Tag: চসিক মেয়র

  • চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডিস ইনফেকশন অটো চেম্বার হস্তান্তর করলেন চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডিস ইনফেকশন অটো চেম্বার হস্তান্তর করলেন চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসিম কুমার নাথের নিকট চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন একটি ডিস ইনফেকশন স্প্রে অটো চেম্বার হস্তান্তর করেছেন।

    আজ সকালে নগরীর টাইগারপাসস্থ সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের করোনা রোগীদের সেবাদানকারী ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের পিপিই পড়ে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময় জীবাণুমুক্ত করণের লক্ষ্যে এই চেম্বার হস্তান্তর করা হয়।

    চসিকের আর্থিক সহায়তায় এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর কারিগরি সহযোগিতায় চুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ ইমাম বাকের এর তত্ত্বাবধানে এই অটো স্প্রে চেম্বার তৈরী করা হয়।

    এই চেম্বারটি বিদ্যুৎ চালিত। একটি সেন্সরের মাধ্যমে এটি কাজ করবে। চেম্বারে প্রবেশের ৪ সেকেন্ডের মধ্যই ক্লোরিন মিশ্রিত দ্রবণের স্প্রে কাজ সম্পন্ন হবে। স্প্রে কাজ সম্পন্ন করে পিপিই পরিহিত ব্যক্তি জীবানুমুক্ত হয়ে প্রবেশ ও বাহির হবেন।

    এই চেম্বার হস্তান্তর কালে মেয়র বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষায় এই ধরনের ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এই মহামারী চলাকালীন সময়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে, বিশেষ করে সংক্রমিত রোগীদের সংস্পর্শে আসা ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষায় এই সেনিটাইজিং পদ্ধত্বি অত্যন্ত কার্য্যকর।

    পর্যায়ক্রমে এই স্প্রে অটো চেম্বার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, চসিক জেনারেল হাসপাতাল, বিআইটিআইডি বা বক্ষ ব্যধি হাসপাতাল, হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল সহ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সেবাদানকারী বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে তাদের চাহিদানুযাযী প্রদান করা হবে।

    চেম্বার হস্তান্তরকালে মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হক চৌধুরী বাবুল, চুয়েটের আবু আদনান, মো. রকিব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

    নিজেদের তাগিদে ত্রাণ প্রাপ্তির তালিকায় অন্তর্ভূক্তির আহবান সিটি মেয়রের

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, সরকারি ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থাপনায় কোন রকম অনিয়ম বা দূর্ণীতি হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিÍ অপেক্ষা করছে। এই কাজে নিয়োজিতদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ত্রাণ প্রাপ্তিতে অসন্তোষ নিয়ে কেউ কেউ আমাদের কাছে যোগাযোগ করে বলেছেন তারা তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারছেন না। এ ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চূড়ান্ত নির্দেশনা হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ত্রাণ উপহার বন্টনের ব্যাপারে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা সঠিকভাবে পালন করতে হবে। এখনও পর্যন্ত যারা তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারেন নি অবশ্যই স্ব স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সাথে যোগাযোগ করে নিজেদের নাম অন্তর্ভূক্ত করুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে কোন ধরনের ঘাটতি নেই। যারাই ত্রাণ পাওয়ার অগ্রাধিকারে আছেন তারা যদি নিজ দায়িত্বে তালিকাভুক্ত না হোন তাহলে এই দায়িত্ব জনপ্রতিনিধিদের উপর বর্তাবে না।

    মেয়র বলেন, গরীব ও অস্বচ্ছল পরিবারের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌছানো স্থানীয় জনপ্রনিধির দায়িত্ব। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ত্রাণ বিতরণে যাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে কেউ কেউ সঠিক দায়িত্ব পালন করছেন না। তাদের এহেন কর্মের জন্য আামরা প্রশ্নবিদ্ধ হবো। এই ত্রাণ বন্টনের তালিকায় অগ্রাধিকার পাবে দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষ, রিকশা চালক, ভ্যানগাড়ী ওয়ালা, চা দোকানদার, অটো রিকশা চালক, দোকানের কর্মচারী, ভবঘুরে, ভিক্ষুক সহ অসমর্থ ব্যক্তিগণ।

    তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে মহা সংকটকাল অতিক্রম করছি আমরা। এই দূর্যোগকালীন সময়ে আমারা কোনভাবেই যেন সংকীর্ণতা পোষণ না করি। মানবিকতাকে প্রাধান্য দিয়ে ধর্ম-বর্ণ,দল-মত নির্বিশেষে সকলের পাশে দাঁড়াতে হবে। প্রায় ৭০ লক্ষাধিক নগরবাসীর মধ্যে এনজিওদের পরিসংখ্যাণে প্রায় ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষ হতদরিদ্রের আওতায় পড়ে, কিন্তু আমাদের পরিসংখ্যানে প্রায় ২০ লাখের মত মানুষ। তবে এতদ পরিসংখ্যানগত অসাম্যঞ্জসতা থাকার পরও ইতোমধ্যে সরকারি, চসিক পরিবার ও ব্যক্তি সহায়তায় প্রায় ৪ লক্ষ পরিবারের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে যারা বাকি রয়েছেন তারা অবশ্যই ত্রাণ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবেন না,এটা আমাদের অঙ্গীকার। দূর্যোগ কাটিয়ে না ওঠা পর্যন্ত এই ত্রাণ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

    আমি নগরবাসীর কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলবো- যারা এই পর্যন্ত তালিকাভুক্ত হননি, অনুগ্রহ করে আপনারা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাধ্যমে নিজেদের নাম অন্তর্ভূক্ত করুন।

    মেয়র বলেন, যদি কোন কাউন্সিলর তালিকাভুক্তিতে অনিহা প্রকাশ করেন তাহলে সরাসরি আমাকে বা সংশ্লিষ্টদের অবহিত করুন। অন্তর্ভূক্তির পর ত্রাণ সহায়তা পেতে কোন ব্যত্ব্যয় ঘটলে তার দায়িত্ব আমি নিজেই নেব।

    মেয়র নগরবাসীকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান সহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের প্রদত্ত নিয়ম মেনে চলার আহবান জানান।

    দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ পত্রিকা’র সম্পাদক সৈয়দ উমর ফারুকের ছোট ভাই
    সৈয়দ আহসান হাবীবের মৃত্যুতে সিটি মেয়রের শোক
    দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ পত্রিকার’র সম্পাদক সৈয়দ উমর ফারুকের ছোট ভাই সৈয়দ আহসান হাবীব এর মৃত্যুতে গভির শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন। আজ এক শোক বার্তায় সিটি মেয়র মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানান।

  • রমজানে সিয়াম সাধনায় করোনা মোকাবেলায় মহান আল্লাহ’র করুণা অবশ্যই বর্ষিত হবে: চসিক মেয়র

    রমজানে সিয়াম সাধনায় করোনা মোকাবেলায় মহান আল্লাহ’র করুণা অবশ্যই বর্ষিত হবে: চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বিশ্ব মানবতা ও সভ্যতা বিধ্বংসী করোনা ভাইরাস(কোভিড-১৯) কবলিত এই ক্রান্তিকালে পবিত্র রমজান মাস সমাগত। এই বিরূপ পরিস্থিতিতে এবারের মাহে রমজানে ত্যাগ, সংযম ও সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে করোনা মোকাবেলায় আমাদের উপর মহান আল্লাহ তায়ালার করুণা অবশ্যই বর্ষিত হবে। কারণ তিনি তাঁর সৃষ্টিকে ক্ষমা করবেন, কেননা স্রষ্টা এতোটা কঠোর হতে পারেন না। তিনি তাঁর সৃষ্টিকে ভালবাসেন, ভালবাসা আর মায়া তারই সৃষ্টি। এই আঁধার একদিন কেটে যাবে এবং ইনশাল্লাহ আমরা আবার জীবনের ছন্দে ফিরে আসবো।

    তিনি আজ সকালে কালামিয়া বাজারস্থ অনন্ত বিলাস কমিউিনিটি সেন্টারে কুলসুমা ফাউন্ডেশন কর্তৃক ৮শত ৫০ টি অস্বচ্ছল পরিবারের মধ্যে ইফতার ও সেহেরী সামগ্রী বিতরণকালে একথাগুলো বলেছেন।

    তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় আলেম সমাজের পরামর্শক্রমে রমজান মাসে রোজাদারদের তারাবী নামাজ সহ অন্যান্য ধর্মীয় আচার-আচরনের ক্ষেত্রে যে নির্দেশনা আসবে তা অবশ্যই পালন করতে হবে। কেননা করোনা এখন সামাজিক সংক্রমণ। তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘরে বসে তারাবী নামাজ, এবাদত-বন্দেগী ও অন্যান্য ধর্মীয় রীতি-পালন করতে হবে। এতে গুনাহর ভাগী হবার কোন অবকাশ নেই। কারণ নিজের জীবন ও অন্যের জীবন রক্ষা করাটাই সবচেয়ে বড় ধর্মীয় নীতিবোধের পরিচায়ক। তাই সৃষ্টিকর্তা যেহেতু তার সৃষ্টিকে ভালবাসেন সেহেতু সৃষ্টির কোন ক্ষতি চান না।

    তিনি মাহে রমজান মাসে অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে ইফতার ও সেহেরী সামগ্রী তুলে দেয়ায় কলসুমা ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এভাবে সকলকে মানবকল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে এবং তবেই আমরা জয় করবো একদিন।

    এসময় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জামাল আহমদ, মোহাম্মদ ইলিয়াস, এনামুল হক, দেলোয়ার হোসেন, রেজোয়ান মোস্তাক, কাজী মহসীন, আজাদুর রহিম ও আরশাদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

    আগামীকাল চট্টগ্রাম বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের মাঝে সিটি মেয়রের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপহার সামগ্রী প্রদান

    আগামীকাল বুধবার চট্টগ্রাম বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের মাঝে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন তাঁর পরিচালিত প্রতিষ্ঠান এম.এইচ.চৌধুরী লিমিটেড ইউনিফেন্ট বশির আহমদ লি. ও মমতাজ শিপিং এজেন্সির পক্ষ থেকে প্রিয়া কমিউিনিটি সেন্টারে খাদ্য সামগ্রী উপহার দিবেন। ১৩ কেজি ওজনের উপহার প্যাকেটে অত্যাবশকীয় খাদ্য সামগ্রী থাকবে।

    মেয়রের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন আলী নুর মাঈনু জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে আগামীকাল ৭৫২ পরিবারে মাঝে এই উপহার সামগ্রী প্রদান করার মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।

     

  • মধ্যরাতে ক্ষুধা কাতর কুকুরের আকুল বিলাপে আমার মন কাঁদে:চসিক মেয়র

    মধ্যরাতে ক্ষুধা কাতর কুকুরের আকুল বিলাপে আমার মন কাঁদে:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ. জ. ম. নাছির উদ্দীন আজ বিকেলে নগরীর বিভিন্ন সড়কে ও অলি-গলিতে অভুক্ত পথপ্রাণী চতুষ্পদ কুকুরের মুখে রান্না করা খাবার সামগ্রী তুলে দিয়েছেন।

    এই সময় তিনি উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মী ও সমাজসেবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রাণী জগতে কুকুর প্রভূভক্ত ও মানুষের উপকারী জীব। এদের একটি অংশ গৃহপালিত। তাদের অনুসন্ধিৎসু ঘ্রাণশক্তি প্রখর ও সুতীব্র। তাই পুলিশ,সেনাবাহিনী ও রহস্য অনুসন্ধানী গোয়েন্দা সংস্থার প্রশিক্ষিত কুকুর স্কোয়ার্ড রয়েছে। গল্প, উপন্যাস ও ধর্মীয় আখ্যানে কুকুর নিয়ে প্রভুভক্তি ও মনুষ্য প্রীতির অনেক কীর্তিগাঁথা আছে। তবে তাদের একটি বড় আংশ পথের বাউন্ডুলে ও ভবঘুরে। তাদের উদর পূর্তির জায়গা ডাষ্টবিন ও নালা-নর্দ্দমায় ফেলে দেয়া গৃহস্থলী ও হোটেল-রেঁস্তোরার খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ।

    তিনি বলেন,  করোনা ভাইরাস কবলিত নগরীতে লক-ডাউন চলাকালীন সময়ে হোটেল-রেঁস্তোরা বন্ধ থাকায় এবং গৃহবন্ধী মানুষের জীবনযাপনে সীমিত রান্নাবান্নার কারণে ডাষ্টবিন ও নালা-নর্দমায় খাবারের উচ্ছিষ্ট নেই বললেই চলে। তাই পথের ভবঘুরে -বাউন্ডলে কুকুরগুলো অভূক্ত। মধ্যরাতে ক্ষুধা কাতর কুকুরের আকুল বিলাপে আমার মন কাঁদে এবং অনেকেরই।

    মেয়র বলেন,এই পৃথিবী শুধুমাত্র মানুষের নয়, খোদাসৃষ্ট সকল প্রাণীর। মানুষের একতরফা কর্তৃত্বে মানুষই শ্রেষ্ঠ! তাই অন্যপ্রাণীকূল আজ বিপন্ন, নিপীড়িত এমনকি বিলুপ্তপ্রায়। অথচ প্রাণীর সম্মিলিত সহযোগে প্রকৃতির ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত। তাই শুধু মানুষই নয়, সকল প্রাণীও প্রকৃতির সঙ্গী। এই শিক্ষা করোনা দূর্যোগকালীন দু:সময়ে গ্রহণ করা আমাদের সকলের উচিত। তাই অভুক্ত প্রাণীকুল কুকুরের প্রতি গভীর মমতায় একটু খাবার তুলে দিয়ে মানব জীবনকে সার্থক করে তুলুন। এটাই নগরবাসীর প্রতি আকুল আবেদন।

    তিনি বলেন,আমরা জানি, পৃথিবীতে সকল মানুষ ও প্রাণীর স্রষ্টা করুনাময় মহান আল্লাহ তা’য়ালা। কিনি সকল প্রাণীর প্রতি সমান দৃষ্টি ও করুনা বর্ষণ করেন। কামনা করি, সুখে থাক জগতের সকল প্রাণীকূল।

    ক্রিকেটার ইমরুল কায়েসের পিতার মৃত্যুতে সিটি মেয়রের শোক

    বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ইমরুল কায়েসের পিতা বনি আমিন বিশ্বাস (৬০) মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। রবিবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে গভির শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বিসিবির সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন ।

    আজ এক শোক বার্তায় মেয়র মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানান।

  • ডেঙ্গু সহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি মেয়র নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন

    ডেঙ্গু সহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি মেয়র নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন

    ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, পরিষ্কার ও বদ্ধ পানি এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র। তাই বাসাবাড়ির আশপাশে ডাবের খোসায়, ফুলের টবে, ছাদে, ফ্রিজের নিচের ট্রেতে যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক মশা নিধনের জন্য এডাল্টিসাইড এবং মশার লার্ভা (ডিম) ধ্বংসের জন্য লার্ভিসাইড ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। ফগার মেশিনের সাহায্যে। হ্যান্ড স্প্রে মেশিনের সাহায্যে ১০ লিটার পানিতে ১০ সিসি লার্ভিসাইড মিশিয়ে দ্রবণ তৈরিপূর্বক স্প্রে ছিটানোর পরিমাণ অনেক বৃদ্ধ করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, এখণই এডিস মশার বংশবৃদ্ধির উপযুক্ত সময়। ভারী বর্ষণ কিংবা থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারণে বাড়ীর আশপাশ, ফুলের টব, আবর্জনা ফেলার পাত্র, প্লাষ্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাষ্টিকের ড্রাম,মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, নারিকেলের মালা, ব্যাটারী শেল, পলিথিন, চিপসের প্যাকেট এবং নালা-নর্দমায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পেতে পারে। এক্ষেত্রে জনসচেতনতাকে সমধিক গুরুত্ব দিলেন সিটি মেয়র।

    তিনি বলেন, বর্ষাকালে কোনো পাত্রেই পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। তার ওপর বৃষ্টির পর বাড়ীর আশপাশে পানি জমে থাকলে তাও পরিস্কার করে ফেলতে হবে। জমে থাকা পানি ছাড়া এডিস মশা বংশবৃদ্ধি করতে পারে না। এসব বিষয়ে বিশেষ নজর দিয়ে চসিক পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে আরো বেশি তৎপর হয়ে কাজ করার জন্য তাগিদ দিলেন সিটি মেয়র।

    ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কে নগরবাসীর মধ্যে জনসচেতনা সৃষ্টির কথা উল্লেখ করে সিটি মেয়র মশা – মাছির উপদ্রব এবং মশার প্রজনন রোধে দীর্ঘমেয়াদী ওষুধ ছিটানোর ক্রাশ প্রোগাম, মাইকিং, প্রচার পত্র বিলি, পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্টান সমূহে সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ এবং নালা – নর্দমা পরিস্কারসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণকে তিনি নির্দেশ দেন।

    তিনি বলেন, বিশেষ মশক নিধন অভিযান উদ্বোধনের পর নগরের ৪১ ওয়ার্ডে ১২০ জন শ্রমিক ওষুধ ছিটানো শুরু করেছে। এবার ২ কোটি টাকার ২৫ হাজার লিটার এডাল্টিসাইড, ১০ হাজার লিটার লার্ভিসাইড ওষুধ কিনেছে চসিক। চসিকে ১১০টি জার্মানির ফগার মোশিন ও ৩৫০টি হ্যান্ড স্প্রে মেশিন রয়েছে। প্রতিবছর সেপ্টে¤\^র থেকে মে পর্যন্ত মশক নিধন কার্যক্রম চললেও এবার চিকনগুনিয়া ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে চসিক।

    মেয়র বলেন, মশক নিধন কার্যক্রম শতভাগ নিশ্চিতকরণের ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রতি ওয়ার্ডে জীবানুনাশক পানি ছিটানোর পাশাপাশি মশা নিধনে লার্ভিসাইড ওষুধ ছিটানো শুরু হয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, আগামীকাল থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওষুধ ছিটানো হবে। এ কাজে নিয়োজিত কর্মীরা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জীবানুনাশক ছিটাবেন।

    তিনি বলেন, আমরা কিছু লার্ভিসাইড ও মশার ডিম ধ্বংসকারী ওষুধ ( কালো তেল) সংগ্রহ করেছি। তিনি বলেন জলাবদ্ধতা নিরসনে চাক্তাইখাল সংস্কার, গভীরতা বৃদ্ধি এবং জলপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তার পূর্ত কাজ সম্পন্ন করছেন সেনাবাহীনী। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে চাক্তাই খালের বেশ কয়েকটি জায়গায় বাঁধ দেয়ায় স্বাভাবিক পানি প্রবাহ স্থির হয়ে আছে। স্থির হওয়া পানিই এডিস মশা প্রজনের অন্যতম ক্ষেত্র।

    চসিক মেয়র সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালকের সাথে কথা বলে পাইপ লাইন বসিয়ে স্থির পানিগুলো সরিয়ে ফেলতে বলেছেন মর্মে জানান। অবশ্য সেনাবহীনি বিকল্প ব্যবস্থায় পানি প্রবাহ গতিশিল রাখতে পদক্ষেপ নিয়েছেন। কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করা না হলে এডিস মশার প্রজনন বেড়েই চলবে। এছাড়াও বাসা-বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন জায়গার ঝোপঝাড় পরিস্কার করে মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করে ফেলার জন্য নগরবাসীর প্রতি মেয়র উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন।

  • সংকটকালীন ক্রান্তিকাল উত্তরোনে মুক্তিযোদ্ধাদের ৭১ এর মতই ঝাপিয়ে পড়তে হবে:চসিক মেয়র

    সংকটকালীন ক্রান্তিকাল উত্তরোনে মুক্তিযোদ্ধাদের ৭১ এর মতই ঝাপিয়ে পড়তে হবে:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের প্রতি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথাযোগ্য মর্যাদা,প্রাপ্য স্বীকৃতি, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছেন। আজ মরণঘাতী করোনা ভাইরাস বৈশ্বিক মহামারিতে পরিণত হয়েছে। তার প্রভাবে বাংলাদেশও সংকটময় ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই ক্রান্তিকাল উত্তরনে যেভাবে ১৯৭১ সালে মাতৃমুক্তিপণে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন একইভাবে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় তাদেরকে তাদেরকে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। আজ অস্ত্র নয়, সুদৃঢ় মনোবলে কল্যাণ ও সেবা মন্ত্রে উজ্জিবীত হয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে অভয় যোগাতে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী ভূমিকা রাখতে হবে।

    আজ সকালে নগরীর জুবিলী রোডস্থ দারুল ফজল মার্কেটে প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংষদ মহানগর ইউনিট কমান্ডের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য সামগ্রী উপহার হিসেবে তুলে দেয়ার সময় মেয়র এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, আপদকালীন সময়ে সরকারী ত্রাণ সামগ্রী অভুক্তদের ঘরে ঘরে দ্রুত পৌঁছে যায় সে ব্যাপারে ত্রাণ ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্তদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে এবং এটাই হলো প্রত্যেকের মানবিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা।

    এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ।

    এছাড়া মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, ডেপুটি কমান্ডার শহিদুল হক চৌধুরী, সহকারী কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, কোতোয়ালী থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা সৌরেন্দ নাথ সেন, চান্দগাও থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন, পাঁচলাইশ থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আহমদ মিয়া, বন্দর থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা কামরুল আলম, পতেঙ্গা থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন, আকবরশাহ থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নুর উদ্দিন, ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ, হালিশহর থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা কালাম চৌধুরী, বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা জামাল আহমদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রনাল চৌধুরী, বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমীন, বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম দুলু, বীরমুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা রমজান মিয়া, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাফেজ উপস্থিত ছিলেন।

    পরে সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ আন্দরকিল্লাস্থ নগরভনে রক্ষিত সরকারী ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের প্রস্তুতি কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

    এসময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক উপস্থিত ছিলেন।

  • ধৈর্য সংযম শৃংখলা আত্মসচেতনতা শুদ্ধাচারী জীবন যাপনের মাধ্যমে ঘরে থাকুন:চসিক মেয়র

    ধৈর্য সংযম শৃংখলা আত্মসচেতনতা শুদ্ধাচারী জীবন যাপনের মাধ্যমে ঘরে থাকুন:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস(কোভিড-১৯) সংক্রমণ বিস্তার রোধে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে এক জনসচেতনতা মূলক বার্তায় বলেছেন, ধৈর্য্য,সংযম,শৃংখলা,পরিচ্ছন্নতা ও আত্মসচেতনতা দ্বারা শুদ্ধাচারী জীবনযাপনেরর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সময় ঘরে থাকুন এবং নিজেকে, পরিবার,প্রতিবেশীসহ সকলের জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন।

    আজ গণমাধ্যমে প্রদত্ত এই বার্তায় তিনি করোনা ভাইরাসকে মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ ও বর্তমান অবধি অপ্রতিরোধ্য মরণ ব্যাধি হিসেবে অভিহিত করে বলেন, করোনা অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবানু কনিকা। একে দেখা যায় না, ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় না, এবং এর গতি বাতাসের চেয়ে দ্রুততর। গত ডিসেম্বর মাসের শেষে দিকে চীনের উহান প্রদেশ থেকে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হলেও অতিদ্রুত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে অতিদ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যা অবিশ্বাস্য এবং অপ্রতিরোধ্য।

    উন্নত, অনুন্নত ও দরিদ্র নির্বিশেষে বিশ্বের ২৩০টি রাষ্ট্রের মধ্যে ২০৭ টিতে করোনা ভাইরাসের আগ্রাসী থাবা বিস্তৃত হয়েছে। গতকাল অবধি বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৮ লাখ। মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭ হাজার ৭শত ৮২ জন। করোনা ভাইরাসের বিস্তারের প্রভাব মাসাধিকাল আগে থেকেই বাংলাদেশে পড়েছে। প্রথমে খুবই ধীরে হলেও ক্রমশ লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদেরআশংকা মধ্য এপ্রিলেই করোনা ভাইরাসের উর্ধ উল্লস্ফলন ঘটবে। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ করোনা ভাইরাসের ক্রম বিস্তারে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টির আশংকা একেবারেই অমুলক নয়।

    এতে আমাদের ভয় ও আতঙ্কে মনোবল হারিয়ে কিংবর্তব্যবিমূড় হওয়ার কোন অবকাশ নেই। তাই যে যার অবস্থান থেকে আপদকালীন দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন তিনি তাঁর সর্বাধিনায়ক। তাই তাঁর সকল নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে এই যুদ্ধে অবশ্যই বিজয়ী হতে হবে। এই যুদ্ধের ভ্যানগার্ড বা অগ্রবর্তি বাহিনী চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী রা। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা আক্রান্তদের সেবা দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের ঝুঁকি ভাতা ও জীবন বীমার নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন। আপনারা নির্ভয়ে দায়িত্ব পালন করুন।

    তিনি আরো বলেন, বিগত কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসে এই বাংলায় নানাবিধ প্রাকৃতিক দূর্যোগ-বন্যা,ঘুর্ণিঝড়,জলোচ্ছ্বাস,দূর্ভিক্ষ,মঙ্গা এবং নানান যুদ্ধ বিগ্রহে লক্ষ লক্ষ প্রাণ বলিদান করে রুখে দাঁড়িয়ে আবারও এই জনপদের ভূমিপুত্রগণ কোমর সোজা করে অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে গেছেন । ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে এক সশন্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ প্রাণের আত্মবলিদান ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে বাঙালি জাতি সত্তার স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই যুদ্ধের পরও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমাদের লড়াই-সংগ্রাম অব্যাহত ছিল এবং এখনও চলমান আছে। আজ বৈশ্বিক করোনা মহামারি বিশ্ব মানব সভ্যতাকে গ্রাস করতে চায়। ইতোমধ্যে লক্ষ প্রাণ হারিয়ে গেছে। বাংলাদেশেও এই থাবা বিস্তারিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন। সেই যুদ্ধে আমাদের কোন প্রতিপক্ষ নেই। দল-মত-বর্ণ-ধর্ম এবং ভাষা নির্বিশেষে আমরা সকলেই এক পক্ষ। আমাদের হাতিয়ার সুদৃঢ় মনোবল, জনসচেতনতা এবং সরকারি দিক-নির্দেশনা ও নিয়ম কানুন পালন।

    আমি লক্ষ্য করছি যে, এই আপদকালীন সময়ে আমাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি এখনও অনেকের মাথায় ঢোকেনি। আজ সবচেয়ে বড় প্রয়োজন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা ও জীবনাচরণ অনুসরণ করা। করোনা নামক ভাইরাসমুক্ত হতে এখনও পর্যন্ত কোন কার্যকর প্রতিষেধক, ঔষধপত্র ও ভ্যাকসিন আবিস্কার হয়নি। তবে বিশ্বের বিজ্ঞানীরা প্রতিষেধক আবিস্কারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তাঁরাই বলেছেন এই প্রতিষেধক আবিস্কার করতে গেলে কম করে হলেও দেড় বছর অপেক্ষা করতে হবে। তাই বলতেই হয় বর্তমান পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং যতবেশি সময় ঘরে থাকা- এই প্রক্রিয়াটি আমাদের আপদকালীন ক্রান্তিকাল অতিক্রমের প্রধান অবলম্বন।

    তিনি এই প্রসঙ্গে আরো বলেন, বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তদের অধিকাংশই সামাজিক সংক্রমণ থেকে। তাই প্রত্যেককেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিজেকে অন্যের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। তিনি দু:খ প্রকাশ করে বলেন, এই দূর্যোগকালীন সময়েও লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, একটি অসাধু চক্র ত্রাণের জিনিসপত্র লুটপাট করার অপচেষ্টা চলাচ্ছে। এমনকি সরকারি বরাদ্দের চাল কৌশলে আয়ত্ব করে খোলা বাজারে বিক্রী করে মুনাফা লুটছে। এরা পাষন্ড। করোনা ভাইরাসের চেয়েও ভয়ঙ্কর। এদের দমন করা সময়ে দাবী। এই অশুভ শক্তিটিকে সরকারের খাদ্য বিভাগের কিছু অসত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং খাদ্য পরিবহণ ঠিকাদারদের কেউ কেউ ইন্ধন যোগাচ্ছে। এরাই ভয়ঙ্কর অপশক্তি। তাদের আইনের আওতায় এনে অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।

    তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন,আপনারা যতক্ষণ সময় ঘরে থাকবেন এবং জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কখনই বের না হয়ে নিজেকে সুরক্ষা করুন – এটাই আমার প্রত্যাশা। শুধু রাষ্ট্র ও সরকার নয়, সামাজিক ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং জনকল্যাণমুখী প্রচেষ্টার ফলে আমরা আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারব ইনশা আল্লাহ। জনসমাগম হয় এমন কোন সামাজিক,ধর্মীয়,সাংস্কৃতিক এমনকি বিয়ে-শাদি সহ যে কোন উৎসব ও অনুষ্ঠানাদী পরিহার করুন।

    তিনি তাঁর সচেতনতা মূলক বার্তায় আরো বলেন যে, এই সময়টা হলো মশা উপদ্রুত হওয়ার। মশক নিধনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ক্রাশ প্রোগ্রাম চলমান রয়েছে। আমি একটা কথা বলতে চাই, শুধু ওষুধ ছিটিয়ে মশক নিধন সম্ভব নয়। মশক উৎপত্তি ও প্রজনন ক্ষেত্রগুলো ব্যক্তি ও সামাজিক উদ্যোগে চিহ্নিত করে ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ করে এই নগরীকে মশা মুক্ত করা সম্ভব। আরো একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি মেগা প্রকল্প চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন। এর পূর্ত কাজ করছে সেনাবাহিনী। দেখা যাচ্ছে চাক্তাই খালে এই কাজের জন্য বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহ আটকে দেয়া হয়েছে। এই জমাট পানি মশা প্রজননের অন্যতম ক্ষেত্র। এই জমাট পানি পাইপ লাইন বসিয়ে সরিয়ে নেয়া প্রয়োজন এবং সেনাবাহিনীও তা করতে চান। তবে সময় ক্ষেপণ করলে মশক নিধন কার্যক্রম সফল হবে না।

    তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গুরোগ এডিস মশা থেকেই ছড়িয়ে পড়ে। এবং এডিস প্রজনন হয় পরিস্কার জমাট পানিতে। বাড়ীর যেখানেই এই জমাট পানি থাকে সেখান থেকে তা দুই-একদিন পরপরই সরিয়ে ফেলতে হবে। এছাড়াও ঝোপ ঝাড় এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ তৈরী হবে তা সরিয়ে ফেলতে প্রত্যেক নাগরিককেই সচেতন হতে হবে।

  • বন্ধ হলি ক্রিসেন্টকে করোনা হাসপাতাল করা হচ্ছে:চসিক মেয়র

    বন্ধ হলি ক্রিসেন্টকে করোনা হাসপাতাল করা হচ্ছে:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ. জ. ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারিতে পরিণত হয়েছে। যাকে শুধুমাত্র সূদৃঢ় মনোবলে আতংক ও ভয়কে জয় করার মানসিকতায় আমরা অবশ্যই আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সক্ষম হব।

    তিনি বলেন, শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় ও সরকারি উদ্যোগ নয়, বেসরকারি ও সামাজিক উদ্যোগই সংকট মোচনের প্রধান অবলম্বন। এই উপলব্ধি থেকে সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় থাকা হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে শুধুমাত্র করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিহত ও চিকিৎসা সেবা প্রদানে একটি পূর্ণাঙ্গ ১শত শয্যা বিশিষ্ঠ হাসপাতাল অচিরেই চালু হওয়ার পথে। তাই আমাদের মাঝে সংকট উত্তোরনের আশা জাগিয়েছে। এই হাসপাতালে থাকবে ভেন্টিলেটর সহ ২০ বেডের আইসিইউ ইউনিট।

    এই মহতীকাজে সহযোগিতার জন্য চট্টগ্রাম প্রাইভেট ক্লিনিক ওনার্স এসোসিয়েশনকে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র বলেন, এই হাসপাতালকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

    তিনি আজ শনিবার অপরাহ্নে নগরীর জাকির হোসেন রোডস্থ হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালকে করোনা ভাইরাস হাসপাতালে উন্নীতকরণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে একথাগুলো বলেছেন।

    তিনি আরো বলেন, এই হাসপাতালকে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে আধুনিক ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ ও সক্ষমতা অর্জনে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

    তিনি জানান এই হাসপাতালকে একটি কার্যকর সেবাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে বিভাগীয় বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সিভিল সার্জন, বিদ্যুৎ,গ্যাস, ওয়াসা,টিএন্ডটিসহ সকল সরকারি ও আধাসরকারি সেবা সংস্থা কর্তৃপক্ষের সাথে সম্পৃক্ততা আনায়নে একটি সমন্বয় বৈঠক আগামীকাল টাইগারপস্থ চসিক সম্মেলন কক্ষে বেলা ১ টায় অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকের গৃহিত সিদ্ধান্তের আলোকে হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আশা করা যাচ্ছে আগামী ২৫ শে এপ্রিল এই হাসপালটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা যাবে। মেয়র চসিক পরিচালিত জেনারেল হাসপাতালেও করোনা ইউনিট চালু করার সিদ্ধান্ত জানান।

    পরিদর্শনকালে চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী,বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, প্রাইভেট ক্লিনিক ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. লেয়াকত আলী খান, ডা. মো. ইউসুফ, ডা. এ টি এম রেজাউল করিম সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

    দেওয়ান বাজারে মশক নিধনের ক্রাশ প্রোগ্রাম

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে মশা নিধন ক্রাশ প্রোগ্রামের আজ তৃতীয় দিনে নগরীর দেওয়ান বাজার ওয়ার্ডে খলিফাপট্টি সংলগ্ন চাক্তাই খালের পাড়ে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    এসময় তিনি বলেন, শুধু ঔষধ ছিটিয়ে মশা নিধন করা সম্ভব নয়। তাই মশার উৎপত্তিস্থলগুলো চিহ্নিত করে তা অপসারণ এবং যত্রতত্র যাতে আবর্জনার স্তুপ তৈরী না হয় সেজন্য প্রত্যেক নাগরিককে সচেতন হতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গু রোগের উৎস এডিস মশা। এই মশা জন্ম হয় জমে থাকা পরিস্কার পানিতে বিশেষ করে ডাবের খোল,ফুলের টব,এসির জমে থাকা পানি,পরিত্যক্ত প্লাষ্টিক বোতল অর্থাৎ যেসব জায়গায় ও বস্তুতে পরিস্কার পানি জমে থাকে সেখান থেকে দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে।

    তিনি উল্লেখ করেন যে, আজ শনিবার সকালে এই ক্রাশ প্রোগ্রাম এসময় প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, মোহাম্মদ আলী,আবদুল্লাহ আল হারুন, মো. এনাম, সজল সেন, মো. সাজ্জাদ, মো. রাসেল, হিমেল চৌধুরী,মো. রুবেল, আলাউদ্দিন, হেনজা, শুভ, মো. রাকিব, মো. সাকিব প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ক্রয়কৃত ২৫ টি স্প্রে মেশিনের সাহায্যে এই ক্রাশ প্রোগ্রামে স্বেচ্ছাশ্রমে অংশ নিয়েছেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ২৫ জন সদস্য।

    এসময় মেয়র তাদের এই উদ্যোগে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি এভাবে প্রত্যোকে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসলে মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

    তিনি বলেন, অগ্রিম সতকর্তা অবলম্বনে গত বছরও আমরা অন্যান্য জেলার চেয়ে মশা নিধনে এগিয়ে ছিলাম। আশা করছি এবরাও আমরা সফল হবো। পরে কাজেম আলী বাই লেইন ও ফতে আলী মাতবর লেইন মহল্লা কমিটির কার্যালয় উদ্বোধন করেন মেয়র।

     

  • মশক নিধনের বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম উদ্বোধন করলেন মেয়র

    মশক নিধনের বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম উদ্বোধন করলেন মেয়র

    নগরবাসীকে মশার উৎপাত থেকে রক্ষা করার জন্য মশক নিধনের বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। তারই অংশ হিসেবে আজ বৃহষ্পতিবার সকালে নগরীর বহদ্দারহাট পুলিশ বক্স হতে শুরু করে চাক্তাই খালের পাড় ঘেষে চক বাজার ফুলতল পর্যন্ত মশার ঔষধ ছিটানোর কার্যক্রম উদ্ভোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    এসময় মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, চসিক প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ সফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী, রাজনীতিক মামুনুর রশিদ, লিটন রায় প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    মশক নিধন কার্যক্রম উদ্ভোধনকালে সিটি মেয়র বলেন, বর্তমান সময়টা মশা প্রজননের উর্বর সময়। এসময় সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি নগরবাসীকেও সচেতন হতে হবে।

    তিনি বলেন, নগরীর ৪১ টি ওয়ার্ডে ৪ জন করে ১৬৪ জন কর্মী হ্যান্ড স্প্রে মেশিনের মাধ্যমে মশা ও এডিস মশার প্রজনন স্থানে লারভিসাইড ঔষধ ছিটানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে চসিক নতুন হ্যান্ড স্প্রে মেশিন ক্রয় করা হয়েছে। তিনি বলেন,চসিকের হাতে মশা এবং মশার লার্ভা ধ্বংসকারী ওষুধ মজুদ রয়েছে। প্রয়োজনে আরও ঔষুধ সংগ্রহ করা হবে। মেয়র মশা এবং চিকনগুনিয়া ও ডেঙ্গু রোধে প্রত্যেকর আশপাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কারকরণ ও নালা-নর্দমায় যেখানে মশা জন্ম হয় সেখানে ওষুধ ছিটানো হবে বলে জানান।

    এই প্রসঙ্গে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনার কথা উল্লেখ সিটি মেয়র বলেন, মশা নিধন কার্যক্রম শতভাগ নিশ্চিতকরণের ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রতি ওয়ার্ডে জীবাণুনাশক পানি ছিটানোর পাশাপাশি মশা নিধনে ল্যারভিসাইড ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।

    মেয়র বলেন, মশার উপদ্রব যতদিন কমবে না ততদিন পর্যন্ত এই ঔষুধ ছিটানো হবে। তিনি বলেন, নগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজও চলমান রয়েছে। নগরীর প্রধান প্রধান খালের মুখে বাঁধ দেওয়ায় পানি জমে আছে। সেইখানে মশার জম্মের উবরস্থান। তাই এ প্রকল্পের দায়িত্ববান ব্যক্তির সঙ্গে আগেও কথা বলেছি। মেয়র আরো বলেন আগামী কয়েক মাস পর এডিস মশার বংশবৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত সময় হবে। ভারী বর্ষন কিংবা থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারণে বাড়ীর আশপাশ, ফুলের টব, আবর্জনা ফেলার পাত্র, প্লাষ্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাষ্টিকের ড্রাম,মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, নারিকেলের মালা, ব্যাটারী শেল, পলিথিন,চিপসের প্যাকেট এবং নালা-নর্দমায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে এডিস মশার প্রজননের স্থান। এজন্যজনসচেতনতাকে সমাধিক গুরুত্ব দিলেন সিটি মেয়র।

    মেয়র বলেন, চাক্তাই খালের পানি চলাচলের স্বাভাবিক অবস্থা সৃষ্টি করা না গেলে সামনের বর্ষার মৌসুমে জলাবদ্ধতা চরম আকার ধারন করবে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে স্ল্যুইচ গেইট নির্মাণের জন্য যে বাঁধগুলো দেয়া হয়েছে তাতে পাইপ লাইন স্থাপন করে হলেও পানির নিস্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন মেয়র।

    তিনি এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা নিজেরা সচেতন হয়ে খাল ও নালার মধ্যে ময়লা ফেলা থেকে বিরত না থাকলে কোন অবস্থাতেই জলাবদ্ধতা সহ মশার উপদ্রপ থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব নয়।

    তিনি বিশ্ব করোনা ভাইরাসের দূর্যোগে নিজেদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি সচেতনভাবে পালন করার জন্য আহবান জানান।

    তিনি আরো বলেন, লক ডাউনের কারনে জনজীবনে দারুন কষ্ট হচ্ছে। একথা সত্য। তবুও নিজেদেরকে রক্ষার জন্য এই সাময়িক কষ্ট সহ্য করতে হবে। তিনি নগরীর খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে সিটি কর্পোরেশন ও মেয়র ব্যক্তিগতভাবে প্রদত্ত ভোগ্যপন্য নগরীর বিভিন্ন এলাকায় তালিকা তৈরী করে এবং তাঁর নিজ ফেইসবুক আইডিতে আগত বিভিন্ন ম্যাসেজ সংগ্রহ করে তা ঘরে ঘরে প্রতিদিন পৌছানো হচ্ছে।

    তিনি বলেন মশক নিধনের এই কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে নগরীর ৪১ টি ওয়ার্ডে চলবে।

    তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এই কার্যক্রম সফল করার লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে চসিক। এরই ধারাবাহিতকায় নগরীর একটি ঘরও মশক নিধন কার্যক্রম হতে বাত পড়বে না। আগামীকাল সকাল সাড়ে ১১ টায় মহেশখাল ও ছোট পোল এলাকায় ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালিত হবে। এই বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম টীমে ৪০ জন হ্যান্ড স্প্রে মেশিন কর্মী কাজ করছে বলে জানান।

  • প্রয়াত খোরশেদের পুত্র-কন্যার অভিভাবকত্ব নিলেন মেয়র

    প্রয়াত খোরশেদের পুত্র-কন্যার অভিভাবকত্ব নিলেন মেয়র

    অকালপ্রয়াত চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগের সমন্বয়কারী নাগরিক-সাংস্কৃতিক সংগঠক খোরশেদ আলমের পরিবারের সার্বিক দায়িত্ব নিলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।

    তিনি আজ শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে বন্দরনগরীর দক্ষিণ বাকলিয়ার ম্যাচ ফ্যাক্টরি রোড এলাকায় এই সংগঠকের বাসায় গিয়ে পরিবারটির খোঁজ নেন এবং পুত্র-কন্যাদের পড়ালেখা এবং শহরে থাকার দায়িত্ব গ্রহণ করেন ।‌

    খোরশেদ চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগের সমন্বয়কারী দায়িত্বের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য সহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন।

    বৃহস্পতিবার ভোররাতে এই নাগরিক-সাংস্কৃতিক সংগঠকের অকাল মৃত্যু হয়। ‌দুপুরে জানাজা শেষে চৈতন্য গলি কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয় হয়। শুক্রবার দুপুর বারোটার দিকে খোরশেদ আলমের বাসায় যান চসিক মেয়র ।

    এসময় চসিক মেয়রের সাথে ছিলেন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগের আহ্বায়ক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, নিকটবর্তী বক্সিরহাট ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক, ১৯ নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আজিম নুরু, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা তরুণ সংগঠক ইয়াসির আরাফাত, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

    সংগঠক খোরশেদ আলমের মা, শ্বাশুড়ি, স্ত্রী, পুত্র-কন্যা সহ স্বজনদের আশ্বস্ত করে মেয়র বলেন, সাংস্কৃতিক সংগঠকদের অবদান কখনোই বৃথা যায় না।

    মেয়র কেজি ওয়ানে পড়া খোরশেদ আলমের পড়া শিশুপুত্র ও দশম শ্রেণীতে পড়া কন্যার পড়ালেখা ও পরিবারটির শহরে থাকার ব্যবস্থা করাসহ সার্বিক অভিভাবকত্বের দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়েও তাদের আশ্বস্ত করেন।‌

    মেয়র সংস্কৃতিক নাগরিক সংগঠক খোরশেদ আলমের কর্মজীবনের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, খোরশেদ আলম মাঠের সংগঠক হিসেবে অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণে কাজ করেছেন। তাঁর মতো সংগঠকদের কারণে সমাজ মননশীলতার অগ্রগতি ও কল্যাণের পথে এগিয়ে গেছে।

    এদিকে চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগের আহ্বায়ক পেশাজীবী নাগরিক সংগঠক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী জানান, ইতোমধ্যে নাগরিক-সাংস্কৃতিক সংগঠক খোরশেদ আলমের পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনেক ঘনিষ্ঠ স্বজন শুভার্থীও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাঁর পরিবারের ভবিষ্যৎ নিশ্চয়তার লক্ষ্যে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু না করে জন্য একটি সহায়তা তহবিল গঠনের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে।‌ এতে আগ্রহীদের নাম তালিকাভুক্ত করতে সাবেক ছাত্র নেতা ইয়াসির আরাফাতকে সাচিবিক দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।‌ আগ্রহীরা তার কাছে নাম জমা দিতে পারবেন বলেও জানান সংগঠনের আহ্বায়ক । ‌

    চসিক মেয়র দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম এস এম মহিম উদ্দিন মহিমের বাসভবনেও যান এবং পরিবারটির খোঁজখবর নেন। সাবেক ছাত্রনেতা মহিম উদ্দিনের স্ত্রী,পুত্র-কন্যাসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথেও কুশল বিনিময় করেন ।

    এসময় মহিম উদ্দিনের স্ত্রী শিরিন আক্তার, পুত্র আবরার মহিউদ্দিন ও কন্যা নাফিসা মহিউদ্দিন, ভাই এস এম ইউসুফ, এসএম কামাল উদ্দিন, এসএম সেলিম, সিরাজুল মোস্তফা, জসিম সালাম, ভাতিজা নায়েব আলী সেলিম, শাফায়েত সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।

  • পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড সুপারভাইজারদের বৈঠক ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে চসিক মেয়রের ত্রান বিতরণ

    পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড সুপারভাইজারদের বৈঠক ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে চসিক মেয়রের ত্রান বিতরণ

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক)পরিচ্ছন্ন কর্মীদেরকে মশা ও এডিস মশার প্রজনন স্থান ধ্বংস করার লক্ষ্য নিয়ে নতুন উদ্যোমে কাজ শুরু করার আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    তিনি আজ বৃহষ্পতিবার দুুপুরে টাইগারপাসস্থ চসিক সম্মেলন কক্ষে চসিক পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড সুপারভাইজারদের সভায় এই আহবান জানান।

    তিনি বলেন, নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে ৪ টি হ্যান্ড স্প্রে মেশিনের মাধ্যমে মশা ও এডিস মশার প্রজনন স্থানে লারভিসাইড ঔষধ ছিটানো হবে। এই লক্ষ নিয়ে ইতোমধ্যে ১৫০ টি নতুন হ্যান্ড স্প্রে মেশিন ক্রয় করা হয়েছে। ১৬৪ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী একযোগে প্রতিদিন ৪১ ওয়ার্ডে নালা-নর্দমাসহ বাড়ীর আঙ্গীনায় ওষুধ ছিটাচ্ছে।

    মেয়র বলেন, একাজে নিয়োজিত প্রত্যককে স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এতে কোনো ধরণের গাফলতি সহ্য করা যাবে না। কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে তিনি সংশ্লিষ্ঠদেরকে সর্তক করে দেন।

    তিনি বলেন,চসিকের হাতে মশা এবং মশার লার্ভা ধ্বংসকারী পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে। প্রয়োজনে আরও ঔষুধ কেনা হবে। তাই মশা এবং চিকনগুনিয়া ও ডেঙ্গু রোধে প্রতি ওয়ার্ডের ঝোপঝাড় পরিষ্কারকরণ ও নালা-নর্দমায় যেখানে মশা জন্ম হয় সেখানে ওষুধ ছিটানো হবে। এই প্রসঙ্গে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনার কথা উল্লেখ সিটি মেয়র বলেন, মশা নিধন কার্যক্রম শতভাগ নিশ্চিতকরণের ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রতি ওয়ার্ডে জীবাণুনাশক পানি ছিটানোর পাশাপাশি মশা নিধনে ল্যারভিসাইড ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবরি থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। এ কাজে নিয়োজিত কর্মীরা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জীবাণুনাশক ঔষুধও ছিটাচ্ছে।

    মেয়র বলেন, আমরা কিছু লার্ভিসাইড (মশার ডিম ধ্বংসকারী) ওষুধ সংগ্রহ করেছি। এগুলো দিয়ে নগরীতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে লার্ভিসাইড ছিটাচ্ছি। মশার উপদ্রব যতদিন কমবে না ততদিন পর্যন্ত এই ঔষুধ ছিটানো হবে বলে তিন উল্লেখ করেন।

    তিনি বলেন, নগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। নগরীর প্রধান প্রধান খালের মুখে বাঁধ দেওয়ায় পানি জমে আছে। সেইখানে মশার জম্মের উবরস্থান। তাই এ প্রকল্পের দায়িত্ববান ব্যক্তির সঙ্গে আগেও কথা বলেছি। আবারো বলব । সেটা হচ্ছে ওনাদের যে প্রকল্প চলমান আছে সেখানে পানি স্থির হয়ে আছে এবং সেখানে মশা প্রজনন হচ্ছে। ওনারা (সেনাবাহিনী)আমাদেরকে একটা ধারণা দিয়েছেন পাইপের মাধ্যমে পানিগুলো অপসারণ করবেন। এর বাইরে আমরাও কার্যকর পদক্ষেপ নেব।

    মেয়র আরো বলেন, আগামী কয়েক মাস পর এডিস মশার বংশবৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত সময় হবে। ভারী বর্ষন কিংবা থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারণে বাড়ীর আশপাশ, ফুলের টব, আবর্জনা ফেলার পাত্র, প্লাষ্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাষ্টিকের ড্রাম,মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, নারিকেলের মালা, ব্যাটারী শেল, পলিথিন,চিপসের প্যাকেট এবং নালা-নর্দমায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে এডিস মশার প্রজননের স্থান। এক্ষেত্রে জনসচেতনতাকে সমাধিক গুরুত্ব দিলেন সিটি মেয়র। তিনি বলেন বর্ষাকালে কোনো পাত্রেই পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। তার ওপর বৃষ্টির পর বাড়ীর আশপাশে পানি জমিয়ে থাকলে তাও সংশ্লিষ্টদের পরিস্কার করে ফেলতে হবে। জমে থাকা এবং স্বচ্ছ পানি ছাড়া এডিস মশা বংশবৃদ্ধি করতে পারে না। এসব বিষয়ে বিশেষ নজর দিয়ে চসিক পরিচ্ছন্ন বিভাগকে দায়িত্বশীল ভুমিকায় অবতীর্ন হতে বললেন সিটি মেয়র।

    ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কে নগরবাসীর মধ্যে জনসচেতনা সৃষ্টি কথা উল্লেখ করে সিটি মেয়র মশা – মাছির উপদ্রপ এবং মশা উৎপত্তি রোধে দীর্ঘমেয়াদী ওষুধ ছিটানোর ক্রাস প্রোগাম, মাইকিং, প্রচার পত্র বিলি, পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্টান সমূহে সচেতনামূলক কর্মসূচি গ্রহন এবং নালা – নর্দমা পরিস্কারসহ সহ সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহনের নির্দেশ দেন। ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করে মেয়র বলেন, পরিষ্কার,স্বচ্ছ ও বদ্ধ পানি এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র। তাই বাসাবাড়ির আশপাশে ডাবের খোসায়, ফুলের টবে, ছাদে, ফ্রিজের নিচের ট্রেতে যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক মশা নিধনের জন্য এডাল্টিসাইড এবং মশার লার্ভা (ডিম) ধ্বংসের জন্য লার্ভিসাইড ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। ফগার মেশিনের সাহায্যে এডাল্টিসাইড ওষুধ ধোঁয়া আকারে ছিটানো হবে। হ্যান্ড স্প্রে মেশিনের সাহায্যে ১০ লিটার পানিতে ১০ সিসি লার্ভিসাইড ছিটানো হবে। চসিকে ১১০টি জার্মানির ফগার মোশিন ও ৩০০টি হ্যান্ড স্প্রে মেশিন রয়েছে। চসিকের এই উদ্যোগে নগবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন মেয়র। এই সময় চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

    অস্বচ্ছল ও অসহায়দের মাঝে ভোগ্যপণ্য বিতরণ মেয়রের :

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন এর ব্যক্তিগত উদ্যোগে অস্বচ্ছল ও অসহায়দের মাঝে ভোগ্যপণ্য বিতরন করেন।

    আজ বৃহষ্পতিবার নগরীর প্রিয়া কমিউনিটি সেন্টারে সিটি মেয়র নিজ হাতে এসব ভোগ্যপণ্য অস্বচ্ছলদের হাতে তুলে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসানী, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, নাজমুল হক ডিউক, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আনজুমান আরা বেগম, আওয়ামী লীগ নেতা বেলাল আহমেদ প্রমূখ।

    শুলকবহর ওয়ার্ড এলাকাবাসীর মাঝে সিটি মেয়রের সাবান বিতরণ :

    করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নগরীর ৮ নং শুলকবহর ওয়ার্ড এলাকাবাসীর মাঝে ২১ হাজার পিছ সাবান বিতরণ করেছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। সরকার গৃহীত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় হাত ধোয়া কর্মসূচি বাস্তবায়নে এই উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।

    আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ওয়ার্ডের খুলশী তুলাতলী নূর ও মদিনা মহল্লাবাসীর মাঝে সাবানগুলো বিতরণ করেন। এসময় কাউন্সিলর মোরশেদুল আলমসহ প্রকল্পের ক্লাস্টার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    সাংস্কৃতিক কর্মী খোরশেদ আলমের মৃত্যুতে সিটি মেয়রের শোক প্রকাশ :

    বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক, দক্ষ সংগঠক খোরশেদ আলম গতকাল রাতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আকস্মিক ভাবে মৃত্যু বরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। আজ বৃহষ্পতিবার সকালে এক শোক বার্তায় মেয়র মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানান।

    আব্দুল মান্নানকে দেখতে গেলেন মেয়র :

    ৩০ নং মাদারবাড়ী ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা এবং ইসলামিয়া কলেজ এর সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল মান্নান দীর্ঘদিন ধরে রেষ্টাল কার্সিনোমা রোগে ভুগছেন,বর্তমানে তিনি ন্যাশনাল হসপিটাল চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন আছেন। আজ বৃহষ্পতিবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন তাকে দেখতে যান। এসময় মেয়র আব্দুল মান্নান এর চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের যে কোন সময় তাঁর সাথে যোগাযোগ রাখার কথা বলেন।

    দেওয়ান বাজার ওয়ার্ডে সর্বদলীয় ত্রাণ কমিটি গঠন
    আজ বৃহষ্পতিবার বিকালে সিপিডিএল মিলনায়তনে দেওয়ান বাজার ওয়ার্ডে সর্বদলীয় ত্রাণ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী।

    সভায় ওয়ার্ডের পাড়ায় মহল্লায় যাতে জনগণ ঘর থেকে বাহির না হয় সেই লক্ষ্যে সমন্বয় কমিটির মাধ্যমে এলাকায় জনসচেতনতা সৃষ্টি এর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। আগামীকাল থেকে দেওয়ান বাজার ওয়ার্ডের ১৫ শত পরিবারের মাঝে সমন্বয় কমিটির মাধ্যমে ঘরে ঘরে ত্রান পৌছে দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক কমিশনার আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম, আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, মোহাম্মদ আলী, এ কে এম আবু বক্কর চৌধুরী, সাহাদাত হোসেন বাদল, আলহাজ্ব বেলায়েত হোসেন, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, মোহাম্মদ ইকবাল, মোহাম্মদ শাহ আলম, এস এম শাহ আলম, শ্যামা প্রসাদ রক্ষিত,মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী রুমকি সেন গুপ্ত, আবু সুফিয়ান, ইব্রাহীম আলী জিল্লুর প্রমূখ।

    সভায় আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদকে আহবায়ক এবং আবদুল মান্নানকে সদস্য সচিব করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ঠ সর্বদলীয় ত্রাণ কমিটি গঠন করা হয়। উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী ও মহিলা কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম।

  • শ্রমজীবী মানুষের মাঝে অর্থ সহায়তা দিলেন মেয়র নাছির

    শ্রমজীবী মানুষের মাঝে অর্থ সহায়তা দিলেন মেয়র নাছির

    সাধারণ ছুটির এই সময়ে শ্রমজীবী জনসাধারণ কর্মহীন অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। জীবিকার সন্ধানে ঝুঁকি নিয়ে কেউ কেউ বের হলেও জনশূন্য নগরীতে তারা আয় উপার্জনের কোন উৎস খু্ঁজে পাচ্ছে না। অথচ এই শ্রমজীবীদের আয়ের টাকাতেই তাদের পরিবার পরিজনের জুটবে আহার।

    এই সময়ে নগরীর সড়ক পথ,অলিগলিতে রিক্সা দেখা যাচ্ছে , তবে তাতে তেমন যাত্রী দেখা যাচ্ছে না। ভিক্ষুক দেখা যাচ্ছে কিন্ত তাদেরকে টাকা দেয়ার মত লোকের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।

    আজ শনিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২ টার সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গৃহীত চসিকের কার্যক্রম তদারকি করার সময় শ্রমজীবী মানুষের এই করুন অবস্থা দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন।

    মেয়র সড়কের বিভিন্ন মোড়ে গাড়ি থামিয়ে শ্রমজীবী রিক্সাচালক,দিনমজুর, ভিক্ষুকদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করেন। নগরীর আন্দরকিল্লা , চেরাগী পাহাড় , কাজীর দেউড়ি, লালখান বাজার মোড় এলাকায় বিমর্ষ মুখে দাঁড়িয়ে থাকা শ্রমজীবীদের প্রত্যেকের হাতে নগদ একশ টাকা করে বিতরণ করেন।

    মেয়র বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। দেশের সব লোক এখন ঘরবন্দী। কিন্ত যারা দিনে এনে দিনে খায়, যাদের কাছে কাড়ি কাড়ি টাকা নেই। তারা তো আর বাজার সওদা মজুদ করতে পারেনি। দৈনিক আয় রোজগারই তাদের একমাত্র ভরসা। হয়ত খবর নিলে দেখা যাবে নিম্নজীবী এই মানুষগুলোর দিন কাটছে অনাহারে অর্ধাহারে। এই দুঃসময়ে সমাজের প্রত্যেক বিত্তবান মানুষ, বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে মানুষের সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। সরকারের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণ সহায়তার মধ্য দিয়ে করোনা সংক্রমণের এই ক্রান্তিকাল কাটিয়ে উঠতে হবে।

  • চমেক হাসপাতাল এলাকায় জীবাণুনাশক পানি ছিটালেন মেয়র নাছির

    চমেক হাসপাতাল এলাকায় জীবাণুনাশক পানি ছিটালেন মেয়র নাছির

    করোনাভাইরাস সংক্রমন রোধে আজও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) এলাকায় ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত জীবাণুনাশক পানি ছিটিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন।

    আজ বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকালে তিনি হাসপাতালের পৌঁছামাত্রই চমেক এর পূর্ব গেইট থেকে পানি ছিটানো কাজ শুরু করেন।

    সিটি মেয়র চমেক হাসপাতাল ভেতরে – বাইরের রাস্তা পর্যন্ত প্রায় ১৬ হাজার লিটার পানি ছিটিয়েছেন। বেলা ১টা পর্যন্ত ২ঘন্টা একটানা পানি ছিটিয়েছেন সিটি মেয়র।

    গতকাল বুধবার সকালে ওয়াসা মোড় থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত নিজ হাতে জীবাণুনাশক পানি ছিটিয়ে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

    এই সময় উপস্থিত ছিলেন বিএমএ সভাপতি ডাক্তার মজিবুল হক খান,সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার ফয়সাল ইকবাল, চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রে.জেনারেল এস.এম.হুমায়ুন কবির, চমেক অধ্যক্ষ ডাক্তার শামীম হাসান,উপাধ্যক্ষ,প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক উপস্থিত ছিলেন।

    এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন করোনা ভাইরাস নিমূল না পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন নগরে বসবাসকারী ছোট বড় সকলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহবান জানান ।

    এই প্রসঙ্গে তিনি চীনের উহানে কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে করোনাভাইরাস দেখার দেওয়ার পরপরই চসিক এব্যাপারে প্রচার-প্রচারণা শুরু করে। উল্লেখ্য চসিক এর কট্টোল রুম দামপাড়া থেকে চসিক জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে সার্বক্ষনিক ডাক্তার,নার্সসহ অন্যান্যরা নগরবাসির সেবায় নিয়োজিত থাকবে। কন্ট্রোল রুমের নাম্বার হচ্ছে ০৩১-৬৩৪৫৮৪ । যে কোনো তথ্য এই নাম্বারে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের।