Tag: চসিক প্রশাসক

  • যথসময়ে কাজ শেষ না হলে ঠিকাদারের তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ করুন: প্রকৌশলীদের সুজন

    যথসময়ে কাজ শেষ না হলে ঠিকাদারের তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ করুন: প্রকৌশলীদের সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন নগরীতে কর্পোরেশনের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করার জন্য চসিকের প্রকৌশলীদের ঠিকাদারদের তাগিদ ও তদারকি করতে বলেছেন।

    তিনি আজ বুধবার বিকেলে আন্দরকিল্লাস্থ পুরনো নগর ভবনের আবদুস ছাত্তার মিলনায়তনে কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগের সাপ্তাহিক সভায় একথা বলেন।

    এতে কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহাম্মেদ,কর্পারেশনের বিভাগীয় প্রধান,পদস্থ কর্মকর্তাসহ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীগণ উপস্থিত ছিলেন।

    সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, নগরীর পিসি রোডসহ যেসকল স্থানে কর্পোরেশনের উন্নয়নকাজ চলমান আছে, তা যথাসময়ে সম্পন্ন না করলে কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করে তা জনস্মুখে প্রকাশ করুন। যাতে এসব অসাধু অপেশাদার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কোন সরকারি ও সেবামুলক প্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয়বার আর কোন কাজ করতে না পারে।

    তিনি বলেন দেশ কারো কাছে জিম্মি হতে পারে না। সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে নগরীতে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আর এ কাজ গুলোকে যারা সময়মত শেষ করছে না তারা সরকারের ভাবমুর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে। এদের গণদুশমন হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।

    প্রশাসক সকল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্পের স্থানে বিস্তারিত ও কাজ শেষ করার সময়সূচি উল্লেখ করে সাইনবোর্ড লাগানোর পরামর্শ দেন।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একটি পরিবার। কর্পোরেশনের সকল প্রকৌশলী ও কর্মচারীগণ মিলেমিশে কাজ করলে উন্নয়নসহ যেকোন কাজ দ্রুত তরান্বিত হবে। সহকর্মীরা সমন্বয়হীনভাবে কাজ করে একে অপরের দোষ খুঁজলে তা হবে কাঁচের ঘরে বসে ঢিল মারারমত অবস্থা।

  • বন্দর-সিইপিজেড’র কাছে ফের সার্ভিস চার্জ চাইলেন সুজন

    বন্দর-সিইপিজেড’র কাছে ফের সার্ভিস চার্জ চাইলেন সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আবারো চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রাম এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (সিইপিজেড) থেকে ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দাবি করেছেন।

    তিনি আজ মঙ্গলবার বিকেলে ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের ব্যারিস্টার সুলতান আহমদ চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সংলগ্ন আব্দুল মাবুদ সড়কে চসিকের সড়ক নির্মাণ ও নালার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে গিয়ে একথা বলেন।

    পরিদর্শনকালে স্থানীয় সমাজ সেবক হারুনুর রশীদ, আবু তাহের, সুলতান নাছির, আকবর হোসেন, কাউন্সিলর প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন, চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী অসিম বড়ুয়া, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব শর্মাসহ সেলিম আফজাল, নুরুল বশর, মোহাম্মদ লোকমান, জাবের হোসেন, মোহাম্মদ জাবের নাছির উদ্দিন, মো.সুলতান উপস্থিত ছিলেন।

    প্রশাসক উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনের সময় আব্দুল মাবুদ সওদাগর রোডের পুরো এলাকার অলিগলি হেঁটে ঘুরে দেখেন এবং এলাকার নাগরিক সমস্যা নিয়ে স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলেন। এসময় পুরো এলাকার নালা নর্দমায় মশানিধনে এডাল্টিসাইট ও ফগার মেশিনের সাহায্যে ওষুধ ছিটানো হয়। পাশাপাশি করোনা সচেতনতায় দুঃস্থ গরীব সাধারণ মানুষের মাঝে সাবান ও মাস্ক বিতরণ করেন।

    পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের আব্দুল মাবুদ সড়কটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এই এলাকায় সিইপিজেডে অবস্থিত পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন কল-কারখানার শ্রমিকরা বসবাস করেন। এলাকার ভিতর দিয়ে ৫ নম্বর খালটি প্রবাহিত হয়েছে। সল্টগোলা ক্রসিং মোড় থেকে শুরু হওয়া খালটি বন্দর ও সিইপিজেড’র বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনার কারণে অনেকটা ভরাট হয়ে গেছে। যা কর্পোরেশন ধারাবহিকভাবে পরিস্কার করছে। অথচ সিইপিজেড’র শ্রমিকরা কর্মস্থলের যাতায়াতের দূরত্ব কম হওয়ায় আব্দুল মাবুদ সড়ক এলাকার ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। এতে একদিকে শ্রমিকদের কর্মঘন্টার যেমন সাশ্রয় হয়, অপরদিকে শ্রমিকদের সময়ানুযায়ী উপস্থিতির কারণে রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা সিইপিজেড’র কারখানাগুলোও ঠিক সময়ে পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে রপ্তানি করে লাভবান হচ্ছে। আর এই গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ডসহ পুরো নগরীর নাগরিক সেবা নির্বিঘ্ন রাখছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু পৌরকর ও সরকারি থোক বরাদ্দ ছাড়া কর্পোরেশনের অতিরিক্ত কোন আয়ের খাত নেই। অথচ নগরবাসী ছাড়াও বড় মিল কারখানা, বন্দর, কাস্টমস্, রেলওয়ে নগরীর বড় উপকারভোগী।
    স্টেকহোল্ডার হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ পাওয়ার অধিকার রাখে। তাদের বড় ট্যাংক-লরি, কাভার্ডভ্যান ও ভারি যানবাহনগুলো নগরীর সড়কগুলো ব্যবহার করছে। যে কারণে নগরীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নতুনভাবে নির্মাণের পরও ভেঙ্গে যাচ্ছে। তাই ওজনস্কেল বসানোসহ টেকসই সড়ক নির্মাণে তাদের কাছে কর্পোরেশনের সার্ভিস চার্জ চাওয়া কোনভাবেই অযৌক্তিক নয়।

    এছাড়াও প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর্পোরেশন থেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও আলোকায়নের সেবা দিচ্ছে। আশাকরি সব দিক বিবেচনা করে সরকার ন্যায্য সার্ভিসচার্জ পেতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে সহযোগিতা করবে।

  • নগরবাসীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ : সুজন

    নগরবাসীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশেনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নগরবাসীর ভালোবাসা আমাকে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেছে। প্রশাসকের দায়িত্ব নেয়ার পর নগরবাসী আমাকে যে মায়া-মমতার বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন তা কখনো শোধ করতে পারবো না। দায়িত্বের কারণে কর্পোরেশন ও জনস্বার্থে আমাকে অনেক সময় কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে। এজন্য নগরবাসী আশাকরি আমাকে ভুল বুঝবেন না। কারণ আমার শৈশব-কৈশোর, যৌবন কেটেছে এই শহরে। কাজেই আমার কাজের মূল্যায়নের ভার নগরবাসীর হাতে।

    তিনি শহরের উন্নয়নের স্বার্থে নগরীর অধিবাসীদের পৌরকর পরিশোধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, কিছু পেতে গেলে কিছু দিতে হয়। কাজেই সেবা পেতে পৌরকর দিন ও ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করে ফেলুন।

    প্রশাসক আজ সোমবার দুপুরে বেপারী পাড়াস্থ আগ্রাবাদ সিটি কর্পোরেশন কমপ্লেক্স চত্বরে রাজস্ব সার্কেল-৭ এর স্পট হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতেমা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কর কর্মকর্তা (কর) জসীম উদ্দীন চৌধুরী ।

    অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর প্রার্থী মোহম্মদ হোসেন, জাফরুল হায়দার সবুজ, উপ-কর কর্মকর্তা (লাইসেন্স) কৃষ্ণ প্রসাদ দাশ উপস্থিত ছিলেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশেনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, শহরের মালিক নগরীর ৬০ লাখ অধিবাসী। নাগরিকদের অধিকার রয়েছে চসিকের সেবা পাওয়ার। আমি চেষ্টা করেছি নগরকে পরিচ্ছন্ন, মানবিক ও পরিবেশ বন্ধব রাখতে। তিনি বলেন,বাজার খরচ,বিদ্যুত-পানি পেতে বিল দিতে হয়। তাহলে পৌরকর ছাড়া কিভাবে নাগরিকসেবা দেয়া সম্ভব? কর্পোরেশন কোন ধরনের কর বাড়ায়নি। পূর্বের রেটে পৌর কর নিচ্ছে। ডিসেম্বর মাসজুড়ে সারচার্জ ছাড়া পৌরকর ও ট্রেড লাইসেন্স নেয়া যাবে। আশাকরি নগরবাসী ও ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ গ্রহন করবেন।

    প্রশাসক নগরীর উন্নয়নের স্বার্থে বন্দর,কাস্টমস্, রেলওয়েসহ অন্যান্য বড় শিল্প কারখানার কাছ থেকে ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দাবি করে বলেন, কাস্টমস চট্টগ্রাম শহর থেকে বছরে ৫০-৬০ হাজার কোটি টাকার আয় করে। বন্দরেও হাজার হাজার কোটি টাকা আয়। অপরদিকে নগরের বেশির ভাগ জায়গা রেলের দখলে। অধিগ্রহন ও লিজের নামে এসব জায়গা বছরের পর বছর দখলে রেখে কোন উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে না। আর তাদের এসব জায়গা জমির অনেকগুলোই এখন গুন্ডা মাস্তানের দখলে। কর্পোরেশন রেলের একটি জায়গা নিতে দুটো ইনস্টলমেন্ট পরিশোধ ও উচ্চ আদালতের রায় পাওয়ার পরও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এখনো তা বুঝিয়ে দিচ্ছে না। এভাবে চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। কারণ প্রধানমন্ত্রী এই শহরের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছেন। যে কারণে এখানে ট্যানেল,উড়াল সেতু,শিল্প জোনসহ বিবিধ উন্নয়ন হচ্ছে। এরপরও নগরীর উন্নয়নে যারা বাধা হয়ে দাড়াবে তাদের আমরা প্রতিহত করবো।

    তিনি নগরের উন্নয়নের স্বার্থে যেকোন সংস্থাকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে উল্লেখ করেন।

    উল্লেখ্য আজ সোমবার প্রথম দিনে স্পটে হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদে ২৫ লাখ ২১ হাজার ৫’শ ৩৬ টাকা ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদে ৮ লাখ ১৮ হাজার ৪’শ ৫০ টাকা আদায় হয়েছে।

  • শেষ দিন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর আস্থার মর্যাদা রক্ষা করবো : সুজন

    শেষ দিন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর আস্থার মর্যাদা রক্ষা করবো : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোশেনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন দায়িত্বের শেষ দিন পর্যন্ত আমি তার মর্যাদা রক্ষা করতে চাই। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নিয়ম নীতি শৃঙ্খলা অনুসারে চলবে এটাই প্রত্যাশা।

    কর্পোরেশনকে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে প্রকৃত সম্পদ চিহ্নিত করে এর মূল্যায়ন করতে হবে। পৌরকর ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া যেসব খাতের আয়ের টাকা বিভিন্ন কারণে পাওয়া যাচ্ছে না তা দ্রুত প্রাপ্তি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নিতে হবে।

    তিনি আজ রোববার বিকেল নগরীর টাইগারপাশস্থ চসিকের অস্থায়ী অফিসের তাঁর দপ্তরে কর্পোরেশনের বিভাগীয় প্রধানদের সভায় একথা বলেন।

    সভায় কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল সোহেল আহমেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, চসিক আঞ্চলিক অফিস জোন-৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আখতার, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোশেনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, আমার নামে অহেতুক প্রশংসাসূচক কোন ফলক, ব্যানার লাগানোর প্রয়োজন নাই। আমি কাজ করতে চাই। এজন্য প্রশংসার পরিবর্তে কেউ সমালোচনা করলেও আমি থামবো না। তবে নগরবাসীর স্বার্থের পরিপন্থী কোন কাজ আমাকে দিয়ে হবে না। আমি প্রশাসক হওয়ার পর আমার পরিবারের সদস্যদেরও বলে দিয়েছি কোন ধরনের অন্যায় আবদার তদবির নিয়ে যাতে আমার কাছে না আসে। আমার এই কঠোরতার মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিকতার চর্চা গড়ে তোলা। যাতে মানুষ রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি তাদের আস্থা ফিরে পেয়ে শ্রদ্ধাশীল হয়। সভায় পরিচ্ছন্ন,শিক্ষা, প্রকৌশল বিভাগ ও আঞ্চলিক অফিসের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়।

  • গুটিকয়েক দুর্জনের জন্য ৬০ লাখ মানুষকে জিম্মি করা যাবে না: চসিক প্রশাসক

    গুটিকয়েক দুর্জনের জন্য ৬০ লাখ মানুষকে জিম্মি করা যাবে না: চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আজ সকলে নগরীর কদমতলী মোড় থেকে ডিটি লেইন হয়ে আগ্রাবাদ রশিদ বিল্ডিং পর্যন্ত ফুটপাতের উপর থেকে অবৈধ দখলমুক্ত করণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সকল অননুমোদিত স্থাপনা, কাঠের স্ল্যাব, লোহার স্ক্র্যাপসহ বিভিন্ন অবৈধ মালামাল নিজ উদ্যোগে সোমবারের মধ্যে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।

    অন্যথায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মঙ্গলবার থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে মালামাল জব্দ জরিমানাসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।

    তিনি বলেন, বড় বড় নালাগুলোর অননুমোদিত স্থাপনা এবং যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলায় পানি চলাচল বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এর ফলে জোয়ার-ভাটায় এলাকায় বিরূপ প্রভাব পড়ে। সবচেয়ে বড় পরিণতি হলো ময়লা-আবর্জনায় অবরুদ্ধ নালা-নর্দমাগুলো মশা প্রজননের উৎস হয়ে দাঁড়ায় এবং পরিবেশ দুর্গন্ধময় হয়ে নাগরিক দুর্ভোগ বাড়ায়।

    তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, চট্টগ্রাম নগরীতে বাস করতে হলে আইন মানতে হবে। অননুমোদিত কোন স্থাপনা থাকবে না। অবৈধ দখলদারিত্ব থাকবে না। এক জনের বে-আইনী সুযোগ-সুবিধার জন্য দশজনের ক্ষতি হয় এমন কিছু করা যাবে না। এই নগরীতে এ ধরণের অনৈতিক ও জনস্বার্থ বিরোধী কোন অপকর্ম বরদাস্ত করা হবে না। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গুটি কয়েক লোভী ও দুষ্ট প্রকৃতির লোক এই নগরীর ৬০ লাখ অধিবাসীকে জিম্মি করতে চায়। এরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন তারা সমাজের বিষফোঁরা। এদের অস্ত্রোপচার করে উপড়ে না ফেললে সমাজদেহে ব্যাধি আক্রান্ত হবে।

    তিনি আরো বলেন, প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বকালীন সময়ে চট্টগ্রামকে আন্তর্জাতিক মানের নগরীতে উন্নীত করতে যে বাঁধা, ক্ষত ও প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা চিহ্নিত করে দিচ্ছি, যাতে আগামীতে যারা দায়িত্ব পালন করবেন তারা চট্টগ্রামের কাংখিত উন্নয়ণের স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যেতে পারেন।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের জন্য এমন কিছু মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছেন যেগুলো বাস্তবায়িত হলে নগরীর আশে-পাশে কয়েকটি উপশহর ও শিল্পজোন গড়ে উঠবে। তাই যে ভাবেই হোক চট্টগ্রামের সড়ক অবকাঠামোসহ প্রাসঙ্গিক প্রস্তুতি এখন থেকেই নিতে হবে। প্রশাসক করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জনসাধারনকে মাস্ক পরার উপর গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং মাস্ক ছাড়া বাহিরে বের না হওয়ার আহবান জানান।

    তিনি যাত্রাপথে উপস্থিত নগরবাসীর মাঝে মাস্ক এবং সাবানও বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন-সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর আলী বক্স, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, মির্জা ফজলুল কাদের, আশিকুল ইসলাম, অতি. প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, এষ্টেট অফিসার কামরুল ইসলাম, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, মো. মনির উদ্দিন, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রনব শর্মা, আলী আকবর প্রমুখ।

    আজ উচ্ছেদ অভিযানকালে ভ্রাম্যমান আদালত ৮টি মামলা রুজু করেন এবং ৪২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

  • বিলুপ্ত খাল পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার নির্দেশে মাঠে নেমেছি: চসিক প্রশাসক

    বিলুপ্ত খাল পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার নির্দেশে মাঠে নেমেছি: চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন নগরীর পানি চলাচলের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পানি প্রবাহ পথ খালগুলো ভরাট করে স্থাপনা ও বাসা-বাড়ি নির্মানকারী অবৈধ দখলদারদের পাপিষ্ট দুর্বৃত্ত ও কুখ্যাত গণশত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন,এরা চট্টগ্রামকে একটি মানবিক নগর রূপান্তরের স্বপ্ন পূরণের প্রধান প্রতিবন্ধক। এদের বিরুদ্ধে তীব্র গণপ্রতিরোধ ও আইনের কঠোর প্রয়োগ ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।

    তিনি আজ সকালে নিমতলা ৩৬ নং গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডস্থ মহেশখালের শাখা সংযোগ দিয়ার পাড়া এলাকায় খাল পরিষ্কার করতে গিয়ে এর দৃশ্যমান বিলুপ্ত প্রায় চিত্র দেখে এই ক্ষুদ্ধ মন্তব্য করেন।

    তিনি বলেন, মহেশখালের এই শাখা খালটি একটি সময় বেশ বড় আকারের ছিল। এই খালের বুকে নৌযান চলাচল হতো, পণ্য ও যাত্রী পরিবহন হতো এবং খাল দিয়ে কর্ণফুলীতে পানি চলাচল করতো। নগরীতে এ ধরনের দু‘ডজনেরও বেশি প্রশস্থ ও গভীর শাখা খাল ছিলো। এখন সবগুলোই বিলুপ্ত ও বেদখল হয়ে গেছে। একারণেই জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছে না।

    তিনি আরো বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বিলুপ্তপ্রায় খাল পুনরুদ্ধার ও অবৈধ দখলদার মুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ঠ নির্দেশনা রয়েছে। তাই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মাঠে নেমেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। প্রকল্পের ৪০ শতাংশ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই মেগা প্রকল্পের শতভাগ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে খালসহ পানি চলাচলের পথগুলো পরিষ্কার ও বাধামুক্ত করার অংশ হিসেবে দিয়ার পাড়া এলাকায় আজকের এই অভিযান। আমি এই খালটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে চাই। এই খালটিকে যারা ডাস্টবিনে পরিণত করেছে, খালের দু‘পাড় দখল করে যারা এটাকে নালায় পরিণত করেছে তাদেরকে আগামী সোমবার পর্যন্ত সময় দেয়া হলো-এর মধ্যে আবর্জনা পরিস্কার ও খালের উপর থেকে অবৈধ স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে না নিলে পরদিন থেকে সরাসরি এ্যাকশন শুরু হবে। এই সময় খাল পরিষ্কার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যে খরচ হবে তা অভিযুক্তদের কাছ থেকে আদায়, জরিমানা, মালামাল জব্দ সহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    তিনি স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে বলেন, কোন ধরনের আবর্জনা ও বর্জ্য খালে ফেলা যাবে না। এখন থেকে যে বা যারা খালে আবর্জনা ফেললে তা তাদের নিয়েই পরিষ্কার করা হবে। তিনি এ ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ, দেখ-ভাল ও নজরদারী করার জন্য এলাকায় মুরুব্বী, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানান।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ ইলিয়াছ, কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ মোরশেদ আলী, ইমরান আহাম্মেদ ইমু,হাজী মোহাম্মদ হোসেন, হাসান মোহাম্মদ মুরাদ, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, প্রণব শর্মা,আলী আকবর।

  • পুকুর-দীঘি-জলাশয়ের এক ইঞ্চিও দখল করা যাবে না: সুজন

    পুকুর-দীঘি-জলাশয়ের এক ইঞ্চিও দখল করা যাবে না: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, মশক নিধনে ক্রাশ প্রোগ্রাম চলমান রয়েছে। প্রতিদিন ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। এত কিছুরপও মানুষ যত্রতত্র ময়লা ফেলে এবং পানি চলাচলের পথ বন্ধ করায় শীত মৌসুমে মশার বংশ বিস্তার হচ্ছে। এই উদাসীনতা ও খেয়ালীপনা অপরিনাম দর্শী এবং মোটেই জনহিতকর নয়, বরং আত্মঘাতী। যারা এই পথে হাঁটছেন তারা যদি ঠিক না হন তাদের উচিত শিক্ষা দিতে বাধ্য হবো।

    তিনি আজ বিকেলে ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডে নুরুল ইসলাম মাতৃসদন হাসপাতাল মিলনায়তনে এলাকাবাসীর সাথে এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন।

    তিনি হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেন, যারা যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার ভাগাড় বানাচ্ছেন এগুলো তাদের দিয়েই সরানো হবে। তিনি সভাস্থলে আসার সময় নগরীর দ্বিশতবর্ষী বলুয়ার দীঘি পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে বলেন, খাতুনগঞ্জ-কোরবানীগঞ্জের মানুষ আমার কাছে অভিযোগ করেছে দীঘিটির চারপাশের দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থাপনার কেউ কেউ আবর্জনা ফেলে ভরাট করে ফেলছে। আমি স্বচক্ষে এই দীঘির করুণ অবস্থা দেখে এসেছি। এর পানি দুষিত হয়ে গেছে। এই দীঘির বিশাল অংশ ইতোমেধ্যেই ভরাট করে বেদখল করা হয়েছে। এই দীঘির পাশ থেকে খানকায়ে আলমগীর থেকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে জশনে জুলুছের বিশাল মিছিল বের হয়। এছাড়াও এখানে রয়েছে নগরীর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাশ্মশান। আরো আছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক বাসা-বাড়ি। তাই প্রতিদিন এই দীঘির চারপাশ দিয়ে অসংখ্য মানুষ চলাচল করে এবং স্থানীয়রা এই দীঘির পানি নিত্য কাজে ব্যবহার করতো। কিন্তু এখন এই পানি ব্যবহার অযোগ্য।

    তিনি আরো বলেন, যারা এই দীগিতে ময়লা ফেলেছেন এবং নানা ভাবে কুমতলবে দীঘি ভরাট করছেন তা স্বউদ্যোগে অপসারণ করার জন্য ৭ দিন সময় বেঁধে দিয়েছি। এর মধ্যে যদি তা অপসারণ করা না হয় তাহলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে এগুলো অপসারণ করবে। এ জন্য যা খরচ হবে তার পুরোটাই সনাক্তকৃত ভরাটকারীদের বহন করতে হবে।

    প্রশাসক আরো ঘোষণা করেন, এই নগরীর যে সকল পুকুর, জলাশয় দীঘি ভারট করা হয়েছে সেগুলো পুনরুদ্ধার করা হবে এবং কাউকে পুকুর জলাশয়ের এক ইঞ্চি অংশ দখল করতে দেয়া হবে না। তিনি বলুয়ার দীঘি থেকে মিয়াখান নগর ব্রীজ এলাকায় পৌঁছালে ব্রীজের পাশে ময়লার বিশাল স্তূপ দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, কিছু দিন আগে এখানে পরিষ্কার করা হয়েছিলো। স্থানীয়রাই এখানে আবার ময়লার ভাগাড় তৈরী করেছে। এটা দায়িত্ব জ্ঞান হীনতার কদর্য চিত্র। আগামীকালই এগুলো পরিচ্ছন্ন বিভাগ পরিষ্কার করে দেবে। এরপর যদি আবার ময়লার স্তূপ দেখি তা স্থানীয়দের দিয়ে পরিষ্কার করা হবে।

    তিনি এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে চাক্তাই স্কুলের মাঠটিকে খেলার উপযোগী করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। এ ছাড়া ওয়াসার পানি সরবরাহের মূল লাইন থেকে বাকলিয়ার যে অংশ সংযোগ লাইন চাইছে তাদেরকে সংযোগ দেয়ার অনুমতি দিলে স্বেচ্ছাশ্রমে এলাকাবাসী সংযোগ লাইনের কাঁটা অংশ ঠিক করে দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাতে সাড়া দেয়ার জন্য ওয়াসা কর্র্তপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

    সে সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আলম মিয়া, শাহিন আক্তার রোজি, ডাক্তার অঞ্জন কুমার দাশ, শফিউল আজম বাহার, মো. জানে আলম, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

  • প্রকৃত হকারদের স্বার্থ সুরক্ষায় আমি পাশে আছি : সুজন

    প্রকৃত হকারদের স্বার্থ সুরক্ষায় আমি পাশে আছি : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, কর প্রদানকারী নগরবাসী আমার কাছে নমস্য। তাদেরকে আমি সম্মান করি। চট্টগ্রাম নগরী বার আউলিয়ার পূণ্য ভূমি। মাস্টার দা সূর্যসেন, জহুর আহম্মদ চৌধুরী, এম এ আজিজ, মহিউদ্দীন চৌধুরীর প্রিয় এই শহর। আমাদের এই প্রিয় নগরকে হকার নেতার নামে গুটিকয়েক চাঁদাবাজের কাছে জিম্মি হতে দিবো না।

    আমি খোদার কসম করে বলতে পারি আমার দল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন হকারদের কাছ থেকে কোন চাঁদা নেন না। যেসব হকার নেতার নামে চাঁদা নেয়া হয়, তা দেয়া বন্ধ করে দিন। দেখি ওরা কারা! যদি কেউ হকার নেতা সেজে চাঁদাবাজি করে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে। আমি যতদিন দায়িত্বে আছি ততদিন নগরীতে কোন দুর্ভোগ হতে দিবনা। প্রাণপন দিয়ে হকার নেতারূপী চাঁদাবাজদের প্রতিহত করবো। প্রকৃত হকারদের স্বার্থ সুরক্ষায় আমি পাশে আছি।

    তিনি আজ মঙ্গলবার সকালে নগরীর স্টেশন রোডস্থ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব সার্কেল-৪ আয়োজিত স্পট হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক। প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলমের সভাপতিত্বে ও উপ-কর কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কর কর্মকর্তা (কর) মো.সারেক উল্লাহ, কর কর্মকর্তা (লাইসেন্স) মো.নাছির উদ্দিন চৌধুরী, মো.রমিজুল হক চৌধুরী, রতন ভট্টাচার্য্য, ক্রোকী কর্মকর্তা বাবু বিনয় ভুষন আচার্য্য।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, হকাররা নগরীতে প্রতিদিন বেলা ৩ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অস্থায়ী চৌকি বসিয়ে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। এই সময়সীমার আগে কোনভাবেই সড়ক-ফুটপাত দখল করে নগরবাসীর চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি করে ব্যবসা করা যাবে না। যেসব হকার আমার এই প্রস্তাব মানবে তাদের আমি নির্বিগ্নে ব্যবসা পরিচালনার স্বার্থে কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পোশাক ও পরিচয়পত্র দিব। তবে প্রত্যেকের পরিচয়পত্র স্ব-স্ব হকারের হাতে দেয়া হবে। তবে নেতারূপী কোন চাঁদাবাজের হাতে তা দেয়া হবেনা। এসব হকাররা যদি কোন হয়রানির শিকার হন প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়াবো।

    তিনি বলেন, আমাদের দল এখন ক্ষমতায় আছে বলে যে কেউ মুজিবকোর্ট পরে নেতা সেজে চাঁদাবাজি করবে তা হতে দিবো না।

    প্রশাসক বলেন, আগে নগরবাসী অভিযোগ করতেন কর আদায়কারীরা পৌর কর নিতে বাসায় যান না। তাই ভোগান্তি কমাতে স্পটে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় ও ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুর ব্যবস্থা করা হলো। ডিসেম্বর মাসজুড়ে সারচার্জ ছাড়া কর ও ট্রেড লাইসেন্স দেয়া যাবে। জানুয়ারি থেকে বকেয়া আদায়ে জরিমানাসহ আইনি সব ব্যবস্থা নিব। প্রয়োজনে যেসব নগরবাসী কর দিবেন না তাদের নাগরিকসেবাও বন্ধ করে দেয়া হবে।

    তিনি যেসব ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্স নাই তাদের দ্রুত তা নিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ব্যবসার প্রথম স্বীকৃতি হলো ট্রেড লাইসেন্স। কজেই তা নিয়ে নিন।

    পরে কর প্রদানকারী ও ট্রেড লাইসেন্স নেয়া কয়েকজন গ্রাহককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রশাসক।

    আজ কর-প্রদানকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রাহক হলো মোটেল সৈকত, আম্বিয়া গ্রুপ, রোকসানা বেগম, মুস্তাফিজুর রহমান,শামসুল ইসলাম। তবে প্রথম দিনে আদায় করা হয়েছে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা।

  • শ্রমজীবী মানুষের নিরাপত্তা বিধানে কাজ করছে সরকার-সুজন

    শ্রমজীবী মানুষের নিরাপত্তা বিধানে কাজ করছে সরকার-সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, সরকার দেশের শ্রমজীবী জনগোষ্টীর পেশাগত স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা বিধান সহ দেশের প্রচলিত শ্রম আইন এবং শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর। সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। মলিক-কর্তৃপক্ষ ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারীদেরও যথাযথ দায়িত্ব নিয়ে শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে-বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

    খোরশেদ আলম সুজন এদেশের ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের অতীতের গৌরবোজ্জ্বল ভুমিকার কথা স্মরণ করে তরুণ প্রজন্মকে ট্রেড ইউনিয়ন কর্মকান্ডে এগিয়ে আনতে প্রবীনদের আহবান জানান।

    তিনি আজ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিল্স আয়োজিত ২-দিনব্যাপী ”পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা মেলা/উপকরণ প্রর্দশনী-২০২০”-এর সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।

    অনলাইনে মেলাটির উদ্ভোধন করেন বিলস-এর মহাসচিব শ্রমিক নেতা নজরুল ইসলাম খান, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিল্স-সহযোগি ডিজিবি-বিডব্লিউ-র এশিয়া কনসালটেন্ট ড. ইন্দিরা গার্টেনবার্গ।

    বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিল্স-এলআরএসসি-র চেয়ারম্যান এ এম নাজিমউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনী সভায় ও বিভিন্ন কর্ম-অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন বিল্স এলআরএসসি-র পরিচালনা কমিটির সদস্য ও জেলা টিইউসি সভাপতি শ্রমিক নেতা তপন দত্ত, জাতীয় শ্রমিক লীগের শফি বাঙালী, বাংলাদেশ মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের মো. নুরুল আবছার, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের শেখ নুরুল্লাহ বাহার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ও শ্রম-উস্যুতে গবেষক ড. মুহাম্মদ শাহীন চৌধুরী, বিল্স-এর সিনিয়র কর্মকর্তা পাহাড়ী ভট্টাচার্য, রিজওয়ানুর রহমান খান, এ্যসিসটেন্ট প্রোগ্রাম অফিসার ফজলুল করিম মিন্টু, মহিলা শ্রমিক দল সভানেত্রী শাহেনেওয়াজ চৌধুরী, শ্রমিকনেতা উজ্জ্বল বিশ্বাস, আব্দুর রহিম, তামান্না বিনতে আজাদ, এ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন, জুবিদুন্নাহার জুলি প্রমুখ।

    মেলায় ২দিন ২টি বিষয়ভিত্তিক ধারণাপত্র উপস্থাাপিত হয় এবং ট্রেড ইউনিযন নেতৃবৃন্দ তার ওপর আলোচনায় অংশ নেন। মেলায় ১৮টি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও, ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন স্ব স্ব স্টলে শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ওপর নানা উপকরণ এবং প্রকাশনা তুলে ধরে।

  • প.বাকলিয়ায় ঝটিকা পরিদর্শনে চসিক প্রশাসক; মশক নিধনে অভিযান,অলি-গলিতে ওষুধ স্প্রে

    প.বাকলিয়ায় ঝটিকা পরিদর্শনে চসিক প্রশাসক; মশক নিধনে অভিযান,অলি-গলিতে ওষুধ স্প্রে

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আজ রোববার বিকেলে ১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড ঝটিকা পরিদর্শনে যান।

    তিনি নগরীর দেওয়ান বাজার দিদার মার্কেট এলাকা দিয়ে হেঁটে মৌসুমী আবাসিক হয়ে ডিসি রোড মিয়ার বাপের মসজিদ এলাকা হয়ে চকবাজার ধুনির পোল পর্যন্ত ওয়ার্ডের রাস্তা ঘাট-নালা নর্দমার বিদ্যমান অবস্থা প্রত্যক্ষ করেন।

    প্রশাসক দেওয়ান বাজার সিএন্ডবি কলোনী ব্রিজের পাশে চাক্তাই খালে ময়লা আবর্জনা দেখে দুঃখ প্রকাশ করেন। পরিদর্শনকালে তিনি এলাকার মানুষজনের মাঝে করোনা সচেতনতায় সাবান-মাস্ক বিতরণ ও পশ্চিম বাকলিয়া ডিসি রোডের অলি-গলি, নালা, খাল এবং বাসা-বাড়িতে এডাল্টিসাইট (মশার লার্ভা ধ্বংশে) কালো তেলসহ ফগার মেশিনের সাহায্যে মশার ওষুধ ছিটান।

    মশার ওষুধ ছিটানোকালে প্রশাসক বলেন, প্রত্যেক ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের তাদের নিজ এলাকা ও বাসস্থানের আশপাশ পরিস্কার রাখতে হবে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কাজে শুধুমাত্র কর্পোরেশনের ওপর নির্ভর করলে হবে না। নগরবাসীরও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় নাগরিক দায়িত্ব রয়েছে।

    তিনি এলাকার বাসিন্দাদের ময়লা-আবর্জনা কর্পোরেশনের সরবরাহ করা বিনে সংরক্ষণের পর তা চসিকের পরিচ্ছন্ন সেবকদের দিতে বা নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলতে বলেন।

    প্রশাসক করনো মহামারি ও মশার প্রজনন ধ্বংসে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, অপনারা নিজেরা পরিস্কার থাকুন, আপনাদের আশপাশ পরিস্কার রাখুন। এতে নিজে সুরক্ষিত থাকার পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে। তিনি নগরীকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।

    এসময় ১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শহিদুল আলম, কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রশাসকের সাথে ছিলেন।

    পরে প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন সাবেক সংসদ সদস্য ও সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত এম কফিল উদ্দীনের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিয়ার বাপের মসজিদস্থ মরহুমের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং কবর জিয়ারত করেন।

    পোর্ট কানেক্টিং-ডিটি রোড অবৈধ পার্কিং মুক্ত করলো চসিক

    চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানাধীন পোর্ট কানেক্টিং ও ডবলমুরিং থানাধীন ডিটি রোডসহ ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলীর নেতৃত্বে আজ রোববার সকালে এক অভিযানে এই দুটি রোড ও ফুটপাতে অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করার দায়ে ১৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    অভিযানে কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা সহায়তা করেন।

  • নেপালী রাষ্ট্রদূতকে বাণিজ্য-পর্যটন খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিলেন চসিক প্রশাসক

    নেপালী রাষ্ট্রদূতকে বাণিজ্য-পর্যটন খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিলেন চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সাথে আজ শুক্রবার বিকেলে নগরীর পতেঙ্গা বোর্ড ক্লাবে সৌজন্য স্বাক্ষাত করেছেন নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা.বংশীধর মিশ্র।

    স্বাক্ষাতকালে প্রশাসক রাষ্ট্রদূতকে উষ্ণ অভ্যর্থনা ও চট্টগ্রাম সফরে আসায় অভিনন্দন জানান।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও নেপাল প্রকৃতিগতভাবে পাহাড়ি এলাকা। এই মিল ছাড়াও এই দুই অঞ্চলের অধিবাসীদের জীবনধারায় অনেক মিল রয়েছে। চট্টগ্রাম নগরী পাহাড়,নদী,সমুদ্রের মেলবন্ধনে গড়ে উঠেছে। প্রশাসক নেপালের সাথে বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশ-নেপালের ব্যবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ও অগ্রগতির স্বার্থে দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য চুক্তির পাশাপাশি নগরীর সৌন্দর্যকে আরো নান্দনিক ছোঁয়ায় সাজিয়ে তুলতে পর্যটনখাতে নেপালী বিনিয়োগের অমন্ত্রণ জানান ডা.বংশীধরকে। এসময় তিনি বিশ্বব্যাপী নেপালের চা শিল্পের যে সুনাম আছে তাঁর প্রশংসাও করেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও নেপালী রাষ্ট্রদূতের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় দুই-দেশ ও চট্টগ্রাম নগরে ব্যবসা বাণিজ্যের কথা উঠে এলে রাষ্ট্রদূত ডা.বংশীধর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে বাংলাদেশ,নেপাল,ভূটানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি হওয়া উচিত বলে মত দেন।

    তাঁর এই মতামতে প্রশাসক সুজন সম্মতি প্রকাশ করে বলেন, সার্কভুক্ত রাষ্ট্রের এই দিন দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সু-সম্পর্ক রয়েছে। এই সর্ম্পকের সূত্র ধরে আগামী দিনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক হাবে পরিণত হতে যাওয়া চট্টগ্রাম নগরে নেপালসহ সার্কভুক্ত রাষ্ট্রগুলো এখানে পর্যটন, কৃষিসহ হাইড্রো-ইলেকট্রিক পাওয়ার খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। আর এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশেনের পক্ষ থেকে থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।

    প্রশাসক চট্টগ্রাম নগরীর ব্যবসা বাণিজ্যের উজ্জ¦ল সম্ভাবনার দিক তুলে ধরে বলেন, এখানে চট্টগ্রাম বন্দরের পাশাপাশি মহেশখালীতে গভীর সমুদ্র বন্দর, পতেঙ্গায় বে টার্মিনাল ও ট্যানেল নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ বা রিজিউনাল কানেক্টিভিটির পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী হবে। এই রিজিউনাল কানেক্টিভিটির ফলে আগামীতে ঘুনধুম হয়ে মিয়ানমার পর্যন্ত রেললইন সম্প্রসারিত হলে সার্কভুক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও বিশ্বব্যাপী একটি মাইলফলক সৃষ্টি করবে।

    তিনি চট্টগ্রাম নগরীকে শিক্ষাবান্ধব উল্লেখ করে এখানে অধ্যয়রত নেপালী শিক্ষার্থীরা সাশ্রয়ী খরচে তাদের পড়াশোনার মাধ্যমে তােদর শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারে বলে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। আগামীতেও নেপালী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার জন্য চট্টগ্রামে আসবেন এটা প্রত্যাশ করেন প্রশাসক।

    এসময় নেপালী কৃষি সামগ্রী কোম্পানীর নেত্রা বাহাাদুর বুলন্দর,কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কাঞ্চন রাজ পান্ডে ও বিশোন প্রাসাদ, বাংলাদেশস্থ নেপালী রাষ্ট্রদূতের সচিব রিয়া সেটরী, দক্ষিণ আফ্রিকার অনারারী কনস্যুল মো.সোলায়মান আলাম শেঠ, চিটাগাং চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ ও প্রফেসর আবেদ আলী উপস্থিত ছিলেন।

  • নগরীর পরিবেশ দূষণ রোধে পরিবেশের হস্তক্ষেপ চাইলেন সুজন

    নগরীর পরিবেশ দূষণ রোধে পরিবেশের হস্তক্ষেপ চাইলেন সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন চট্টগ্রাম নগরীর পরিবেশ সুরক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

    তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালকের কাছে নগরীর পরিবেশ সংরক্ষণে জোরদার কার্যক্রম চালাতে পত্র প্রেরণ করেছেন।

    পত্রে প্রশাসক নগরীতে ক্রমাগত পুকুর জলাশয় ভারট হওয়া, ফিটনেসবিহীন গাড়ী চলাচল ও এর কালো ধোঁয়া নির্গতের মাধ্যমে বায়ু দূষণ আবাসিক এলাকায় ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প-কারখানা ও কন্টেইনার ইয়ার্ড গড়ে উঠা শিল্প কারখানাগুলোর ইটিপি না থাকা, থাকলেও তা ব্যবহার বন্ধ রাখায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

    তিনি বলেন, ৬০ লাখ অধিবাসীর অধ্যুষিত চট্টগ্রাম নগরী বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী ও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম গুরুত্বপূর্ণ শহর। অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে এই নগরীর পরিবেশ এখন বিপর্যয়ের মুখে। নগরীতে এখন কেউ কোন কিছুর তোয়াক্কা করছেনা। ইচ্ছামত পুকুর জলাশয় ভরাটের পাশাপাশি, ফিটনেস বিহীন গাড়ীর কালো ধোঁয়ায় দুর্ঘটনার পাশাপাশি জনবীজন আজ হুমকির মুখে। অপরদিকে শিল্প-কারখানার অপরিশোধিত বর্জ্যরে কারণে নদী-খাল এখন দূষণের কবলে। ফলে জীব বৈচিত্র ধ্বংস ও ক্রমাগত মাছের উৎপাদন কমছে। এতে পাহাড়-নদী-সমুদ্রে ঘেরা এই চট্টগ্রাম নগরীর অধিবাসীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি জীবিকা হারিয়ে উদ্বাস্ততে পরিণত হচ্ছে। এমতাবস্থায় চট্টগ্রাম নগরীকে পরিচ্ছন্ন মানবিক শহরে পরিণত করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের জরুরী ভিত্তিতে জোর দার কার্যক্রম চালানো উচিত বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

    প্রশাসক এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর কোন পদক্ষেপ নেয়া হলে কর্পোরেশন থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলে জানান।

    জলবায়ু পরিবর্তনজনীত ঝুঁকি মোকাবেলায়
    যথাযথ গবেষণা চাই: সুজন
    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে চট্টগ্রম নগরীর উপকুলীয় এলাকার বসবাসকারীদের জীবনযাত্রায় ঝুঁকি বাড়ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে একদিকে যেমন নগরীর নিম্নাঞ্চল জোয়ারের সময় প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি খালগুলোতে লবণাক্ত পানি ঢুকে যাচ্ছে। ফলে কৃষিখাতও হুমকির মুখে পড়েছে। তাই এই ঝুঁকি মোকাবেলায় যথাযথ গবেষণার প্রয়োজন।

    তিনি আজ বৃহস্পতিবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্যা চিলড্রেন এর একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাত করতে এলে একথা বলেন।

    এসময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, অতিরিক্তি প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, সেভ দ্যা চিলড্রেন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বদানকারী দলনেতা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিয়াজ আহাম্মেদ খান, ড. এমদাদুল ইসলাম, ড. আমীর মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ও ড. খারেজ সাইফুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

    জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উপকূলীয় শহর অঞ্চল হিসেবে চট্টগ্রাম নগরীর উপর পরিচালিত ঈঙজঠও একটি গবেষণার উদ্যোগ নিয়েছে। এই গবেষণা প্রকল্পটি জাপানি প্রতিষ্ঠান ওসান পলিসি রিচার্চ ইন্সটিটিউট ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, ভূ-রাজনৈতিক অবস্থার চট্টগ্রাম একটি গুরুপূর্ণ এলাকা। এ অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন। তিনি প্রকল্পের গবেষণা কার্যক্রম সফলভাবে চালিয়ে যেতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশেনর পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তা করা হবে জানিয়ে বলেন, উপকূলীয় শহরের জন্য জলবায়ু এবং সমুদ্রের ঝুঁকি একিভূত মূল্যায়ন প্রয়োজন।

    তিনি বলেন, আর্থিক এবং রাজনৈতিক ঝুঁকি পরিমাপ করতে অভিজ্ঞতা ও বিশেষজ্ঞ জরিপের তথ্যকে একত্রিত করতে হবে। তবেই নীতিনির্ধারকরা তাদের শহরের জন্য টেকসই নগর পরিকল্পনা বিকাশে সহায়ক কর্মসূচি হাতে নিতে পারবে।