Tag: চসিক মেয়র

  • করোনার সাথে সহাবস্থান মেনে নিয়ে জীবন জীবিকার লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে-মেয়র

    করোনার সাথে সহাবস্থান মেনে নিয়ে জীবন জীবিকার লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে-মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, দেশের এই দুর্যোগময় মূহুর্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমাদের মানবিক সংগঠক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠটনগুলোর নিবেদিত নেতারা অকাতরে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন যা দেখে সমাজের একটি মহল ঈর্ষানীত হয়ে নানা প্রকার অপপ্রচার ও গুজব রটাচ্ছেন। সত্যিকার অর্থে খাদ্য সংকট, খাদ্য প্রাপ্তি সংকট, এসব ভীতি যারা দেখাচ্ছে তারাই ভুল প্রমাণিত হবে। করোনা ভাইরাসজনিত কারণে সৃষ্ট সঙ্কটে ক্রাইসিস ম্যানেজার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সততা ও দক্ষতার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ৭৫ পরবর্তী ইতিহাসে নজিরবিহীন।

    তিনি বলেন, করোনার সাথে সহাবস্থান মেনে নিয়ে জীবন জীবিকার লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে করোনা মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনীতি সংকটের মুখে পড়েছে। এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাসের কার্যকর কোন টীকা বা প্রতিষেধধক আবিস্কার না হওয়ায় দেশের সর্বস্তরের নাগরিককে সাবধানতা অবলম্বন করে হাত ধোয়া, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পাশাপাশি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া স্বেচ্ছাগৃহবন্ধী থাকতে হচ্ছে। আর এতে সবচাইতে বিরূপ পরিস্থিতিতে আর্থিক সংকটে পড়েছে গরীব-দু:স্থ,নিম্নবিত্ত,মধ্যবিত্ত লোকজনেরা। দীর্ঘ চার মাসের সাধারণ ছুটি ও গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকায় গাড়ি চালকরাও অন্য শ্রমজীবীদেরও আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। তিনি বাংলাদেশের একজন মানুষকেও খাদ্যের অভাবে মরতে দিতে রাজী নন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সর্বশক্তি দিয়ে মানুষের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

    মেয়র সমাজের বিত্তবানদেরও এই সংকটকালীন সময়ে গরীব দু:স্থদের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহবান জনান ।

    তিনি বলেন, সামাজিক সংক্রমনের তীব্রতা বিস্তার রোধে সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব আপনার আমার ও সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। আমি আশা করি আপনারা সকলেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকারের নির্দেশনা সমূহ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে এই সংকট উত্তরণে যোদ্ধা হিসেবে নিবেদিত হবেন।

    আজ সকালে বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগের উদ্যেগে ৫শ রেল শ্রমিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী উপহার প্রদানকালে সিটি মেয়র এসব কথা বলেন।

    এসময় কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হিরন, বাংলাদেশ শ্রমিকলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সফর আলী, রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম,জাতীয় শ্রমিকলীগ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি বখতেয়ার উদ্দিন খান সহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়াসংগঠকদের পাশে দাঁড়ালেন মেয়র

    ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়াসংগঠকদের পাশে দাঁড়ালেন মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ক্রীড়াবিদরা আমাদের গৌরব। তাঁরাই আমাদের দেশের সম্মান বিশ্ব দরবারে সমুন্নিত রাখে। দেশের পতাকা মেলে ধরে বিশ্ব দরবারে। এই দূর্দীনে আমরা ক্রীড়াবিদদের পাশে না দাঁড়ালে হারিয়ে যাবে আমাদের অনেক প্রতিভা। তাই ক্রীড়াঙ্গণকে বাঁচিয়ে রাখতে ক্রীড়াবিদ ও সংগঠনকে লালন করতে হবে।

    তিনি বলেন, এই দূর্দিন হয়তো কেটে যাবে ততদিন পর্যন্ত খেলোয়াড়দেরকে আমাদের দেখভাল করা জরুরী। এই বিষয়ে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন, ক্রীড়াঙ্গন বাঁচিয়ে রাখার জন্য যখন যা প্রয়োজন তিনি তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ।

    আজ শুক্রবার (১৫ মে) সকালে নগরীর এম.এ.আজিজ স্টেডিয়ামে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট সংকটে কর্মহীন হয়ে পড়া তিন শতাধিক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকের কাছে খাদ্যদ্রব্য উপহার সামগ্রী তুলে দেয়ার সময় মেয়র এসব কথা বলেন।

    এসময় সিজেকেএস এর যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মশিউর রহমান, নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউসুফ, এ কে এম আবদুল হান্নান, অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, জি এম হাসান, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মোহাম্মদ নাছির মিয়া, ডেরী গ্যান্ড লফ, সিজেকেএস কাউন্সিলর মো. সাইফুল আলম বাপ্পী, আবদুল হান্নান মিরন, মো. সালাউদ্দিন আহমদ, ক্রীড়া সংগঠক জাহেদ আমিন তারেক উপস্থিত ছিলেন।

    এসময় মেয়র আরো বলেন, করোনা মহামারিতে ক্রীড়াঙ্গন স্থবির হয়ে আছে। তাদের কথা বিবেচনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে থেকে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনের অস্বচ্ছল ক্রীড়াবিদ ছাড়াও আমরা সাধারণ মানুষের কাছে উপহার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।

    ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, আপনাদের চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাদের পাশে রয়েছেন। এর ধারাবাহিকতায় আমরাও সবসময় আপনাদের পাশে থাকবো।

    তিনি বলেন, আমরা বিজয়ের জাতি। যতই ঝড়-ঝাপটা আসুক, যাই আসুক না কেন আমাদরে সব সময় বিজয়ী জাতি হিসেবে একথা চিন্তা করে মাথা উঁচু করে চলতে হবে।

    তিনি বলেন, জীবন কখনো অচল হযে থাকতে পারে না। রোজার মাসে অনেকেরই জীবন-জীবিকার প্রয়োজন রয়েছে সেজন্য সরকার কিছু কিছু জায়গা শিথিল করেছে।

    তিনি বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি জায়গায় মানুষের কষ্ট দূর করতে আপ্রান চেষ্টা করছেন। মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ৫০ লাখ পরিবারের প্রত্যেককে আড়াই হাজার টাকা নগদ অর্থ প্রদান, প্রবাসী বেকারদের ঋণ সহায়তা দিতে ২৫০০ কোটি টাকার তহবিল, ঈদের আগে মসজিদ মাদ্রাসায় উপহার বিতরণ, অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যবস্থায় স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ২০১৯ সালের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কর্মসূচী চালু করেছে। এতে করে মানুষের কষ্ট লাঘব হবে বলে মেয়র মন্তব্য করেন।

    বেসরকারী সেবা সংস্থা আল মানহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন পবিত্র কোরআন শরীফ বিরতণ
    কোরআন তেলাওয়াতের সুযোগ করে দেওয়া উত্তম কাজ-মেয়র
    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, কোরআন তেলাওয়াতে ফজিলত বেশি। রহমত বর্ষনের পবিত্র এই রমজান মাসে কোরআন তেলাওয়াতের সুযোগ করে দেওয়া উত্তম কাজ। কোরআনের মধ্যে আছে রহমত ও বরকতের অফুরন্ত সম্ভার। যা দ্বারা মানুষের কল্যাণ ও সৌভাগ্য বৃদ্ধি হয়। আল্লাহ পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করেছেন যেন তা নিয়ে গবেষণা করে বাস্তবে আমল করা হয়। এই কোরআন বিজ্ঞানেরও এক রহস্যময় ভান্ডার। একজন মানুষের জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য এই কিতাব সর্বোত্তম বিধান দান করে। আজ যারা পবিত্র কোনআন শরীফ পেয়েছেন তারা কোরআন শরীফ তোলোয়াত ও আমলে নিজেদের পরিশুদ্ধ করবেন বলে মেয়র আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    এসময় মেয়র নগরীর কোনো এতিমখানা কিংবা মাদ্রাসা পবিত্র কোরআন শরীফ পেতে আগ্রহী হলে, তাঁর সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানান।

    আজ বাদ জুমা এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে বেসরকারী সেবা সংস্থা আল মানাহিল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৫ হাজার মুসল্লীদের মাঝে পবিত্র কোরআন শরীফ বিতরণ কালে মেয়র এসব কথা বলেন।

    এসময় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, মহানগর আওয়ামীলীগের মশিউর রহমান, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, মোহাম্মদ নাছির মিয়া, সাংবাদিক মোহাম্মদ ফারুক, ক্রীড়া সাংবাদিক নজরুল ইসলাম, আল মানহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর চেয়াম্যান হেলাল উদ্দিন জমির জমির উদ্দিন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন জমির উদ্দিন, পরিচালক শিহাব উদ্দিন জমির উদ্দিন, প্রধান সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • কাউন্সিলর বিপ্লবের অর্থায়নে ৩ হাজার পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

    কাউন্সিলর বিপ্লবের অর্থায়নে ৩ হাজার পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

    আজ বিকেলে নগরীর আলকরনস্থ ড্রিমল্যান্ড কমিউনিটি সেন্টারে ৩৩ নং ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব হাসান মুরাদ বিপ্লবের অর্থায়নে আবদুল জব্বার কালামিয়া মেম্বার-আবদুল আজিম স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফিরিঙ্গীবাজার এলাকায় ৩ হাজার গরীব ও নি:স্ব পরিবারের মাঝে ইফতার ও সেহেরী সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

    এর মধ্যে চাল, চনা, তেল, লবন,চিনি ও সেমাই মিলিয়ে এ সকল ইফতার ও সেহেরী সামগ্রী উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন উল্লেখিত পরিবারের মাঝে ইফতার ও সেহেরী সামগ্রী সমূহ তুলে দেন।

    এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, রমজানকে নেয়ামত হিসেবে আল্লাহ আমাদের মাঝে দান করেছেন। রোজাদার আল্লাহ’র খুব প্রিয় ব্যক্তি। যারা দুঃস্থ রোজাদারদের পাশে দাঁড়ায়, সহযোগিতা করে তারাও মহৎ ব্যক্তি।

    তিনি বিত্তবানদের দুঃস্থদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহবান জানান।

    মেয়র করোনা মহামারী এই দুর্যোগ মূহুর্তে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সচেতনতা মাধ্যমে জীবন যাপন করার আহবান জানান।

    মেয়র আরো বলেন, দুস্থ ও হতদরিদ্র সকলকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। পর নির্ভরশীলতা থেকে নিজেদের উত্তরন ঘটিয়ে স্বাবলম্বি হওয়ার পন্থা বের করতে হবে।

    অনুষ্ঠানে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব হাসান মুরাদ বিপ্লব এর সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন কোতোয়ালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিন, শিক্ষক সাহাদাত হোসেন, সমাজসেবক আবদুল হালিম দোভাষ।

    নগর যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন নাসিম উল্লাহ চৌধুরী, উমর খালেদ, সিদ্দিক আহমদ, জামাল উদ্দিন সেকান্দর, মঞ্জুর আলম, নাসির আহমেদ, মঞ্জুর মোরশেদ, কামাল উদ্দিন, সবির আহমেদ, ওসমান গণি বাবলু, মিজানুর রহমান, জোবায়ের কাকি, তানভির আহমেদ রিংকু, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, এনামুল হক, ফজলে হাসান চৌধুরী, ইশতেহার উদ্দিন পারভেজ, আবদুল মতিন, হাজী আকবর বাচ্চু, সরওয়ার সরকার, শওকত হোসেন, আলাউদ্দিন বাপ্পী,মোহাম্মদ আকতার, সামিউল হাসান রুমন, রাশেদুল আলম সফিউল আলম জনি, ছাত্রনেতা আরিফুল ফরহাদ, অনিন্দ দেব, ইসমাইল বিন আজিজ প্রমূখ।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোওয়াত করেন আলকরণ বাইতুর রহমত জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব আবদুর রহমান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • অসহায় পশু-পাখীদেরও খাবার দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা উচিত:চসিক মেয়র

    অসহায় পশু-পাখীদেরও খাবার দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা উচিত:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন আজ দুপুরে নগরীর কাজীর দেউড়িস্থ স্টেডিয়াম এলাকার অভুক্ত ভবঘুরে কুকুরদের খাবার দিয়েছেন।

    সিটি মেয়রের উদ্যোগে কুকুরদের জন্য প্রত্যেক পাড়ায় মহল্লায় আজ প্রায় ১ মাস যাবত এই রান্না করা খাবার বিতরণ চলছে।

    রান্নাকরা খাবারগুলো প্রতিদিন বিভিন্ন পশুপ্রেমী ব্যক্তি ও সংশ্লিষ্ট সংগটনের মাধ্যমে পরিবেশন করা হয়ে থাকে।

    খাবার দেয়াকালে মেয়র বলেন, দীর্ঘ প্রায় দুমাস যাবত অঘোষিত লক ডাউনের কারণে দেশের প্রাণীকূল বিশেষ করে কুকুরগুলো অভুক্ত অবস্থায় অসহায়ভাবে দিন পার করছে। দোকাপাট রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ থাকায় কুকুরগুলো এখন খেতে না পেয়ে অসহায় হয়ে পড়ছে। জ্বালাতন করছে পাড়া প্রতিবেশিদের। আমাদের চিন্তা করতে হবে তাদেরও প্রান আছে,বেঁচে থাকার জন্য তাদেরও খাদ্যের প্রয়োজন। স্বাভাবিকাবস্থায় এই কুকুরগুলো প্রতিদিন গড়ে এক কেজি ময়লা আবর্জনা খেয়ে আমাদের পরিচ্ছন্ন কাজের অংশীদারিত্ব করছে। সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে আমরা মানুষের জন্য সাহায্য নিয়ে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি সেভাবে অসহায় পশু-পাখী, বিড়াল-কুকুরকেও আমাদের খাবার দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা উচিত। কারণ পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় প্রত্যেক প্রাণীরই প্রয়োজন রয়েছে। আর কুকুরতো প্রভুভক্ত একটি প্রানীও বটে।

    খাবার দেয়ার সময় সাংবাদিক আলী আব্বাস, ফারুক, ছাএনেতা দিদারুল আলম, হেলাল উদ্দিন, যুবলীগ নেতা মামুনুর রশীদ মামুন, আনিছ, জসিম উদ্দিন, পেয়ারু, মোশাররফ হোসেন লিটন,টিপু দাশ প্রমূখ সিটি মেয়রের সাথে ছিলেন।

    আইনজীবী ক্লার্কদের মধ্যে ভোগ্যপণ্য বিতরণ করলেন সিটি মেয়র

    করোনা সংক্রমণের এই দুর্যোগ সময়ে চট্টগ্রাম আদালতের ১শত জন আইনজীবী ক্লার্কদের মাঝে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ভোগ্যপণ্য বিতরণ করেছেন। এই উপলক্ষে গতকাল চট্টগ্রাম আদালত ভবন আইনজীবী ক্লার্ক এসোসিয়েশন কার্যালয়ে ভোগ্যপণ্য বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন,করোনা ভাইরাস সংক্রমণের এই দুর্যোগ সময়ে স্থবির হয়ে পড়েছে অর্থনীতির চাকা। দীর্ঘদিন আদালত বন্ধ থাকার কারনে এর সাথে সংশ্লিস্টরা নিদারুন কষ্টে দিনাতিপাত করছে। এই বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। এদিকে জামিন শুনানী না হওয়ার কারনে জামিন পাওয়ার হকদারেরা জামিন পাচ্ছেন না। বিষয়টি অনেক দু:খজনক। মেয়র বলেন, নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে চলেছে। করোনা পরিস্থিতিতে আদালতের আইনজীবী ক্লার্করা মানবেতর কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর এই মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের মানবিক দায়িত্ব। মানুষের জীবন জীবিকা রক্ষায় সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে মানবিকতার তাগিদে সরকারের পাশাপাশি বিত্তবান শ্রেণীকেও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আজ সঠিক সময়। চট্টগ্রাম আইনজীবী ক্লার্ক এসোসিয়েশন সভাপতি নুরুল আবছারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। এসময় আইনজীবী ক্লার্ক এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক তাপস ধর, ক্লার্ক এসোসিয়েশন সাবেক সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকী, আইনজীবী সহকারী শংকর দাশ,আবু সালেহ জঙ্গিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সেন্ট্রাল প্লাজা দোকান কর্মচারী,দারোয়ান,সেবকদের মাঝে সিটি মেয়রের উপহার প্রদান

    সেন্ট্রাল প্লাজা দোকান কর্মচারী,দারোয়ান,সেবকদের মাঝে সিটি মেয়রের উপহার প্রদান

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, আর্তমানবতার সেবায় মানবিক সাহায্য অব্যাহত রাখতে হবে। এব্যাপারে সমাজের সকলকে যার যার অবস্থান হতে এগিয়ে আসার আহবান জানান মেয়র।

    সেন্ট্রাল প্লাজা দোকান কর্মচারী,দারোয়ান, সেবকদের মাঝে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল হতে ভোগ্যপন্য উপহার সামগ্রী প্রদান করেছেন।

    আজ বিকেলে নগরীর জি.ই.সি মোড়স্থ সেন্ট্রাল প্লাজা মার্কেট প্রাঙ্গনে ১শত ৫০ জন কে এই উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।

    এসময় সেন্ট্রাল প্লাজা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোশতাক আহমেদ চৌধুরী, আকতার খাঁন,গিয়াস উদ্দীন হিরন,কামরুল ইসলাম কাজল,মনির হোসেন,আবু সৈয়দ লিটন, হাসান তারেক,দিদার আলম,মো. ফোরকান,আবদুল গফুর পন্টি,আকতার হোসেন,আলী আনসার খান, শোয়েব মোর্শেদ কচি,এম এম খালেদ প্রমূখ উপস্থি ছিলেন।

    সিটি মেয়রকে স্মারকলিপি দিলেন
    বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন নেতৃবৃন্দ

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, করোনা আতঙ্কে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে পুরো দেশ। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। তিনি বলেন দীর্ঘ ছুটির কারণে দিনে যারা এনে দিনে খাওয়া মানুষরাই বেশি সংকটে পড়েছে। কাজ করতে না পারলে বন্ধ হচ্ছে তাদের রুটি রুজি। তাই সরকার ছুটিকালীন সময়ে জীবিকা রক্ষা বিবেচনায় লকডাউনে শিথিলতা এনেছেন। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক সামাজিক দূরত্ব রক্ষা সহ যেসব বিধি-বিধান মেনে চলার জন্য বাধ্যবাধকতা দিয়েছেন তা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। আমাদের নিজেদের সুরক্ষার দায়িত্ব নিজেদের নিতে হবে। তাহলেই এই করোনা ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পাবো। আজ বিকেলে টাইগারপাস্থ নগর ভবনে বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন রেজি:বি-২২০৫ এর নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান প্রদানকালে মেয়র এসব কথা বলেন। স্বারকলিপিতে বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন যে, বর্তমান লক-ডাউন চলাকালীন মূহুর্তে শ্রমিকদের কাজ কমে এসেছে। ফলে তারা কাজের খে্্াঁজে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। তাই নানাভাবে অহেতুক হয়রানীর শিকার হতে হয়। এই হয়রানী হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে পরিচয়পত্র হাতে থাকলে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। তাই এই ব্যাপারে সিটি মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এছাড়া সরকার প্রদত্ত ন্যায্যমূল্যে চাউল ও খাদ্য সামগ্রী পাওয়ার জন্য নগরীতে যেসব কার্ড বিতরণ হচ্ছে তা প্রাপ্তিতে মেয়রের সহযোগিতা কামনা করেন। মেয়র তাদের বক্তব্য ধৈর্য্য সহকারে শুনেন এবং এই বিষয়ে সংশ্লিস্টদের সাথে আলাপ আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দেন। স্মারকলিপি প্রদান কালে বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি সৈয়দ কুদরত-ই-খোদা, সাধারণ সম্পাদক কে এম শহিদুল্লাহ, পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাস, চাঁন্দগা থানা নির্মাণ শ্রমিকলীগের সভাপতি সালা উদ্দিন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত পেলেই করোনা রোগীদের সেবা শুরু হবে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে-মেয়র

    স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত পেলেই করোনা রোগীদের সেবা শুরু হবে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে-মেয়র

    করোনা রোগীদের চিকিৎসায় প্রস্তুত নগরীর জাকির হোসেন রোডের হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সাথে সংশ্লিষ্টদের দফায় দফায় বৈঠকে অবসান হতে চলেছে জটিলতা। চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন সকলেই।

    আজ মঙ্গলবার বিকেলে চসিক নগরভবনে এ সংক্রান্ত বিষয়ে চট্টগ্রাম প্রাইভেট ক্লিনিক মালিকদের সংগঠন ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম মেডিকলেজ হাসপাতাল, বিএমএ চট্টগ্রাম, জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন এর সাথে বৈঠকে বসেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    এই হাসপাতালটির জনবল নিয়োগ ও পরিচালনার নিয়মাবলীর বিষয়ে বিভিন্ন কথা উঠে এসেছে বৈঠকে।

    আজকের বৈঠকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি ইউনিট হিসেবে এই হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালে প্রস্তুতকৃত করোনা হাসপাতালটি পরিচালিত হবে বলে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়।

    এছাড়া চমেক হাসাপাতাল এবং সরকারি হাসপাতালগুলো থেকে চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী দিয়েই পরিচালিত হবে এই হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল। এই হাসপাতালে থাকছে ভেন্টিলেটর সুবিধা সহ ১০ শয্যার আইসিইউ। বৈঠকে এটি পরিচালনা করতে গেলে মাসে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। যা সরকারের অনুদান ছাড়া সম্ভব নয়। তাই আজ বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতে এই বিষয়ে তড়িত নির্দেশনার জন্য গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণারয়ের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানোর জন্য বৈঠকে একমত পোষন করেন। মন্ত্রণালয় থেকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই করোনা সেবা প্রদানে চালু করা সম্ভব হবে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালটি।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সামসুদ্দোহা, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রি.জেনারেল হুমায়ুন কবির, ডিজিএফআই চট্টগ্রামের পরিচালক ব্রি.জেনারেল কবীর আহাম্মদ, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাক্তার হাসান শাহরিয়ার কবির, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ্য প্রফেসর ডা. শামীম হাসান, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সার্বিক কামাল হোসেন, সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ ফজলে রাব্বী, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার অসীম কুমার নাথ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, বিএম,এ চট্টগ্রাম এর সভাপতি মুজিবুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, ডাক্তার লিয়াকত আলী খাঁন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    বুদ্ধ পূর্নীমায় সিটি মেয়রের বাণী
    আগামীকাল বুদ্ধ পূর্ণীমা, বুদ্ধ ধর্মালল্বীদের সবাইকে মহামানব গৌতম বুদ্ধের সেই অহিংসার মৈত্রীময় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন।

    আজ এক বাণীতে সিটি মেয়র বলেন, মহামানব গৌতম বুদ্ধের ত্রিস্মৃতি বিজরিত জম্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরির্বান । এই বৈশাখী বা বুদ্ধ পূর্ণীমা আগামি কাল সারাবিশ্বে পালন করা হবে । তাই বুদ্ধের সেই অহিংসা বাণী ছড়িয়ে অশান্ত বিশ্বে সবার জীবনে বয়ে আনুক শান্তি,দূরীভুত হোক বৈশ্বিক মহামারি। জগতের সকল প্রানী সুখী হোক।
    বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ১০৯তম
    জন্মদিনে সিটি মেয়রের শ্রদ্ধা নিবেদন

    অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আর প্রতিরোধে নামা, দেশ মাতৃকার জন্য আত্মাহুতি দেওয়া বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ১০৯তম জন্মদিনে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন।

    বীরকন্যা প্রীতিলতার বর্নাঢ্য জীবনাচরণ স্মরণ করে আজ এক বিবৃতিতে সিটি মেয়র বলেন, তখনকার সমাজে পিছিয়ে পড়া নারীদেরকে অনুপ্রাণিত ও উজ্জীবিত করার অগ্রদূত ছিলেন বীরকন্যা প্রীতিলতা। বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের একজন অন্যতম বাঙালী নারী বিপ্লবী। তৎকালীন সময়ে এই নারী সূর্য সেনের নেতৃত্বে তখনকার ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন। ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নারী বিপ্লবী প্রীতিলতা ১৯১১ সালের ৫ মে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম জগবন্ধু ওয়াদ্দেদার ও মা প্রতিভাদেবী। প্রীতিলতা ডা. খাস্তগীর উচ্চ ইংরেজি বালিকা বিদ্যালয় থেকে ১৯২৭ সালে প্রথম বিভাগে এসএসসি পাস করে ঢাকার ইডেন কলেজে ভর্তি হন। কলেজের ছাত্রীনিবাসে থাকাকালীন সময় তিনি বিপ্লবী লীলা নাগের নেতৃত্বে পরিচালিত ‘দীপালি সংঘ’ সংগঠনটির সংস্পর্শে আসেন। ১৯২৯ সালে চট্টগ্রামে গিয়ে বোমার খোলগুলো পৌঁছে দেন বিপ্লবীদের হাতে। এরপর প্রীতিলতা প্রকাশ্য বিপ্লবী কাজে যুক্ত হন। কলকাতার বিপ্লবী চক্রের সকল প্রকার প্রশিক্ষণ তিনি দিতেন। ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল মহানায়ক সূর্যসেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম দখল হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রামে ইংরেজ শাসন অচল হয়ে যায়। টেলিগ্রাফ-টেলিফোন বিকল, সরকারি অস্ত্রাগার লুণ্ঠন, রিজার্ভ পুলিশ ছত্রভঙ্গ ও রেললাইন উপড়ে ফেলা হয়। সেসময় প্রীতিলতা কলকাতায় ছিলেন। বিএ পরীক্ষা শেষে মাস্টারদার নির্দেশে স্থায়ীভাবে চট্টগ্রামে চলে যান তিনি। ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল মহানায়ক সূর্যসেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম দখল হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রামে ইংরেজ শাসন অচল হয়ে যায়। টেলিগ্রাফ-টেলিফোন বিকল, সরকারি অস্ত্রাগার লুণ্ঠন, রিজার্ভ পুলিশ ছত্রভঙ্গ ও রেললাইন উপড়ে ফেলা হয়। সেসময় প্রীতিলতা কলকাতায় ছিলেন। বিএ পরীক্ষা শেষে মাস্টারদার নির্দেশে স্থায়ীভাবে চট্টগ্রামে চলে যান তিনি। ১৯৩২ সালে চট্টগ্রাম অপর্ণাচরণ ইংরেজি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন তিনি। ওই একই বছরের মে মাসে প্রীতিলতার জন্মস্থান ধলঘাটে সাবিত্রী দেবীর বাড়িতে মাস্টারদা তাঁর সহযোদ্ধাদের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেন। এই বৈঠক চলার সময় ব্রিটিশ সৈন্যদের সাথে বিপ্লবীদের বন্দুক যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে প্রাণ দেন নির্মল সেন ও অপূর্ব সেন। সূর্যসেন প্রীতিলতাকে নিয়ে বাড়ির পাশে ডোবার পানিতে ও গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকেন। সাবিত্রী দেবীর বাড়িটি পুলিশ পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার পর ব্রিটিশ সরকার প্রীতিলতাকে সন্দেহ করতে শুরু করলে মাস্টারদার নির্দেশে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। অন্য একটি বিপ্লবী গ্রুপ ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণে ব্যর্থ হলে প্রীতিলতার ওপর দায়িত্ব দেয়া হয় ক্লাবটি আক্রমণের। ১৯৩২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কাট্টলী গ্রামে এক গোপন বৈঠকে মাস্টারদার নির্দেশে প্রীতিলতা ও কল্পনা দত্ত ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণের পরিকল্পনা করার জন্য একটি গ্রামের উদ্দেশ্যে পুরুষের বেশে রওনা দেন। কিন্তু পথে পাহাড়তলীতে কল্পনা দত্ত ধরা পড়েন। প্রীতিলতা নিরাপদে নির্দিষ্ট গ্রামে এসে পৌঁছেন। এখানেই প্রীতিলতার নেতৃত্বে ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। আক্রমণের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য কাট্টলীর সাগরতীরে প্রীতিলতা ও তার সাথীদের অস্ত্র শিক্ষা শুরু হয়। প্রশিক্ষণ শেষে বীরকন্যা প্রীতিলতার নেতৃত্বে বিপ্লবীরা ১৯৩২ সালের ২৪ সেপ্টেস্বর রাতে পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করে সফল হন। আক্রমণ শেষে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এ অবস্থায় ধরা পড়ার আগে সঙ্গে রাখা সায়ানাইড খেয়ে আত্মাহত্যা করেন তিনি। মৃত্যুর আগে তিনি মায়ের কাছে চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘মাগো, অমন করে কেঁদো না! আমি যে সত্যের জন্য, স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিতে এসেছি, তুমি কি তাতে আনন্দ পাও না? কী করব মা? দেশ যে পরাধীন! দেশবাসী বিদেশির অত্যাচারে জর্জরিত! দেশমাতৃকা যে শৃঙ্খলভাবে অবনতা, লাঞ্ছিতা, অবমানিতা! তুমি কি সবই নীরবে সহ্য করবে মা? একটি সন্তানকেও কি তুমি মুক্তির জন্য উত্সর্গ করতে পারবে না? তুমি কি কেবলই কাঁদবে?’ শুধু তার মা নয়, আজও অসাধারণ সাহসী সেই নারী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে অশ্রুুসজল চোখে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন দেশপ্রেমী বাঙালি।

    সিটি মেয়র বীরকন্যা প্রীতিলতার ১০৯তম জন্মদিনে তাঁর আত্মার সদগতি জানিয়ে আরো বলেন, আজ বৈশ্বিক মহামারির কারণে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব হচ্ছে না বিধায় লেখনিতে তাঁর প্রতি জানাই শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। তিনি আমাদের জন্য আজীবন বিপ্লবী চেতনার ধারক হয়ে থাকবেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে সংকট মোকাবেলা সহজতর হবে-মেয়র

    মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে সংকট মোকাবেলা সহজতর হবে-মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, আমরা বিশ্বময় এক মহা সঙ্কটের মুখোমুখি অবস্থান করছি। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গোটা বিশ্বেই অর্থনৈতিক মন্দা তৈরি হয়েছে। জীবন বাঁচাতে লকডাউনের ফলে মধ্যম ও নিম্ন আয়ের লোকগুলো দিশেহারা হয়ে পড়ছে। অনেকের ঘরেই খাদ্যসামগ্রীর সঙ্কট পরিলক্ষিত হচ্ছে। মধ্যবিত্তরাও আছে চরম সংকটে। লোক লজ্জায় না পারছে বলতে না পারছে কিছু করে খেতে। তাই বাধ্য হয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে, কেউ তাদের সাহার্যার্থে এগিয়ে আসছে কিনা। তাই মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে সরকারের পাশাপাশি সমাজে কর্পোরেট হাউস সহ বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে সংকট মোকাবেলা সহজতর হবে।

    মেয়র বলেন, এই সঙ্কটপূর্ণ মুহূর্তে ইসলাম আমাদের শেখায় মানবিক হতে। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। মানুষই হচ্ছে মানবতার মুক্তির দূত, আমাদের প্রিয় নবী বিশ্বনবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) মানব সেবার জন্য আরবের যুবকদের নিয়ে গঠন করেছিলেন হিলফুল ফুজুল। দরিদ্র ও দুস্থদের সহায়তা করেছেন নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে। মানব সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন চূড়ান্ত পর্যায়ের। তাঁরই দীক্ষায় একে অপরের কল্যাণকামীতা ও বিপদে-আপদে একে অন্যের পাশে থাকা ও সহযোগিতার হাতকে সম্প্রসারণ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এই দূর্যোগপূর্ন মূহুর্তে চট্টগ্রাম বন্দর উইন্সম্যান(ক্রেন অপারেটর) কল্যাণ বহুমুখি সমবায় সমিতির সদস্যরা ১ দিনের কর্ম মজুরী দিয়ে আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে এসে যে মহৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা অবশ্যই প্রশংসনীয় ও অনুকরনীয়।

    আজ বিকেলে নগরীর টাইগারপাস্থ চসিক নগরবভনের সম্মেলন কক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ৪ শত ৮৮জন শিক্ষকদের মাঝে ভোগ্যপন্য উপহার তুলে দেওয়ার সময় মেয়র এসব কথা বলেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক বোরহান উদ্দিন মো. আবু আহসান, বন্দর ডবলমুরিং থানার সিনিয়র ফিল্ড সুপারভাইজার জয়নাল আবেদীন, চট্টগ্রাম বন্দর উইন্সম্যান(ক্রেন অপারেটর) কল্যাণ বহুমুখি সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ বেলাল, সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উল্লাহ, সহ সভাপতি মো. আকতার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মিজান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহ আলম বিপ্লব, অর্থ সম্পাদক নুরুল আলম, সহ অর্থ সম্পাদক মো.সিরাজ, সাবেক সভাপতি ও বন্দর ব্যবহারকারী শ্রমিক কর্মচারীলীগ সিবিএ এর সহ সভাপতি মো. হুমায়ুন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন সুমন, সাবেক সহ সভাপতি মোহাম্মদ সিরাজসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মহামারির মধ্যে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকারি নির্দেশনা মেনে কল কারখানা সচল রাখতে হবে

    মহামারির মধ্যে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকারি নির্দেশনা মেনে কল কারখানা সচল রাখতে হবে

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, আজ মহান মে দিবস। শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আজকের এই দিনটির পেছনে রয়েছে অনেক রক্তঝরা ইতিহাস। কর্মক্ষেত্রে বঞ্চনার বিরুদ্ধে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের অনন্য সংগ্রামের স্বাক্ষী এদিন।

    এবারের দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, সোনার বাংলা গড়ে তুলি’।

    এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশে আজ পালিত হচ্ছে মহান মে দিবস। তবে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারি স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে এ বছর সব আনুষ্ঠানিকতা বাতিল করা হয়েছে। করোনায় কল কারখানা বন্ধ থাকার ফলে গভীর সংকটে পড়েছে শিল্প-প্রতিষ্ঠানসহ দেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ। এ পরিস্থিতিতে সরকার জনগণের পাশে থেকে ত্রাণকাজ পরিচালনাসহ সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

    করোনা ভাইরাসের প্রতিঘাত মোকাবিলায় দেশের রপ্তানি খাতের শ্রমিকদের বেতন দিতে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে।

    তিনি বলেন, মহান মে দিবস শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের চরম আত্মত্যাগে ন্যায্য অধিকার আদায়ের এক অবিস্মরণীয় দিন। বৈশ্বিক এ মহামারির মধ্যে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক মালিকরা প্রয়োজনে কারখানা খোলা রাখবে। তবে অবশ্যই কঠোরভাবে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দফতর, সংস্থা যেমন-শিল্প পুলিশ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    মেয়র সবাইকে সঙ্গে নিয়ে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে এ যুদ্ধে সরকার অবশ্যই সফল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    আজ সকালে কাজির দেউরী বাজার সংলগ্ন চত্বরে বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন(বিএলএফ) চট্টগ্রাম মহানগর শাখার ৩ শত ৫০জন শ্রমিক কর্মচারীদের মাঝে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ইফতার ও সেহেরী সামগ্রী উাপহার দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন।

    এসময় বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সহ সভাপতি শাহ আলম হাওলাদার, নুরুল আবচার তৌহিদ, ইয়াছিন সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, বহদ্দারহাট মাইক্রো চালক সমিতির মোহাম্মদ ইলিয়াছ, ইউএসটিসি শ্রমিক ইউনিয়নের মোহাম্মদ মানিক মিয়া, বাবুর্চি সমিতির সভাডতি আহমদ উল্লা, অটোরিকশা চালক সমিতির মোহাম্মদ নাছির, নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

    তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন দেশ পুরোপুরি কিংবা আংশিক অবরুদ্ধ। যার ফলে সারা বিশের শ্রমশক্তির ৮১ শতাংশই এখন কর্মহীন। বাংলাদেশে প্রায় দেড়মাস ধরে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে শিল্প কলকারখানার।

    তিনি নগরীর খেটে খাওয়া মানুষ যারা দিন এনে দিন খায় তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।

    সাগর স্কীণ প্রিন্টার্স লি. এর পক্ষ থেকে মেয়রের তহবিলে ভোগ্যপন্য সামগ্রী প্রদান : আজ বিকেল নগরীর টাইগারপাস্থ মেয়র দপ্তরে সাগর স্কীণ প্রিন্টার্স লি. এর পক্ষ থেকে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের তহবিলে ১ শত প্যাকেট ভোগ্যপন্য উপহসার সামগ্রী প্রদান করেছেন।

    এর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, আলু, পেয়াজ, সাবান, তেল ইত্যাদি। এছাড়াও তারা হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাক্স, হ্যান্ডগ্লাভস্ ও ফেইস শীল্ডও মেয়রকে উপহার দেন।

    এসময় প্রতিষ্ঠানের এ আর এম আরমান গণি, সুমন চৌধুরী, গৌতম হাজারী, জুয়েল সাহা, সৌরেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

    মেয়র তাদের এই উপহার সামগ্রী গ্রহণ করেন এবং ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এখনই সময় আত্মমানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার। যার যতটুকু সামর্থ রয়েছে তা দিয়ে যদি আমরা সমন্বিতভাবে অসহায়দের পাশে এসে দাড়াই তাহলে আমরা অর্থনৈতিক মন্দাভাব কাটিয়ে উঠতে পারবো।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • রোগের বিষয়ে লুকোচুরি না করে সরাসরি ডাক্তারকে অবহিত করুন:চসিক মেয়র

    রোগের বিষয়ে লুকোচুরি না করে সরাসরি ডাক্তারকে অবহিত করুন:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, করোনা ভাইরাস একটি ছোঁয়াছে রোগ। তাই কোন ধরনের আলামত পরিলক্ষিত হলে তা গোপন না করে চিকিৎসককে খোলামেলা ভাবে জানিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসে চিকিৎসক নিজেই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। মনে রাখতে হবে চিকিৎসকরা আক্রান্ত হলে চিকিৎসা সেবা ব্যহত হবে। তাই কারো এই ধরনের রোগের উপসর্গ দেখা দিলে লুকোচুরির কিছু করবেন না।

    তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস জণিত সংক্রমণ এড়াতে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষনা করেছেন, কারণ এই রোগের প্রতিকার পেতে হলে মানুষে-মানুষে সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। কিন্তু দু:খের বিষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে আমরা কেউ কেউ এই ছুটিকে উপভোগ্য করে তুলেছি,যা কাম্য নয়। এই ছুটি উপভোগের জন্য নয়, ঘরে থেকে সামাজিক দূরত্ব বজিয়ে রাখাই এই রোগের প্রধান প্রতিকার মূলক ব্যবস্থা। বস্তুতপক্ষে আমরা সবাই এখন এই মহামারি জয়ের যুদ্ধে সামিল, আমরা যুদ্ধ করছি করোনাকে সামনে রেখেই। তাই প্রত্যেকের উচিত স্বাস্থ্য বিধি মেনে জনসমাগম এড়িয়ে, বার বার হাত ধুয়ে সচেতন থাকা ও অন্যজনকে সচেতন করা। এতেই আমাদের মুক্তি।

    মেয়র বলেন, আমাদের এই দুু:সময়ে জীবন ও জীবিকা দুটোকেই প্রাধান্য দিতে হচ্ছে। কিন্তু এক শ্রেনীর মানুষ কোন ভাবেই জীবিকা নির্বাহ করতে পারছে না। তাদের জন্য সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে।

    আজ বৃহষ্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা টেষ্টিং হাসপাতাল পরিদর্শনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

    এই সময় মেয়র চমেক এর ল্যাব পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, অত্র অঞ্চলে দ্রুত করোনা রিপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে এই ল্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

    তিনি নগরবাসীকে ধৈর্য সহকারে চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিতদের সহযোগিতার আহবান জানান।

    চমেক এর এই ল্যাব বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. শামীম হাসান জানান এটি এখন চট্টগ্রামবাসীর সেবা দিতে পুরোদমে প্রস্তুত। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জনগণের জন্য উম্মুক্ত করা হবে। ফলে দৈনিক ৯০ জন লোক এখানে করোনা পরীক্ষা করতে সক্ষম হবেন।

    পরিদর্শনকলে কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. মোহাম্মদ মুজিবুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, ডা. রিদোয়ান, ডা. পিযুষ দত্ত, ডা. এহসানুল হক কাজল, ডা. অমিত ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ধৈর্য্য ও সংযমের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনায়রত হয়ে পৃথিবী রক্ষার আহবান চসিক মেয়রের

    ধৈর্য্য ও সংযমের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনায়রত হয়ে পৃথিবী রক্ষার আহবান চসিক মেয়রের

    বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন এক বিবৃতিতে বলেন, একটানা ছুটির কারনে ঘরে অবরুদ্ধ হয়ে মানুষ কর্মহীন ও শ্রমহীন হয়ে পড়েছে। খেটে খাওয়া শ্রমিক বিশেষ করে , রিকশা চালক, ভ্যান চালক, সেলুন,নির্মাণ শ্রমিক,হোটেল শ্রমিক, দোকাান কর্মচারী, চা দোকানদার কর্মহীন হয়ে নিদারুন কষ্টের মধ্যে আছে। যত দিন যাচ্ছে তত কষ্টের পরিমানও বেড়ে যাচ্ছে। সরকার এ ব্যাপারে সবসময় সদয় আছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মরণঘাতি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় অগ্রিম সচেতনতা মূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যাতে দেশের একটি মানুষও অভুক্ত না থাকে। সেই লক্ষ্যে তিনি প্রথম থেকেই খাদ্য মজুদ ও দ্রুত ত্রান বিতরণ ব্যবস্থার উপর জোর দিয়ে ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন।

    তিনি বলেন, সেই সাথে তিনি জোর দিয়েছেন স্বাস্থ্য সচেতনায়, বিশেষ করে এর সাথে জড়িত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষায় বিশেষ পদক্ষেপ। দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুেেষর হাতে এখন সরকারি ত্রাণ পৌঁছেছে। করোনা পরিস্থিতির সাধারণ ছুটির আজ ৪০ তম দিন অতিক্রম করছে দেশ। এসময়ের মধ্যে বিশ্বে অনেক প্রভাবশালী দেশও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছে। আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে শুধুমাত্র বিচক্ষণ নেতৃত্বে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ পরিচালনায় আমরা এখনও পর্যন্ত তেমন গুরুতর সমস্যায় পড়িনি। শুধুমাত্র সরকারি ত্রাণের উপর নির্ভর না হয়ে কর্পোরেট মালিক, বড় ব্যসায়ীদের সামার্থানুযায়ী পবিত্র মাহে রমজানের এই মাসে ছোয়াব ও মানবতার উজ্জীবিত হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

    মেয়র বলেন, এখনও পর্যন্ত যারা তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারেন নি অবশ্যই স্ব স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সাথে যোগাযোগ করে নিজেদের নাম অন্তর্ভূক্ত করুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে কোন ধরনের ঘাটতি নেই। যারাই ত্রাণ পাওয়ার অগ্রাধিকারে আছেন তারা যদি নিজ দায়িত্বে তালিকাভুক্ত না হন তাহলে এই দায়িত্ব জনপ্রতিনিধিদের উপর বর্তাবে না।

    আমি নগরবাসীর কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলবো- যারা এই পর্যন্ত তালিকাভুক্ত হননি, অনুগ্রহ করে আপনারা ওয়ার্ড কাউন্সিলের মাধ্যমে নিজেদের নাম অন্তর্ভূক্ত করুন।

    অন্তর্ভূক্তির পর ত্রাণ সহায়তা পেতে কোন ব্যত্ব্যয় ঘটলে তার দায়িত্ব আমি নিজেই নেব।

    মেয়র নগরবাসীকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান সহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের প্রদত্ত নিয়ম মেনে চলার আহবান জানান।

    আগামীতে এভাবে সমন্বয় করে চলতে পারলে আমরা নতুন এক পৃথিবী দেখতে পাবো ইনশা আল্লাহ ।

    মেয়র নগরবসীকে পবিত্র এই রমজান মাসে ধৈর্য্য ও সংযমের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনায়রত হয়ে পৃথিবী রক্ষার আহবান জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে দশ শয্যার আইসিইউ বেড সংযোজন

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে দশ শয্যার আইসিইউ বেড সংযোজন

    দিন দিন সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। নগরবাসীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসন ও চিকিৎসকরা। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম নগরীতে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল।

    আজ রবিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এই আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এই হাসপাতালে নতুন করে করোনা ইউনিটে আইসোলেশন সহ আরও দশ শয্যার আইসিইউ বেড সংযোজন করা হয়েছে। এখন থেকে করোনা উপসর্গে নিয়ে বা এ সংক্রান্ত বিষয়ে সেবা পাওয়া যাবে।

    পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, নগরীর কোন মানুষ যাতে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, এবং করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত সন্দেহভাজক সকলেই যেন ভাইরাস নিশ্চিত হলে জেনারেল হাসপাতালের এই ইউনিট থেকে সর্বাঙ্গীণ চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে।

    তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সেবার মতো মৌলিক অধিকারটি নিশ্চিত করতে সরকার সর্বদা সচেষ্ট। আমাদের মনে রাখতে হবে এটি শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কিংবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমস্যা নয়। এটি একটি সর্বজনীন সমস্যা। এখানে সকল মানুষের দায়িত্ব রয়েছে। সরকার ধাপে ধাপে অগ্রসর হচ্ছে। আমাদের প্রয়োজন দল মত নির্বিশেষে সরকারকে সহযোগিতা করা।

    মেয়র বলেন, মানুষই হচ্ছে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মানুষ না থাকলে সকল উপাদানই অর্থহীন। মানবসম্পদ বিহীন কোন কিছুই কল্পনা করা যায় না। তাই এই মুহূর্তে মানুষের জীবন বাঁচানোটাই মুখ্য। আসুন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি, নিজে বাঁচি, প্রতিবেশিকে বাঁচাই এবং দেশের জনমানবকে বাঁচাই।

    পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসিম কুমার নাথ,বিএমএ চট্টগ্রাম সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, সিনিয়র মেডিকেল কনসালটেন্ট ডা. আবদুর রউফ, কনসালটেন্ট রাজদ্বীপ বিশ্বাস, ডা. আবুল হোসেন, ডা. সমীর কুমার নাথ উপস্থিত ছিলেন।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বিশেষ শিশুদের(অটিজম) অস্বচ্ছল পরিবারদের সিটি মেয়রের ব্যক্তিগত তহবিল হতে উপহার প্রদান

    বিশেষ শিশুদের(অটিজম) অস্বচ্ছল পরিবারদের সিটি মেয়রের ব্যক্তিগত তহবিল হতে উপহার প্রদান

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, “অটিজম আক্রান্তরা আমাদের পরিবার তথা সমাজের অবিচ্ছেদ্য সদস্য। তাদেরকে সফল ও কর্মক্ষম ব্যক্তিতে পরিণত করতে বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণপূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ‘শুভেচ্ছা দূত’, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ড.সায়মা ওয়াজেদ হোসেন সর্ব প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। আজ সমাজ ও রাষ্ট্রে অটিজমরা স্বাভাবিকদের ন্যয় প্রতিষ্ঠিত।

    তিনি বলেন, আমাদের সকলেরই সমাজে সমানভাবে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে, তেমনি রয়েছে অটিজমদেরও। এই মহামারীতে তাদেরও কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু শারীরিক কিংবা মানসিকগত সমস্যার কারনে তারা লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ গ্রহন করতে পারছেন না। এই উপলব্ধি থেকে আমি উদ্যোগ গ্রহণ করেছি অটিজম সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কিংবা ব্যক্তি পর্যায়ে ভোগ্যপন্য সামগ্রী উপহার হিসেবে পৌঁছে দেব।

    তিনি বলেন, অটিজম আক্রান্তদের সামাজিক ও পারিবারিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা মোকাবিলায় আমরাদেরকে দায়িত্ব নিয়েই এগিয়ে আসতে হবে। মেয়র বলেন, আমি মনে করি আমরা যদি বিশেষ শিশুদের(অটিজম) খাদ্যের জোগান দিতে পারি তাহলে তারা ঘরে থেকে সুস্থ পরিবেশে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাবে।

    তিনি আরো বলেন, অটিজম আক্রান্তদের মৌলিক অধিকার পেতে সমাজে জায়গা করে দিতে হবে যাতে তারা তাদের অবদান রাখতে পারে। অন্যথায় আমরা দায় এড়াতে পারবো না।

    আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইগারপাস্থ চসিক নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রামের বিশেষ শিশুদের(অটিজম) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের অস্বচ্ছল ও কর্মহীন ১৮০ পরিবারকে সিটি মেয়রের ব্যক্তিগত তহবিল হতে ভোগ্যপন্য উপহার হিসেবে তুলে দেয়ার সময় মেয়র এসব কথা বলেন।

    আজ প্রদত্ত ১১ টি অটিজম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভোগ্যপন্য উপহার তুলে দেয়া হয়েছে সেগুলো হলো-চট্টগ্রাম সেনা নিবাসস্থ প্রয়াসকে ১২ টি, বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর আশার আলোকে ১২টি, স্পেকট্রা স্কুল অব অটিজমকে ৩৪ টি, প্রেরণা অটিজম স্কুলকে ৮টি, দিপালয় অটিজম স্কুলকে ১০ টি, মাতৃস্নেহ অটিজম একাডেমীকে ৮টি, ড্রীম স্ট্রারস্ অটিজম একাডেমীকে ১০ টি, সুইট বাংলাদেশ চট্টগ্রামকে ২০ টি, সেহের অটিজম সেন্টারকে ৯টি,নিষ্পাপ স্কুল অব অটিজমকে ৫০ টি, প্রাক প্রাথমিক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলকে ৭টি সহ মোট ১৮০ টি পরিবারের মাঝে এই উপহার তুলে দেয়া হয়।

    এসময় প্রতিষ্ঠান সমূহের প্রতিনিধি কপৌরাল হোসেন, মাহবুব খান, নাজিম উদ্দিন, চুমকি চক্রবর্তী, মনিষা সেনগুপ্ত, তাব্বাসুম জেরিন, সোমা চক্রবর্তী, লায়ন এম.এইচ খান, চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক ও ঝুলন কুমার দাশ সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

    এসময় মেয়র এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করে বলেন এই দুর্যোগকালীন মূহুর্তে বিশেষ শিশুদের (অটিজম) জরুরী স্বাস্থ্য সেবা ও ত্রাণ সহায়তার প্রয়োজন হলে তাঁকে যেন মুঠোফনে অথবা ক্ষুদে বার্তায় অবশ্যই জানানো হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর