Tag: চসিক প্রশাসক

  • ছুটির দিনও প্যাচওয়ার্ক পরিদর্শনে সুজন,সড়ক বিধ্বস্ত হওয়ার মূল কারণ স্বমন্বয়হীনতা

    ছুটির দিনও প্যাচওয়ার্ক পরিদর্শনে সুজন,সড়ক বিধ্বস্ত হওয়ার মূল কারণ স্বমন্বয়হীনতা

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের প্যাচওয়ার্কের আওতায় খানা-খন্দক ও ভাঙ্গাচোড়া অংশ দ্রুত মেরামত ও সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    বন্দর নগরীর লাইফ লাইন খ্যাত পোর্ট কানেকটিং রোড থেকে বন্দর পর্যন্ত সড়কগুলোতে গতকাল সাপ্তাহিক বন্ধের দিন থাকা সত্ত্বেও ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ফিরে আসা মাত্রই প্রশাসক একাজগুলোর তদারকি করেন।

    তিনি এসময় চসিকের প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিয়োজিত লোকবলকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোকে লোক ও যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে তোলার জন্য নির্দেশনা দেন। একই সাথে কাজের গুণগতমান রক্ষা ও স্থায়ীত্ব নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় কারিগরি কৌশল প্রয়োগ করারও আহবান জানান।

    তিনি এ সময় উপস্থিত এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আজ ছুটির দিন (শুক্রবার) থাকা সত্ত্বেও অফুরন্ত তাগিদ থেকে জনদুর্ভোগ লাঘবে আমি মাঠে নেমেছি এবং এভাবেই আমার দায়িত্ব পালনকালীন সময় পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষণ জনদুর্ভোগ লাঘবে আপনাদের পাশে থাকতে চাই। যখন যে সমস্যাটি এলাকাবাসীর কাছে প্রকট ও দৃশ্যমান হবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে অবগত করা হলে অকুস্থলে গিয়ে আমি সশরীরে উপস্থিত হবো। তাই প্রটোকল মেনে আপনাদের সাথে পাশে থাকার বিষয়টা মূখ্য নয়। মুখ্য হলো যে কোন পরিস্থিতিতে যে কোন সময়ে আপনাদের আহবানে সাড়া দেওয়াটাই আমার প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য।

    তিনি দু:খ প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রামের অধিকাংশ সড়কই বিধ্বস্ত রুপ নেয়ার প্রধান কারণ হলো চট্টগ্রাম নগরীতে যেসকল সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত সেবা সংস্থা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে তাদের মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয়হীনতার অভাব।

    দেখা গেছে ওয়াসা, গ্যাস, সিডিএ, বিটিসিএলসহ অন্যান্য সেবাসংস্থাগুলো তাদের প্রকল্প কখন শুরু করবেন এবং কখন শেষ করবেন সে ব্যাপারে কোন সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা নেই। এও দেখা গেছে যে, নির্ধারিত স্থানে একটি প্রকল্পের কাজ চলাকালীন একই স্থানে আরেকটি পৃথক প্রকল্পের কাজ শুরু করে দেয়া হয়েছে। তাদের এই অপরিকল্পিত কর্মপন্থা কখনো সিটি কর্পোরেশনের বোধগম্য হয়ে উঠেনি। আমরা একটি সড়কের সংস্কার বা মেরামতি কাজ শেষ করার পর পরই ওয়াসাসহ অন্যান্য সেবা সংস্থাগুলো রাস্তা খোঁড়াখুড়ি শুরু করে। এই কারণে আর্থিক অপচয়ের পাশাপাশি জনদুর্ভোগও সৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য দোষারোপ করা হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনকে। যেহেতু চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একটি নির্বাচিত কর্মপরিষদের দ্বারা পরিচালিত, সেহেতু জবাবদিহিতার বিষয়টিও তাদের উপর বর্তায়। তাই আমি চেষ্টা করছি নগরে সেবাদান প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে সমন্বয়সাধনে কাজ করতে, যাতে নগরীর ভোগান্তি কমে।

    পরিদর্শনকালে প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চসিকের সকল কর্মকান্ডে গতিশীলতা আনয়নের উপর তথ্যমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

    চসিকের সকল কর্মকান্ডে গতিশীলতা আনয়নের উপর তথ্যমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্যমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এম.পি’র সাথে ঢাকায় সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে সাক্ষাৎ করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    স্বাক্ষাতকালে চসিক প্রশাসক চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান পরিস্থিতি, উন্নয়ন এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় মন্ত্রীকে অবহিত করেন।

    চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তাঘাট সংস্কার,জলাবদ্ধতা নিরসনসহ বিভিন্ন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কর্মকান্ডে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করার জন্য মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান তিনি।

    চট্টগ্রামের জনগনের বিনোদন, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ছাড়াও নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণেও মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন চসিক প্রশাসক।

    সর্বোপরি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টিও তিনি উত্থাপন করেন।

    চসিক প্রশাসক সুবিধাজনক সময়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে আসার আমন্ত্রণ জানান তথ্যমন্ত্রীকে।

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে চসিক প্রশাসকের বক্তব্য শ্রবণ করেন।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনৈতিক হৃদপিন্ড। চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানেই বাংলাদেশের উন্নয়ন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের গুরুত্ব বিবেচনা করে চট্টগ্রামের মেগা প্রকল্পসমূহে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের উন্নয়নসহ বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চসিক প্রশাসককে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দিলেন এলজিআরডি মন্ত্রী

    চসিক প্রশাসককে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দিলেন এলজিআরডি মন্ত্রী

    স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম(এমপি)’র সাথে ঢাকায় সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে সাক্ষাৎ করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    এসময় তিনি মন্ত্রীকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক বর্তমান অবস্থান তুলে ধরে বলেন, চসিকের আর্থিক অবস্থা খুবই দুর্বল। যার ফলে নাগরিক দূর্ভোগ লাঘবে বেগ পেতে হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি আয়ের প্রধান উৎস রাজস্ব খাতের আদায়ের সরবরাহ ব্যবস্থাপনার অদক্ষতার চিত্র সুস্পষ্ট। তাই মোট জনবলের মাসিক বেতন-ভাতা প্রদান করাটাও কষ্ট সাধ্য হয়ে উঠেছে। আর্থিক সক্ষমতার অভাবে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ স্থবির প্রায়।

    মন্ত্রী চসিক প্রশাসকের বক্তব্য ধৈর্য্য সহকারে শ্রবণ করার পর বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক সক্ষমতার জন্য মন্ত্রণালয় সবধরনের সহযোগিতা করবেন এবং সম্ভাব্য আয় বর্ধক প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রনোদনা প্রদান করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বিপ্লব উদ্যান পরিদর্শন ও গণশুনানী: চুক্তির শর্ত লংঘন,সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পার্কের দোকান

    বিপ্লব উদ্যান পরিদর্শন ও গণশুনানী: চুক্তির শর্ত লংঘন,সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পার্কের দোকান

    চট্টগ্রাম নগরীর বিপ্লব উদ্যানের সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রমে নির্মিত দোকানের বর্ধিত অংশ ভেঙ্গে ফেলা হবে একইসাথে চুক্তি লঙ্ঘিত হওয়ায় এর সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত দোকান বন্ধের নির্দেশ দিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    আজ অপরাহ্নে নগরীর ২ নম্বর গেটস্থ বিপ্লব উদ্যানের সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম পরিদর্শন ও গণশুনানীকালে প্রশাসক এই নির্দেশনা দেন। পরিদর্শনকালে প্রশাসক প্রত্যক্ষ করেন যে, চুক্তিতে ১৫০বর্গফুটের দোকান করার কথা থাকলেও প্রতিটি দোকান ২শ বর্গফুটে বর্ধিত করা হয়েছে। জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা সংকুচিত করে দোকানের সিট বসানো হয়েছে। এছাড়াও চুক্তির শর্ত লংঘন করে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে দোকান বসানো হয়েছে-যা চসিকের সাথে সম্পুর্ণরূপে চুক্তির বরখেলাপ করা হয়।

    এসব অনিয়ম ও অসঙ্গতি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চুক্তির বাইরে গিয়ে কিংবা ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করে শুধুমাত্র বাণিজ্যিক চিন্তা ভাবনায় এই কাজ করতে দেয়া যায় না। এতদবিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী ও চসিকের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীগণ চুক্তি অনুযায়ী কাজ সম্পাদনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। উভয় পক্ষ যতক্ষণ সিদ্ধান্তে উপণীত হতে না পারবেন ততদিন এই অবৈধ দোকান বন্ধ থাকবে। অন্যথায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    তিনি বলেন, চসিকের সকল পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন শুধুমাত্র নগরবাসীর স্বার্থে।চসিকের সৌন্দর্যবর্ধন ও নগরায়নে জনগণের স্বার্থরক্ষা প্রথমে করতে হবে। শুধুমাত্র ব্যক্তি স্বার্থে কোন কিছু করার সুযোগ নেই। কেউ যদি নগরবাসীর স্বার্থের বিপরীত কর্ম সম্পাদনে লিপ্ত হয় তাদের আজকের এই কর্মসূচী থেকে সাবধান হওয়া উচিত।

    এসময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুফিদুল আলম, প্রকৌশলী আলী আশরাফ, প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি এ কে এম রেজাউল করিম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য রিফর্ম লি. ও স্টাইল লিভিং আর্কিটেক্ট এর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিপ্লব উদ্যান সৌন্দর্যবর্ধন কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসেব কাজ করছেন।

    বাইরে থেকে চসিক পরিবহনের জ্বালানী ক্রয় মূল্য আগের তুলনায় বেশি নয়- সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, চসিক পরিবহনের জ্বালানী ব্যবহারে অনিয়ম, অপচয় ও চুরি ঠেকাতে একটি নিয়ন্ত্রিত ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে নিজস্ব জ্বালানী সরবরাহ স্টেশনের বাইরে থেকে জ্বালানী ক্রয় করা হচ্ছে। তবে এই ক্রয় প্রক্রিয়া সাময়িক।

    কেন বর্ধিত দামে জ্বালানী ক্রয় হচ্ছে- এ সম্পর্কে কোন কোন গণমাধ্যমে প্রশ্ন তোলায় তিনি ব্যাখ্যা প্রদান করে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব জ্বালানী স্টেশন থেকে পরিবহন চালকদের প্রয়োজনাতিরিক্ত তেল তুলে বাইরে বিক্রি করে দেয়ার বহু অভিযোগ রয়েছে। সচরাচর দেখা গেছে, কোন পরিবহন ১০ কিলোমিটার চললেও ক্ষেত্র বিশেষে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলাচলের জন্য তেল উত্তোলন করা হচ্ছে। এমনকি যে সমস্ত পরিবহন অচল ও মেরামতের অপেক্ষায় সেগুলোর জন্যও তেল উত্তোলন করা হতো।

    বিষয়টি গোচরীভূত হওয়ায় তা সুরাহা করতে এক সপ্তাহের জন্য বাইরে থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করতে একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে লিটার প্রতি তিন টাকা বেশি দামে বাইরে থেকে জ্বালানী কেনা হলেও তা আগের দামের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। কারণ আগের দামের সাথে যে উৎস কর যুক্ত ছিলো তা বর্তমানে বাইরে থেকে কেনা তেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বিধায় বাড়তি দরে কেনার বিষয়টি সাধারণত ধারণা প্রসূত এবং কিছুতেই বর্ধিত ব্যয় নয়। এ ব্যাপারে আর কোন ব্যাখ্যা প্রদানের অবকাশ নেই বলে মনে করি।

    ওয়ার্ড সচিব ও জন্ম নিবন্ধন সহকারীদের সাথে মতবিনিময়কালে সুজন
    নির্বাচিত পরিষদ হলেও সেবাদাানে স্থবিরতা থাকবে না
    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, মেয়াদউর্ত্তীণ হওয়া নির্বাচিত পরিষদ বিলুপ্ত হবার পর যে দায়িত্ব কাউন্সিলর পালন করতেন সে ক্ষেত্রে কোন ধরনের স্থবিরতা থাকবেনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসক হিসেবে যে অন্তবর্তীকালীন দায়িত্ব প্রদান করেছেন তা পালনে ওয়ার্ড সচিবরা আমার সহায়ক শক্তি। তাদের মাধ্যমেই নগরবাসীর সাথে আমার যোগাযোগ সমন্বয় ঘটবে। নগরবাসী ট্যাক্স দিয়েই বেতন-ভাতা প্রদান ও নগর উন্নয়ন করতে হয়। তাই নগরবাসীর সেবাদান করা একটি পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য।

    তিনি আজ সকালে আন্দরকিল্লাস্থ চসিক নগর ভবনে কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে ওয়ার্ড সচিব ও জন্ম নিবন্ধনকারীদের সাথে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় একথাগুলো বলেন।

    তিনি ওয়ার্ড সচিবদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন বিভিন্ন সনদপত্র প্রদানসহ নাগরিকদের সেবাদান কাজে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে, তাই প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে আমার প্রতিনিধি হিসেবে দেয়া হবে। নিজেদের অভিজ্ঞতা ও এলাকার গণ্যমান্যদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে ওয়ার্ড সচিবদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, এই ক’দিনের অভিজ্ঞতায় দেখতে পেলাম পরিচ্ছন্ন বিভাগে কর্মরত-অনেক সেবক কাজ না করেও হাজিরা দেন। এ ব্যাপারে ওয়ার্ড সচিবদের দৃষ্টি দিতে হবে। ওয়ার্ডের সমস্যা কোথায় কী, কোথায় জনদুর্ভোগ হচ্ছে, কোথায় সড়ক বাতি নেই তার খোঁজ নিতে হবে এবং চসিক সচিব মহোদয়কে এসব জানাতে হবে। তিনি সুরাহা করতে আমার শরাপন্ন হবেন।

    তিনি ওয়ার্ড সচিবদের স্মরণ করিয়ে দেন যে, চারিত্র্যিক সনদ ও অন্যান্য সনদ প্রদানের জন্য কোন টাকা নেয়ার বিধান নেই। জন্মনিবন্ধন সনদের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ফি’র বেশি নেয়া যাবে না। ঠেকায় ফেলে কারো উপর জুলুম করাও যাবে না।

    তিনি জানান, ওয়ার্ড সচিবদের চসিক সদর দপ্তরের যোগাযোগ রাখার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা তৈরী করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিদিন যোগাযোগ করতে হলে বাজেট প্রয়োজন। আগে কাউন্সিলরদের খাতে মাসে চার হাজার টাকা করে দেয়া হতো। নির্বাচিত পরিষদ বিলুপ্ত হওয়ায় ঐ টাকা সচিবদের দেয়ার যৌক্তিকতা বিবেচনা করা হবে। তিনি ওয়ার্ড সচিবদের সমস্যাগুলো লিখিত আকারে চসিক সচিব মহোদয়ের কাছে জমা দেয়ার আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, করোনাকালে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শিক্ষনীয় বিষয়গুলো আত্নস্থ করে সেবা পরিধি বিস্তৃত করতে হবে। প্রশাসক ওয়ার্ড সচিবদের নির্দ্দিষ্ট অফিসকার্যের বাইরে গিয়ে সচেতন নাগরিক হিসেবে স্ব স্ব ওয়ার্ডের হালচিত্র খোঁজ খবর রাখা ও সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, একজন ওয়ার্ড সচিব হিসেবে তাঁর ওয়ার্ডে কি কি সমস্যা আছে বিশেষ করে রাস্তার ফুটপাত সমূহ দখলমুক্ত আছে কিনা তার তথ্য রাখতে হবে।

    হকারদের শৃংখলায় আনায়নে ইতোমধ্যে প্রত্যেক ওয়ার্ডে মাইকিং প্রচার করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রশাসক বলেন, হকারদের নির্দ্দিষ্ট সময়ে ব্যবসা করা, জায়গা মার্কিং করণ, নির্দ্দিষ্ট ব্যাচ ও ইউনিফরম, রাস্তার একপাশে ব্যবসা পরিচালনাসহ নানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে চসিক। যা আগামী ৪ সেপ্টেম্বর হতে কার্যকর করা হবে। এক্ষোত্রে প্রথমে স্টেশন রোড ও আগ্রাবাদ এলাকা দিয়ে এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে।

    মতবিনিময় সভায় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, উপসচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু উপস্থিত ছিলেন।

    মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) চিত্ত রঞ্জন দত্ত’র মৃত্যুতে চসিক প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের শোক
    মুক্তিযুদ্ধের চার নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) চিত্ত রঞ্জন দত্ত (সি আর দত্ত) বীর উত্তম আজ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর ওশাক দু:খ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    আজ প্রদত্ত এক শোক বার্তায় প্রশাসক বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য মেজর জেনারেল চিত্ত রঞ্জন দত্ত বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন। চিত্ত রঞ্জন দত্ত ছিলেন বাংলাদেশ রাইফেলসের প্রথম ডিরেক্টর জেনারেল। এছাড়া ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তাকে নানা ধরনের দায়িত্ব পালন করতে হয়া। ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত তিনি হেড কোয়ার্টার চিফ অব লজিস্টিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়াারম্যানের দায়িত্ব নেন। ১৯৭৯ সালে বি আর টি সির চেয়ারম্যান হিসেবে কিছুদিন দায়িত্ব পালনের পর ১৯৮২ সালে তিনি পুনরায় মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ১৯৮৪ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।

    এছাড়া ঢাকার কাঁটাবন থেকে কারওরানবাজার সিগন্যাল পর্যন্ত সড়কটি ‘বীরউত্তম সি আর দত্ত’ সড়ক নামে নামকরণ করা হয়। তাঁর মৃত্যুতে আমরা একজন গুণী ব্যক্তিকে হারালাম।

    প্রশাসক খোরশেদ আলম সজুন মেজর জেনারেল (অব.) চিত্ত রঞ্জন দত্ত’র আত্মার সদগতি কামনা করেন এবং তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপণ করেন।

    শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর মাতার মৃত্যুতে চসিক প্রশাসকের শোক
    চট্টগ্রাম আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী এর মমতাময়ী মাতা ইন্তেকাল করেছেন(ইন্না-লিল্লাহে ——-রাজেউন)।

    তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন। আজ এক শোক বার্তায় প্রশাসক মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং এবং তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপণ করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • নগরসেবায় ক্যারাভান কার্যক্রম শুরু:মাঠে থেকে তা স্পটে সমাধান করা হবে-সুজন

    নগরসেবায় ক্যারাভান কার্যক্রম শুরু:মাঠে থেকে তা স্পটে সমাধান করা হবে-সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নগরবাসীর দূর্ভোগ লাঘবে আমি তাৎক্ষণিক এ্যাকশনে নেমেছি। যেসকল স্থায়ী সমস্যাগুলো আছে তার একটি স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা অনুসন্ধান আমি করে যাচ্ছি। পরবর্তীতে যারা মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করবেন তারা যাতে এই নির্দেশনানুযায়ী স্থায়ী সমাধান দিতে পারেন সেজন্য নগরবাসীর পরামর্শ এবং তাদের আবেদন নিবেদন আমি জ্ঞাত হতে চাই। এজন্য যেকেউ যেকোন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং এজন্য আমি মুখিয়ে আছি।

    তিনি আজ দুপুরে নগরীর বহদ্দারহাটে আরাকান সড়কে তাঁর ঘোষিত নগরসেবায় ক্যারাভান কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুকালে একথাগুলো বলেছেন।

    তিনি আরো বলেন, জনদূর্ভোগের যে কারণগুলো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তা চিহ্নিত করে সুরাহা করাটা আমার কর্তব্য। সুরাহা করতে গিয়ে যে প্রতিবন্ধকতাগুলোর সম্মুখিন হবো তা অবশ্যই অতিক্রম করে যাবো। আমার এই উদ্দেশ্য পূরণে চসিকের সকল বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছি। এই নির্দেশনানুযায়ী অর্পিত দায়িত্ব পালনে কেউ ব্যর্থ হলে তাকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হবে।

    তিনি নগরসেবায় ক্যারাভান কার্যবিধি সম্পর্কে বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর সড়ক ও জনপথ, ড্রেইন, ফুটপাতে যে সমস্যা বিরাজমান তা মিটিং কিংবা কমিটি গঠন করে সময়ক্ষেপন না করে সরেজমিনে মাঠে থেকে তা স্পটে সমাধান করা হবে। ক্যারাভান কার্যক্রমের অধিনে চলতি পথে ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক,নষ্ট সড়কবাতি,পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমসহ যে সকল সমস্যার কারণে নাগরিক দূর্ভোগ সৃষ্টি হয় তা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করছি।

    এসময় প্রশাসক পথচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাস্ক তুলে দিয়ে বলেন, আজ এর প্রথমদিন। পরবর্তীতে সপ্তাহে অন্তত একদিন এই প্রোগ্রাম নিয়ে অন্যান্য নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে যাব। প্রধান সড়কে সম্পন্ন হলে নগরের অলিগলিতে যাব। মূলত এই কর্মসূচির মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে নাগরিক সমস্যার সমাধান ও জনসম্পৃক্ততার চেষ্টা করব। শুনবো তাদের অভিযোগ ও পরামর্শ।

    এসময় সাধারণ মানুষের সাথে মতবিনিময় করেন প্রশাসক। তিনি তাদের অভাব-অভিযোগগুলো শুনে তা সমাধানের দিক নির্দেশনা দেন। যা পেয়ে এলাকাবাসী সন্তুষ্টি চিত্তে অভিভাদন জানান।

    এসময় সাবেক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন সাইফু, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ সফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, রাজনীতিক নিজাম উদ্দিন আহমেদ নিজু, মোরশেদ আলম, নোমান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

    নগরীর হকারদের সাঝে চসিক প্রশাসকের বৈঠক হকার উচ্ছেদ নয়,চাই শৃংখলার
    মধ্যে ব্যবসা পরিচালনা-সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, বাংলাদেশে নগরের জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু এই বর্ধিষ্ণু জনগণের সবার পক্ষে কর্মসংস্থানে নিয়োজিত হওয়া সম্ভবপর হয় না। শহরে আসা নতুন জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগই শহরের বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো দ্বারা অবশোষিত হতে ব্যর্থ হয়। ফলে এই জনস্রোত নগরীর ব্যাপক বিস্তৃত অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের অপ্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রসমূহে নিয়োজিত হয়ে পড়ে। এভাবে বাংলাদেশের নগর কেন্দ্রসমূহের জনগণের একটি বিরাট অংশ রাস্তাঘাট ও ফুটপাতে পণ্য ফেরি করার মতো অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নিজেদের নিয়োজিত রয়েছে। মানবিক দিক বিবেচনায় এসব জনগোষ্টিকে আমরা চাইলেই উচ্ছেদ করতে পারছি না। তাদের সাথে জড়িত রয়েছে তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্য। কিন্তু বর্তমানে নগরীতে রাস্তাঘাট ও ফুটপাতে হকারদের বে-পরোয়া আচরণে জনদূর্ভোগ বেড়েছে। ফুটপাত সংকুচিত করে পথচারী চলাচলের জায়গাটুকু হারাতে বসেছে। আমরা চাই পথচারীরাও স্বাচ্ছন্দে চলুক হকাররাও নিয়মতান্ত্রিকভাবে ব্যবসা পরিচালা করুক। হকার উচ্ছেদ নয়-চাই শৃংখলার মধ্যে ব্যবসা পরিচালনা করুক। তাই নগরবাসী রাস্তায় ও ফুটপাতে স্বাচ্ছন্দে চলাচলের জন্য হকারদের মধ্যে শৃঙ্খলা আনায়ন অতীব জরুরি।

    এলক্ষ্যে আজ সকালে চট্টগ্রামে ব্যবসারত হকার ও হকারনেতাদের সাথে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সাথে আন্দরকিল্লাস্থ চসিক পুরাতন নগরভবনের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে হলে অনুষ্ঠিত হকার্স নেতৃবৃন্দের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্তমতে ননগরীর ফুটপাতে ব্যবসারত হকারদের কে কোন স্পটে বসবে তা নির্ধারণ করবেন হকার নেতৃবৃন্দ। এক্ষেত্রে নগরীর বিভিন্ন স্থানে হকাদের বসার স্থান সাইজসহ মার্কিং করে দেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। বিকেল ৩টা হতে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত হকাররা নগরীর ফুটপাতে বসবেন এবং ফুটপাতের একটি অংশ জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। তালিকাভুক্ত হকারদের নির্দ্দিষ্ট ব্যাচ ও ইউনিফরম থাকবে। এছাড়া ফুটপাত বা রাস্তায় হকারদের কোন অবকাঠামো থাকতে পারবে না। নির্দ্দিষ্ট সময় ব্যবসা করার পর চসিক’র পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ময়লা- আর্বজনা অপসারণে দায়িত্ব পালন করবে। অবশ্যই রাস্তার উভয়পাশে ব্যবসা না করে একপাশে বসতে হবে।

    উল্লেখিত সিদ্ধান্ত সমূহ আগামী ৪ সেপ্টেম্বর হতে কার্যকর হবে।

    বৈঠকে চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুফিদুল আলম, স্পেশাল ম্যাজিস্টেট(যুুগ্ম জেলা জজ)জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা আকতার নেলী, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, সম্মিলিত হকার্স ফেডারশনের সভাপতি মিরন হোসেন মিলন, ফুটপাত হকার্স সমিতি সভাপতি নুরুল আলম লেদু, মহানগর মহানগর হকার্স লীগ সভাপতি প্রবীর কুমার ঘোষ, সাবেক সভাপতি ঋষি বিশ্বাস, সিটি হকার্স সমিতির আজগর আলী, টেরি বাজার আন্দরকিল্লা হকার্স সমিতির লোকমান হাকিম, মেট্টোপলিটন হকার্স লীগের জসিম মিয়া, হারুন উর রশিদ, ফুটপাত হকার্সলীগের মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, নুরুল আমীন মিয়া, পতেঙ্গা হকার্সলীগের মাহমুদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    এই বৈঠকের মাধ্যমে চসিক ও হকারদের মধ্যে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে তা অবশ্যই প্রতিপালন করতে হবে। এর ব্যত্যয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে প্রশাসক হুশিয়ার করে দেন।

    চসিকের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেশাল ম্যজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জাহানারা ফেরদৌস এর নেতৃত্বে আজ অপরাহ্নে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। অভিযানকালে নগরীর কাজির দেউরী মোড় হইতে বিমান অফিস পর্যন্ত নুর আহমদ সড়কের উপর অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখা ট্রাক উচ্ছেদ করা হয়।

    এই সময় অবৈধভাবে ট্রাক পার্কিং করার অপরাধে ২টি ট্রাক ড্রাইভারকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    অভিযানকালে সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয়কে সহায়তা প্রদান করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার যোগাযোগ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে-সুজন

    চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার যোগাযোগ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে-সুজন

    দেশের অর্থনীতির হৃদপিণ্ড চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও সক্ষমতা অনেকাংশে ফিরে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    আজ সকালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যন রিয়ার এ্যাডমিরাল শেখ মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ(এনজিপি,এনডিসি,পিএসসি,বিএন) এর সাথে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাতকালে প্রশাসক এমন্তব্য করেন।

    এসময় তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম যেহেতু বন্দর নগরী। এই বন্দরকেই চট্টগ্রাম নগরীর লালন এবং উন্নতমানের শহরে রূপান্তর করতে ভূমিকা রাখতে হবে। চট্টগ্রাম বাঁচলেই সারা বাংলাদেশ বাঁচবে। এটা অনস্বীকার্য যে একটা দেশের কাঙ্খিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের দ্রুত প্রসারের জন্য সমুদ্র বন্দর পূবশর্ত। যার মাধ্যমেই দেশের মূলতঃ সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটে। যে দেশের কোন সমুদ্র বন্দর নেই সেই দেশকে প্রচণ্ড বাধার সম্মুখীন হতে হয় আমদানি-রপ্তানী বাণিজ্যে। বেশিরভাগ বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য তারা পুরোপুরি অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল থাকে। প্রকৃতপক্ষে, একটি দেশের সুষম ও টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য সমুদ্র বন্দরের ভূমিকা ও গুরুত্ব অপরিসীম।

    তিনি বলেন, নেদারল্যান্ড, সিংগাপুর ইত্যাদি দেশগুলো সমুদ্র বন্দরকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করেছে। বর্তমান সরকার প্রকৃতি ও সৌন্দর্যের লীলাভুমি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে নেদারল্যান্ড ও সিংগাপুরের মত অর্থনৈতিক উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। তাই বর্তমান সময়ে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার যোগাযোগ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ সম্পন্ন হয় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে। যার কারণে চট্টগ্রামে গড়ে উঠেছে প্রচুর শিল্প-কারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে ত্বরান্বিত হচ্ছে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন। অর্থনৈতিক গুরুত্ব চট্টগ্রাম আমাদের দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী এবং এর মধ্য দিয়েই সঞ্চালিত হয় দেশের অর্থনৈতিক জীবনীশক্তি। দেশের সর্বমোট রপ্তানী বাণিজ্যের প্রায় ৭৫ ভাগ সংঘটিত হয় চট্টগ্রামের উপর দিয়ে।

    প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর সড়কগুলোর উপর সারা দেশের আমদানি-রপ্তানি পরিবহন চলাচল করে তাই এই সড়কগুলোর রক্ষণা-বেক্ষণ ও সম্প্রসারণের দায়িত্ব বন্দরের উপরও বর্তায়। বন্দরের রাস্তায় বিশালাকৃতির গাড়ীগুলো অলস পার্কিং এর কারণে সৃষ্ট যানজট থেকে মুক্ত রাখতে হলে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের স্বার্থ রক্ষার আন্দোলনে আমি সাবেক মেয়র চট্টলবীর আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে ছিলাম। চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে চট্টগ্রাম নগরবাসীর স্বার্থ জড়িত।

    তিনি বলেন, আগ্রাবাদ হতে পতেঙ্গা পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ মানুষের বসবাস। কিন্তু দু:খের বিষয় এখানে একটি মাতৃসদন কিংবা জেনারেল হাসপাতাল নেই। আমাদের এতদাঞ্চলের মায়েদের কথা চিন্তা করে এখানে একটি মাতৃসদন হাসপাতাল করার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ জানা প্রশাসক।

    বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল শেখ মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ তাঁর দায়িত্ব পালন কালিন সময়ে চসিক প্রশাসকের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর জাতির অস্তিত্বের মত। বন্দরের সক্ষমতাবৃদ্ধি বে-টর্মিনাল বাস্তবায়ন, কর্ণফুলী নদী’র ক্যাপিটেল ড্রেজিং অব্যাহত রাখা, পতেঙ্গা ও লালদিয়ার চরের টার্মিনাল নির্মাণ, পোর্ট লেবার কলোনীতে টার্মিনাল নির্মাণ, কর্ণফুলী নদীর উভয় তীরের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য তাঁর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। রাজাখাল ও মহেষখাল ড্রেজিং করা, মহেষখালে পাম্প হাউস সহ স্লুইস গেট নির্মাণ করার বিষয়টিও এখন সময়ের দাবী।

    তিনি বলেন, আনোয়ারা, ফেনী ও মিরসরাই অর্থনৈতিক জোন চালু হলে এবং কর্নফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মিত হলে বন্দরের বহুমাত্রিক ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। সে বিষয়টিকে আমলে এনে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এ কারণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

    পরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান চসিক প্রশাসকের হাতে বন্দরের মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট তুলে দেন।

    সাক্ষাতকালে চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য(এডমিন এন্ড প্লানিং) জাফর আলম, প্রকৌশলী কমডোর নিয়ামুল হাসান, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম,সচিব মো. ওমর ফারুক, প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান, উপ-ব্যবস্থাপক(ভূমি) মো. জিল্লুর রহমান, চট্টগ্রাম বন্দর সিবিএ সভাপতি আবুল মনছুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নায়েবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

    চসিক প্রশাসকের সাথে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের সাক্ষাত
    ইপিজেড-পতেঙ্গা এলাকায় মাতৃসদন হাসপাতাল গড়ে তোলার আহবান সুজনের

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন দেশের একটি মানুষও স্বাস্থ্যসেবার আওতার বাইরে থাকবে না। সকলের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। সকল মানুষকে স্বাস্থ্যখাতে একটি সেফটিনেটস এর আওতায় নিয়ে আসা সরকারের লক্ষ্য।

    তিনি আরো বলেন, সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা জানেনা যে সরকার তাদের জন্য এত কিছু করছে। এজন্য খুব বেশি প্রচার প্রচারণা প্রয়োজন। এসব প্রচর প্রচারনার মাধ্যমে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে জনগণ জানতে পারবে বলে প্রশাসক মত প্রকাশ করেন।

    তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য ছিল প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির সাথে স্বাস্থ্য বিভাগও জড়িত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে সেখানে স্বাস্থ্য বিভাগও এর সহযাত্রী।

    আজ সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক নগরভবনে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা.হাসান শাহরিয়ার কবির সৌজন্য সাক্ষাত করতে এলে প্রশাসক এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, ইপিজেড থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এটি একটি জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। কিন্ত এখানে কোন হাসপাতাল নাই। ঐ এলাকায় প্রবাসীদের যাতায়াত, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও শিল্প এলাকায় কর্মরত কর্মীবাহিনী বসবাস করে। তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ঐ এলাকায় একটি হাসপাতাল অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। এর জন্য প্রশাসক মহোদয় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালককে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানান। স্বাস্থ্য পরিচালক এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের চিঠি দেওয়ার সম্মতি জ্ঞাপন করেন।

    সাক্ষাতকালে চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • অভয়মিত্র মহাশ্মশানে মাটি ভরাট ও স্লুইসগেট নির্মাণ করা হবে-সুজন

    অভয়মিত্র মহাশ্মশানে মাটি ভরাট ও স্লুইসগেট নির্মাণ করা হবে-সুজন

    চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের মরদেহ সৎকারের প্রধান শ্মশান বলুয়ারদীঘি অভয়মিত্র মহাশ্মশান। শতবর্ষী এই শশ্মান দীর্ঘকাল হতে জোয়ারের পানির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার সংকটে নিমজ্জিত।

    আজ সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন এই মহাশ্মশান পরিদর্শনে যান।

    এসময় তিনি মহাশ্মশান পরিচালনা কমিটি ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন। এলাকাসী প্রশাসককে জানান যে, অনেক বছর ধরে এভাবে হাঁটু সমান পানিতে মরদেহ দাহ করতে হচ্ছে তাদের। খালসংলগ্ন অভয়মিত্র মহাশ্মশানটি একটু নিচু হওয়ায় প্রতিদিনই জোয়ারের পানি উঠছে। বৃষ্টির সময় পানি আরও বেড়ে যাওয়ায় দাহ করার জন্য আনা মরদেহ রাখার জায়গা থাকে না। অনেক সময় জোয়ার-ভাটা দেখে মরদেহ সৎকারের সময় নির্ধারণ করতে হয়। অভয়মিত্র মহাশ্মশানে জোয়ারের পানির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার সংকট নিরসনে কার্যকরী পদক্ষেপ জরুরী।

    চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন সার্বিক পরিস্থিতি ও পানি উঠার কারণ নির্ণয় করে বলেন, মাটি ভরাট করে অভয়মিত্র মহাশ্মশান উঁচু করা হলে জোয়ারের পানি আর এই স্থানে প্রবেশ করতে পারবে না। জলাবদ্ধতা না থাকলে সনাতন সম্প্রদায় তাদের আপনজনের মৃতদেহ সৎকার যথাযথ ধর্মীয় নিয়মনীতি অনুসরণ করে নিরাপদে ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবে। এজন্য তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত এই মহাশ্মশানের জন্য ত্বরিৎ পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেন।

    তিনি বলেন, গতকাল আমাদের সাবেক মেয়র আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সুযোগ্য সন্তান মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এই মহাশ্মশানের জন্য অনুদান পাঠিয়েছেন। আগামীতে বলুয়ারদীঘি অভয়মিত্র মহাশ্মশানের সার্বিক উন্নয়নেও তিনি পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। আমাদের সাবেক মেয়র আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী থাকলে হয়তো এতদিন এই দূর্দশা থাকতো না। তিনি অনেক আগেই এই মহাশ্মশানের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতেন। যে অনুদান পাওয়া গেছে তাতে সাময়িক কষ্ট লাঘব হলেও এর জন্য চাই পরিকল্পিত ও কার্যকর পদক্ষেপ।

    প্রশাসক বলেন, যেহেতু মহাশ্মশানটি সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনাধীন। তাই একটি সুন্দর পরিকল্পিত মহাশ্মশান করার জন্য আমরা কার্যকর পদক্ষেপ নেব। এ মহাশ্মশানের উন্নয়নের জন্য যা যা করা প্রয়োজন তাই করবো আমরা। এজন্য সব মহলের মতামত ও পরামর্শ নেয়া হবে। আমাদের এমনভাবে মহাশ্মশানটি সংস্কার করতে হবে যাতে পাশের এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

    তিনি দু:খ প্রকাশ করে বলেন, আমরা দেখেছি মহাশ্মশান উঁচুকরণ ও সংস্কারের জন্য প্রতি বছর নানা উদ্যোগ হাতে নেয়া হতো। কিন্তু বাস্তবায়ন কিছুই হয় না। মহাশ্মশানের পেছনে বয়ে যাওয়া চাক্তাই খালে স্লুইসগেট স্থাপন করলে জোয়ারের পানি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এতে করে জোয়ারের সময় স্লুইসগেট বন্ধ করা হলে শ্মশানে মৃতদেহ সৎকারে জল দুর্ভোগ সমস্যা নিরসন হয়ে যেতো। তবে এখন আর সময় নষ্ট করার সময় নাই। আশা করছি খুব শীঘ্রই মহাশ্মশানটির উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করব।

    এসময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, অভয়মিত্র মহাশ্মশান পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সাবেক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক বিজয় কিশান চৌধুরী, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর পেয়ার মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব সিদ্দিকী, এডভোকেট তপন দাশ, কাউন্সিলর প্রার্থী রুমকী সেন গুপ্ত, ইঞ্জিনিয়ার আশুতোষ দাশ, অজয় বনিক, টুনটুন চক্রবর্তী, কুতুব উদ্দিন সেলিম, আবু জাফর চৌধুরী, সেকান্দর আলী, রফিকুল আলম বাপ্পী উপস্থিত ছিলেন।

    আবর্জনার গাড়ী পরিদর্শন
    চসিকের জনবলকে গতিশীল, দায়িত্ব ও কর্তব্যে
    সচেতন করে নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করবো-সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, স্বচ্ছতা, সততা, নিষ্ঠা ও সামর্থ্য উজার করে দিয়ে সিটি কর্পোরেশনের মোট জনবলকে গতিশীল, দায়িত্ব ও কর্তব্যে সচেতন করে নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে চাই। এজন্য চসিকের প্রত্যেক বিভাগ ও শাখায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকলের পরামর্শ ও সহযোগিতাই কাম্য।

    আজ সকালে নগরীর দামপাড়াস্থ জমিয়তুল ফালা মসজিদ প্রাঙ্গনে চসিকের আবর্জনা বহনকারী ট্রলি গাড়ীর সার্বিক চিত্র পরিদর্শনকালে তিনি একথা বলেন।

    এসময় তিনি আবর্জনা কাজে নিয়োজিত ট্রলির ড্রাইভার ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন। প্রশাসক তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, যেসব এলাকার গলিতে টমটম ট্রলি যেতে পারছেনা সেখানে আমাদের রিক্সাভ্যান রয়েছে। রিক্সাভ্যানে করে আবর্জনা নিয়ে এসে রাস্তায় টমটম ট্রলিতে দ্রুত পৌঁছাতে হবে। যাতে করে নগরবসী আবর্জনার দূর্ভোগ পোহাতে না হয়। এমনিতে বর্ষার মৌসুমে রাস্তা খোঁড়া-খুঁড়ির কারণে জনদূর্ভোগ চরমে। নগরবাসী আমাদের প্রাপ্য ট্যাক্স আমাদের দিচ্ছেন তাদের সেবাও যাতে নিশ্চিত করা যায় সেজন্য সবাইকে ঈমানী দায়িত্ব পালন করতে হবে। অন্যথায় আমরা বিবেক তাড়িত হবো।

    তিনি বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের আবর্জনা গাড়ী বেশি আছে অথচ কোন কোন ওয়ার্ডে এই গাড়ী পাওয়া না পাওয়ার অভিযোগ আছে। তাই সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গাড়ি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। উল্লেখ্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ৬১ টি টমটম ট্রলি রয়েছে এরম্যধ্য ৬০টি সচল রয়েছে।

    পরিদর্শনকালে চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, প্রকৌশলী জয়সেন বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • জলযট প্রবণ এলাকা পরিদর্শন :নগর উন্নয়নে কোনো অনিয়ম দুর্নীতি হলে বরদাশত করা হবে না-সুজন

    জলযট প্রবণ এলাকা পরিদর্শন :নগর উন্নয়নে কোনো অনিয়ম দুর্নীতি হলে বরদাশত করা হবে না-সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ উন্নয়নে আত্ম সচেতনতাই প্রধান নিয়ামক শক্তি। সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন সেবকরা দিন-রাত পরিশ্রম করে বাসা-বাড়ীতে ব্যবহার্য্য ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করলেও অনেকে অসেচেতনভাবে রাস্তা,ড্রেন বা খালে ময়লা আবর্জনা ফেলে পানি নিস্কাশনে বিঘ্ন ঘটায়। ফলে নগরবাসীকে জলজটের দূর্ভোগে পড়তে হয়।

    তিনি বলেন, আমরা যদি একটু সচেতনতার সাথে জীবন-যাপন করি তাহলে অনেক বিড়ম্বনা থেকেই রেহাই পাওয়া সম্ভব।

    তিনি আজ নগরীর কাপাসগোলা,বাদুরতলা ও মুরাদপুর এলাকায় বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট জলজটের উৎস সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে একইসাথে অনেক উন্নয়ন সংস্থা কাজ করছে এরমধ্যে সিডিএ,ওয়াসা, সড়ক ও জনপথ ও বিদ্যুৎ অন্যতম। এতে পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, শুধুমাত্র সমন্বয়হীনতার কারনে নগরবাসীকে সীমাহীন জলজট ও যানজটের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে যে সংস্থাই উন্নয়ন কাজ করুক না কেন যথাযথ পরিকল্পনা অনুযায়ী করতে হবে। নগর উন্নয়ন পরিকল্পনায় কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি হলে বরদাশত করা হবে না। আমি বারংবার বলে যাচ্ছি নগর উন্নয়নে সমন্বয়ের কোন বিকল্প নাই। প্রশাসক পরিদর্শনকালে প্রত্যক্ষ করেন যে, কিছু কিছু স্থানে অবৈধ স্ল্যাব বসিয়ে ব্যবসা পরিচালনা ও পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তিনি অনতিবিলম্বে এসব স্ল্যাব স্ব-জিম্মায় সরিয়ে নিতে সকলের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন আজকে আপনাদের একজন আপনজন হিসেবে বলছি, আগামীতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নিব।

    তিনি কাপাসগোলা ও চকবাজার খাল সহ বেশ কিছু জায়গায় বর্জ্যরে স্তুপ দেখে পরিচ্ছন্ন বিভাগে কর্মরতদের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আজকের মধ্যেই এসব ময়লা দ্রুত অপসারনের নির্দেশনা দেন। এসময় তিনি নগরবাসীকে জলজট না হওয়ার জন্য খাল, নালা-নর্দমায় ময়লা না ফেলার আহ্বান জানান এবং জলজট নিরসনে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের খানা-খন্দক দ্রুত গতিতে মেরামত করার জন্যও সংশিষ্ট প্রকৌশলীদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

    পরিদর্শন কালে মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, মোরশেদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • প্রকৌশলীরাই নগর উন্নয়নের কারিগর-সুজন

    প্রকৌশলীরাই নগর উন্নয়নের কারিগর-সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন সরকারের উন্নয়ন কাজে প্রকৌশলীদের আরও সহযোগিতা চেয়েছেন এবং তাদের মেধা ও দক্ষতাকে কাজে লাগানোর আহবান জানিয়ে বলেন, দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি প্রকৌশলীদের হাতে। তারাই উন্নয়নের কারিগর। নগরায়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের অবদান রয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্প কত দ্রুত শেষ হবে, সেটিও তাদের ওপর নির্ভর করে। আসুন, সবাই মিলে এ নগরীকে যেন উন্নত ও সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারি সেভাবেই কাজ করি; জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলি।

    তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি অর্জনের পেছনে রয়েছে ত্যাগ। দেশের সমৃদ্ধিতে এ ত্যাগের ইতিহাস আমাদের পথ দেখাবে। দেশকে আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে চাই। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলতে পারব, ইনশাল্লাহ।’

    আজ বিকেলে টাইগারপাসস্থ চসিক নগরভবনে প্রকৌশল বিভাগের ৩ ও ৫ নং ডিভিশনের সাথে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, নগরীতে চলমান উন্নয়নকাজ সময়মত শেষ করার ক্ষেত্রে প্রকৌশলীদের তদারকি বাড়াতে হবে।

    তিনি বলেন, অফিসে অহেতুক সময় নষ্ট না করে রাস্তায় যেখানে উন্নয়নকাজ চলছে সেখানে সময় দেন। কাজের গুনগতমান পরীক্ষা করুন। কোন কোন ঠিকাদার কাজে গাফিলতি করছে তাদের তালিকা আমাকে দেন। কাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আমি কাউকেই ছাড় দেব না। নগরীর যেসব সড়কে এখনো খানা-খন্দক রয়েছে সেগুলো জরুরী ভিত্তিতে ভরাট ও মেকাডম করে যান চলাচলের উপযোগী করা সহ যেসমস্ত চলমান প্রকল্প রয়েছে সেগুলোর সার্বিক চিত্রের ফাইল প্রশাসক বরাবরে হস্তান্তরের নির্দেশনা দেন। এছাড়াও যেসমস্ত উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে সেগুলোর হালচিত্র তাঁকে তরিৎ অবগত করে তা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়ার কথা উল্লেখ করেন।

    এসময় প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, কামরুল ইসলাম, আবু সালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, আবু ছিদ্দিক প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • হায়েনারা হত্যা করেছিল বঙ্গবন্ধুর নশ্বর শরীরকে তাঁর অবিনশ্বর চেতনা ও আদর্শ মৃত্যুঞ্জয়ী-সুজন

    হায়েনারা হত্যা করেছিল বঙ্গবন্ধুর নশ্বর শরীরকে তাঁর অবিনশ্বর চেতনা ও আদর্শ মৃত্যুঞ্জয়ী-সুজন

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আজ শনিবার সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক নগর ভবনের সম্মুখস্থ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    এসময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ৃয়া, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুফিদুল আলম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.সেলিম আকতার চৌধুরী, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা আকতার নেলী, প্রশাসকের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা পারভীন, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি এ.কে.এম রেজাউল করিম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দীকিসহ কর্পোরেশনের পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

    এদিকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শ্রমিক কর্মচারীলীগ(সিবিএ), চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড সচিব ফোরাম এর পক্ষ থেকেও নগর ভবনের সম্মুখস্থ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্যা অর্পণ করা হয়।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শ্রমিক কর্মচারীলীগ (সিবিএ)এর সভাপতি ফরিদ আহমদ, সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড সচিব ফোরাম এর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ ওয়ার্ড সচিবগন উপস্থিত ছিলেন। এরপর চসিক কনফারেন্স হলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রশাসক বলেন, আজ ১৫ই আগষ্ট। জাতীর জন্য এক কলঙ্কময় দিন। জাতীয় শোক দিবস। ৪৫ বছর আগে ১৯৭৫ সালের এই দিনে পাক হায়েনাদের প্রেতাত্মা তথা একদল বিপদগামী সেনাবাহিনীর একটি চক্রান্তকারী চক্র সপরিবারে হত্যা করে বাঙালী হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতীর অবিসংবাদিত নেতা জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধু ৪৮, ৫২,৬৬, ৬৯, ৭০ সহ বিভিন্ন সময়ে মৃত্যুর দ্বার হতে বার বার ফিরে এসেছিলেন, ৭১-এ পাকিস্তানী হায়েনারা যা করতে পারে নাই, সেই কাজটিই অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় ও পূর্বপরিকল্পিতভাবে সম্পাদন করে পাপিষ্ঠ ঘাতকরা। ওরা মানুষ নামের হায়েনার দল, ওরা শয়তানের প্রেতাত্মা। ওরা জঘন্য। ওরা বিপদগামী হিংস্র জানোয়ারের দল।

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একদিন যে আঙ্গুলী উচিয়ে বাঙ্গালী জাতিকে জাগিয়ে তুলেছিলেন, বলেছিলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” সেই স্বাধীন বাংলাদেশে তাঁর আঙ্গুলি চিরদিনের জন্য নিস্তেজ করে দেয় ঘাতকরা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ঐতিহাসিক সেই বাড়িতে। আর কোনদিন ঐ আঙ্গুলি আমাদেরকে প্রেরণা দিতে আসবেনা, দিবেনা মুক্তির বারতা। তবে একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে তিনি মৃত্যুহীন। চির অমর হয়ে থাকবেন বাঙালি জাতির প্রত্যেকের মনে। সেদিন ঘাতকদের উদ্দেশ্য ছিল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভেঙে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ভুলুন্ঠিত করা। কিন্তু সেদিন জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তাঁর আর্দশ, নীতিকে মুছে ফেলতে পারেনি ঘাতকরা।

    প্রশাসক আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর স্বপ্ন। তাই জ্ঞান বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে আমাদের বঙ্গবন্ধরু আজীবন লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলে আমরা চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথাযর্থ সম্মাণ প্রদর্শন করতে পারবো।

    প্রশাসক বলেন এই বছর ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জম্মশতবার্ষিকী মহা আয়োজনে করার কথা থাকলেও বৈশ্বিক মহামারী করোনা দূর্যোগের কারনে তা সীমিত করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি যদি উন্নতি হয় ২০২১ সালে আমাদের মহান স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হবে। এই অনুষ্ঠান পালনের মধ্যদিয়ে নতুন প্রজম্ম বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশ ও জাতির উন্নয়নে নিজেদেরকে নিবেদিত করবে বলে প্রত্যাশা করেন প্রশাসক।

    তিনি বলেন, জাতির পিতার আদর্শকে লালন ও বুকে ধারণ করে তার সুযোগ্য তনয়া মাননীয় প্রাধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নির্মাণে কাজ করছেন। একই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু সহ ১৫ই আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় খতমে কোরআন, মিলাদ ও বিশেষ দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রশাসক মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সারা দেশে ১ কোটি চারাগাছ রোপন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে টাইগারপাস্থ বিন্নাঘাস প্রকল্প এলাকায় কয়েকটি ফলজ ও ওষুধি গাছের চারা লাগিয়ে বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন।

    জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে চসিক স্বাস্থ্য বিভাগ

    জাতীয় শোক দিবস ২০২০ ও মুজিব শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বছরব্যাপী কর্মর্সূচির অংশ হিসেবে আজ চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত সকল ধরনের রোগীকে বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে। চিকিৎসাসেবার মধ্যে নাক-কান-গলা, দন্ত চিকিৎসা, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ডায়াবেটিক পরীক্ষা, মেডিকেল চেক-আপ রয়েছে। নগরীর চসিক জেনারেল হাসপাতাল, মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, দাতব্য চিকিৎসালয় থেকে এসব রোগীদেরকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।

    আজ সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন উপস্থিত থেকে এই সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

    এই সময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সেলিম আকতার চৌধুরী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী সহ সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়া চসিক স্বাস্থ্য বিভাগের অধীন মিডওয়াফারী ইনস্টিটিউট, হেলথ টেকনোলজি, চসিক জেনারেল হাসপাতাল, দাতব্য চিকিৎসালয়, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র সমূহে পৃথক পৃথক দোয়া মাহফিল ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।

    পরে প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন ষ্টেশন রোডে পরিচ্ছন্ন সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করে বলেন, মুজিববর্ষকে স্মরনীয় করে রাখতে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছি তবে করোনার থাবায় সামাজিক দূরত্ব রক্ষার স্বার্থে এসব আয়োজন সীমিত করা হয়েছে।

    তিনি বলন, পরিচ্ছন্ন সেবা যাতে পুরোদমে নগরবাসী পায় সেজন্য সকলকে নব উদ্দ্যোমে কাজ করতে হবে।

    এসময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম,চসিক প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরীসহ পরিচ্ছন্ন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

    জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
    হায়েনারা হত্যা করেছিল বঙ্গবন্ধুর নশ্বর শরীরকে তাঁর অবিনশ্বর চেতনা ও আদর্শ মৃত্যুঞ্জয়ী-সুজন
    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন,বাংলার ইতিহাসে আজ সেই দিন। বৃষ্টিঝরা শ্রাবণের অন্তিম দিনে সেদিন বৃষ্টি নয়, ঝরেছিল রক্ত। বাংলার ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের মতো বিশাল তাঁর বুক থেকে রক্তগোলাপের মতো লাল রক্ত ঝরেছিল ঘাতকের বুলেটে। সেদিন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর বাসগৃহে, বত্রিশ নম্বরের সেই বাড়িতে, আমাদের ইতিহাস তীর্থে, হত্যা করা হয়েছিল কেবল তাঁর নশ্বর শরীরকে, কিন্তু তাঁর অবিনশ্বর চেতনা ও আদর্শ ছিল মৃত্যুঞ্জয়ী। ঘাতকের সাধ্য ছিল না ইতিহাসের সেই মহানায়কের অস্তিত্বকে বিনাশ করার।

    তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ যমজ শব্দ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তারা বাংলাদেশকেই হত্যা করতে চেয়েছিল, মুছে দিতে চেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধজাত এই দেশটিকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে। কিন্তু এত সহজেই কি মোছা যায় জনকের নাম আর জনকের স্বপ্নজাত দেশটিকে? দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসে এই আমরাইতো একমাত্র জাতি যারা সশস্ত্র সংগ্রাম করে প্রত্যক্ষ যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি একটি মানুষের ডাকে, একটি মাত্র রণমন্ত্র কণ্ঠে ধারণ করে। সেই মানুষটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর সেই রণমন্ত্র ‘জয় বাংলা’। কার সাধ্য এ জাতির গতিরোধ করে, যখন এ জাতির উদ্গাতা বঙ্গবন্ধুর মতো হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালীর এক সন্তান আর যখন তাঁর বাহুতে আজও বঙ্গবন্ধুরই শক্তি রয়েছে বহমান।

    আজ সকালে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস-২০২০ ও মুজিব শতবর্ষ পালন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রশাসক এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, চিকিৎসা সেবায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল হচ্ছে দ্বিতীয় লাইফ লাইন। সম্প্রতি করোনা মহামারিতে যখন চট্টগ্রামের মানুষ দিশেহারা তখনই মানবতার হাত প্রসারিত করে অদ্যাবধি মানব সেবায় অবদান রেখে চলেছে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল। এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি প্রয়োজন মনে করে তাহলে চসিক পরিচালিত জেনারেল হাসপাতাল(মেমন-২) তাদের সাথে সমন্বয় করে নাগরিক সেবা প্রদান করতে পারবেন।

    চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস.এম মোরশেদ হোসেন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. আঞ্জুমান আরা ইসলাম, ট্রেজারার মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ, প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী আশরাফ, রেখা আলম চৌধুরী, লায়ন ড. মুহাম্মদ সানাউল্লাহ, প্রকৌশলী মো. জাবেদ আফসার চৌধুরী, মোহাম্মদ হারুন ইউসুফ, এম জাকির হোসেন তালুকদার, ডা. কামরুন নাহার দস্তগীর, মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ,এস এম কুতুব উদ্দিন, মা ও শিশু হাসপাতাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম মোস্তাক আহমদ, হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হক,উপ পরিচালক এ কে এম আশরাফুল করিম, আওয়ামীলীগ নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমদ ইমু প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ডা. শেফাতুজ্জাহান।

    পরে প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের প্রত্যেক ইউনিট পরিদর্শন করেন এবং এখানে অবস্থানরত ডাক্তার,নার্সসহ সেবা প্রত্যাশী রোগীদের সাথে কথা বলেন ও তাদের খোজ খবর নেন।

    এসময় তিনি এই হাসপাতালের উন্নয়নে চট্টগ্রামবাসীকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • আমার মেয়াদকালীন সময়ে কেউ দুর্নীতি করে পার পাবেনা-সুজন

    আমার মেয়াদকালীন সময়ে কেউ দুর্নীতি করে পার পাবেনা-সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন করপোরেশনের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে তাঁর কঠোর অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সেই সাথে নির্দেশ দিয়েছেন নগরীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে চসিকের ব্যাহাত সম্পত্তি উদ্ধারের।

    তিনি আজ টাইগারপাসস্থ নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠকে এই ঘোষণা দেন।

    তিনি আরো বলেন, আমার মেয়াদকালীন সময়ে কেউ দুর্নীতি করে পার পাবেনা। আমি যদি নিজে দুর্নীতি করি তাহলে আমাকে কেনো আপনারা সুযোগ দেবেন। আপনাদেরও দ্বায়িত্ব আছে। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের চিত্র দেখে প্রশাসক অসন্তোষ প্রকাশ করে আগামী একমাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায় এবং চট্টগ্রাম মহানগরের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন।

    রাজস্ব বিভাগে কর্মরতরা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করার তাগাদা দিয়ে প্রশাসক বলেন, আপনাদের উপরই চসিকের আর্থিক সঙ্গতি নির্ভরশীল। বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ চসিকের আয় সংশ্লিস্ট খাতসমূহকে শক্তিশালী করতে রাজস্ব বিভাগে কর্মরতদের ভূমিকা অপরিসীম।

    তিনি বলেন, চসিকের রাজস্ব খাতটি হচ্ছে আমাদের মূল চালিকা শক্তি। এথেকেই চসিকের সকল কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। তাই হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদানে নগরবাসীকে উব্দুদ্ধ করতে রাজস্ব বিভাগে কর্মরতদের পরামর্শ দেন প্রশাসক।

    সম্প্রতি রাজস্ব বিভাগে আভ্যন্তরিন বদলী বিষয় তুলে ধরে প্রশাসক বলেন, এটি একটি চলমান পক্রিয়া। এতে করে এক সার্কেলে কর্মরতরা অন্য সার্কেলে গিয়ে অভিজ্ঞতা আদান-প্রদানের সুযোগ পাবেন। রাজস্ব আদায়কারীদের মধ্যে যারা তাদের টার্গেট ফিলাপ ও আয়বর্ধক কাজে অবদান রাখবেন তাদের চসিকের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হবে বলে প্রশাসক জানান অন্যথায় ব্যর্থতার দায়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনও করা হবে।

    তিনি রাজস্ব আনাদায়ী হোল্ডিং নম্বরগুলো চিহ্নিত করে স্ব স্ব এলাকায় প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেন।

    মতবিনিময়কালে চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দোহা,সবিচ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা সাহেদা পারভীন, সহকারী এস্টেট অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন, কর কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন, মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, নুরুল আলম, এস এম সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ ইউসুফ,উপ কর কর্মকর্তা এখলাস উদ্দিন আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    চসিকের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত, অলংকার মোড়ে উচ্ছেদ হলো অবৈধ দোকান

    চট্টগ্রাম নগরীর প্রবেশদ্বার সিটি গেইট হতে অলংকারমোড়ে এতদিন যাবত অবৈধ স্থাপনাসমূহ শহরের সৌন্দর্যহানি ও যানজটের কারণ হয়ে উঠেছিল। চসিকের বর্তমান প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন দায়িত্ব নেয়ার পর এই বিষয়টি আমলে এনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা প্রদান করেন। এরই অংশ হিসেবে আজ বৃহষ্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জাহানারা ফেরদৌস এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়।

    অভিযানকালে নগরীর অলংকার মোড়স্থ ২টি যাত্রী ছাউনি সংলগ্ন অবৈধ দুটি দোকান ও নির্মাণাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ করে রাস্তা ও ফুটপাতের জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়।

    উল্লেখ্য উক্ত সড়কে আরো কিছু অবৈধ দোকানপাট থেকে যাওয়ায় মানবিক দিক বিবেচনায় তাদেরকে আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে নিজ দায়িত্বে সকল স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। অন্যথায় কর্পোরেশন উচ্ছেদকালে উচ্ছেদের সমস্ত ব্যয়ভারসহ জরিমানা আদায় করা হবে। আজকের এই উচ্ছেদের ফলে জনমনে স্বস্থি ও যানজট অনেকাংশে কমে আসবে বলে অভিমত জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এজন্য তারা প্রশাসকসহ চসিকের সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।

    অভিযানকালে চসিক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ.কে.এম রেজাউল করিম,নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়বসহ সিএমপি পুলিশ ও চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয়ের সাথে ছিলেন।

    চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম এর সাথে
    দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম.এ মালেকের সৌজন্য সাক্ষাত

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, বাংলাদেশের প্রথম দৈনিক আজাদী চট্টগ্রামের একটি মাসদর্পন। বিশেষত চট্টগ্রামের রাজনীতি,সাহিত্য,সংস্কৃতি ও শিল্প বিকাশে এ গণমাধ্যমটি যুগের চাহিদা পূরণ করেছে। আমি মনে করি দৈনিক আজাদী কর্তৃপক্ষ তাদের অতিতের কথা স্মরণ রেখে সংবাদ পত্র জগতে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে যাবে। যারা আজাদীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাদের চাওয়া পাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে এবং আজাদীর সাথে সংশ্লিষ্টরাও মালিক পক্ষের সাথে সু-সম্পর্ক বজিয়ে রেখে সাংবাদিকতা ও জনদায়বদ্ধতার ক্ষেত্রটিকে একটি শৃজনশীল ক্ষেত্র হিসেবে সুন্দর ও পারস্পরিক সহাবস্থানের সেতুবন্ধন রচনা করবেন।

    তিনি আজ অপরাহ্নে দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম.এ মালেক এর বাসভবনে তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে একথাগুলো বলেন।

    তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত পাঁচটি দৈনিক পত্রিকার প্রকাশনা আকস্মিকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় পনের দিন ধরে পাঠকরা এসব পত্রিকা পড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সংবাদমাধ্যম সূত্রমতে জানা যায় চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) বেতন বোনাসের দাবিতে দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেকের বাসা ঘেরাও কর্মসূচি পালনের পর থেকে এই সংকটজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে সাংবাদিকসহ পত্রিকায় কর্মরতরা গভীর সংকটের মধ্যে পড়েছেন। শুধু তা নয়, পাঠকরাও তাদের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ প্রেস শ্রমিকরা চাকরি হারানোর শঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই পত্রিকার বিক্রি আগের তুলনায় অনেকাংশে কম, তার ওপর আকস্মিক পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শত,শত হকারের উপার্জনের পথও সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে বসে সংকটময় এ পরিস্থিতি উত্তরনের অনুরোধ জানান চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রামবাসী চাতকের মত তাকিয়ে আছে কখন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে প্রিয় পত্রিকাগুলো আবারও পড়তে পারবেন।

    জাতীয় শোক দিবস-২০২০ উপলক্ষ্যে চসিকের কর্মসূচী
    স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস ২০২০ ইং পালনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচীর আলোকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর্মসূচীর মধ্যে ১৪ই আগস্ট শুক্রবার সকালে চসিক পরিচালিত সকল কিন্ডারগার্টেন ও বিদ্যালয় এবং কলেজ পর্যায়ে অন লাইন (পযরবভবফঁপধঃরড়হড়ভভরপব১৮@ুধযড়ড়.পড়স ঠিকানায় পিডিএফ বা জেপিজি ফরম্যাটে প্রেরণ) রচনা প্রতিযোগিতা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা।

    ১৫ আগস্ট শনিবার সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকাসহ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পতাকা অর্ধনমিত করণ (চসিকের প্রধান কার্যালয়সহ সকল আঞ্চলিক অফিস, ওয়ার্ড অফিস, স্কুল, কলেজ, হাসপাতালসহ কর্পোরেশনের অন্যান্য সকল কার্যালয়) এবং কালো ব্যাজ ধারণ। সকাল ৯টা ০১ মিনিটে টাইগারপাস্থ নগরভবন প্রাঙ্গনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন, সকাল ৯ টা ১৫ মিনিটে টাইগারপাস্থ নগরভবনের মিলনায়তনে খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল, বিশেষ মোনাজাত, এতিম সমাবেশ, তবারুক বিতরণ ও আলোচনা সভা। সকাল ১০ টায় টাইগারপাসে বৃক্ষরোপন কর্মসুচী উদ্বোধন। সকাল সাড়ে ১০ টায় দিনব্যাপী ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান কর্মসূচী । এর পর চসিক পরিচালিত মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, সমূহে মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাত এছাড়াও মন্দির, গির্জা ও প্যাগোড়ায় বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।

    উল্লেখিত সকল কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। চসিকের এসব কর্মসূচীগুলোতে সংশ্লিস্ট সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।

    দানেশ ফাউন্ডেশন চারাগাছ প্রদান: আজ সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক নগরভবনে ৫শ চারাগাছ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের হাতে তুলে দিয়েছেন দানেশ ফাউন্ডেশন। এসব চারাগাছের মধ্যে ফলজ,বনজ ও ওষুধি গাছ রয়েছে।

    এসময় চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আদিল মো. সরফরাজ চৌধুরী, উপদেষ্টা এস এম নুরুল হক, আকতার মিয়া, আনাস চৌধুরী, শোয়েবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • হারামের মধ্যে আরাম নেই : চসিক প্রশাসক

    হারামের মধ্যে আরাম নেই : চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, প্রকৌশলীরা হচ্ছেন এ শহর উন্নয়নের রুপকার। নগর উন্নয়নে আপনাদের অবদান অত্যধিক। আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা ঈমানী কাজ। সঠিক দায়িত্ব পালন ও শুদ্ধাচার জীবন যাপনের মধ্যে মানসিক শান্তি নিহিত রয়েছে। অন্যথায় নিজের মাঝে অপরাধ বোধ কাজ করবে। দায়িত্ব পালনে কোন বাধা-বিপত্তিতে আমার সহযোগিতা থাকবে।

    তিনি বলেন, নাগরিক সেবা দিতে গিয়ে যদি কেউ অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন তাহলে এর জবাবদিহিতা করতে হবে। মনে রাখতে হবে হারামের মধ্যে আরাম নেই। এ কথাটা উপলব্ধি করে সততা ও নিষ্ঠার সাথে অর্পিত দায়িত্ব শেষ করতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগের কাছে নগরবাসীর অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। এ বিভাগের কাজগুলোর সফলতা যেমন দৃশ্যমান তেমনি ভুল-ভ্রান্তিগুলোও জনগণের কাছে দৃশ্যমান। এ ভুলভ্রান্তিগুলো সংশোধন করে এগিয়ে যেতে হবে।

    আজ অপরাহ্নে টাইগারপাসস্থ চসিক নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে চসিক প্রকৌশল বিভাগের সাথে বৈঠককালে এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে চলমান উন্নয়নকাজে গতি বাড়াতে সংশ্লিস্ট প্রকৌশলীদের মাঠে থেকে কাজ আদায় করতে হবে। ঠিকাদারগণ সঠিকভাবে কাজ করছেন কিনা?গুনগতমান ঠিক আছে কিনা?তা শতভাগ বুঝে নিতে হবে। সড়ক উন্নয়ণকাজে ঠিকাদারের গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে সাথে সাথে লাইসেন্স বাতিল ও কালো তালিকাভুক্তি করার নির্দেশনা দেন প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

    খেয়াল রাখতে হবে ওয়ার্কঅর্ডারে বর্ণিত সময়ের মধ্যেই ঠিকাদার কাজ সম্পন্ন করছে কিনা। তিনি নগরীতে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সমূহের কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কারের উপর জোর দেন। যে সমস্ত সড়কে অবৈধ স্থাপনা, ট্রাক, বাস স্ট্যান্ড অবৈধ গাড়ি পার্কিং দ্বারা দখল হয়েছে তা দ্রুত উচ্ছেদ, আর্থিক জরিমানা সহ জব্দ করতে হবে। নগরবাসীর সেবার সুফল গভীরতর করতে আলাদা সেল গঠন করে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। নগরীতে অধিকতর সেবা নিশ্চিত করতে অন্যান্য সেবাদানকারী সংস্থা বন্দর, সিডিএ, ওয়াসা, পিডিবিসাথে সমন্বয়ন সাধন করে কাজ করার পরামর্শ দেন প্রশাসক।

    বৈঠকে চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সালেহ, কামরুল ইসলাম, আনোয়ার হোছাইন, মুনিরুল হুদা,সুদীপ বসাক(যান্ত্রিক), ঝুলন কুমার দাশ(বিদ্যুৎ), নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, অসীম বড়ুয়া, জসিম উদ্দিন, বিপ্লব বড়ুয়া,সহকারী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।

    নগরীর সংস্কারকৃত সড়ক পরিদর্শনকালে চসিক প্রশাসক
    অনিয়ম বা দূর্ণীতি পরিলক্ষিত হয় তবে
    সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, জনদূর্ভোগ লাঘবে নগরীতে রাস্তাঘাট সংস্কারকাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হবে। এতে কোন প্রকার গাফিলতি বা দীর্ঘ সুত্রিতা বরদাস্ত করা হবে না। যদি সড়ক উন্নয়ন কাজে কোন অনিয়ম বা দূর্ণীতি পরিলক্ষিত হয় তবে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    তিনি বলেন, নগরীর রাস্তাসমূহের চলমান উন্নয়নকাজে গতি বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে লোকবল বাড়িয়ে দিন-রাত কাজ করে সড়কসমূহ যান চলাচলের উপযোগী করে তুলতে হবে।

    আজ সকাল থেকে প্রশাসক নগরীর সল্টগোলা, সদরঘাট, বারিক বিল্ডিং, নন্দনকানন ও টাইগারপাস সহ বিভিন্ন সড়ক পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। এসময় সংশ্লিস্টরা উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর