Tag: চসিক প্রশাসক

  • করোনা মোকাবেলায় নগরীর প্রবেশমুখে বসছে চেকপোস্ট : সুজন

    করোনা মোকাবেলায় নগরীর প্রবেশমুখে বসছে চেকপোস্ট : সুজন

    করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জনসচেতনতার পাশপাশি নগরীর প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশেনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন। মাস্ক পরিধান ছাড়া কোন দূরপাল্লার বাস-যানবাহনকে নগরে ঢুকতে দেয়া হবে না।

    ‘মরণব্যাধী করোনা করবেনা কাউকে করুণা’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নগরবাসীর প্রতি আমার আহ্বান থাকবে আপনারা বিয়ে-শাদী, মেজবান বা সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতে অতিরিক্ত জনসমাগম করবেন না। আপনাদের সামান্যতম অবহেলা ও উদাসিনতা নাগরিক জীবন বড় ধরণের হুমকির মুখে পড়তে পারে।

    তিনি আজ রোববার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর নুতন ব্রিজ এলাকায় করোনা থেকে রক্ষায় সচেতনতায় জনসধারণের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও পথ সভায় একথা বলেন।

    এ সময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরীসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রশাসক তখন হেঁটে পুরো এলাকা ঘুরে দেখেন এবং গরীব অসহায় যাদের মাস্ক কেনার সামথ্য নাই এ রকম বিপুল জনগোষ্ঠীকে নিজ হাতে মাস্ক বিতরণ ও পরিয়ে দেন।

    নতুন ব্রিজ এলাকার গোল চত্বর মোড় থেকে চাক্তাই ব্রিজ পর্যন্ত হেঁটে পরিদর্শনকালে তিনি রাস্তা দখল করে থাকা বেশ কিছু ভাসমান দোকান পরিচ্ছন্ন কর্মী ও সেবকদের দিয়ে সরিয়ে দেন।
    সে সময় রাস্তার মশার ওষুধ ছিটানো হয়। পথে পড়ে থাকা আবর্জনাও পরিস্কারের ব্যবস্থা করা হয়। করোনা ও ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া মোকাবেলায় জনসাধারণের মাঝে বিলি করা হয় প্রচারপত্র।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, গতকাল (২১ নভেম্বর) করোনা মহামারিতে আমেরিকায় ২ লাখ ও আমাদের দেশে ৪০ জন মৃত্যু বরণ করেছে। তাই নিজের ও পরিবারের সুরক্ষায় অবশ্যই মাস্ক পরিধান ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের কোন বিকল্প নাই।

    নগরবাসীর প্রতি আমার আহবান থাকবে নিজে বাঁচুন, পরিবারকে বাঁচান। আর আপনাদের নিজেদের আশপাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। কারণ এখন ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায়না। করোনার সাথে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া প্রকোপ বাড়লে জন স্বাস্থ্য বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ হুমকির মুখে পড়তে পারে। তাই জনসাধারণের সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। তিনি ব্যবসায়ী দোকানদারদেরও মাস্ক ছাড়া কোন পণ্য বিক্রি করতে নিষেধ করেন।

  • মানুষকে নয়, করোনাকে লকডাউন করতে হবে: সুজন

    মানুষকে নয়, করোনাকে লকডাউন করতে হবে: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশেনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় মানুষকে কষ্ট দিয়ে লকডাউট করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাউকে গৃহবন্দী রাখতে চান না। তাঁর এই ইচ্ছে ও আকাঙ্খা বাস্তবায়নে চসিক প্রশাসক হিসেবে মাঠে নেমেছি। তাই মানুষকে নয়, করোনাকে লকডাউন করতে চাই। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩১টি নির্দেশনা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, নিজের শরীর, বাড়ি-ঘরসহ নিত্য ব্যবহার যোগ্য সকল কিছু জীবানুমুক্ত করাসহ বাইরে চলাফেরায় মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে। এভাবে করোনাকে লকডাউন করে সকলের মুক্তি ও বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।

    তিনি আজ নগরীর কর্নেল হাটে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় নাগরিক সচেতনতামূলক অভিযানে একথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, মাস্ক নিজেকে পরতে হবে, অন্যকেউ পরাতে ভূমিকা রাখতে হবে। মাস্ক ছাড়া কেউ বাজারে ঢুকলে তাকে এড়িয়ে চলতে হবে। গণপরিবহনে মাস্ক ছাড়া কোন যাত্রী তোলা যাবে না। ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ এই ঘোষণা অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা দাতা ও গ্রহীতাকে অবশ্য মাস্ক পরতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটলে কেউ রেহাই পাবে না।

    তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, মানুষ যদি বেপরোয়া হয় তা নিজেরাই নিজেদের দুঃখ ডেকে আনবে। কোভিড-১৯ একটি ছোঁয়াছে রোগ, একজন থেকে অন্য জনের কাছে সংক্রমিত হয়। এই সহজ কথাটা কেউ না বুঝলে একজন অসচেতন ব্যক্তি দশ জনের মহাবিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই অসচেতন ব্যক্তিকে উচিত শিক্ষা দেয়া একটি সামাজিক দায়বদ্ধতা।

    তিনি সচেতনতামূলক প্রচার অভিযানকালে কর্নেল হাট এলাকায় বহু বিপনী কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এই সময় কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার নির্দেশনা দেন। এখান থেকে তিনি উত্তর কাট্টলী বিশ্বাস পাড়া যান, এবং রোডের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন। তিন রোডের কাজ বিলম্ব হওয়ার কারণ জানতে চান এবং কাজের গতি শ্লথতায় অসন্তোষ প্রকাশ করে কাজের গুণগত মান অক্ষুন্ন রেখে দ্রুত সময়ে কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন।

    ফেরারপথে তিনি চসিক মোস্তফা হাকিম হাসপাতালও পরিদর্শন করেন। এখানে কর্মরত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন এবং সেবাগ্রহীতাদের ভাল-মন্দের খোঁজ-খবর নেন।

    তিনি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধিমালা মেনে চলার ব্যাপারে চিকিৎসা সেবা গ্রহীতাদের সচেতন থাকার আহবান জানান।

    এছাড়াও তিনি কাট্টলী ওয়ার্ডের নির্মিতব্য কয়েকটি নির্মাণাধীন কালভাটের কাজ পরিদর্শন করেন।

    এই সময় উপস্থিত ছিলেন- উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর প্রফেসর ড. নেছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, সমাজ সেবক আলী আজগর চৌধুরী, সফিউল আলম চৌধুরী, আলাউদ্দিন আহমদ চৌধুরী, মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, আবু তাহের চৌধুরী, সাইফুদ্দিন আহমদ সাকী, মোঃ নুরুদ্দীন চৌধুরী, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মোহাং ইকবাল চৌধুরী, হাবিবুর রহমান, মোঃ গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, মোঃ আবদুস সালাম, হারুনুর রশীদ, নুরুল কবির চৌধুরী, বিপ্লব দত্ত, আবু সুফিয়ান, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোঃ মোর্শেদুল আলম চৌধুরী ও পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রনব শর্মা।

  • পোর্ট কানেক্টিং সড়ক রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সড়কস্থাপনা এটি কাউকে জিম্মি করতে দেয়া হবে না:সুজন

    পোর্ট কানেক্টিং সড়ক রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সড়কস্থাপনা এটি কাউকে জিম্মি করতে দেয়া হবে না:সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আজ বিকেলে পোর্ট কানেক্টিং রোডের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। তিনি এই সময় ঠিকাদারদের কাজের গুণগত মান রক্ষা করে আগামী ডিসেম্বরের মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেন।

    তিনি বলেন, এ সড়কটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে গিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা মানুষের বড় ধরণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এখন বর্ষা মৌসুম যেহেতু শেষ বৃষ্টির সম্ভাবনাও নেই। তাই কাজে কোন ধরণের প্রতিবন্ধকতা থাকারও কথা নয়।

    তিনি কাজে নিয়োজিত প্রকৌশলীদের সার্বক্ষণিকভাবে কাজের উপর দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দেন।

    তিনি বলেন, পোর্ট কানেক্টিং রোড চট্টগ্রামের লাইফ লাইন এবং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক স্থাপনা। এই সড়কটির উপর দেশের অর্থনৈতিক গতি ও অগ্রগতি নির্ভরশীল তাই সড়কটির নির্মাণকাজ নিয়ে টালবাহানা বা একে জিম্মি করা চলবে না। চট্টগ্রাম বন্দর মুখী এই সড়ক দিয়ে সকল আমদানী-রফতানী পণ্য পরিবহন চলাচল করে। এ ছাড়া ইপিজেড’র মালামাল পরিবহনগুলোও এ রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করে। ফলে এর ধারণ ক্ষমতার উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়। অদূর ভবিষ্যতে বে-টার্মিনাল এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর বাস্তবায়ন হলে এ সড়কটির গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে এবং সড়কটির উপর চাপও বাড়বে। আন্ত: দেশীয় রিজিওনাল কানেক্টিভিটি কার্যক্রম এই রাস্তাটির উপর অনেকাংশ নির্ভরশীল।

    তিনি এ প্রসঙ্গে উল্লেখ বলেন, গুরুত্ব বিবেচনায় এই চট্টগ্রাম নগরীর এটা একমাত্র সড়ক যার উপর নিভরশীল আমদানী-রফতানী খাত। তাই এর দায়-দায়িত্ব ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয় শুধু সিটি কর্পোরেশনের একার নয়। তাই এ জন্যে বন্দর, কাস্টমস ও ইপিজেডগুলোর আয়ের একটি অংশ সার্ভিস চার্জ হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রাপ্য।

    তিনি আশা প্রকাশ করেন, চট্টগ্রাম বন্দর, ইপিজেড সহ যে সকল সরকারী সংস্থা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সড়কগুলোর উপর চলাচল করে সে-গুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চসিককে সার্ভিস চার্জ প্রদানের প্রস্তাবনা আমলে আনবেন।

    তিনি আরো বলেন, পোর্ট কানেক্টিং রোডে ৩টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। যে ঠিকাদার যেখানে কাজ করছে সেখানে সে ঠিকাদারের সাইট অফিস রাখতে হবে।

    তিনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের কাজের কর্ম পরিকল্পনা এবং অগ্রগতির তথ্য সম্বলিত বোর্ড জনসম্মুখে টাঙিয়ে রাখার নির্দেশনা দেন এবং ধুলোবালিতে যাতে মানুষের দুর্ভোগ না হয় সেজন্য প্রতিদিন ৩ বেলা পানি ছিটানোর নির্দেশনা দেন।

    এ সময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন সেন ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • লালদিঘীকে না চিনলে চট্টগ্রামকে চেনা যাবে না: সুজন

    লালদিঘীকে না চিনলে চট্টগ্রামকে চেনা যাবে না: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, লালদিঘীকে না-চিনলে, না-জানলে চট্টগ্রামকে চেনা ও জানা যাবে না। লালদিঘীকে ঘিরেই চট্টগ্রামের ইতিহাস, রাজনীতি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নানান বর্ণিল অধ্যায় সুচিত হয় এবং অনেক বীরত্ব গাঁথার স্মৃতির হীরকখণ্ড এখনো ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে এসে চোখের মণিতে জ্বলজ্বল করে। তাই লালদিঘী শুধু এক টুকরো নৈ:সর্গিক ভূমি নয়, স্মৃতি, সত্তা ও অস্তিত্বের শিকড়।

    তিনি আজ শুক্রবার সকালে লালদিঘীর চারপাশ ঘিরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে গড়ে তোলা বাহারী ফুল ও বৃক্ষরাজির সজীব সবুজে শোভিত পার্কটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে এভাবেই এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।

    তিনি লালদিঘী ও তৎসংলগ্ন মাঠের ঐতিহাসিক গুরুত্ব উপস্থাপন করে বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অংশ নেয়া তরুণ ও যুবকদের শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি কল্পে আজ থেকে শতবর্ষ আগে আবদুল জব্বার বলী খেলার সূচনা করেন। একে ঘিরেই প্রতি বাংলাবর্ষের ১২ বৈশাখ লালদিঘীর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে দেশের সর্ববৃহৎ বৈশাখী লোকখেলা হয়ে আসছে। এই লালদিঘীর পূর্বে চট্টগ্রাম, জেল কারাগারে ব্রিটিশ রাজশক্তি অগ্নিযুগের বিপ্লবী মাস্টার দা সূর্যসেন ও তারকেশ্বর দস্তিদারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ছিল। তারপরের ইতিহাস আরো গৌরবোজ্জ্বল। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় রমনা ভাষা শহীদদের রক্তে রঞ্জিত হবার পর দিন লালদিঘী ময়দানে একুশের প্রথম কবিতা মাহবুবু উল আলম চৌধুরীর কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি’ পাঠ করেছিলেন চৌধুরী হারুনুর রশীদ।

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই লালদিঘীর মাঠে সর্বপ্রথম জনসভায় ৬ দফা ঘোষণা করেন। একাত্তরের অসহযোগের অগ্নিক্ষরা দিলে অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদের ‘এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নাটক এই লালদিঘী মাঠে অভিনীত হয় এবং মৌলভী ছৈয়দ আহমদ ও এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে জয়বাংলা স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর মার্চপাস্ট অনুষ্টিত হয়। এটাই ছিলো সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিমূলক মহড়া।

    স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লালদিঘী মাঠে জনসভা করতে আসার পথে তাঁকে হত্যার প্রচেষ্টায় সামরিক স্বৈরাশাসকের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ বাহিনীর নির্বিচারে গুলিবর্ষণে লালদিঘীর অনতিদূরে শহীদ ২৬ জন বাঙালি। এ ধরণের অনেক বীরত্বগাঁথার অনুঙ্কার আছে লালদিঘীকে ঘিরে। তাই চট্টগ্রামের ইতিহাস, রাজনীতি-ধর্ম-সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও বিনোদনের ক্ষেত্রে লালদিঘীর সম্পৃক্ততা চিরকালীন ও সর্বজনীন তাই চট্টগ্রামকে চেনা ও জানার নাভিমূল বই লালদিঘী।

    তিনি আরো বলেন, ১৯৩৯ সালে তৎকালীন কুলীন জমিদার নন্দনকাননের রাজ কুমার ঘোষ তাঁর নিজস্ব জায়গায় লালদিঘীর গোড়াপত্তন করেন এবং লালদিঘীর চারপাশে বাগান করেন। পরবর্তীতে সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী রাজ কুমার ঘোষের পরিবার থেকে প্রতীকী মূল্যে লালদিঘী চসিকের মালিকানাধীন করেন এবং দিঘী ও পার্কের নানন্দিক রূপ দেন। তখন এটা হয়ে ওঠে নগরবাসীর প্রাত: ও বৈকালিক ভ্রমণের একটি অতুলনীয় উপাদান। তবে পরে এটা ধীরে ধীরে নান্দনিকতা হারিয়ে ফেলে এবং অসামাজিক কর্মকান্ডের জন্য এর পরিবেশ দুষিত হয়ে ওঠে। মাহিউদ্দিন চৌধুরীর ইচ্ছা ছিলো এই লালদিঘীতে সাধারণ নাগরিকদের সন্তানদের নামমাত্র মূল্যে সাঁতার শেখার জন্য একটি স্যুইমিং পোল করা। তিনি কাজও শুরু করেছিলেন। তবে ভুল বোঝাবুঝির জন্য কাজটি শেষ করতে পারেন নি।

    এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ধনী পরিবারের জন্য অভিজাত ক্লাবে স্যুইমিং পোল থাকলেও সাধারণ পরিবারের সন্তানদের জন্য সাঁতার শেখার কোন সুযোগ নেই। আউটার স্টেডিয়ামের একাংশে ক্রীড়া পরিষদ একটি স্যুইমিং স্টেডিয়াম তৈরী করলেও তা অপরিকল্পিত ও নির্মাণগত ত্রুটির কারণে এখন পর্যন্ত ব্যবহার অনুপযোগী। আমি সাধারণ পরিবারের কথা ভেবে তাদের সন্তানরা যাতে এখানে স্বল্প মূল্যে সাঁতার শিখতে পারে সে ব্যবস্থা করতে চাই।

    তিনি জানান, লালদিঘী পারে সিটি কর্পোরেশন লাইব্রেরিটি একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার। এখানে মূল্যবান দুর্লভ গ্রন্থের সংগ্রহ রয়েছে। জাইকার অর্থায়নে এই লাইব্রেরি ৮ম তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এটাকে মানব সম্পদ গঠনের উপযোগী করে তুলে ডিসেম্বররের মাঝামাঝি সময়ে উদ্বোধন করার চিন্তা রয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, লালদিঘীর পারে চারপাশ দিয়ে প্রাত: ও বৈকালিক ভ্রমণকারীদের ¯^চ্ছন্ধে হাঁটাহাটির জন্য ওয়াকওয়ে করে দেয়া হয়েছে। নানান উপাদানে পার্কটি নানন্দনিক করা হয়েছে। এখন সকাল ৬ টা থেকে ৮ টা এবং বিকেল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পার্কটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। লালদিঘীর চারপাশে মিউজিক্যাল লাইটিংয়ের মাধ্যমে আলো ও সুরের মুর্চ্ছনা ইভেন্ট যুক্ত করা হবে। খাবার সামগ্রীর প্যাকেট নিয়ে এখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া যত্রতত্র ভাবেকোন বর্জ্য ফেলা যাবে না।

    তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, লালদিঘী মানবিক নগরতৈরীর একটি আবশ্যিক উপাদান। লালদিঘী কংক্রিটের ঝঞ্জালে ¯^চ্ছ জল, বাহারী ফুল ও সুবুজের এক টুকরো ভূ-¯^র্গ ভূমি এর প্রতি সমতা ভরা সংবেদনশীলতা সৌন্দর্য্য ও পবিত্রতা রক্ষার দায়িত্ব নগরবাসীর আর চসিকের দায়িত্ব নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষনের। ঐ সময় পার্কে প্রাত: ভ্রমণে আসা লোকজনকে চসিকের চিকিৎসক ও ¯^াস্থ্যকর্মীরা ডায়বেটিক, রক্তের উচ্চচাপ পরীক্ষাসহ বিনামূল্যে ¯^াস্থ্যসেবা প্রদান করেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, বিপ্লব কুমার দাশ, ডা. অঞ্জন কুমার দাশ, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরমেদুল আলম চৌধুরী, সাবেক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, আবুল মনসুর, মাহবুবুল হক সুমন, কাউন্সিলা প্রার্থী নোমান লিটন, পুলক খাস্তগীর, আব্দুস সালাম মাসুম, মহিউদ্দিন শাহ, রুমকি সেনগুপ্ত, কামরুল হক, জানে আলম, সোলায়মান সুমন প্রমুখ।

    এছাড়াও চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন লালদিঘী থেকে ফেরার পথে নিউমার্কেট ও স্টেশন রোড রেয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে আবর্জনা দেখতে পান।

    তিনি গাড়ি থেকে নেমে এই আবর্জনাগুলো দোকান মালিকদের দিয়ে অপসারণ করেন এবং এখন থেকে দোকানের সামনে কোন আবর্জনা ফেলা হলে তাদেরকেই সেই আবর্জনা পরিস্কার করতে হবে বলে সর্তক করে দেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • নো মাস্ক নো সার্ভিস ঘোষণা বাস্তবায়নে ২০ নভেম্বর থেকে চসিক সরাসরি অভিযানে নামবে: সুজন

    নো মাস্ক নো সার্ভিস ঘোষণা বাস্তবায়নে ২০ নভেম্বর থেকে চসিক সরাসরি অভিযানে নামবে: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ঘোষণা যাতে নগরীতে লক্সিখত না হয় সে-জন্য ডাইরেক্ট এ্যাকশানে যেতে চসিক প্রস্তুত।

    তিনি আরো বলেন, জীবন-জীবিকার চাকাকে সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী লকডাউনের মতন অচলায়তনে মানুষকে বন্দী করতে চান না। তবে ঘরে বাইরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিক-পারিবারিক-সামাজিক নিরাপত্তা ও দায়িত্বর বিষয়টি প্রত্যেকের নিজের কাঁধেই বর্তায়। এ ক্ষেত্রে তিল পরিমাণ ছাড় দেয়া ও শিথিলতা প্রদর্শনের অবকাশ নেই। ভাই প্রত্যেককে প্রথমে অনুরোধ জানালাম। তারপরও যারা ‘ডোন কেয়ার’ আচরণ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।

    তিনি আজ সকালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জুবিলী রোড, তিন পোল, রেয়াজউদ্দিন বাজার, স্টেশন রোড, নিউমার্কেট এলাকায় মাস্ক ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে এ কথাগুলো বলেন।

    তিনি আরো বলেন, ১৯ নভেম্বরের পর থেকে জেলা প্রশাসকের ভ্রাম্যমাণ আদালত টিমের সাথে সমš^য় করে করোনাকালে এখনও যারা বেপরোয়া তাদের বিরুদ্ধে চসিক সরাসরি অভিযানে নামবে। একই সাথে মানবিক নগরী গড়ে তুলতে যে আবেদন-নিবেদন করা হয়, তাতে যারা এখনো কর্ণপাত করছে না তাদের খুঁটির জোর যতই গভীর হোক না কেন তা উপড়ে ফেলা হবে।

    তিনি হকারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি কারো পেটে লাথি মারতে চাইনা। হকারদের জন্য কিছু নিয়ম-কানুন ও টাইম টেবল বেঁধে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তা মানা হচ্ছে না। তারা ফুটপাতই শুধু দখল করে রাখেনি, সড়কের বড় অংশও দখল করে জন ও যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা করে নাগরিক দুর্ভোগ বাড়িয়ে সহ্যের সীমা লক্সঘন করে চলেছে। এদেরকে যাঁরা প্রশ্রয় দিচ্ছে তাদেরকে চিনি। এদের মধ্যে বেড ইমেজের তথাকথিত কিছু নেতা আছে। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবে সকলের সহযোগিতা চাই।

    এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আমরা কাঁচাবাজারগুলো নিয়মিত পরিস্কার করছি। কিন্তু কিছু অবিবেচক বিক্রেতা তরিতরকারীর বর্জ্য ও পঁচা পণ্য রাস্তা ও নালা-নর্দমায় ফেলছে। মানুষ চলাচলসহ পানি চলাচলের পথও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দুর্গন্ধময় ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এখন থেকে বাজার কমিটি এবং সড়কের উপর বসা ভ্রাম্যমান তরিতরকারী বেঁচা-কেনার সাথে যারা জড়িত তারা এই বিষয়টির দেখ-ভাল করবেন। এতে ব্যত্যয় ঘটলে আমি কঠোর হতে বাধ্য হবো।

    এ সময় মাহাবুবুল হক সুমন, কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সালাম মাসুম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, আলী আকবর, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, রকিবুল আলম সাজ্জাদ, আবদুর রহমান বাহার, মো. জয়নাল উদ্দিন, সিবলী সাদেক, অনির্বান দাশ বাবু, মোহাম্মদ হানিফ, মোহাম্মদ নোমান, মো. আকতার, মো. এনাম উদ্দিন, সরওয়ার উদ্দিন ও মুনিরুল হক মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • বিক্রেতা-ক্রেতা বান্ধব পরিবেশ মান-মর্যাদার সাথে জড়িত: সুজন

    বিক্রেতা-ক্রেতা বান্ধব পরিবেশ মান-মর্যাদার সাথে জড়িত: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আগ্রাবাদ সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তাদের চাহিদামত মার্কেটের উন্নয়নে সচেষ্ট থাকার আশ্বাস দিয়ে বলেন, নগরীর এই অত্যাধুনিক মার্কেকটির বিক্রেতা-ক্রেতাবান্ধব পরিবেশের সাথে সকলের মান-মর্দাদা রক্ষার বিষয়টি জড়িত। তাই এই ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের ভুমিকা বড়।

    তিনি আরো বলেন, অথনৈতিক সক্ষমতা না থাকায় ব্যবসায়ীদের সকল চাহিদা এক সাথে পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাওনা সময় মত পরিশোধ করা হলে চসিকের সেবা প্রদানে কোন ঘাটতি থাকবে না।

    তিনি এ সময় এই মার্কেটের ৫ম তলায় ফুড জোনের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন এবং এই জোনের বরাদ্দ প্রাপ্ত ৬০টি দোকানের মধ্যে ৪৩টি দোকান থেকে পাওনা বাবদ মোট ৬৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক গ্রহণ করেন।

    সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব মো. আলী নেওয়াজ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সমিতির সহ সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. নাজিম উদ্দিন, সমিতির উপদেষ্টা এস এম ফরিদুল আলম ফরহাদ, এবিএম জুলফিকার আলী ভুট্রো, আলহাজ্ব এ বিএম শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, মো. শফিউল আলম (জামান্স), আলহাজ্ব শওকত আলী, মো. আইয়ুব, রাশেদ ইকবাল চৌধুরী, সালাউদ্দিন আরিফ, মো. ইউসুফ আলী, মো. বশির, চসিকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ পিএসসি, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত তৈয়ব, এস্টেট অফিসার কামরুল ইসলাম চৌধুরী।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ধর্মচর্চা ও পালন মানুষকে পরিশুদ্ধ করে : সুজন

    ধর্মচর্চা ও পালন মানুষকে পরিশুদ্ধ করে : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে শুভবোধের ঈশ্বরীয় প্রতীক। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে সত্যের পথে শ্রী কৃষ্ণ পঞ্চ পান্ডবদের প্রেরণা যুুগিয়ে ছিলেন। আজ আমরা যারা সত্যের পথে চলছি তাদের জন্য তিনি এখনও অনুসরণীয়। মনে রাখতে হবে সকল ধর্মেরই মূল বাণী শান্তি, সত্য ও মানবতার চর্চা। ধর্মচর্চা ও পালন মানুষের জীবনকে পরিশুদ্ধ করে। আমার প্রত্যাশা ধর্ম চর্চার মাধ্যমে সমাজ থেকে হিংসা, বিদ্বেষ দূর হবে। মানুষের জীবন ফুলের মত পবিত্র হয়ে উঠবে।

    তিনি আজ বুধবার দুপুরে নন্দনকানন ইসকন রাধা মাধব মন্দিরে শ্রী শ্রী অন্নকূট মহোৎসব ও শ্রী প্রভুপাদ এর ৪৩ তম তিরোধাম দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইসকন বাংলাদেশ এর সিনিয়র সহ সভাপতি ভক্তিপ্রিয় গদাধর গোস্বামী শ্রীমৎ ভক্তি অদ্বৈত নবদ্বীপ স্বামী মহারাজ, নগর আওয়ামী লীগ নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ বহ্ম্যচারী, মুকুন্দ ভক্তি দাস বক্তব্য রাখেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • কাজীর দেউড়িতে করোনা প্রতিরোধে মাস্ক ও আবর্জনা সংগ্রহে ব্যাগ বিতরণ করলেন চসিক প্রশাসক

    কাজীর দেউড়িতে করোনা প্রতিরোধে মাস্ক ও আবর্জনা সংগ্রহে ব্যাগ বিতরণ করলেন চসিক প্রশাসক

    করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা, ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে নাগরিক সচেতনতায় মাঠে নেমেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন। নগরবাসীকে নিজ বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আশ-পাশ পরিস্কার রাখার বার্তা জানিয়ে তিনি আজ বুধবার সকালে নগরীর কাজীর দেউড়ি কাঁচা বাজার পরিদর্শনে যান।

    পরিদর্শনকালে তিনি পুরো বাজার ঘুরে দেখে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেন ও কুশল বিনিময় করেন। এ সময় করোনা প্রতিরোধে বাজারে আসা ক্রেতা সাধারণ ও ব্যবসায়ীদের মাঝে মাস্ক, সাবান বিতরণ ও বাজারের উচ্ছিষ্ট ময়লা আবর্জনা যত্রতত্র না ফেলে সংরক্ষনের জন্য থলে (ব্যাগ) সরবরাহ করেন সুজন।

    সে সময় প্রশাসক বাজারের ব্যবসায়ী ও আগত ক্রেতা সাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, ইতোমধ্যেই করোনার সংক্রমন ও এতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। শীতও প্রায় আসন্ন। এই সময়ে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাবও দেখা দেয়। যে কারণে আমরা কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে নগরবাসীকে সর্তকতা অবলম্বন করে চলাচল ও এ থেকে রক্ষায় সচেতন করতে প্রচারপত্র বিলির পাশাপাশি খাল-নালার ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার কার্যক্রম শুরু করেছি। নগরবাসীকেও এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

    তিনি জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করা ও নিজ বাড়ির আশ-পাশ, রেফ্রিজারেটরের ট্রেতে জমে থাকা পানি, উঠোন আঙ্গিনায় পড়ে থাকা ডাবের খোসা, শৌচাগারের ফ্লাসে যাতে পানি জমতে না পারে সেই দিকে বিশেষভাবে নজর রাখতে বলেন।

    প্রশাসক বাজারের ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করা ব্যাগে ময়লা জমানোর পর তা কর্পোরেশনের নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা আপনাদের সচেতন ও অনুরোধ করছি। কাজ না হলে শীঘ্রই কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাস্ক পরা নিশ্চিত ও যত্রতত্র আবর্জনা ফেলা বন্ধ অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও শাস্তির ব্যবস্থা নিবে।

    পরিদর্শনকালে প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, বাগমনিরাম ওর্য়াড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান বাচ্চু, অতিরিক্ত প্রধান পরিছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, পরিছন্ন কর্মকর্তা প্রণব শর্মা, আলী আকবর, রিপনসহ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিছন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ প্রশাসকের সাথে ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • চাক্তাই খালে পচা পেঁয়াজ, মজুতদারিদের প্রতিরোধের আহ্বান সুজনের

    চাক্তাই খালে পচা পেঁয়াজ, মজুতদারিদের প্রতিরোধের আহ্বান সুজনের

    বাজারে পেঁয়াজের মূল্যে ঊর্ধ্বগতি চলছে বেশ কয়েকমান যাবত। আর এই ঊর্ধ্বগতির কারণে দৈনন্দিন বাজারে নিত্য পণ্যের চাহিদা তালিকায় আবশ্যিক এই কাট ছাট করছে ভোক্তা সাধারণ। অথচ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ব্যবসার নামে মজুতদারি করে গোডাউনে রাখা পঁচা পেঁয়াজ ফেলে দিচ্ছে খালে। এই ঘটনা দেখে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আজ মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকালে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর চকবাজার ধুনির পোল এলাকায় চাক্তাই খাল থেকে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার কার্যক্রম ও মশার ওষুধ ছিটানো পরিদর্শনে গিয়ে এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন।

    এসময় ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর, রাজনীতিক ও আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ শহিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, চকবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দিন, চসিকের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রশাসকের সাথে ছিলেন।

    খালের এসব ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার কাজ চলাকালে তিনি ওই এলাকায় জনসাধারণের মাঝে করোনা ভাইরাস, ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সচেতনতায় প্রচারপত্র বিলি করেন। সে সময় প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, খাল-নালা হলো পানি চলাচলের পথ। অথচ খালে ফেলা হচ্ছে পঁচা পেয়াজ, আবর্জনা, এটা তো কাম্য নয়। ব্যবসায়ী নামে এসব গণদুশমন মজুতদারিদের প্রতিহত করতে হবে।

    তিনি ওই এলাকায় বাজার কেন্দ্রিক যেসব অবৈধ চাঁদাবাজ আছেন তাদেরকেও সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করতে বলেন।

    প্রশাসক সুজন চকবাজার কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীদের বাজারের উচ্ছিষ্ট খাল-নালায় না ফেলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এখন একদিকে করোনা মহামারিতে জনবীজন বিপর্যস্ত। অপর দিকে শীতের শুষ্ক মৌসুমে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ বাড়ে। ইতোমধ্যেই করোনার সংক্রামন বেড়েছে। এর মধ্যে যদি ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াকেও নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করবে নগরীর জনজীবনে। তাই আপনাদের প্রতি আমার উদাত্ত আহ্বান আপনারা নিজ বাড়ি, বাসা, ব্যবসা-বাণিজের আশপাশ, আঙ্গিনা নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আমরা এবার নালা-খালের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করছি। এরপর যদি পরিষ্কার হওয়া স্থানে কোন ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র পড়ে থাকতে বা ফেলতে দেখি, তাহলে ওই এলাকার আশ-পাশের বাসিন্দা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

    তিনি আরো বলেন, নগরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে নগরবাসীরও নাগরিক দায়িত্ব রয়েছে। নগরবাসীর সহযোগিতা ছাড়া সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে কোন সেবাকার্যক্রম নির্বিঘ্নে চালানো সম্ভব নয়।

    সুজন করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজনে বাইরে বের হলে মাস্ক পরিধান না করলে শাস্তির ববস্থা করা হবে জানিয়ে নগরবাসীকে সর্তক করে দিয়ে বলেন, আজ (মঙ্গলবার) থেকে নগরীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৬টি টিম জনসাধারণের মাঝে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে অভিযান চালাবে।

    উল্লেখ্য, চকবাজার-পশ্চিম বাকলিয়া এলাকায় চাক্তাই খাল থেকে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারে সিটি কর্পোরেশনের দুটি স্কেভেটর, ১০টি ড্রাম ট্রাক, ৪০ জন পরিচ্ছন্ন সেবক কাজ করবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • চট্টগ্রাম বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি উর্বর ভূমি : সুজন

    চট্টগ্রাম বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি উর্বর ভূমি : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক বন্দর এর অবস্থান ও বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে চট্টগ্রাম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আন্ত:দেশীয় গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে ওঠার শতভাগ সম্ভাবনার আশাবাদ ব্যক্ত করে চট্টগ্রামে শিল্প-বাণিজ্য-পর্যটন খাতে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাতে চান।

    তিনি আজ সকালে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনে তাঁর অফিস কক্ষে ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসনের সাথে সাক্ষাতকালে তাঁকে বলেন, চট্টগ্রাম ব্রিটিশ সু-সভ্যতার স্পর্শে ধন্য হয়ে যথেষ্ট আলোকিত। শিক্ষা, সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অনেক ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সভ্যতার ছাপ সুস্পষ্ট। রেলের পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তরসহ অনেকগুলো ভিক্টোরিয়াল স্থাপত্য রীতি তারই সাক্ষ্য বহন করে। একাধিক ব্রিটিশ কোম্পানী এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের ভিত্তি সোপান তৈরী করে দিয়েছে। চা’য়ের বাগান ও এই শিল্পের বিকাশ ব্রিটিশদের হাত ধরেই অত্তন হয়েছে এবং চট্টগ্রামের বাগান থেকে উৎপাদিত চা বিশ্ব সেরা। এগুলো এখন বাঙালি মালিকানাধীন। সব মিলিয়ে ব্রিটিশের সাথে চট্টগ্রামের সুমধুর বন্ধনের স্মৃতি জ্বলজ্বল করে।

    তিনি চট্টগ্রামের সাথে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যেও বন্ধনের কথা উল্লেখ করে বলেন, হাজার বছর ধরে চট্টগ্রাম প্রাকৃতিক বন্দর সমুদ্র পথে প্রাচ্য, প্রতীচ্য ও পাশ্চাত্যের প্রবেশ দ্বার। তাই চট্টগ্রাম এতদঞ্চলের অর্থনৈতিক হৃদপিণ্ড। পৃথিবীর নানান প্রান্ত থেকে আসা বণিক ও পর্যটকরা এখানে এসে মুগ্ধ হয়েছেন, কেউ কেউ থেকেও গেছেন। তারা আমাদের সমাজ-সভ্যতা-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রকে উর্বর করে গেছেন। ব্রিটিশদের অবদান এ ক্ষেত্রে আরো বেশি। তাঁরা দু’শ বছর এদেশ শাসন করেছে। তাই অনেক ক্ষেত্রেই ব্রিটিশ আইন ও রীতি-নীতি এখনও বহাল আছে।

    চসিক প্রশাসক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক গুরুত্বের কথা তুলে ধরে বলেন, বে-টার্মিনাল ও মহেশখালীর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর হয়ে গেলে চট্টগ্রাম আন্ত: দেশিয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে এবং এর ভবিষ্যত সিঙ্গাপুরের চেয়েও উজ্জ্বল।

    কক্সবাজার থেকে মিরসরাই পর্যন্ত সরকারের পরিকল্পিত উপকূলীয় মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ হলে এ বিশাল বেল্টে শিল্প ও পর্যটনের বিশাল অর্থনৈতিক জোন গড়ে উঠবে। এ বিশাল সম্ভাবনার সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য প্রশাসক ব্রিটিশ হাইকমিশনারের প্রতি আহবান জানান।

    ব্রিটিশদেরই গড়ে তোলা ফয়’সলেক যথাযথ পরিচর্যায় হয়ে উঠতে পারে পর্যটকদের জন্য চমকপ্রদ চারণভূমি। এখান থেকে ভাটিয়ারী পর্যন্ত ক্যাবল কার এর সংযোগ স্থাপন করে, একপাশে স্যাটেলাইট কটেজ নির্মাণ ও এংলিং (বড়শি দিয়ে মাছ ধরা) এর ব্যবস্থা করে হলে এটি উপমহাদেশের ভ্রমণ পিপাসুদের অন্যতম ভ্রমণ কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে। এছাড়া কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে ট্যানেলটি হয়ে গেলে নদীর দক্ষিণ তীরে একাধিক শিল্পজোন গড়ে ওঠার সম্ভাবনা উজ্জ্বল।

    তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের অর্থনেতিক অঞ্চলগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগ আসা শুরু হয়েছে। চীন, কোরিয়া, জাপানসহ বিদেশি বিনিয়োগকারী সাড়া দিয়েছে। সবমিলিয়ে ১২টি দেশ থেকে এখানে বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। তাই চট্টগ্রাম শুধু আঞ্চলিক নয়, আন্ত:দেশীয় থেকে আন্ত:মহাদেশীয় অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের মূল কেন্দ্র হতে খুব বেশি দেরী নেই। তাই এতে সামিল হতে ব্রিটিশ বিনোয়োগকে সাদরে আমন্ত্রণ জানান চসিক প্রশাসক। কারণ চট্টগ্রাম সকল বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্যে লাভ যোগ্য ও সম্ভাবনাময় একটি উর্বর ভূমি।

    ব্রিটিশ হাইকমিশনার বরার্ট চ্যাটারটন ডিকশন চসিক প্রশাসকের আহবানকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রামের সৌন্দর্যে আমরা মুগ্ধ। এখানকার পরিবেশ, পরিস্থিতি ও আর্থ-সামাজিক চিত্র সম্পর্কে আমাদের পূর্বসূরীদের ভালো অভিজ্ঞতা আছে। চট্টগ্রামে বর্তমান ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা সম্পর্কেও আমাদের জানা আছে। তাই এখানে আমরা বিনিয়োগে আগ্রহী। এখানে চীন, কোরিয়া ও জাপানের বিনিয়োগকারীরা যে-ধরণের সুযোগ-সুবিধা ও নিশ্চয়তা নিরাপত্তা পান সেভাবে আমরা পেলে এবং পরিবেশ অনুকুল থাকলে আন্ত:দেশীয় ও আন্ত: মহাদেশীয় আর্থ-সামাজিক উন্নতি ও অগ্রযাত্রার স্বার্থে ব্রিটিশ বিনিয়োগের ঢল নামবে।

    এ সময় ব্রিটিশ হাই কমিশনারের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব মুহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম ও এল আই ইউপিসি প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার সরোয়ার হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • নাগরিক সেবা নিশ্চিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছি : সুজন

    নাগরিক সেবা নিশ্চিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছি : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, আমি সাময়িক সময়ের জন্য কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছি। ১২’শ কোটি টাকার দেনার বোঝা নিয়ে কর্পোরেশনের রুটিন কাজের পাশাপাশি নগরীর নাগরিক সেবা নির্বিঘ্ন করতে গত তিন মাসে আপ্রাণ চেষ্টা চালালাম। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন অফিসের অব্যবস্থাপনা ঠিক ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে গিয়ে দেখি নগরবাসী তাদের নানান সমস্যা নিয়ে আমার কাছে ধর্না দিচ্ছেন। কিন্তু সব সমস্যার সমাধান আমার একার পক্ষে এই সীমিত সময়ে করা সম্ভব নয়।

    তিনি আজ টাইগারপাস বাটালী হিলস্থ কর্পোরেশনের সম্মেলন কক্ষে লেকসিটি হাউজিং সোসাইটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।

    এ সময় কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, লেকসিটি হাউজিং এর সভাপতি এ কে এম মুজিবুল হক, সাধারণ সম্পাদক আফাজ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানে লেকসিটি হাউজিংয়ের সাধারণ সম্পাদক বিগত সময়ে টাকা প্রদানের পরও অল্প কয়েকটি প্লট ছাড়া বাকি মালিকদের প্লট বুঝিয়ে না দেয়ার বিষয়ে প্রশাসককে অবহিত করেন। তখন তারা তাদের বিগত সময়ে প্রদেয় টাকার হিসেবসহ বর্তমানে প্লটের রেজিস্ট্রি খরচ বেড়ে যাওয়ার বিষয়েও জানান।

    প্রশাসক সুজন তাদের কথা শুনে বলেন, আপনাদের সাথে অতীতে যা হয়েছে তা অন্যায়। এটা কাম্য ছিলোনা। এই সমস্যার যাতে একটা সুরাহা করা, সেজন্য আমার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে। আমি আপনাদের এই সমস্যার সমাধানে দু-একদিনের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর বরাবরে পত্র প্রেরণ করে ওনার নির্দেশনা চাইবো। মন্ত্রণালয় যা বলবে, সেই মতে ব্যবস্থা হবে। এর বেশি আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়।

    তিনি আরো বলেন, আমি আমার দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কর্পোরেশনের অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভবিষ্য তহবিলের টাকা অল্প অল্প করে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতাও যথা সময়ে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। গত কয়েকদিন আগেও নগরীর খাল থেকে ৮৫ ট্রাক আবর্জনা অপসারণের ব্যবস্থা করলাম।

    তিনি লেকসিটি হাউজিং এর কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যে অধিকার নিয়ে আমার কাছে এসেছেন, আমি ওয়াদা করলাম আপনাদের সমস্যার সমধানে আমার শতভাগ চেষ্টা থাকবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ডিজিটাল যুগে অর্থনৈতিক হৃদপিন্ড চট্টগ্রাম পিছিয়ে থাকতে পারে না: সুজন

    ডিজিটাল যুগে অর্থনৈতিক হৃদপিন্ড চট্টগ্রাম পিছিয়ে থাকতে পারে না: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর সমাজ বিনির্মানের স্বপ্ন পূরণ এবং বাংলাদেশকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে সামিল হতে হলে সকল ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এই বাস্তবতার প্রেক্ষিতে দেশের অর্থনৈতিক হৃদপিন্ড এবং ৮০ শতাংশেরও জাতীয় আয়ের উৎস বন্দর নগরী চট্টগ্রাম আগামীতে ডিজিটাল ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে।

    অর্থনেতিক গুরুত্ব বিবেচনায় ডিজিটাল যুগে চট্টগ্রাম পিছিয়ে থাকতে পারে না এবং এজন্য প্রয়োজন স্থাপনা, অবকাঠামো নির্মাণ, চর্চা ও গবেণার জন্য পর্যাপ্ত প্লেস বা স্থান। এই বিষয়টি মাথায় রেখে কোন শর্ত ও বিধি-বিধান ছাড়াই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরীতে হাইটেক পাওয়ার পার্ক স্থাপনের জন্যে বাংলাদেশ হাইটেক পাওয়ার কর্তৃপক্ষকে ১২ একর জমি দিয়েছে ন্যূনতম ভাড়ায়।

    তিনি আজ সকালে টাইগারপাসস্থ প্রশাসক দপ্তরে আইসিটি ডিভিশনের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগমের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সাথে সাক্ষাতকালে একথাগুলো বলেন।

    তিনি আরো বলেন, শীঘ্রই মিরসরাইতে অর্থনৈতিক অঞ্চল হতে যাচ্ছে। কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে ট্যানেল নির্মাণ শেষ হলে নদীর দক্ষিণ তীরে একাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠবে। ইতোমধ্যেই এতদ্ অঞ্চলে ১২টি দেশ থেকে বড় অংকের বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ এসব স্থানগুলো অচিরেই শিল্পনগরীতে পরিণত হবে।

    তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আগামীতে এই সকল শিল্প নগরীসহ চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ চলাচল থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দৈনন্দিন কার্যক্রম তথ্য প্রযুক্তির উপর নির্ভর করবে। এ ছাড়াও শিল্প, বাণিজ্যসহ চট্টগ্রামের সকল আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রযুক্তি যথোপযুক্ত ব্যবহার অনিবার্য হয়ে উঠবে।

    হাইটেক পাওয়ার পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম চসিক প্রশাসককে অবহিত করেছেন যে, সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ১১ দশমিক ৫৫ একর জায়গায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পথে। অতি শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এই তথ্য প্রযুক্তি স্থাপনা ও পার্কটি পরিদর্শন করবেন।

    তিনি এই পার্কের জন্য ১ বর্গফুট জায়গার ভাড়া ৩০ টাকার পরিবর্তে ২৫ টাকা ধার্য করার জন্য প্রস্তাব করলে চসিক প্রশাসক তাতে সায় দেন।

    এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ পিএসসি, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম