Tag: চসিক মেয়র

  • ২০০০ পরিবার পেল মেয়রের ঈদ উপহার

    ২০০০ পরিবার পেল মেয়রের ঈদ উপহার

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর উপহার দেয়া ঈদ উপহারসামগ্রী পেল ২০০০ দুস্থ পরিবার।

    রোববার কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীরের সহযোগিতায় এই উপহার বিতরণ করেন চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    এসময় মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীরেএ নেয়া এ মহতী উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ঈদের আনন্দ উদযাপনে অভাবগ্রস্থ ব্যক্তিদের সহায়তার জন্য আমাদের এ প্রয়াস। আজকের এ মহতী উদ্যোগের সাথে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীরসহ সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সাধারণ মানুষের পাশে বিত্তবানদের দাঁড়ানোর সর্বশ্রেষ্ঠ সময় এ সিয়াম সাধনার মাস রমজান। আশা করি অন্যরাও এই উদ্যোগে উৎসাহিত হয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবেন।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন, আবু মোহাম্মদ আফপ্সার উদ্দিন, অরণী সেন দাশ, সুফী মোহাম্মদ মাসুম, নুর আহম্মদ, প্রবাল চৌধুরী, অঞ্জন শিকদার, শাওন কানুনগো, বিপ্লব মল্লিক, স্বাক্ষর দাশ, বাবলু দাশ, জুম্মন কবির, শহীদুল ইসলাম, জনি দাশ, মো রাসেল, মো. রশিদ, মো. জুয়েল।

  • অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণ হোক পহেলা বৈশাখের প্রত্যয়: চসিক মেয়র

    অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণ হোক পহেলা বৈশাখের প্রত্যয়: চসিক মেয়র

    পহেলা বৈশাখের উৎসবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের  মেয়র (প্রতিমন্ত্রী) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    বুধবার এক শুভেচ্ছা বার্তায় মেয়র বলেন, পহেলা বৈশাখের উৎসব আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং আমাদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাঙালি জাতিয়তাবাদের ভিত্তিতে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়লেও এখনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তির ষড়যন্ত্র থেমে নেই।

    সাম্প্রদায়িক শক্তি আমাদের নৃতাত্তি¡ক পরিচয় ভুলিয়ে দিতে নানা অপকৌশল, গুজব আর অপব্যাখ্যার আশ্রয় নিচ্ছে। এজন্য এবারের পহেলা বৈশাখ কেবল উৎসবের উপলক্ষ নয় বরং এটি আমাদের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার শপথ নেয়ারও সময়।  জাতির প্রতি আহ্বান রইল যাতে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হই। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নির্মূল করে আগামীর বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক, সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদী এবং উন্নত বাংলাদেশ এই হোক আমাদের শপথ।

  • রোজাদারদের আপ্যায়নে মেয়র, পথশিশু থেকে শ্রমিক সবাই পেলো ইফতার

    রোজাদারদের আপ্যায়নে মেয়র, পথশিশু থেকে শ্রমিক সবাই পেলো ইফতার

    রোজাদারদের পাতে ইফতার বেড়ে দিচ্ছেন চট্টগ্রামের মেয়র, পথচারীদের ডেকে বসাচ্ছেন একসাথে ইফতার করার জন্য। সোমবার এভাবেই সাধারণ রোজাদারদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ করলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    লালদীঘিস্থ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গনে মাসব্যাপি এ ইফতারের আয়োজনের মাধ্যমে চসিক মেয়র রেজাউল ইসলামের সুমহান ভ্রাতৃত্বের বার্তাকে পৌঁছে দিতে চেয়েছেন চট্টলাবাসীর কাছে। এদিন প্রায় পাঁচশ সাধারণ নাগরিক চসিক মেয়রের সাথে ইফতার গ্রহণ করে ‍তৃপ্তি নিয়ে বাড়ি ফিরেন। মেয়রকে নগরী নিয়ে নানান অভাব-অভিযোগ আর পরামর্শ দেন ইফতারিতে আসা জনগণ। অনেকে প্রশংসা করেন সাধারণ নাগরিকদের জন্য ইফতারের আয়োজন করায়।

    মহতী এ উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, নগরীর প্রাণকেন্দ্র লালদীঘিতে সাধারণ নাগরিক বিশেষ করে গৃহহীন, এতিম ও হতদরিদ্ররা যাতে ইফতার নিয়ে বিড়ম্বনায় না পড়ে তার জন্য পুরো রমজান মাসজুড়ে বিনামূল্যে ইফতারের আয়োজন করেছি । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিলাসী ইফতার পার্টির পরিবর্তে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়িয়ে রোজার শিক্ষাকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে সাথে নিয়ে হাজারো মানুষের হাতে ইফতার সামগ্রী ও সেহেরি পৌঁছে দিয়েছি এবং ঈদেও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকব। সমাজের বিত্তবান শ্রেণিকেও বলব আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা রোজাদারদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে।

    মেয়রের এ উদ্যোগে এবারের রমজান মাসে সোমবার পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ ইফতার করেছেন। প্রতিদিন বিকালে মাহবুব উল আলম চৌধুরী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গনে গিয়ে দেখা যায় শত শত মানুষ একসাথে ইফতার সারছেন। তাদের মাঝে আছেন পথচারী, রিকশাওয়ালা, শিক্ষার্থী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ সবা বয়সের নানা পেশার প্রান্তিক মানুষেরা। শ্রেণি, পেশার ভেদাভেদ ভুলে সারিবদ্ধভাবে বসেছেন ইফতার করতে।

    আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী বলেন, মেয়রের এই মানবিক উদ্যোগ বাস্তবায়নে ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবী কোন পারিশ্রমিক ছাড়াই প্রতিদিন রোজাদারদের সেবা দিচ্ছেন। চারজন বাবুর্চিকে সাথে নিয়ে ইফতার পরিবেশন করে তবেই তারা ঘরে ফেরেন। ইফতারের পরিচিত আয়োজন শরবত ছোলা-মুড়ি, পেয়াজু, বেগুনি আবার কখনো বিরানী অথবা খিচুরি দিয়ে বৈচিত্র্যের স্বাদ দেয়ার চেষ্টাও আছে এ আয়োজনে।

    সোমবার ইফতারে আসা নির্মাণশ্রমিক বাবুল মিয়া সাথে আলাপ হলো। জানালেন পরিবার থাকে সেই সুদূর ময়মনসিংহে। জীবিকার খোঁজে চট্টগ্রাম এসেছেন, কাজ করেন বাড়ি নির্মাণের শ্রমিক হিসাবে। সারাদিন পরিশ্রম করার পর এখানে আসেন বিনামূল্যে ইফতার করতে। মেয়রের সাথে ইফতার করতে পেরে উচ্ছসিত বাবুল মিয়া জানালেন, মেয়র ইফতার বেড়ে দিয়েছেন। স্বেচ্ছাসেবকরাও সহযোগিতা করছেন। এমন আন্তরিক পরিবেশ পেয়ে তিনি আনন্দিত।

    ইফতারিতে অংশ নেয়া জাহিদুল ইসলামের সাথে কথা হলো। তিনি বললেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করার পর এখন চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছি। সারদিন লাইব্রেরিতে পড়ার পর এখানে ইফতার আর নামাজ সেরে টিউশনিতে ফিরি। মেয়রকে পেয়ে অনেক ভালো লাগল। নির্বাচিত হওয়ার পর জনপ্রতিনিধিরা জনগণকে ভুলে যান এমন সবসময় শুনতাম। মেয়র রেজাউলকে দেখে সে ভুল ভাঙলো। উনি ইফতারও করালেন আবার এলাকার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মানুষের সাথে পরামর্শও করলেন। এমন মেয়র পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।

    এভাবেই প্রতিদিন রোজাদাররা তৃপ্তি নিয়ে ইফতার করছেন মেয়রের এ উদ্যোগের ফলে। তারা চান সমাজের প্রতিটি স্তরে মানবিকতার এ বার্তা পৌঁছে যাক। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম হয়ে উঠুক মানবতারও নগরী।

  • চট্টগ্রামের ৯ কৃতি ব্যক্তিত্বকে চসিক স্বাধীনতা স্মারক সম্মাননা প্রদান

    চট্টগ্রামের ৯ কৃতি ব্যক্তিত্বকে চসিক স্বাধীনতা স্মারক সম্মাননা প্রদান

    বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় চট্টগ্রামের ৯ কৃতি ব্যক্তিত্বকে চসিক ‘স্বাধীনতা স্মারক সম্মাননা পদক-২৩’ এ ভূষিত করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র (প্রতিমন্ত্রী) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী৷

    রোববার (২৬ মার্চ) বিকালে থিয়েটার ইনস্টিটিউটে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পদক প্রদান করা হয়।

    মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব বিষয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সংগ্রাম করে এই দেশটির স্বাধীনতা এসেছে। তার জন্ম না হলে এই জাতিকে এক করে যুদ্ধের ময়দানে নেয়া যেতোনা। বঙ্গবন্ধুর জন্মের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার চেতনার জন্ম বাস্তবে রূপায়নের সম্ভাবনা সুযোগ তৈরি হয়।

    “ভেতো বাঙালি বঙ্গবন্ধুর ডাকে যোগ দিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। দুর্বল বাঙালিরা একেকজন পরিণত হয়েছিল স্বাধীনতার লড়াকু সেনায়। ছাত্র অবস্থায় নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধে গিয়াছিলাম কেবল জাতির পিতার ডাকে। অনেক সহযোদ্ধার প্রাণ গেছে, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর প্রেরণায় লড়াই চালিয়ে গেছি, এনেছি স্বাধীনতা। আজ পাকিস্তান দেউলিয়া আর বাংলাদেশ উন্নয়নের রোলমডেল।”

    পদক প্রদান প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, যে জাতি তার কৃতি সন্তানদের মূল্যায়ন করেনা সে জাতির মধ্যে কৃতি মানুষের জন্ম হয়না। এ চেতনা থেকে চট্টগ্রামের ৯ কৃতি ব্যক্তিত্বদের আজ আমরা সম্মাননা দেয়ার মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মকে আরো ভালো কাজে উৎসাহিত করছি৷

    এবারের বিজয়ী নয় বিশেষ ব্যক্তি হলেন, স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও দুইবারের নির্বাচিত সাবেক এমপি নুরুল আলম চৌধুরী (মরণোত্তর), শিক্ষায় পাচ্ছেন মোহাম্মদ হোসেন খান (মরণোত্তর), সাংস্কৃতিক/সঙ্গীতে অচিন্ত কুমার চক্রবর্তী (মরণোত্তর), ক্রীড়ায় আনোয়ার উল্লা খান (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধে মীর্জা আবু মনসুর, সমাজসেবায় রফিক আহামদ, বেতার ব্যক্তিত্ব ফজল হোসেন, সাংবাদিকতায় দৈনিক পূর্বকোণ এর সিটি এডিটর, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী খান, অটিজম ও শিশু চিকিৎসায় ডা. মাহমুদ আহমদ চৌধুরী আরজু।

    আরো উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, সমাজকল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, জহর লাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, আতাউল্লা চৌধুরী, মো. ইসমাইল, পুলক খাস্তগীর, মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, রুমকি সেনগুপ্ত, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, বিপ্লব দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী (টিপু), চসিক সিবিএ নেতৃবৃন্দসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

  • চট্টগ্রামের বধ্যভূমির সম্প্রসারণ চান চসিক মেয়র

    চট্টগ্রামের বধ্যভূমির সম্প্রসারণ চান চসিক মেয়র

    মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের স্মৃতি রক্ষার্থে চট্টগ্রামের বধ্যভূমির সম্প্রসারণ চান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী৷

    শনিবার গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে শহীদদের স্মৃতি স্মরণ করে মেয়র এ মন্তব্য করেন।

    মেয়র বলেন, হীনস্বার্থে ভূমিখেকোরা জায়গা দখল করতে করতে পাহাড়তলী বধ্যভূমিকে সংকুচিত করে ফেলেছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এই ষড়যন্ত্র মেনে নিবনা এবং এহেন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে গণ-আন্দোলন গড়ে তুলব।

    “আমি প্রশাসন, নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সবাইর সাথে যোগাযোগ করছি যাতে পাহাড়তলী বধ্যভূমিকে সম্প্রসারিত করে এমনভাবে ঢেলে সাজানো যায় যাতে জনগণ এখানে এসে মুক্তিযুদ্ধে চেতনার উপলব্ধি নিতে পারে। চট্টগ্রামের অন্য যেসব বধ্যভূমি বেদখল হয়ে আছে সেগুলোও উদ্ধার করে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে।”

    স্বাধীনতাবিরোধীদের সমালোচনা করে মেয়র বলেন, এই বধ্যভূমিতে অসংখ্য নিরীহ বাঙালিকে হত্যা করা স্বাধীনতাবিরোধীরা দেখো পাকিস্তান আজ দেউলিয়াত্বের পথে৷ আর বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের রোলমডেলে পরিণত হয়েছে।

    “যারা একাত্তরে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই এখন বধ্যভূমি দখল করছে, ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধিতা করছে৷ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে এই হায়েনাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে, লড়তে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে।”

    এসময় মেয়র বধ্যভূমি প্রদর্শন করেন এবং বধ্যভূমির উন্নয়নে কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা দেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মোঃ জহুরুল আলম জসিম, মোঃ ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ ইসমাইল, আবুল হাসনাত মোঃ বেলাল, মোঃ আবদুস সালাম, পুলক খাস্তগীর, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, চসিক সিবিএ নেতৃবৃন্দসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে আসা জনগণ।

  • সেহরি নিয়ে পথচারীদের পাশে চসিক মেয়র

    সেহরি নিয়ে পথচারীদের পাশে চসিক মেয়র

    মধ্যরাতে পথচারীদের মাঝে সেহরি বিতরণ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    শুক্রবার মধ্যরাতে প্রথম রোজার সেহরিতে বহদ্দারহাট মোড়ে সেহরি বিতরণ করেন মেয়র।

    এসময় মেয়রের সাথে সেহরি বিতরণ কার্যক্রমে সহায়তা করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহরলাল হাজারি, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম, মুরাদ আহামেদ শাওন, ইয়াছিন আরাফাত, শফিউল আজম, আজাদ হোসেন, মো. ইমতিয়াজ, রহিম বাদশা প্রমুখ।

    এর আগে বিকালে মেয়র ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন। সিয়াম সাধনার মাসে গরীব অসহায় দুস্থ্যদের মাঝে বিত্তবানদের ইফতার ও সেহরি সামগ্রী নিয়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র।

  • শুধু সরকারি পদক্ষেপ নয়, বেসরকারি উদ্দ্যেগ ছাড়া শতভাগ উন্নয়ন অসম্ভব: সিটি মেয়র

    শুধু সরকারি পদক্ষেপ নয়, বেসরকারি উদ্দ্যেগ ছাড়া শতভাগ উন্নয়ন অসম্ভব: সিটি মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম বলেছেন, যেকোনো উন্নয়নে সরকারি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য, সরকারী উদ্দ্যেগের পরিপুরক হিসেবে বেসরকারি উন্নয়ন পদক্ষেপ সেই উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে। জনসংখ্যাবহুল এ দেশে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও শিক্ষার হার বৃদ্ধি করে স্থায়ী উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণের মাধ্যমে জনগণের সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং সামাজিক সম্মান নিশ্চিতকরণে বর্তমান সরকার যখন নিরলসভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, কৃষি ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, তখন আওয়ামী আদর্শের সূর্যসন্তানদের গড়া তাহের নাহার ফাউন্ডেশনের মতো বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোও বসে নেই।

    বৃহস্পতিবার বিকেলে হাজী পাড়া এলাকায় তাহের নাহার ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম।

    চট্টগ্রামে পাঁচলাইশ ৩নং ওয়ার্ডে সেচ্ছাসেবী সংস্থা তাহের নাহার ফাউন্ডেশনের উদ্দ্যেগে প্রায় ২০০০ হাজার অসহায় দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন চসিকের মেয়র ।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শিক কর্মী হিসেবে তাহের নাহার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এমরান দুইযুগের বেশি সময় ধরে সামাজিক উন্নয়নে ধরে এমন মানবিক কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক কর্মী হিসেবে আর্থমানবতার সেবায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে মোহাম্মদ ইমরান।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বোর্ড সদস্য এডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী, মহানগর ছাএলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, সি- ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব রফিক উদ্দিন কালু।

    তাহের নাহার ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী বলেন, তাহের নাহার ফাউন্ডেশনের এই জনহিতকর কাজ চলমান থাকবে। ইতেমধ্যে ৩০০০ অসহায় পরিবারের ডাটাবেজ তৈরী করা হয়েছে, যারা ফাউন্ডেশন থেকে স্থায়ীভাবে বিভিন্ন ধরনের সাহায্য সহযোগীতা পাবে। ফাউন্ডেশন থেকে বাড়ি নির্মান,খাদ্য সহায়তা, চিকিৎসা, পড়াশোনা, বিবাহ সহযোগীতা,মেডিসিন,বিভিন্ন প্রকারের আর্থিক সহযোগিতা পাবেন তালিকাভুক্ত পরিবার।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নুরুল আজিম রনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার আহবানে এই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এমরান ৩০০ শত অসহায় পরিবারকে গৃহনির্মান করে অনুকরণীয় মানবিকতার নজীর স্থাপন করেছেন। তার এই কাজ চলমান তরুনদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

    ইফতার বিতরনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তাহের নাহার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো এমরান বলেন, ‘ আমি ইতিমধ্যে তিনশত পাকা সেমি পাকা গৃহ নির্মাণ করেছি। এই নির্মাণ কাজ চলমান থাকবে। আল্লাহ আমাকে যদি সুযোগ দেয় এই জনহিতকর কাজের মধ্যে আমি বেঁচে থাকতে চাই।’

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মঈন উদ্দিন মহিন, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম,নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংগঠক সাইফুদ্দিন বাবুল,আবুল কালাম আজাদ,আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্র সংসদ জিএস আমিনুল করিম, ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মোঃ এনাম,ওয়ার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইমরান মাহমুদ রনি’ সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

    অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন হাজিপাড়া যুব কিশোর পরিষদ।

    প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগের নেতা মোহাম্মদ ইমরান আশির দশক থেকে এই বেসরকারি সংস্থার গড়ে তুলে চাঁন্দগাও, পাঁচলাইশ, বোয়ালখালীসহ নগরের বিভিন্ন এলাকায় গরীব অসহায় মানুষের সামজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করছেন। আগামী ২৫ তারিখ সি এম পি কমিশনারের উপস্থিতি তে আরও ১০০০ পরিবারকে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার কর্মকর্তারা।

  • বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না: চসিক মেয়র

    বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না: চসিক মেয়র

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতোনা বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী৷

    শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ জাকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন উপলক্ষে শেখ রাসেল পার্কে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ মন্তব্য করেন।

    মেয়র বলেন, বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধ, যাতে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সংগ্রাম করে এই দেশটির স্বাধীনতা এসেছে। তার জন্ম না হলে এই জাতিকে এক করে যুদ্ধের ময়দানে নেয়া যেতোনা। বঙ্গবন্ধুর জন্মের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার চেতনার জন্ম বাস্তবে রূপায়নের সম্ভাবনা সুযোগ তৈরি হয়।

    শিশুদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে লালনের আহবান জানিয়ে মেয়র বলেন, আজকের শিশুরাই আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বে। তোমাদের নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন। তোমাদের হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত লড়াই সম্পন্ন হবে, গড়ে উঠবে স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত দারিদ্রমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা।

    “মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে তবে মুক্তির যুদ্ধ আজো শেষ হয়নি। সাম্য ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে আমরা যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অবতীর্ণ হই সে যুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ আমাদের বুকে ধারণ করতে হবে, লড়তে হবে সে আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য।”

    চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ও অংশ নেন প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর ও চসিকের সমাজকল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মোঃ আবদুস সালাম মাসুম, মোঃ ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, আবুল হাসনাত মোঃ বেলাল, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম, উপ-সচিব আশেকে রাসুল টিপু, জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ, চসিক সিবিএ নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ ও সাংস্কৃতিককর্মীরা।

    এবারের আয়োজনে শুরু হয় সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ৯ টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে। দিবস উপলক্ষ্যে ওয়ার্ডস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র সমূহে ও চসিক জেনারেল হাসপাতাল, সদরঘাট, চট্টগ্রামে দিনব্যাপী ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ভুক্ত মসজিদ, মাদ্রাসায় মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাত, মন্দির ও গির্জায় আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ প্রার্থনার। এছাড়া, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আলোকসজ্জা, ফ্লাইওভারের নিচে বিদ্যমান এলইডি দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ, স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন, ড্রপওয়াল প্রদর্শন করা হচ্ছে।

    পাশাপাশি ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন ও বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক যথাযথ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

  • রোজায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে কাজ করবে চসিক, সহযোগিতা চান মেয়র

    রোজায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে কাজ করবে চসিক, সহযোগিতা চান মেয়র

    রোজায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    বৃহস্পতিবার আন্দরকিল্লাস্থ কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে আয়োজিত যৌথ সভায় মেয়র বলেন, কেবল আইন বা শাস্তির মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব নয়। এজন্য ব্যবসায়ী ভাইদের সহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি-বেসরকারি সেবা সংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন। রোজার মাসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ রোজাদাররা যাতে কষ্ট না পান সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়াজন।
    “কেউ সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করলে সরকার যেকোন পদক্ষেপ নিলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সে পদক্ষেপে সর্বোচ্চ সহায়তা করবে। ভেজাল খাবার, পানীয় ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে রোজা উপলক্ষে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। একারণে অসাধুদের সাবধান করছি, মানুষকে কষ্ট দিলে আইনি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হন। ”

    সভায় কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান এবং বাজারের প্রতিনিধিরা তাদের বিভিন্ন অভিযোগ, আপত্তি, পরামর্শ তুলে ধরেন।

    জবাবে মেয়র বলেন, রোজার মাসে কেবল দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নয় যানজট নিয়ন্ত্রণ নিয়েও ভাবতে হবে। আমি অনেকগুলো ফুটপাত ও সড়ক উদ্ধার করেছি। রোজার মাসে এ জায়গাগুলোতে আবারো হকাররা দোকান স্থাপন করে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করতে পারে সে ব্যাপারে আমি কঠোর থাকব। এ ব্যাপারে কোন আন্দোলন বা অভিযোগ শোনা হবেনা।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা এবং বাজারমূল্য পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাজারমূল্য পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, হাজী নুরুল হক কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, আবদুস সালাম মাসুম, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, পুলিশের এডিসি খালেদ হোসেন, বিএসটিআই উপপরিচালক মো. মাজহারুল হক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলার সহকারি পরিচালক নাসরিন আক্তার, চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্সের পরিচালক অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপনসহ নগরীর বিভিন্ন মার্কেটের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ক্যাব প্রতিনিধিগণ।

  • জনগণকে নিয়ে সরকার উৎখাত আন্দোলন প্রতিহত করব: চসিক মেয়র

    জনগণকে নিয়ে সরকার উৎখাত আন্দোলন প্রতিহত করব: চসিক মেয়র

    কথিত সরকার উৎখাত আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত চক্রের অরাজকতা সৃষ্টি ও অপতৎপরতা জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী৷

    শনিবার চাঁন্দগাও থানা আওয়ামী লীগের আয়োজিত শান্তি সমাবেশে মেয়র এ ঘোষণা দেন।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চসিক মেয়র বলেন, জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা প্রস্তুত আছে। জাতির পিতারকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে তাতে বিএনপি-জামায়াত গোষ্ঠী নাখোশ। প্রধানমন্ত্রী যখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়ছেন তখন এই নাখোশ গোষ্ঠী স্বাধীনতাবিরোধীদের সাথে মিলে সরকার উতখাতের ষড়যন্ত্র করছে।

    “ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যে কোন ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে প্রস্তুত। জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা যে কোন মূল্যে সরকারকে টিকিয়ে রাখতে লড়বো, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ।”

    সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আবু তাহের। সমাবেশ ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সামশুল আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা নোমান আল মাহমুদ, আবদুছ ছালাম, জোবাইরা নার্গিস খান, নূর আহমদ নূরু, মো. ঈছা। উপস্থিত ছিলেন ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর আশরাফুল আলম, এডভোকেট আইয়ুব খান, জসিম উদ্দিন, মোজাহেরুল হক চৌধুরী, হুমায়ুন কবির, আবুল কালাম, মো. সাইফুদ্দিন, সিরাজুল কবির, শওকত আলী, নঈমউদ্দিন খান, রুবায়েত হোসেন, মেজবাহ উদ্দিন।

  • চট্টগ্রামের উন্নয়নে চসিকের সাথে সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয় চাই: চসিক মেয়র

    চট্টগ্রামের উন্নয়নে চসিকের সাথে সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয় চাই: চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সাথে চট্টগ্রামের অন্যান্য সেবা সংস্থগুলোর মধ্যে কার্যক্রমের সমন্বয় না হলে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের সুফল হুমকির মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। মঙ্গলবার চসিকের নির্বাচিত ৬ষ্ঠ পরিষদের ২৫তম সাধারণ সভায় মেয়র এ মন্তব্য করেন।

    সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বলেন, আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী চসিকের ইতিহাসের সর্বোচ্চ আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বরাদ্দ দিয়েছেন। এই প্রকল্পসহ চলমান প্রকল্পগুলো শেষ হলে চট্টগ্রামের বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে। তবে, সেবা সংস্থাগুলো যদি চসিকের সাথে সমন্বয় না করলে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের সুফল হুমকির মুখে পড়বে।

    “ওয়াসা চলমান স্যুয়ারেজ প্রকল্পের জন্য রাস্তা কাটবে। শুধু ওয়াসা নয় যে কোন সংস্থা রাস্তা কাটার আগে অবশ্যই চসিক থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে এবং যথাযথ প্রাক্কলনের মাধ্যমে চসিকের পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের সাথে সমন্বয় করে রাস্তা কাটতে হবে। আমরা রাস্তা বানাবো আর কোন সংস্থা রাতের আঁধারে নতুন রাস্তা কেটে ফেলবে এমন কোন অভিযোগ পেলে কঠোর পদক্ষেপ নিব।”

    প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের বিপুল অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে টানেল থেকে ফ্লাইওভার নির্মাণসহ ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করায় চট্টগ্রামের সন্তান এবং মেয়র হিসেবে চট্টগ্রামের জনগণের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে চাই।

    “চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) স্থায়ী কার্যালয় না থাকায় নাগরিক সেবা প্রদানে সমস্যা হচ্ছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি চসিকের নিজস্ব ফান্ডে স্থায়ী কার্যালয় নির্মাণ করব। প্রকল্প কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার স্বার্থে একজন ঠিকাদারকে এক টেন্ডার নোটিশে একাধিক কাজ দেয়া হবে না। আর যেসব ঠিকাদার ঠিকমতো কাজ করতে পারবেনা তাদের কালো তালিকাভুক্ত করব। আমি কঠোর না হলে পিসি রোড হতোনা। ঝুঁিক নিয়ে কঠোর হয়ে পিসি রোডের কাজ শেষ করেছি। অনৈতিক কার্যক্রমে জড়িত ঠিকাদারদের ছাড় দিবনা। কর্মকর্তাদেরও সতর্ক করছি কারো গাফিলতির জন্য জনদুর্ভোগ হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিব।

    সভায় প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দসহ চসিকের কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। এসময় আলোচনার প্রেক্ষিতে মেয়র বলেন, নগরীকে পরিচ্ছন্ন করার জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। রাজস্বের আয়ের অর্থকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে প্রাধিকারের ভিত্তিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সড়ক ও ওয়ার্ড কার্যালয়গুলো সংস্কার করা হবে। বিশ^ব্যাংক থেকে ২৭৫ কোটি টাকার কোভিড রেসপন্সের অর্থকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে আমাদেরকে।

    “কেবল বস্তুগত উন্নয়ন নয়, সার্বিক উন্নয়নের জন্য সাংস্কৃতিক কার্যক্রমেরও বৃদ্ধি প্রয়োজন। এবার চসিক অন্য বছরগুলোর তুলনায় আরো বড় পরিসর বইমেলার আয়োজন করেছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন মোড়ে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ম্যুরাল নির্মাণের পাশাপাশি চট্টগ্রামের কৃতি সন্তানদের নামে সড়ক ও স্থাপনাসমূহের নামকরণ করব। মানুষের অবসর সময়কে আনন্দময় করতে প্রতিটি ওয়ার্ডে শিশুপার্ক ও বিনোদনকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে নান্দনিক নগর গড়ব।”

    সভায় একাধিক কাউন্সিলর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জলাবদ্ধতা নিরসণ প্রকল্পের জন্য বাঁধ নির্মাণ করায় বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এ বিষয়ে সিডিএকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। তারা গৃহকর নিয়ে একটি কুচক্রিমহল গুজব ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।

    জবাবে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) জলাবদ্ধতা হ্রাসে যে প্রকল্প পরিচালনা করছে, সেখানে রিটেনিং ওয়ালের কারণে নালা-খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামের অনেকগুলো এলাকার মানুষ খুব কষ্ট পাচ্ছে। আমি সিডিএ চেয়ারম্যান মহোদয়সহ সিডিএ’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার বলেছি যাতে এ প্রকল্পের জন্য বর্ষায় মানুষ কষ্ট না পায়। তবে, সিডিএ থেকে এখনো কোন কার্যকর পদক্ষেপ দেখছিনা। গৃহকর নিয়ে কারো আপত্তি থাকলে আপিলের মাধ্যমে কর নেয়া হচ্ছে। জনগণ গৃহকর দিয়ে হাসিমুখে ঘরে ফিরছে।

    সভায় বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী, দরপত্র কমিটির কার্যবিবরণী এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী অনুমোদিত হয়। স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতিগণ তাদের নিজ নিজ স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী পেশ করেন। সভায় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলরবৃন্দ, সচিব খালেদ মাহমুদসহ চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ এবং নগরীর বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

  • ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিয়তাবাদের উন্মেষ: মেয়র

    ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিয়তাবাদের উন্মেষ: মেয়র

    ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয়া বাঙালি জাতিয়তাবাদের চেতনা থেকেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো রেজাউল করিম চৌধুরী।

    মঙ্গলবার এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে আয়োজিত বইমেলায় অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে কৃতি ব্যক্তিত্বদের স্মারক সম্মাননা পদক ও পুরস্কার সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালিরা বুঝতে পারে তাদের স্বতন্ত্র পরিচয়ের ভিত্তিতে জাতিরাষ্ট্র গড়তে হবে। এই চেতনা থেকে বাঙালি জাতিয়তাবাদের জন্ম হয়। পরবর্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতিয়তাবাদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। “আমি লজ্জিত যে ভাষা আন্দোলনের এত বছর পরও আমরা সর্বত্র বাংলা ভাষার বাস্তবায়ন করতে পারিনি। কেবল আইন করে বা জেল জরিমানা করে বাংলা ভাষার সর্বত্র বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বরং মানুষের মধ্যে বাংলা ভাষার প্রতি মমত্ববোধ আর স্বাধীনতার চেতনাবোধ জাগ্রত হলেই কেবল সর্বত্র বাংলা ভাষা বাস্তবায়িত হবে।”

    এবছর যে ১৭ জন কৃতি ব্যক্তি একুশে স্মারক সম্মাননা পদক পান তারা হলেন শিল্প উন্নয়ন ও সমাজসেবায় এ.কে.খান (মরণোত্তর), সাংস্কৃতিতে বুলবুল চৌধুরী (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনে মৌলভী সৈয়দ আহমদ (মরণোত্তর), ভাষা আন্দোলনে মোহাম্মদ এজাহারুল হক (মরণোত্তর), শিক্ষায় শাফায়েত আহমদ সিদ্দিকী (মরণোত্তর), সংবাদপত্র শিল্পের বিকাশ ও মানোন্নয়নে এম.এ. মালেক, চিকিৎসায় ডাঃ পি বি রায় এবং ডা: শমীরুল ইসলাম বাবু (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় নূরুল আমিন, ক্রীড়ায় আশীষ ভদ্র, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও গবেষণায় আনোয়ার হোসেন পিন্টু। সাহিত্যক্ষেত্রে অবদানের জন্য কবিতায় খালিদ আহসান (মরণোত্তর) এবং রিজোয়ান মাহমুদ, প্রবন্ধ ও গবেষণায় আনোয়ারা আলম, কথাসাহিত্যে আজাদ বুলবুল, শিশুসাহিত্যে উৎপলকান্তি বড়ুয়া এবং জসীম মেহবুব।

    সম্মাননা পদক পেয়ে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম. এ. মালেক, আনোয়ারা আলম, এ কে খানের সন্তান এ এম জিয়াউদ্দিন খান।

    আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার। বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর বইমেলার আহ্বায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ।

    উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, হুরে আরা বিউটি, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু।