Tag: চসিক মেয়র

  • নগরপিতা নয় সেবক হিসেবে পাশে থাকতে চাই: ডা. শাহাদাত

    নগরপিতা নয় সেবক হিসেবে পাশে থাকতে চাই: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন নিজেকে সেবক বলে নিজের পরিচয় দিলেন নগরপিতা নয়। সেবক হয়ে কাজ করার আকাঙ্খা জানিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

    তিনি বলেন, ‘আমি ৭০ লক্ষ মানুষের নগরপিতা হিসেবে নয়, নগরসেবক হিসেবে আপনাদের কাছে থাকতে চাই। এই ৭০ লক্ষ মানুষের মধ্যে সকল ধর্মের, বর্ণের, ভাষার নাগরিক এই চট্টগ্রাম শহরে আছে। আমি ইনশাআল্লাহ তাদের পাশে থেকে সেবক হিসেবে কাজ করে যতে চাই। আমি আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।’

    মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নগরের পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

    নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, , ‘গত ১৮টি বছর আপনারা ঘরে থাকতে পারেননি। আপনাদের পরিবারের খোঁজ নেওয়ার মানুষ ছিল না। আপনাদের পরিবারের বাজার করার টাকা ছিল না। অর্ধহারে-অনাহারে দিন কাটিয়েছেন। এ অসহায়ত্ব আমি দেখেছি ভাইয়েরা-বোনেরা। আপনাদের এই ঋণ আমি শোধ করতে পারবো না। সারাদেশে অসংখ্য মানুষ বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন। নির্যাতন-মামলার শিকার হয়েছে। চট্টগ্রামসহ সারা দেশের এক লাখ মামলায় ৬০ লাখ আসামি। কিন্তু তারপরও আপনারা আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি।

    মেয়র শাহাদাত আরো বলেন, আমি আপনাদেরই সন্তান। এই শহরটা শুধু আমার একার শহর নয়। এই শহর আমাদের সবার। আসুন, আমরা সবাই মিলে একযোগে একটি সুন্দর শহর গড়ে তুলি। এ শহর হবে ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি ও হেলদি সিটি। আমাকে একটু সময় দিন। ইনশাআল্লাহ, অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো। আপনারা সবসময় আমার হৃদয়ের গভীরে আছেন।

    এর আগে বেলা ১২টার দিকে সোনার বাংলা ট্রেন যোগে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এ সময় নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে স্লোগানে স্লোগানে অভিবাদন জানিয়ে পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনে আয়োজিত সংবর্ধনা মঞ্চে নিয়ে আসেন।

    পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনে নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে মেয়র হজরত শাহ আমানত (র.) ও বদর আউলিয়া (র.) মাজার জিয়ারত, মতবিনিময়, সংবাদ সম্মেলন এবং টাইগারপাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেবেন।

  • শপথ নিলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র

    শপথ নিলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র

    শপথ নিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। চট্টগ্রাম সিটি মেয়রকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ।

    আজ (রবিবার) সকালে সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব মো. নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উক্ত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ।

    শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে উপদেষ্টা হাসান আরিফ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ডা. শাহাদাত হোসেন বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশের একটি প্রধান নগরীর মেয়র হয়েছেন। ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবেন, এটাই তার কাছে প্রত্যাশা করি। আমরা গ্রিন চট্টগ্রাম দেখতে চাই। জলাবদ্ধতামুক্ত চট্টগ্রাম দেখতে চাই। ক্লিন সিটি হিসেবে নগরবাসীরও একই প্রত্যাশা।

    তিনি আরও বলেন, পেছনের সব ধ্যান-ধারণা, চিন্তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ছাত্র-জনতা-শ্রমিকদের যে অর্জনের জন্য তাদের আত্মত্যাগ রয়েছে, সে প্রত্যাশা পূরণের জন্য বৈষম্যহীন শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় মেয়র শাহাদাত হোসেনের কাছে দেখতে চাই। আমি মনে করি, এ প্রত্যাশা চট্টগ্রামের প্রতিটি নাগরিকের। আমাদের প্রত্যাশা বৈষম্যহীন বাংলাদেশের।

    শপথ নিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন জানান, চট্টগ্রাম বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচবে। যদি চট্টগ্রাম শহরের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপ করা যায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি- এসব আমার নির্বাচনী ইশতেহার। নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাব।

    উল্লেখ্য, বিজ্ঞ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও যুগ্ম জেলা জজ, ১ম আদালত চট্টগ্রাম কর্তৃক চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (BNP) মনোনীত ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থী শাহাদাত হোসেন-কে নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। বিজ্ঞ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের আদেশ অনুযায়ী বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বাংলাদেশ গেজেটে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে জনাব শাহাদাত হোসেন-কে নির্বাচিত ঘোষণা করে সংশোধিত গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সরকারি গেজেট প্রকাশিত হওয়ার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সরকার বা তৎকর্তৃক মনোনীত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাদের শপথ গ্রহণের বিধান রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সানুগ্রহ সম্মতিতে আজকের এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

    উক্ত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, বিএনপি’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীমসহ আরও অনেকে।

  • যত্রতত্র বর্জ্য ফেললে জরিমানা করা হবে: চসিক মেয়র

    যত্রতত্র বর্জ্য ফেললে জরিমানা করা হবে: চসিক মেয়র

    জলাবদ্ধতা একেবারে কমে যাবে সেটা বলবো না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বর্ষায়, জোয়ারে পানি উঠবে। আমরা চাই পানি উঠলে যাতে দ্রুত নেমে যায়।

    বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বহদ্দারহাট পুলিশ বক্সের সামনের নালায় মাটি উত্তোলনকাজ পরিদর্শনকালে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এসব কথা বলেন।

    মেয়র বলেন, আসলে এ শহর জনবহুল। কারণ এটা বন্দরনগরী। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসে। এ শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা চলমান প্রক্রিয়া। মাসব্যাপী বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছি। জনসাধারণকে সচেতন করতে লিফলেট দিচ্ছি। মাইকিং করছি। সতর্ক করছি। এরপর যার সামনে ময়লা দেখবো তাকে জরিমানা করা হবে। আজ থেকে সরাসরি অভিযান। যে ভবন থেকে ময়লা ফেলবে সাদা পোশাকে চসিকের কর্মীরা তা ভিডিও করবো, ভবন মালিককে ধরবো। জরিমানা করবো।

    তিনি বলেন, এখন আগের থেকে শহর অনেক পরিচ্ছন্ন হয়েছে। প্রতিবছর বর্ষায় জলাবদ্ধতার শিকার হই। সিডিএ জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগাপ্রকল্পের কাজ করছে। আমরা খালের মাটি উত্তোলনে জোর দিয়েছি। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিতদের মাটি উত্তোলনে কাজ করতে বলেছি। শেভরণের সামনে সড়কের ওপর ফুটপাত জনগণের হাটার জন্য। হকাররা ব্যবসা করার জন্য নয়। তাই ফুটপাত দখলমুক্ত করা হবে।

    মেয়র বলেন, তিনটি ওয়ার্ডকে তারের জঞ্জালমুক্ত দেখতে চাই। নালার পাশে পাইপ দিয়ে তার নিয়ে যাব। উপরে তার দেখা যাবে না। অপরিকল্পিত গাড়ি পার্কিং রোধে পে-পার্কিং করা হচ্ছে।

    এরপর মেয়র বিভিন্ন দোকান ও পথচারীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেন।

    এ সময় তাদের উদ্দেশে বলেন, আপনার জায়গা আপনি পরিষ্কার রাখবেন। যার যার সামনে পরিষ্কার রাখলে শহর পরিষ্কার থাকবে। শহরকে রোগজীবাণু মুক্ত রাখতে হবে। দোকানের সামনে ময়লা ফেললে জরিমানা। শহরকে সুন্দর রাখার দায়িত্ব আপনাদের। কাজটা শুধু মেয়রের না। এটা সবার দায়িত্ব।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী, জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ প্রমুখ।

    কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী সাংবাদিকদের বলেন, গত ২৫ ডিসেম্বর খালের মাটি উত্তোলনের কাজ শুরু হয়েছে। নগরে ৩৬টি খাল রয়েছে। এর মধ্যে ২১টি খালের কাজ সিডিএ করছে। কিছু খালের কাজ শেষ পর্যায়ে। সেগুলো চসিককে হ্যান্ডওভার করবে। বর্ষা পর্যন্ত আমরা খাল থেকে মাটি উত্তোলন করবো। প্রচুর পাহাড়ি বালু নেমে আসে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের কাজ চলমান থাকবে।

  • চসিক মেয়রের গাড়ির ধাক্কায় ২ পুলিশ সদস্য আহত

    চসিক মেয়রের গাড়ির ধাক্কায় ২ পুলিশ সদস্য আহত

    উড়ালসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা হঠাৎ ব্রেক করায় পেছনে থাকা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর গাড়ির ধাক্কায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
    গতকাল রোববার দুপুর পৌনে ১টার দিকে নগরের আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের সিএন্ডবি কলোনি অংশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

    আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- মো. আবদুল কাদের ও মো. দিদার।

    আহত পুলিশ সদস্য আবদুল কাদের জানান, বাসা থেকে করপোরেশন অফিসে যাচ্ছিলেন মেয়র। সেসময় মেয়রের গাড়িবহরের সামনে থাকা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা উড়ালসড়কে হঠাৎ ব্রেক করলে দুর্ঘটনা ঘটে। ব্রেক করার ফলে সামনে থাকা পুলিশের গাড়িটিতে জোরে ধাক্কা লাগে মেয়রের গাড়ির। তখন একজন কনস্টেবল পুলিশের ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে।

    ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মেয়রের গাড়িটি উড়ালসড়কে পড়ে ছিল। গাড়ির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুলিশের গাড়িটিরও পেছনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    এদিকে, সোয়া ১টার দিকে অন্য একটি গাড়িতে চড়ে মেয়রকে কার্যালয়ের দিকে চলে যেতে দেখা গেছে। তবে দুজন পুলিশ সদস্যকে দুর্ঘটনা কবলিত মেয়রের গাড়িটি পাহারা দিতে দেখা যায়।

    পুলিশ হঠাৎ ব্রেক করা অটোরিকশাটি ধরতে পারেনি বলে জানান পুলিশ সদস্য আবদুল কাদের।

  • চট্টগ্রামে এবারও বিজয় দিবস মিউনিসিপ্যাল স্কুল প্রাঙ্গণে

    চট্টগ্রামে এবারও বিজয় দিবস মিউনিসিপ্যাল স্কুল প্রাঙ্গণে

    এ বছরও চট্টগ্রামের বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা নিবেদন মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী।

    আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার সকালে নগরীর চট্টগ্রাম মুসলিম ইন্সটিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মেয়র রেজাউল করিমের আহবানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিকবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিবৃন্দ শহীদ মিনার ও বিজয় দিবস উদযাপন বিষয়ে তাদের মন্তব্য তুলে ধরেন।

    সভায় মেয়র বলেন, নির্মাণাধীন শহীদ মিনারের দৃশ্যমান না হওয়া এবং সিড়ি সঙ্কীর্ণ ও বয়োবৃদ্ধদের উপযোগী না হওয়া নিয়ে অনেকের অভিযোগ আছে। এ বিষয়টি কীভাবে সমাধান করা যায় তা বুঝার জন্য সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আমরা একটি কমিটি করে নির্মাণাধীন শহীদ মিনারের স্থপতিদের পাশাপাশি চট্টগ্রামের অভিজ্ঞ অন্য স্থপতিদের মতামত নিয়ে কীভাবে শহীদ মিনারকে দৃশ্যমান ও জনবান্ধব করা যায় তা নিয়ে কাজ করব। সভায় উপস্থিত সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হল-এইবারের বিজয় দিবসে এই নির্মাণাধীন শহীদ মিনারে আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করবনা। গতবারের মতো এবারও মিউনিসিপ্যাল স্কুল প্রাঙ্গণে ১৬ ডিসেম্বর আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করব।

    সভায় একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. অনুপম সেন, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাহিম উদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ হারিছ ও কাজী আবু তৈয়ব, ১৪ দলীয় জোট নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্দুনন্দন দত্ত, একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, সাংস্কৃতিক সংগঠক দেওয়ান মাকসুদ আহমেদ, কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু, সাংবাদিক ওমর কায়সার, কামরুল হাসান বাদল ও রনজিত কুমার শীল, উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সভাপতি ডা. চন্দন দাশ ও সাধারণ সম্পাদক শীলা দাশগুপ্তা, নাট্য সংগঠক শেখ শওকত ইকবাল, দীপক চৌধুরী, শাহীন আহমেদ, সুচরিত দাশ খোকন ও অলোক মাহমুদ, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়া, নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এম আর আজিম, কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী ও আতাউল্লা চৌধুরী, ন্যাপ নেতা মিটুল দাশগুপ্ত, সাবেক কাউন্সিলর জাভেদ নজরুল, নৃত্যশিল্পী প্রমা অবন্তী ও অনন্য বড়ুয়া, প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ পাল, উদীচীর সহ-সভাপতি সুনীল ধর, সঙ্গীত শিল্পী শিলা দাশ, দীপেন চৌধুরী, নৃত্যশিল্পী শারমিন হোসেন, আবৃত্তি শিল্পী মিলি চৌধুরী, সৃজনশীল প্রকাশক সাধারণ সম্পাদক আলী প্রয়াস, প্রকল্প পরিচালক লুৎফুর রহমান খান, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার পরিচালক সুশান আনোয়ার চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের সভাপতি অঞ্চল চৌধুরী, ছড়াকার সংসদের সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম মোদাচ্ছের আলী, বিজয় ‘৭১ সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন চৌধুরী, নাট্যকর্মী মোঃ আলী টিটু, জানে আলম, সঙ্গীত ভবন সম্পাদক নূর নবী মিরন, কণ্ঠনীড় আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি সেলিম রেজা সাগর, নিরাপদ সড়ক চাই’র সাধারণ সম্পাদক শফিক আহমদ, প্রদীপ খাস্তগীর উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য যে, ২৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম নগরীর কে.সি.দে রোডে মুসলিম ইনস্টিটিউট হল ভেঙে একটি সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স বা সাংস্কৃতিক বলয় নির্মাণ করছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এর কাজ শুরু হয়।

    প্রকল্পের অধীনে আছে, মুসলিম ইনস্টিটিউট হল ও পাবলিক লাইব্রেরির অংশের পুরনো স্থাপনা ভেঙে ১৫ তলা গণগ্রন্থাগার ও আটতলা অডিটরিয়াম ভবন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংস্কার, ২৫০ জন ধারণ ক্ষমতার একটি উন্মুক্ত গ্যালারিসহ মুক্তমঞ্চ, ক্যাফে ও ছোট জাদুঘর।

  • চট্টগ্রামে ১০০ দিনের মশক নিধন ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেছেন মেয়র

    চট্টগ্রামে ১০০ দিনের মশক নিধন ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেছেন মেয়র

    ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়াসহ মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে ১০০ দিনব্যাপী মশক নিধন ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজ সম্মুখ চত্ত্বরে এ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি গবেষণাদল গঠন করি। উনাদের বিজ্ঞানভিত্তিক পরামর্শের আলোকে বিমানবাহিনী থেকে আগামী পাঁচ মাসের জন্য মশা নিধনের ওষুধ মজুদ করা হয়েছে। আমরা ৫৭ টি হটস্পটসহ ৪১টি ওয়ার্ডে ১০০ দিনব্যাপী ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করব।

    “চসিকের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের পাশাপাশি দেশ হাজার আরবান ভলান্টিয়ার এবং রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা এ ক্রাশ প্রোগ্রামকে সফল করতে কাজ করবেন। অনেকে ছাদ বাগান করলেও ফুলের টবসহ বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা পানি পরিষ্কার করেননা আবার কর্মীরা গেলেও পরিষ্কার করতে দেননা। এ অবস্থা প্রতিরোধে প্রয়োজনে ড্রোন কিনে ছাদ পর্যবেক্ষণ করে জরিমানাসহ শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়া হবে৷

    উদ্বোধনের পর সাধারণ মানুষের হাতে সচেতনতামূলক লিফলেট তুলে দেন মেয়র।

    অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শামীম এহসান বলেন, এবছর ডেঙ্গুতে যে কজন রোগী মারা গেছেন তারা সবাই হাসপাতালে একদম শেষ পর্যায়ে ভর্তি হতে এসেছিলেন৷ অথচ অসুস্থতার প্রাথমিক পর্যায়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে হয়তো তাদের বাঁচানো যেত। একারণে জনগণের প্রতি আহবান আপনারা ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হোন, চিকিৎসা নিন, সুস্থ থাকুন।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার জোর দেন সচেতনতার উপর। তিনি বলেন, সবাই ঘরের আশেপাশে মশা জন্মানোর মতো স্থান থাকলে তা পরিষ্কার করুন।

    মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনু,
    সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. হাফিজুল ইসলামসহ চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

  • ১৮৮৭ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করলেন চসিক মেয়র

    ১৮৮৭ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করলেন চসিক মেয়র

    এক হাজার আটশ ৮৭ কোটি ২৮ লক্ষ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। বুধবার আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবনের কে. বি. আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন মেয়র।

    এদিন ২০২২-২৩ সালের এক হাজার ১৭৬ কোটি ২৮ লক্ষ ১০ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট পাশ হয় চসিকের বিশেষ সাধারণ সভায়। এ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

    সভায় চট্টগ্রামের বহুল আকাক্সিক্ষত আডাই হাজার কোািট টাকার প্রকল্পের বিষয়ে মেয়র জানান, প্রকল্পটির আওতায় ৭৪টি উপ-প্রকল্পে প্রায় ৪৩০ কোটি টাকার অধিক দরপত্র আহŸান করা হয় এবং কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। ইতোমধ্যে ৩৯টি দরপত্রের মূল্যায়ন চলমান। প্রকল্পটির অধীনে নিয়োজিত কনসালট্যান্টের মাধ্যমে কাজগুলো নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।

    চসিকের কার্যক্রমকে স্মার্ট করতে কাজ চলমান জানিয়ে মেয়র বলেন, ডিজিটাল নথি (ডি-নথি) ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)এর সহযোগিতায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অর্গানোগ্রাম অনুসারে নথি ব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অ্যাকাউন্ট (ডি-নথি অ্যাকাউন্ট) খোলা হয়েছে। সচিবালয় বিভাগের অধিকাংশ ফাইল ডি-নথির মাধ্যমে নিষ্পত্তির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডি-নথি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালাও চলমান রয়েছে। দ্রæততম সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সকল বিভাগের নথি ডি-নথি সিস্টেমের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে। এ ছাড়াও নগরে ৪১টি ওয়ার্ড কার্যালয় হতে প্রদত্ত সকল ধরনের সনদপত্র বা প্রত্যয়নপত্র অনলাইনের মাধ্যমে প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

    “যান্ত্রিক শাখার সকল ধরনের কার্যক্রম সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালনার লক্ষ্যে ট্রান্সপোর্ট পুল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রণয়ন করা হয়েছে। এই সফ্টওয়ারের মাধ্যমে বিদ্যমান গাড়িসমূহের সকল ধরনের তথ্য সন্নিবেশ করা হয়েছে। ইতোপূর্বে প্রণীত স্টোর ম্যানেজমেন্ট ও ফুয়েল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সাথে এ সফ্্টওয়্যারের সাথে ইন্টিগ্রেশন করা হয়েছে। এ ছাড়া সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা সফ্্টওয়্যার উন্নয়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।”

    গৃহকর প্রসঙ্গে মেয়র বলেনন, করদাতাদের নানাবিধ ও অর্থনৈতিক সমস্যা বিবেচনায় ধার্যকৃত মূল্যায়নের ওপর আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য ৬টি রিভিউ বোর্ড গঠন করা হয়। উক্ত রিভিউ বোর্ডে আমি নিজে উপস্থিত হয়ে গণ-শুনানির মাধ্যমে করদাতাদের চাহিদামতো সহনীয় পর্যায়ে কর মূল্যায়ন করায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে করদাতারা আগ্রহ নিয়ে আপিল শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছেন এবং নিয়মিত পৌরকর পরিশোধ করছেন। এতে নগরবাসীর গৃহকর নিয়ে যে অসন্তোষ ছিল তা প্রশমিত হয়েছে।

    সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে বাজেট বিবরণী উপস্থাপন করেন অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. ইসমাইল ।

    বাজেট সভায় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, অর্থ ও সংস্থাপন স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল, কাউন্সিলরবৃন্দ এবং চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরসহ চসিকের বিভাগ ও শাখা প্রধানবৃন্দ।

    বাজেট সভার পর চসিকের ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ২৯তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কোরবনির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং জলাবদ্ধতা আলোচনায় প্রাধান্য পায়।

  • বেদখলে আইল হওয়া গাজী হালদা সড়ক হলো ২৮ ফুট চওড়া

    বেদখলে আইল হওয়া গাজী হালদা সড়ক হলো ২৮ ফুট চওড়া

    বেদখল হতে হতে মাটির সড়ক থেকে আইলে পরিণত হওয়া গাজী হালদা সড়ক এখন ২৮ ফুট চওড়া আর উন্নত সড়কে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর উদ্যোগে।

    শনিবার সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৬ নং হালিশহর ওয়ার্ডের গাজী হালদা সড়কের উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এই কাঁচা সড়কটি পাঁকা করার ব্যাপারে জনগণের দাবি ছিল। তবে উদ্যোগের এ অভাবে একসময় বেদখল হতে হতে এ সড়কটি আইলে পরিণত হয়।

    “কাউন্সিলর ইলিয়াসের মাধ্যমে জনগণ আমাকে এ সড়কটি তৈরি করে দিতে বললে আমি সাড়ে ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্য আর ২৮ ফুট সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে সফল হয়েছি। এ সড়কে আলোকায়ন এবং উন্নত ড্রেনেজ সিস্টেমও নির্মাণ করা হবে। ভবিষ্যতে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিমানবন্দর, পতেঙ্গা, বন্দরসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকার যোগাযোগে এ সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

    চট্টগ্রাম ঘুরে দাঁড়াচ্ছে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, করোনা মহামরীর মধ্যে মেয়র হওয়ার পরপরই প্রধানমন্ত্রীকে চট্টগ্রামের বাণিজ্য সম্ভাবনা সম্পর্কে অবগত করে বললাম, আমাকে আড়াই হাজার কোটি টাকা দিন, আমি চট্টগ্রামকে বদলে দিব। প্রধানমন্ত্রী আমাকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পতো দিলেনই, সাথে পুরো প্রকল্পের টাকা সরকারি ফান্ড থেকে দিলেন। বকেয়ায় ধুঁকতে থাকা চট্টগ্রামের উন্নয়ন এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ালো।

    “প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে যোগাযোগখাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দিন-রাত কাজ করছি আমি। জনগণকে বলব উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আপনারা কাজ করুন, চট্টগ্রাম বদলে যাচ্ছে, আপনাদের ভাগ্যও বদলে যাবে। চট্টগ্রাম হবে বিশ্বের বাণিজ্যের হাব এবং বাংলাদেশের কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র।”

    এর আগে মেয়র ২ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের মতি তালুকদার বাড়ি রোডের উদ্বোধন করেন। এই সড়কটি না থাকায় স্থানীয় এলাকাবাসীর বর্ষাকাল কাটতো চরম ভোগান্তিতে। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ইসমাইল বিষয়টি মেয়র রেজাউলকে অবহিত করলে ড্রেনেজ সিস্টেমসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ উঁচু করে এ সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইল,মোঃ ইলিয়াছ, কাজী নুরুল আমিন, হুরে আরা বেগম, নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন।

  • চট্টগ্রাম হবে স্মার্ট সিটি: মেয়র

    চট্টগ্রাম হবে স্মার্ট সিটি: মেয়র

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে চট্টগ্রামকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.রেজাউল করিম চৌধুরী।

    মঙ্গলবার চসিক অস্থায়ী নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় মেয়র বলেন, চট্টগ্রামকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তর করতে আগে চসিকের নাগরিকসেবা সমূহকে অটোমেশন করার কাজ চলছে। ভবিষ্যৎে গৃহকর প্রদানসহ সব ধরনের সেবা ডিজিটাল মাধ্যমে গ্রহণ করতে পারবেন নাগরিকরা। এজন্য ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরি ও প্রশিক্ষণে জোর দিচ্ছি।

    সভায় সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্মার্ট নগর সেবা সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল। সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, কাউন্সিলর মোঃ আবদুস সালাম, মোহাম্মদ কাজী নুরুল আমিন, মো. ইলিয়াস, রুমকি সেনগুপ্তসহ চসিকের বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ। এর আগে চট্টগ্রামের অযান্ত্রিক যানবাহনের কিউআর কোড সম্বলিত ডিজিটাল লাইসেন্স প্লেট প্রদান ও ব্যাংকের মাধ্যমে অযান্ত্রিক যানবাহনের লাইসেন্স ফি গ্রহণের বিষয়ে চসিকের সাথে ওয়ান ব্যাংক ও কেমিস্ট সিজিডি কনসোর্টিয়ামের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্মাক্ষরিত হয়।

  • ত্রাণ নিয়ে প্রস্তুত চসিক, ঝুকিপূর্ণ এলাকা ছাড়ার আহবান মেয়রের

    ত্রাণ নিয়ে প্রস্তুত চসিক, ঝুকিপূর্ণ এলাকা ছাড়ার আহবান মেয়রের

    উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা আর পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিপূর্ণভাবে বসবাস করা জনগণকে চসিকের প্রস্তুত রাখা ৯০ টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    রোববার সকাল থেকে নগরীর দামপাড়ায় চসিক বিদ্যুৎ উপ-বিভাগ ভবনের নীচ তলায় খোলা কন্ট্রোলরুম থেকে ঘুর্ণিঝড়ের সার্বিক পরিস্থিতি ও সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করেন মেয়র। এসময় চসিকের কাউন্সিলরবৃন্দ ও কর্মকর্তারা গৃহিত কার্যক্রম সম্পর্কে মেয়রকে অবহিত করেন।

    এসময় মেয়র বলেন, আমরা পাঁচ হাজার মানুষকে ত্রাণ দেয়ার জন্য শুকনো খাবার, ঔষধ, মোমবাতি সহ বিভিন্ন জরুরি দ্রব্য সংগ্রহে রেখেছি। ইতোমধ্যে লালখানবাজার, পূর্ব ষোলশহর ও দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডে ত্রাণ পৌঁছে গেছে। অন্য ওয়ার্ডগুলোতেও কাউন্সিলরদের মাধ্যমে বিতরণের জন্য ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের ৫৫টি মেডিকেল টিম জরুরি মূহুর্তে সেবা দিতে প্রস্তুত। দুর্যোগ আঘাত হানলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখতে প্রস্তুত আছে চসিকের বিদ্যুৎ উপ-বিভাগ।

    “আমরা ৯০ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখলেও অনেকে ঘূর্ণিঝড় ভয়াবহ হবেনা ভেবে ঝুকিপূর্ণ এলাকা থেকে বের করে দিলেও আবার সেখানে ফেরত যাচ্ছেন। উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা আর পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিপূর্ণভাবে বসবাস করা জনগণের প্রতি আহবান আপনারা আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যান। আপনাদের জন্য খাবার, স্বাস্থ্যসেবা থেকে সবকিছু প্রস্তুত রাখা হয়েছে।”

    সভার পর মেয়র ৪১ নং দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডে সমুদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন ঝুকিপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি উপস্থিত গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে বলেন, শনিবার ভোর থেকে ৭ টি যানবাহনে করে ঝুকিপূর্ণ এলাকা ত্যাগ করে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করেছি। ঝুকিপূর্ণভাবে পাহাড়ের পাদদেশে থাকা বাসিন্দাদের সরিয়ে অনেকের বাসায় তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে, আমরা মাইকিং করে গতকাল সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে লোকদের সরিয়ে দিলেও অনেকে কেবল কৌতুহলের বশে আবারও ফেরত আসছেন। অনেকে আবার ঘূর্ণিঝড়কে অবহেলা করে বারবার ঝুকিপূর্ণ এলাকা ফেরত যাচ্ছেন। জনসচেতনতা না থাকলে কেবল সরকারি পদক্ষেপে ক্ষয়-ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা সম্ভব নয়।

    ভবিষ্যতে পাহাড়ে ঝুকিপূর্ণভাবে থাকা অধিবাসীদের সরাতে কাজ চলছে জানিয়ে মেয়র বলেন, ইতোমধ্যে ইএনডিপিকে ১৮ গণ্ডা ভূমি দেয়া হয়েছে পাহাড়ে ঝুকিপূর্ণভাবে থাকা অধিবাসীদের জন্য বহুতল ভবন গড়তে। তবে, জলবায়ু উদ্বাস্তুদের সংখ্যা চট্টগ্রামে দ্রæত বাড়ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধুকন্যার নেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের মতো বড় প্রকল্প নেয়া হলে এ সমস্যা সমাধান হবে। আর বর্তমানে অবৈধভাবে পাহাড় দখল করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই কঠোর অভিযানের জন্য চসিক ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে অভিযান পরিচালনায় সম্মত হয়েছে।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, কাউন্সিলর ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, তছলিমা বেগম নুরজাহান, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরীসহ চসিকের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখা প্রধান।

  • স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির উপর আঘাত আসলে চট্টলাবাসী প্রতিহত করবে:মেয়র

    স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির উপর আঘাত আসলে চট্টলাবাসী প্রতিহত করবে:মেয়র

    দেশের চলমান উন্নয়নযজ্ঞ ঠেকাতে সক্রিয় অপশক্তি স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির উপর আঘাত করলে চট্টলাবাসী প্রতিহত করবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র (প্রতিমন্ত্রী) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    বুধবার লালদীঘি ময়দানে আয়োজিত চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসবে প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বক্তব্যে মেয়র বলেন, বৃটিশ শাসনামল থেকে প্রতিটি ঐতিহাসিক প্রতিরোধের নেতৃত্ব দিয়েছে চট্টলাবাসী। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ কেবল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ছিলনা, এ যুদ্ধ ছিল আমাদের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষার যুদ্ধও। আজও এ যুদ্ধ চলমান আর এ যুদ্ধে আমাদের জিততেই হবে।

    “আজকের উৎসবে চট্টলাবাসীকে আহবান জানাচ্ছি আমরা যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোলমডেলে পরিণত করতে কাজ করছি তাদের মনে রাখতে হবে পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ ষড়যন্ত্র ঠেকাতে বীর চট্টলাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ লড়াইর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রয়োজনে আমরা জীবন দিব কিন্তু বাংলাদেশকে বেহাত হতে দিবনা।”

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর এক বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে অংশ নেন চসিক মেয়রসহ, সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, চেম্বার পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, দেবাশীষ পাল দেবু, হেলাল উদ্দিন, আরশাদুল আলম বাচ্চু, নুরুল আজম রনি, জাকারিয়া দস্তগীর।

  • বলীখেলা চট্টগ্রামের ঐতিহ্য, একে বাঁচাতে হবে:চসিক মেয়র

    বলীখেলা চট্টগ্রামের ঐতিহ্য, একে বাঁচাতে হবে:চসিক মেয়র

    প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ আর মৌলবাদীদের ষড়যন্ত্র রুখতে জব্বারের বলীখেলার মতো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র (প্রতিমন্ত্রী) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    মঙ্গলবার জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, বৃটিশ শাসনামল থেকে প্রতিরোধের বার্তা ছড়িয়ে আসছে জব্বারের বলীখেলা। বর্তমানে প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ আর মৌলবাদীদের ষড়যন্ত্রে যে সাংস্কৃতিক সংকট তা রুখতে এবং তা থেকে আমাদের ঐতিহ্য বাঁচাতে জব্বারের বলিখেলা আর বৈশাখী মেলার মতো সাংস্কৃতিক উপাদানগুলোকে বাঁচাতে হবে।

    “করোনার অভিঘাত পেরিয়ে এবছর আমরা লালদীঘি ময়দানে বলীখেলার আয়োজন ফেরাতে পেরেছি। আমি যতদিন মেয়রের দায়িত্বে আছি প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে এই বলীখেলা আর মেলার আয়োজনকে বাঁচিয়ে রাখতে কাজ করে যাব। আমরা যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোলমডেলে পরিণত করতে কাজ করছি তাদের মনে রাখতে হবে সাংস্কৃতিক উৎকর্ষ ছাড়া স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল আসবেনা। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ কেবল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ছিলনা, এ যুদ্ধ ছিল আমাদের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষার যুদ্ধও। আজও এ যুদ্ধ চলমান আর এ যুদ্ধে আমাদের জিততেই হবে।”

    বিকেল পৌনে ৪টায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর পৃষ্ঠপোষকতায় নগরের ঐতিহাসিক লালদীঘি মাঠে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলার ১১৪তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হন কুমিল্লার শাহজালাল বলী। রানার্সআপ হন চকরিয়ার তরিকুল ইসলাম জীবন। সৃজন চাকমা তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। এর আগে প্রথম সেমি ফাইনাল মুখোমুখি হয় গতবারের চ্যাম্পিয়ন চকরিয়ার তরিকুর ইসলাম জীবন ও খাগড়াছড়ির সৃজন চাকমা। প্রায় ১১ মিনিট ৩৬ লড়াইয়ে জীবন বলীর কাছে পরাজিত হন সৃজন বলী। অন্যদিকে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আনোয়ারার আব্দুন নুরের মুখোমুখি হয় গতবারের রানার্সআপ কুমিল্লার শাহ জালাল বলী। বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন মেয়র। এবারের আয়োজনের সার্বিক সহযোগিতায় ছিল তারা গ্রুপ।

    এবারের আসনের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন। কাউন্সিলর জহির লাল হাজারীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলর মোঃ আবদুস সালাম মাসুম, পুলক খাস্তগীর, মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।