Tag: চসিক মেয়র

  • নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হলে পরিপূর্ণ রাজস্ব আদায় ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেইঃ চসিক মেয়র

    নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হলে পরিপূর্ণ রাজস্ব আদায় ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেইঃ চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর নগরীকে সুন্দর ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হলে পরিপূর্ণ রাজস্ব আদায় ছাড়া বিকল্প কোন পথনেই। বাংলাদেশে যতগুলো সিটি কর্পোরেশন আছে তার মধ্যে চসিক সর্ববৃহত। সরকারের পক্ষ থেকে অতীতে সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন কাজে যে থোক বরাদ্দ দেয়া হতো এখন তা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ ও নাগরিক সেবা দিতে হবে। সেই ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব আদায়ে শতভাগ গতিশীলতা আনতে হবে। জুন মাস হচ্ছে রাজস্ব আদায়ের চুড়ান্ত সময়। এই সময়ের মধ্যে অন্তত ৯৫% শতাংশ রাজস্ব আদায় সুনিশ্চিত করতে হবে। এখানে দায়িত্ব এড়িয়ে চলার কোন অবকাশ নেই এবং তা পরিলক্ষিত হলে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    আজ মঙ্গলবার (৭ জুন) বিকাল ৩ ঘটিকার সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অস্থায়ী নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে রাজস্ব বিভাগের কর কর্মকর্তা ও উপ কর কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে এতে আরোও বক্তব্য রাখেন সচিব খালেদ মাহামুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীসা মহাজন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, রাজস্ব কর্মকর্তা সামশুল তাবরীজ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম, মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী ও বিভিন্ন সার্কেলের কর কর্মকর্তাগণ বক্তব্য রাখেন।

    মেয়র আরো বলেন, কর ধার্য্য করতে গিয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে অসংগতি পরিলক্ষিত হয়েছে। এই অংসগতি গুলো বিবেচনায় নিয়ে সহনশীল পর্যায়ে কর নির্ধারণ করে করদাতাদের করমূখী করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তিনি বলেন, চসিক কোন কর এই পর্যন্ত বৃদ্ধি করে নাই তবে করের আওতা বৃদ্ধি করেছে যেমন কারো একতলা ভবন ছিল সেই ভবনটি পাঁচ তলা হয়েগেলে চারতলা করের আওতায় আসবে। এটি কোন অবস্থায়ই কর বৃদ্ধি হতে পারে না। তিনি চসিকের ২৬টি খাতের উপর কর আদায়ের বিধিবিধান থাকলেও এখনো অনেক খাত করের আওতার বাহিরে আছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ইমারত নির্মাণের ক্ষেত্রে কর আদায় করলেও চসিক তা কার্যকর করেনি। অন্যদিকে নগরীর বড় বড় টাওয়ার, প্রাইভেট হাসপাতাল, মিল/ফ্যাক্টরী ইত্যাদির সামনে অনেকেই নর্দমার উপর স্ল্যাব নির্মাণ করলেও তা করের আওতায় আনা হয়নি। তিনি অবিলম্বে এই সমস্ত ¯েøবের তালিকা তৈরী করে কর আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশদেন।

    তিনি বলেন, নগরীতে লক্ষ লক্ষ প্রতিষ্ঠান ব্যবসা পরিচালনা করলেও অনেক প্রতিষ্ঠান ট্রেড লাইসেন্স বিহীন ব্যবসা পরিচালনা করছে। এদের তালিকা তৈরী করে ট্রেড লাইসন্সের আওতায় আনার জন্য ও নির্দেশনা প্রদান করেন। মেয়র ইমারত খাতসহ অন্যান্য খাতগুলোকে করের আওতায় কি প্রক্রিয়ায় আনা যায় এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি রাজস্ব বিভাগের লোকবলের সমস্যা থাকলে তা অন্য বিভাগ থেকে এনে সমন্বয় করার জন্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে আহবান জানান।

    মেয়র নগরবাসির নাগরিক সেবা নিশ্চিত ও নগরীকে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন নগরীতে রূপান্তরের জন্য যার যার অবস্থান হতে নগরবাসির প্রতি সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানান।

  • প্রয়োজনীয় ওষুধসহ চসিকের ডাক্তার ও নার্সদের আহতদের চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকার নির্দেশ মেয়র’র

    প্রয়োজনীয় ওষুধসহ চসিকের ডাক্তার ও নার্সদের আহতদের চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকার নির্দেশ মেয়র’র

    সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের মাঝে ছুটে যান সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি গতরাত ২টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং দুর্ঘটনায় আহতদের প্রয়োজনীয় দ্রুত চিকিৎসা প্রদানে মেডিকেলের ডাক্তাদের আহ্বান জানান।

    মেয়র চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ঔষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান করেন। আহতদের চিকিৎসায় চসিকের ডাক্তার ও নার্সদের এগিয়ে আসার নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটকে প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহের নির্দেশনাও প্রদান করেন।

    তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন সকল দূর্যোগের সময় সাধারণ মানুষের পাশে ছিলো এবং থাকবে।

    তিনি এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দূর্গতদের পাশে যে সকল চিকিৎসক, নার্স, স্বেচ্ছাসেবী, শিক্ষার্থীসহ এগিয়ে আসছে তাদের ধন্যবাদ জানান। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন এবং দূর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে যারা নিহত হয়েছেন এবং দূর্ঘটনার কবলে পড়ে নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোক সপ্তপ্ত পরিবার বর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন ।

  • ব্যক্তিগত সফরে সিটি মেয়রের মালয়েশিয়া যাত্রা, ভারপ্রাপ্ত মেয়র গিয়াস উদ্দিন

    ব্যক্তিগত সফরে সিটি মেয়রের মালয়েশিয়া যাত্রা, ভারপ্রাপ্ত মেয়র গিয়াস উদ্দিন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ব্যক্তিগত সফরে আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। যাত্রার প্রাক্কালে মেয়রকে বিদায় জানান চসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আতাউল্লাহ চৌধুরী, আবদুস সালাম মাসুম, এসরারুল হক, সংক্ষিত কাউন্সিলর ও উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ। তিনি ঢাকা থেকে সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ার পথে রওনা করবেন। মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী মালয়েশিয়া সফর শেষে আগামী ২৪ মে দেশে ফিরবেন বলে কথা রয়েছে।

    সিটি মেয়র মালয়েশিয়ায় অবস্থানকালীন সময়ে বাগমনিরাম ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ মো. গিয়াস উদ্দিন ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন।

    আজ অপরাহ্নে মো. গিয়াস উদ্দিন ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, নগর উন্নয়ন ও নাগরিক সেবায় সকলকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে এবং নাগরিক সেবা যাতে বিঘ্নিত না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

    মো. গিয়াস উদ্দিন ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করায় নগরীর বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতি, রাজনৈতিক সংগঠনসহ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সিবিএ নেতৃবৃন্দ তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ও সফলতা কামনা করেন।

  • চসিক মেয়রকে সম্মাননা জানাল ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ

    চসিক মেয়রকে সম্মাননা জানাল ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরীকে সম্মাননা জানাল চট্টগ্রামের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ।

    আজ সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে চসিক মেয়রের দাপ্তরিক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মেয়রের হাতে এ সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজের প্রকাশক নুর মোহাম্মদ রানা।

    সম্মাননা গ্রহণ শেষে ২৪ ঘন্টা নিউজের একজন নিয়মিত পাঠক মন্তব্য করে মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী পোর্টালের সাথে সম্পৃক্ত সকল সংবাদকর্মী ও কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা এবং শুভ কামনা জানান।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন ড. মাসুম চৌধুরী ও সার্ক মানবাধিকার চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল ও অন্যান্যরা।

  • পলিথিনের যথেচ্ছ ব্যবহার আর মেগা প্রকল্পের ধীরগতিতেই বর্ষায় দুর্ভোগঃ মেয়র রেজাউল করিম

    পলিথিনের যথেচ্ছ ব্যবহার আর মেগা প্রকল্পের ধীরগতিতেই বর্ষায় দুর্ভোগঃ মেয়র রেজাউল করিম

    সমম্বয়হীনতা ও নাগরিক অসচেতনতা নাগরিক জীবনে অভিশাপ নিয়ে আসে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    বহদ্দারহাটস্থ নিজ বাস ভবনে শুক্রবার (২ জুলাই) বিকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি আরো বলেন, সমম্বিত উদ্যোগ ও নাগরিক সচেতনতা স্মার্ট সিটি গড়ার পূর্বশর্ত। আর্থিক দেনা, উন্নয়ন কাজের বিড়ম্বনা ও বৈশ্বিক মহামারীর দুঃসময়কে সাথে করে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগরের মানুষের সেবায় সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব গ্রহন করার আগে থেকেই উন্নয়ন কাজে সংশিশ্লষ্ট সকল সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কাজে সমম্বয় সাধন অবশ্যই প্রয়োজন মনে করি। সমম্বয়ের অভাবে জনগণের অর্থ ও সময়ের অপচয় হয়, নাগরিক দুর্ভোগ বাড়ে। ফলে সরকারী সেবা সংস্থা গুলোর উপর মানুষের মনে বিরূপ ভাব, আস্থার সংকট ও অসহযোগিতার মনোভাব পরিলক্ষিত হয়।

    দায়িত্ব গ্রহনের সাথে সাথেই ১০০ দিনের কাজের পরিকল্পনায় রুটিন কাজকে অব্যাহত রেখে অধিকতর জরুরী কিছু সেবা কার্যকে অগ্রধিকার দিয়ে প্যাচওয়ার্ক শুরু করি। মশকনিধন, বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, বেহাল সড়কগুলোর সংস্কার এবং আলোকায়নসহ চসিকের সেবামূলক পরিধিতে গতিশীলতা আনয়ন এবং আয়বর্ধক প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা যাচাই ও উপায় অন্বেষণ এর সাথে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমকে অধিকতর গুরুত্ব দেয়া হয়।

    অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে জলাবদ্ধতা ও জলামগ্নতা চট্টগ্রামের দীর্ঘ দিনের সমস্যা। এ সমস্যা নিরসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিকতার সহিত চট্টগ্রামের মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন, মেগা প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন।

    চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৬১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। প্রকল্পটি সরাসরি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া এ প্রকল্প ২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজ শেষ না হওয়ায় এক বছর সময় বাড়িয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়, এ কাজ এখনো শেষ হয়নি। নগরীর পানি নিস্কাশনের প্রধানতম খাল ও নালা গুলোর প্রায় প্রত্যেকটির জায়গায় জায়গায় বাঁধ দেয়া রয়েছে এবং খাল ও নদীর সংযোগ স্থলে বাঁধ দিয়ে স্লুইচ গেইট ও টাইডাল ওয়াটার রেগুলেটর সিস্টেম নির্মানের কাজ অসম্পূর্ণ। তাই বর্ষা মৌসুম শুরুর অনেক আগে থেকেই আমি শংকা করছিলাম অল্পবৃষ্টিতেই বন্ধ পানি নগরীর অলি, গলি ও রাস্তাঘাট ডুবিয়ে বাসাবাড়ীতে প্রবেশ করে অবর্ণনীয় দুর্দশার সৃষ্টি করতে পারে। তাই সিডিএকে অনুরোধ করেছিলাম বর্ষা মৌসুমের জন্য অস্থায়ীভাবে ও দ্রুততার সহিত খাল-নালার বিভিন্ন জায়গার বাঁধগুলো অপসারন করতে এবং খালের মুখে পানি বের করার জন্য অস্থায়ী পথগুলোকে আরো সম্প্রসারিত করতে। যে কোন কারণেই হোক এটি করা হয়নি বা করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি, তাই মৌসুমের প্রথম পসলা বৃষ্টিতেই নগরীর অধিকাংশ এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়। বৃষ্টির পানিতে উন্নয়নও নির্মান কাজের বালি, মাটি, বর্জ্য ও আবর্জনা খাল নালায় পতিত হয়ে জমে গেলে কয়েক ঘন্টা সময়ের মধ্যেই জরুরী ভিত্তিতে তা অপসারন করে এবং কিছু কিছু বাঁধ কেটে দিয়ে পানি চলাচলের রাস্তা করে দিই। ফলে, দুর্ভোগের এ মাত্রা আর বাড়তে পারেনি। তবুও ভারী বৃষ্টিপাত হলে এখনো নগরীর বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে যাচ্ছে, দ্রুততার সাথে পানি অপসারণ হচ্ছেনা।

    নিজ বাড়ীর সামনে জমে থাকা পানি দেখিয়ে তিনি বলেন, কোথাও কোথাও ১২ থেকে ১৮ঘন্টা, এমন কি চব্বিশ আটচল্লিশ ঘন্টায়ও পানি সরে যেতে পারেনি। সেখানে নাগরিক দুর্ভোগ চরম মাত্রাকেও ছাড়িয়েছে। চসিকের নিয়মিত পরিষ্কার অভিযানে দেখা যায় আবর্জনার এক তৃতীয়াংশই থাকে পলিথিন ও প্লাস্টিক জাতীয় পণ্যের বর্জ্য। এসব বর্জ্য অসচেতনভাবে খাল নালায় নিক্ষেপ করছে মানুষ। ফলে জলাবদ্ধতা নিরসনে ও পানি নিষ্কাশনে অন্তরায় হয়ে আছে পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্যের বর্জ্য। এমন সময়ে চট্টগ্রাম শহরকে জলাবদ্ধতামুক্ত রাখা, পরিবেশ রক্ষা ও কর্ণফুলী নদীর প্রবহমানতা ফিরিয়ে আনতে ড্রেজিং কাজে বড় বাঁধা এসব প্লাস্টিক পন্য ও পলিথিন। পলিথিনের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে নদী ও শহর বাঁচাতে পর্যায়ক্রমে পলিথিন উৎপাদন বন্ধ করতে চাই আমরা। এ ব্যাপারে সর্বমহল থেকে চসিককে সহযোগিতা করতে হবে।

    সবশেষে বলতে চাই, আসুন সকলেই নিজের শহরকে সুরক্ষিত, সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ও বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে সচেতনতার সাথে নিজেদের সহযোগি হই। সিটি কর্পোরেশনের কাজে সহযোগিতার হাত বাড়াই। ‘আমার শহর, আমার অহংকার’ গড়বো একযোগে।’

  • মেয়রের উৎসাহ ও দিক-নির্দেশনায় বেড়েছে চসিকের রাজস্ব বিভাগের কর আদায়

    মেয়রের উৎসাহ ও দিক-নির্দেশনায় বেড়েছে চসিকের রাজস্ব বিভাগের কর আদায়

    নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) রাজস্ব বিভাগ গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার ৪৭ শতাংশ পৌরকর আদায় করেছে। এর মধ্যে বেসরকারি হোল্ডিং ৫১ শতাংশ এবং সরকারি হোল্ডিংয়ে আদায় হয়েছে ৪৪ শতাংশ। বেসরকারি হোল্ডিং থেকে রাজস্ব আদায়ে প্রথম হয়েছে রাজস্ব সার্কেল-৫। গত অর্থ বছরে পৌরকরসহ সব খাত থেকে রাজস্ব বিভাগ আয় করেছে ২৭৯ কোটি ৫৮ লাখ ৯১ হাজার ৭৮৭ টাকা। তার আগের অর্থবছরে আয় হয়েছিল ২৫৩ কোটি ৭ লাখ ১৯ হাজার ৯৮৬ টাকা।

    অর্থাৎ গত বছরে ২৬ কোটি ৫১ লাখ ৭১ হাজার ৮০১ টাকা বেশি আদায় হয়েছে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, রাজস্ব বিভাগকে তিনি নিয়মিত মনিটরিং করেন। সার্কেল ভিজিট করে কর আদায়ে উৎসাহ দেন। কর আদায়কারীরা যাতে দ্রুত হোল্ডিং মালিকদের কাছে যেতে পারেন সেই লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশন থেকে ঋণ দিয়ে তাদেরকে মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার ফাইল তিনি ইতোমধ্যে অনুমোদন করেছেন। এই ঋণের কিস্তি প্রতি মাসে তাদের বেতন থেকে গ্রহণ করা হবে। যারা কর আদায়ে ভাল পারফরমেন্স করেছেন তাদেরকে পুরষ্কার প্রদানেরও ঘোষণা দেন তিনি।

    চসিকের রাজস্ব বিভাগ জানায়, গত অর্থবছরে সরকারি এবং বেসরকারি মিলে চসিকের মোট পৌরকর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩৩ কোটি ২৪ লাখ ২১ হাজার ৮৬৩ টাকা। ২০২০ সালের ১ জুলাই হতে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চসিকের মোট ৮টি রাজস্ব সার্কেল পৌরকর আদায় করেছে ১৫৭ কোটি ৯২ লাখ ২১ হাজার ৬০ টাকা ৪৫ পয়সা। এর মধ্যে সরকারি হোল্ডিং থেকে আয় হয়েছে ৭০ কোটি ৩৮ লাখ ৪৩ হাজার ৬৪৮ টাকা ২০ পয়সা। যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৪৪ শতাংশ। বেসরকারি হোল্ডিং থেকে আয় হয়েছে ৮৭ কোটি ৫৩ লাখ ৭৭ হাজার ৪১২ টাকা ২৫ পয়সা। সার্কেলসমূহের মধ্যে সর্বোচ্চ বেসরকারি গৃহকর আদায় হয়েছে ৫ নম্বর সার্কেলে।

    এই সার্কেলে আদায়ের হার ৭২ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ৬ নম্বর সার্কেল এবং ৩ নম্বর সার্কেল। এই দুই সার্কেলের আদায়ের হার ৬৯ শতাংশ। এর পরে রয়েছে সার্কেল ৪ – এর আদায় ৫৮ শতাংশ। ২ নম্বর সার্কেলে আদায় ৫৬ শতাংশ। ৭ নম্বর সার্কেল আদায় করেছে ৫৪ শতাংশ এবং সার্কেল-১ এর আদায় ৫০ শতাংশ। সর্বনিন্ম ২০ শতাংশ আদায় করেছে সার্কেল-৮। এছাড়া সরকারি পৌরকর আদায়ের ক্ষেত্রে প্রথম হয়েছে তিন নম্বর সার্কেল। এই সার্কেলের আদায় ১৬৯ শতাংশ। দ্বিতীয় হয়েছে ৭ নম্বর সার্কেল। তাদের আদায় ৭৯ শতাংশ। ৫৮ শতাংশ আদায় করে তৃতীয় হয়েছে সার্কেল-২। ৪৫ শতাংশ আদায় করেছে ৮ নম্বর সার্কেল, ৩৯ শতাংশ আদায় করেছে ১ নম্বর সার্কেল, ২৯ শতাংশ আদায় করেছে ৬ নম্বর সার্কেল, ২৪ শতাংশ আদায় করেছে ৪ নম্বর সার্কেল এবং ১৪ শতাংশ আদায় করেছে ৫ নম্বর সার্কেল।

    এছাড়াও ট্রেড লাইসেন্স বাবদ আদায় করেছে ২৩ কোটি ২০ লাখ ৪৫ হাজার ৮০৯ টাকা, ভূমি হস্তান্তর কর ৫৬ কোটি ৪৪ লাখ ৭৩ হাজার ২০৬ টাকা, বিজ্ঞাপণ কর ৩৩ লাখ ২৯ হাজার ৬৯ টাকা, সপসাইন ফি ৫ কোটি ৮১ লাখ ৭১৩৮ টাকা, বিনোদন কর ২৩ হাজার ৪৫৬ টাকা, যান্ত্রিক যানবাহন ফি ১৫ লাখ ৮১ হাজার ১০ টাকা, অযান্ত্রিক যানবাহন ফি এক লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা, বিবিধ আয় ২৭ লাখ ৬৩ হাজার ৬১৬ টাকা, এস্টেট ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ২৮ হাজার ৯৬২ টাকা।

    জানতে চাইলে চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, অর্থবছরের শেষের দিকে রাজস্ব আদায়ে ক্রাস প্রোগ্রাম চালানো হয়েছে। তাতে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। ভবিষ্যতে আদায়ের হার আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে তারা কাজ করছেন বলে জানান তিনি।

    জানতে চাইলে রাজস্ব সার্কেল-৫ এর কর কর্মকর্তা এ কে এম সালাউদ্দিন বলেন, বর্তমান মেয়র দায়িত্ব নেয়ার পর রাজস্ব আদায়ের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। হোল্ডিং মালিকদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে নয়, তাদেরকে বুঝিয়ে কর আদায় করতে হবে। মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী মানুষকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। মানুষ স্বেচ্ছায় কর প্রদান করেছে। তিনি এর আগে ৬ নম্বর সার্কেলে ছিলেন উল্লেখ করে বলেন, ওইসময়েও কর আদায়ের ক্ষেত্রে পরপর তিন বার প্রথম হয়েছিলেন। ৫ নম্বর সার্কেলে বদলি হয়ে এসেছেন। এখানেও প্রথম হয়েছেন। ৫ নম্বর সার্কেলও প্রথমবারের মত কর আদায়ে প্রথম হয়েছে।

    বর্তমান মেয়র ভাগ্যবান উল্লেখ করে বলেন, তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই অনেক পুরানো বকেয়া আদায় হয়েছে। তাছাড়া নতুন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে কাজের স্বাধীনতা দিয়েছেন। তাছাড়া ৬ নম্বর সার্কেলে যে টিম নিয়ে কাজ করেছি সেই টিম ৫ নম্বর সার্কেলেও পেয়েছি। তাদের সাথে নিয়ে কাজ করে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি।

  • সরকারি বিধিনিষেধ মানুন, প্রয়োজনে আরো আইসোলেশন সেন্টার হবে: চসিক মেয়র

    সরকারি বিধিনিষেধ মানুন, প্রয়োজনে আরো আইসোলেশন সেন্টার হবে: চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো.রেজাউল করিম চৌধুরী নগরবাসীকে আগামীকাল (১ জুলাই) বৃহস্পতিবার থেকে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন কর্মসূূচী পালনে নিজের সুরক্ষার স্বার্থে শতভাগ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, সংক্রমণ বাড়া স্বত্বেও আমাদের মধ্যে করোনা নিয়ে এখন ভীতি কেটে গেছে। এই প্রবণতা ভাল নয়। ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণও নগরবাসীকে সচেতন করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সচেতনতায় লিফলেট বিলির পাশাপাশি মাইকিং করা হবে। প্রয়োজনে আরো আইশোলেসান সেন্টার স্থাপন করা হবে।

    তিনি আজ বুধবার (৩০ জুন) দুপুরে নগরীর টাইগারপাশস্থ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশেন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম কমিটির তৃতীয় সভায় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    কর্পোরেশেনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.সেলিম আকতার চৌধুরীর সঞ্চলনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, কাউন্সিলর ড.নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, শাহেদ ইকবাল বাবু, সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) এ.এস.এম জামশেদুল খন্দকার, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. রাজীব পালিত প্রমুখ।

    বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা.হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, আমাদের এবার যে কোন ভাবে সরকারি নির্দেশনা মানতে হবে। না হয় বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, গতকালও চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫ জনের মতো মৃত্যুবরণ করেছে। আজ (৩০ জুন) সংক্রমণের হারও ২৯ শতাংশ। কাজেই অযথা ঘুরাঘুরি বন্ধ করা ও মাস্ক পরিধানের বিকল্প আর কোন পথ নাই। হাসান শাহরিয়ার কর্পোরেশন স্থাপিত আইসোলেশান সেন্টার ভাল ভূমিকা রাখেছে বলে উল্লেখ করেন।

    বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক শাহরিয়ার নগরবাসীকে সাবধানতা অবলম্বনের পাশাপাশি আতংকিত না হওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, আমাদের কাছে এখনো পর্যাপ্ত অক্সিজেন সংগ্রহ আছে।
    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন আমাদের দায়িত্ব হলো সরকারি নির্দেশনা পালন ও বাস্তবায়ন করা। তবে কর্পোরেশনকে নগরবাসীর স্বার্থে জরুরি সেবা সমূহ চালু রাখতে হবে। যেমন নগরের স্বাস্থ্যসেবা ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম।

    কর্পোরেশেনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.সেলিম আকতার চৌধুরী সাবেক মেয়র মনজুর আলম তাঁর প্রতিষ্ঠান আলহাজ মোস্তফা হাকিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নগরীর গুরুতর কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিনামূল্যে কর্পোরশেনের স্বাস্থ্য বিভাগকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে চায় বরে অভিহিত করেন।

    সভাপতির বক্তব্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী আরো বলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশেনের স্বাস্থ্যবিভাগ করোনার টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে বেশ সাফল্য দেখিয়েছে। টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হলে আবারো তারা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবেন এটা আমার প্রত্যাশা।

    মেয়র করোনাকালে নগরবাসীর চিকিৎসার সহায়তা একটি হটলাইন নাম্বার চালু আছে বলে জানান। হটলাইন নম্বর হল (৬৩৪৫৮৪)। তিনি নগরীর করোনা রোগীদের প্রয়োজনে কর্পোরেশনের চালু থাকা লালদিঘী পাড়ে স্থাপিত আইসোলেশন সেন্টার থেকে চিকিৎসা নেয়া যাবে উল্লেখ করেন। এখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফ সহ এম্বুলেন্স সার্ভিস, রোগীদের বিনামূল্যে খাবার ও ওষুধের ব্যবস্থা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। কাজেই নগরবাসীকে কোন ধরণের আতংকিত না হয়ে নিজে ও অপরের সুরক্ষা নিশ্চিত করে চলতে আহ্বান জানান।

  • চট্টগ্রামে রূপায়ন সিটির কাস্টমার রিলেশনশিপ সেন্টার উদ্বোধন করলেন চসিক মেয়র

    চট্টগ্রামে রূপায়ন সিটির কাস্টমার রিলেশনশিপ সেন্টার উদ্বোধন করলেন চসিক মেয়র

    রূপায়ণ সিটি কাস্টমার রিলেশনশিপ সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম এর প্রাণকেন্দ্র আগ্রাবাদের আকতারউজ্জামান সেন্টারে। এখন থেকে গ্রাহকদের আরও অধিকতর সেবা এবং তথ্য প্রদানের জন্য মঙ্গলবার দুপুরে (২৩ মার্চ) রূপায়ণ সিটি কাস্টমার রিলেশনশিপ সেন্টারটি উদ্বোধন করেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

    রূপায়ণ সিটি উত্তরা বাংলাদেশ প্রথম প্রিমিয়াম মেগা গেটেড কমিউনিটি এবং বাংলাদেশের প্রথম সিটি ব্র্যান্ড রূপায়ণ সিটির একটি প্রিমিয়াম লাইফস্টাইল প্রকল্প। প্রায় ৬৩ ভাগ খোলা জায়গা নিয়ে এ শহর গড়ে উঠেছে ১৩৫ বিঘা জমির উপর। এই প্রিমিয়াম কমিউনিটি লিভিং এ থাকছে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড কমিউনিটি ক্লাব, কর্ণার শপ, স্কুল, মসজিদ, প্লে-গ্রাউন্ডসহ নাগরিক জীবনের সকল সুবিধা এবং প্রেস্টিজ, প্রটেকশন ও প্রিভিলিজের সম্পূর্ণ নিশ্চয়তা।

    দেশের প্রথম সিটি ব্র্যান্ড – রূপায়ণ সিটির পক্ষ থেকে চট্টগ্রামবাসীর প্রতি স্বাগত জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের বর্তমান সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, ঢাকার প্রাণকেন্দ্র উত্তরায় চট্টগ্রামবাসীর একটি সেকেন্ড হোমের গর্বিত মালিক হবার জন্য সকলেরই একবার রূপায়ণ সিটি উত্তরা পরিদর্শন করা উচিত।

    এছাড়া উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্স এর সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার ফারুক ও রূপায়ণ সিটির হেড অফ সেলস রেজাউল হক লিমন সহ গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ।

  • স্বাস্থ্যবিধি ও শিষ্টাচার না মানলে বড় বিপদ আসন্ন : চসিক মেয়র

    স্বাস্থ্যবিধি ও শিষ্টাচার না মানলে বড় বিপদ আসন্ন : চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিদের্শিত স্বাস্থ্যবিধি ও শিষ্টাচার যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    মেয়র এক বিবৃতিতে বলেন, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ছোবলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। সরকারের কার্যকর পদক্ষেপে প্রথম পর্যায়ে করোনা সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব সামাল দেয়া সম্ভব হলেও করোনা সংক্রমণ মুক্ত বিশ্ব পরিস্থিতি শতভাগ নিশ্চিত হয়নি। তাই ভ্যাকসিন বা টিকা আবিস্কৃত ও মানবদেহে এর প্রয়োগ শুরু হওয়ার পরও কাউকে একেবারে নিরাপদ ভাবার কোন অবকাশ নেই। এ কারণে আমাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি ও শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে।

    এক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র অবহেলা করা হলে নিজের ও অপরের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। আমাদেরকে ঘরের বাইরে চলা- ফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, বার-বার হাত ধূতে হবে, স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবানু মুক্ত করতে হবে, জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং সর্বোপরি বিয়ে-শাদিসহ সকল সামাজিক অনুষ্ঠানে সীমিত অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনানুসারে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা, জনসমাগম পরিহার এবং উপলক্ষমূলক অনুষ্ঠানাদি সীমিত পরিসরে আয়োজন না করা হলে এবং অতীব প্রয়োজন ব্যতীত সাধারণ কর্মসূচি বন্ধ না রাখা হলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে ।

    তিনি নগরবাসীকে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে মাস্ক পরিধান ও পারস্পরিক শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে আরো সজাগ ও দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানান। তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন যে, স্বাস্থ্যবিধি ও শিষ্টাচার না মানলে বড় বিপদ আসন্ন।

  • ‘চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী ও ব্যবসা বান্ধব করতে সমন্বিত উদ্যোগ চাই’

    ‘চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী ও ব্যবসা বান্ধব করতে সমন্বিত উদ্যোগ চাই’

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন চট্টগ্রামকে সত্যিকার অর্থে বানিজ্যিক রাজধানী ও ব্যবসা বান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে তা কখনো ব্যক্তিক বা একক উদ্যোগে সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ ও আন্তরিক প্রচেষ্টা।

    চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে যে – অবস্থান বা সংগঠনগত কাঠামোতে আমরা থাকিনা কেন সকলকে একই সূত্রে সোচ্চার হতে হবে। তিনি আরো বলেন, মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রামের অবস্থান পাল্টে যাবে এবং এর ইতিবাচক সুফল জাতীয় বা আঞ্চলিক পর্যায়েই শুধু নয় বৈশ্বিক স্তরে ও বিস্তৃত হওয়ার অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে। এই প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সম্পদ অর্জনের পরিধি বৃদ্ধিসহ শক্তিশালী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে রুপান্তর সবচেয়ে বেশী প্রাসঙ্গিক পূর্বশর্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়।

    তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী চসিক ভবনে তাঁর দফতরে বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে একথা বলেন।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রামের পরিকল্পিত উন্নয়ন চাই। এজন্য তড়িঘড়ি করতে চাই না। যা কিছু করবো তা স্থায়ী ভাবে করবো। এজন্য সকলের পরামর্শ নেবো এবং সর্বসম্মত ও সমন্বিত সিদ্ধান্ত নিয়েই টেকসই উন্নয়ন করবো। এতে ভাল মন্দের অংশীদার কেউ একা নয়, আমরা সকলেই।

    তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, চট্টগ্রামের উন্নয়নের সাথে যে সকল সেবা সংস্থা সম্পৃক্ত এবং মেগাপ্রকল্পগুলো যাদের হাতে রয়েছে তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতায় প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গতিশীলতা আসছে না। এক্ষেত্রে সমন্বয়ের দায়িত্ব সঙ্গত কারণে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেয়রের উপরে বর্তায় । কিন্তু মেয়রের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব সীমিত। এই অবস্থায় মেয়রের কর্তৃত্ব খাটানোর আইনগত অধিকার প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো উল্লেখ করেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের সমন্বয় সভায় সেবা সংস্থার সঠিক প্রতিনিধিত্ব হয় না। অনেক সেবা সংস্থার প্রধানরা না এসে তাদের অধীনস্থ নামকাওয়াস্তে একজন প্রতিনিধি পাঠিয়ে দেন। এতে সমন্বয় সভার গুরুত্ব থাকেনা এবং কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা যায় না।

    বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি এম. এ. সালাম বলেন, করোনা কালে তৈরী পোশাক রফতানী শিল্প মুখ থুবড়ে পড়েনি। আল্লাহর অশেষ রহমত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতা এবং সঠিক সিদ্ধন্তে এই শিল্পের চাকা সচল ছিলো। এই খাতে তাঁর দেয়া সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনায় আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি এবং জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সম্ভব হয়েছে।

    তিনি আরো উল্লেখ করেন, প্রয়াত মেয়র এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রামের আন্দোলন – সংগ্রাম ও রাজনৈতিক কর্মসূচীতে গার্মেন্টস শিল্পকে আওতার বাইরে রেখে সচল রেখেছিলেন। চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানী ও রফতানী কার্যক্রম ব্যাহত হতে দেননি। তাই আমরা স্বস্তিতে ছিলাম।

    তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ মানে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম ঘুরে দাঁড়ালে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। চট্টগ্রামে সরকারের মেগা প্রকল্প- বিশেষ করে কর্ণফুলীর নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল, বেটার্মিনাল ও গভীর সমুদ্র বন্দর বাস্তবায়ন হয়ে গেলে চট্টগ্রাম বৈশ্বিক গুরুত্ব পাবে। গভীর সমুদ্র বন্দর একটি বহুমাত্রিক আন্তর্জাতিক টার্মিনালে রূপান্তরিত হবে। চট্টগ্রাম শুধুমাত্র রিজিওনাল কানেক্টিভিটি নয়, ভারত-নেপাল-ভুটান-মিয়ানমার-ণাওস-চীন পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল কানেক্টিভিটির যোগসূত্র হিসেবে বিবেচিত হবে। ফুলগাজী-মিরসরাই-সীতাকুন্ডে উপকূলবর্তী দেশের বৃহত্তম শিল্প ও অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে অচিরেই গড়ে উঠতে যাচ্ছে। এছাড়া দক্ষিণ চট্টগ্রামে চীন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিলেজ গড়ে তুলতে চায়। এই সম্ভাবনার আলোকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সক্ষমতার পরিধি বিস্তার খুবই জরুরী।

    তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও তাঁর নির্বাচিত পরিষদকে সকল সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করে বলেন, চট্টগ্রামকে জাতীয় স্বার্থে একটি আন্তর্জাতিক মানের নগরীতে রূপান্তরে সমন্বিত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার কোন বিকল্প নেই।

    আরো বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ সহ-সভাপতি এ.এম. চৌধুরী সেলিম, সহ-সভাপতি অঞ্জন শেখর দাশ, পরিচালক মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, এনামুল আজিজ চৌধুরী এবং প্রাক্তন প্রথম সহ-সভাপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ এবং উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ড. নেছার আহমেদ মঞ্জু, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক।

  • চেইন অব কমান্ড মেনে চলার আহবান মেয়র রেজাউল করিমের

    চেইন অব কমান্ড মেনে চলার আহবান মেয়র রেজাউল করিমের

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, সম্মিলিতভাবে কাজ করলে যেকোন কাজেই সফলতা লাভ করা যায়। এজন্য দরকার কাজ করার মানসিকতা। যার যার অবস্থান থেকে নগর উন্নয়নে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান সিটি মেয়র।

    তিনি আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশনের যেকোন বিভাগেই শৃঙ্খলা যেনো নষ্ট না হয় সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে। চেইন অব কমান্ড যেনো লঙ্ঘিত না হয় সে বিষয়ে সিনিয়র- জুনিয়র সকলকেই সজাগ থাকতে হবে। একটি প্রতিষ্ঠানের সফলতা নির্ভর করে তার শৃঙ্খলার উপর।

    বুধবার ১০ মার্চ বিকেলে চসিকের সভাকক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শ্রমিক ও কর্মচারী লীগ (সিবিএ) নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে সিবিএ নেতৃবৃন্দরা শ্রমিক কর্মচারীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মেয়রকে দাবীনামা পেশ করেন।

    সিটি মেয়র দাবীনামা গ্রহন করেন এবং উনার বক্তব্যে গ্রহনযোগ্য দাবী – দাওয়া নিয়ে ভেবে দেখবেন বলেও জানান।

    সংগঠনের সভাপতি ফরিদ আহমদ এর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজিবুর রহমান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর নেছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • বনজ সম্পদ রক্ষায় গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে : চসিক মেয়র

    বনজ সম্পদ রক্ষায় গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে : চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, দেশের বনজ সম্পদ রক্ষায় গবেষণার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। গবেষণা কাজে নিয়োজিত বিজ্ঞানীরা হলেন দেশের সম্পদ। তাদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি আধুনিক বিশ্বের সাথে আমাদেরকে বসবাসে উপযোগী করে তোলে। তাই বনজ সম্পদ রক্ষা ও সম্প্রসারণ গবেষণার কোন বিকল্প নাই।

    তিনি আজ বিকেলে নগরীর মুরাদপুরস্থ বিএফআরআই মিলনায়তনে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট এর উদ্ভাবিত প্রযুক্তি সম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. মাসুদুর রহমান। শুরুতে প্রতিষ্ঠানের মুখ্য গবেষণা কর্মকর্তা বিজ্ঞানী রফিকুল হায়দার তাদের গবেষণা কার্যক্রমের একটি সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

    এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজনৈতিক নেতা এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ সরোয়ার্দী।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র আরো বলেন, আগে বনজ সম্পদের উপর কোন গবেষণা ছিলো না, এখন যা হচ্ছে। আগে প্রাকৃতিকভাবে বন সৃষ্টি হতো। তখন মানুষ নিজের প্রয়োজনে বন সম্পদকে নিজের উপযোগী করে ব্যবহার করতো। এখন যেমন কাঠের বিকল্প বাঁশ ব্যবহার হচ্ছে।

    তিনি বলেন, এখন দেশে জনসংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি খাদ্য উৎপাদন ও বেড়েছে। খাদ্যে এখন বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। ১৬ কোটি মানুষের দেশে খাদ্য ঘাটতি এখন নাই বললেই চলে। কাজেই সবক্ষেত্রেই গবেষণার কোন বিকল্প নাই। মেয়র বন গবেষণার কাজে নিয়োজিত বিজ্ঞানীদের গবেষণা কার্যক্রম দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    উল্লেখ্য ১৯৫৫ সালে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়।