Tag: চসিক প্রশাসক

  • আমি চাই নগরীর ৬০লাখ অধিবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা: চসিক প্রশাসক

    আমি চাই নগরীর ৬০লাখ অধিবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা: চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষায় জনসাধারণকে সচেতন করতে মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে নগরীর পাঁচ পয়েন্টে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর্মী, চট্টগ্রাম সিটি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) কর্ণফুলী রেজিমেন্ট’র সমন্বয়ে চেকপোস্ট বসিয়েছেন।

    আজ বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে নগরীর সিমেন্ট ক্রসিং, সিটি গেইট, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, অক্সিজেন মোড়, শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন মোড়ে এ লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশন, রেড ক্রিসেন্ট ও বিএনসিসির একটি যৌথ টীম মাঠে নেমেছে। অপর একটি টীম কাজ করছে নগরীর শপিংমল, কাঁচা বাজারগুলোতে।

    মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে সিটি কর্পোরেশনের নেয়া কার্যক্রমের তদারক করতে আজ বুধবার সকাল ৮টায় প্রথমে নগরীর সিটি গেইট, অক্সিজেন মোড় ও শাহ আমানত ব্রিজ এলাকা প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন সরেজমিন পরিদর্শন করেন।

    পরিদর্শনকালে তিনি সিটি গেইটে আন্তঃজেলা, অক্সিজেন মোড়ে চট্টগ্রাম উত্তর ও শাহ আমানত সেতু এলাকায় দক্ষিণ জেলা থেকে শহরে ঢুকা বেশকিছু দূরপাল্লার বাস, ট্রাক, লরি থামিয়ে চালক-হেলপার ও যাত্রীগণ মাস্ক পরিধান করছেন কিনা তা তল্লাশি চালান।

    এসময় তিনি যারা মাস্ক পরিধান করেনি তাদের শহরে ঢুকতে না দিয়ে বুঝিয়ে নিজ বাসস্থানে ফেরত পাঠান । সে সময় রেড ক্রিসেন্ট ও বিএনসিসির কর্মীগণ জনসাধারণকে মাস্ক পরিধান করতে মাইকিং এর পাশাপাশি হ্যান্ডবিল, প্রচারপত্র বিলি করে।

    পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, করোনা মোকাবেলায় আমাদের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো মানুষকে সচেতন করা। একমাত্র সচেতনতায় পারে এই সংক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করতে। কোভিড-১৯’র দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে চট্টগ্রাম শহরেও সংক্রমণ মারত্মকভাবে বেড়েছে। নগরীর স্বনামধণ্য অনেক ব্যক্তি এতে আক্রান্ত হয়েছে। পত্রিকা-গণমাধ্যম মারফত আমরা সংক্রমণ ও মৃত্যুর যে পরিসংখ্যান দেখছি তা দিয়ে সঠিকতা নির্ণয় করলে হবে না। অনেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করলেও সামাজিকভাবে তা চেপে রাখেন। কারণ এতে মৃত্যুবরণ করলে আত্মীয়-পরিজন সমাজের লোকেরা জানাযা ও দাফন কাফনে অংশ নিতে চান না। এটা আরেক সামাজিক বিড়ম্বনা। অথচ চিকিৎসকদের মতে মৃত্যুর পরে কোন লাশে করোনার কোন জীবানু থাকেন। কাজেই এর মাধ্যমে করনোয় সংক্রমিত হওয়ার সুযোগ তেমন নাই বললেই চলে। বরং জানাযা বা জমায়েতে উপসর্গ আছে এরকম যেকোন উপস্থিত ব্যক্তি থেকে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই ভ্যাকসিন বা টীকা না আসা পর্যন্ত আমাদের স্বাস্থবিধি মেনে মাস্ক পরিধান করে, বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কোন বিকল্প নেই । জনসাধারণকে মনে রাখতে হবে এখন পর্যন্ত মাস্কই টীকা। কোনভাবেই মাস্ক পকেটে, থুতনিতে রাখা যাবে না। যথা নিয়েমে নাক মুখ ঢেকে তা পরিধান করতে হবে।

    প্রশাসক বলেন, আমি চাই আমার প্রিয় প্রাণের চট্টগ্রাম নগরীর ৬০লাখ অধিবাসী স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকুক। আমার এই কঠোরতা নগরবাসীর ভুল বুঝার কোন অবকাশ নাই। দেশের স্বার্থে নগরবাসী আমাকে ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশেনকে সহযোগীতা করবে এটাই আমার প্রত্যাশা।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন মাস্ক পরা মানে ৮০ ভাগ নিরাপদ। তিনি বলেন, বর্তমানে সংক্রমন যেভাবে বাড়ছে, তাতে লকডাউন দেয়ার পরিস্থতি বিরাজ করছে। কিন্তু দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হলে এটা সম্ভব না। তাই সচেতন হয়ে আমাদের এই দুর্যোগ কাটাতে হবে।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আলী, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) কর্ণফুলী রেজিমেন্টের কমান্ডার মেজর এ কে এম শামসুদ্দিন, সার্জেন্ট বশীর হেলাল, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার, চসিকের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী, রেড ক্রিসেন্টের সব্যসাচী দেবনাথ, রাহাত ইসলাম, তমা দেব নাথ প্রমুখ।

  • সংবাদ প্রকাশের জের: ধূলোয় ধূসর ‘রূপালী গীটার’ দেখতে গেলেন প্রশাসক

    সংবাদ প্রকাশের জের: ধূলোয় ধূসর ‘রূপালী গীটার’ দেখতে গেলেন প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন আজ মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশে “ধূলোয় ধূসর রূপালী গীটার” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের জেরে আজ মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকা পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনকালে তিনি রূপালী গীটার স্থাপনের স্থান প্রবর্তক মোড়ের গোল চত্ত্বরে কর্পোরেশনের সৌন্দর্য্য বর্ধন কার্যক্রমের আওতায় করা বাগানের অবস্থা প্রত্যক্ষ করেন।

    এসময় তিনি নগরবাসীর চলাচলের এই ব্যস্ততম সড়কের বর্তমান অবস্থা প্রত্যক্ষ করে বলেন, এই সড়ক সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে। যে কারণে সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এই মোড়ের নীচু ব্রিজটি ভেঙ্গে উচুঁ ও নতুন করে আবার তৈরি করেছে। সড়কের কাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। খোয়া ম্যাকাডম ফেলে রোলার দিয়ে সমান করা হয়েছে। কার্পেটিংয়ের পর এই সড়কে আর ধূলোবালি থাকবেনা।

    প্রশাসক নগরীতে সৌন্দর্য্যবর্ধনে যেসব কাজ করা হয়েছে ও চলমান আছে তা কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত তদারকি ও দেখভাল করার পাশা পাশি রাস্তার মিড আইল্যান্ড ও যেসব স্থানে সৌন্দর্য্যবর্ধনে ফুল গাছ লাগানো হয়েছে সেখানে প্রতিদিন পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে চসিকের নগর পরিকল্পনা শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মাকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।

    তিনি বলেন সৌন্দর্য্যবর্ধনে শুধু বিভিন্ন প্রজাতীর ফুল গাছ, পাতাবাহার গাছ লাগালেই হবে না। পরিচর্যা, নিয়মিত পানি দিয়ে এসব গাছের সৌন্দর্য্য যাতে দর্শনার্থী ও নগরবাসী উপভোগ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

  • করোনায় মাস্ক না পড়লে সেবা নাই,নগরীতে নজরদারি বাড়াচ্ছে চসিক

    করোনায় মাস্ক না পড়লে সেবা নাই,নগরীতে নজরদারি বাড়াচ্ছে চসিক

    করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা থেকে প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে বের হলে জনসাধারণের মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে মাঠে নামছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

    কর্পোরেশনকে এই কাজে সহযোগীতা করবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চট্টগ্রাাম সিটি ইউনিট ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি)’র কর্ণফুলী রেজিমেন্টের সদস্যরা।

    আজ সোমবার সকালে চসিকের টাইগারপাস অস্থায়ী অফিসে প্রশাসকের দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

    বুধবার থেকে নগরীর পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে জনসচেতনতায় ব্যানার লাগানো, নগরজুড়ে মাইকিং, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্বলিত প্রচার পত্র বিলি করা হবে। যে পাঁচ পয়েন্টে প্রচার প্রচারণা চালানো হবে সেসব স্থান হলো সিমেন্ট ক্রসিং অক্সিজেন, সিটি গেইট, কাপ্তাই রাস্তার মাথা,অক্সিজেন মোড়, শাহ আমানত সেতুসংলগ্ন এলাকা।

    দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নগরীতে প্রচার প্রচারণায় নগরবাসীকে সচেতন করতে বিভিন্ন কর্মাসূচি হাতে নিয়েছে কর্পোরেশন। একটি গ্রুপ কোন ব্যক্তি মাস্ক পরিধান না করে যাতে নগরে ঢুকতে তাদের ফিরিয়ে দিবে। অপর গ্রুপ জনবহুল এলাকা যেমন বাজার শপিংমলে আসা ক্রেতা সাধাারণের মাঝে প্রচারপত্র বিলির পাশাপাশি মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে ব্যবস্থা নিবে। সভায় প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন উপস্থিত ছিলেন।

    এত অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. আলী, প্রশাসকের একান্ত সচিব আবুল হাসেম, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) কর্ণফুলী রেজিমেন্টের কমান্ডার মেজর এ কে এম শামসুদ্দিন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার।

    সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন , করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর কারণে দেশে সংক্রমন ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। এই মহামারির মধ্যে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হবে। টীকা না আসা পর্যন্ত তাই প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে বের হলে মাস্ক পরিধান করে সুরক্ষা নিয়ে চলাফেরার বিকল্প কোন পথ নাই।

    তিনি বলেন নগরবাসীর প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা অবশ্যই বাইরে বের হলে মাস্ক পরিধান করবেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কোন ব্যক্তি মাস্ক পরিধান না করলে তাকে সেবা প্রদান করবেনা। কর্পোরেশন করোনাকালে নো মাস্ক, নো সার্ভিস সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে নাগরিকসেবার কাজ পরিচালনা করবে।

  • পাথরঘাটা, ফিরিঙ্গী বাজার-আলকরনে মশক নিধনে বাড়ি বাড়ি অভিযান সুজনের

    পাথরঘাটা, ফিরিঙ্গী বাজার-আলকরনে মশক নিধনে বাড়ি বাড়ি অভিযান সুজনের

    চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন নগরবাসীকে মশার বংশবিস্তার রোধে নিজ নিজ বাড়ি বাসস্থানের আঙ্গিণা, আশ-পাশ পরিষ্কার রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, শুষ্ক মৌসুমে মশার উৎপাত বাড়ে। তাই এই সময় আশ-পাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা হলো ঈমানের অঙ্গ। নগরবাসীর প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা নিজেরা পরিষ্কার থাকুন, আপনাদের আশ-পাশ পরিষ্কার রাখুন। আর যারা ছাদ বাগান করেছেন তাদেরকে ডেঙ্গমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে নিয়মিত ছাদ বাগান পরিস্কার রাখার আহবান জানান।

    তিনি বলেন এ নগরী আপনার আমার সকলের। এ নগরী পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের সকলের নাগরিক দায়িত্ব। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন যথাসাধ্য আপনাদের পাশে থাকবে।

    প্রশাসক আজ রোববার বিকেলে নগরীর ৩৪নং পাথরঘাটা, ৩৩নং ফিরিঙ্গিবাজার এবং ৩১নং আলকরণ ওয়ার্ডে মশক নিধনে মশার ওষুধ ছিটানোকালে এসব কথা বলেন।

    এ সময় প্রশাসক পাথরঘাটা গীর্জার মোড় থেকে হেঁটে নালার পানি চলাচল, নালার নির্মাণ কাজ পরিদর্শনের পর ফিরিঙ্গী বাজার বংশাল রোড হয়ে আলকরন পর্যন্ত বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ফগার মেশিনের সাহায্যে মশার ওষুধ স্প্রে ও লার্ভা ধ্বংসে ঘরের আঙিনায় এবং নালায় এডালটিসাইট স্প্রে করেন। পরিচ্ছন্ন বিভাগের প্রায় ৫০ জন সেবক ও কর্মী এ সময় ওষুধ ছিটানোর কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

    সে সময় পাথরঘাটা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী পুলক খাস্তগীর, ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, ফরহান আহমেদ, আলকরন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রাার্থী আব্দুস সালাম মাসুম, মাইনুল হক লিমন, মো. নাছির উদ্দিন, কামরুল ইসলাম, মো. সাইফুল, জানে আলম, সোলেমান সুমন, নুর আহম্মদ, ফরমান উল্লাহ, মহিউদ্দিন রনি, নিয়াজ উদ্দিন, ফরহাদ আনোয়ার তপু, মনিরুল হক মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    পাথরঘাটা, ফিরিঙ্গী বাজার এবং আলকরন ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে প্রশাসক সুজন নগরবাসীকে আরো বলেন, বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির কারণে প্রতিদিন অকালে মানুষ মারা যাচ্ছে। তাই অবশ্যই স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলবেন। তিনি সে সময় যাত্রাপথে নগরবাসীর মাঝে করোনা সচেতনায় মাস্ক ও সাবান বিতরণ করেন।

    প্রশাসক সুজন নগরবাসীকে সুরক্ষা নিয়ে মাস্ক পরিধান করে চলাচলের আহ্বান জানান। তিনি ফিরিঙ্গী বাজারের বংশাল রোডের নালার বিদ্যমান অবস্থা প্রত্যক্ষ করেন। এ সময় এলাকাবাসী নালার উপর স্থাপিত ওয়াসার পাইপের কারনে পানি চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে বলে প্রশাসককে অবহিত করলে তিনি ওয়াসার সাথে আলাপ করে পাইপ সরিয়ে পানির গতি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার আশ্বাস প্রদান করেন।

  • খাল-নালা-নর্দমা ডাস্টবিন নয়: চসিক প্রশাসক

    খাল-নালা-নর্দমা ডাস্টবিন নয়: চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন চারদিন আগে পূর্ব বাকলিয়া সিটি কর্পোরশেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভায় যাওয়ার পথে ওই এলাকার বির্জাখালে আবর্জনার স্তুপ ও কচুরিপানা দেখতে পেয়ে তা পরিস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

    আজ শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে এই এলাকায় গিয়ে কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মী ও সেবকদের নিয়ে খালের ময়লা আবর্জনা, কচুরিপানা পরিস্কার নেমে পড়েন তিনি।

    এসময় স্থনীয় অধিবাসীদের মধ্যে মো. মুছা সওদাগর, কফিল উদ্দীন, সফিউল আজম বাহার, চেিসকের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান আহমেদ ইমু, স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা নাঈম রনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রশাসক বাকের আলী বলির বাড়ির সম্মুখ থেকে খালের ময়লা আবর্জনা পরস্কিার কার্যক্রম শুরু করেন।

    খালের আবর্জনা পরিস্কার কার্যক্রম চলাকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, খাল-নালা হলো পানি চলাচলের পথ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে, নগরবাসীদের একটি অংশ অসেচতনভাবে খালে-নালায় ময়লা আবর্জনা ফেলছে। পূর্ব বাকলিয়া বির্জাখালেও দেখা গেল গৃহস্থালী বর্জ্য, পঁচা পেয়াজ, ছেড়া টেবিল ক্লথ, পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য। এই খাল এখন কচুরিপানা, ময়লা আবর্জনায় ও মশার প্রজনন আখড়ায় পরিনত হয়েছ। একদিকে করোনা মাহামারীর সংক্রমণ বেড়েছে। অপরদিকে যদি মশার উৎপাত ও কামড়ে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। তাই নগরবাসীর প্রতি আমার আহ্বান থাকবে আপনাদের চারপাশ, বাড়ির অঙ্গিনা, পুকুর জলাশয় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। খাল-নালা ডাস্টবিন নয়। এখানে গৃহস্থালী বর্জ্যসহ কোন প্রকার ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না। যদি ফেলেন তাতে আপনাদের পরিবেশের ক্ষতি ও রোগ বালাইয়ে আপনাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।

    তিনি আরো বলেন, এখন করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ চলছে, কাজেই প্রয়োজনীয় কাজে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করবেন। কারণ কোভিড-১৯ ছোঁয়াছে। নিজে সুরক্ষা নিয়ে চলাচল না করলে এতে পরিবার ও প্রতিবেশীরাও আক্রান্ত হতে পারে। তাই সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। প্রশাসক বলেন আমরা ইতোপূর্বে ইছহাকের পোলের পাশে খাল পরিস্কার করেছি। আজ এই বির্জা খাল পরিস্কার শুরু করলাম।এলাকাবাসীকেও সচেতন হতে হবে। এরপর যদি কোন ময়লা আবর্জনা খাল-নালায় ফেলা হয় তাহলে আশপাশের বাসিন্দাদের জরিমানা করা হবে।

    আবর্জনা পরিস্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে প্রশাসক এলাকা হেঁটে ঘুরে দেখেন এবং গরীব অসচ্ছল মানুষের মাঝে করোনা সচেতনতায় মাস্ক ও সাবান বিতরণ করেন। পরে করোনা থেকে দেশের মানুষের সুরক্ষায় তিনি বিশেষ মুনাজাতও করেন।

    রাজাখালী ব্রিজের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন: এদিকে পূর্ব বাকলিয়া থেকে ফেরার পথে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে চলামান নগরীর বাকলিয়ায় রাজাখালী ব্রিজের উন্নয়ন কাজ পরির্দশন করেন।

    সিটি কর্পোরেশনরে প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায় এই ব্রিজ নির্মাণে অর্থায়ন করেছে জাইকা। ব্রিজটি নতুনভাবে নির্মাণে প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

  • হাট-বাজার ইজারার বকেয়া দ্রুত পরিশোধ করুণ: চসিক প্রশাসক

    হাট-বাজার ইজারার বকেয়া দ্রুত পরিশোধ করুণ: চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন হাট-বাজার ইজারাদারদের ইজারার বকেয়া টাকা দ্রুত পরিশোধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    কর্পোরেশনের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও সড়ক আলোকায়নের মত নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত অর্থের প্রয়োজন। নগরীতে জনসংখ্যার চাপ ও নাগরিক সেবার পরিধি বাড়লেও কর্পোরেশনের অর্থসংস্থান বাড়েনি। কর্পোরেশনের আয়ের মূল উৎস হলো পৌরকর। পাশাপাশি সরকারি বরাদ্দের যে টাকা পাওয়া যায়, তা অপ্রতুল বলা যায়। তাই নগরীকে পরিচ্ছন্ন, মানবিক ও পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তুলতে সব মহলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

    তিনি আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে (৩ ডিসেম্বর) টাইগারপাসস্থ চসিক কনফারেন্স হলে হাট-বাজার ইজারাদারদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

    মতবিনিময়কালে হাট-বাজার ইজারাদাররা তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা প্রশাসকের কাছে উপস্থাপন করেন। এ সময় তারা নগরীর ১২ নম্বর ও অভয়মিত্র ঘাট চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিচ্ছে বলে প্রশাসককে অভিযোগ জানালে, তিনি তা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে প্রকৃত অবসন্থা জেনে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে পুরো দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা খারপ হয়ে পড়ে। কর্পোরেশনেও এ কারণে আর্থিক সংকট তৈরি হয়েছে।

    তিনি হাট-বাজার ইজারাদারদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনারা ব্যবসায়ী হিসেবে সরকারি প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু কর্পোরেশন তেমন কোন সুবিধা না পেলেও কোন নাগরিক সেবা প্রদান বন্ধ করেনি। ফলে আর্থিক ব্যয় তো থেমে নেই। প্রধান নির্বাহী বলেন, হাট-বাজার ইজারা ও পরিচালনার একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আছে। অতীতে যেমন ১৪২৬ বঙ্গাব্দের হাট-বাজার ইজারার ক্ষেত্রে তা অনুসরণ করা হয়নি। এই আর্থিক বছরের হাট-বাজারের ইজারার এখনো টাকা অনেক বকেয়া। আবার অনেক ইজারাদার ইজারার টাকা দিচ্ছেন কিস্তিতে, তাও বকেয়া আছে।

    এ সময় ইজারাদারদের অনেকে তাদের ইজারা নেয়া ঘাট হাট-বাজার সংস্কারের জন্য প্রশাসককে অনুরোধ করলে, এর জবাবে প্রশাসক বলেন, আপনারা আপনাদের কাছে কর্পোরেশনের যে পাওনা আছে তা পরিশোধ করুন। আমারও ইজারাকৃত হাট-বাজার আপনাদের টাকায় সংস্কার করে দেব।

    প্রশাসক ইজারারদের ইজারার ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুসরণ করা হবে বলে আশ্বস্থ করে বলেন, এতে আপনাদের আর্থিক ক্ষতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। এ ব্যাপারে সব সময় আমি আপনাদের পাশে থাকবো।

  • ঠিকাদারদের বিল পরিশোধ করতে বিলম্ব হলেও উন্নয়ন কাজে যেন প্রতিবন্ধক না হয় : সুজন

    ঠিকাদারদের বিল পরিশোধ করতে বিলম্ব হলেও উন্নয়ন কাজে যেন প্রতিবন্ধক না হয় : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, ঠিকাদারদের বকেয়া পাওনা টাকা পরিশোধ করতে বিলম্ব হলেও উন্নয়ন কাজ যেন প্রতিবন্ধক না হয়, সে ব্যাপারে ঠিকাদারদে আন্তরিক হতে আহ্বান জানান।

    তিনি আজ বুধবার সকালে কর্পোরেশনের পুরনো নগরভবনের প্রশাসকের অস্থায়ী দপ্তরে নগরবাসীর সাথে গণস্বাক্ষাতকার প্রদানকালে একথা উল্লেখ করেন।

    নগরীর মোট ৩০ জন অধীবাসী আজ (২ ডিসেম্বর) প্রশাসকের সাথে স্বাক্ষাত করেন। স্বাক্ষাতপ্রার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল কর্পোরেশনের তালিকাভুক্ত ঠিকাদার। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা, গৃহিনী, চসিকের অবসরে যাওয়া শিক্ষকের সন্তানরাও স্বাক্ষাতপ্রার্থী ছিলেন।

    এদের মধ্যে এক মুক্তিযোদ্ধা পৌরকর প্রদানের ক্ষেত্রে ছাড়ের জন্য প্রশাসকের নিকট আবেদন করলে, তিনি নিজ বাসগৃহ ভাড়া দেয়া না হলে সেক্ষেত্রে ন্যূনতম সার্ভিস চার্জ দেয়া লাগবে বলে তাদের জানান। ২৪নং ওয়ার্ডের পদ্মা আবাসিক এলাকার রাস্তা উঁচুকরণে এলাকার দুই অধিবাসী স্বাক্ষাত করে আবেদন দিলে তিনি তাৎক্ষণিক তা ব্যবস্থা নিতে প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে ব্যবস্থা নিতে লিখে দেন। এছাড়াও ঢাকা ব্যাংক আন্দরকিল্লা শাখার কর্মকর্তাগণ প্রশাসকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে আসেন।

    এ সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন অঞ্চল-৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আখতার, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম উপস্থিত ছিলেন।

  • চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি ঘোষণার বাইরে ফি নিলে ব্যবস্থা : সুজন

    চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি ঘোষণার বাইরে ফি নিলে ব্যবস্থা : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন বলেন, কর্পোরেশন পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরকারি নির্ধারিত টিউশন ফি ও প্রতি মাসের নির্ধারিত বেতনের চেয়ে অতিরিক্ত কোন ফি আদায় করা যাবে না। যদি চসিকের কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারি নির্দেশনার বাইরে জোরপূর্বক কোন ফি আদায় করছে অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে আয় উপার্জন কমে যাওয়ায় কোন অভিভাবকের যদি সন্তানের বেতন দিতে সমস্যা হয়, সে ক্ষেত্রে তা কিস্তিতে পরিশোধ এবং মওকুফের বিশেষ ব্যবস্থা নিবে কর্পোরেশেন। নগরবাসীকে এ নিয়ে কোন অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রশাসক।

    তিনি আজ মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে ১৮নং পূর্ব বাকলিয়া সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রথম গভর্নিং বডির সভায় একথা বলেন।

    করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন তাঁর ‘ক্যারাভান’ কর্মসূচি স্থগিত করে নগরীর প্রতি ওয়ার্ডে জনসমাবেশ এড়িয়ে সুরক্ষা নিয়ে জনসাধারনের সাথে মতবিনিময়ে যাচ্ছেন।
    স্কুল গভর্নিং কমিটি ও ওয়ার্ডের মতবিনিময় সভায় কর্পোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজনীতিক আহমদ ইলিয়াছ, পূর্ব বাকলিয়া সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, স্থানীয় সমাজ সেবক মো.এরশাদ, নাঈম রনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রশাসক পূর্ব বাকলিয়া এলাকার আবদুল লতিফ হাট খোলা ব্রিজের পাশের সড়কের আশ-পাশ হেঁটে পরিদর্শনকালে জনসাধারণের মাঝে করোনা সচেতনতায় মাস্ক ও সাবান বিতরণ করেন।

    এসময় আবদুল লতিফ হাট খোলা ব্রিজের পাশে খালের কচুরিপানা দেখে তা, আগামী শুক্রবার থেকে দ্রুততার সাথে কর্পোরশেনের পরিচ্ছনন্ন কর্মীদের পরিস্কারের নির্দেশ দিয়ে, তিনি ওই দিন এ্ই কার্যক্রম পরিদর্শনে আসবেন বলে জানান।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর অধিবাসীরা সামাজিক অনুষ্ঠানাদির নামে বিয়ে-শাদী, মেজবান, আঁকিকা ইত্যাদি অনুষ্ঠানে জনসমাগম ঘটিয়ে নিজেরা স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি অর্থের অপচয় করেন। আর সন্তানের পড়াশোনার প্রশ্নে স্কুল-কলেজের বেতনের বেলায় ওনাদের অভাব অনটন শুরু হয়ে যায়। একজন সচেতন অভিভাবক হলে, এই মানসিকতা কাম্য হতে পারে না।

    তিনি বলেন, কর্পোরেশনের ১৭ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল এখনো বকেয়া। ঠিকাদাদের পাওনা আছে ৮’শ ৫০ কোটি টাকা। আর এই পূর্ব বাকলিয়া সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাসে খরচ হয় ২ লাখ ৯’শ ৭৪টাকা। এভাবে কর্পোরেশনের শিক্ষাখাতে বছরে ভর্তুকি দেয়া লাগে প্রায় ৪০ কোটি টাকা। কর্পোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারির বেতন খাতে ব্যয় হয় ১৮ কোটি টাকা। কর্পোরেশনের মাসে আয় হলো ১৩ থেকে ১৪ কোটি টাকা। বাকি টাকা আসে কিভাবে! অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এখনো ৩১৪ জনের তালিকা আমার হাতে আছে। যার মধ্যে কিছু কিছু টাকা পরিশোধ করেছি। এর মধ্যে ৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। তারা প্রাপ্য টাকা হাতে পাননি।

    সামগ্রিক এই পরিস্থিতির মধ্যে কর্পোরেশনকে তাঁর সার্বিক সেবাকার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। কর্পোরেশন একটি সেবামূলক ও স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। দায়িত্বের বাইরে গিয়ে সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর মেয়াদকালের পরে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কর্পোরেশন আত্মীকরণ করেছে তা এখন,গলার কাঁটা। কারণ কর্পোরেশনের বেশিরভাগ শিক্ষক-কর্মচারি এমপিওভুক্ত নন। তাদের পেছনে চসিকের বেতন ভাত ও আনুসাঙ্গিক যে খরচ তা ব্যয় বহুল। এখন যদি সরকারি নির্ধারিত টিউশন ফি সাড়ে ৩ হাজার টাকা ও মাসের ৩৫০ টাকা বেতন দিতে অভিভাবকরা অপারগতা প্রকাশ করেন তাহলে কর্পোরেশনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলবে কেমনে? এই পরিস্থতিতে চসিক পরিচালিত প্রতিষ্ঠান চালাতে গিয়ে পৌরকার বৃদ্ধি করলে তা নগরবাসীর জন্য বোঝা হয়ে যাবে। তাই অভিভাবকরা সন্তানদের সুন্দর-সুনিশ্চিত ভবিষৎ নির্মাণের স্বার্থে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে শিক্ষার পিছনে প্রয়োজনীয় ব্যয় অব্যাহত রাখবেন এটা আমার প্রত্যাশা।

    এ ক্ষেত্রে আপনাদের যে কোন প্রয়োজন ও সহায়তায় প্রশাসক হিসেবে আমি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আপনাদের সাথে থাকবে। প্রশাসক বেতন প্রদানের বিষয়ে নিয়ে কোন ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে সরাসরি তার সাথে ফোনে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান। এ নিয়ে অহেতুক রাস্তা-ঘাটে গোলযোগ বা গসিপের প্রয়োজন নাই। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও প্রশাসক হিসেবে আমি সবসময় নগরবাসীর সুখ দুঃখে পাশে থাকবো।

  • প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের সততার সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ চসিক প্রশাসকের

    প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের সততার সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ চসিক প্রশাসকের

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সজুন প্রকল্প বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের সততার সাথে পেশাগত কর্তব্য পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।

    আজ টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে প্রশাসকের দপ্তরে প্রকৌশলীদের সাথে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় তিনি এই নির্দেশ প্রদান করেন।

    তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নকালীন সময়ে কাজের স্থানে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে।

    তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কোন কোন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শ্লথগতি ও ঢিলেমী পরিলক্ষিত হচ্ছে। কাজের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি ঠুনকো অজুহাতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করছে এবং বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করতে টালবাহানা তৈরী করছে। এর ফলে বরাদ্দকৃত অর্থের অপচয় হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ধরণের মনোবৃত্তি নেতিবাচক এবং তা কিছুতেই সহ্য করা হবে না।

    তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজের ক্ষেত্রে নেতিবাচক মনোবৃত্তির ঠিকাদারদের উপর চাপ সৃষ্টি করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ বুঝে নেয়ার জন্য প্রকৌশলীদের তাগিদ দেন এবং চুক্তির শর্তভঙ্গকারী ঠিকাদারদের কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য নির্দেশ দেন। এ ছাড়া নগরীর গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ অবকাঠামো মাঝির ঘাট- স্ট্র্যান্ড রোডের সংস্কার কাজের গতিবৃদ্ধি এবং কাপ্তাই সড়ক থেকে বৌদ্ধ শ্মশান পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের নির্দেশ দেন। প্রশাসক জহুর আহমদ চৌধুরী বিভাগীয় স্টেডিয়াম থেকে সাগরিকা পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে সৌন্দর্যবন্ধন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের খ্যাতিমান ক্রিকেটারদের ম্যূরাল স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু। এই ভেন্যুতে যাওয়া- আসার জন্য দেশ-বিদেশের ক্রিকেট প্রেমিরা এই সড়কটি ব্যবহার করেন। তাই এই সড়কের সাথে চট্টগ্রামের ভাবমূর্তির সম্পর্ক রয়েছে।

    তিনি নগরীর স্টেশন রোডের সকল সাইনবোর্ড একই রঙে করার জন্যও নির্দেশ দেন।
    চট্টগ্রামের সড়কগুলোর বিভিন্ন অংশে ওয়াসার যত্রতত্র কাঁটাকাটিকে নাগরিক দুর্ভোগের অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করে বলেন, নগরীর রাস্তাঘাট কাঁটাকাটি করতে হলে ওয়াসাকে চসিকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে বলা হলেও তা তাঁরা মানছে না। তাই প্রশাসক আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত নগরীতে রাস্তাঘাট না কাঁটার জন্য ওয়াসাকে নির্দেশ দেন।

    চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল সোহেল আহমেদ পিএসসি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, কামরুল ইসলাম, মনিরুল হুদা, আবু ছালেহ, সুদীপ বসাক, ঝুলন কান্তি দাশ, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, আবু সাদাত মো. তৈয়ব, বিপ্লব কুমার দাশ, জয়সেন বড়ুয়া, মির্জা ফজলুল কাদের, অসীম বড়ুয়া, শাহিনুল ইসলাম, ফারজানা মুক্তা, আবু সিদ্দীক, জসিম উদ্দিন, সহকারী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, আনোয়ার জাহান, রিফাতুল করিম, মিজবাহ উল আলম, রেজাউল বারী চৌধুরী।

  • বাসযোগ্য নগরী গড়ে তুলতে যে সুপারিশগুলো এসেছে তা বাস্তবায়ন করা কঠিন: সুজন

    বাসযোগ্য নগরী গড়ে তুলতে যে সুপারিশগুলো এসেছে তা বাস্তবায়ন করা কঠিন: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নাগরিক দুর্ভোগমুক্ত এবং সর্বসাধারণের সুযোগ-সুবিধা সমন্বিত একটি বাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলাই আমার স্বপ্ন। কিন্তু স্বপ্ন পূরণে যে আর্থিক সক্ষমতা দরকার তা নেই। আমি সীমিত সময়ের জন্য প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছি বিশাল অংকের দেনার বোঝা নিয়ে। আমি নগরীর বিদ্যমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছি এবং যেগুলোর জরুরী ভিত্তিতে নিরসন প্রয়োজন সে-জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছি।

    পরামর্শক কমিটির কাছে যে পরামর্শগুলো পেয়েছি সে-গুলো যৌক্তিক কিন্তু বাস্তবায়ন করা কঠিন। তবে আগামীতে চসিকের নির্বাচিত পরিষদ চট্টগ্রামকে যেন বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করতে পারেন সে-জন্য কী ধরণের কর্মপরিকল্পনা থাকা দরকার তার একটি ধারণা আমি রেখে যেতে চাই।

    তিনি আজ সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরামর্শক কমিটির সাথে ভার্চুয়াল সভায় একথা গুলো বলেন।

    তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সেবা মূলক কার্যক্রম চলমান রাখতে সরকারের কাছে বরাদ্দ চেয়েছি। ইতোমধ্যে কিছু থোক বরাদ্দ পেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সরকারী সেবাসংস্থামূলক বিশেষ করে চট্টগ্রম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। তারা তাদের ভারী যানবাহন ও কন্টেইনারগুলো চসিকের রাস্তাগুলো ব্যবহার করে। এই রাস্তাগুলোর উপর ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত কয়েকগুণ বেশি মালামাল পরিবহনের গাড়িগুলোর কারণেই এগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এই সড়কগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্দরের মোট আয় থেকে শতকরা ১ অংশ সার্ভিস চার্জ চেয়েছি। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের ল্যান্ডিং অবস্থান এই নগরীতে। এ কারণে তাদের কাছ থেকেও সার্ভিস চার্জ চসিক পেতে পারে। ইপিজেড হোল্ডিং ট্যাক্স না দিলেও সার্ভিস চার্জ অবশ্যই দেয়া দরকার। ভারী শিল্প, বিশেষ করে ইস্পাত কারখানাগুলোর ভারী যানবাহন এই নগরের রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। তাই রাস্তাঘাট নষ্ট হয়। তাদের ভারী যানবাহনগুলো অবৈধভাবে সড়কের উপর পার্কিং করেন। এ ছাড়া নিয়ম অনুযায়ী বন্দরের কোন পরিবহন টার্মিনাল নগরীর ২০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকতে পারে না। কিন্তু বন্দরের আশে-পাশে অন্তত ২০টি স্পটে তাঁদের কন্টেইনার স্ট্যান্ড রয়েছে। ফলে সী-বীচের পর্যটন স্পটে যাওয়াটা ভ্রমনপিপাসুদের জন্য দুরুহ হয়ে পড়ে।

    তিনি আরো বলেন, সরকারী সেবাসংস্থা ও প্রতিষ্ঠান গুলোতে নতুন ধার্যকৃত করের তালিকা দিয়েছি। আশা করি তাঁরা চসিকের চাওয়া-পাওয়ার বিষয়টি আমলে আনবেন। আমাদেরকে শিক্ষাখাতে বড় অংকের ভুর্তুকি দিতে হয় এবং একই ভাবে স্বাস্থ্যখাতকেও দিতে হচ্ছে।

    আমি আগেও বলেছি, চট্টগ্রাম নগরীতে সরকারী সেবা সংস্থার বড় বড় মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ চলছে। এই কাজের সমন্বয়হীনতার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বিত হচ্ছে এবং নাগরিক দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে সমন্বয় দরকার। ওয়াসাকে বলেছি, সড়ক খোঁড়াখুড়ির আগে সিটি কর্পোরেশনকে জানাতে হবে কোথায় হচ্ছে। কিন্তু তারা আমাদের অনুরোধ আমলে আনেন না। এতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

    তিনি চট্টগ্রামে খেলার মাঠের অভাবের কথা জানিয়ে বলেন, আমাদের সন্তানরা খেলাধুলা করতে পারে এমন কয়েকটা মাঠ দরকার। বাকলিয়ায় যে স্টেডিয়াম আছে সেখানে একটি ক্রিকেট একাডেমী করে দিলে ভাল হয়। আউটার স্টেডিয়াম খেলাধুলার উপযোগী করা হয়েছে। তবে অপরিকল্পিত সুইমিং স্টেডিয়ামের কারণে এই মাঠের একটি বড় অংশ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আগ্রাবাদ জাম্বুরী মাঠে একটি শিশু পার্ক করা হয়েছে। এই পার্কের অধীনে বিস্তর জায়গা অব্যবহৃত রয়ে গেছে। এখানে যে বিনোদন কেন্দ্রটি আছে এটি আকর্ষণীয় নয়। এটাকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে খেলার মাঠসহ একটি অত্যাধুনিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স চাই।

    তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, নগরীতে কোথাও মার্কেট তৈরী করতে হলে আগে চসিকের অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু তা তোয়াক্কা না করে নেভী রেডিসনের সামনে সারি সারি দোকান তৈরি করে মার্কেট বানানো হয়েছে।

    ঠান্ডাছড়িতে সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী একটি রিসোর্ট পার্ক গড়ে ছিলেন। এখানে সিটি কর্পোরেশনে বিস্তর জায়গা রয়েছে। একটি শিল্পগ্রুপ এই জায়গাটাকে জিম্মি করে রেখে সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নমূলক কাজে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। কেউ কেউ মনে করে তারা রাষ্ট্রের চাইতেও বড়।

    পরামর্শক কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্যসচিব, ব্র্যাকের সিনিয়র এ্যাডভাইজার মো. আবদুল করিম বলেন, সরকারের গুরুত্বপূণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ উধ্বর্তন পদে বর্তমানে চট্টগ্রামের সন্তানরা দায়িত্ব পালন করছেন। অনেক সাবেক কর্মকর্তাও দায়িত্বপালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বর্তমান মূখ্যসচিব চট্টগ্রামের সন্তান। সবাইকে একসাথে নিয়ে ঢাকায় একটি সভা করা দরকার। এখান থেকে চট্টগ্রামের স্বার্থে অনেক সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

    চসিক সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সমন্বয়ের জন্য দরকার একজন মূখ্য কান্ডারী। এখানে নগর সরকারের কথা উঠেছে। ১৯৮২ সালে সিটি কর্পোরেশন অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন না হলে নগর সরকার বাস্তবায়ন হবে না। সিটি কর্পোশেনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভুর্তুকি দেয়া হচ্ছে। তবে ভর্তুকি দেয়ার জন্য নগরবাসী ট্যাক্স দেয় না। এজন্য চট্টগ্রামের শিক্ষাবিদদের নিয়ে একটি বৈঠক করা দরকার এবং এই বৈঠক থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত বের করে নিতে হবে।

    দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. রমিজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চসিকের কাছে আমাদের অনেক আশা। তাদের মূল সেবাগুলো নগরবাসী পাচ্ছে কিনা এবং বাড়তি কি পাওয়া উচিত তা আমাদের ভাবতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের লোকসংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে এই সংখ্যা ৬০ লাখের বেশি। কিন্তু জনবল বাড়েনি। তহবিলও বাড়েনি। তাই লোকবলের অভাব ও আর্থিক সামর্থ্যরে যথেষ্ট অভাব রয়েছে। সিটি কর্পোরেশন স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। প্রত্যেক দেশে একটি লবিং গ্রুপ থাকে। সরকারের কাছে দাবী জানিয়ে অধিকার আদায়ের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনেরও একটি লবিং গ্রুপ থাকা দরকার।

    চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য, বিএন,এনডিসি কমডোর জোবায়ের আহমদ বলেন, কর্ণফুলী বাঁচলে চট্টগ্রাম বাঁচবে, চট্টগ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। তাই আগে কর্ণফুলীকে বাঁচানোর জন্য নিয়মিত ও সঠিকভাবে ড্রেজিং সবচেয়ে বেশি দরকার। এতে স্বাভাবিকভাবে চট্টগ্রামের উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি পাবে।

    তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর টান্সশীপমেন্ট ও একটি ট্রান্সজিট কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিবেশ সৃষ্টির ফলে চট্টগ্রামের সড়কগুলো দিয়ে ভারতের ৭ টি রাজ্য এবং নেপাল ও ভুটানে ভারী পরিবহন চলাচল করবে। তাই আমি দাবী করব ট্রান্সশীপমেন্ট ও ট্রানজিট থেকে দেশের যে আয় হবে তা থেকে একটি অংশ চসিকে দিতে হবে।

    এশিয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএ’র ১ম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ এ সালাম বলেন, চট্টগ্রাম বাঁচলে দেশ বাঁচবে- এটাকে জাতীয় শ্লোগানে পরিণত করতে হবে। চট্টগ্রামে অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে কিন্তু সমন্বয় নেই। তাই সমস্ত সেবামূলক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে একই ছাতার নিতে আসতে হবে।

    মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক আইজিপি মো. নুরুল আলম বলেন, চসিককে বাঁচাতে হলে ঢাকা থেকেই দাবী তুলতে হবে। আমরা ঢাকায় চট্টগ্রাম সমিতির মাধ্যমে চট্টগ্রামের স্বার্থে অনেক দাবী তুলেছিলাম। এখন সেগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন হয়েছে এবং হচ্ছে। এজন্য লবিং গ্রুপ তৈরির যে প্রস্তাবটি এসেছে তাকে আমি জোড়ালো ভাবে সমর্থন করি।

    শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বলেন, আমি চাইছি চসিকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন বন্ধ হয়ে না যায়। দেশে আর কোন সিটি কর্পোরেশনে এত ব্যাপক শিক্ষাখাত নেই। আমি আশা করব যুগের চাহিদা অনুযায়ী চসিক ভিত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান চালু হোক।

    বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক আকরাম খান বলেন, বিশ বছর আগে ক্রিকেট সহ যেকোন জাতীয় দলে চট্টগ্রাম থেকে ৭/৮জন প্রতিনিধিত্ব করতো। বর্তমানে জাতীয় ক্রিকেট দলে তামিম ছাড়া আর কেউ নেই। এর কারণ চট্টগ্রামে ক্রীড়া উপযোগী মাঠগুলো বেদখল হয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের বাড়ির সামনে, আউটার স্টেডিয়ামে ও সার্কিট হাউসের সামনে মাঠে খেলাধুলা করে জাতীয় দলে ঠাই করে নিতে পেরেছিলাম। আরেকটি জিনিস মনে রাখতে হবে খেলাধুলার স্থান সংর্কীণ হয়ে গেলে নতুন প্রজন্ম বিপদগামী হবে, মাদকাসক্ত হবে। আমি প্রশাসক বাকলিয়া স্টেডিয়ামে ক্রিকেট একাডেমী করার যে আগ্রহের কথা বলেছেন আমি তার সাথে সহমত পোষন করছি।

    দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, চট্টগ্রামে একটি ক্রিকেট একাডেমী হওয়া দরকার। তবে তার জন্য বড় পরিসর প্রয়োজন। আমি প্রস্তাব করছি নগরীর বাইরে বড় এলাকা নিয়ে এই ক্রিকেট একাডেমী গড়ে উঠুক।

    তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন থেকে যে সকল সংস্থা সেবা নিচ্ছেন, তারা সার্ভিস চার্জ দেবে না কেন। আমি আরো মনে করি কর্পোরেশনে শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতের জন্য আলাদা বাজেট থাকা দরকার। চট্টগ্রামে অনেক ঢর্ণাঢ্য ব্যক্তি রয়েছেন। তারা এগিয়ে এলে সিটি কর্পোরেশনের ফান্ডের সংকট কেটে যাবে। ঢর্ণাঢ্য ব্যক্তিরা আগে অনেক স্কুল-কলেজ সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেও এখন এতে ভাটা পরেছে। তাই তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য একটি বিশেষ উদ্যোগ দরকার। সর্বোপরি নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিকল্পে সিডিএ ও ওয়াসার মত চসিকেরও একটি মাস্টার প্ল্যান থাকা প্রয়োজন।

    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে অনেক বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। তবে সমন্বয় না থাকায় প্রকল্পের অর্থ অপচয় হচ্ছে।

    চসিকের সচিব আবু সাহেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট নগর পরিকল্পনাবিদ ও অনারারি কনসাল, রাশিয়া স্থপতি আশিক ইমরান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী, আইইবি চট্টগ্রামের সভাপতি প্রবীর কুমার সেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ ও প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম।

  • পিসি রোডের কার্পেটিং শুরু, যানজট ও নাগরিক ভোগান্তি হলে ব্যবস্থা : সুজন

    পিসি রোডের কার্পেটিং শুরু, যানজট ও নাগরিক ভোগান্তি হলে ব্যবস্থা : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করে নির্বিঘ্নে চলাচলের সুবিধার্থে আমরা সড়ক বানাই। পরে গিয়ে দেখা যায় নতুন নির্মিত এসব সড়ক ট্রাক, লরি, ট্রেলারের পাকিংয়ের মাধ্যমে দখলে চলে গেছে। আর এ জন্য নগরবাসীর সমালোচনা ও তোপের মুখে থাকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। তাই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে আপনারা সড়কের উপর অবৈধ পার্কিং বন্ধে ব্যবস্থা নিন। কর্পোরেশন ও আপনাদের পাশে থেকে সহযোগীতা করবে।

    সড়কে অবৈধ দখলের কারণে যানজট সহ কোন ধরণের নাগরিক ভোগান্তি হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্পোরেশন স্কুল পরিমান ও ছাড় দিবে না। এজন্য ট্রাফিক পুলিশকেও উদ্যোগী হতে হবে।

    তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাগরিকা মোড় হতে কলকা মোড় (মাজার অংশ) পর্যন্ত পোর্ট কানেক্টিং (পিসি রোড) রোডের কার্পেটিং কাজের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

    জাইকার অর্থায়নে এই কাজ চলছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাহের ব্রাদার্স এর অধীনে চলমান এই কার্পোটিংয়ের কাজ শেষের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত।

    এ সময় চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, বিপ্লব দাশসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, চট্টগ্রামের লাইফ লাইন বলে খ্যাত পোর্ট কানেক্টিং রোড ঢালাই কাজ শুরু হওয়ায় আমি খুশি। গত ৩ বছর ধরে এই সড়কটির কারণে নগরবাসী বিশেষ করে এই এলাকার অধিবাসীদের নিদারুন কষ্ট ও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এজন্য নগরবাসীর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

    তিনি বলেন, এই পিসি রোডের মোট ৬ কিলোমিটার এর মধ্যে এখন সাগরিকা হতে কলকা মোড় পর্যন্ত ২ কিলোমিটার কার্পেটিং করা হচ্চে। বাকি ৪ কিলোমিটার কলকা হতে তাসফিয়া পর্যন্ত এই অংশ শেষে কার্পেটিং করা হবে। কলকা মোড়ে একই প্রকল্পের অধীনে কালভার্টও নির্মিত হচ্ছে।

    প্রশাসক আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো পিসি রোডের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই সময়সীমার মধ্যে কাজশেষ করতে না পারলে ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল হবে বলে প্রশাসক ঘোষণা দেন।

    সেসময় প্রশাসক নির্মাণ কাজ চলাচলে ধুলাবালি থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় প্রতিদিন ১ ঘন্টা অন্তর পানি ছিটাতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও চসিকের প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

  • চসিক প্রশাসকের হাতে পরিচ্ছন্ন কর্মীর জন্য ৪ হাজার শীতবস্ত্র দিল বিজিএমইএ

    চসিক প্রশাসকের হাতে পরিচ্ছন্ন কর্মীর জন্য ৪ হাজার শীতবস্ত্র দিল বিজিএমইএ

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশেনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, তৈরী পোশাক রফতানী খাত বৈদেশিক আয়ের বড় উৎস। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাকালে এই খাতে বড় ধরণের আর্থিক প্রণোদনা যুগিয়েছেন। ফলে বৈশ্বিক আর্থিক ধ্বসের মধ্যেও তৈরী পোশাক রফতানী শিল্প খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং সামগ্রিক উন্নয়ন ও অথনৈতিক সক্ষমতার চাকা সচল রয়েছে। তিনি আজ বিকেলে খুলশীতে আঞ্চলিক কার্যালয়ে বিজেএমই’র পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের ৪ হাজার কর্মীদের শীতবস্ত্র প্রদানকালে একথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, তৈরী পোশাক রফতানী শিল্প কারখানাগুলো করোনাকালের প্রাথমিক দুর্গতি কাটিয়ে উঠে উৎপাদনে ভাল ভাবে ফিরে আসাটাই একটি ইতিবাচক বার্তা। এই বার্তাটির অর্থ হলো শূন্য থেকে শুরু করে পূর্নতা অর্জন করা। বাংলাদেশ তা বার বার প্রমাণ করেছে।

    তিনি করোনাকালে বিজিএমইএ’র সেবামূলক কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, এতে মানবতা জয়ী হয়েছে এবং মানুষ বেঁচে থাকার ভরসা পেয়েছে।

    তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মাঝে শীত বস্ত্র উপহার বিজিএমইএ’র একটি মহৎ উদ্যোগ, যা প্রশংসনীয়। তিনি বিজিএমইএ’র প্রস্তাবিত সৌন্দর্য্যবর্ধন কর্মসূচীর বিষয়ে সম্মতি জ্ঞাপন করেন। চট্টগ্রাম শহরকে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও পরিচ্ছন্ন নগর হিসেবে গড়ে ব্যবসা বিনিয়োগ বান্ধব নগরীতে পরিণত করার লক্ষ্যে বিজিএমইএ সহ ব্যবসায়ী সমাজের সহযোগিতা কামনা করেন ।

    এ সময় বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম, সহ-সভাপতি এ. এম. চৌধুরী সেলিম, পরিচালকবৃন্দের মধ্যে অঞ্জন শেখর দাশ, মোহাম্মদ মুসা, মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন ও এনামুল আজিজ চৌধুরী, প্রাক্তন প্রথম সহ-সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী, প্রাক্তন সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ফেরদৌস, প্রাক্তন পরিচালক সাইফ উল্লাহ মনসুর সহ গার্মেন্টস্্ শিল্পের মালিকগণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর প্রশাসকের একান্ত সচিব মোঃ আবুল হাশেমসহ উদ্ধর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে চট্টগ্রামকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম শহরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করায় তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর প্রশাসককে ধন্যবাদ জানান।

    তিনি বলেন, বিজিএমইএ’র সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদেরকে আসন্ন শীতে নির্বিঘেœ কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে শীত বস্ত্র উপহার হিসেবে প্রদান করতে পারায় বিজিএমইএ গর্বিত।

    তিনি চট্টগ্রামে বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহ বিভিন্ন কার্যক্রমে বিজিএমইএ সহ ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে মর্মে আশ্বস্থ করেন।

    অনুষ্ঠান শেষে বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন এর কাছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের (সেবক) জন্য চার হাজারের অধিক পিস শীত বস্ত্র হস্তান্তর করেন।

    প্রশাসক খুলশীস্থ বিজিএমইএ ভবনের প্রবেশ পথে রাস্তার উভয় পার্শ্বে বিজিএমইএ’র প্রস্তাবিত সৌন্দর্য্যবর্ধনের স্থান পরিদর্শন করেন।