Tag: চসিক মেয়র

  • করোনা ও মশা থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করুন: মেয়রকে সুজন

    করোনা ও মশা থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করুন: মেয়রকে সুজন

    সাম্প্রতিক সময়ে আতংক সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস এবং মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিনের নিকট আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আজ রবিবার (২২ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের কার্যালয়ে মতবিনিময়কালে উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

    এ সময় জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা সুজন বলেন সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা চট্টগ্রামের জনগন খুবই উদ্বিগ্ন। চট্টগ্রামও ঝুঁকির বাহিরে নয়। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে এখনো স্বীকৃত কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়ায় এর প্রতিরোধও সম্ভব হচ্ছে না। আর সে কারণেই ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্ক। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ভাইরাস থেকে দেশের জনগনকে রক্ষার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

    তিনি দেশের মানুষকে আতংকিত না হয়ে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এছাড়া এ ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকরা সচেতনতার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তাই আমরা চট্টগ্রামের জনগনও এ ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কার্যকর দিকনির্দেশনা প্রত্যাশা করছি।

    তিনি বলেন, এখন শুস্ক মৌসুম ফলত নালা নর্দমায় মশার লার্ভা বেড়ে গিয়ে মশার উৎপাত বাড়ছে। আর বিভিন্ন গবেষনা মারফত আমরা জানতে পেরেছি এবার ডেঙ্গু মশার উপদ্রবও বাড়বে। এতে করে নগরবাসী অস্বস্তিতে রয়েছে।

    তিনি মশার উৎপাত থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করতে মশক নিধন কার্যক্রম গতিশীল করার অনুরোধ জানান। এছাড়া করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার উপর গুরুত্বারোপ করে জনাব সুজন প্রতিদিন দুইবেলা ময়লা আবর্জনা অপসারণ করার জন্য চসিক মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষন করেন এবং ময়লা আবর্জনা অপসারণ করে যাতে দূর্গন্ধ না ছড়ায় সেজন্য নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর আহবান জানান। তাছাড়া ময়লা আবর্জনা পরিবহনকালে যেন ত্রিপল ব্যবহার করা হয় সেদিকে দৃষ্টি দানের অনুরোধ করেন। নগরীর বাজারসমূহ নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে বাজারের উচ্ছিষ্ট ময়লা আবর্জনাসমূহ প্রতিদিন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করন এবং খোলা স্থানে গবাদি পশু জবাই না করার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য চসিক মেয়রের সহযোগিতা কামনা করেন।

    তিনি বাজারের মাছ, মাংস বিক্রেতা এবং মাছ কাটার সাথে নিয়োজিত ব্যাক্তিদের হ্যান্ড গ্লাভস পরিধান করতে উৎসাহিত করার আহবান জানান।

    সুজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের চিহ্নিতকরণ এবং এসব প্রবাসীদের প্রশাসনের সহায়তায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে চসিক এর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গ্রহন করার আহবান জানান। এছাড়া নগরীর চলমান অসমাপ্ত উন্নয়ন কর্মকান্ড দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন জনদুর্ভোগ লাঘবে নাগরিক উদ্যোগের গৃহীত প্রতিটি কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন।

    তিনি বলেন, নাগরিক সমাজ সচেতন থাকলে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা অনেকাংশে লাঘব হয় নাগরিক উদ্যোগই তার প্রমাণ।

    তিনি নাগরিক উদ্যোগকে বর্তমান সময়ের আতংকিত নভেল করোনাভাইরাস বিষয়ে তার দফতরে মতবিনিময় করতে আসায় অভিনন্দন জানান।

    তিনি বলেন, আমিও এই শহরের বাসিন্দা। এ নগরীর যে কোন দূর্যোগ কিংবা বিপর্যয়ে নগরবাসীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে আমি প্রস্তুত। তাছাড়া নগরীর জনগনের নাগরিক সুবিধা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা নিশ্চিত করাই আমার অন্যতম দায়িত্ব। সে দায়িত্ব পালনে আমি সদা সচেষ্ট আছি। কর্পোরেশনের সীমিত সাধ্য দিয়ে নগরবাসীর সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করতে আমি বদ্ধপরিকর। করোনাভাইরাস নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনই প্রথমেই জনগনের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

    নগরবাসীকে অধিকতর সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে চসিক মেয়র বলেন, আপনারা বারেবারে সাবান দিয়ে হাত ধৌত করবেন। নিজের আঙ্গিনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। জনসমাগম এড়িয়ে চলবেন। বিভিন্ন সামাজিক এবং ধর্মীয় সমাবেশ পরিহার করবেন। নিজ নিজ সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করবেন। একমাত্র সচেতনতাই পারে এ ভাইরাস থেকে মুক্তি দিতে। এছাড়া ইতিমধ্যে নগরবাসীকে সচেতন করার লক্ষ্যে সচেতনতামূলক ধারাবাহিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে সিটি কর্পোরেশন। নগরজুড়ে মাইকিং, প্রচারপত্র বিতরণ এবং স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত সকল ডাক্তার, নার্স এবং কর্মচারীদের করোনাভাইরাস নিয়ে জনগনকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করার জন্য ইতিমধ্যে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

    তিনি সরকারী হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারী হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার, নার্স, প্যারামেডিকেল, আয়াদের সুরক্ষার উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।

    তিনি বলেন, এখন জ্বর, সর্দি, কাশির সময়। এ সময় করোনাভাইরাস আতংকে নগরবাসী যেন জ্বর, সর্দি, কাশির চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চিকিৎসকসহ নগরীর সরকারী, বেসরকারী হাসপাতালের সকল চিকিৎসকের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তিনি। তবে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ পরিচালনা করতে গিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ সৃষ্টি করে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এর ফলে জলমগ্ন হয়ে পানিতে মশার বংশবৃদ্ধি ঘটছে। তিনি সামনে বর্ষা মৌসুমের পূর্বেই বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্ট বাঁধ অপসারণ করার জন্য জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সাথে নিয়োজিত সেবা সংস্থাসমূহের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এছাড়া ডেঙ্গু রোগের বিস্তার ঠেকাতে মশক নিধনে মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্ধ আনয়নের জন্যও সরকারের উর্দ্ধতন মহলের নিকট আবেদন জানান বলে নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন।

    তিনি যে কোন দূর্যোগ কিংবা ভোগান্তিতে চসিক এর হটলাইন নাম্বার ১৬১০৪ এ যোগাযোগ করার জন্য নগরবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ হাজী মোঃ ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, এস এম আবু তাহের, সাইদুর রহমান চৌধুরী, নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন, এজাহারুল হক, মোরশেদ আলম, নুরুল কবির, মোঃ শাহজাহান, সমীর মহাজন লিটন, মাহাদী হাসান সনন প্রমূখ।

  • দেশের সর্ববৃহৎ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের মাটির অনুকৃতি উন্মোচন

    দেশের সর্ববৃহৎ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের মাটির অনুকৃতি উন্মোচন

    বন্দর নগরীর টাইগারপাস চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) অস্থায়ী কার্যালয় এলাকায় দেশের সর্ববহৎ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের মাটির অনুকৃতি উন্মোচন করেন চসিক মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন।

    আজ সোমবার (১৬ মার্চ) দুপুরে এই ভাস্কর্য উন্মোচন হয়। মুজিববর্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচিত ও স্মরণীয় করে রাখতে চসিকের এ উদ্যোগ।

    সিটি মেয়র আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন এর দিক নির্দেশনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউটের সহকারি অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম প্রায় ছয়মাস ধরে বঙ্গবন্ধু এ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন। এ ভাস্কর্যটি নির্মাণ কাজে চবির আরো ৮ জন শিল্পী তাঁকে সহযোগিতা করেন। চবি”র এই শিক্ষক নিজেই এ ভাস্কর্যটির নকশা প্রণয়ন করেন। এই ভাস্কর্য তৈরিতে ব্যয় হচ্ছে ৪০ লাখ টাকা এবং ভাস্কর্যের চার পাশে বেদী, সৌন্দর্যবর্ধন ও আনুসাঙ্গিক কাজের জন্য ব্যয় হবে ৪৭ লক্ষ ৭০হাজার টাকাসহ সর্বমোট ব্যয় হচ্ছে ৮৭ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা।

    চসিক সূত্র জানা যায়, ইতোমধ্যে মাটি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য এর মূলকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। টাইগারপাস চসিক এলাকায় উন্মোচনের পর সেটি নিয়ে যাওয়া হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (সাবেক পোট কানেকটিং রোড) রোড়ের বড়পুল চত্বরে। সেখানে স্থায়ীভাবে বসানো হবে এই ভাস্কর্যটি। এ ভাস্কর্যটি আকর্ষণীয় করতে সকল প্রস্তুতি গ্রহন করেছে চসিক। বড়পুল এলাকায় নিয়ে গিয়ে ভাস্কর্যটি ছাঁচের মাধ্যমে ঢালাই দিয়ে স্থায়ী ভাস্কর্যে রূপান্তর করা হবে।

    বেইজসহ ভাস্কর্যটির উচ্চতা হবে ২৭ফুট ৬ ইঞ্চি। আর ভাস্কর্যটির উচ্চতা হবে সাড়ে ২২ ফুট। অবকাঠামো তৈরির কাজের সঙ্গে ভাস্কর্য চত্বরটি ফুলের গাছ, বিভিন্ন উদ্ভিদের সমন্বয়ে সজ্জিত করা হবে।

    সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ, স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান নতুন প্রজম্মের নাগরিকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে স্থাপন করা হচ্ছে এ ভাস্কর্য।বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ অভিন্ন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চসিক ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তারই প্রেক্ষাপটে এই ভাস্কর্য বসানো হচ্ছে।

    সিটি মেয়র বলেন মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এটি চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে উপহার দিতে চাই। বঙ্গবন্ধুর এই ভাস্কার্যের কাজ আগামী ১ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আরো বলেন, গত বছর চিকন গুনিয়া ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চসিকের সাফল্য রয়েছে। আমাদের সামনে উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ আছে। চট্টগ্রামে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। তারই প্রেক্ষাপটে নগরীতে অনেক নালা-নর্দমা, খাল বন্ধ রয়েছে। ফলে ড্রেন নালা ভরাট হচ্ছে। এতে পানি জমে মশার প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। নগরীতে মশার উপদ্রব বেড়েছে এ কথা অস্বীকার করা যায় না। এ ক্ষেত্রে চসিক তার ধারাবাহিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ পরিচালনা করে যাচ্ছে। এ ছাড়া মুজিববর্ষকে উপলক্ষ্য করে চসিক বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

    প্রসঙ্গক্রমে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সিটি মেয়র বলেন, করোনা ভাইরাস এক ধরনের সংক্রামক ভাইরাস। আতংকিত হওয়ার কিছু নেই, সচেতন হলে এ ভাইরাসের প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে সচেতন করতে চসিকের উদ্যোগে ১ লাখ লিফলেট নগরবাসীর মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তারপরও চসিক সতর্ক রয়েছে। আমরা বীরের জাতি। সবার সহযোগিতায় ঐক্যবদ্ধভাবে সব সংকট মোকাবেলা করতে পারবো, ইনশাল্লাহ।

    এ সময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের সহকারি অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, চবি চারু কলা বিভাগের সাবেক ডিরেক্টর ও আর্টিস্ট কনসালটেন্ট শায়লা শারমিন, নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিকসহ কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ।

  • ফতেয়াবাদ আদর্শ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য হওয়ার ঘোষণা চসিক মেয়রের

    ফতেয়াবাদ আদর্শ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য হওয়ার ঘোষণা চসিক মেয়রের

    ফতেয়াবাদ আদর্শ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অত্র অঞ্চলের শিক্ষার প্রসারে দীর্ঘদিন ধরে এ বিদ্যালয়টি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলছে। গৌরবের ১২৫ বছর পূর্তি উৎসব উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন একথা বলেন।

    আজ শনিবার (১৪ মার্চ) সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ২ দিন ব্যাপি আয়োজিত অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে প্রথম অধিবেশনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবুল কদর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মুখ্য সচিব ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল করিম,বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এইচ.বি.এফ.সি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সেলিম উদ্দিন,হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম. রাশেদুল আলম প্রমুখ।

    এছাড়া বিদ্যালয়ের প্রাক্তন বর্তমান শিক্ষার্থী,শিক্ষক স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন ।

    মেয়র আরো বলেন, এ বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী এখন বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পদে আসীন হয়েছেন।

    তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমরা এই চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করি। এ শহরের প্রতি আমাদের আলাদা ভাবে দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে।এ শহরের ভাল মন্দ দেখার দায়িত্ব আমাদের।

    বন্দর নগরী হিসেবে খ্যাত এ শহরকে আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে তিনি অত্র বিদ্যালয়ের প্রক্তান শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্দর নগরী চট্টগ্রাম শহরের গুরুত্ব অনুধাবন করে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প প্রদান করে আসছেন।

    তিনি বলেন, আমরা বাঙ্গালী বীরের জাতি। আমরা অনেক কিছু বুঝিনা বা জানিনা। আমাদের উচিত আমরা যা বুঝি, যা জানি তা অন্তরে ধারণ করতে হবে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের অংশীদার হয়ে আমরা যদি আমাদের মানসিক সংকীর্ণতা পরিহার করতে পারি অচিরেই আমরা একটি সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব।

    সিটি মেয়র সম্প্রতি করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জন মনে যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে তাতে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার আহবান জানান। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের অনুরোধে মেয়র অত্র বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য হওয়ার ঘোষনা দিয়ে বলেন অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে তাঁর সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে। অনুষ্ঠান শেষে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে রজনী কান্ত পাল ও বড়দা নন্দীর পক্ষে তাঁর স্বজনদের হাতে সম্মানণা স্মারক তুলে দেন মেয়র।

  • মুজিববর্ষের “পরিচ্ছন্ন গ্রাম,পরিচ্ছন্ন শহর” কর্মসূচির উদ্বোধন

    মুজিববর্ষের “পরিচ্ছন্ন গ্রাম,পরিচ্ছন্ন শহর” কর্মসূচির উদ্বোধন

    মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর গৃহিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম নগরে“পরিচ্ছন্ন গ্রাম,পরিচ্ছন্ন শহর” গড়ে তোলার লক্ষে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন(চসিক)। ধারাবাহিকভাবে এই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম আগামী বছর ১৭ মার্চ পর্যন্ত অব্যহত থাকবে।

    আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর কোট বিল্ডিংস্থ এলাকায় হ্যান্ড স্প্রে মেশিনের সাহায্যে লার্ভিসাইড ঔষুধ ছিটিয়ে এই পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন।

    এই সময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার এ.বি.এম আজাদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, চসিক সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোজাফ্ফর আহমদ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকীসহ জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগন।

    উদ্বোধনকালে সিটি মেয়র বলেন, নগরবাসির প্রত্যাশা আকাশ চুম্বি । তারা পরিচ্ছন্ন শহর ও নির্মল সকাল কামনা করে। এই ধরণের একটি শহর বিনির্মানে নগরবাসিকে ইতিবাচক মন নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে । নগরবাসির অংশগ্রহন,সচেতনতা ছাড়া পরিচ্ছন্ন নগর গড়া চসিকের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তাদের গৃহস্থলীর ময়লা আর্বজনা নেওয়ার জন্য চসিক কর্মীদের সহযোগিতা করতে হবে।

    এই প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন নগর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কাজের জন্য ২ হাজার ডোর-টু-ডোর সেবক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গৃহস্থলীর ময়লা রাখার জন্য নগরবাসির মধ্যে ৯ লক্ষ বিন দেওয়া হয়েছে। জনসচেতনা সৃষ্টির জন্য স্থানীয় দৈনিকে মাসের পর মাস বিজ্ঞাপন, মাইকিংসহ বিভিন্ন মিডিয়া বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়েছে।

    তিনি বলেন এক সময় নগরীর প্রধান সড়কসহ অলিগলি ও উপ-গলিতে সাড়ে ১৩”শ ডাস্টবিন ছিল। বর্তমানে অর্ধেকের বেশী ডাস্টবিন অপসারণ করা হয়েছে। বর্তমানে ডাস্টবিনমুক্ত নগর ও উন্নত পরিবেশ সৃষ্টিতে অবদান রাখতে সক্ষম হচ্ছে চসিক। তাই এ শহরকে শতভাগ পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে নগরবাসিকে এগিয়ে আসতে হবে তিনি মন্তব্য করেন।

    মুজিব বর্ষে পরিচ্ছন্ন গ্রাম,পরিচ্ছন্ন শহর গড়ার চসিকের কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে সিটি মেয়র বলেন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাজের সুবিধার্থে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডকে ৪ ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ওয়ার্ডের রাস্তা, ফুটপাত, গলি, উপ-গলি, নালা-নর্দমা ইত্যাদি যথাযথভাবে পরিস্কার এবং মশা নিধন কেমিকেল স্প্রে করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক শ্রমিক নিয়োজিত থাকবে ।

    সপ্তাহ শেষে পুনরায় একই স্থান হতে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু করা,নগরীর বর্জ্য ফেলার স্থান ও সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশন প্রতি মাসে দুইবার বিশেষ পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা, ডোর টু ডোর সেবকদের কাজের মান বৃদ্ধির জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে বিশেষ কর্মশালা আয়োজনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

    এছাড়া চসিক পরিচালিত কলেজ, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের প্রাঙ্গনে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এই প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন, এই কর্মযজ্ঞ একদিনের জন্য নয়। এই কর্মযজ্ঞ পরিচালিত হবে বছর ব্যাপি। কারণ ১৭ই মার্চ থেকে মুজিব বর্ষ শুরু হচ্ছে। ২০২১ সালের ১৭ ই মার্চ পর্যন্ত চলবে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে চসিক গৃহিত কর্মসূচি। সামর্থ্যের মধ্যে বছর ব্যাপি এই পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে চসিক।

    পরিচ্ছন্ন কাজে জনবল থাকলেও মশার উপদ্রব প্রতিরোধে ঔষধ ক্রয়ের সামর্থ্য নেই চসিকের। মশার প্রজনন ধ্বংসের জন্য এডালটিসাইড ও লার্ভিসাইড ঔষধ ক্রয়ে ২০ কোটি টাকা আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে ইতোমধ্যে পত্র দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মেয়র।

  • অলি খাঁ জামে মসজিদের সম্প্রসারিত দ্বিতীয় তলার উদ্বোধন করলেন মেয়র

    অলি খাঁ জামে মসজিদের সম্প্রসারিত দ্বিতীয় তলার উদ্বোধন করলেন মেয়র

    হাজারো মুসল্লি নিয়ে নগরীর নওয়াব ওয়ালিবেগ খাঁ (অলি খাঁ) জামে মসজিদের এশার নামাজ আদায়ের মাধ্যমে সম্প্রসারিত দ্বিতীয় তলা উদ্বোধন করলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন।

    মঙ্গলবার (৩ মার্চ) রাতে এর উদ্বোধন করা হয়। এ সময় মসজিদের উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এ এ এম সাইফুদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল আনোয়ার, কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু, মোজাহেরুল ইসলাম, হাজী মকবুল আহমদ, আলহাজ্ব খালেদ জামান, মফিজুর রহমান, মো. নাজিম উদ্দিন, সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, ফারুক খালেক চৌধুরী, সৈয়দ ছগির আহমদ, আলহাজ্ব সেলিম উদ্দিনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য মুসল্লি।

    দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে মুনাজাত পরিচালনা করেন মসজিদের খতিব অধ্যাপক মাওলানা আবদুল মান্নান আশরাফী।

    সম্প্রসারিত এ দ্বিতীয় তলা উদ্বোধনের ফলে মুসল্লিরা এখন থেকে মসজিদেও মূল ভবণের দ্বিতীয় তলায় বসে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে পারবেন।

    দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য শৈলীর এই মসজিদটির পুরাতন অবকাঠামো অক্ষুণ্ন রেখে মসজিদটি সম্প্রসারিত করা হয়েছে। প্রতি ফ্লোর পাঁচ হাজার বর্গফুট হিসাবে ছয় তলার সর্বমোট ৩০ হাজার বর্গফুট আয়তনের এই মসজিদ নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১২ কোটি টাকা। এতে চার হাজার মুসল্লি এক সাথে নামাজ আদায় করতে পারবেন। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এই মসজিদের উন্নয়ন কাজের আওতায় প্রতি ফ্লোরের সৌন্দর্যবর্ধন, টাইলস স্থাপনসহ নানামুখী কাজ সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া আরো থাকছে দুইটি লিফট, দুইটি সিঁড়ি, ৮৫ ফুট বিশিষ্ট সুউচ্চ একটি মিনার, কারপার্কিং ব্যবস্থা, টয়লেট, ওজুখানা, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও অফিস কক্ষ এবং পাঠাগার ইত্যাদি। ইতোমধ্যে মসজিদের মূল ভবণের ৬ষ্ঠ তলা পর্যন্ত আর সি ওয়ার্ক কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।

    সাবেক মেয়র আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী আমলেই ৬ষ্ঠ তলা পর্যন্ত আরসি ওয়ার্ক সম্পন্ন হয়। এতে ব্যয় হয় প্রায় চার কোটি টাকা। জনাব মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন এই মসজিদের দায়িত্ব ভার গ্রহন করেন।

    সিটি মেয়রের উদ্যেগে মসজিদের দ্বিতীয় তলার কাজ হিসেবে ইতোমধ্যে দেওয়ালে রং,প্লাষ্টার,ফ্যান, লাইটিং,জানালায় গ্রীল, থাই এ্যালূমিনিয়াম গ্লাস,দরজা, ফ্লোরে টাইলস বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

    এছাড়া তৃতীয় তলার কাজও শিঘ্রই শেষ হবে। ফলে মসজিদের মুসল্লীরা মসজিদের মূল ভবণে বসেই নামাজ আদায় করতে পারবে। এই ফ্লোরের কাজ সম্পন্ন করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা।

    নগরীর চকবাজার এলাকায় অবস্থিত ইসলামের প্রাচীন স্থাপত্য এই মসজিদ। ১৭১৩ সালে মোগল আমলে নওয়াব ওয়ালিবেগ খাঁ এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। উদ্বোধনকালে সিটি মেয়র বলেন মসজিদ নির্মাণ, সংস্কার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। ইসলামে মসজিদ নির্মাণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে সর্বপ্রথম পৃথিবীর বুকে যে ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল তা হলো মসজিদুল হারাম বা পবিত্র কাবাঘর। নবী করিম সা: মদিনায় হিজরতের পর সর্বপ্রথম সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে যে কাজটি করেছিলেন তা হলো মসজিদ নির্মাণ। কোনো এলাকায় মসজিদ থাকা এটা মুসলিম এলাকার পরিচয়পত্রের মতো। মসজিদ মুসলমানদের জন্য একটি আশ্রয়স্থল। তাই আমাদের সবাইকে মসজিদ নির্মাণ ও সংরক্ষণের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার তাওফিক দানে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে সহযোগিতা কামনা করেন সিটি মেয়র।

    এ প্রসঙ্গে তিনি নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত আদায়ের পাশাপাশি রাসুলে করিম (স:) প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করার আহ্বান জানান। মেয়র বলেন, কায়মনোবাক্যে আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি ক্ষমা করে দেন। কিন্তু মানুষের হক হরণকারীকে তিনি কখনো ক্ষমা করেন না। যতক্ষন পর্যন্ত যার হক কেড়ে নেয়া হয়েছে সে ক্ষমা না করে।

  • মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিমকে জয়যুক্ত করার আহ্বান মেয়রের

    মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিমকে জয়যুক্ত করার আহ্বান মেয়রের

    সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীনের সাথে মতবিনিময় করেছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ড। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টাইগারপাসস্থ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চট্টগ্রাম মহানগর কমান্ডার মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সিটি মেয়রের সাথে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার শহিদুল হক চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সফর আলী, সহকারী কমান্ডার সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, সহকারী কমান্ডার খোরশেদ আলম (যুদ্ধাহত), মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মালেক খান, খুলশীথানা কমান্ডার ডা. মো. ইউসুফ, মহানগর কমান্ড গোলাম রহমান, পাহাড়তলীথানা কমান্ডার হাজী জাফর আহমদ, বন্দরথানা কমান্ডার কামরুল আলম, পতেঙ্গাথানা কমান্ডার জাকির হোসেন, হালিশহরথানা কমান্ডার হাজী ইউনুচ, পাঁচলাইশ থানা কমান্ডার আহামদ মিয়া, চান্দগাঁও থানা কমান্ডার কুতুব উদ্দীন, বাকলিয়া থানা কমান্ডার আলী হোসেন, কোতোয়ালী থানা ডেপুটি কমান্ডার রফিকুল আলম, আকবরশাহ থানা ডেপুটি কমান্ডার মো. নূরউদ্দীন, আইনজীবী কমান্ডার এড. জহির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহামদ, সরোয়ার দুলু, আবদুশুক্কুর, মঞ্জুমিয়া, শাহ আলম, শামসুল হুদা, সার্জেন্ট তাহের ও থানা কমান্ডারবৃন্দ।

    মতবিনিময় সভায় সিটি মেয়র বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির সরকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সরকারি চাকুরিতে নিয়োগসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধার বিষয়েও তিনি যথেষ্ট আন্তরিক। আগামীতেও সরকারের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের সন্তানদের কল্যাণে ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাকা বাড়ি তৈরি করার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। তজন্য একটি প্রকল্প গ্রহন করে চসিক। প্রকল্পের নাম গৃহ নির্মাণ প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় গৃহহীণ অসচ্ছল ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধাদেরকে গৃহ নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।ইতোমধ্যে ৫জন অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গৃহ নির্মাণ করে ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে । অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আরো ৫জন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার গৃহ নির্মাণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে চসিক।

    তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা কারো দয়া কিংবা করুনার পাত্র নয়। নৈতিক দায়িত্ব থেকে চসিক অসচ্চল মুক্তিযোদ্ধাদের গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছে।

    এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। এ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মনোনিত প্রার্থী আলহাজ্ব মো. রেজাউল করিম চৌধুরীও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাকে জয়যুক্ত করার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদেরকে কাজ করার আহ্বান জানান সিটি মেয়র।

    তিনি আরো বলেন, এই বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্বাচিত হলে তিনিও মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক সহযোগিতা করে যাবেন বলে সিটি মেয়র প্রত্যাশা করেন।

    মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহগানগর ইউনিট কমান্ডার মোজ্জাফর আহমেদ সিটি মেয়রের উদ্যোগে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ৫জনকে ৫তলা ফাউন্ডেশনে গৃহ নির্মাণ করায় সিটি মেয়রের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন চট্টগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ এই অবদানের জন্য সিটি মেয়রকে আজীবন স্মরণ রাখবে।

    তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাগন আগামীতেও সিটি মেয়রের পাশে থাকবে বলে তিনি মেয়রকে আশ্বস্ত করেন।

  • আধুনিক মানের পাবলিক টয়লেট ব্যবহারে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাইকেল র‌্যালীর উদ্বোধন

    আধুনিক মানের পাবলিক টয়লেট ব্যবহারে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাইকেল র‌্যালীর উদ্বোধন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, চট্টগ্রাম নগরী দেশের ২য় বৃহত্তম জেলা শহর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৪১ সনের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নত দেশের কাতারে সামিল হবে। তাই সরকারি-বেসরকারি সংস্থা সমূহের যৌথ উন্নয়ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

    ডিএসকে, কিম্বারলি ক্লাক ও ওয়াটার এইড ওয়াশ ফর আরবান পুওর প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বর্তমান সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য নগরীতে আধুনিক পাবলিক টয়লেট, পানি,পয়:নিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যাভ্যাস উন্নয়নের লক্ষ্যে যে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তা স্থায়িত্বকরণের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে ৭০ লক্ষ মানুষের বসবাস। প্রতিদিন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে এ নগরে ছুটে আসে। ব্যাপক সংখ্যক লোক পায়ে হেটে চলাচল করে।

    প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য নগরীতে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় ডিএসকে, ওয়াটার এইড কিমবার্লী ক্লাক এর যৌথ উদ্যোগে নগরীর কেসিদে রোড, লালদিঘীর পাড়, জেল গেইট সংলগ্ন রাস্তার পাশে, অক্সিজেন মোড়, বিবির হাট গরুর বাজার, শাহআমানত সংযোগ সড়ক, কাপ্তাই রাস্তা মাথা ও ২নং গেইট শেখ ফরিদ মার্কেটে নারী বান্ধব পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, সিসি ক্যামেরায় সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ খাবার পানি, লকারসহ ইত্যাদি সুবিধা সম্বলিত আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে।

    মেয়র আরো বলেন,  মোটিভেশন একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই বিষয়ে নাগরিকদের সচেতন করার জন্য ডিএসকে যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সময়োপযোগী পদক্ষেপ।

    আজ সোমবার বিকেলে সিআরবি রেলওয়ে শিরিস তলায় আধুনিক মানের পাইলট টয়লেট ব্যবহারে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাইকেল র‌্যালীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র এসব কথা বলেন।

    এ সময় চট্টগ্রাম ওয়াসার ডিএমডি এডমিন গোলাম হোসেন, ডিএসকে’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক আরেফাতুল জান্নাতসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবিগান পরিবেশিত হয়।

  • প্রতিবন্ধী যুবকদের কর্মসংস্থান তৈরীতে সরকারের পাশাপাশি সকলকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান মেয়রের

    প্রতিবন্ধী যুবকদের কর্মসংস্থান তৈরীতে সরকারের পাশাপাশি সকলকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান মেয়রের

    আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কনফারেন্স রুমে এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সহযোগিতায়, স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসা কর্তৃক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ইনক্লুশন ওয়ার্কস্ প্রকল্প সম্পর্কিত অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন। পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক ডা: এ কিউ এম সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ইপসা’র প্রধান নির্বাহী মো: আরিফুর রহমান এর সঞ্চালনায় সভায় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধান, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সমূহের নির্বাহী ও প্রতিনিধিগণ, কর্পোরেট সেক্টরের প্রতিনিধিগণ, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম প্রতিনিধি এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন সমূহের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তারা তাদের সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করেন।

    সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রতিবন্ধী যুবকদের কর্মসংস্থান প্রদান করছে। এছাড়া নব নির্মিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ভবনটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উপযোগী প্রতিবন্ধী বান্ধব ভবন নির্মাণের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তরিত করতে এবং প্রতিবন্ধী যুবকদের কর্মসংস্থান তৈরীতে সরকারের পাশাপাশি সকলের সক্রিয় উদ্যোগ প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

    সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ইপসার প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও এটুআই এর কন্সালটেন্ট ভাস্কর ভট্টাচার্য্য।

    এতে আরো বক্তব্য রাখেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সামসুদ্দোহা, সমাজসেবা চট্টগ্রাম এর বিভাগীয় পরিচালক নুসরাত সুলতানা, অধ্যাপক মো: জাহাঙ্গীর, অধ্যক্ষ বিজয় স্মরনী ডিগ্রী কলেজ, চসিক কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দীন, মো: বিজিএমইএ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি মো: করিম উল্লাহ চৌধুরী, ওমেন চেম্বার প্রতিনিধি ইফফাত জাহান ।

    এতে উপস্থিত ছিলেন চসিক সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারজানা পারভীন, সচিব মো. আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম।

    সভায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ হেড অব প্রোগাম্স সুবোধ কুমার দাশ, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনক্লুশন ওয়ার্কস্ প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো: আবদুর রাকিব।

    সম্প্রতি ইউকে এইডের অর্থায়নে এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সহযোগিতায়, ইপসা প্রতিবন্ধী যুবক নারী ও পুরুষদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক র্কমসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ৩ বছর মেয়াদী প্রকল্পটি শুরু করেন।

    কর্ম পরিবেশ তৈরী, কর্মে অন্তর্ভূক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় এবং নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান সমূহে প্রতিবন্ধী-বান্ধব কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষকে উদ্বুদ্ধ করণের নিমিত্তে প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করার জন্য এই সভার আয়োজন করা হয়।

    এছাড়া সভায় উপস্থিত সরকারী বেসরকারী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ, চাকুরীদাতা প্রতিষ্ঠান ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এধরণের সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

  • দক্ষ ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেই জীবনের স্বার্থকতা-মেয়র

    দক্ষ ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেই জীবনের স্বার্থকতা-মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, নিজেকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। একজন মানুষের মৃত্যুর আগ মূর্হূত পর্যন্ত শিক্ষার শেষ নাই। তাই নিজেকে দক্ষ ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেই জীবনের স্বার্থকতা রয়েছে।

    আজ বুধবার সকালে নগরীর মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।

    বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি এ আর এম শামীম উদ্দীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনজুমান আরা বেগম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর নাহার বেগম। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য ফাতেমা বেগম, অভিভাবক,শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রমূখ।

    সিটি মেয়র বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জীবনের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে শুধু স্বপ্ন দেখলেই হবে না, সেই স্বপ্ন পূরণে এখন থেকেই কাজ করতে হবে। আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে অত্র বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার স্থাপনের আশ্বাস প্রদান করেন।সিটি মেয়র বিগত সময়ের তুলনায় এই বিদ্যালয়ের সুনাম ও শিক্ষার গুনগতমান বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। পরে মেয়র শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষা উপকরণ তুলে দেন।

  • এ শহর আমার-আপনার, শহরে সৌন্দর্য রক্ষা করাও সকলের দায়িত্ব-মেয়র নাছির

    এ শহর আমার-আপনার, শহরে সৌন্দর্য রক্ষা করাও সকলের দায়িত্ব-মেয়র নাছির

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন বলেছেন, এই শহর আমার, আপনার। এ শহরকে নিজের সন্তানের মতো লালন পালন করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব।

    আমাদের মধ্যে মতাদশের্র পার্থক্য আছে। আছে বিভাজনও। তারপরেও এই নগরে আমরা সকলেই বসবাস করি। তাই শহরে সৌন্দর্য রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব রয়েছে। এই দায়িত্ববোধের কারণে সকল প্রকার ভেদাভেদ এর উর্দ্ধে উঠে আমাদের এই নগরকে গড়ে তুলতে হবে।

    আজ ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ মোতাবেক বৈধ ও আইনানুগ কার্যক্রম সম্পর্কে নাগরিক জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি পরবর্তী সমাবেশে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরবাসির একমাত্র সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত পৌরকর প্রদান, যথাযথ স্থানে ময়লা আর্বজনা ফেলা, ব্যবসা পরিচালনার পূর্বে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহনসহ স্থানীয় সরকারের আইন ২০০৯ এর বিধি-বিধান মেনে চলার ক্ষেত্রে নগরবাসির সহযোগিতা কামনা করেন সিটি মেয়র।

    এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ড, মাইক, টি-শাট ও ক্যাপ ইত্যাদি সজ্জিত বর্ণাঢ্য র‌্যালিটির নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন।বর্ণাঢ্য র‌্যালি

    সিটি গর্ভনেন্স প্রজেক্ট (সিজিপি) সার্বিক সহযোগিতায় এ বর্ণাঢ্য র‌্যালিটি চসিক পুরাতন ভবণ থেকে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিণ শেষে পুর্ণরায় চসিক পুরাতন ভবণে এসে শেষ হয়।

    র‌্যালিতে চসিক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, সচিব মো. আবু সাহেদ চৌধুরী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আক্তার, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, সিজিপি’র মো. আমিনুর হোসেন চুন্নু, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মানিক লাল দেবনাথ, রবি মং মারমা, মো. আকিব রেজা আবির, ও মো. ওবায়দুর রহমানসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ নগরী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহন করে।

    স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ মোতাবেক বৈধ ও আইনানুগ কার্যক্রমের মধ্যে ট্রাফিক আইন মেনে চলা, সময়মত পৌর কর পরিশোধ করা, বাল্য বিবাহ বন্ধ করা, জঙ্গি দমনে সহায়তা প্রদান করা, সময়মত পানির বিল পরিশোধ করা, ব্যবসা পরিচালনার পূর্বে ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করা, বিল্ডিং কোড মেনে বাসা-বাড়ি নির্মাণ করা, যথাযথ স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলা,জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে না বলা, খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ না করা, রাস্তার উপর কোন ধরণের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করা, বৃক্ষ রোপন করুন, অন্যকে বৃক্ষ রোপনে উৎসাহিত করুন, আপনার সন্তানকে সময়মত টিকা দিন, আপনার সন্তানকে সময়মত স্কুলে পাঠান এমন অনেক স্লোগানের প্লেকার্ড র‌্যালিতে শোভা পাই।

  • বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অধরাই থেকে যেত : মেয়র

    বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অধরাই থেকে যেত : মেয়র

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন ও কাউন্ট ডাউন ক্লক উদ্বোধন উপলক্ষে টাইগারপাস চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) সম্মেলন কক্ষে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    আজ মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠিত এই প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আজম নাছির উদ্দীন।

    এ সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান, স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) দীপক চক্রবর্ত্তী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসাইন, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লুাহ।

    অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা।

    সিটি মেয়র বলেন, ২০২০ সালে ১৭ মার্চ পূর্ণ হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের রজত জয়ন্তি। আর ২০২১ সাল হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বছর। এই উপলক্ষে চসিকের উদ্যোগে বছরব্যাপি ব্যাপক কর্মসূচি পালিত হবে। এ অনুষ্ঠানমালা জাঁকজমকপূর্ণ আকর্ষণীয় ও আড়াম্বরপূর্ণ হবে। এ কথা বলা মোটেও অযৌক্তিক হবে না যে, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু একই মুদ্রার এপিট-ওপিঠ। বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে যেমন বঙ্গবন্ধুকে চিন্তা করা যায় না। তেমনি বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিলে অর্থহীন হয়ে পড়বে বাংলাদেশও। এ কথা-তো ইতিহাসের অমোঘ সত্য যে, বঙ্গবন্ধু জন্ম না হলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ বোধহয় অপূর্ণ ও অধরাই থেকে যেত। জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতির সত্বা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং স্বাধীন বাংলাদেশ হতো না। এই মহান নেতার জন্মশতবর্ষ পালনের সুযোগ আমাদের জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি । তাই আমার অবস্থান থেকে এই বছর টিকে অত্যন্ত সম্মান ও মর্যাদার সাথে পালনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

    তিনি আরো বলেন, বাঙালি জাতিকে যুগে যুগে দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে বঙ্গব্ধুর দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রাম এবং মহান স্বাধীনতা ঘোষণাসহ মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অসামান্য অবদান তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে চসিক।

    বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে তা যদি আমাদের জীবনে কাজে লাগাতে পারি তাহবে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা ও স্মরণ করার শ্রেষ্ঠ উপায় বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন এই মুজিববর্ষ উদযাপনে সংবাদকর্মীরা তাদের লেখনী ও প্রচারের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বছর যথাযোগ্য ও উৎসব মুখর পরিবেশে উদযাপনে তিনি সংবাদসেবীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান বলেছেন, এই মুজিব বর্ষকে সাফল্যমন্ডিত ও উৎসব মুখর করতে আমাদের সকলের দায়িত্ব রয়েছে। এই দায়িত্ব সকলকে সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে। এরজন্য যা যা দরকার তা আমরা করবই।

    তিনি আরো বলেন, সারা দেশ চট্টগ্রামের দিকে তাকিয়ে আছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার রজত জয়ন্তি উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম কি উদ্যোগ নিচ্ছে সেই সম্পর্কে সারা দেশবাসি তাকিয়ে আছে।

    তিনি বলেন, আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনে বর্ণাঢ্য কর্মসূচী দেখবো,তারাই সৌভাগ্যেবান। এই ধরনের কর্মসূচি আগামী ১শত বছর পর আমাদের কারও পক্ষ্যে দেখার সুযোগ হবে না। তাই আজকে যারা এই অনুষ্ঠান সরাসরি দেখতে পাবে তারাই সৌভাগ্যবান। তিনি নগর, জেলা,উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রনীত কর্মসূচীর কথাও অনুষ্ঠানে অবহিত করেন ।

    অনুষ্ঠানে চসিক প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলর,সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজাদুর রহমান মল্লিক, চট্টগ্রাম স্বাস্থ বিভাগের পরিচালক ডা. হাসান শাহরিযার কবীর, চসিক সচিব মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মুফিদুল আলম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কলিম সরোয়ার, প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সিডিএ সচিব তাহেরা ফেরদৌস বেগম, স্থপতি মোহাম্মদ মোস্তফা জামাল, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম ভূইয়া, পিডিবিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ডিজল কুমার মহাজন, গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান, গণপূর্ত বিভাগ এর উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. নেজাম উদ্দিনসহ, সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও প্রশাসনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ১০ জানুয়ারি নগরীর আউটার স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম চত্বরে যথাযোগ্য মর্যাদায় বর্ণিল ও অর্থবহ মুজিববর্ষ উদযাপনের বিশাল মঞ্চসহ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। ঐ দিন কাউন্ট ডাউন ক্লক আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে চট্টগ্রামের ৩০ হাজার মানুষ সরাসরি স্কিন থেকে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অবলোকন করার সুযোগ পাবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ মার্চ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, শত শিশুর কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ৭ই মার্চের ভাষণটির হলোগ্রাফিক উপস্থাপন, বাউল, লোকশিল্প, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সমন্বয়ে সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাস তুলে ধরা, স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা, সন্ধ্যায় ১০০টি ফানুস উড়ানো, ঢাকাস্থ সোহরাওয়ার্দি উদ্যান হতে মুজিববর্ষের মূল অনুষ্ঠান সম্প্রচার, নগর জুড়ে র‌্যালি/মানব চেইন, এতিমদের উন্নত খাবার পরিবেশন, মুজিববর্ষে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে সংস্থা ভিত্তিক ফুটবল প্রতিযোগিতা, মুজিব বর্ষব্যাপী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে অনুষ্ঠানের আয়োজন, প্রতিমাসে ৩/৪টি ওয়ার্ডে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজন, প্রতিটি ওয়ার্ডে রক্তদান কর্মসূচি, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, সারসার্জ মুক্ত কর মেলার আয়োজন, ছাদবাগান যুক্ত হোল্ডিং মালিকদের কর প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় এবং মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে মশক মুক্ত পরিচ্ছন্ন সবুজ নগর, বঙ্গবন্ধুর নিবেদনে অমর একুশে বই মেলাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন।

    এই কর্মসূচির আওতায় নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডকে ৪ ভাগে বিভক্ত করে প্রতিটি ভাগে রাস্তা,ফুটপাত,গলি উপগলি,নালা-নর্দমা ইত্যাদি যথাযথভাবে পরিস্কার, মশার বংশ বিস্তার রোধ এবং মশার স্থান ধ্বংস করণে কেমিক্যাল স্প্রে,বর্জ্য ফেলার স্থান ও সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন প্রতিমাসে ২ বার বিশেষ পরিস্কারকরণ,ডোর টু ডোর সেবকদের কাজের মান বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা, চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ হাসপাতাল, অফিস ও শপিং কমপ্লেক্স ইত্যাদি পরিস্কা‘র করণ,গৃহস্থালির বর্জাদি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার বিষয়ে “পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করুন”, “চট্টগ্রাম শহরকে সুস্থ রাখুন” সহ বিভিন্ন স্লোগান সম্মিলিত সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ক্যাম্পেইন, নগরবাসিকে সম্পৃক্তকরণ,মনিটরিং ও রিপোটিং কার্যক্রম জোরদার,নগরীকে সবুজায়ন কার্যক্রম ইত্যাদি রয়েছে।

    মুজিব বর্ষের এই কার্যক্রম সরাসরি তদারকীতে রয়েছেন সিটি মেয়র আলহাজ্ব আজম নাছির উদ্দীন। তিনি দুই মাস অন্তর অন্তর সভার মাধ্যমে সার্বিক কার্যক্রম মনিটর করবেন। এছাড়া চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্তকরণ এবং শ্রেষ্ঠ পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নকারী হিসেবে ওয়ার্ড, মহল্লা ও স্কুল ভিত্তিক প্রণোদনা, ওয়ার্ড পর্যায়ে গঠিত কমিটি সমূহের গৃহিত সিদ্ধান্ত মনিটরিংকরণ, নগরীর প্রধান সড়ক এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকা সজ্জিতকরণ, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, গোলচত্বর, ফুটপাতের সৌন্দর্যবৃদ্ধি, নগরীর সরকারি-বেসরকারি এবং সিটি কর্পোরেশনের স্থাপনা সমূহকে আলোকবাতি দ্বারা আলোক সজ্জাকরণ প্রভৃতি রয়েছে।

    চসিক নগরীতে চারটি কাউন্ট ডাউন ক্লক স্থাপন করছে তন্মাধ্যে আন্দরকিল্লাহ পুরাতন নগর ভবনের সামনে“এ” ক্যাটাগরির একটি এবং সার্কিট হাউজের সামনে,আদালত ভবণ,এবং শাহ আমানত সেতু এলাকায় “বি” ক্যাটাগরি তিনটি কাউন্ট ডাউন ক্লক স্থাপিত হচ্ছে। এই চার কাউন্ট ডাউন ক্লক এর কাজ পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে।

    অনুষ্ঠানে চসিক আইাটি অফিসার ইকবাল হাসান কাউন্ট ডাউন ক্লক স্থাপনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রজক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন।

  • পাথরঘাটা ট্রাজেডি : নিহতের দাফনের জন্য ২০ হাজার, পরিবারকে এক লাখ টাকা-মেয়র

    পাথরঘাটা ট্রাজেডি : নিহতের দাফনের জন্য ২০ হাজার, পরিবারকে এক লাখ টাকা-মেয়র

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশনে ছুটে গিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন।

    রবিবার সকাল সোয়া ১১টার সময় তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এসময় মেয়র উপস্থিত জনসাধারণের কাছ থেকে ঘটনার সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।

    তিনি নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকার্ত পরিবার পরিবজনদের প্রতি সমবেদনা জানান। এছাড়া মেয়র, নিহত পরিবারকে এক লক্ষ টাকা এবং দাফন কাফনের জন্য নগদ বিশ হাজার টাকা প্রদান করেন। সেই সাথে আহতদের যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয় চসিক বহন করবে বলে মেয়র জানান।

    উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মেয়র বলেন, একটি দুর্ঘটনা অপূরণীয় ক্ষতি। সব কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ভবন মালিক ও ভাড়াটিয়াদের গ্যাস, বিদ্যুৎ লেইন লিকেজ আছে কিনা তা নিয়মিত তদারকী করতে হবে। এ ব্যাপারে ব্যবহারকারীরা সচেতন হলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্বব বলে তিনি মন্তব্য করেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইল বালি, হাসান মুরাদ বিপ্লব, শৈবাল দাশ সুমন, জহর লাল হাজারী, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর লুৎফুন্নেসা দোভাষ, নীলু নাগ, সাবেক কমিশনার জালাল উদ্দিন ইকবাল ও চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমদ।

    এরপর সিটি মেয়র চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতদের দেখতে মর্গে যান, সেখানে উপস্থিত আত্মীয় স্বজনদের সান্তনা দেন এবং আহতদের সুচিকিৎসার ব্যাপারে চিকিৎসকদের তাগিদ দেন। তিনি তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে আল্লাহ তাল্লাহ”র সহযোগিতা কামনা করেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি প্রফেসর ডা. মুজিবুল হক খান, রিদুয়ান রায়হান, চমেক অধ্যক্ষ ডা. শামীম হাসান, উপ অধ্যক্ষ ডা. নাসিরুদ্দিন মাহমুদ, উপ পরিচালক ডা. আনোয়ারুল হক, চমেক ছাত্র সংসদের ভিপি এম আউয়াল রাপি, ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান, ছাত্র সংসদের জিএস প্রিতম কুমার সাহা, ছাত্রলীগের জিএস আল আমিন ইসলাম শিমুল প্রমুখ।