Tag: চসিক প্রশাসক

  • চসিক প্রশাসকের নির্দেশে নগরীর নয় স্পটে সড়ক মেরামত শুরু

    চসিক প্রশাসকের নির্দেশে নগরীর নয় স্পটে সড়ক মেরামত শুরু

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের নির্দেশে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ নয়টি স্পটে খানাখন্দ ভরাট করে যানচলাচল নির্বিগ্ন করতে পেচওয়াকের মাধ্যমে সড়ক মেরামত কাজ শুরু করা হয়েছে।

    আজ সোমবার সকালে সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ এই কাজ শুরু করে।

    যে সকল সড়ক ও স্পটে পেচওয়াক করা হচ্ছে সেগুলো হলো: এনায়েত বাজার মোড়, ফকিরহাট, চট্টেশ্বরী রোড, মেরিনার্স রোড, মুরাদপুর জানে আলম রোড, চান্দগাঁও ফরিদের পাড়া, হালিশহর লোহারপুল, পাহাড়তলী বাঁচা মিয়া রোড ও উত্তর কাট্টলী নাজির বাড়ি সড়ক।

    এসব সড়ক চট্টগ্রাম ওয়াসাসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার ক্রমাগত উন্নয়ন কর্মকান্ডের কারণে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলে দুর্ভোগের পাশাপাশি ধুলোবালির কারণে শীতজনিত বিভিন্ন রোগবালায় দেখা দিচ্ছে। তাই নাগরিক জীবনের দুর্ভোগ কমাতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন নগরীর সবগুলো সড়ক মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছেন।

    তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েও কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় কর্পোরেশনের সার্বিক কার্যক্রম ফোনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তদারক করছেন। চসিক প্রশাসকের নির্দেশনার আলোকে নিয়মিত নগরীর বিভিন্ন খাল পরিস্কারের পাশাপাশি সংযোগ লাইন প্রতিস্থাপনে ওয়াসাসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার কাটা সড়ক পেচওয়াক ও মেরামত করা হচ্ছে।

    সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে প্রশাসকের নির্দেশে নগরীর ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর পেচওয়াকের কাজ ধারাবাহিক তালিকা অনুযায়ী চলমান থাকবে। প্রশাসক মেরামত করা সড়ক যাতে আবারো কাটতে না হয়, সে ব্যাপারে সকল সেবা সংস্থার সহযোগিতা চেয়েছেন বলে চসিকের প্রকৌশল বিভাগ জানান। পেচওয়াকের কাজ তদারককালে চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব উপস্থিত ছিলেন।

    সাবেক কাউন্সিলর তারেক সোলেমান সেলিমের মৃত্যুতে প্রশাসকের শোক

    স্বৈরাচার বিরোধীসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে লড়াকু সাবেক ছাত্রনেতা ও ৩১নং আলকরণ ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তারেক সোলেমান সেলিমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    এক শোক বার্তায় তিনি বলেন ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তারেক সোলেমান যে ভূমিকা রেখেছেন, তা দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। তারেক সোলেমান শুধু রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন না। ছিলেন দক্ষ সংগঠকও। তার হাতে গড়ে উঠে শিশু কিশোরদের সংগঠন খেলাঘর। এরকম একজন প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মীর অকাল প্রয়াণ দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির বিকাশে অপূরনীয় ক্ষতি। যা সহজে পূরণ হবার নয়। প্রশাসক মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

  • চসিক প্রশাসকের নির্দেশে নগরীর অলিগলিতে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মকান্ড অব্যাহত

    চসিক প্রশাসকের নির্দেশে নগরীর অলিগলিতে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মকান্ড অব্যাহত

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন আমরা যদি নিজ নিজ আঙ্গিনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখি ও খাল-নালায় ময়লা আবর্জনা না ফেলি তাহলে কোন অবস্থায় খাল-নালা ভরাট হবে না এবং পানি চলাচলে কোন প্রতিবন্ধকতা হতে পারে না। পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা না থাকলে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।

    আজ সকালে চসিক প্রশাসকের নির্দেশনায় সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম মুহাম্মদ ইসহাক মিয়ার বাড়ী সংলগ্ন আগ্রাবাদ ২৪নং ওয়ার্ডস্থ নাছির খান খাল থেকে বিপুল পরিমান ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা হয়।

    দীর্ঘদিন ধরে ময়লা আবর্জনায় পরিপূর্ণ থাকার ফলে এলাকাটি সামান্য বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতায় পতিত হয়। তাছাড়া ময়লা আবর্জনার ফলে মশার প্রজনন কেন্দ্র সৃষ্টি হয়েছে সেখানে। তাই বর্ষা মৌসুমের আগেই নগরীর খাল ও নালাগুলোকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করনের মাধ্যমে জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা করাই হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের বর্তমান কর্মপ্রয়াস।

    সকালে পরিচ্ছন্ন কর্মকান্ড তদারকি করতে গিয়ে হোয়াটসআপে ভিডিওকলে প্রশাসক আরো বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে নগরীর খাল ও বড় আকারের ড্রেইনগুলো পরিস্কারের ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু পরিস্কার করার পরও দেখা যাচ্ছে যে কোন কোন এলাকায় জেনে বুঝে আবারো ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

    আমরা নগরবাসীকে আহবান জানাচ্ছি আপনার নিজ ঘরের, বাসা, বাড়ীর কিংবা ফ্ল্যাটের আবর্জনা আপনার আঙ্গিনায় রাখুন সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মী এসে আপনার আঙ্গিনা থেকেই ময়লা আবর্জনাগুলো অপসারণ করে নিয়ে যাবে। যদি কোন এলাকার কোন বাসা, বাড়ী কিংবা ফ্ল্যাট থেকে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ময়লা আবর্জনা নিয়ে না যায় সেক্ষেত্রে আমাকে অথবা সিটি কর্পোরেশনে অবহিত করলে আমরা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করবো। তাই জনসাধারনকে আমরা অনুরোধ করবো খালে নালায় ময়লা আবর্জনা ফেলার মতো দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করা মোটেও উচিত নয়। যারা এই ধরনের গর্হিত কাজ করে ভবিষ্যতে তাদেরকে আইনের আওয়তায় আনা হবে। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের সবাইকে এ ধরনের কর্মকান্ড রোধে সচেষ্ট হতে হবে তাতেই পুরো নগরবাসী এর সুফল ভোগ করবে।

  • নগরীর খাল-নালা-নর্দমা আবর্জনা ও বর্জ্যমুক্ত করণে চসিকের কার্যক্রম চলমান রাখতে প্রশাসকের নির্দেশনা

    নগরীর খাল-নালা-নর্দমা আবর্জনা ও বর্জ্যমুক্ত করণে চসিকের কার্যক্রম চলমান রাখতে প্রশাসকের নির্দেশনা

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসোলেসনে ঘরে থেকে প্রিন্ট, ইলেকট্রিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নগরীর বিভিন্ন সমস্যার ব্যাপারে অবহিত হয়ে তা সমাধানকল্পে সাথে সাথে সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিস্ট বিভাগকে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করে যাচ্ছেন।

    প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে থাকলেও নগরবাসীর বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সবসময় চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন থাকি। কোথাও কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে তা দ্রুত সমাধানের জন্য আমার প্রাণ ব্যাকুল হয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে সামাজিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে নগরীর বিভিন্ন খাল-নালা-নর্দমা আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাওয়ার খবর গণমাধ্যমে জানতে পেরে চসিকের যান্ত্রিক ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছি। এসকল সমস্যা সমাধানের জন্য ওয়াটসআপে ভিডিও কলের মাধ্যমে সকল কার্যক্রম আমি নিজেই তদারকি করছি। আমার এই প্রয়াস দায়িত্ব পালনের শেষ দিন পর্যন্ত চলমান থাকবে।

    প্রশাসক আরো বলেন, বাদশা মিয়া রোডের ওয়্যার সিমেট্রি একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এরই সংলগ্ন খালটি বহুদিন যাবৎ ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়ে আছে। এই খাল দিয়ে পানি চলাচলের পথ বাঁধামুক্ত করতে এবং জমে থাকা আবর্জনা অপসারন করতে চসিকের যান্ত্রিক ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের নিয়োজিত প্রায় শতাধিক জনবল দিয়ে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে শুরু করে আজ শনিবার বিকেল পর্যন্ত পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ওয়্যার সিমেট্রি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত একটি সমাধিস্থল এবং এর আশেপাশে অভিজাত শ্রেণির লোকজন বসবাস করেন। যেহেতু তারা সচেতন নাগরিক তাই তাদেরও কিছু সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমি বারবার উল্লেখ করে যাচ্ছি যে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি নগরবাসীরও দায়িত্ব রয়েছে। আমরা যদি নিজ নিজ আঙ্গিনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখি ও খাল নালায় ময়লা আবর্জনা না ফেলি তাহলে কোনভাবেই খাল নালাগুলো ভরাট হবে না, এতে করে পানির স্বাভাবিক প্রবাহও চলমান থাকবে এবং নগরবাসী জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি পাবেন। আমি আশা করছি, অভিজাত শ্রেণির পাশাপশি নগরীর সব শ্রেণীর নাগরিকগণও এবিষয়ে সচেতন হবেন।

    তিনি আরো উল্লেখ করেন দীর্ঘ বছরের পর বছর আবর্জনার ভাগাড় হয়ে পড়ে থাকা ২নং গেইটস্থ চশমা হিল সংলগ্ন খালের আবর্জনা ও মাটি অপসারনও গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে কাজ করছে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা এবং যান্ত্রিক বিভাগ। উক্ত খাল থেকে উভয় বিভাগের সমন্বয় এবং পরিচ্ছন্ন বিভাগের শতাধিক সেবকের মাধ্যমে ইতোমধ্যে পাঁচশত টন মাটি ও আবর্জনা অপসারন করে আজ বিকেলে পানি চলাচলের পথ সুগম করা হয়।

  • খাল ভরাট হলে দায় বর্তাবে স্থানীয়দের ঘাড়ে: চসিক প্রশাসক

    খাল ভরাট হলে দায় বর্তাবে স্থানীয়দের ঘাড়ে: চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের নির্দেশে চলমান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নগরীর অন্যতম পানি চলাচল পথ চশমা হিলস্থ খালটিকে আবর্জনা মুক্তকরণ অভিযানের কাজ আজ শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়।

    পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ২টি স্কেভেটর, ১০টি ডাম্পিং ট্রাক যুক্ত হয় এবং বর্জ্য অপসারণে চসিকের পরিচ্ছন্ন ও যান্ত্রিক বিভাগের কর্মকর্তাসহ প্রায় ১০০ এর অধিক কর্মী নিয়োজিত ছিলেন।

    এসময় ওয়াটসআপে ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন জানান, রুবি গেইট থেকে ষোলশহর ২নং গেইট পর্যন্ত প্রায় সোয়া ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি বছরের পর বছর ধরে পলিথিন, প্লাস্টিকসহ অন্যান্য গৃহস্থালী বর্জ্য ময়লা-আবর্জনায় ভাগাড়ে পরিণত হয়ে আছে। খালটির বেশ কিছু অংশ ভরাট হয়ে গেছে এবং খালের মাঝখানে বড় বড় গাছ-গাছালী বেড়ে ওঠায় পানি চলাচলের পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে। একারণে বর্ষা মৌসুমে বিস্তীর্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এবং জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছে। তিনি আরো বলেন, এই খালটির আশে-পাশের স্থানীয় অধিবাসীরা অজ্ঞানে-স্বজ্ঞানে দীর্ঘ দিন থেকে এটাকে ডাস্টবিন বানিয়ে ফেলে চরম অসচেতনার পরিচয় দিয়ে আসছেন। তাদের এই গর্হিত মনোভাব ও গাফেলতি আত্মঘাতী এবং অপরিনামদর্শী। খালটির পানি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বর্জ্য ও আবর্জনা মুক্ত করার পর আবারও এটা যদি পূর্র্বের অবস্থায় ফিরে যায় তাহলে তার দায় স্থানীয়দের উপর বর্তাবে। এ জন্য যারা দায়ী তাদের আইনের আওতায় এনে দন্ডিত করা হবে এবং তাদেরকে দিয়েই খালটি পরিস্কার করা হবে বলে প্রশাসক হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

    সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলমান এই আবর্জনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মসূচীতে প্রায় ২০০ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়। খালটির বর্জ্য পরিপূর্ণ অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচী চলমান থাকবে বলে জানান চসিক প্রশাসক।

    চশমাহিল সংলগ্ন খাল পরিচ্ছন্ন ও আবর্জনা মুক্তকরণ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মির্জা ফজলুল কাদের, প্রশাসকের একান্ত সহকারি সচিব স্বরূপ দত্ত রাজু, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব শর্মা প্রমুখ।

  • চসিক প্রশাসক ও তাঁর সহধর্মিনীর রোগমুক্তিতে চট্টগ্রাম সচেতন সনাতনী যুব সমাজের বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত

    চসিক প্রশাসক ও তাঁর সহধর্মিনীর রোগমুক্তিতে চট্টগ্রাম সচেতন সনাতনী যুব সমাজের বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন ও তাঁর স্ত্রী মিসেস তাহমিনা বেগমের রোগমুক্তি কামনায় আজ রোববার বিকালে গোলপাহাড় কালি মন্দির প্রাঙ্গনে বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম সচেতন সনাতনী যুব সমাজ।

    এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, বাগীশিক কেন্দ্রীয় প্রধান উপদেষ্টা এড.তপন কান্তি দাশ, বাগীশিক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডা. অঞ্জন কুমার দাশ, গোলপাহাড় মহাশ্মান পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শ্রী মাইকেল দে, পংকজ চৌধুরী কংকন, সমীর মহাজন লিটন, অনির্বান দাশ বাবু, স্বরূপ দত্ত রাজু, কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সহ অর্থ সম্পাদক জয়দ্বীপ দাশ, তথ্য সম্পাদক রাজীব চৌধুরী রাজু, মহিলা সম্পাদিকা সুচিত্রা গুহ টুম্পা, দোলন চৌধুরী, ললিত মোহন কর্মকার, ব্রাহ্মণ সমীর চক্রবর্তী, শুভ দাশ, আশীষ সরকার, দীপেন দাশ, জয়জিৎ চৌধুরী জয়, রূপম চক্রবর্তী, অংকন শীল, অনিক শর্মা সহ বিপুল সংখ্যক সনাতনী সমাজ।

  • চসিক প্রশাসক ও তাঁর স্ত্রীর আরোগ্য কামনায় দোয়া মাহফিল

    চসিক প্রশাসক ও তাঁর স্ত্রীর আরোগ্য কামনায় দোয়া মাহফিল

    স্বস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের আরোগ্য কামনায় আজ রোববার সকালে কর্পোরেশনের টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী অফিসের কনফারেন্স রুমে খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

    মাহফিলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব মুহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, চসিক আঞ্চলিক কার্যালয় জোন-৬ এর প্রধান নির্বাহী আফিয়া আকতার, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট ও যুগ্ম জেলা জজ জাহানারা ফেরদৌস, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, উপ-সচিব আশেসক রসুল চৌধুরী, জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী লীগ (সিবিএ) এর সভাপতি ফরিদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

    দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন কর্পোরেশনের মাদ্রাসা পরিদর্শক মাওলানা হারুনুর রশিদ। পরে প্রশাসক ও তাঁর স্ত্রী’র দ্রুত আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা করিম উদ্দিন নূরী।

    এদিকে প্রশাসকের সুস্থতা কামনা করে তাঁর জম্মস্থান উত্তর কাট্টলীর প্রতিটি মসজিদে দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মুনাজাত করা হয়। বিশ্বাস পাড়া নামে মসজিদে খোরশেদ আলম সুজনের আরোগ্য কামনা করে গত শনিবার বাদ আসর মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

  • ভরাট খালে সবজি চাষ হয় এটা আমাদের লজ্জা : চসিক প্রশাসক

    ভরাট খালে সবজি চাষ হয় এটা আমাদের লজ্জা : চসিক প্রশাসক

    ভরাট হয়ে যাওয়া আযব বাহার খালে চলছে শাক-সবজি চাষ এই সচিত্র প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁর একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শনে যান।

    পরিদর্শনকালে তিনি পরিচ্ছন্ন বিভাগ, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়ে আজ শনিবার সকালে আযব বাহার খালের স্তুপিকৃত ময়লা আবর্জনা অবমুক্ত করণ কার্যক্রম পরিচলনা করেন। এই কার্যক্রম প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন হোয়াটসআপে ভিডিও কলের মাধ্যমে তদারকি করেন। ভিডিও কলে তদারক কালে তিনি বলেন, এলাকার পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা এবং পানি চলাচলের পথ গুলোকে বাধামুক্ত করতে পারলেই আমাদের কোন সংক্রামন রোগ ব্যধি স্পর্শ করতে পারবে না। নিজেদের উদ্যোগেই নিজের আঙ্গিনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এবং নালা-নর্দমাকে আবর্জনা ও বর্জ্য মুক্ত রাখতে হবে। বার বার এই নির্দেশনা দেয়ার পরও যারা তা আমলে আনছেন না, তাদের আবারও সর্তক করা হচ্ছে খাল-নালা-নর্দমায় ময়লা আবর্জনা না ফেরার জন্য, অন্যথায় সিটি কর্পোরেশন আইনগত ব্যবস্থ্য গ্রহন করবে।

    প্রশাসক আরো বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। একে প্রতিহত করতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোন বিকল্প নেই। আমি আশা করি এই নিবেদন আমার ব্যক্তিক নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা রক্ষার মানবিক আবেদন। এই আবেদনে সবাই সাড়া দেবেন এটাই আমার প্রত্যাশা।

    চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের আদেশের প্রেক্ষিতে আযব বাহার খাল হতে প্রায় শতটন ময়লা আবর্জনা অপসরান করা হয়। এতে খালের পানি চলাচলে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে এবং মশার প্রজনন কেন্দ্র ধ্বংস হওয়াসহ পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।

    এ সময় সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রনব শর্মা, পরিচ্ছন্ন সুপারভাইজার সিদ্দিকুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • প্রশাসক সুজনের নির্দেশে বর্জ্য পরিস্কারের অভিযান চসিকের

    প্রশাসক সুজনের নির্দেশে বর্জ্য পরিস্কারের অভিযান চসিকের

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবগত হয়ে আজ শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) সকালে সাপ্তাহিক চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাক্তাই খালের বাদুরতলা হারিছ শাহ্ মাজার সংলগ্ন এলাকা ও ঘাসিয়ার পাড়ার অংশে বর্জ্য, ময়লা-আবর্জনা পরিস্কারে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন। অভিযানে কর্পোরেশনের শতাধিক পরিচ্ছন্ন সেবক-কর্মীর অংশগ্রহণে প্রায় ১’শ ট্রাকের মতো বর্জ্য পরিস্কার করা হয়।

    পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলাকলে দেখা যায় বাদুরতলা হারিছ শাহ্ মাজার সংলগ্ন ও ঘাসিয়ার পাড়ার অংশে চট্টগ্রামের দুঃখ খ্যাত চাক্তাই খালে বর্জ্য, গৃহস্থালি ময়লা-আবর্জনা ও পলিথিন ফেলার কারণে খালটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। খালের কোন কোন অংশে বড় বড় কচুরিপানা গজিয়ে উঠেছে, আবার কোথাও বর্জ্য ফেলার কারণে খালটি দেখতে অনেকটা ডাস্টবিন মনে হচ্ছিল। এই ময়লা আবর্জনা খালে ফেলার কারণে পানি চলাচলের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে। আর পানি চলাচলের স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ থাকায় খালটি মশার উর্বর প্রজনন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে।

    আজ (শুক্রবার) শতাধিক সেবক, স্কেভেটর ও পে-লোডার দিয়ে আবর্জনা-বর্জ্য পরিস্কার কার্যক্রম শুরু হলে খালের পানি চলাচলের প্রবাহে স্বাভাবিকতা ফিরে আসে। অনেক স্থানে খাল সংযুক্ত নালার আটকে থাকা পানির প্রবাহও ছুটে যায়। ফলতঃ মশার দীর্ঘদিনের আবাসস্থলও ধ্বংস হয়ে যায়।

    প্রতি শুক্রবার সকালে খাল নালা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম সরাসরি তদারকি করা প্রশাসকের নিয়মিত রুটিন ওয়ার্ক হলেও সস্ত্রীক কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন নিজ বাসায় আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় খাল পরিস্কারের বিশাল এই কর্মযজ্ঞ ফোনে এবং ওয়াটসআপে ভিডিও কলে তদারকি করেন।

    তিনি কর্পোরশেনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে খালের দুইপাশের এলাকার অধিবাসীদের খাল নালায় ময়লা আবর্জনা না ফেলার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এ শহর আমার আপনার সবার। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে এই নগরকে একটি স্বাস্থ্যকর, পরিচ্ছন্ন, নান্দনিক ও মানবিক শহররূপে গড়ে তুলতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এর কোন বিকল্প নাই।

    এসময় সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, সিদ্দিকুল ইসলাম, হারুনুর রশীদ জাসেদ, আমিনুল ইসলাম, প্রকৌশলী কামাল পাশা, প্রফেসর জসীম উদ্দীন, প্রকৌশলী রিয়াজুল হক, আজহারুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, মো. আলমগীর, খোরশেদ আলম ও মাহী বি তাজওয়ার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

  • সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত চসিক প্রশাসক সুজন

    সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত চসিক প্রশাসক সুজন

    স্ত্রীসহ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। বর্তমানে তারা বাসায় আইসোলেশনে আছেন।

    বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর।

    জানা যায়, গত ৩১ ডিসেম্বর নৌবাহিনীতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক অংশ নিয়েছিলেন সুজন। সেদিন শরীরে একটু ঠাণ্ডা লাগে। এরপর মৃদু জ্বর দেখা দেয় দুজনেরই। শুভার্থীদের পরামর্শে মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) জেনারেল হাসপাতালে নমুনা পাঠান তারা। বুধবার সন্ধ্যায় সুজন ও তার স্ত্রী ডা. ফজলুল হাজেরা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক তাহমিনা আকতারের করোনা পরীক্ষায় ফলাফল পজিটিভ আসে।

    তবে তেমন কোনও উপসর্গ না থাকায় দুজনই শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন খোরশেদ আলম সুজনের ব্যক্তিগত সহকারী রাজু।

    তিনি জানান, প্রশাসক মহোদয় ও তার স্ত্রী সুস্থ আছেন। আজ বিকেলে তাদের সিটিস্ক্যান করা হবে। এরপরই তাদের চিকিৎসার ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    প্রসঙ্গত, চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি। করোনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর চসিকের আগের নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে গত বছরের ৫ আগস্ট চসিকের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান সুজন।

     

  • জাতিসত্ত্বার ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করুন : সুজন

    জাতিসত্ত্বার ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করুন : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সাথে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা জে.এম সেন এর বাড়ি দখলের চেষ্টা প্রতিহত করতে আজ বুধবার দুপুরে কর্পোরেশনের টাইগারপাস অস্থায়ী অফিসে চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষাত করে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

    বিশেষ শৈল্পিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন যাত্রা মোহন সেন (জেএমসেন) ভবন ভাঙ্গা চক্রান্তের হাত থেকে রক্ষা করে তাঁর স্থানে ২০১৮ সালের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মতে চট্টগ্রামের বিপ্লবী তথা ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মৃতি রক্ষার্থে যাদুঘর প্রতিষ্ঠায় আশু পদক্ষেপ গ্রহনে স্মারকলিপি প্রদানকালে চট্টগ্রাম ইতহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত ও কবি ও সাংবাদিক আব্দুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন।

    এসময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি মানিক চৌধুরীর ছেলে কল্পতরু চৌধুরী কাজল চট্টগ্রাম ইতিহাস চট্টগ্রাম ইতহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের সংগঠক অলিউর রহমান তাদের সাথে ছিলেন।

    স্মারকলিপি গ্রহণকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা যাত্রা মোহন সেনগুপ্তের দেড়‘শ বছরের পুরনো বাড়িটি শুধু আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষার স্থান না। এটি বাংলাদেশের আগামী প্রজন্মের সাহসী তরুণের সাহসী ঠিকানা। তাই এই স্মৃতি জাতীয় স্বার্থে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। ভাগ্যক্রমে এই বাড়িটি অপাতত রক্ষা পেল, কারণ এডভোকেট রানাদাশ গুপ্তের বাড়ি এর পাশে ছিল।

    তিনি বলেন, এরকম আরো বহু ঐতিহাসিক স্মৃতিধন্য স্থান দখল হয়ে গেছে দখলবাজ দুর্বৃত্তদের হাতে। এসবও আমাদের রক্ষা করতে হবে।

    তিনি আগামীকাল (৭ জানুয়ারী) বৃহস্পতিবার এর মধ্যে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিধন্য এই বাড়ি রক্ষার্থে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পত্র লিখবেন বলে জানান।

    প্রশাসক বলেন, পাকিস্তান আমলে যুদ্ধকালীন সময়ে যেসব বাড়ি শত্রু সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকারের আমলে তা অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এভাবে দিনদুপুরে কোন বাড়ি দখল করে নেয়া মানে দেশের ইতিহাসকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র। তিনি এই বাড়ি রক্ষার্থে এডভোকেট রানাদাশ গুপ্তকে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন এবং এই আন্দোলনের সাথে তাঁর একাত্মতা ঘোষণা করেন। প্রশাসক এই আন্দোলন সহ যে কোন ভালো কাজের পক্ষে তাঁর দৃড় অবস্থান ব্যক্ত করেন।

  • পিসি রোডের উন্নয়ন কাজের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি, অন্য প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি চান প্রশাসক

    পিসি রোডের উন্নয়ন কাজের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি, অন্য প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি চান প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন নগরীতে সিটি কর্পোরেশনের চলমান প্রকল্পের কাজগুলোর চলতি মাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি চেয়েছেন।

    তিনি আজ মঙ্গলবার বিকালে নগরীর টাইগারপাসস্থ চসিকের অস্থায়ী অফিসে তাঁর দপ্তরে প্রকৌশলীদের সাথে এক বৈঠকে একথা বলেন।

    নগরীতে বর্তমানে জাইকা, এডিবিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। প্রশাসক তাঁর দায়িত্বকালীন সময়ের মধ্যে এসব কাজের অগ্রগতিতে বিভিন্ন সময়ে কাজ পাওয়া ঠিকাদারদের তাগিদ দেয়ার পাশাপাশি চসিকের প্রকৌশলীদের নিয়ে প্রকল্প এলকা পরিদর্শন করেছেন। তবে তাঁর মেয়াদকালে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে নগরীর লাইফলাইন খ্যাত পোর্ট কানেক্টিং (পিসি) রোডের। দীর্ঘ তিন বছর যাবৎ এই সড়কের কাজ শেষ না হওয়ার কারণে ওই এলাকার বাসীন্দা ও ব্যবসায়ীরা নিদারুন কষ্ট ও দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে সময় পার করেছেন। প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন ৬ মাসের অন্তরবর্তীকালীন দায়িত্ব পাওয়ার পর সড়কটির কাজ শেষ করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করলে নগরবাসী আশাবাদি হয়ে উঠে। তাঁর দায়িত্বকালীন সময়ে বেশিরভাগ সময়ে তিনি পিসি রোডের কাজ যথাসময়ে শেষ করতে সর্বাধিক ওই রোড পরিদর্শনে যান। ফলে কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ ও ঠিকাদাররাও নড়ে চড়ে বসেন।

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ পিসি রোডের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে গিয়ে অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এখন বলা যায় এই রোডের কাজ ৯০ শতাংশ শেষ। প্রশাসক চলতি মাসের মধ্যে তাঁর সময়ে সম্পন্ন হওয়া উন্নয়ন কাজের বিল ঠিকাদারদের জমা দিয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।

    বৈঠকে কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ, মনিরুল হুদা, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাহাদাত মো. তৈয়ব, বিপ্লব দাশ, শহীদুল ইসলাম, ফরহাদুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • সুস্থ মা পারে সুস্থ প্রজম্ম উপহার দিতে: চসিক প্রশাসক

    সুস্থ মা পারে সুস্থ প্রজম্ম উপহার দিতে: চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, একজন সুস্থ মা পারে আগামী দিনের সুস্থ প্রজম্ম উপহার দিতে। বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের অনগ্রসর নারী সমাজের উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে একটি সমতাভিত্তিক সমাজ গঠন করা।

    সোমবার (৪ জানুয়ারি) সকালে ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ঝাউতলা ওয়ারলেস স্কুলে এলআইইউপিসি-ইউএনডিপি আয়োজিত গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের ফুড বাস্কেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত ইউএনডিপি ও ইউকে-এইড এর সহায়তায় বাস্তবায়িত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে কর্পোরেশনের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এর আলোকে ১৩নং ওয়ার্ডে দরিদ্র গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের পুষ্টি খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হলো। প্রকল্পের নিবন্ধিত মোট ২ হাজার ৩’শ ৭৪ জন গর্ভবতী দুগ্ধদানকারী মাকে প্রতিমাসে ১ হাজার দিনের জন্য বিশেষ পুষ্টি খাদ্য সহায়তা হিসেবে প্রতিমাসে ১ লিটার ভোজ্য তেল ৩০টি ডিম ও ১ কেজি করে ডাল বিতরণ করা হবে।

    প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানে উপস্থিত উপকারভোগী মা দের খোঁজ খবর নেন।

    অনুষ্ঠানে প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার মো.সরোয়ার হোসেন খান,আর্থ-সামাজিক ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ হানিফ, টাউন ফেডারেশনের চেয়ারম্যান কোহিনুর আকতার, মহানগর যুবলীগ সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক, এয়াকুব আলী মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।