Tag: চসিক প্রশাসক

  • ওবায়দুল কাদেরের সাথে চসিক প্রশাসক সুজনের সৌজন্য সাক্ষাত

    ওবায়দুল কাদেরের সাথে চসিক প্রশাসক সুজনের সৌজন্য সাক্ষাত

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নব নিযুক্ত প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন আজ সকালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এম.পি’র সাথে ঢাকাস্থ তাঁর সরকারী বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন।

    এসময় প্রশাসক হিসেবে খোরশেদ আলম সুজন তাঁর দায়িত্ব পালনের মেয়াদকালীন সময়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সকল কর্মপরিকল্পনায় দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সহযোগিতা কামনা করেন।

    সহায়ক পরিষদ নিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা আসেনি-চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত পঞ্চম পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নবনিযুক্ত প্রশাসকের সহায়ক পরিষদ গঠন সংক্রান্ত কোন নির্দেশনা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এখনও আসেনি।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনিযুক্ত প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন গণমাধ্যমকে জানান, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। এর জবাব না আসায় বিষয়টি এখনও চুড়ান্ত হয়নি। তবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। এমনকি কেউ কেউ সহায়ক পরিষদে নিজের অন্তর্ভুক্তির কল্পিত তথ্য তুলে ধরছেন যা অনভিপ্রেত ও অনৈতিক। যারা এসব করছেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। জন্মনিবন্ধন ও মৃত্যুসনদ ইস্যুসহ যে-সকল কাজ নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলররা এতদিন করতেন সে কাজগুলো এখন কিভাবে করা যাবে সে ব্যাপারেও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। শীঘ্রই মন্ত্রণালয় থেকে দিক নির্দেশনা পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

    তিনি সর্তক করে দেন যে, নতুন করে নগরীতে বিলবোর্ড স্থাপন ও সড়কে যেকোন ধরণের তোরণ নির্মাণ করা যাবে না। তোরণ নির্মাণের আগে চসিকের অনুমতি গ্রহণ বাধ্যতামূলক। এ ক্ষেত্রে চসিকের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ও ফৌজদারি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন নগর প্রতিষ্ঠায় নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন ।

    বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কবর জেয়ারত করলেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকীতে গতকাল বনানীতে তাঁর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও জেয়ারত করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নব নিযুক্ত প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন।

    এই সময় তিনি বলেন, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনীই শুধু নন, রাজনৈতিক সতীর্থ হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে উদ্বুর্দ্ধ করেছিলেন। তাঁর কারণেই মানুষ মুজিব মহামানবে পরিণত হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। তাই বেগম মুজিব বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবন ও বাঙালির জাগরণের ইতিহাসের অংশ হয়ে চিরঞ্জীব রইবেন।

    এসময় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, মহানগর যুবলীগ যুগ্ম-আহবায়ক মাহবুবুল হক সুমন, আব্দুস সালাম মাসুম, রেজাউল করিম সোহেল, মোঃ সাইফুল্লাহ আনছারী, বেলাল নূরী, মঈনুল আলম জয়, মহিউল আলম হাজী উপস্থিত ছিলেন।

    অসুস্থ তারেক সোলেমান সেলিমের শয্যাপাশে
    চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন

    ২০ নম্বর আলকরন ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর, বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক ছাত্রনেতা তারেক সোলেমান সেলিম বর্তমানে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

    তাঁর শারীরিক খোঁজ খবর নিতে গতকাল শনিবার বিকেলে এই হাসপাতালে উপস্থিত হন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনিযুক্ত প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন। তিনি কিছু সময় সেখানে অতিবাহিত করেন এবং চিকিৎসকদের কাছ থেকে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির খবরাখবর নেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা এ সময় চিকিৎসার অগ্রগতি সম্পর্কে চসিক প্রশাসককে অবহিত করেন।

    চসিক প্রশাসক এ সময় মহান আল্লাহতায়ালার দরবারে তারেক সোলেমান সেলিমের আশু রোগ মুক্তি কামনা করেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মাহবুবুল হক সুমন, ফরহান আহমেদ, মহিউদ্দিন শাহ, মাঈনুল হক লিমন, তারেক হায়দার বাবু, আব্দুস সালাম মাসুম, রেজাউল করিম সোহেল, মোঃ সাইফুল্লাহ আনছারী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের শ্রদ্ধাঞ্জলি

    বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের শ্রদ্ধাঞ্জলি

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নব নিযুক্ত প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন শনিবার সকালে ধানমন্ডীর ৩২ নম্বর সড়কে বাঙালির স্বাধীন জাতিসত্তা নির্মাণের স্মৃতিময় স্বাক্ষী ৩২ নং ধানমন্ডীর বঙ্গবন্ধু ভবনে যান। সেখানে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেক মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্য এবং ১৫ আগস্ট ট্রাজেডিতে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।

    এসময় উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদেও উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও প্রধানতম বন্দর নগরীতে প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করে প্রধানমন্ত্রী ও সভানেত্রী শেখ হাসিনা যে আস্থা রেখেছেন তার প্রতিদান দিতে আমি আমার সকল সামর্থ শতভাগ উজাড় করে দেব। রাজনীতির সহায়ক প্রতিপাদ্য পরিপূরক ব্রত হলো জনসেবা। এই ব্রত পালনে স্বচ্ছতা,সততা ও নিষ্ঠাই আমার চালিকা শক্তি এবং চট্টগ্রামকে একটি বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা কার্যক্রমগুলোর পরিধি বাড়াবে।

    তিনি আরো বলেন, স্থানীয় সরকার আইনানুযায়ী প্রশাসক হিসেবে বেঁধে দেওয়া ১৮০ দিনের প্রতিদিনই নগরীর সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তাৎক্ষণিক সমাধানে চসিকের মোট জনবলকে মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় রাখবো। সর্বোপরি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেশাগত শৃংখলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সামগ্রগ্রিক কর্মকান্ডের গতি বাড়িয়ে কাজের সুফল নগরবাসীর ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে সচেষ্ট হবো।

    তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাইড লাইন আমার শক্তি ও প্রেরণা সূত্র। আমার পূর্বসূরী সাবেক মেয়রদের সকল ভালোকাজগুলোকে দৃষ্টান্ত হিসেবে ধারণ করে আরো ভালো কাজে উদ্যোগেী হতে সচেষ্ট থাকবো।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, রাজনীতিক সালাউদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ.কে.এম রেজাউল করিম, একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, মেমন হাসপাতালের পরিচালক ডা. আশীষ মুখার্জী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী, বস্তি ও বন কর্মকর্তা মইনুল হোসেন আলী চৌধুরী (জয়), নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) আবু সাদাত মো. তৈয়ব, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, মহানগর যুবলীগ যুগ্ম-আহবায়ক মাহবুবুল হক সুমন, ফরহান আহমেদ, মাঈনুল হক লিমন, মহিউদ্দিন শাহ, তারেক হায়দার বাবু, আব্দুস সালাম মাসুম, নুরুল কবির, বদিউল আলম রাসেল, মোরশেদ আলম, এএসএম জাহিদ হোসেন, সমীর মহাজন লিটন, ফেরদৌস মাহমুদ আলমগীর, মোঃ সাইফুল্লাহ আনছারী, সরওয়ার্দী এলিন, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু উপস্থিত ছিলেন।

    ঢাকা রিপোটার্স ইউনিট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম জার্নালিষ্ট ফোরামের সাথে খোরশেদ আলম সুজন : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নব নিযুক্ত প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নগরবসীর ভোগান্তি লাঘবে যখন যা-কিছু প্রয়োজন আমি তা-ই করবো। আমি একজন রাজনীতিক হিসেবে প্রায় অর্ধ শতাব্দীকাল ধরে মানুষের সুখ-দুু:খের সাথী হিসেবে আছি। পথ-পদবী-ক্ষমতা থাকুক বা না থাকুক কোন সমস্যার কথা জানতে পেরেছি তখনই তা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আমলে আনতে আবেদন-নিবেদন ও প্রয়োজনে চাপ সৃষ্টি করেছি। নাগরিক সমাজের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি সম্পর্কে আমি সম্যক ধারনা রাখি। তাই চসিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক হিসেবে নিজস্ব লোকবল ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে মধুর সম্পর্ক গড়ে তুলে তাদেরকে সাথে নিয়ে আমি রাস্তায় থাকবো, মানুষের পাশাপাশি থাকবো। আমি আগেও রাস্তায় ছিলাম এখনো আছি এবং মৃত্যু পর্যন্ত থাকবো। কেননা এই রাস্তাই শিক্ষা-দীক্ষা-চেতনা ও সকল অজনের অভিজ্ঞণের ভিত্তি সোপান।

    তিনি আজ ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির(ডিআরইউ) নসঢাকা রিপোটার্স ইউনিট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম জার্নালিষ্ট ফোরামের সাথে এক মতবিনিময় সভায় একথাগুলো বলেছেন।

    তিনি আরো বলেন, আমি চসিকের যাদেরকে নিয়ে মাঠে থাকবো তাদের তিল পরিমান বিচ্যুতি,অনিয়ম বা নয়-ছয় করার প্রবণতাকে বরাদস্ত করবো না। যারা যোগ্য,দক্ষ্য ও আন্তরিক তাদেরকে বুকে টেনে নেব। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার উপর যে আস্থা রেখেছেন আমি তাঁর প্রতিদান দিতে চাই। তাই গণমাধ্যমসহ সকলের সহযোগিতায় সরকার সিটি কর্পোরেশন সহ সকল সেবা সংস্থার ভাবমূর্তীকে উজ্জ্বল করতে প্রত্যয়ী। যেসমস্ত চট্টগ্রামের সন্তান ঢাকায় সাংবাদিকতা করছেন তাঁরা আমাদের দূত। তাদের ইতিবাচক সমালোচনা পরামর্শ আমি অবশ্যই আমলে নেব।

    মতবিনিময় সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেনদৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, চট্টগ্রাম জার্নালিষ্ট ফোরামের সভাপতি সাহেদ ছিদ্দীকি, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ নোমান, সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফরাত, দীপ্ত টেলিভিশনের হেড অব দ্য নিউজ ইব্রাহীম আজাদ প্রমূখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মেয়াদকালীন সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবো: চসিক প্রশাসক সুজন

    মেয়াদকালীন সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবো: চসিক প্রশাসক সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নব নিযুক্ত প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আজ সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। টাইগারপাসস্থ চসিকের অস্থায়ী নগরভবনে এক আনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে সদ্য বিদায়ী মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীনের কাছ থেকে এ-দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

    দায়িত্ব গ্রহণ শেষে পরম করুণাময় আল্লাহ তা’য়ালার নিকট শুকরিয়া আদায় এবং নগরবাসীর সেবা করার সুযোগ দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। শুরুতেই তিনি বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আত্নার মাগফেরাত কামনা সহ মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদের আত্নার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং ২২জুন ১৮৮৩ সন থেকে চট্টগ্রাম পৌরসভা থেকে বিগত সময়ে যারা পৌরসভা,মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এবং সিটি কর্পোরেশন এর চেয়ারম্যান, প্রশাসক ও মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তাঁদের মধ্যে যারা প্রয়াত হয়েছেন তাঁদের আত্নার মাগফেরাত এবং জীবিত জনপ্রতিনিধিদের দীর্ঘায়ু ও সু-স্বাস্থ্য কামনা করেন। তিনি ১৯৯৪ সন থেকে ২০২০ সালের ০৫ আগস্ট পর্যন্ত যে তিন জন নির্বাচিত মেয়র চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে সেবা দিয়ে গেছেন তিনি তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি তাদের সেবাধর্মী সকল কর্মকাণ্ড ও নিরলস পরিশ্রম চট্টগ্রামবাসীর স্বার্থে করে গেছেন বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন।

    তিনি বলেন, আমি আশা করি অনিয়ম ও দুর্নীতির সংস্কৃতি থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রমকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দায়বদ্ধতা থেকে সততা, নিষ্ঠা ও যোগ্যতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যেতে পারবে এবং চট্টগ্রাম নগরীকে স্বপ্নের মেগাসিটিতে উন্নিত করতে স্বপ্ন ও প্রত্যাশার প্রাপ্তিযোগে পরিপূর্ণ করতে সকল সামর্থ ও সক্ষমতা উজাড় করে দিতে সচেষ্ট হব। এছাড়াও আমি সরকারী, আধা সরকারী, স্বায়ত্ত্বশাসিত ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ বিশেষ করে দেশপ্রেমিক নগর বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নিয়ে চট্টগ্রাম নগরবাসীর সুযোগ সুবিধা সম্প্রসারিত করবো এবং সকলের প্রত্যাশা পূরণে আমি ১৮০ দিন প্রশাসক হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে মাঠে থাকবো।

    তিনি গণমাধ্যমের সর্বস্তরের কর্মকর্তা, সংগঠক, কর্মী, প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অন-লাইন ও পোর্টালসহ সকলের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন।

    এর পূর্বে প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন হযরত আমানত শাহ (র.) মাজার শরীফ জেয়ারতের পর প্রয়াত জননেতা এম.এ আজিজ,জহুর আহমদ চৌধুরী, এম এ মান্নান ও সাবেক মেয়র এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কবর জেয়ারত ও মুনাজাত শেষে নগর ভবনে আসেন।

    তিনি নগরবাসী ও চসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে নগরভবনে উপস্থিত হন।

    পরে তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিভাগীয় প্রধানদের সাথে তাঁর দপ্তরে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি তাঁর ভিশন ও পরিকল্পনা গুলো তুলে ধরে বলেন, চট্টগ্রাম শহরের যে রাস্তাগুলো রাস্তাগুলো খারাপ সেগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে। পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমকে আরো গতিশীল হতে হবে। দূর্গন্ধ বা আবর্জনা যত্রতত্র পড়ে থাকতে পারবে না।

    তিনি বলেন, কাজ যতই কঠিন হউক না কেন কঠিনকে জয় করতে হবে। জলাবদ্ধতার বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, নগর উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ করে এই বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া হবে।

    তিনি আরো জানান যে, এ বর্ষা মৌসুমেই জলাবদ্ধতার কারনগুলো চিহ্নিত করে স্থায়ীভাবে ড্রেনেজ প্লান কিভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা যায় তার উপায় অন্বেষন করা করা হবে। তিনি জাইকার চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন। বৈঠকে তিনি ৪১টি ওয়ার্ডের ড্রেইন নালা-নর্দমা ও কাঁচা রাস্তাগুলোসহ জনগুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোকে উন্নয়নের আওতায় এনে কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য সিটি কর্পোরেশনের ৮টি বিভাগীয় এলাকার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েবলেন, নগরবাসীর উন্নয়নের স্বার্থে গৃহীত কর্মপরিকল্পনাগুলো কথায় ও কাগজে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। বাস্তবে প্রতিফলন ঘটাতে হবে।

    বৈঠকে প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন সাবেক মেয়রের মেয়াদকালীন সময়ে অসম্পূর্ন উন্নয়নকাজগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ করা, স্বচ্ছতা-কর্তব্যনিষ্ঠা নিশ্চিত করা এবং অনিয়ম-দূর্নীতি পরিহার করা ও কাজের গতিকে সক্রিয় ও সচল রাখার উপর জোর দেন।

    বৈঠকে চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, স্পেশাল ম্যাজেস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী,একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা সাহেদা বেগম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ.কে.এম রেজাউল করিম, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবিরসহ বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

    পোর্ট কানেকটিং রোড পরিদর্শনকালে চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন
    আগামী ৫দিনের মধ্যে যান
    চলাচলের উপযোগী করতে হবে

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নব নিযুক্ত প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, চট্টগ্রাম নগরীতে পোর্ট কানেকটিং সড়কটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দীর্ঘসুত্রিতায় নিমজ্জিত হয়ে বছরের পর বছর এই সড়কের উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হয়নি। যা অত্যন্ত দু:খ জনক। এ-নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর মনে ক্ষোভ সৃষ্টি ও চট্টগ্রামের সৌন্দর্য ও সুনামের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

    তিনি বলেন বিগত দিনে যে সময় গড়িয়েছে এখন আর সময় ক্ষেপনের কোন সুযোগ নেই। এই সড়কে আগামী ৫ দিনের মধ্যে রাস্তায় যত গর্ত রয়েছে তা ভরাট করে যান চলাচলের উপযোগী ও আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে অবশ্যই কাজ সম্পাদনের কড়া নির্দেশনা দেন প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব আমি সর্বোচ্চ সততার মাধ্যমে পালন করতে চাই। আপনারাও আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সততার সাথে পালন করবেন। যারা দুর্নীতি করেছেন, তারা সাবধান হয়ে যান। আমি যার কাছে অনিয়ম দেখবো, দুই নাম্বারি দেখবো, নগরবাসীর সঙ্গে যারা বেইমানি করবেন তাদের আমি কোনোভাবেই ছাড় দেব না। নগরবাসীর সেবায় নিয়োজিতরা যারা মানুষকে কষ্ট দেয় তাদের আমি ছাড় দেব না। এসব অন্যায়ের সঙ্গে আমি আপস করবো না। ভুল করা অপরাধ না। কিন্তু ইচ্ছা করে ভুল করা অপরাধ।’ ‘এই শহর আমাদের শহর। পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহরের একটি চট্টগ্রাম। জলাবদ্ধতা এই শহরের প্রধান সমস্যা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীকে দিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করাচ্ছেন। উনারা রাতদিন পরিশ্রম করছেন। আশা করছি, এক বছরের মধ্যে একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় আমরা পৌঁছতে পারবো।’ আজ অপরাহ্নে পোর্ট কানেকটিং সড়কের সাগরিকা হতে নয়াবাজার মোড় পর্যন্ত উন্নয়নকাজ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

    এসময় চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, ঠিকাদার মোহাম্মদ মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, ১১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যাপক মোহাম্মদ ইসমাইল, সাধারণ সম্পাদক মো: আসলাম, নুরুল আমিন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরিদ, এসি ট্রাফিক পশ্চিম কীর্তিমানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চসিক প্রশাসকের দায়িত্ব নিলেন খোরশেদ আলম সুজন

    চসিক প্রশাসকের দায়িত্ব নিলেন খোরশেদ আলম সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রশাসকের দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে নয়টায় নগরীর বাটালী হিলস্থ চসিক ভবনে যান তিনি। এ সময় তাকে স্বাগত জানান চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা।

    এরপর চসিক সম্মেলন কক্ষে প্রবেশ করেন বিদায়ী মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তার কাছ থেকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝে নেন খোরশেদ আলম সুজন।

    এসময় মেয়র নাছির উদ্দীন সদ্য নিযুক্ত প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের হাত হাত রেখে এক সাথে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

    এরপর চসিক সম্মেলন কক্ষে দোয়া মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন খোরশেদ আলম সুজন। পরে চসিক সম্মেলন কক্ষে গিয়ে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি।

    দায়িত্ব নিয়ে সুজন বলেন, আমি কিন্তু উদার না, যারা দুর্নীতি করছে তারা তওবা করে ফেলুন আজ থেকে। যারা দায়িত্বের সাথে বেঈমানি করবেন তাদের ছাড় দেবো না, ক্ষমা করবো না। না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে দেবো, তবুও অন্যায়ের সাথে আপোষ করবো না।

    অপরাধ করাটা অপরাধ না, তা স্বীকার না করা অপরাধ মন্তব্য করে সুজন বলেন, এখানে যারা আছেন সবাই জ্ঞানী-গুণী মানুষ, আপনাদের জ্ঞান-প্রজ্ঞাকে কাজে লাগান। আজ সকালে আসার সময় নিউ মার্কেট জিপিওয়ের সামনে ময়লা দেখেছি সকাল নয়টার সময়। কেন এত সকালে ময়লা থাকবে। পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাদের আহ্বান জানাবো, ভবিষ্যতে এ ময়লা আর দেখতে চাই না। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে নাছির ভাই অনেক কাজ করছে, সেটা সাকসেসফুল করতে হবে।

    তিনি বলেন, যেদিন বৃষ্টি হবে সেদিন আমিও থাকবো, কোথায় পানি জমছে তা সরেজমিনে দেখবো। ঘরে বসে কাজ করার দিন শেষ। আমরা মহিউদ্দিন চৌধুরীর কর্মী, কিভাবে কাজ করতে হয় তা আমরা জানি।

    চসিককে দলীয় কার্যালয় বা পারিবারিক করা হবে না জানিয়ে সুজন বলেন, বাড়ি থেকে বের হবার সময় আমার সাথে চসিকের গেইট পর্যন্ত আমার ছেলে এসেছে, তাকে ভিতরে ডুকতে দিই নাই। এখানে তার কোন কাজ নেই, ঘরে বসে তাদের সাথে লুড়ু খেলবো, কিন্তু এখানে আপনারা সব আমার।

    এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একদিনের মিনিস্টার সিনেমায় দেখেছি, আমি ১৮০ দিনের প্রশাসক। প্রত্যেক দিন, মুহুর্তে কাজ করবো চ্যালেঞ্জ নিয়ে। জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তার জন্য খাদ্যে ভেজাল বন্ধ করার জন্য বিএসটিআইকে সাথে নিয়ে কাজ করবো। এক সপ্তাহ দশদিন গেলে বুঝবেন আমি কি করতে পারবো কি পারবো না সেটা।

    সুজন বলেন, সবচেয়ে আশার কথা যিনি আমাকে দায়িত্ব দিয়ে এখানে পাঠিয়েছেন তিনিই এ শহরের দায়িত্ব নিয়েছেন। কাজেই উন্নয়ন নিয়ে চিন্তা করার কোন কারণ নাই। আমাকে পুকুরে নামতে দেন, নামার পরে দেখবেন কিভাবে সাঁতরাবো সেটা।

    গত ৫ বছর মেয়র নাছির অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন উল্লেখ করে খোরশেদ আলম সুজন বলেন, মেয়াদ শেষ হলে সবাইকে দায়িত্ব ছাড়তে হবে। কিন্তু কর্মকতা যারা আছেন, তারা থাকবেন সব সময়। আমাকে সহযোগিতা করবেন আশা করি। প্রশাসক বা মেয়র হচ্ছে শীর্ষ পদ। প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত প্রশাসক হিসাবে সবার কাছে আন্তরিক সহযোগিতা চাচ্ছি। চসিককে দলীয় কার্যালয় বানাবো না, রাজনীতি পার্টি অফিসে। এখানে নগরবাসীকে সেবা দেওয়ার জন্য কাজ করবো।

    তিনি বলেন, আমরা মিলেমিশে আমাদের শৈশব, কৈশোর এ শহরে কাটিয়েছি। পৃথিবীর কাছে এ শহরের গুরুত্ব অনেক, অনেকে আমার কাছে জানতে চান। চট্টগ্রাম শহরে জলাবদ্ধতা প্রধান সমস্যা, কিন্তু আমি এ শহরে জলাবদ্ধতা দেখি না, যা হয় সেটা জলজট। কিছুক্ষণ জমে থাকার পর কয়েক ঘন্টা পর তা নেমে যায়। এ জলজট নিরসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশাল বাজেটের কাজ দিয়েছেন, যা সেনাবাহিনী করছে। আশা করি জলজট সমস্যা আগামী বছর থেকে অনেকটা সমাধান হবে।

    তিনি বলেন, আমি আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করতে আসছি। আগামী ৫ বছর পর এ শহর সিঙ্গাপুরের চেয়ে উন্নত শহর হবে।

    গণমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সুজন বলেন, নাগরিক আন্দোলন করার সময় আপনাদের সহযোগিতা পেয়েছি। এখন আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন। সমালোচনাকে আমি ভয় পাই না। তবে যৌক্তিক সমালোচনা আশা করবো। নগরের সমস্যাগুলো তুলে ধরবেন, আমাকে ১৮০ দিন সময় দিয়েছে, এসময়টা কাজে লাগিয়ে কাজ করবো। মানুষ হিসাবে ভুল হতে পারে। তাই ভুলগুলো তুলে ধরবেন আপনারা। আল্লাহ পাক অনেক দিয়েছেন, মানুষের কাছে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। কেউ আমাকে সন্ত্রাস বা অমুক-সমুক বলে না। এটাই আমার তৃপ্তি।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ ও প্রধান নগর পরিকল্পনা কর্মকর্তা রেজাউল করিম প্রমুখ।

    প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে নির্ধারিত সময়ে ভোট করতে না পারায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে প্রশাসক বসিয়েছে সরকার। গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনকে এই সিটির প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর