Tag: চসিক প্রশাসক

  • ডায়াবেটিস জীবনকে সুশৃঙ্খংল ও নিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দেয়:সুজন

    ডায়াবেটিস জীবনকে সুশৃঙ্খংল ও নিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দেয়:সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, ডায়াবেটিস ভয়াবহ কোন মরণব্যাধি নয়, তবে যিনি আক্রান্ত হন পরীক্ষার আগে তিনি বুঝতে পারেন না আক্রান্ত হয়েছেন। তাই উপসর্গ বেড়ে ওঠার আগেই প্রত্যেকেরই প্রয়োজন ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা।

    তিনি আরো বলেন, এই রোগ নিরাময় যোগ্য না হলেও মানুষকে নিজ নিজ জীবন যাপনে নিয়ন্ত্রণ সাধন ব্রতের শিক্ষা দেয়। কোন ভারী ডোজ ও দামী ঔষধপত্র নয়, নিয়ম মাফিক শৃংখলপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বিধি এই ব্যাথির একমাত্র শাস্ত্রসম্মত চিকিৎসা। যারা ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তারা বেশি দিন বাঁচেন এবং জীবনধারাও পরিশ্রম সাধ্য ও সুশৃঙ্খল হয়ে ওঠে। কাজে ও সৃজনে এই ব্যধি বাধা হয়ে ওঠে না। পৃথিবীর অনেক নামী-দামী মানুষ, এমন কি ক্রীড়াবিদ ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রনে রেখে নিজ নিজ কর্ম-কর্তব্য করে যাচ্ছেন।বিশ্বখ্যাত পাকিস্তানী ক্রিকেটার ওয়াসিম আক্রাম ডায়াবেটিস রোগী হয়েও দোর্দন্ড প্রতাপে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন।

    তিনি আজ সকালে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালনোপলক্ষে চট্টগ্রাম ডায়াবেটিস সমিতি আয়োজিত জাকির হোসেন রোডস্থ হাসপাতাল কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, আজকের সভ্য মানুষের পরিবারগুলো প্রায়ই কলহ কেন্দ্রিক। মা-বাবার অমিল ও ঝগড়া ঝাটিতে অনেক সন্তন গৃহবিমূখ। তাই মানসিক ও শারীরিক রোগ-বালাই মুসিবতে তারা ভুগছে। ডায়াবেটিসের আরেকটি কারণ মানসিক ও স্নায়ুবিক উত্তেজনা। তাই সন্তানদের ভালোর জন্য আজকে মা-বাবাদের এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

    তিনি চট্টগ্রাম ডায়াবেটিস হাসপাতালকে একটি মহৎ মানবিক সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, একটা ছোট পরিসর ও অবস্থান থেকে প্রতিষ্ঠানটি বড় মহীরুহে পরিণত হয়ে মানুষকে শীতল ছায়া দিচ্ছে। এখানে অনেকেই সূলভে ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পান, তাই প্রতিষ্ঠানটি আমাদে গর্ব।

    তিনি এই প্রতিষ্ঠানের গৃহকর বাবদ নবমূল্যায়ন জরীপে ধার্যকৃত ১ কোটি ২২ লাখ টাকার পরিবর্তে পূর্বের হারে গৃহকর আদায়ে চসিকের রাজস্ব বিভাগকে নির্দেশন দেন।

    চট্টগ্রাম ডায়াবেটিস সমিতির অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর চৌধুরীর চসিক প্রশাসককে ধন্যবাদ জানয়ে বলেন, তিনি প্রকৃত অর্থে আমাদেরই লোক। একজন রাজনীতিক হিসেবে তিনি জনকল্যাণমূখী কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের যেমন জানেন ও বুঝেন তেমনি আমরাও তাঁকে জানি ও বুঝি।

    তিনি আরো বলেন, ইনসুলিন ইনজেকশনের প্রবক্তা জন বেস্টিক ও বেনজিমের প্রতি সম্মান জানিয়ে ২০০৬ সাল থেকে জাতি সংঘ প্রতি বছর ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন করে আসছে।

    চট্টগ্রাম ডায়েবেটস সমিতির সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী জাবেদ আফছার চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন, পুস্টিবিদ হাসিনা আক্তার লিপি, ডাক্তার নওশের উল্লাহ চৌধুরী, জাফর আহমেদ প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • খাল ও নালা-নর্দমায় পলিথিন ও আবর্জনা নিজেরা না ফেলা পর্যন্ত জলাবদ্ধাতা নিরসন হবে না: সুজন

    খাল ও নালা-নর্দমায় পলিথিন ও আবর্জনা নিজেরা না ফেলা পর্যন্ত জলাবদ্ধাতা নিরসন হবে না: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, দোকান-পাট ও বাসা-বাড়ির সামনে খাল ও নালা-নর্দমায় যদি পলিথিন, প্লাস্টিক বর্জ্য ও আবর্জনা ফেলি তা হলে কিছুতেই জলাবদ্ধাতা নিরসন হবে না। যারা এধরণের অপরিনামদর্শী অপকর্ম করেছেন তারা যদি এ থেকে বিরত না হন এবং নিজ উদ্যোগে খাল ও নালা-নর্দমা থেকে স্তূপকৃত ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্য অপসারণ না করেন তাদের তাদের জরিমানসহ আইনের আওয়াত আনা হবে।

    তিনি আজ সকালে নগরীর ৩৯নং ওয়ার্ডে সৈকত খাল পরিস্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে একথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, আমরা যতই নালা-নর্দমা ও খাল পরিস্কার, প্রশস্তকরণ এবং রাস্তা উঁচু করি না কেন, দেখা যাচ্ছে সেগুলো স্থানীয়রা ময়লা আবর্জনা ও পলিথিন-প্লাষ্টিকের ভাগাড়ে পরিণত করেছে। এমনকি কর্ণফুলী তীরবর্তী ও উপকূলীয় এলাকায় যত্রতত্র গৃহস্থালী ও শিল্প বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। এতে প্রকৃতির উপর ভয়াবহ বিরুপ প্রভাব পড়ছে, নাগরিক দুর্ভোগ বেড়ে যাচ্ছে।

    তিনি সৈকত খালে এবং আশে-পাশের নালা নর্দমায় স্তুূপকৃত পলিথিন ও ময়লা-আবর্জনা দেখে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি নগরীর বিভিন্ন এলাকায় খাল-নালা-নর্দমা ও পানি চলাচলের পথ থেকে পলিথিন প্লাস্টিক বর্জ্য ও আবর্জনা টনে টনে সরিয়ে নিয়ে পানি চলাচলের পথ উম্মোক্ত করেছি কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই সেগুলো পূর্বের আবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। এখানে বাইরে থেকে এসে কেউ পলিথিন ও আবর্জনা ফেলেনি, এই অপকর্ম স্থানীয়রাই করেছে। এখন থেকে যার যার বাড়ি ও দোকান পাটের সামনের খাল ও নালা-নর্দমা নিজেরাই পরিস্কার রাখবেন এবং যাতে পনি চলাচলের পথ বাধাগ্রস্ত না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখবেন।

    তিনি আরো বলেন, যারা সৈকত খালের উপর পারাপারের জন্য বিনা অনুমতিতে স্ল্যাব স্থাপন ও ওয়াসা খলের মধ্যে যে পাইপ লাইন করেছে সেগুলো ১৯ নভেম্বরের মধ্যে অপসারণ ও সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে। এসময়ের মধ্যে স্ল্যাব না সরালে সিটি কর্পোরেশন ভেঙ্গে ফেলবে।

    তিনি আরো বলেন, এই করোনাকালে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব লক্ষণীয়। বর্ষা অতিক্রান্ত হলেও শীতকালে কোথাও যেন পানি জমাট ও পনি চলাচলের পথ আটকে না থাকে সে জন্য নিজ উদ্যোগেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এডিস মশা প্রজনন যাতে না হয় সে জন্য নিজ নিজ আঙ্গিনা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় তিনি মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য নগরবাসীকে পরামর্শ দেন।

    এ সময় চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন এলাকাবাসীর কাছে করোনা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিক হাজী হারুনুর রশিদ, সুলতান মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন, সমির মাহাজন লিটন, মোহাম্মদ কবির, মো. সামসুদ্দিন, মো. সেলিম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী অসীম বড়ুয়া, প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্চন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী।

    পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে করোনা, ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া প্রতিরোধ কার্যক্রম উদ্বোধন করছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    উন্নয়নশীল বাংলাদেশে লক ডাউন নয়, সচেতনতাই প্রধান: সুজন

    আজ বিকেলে নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা এবং ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে আজ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাসব্যাপী সচেতনতামূলক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    এইসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, কভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ হানা দিয়েছে। ইউরোপে দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় আবার লক ডাউন শুরু হলে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশে তা শুরু করা সম্ভব নয়। কারণ জীবন ও জীবিকার চাকা একই সাথে সচল রেখে বৈশ্বিক বিরুপ পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তাই নতুন করে ছন্দ পতন সংকটকে ঘনীভূত করবে। এখন আমরা নিজেকে সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুনিয়ন্ত্রিত ও সুশৃংখল জীবন যাপন ও জীবিকা ধারণ করে পরিস্থিতিকে সামালে দেয়ার পাশাপাশি করোনা পূর্ব কালের সক্ষমতার জায়গায় পৌঁছতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, করোনাকালের প্রথম পর্বে ৭ মাসের অভিজ্ঞতায় আতঙ্ক কেটে গেছে, তেমন ডর-ভয়ও নেই। তবে একেবারে পরোয়া না করার মানসিকতা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিকে ডেকে আনবে। যাকে করোনা ছোবল দিয়েছে তিনি বুঝেন এটা কতটা ভয়ঙ্কর। তাই বিন্দুমাত্র অসচেতনতা ও ঢিলেমির কোন সুযোগ নেই। যারা মাস্ক না পরে বাইরে খোরাফেরা করছেন, বা মাস্ক সাথে রাখলেও নাক-মুখ ঢাকছেন না এবং অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরা ফেরা করছেন তারা ঝুঁকিতে আছেন। আপনারা বিপদ ডেকে আনবেন না। মনে রাখবেন একজন আক্রান্ত হলে পুরো পরিবার ও সমাজ আক্রান্ত হতে পারে।

    তিনি এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র পরিস্কার, সাফ-সুরত করা এবং বাড়ি-ঘর-রাস্তা-ঘাট বাজার দোকান পাট এমনকটি ছাদ বাগন, টব, পরিত্যক্ত প্লাস্টিক সামগ্রী, পরিত্যক্ত টায়ার, টিনের কোটা, ডাবের খোসা, পলিথিন-চিপসের খালি প্যাকেট ইত্যাদিতে যেন পানি জমে থাকতে না পারে এ ব্যাপারে প্রতিটি, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠনকে লক্ষ্য রাখতে আহ্বন জানিয়ে বলেন, নিজেকে সুরক্ষা করার জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন তা নিজেকেই আগে করতে হবে। তা না হলে আমরা আপনারা কেউই নিরাপদ নই। তিনি পঙেঙ্গা সৈকতে ৫ হাজার মাস্ক ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।

    এসময় উপস্থি ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান প্রকৌশলী কর্ণেল সোহেল আহমেদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী অসিম বড়ুয়া, প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, মোরশেদ আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ ইসকান্দর, মোঃ নুরুল আলম, মোঃ সেলিম, সমির মাহাজন লিটন ও জাহেদুল ইসলাম দুর্জয়।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম।

    পরমত সহিষ্ণুতাই হলো বিশুদ্ধ রাজনৈতিক সংস্কৃতি: সুুুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সাথে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চসিক কার্যালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এই সময় প্রশাসক সাবেক মেয়রকে অভ্যর্থনা জানিয়ে বলেন, আমরা দু’জনই রাজনীতিক। রাজনীতির মমার্থ হলো সেবা ও জনকল্যাণ। আমাদের মধ্যে মত ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু পরমত সহিষ্ণুতা থাকতে হবে এবং এভাবেই বিশুদ্ধ রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠতে পারে। তা হলে সমাজে কখনো সহিংসতা, অসহিষ্ণুতা থাকবেনা এবং স্থিতি ও শান্তি বিরাজ করবে।
    মোহাম্মদ মনজুর আলম বলেন, এই চট্টগ্রাম নগরী দেশের অর্থনৈতিক প্রাণ স্পন্দনের কেন্দ্র। সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই নগরীর বিদ্যমান সমস্যা নিরসন করা সম্ভব। তিনি চট্টগ্রামকে সকলের বাসযোগ্য নগরীর হিসেবে গড়ে তুলতে প্রশাসককে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন এবং প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁর জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • হালিশহরে ক্যারাভান: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ও ডেঙ্গু মোকাবেলায় সুজনের নাগরিক বার্তা

    হালিশহরে ক্যারাভান: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ও ডেঙ্গু মোকাবেলায় সুজনের নাগরিক বার্তা

    নাগরিক সচেতনতায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের আজকের বুধবার (১১ নভেম্বর) ‘নগর সেবায় ক্যারাভান’ কর্মসূচিতে ছিল কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা ও ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে খাল-নালায় যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকার নাগরিক আহ্বান। সল্টগোলা ক্রসিং হয়ে পুরাতন ডাকঘর ২নং সাইট বাকের আলী ফকিরের ও চৌচালা মোড় পর্যন্ত। কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন ও প্রকৌশল বিভাগের সমন্বয়ে প্রশাসকের এই কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে চলমান আছে। তাৎক্ষণিক নাগরিক সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন এই ক্যারাভান কর্মসূচি গ্রহণ করেন।

    এর ফলে নগরবাসী তাদের নাগরিক জীবনের সুবিধা, অসুবিধা, অভাব, অভিযোগ সহজে জনপ্রতিনিধিদের জানাতে পারেন। এতে পারস্পরিক মতামত আদান-প্রদানের মাধ্যমে নাগরিক জীবনের বেশ কিছু সমস্যা স্পটেই সমাধান হয়। কর্পোরেশন প্রশাসকের ওই কর্মসূচি নগরবাসীর মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে।

    আজকের ‘ক্যারাভান’ কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে প্রশাসক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জলাবদ্ধতা নিরসনে হালিশহর সল্টগোলা ক্রসিং মোড়ে মহেশখালের মুখে রেগুলেটর পয়েন্ট স্থাপনের কাজ পরিদর্শন করেন। এই রেগুলেটর স্থাপনে চউকের ১৫০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর কাজ সম্পূর্ণ শেষ হলে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি ও জলাবদ্ধতা থেকে দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর এলাকায় জনসাধারণ রক্ষা পাবে।

    এ কাজ পরিদর্শনকালে চউকের চলমান প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কর্ণেল আলী উপস্থিত ছিলেন। পরে ক্যারাভান কর্মসূচিতে রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নগরবাসীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। নালা-খালের পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক আছে কিনা তা প্রত্যক্ষ করেন।

    এ সময় নগরবাসীর মাঝে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচারপত্র বিলির পাশাপাশি দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর স্কুল ডাকঘরের পাশে খালে ফগার মেশিনের সাহায্যে মশার ওষুধ ছিটান ও অনেককে মাস্ক বিতরণ করেন।

    কিছু পথ হেঁটে কিছু পথ স্কুটি চালিয়ে পুরো এলাকার লোহার পুল, নিশ্চিন্তা পাড়া, মিস্ত্রি পুকুর পাড়, মহাজন পাড়া, পুরাতন ২ নম্বর সাইড, সাচী চৌধুরী পাড়া, বরহান পাড়া, আলী মিয়া সরকার বাড়ি এলাকার অধিবাসীদের সাথে কথা বলে তারা কর্পোরেশনের নাগরিকরা ঠিকঠাক ভাবে সেবা পান কিনা তা জানতে চান।

    সে সময় বরহান পাড়া, আলী মিয়া সরকার বাড়ির সড়কটি নীচু হওয়ায় বৃষ্টির মৌসুমে জলামগ্ন থাকে শুনে, এই সড়ক সহসা কর্পোরেশনের উদ্যোগে উঁচু ও পাকা করার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ঘোষণা করেন প্রশাসক।

    পুরো ক্যারাভান কর্মসূচিতে প্রশাসক হ্যান্ড মাইকে কিছু দূর পর পর নগরবাসীর মাঝে নাগরিক সচেতনতায় তাঁর বার্তা পৌঁছে দেন। প্রশাসক বলেন, আসন্ন শীত মৌসুমে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ হিসেবে সংক্রমন বাড়তে পারে। অপরদিকে শুস্ক মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপও বাড়ে। তাই করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে নগরবাসীকে সচেতন হতে হবে। নিজ বাড়ির আঙ্গিনা, পুকুর, ডোবা আশাপাশের নালা-খাল পরিস্কার রাখতে হবে। যাতে মশার উপদ্রব না বাড়ে। পাশাপাশি করোনা মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব মেনে বাইরে গেলে মাস্ক পরিধানের পাশাপাশি কিছুক্ষণ অন্তর সাবান পানিতে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, এই শহর আমাদের তাই একে নান্দনিক, পরিবেশ বান্ধব করে রাখতে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। প্রশাসক করোনার ঠিকা দেশে সহজলভ্য না হওয়ায় পর্যন্ত নগরবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, সামান্য অবহেলায় নিজের ও জনজীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে তাই সাবধানতা অবলম্বনের বিকল্প নাই।

    এ সময় সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, সমাজসেবক হাসান মুরাদ, জানে আলম, হাজী মো. সুলতান, এ এ মান্নান, কামরুল হোসেন, হাবিব শরীফ প্রমুখ প্রশাসকের সাথে ক্যারাভান কর্মসূচিতে ছিলেন।
    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • আমার আকাঙ্ক্ষা নগরে সবুজে ছোঁয়া: সুজন

    আমার আকাঙ্ক্ষা নগরে সবুজে ছোঁয়া: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে প্রকৃতির নন্দিনী। অপরূপ সৌন্দর্যের বন্দর নগর চট্টগ্রামের সৌন্দর্য্য আজ নগরায়নের কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে। আমি চাই আমাদের এই প্রিয় শহর আবারো সবুজের সমারোহে পত্র পল্লবে নানা রঙ ও বর্ণের ফুলে পল্লবিত হউক। বর্তমানে নগরীতে সৌন্দর্য্যবর্ধনের নামে যা হয়েছে তাতে চোখ ভরলেও মন ভরে না।

    তিনি আজ সকালে আন্দরকিল্লাস্থ পুরনো নগর ভবনের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে নগরীর নার্সারী মালিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়ের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, স্থপতি আবদুল্লাহ ওমর, মো. নুরুদ্দীন, বস্তি উন্নয়ন ও বনায়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন আলী উপস্থিত ছিলেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, বিগত সময়ে সৌন্দর্য্যবর্ধনের কার্যক্রম- বাগান দিয়ে শুরু হয়ে দোকান ভাড়া দিয়ে শেষ হয়েছে। এতে গোষ্ঠী বিশেষের লাভ হলেও কর্পোরেশন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমি চাই নগরে সবুজের ছোঁয়া।

    প্রশাসক আসন্ন শীত মৌসুমকে সামনে রেখে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্পটগুলো নানা জাতের ফুলগাছ রোপন করে বর্ণিল ফুলে সজ্জিত করতে নগরীর নার্সারী মালিকদের এগিয়ে আসতে বলেন।

    তিনি বলেন, প্রকৃতির ছোঁয়ায় আমাদের শহরের বৃদ্ধি পাক এটা আমার আকাক্সক্ষা। আশাকরি নগরের নার্সারী মালিকরা আমার আহŸানে সাড়া দিবেন।

    নার্সারী মালিকরা কর্পোরেশনের জায়গায় ফুলের বাগান করার জন্য প্রশাসকের কাছে অনুরোধ জানালে, তিনি তাদের প্রস্তাব নিয়ে আবারো বৈঠকে বসবেন বলে আশ্বস্ত করেন। মতবিনিময়ে নগরের ২০ নার্সারী মালিক উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • চট্টগ্রামের উন্নয়নে আমাদের স্বার্থ এক ও অভিন্ন: চসিক প্রশাসককে রেলমন্ত্রী

    চট্টগ্রামের উন্নয়নে আমাদের স্বার্থ এক ও অভিন্ন: চসিক প্রশাসককে রেলমন্ত্রী

    রেলপথ মন্ত্রী মো.নুরুল ইসলাম সুজন এমপি বলেছেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গৃহীত মেগা প্রকল্পের সাথে আমাদের স্বার্থ এক ও অভিন্ন। দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বন্দর নগর চট্টগ্রাম এগিয়ে গেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আজ সোমবার সকালে মন্ত্রীর সাথে তাঁর সচিবালয়ের দপ্তরে স্বাক্ষাতকালে তিনি একথা বলেন।

    এসময় ফজলে হোসেন বাদশা এমপি ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সেলিম রেজা উপস্থিত ছিলেন।

    স্বাক্ষাতকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন নগরীর মাদারবাড়ি এলাকায় বরাদ্দের টাকা ও জমির উন্নয়ন বাবদে টাকা পরিশোধের পরও ৭একর জায়গা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দখলে থাকা সত্ত্বেও ওই জমির বরাদ্দ বাতিল হওয়ার বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রীকে অবহিত করে তা প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। মন্ত্রী প্রশাসকের বক্তব্য শুনে তা মিমাংসার আশ্বাস দেন।

    প্রশাসক সুজন মন্ত্রীর নিকট মিরসরাই হতে বেজার ব্যবস্থাপনায় চালু হতে যাওয়া বাংলাদেশের বৃহত্তম শিল্পাঞ্চল বঙ্গবন্ধু শিল্প পার্কের গুরুত্ব অনুধাবন করে ওই এলাকার সাথে শহর কেন্দ্রীক মানুষের যোগাযোগের সুবিধার্থে কয়েক জোড়া শাটল ট্রেন চালু ও চট্টগ্রাম দোহাজারি রুটে কমপক্ষে ৪ জোড়া ট্রেন চালুর প্রস্তাব করেন। এতে একদিকে বঙ্গবন্ধু শিল্প পার্কের সাথে সকল শ্রেণির কর্মজীবীদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় পবির্তনের পাশাপাশি শ্রমিক ও কর্মজীবীদের সহজলভ্যতা নিশ্চিত হবে।

    এসময় চট্টগ্রাম নগরীকে পরিচ্ছন্ন, পরিবেশ বান্ধব মানবিক শহরে পরিণত কতে আরো বেশ কিছু প্রস্তাবনা রেলপথ মন্ত্রীর বরাবরে উত্থাপন করেন চসিক প্রশাসক সুজন।

    রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সাথে তাঁর অফিস কক্ষে সাক্ষাত করেন চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশনের প্রশাসক মাহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    মন্ত্রী সাময়িক দায়িত্ব পাওয়ার পরও নগরীর উন্নয়নে প্রশাসকের দূরদৃষ্টি সম্পন্ন চিন্তা ভাবনায় প্রশংসা করে তাঁকে ধন্যবাদ জানান।

    প্রশাসক সুজন রেলপথ মন্ত্রীর নিকট আরো যেসব প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছেন তা হলো চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারবাহী রেল লাইনের সংস্কার ও বগী বাড়ানো, পাহাড়তলীতে স্থাপিত রেল ওয়ার্কশপ পুনরায় চালু ও সংস্কার করা, চট্টগ্রাম নগরীর নতুন রেল স্টেশনের সামনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বা রেলের উদ্যোগে মাল্টি স্টোর বা বহুমুখি পার্কিং চালু করন, রেলওয়ের মালিকানাধীন পাহাড়তলী জোড় ডেবা সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তার করা।

    প্রস্তাবগুলো মন্ত্রী ও প্রশাসকের পারস্পরিক আলাপ-আলোচনায় প্রশাসক সুজন তাঁর প্রস্তাবনার বিষয়ে বেশ কিছু যুক্তি মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। এরমধ্যে বন্দরের কন্টেইনার জট কমাতে রেললাইন সংস্কারের পাশাপাশি বগী বাড়ানোর সুজনের প্রস্তাব মন্ত্রী গুরুত্বসহকারে আমলে নেন।

    এছাড়াও নগরীর যানজট নিরসনে নতুন রেল স্টেশনের সামনে বহুমুখি পার্কিং চালু ও পাহাড়তলী জোড় ডেবার অপব্যবহার রোধের পাশাপাশি এর আশে পাশে অপরাধমূলক ও অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে স্টেশনের ওই জায়গা ও জোড় ডেবা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে বরাদ্দ দেয়ার জন্য রেলপথ মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন চসিক প্রশাসক সুজন।

    প্রশাসক রেলপথ মন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন পাহাড়তলী জোড় ডেবার একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে। এক সময় এলাকার অধিবাসীরা সুপেয় পানির সংকট দূর করতে এই দীঘি খনন করে। আজ অনাদরে অবহেলায় প্রকৃতির এই সৌন্দর্যকে আমরা ম্লান হতে দিতে পারি না। এই জোড় ডেবাকে আমি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নান্দনিক সাজে সাজিয়ে বিনোদনকেন্দ্র রূপে গড়ে তুলতে চাই। আশাকরি আপনি আমার প্রস্তাবে সায় দিবেন।

    স্বাক্ষাতকালে প্রশাসকের সকল প্রস্তাব ও কথা রেলপথ মন্ত্রী মনোযাগ সহকারে শুনে বলেন, আমিও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক দুজনই ছাত্ররাজনীতি থেকে উঠে আসা রাজনৈতিক কর্মী। জাতীয় উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, প্রধানমন্ত্রীর মিশন ভিশন ২০৪০ বাস্তবায়নে আমাদের সম্মিলিত প্রয়াসে চট্টগ্রাম আঞ্চলিকতার গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সুদৃঢ় অবস্থান করে নিবে বলে আমার বিশ্বাস।

    সে সময় রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুবিধাজনক সময়ে চট্টগ্রাম সফরে এসে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের প্রস্তাবিত স্থানগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে এর সম্ভ্যবতা যাচাই করে দ্রুত তাঁর একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত চসিক প্রশাসককে জানাতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী’র সাথে তাঁর অফিস কক্ষে সাক্ষাত করেন চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশনের প্রশাসক মাহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    চসিকের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকার সচেষ্ট: সাক্ষাতকালে প্রশাসক সুজনকে নৌ- সচিব

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আজ ঢাকায় সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী’র সাথে তাঁর অফিস কক্ষে সাক্ষাত করেন।

    এই সময় তিনি সচিবকে চট্টগ্রাম বন্দরের বাৎসরিক আয় থেকে চসিককে ১ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ পরিশোধ, সদরঘাট থেকে কাপ্তাই ও কাপ্তাই থেকে রাঙামাটি পর্যন্ত নৌ রুটে সী-বাস চালু এবং সদরঘাট থেকে বিমানবন্দর সংলগ্ন ১৫নং ঘাট পর্যন্ত সূলভ ভাড়ায় সী-বাস সার্ভিস চালুকরণ প্রসঙ্গে ইতোপূর্বে যে তিনটি পৃথক পৃথক চাহিদা পত্র প্রদান করে ছিলেন তার আলোকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

    সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী চসিক প্রশাসকের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বলেন, চাহিদা পত্রে উল্লেখিত প্রস্তাবনা ও দাবী জনস্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিষয়গুলো মন্ত্রণালয় আমলে এনেছে এবং গুরুত্ব বিবেচনায় এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় সাধন করে পর্যায়ক্রমে যথাযথ উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নেয়া হবে।

    সচিব চসিকের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও জনস্বার্থে প্রদত্ত চাহিদা পত্রের জন্য প্রশাসককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার জনবান্ধব। তাই জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা ও চাহিদা আমলে এনে তা পূরণ করা ও সমাধান নিশ্চিত করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গীকার। সর্বোপরি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকার সচেষ্ট।

    চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন চট্টগ্রাম বন্দরের বাৎসরিক আয় ১ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ পরিশোধ প্রসঙ্গে সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীকে অবহিত করেন, চট্টগ্রাম বন্দর ও চসিক অভিন্ন। চট্টগ্রাম নগরীর টেকসই সড়ক অবকাঠামো ব্যবস্থাপনার উপরই নিভরশীল বন্দরের আমদানী ও রপ্তানী পণ্য পরিবহনের বিষয়টি। বন্দরমুখী ও বহিমুখী ভারীযান গুলোর মাত্রাতিরিক্ত চাপের ফলে সড়কগুলো মারাত্নক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে বন্দরের সক্ষমতায় বিরুপ প্রভাব ও সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে জনদুর্ভোগ অসহনীয় পর্যায়ে ঠেকেছে। চট্টগ্রাম বন্দরে বে-টার্মিনাল এবং মহেষখালীর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর হলেও সড়ক ও স্ট্রাকচারাল সক্ষমতা না থাকলে বন্দরের সক্ষমতার ক্ষেত্রে বড় ধরণের ঘাটতি থেকে যাবে। তাই বন্দরের বাৎসরিক আয় থেকে ১ শতাংশ হারে চসিককে পরিশোধ করা হলে আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নের কর্মকান্ড চলমান রাখা সম্ভব হবে। এতে সাধারণ মানুষ ও পণ্য পরিবহন সহজ, নিশ্চিত ও নিরাপদ হবে এবং এর সুফল হিসেবে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

    সদরঘাট থেকে কাপ্তাই ও রাঙামাটি নৌ-রুটে সী-বাস সার্ভিস চালুর চাহিদা পত্র প্রসঙ্গে চসিক প্রশাসক বলেন, সড়কের পাশাপাশি অন্য কোন বিকল্প চলাচল পথ না থাকায় যানজট সহ নানা দুর্ভোগ হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় নৌ-রুট। সদরঘাট থেকে কাপ্তাই হয়ে রাঙামাটি পর্যন্ত সী-বাস বা লঞ্চ রুট হলে যাত্র ওজন্য পরিবহন এবং পার্বত্য এলাকা থেকে তরিতরকারী, শাক-সবজীসহ কৃষিপণ্য চট্টগ্রাম শহরে পরিবহন সহজলভ্য হবে এবং কৃতি অর্থনীতির ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

    চাহিদাপত্রে সদরঘাট থেকে বিমান বন্দর সংলগ্ন ১৫নং ঘাট পর্যন্ত সী-বাস চালু ও এর সূলভ মূল্যে ভাড়া নির্ধারণ প্রসঙ্গে বলেন, এতে নগরীতে যানজট নিরসন কিছুটা হলেও সম্ভব হচ্ছে। বিশেষ করে বিমান বন্দর ব্যবহারকারী যাত্রীদের জন্য বেশ স্বস্থিদায়ক তবে জনপ্রতি ৪০০ টাকা করে ভাড়া নিধারণ করাটা সবার জন্য সক্ষমতার বাইরে। সূলভ মূল্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন বিআইডব্লিউবিসি বা বন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে একই জেটি ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের জন্য সী-সার্ভিস চালু হলে এয়ারপোর্ট রোডে চলাচলে যানজট থেকে নগরবাসী রেহাই পাবে।

    তিনি মেরিন রোড সদরঘাট থেকে কর্ণফুলী ব্রীজ পর্যন্ত সরাসরি সংযোগ করার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এই রোড দিয়ে এখন ফিরিঙ্গিবাজার থেকে কর্ণফুলী ব্রীজ পর্যন্ত চলাচল করতে পারছে। এতে যানজট কিছুটা নিরসন হচ্ছে। তবে সদরঘাট থেকে ফিরিঙ্গিবাজার পর্যন্ত রোডটি সংযোগ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় ভারী যানবাহন সদরঘাট কর্ণফুলী সেতু হয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টেকনাফ পর্যন্ত সরাসরি চলাচল করতে পারছে না। তাই সদরঘাট থেকে ফিরিঙ্গিবাজার পর্যন্ত অংশটি দ্রুত সম্পন্ন করে মেরিন রোডের সাথে যুক্ত হলে পুরো নগরী যানজট মুক্ত হবে এবং দূরপাল্লার সড়ক যোগাযোগ সহজতর হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • চসিক প্রশাসকের নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে প্যাচওয়ার্ক

    চসিক প্রশাসকের নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে প্যাচওয়ার্ক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের নির্দেশে নগরীর ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করেছে কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ। নয় ভাগে বিভক্ত হয়ে ভেঙে যাওয়া সড়কসমূহের গর্ত ভরাট ও প্যাচওয়ার্ক করে যান চলাচলের উপযোগী করতে

    আজ সোমবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে কাজ শুরু করেছে কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ।

    নগরীর যেসব স্থানে প্যাচওয়ার্কের কাজ শুরু হয়েছে সেসব স্থান হলো: মেহেদীবাগ গোলপাহাড় মোড় হতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মোড়, চকবাজার গুলজার টাওয়ার মোড় থেকে চট্টগ্রাম কলেজ গেট মোড়, ফিরিঙ্গীবাজার কবি নজরুল ইসলাম রোডের ওয়ার্ড অফিস সংলগ্ন এলাকা, মোহরা দেওয়ান মহসিন রোড, সল্ট ক্রসিংয়ের ভিতরের এলাকা, হালিশহর আনন্দবাজার রোডের চৌচালা মোড়, হালিশহর বিজিবি’র ভিতরের এলাকা। এসব এলাকার কাজ শেষ হতে আনুমানিক ১৫ দিন লাগবে।

    কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ের বৃষ্টির কারণে নগরীর বিস্তীর্ণ এলাকার বেশকিছু সড়ক ভেঙে গিয়ে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

    এছাড়াও সরকারের চলমান মেগা প্রকল্পের কারণে চউক, চট্টগ্রাম ওয়াসাও খোঁড়াখুঁড়ি করায় সড়কগুলোতে যান ও জনচলাচলের ক্ষেত্রে দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। তাই কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন ধারাবাহিক কর্মসূচি ক্যারাভান এর মাধ্যমে নগরীর অলিগলির যাবতীয় সমস্যা সরেজমিন অবলোকন করে তাৎক্ষণিক সমাধানের চেষ্টা করছেন। তারই আলোকে নগরীর ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর প্যাচওয়ার্কের মাধ্যমে মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। এতে নগরবাসীর দুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করেন প্রশাসক।

    নগরীর বিভিন্ন সড়কে কার্পেটিংয়ের পাশাপশি প্যাচওয়ার্ক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। নগরবাসীর ভোগান্তি লাঘবই হচ্ছে চসিক প্রশাসকের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • চট্টগ্রাম আঞ্চলিক থেকে আন্তর্জাতিক গুরুত্বের অভিধায় উন্নীত: চসিক প্রশাসককে মুখ্যসচিব

    চট্টগ্রাম আঞ্চলিক থেকে আন্তর্জাতিক গুরুত্বের অভিধায় উন্নীত: চসিক প্রশাসককে মুখ্যসচিব

    প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস বলেছেন, চট্টগ্রাম শুধুমাত্র বাংলাদেশর অর্থনৈতিক হৃদপিন্ড নয়, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নবজাগতি ও সমৃদ্ধির সৃষ্টিশীল বলয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই স্বপ্ন ও প্রত্যাশার প্রাপ্তি যোগের বিষয়টি নিজের মেধা, মনন, চিন্তা-চেতনা ও পরিকল্পনা ধারণ করে কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একমাত্র ট্যানেল নির্মাণ, একাধিক অর্থনৈতিক জোনসহ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কর্মযজ্ঞ শুরু করেছেন। কারণ এই চট্টগ্রাম থেকে রিজিওনাল কানেক্টিভিটি কর্মপরিকল্পনা ঘুনধুম হয়ে মিয়ানমার ছুঁয়ে চীনের কুর্মিং সিটি পর্যন্ত আন্তঃদেশিয় সড়ক যোগাযোগ, চট্টগ্রাম বন্দর ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে ভারতের পূর্বাঞ্চলের ৭টি রাজ্যসহ নেপাল ও ভূটানের সাথে ট্রানিজিট লিংক, অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১২টি দেশের বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন-বিভশন ২০৪০ পূরণের বাস্তবায়নে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। তাই চট্টগ্রাম এখন আঞ্চলিকতার গন্ডি পেড়িয়ে আন্তর্জাতিকতার অভিধায় অভিষিক্ত।

    আজ সকালে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের কার্যালয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সাথে সাক্ষাতকালে তিনি একথা বলেন।

    এই সময় খোরশেদ আলম সুজন চট্টগ্রামের সামগ্রিক উন্নয়ন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধিকল্পে বেপজা, বন্দর ও কাস্টমস্ থেকে বাৎসরিক আয়ের একটি নির্ধারিত অংশ পরিশোধ এবং চসিকের শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ সেবাখাতগুলোর কর্মক্ষমতার পরিধি প্রসারে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে তাঁর দেয়া চাহিদা পত্রে উত্থাপিত দাবীগুলো তুলে ধরেন।

    ড. কায়কাউস আহমেদ এর সাথে সহমত পোষণ করে বলেন, এই মাটির সন্তান হিসেবে আমি চট্টগ্রামের মানুষের চাওয়া-পাওয়ার কথা বুঝি। এই চাওয়া-পাওয়া পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের করনীয় দায়িত্ব কাঁদে তুলে নিয়েছেন।

    তিনি চসিক প্রশাসককে তাঁর চাহিদা পত্র অনুযায়ী দাবী গুলো পূরণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রাখতে সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

    এদিকে ঢাকায় আজ চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন কর্মব্যস্ত দিন অতিবাহিত করেন।

    তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিষয়ক সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, স্বাস্থ্য সচিব মোঃ আবদুল মান্নানের সাথ্যে তাদের নিজ নিজ দপ্তরে সাক্ষাত করেন।

    স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি’র সাথে স্বাক্ষাতকালে চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। তবে মাদক, নারী নির্যাতন ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে শতভাগ জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে হবে। অপরাধী সনাক্ত করণে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ও পুরো নগরীকে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে। স্বরাস্ট মন্ত্রী এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিষয়ক সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনের সাথে সাক্ষাতকালে চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোশেদ আলম সুজন বলেন, চট্টগ্রামের সন্তান হিসেবে আপনার ভালো ধারণা আছে। চট্টগ্রামে কভিড-১৯ মোকাবেলায় গঠিত তদারকী কমিটির প্রধান সমন্বয়ক হিসিবে আপনার ইতিবাচক ভূমিকায় চট্টগ্রাম নগরবাসী উপকৃত হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ডেউ মোকাবেলায় চসিক প্রস্তুত। স্বাস্থ্য বিধি মানা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে জনসচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

    সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন এব্যাপারে সহযোগিতার আম্বাস দেন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বন্দর, বেপজা ও কাস্টমস থেকে তাদের আয়ের একটি অংশ দেয়ার ব্যাপারে করণীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

    স্বাস্থ্য সচিব মোঃ আবদুল মান্নানের সাথে স্বাক্ষাতকালে চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য খাত দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হলেও বর্তমানে গতি হারিয়েছে। সরকারি ভাবে এই নগরীতে স্বাস্থ্য সেবা অপ্রতুল। ষাট লাখের বেশি নগরবাসীকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে যে আর্থিক সক্ষমতা প্রয়োজন তা চসিকের নেই। তাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রণোদনা খুবই প্রয়োজন।

    এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য সচিব মোঃ আবদুল মান্নান বলেন, চসিক ইপিজেড এলাকয় মাতৃসদন ও হাসপাতাল নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে যে চাহিদা পত্র দিয়েছিল তা বিবেচনায় আজই মন্ত্রণালয়ে সভা হয়েছে এবং সভায় এর অনুকূলে অনুমোদন দেয়া হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ঢাকায় অবস্থানরতদের সহায়তা চসিককে সক্ষমতার ভিত্তি দেবে: সুজন

    ঢাকায় অবস্থানরতদের সহায়তা চসিককে সক্ষমতার ভিত্তি দেবে: সুজন

    চট্টগ্রামের সামগ্রিক উন্নয়নে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন ঢাকায় অবস্থানরত চট্টগ্রামের সন্তান সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সাংস্থার সাবেকও বর্তমান পদস্থ কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিসহ বিশিষ্ট নাগরিকদের সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নগরী হওয়ায় জাতীয় অর্থনীতির হৃদপিন্ড। চট্টগ্রাম থেকে চীন পর্যন্ত সরাসরি সড়ক যোগাযোগ এবং বন্দরের মাধ্যমে পূর্ব ভারতের ৭টি রাজ্য, নেপাল ও ভূটানের সাথে ট্রানজিট লিংক এতদ্ অঞ্চলের অথনৈতিক সমৃদ্ধি ও শ্রী বৃদ্ধির সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে। তাই চট্টগ্রাম বাঁচলে শুধু দেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার যুগান্তকারী পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বৈল্পবিক ভূমিকা রাখবে।

    তিনি আজ ঢাকায় সমাজ উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক’র চেয়ারপার্সন হোসাইন জিল্লুর করিমের সাথে তাঁর অফিস কক্ষে সাক্ষাৎকালে একথাগুলো বলেন।

    তিনি আরো বলেন, জাতীয় আয়ের ৮০ শতাংশেরও বেশি চট্টগ্রাম থেকে অর্জিত হলেও জাতীয় আয় বৃদ্ধির অনেকগুলো খাত নির্জিব রয়ে গেছে। এগুলোকে জাগিয়ে তোলা, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, উপকূলীয় অঞ্চলে পর্যটন কেন্দ্র ও স্থাপনা গড়ে তোলা, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো দেশি-বিদেশী বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন-ভিশন অনুযায়ী বাংলাদেশ উন্নত দেশের মাইল ফলক স্পর্শ করবে।

    তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি কল্পে আয়বর্দ্ধক প্রকল্প বাস্তবায়ন, প্রধান সেবা খাত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিভাগের গতিশীলতা আনয়ণে ঢাকায় অবস্থঅরতন চট্টগ্রামের বিশিষ্ট জন ও কৃতি সন্তনদের প্রণোদনামূলক সহায়তার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, তাঁরা এগিয়ে এলে চসিক জনকল্যণমূখী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজের পায়ে দাঁড়াবার ভিত্তি পাবে।

    ব্র্যাক চেয়ারপার্সন হোসাইন জিল্লুর করিম চসিক প্রশাসকের বক্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করে বলেন, প্রশাসক হিসেবে খোরশেদ আলম সুজনের প্রচেষ্টা আশা জাগানিয়া। মহৎ ও ভালো কাজের জন্য যে মানসিক ও নৈতিক দৃঢ়তা প্রয়োজন তা থাকলে কোন কিছুই অসাধ্য নয়।

    তিনি আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকান্ড এবং রাস্তা-ঘাটের সংস্কার বর্তমানে যে গতি পেয়েছে সে গতি ধরে রাখতে পারলে চট্টগ্রাম নগরী অচিরেই একটি সুন্দর, সুস্থ এবং পরিচ্ছন্ন নগরীতে পরিণত হবে।

    তিনি চসিক প্রশাসকের যে কোন কর্মকান্ডে সর্বাত্নক সহযোগিতার আশ্বাসও প্রদান করেন। সেসময় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মূখ্য সচিব ও ব্র্যাকের উপদেষ্টা আবদুল করিম, চসিক প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • নগরীর কোন খালে খোলা পায়খানা রাখা যাবে না: সুজন

    নগরীর কোন খালে খোলা পায়খানা রাখা যাবে না: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন খালের মধ্যে কোন খোলা পায়খানা রাখা যাবেনা বলে ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমানে যে বা যারা নগরীর বিভিন্ন খালে খোলা পায়খানা স্থাপন করেছেন তা নিজ দায়িত্বে দ্রুত অপসারণের নির্দেশ দেন। না হয় কর্পোরেশন তা উচ্ছেদ করবে।

    তিনি আজ শুক্রবার সকালে চলমান মশক নিধন কার্যক্রমের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর মাস্টার পোল এলাকায় ক্র্যাশ প্রোগ্রামে একথা বলেন।

    এসময় কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, স্থানীয় অধিবাসী ও সাংস্ককৃতি কর্মী শাহরিয়ার খালেদ, সাবেক ছাত্রনেতা শাহ নেওয়াজ খালেদ, কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রশাসকের সাথে ছিলেন।

    ক্র্যাম প্রোগ্রামে মাস্টার পোল এলাকার চাক্তাই খালে মশার ঔষধ ছিটানোকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমি নগরবাসীর প্রতি বিনীতভাবে অনুরোধ করবো আপনারা নালা-নর্দমা, খাল ও যত্রতত্র আবর্জনা ফেলবেন না। খালে খোলা পায়খানা স্থাপন করবেন না। এসব কার্যকলাপ পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ।এশহর আমার-আপনার সবার। শহরকে পরিচ্ছন্ন আবর্জনা মুক্ত, পরিবেশবান্ধব মানবিক শহরে পরিণত করতে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়ে আমি সেই চেষ্টা করছি। আশাকরি নগরবাসীও তাদের সামাজিক দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হবেন।

    এসময় তিনি কর্পোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রমের ক্র্যাশ প্রোগামের প্রথম ১০দিন নগরবাসীকে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলতে নিজ বাড়ির আঙ্গিনা, আশ-পাশ, ডোবা পরিস্কার রাখতে সচেতন করে প্রচার-প্রচারনা চালানো হবে বলে জানান। এরপর যদি এই প্রচার-প্রচারনায় কাজ না হয়, তাহলে কর্পোরেশনের উদ্যোগে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    প্রশাসক এলাকার স্থানীয় যারা ঘরা ভাড়া দিয়েছেন তাদেরকে নিজ এলাকা পরিস্কার রাখতে উদ্যোগী হওয়ারও আহবান জানান। ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র না ফেলে থলেতে ভরে নির্দিষ্ট সময়ে কর্পোরেশনের সেবকদের কাছে জমা করতে বলেন।

    তিনি ডেঙ্গু থেকে রাক্ষা পেতে এডিশ মশার প্রজনন স্থান ধ্বংসে নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এডিশ মশা স্বচ্ছ পানি, ফুলের টব, ডাবের খোষা, রেফ্রিজারেটরের ট্রেতে জমে থাকা পানিতে বংশ বিস্তার করে। তাই এগুলোতে যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

    পশ্চিম খুলশী এলাকায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন

    খুলশীতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দিলেন
    চসিক প্রশাসক সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন বাংলাদেশ দুর্যোগ প্রবণ দেশ। এখানকার জনসাধারণ দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম। যেকোন ধরনের দুর্যোগে সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করবো। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনও যে কোন ধরণের সহায়তায় পাশে থাকবে।

    তিনি আজ শুক্রবার সকালে নগরীর পশ্চিম খুলশী এলাকায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে একথা বলেন।

    মোট ১৪টি পরিবারের প্রত্যেককে নগদ ২ হাজার টাকার পাশাাশি, চাল-ডাল, সয়াবিন তেল, লবন, চিনি, সুজি, সাবান, মাস্ক ও হ্যান্ড সেনিটাইজার প্রদান করা হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের হাতে এসব ত্রাণ সমাগ্রী তুলে দেন।

    এসময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রশাসকের একন্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম অঞ্চলের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল জাব্বার, যুব প্রধান ইসমাঈল হক চৌধুরী ও স্থানীয় সমাজসেবক ওয়াসিমুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

    লালদিঘী পার্ক সর্বসাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে পরিদর্শন করছেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন

    সর্বসাধারনের জন্য লালদিঘী পার্ক উম্মোক্ত করলেন চসিক প্রসাশক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, লালদিঘী ও চট্টগ্রাম অভিন্ন। লালদিঘী একটি দৃষ্টিনন্দন বিনোদন কেন্দ্র। এই পার্কে একবারও আসেননি এরকম কোন চট্টগ্রামবাসী নেই। ১৯৩৯ সালে জমিদার রায় বাহাদুর রাজ কুমার এই দিঘী ও পার্কটির গোড়াপত্তন করেন। এই দিঘীতে সাঁতার শিখেছেন অনেকে। প্রাতঃভ্রমণ করেছেন এবং এখনও করেন শত শত নাগরিক। লোহা-ইট-সিমেন্টের স্থাপনা ও ইমারতে ঠাঁসাএই নগরীতে লালদিঘী পার্ক সবুজে বনে টলমলে জলে এক টুকরো ভূ-স্বর্গ। তাই নগরবাসীর কাছে এই ভূ-স্বর্গটি প্রাণ সঞ্চারিনী। তিনি আজ সকালে লালদীঘি পার্কটি জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত করণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র মরহুম আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী রায় বাহাদুর রাজ কুমারের পরিবার থেকে প্রতীকি মূল্যে লালদিঘী পার্কটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মালিকানায় কিনেন। দিঘী ও পার্কটিকে নানান উপাদানে নান্দনিক করে তোলেন। প্রাসঙ্গিক কারণে প্রাতঃ ও বৈকালিক ভ্রমণ কাল এতদিন এটা সর্বসাধারণের জন্য উম্মুক্ত ছিলোনা। নগরবাসীর চিত্তের আনন্দ ও হেটে বসে ক্ষণিকের স্বস্থি ও পরিতৃপ্তির জন্য পার্কটি আজ থেকে সর্বসাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া হয়।

    এই লালদিঘী পার্কের রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন ও শ্রী বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পর্যায়ক্রমে সৌন্দবর্দ্ধন ও নান্দনিক রূপদানে বিভিন্ন প্রকল্প ও উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে।

    তিনি আরো বলেন, লালদিঘীতে অল্প খরছে শিশু-কিশোরদের সাঁতার শেকার পুলসহ দীঘির চারপাশে চমকপ্রদ ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে দেয়া হবে।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি এ.কে.এম রেজাউল করিম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্চন্ন কর্মকর্তা মোঃ মোরশেদুল আলম চৌধুরী, বন ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন আলী চৌধুরী প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • চসিকের সাথে কাজ করতে চায় ডিজিটাল হেলথ কেয়ার সলিউশান

    চসিকের সাথে কাজ করতে চায় ডিজিটাল হেলথ কেয়ার সলিউশান

    স্বাস্থ্যসেবা প্রচারণায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাথে কাজ করতে চায় ডিজিটাল হেলথ কেয়ার সলিউশানস।

    এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের দপ্তরে আজ দুপুরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন উপস্থিত ছিলেন।

    এতে একটি প্যাকেজের ফ্রি মোবাইল কল ও চ্যাটের মাধ্যমে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শসহ চিকিৎসাসেবা পাবেন জনসাধারণ। পরামর্শের পাশাপাশি চিকিৎসা প্রত্যাশী ব্যক্তি ও পরিবারের জন্য প্যাকেজের আওতায় মাসিক আড়াই লক্ষ ও করোনা আইসোলেশানে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা ক্যাশ বেনিফিট পাওয়া যাবে।

    অনুষ্ঠানে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা (অতি. দায়িত্ব) হুমায়ন কবির, ডিজিটাল হেলথ কেয়ার সলিউশান চট্টগ্রামের বিজনেস লিডার্স সুলতানা শহীদ, টেরিটোরি ম্যানেজার রাজীব দাস, কর্পোরেট ম্যানেজার তানভীর মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

    সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন ডিজিটাল হেলথ কেয়ার সলিউশান স্বাস্থ্য সেবায় কর্পোরেশনের সাথে কাজ করতে আগ্রহী হওয়ায় তাদের ধন্যবাদ জানান। এসময় প্রশাসক ডিজিটাল হেলথ্ কেয়ারের কর্মকর্তাদের তাদের কার্যক্রমের সাথে কর্পোরেশনকে সহযোগী করতে চাইলে উপানুষ্ঠানিক পত্র প্রেরণ করতে বলেন।

    উত্তর আগ্রাবাগ পানওয়ালা পাড়া ও চাড়িয়া পাড়ায় ফুটপাত ও নালা উপর অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করছেন চসিকের ভ্রাম্যমাণ আদালত

    নালা দখলমুক্ত করল চসিকের ভ্রমাম্যাণ আদালত

    নগরীর উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের পানওয়ালা পাড়া ও চাড়িয়া পাড়ায় অভিযান চালিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    আজ বৃহস্পতিবার সকালে কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেসাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌসের নেতৃত্বে অভিযানকালে পানওয়ালা পাড়া ও চাড়িয়া পাড়া সড়কের পাশে নালার জায়গায় গড়ে উঠা ১০টি দোকানের বর্ধিতাংশ উচ্ছেদ করে নালার জায়গা দখলমুক্ত করা হয়।

    অভিযনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিত করেন।

    চসিক প্রশাসকের সাথে
    অভয়মিত্র মহাশশ্মান নেতৃবৃন্দের সাক্ষাত

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজনকে অভয়মিত্র মহাশশ্মানের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর টাইগারপাসস্থ দপ্তরে সাক্ষাত করতে যান মহাশশ্মান পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ।

    এই সময় শশ্মান পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারীর নেতৃত্বে স্বাক্ষাতকারীদের দলে শশ্মানের উন্নয়ন কাজে সহায়তাকারী দাতা সদস্য অনিতা চৌধুরী, বাংলাদেশ গীতা শিখা কমিটির কেন্দ্রীয় সধারণ সম্পাদক ডা. অঞ্জন কুমার দাশ, সমাজসেবী ভক্তি রাণী দাশ উপস্থিত ছিলেন।

    শশ্মান কমিটি প্রশাসককে শশ্মানের চলমান কাজের সুবিধার্থে পুরনো বৈদ্যুতিক সংযোগ লাইনের কাজের সংস্কার প্রয়োজন বলে জানালে, তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) বাবু ঝুলন কুমার দাশকে নির্দেশ দেন।

    প্রশাসক সুজন শশ্মানের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে আগামী ৬ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    সংবাদদাতা
    স্বাক্ষরিত
    (কালাম চৌধুরী)
    জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব)
    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন
    মোবাইল-০১৮২৪-৪৭৭৬৯৩

  • বৃষ্টি উপেক্ষা করে খালের আবর্জনা পরিস্কারে সুজন

    বৃষ্টি উপেক্ষা করে খালের আবর্জনা পরিস্কারে সুজন

    ঝুম বৃষ্টি। সময় সকাল ৭ টা। আর এই বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আজ বুধবার (৪ নভেম্বর) সকালে নগরীর বির্জা খাল থেকে আবর্জনা ও বর্জ্য পরিস্কারের মাধ্যমে মশকনিধন কার্যক্রমের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে যান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    দায়িত্বের কারণে কোন বাধা মানতে নারাজ তিনি। তাই বৃষ্টি উপেক্ষা করে মশকনিধন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে খবর পান নগরীর পূর্ব বাকলিয়া ইছহাইক্যার পুলের নীচে বৃষ্টিতে জলজট সৃষ্টি হয়েছে। এই খবর শুনে সাথে সাথে ওই স্থানে পরিদর্শনে ছুটে যান প্রশাসক।

    পরিদর্শনকালে প্রশাসক সুজন ‘ইছহাইক্যার পুলের’ নীচে ওয়াসার সংযোগ লাইনের দুটি বিশাল আকৃতির লোহার পাইপ দেখতে পান। আর এ পাইপের সংযোগ লাইনের সাথে বড় বড় কচুরিপানা, ঘাস, বিভিন্ন আগাছা, লতা-গুল্ম আটকে খালের পানি চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে দেখে তাৎক্ষণিক কর্পোরেশনের শতাধিক শ্রমিক নিয়োজিত করে তিনি এসব আবর্জনা পরিস্কারের ব্যবস্থা নিয়ে পানি চলাচল স্বাভাবিক করেন।

    এসময় প্রশাসক ‘ইছহাইক্যার পুলে’র নীচে থাকা ওয়াসার সংযোগ লাইনের পাইপের কারণে খালের পানি প্রবাহ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সে জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নিতে ওয়াসার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে ঘটনাস্থল থেকে ফোন করেন। সে সময় স্থানীয় জনসাধারণ প্রশাসকের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। প্রয়োজনে তিনি এ ব্যাপারে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে কথা বলবেন বলে স্থানীয় জনসাধারণকে আশ্বস্থ করেন।

    মশকনিধন কার্যক্রম উদ্বোধনকালে প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, স্থানীয় রাজনীতিক আহমদ ইলিয়াছ, মুক্তিযোদ্ধা এছাক মন্টু, সমাজসেবক শামসুল আলম, আবু জাফর, শফিউল আজম বাহার, মফজল আহমদ, নাঈম রনি, কফিল উদ্দীন, শহীদুল ইসলাম শহীদ, আনিসুল আজাদ, আকতার জামান রানা প্রশাসকের সাথে ছিলেন।

    মশক নিধন কর্মসূচির উদ্বোধনের কাজে নিয়োজিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের শ্রমিক সেবকদের জন্য এমদাদ হাসান বাবু নামের স্থানীয় এক অধিবাসী সকালে নাস্তার ব্যবস্থা করেন। তাঁর এই আতিথেয়তা ও মানবিক সহায়তায় প্রশাসক সুজন প্রশংসা করেন এবং ওই অধিবাসীকে ধন্যবাদ জানান।

    মশক নিধন কার্যক্রম উদ্বোধনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, নগরীর চাক্তাই-মহেষখালসহ অধিকাংশ খাল এখন ময়লা আবর্জনায় ভরা। কর্পোরেশন মশক নিধনে এসব আবর্জনা পরিস্কারে কাজ শুরু করেছে। আগামীতে পরিস্কার হওয়া খাল-নালায় কোন ময়লা,আবর্জনা দেখলে কঠোর ব্যবস্থা নিব। আমি আজ সরেজমিন বির্জা খাল পরিদর্শন করে দেখলাম খালে পলিথিন,ককসিট !

    এ সময় তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা নিজ নিজ বাড়ির আঙিনা, পুকুর, খাল-নালা পরিস্কার রাখুন। এটা আমার আপনার সামাজিক দায়িত্ব।

    প্রশাসক নগরবাসীকে খাল-নালায় পলিথিন, ককসিট ও অপঁচনশীল দ্রব্য ফেলা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

    তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা পলিথিন বর্জন করুন। পলিথিনের কারণে আজ কর্ণফুলী নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে।

    তিনি নগরবাসীকে নগরীর জীবনযাত্রা ব্যাহত করে এই ধরণের পণ্য ব্যবহার না করার আহ্বান জানান। পলিথিন ব্যবসায়ীদেরও বিকল্প ব্যবসার পথ খুঁজতে বলেন।

    তিনি বলেন, কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে আমরা ইতোমধ্যে নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার ও স্টেশন রোডের ফলম-িতে ময়লা রাখার জন্য পলিথিনের বিকল্প থলে (ব্যাগ) সরবরাহ করেছি। আমি চাই আমোদের এই প্রিয় নগর সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে পরিস্কার রাখতে।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রশাসক বলেন, ময়লা-আবর্জনার মধ্যে মশা বংশ বিস্তার করে। সামনে ডেঙ্গুর মৌসুম। ম্যালেরিয়ার পাশাপাশি এডিশ মশা ফুলের টবে জমে থাকা স্বচ্ছ পানি,রেফ্রিজারেটরের পানি ও ছাদের কর্নিশে জমা পানিতে বংশ বিস্তার করে। তাই এডিশ মশার প্রজনন ধ্বংসে আমাদের নিজ বাসা-বাড়ি,আঙিনা পরিস্কার রাখতে হবে।

    তিনি বলেন, মশার প্রজনন ধ্বংসে আমরা পরিবেশবান্ধব ওষুধ ছিটানোর কথা ভাবছি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শমতে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি নয়,এই ধরণের ওষুধ ছিটাতে হবে। আমরা এখন তা নিয়ে ভাবছি। নগরবাসী সচেতন হলে ডেঙ্গুসহ ম্যালেরিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে প্রশাসক মন্তব্য করেন। তিনি সরকারি নির্দেশনা মেনে নগরবাসীর সহযোগীতায় চট্টগ্রাম নগরকে পরিচ্ছন্ন মানবিক ও করোনামুক্ত শহরে পরিণত করা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ১৫ নভেম্বর থেকে মাস্কবিহীন দেখলে স্পটে জরিমানা করা হবে: সুজন

    ১৫ নভেম্বর থেকে মাস্কবিহীন দেখলে স্পটে জরিমানা করা হবে: সুজন

    ডেস্ক নিউজ : আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে মাস্ক বিহীন অবস্থায় কাউকে রাস্তায়, বাজারে, শপিং মলে যানবাহনে চলাচল করতে দেখা গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে স্পটে জরিমানা করা হবে।

    করোনা সংক্রমন পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রনে থাকলেও শংকা কাটেনি এবং শীত মৌসুমে এর ব্যাপ্তি বৃদ্ধির আশংকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

    তিনি মঙ্গলবার সকালে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনে চসিক বিভাগীয় প্রধান ও প্রকৌশলীদের সাথে অনুষ্ঠিত মশক নিধন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধ বিষয়ক সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, আমরা যদি সচেতন না হই তা হলে কোভিড-১৯ এর সাথে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া যুক্ত হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। তাই আগে ভাগে মশক প্রজননের উৎস ও উৎপত্তির স্থান নির্মূলে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ শীঘ্রই ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নেবে।

    তিনি আরো বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে যে সকল স্থানে বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল আটকে দেয়া হয়েছে সেখানেই মশক প্রজনন ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তাই পানি যাতে জমে না থাকে সে জন্য পানি সরে যাওয়ার বিকল্প পথ তৈরীর ব্যবস্থা করতে হবে।

    তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতিটি বাসা-বাড়ি, দোকান-পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাস স্ট্যান্ড, রেলস্টেশন ও বিমান বন্দর পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও কর্তৃপক্ষকেই নিজ নিজ উদ্যোগে করতে হবে।

    কাঁচা বাজার, মাছ-মাংসের দোকানে বিক্রেতাদের অবশ্যই গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে। মসজিদ মন্দির-গীজা-প্যাগোডায় যারা নামাজ-এবাদত-প্রার্থণা করতে আসবেন তাদের প্রত্যেককে মাস্ক পরতে হবে।

    উপাসনালয়ে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। নামাজ-এবাদত-প্রার্থণার সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

    সভায় চসিক প্রশাসক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান ও বিভাগীয় প্রধানদের সদস্য করে মশক নিধন কার্যক্রম ও কোভিড-১৯ বিষয়ক একটি টাস্কফোর্স গঠন করে দেন।

    এ সময় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব