Tag: চসিক মেয়র

  • “সারা বছর মানুষ যেন ডিসি পার্কে এসে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে- চসিক মেয়র”

    “সারা বছর মানুষ যেন ডিসি পার্কে এসে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে- চসিক মেয়র”

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের মানুষের বিনোদনের তেমন কোন জায়গা নেই, ভাল কোন পার্ক নেই। শুধু ফুল উৎসব নয় মানুষ যেন সারা বছর এই ডিসি পার্কে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে এমন অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: রেজাউল করিম চৌধুরী।

    বৃহস্পতিবার(১৬ ফেব্রুয়ারী) বিকালে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটস্থ ডিসি পার্কে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    ডিসি পার্কে ফুল উৎসবের সপ্তম দিনে বাশখালী শিল্পকলা একাডেমির ৩০জন শিল্পীর পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো: মোকাম্মেল হোসেন এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের।

    পর্যটন সচিব মো: মোকাম্মেল হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে এ ধরনের আয়োজন দেখে আমরা অভিভূত। শুধু এই পার্ক নয় সমগ্র চট্টগ্রামকে একটি পর্যটন হাব হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের সকল ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বলেন, এই পার্ককে শুধু চট্টগ্রামের নয়, আশেপাশের জেলার সর্বস্তরের মানুষের বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমরা মাস্টারপ্ল্যান হাতে নিয়েছি। অচিরেই চট্টগ্রামের সকল মানুষের মূল বিনোদন কেন্দ্র হবে এই পার্ক।”

  • চট্টগ্রামের উন্নয়নে সাংবাদিকদের সহায়তা চাই-মেয়র

    চট্টগ্রামের উন্নয়নে সাংবাদিকদের সহায়তা চাই-মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির সাথে মতবিনিময় সভায় মেয়র এ সহায়তা চান।

    মেয়র বলেন, সাংবাদিকেরা সমাজের চোখ আর গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ। এ কারণে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদের মাধ্যমে আমি নিয়মিত জনগণের সুখ-দুঃখের কথা জানতে পারি। আমার দিন শুরু হয় সংবাদপত্র পড়ে। কোন গণমাধ্যম আমার সমালোচনা করলেও আমি সে সমালোচনা থেকে শিখে নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করি।এমনকি মিডিয়ায় প্রকাশিত অনেক সংবাদের প্রেক্ষিতে অনেকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছি। বিশেষ করে বাংলাবাজারে প্রায় ৫০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে অনেকে বাধা দিলেও গণমাধ্যম আমার পাশে ছিল। আমি চাই এভাবে গণমাধ্যম আমাকে উন্নত চট্টগ্রাম গড়তে সাহায্য করুক।

    চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের প্রতিনিধিগণ জানান, চট্টগ্রামের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছেন সাংবাদিকরা।

    চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ জুবায়ের, আতাউল্লাহ চৌধুরী, পুলক খাস্তগীর, প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা ও সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সহ-সভাপতি মনজুর কাদের মনজু, যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার, ক্রীড়া সম্পাদক সোহেল সরওয়ার, গ্রন্থাগার সম্পাদক আহমেদ কুতুব, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক আল রাহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম, কার্যকরী সদস্য জসীম চৌধুরী সবুজ, মোয়াজ্জেমুল হক, মোহাম্মদ আইয়ুব আলী ও মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু এবং চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ সামশুল তাবরীজ, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, উপ-সচিব আশেক রসুল টিপু, নগর পরিকল্পনা আবদুল্লাহ আল ওমর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • চসিকের সাইবার নিরাপত্তার সক্ষমতা বাড়াতে হবে: মেয়র

    চসিকের সাইবার নিরাপত্তার সক্ষমতা বাড়াতে হবে: মেয়র

    ইন্টারনেট নির্ভর সেবা খাতের নিরাপত্তা বাড়ানো এবং হ্যাকিং থেকে সতর্কতার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    আজ সোমবার নগরীর টাইগারপাসস্থ’ চসিক সম্মেলন কক্ষে কাউন্সিলরদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছে। বর্তমানে সরকারি সেবাসমূহকে ডিজিটালাইজ করায় মানুষ এখন সহজে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই সিটি কর্পোরেশনের সেবা নিতে পারছে। তবে সারা বিশ^জুড়েই সক্রিয় হ্যাকাররা এধরনের সেবাগুলোকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করছে। সম্প্রতি হ্যাকাররা আমাদের বাংলাদেশের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের সার্ভার হ্যাক করে চট্টগ্রামে জাল জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু করার চেষ্টা করছে বলে জানতে পেরেছি। এধরনের সাইবার হুমকি মোকাবিলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাইবার নিরাপত্তার সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আমরা জন্মনিবন্ধনসহ সব ধরনের অনলাইন সেবাদানকারী কর্মীদের সাইবার নিরাপত্তা প্রশিক্ষণের আয়োজন করছি এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরদেরকেও এ ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।

    সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, হ্যাকিংটির ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন হলেও মূলত হ্যাকিং হয়েছে ঢাকার সার্ভারে। এ বিষয়টি অবগত হওয়ার পরই আমরা থানায় সাধারণ ডায়েরি ও মামলা দায়ের করেছি। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে মেয়র মহোদয়ের নির্দেশক্রমে কাউন্সিলরদের নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে পৃথক কমিটি গঠন করা হবে। আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে আপনাদের আশ^স্ত করছি দ্রæতই এই সমস্যার সমাধান হবে।

    এতে বক্তব্য রাখেন-ওয়ার্ড কাউন্সিলর অধ্যাপক মো. ইসমাইল, জহর লাল হাজারী, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, লায়ন মো. ইলিয়াছ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, আইটি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাসান।

    উপস্থিত ছিলেন-প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, আফরোজা কালাম, মো. গিয়াস উদ্দিন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর গাজী মো. শফিউল আজিম, সাহেদ ইকবাল বাবু, মো. কাজী নুরুল আমিন, শফিকুল ইসলাম, মোবারক আলী, মোরশেদ আলম, জহুরুল আলম জসিম, ড. নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, মো. নুরুল আমিন, মো. ওয়াসিম উদ্দিন, নুর মোস্তফা টিনু, নুরুল আলম, শৈবাল দাশ সুমন, মো. সলিম উল্লাহ, মোহাম্মদ জাবেদ, নাজমুল হক ডিউক, শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, আতাউল্লাহ চৌধুরী, আবদুস সালাম মাসুম, হাসান মুরাদ বিপ্লব, পুলক খাস্তগীর, হাজী নুরুল হক, মো. মোরশেদ আলী, মো. আবদুল মান্নান, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, জিয়াউল হক সুমন, ছালেহ আহমদ চৌধুরী, সংরক্ষিত কাউন্সিলর জোবাইরা নার্গিস খান, জেসমিন পারভিন জেসী, তসলিমা বেগম নুরজাহান, আঞ্জুমান আরা, শাহিন আক্তার রোজী, রুমকি সেনগুপ্ত, নিলু নাগ, লুৎফুন নেছা দোভাষ বেবী, হুরে আরা বেগম, জাহেদা বেগম পপি, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমাম হোসেন রানা প্রমুখ।

  • আজকের শিশুদের আন্তরিকভাবে গড়ে তুলতে পারলেই ২০৪১সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব:মেয়র

    আজকের শিশুদের আন্তরিকভাবে গড়ে তুলতে পারলেই ২০৪১সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব:মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জানুয়ারি’র প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের মাধ্যমে বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার।

    তিনি বলেন, এই উদ্যোগ স্কুল থেকে ঝড়ে পড়ার হার কমিয়েছে এবং প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়িয়েছে। মেয়র বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের উদ্যোগকে শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি মাইল ফলক হিসাবে বর্ণনা করেন। কারণ এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছে।

    তিনি বলেন, এই উদ্যোগের মূল উদ্যেশ্য হচ্ছে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা-দীক্ষায় ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে স্বনির্ভর করা।

    মেয়র বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো ফলাফল করা এবং প্রতিভা বিকাশে স্কুলের শিক্ষকদের একা দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়, অভিভাবক মহলেরও দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি সন্তানদের নিয়মিত স্কুলে আসা-যাওয়া ও পড়ালেখার বিষয়টি খেয়াল রাখার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।

    আজ রবিবার সকালে সারাদেশে পাঠ্যপুস্তক উৎসবের অংশ হিসেবে সিটি কর্পোরেশনে মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত স্কুল সমূহের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

    শিক্ষা ষ্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর ড.নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুর সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার। আরো বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, আবদুস ছালাম মাসুম, হাসান মুরাদ বিপ্লব, নাজমুল হক ডিউক, আবদুল মান্নান, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকি সেন গুপ্ত, সচিব খালেদ মাহমুদ, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রাণী চাকমা, প্রধান শিক্ষক চম্পা মজুমদার।

    মেয়র আরো বলেন, আমাদের সময় শিক্ষার্থীরা পুরোনো বই পড়ে লেখা পড়া করেছে আর তোমরা বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই পেয়েছ। এ ধরনের উদ্যোগ সত্যিই দুর্লভ ও কঠিন কাজ। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার কারণে এ ধরনের একটি দূরুহ কাজ সম্ভব হয়েছে।

    তিনি বলেন, করোনা মহামারী এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সরকার জনগণের অর্থ সাশ্রয়ে জন্য অনেকদিন থেকে কঠোরতা আরোপ করলেও শিশুদের জন্য পাঠ্যপুস্তকের বই ছাপানো ক্ষেত্রে আপোষ করেননি। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা অব্যাহত রাখতে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, করোনা সময় থেকে আমার ঘরে আমার স্কুল অর্থাৎ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ, কাজেই ঘরে বসে পড়াপশুনা। কেউ যাতে লেখা পড়ায় ফাঁকি দিতে না পারে সেই ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে।

    তিনি বলেন, শিশুদের আন্তরিকতার সঙ্গে গড়ে তুলতে পারলে বিশ্বের কোন শক্তি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি ঠেকাতে পারবে না। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মাট বাংলাদেশ।

    উল্লেখ্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত স্কুলসমূহের চতুর্থ থেকে নবম শ্রেনী পর্যন্ত ৫৫টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনা মূল্যের এই বই বিতরণ করা হয়। শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তক উৎসবে আনন্দচিত্তে বিভিন্ন রঙের ফেস্টুন, বেলুন ও স্কুল ড্রেস পড়ে অংশ নিয়েছে।

  • সচেতন সাংবাদিকতা সমাজের পথপ্রদর্শক : চসিক মেয়র

    সচেতন সাংবাদিকতা সমাজের পথপ্রদর্শক : চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, সাংবাদিকরা দেশের সচেতন নাগরিক। সচেতন সাংবাদিকতা সমাজের পথপ্রদর্শক।

    তিনি বলেন, ‘সমাজের যেখানেই অন্যায়-অনাচার দেখা যায়, সেখানেই আপনাদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। আপনাদের দিকে তাকিয়ে থাকে পুরো দেশের জনগণ। তাই আপনাদের সবসময় সতর্কতার সাথে কাজ করতে হয়। এতে করে সকল ষড়যন্ত্র, অর্থশক্তি, পেশীশক্তিকে নস্যাৎ করা সম্ভব।’

    বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র এসব কথা বলেন। দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন প্রেস ক্লাব সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস।প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীর স্বাগত বক্তব্যে শুরু হওয়া সম্মেলন সঞ্চালনা করেন ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম।

    প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস বলেন, ‘চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের প্রতিষ্ঠান। এই ক্লাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসেই জাতির পিতার ম্যুরাল উদ্বোধন করেছেন। গত ২ মেয়াদে আমার সভাপতি থাকাকালীন সময়ে ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল কর্মকর্তা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, সেজন্যে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। একইসঙ্গে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করেছি।

    অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বার্ষিকীর মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

    এ সময় মঞ্চে ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি শহীদ উল আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা, সহ সভাপতি স ম ইব্রাহীম, অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার, ক্রীড়া সম্পাদক দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু, গ্রন্থাগার সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলীউর রহমান, কার্যকরী সদস্য শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, মোয়াজ্জেমুল হক, দেবদুলাল ভৌমিক, মনজুর কাদের মনজু ও মহসিন চৌধুরী।

  • চট্টগ্রামে মাস্টার প্ল্যান প্রনয়নে কাউন্সিলরদের সাথে অংশীজন মেয়রের

    চট্টগ্রামে মাস্টার প্ল্যান প্রনয়নে কাউন্সিলরদের সাথে অংশীজন মেয়রের

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম নগরীকে পর্যটন এলাকা হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে আগামী ২০২০ থেকে ৪১ সালের জন্য মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন পরিকল্পনায় বন্দর নগরীকে বাণিজ্যিক নগরী এবং পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিতে হবে। শুধু পরিকল্পনা গ্রহণ করলে হবে না, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সকলকে আন্তরিক হতে হবে।

    আজ বুধবার বিকেলে আন্দরকিল্লা পুরাতন নগর ভবনের কে বি আব্দুস ছত্তার মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার মাস্টার প্ল্যান ২০২০-২০৪১ প্রণয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ওয়ার্ড ভিত্তিক মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের সাথে অংশীজন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

    মেয়ের বলেন, মাস্টার প্ল্যান এর মধ্যে সিএসআরএস জরিপ অনুযায়ী সমস্ত বিলুপ্ত খাল গুলো উদ্ধারের পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সিডিএ’র যে কোনো প্ল্যান অনুমোদনে চসিকের সংশ্লিষ্টতা থাকার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই অপরিকল্পিত নগরায়নের সৃষ্টি হবে না। মাস্টার প্ল্যান অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অংশ হিসেবে কাজ করবে এবং সকল বৈষম্য দূরীকরণে ভূমিকা রাখবে।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরী প্রকৃতিগতভাবে সমুদ্র, পাহাড়, নদী, সমতল ভূমি বিস্তৃত এক অনন্য সুন্দর নগরী। পাহাড় কেটে বৃক্ষ নিধন করে এই সৌন্দর্যের হানি ঘটানো হয়েছে। মাস্টার প্ল্যান প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বিষয়টি অতীব গুরুত্ব দিতে হবে।

    চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী আশিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর মোবারক আলী, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, হাসান মুরাদ বিপ্লব, চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মোঃ আবুল হাশেম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী ঈসা আনসারী ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের টিম লিডার ডঃ আহসানুল কবির প্রমুখ।

    চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম বলেন, নগরীর মাস্টার প্ল্যান তৈরি করতে গেলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মতামত গ্রহণ অপরিহার্য। এই লক্ষ্য নিয়ে আজকের এই অংশীজন সভা।

  • আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নগরীর উন্নয়ন প্রকল্প ও ১৫টি ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণ করতে হবে: মেয়র

    আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নগরীর উন্নয়ন প্রকল্প ও ১৫টি ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণ করতে হবে: মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশকে স্মার্ট সিটি হিসেবে রূপান্তর করতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। বিশেষ করে চট্টগ্রাম নগরীকে একটি আধুনিক বন্দর নগীর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রায় দুই হাজার পাঁচশত কোটি টাকার প্রকল্প এবং বারই পাড়া খালসহ নতুন বাস টার্মিনাল নির্মাণ ও সেবেকদের উন্নত বাসস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণে পেয প্রকল্পগুলো বরাদ্দ দিয়েছেন তা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পগুলোর কাজ দৃশমান করতে না পারলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের কার্যক্রমগুলি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। এই কারণে চলমান প্রকল্পগুলো আন্তরিক এবং মনযোগী হয়ে দ্রæততার সাথে সম্পন্ন করতে হবে। ২ হাজার ৫শত কোটি টাকার প্রকল্পের মধ্যে অন্তত ০১ হাজার কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান সহ কাজগুলো দ্রæততার সাথে সম্পন্ন করা এবং ১৫টি ফুট ওভার ব্রীজ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক ও প্রকৌশলীদের কঠোর নির্দেশনা এবং আগামীতে প্রতিটি সাধারণ সভার আগে প্রকল্প সমুহের কাজের অগ্রগতি সম্পর্ক প্রতিবেদন উপস্থাপনের জন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের নিদের্শনা প্রদান করেন এবং চট্টগ্রাম নগরীকে সুন্দর করে সাজাতে গেলে সকল সেবা সংস্থাকে দায়িত্ব নিতে হবে।

    মেয়র বলেন, চসিক শ্রমিক কর্মচারীলীগ (সিবিএ) কর্তৃক উপস্থাপিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের চাকুরি স্থায়ী করণের বিষয়টি কার্যকর করার জন্য সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    আজ মঙ্গলবার সকালে নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ চসিক পুরাতন নগর ভবনের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে চসিকের ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ২৩ম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্য তিনি একথাগুলো বলেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশননের সচিব খালেদ মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, আফরোজা কালাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও বিভাগীয় প্রধানগণ।

    মেয়র আরো বলেন, নগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিক্সার কারণে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ও জনসাধারণের ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে তা থেকে পরিত্রানের জন্য খুব শিঘ্রই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সাথে আলোচনা করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিক্সা, গ্রাম সিএনজি চলাচল বন্ধ করার অভিযান শুরু করা হবে।

    তিনি নগরীর অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিক্সা উচ্ছেদ করে সোলার বিদ্যুৎ চালিত রিক্সা চালু করা বিষয়ে পরিক্ষা মূলক ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে সভাকে অবহিত করেন। একই সাথে ফুটপাত হতে হকারদের উচ্ছেদ করা এবং উচ্ছেদকৃত স্থানে পুন: দখল হতে না পারে সে ব্যাপারে কঠোরভাবে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া সড়ক ও অলি-গলিতে অবৈধ ভাবে বসা কাঁচা বাজার উচ্ছেদ ও বে-পার্কিং ব্যবস্থা চালু করার পদক্ষেপ নেয়া হবে জানান। মেয়র পিডিবি কর্তৃক বর্ধিতকৃত রাস্তা সমুহ থেকে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো সড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং নালার উপর কোন পোল যাতে স্থাপন করা না হয় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পিডিবি কর্তৃপক্ষের প্রতি দৃষ্টি আর্কষণ করেন।

    তিনি চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃক নগরীর বিভিন্ন সড়ক কর্তনের বিষয়ে বলেন, কোন রকমের অনুমতি ছাড়া ওয়াসা রাস্তা কর্তন করলে সংশ্লিষ্ট বাসা/বাড়ীর মালিক, দায়িত্বরত ওয়াসার প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে কঠোর হুশিযারি উচ্চারণ করেন এবং অনুমিতপত্র থাকলেও সড়ক কর্তনের সময় ওয়ার্ডের সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরকে অবহিত করতে হবে বলে জানান।

    মেয়র দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, নগরীর বিভিন্ন পাড়া মহাল্লায় ও রাস্তায় স্থাপিত পানির কলগুলো বিনা নোটিশে তুলে নেয়া হচ্ছে বিধায় নগরীর বস্তিবাসী ও যাদের বাসগৃহে ওয়াসার পানির লাইন নেই সেসব জনসাধারণ পানি ব্যবহার থেকে বঞ্চিত ও পানির ভোগান্তি পোহাচ্ছে। এই ভোগান্তি থেকে পরিত্রানের জন্য পূর্বে স্থাপনকৃত পানির কলগুলো ছিল তা পুনরায় স্থাপন, যেগুলো নষ্ট তা বন্ধ না করে সচল করার জন্য ওয়াসা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

    তিনি নগরীর ৩৭,৩৮,৩৯,৪০ ও ৪১ নং ওয়ার্ডগুলো উপকূলীয় অঞ্চল হওয়ার কারণে অপরিস্কার ও লবণাক্ত পানি ব্যবহার করতে হয় বিধায় মানবিক বিবেচনায় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখিত ওয়ার্ড সমুহের পানির লাইন স্থাপনের জন্য অনুরোধ জানান।

    মেয়র জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের যে মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে তা কবে নাগাদ শেষ হবে বলা কঠিন, তবে জলাবদ্ধতা প্রকল্পে খাল ও নালার রিটের্নিং ওয়াল করতে গিয়ে মাটি ভরাট করা হয়েছে রিটের্নিং ওয়ালের কাজ শেষ হোক আর না হোক আগামী বর্ষা মৌসুমের পূর্বে খাল ও নালার মাটি উত্তোলন করে পানি চলাচলের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় আগামী বর্ষা মৌসুমে এসব এলাকায় জলজট হলে এর দায় দায়িত্ব প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে নিতে হবে।

    তিনি বলেন, চসিককে সঠিকভাবে পরিচালন করার জন্য রাজস্ব আয় বৃদ্ধির বিকল্প নেই। এজন্য চসিকের খালি জায়গাগুলোতে আয় বর্ধক প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে এবং নালার উপর স্থাপিত স্ল্যাব নির্মানকারীদের কাছ থেকে কর আদায়ের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার কাজ জোরদার করতে হবে। অন্যদিকে বিভিন্ন ফ্ল্যাট মালিকদের কাছে পাওনা, হাট-বাজার ও ঘাট ইজারা গ্রহনকারীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত ১৫০ কোটি টাকা আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন। এছাড়া রিক্সা ও ভ্যান গাড়ীর লাইসেন্স প্রদান ও নবায়নের অটোমেশন কাজ দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নিদের্শ প্রদান করেন।

    সভার শুরুতে নগরীতে ইতোমধ্যে মৃত্যু বরণকরী গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে চসিকের ভাবমুর্তি বিভিন্ন চলমান উন্নয়ন কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন চসিকের মাদ্রসা পরিদর্শক মওলানা মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ চৌধুরী।

  • মানুষের সুস্থ্য সুরক্ষায় বিশুদ্ধ পানির বিকল্প নেই: চসিক মেয়র

    মানুষের সুস্থ্য সুরক্ষায় বিশুদ্ধ পানির বিকল্প নেই: চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বিশুদ্ধ পানি সব ধরণের মানবাধিকারের ভিত্তি হিসেবে স্বীকৃত। সবার জন্য উন্নত উৎসের পানি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। নিরাপদ খাবার পানির অভাবে শিশু-কিশোরীদের স্বাস্থ্য পুষ্টি, শিক্ষা সুরক্ষাসহ অন্যান্য বিষয়ের উপর প্রভাব ফেলে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিশুদ্ধ পানি পানে যে প্রতিষ্ঠান উদ্যেগী হয়েছেন তাদের আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। কারণ মানুষের সুস্থ্য সুরক্ষায় বিশুদ্ধ পানির বিকল্প নেই।

    আজ বুধবার সকালে শহীদ নগর সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পানি নিশ্চিতে বিশুদ্ধ পানির মেশিন উদ্বোধন ও সাউন্ড সিষ্টেম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

    বিদ্যালয়রে প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়বের সভাপতিত্বে ও মৌলভী আনছার উল্লাহর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন-লালখান বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার।

    এতে উপস্থিত ছিলেন-মুক্তিযোদ্ধা শেখ দেলোয়ার হোসেন, এনজিও সংস্থা হাসির পক্ষে মো. মহিউদ্দিন, মো. মোরশেদ, আবুল হাসনাত, আবদুল্লাহ আইয়ুব, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা হাবীবুল আলম পেয়ারু, মো. মোজাম্মেল হোসেন সোহাগ, তপন সিং প্রমুখ।

    মেয়র আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের স্কুল গন্ডি থেকে শুদ্ধ আচার-আচরণ, শিষ্টাচার ও বিনয়ী হওয়ার শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে বিনয়ী হচ্ছে মানুষের জন্য বড় অহংকার। শিক্ষা শুধু সার্টিফিকেট অর্জনের জন্য নয়, প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করতে পারলেই সুশিক্ষিত হওয়া সম্ভব।

    প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, হাত ধোয়া আমরা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম করোনাকালে হাত ধোয়া আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। হাত থেকে অনেক জীবানু আমাদের পানি, খাবার ও নাক মুখ দিয়ে প্রবেশ করে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়। এই রোগবলাই থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের নিয়মিত হাত ধুতে হবে এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।

    মেয়র শিক্ষকদের উদেশ্যে বলেন, শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস সম্পর্ক জ্ঞান প্রদান করতে হবে। বর্তমান প্রজন্ম আমাদের গৌরবগাঁথা মুক্তিযুদ্ধ ও ঐতিহ্য সম্পর্কে কিছুই জানেনা। তাদের এ ব্যাপারে বিশেষ ব্যবস্থায় ক্লাশ নিয়ে প্রকৃত ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানাতে হবে। তিনি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সপ্তাহে একদিন শিক্ষার্থীদের দ্বারা স্কুলের আঙ্গিনা ও শ্রেণীকক্ষ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার মাধ্যমে প্রাত্যহিক জীবনে তা চর্চার অভ্যাস গড়ে তুলতে শিক্ষকদের ভুমিকা রাখার আহ্বান জানান।

    মেয়র অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়েল এসেম্বলী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য সাউন্ড সিষ্টেম প্রদান করেন।

    ২৪ঘণ্টা/এসএ

  • ২০২৩ সাল হবে চট্টগ্রাম নগর উন্নয়নের বছর: চসিক মেয়র

    ২০২৩ সাল হবে চট্টগ্রাম নগর উন্নয়নের বছর: চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ২০২৩ সাল হবে চট্টগ্রাম নগর উন্নয়নের বছর। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে ২ হাজার ৫শত কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন সেই বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে নগরীর উন্নয়ন দৃশ্যমান করতে হবে। আগামী ডিসেম্বরে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল চালু হলে নগরীর সড়ক সমুহের উপর চাপ পড়বে সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সঠিকভাবে উন্নয়ন কাজ করতে হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে অন্তত: ১২শ কোটি টাকার টেন্ডার আহবান করে শুষ্ক মৌসুমের মধ্যে কাজগুলোর গুনগতমান বজায় রেখে দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য প্রকল্প পরিচালক এবং প্রধান প্রকৌশলীকে নিদের্শনা প্রদান করেন।

    তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি ঘূর্নিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে নগরীর উপকূলীয় এলাকা ও বাংলাদেশের বৃহত্তম ভোগ্য পণ্যের পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জ, চাক্তাইয়ে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা অবর্ণনীয়। সিটি মেয়র বলেন, ৩৭নং ওয়ার্ডে সøুইস গেইটের কারণে জলোচ্ছাসে কৃষি জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ববরাবরে ক্ষতিগ্রস্থ ফসলি জমির ক্ষতিপুরণ প্রদান করে সর্বাতœক সহযোগিতার আহ্বান জনান।

    তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোশেনের সাবেক মেয়র এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী আয় বর্ধক প্রকল্পের মাধ্যমে চসিককে একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। পরবর্তীতে সে সমস্ত আয়বর্ধক প্রকল্পগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে। নগরীর কোথায়-কোথায় সিটি কর্পোরেশনের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে তার একটি প্রতিবেদন তৈরী করে জানানোর জন্য বলা হলেও অদ্যাবধি সেই প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। এছাড়া চসিকের যে সকল মার্কেট রয়েছে সেগুলোর গুলোর কি অবস্থা আয়ের পরিমান সহ প্রকৃত হিসাব পাওয়া যায়নি। এমনকি চসিকের যে ভূ-সম্পত্তি গুলোর নামজারি পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি। তিনি এষ্ট্রেট শাখাকে তিনভাবে বিভক্ত করে ভূ-সম্পত্তি শাখাকে গতিশীল করা পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নিদের্শনা প্রদান করেন। সেই সাথে সভায় ভূ-সম্পত্তি শাখার জন্য আলাদা একটি স্থায়ী কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    আজ বৃহস্পতিবার সকালে চসিকের পুরাতন নগর ভনের কে.বি আবদুস সত্তার মিলনায়তনে ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ২১তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। চসিক সচিব খালেদ মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ।

    মেয়র আরো বলেন, মশক নিধন কার্যক্রম নগরীর সকল ওয়ার্ডে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চলমান আছে তা অব্যাহত এবং ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে জনগনকে সচেতন করার জন্য মোবাইল কোর্ট অব্যাহত রাখা এবং প্রচার প্রচারনা আরো জোরদার করতে হবে। তিনি ঢাকায় প্রতিটি সিটি কর্পোশেনের মশক নিধনের জন্য ২ কোটি টাকার যে বরাদ্দ দেয়া হয় অনুরুপ চসিকের আয়তন বিবেচনায় সে পরিমান বরাদ্দ প্রদানের জন্য আবেদন করা হবে বলে উল্লেখ করেন।

    রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে গতিশীলতা আনয়নে গুরুত্বারোপ করে মেয়র বলেন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা কর আদায়ে কঠোরতা অবলম্বন না করলে রাজস্ব আয় হ্রাস পাবে। ফলশ্রুতি চসিক বিশাল জনবলের বেতন ভাতা ও নগরীর চলমান উন্নয়ন কাজ থমকে যাবে। তিনি রাজস্ব বিভাগকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর জন্য প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন। এছাড়া নালার উপর অনুমোদনহীন যে স্ল্যাব স্থাপিত হয়েছে যেসব স্ল্যাবগুলো সুনিদিষ্ট পরিমান নির্ণয় করে যথাযথ ফি আদায়ে নির্দেশনা প্রদান করেন। এ ছাড়া ও রাজস্ব আদায়ে ক্ষেত্রে কোন কর্মকর্তা কর্মচারীর দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে সাথে সাথে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এমনকী চাকুরীচ্যূত করা হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

    বিদ্যুৎ বিভাগের উদ্দেশ্য মেয়র বলেন, চসিক এলাকায় কোন সড়ক বাতি না জ্বললে সেই এলাকার সুপারভাইজারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, শহরে আলোকায়নে বাল্ব, টিউব লাইটসহ প্রয়োজনীয় সকল মালামাল অন্তত ৬ মাসের জন্য মজুদ রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।

    তিনি আরো বলন, চসিকে বর্তমানে যে দুটি টেন্সিং গ্রাউন্ড আছে তাতে আগামী কয়েক মাসের পর আবর্জনা রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে বিধায় হাটহাজারী এলাকায় নতুন টেন্সিং গ্রাউন্ড স্থাপনের জন্য ভূমি জোগাড়ের প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যদিকে মাদার বাড়িস্থ চসিকের জায়গাটি সংস্কার করে সেখানে যান্ত্রিক বিভাগের যানবাহন গুলো রক্ষনাবেক্ষণ ও মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।

    তিনি চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃক অনুমতিবিহীন সড়ক কর্তন করা থেকে বিরত থাকারসহ যে সড়ক কর্তন ফি জমা প্রদান করবে তার বাহিরে সড়ক কর্তন করলে চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ, ঠিকাদার ও চসিকে দায়িত্বরত প্রকৌশলীকে জবাব দিহিতার আওতায় আনার ঘোষনা দেন। তিনি ওয়াসার কর্তৃক সড়ক কর্তৃনের ব্যাপারে কোন কোন সড়ক কর্তন করার পরিকল্পনা আছে তা চসিককে ৬ মাস পূর্বে অবহিত করার আহ্বান জানান। সভায় মোহরা ছাফা মোতালেব কলেজের প্রতিষ্ঠাতার আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটিকে চসিকের অধিভূক্ত করার জন্য প্রস্তাব সবসম্মতিক্রমে গৃহিত হয়।

    সভার শুরুতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাস্তবায়নকৃত এলিভেটর এক্সপ্রেস ওয়ের উপর একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে কাউন্সিলরগণ কোন কোন স্থানে কী সমস্যা আছে তা প্রকল্প পরিচালককে অবগত করেন। প্রকল্প পরিচালক এব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেকে অবগত করবেন এবং উভয় সংস্থার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন।

    সভার আরম্ভে কোরআন তেলাওয়াত ও নগরীর বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণসহ তাঁদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।

  • ডেঙ্গু চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে সচেনতনতার বিকল্প নেই: চসিক মেয়র

    ডেঙ্গু চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে সচেনতনতার বিকল্প নেই: চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, সিটি কর্পোরেশন নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু চিকনগুনিয়া প্রতিরোধের মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা প্রকাশ্য স্থানে ও নালা নর্দমার স্তুপকৃত ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করে যাচ্ছে। কিন্তু এভাবেই মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা সম্ভব নয়। মশার প্রার্দূভাব থেকে মুক্তি পেতে নগরবাসির মাঝে এবিষয়ে সচেতনতাও জরুরী। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন নগরীর গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তিনি বলেন, সমন্বিত মশক নিধন ব্যবস্থাপনার আওতায় প্রথম পদক্ষেপটিই হচ্ছে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ব্যবস্থাপনা। আমাদের চারপাশের যেখানে এডিস মশা জন্মানোর লক্ষন দেখা যায় সেসব স্থান সম্পর্কে সকলকে সচেতন হতে হবে। আবহাওয়াগত কারণে নগরীতে এখন মশার উপদ্রব বেড়েছে। এই ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডের ঝোঁপঝাড় পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও নালা-নর্দমায় যেখানে মশা জন্ম হয় সেখানে ওষুধ ছিটানো হবে।তিনি আরো বলেন, আমাদের যে পরিমান মশা ধ্বংসকারী ওষুধ আছে এই ওষুধের সদব্যবহারের মাধ্যমে প্রাপ্ত বয়স্ক মশা নিধনের জন্য এলডিসাইড এবং মশার ডিম বা লার্ভা ধ্বংসের জন্য লার্ভিসাইড ওষুধ ছিটানো হবে।

    আজ বৃহস্পতিবার সকালে চকবাজার ওয়ার্ডে চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ ক্যাম্পাস, কলেজ রোড, হাফেজ টাওয়ার, মরিয়ম হাউস ও দেবপাহাড় এলাকায় মশক নিধন কার্যক্রমে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম পরিদর্শনকালে সিটি মেয়র একথা বলেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন-চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মারফা বেগম নেলী ও আকবর আলী, প্রনব শর্মা প্রমুখ।

    সিটি ময়র ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে নগরবাসির সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ইতোমধ্যে ডেঙ্গু-চিকনগুনিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। এই রোগ প্রতিরোধে নগরবাসির উদ্যেশ্যে তিনি বলেন, পরিস্কার ও বদ্ধ পানিতে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র। তাই বাসাবাড়ির আশপাশে ডাবের খোসা, ফুলের টব, অকেজো প্লাষ্টিক বোতল, টায়ার, এয়ারকন্ডিশন ও ফ্রিজের নিচের ট্রেতে তিন দিনের বেশি পানি যাতে জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

    তিনি বলেন, বাড়ির আঙ্গিনা ও ছাদ বাগান নিজ নিজ উদ্যোগে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এটা আমাদের সকলের নাগরিক দায়িত্ব। মেয়র চট্টগ্রাম নগরীকে একটি স্বাস্থ্যকর নিরাপদ বাসযোগ্য ও পরিচ্ছন্ন নগরীতে পরিনত করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

  • স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে প্রথম যে কন্ঠটি ধ্বণিত হয়েছিল তা এম এ হান্নানের

    স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে প্রথম যে কন্ঠটি ধ্বণিত হয়েছিল তা এম এ হান্নানের

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭১সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করা হয়েছিল তিনি ছিলেন তৎকালিন চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা এম.এ হান্নান। ইতিহাস থেকে এম.এ হান্নানের নাম মুছে দিতে একটি স্বার্থন্বেসী মহল হাজার চেষ্টা করলেও ইতিহাসের প্রকৃত সত্য কেউ গোপন করতে পারে না। ইতিহাস তার নিয়মেই চলবে।

    তিনি আজ রোববার (১২ জুন) সকালে এম.এ হান্নানের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ষ্টেশন রোডস্থ চৈতন্নগলি কবরস্থানে এম.এ হান্নান স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে এ কথা বলেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, আবদুস সালাম মাসুম, কাজী নরুল আমিন, পুলক খাস্তগীর, মোহাম্মদ জাভেদ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম, মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি বখতিয়ার উদ্দিন খাঁন, অধ্যাপক মাসুম চৌধুরী, আমির আহমদ প্রমুখ।

    মেয়র আক্ষেপ করে বলেন, এম.এ হান্নানের কবরটি চিহ্নিত করে একটি নাম ফলক লাগানোর কাজটি করতে নানাভাবে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। আতি দায়িত্ব নেয়ার পর একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে নিজের দায়বদ্বতা থেকে এম.এ হান্নানের নামে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরী নির্মণ করি।

    তিনি বলেন, ইতিহাসে চট্টগ্রামের অনেক গুণিজনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। চট্টগ্রাম প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে উপ মহাদেশের ইতিহাসে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। তাই যাদের যে অবদান আছে তার স্বিকৃতি দেয়া এবং নতুন প্রজম্মকে তাঁদের গৌরব গাঁথা সম্পর্কে ধারনা দিতে নগরীতে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই উদ্যেগের বাস্তবায়ন হলে নতুন প্রজম্ম গুণিজনদের সমৃদ্ধ ইতিহাস পাবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

  • কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডকে ৬ জোনে বিভক্ত করা হবে-মেয়র

    কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডকে ৬ জোনে বিভক্ত করা হবে-মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আগামী ঈদুল আযহার কোরবানির বর্জ্য নগরী থেকে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হবে। এ লক্ষ্যে নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করা এবং কোরবানির পশুর বর্জ্য চসিক কর্তৃক সরবরাহকৃত পলিব্যাগে ভর্তি করে নির্ধারিত স্থানে রাখার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিযয়েছেন।

    তিনি বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৪১ টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য নগরীকে ৬ টি জোনে বিভক্ত করা হযয়েছে। প্রতিটি জোনে একজন করে কাউন্সিলর কে দাযয়িত্ব প্রদান করা হয়।

    দায়িত্ব প্রাপ্তরা হলেন ১,২,৩,৮,১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ১নং জোনের দায়িত্বে থাকবেন কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাব ৪,৫,৬,৭,১৭,১৮,১৯ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ২নং জোনের দায়িত্বে থাকবেন কাউন্সিলর এসরারুল হক ৯,১০,১১,১২,২৩ ও ২৪।

    ২৫ ও ২৭ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ৩নং জোনের দায়িত্বে থাকবেন কাউন্সিলর মো.নুরুল আমিন। ২০,২১,২২,৩৩,৩৪ ও ৩৫নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ৪ নং জোনের দায়িত্বে থাকবেন কাউন্সিলর হাজী মোঃ নূরুল হক। ১৬,২৮,২৯,৩০,৩১ ও ৩২ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ৫নং জোনের দায়িত্বে থাকবেন কাউন্সিলর আবদুল সালাম মাসুম। ২৬,৩৬,৩৭,৩৮,৩৯, ৪০ ও ৪১ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ৬নং জোনের দায়িত্বে থাকবেন কাউন্সিলর আবদুল বারেক।

    এ কার্যক্রমের সার্বিক তত্ত্বাবধান করবেন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী।

    এছাড়া ৪১ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর কে ওয়ার্ড ভিত্তিক দাযয়িত্ব পালন করতে হবে। কোরবানী-দিন বর্জ্য পরিবহনের জন্য ৩৪৫ টি গাড়িসহ প্রযয়োজনীয় যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এছাড়া কোরবানির চামড়া যত্রতত্র না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে মেয়র অনুরোধ জানান। সুষ্ঠু চামড়া ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধি, লবণ আড়তদার, চামড়া আড়তদারের সমন্বযয়ে একটি সভা অনুষ্ঠানের কথা জানানো হয়।

    তিনি আরফিন নগর এবং হালিশহর ডাম্পিং পয়েন্টকে কোরবানির বর্জ্য রাখার উপর্যুক্ত করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

    আজ বুধবার অপরাহ্ণে চসিক সম্মেলন কক্ষে কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ সব পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেন।

    চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে সচিব খালেদ মাহমুদ এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী, শাহেদ ইকবাল বাবু, এসরারুল হক, মো. নুরুল আমিন, হাজী নুরুল হক, আব্দুস সালাম মাসুম, আব্দুল বারেক, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যা.) আকবর আলি, উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোর্শেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।