আগ্রাবাদ ব্যাংকক-সিঙ্গাপুর মার্কেট-বেপারীপাড়া হতে শুরু হয়ে বড়পোল, নিমতলা পর্যন্তÍ দীর্ঘ ৬ কিলোমিটার পথ স্কুটি চালিয়ে ক্যারাভান কার্যক্রম পরিচালনা করার সময় একথা বলেছেন।

    তিনি আরো বলেন, নগরবাসীর সমস্যা ও দূর্ভোগ সরেজমিনে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ও জনসম্পৃক্ততা রক্ষায় ক্যারাভান কর্মসূচী চলছে। ক্যারাভান ক্রমেই জনতার আস্থার কর্মসূচীতে পরিণত হয়েছে। একটা নগর বা দেশকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখার জন্য নাগরিকদেরও নানাবিধ দায়িত্ব পালন করতে হয়। নগরে যারা বসবাস করেন তাদের সকলের কিছু না কিছু দায়িত্ব-কর্তব্য থাকেই। শুধু আইন করে কিংবা জোর দিয়ে নাগরিক সচেতনতা বাড়ানো যায় না। আইনের প্রতি সম্মান দেখাবার মানসিকতা নাগরিকদের স্বতঃস্ফূর্ত না হলে চাপিয়ে দিয়ে তার সুফল ষোল আনা পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। সত্যিকার অর্থে আমাদের এদেশে নাগরিক সচেতনতা কোনও কোনও ক্ষেত্রে যেমন বেড়েছে, তেমনই কোনও কোনও ক্ষেত্রে তার চরম অবনতিও ঘটেছে। লক্ষ্য করা গেছে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার এই শহরে বর্জ্যব্যবস্থাপনা বেশ উন্নতি হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের প্রচেষ্টা এবং নাগরিকদের সচেতনতা ও দায়িত্ববোধের জন্য নগরীর রাস্তাঘাটে ময়লা-দুর্গন্ধ অনেকটাই নিয়ন্ত্রীত। এজন্য নগরবাসীকে আমরা ধন্যবাদ দিতে চাই। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ নাগরিকদের কাছ থেকে আমরা দায়িত্ববোধ ও সচেতনতা প্রত্যাশা করি।

    চলতি পথে যুবসমাজের উষ্ণঅভ্যর্থনায় প্রশাসক বলেন, আমি লক্ষ্য করেছি আপনাদের পর্যাপ্ত খেলার মাঠ নাই, নাই সহপাঠিদের সাথে কথা বলার মত পরিবেশ সম্মত বসার স্থান। তাই এই বিষয়ে আমি পদক্ষেপ নিব।

    তিনি বলেন, বস্তুতপক্ষে এই শহর মানুষের শহর। তাই বাসযোগ্য শহর গড়তে আমাদেরকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। তবেই আমাদের আগামী প্রজন্ম মানসম্মত পরিবেশ পাবে। নাগরিকগণ প্রদেয় ট্যাক্সের বিপরীতে তাদের নাগরিক সেবা শতভাগ বুঝে নেবেন। এতে কোন সমস্যায় উপণীত হলে আমাকে হোয়াটসআ্যপে জানান ১ঘন্টার মধ্যে পদক্ষেপ নিব-ইনশাআল্লাহ। প্রশাসক টিএন্ডটি কলোনীর সামনে ফুটপাতের উপর গড়ে উঠা অবৈধ কাঁচা বাজার দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে তা তাৎক্ষণিক কিছু অংশ ম্যজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভেঙ্গে দেয়া হয় এবং আগামীকাল থেকে এই বাজার আর না বসানোর জন্য সতর্ক করে দেন। অন্যথায় জরিমানা ও উচ্ছেদের আওতায় আনা হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এছাড়া তিনি এক্সেস রোড ও বড়পুল এলাকায় বেশ কিছু জায়গায় ফুট পাত ও রাস্তা দখল করে ইট, বালি, পাথরের অবৈধ ব্যবসায়ীকে জরিমানা ও আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে মালামাল সরানোর নির্দেশনা দেন নচেৎ মালামাল জব্দ করা হবে ছাফ জানিয়ে দেন। এসময় কিছু ব্যবসায়ীকে আর্থিক জরিমানাও করা হয়।

    তিনি বলেন, আগামীকাল ভ্রাম্যমান আদালতের সাথে কয়েকটি ট্রাক থাকবে অবৈধ মালামাল জব্দ করে নিয়ে যাওয়া হবে। এসময় তিনি বিভিন্ন দোকানের ট্রেড লাইসেন্স আছে কিনা জানতে চাইলে কেউই ট্রেড লাইসেন্স প্রদর্শন বা সদুত্তোর দিতে পারেননি বিধায় তাদেরকে ট্রেড লাইসেন্সের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিস্টদের নির্দেশনা দেন।

    তিনি আরো প্রত্যক্ষ করেন যে, ফুটপাতের উপর অবৈধভাবে পানির ভাউচার ও ড্রাম রেখে মানুষ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মানুষের চলার পথে কাটা হবেন না। আজ বলে যাচ্ছি কাল থেকে আর ছাড় নয়। বড়পুল এলাকায় প্রশাসক স্থানীয়দের সাথে অভিযোগ গ্রহণকালে খবর পান যে, মইন্যাপাড়া এলাকায় রাস্তার কাজে ড্রেনের ময়লা পানি দিয়ে রাস্তা ঢালায়ের নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছে। তিনি সাথে সাথে মুঠোফোনে ঠিকাদারকে যেটুকু কাজ করা হয়েছে তা ভেঙ্গে পুনরায় পরিস্কার পানি দিয়ে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে নির্দিষ্ট সমেয়র মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেন।

    তিনি এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আওয়ামীলীগ বা কোন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অরাজকতা বরদাস্ত করা হবে না। অরাজকতা দমনের উদ্দেশ্যেই সরকার নিজেদের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত রেখেছে। জনগণের সেবক ও বন্ধু হয়ে কাজ করুন।

    তিনি বড়পুলে নির্মিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের চতুর্পাশে পরিদর্শন করে বলেন, এটি একটি দর্শনীয় ও পবিত্র স্থান, এস্থানে যাতে অযাচিত কোন কাজ কিংবা অবৈধভাবে কোন দোকানপাট করা না হয় সেজন্য এলাকাবাসীকে দায়িত্ববোধ ও সজাগ থাকতে হবে।

    পরে প্রশাসক পোর্ট কলোনী থেকে নিমতলা এলাকায় দীর্ঘসারিবদ্ধভাবে দঁড়িয়ে থাকা ইস্পাত শিল্পের ভারী লরীগুলোকে এভাবে না রাখার নির্দেশনা ও নিমতলা এলাকায় অলস গাড়ী পার্কিং ও যত্রতত্র যাত্রী উঠা-নামা না করার জন্য সংশ্লিস্টদের প্রতি অনুরোধ জানান এবিষয়ে তিনি পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

    তিনি বলেন, এই সড়কটি বন্দর সংযুক্ত একটি সড়ক দীর্ঘ বঞ্চনার পর এই রাস্তা সংস্কারে সিটি কর্পোরেশন যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই সড়কের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও বড় অংকের বরাদ্দ দিয়েছেন।

    তিনি অত্র এলাকার বাসিন্ধাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি প্রশাসক প্রতিদিন একই রাস্তায় আসা সম্ভব নয় তবে আপনারা যার যার জায়গায় নিজেরা সচেতন হয়ে এলাকাকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আমার সহযোগিতার দরজা আপনাদের জন্য সবসমসয় খোলা।

    তিনি বলেন, আজকে আমি একজন রাজনীতিক কর্মী, আপনাদের সহপাঠি কিংবা ভাই হিসেবে এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে অনুরোধ করে যাচ্ছি আগামীকাল হয়তো আমাকে প্রশাসকের কঠোর ভুমিকায় অবর্তীর্ণ হতে হবে তখন আমি পরিচিতির আবদার রাখতে পারবো না। আইন আপন গতিতে চলবে।

    এসময় সাবেক কাউন্সিলর লায়ন মোহাম্মদ হোসেন, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দীকী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশল ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, প্রকৌশলী রেজাউল বারী, স্থানীয়দের মধ্যে হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ, আবদুর রহমান মিয়া, রেজাউল করিম কায়সার, মোর্শেদ আলী, জাকির মিয়া, হাবিব শরিফ,আজিজুর রহমান আজিজ, ইমরান আহমেদ ইমু, ও রনি মির্জাসহ শত শত স্থানীয় গণ্যমান্যব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।

    আইডিএফ প্রতিনিধি দলের সাথে চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    আইডিএফ প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকে প্রশাসক ব্যবসা নয় স্বল্পমূল্যে উন্নত
    স্বাস্থ্যসেবা প্রদানই চসিকের লক্ষ্য

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন,পরিচ্ছন্ন সুন্দর স্বাস্থ্যবান্ধব নগরী গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। করোনা মহামারীকালে নগরীরে মধ্যবিত্ত, দরিদ্র ও হতদরিদ্রদের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনে চসিকের স্বাস্থ্য সেবা খাতে যে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয় তা দিয়ে সেবার গুনগতমান বৃদ্ধি করা সম্ভব হচ্ছেনা বিধায় পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপের মাধ্যমে চসিক জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। আজ সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক প্রশাসক দপ্তরে আইডিএফ প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকে প্রশাসক এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, ব্যবসা নয় স্বল্পমূল্যে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানই চসিকের লক্ষ্য। তিনি এনজিও সংস্থাগুলোকে ব্যবসা নয়, পেশাগত সেবার দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। আইডিএফ প্রতিনিধি দল প্রশাসককে চসিকের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করার প্রস্তাবদেন। প্রশাসক তাদের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে বলেন নগরীর সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে চসিক বদ্ধ পরিকর। চসিক স্বল্প মূল্যে উন্নত সেবা প্রদানের জন্য আইডিএফকে একটি লিখিত পরিকল্পনা উপস্থাপনার পরামর্শ দেন।

    তিনি বলেন, চসিকের স্বাস্থ্যসেবাকে পর্যায়ক্রমে আরো উন্নতমানের স্থানে আসীন করা হবে। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন পার্ক ও জনসমাগম বেশি হয়, এমন এলাকায় সপ্তাহে এক দিন বিনামূল্যে ডায়বেটিক পরীক্ষা ও প্রেসার মাপার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, আইডিএফ এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রফেসর শহিদুল আমিন চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক জহিরুল আলম, চসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, আইডিএফ’র স্বাস্থ্য সমন্বয়ক ডা. মুক্তা খানম ও মো. ইফতেখার উদ্দিন প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • যানজট মুক্ত পরিচ্ছন্ন ও সুশৃঙ্খল নগরী গড়তে চসিক ও ট্রাফিক বিভাগ যৌথভাবে কাজ করবে-সুজন

    যানজট মুক্ত পরিচ্ছন্ন ও সুশৃঙ্খল নগরী গড়তে চসিক ও ট্রাফিক বিভাগ যৌথভাবে কাজ করবে-সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, যানজট মুক্ত, পরিচ্ছন্ন সুন্দর ও সুশৃঙ্খল নগরী গড়তে চট্টগ্রাম ট্রাফিক বিভাগ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন যৌথ উদ্যোগে কাজ করতে বদ্ধ পরিকর। এই নগরীকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য করে গড়ে তোলাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।

    আজ অপরাহ্নে সিএমপি ট্রাফিক বিভাগের সাথে যানজট নিরসনে চসিক নগর ভবনের কনফারেন্স রুমে এক বৈঠকে প্রশাসক এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম দ্রুত বর্ধমান একটি নগর, যেখানে বিবিধ উন্নয়ন ও পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। দেশের সব প্রান্ত থেকে মানুষ বিবিধ প্রয়োজনে ছুটছে বন্দর নগরী অভিমুখে, বাড়িয়ে তুলছে নগরীর জনসংখ্যাকে। এই অতিরিক্ত জনসংখ্যা নগরীতে নানা কৃত্রিম সমস্যার সৃষ্টি করছে, যার মধ্যে অন্যতম যানজট। যানজট সৃষ্টিতে রাস্তার মোড়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা, সড়কে বিভিন্ন গতির ও অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করা, ট্রাফিক আইন অমান্য করা, আইন প্রয়োগ ও কার্যকরের অভাব, অপর্যাপ্ত ও অপরিকল্পিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশের অভাব, সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া, লাইসেন্সবিহীন ও অদক্ষ চালক, রাস্তা ও ফুটপাত দখল, অবৈধ রিকশার ছড়াছড়ি, যানবাহনের ইচ্ছামতো চলাচল, যত্রতত্র পার্কিং ও আইন মেনে না চলা, ফুটপাতগুলো দখল, সড়কে নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখা প্রধান প্রধান কারণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

    এছাড়া অপরিকল্পিভাবে রাস্তা কেটে উন্নয়ন কাজ করা, মোড়ে মোড়ে রিকশা দাঁড়িয়ে থাকা, সড়কের পাশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান, ত্রুটিযুক্ত যানবাহন ও দিনে সড়কে বড় ট্রাক চলাচল করাই মুলত দায়ী। নগরীতে অপরিকল্পিত বাসস্ট্যান্ডের কারণে নগরীর চার প্রবেশমুখ কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। নগরীর অক্সিজেন মোড়, শাহ আমানত সেতু চত্বর, কাপ্তাই রাস্তার মাথা এবং সিটি গেট-কর্নেল হাটে যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বেশিরভাগ সড়কের দুই পাশের ফুটপাত দখল করে চলছে ব্যবসা-বাণিজ্য। যত্রতত্র যানবাহন দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী উঠা-নামা করানোর কারণে প্রতিটি মোড়েই এক ধরনের বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে।

    তিনি বলেন, গাড়ির সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, সেভাবে সড়ক বাড়েনি। চালকদের মধ্যে সচেতনতাও বাড়েনি। পরিকল্পিতভাবে টার্মিনালও গড়ে তোলা হয়নি।

    তিনি শিঘ্রই নগরীতে প্যাডেল চালিত অবৈধ রিক্সা উচ্ছেদ করে রিক্সা চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট এরিয়া ঠিক করে দেওয়া হবে বলে জানান। সমাজের বিভিন্ন সচেতন মহল যদি শহরের উন্নয়ন মূলক কার্যক্রমে একাজে এগিয়ে আসেন তা হলে এ শহরে চিত্র বদলাতে দেরী হবেনা বলে উল্লেখ করে প্রশাসক।

    সিএমপি ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে যান নিরসনে কিছু প্রস্তাবনা লিখিতভাবে প্রশাসক এর নিকট দেন। প্রশাসক এ ব্যাপারে একমত হয়ে এক সাথে কাজ করার পরিকল্পনার কথা জানান। নগরীর ফুটপাতে যেন হকাররা যত্রতত্র বসতে না পারে এবং স্থায়ী কোন স্থাপনা তৈরী করতে না পারে সে দিকে নজর রাখার তাগাদা দেন প্রশাসক।

    এছাড়া রাস্তায় জেব্রা ক্রসিং ও রোড় মার্কিং করা, নগরীর বিভিন্ন মোড়ে ফুটওভার ব্রিজ স্থাপন করা, যাত্রী উঠানামার স্থান নির্দিষ্ট করার বিষয়ের উপর জোর দেয়ার আহবান জানান প্রশাসক।

    বৈঠকে করোনা মহামারিকালে যে সকল পুলিশ সদস্য মৃত্যু বরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন করোনাকালে তাদের ভূমিকা জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখবে।

    এসময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ.কে.এম.রেজাউল করিম, ডিসি ট্রাফিক দক্ষিণ মোঃ শহিদুল্লাহ, ডিসি ট্রাফিক পশ্চিম জয়নুল আবেদীন, এডিসি ট্রাফিক উওর উক্য সিং,এডিসি ট্রাফিক বন্দর অলক বিশ্বাস, এডিসি ট্রাফিক পশ্চিম সিএমপি ছত্রধর ত্রিপুরা, স্থপতি আবদুল্লাহ ওমর উপস্থিত ছিলেন।

    মৎস্যজীবিদের মাঝে চাল তুলে দিচ্ছেন চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    মৎস্যজীবিদের মাঝে চসিক প্রশাসকের চাল বিতরণ
    মৎস্যজীবিদের যে কোন সমস্যা-অভিযোগ প্রশাসকের কাছে তুলে ধরার আহবান

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, “খাদ্যবান্ধব’ কর্মসূচির আওতায় দেশের প্রান্তিক জনগোষ্টিকে চাল বিতরণ কর্মসূচি চালু করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর ভিশন অনুযায়ী বাংলাদেশে কোনো মানুষ দরিদ্র থাকবেনা, বাংলাদেশ হবে উন্নত -সমৃদ্ধ। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

    তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ এই- সেøাগানে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীতে একটা মানুষও না খেয়ে থাকবে না, একটা মানুষ গৃহহীন থাকবে না।

    আজ বিকেলে নগরীর আনন্দবাজারে অসহায় ২৮৪ জন মৎস্যজীবি পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত চাল বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, আমরা রাজনীতি করি কাদের জন্য? আপনাদের জন্য। আপনাদের অভুক্ত রেখে রাজনীতি মানায় না। নগরীতে প্রান্তিক জনগোষ্টি বিশেষ করে মৎস্যজীবিরা বৈরী আবহাওয়া ও সাগর উত্তাল থাকলে মাছ ধরা বন্ধ থাকার কারণে খাদ্যাভাবে পড়তে হয়। তাদের দু:খ দুর্দশা লাঘবে সরকারের এই মানবিক উদ্যোগ আমরা বাস্তবায়ন করছি। প্রশাসক মৎস্যজীবিদের যে কোন প্রয়োজন বা অভিযোগ তাঁর কাছে তুলে ধরার আহবান জনান।

    এসময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হামেম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক আবদুল আহাদ, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হাবিব শরীফ, মোহাম্মদ ইসহাক চৌধুরী, মৎস্যজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিরেন্দ্র জলদাশ উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়া জামেয়া আহমদীয়া সুন্নীয়া মাদ্রাসায় ১৪৮ প্যাকেট,কদম মোবারক মুসলিম এতিম খানায় ১৫২ প্যাকেট, দারুল মারুফ মাদ্রাসায় ১৫০ প্যাকেট ও কৈবল্যধাম আশ্রমে ১৫০ প্যাকেট চাল প্রদান করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • একটি শহরে সভ্যতার বিকাশ ঘটাতে বিদ্যুতায়ন অপরিহার্য:চসিক প্রশাসক

    একটি শহরে সভ্যতার বিকাশ ঘটাতে বিদ্যুতায়ন অপরিহার্য:চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম নগরীর আমূল পরিবর্তন ও উন্নয়নের লক্ষে নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী সবসময় উদার। একটি শহরে সভ্যতার বিকাশ ঘটাতে বিদ্যুতায়ন অপরিহার্য। শহরের সড়কবাতির আলোকায়ন সিটি কর্পোরেশন দেখভাল করে। তাই এ বিভাগ যদি সচল না থাকে তা হলে সকল কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।

    আজ সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে চসিক বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে সমন্বয় সভায় প্রশাসক একথাগুলো বলেন।

    তিনি আরো বলেন, আপনারা হলেন আমার বা শহরের চোখ। আপনাদের মাধ্যমে আমি এ শহরের চিত্র দেখতে পাই। তাই আপনারা সচেতন ও সজাগ হোন। আমাদের দায়িত্ব জনগণের সেবা করা, জনগণই যার যার কাজের যোগ্যতা বিচার করবে। যার যোগ্যতা আছে আমি তার যোগ্যতার মর্যাদা দিব। কর্মস্থলে অযোগ্য কাউকে স্থান দিবনা।কাজের মাধ্যমে যোগ্যতার প্রমাণ দেন আমি সে যোগ্যতার আসনে যোগ্য ব্যক্তিকে আসীন করব। শত প্রতিকূলতায়ও আপনারা রাস্তায় থাকুন। যেহেতু এই বিভাগে আপনারা দীর্ঘদিন কাজ করছেন সেহেতু অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগান। কাজের ক্ষেত্রে আপনারা একে অন্যের সহযোগী হোন। ভুলগুলো সংশোধন করে নতুন ভাবে এগিয়ে যান। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কেনার সময় তা গুনগত মান যাচাই করে ক্রয় করার নির্দেশনা দেন প্রশাসক।

    এসময় চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমেদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, প্রকৌশলী আনোয়ারুল হক চৌধুরী,সালমা খাতুন, রেজাউল বারী, কামরুল ইসলাম সেলিম, বাতি পরিদর্শক জাহিদুল আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

    ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করতে মাইকিং প্রচারনায় চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, আমার কাজ কথা বলবে। আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে নগরবাসীর অধিকার আদায়ে অবদান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছি। এজন্য দরকার নগরবাসীর সহযোগিতা ও সদিচ্ছা।

    আজ অপরাহ্নে মাঝিরঘাটস্থ স্ট্যান্ড রোড হয়ে কদমতলী ফ্লাইওভার থেকে দেওয়ানহাট মোড় পর্যন্ত মাইকিং করে ফুটপাত ও রাস্তা পরিদর্শনকালে প্রশাসক এসব কথা বলেন।

    এসময় প্রশাসক কদমতলী ও দেওয়ানহাট ফ্লাইওভারের নিচে এবং ফুটপাত অবৈধ দখল করে ব্যবসা অবকাঠামো নিজ জিম্মায় সরিয়ে নেয়ার জন্য সকলকে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অন্যথায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় কঠোর অবস্থানে যাবে চসিক।

    এসময় উপস্থিত জনসাধারণ প্রশাসকের কাছে তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানালে প্রশাসক ফুটপাত অবমুক্ত করে ব্যবসা পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা দিবে বলে জানান।

    প্রশাসক পরিদর্শনকালে ষ্টেশন রোড, নিউমার্কেট মোড়ে চসিকের গণশৌচাগার থেকে অবৈধভাবে পানি বিক্রির সময় হাতে নাতে ধরে পাইপ জব্দ করে নেন এবং সাথে সাথে পানি বিক্রী বন্ধের নির্দেশনা দেন।

    নিউ মার্কেট মোড়ে গণশৌচাগার থেকে অবৈধভাবে পানি বিক্রী বন্ধ করছেন প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন

    এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার কাছে তথ্য রয়েছে কিছু অসৎ ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে চসিকের পানি বিক্রীর রমরমা ব্যবসা করছে। যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তাই আজ থেকে এই পানি বিক্রী বন্ধ। এজন্য আমার পক্ষ থেকে মনিটরিং করা হবে একই সাথে গণশৌচাগারের ইজারা বাতিল করা হবে। যদি এমন কাজে জড়িত কাউকে পাওয়া যায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের হারানো গৌরব ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমার মেয়াদকালীন সময়ে চট্টগ্রাম শহর উন্নয়নে একটি গাইড লাইন দাঁড় করিয়ে যাব। যাতে পরবর্তীরা তা অনুসরণ করে কাজে লাগাতে পারে।

    তিনি বলেন, আমাদের প্রয়াত সাবেক মেয়র আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম উন্নয়নে একগুচ্ছ পরিকল্পনা রেখে গেছেন। এযাবতকাল যদি অন্তত তাঁর দিক নির্দেশনা অনুসরণ করা যেত তাহলে এই শহরের এমন রূপ চোখে পড়তো না। তাঁর সময়ে চট্টগ্রাম ছিল তকতকে -ঝকঝকে ও পরিবেশ বান্ধব। অথচ অযত্নে ও অবহেলায় চট্টগ্রাম তার সৌন্দর্য হারাতে বসেছে। এভাবে আর চলেতে দেয়া যাবে না।

    এসময় প্রশাসকে একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, চসিক নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব কুমার দাশ সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • উন্নয়ন ও নগরায়নের অর্থ হলো প্রকৃতির সাথে সমন্বয় সাধন : সুজন

    উন্নয়ন ও নগরায়নের অর্থ হলো প্রকৃতির সাথে সমন্বয় সাধন : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন চট্টগ্রামের ভূ-প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও প্রাচুর্যময় বৈচিত্রের সমন্বয়ে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা অন্বেষণে নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম নগরী প্রকৃতির আশীর্বাদ। পাহাড়-নদী-সমুদ্র বেষ্টিত এমন নান্দনিক উপাদান পৃথিবীতে বিরল। অথচ আমরা এগুলো কাজে লাগাতে পারিনি, বরং এই নান্দনিক প্রাচুর্য্যকে ধ্বংস করেছি; নদী দখল করেছি, পাহাড়কে কেটে সৌন্দর্য্যরে অঙ্গহানি করেছি। মনে রাখতে হবে উন্নয়ন বা নগরায়ন মানে শুধু ইট-পাথরের ইমারত নয়- এটা নগ্নতা। উন্নয়ন ও নগরায়নের অর্থ হলো সবুজায়ন ও প্রকৃতির সাথে সমন্বয় সাধন।

    আজ সকালে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনে বিশিষ্ট স্থপতি আশিক ইমরান সৌজন্য সাক্ষাত করতে এলে প্রশাসক এ কথাগুলো বলেন।

    তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু দুষন বিপজ্জনক অশনি সংকেত। প্রকৃতি, পরিবেশ ও সকল প্রাণীকূলের সাথে সমন্বয় ও সহাবস্থানই আমাদের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার পূর্বশর্ত। চট্টগ্রামের ভূ-প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ও প্রাচুর্য্য সুরক্ষা করে একটি অত্যাধুনিক পরিবেশ বান্ধব নগরী গড়ার মহাপরিকল্পনা সময়ের দাবী। চট্টগ্রাম যেহেতু বন্দর নগরী এর অনেক অনেক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা পর্যটন খাতে। পুরোনগরীকে পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তুলতে যে উপাদানগুলো আছে তার সদ্ব্যবহার সম্ভব হলে পর্যটন খাত থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আয়ের উৎস সৃষ্টি হবে।

    তিনি মেরিন ড্রাইভ সড়কসহ বিভিন্ন দর্শণীয় স্থানে, পর্যটন স্পটে কটেজ ও মোটেল স্থাপনের কথাও বলেন। তিনি আরো বলেন যে, ফয়সলেক থেকে ভাটিয়ারী পর্যন্ত বার্ড ফিডিং বানানো হবে।

    তিনি নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনে নকসা প্রণয়নের আহ্বান জানালে স্থপতি আশিক ইমরান প্রশাসকের বক্তব্য ও নকশা প্রণয়নে সহমত পোষন করে বলেন, যেখানে যেখানে সৌন্দর্য্যবর্ধন করা যায় সেজন্য উপযোগী নকসা প্রণয়নের কাজটি করার দায়িত্ব আমরা পালন করতে পারি। এ ছাড়া নতুন নতুন খেলাধূলার মাঠ তৈরী এবং এখন যে-গুলো আছে সে-গুলোর রক্ষণাবেক্ষণ কাজকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত।

    তিনি আরো বলেন, সবুজায়নের জন্য বৃক্ষরোপনের পাশাপাশি বৃক্ষনিধন বন্ধ করার উপরও গুরুত্ব দিতে হবে।

    এসময় চসিক প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি এ কে এম রেজাউল করিম, স্থপতি আবদুল্লাহ আল ওমর, স্থপতি নাজমুল লতিফ সোহাইল, স্থপতি আসাদুজ্জামান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মানুষ ও যানবাহন চলাচলের পথে কোন প্রতিবন্ধকতা ও অবৈধ স্থাপনা থাকতে পারবে না- সুজন

    মানুষ ও যানবাহন চলাচলের পথে কোন প্রতিবন্ধকতা ও অবৈধ স্থাপনা থাকতে পারবে না- সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আজ সকাল ১১টায় দামপাড়া স্টোর থেকে শুরু করে আগ্রাবাদ জাম্বুরী মাঠ দেওয়ানহাট ডিটি রোড, দক্ষিণ পাহাড়তলী জোড়া ঢেবা হয়ে সাগরিকা মোড় পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন।

    এই সময় তিনি নির্দেশ দেন যে, মানুষ ও যানবাহন চলাচলের পথে কোন ধরণের প্রতিবন্ধকতা ও অবৈধ স্থাপনা থাকতে পারবে না। এসব অবৈধ স্থাপনা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিজ নিজ উদ্যোগে সরিয়ে ফেলা না হলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হবে বলে তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

    তিনি আগ্রাবাদস্থ জাম্বুরী মাঠ সংলগ্ন সিটি কর্পোরেশনের জায়গাটিকে জঞ্জাল মুক্ত করে সেখানে অকেজো ও পরিত্যক্ত যানবাহনের ডাম্পিং সেন্টারে পরিণত করা এবং অকেজো যানবাহনগুলো নিলামে বিক্রিরও নির্দেশ দেন।

    জাম্বুরী মাঠ ও কর্ণফুলী শিশুপার্কের আশেপাশে সকল অবৈধ স্থাপনা এবং ফুটপাতের উপর দোকান-পাটের বর্ধিত অংশ আজকের মধ্যে উচ্ছেদ করারও নির্দেশ দেন। এছাড়া শিশু পার্কের ভেতরে অবস্থিত লেক সিটি রেস্টুরেন্টটিকে কমিউনিটি সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করে বিয়েসহ কোন ধরণের সামাজিক অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে ঘোষণা করেন।

    তিনি শিশু পার্কের ভেতরে অব্যবস্থাপনা, অভ্যন্তরীন চলাচল পথে ভাঙ্গা ও যত্রতত্র ভাবে ময়লা আবর্জনা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং সেখানে স্বাস্থ্যবান্ধব পরিবেশ রক্ষায় সৌন্দর্য্যবন্ধন ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দেন।

    শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলাকালীন সময়ে পার্ক বন্ধ রেখে বেলা দু’টার পর পার্ক খোলা এবং পার্কের আশেপাশে গড়ে উঠা অবৈধ দোকান-পাঠ ও স্থাপনা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। অন্যথায় ইজারা বাতিল করা হবে বলে সর্তক করে দেন। তিনি পার্কটিকে নান্দনিক ছোঁয়ায় শিশুদের মনন বিকাশের উপযোগী করে গড়ার নির্দেশনা দেন।

    তাছাড়া দক্ষিণ পাহাড়তলী জোড় ঢেবা পাড় সংলগ্ন চারপাশ এলাকা দখলদার মুক্ত ও মাদক কেনা-বেচার আখড়া উচ্ছেদ করে সেখানে নান্দনিক বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান চসিক প্রশাসক।

    এই জোড় ঢেবায় চাষ করা মাছের জন্য ক্যামিক্যাল যুক্ত কোন খাবার না দিতে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানকে সর্তক করে দিয়ে বলেন, এতে জোড়া ঢেবার পানি দূষনের আশংখা দেখা দেয়।

    তিনি দক্ষিণ পাহাড়াতলীবাসীকে মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে বলেন, আমাদের সন্তানরা যাতে বিপথগামী না হয় সেজন্য অভিভাবকদের সর্তক হতে হবে এবং করোনাকালে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের শ্রদ্ধাচারী জীবনাচারণ হবে সংকট থেকে পরিত্রানের একমাত্র পথ।

    চসিক প্রশাসক সেখানে উপস্থিত ছেলেমেয়েদের মাঝে চকলেট বিতরণ করেন। এরপর তিনি দেওয়ানহাট থেকে সাগরিকা পর্যন্ত ডিটি রোডের খানা-খন্দ ভরাট সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন।

    এ সময় প্রকৌশলীবৃন্দ চসিক প্রশাসককে অবগত করেন যে বৃষ্টি বাঁধ না সাধলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সড়কটি ৪ ইঞ্চি ঢালাইয়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে।

    তিনি প্রকৌশলী এবং ঠিকাদারবৃন্দকে কাজের গুণগত মান যাচাইয়ের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।

    এ সময় তিনি বলেন এ সড়কটিও চট্টগ্রামের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। বন্দর নগরীর আভ্যন্তরীন যোগাযাগসহ সারা বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে সড়কের দু’পাশের অবৈধ স্থাপনা, বিশেষ করে রড-সিমেন্ট, ফার্নিচার-ওয়ার্কসপসহ নানাবিধ দোকানপাটের সামগ্রী দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে এসব স্থাপনা দ্রুত সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন।

    তিনি উপস্থিত এলাকাবাসীকে সড়কের নির্মাণকাজের তদারকি করারও আহবান জানান।

    এরপর চসিক প্রশাসক সাগরিকা থেকে একেখান মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুপাশের ফুটপাত অবৈধ দখল থাকতে দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি দখলদারদের এসব ফুটপাতের দখল আজকের মধ্যেই স্বউদ্যোগে ছেড়ে দেওয়ার আহবান জানান। নচেৎ আগামীকাল সিটি কর্পোরেশন পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতায় এসব অবৈধ দোকান এবং স্থাপনা উচ্ছেদ করবেন বলে ঘোষণা করেন।

    এ সময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব মো. আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, ঝুলন কান্তি দাশ, আনোয়ার হোসেন, আবু ছালেহ, মনিরুল হুদা, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, বিপ্লব দাশ, এস্টেট অফিসার কামরুল ইসলাম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মহাশ্মশান উন্নয়ণে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা শুভ সামাজিক উদ্যোগ: চসিক প্রশাসক

    মহাশ্মশান উন্নয়ণে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা শুভ সামাজিক উদ্যোগ: চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শেষ কৃত্যানুষ্ঠানের স্থান অভয়মিত্র মহাশ্মশান উান্নয়ন সংস্কার ও রক্ষণা-বেক্ষণের দায়-দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের হলেও এই কাজে সহায়তায় বেসরকারীধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততার আগ্রহকে স্বাগত জানাই।

    তিনি আরো বলেন, প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হবার পর মহাশ্মশানটি পরিদর্শনে গেলে এখানকার সমস্যা ও অব্যবস্থাপনাগুলোর বিষয়ে অবগত হই। জানতে পারি পূর্ণিমা-আমবশ্যা তিথিতে কর্ণফুলীতে জোয়ারের সময় মহাশ্মশানটিতে হাঁটু পানি দাঁড়িয়ে যায়। এই সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শবদেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই সমস্যার প্রধান উপায় হলো শ্মশানটি ২-৩ ফুট মাটি ভরাট করে উঁচু করা। এছাড়া এখানকার মন্দির সংস্কার ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নও প্রয়োজন।

    তিনি আজ সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক নগর ভবনে অভয়মিত্র মহাশ্মশানের সংস্কার ও উন্নয়নে সহায়তা প্রদানে আগ্রহী অদুল-অনিতা ট্রাষ্টের কো-চেয়ারম্যান শ্রীমতি অনিতা চৌধুরীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন।

    তিনি অদুল-অনিতা ট্রাষ্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নে ধর্মানুরাগী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠারেনর সহায়তা সত্যিকার অর্থেই একটি ধর্মীয় ও মানবিক শুভ সামাজিক উদ্যোগ। আশাকরি অভয় মিত্র মহাশ্মশানের উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত স্থাপনায় চসিকের পাশাপশি অদুল-অনিতা ট্রাষ্টের সহায়তা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আকাঙ্খা পূরণের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

    প্রশাসক চসিকের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম মানিককে অভয়মিত্র মহাশ্মশানের উন্নয়নে করনীয় বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরী করার নির্দেশনা দেন।

    সৌজন্য সাক্ষাতকালে চসিক সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমদ,প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটির কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক ডা.অঞ্জন কুমার পাল উপস্থিত ছিলেন।

    চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে বৈঠকে সুজন
    তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন নাসিরাবাদ শপিং কমপ্লেক্স আলো-বাতাস চলাচল, পার্কিং প্লেস ও অভ্যন্তরীন প্রশস্থ চলাচল ব্যবস্থাসহ আগের মতন ক্রেতা-বিক্রেতা বান্ধব পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সংস্কার ও উন্নয়ন কাজের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেন।

    কয়েকজন দোকানদারের আপত্তির প্রেক্ষিতে তিনি বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে সিডিএ, চুয়েট, সিটি কর্পোরেশনও নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীর সমন্বয়ে একটা টিম গঠন করে নির্মাণকাজের কোন ত্রুটি আছে কিনা কিংবা বিদ্যমান ভবনের সম্প্রসারণের ফলে পরবর্তীতে রানা প্লাজার মত কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা দ্রুত এ বিষয়গুলো যাছাই করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

    নীচতলায় বিদ্যমান মার্কেটের দোকান মালিকগণ মালামাল রেখে চলাচলের পথ সংকুচিত রাখার বিষয়ে তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর সহযোগিতা নিয়ে সবাইকে জরিমানা করার এবং প্রয়োজনে ট্রেড লাইসেন্স বাতিলের জন্য প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন।

    তিনি আজ সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক নগরভবনে চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শামীম কর্পোরেশনের স্বত্তাধিকারী ও সাইটে নিয়োজিত ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন।

    প্রশাসক নির্মাণ কাজের সময় শপিং কমপ্লেক্স এর কিছু অংশ টিন দিয়ে ঘেরাও রাখার বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে তা উম্মুক্ত করে দিয়ে মানুষ যাতে সহজে সব কর্মকাণ্ড দেখতে পারেন সে বিষয়েও নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এর কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন ।

    তিনি আরো জানান এই কমপ্লেক্সের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী ফ্লোর বাড়াতে-কমাতে হবে। কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ এর সার্বিক বিষয় পর্যালোচনার জন্য গঠিতব্য কমিটির রিপোর্ট উপস্থাপন ও অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে হবে মর্মে তিনি শামীম কর্পোরেশন এর সত্ত্বাধিকারীকে জানিয়ে দেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ওয়াসায় বৈঠক:সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতে সমন্বিত উদ্যোগের কোন বিকল্প নেই-সুজন

    ওয়াসায় বৈঠক:সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতে সমন্বিত উদ্যোগের কোন বিকল্প নেই-সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নগরীতে ওয়াসার প্রকল্প বাস্তবায়নে রোড কাটিংয়ের ক্ষেত্রে সমন্বয় সাধন না হওয়ায় নাগরিক দূর্ভোগ বাড়ছে এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বিত হচ্ছে। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নে সিটি কর্পোরেশনের সাথে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

    তিনি আজ দামপাড়াস্থ ওয়াসা ভবনে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.এম ফজলুল্লাহ’র সাথে এক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন।

    তিনি আরো বলেন, যেখানে সড়ক উন্নয়নকাজ চলমান সেখানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্পের রোড কাটিং কাজ করে সড়কগুলোকে যান চলাচলের উপযোগী করে দিতে হবে। যেসকল সড়কে চসিকের উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হয়েছে সেখানে রাস্তা কর্তন বিষয়ে আগেভাগে দুই কর্র্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীদের সমন্বিত কর্মপন্থা প্রণয়ন করতে হবে। সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতে এ ধরনের উদ্যোগের কোন বিকল্প নেই।

    এসময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক(প্রশাসন) তাহেরা ফেরদৌস, সচিব শারমিন আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, উপ সচিব নাজিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

    চসিক প্রশাসকের বিবৃতি
    শুন্য কাউন্সিলর পদে সমন্বয়ক বা প্রতিনিধি হিসেবে কাউকেই নিয়োগ দেয়া হয়নি

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১ ওয়ার্ডে শুন্য কাউন্সিলর পদে সমন্বয়ক বা প্রতিনিধি হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেয়া না হলেও এ-নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অহেতুক বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালানোয় প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

    এ প্রসঙ্গে তিনি গণমাধ্যমে প্রদত্ত বক্তব্যে বলেছেন, কোন ওয়ার্ডে সমন্বয়ক বা প্রতিনিধি হিসেবে কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত পরিষদ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর স্থানীয় সরকার এ্যাক্ট (সিটি কর্পোরেশন-২০০৯) অনুযায়ী কাউন্সিলর পদটি এখন শুন্য। এই পদে থেকে মেয়াদকালীন সময়ে কাউন্সিলর যে কাজগুলো বিশেষ করে ওয়ারিশান, জাতীয়তা সনদপত্র,জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদপত্র প্রদান করতেন তা প্রাপ্তিতে ওয়ার্ড সচিবদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই কাজে তাঁদেরকে স্থানীয় অভিজ্ঞ ও মুরুব্বীদের সহায়তা গ্রহণেরও পরামর্শও দেয়া হয়েছে।

    সর্বোপরি চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলমকে ১ থেকে ১৪ নং ওয়ার্ড, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়াকে ১৫ থেকে ২৮ নং ওয়ার্ড ও সচিব আবু শাহেদ চৌধুরীকে ২৯ থেকে ৪১ নং ওয়ার্ডের কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে ওয়ারিশ সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে সঠিক ওয়ারিশ চিহ্নিতকরণে কয়েকজন মুরব্বী, শিক্ষক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা গ্রহণের জন্য ওয়ার্ড সচিবগণকে বলা হয়েছে। তাদের কোনভাবেই ওয়ার্ড অফিসে এসে কোন ধরণের কার্যক্রমে সংযুক্ত হতে বলা হয়নি। এ ধরণের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ করা হচ্ছে তা সম্পুর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত।

    যারা এসব করছেন তাদের এ ধরনের অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে প্রশাসক বলেন, নগরবাসী যাতে এধরনের কোন গুজবে কান দেয়া থেকে বিরত থাকেন। ওয়ার্ড অফিসের কোন কার্যক্রমে সরাসরি ওয়ার্ড সচিবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এতে কোন প্রকার জনভোগান্তি কিংবা অভিযোগ থাকলে সরাসরি আমার ফেইজবুক পেজ কিংবা দাপ্তরিক কার্যালয়ে যোগাযোগ করার পরামর্শ রইল। স্ব-প্রণোদিত হয়ে যারা এসব গুজব রটাচ্ছেন তারা যেন এহেন কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকেন নচেৎ তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।

    নগরবাসীর গণসাক্ষাতকার গ্রহণকালে প্রশাসক সুজন
    জবাবদিহিতা প্রদানের বাধ্যবাধকতা শতভাগ নিশ্চিত করা হবে

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানটি জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলে এবং যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালিত হয় তার প্রতিটি কানাকড়ির হিসাব জনগণের কাছে জবাবদিহিতা প্রদানে শতভাগ বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই জবাবদিহিতা প্রদানের দায়বদ্ধতা থেকে নাগরিকদের অভাবÑঅভিযোগ ও সমস্যার কথা সরাসরি শুনতে আজ (সোমবার) থেকে গণ সাক্ষাতকার গ্রহণের ধারাবাহিক কার্যক্রম শুরু হলো। এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে হলো নগরবাসীর অভিযোগ ও সমস্যাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধি,স্বচ্ছতা আনায়ন এবং নগরবাসীর মাঝে আস্থা ও নির্ভরতার ভিত্তিতে প্রোথিত করা।

    তিনি আজ সকালে আন্দরকিল্লাস্থ চসিক পুরাতন নগর ভবনে অনুষ্ঠিত গণসাক্ষাতকার গ্রহণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথাগুলো বলেছেন।

    তিনি তাঁর বক্তব্যের শুরুতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন এবং বলেন, চট্টল দরদী এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পথ ও দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। নির্দ্দিষ্ট বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে যতটুকু সম্ভব নগরবসীর দূর্ভোগ লাঘবে আমি প্রতিদিন সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগের কথাগুলো শুনে তার দ্রুত সমাধানের জন্য আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো। আমার দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি নগরবাসীর হৃদয়মনের কাছাকাছি পৌঁছে তাদের চাওয়া পাওয়া এবং অপূর্ণ আকাঙ্খাগুলো জানা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কোন কোন ক্ষেত্রে অনিয়ম অস্বচ্ছতা গাফিলতি ও ব্যবস্থাপনাগত শৃংখলার অভাব রয়েছে সেগুলোকে চিহ্নিত করে সেবাখাতগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

    তাই আমি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি যে, নগরবাসীর ট্যাক্সের টাকা আমাদের বেতন-ভাতা গ্রহণ এবং সকল ব্যয় নির্বাহের প্রধান উৎস। তাই প্রতিটি কানাকড়ি হিসেব-নিকেশের জবাবদিহিতা নগরবাসীর কাছে প্রদানের নৈতিকতাকে অবশ্যই অন্তরে ধারন করতে হবে। কোন ক্ষেত্রেই যেন তিল পরিমাণ নয়-ছয় না হয়। স্বচ্ছতার ক্ষেত্রেও তিল পরিমান বিভ্রম ও বিচ্যুতিকে ছাড় দেয়া যাবে না।

    তিনি আজকের গণস্বাক্ষাতকারে যারা বিভিন্ন অভাব-অভিযোগ ও সমস্যার কথাগুলো জানিয়েছেন সেগুলোকে আমলে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করে বলেন, আপনাদের অভাব-অভিযোগুলো যাচাই-বাছাই করে এবং এগুলোর সত্যতা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ-কেউ এও বলেছেন যে, চাকুরী দেয়ার নাম করে নিকট অতীতে কোন কোন ব্যক্তি টাকা-পয়সা নিয়েছেন। এতে তারা প্রতারিত হয়েছেন। এ অভিযোগটি দু:খজনক। আমি এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিব।

    তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সকল আর্থিক লেনদেন, মোট জনবলের বেতন-ভাতা প্রদানসহ আর্থিক আদান প্রদানের অনলাইন ওয়ান ব্যাংকের সাথে অনলাইন ব্যবস্থাপনার যে চুক্তিটি হয়েছে তার ধারাবাহিকতা রক্ষায় যেসকল সমস্যা আছে তা নিরসনের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি আরো জানান যে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের যেসকল ঠিকাদার এবং অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন ধরনের পাওনার অংক এখনে অদেয় আছে সেগুলো পরিশোধে সরকারের সাথে দেন-দরবার করে পরিশোধ করা হবে বলে প্রশাসক আশ্বস্থ করেন। আজকের গণস্বাক্ষাতকারে প্রায় ২০টি অভিযোগ আমলে নেয়া হয়।

    এসময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মুফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম সহ সংশ্লিস্টরা উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

     

  • জন-দূর্ভোগ লাঘবে চসিকের পাশাপাশি নগরবাসীরও সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে:সুজন

    জন-দূর্ভোগ লাঘবে চসিকের পাশাপাশি নগরবাসীরও সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে:সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নগরীতে যেখানে নাগরিক দুর্ভোগ ও বেসামাল অবস্থা দৃশ্যমান সেগুলোর যথাসম্ভব তাৎক্ষণিক সমাধানে চলমান এ্যাকশন বিরতিহীনভাবে চলবে। চসিক যেখানে সড়ক মেরামত, খানাখন্দ ভরাট, পরিচ্ছন্নতা ও সড়কবাতির কাজগুলো করেছে সেগুলোর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষন ও পরিচর্যায় সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জনবলের পাশাপাশি নগরবাসীরও সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে।

    এ প্রসঙ্গে তিনি পরিদর্শনকালের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, এখনো দেখছি বিভিন্ন জায়গায় যত্রতত্র আবর্জনা পড়ে আছে। যে খানা-খন্দগুলো মেরামত করা হয়েছে সেগুলোও আগের অবস্থায় ফিরে গেছে এবং সড়কে ও ফুটপাতে বেঁধে দেয়া টাইমফ্রেম ও নিয়ম-নীতি কিছুই যথাযথভাবে মানছে না।

    তিনি হকারদের উদ্দেশ্যে বলেন, মানুষের চলাচলের পথে কাঁটা হবেন না। মানুষের চলাচলের পথ সুগম করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে প্রশাসকের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি কোনভাবেই পূনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদের পক্ষে নই। তবে মানুষের চলাচলের পথে কোন প্রতিবন্ধকতা সহ্য করা হবে না।

    তিনি আজ মাঝিরঘাট স্ট্যান্ড রোড, নিউমার্কেট মোড়,ষ্টেশনরোড, রেলওয়ে কভারস্টোর ফলমুন্ডি বাজার, চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন জায়গায় হকার,ফুটপাত,বাজার,রাস্তা,অলস পার্কিং সরেজমিনে পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, অনেক সড়কে নিষেধ সত্বেও হকাররা চৌকি বসিয়ে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে অস্থায়ী স্থাপনা ও ছাউনী বানিয়ে রেখেছে। রাস্তার যানবাহন ও পথচারী চলাচলের অংশেও তারা ব্যবসা-পাতির পসরা সাজিয়েছেন। ফুটপাতের জায়গায় চলাচলের পথে বড় বড় চৌকি বসিয়েছে- এ আচরণ সহ্যের সীমানা অতিক্রম করেছে। হকারদেরকে আরো স্পষ্ট করে বলেন রাস্তার উপর তাদের নির্মাণ করা স্থাপনা ও চকিগুলো সরিয়ে না ফেললে ওগুলোকে জব্দ করে নিলামে তোলা হবে। কারণ হকার নেতাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে আমি যে ছাড়গুলো দিয়েছি তা কেউ যদি দুর্বলতা মনে করেন তাহলে তাদের জন্য কঠোর দণ্ড অপেক্ষা করছে। ষ্টেশন রোডের নুপুর মার্কেটের সামনে দৃষ্টিকটু ও শহরের সৌন্দর্যহানিকর পাবলিক টয়লেটটির নির্মাণকাজ আপাতত বন্ধ রাখা এবং চসিক প্রদত্ত নকশানুযায়ী কাজ হচ্ছে কিনা তা অফিসে এসে দেখানোর নির্দেশ দেন প্রশাসক।

    তিনি ফলমুন্ডি বাজারের দোকান-পাটের মালিক ও মালামাল বিক্রেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আবর্জনা যেখানে-সেখানে ফেলতে পারবেন না। এ জন্য প্রতি দোকানকে ৪টি করে পলি ব্যাগ দেয়া হবে। এই ব্যাগে আবর্জনা ভর্তি করে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে আসতে হবে। সেখান থেকে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা গাড়িতে তুলে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে ডাম্পারে নিয়ে ফেলবে। প্রশাসক ফল বিক্রেতাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে নর্দমায় ময়লা ও পঁচা ফলের ভাগাড় দেখতে পেয়ে তা অপসানের নির্দেশ দিয়ে বলেন, এহেন কাজের জন্য আগামীকাল থেকে চসিকের হেলথ্ ইন্সপেক্টর দ্বারা তদারকি ও জরিমানা করা হবে। প্রশাসক মাঝিরঘাট স্ট্যান্ড রোডে দায়িত্বরত ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে ওয়ার্কপ্লান অনুযায়ী কাজ করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আগামী সপ্তাহে কি কাজ করবেন এবং পরবর্তী ১৫ দিনে কি কাজ করবেন তার কর্মপরিকল্পনা পূর্বথেকে নির্ধারণ করে ডিসি ফুডের সাথে সমন্বয় পূর্বক কাজ করতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, রাস্তার কোন অংশেই কোন ধরণের নির্মাণ সামগ্রী রাখা যাবে না। ফুটপাত বা নালা-নর্দমার ওপর স্ল্যাব বসিয়ে দোকান-পাটের আয়তন বাড়ানো চলবে না। যে সমস্ত এলাকা ধুলিময় হয়ে উঠেছে সে সমস্ত রাস্তার দু’পাশে দুই বেলা পানি ছিটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সদরঘাট রোডে অবস্থিত রাস্তার পাশে কাঁচা বাজার ও মাছ বাজারটিকে নিয়মনীতি অনুসরণের তাগাদা দিয়ে বলেন মূল রাস্তায় বাজার বসানো যাবে না।

    এবিষয়ে বাজার সংশ্লিস্টদেরকে আগামীকাল প্রশাসকের সাথে সাক্ষাত করে এর দিক নির্দেশনা গ্রহণের পরামর্শ দেন। চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স পরিদর্শনের সময় মার্কেটের মুখে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জিনিসপত্র রেখে জনসাধারনের চলাচলের পথ সংকুচিত করার দৃশ্য দেখে প্রশাসক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগামীকালের মধ্যে হাটাচলার পথ থেকে সমস্ত পণ্য সরিয়ে ফেলতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন যে, এই মার্কেটটি একসময় সিডিএ’র গোডাউন ছিলো। পরে সাবেক মেয়র আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর আমলে নির্মিত শপিং মলটিতে চলাফেরার রাস্তা,মাঝখানে পার্কিংপ্লেস ও আলো-বাতাস চলাচলের জন্য উম্মুক্ত জায়গা রাখলেও এখন সেখানে দোকান তৈরী করা হয়েছে। ফলে শপিং মলটি ঘিঞ্জি হয়ে উঠেছে। এসব কাঠামো ভেঙ্গে ফেলতে হবে।

    পরিদর্শনকালে প্রশাসকের এমন যুগোপযোগি পদক্ষেপ ও মাঠে সরব থাকার বিষয়টিকে উপস্থিত জনসাধারণ সাধুবাদ জানান এবং এই কার্যক্রম চলমান রাখার অনুরোধ জানান। প্রশাসক তাঁর কর্মকাল মানুষের সেবা প্রদান ও দু:খ দুর্দশা লাঘবে উৎসর্গ করবেন বলে মত প্রকাশ করেন।

    চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সহিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, ফলমুন্ডি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, হোসেন শহীদ সরওয়ারদী, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, সহকারী প্রকৌশলী আশিক উল ইসলাম, মজিবুল হায়দার, উপসহকারী প্রকৌশলী নুর সোলায়মান, চন্দন দাশ উপস্থিত ছিলেন।

    বিজিএমইএ’র প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতকালে প্রশাসক সুজন
    নগরীর সড়ক অবকাঠামোগত উন্নয়নে
    বিজিএমইএ-কে এগিয়ে আসতে হবে

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, করোনাকালে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের শীর্ষতম উৎস তৈরী পোষাক রফতানী শিল্পখাতসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে স্থবিরতা প্রকটতর হওয়ার আশঙ্কা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই খাতে সর্বাধিক প্রণোদনা প্রদান ও ঋণ সহায়তা বরাদ্দ দেন বিধায় এই খাতটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ফলে রফতানী আয়ের সূচকে গতিশীলতা বিদ্যমান রয়েছে। তাই মনে রাখতে হবে যে-কোন প্রতিকূল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দেয়ার মত শক্তি- সামর্থ্য ক্ষমতা ও কর্মপরিকল্পনা সরকারের আছে। রফতানীমুখী শিল্পের সমস্যা আছে আবার সমাধানও আছে। শ্রমিক-কর্মচারী-মালিক ও সরকারের সমন্বিত প্রচেষ্টাই যে-কোন সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায়।

    তিনি আজ দুপুরে টাইগারপাসস্থ চসিক ভবনে বিজিএমইএ’র এক প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাতকালে একথা গুলো বলেছেন।

    তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম দেশের প্রধান বন্দর নগরী। সারাদেশের তৈরী পোষাক রফতানী শিল্পের পণ্য পরিবহনগুলো চট্টগ্রাম নগরীর রাস্তা-ঘাট ও সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামোর উপর আসা-যাওয়া করে। এ কারণে চট্টগ্রামের রাস্তা-ঘাট ও সড়ক অবকাঠামোগত উন্নয়নে আবশ্যিক অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় বিজিএমইএ-কে এগিয়ে আসতে হবে।

    তিনি বিজিএমইএ’র নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, অনেক সময় দেখা যায় বেতন-ভাতা-বোনাসের দাবীতে গার্মেন্টেস শ্রমিকেরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হন। তারা সড়ক অবরোধ করেন এবং এতে দুঃসহ নাগরিক দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। তাই শ্রমিক-কর্মচারীরা যাতে রাস্তায় নামতে বাধ্য না হন সেদিকে মালিক কর্র্তপক্ষকে অবশ্যই দৃষ্টি রাখতে হবে।

    তিনি বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দকে পোষাক শিল্পখাতে প্রসার ও উন্নয়ন চসিকের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, বিজিএমইএ চট্টগ্রাম এর প্রথম সহ সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, পরিচালক খন্দকার বেলায়েত হোসেন, অঞ্জন শেখর দাশ, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মোহাম্মদ আতিক, আব্দুল আজিজ চৌধুরী প্রমূখ।

    ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন অফিসে প্রণব মূখার্জির শোক বহিতে চসিক প্রশাসকের স্বাক্ষর

    আজ সকালে চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার কার্যালয়ে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু প্রাগ্য রাজনীতিক সদ্য প্রয়াত প্রণব মুখার্জীর শোক বইতে স্বাক্ষর করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    এ সময় তিনি স্থাপিত প্রয়াত প্রণব মুখার্জীর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ও দাঁড়িয়ে প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।

    স্বাক্ষর শেষে আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে পরস্পর কুশল বিনিময় করেন এবং বাংলাদেশ ভারতের সাথে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের সম্পর্কে দু’দেশের জনগণের জন্য মঙ্গল আনবে বলে মন্তব্য করে বলেন, এই মৈত্রির বন্ধনকে সুদৃঢ় করে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সম্পর্ককে অধিকতর গতিশীল করার কুটনৈতিক প্রয়াস অব্যাহত থাকাটা আজ সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রণিধানযোগ্য।

    তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে ট্রানজিস্ট সুবিধায় ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো এবং নেপাল ও ভুটানে নৌ,সড়ক ও রেলপথে আমদানি রপ্তানি পণ্য পরিবহনে যে সময় ও আর্থিক সাশ্রয় হবে এতে বাংলাদেশ-ভারত -নেপাল-ভুটানের অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

    চসিক প্রশাসকের নিকট ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করলেন চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বকেয়া গৃহকর বাবদ চসিক প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের নিকট ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উপ পরিচালক ডাঃ আফতাবুল ইসলাম।

    এসময় সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, চমেক হিবাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান, চসিক এস্টেট অফিসার মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী, উপ-কর কর্মকর্তা আবদুল মজিদ উপস্থিত ছিলেন।

    চেক হস্তান্তরকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক বলেন, করোনাকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অনেক অবদান রয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগে এই হাসপাতালটি সাধারণ ও মূমুর্ষ রোগীদের যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তা অতুলনীয়।

    তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সেবার মান আরো উন্নত করার এবং দালালদের দৌরাত্ব বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

    প্রশাসক চট্টগ্রামে আরো কয়েকটি সরকারি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা কামনা করেন।

    চসিক প্রশাসকের সাথে সোলায়মান শেঠের সাক্ষাৎ
    ৩০টি পাবলিক স্পেসে সুপেয় পানি পানের ব্যবস্থা

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সাথে বিশিষ্ট রাজনীতিক, ব্যবাসায়ী শেঠ প্রপাটিসের সত্ত্বাধিকারী সোলায়মান শেঠ এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।

    আজ দুপুরে নগরীর টাইগাপাসস্থ চসিক ভবনে প্রশাসকের দপ্তরে অনুষ্ঠিত এই সৌজন্য সাক্ষাতকালে জনাব সোলায়মান শেঠ নগরীর ৩০টি পাবলিক স্পেসে নিজ উদ্যোগে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার আগ্রহ প্রকাশ করে জানান যে, নাগরিকদের নিত্য চলাফেরায় স্বাস্থ্য সম্মত সুপেয় পানির প্রয়োজন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে পাবলিক স্পেসে তৃষ্ণা নিবারণে পথচারী, হকার, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের কোন সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই। তাই ব্যক্তিগত উদ্যোগে মানবিক সেবা প্রদানের আমি আগ্রহী।

    প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন সোলায়মান শেঠের এই আগ্রহে সাড়া দিয়ে বলেন, নগরীর পথচলাচলরত ব্যস্ত মানুষের পানির তৃষ্ণা মেটাতে এই উদ্যোগ একটি শুভ প্রয়াস। সমাজের সচল ও সামর্থ্যবান মানুষেরা এই ধরণের মানবিক কর্তব্য পালনে এগিয়ে এলে নগরবাসী উপকৃত হবেন এবং নাগরিক জীবন-যাপনও স্বস্থিদায়ক হবে।

    তিনি সোলায়মান শেঠকে এই মানবিক উদ্যোগ বাস্তবায়নে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চসিকের স্বাস্থ‍্যসেবার হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করতে হবে-সুজন

    চসিকের স্বাস্থ‍্যসেবার হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করতে হবে-সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, চিকিৎসা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের হ্নত গৌরব পুনরুদ্ধার করতে হবে। এক সময় সিটি কর্পোরেশনের মেটারনিটি হাসপাতালগুলো প্রসূতি মায়েদের সেবা প্রদানে নগরবাসীর আস্থা অর্জন করেছিল এবং সারা বছরই প্রসূতি মায়েদের ভীড় লেগেই থাকতো। আমি দেখেছি অনেক দূর দুরান্ত থেকে মানুষ এখানে সেবা নিতে আসতেন।

    সর্বোপরি চিকিৎসা ব্যবস্থার দক্ষতা ও সক্ষমতা সুপ্রতিষ্ঠিত ছিল। পরবর্তীতে নানা কারণে সে সুনাম আর ধরে রাখা সম্ভব হয়নি।

    তিনি আজ সকালে কাট্টলী মোস্তফা হাকিম সিটি কর্পোরেশন মাতৃসদন হাসপাতালে ঝটিকা পরিদর্শনকালে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ‍্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, ডাক্তার পেশাটি একটি মহান পেশা। একজন ডাক্তার জীবন এবং মৃত্যুর মাঝখানে দাড়িয়ে জীবনের ফুল ফোটান। তাই সকল ডাক্তারদের আরো আন্তরিক হতে হবে। নিজের মতো করে নিজের কর্মস্থলকে সাজিয়ে নিতে হবে। হাসপাতালগুলোর সেবার মান অবনতিশীল হওয়ায় রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন না। অনিয়ম ও ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণে সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ‍্যসেবার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। বিশেষ করে প্রান্তিক শ্রেনীর মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ ও নিশ্চিত করতে যে লক্ষ্য,পরিকল্পনা ও দায়বদ্ধতা থাকা উচিত তা অবশ্যই করতে না পারলে তা ভাবমূর্তির সংকট তৈরী হয়। এই সংকটে যাতে পড়তে না হয় তার জন্য সকলকে শতভাগ পেশাগত দায়বদ্ধতা নিয়ে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে।

    তিনি স্বীকার করেন যে, দীর্ঘদিন ধরে সুসংহত চাকুরীবিধি ও প্রবিধান না থাকায় অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা এখানে চাকুরি করতে আগ্রহী নন। একজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর যে সম্মানজনক বেতন কাঠামো থাকা দরকার তা অবশ্যই হবে এবং মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে শীঘ্রই প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলে আশা করছি। তখন সিটি কর্পোরেশনে দক্ষ জনবল নিয়োগে কোন বাধা থাকবেনা।

    পরিদর্শনকালে প্রশাসক হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের খোঁজ খবর নিয়ে তাদের সাথে কথা বলেন এবং সেবা পেতে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে চান।

    প্রশাসক হাসপাতালে রোগী স্বল্পতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার এই ঝটিকা অভিযান চলমান থাকবে। রাত কিংবা দিনে আমি হাসপাতাল ভিজিট করবো। এতে কোন অনিয়ম, দূর্ণীতি কিংবা রোগীসেবা বঞ্চিতের অভিযোগ আমলে নিয়ে কর্তব্যরতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। চসিক পরিচালিত হাসপাতালগুলোতে যে কোন অভিযোগ বা পরামর্শ আমলে নেয়া হবে।

    এ সময় প্রশাসক হাসপাতালের রেজিস্টার, হাজিরা বহি, ওষুধপত্র ও মালামাল ষ্টোর তদারকী করেন এই হাসপাতালের সার্বিক পরিস্থিতি ও আয়-ব্যয় হিসাব দাখিলের নির্দেশনা দেন।

    প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতালে চক্ষু ও ডেন্টাল হাসপাতাল কর্নার খোলার বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন বলে উল্লেখ করেন। পরিদর্শনকালে ডাক্তার নাসিম ভুঁইয়া, ডাক্তার সুশান্ত, ডাক্তার ইফাত জাহান, ডাক্তার নোমান, ডাক্তার আইরিন, ডাক্তার সেলিনা সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • পিসি রোডের কাজ এখন দৃশ্যমান-সুজন

    পিসি রোডের কাজ এখন দৃশ্যমান-সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, চট্টগ্রামের দুঃখ পোর্ট কানেকটিং রোডের উন্নয়নকাজ এ কয়েকদিনেই দৃশ্যমান। সঠিক তদারকি আর জনস্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে এ কাজের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছি। আমাদের অর্থনীতির লাইফ লাইন খ্যাত এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন অবহেলায় পড়ে ছিল। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অগ্রাধিকার প্রকল্পে এ সড়ককে অন্তর্ভুক্ত করেছি। প্রায়ই আমি এ সড়ক পরিদর্শন করে ঠিকাদারদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা আর তাগাদা প্রদান করছি। আমাদের অনেক সময় করোনা এবং বর্ষায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই একমূহুর্তও সময় নষ্ট করার কোনো অবকাশ নেই। এই শীত মৌসুমেই এ সড়ককে যান ও জন চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলার কোন বিকল্প নেই।

    তিনি আজ বিকেলে সাগরিকা থেকে ওয়াপদা মোড় পর্যন্ত পিসি রোডের কাজ পরিদর্শনকালে একথা বলেন।

    এ সময় তিনি স্থানীয় জনসাধারণের সাথে কুশল বিনিময় করে আরো বলেন, আলোচনা সমালোচনা থাকবে। তবে গঠনমূলক সমালোচনায় অনেক কিছুর সমাধান আসে। তাই তিনি ধৈর্য্য ও সহনশীল মনোভাবে উন্নয়ন কাজে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

    পরিদর্শনকালে প্রশাসক পিসি রোডের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারদের কাজে গতি ত্বরান্বিত করার নির্দেশনা দিয়ে বলেন আমি উন্নয়নের প্রসব বেদনায় ভুগছি। এ কাজে আপনার গাফিলতি আমাকে প্রশ্নচিহ্ন করছে। তাই শুধুমাত্র ব্যবসায়িক মানসিকতা পরিহার করে দায়িত্বজ্ঞান ও সেবার মনসিকতায় কাজ করুন। অন্যথায় বিবেকের কাঠগড়ায় আপনাদের দাড়াতে হবে।

    প্রশাসক আগামী কিছুদিনের মধ্যে পিসি রোডের দৃশ্যমান উন্নয়ন লক্ষনীয় হবে বলে জানান। পরিদর্শনকালে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি এবং ঠিকাদারগণ প্রশাসকের সাথে ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে আসা তথ্য চিত্রের আলোকে সড়কে প্যাচওয়ার্ক কার্যক্রম চলছে-সুজন

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে আসা তথ্য চিত্রের আলোকে সড়কে প্যাচওয়ার্ক কার্যক্রম চলছে-সুজন

    নগরের সড়ক মেরামতে চসিকের নয়টি ডিভিশনের মাধ্যমে চসিকের টীম গঠন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবগত হয়ে প্যাচওয়ার্ক কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন চসিক প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    আজ বৃহষ্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ তথ্য জানান। আজ প্রদত্ত এক বার্তায় প্রশাসক জানান যে, ভারি বর্ষণ ও জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত চট্টগ্রামের অধিকাংশ সড়ক বেহাল অবস্থা। নগরীর বেশির ভাগ সড়কই ভরে গেছে খানাখন্দে। অনেক এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। চলাচল ও হাঁটা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থায় আছে নগরের অভ্যন্তরীণ সড়ক-উপসড়কগুলো। বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাভাবিক যান চলাচল। নাগরিক দূর্ভোগ চরমে উঠেছে। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা মোকাবেলা চট্টগ্রামবাসীর নিয়তি। এর মধ্যে রাস্তায় খানাখন্দ দুর্ভোগের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ১৫০ কিলোমিটারের বেশি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    নগরীর বেশির ভাগ প্রধান সড়কের পিচ, ইট, সুরকি উঠে গেছে। নগরীর সল্টগোলা ক্রসিং, বন্দর কাস্টমস ও জাকির হোসেন রোড, দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, হালিশহর, চকবাজার,কোতোয়ালি-ফিরিঙ্গি বাজার, আন্দরকিল্লা, অক্সিজেন, বিমানবন্দর সড়ক ও কাপ্তাই রাস্তার মাথাসহ বেশির ভাগ প্রধান সড়কই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    ইতোমধ্যে জনদূর্ভোগ লাঘবে প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের নির্দেশে ভারি বর্ষণ ও জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত প্রধান সড়কগুলো অস্থায়ীভাবে মেরামতের কাজ শুরু করেছে। চসিকের ৯টি বিভাগের আওতায় বিভিন্ন এলাকায় প্যাচওয়ার্কের মাধ্যমে সংস্কার কাজও চলমান। এছাড়া প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের আহবানে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন এলাকার সচেতন মহল নিজ দায়িত্বে ছবি ও তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবগত করছেন। সেই অনুসারে প্রশাসকের গঠিত টীম দ্বারা তরিৎ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নিয়মিত মেরামতের অংশ হিসেবে অস্থায়ীভাবে এসব সড়কে মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। ফকিরহাট, কালা মিয়া বাজার, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার, এফআইডিসি রোড, সল্টগোলা ক্রসিং, বন্দর কাস্টমস ও জাকির হোসেন রোডে সংস্কার কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোতে স্থায়ীভাবে সংস্কারকাজ পরবর্তী স্থায়ীভাবে রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। চসিকের চলমান প্যাচওয়ার্ক কাজ তরান্বিত করতে প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতার জন্য চসিক প্রশাসক নগরবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

    চসিক পূজা উদযাপন পরিষদের প্রস্তুতি সভায় প্রশাসক
    পুণ্য করতে গিয়ে নিজেকে বিসর্জন করা যাবে না
    সনাতন সম্প্রদায়ের আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব ধর্মীয় গাম্ভীযের সাথে উদ্যাপনের জন্য চসিক পূজা উদযাপন পরিষদকে সার্বিক সহযোগীর আশ্বাস দিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীকালে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় পবিত্র হজ্ব পালন, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহাসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানও সীমিত করা হয়েছে। তাই সরকারি নির্দেশিত স্বাস্থ্য বিধি বিধান মেনে পূজা উদযাপন করতে হবে। পুণ্য করতে গিয়ে নিজেকে বিসর্জন করা যাবে না।

    তিনি আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আন্দরকিল্লাস্থ চসিক পুরাতন নগরভবনের কেবি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে চসিক পূর্জা উদ্যাপন পরিষদ আয়োজিত শারদীয় দুর্গোৎসব ১৪২৭ বঙ্গাব্দ উদ্যাপন উপলক্ষে এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পূজা উদ্যাপন পরিষদের নব নির্বাচিত সভাপতি প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, উপ সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, চসিক পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ দে, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার চৌধুরী বক্তব্যে রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চসিক পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রতন চৌধুরী।

    এই প্রস্তুতি সভায় চসিক পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক অর্থ সম্পাদক রুপন কান্তি দাশ ১৪২৭ বঙ্গাব্দের বাজেট বক্তব্য পেশ করেন।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রশাসক আরো বলেন বাঙালী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। এই উৎসব আয়োজনে চসিকের ব্যাপকতা অনেক বেশি। তিনি চসিকের পূজা উদ্যাপন পরিষদের উদ্যোগে পূজার তহবিল থেকে কর্পোরেশনের কর্মরত অস্বচ্ছল কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি ও পরিবারদের মাঝে আর্থিক সাহায্য, অনাথ আশ্রমে অনুদান, বস্ত্র বিতরণ প্রভৃতি মানবতা ও সেবাধর্মী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সাম্প্রতিক বৈশ্বিক মহামারী করোনা প্রতিরোধে সচেতনতার উপর গুরুত্বারোপ করে প্রশাসক বলেন, করোনায় আতংকিত না হয়ে সচেতন হোন। সরকারী স্বাস্থ্যবিধি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নির্দেশনা অনুসরণ করে এই মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এব্যাপারে সকলকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানান প্রশাসক। অন্যান্য বছরের ন্যায় এই বছরও চসিকের পূজা উদ্যাপন পরিষদ ষষ্ঠীর দিনে গরীব দুঃস্থদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদানে চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করবে। এই বারের ১৪২৭-১৪২৮ বঙ্গাব্দের চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন প্রকৌশলী ঝুলন কান্তি দাশ ও সাধারণ সম্পাদক রতন চৌধুরী।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন হারাধন আচার্য্য, কানু লাল নাথ, সমীর কর, সরোজ গুহ, কল্লোল দাশ (বাপ্পী), রতন দত্ত, উৎপল সেন পিংকু, তবলু দাশ, প্রভাষ দাশ, অজয় দাশ, দিলীপ দাশ,লিটন দাশ ইপ্তি সহ অন্যরা । অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অধ্যক্ষ কঙ্কন দাশ।

    সিটি কর্পোরেশন প্রশাসক সুজনের সাথে চ.বি সমাজতত্ত্বের প্রাক্তনীদের সৌজন্য স্বাক্ষাৎ ও মত বিনিময় সভা
    বিত্তের শহর নয়,চট্টগ্রামকে চিত্তের শহর
    হিসাবে আগামী প্রজন্মকে উপহার দিতে চাই-সুজন

    গতকাল সন্ধ্যায় প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্র সমিতি,সমাজতত্ত্ব বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন এর নেতৃত্বে কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর নবনযিুক্ত প্রশাসক ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের প্রাক্তন আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের বাসভবনে সৌজন্য স্বাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভায় মিলিত হোন।

    এতে আরো উপস্থিত ছিলেন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী ও বিভাগের সাবেক শিক্ষক প্রফেসর ড. ওবায়দুল করিম দুলাল, সমিতির সাবেক সভাপতি সিরাজুল হক আনসারী, রাশেদ মনোয়ার, সেক্রেটারী আবুল কালাম আজাদ, এডভোকেট মুজিবুল হক, এস এম মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মো: জহিরুল আলম, মো: নওশাদ চৌধুরী মিটু, সৈয়দা মাসুদা তুরানী, সাইফুদ্দীন সাকী, আরশাদ উল্লাহ, সেলিম খান প্রমুখ।

    এসময় সমিতির নেতৃবৃন্দ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, খোরশেদ আলম সুজনের মতো একজন সজ্জ্বন,সৎ, ন্যায়নিষ্ঠ ও সত্য প্রকাশে নির্ভীক ব্যক্তিত্বকে ছয় মাসের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর প্রশাসক নিযুক্ত করায়। মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে আমরা শোকরানা আদায় করছি।

    সমিতির নেতৃবৃন্দকে প্রশাসক সুজন বলেন, বিত্তের শহর নয়,“চট্টগ্রামকে চিত্তের শহর হিসাবে আগামী প্রজন্মকে উপহার দিতে চাই”। আমাকে ফুল উপহার না দিয়ে চট্টগ্রামের উন্নয়নে কি কি পদক্ষেপ নেয়া যায় সে বিষয়ে আপনাদের পরামর্শ প্রদান করুন। যে কাজ করে সে তার ভুল দেখতে পায় না,দয়া করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অলোকিত সতীর্থ হিসাবে আমাকে ভুলগুলো ধরিয়ে দিবেন,এতেই আমি কৃতার্থ আর আনন্দিত হবো।

    তিনি আরো বলেন,’চট্টগ্রাম সিটির অবকাঠামোগত উন্নয়নে আমার দৃষ্টি থাকবে সম্মুখে,কোন অপশক্তি এই কাজে বাধা হতে পারবে না,সকলের উপদেশ ও সহযোগীতা প্রত্যাশা করছি।

    মাতৃসদন কাম জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এম.পি ও স্বাস্থ্য সচিব
    বরাবরে প্রশাসকের পত্র প্রেরণ

    চট্টগ্রাম ইপিজেড ও সন্নিহিত এলাকার বিশাল সংখ্যক কর্মজীবী মানুষের চিকিৎসার নিমিত্ত মাতৃসদন কাম জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক এম পি ও স্বাস্থ্য সচিব বরাবরে পত্র প্রেরণ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    প্রেরিত পত্রে প্রশাসক মাননীয় মন্ত্রী’র দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক উল্লেখ করেন যে, আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থেকে শুরু করে পতেঙ্গা পর্যন্ত ও এর সন্নিহিত এলাকায় ইপিজেড, গার্মেন্টস, অসংখ্য শিল্প-কারখানা ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।

    প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে থাকেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশ হচ্ছেন নারী শ্রমিক। নারী শ্রমিকদের মধ্যে বছরে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ লক্ষ মহিলা গর্ভবতী হয়ে থাকেন। গর্ভধারণ থেকে শুরু করে সন্তান প্রসব পর্যন্ত এই শ্রমজীবী নারীদের সুচিকিৎসার জন্য উক্ত এলাকায় কোন মাতৃসদন হাসপাতাল নেই। তাছাড়া লক্ষ লক্ষ শ্রমিকদের যে কোন সাধারণ চিকিৎসার জন্যও উক্ত এলাকায় কোন জেনারেল হাসপাতাল নেই। সর্বোপরি বন্দর থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ও এর সন্নিহিত এলাকা ব্যস্ততম এলাকা হওয়ায় এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে। যার ফলে গর্ভবতী নারী শ্রমিকসহ শ্রমিকদের প্রায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরবর্তী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কিংবা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা অনেক সময় সাপেক্ষ এবং এতে তারা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

    এতদ্প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম ইপিজেড ও সন্নিহিত এলাকার বিশাল সংখ্যক কর্মজীবী মানুষের সুচিকিৎসার জন্য উক্ত এলাকায় ১টি মাতৃসদন কাম জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা অতীব প্রয়োজন।

    বর্ণিত প্রেক্ষাপটে, চট্টগ্রাম ইপিজেড ও সন্নিহিত এলাকার বিশাল সংখ্যক কর্মজীবী মানুষের চিকিৎসার নিমিত্ত ১টি মাতৃসদন কাম জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনার ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ একান্তভাবে কামনা করছি। আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • “ক্যারাভান” কর্মসূচী কর্মযজ্ঞ উৎসবে পরিণত হয়েছে : চসিক প্রশাসক

    “ক্যারাভান” কর্মসূচী কর্মযজ্ঞ উৎসবে পরিণত হয়েছে : চসিক প্রশাসক

    চসিক প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজনের গৃহিত “ক্যারাভান” কর্মসূচী কর্মযজ্ঞ উৎসবে পরিণত হয়েছে। দ্বিতীয় বারের মত আজকের ক্যারাভান কার্যক্রম ফিরিঙ্গীবাজার কবি কাজী নজরুল ইসলাম সড়ক, সদরঘাট রোড, মাঝিরঘাট হয়ে রশিদ বিল্ডিং মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় শত শত উৎসুক জনতা প্রশাসককে অভ্যর্থনা জানিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় প্রশাসক দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে ষ্ট্যান্ড রোড উন্নয়নকাজের শুভ উদ্বোধন করেন।

    ষ্ট্যান্ড রোডের কাজটি ১৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় জাইকার অর্থায়নে সম্পাদন করা হচ্ছে। প্রশাসক আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, কাজের গুনগতমান ঠিক রেখে জনদূর্ভোগ লাঘব করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘদিন যাবৎ ষ্ট্যান্ড রোডটি অবহেলিত ও জন দূর্ভোগের কারণ হয়ে আছে। এসব অযাচিত দূর্দশার জন্য প্রশাসক নগরবাসীর কাছে দু:খ প্রকাশ করেন এবং ধৈর্য্য ধারনের আহবান জানান।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর যে-সকল সড়ক ও মহাসড়ক সরাসরি বন্দরের আমদানী রপ্তানী পণ্য পরিবহনের সাথে যুক্ত সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, সংস্কার ও উন্নয়ন কর্মকান্ডে বন্দর কর্তৃপক্ষের অংশীদারীত্ব ও সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে হবে।

    তিনি এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন যে, মহানগরীর সড়ক যোগাযোগ কাঠামোর বন্দরের সাথে যুক্ত সড়কগুলোতে পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এগুলোর বেহাল অবস্থা ফুটে ওঠে। ফলে এ সময় রাস্তাগুলো যানবাহন চলাচল তো বটেই, সাধারণ মানুষের চলাফেরা করাটাও দুরুহ হয়ে পড়ে।

    তিনি আজ অপরাহ্নে ফিরিঙ্গীবাজার থেকে স্ট্যান্ড রোড পর্যন্ত চসিকের প্রকৌশল বিভাগ ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত টিম নিয়ে নগর সেবায় ক্যারাভান কর্মসূচী পরিদর্শন ও তদারকীকালে গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে এ কথাগুলো বলেন।

    তিনি আরো বলেন, কর্ণফুলীর নদী তীরবর্তী সদরঘাট থেকে বারেক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত স্ট্যান্ড রোডটি প্রাচীনতম। অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন টার্মিনাল, পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত পদ্মা’র প্রধান কার্যালয়, লবণ গুদাম, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ অসংখ্য বেসরকারী পণ্য পরিবহনের অনেকগুলো অফিস থাকায় প্রতিদিন অসংখ্য ভারী যানবাহন এই ঘাটসড়ক দিয়ে বন্দর ও সারাদেশ পর্যন্ত চলাচল করে। এ ছাড়াও সাধারণ গণপরিবহন ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ছোট-মাঝারী-বড় আকারের গাড়ি নিত্য চলাচল এই সড়ক দিয়েই। মাত্রাতিরিক্ত ভারী যানবাহন চলাচলের চাপ ধারণের মত ক্ষমতা না থাকায় সড়কটি প্রতিদিনই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যততত্র খানা-খন্দ গর্ত সৃষ্টি হচ্ছে এবং এতে পানি জমছে, এছাড়াও আছে এখানে-সেখানে আবর্জনার ভাগাড়।

    তিনি এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, এই সড়কটি প্রতিমুহুত্বই যানবাহন চলাচলে ঝুকিপূর্ণ এবং প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে। চসিকের তত্ত্বাবধানে এই সড়কটির উন্নয়ন কাজের দায়িত্ব জাইকার দুই স্তরে উন্নয়নের কাজ ভাগ করে কাজ শুরু হলেও ওয়াসা সহ অন্যান্য সংস্থার প্রকল্পের কাজ একই সাথে চলায় রাস্তার কাজের গতিতে ছন্দপতন ঘটছে। ফলে জনদুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। তবে অবস্থা ও বর্তমান প্রেক্ষিত যা-ই হোক না কেন পরিস্থিতি আগে সামাল দিতে হবে। কারণ নগরবাসীদের কাছে জবাবদিহিতার দায় আছে বলেই চসিকের মাথা ব্যথাও বেশি।

    তিনি আরো বলেন, রাস্তার দৃশ্যমান করুণাবস্থা, ত্রুটিপূর্ণ সড়ক বাতি এবং অপরিচ্ছনাতা দূরীকরণ ও নিরসনে চসিকের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে- এ ক্ষেত্রে তিল পরিমাণ গাফিলতি, অসমতা ও দায়িত্বপালনে অনীহার অবকাশ নেই। প্রশাসক হিসেবে যে-সময়ের জন্য দায়িত্ব থাকিনা কেন লক্ষ্য একটাই-এই নগরীকে সকল সামর্থ্য উজার করে বাসযোগ্য করে গড়ে তোলা।

    এসময় প্রশাসক স্থানীয় জনসাধারণের সাথে চলমান সমস্যা,সমাধান ও পরামর্শমূলক আলাপ করেন। স্থানীয়রা বর্জ পরিস্কার,অবৈধ পাকিং,ফুটপাত দখল ও রাস্তা সংস্কারের অনুরোধ জানালে প্রশাসক তাৎক্ষণিক সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। মাঝিরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত ষ্ট্যান্ড রোড উন্নয়ন কাজের উদ্ভোধন করে প্রশাসক কাজের গুনগত মান বজিয়ে রেখে দ্রুতগতিতে কাজ শেষ করতে সকল কে সহযোগিতার আহবান জানান। কবি নজরুল ইসলাম সড়কটির ও সংস্কার কাজ গুরুত্ব সহকারে দ্রুততার সহিত সম্পাদন করারজন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

    এসময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের বন পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী,৩৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি স্বপন কুমার মজুমদার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হোসেন বাচ্চু, আব্দুর রহমান, জহির আহমদ চৌধুরী, মাহবুবুল হক সুমন, ফরহান আহমেদ, কাউন্সিলর প্রার্থী পুলক খাস্তগীর, মাঈনুল হক লিমন, খলিলুর রহমান নাহিদ, কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুস সালাম মাসুম, শওকত হোসেন মুন্না, মো. আলমগীর, কাঞ্চন চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসাইন, এনামুল হক মিলন, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, সাবেক কাউন্সিলর নীলু নাগ, চসিক প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফরহাদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী রিফাতুল করিম চৌধুরী,মিসবাহ উল আলম, উপসহকারী প্রকৌশলী তানজিম ভুঁইয়া, তসলিমা ইসলাম, বিপ্লব দাশ, মাসুদুর রহমান মাসুদ, কামরুল হক, জানে আলম, মো. নাছির উদ্দিন, ডা. সজীব তালুকদার, আজিজুর রহমান আজিজ, মো. সাইফুল্লাহ আনছারী, রকিবুল আলম সাজ্জী, রাজীব হাসান রাজন, আশিকুন্নবী চৌধুরী, মো. নোমান চৌধুরী, ইরফানুল আলম জিকু, উপস্থিত ছিলেন। যাত্রাপথে প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন নগরীর ফিরিঙ্গীবাজার, আলকরন এবং মাদারবাড়ী ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।

    চসিক প্রশাসকের সাথে এডোটকো বাংলাদেশ কোম্পানী লি. কর্মকর্তাদের সাক্ষাত
    নগরীতে ফ্রি পাবলিক ওয়াইফাই স্থাপনের আহ্বান সুজনের

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, করোনা মহামারী কালে মোবাইল অপারেটর কোম্পানীগুলো নিম্পৃহ ভূমিকা আমাদের আহত করেছে। আপনারা এমন কিছু করেন যাতে নগরবাসী উপকৃত হয়।

    তিনি নগরীতে স্মার্ট ল্যাম্প পোল, স্মার্ট বিন, ফ্রি পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবস্থার পাশাপাশি নগরীর সৌন্দর্যবর্ধন ও পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করে নগরবাসীর সেবায় এগিয়ে আসার আহবান জানান।

    প্রশাসক বলেন, চসিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়। এ ক্ষেত্রে আপনাদের সেবা ও ব্যবসায়ের সুযোগ করে দিতে চসিক আগ্রহী।

    আজ বুধবার দুপুরে টাইগারপাসস্থ চসিক প্রশাসক দপ্তরে রবি আজিয়াটার সহযোগী প্রতিষ্ঠান এডোটকো বাংলাদেশ কোম্পানী লি. এর কর্মকর্তাবৃন্দ সাক্ষাত করতে এলে প্রশাসক এসব কথা বলেন।

    স্মার্ট ল্যাম্প পোল ও ফ্রি ওয়াইফাই দ্বারা জনগণের স্বাস্থের কোন ক্ষতি হবে কিনা জানতে চাইলে এডোটকোর প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর জেনারেল ম্যানেজার রেভেন দেওয়ান বলেন, বিটিসিএল আনবিক শক্তি কমিশনের মাধ্যমে পরীক্ষা করেছে। বলেছেন এতে জনস্বার্থের কোন ক্ষতি হবে না।

    চট্টগ্রাম নগরীতে টাওয়ার, পাওয়ার এবং স্পেস এর বিষয়ে চসিকের অনুমতি চাইলে প্রশাসক তাদের লিখিতভাবে সকল ডকুমেন্ট সহ প্রস্তাব দেয়ার পরামর্শ দেন। জনস্বার্থে আঘাত আসে এ রকম কোন কার্যক্রমের পক্ষে আমি নই।

    এ সময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি এ কে এম রেজাউল করিম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ঝুলন কুমার দাশ, রবি’র রিজিয়নাল অপারেশন জেনারেল ম্যানেজার মো. নাজিবুল হক চৌধুরী, ম্যানেজার মো. তৈয়মুর ইসলাম ও স্টেইকহোল্ডার ম্যানেজার মো. খুরশিদ হাসান উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর