Tag: চসিক মেয়র

  • রেজাউল নাকি শাহাদাত, কে হচ্ছেন চসিক মেয়র?

    রেজাউল নাকি শাহাদাত, কে হচ্ছেন চসিক মেয়র?

    গত বছরের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ষষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে নির্বাচনের আট দিন আগে তা স্থগিত করা হয়। এরপর পরিস্থিতির উন্নতি বিবেচনায় ১০ মাস পর চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি ভোটের দিন ঠিক করে নির্বাচন কমিশন।

    সে অনুযায়ী আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ইভিএমসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম।নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপির দুই প্রার্থীর বাইরে আরও ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন রেজাউল করিম চৌধুরী। বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ডা. ডা. শাহাদাত হোসেন। এরবাইরে অন্য প্রার্থীরা হলেন এনপিপি’র আবুল মনজুর (আম), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন (মোমবাতি), স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী (হাতি), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা)।

    নির্বাচনে মেয়র পদে সাত প্রার্থী থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যেই। এদিকে, ৪১টি সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৩৭ জন। এবার ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিম মারা যাওয়ায় সেখানে কাউন্সিলর নির্বাচন হবে না। তবে ওই ওয়ার্ডে মেয়র পদে ভোটগ্রহণ হবে। ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হারুন অর রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাই এই ওয়ার্ডেও এবার কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হচ্ছে না। তাই বুধবার (২৭ জানুয়ারি) নগরীর ৩৯টি ওয়ার্ড নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ৩৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৪টিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

    চট্টগ্রাম সিটিতে ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩। নারী ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন। এবার ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রের ৪ হাজার ৮৮৬টি ভোট কক্ষে এই ভোটাররা ভোট প্রদান করবেন।

    ভোট গ্রহণে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ৭৩৫ জন, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ১৪৭০ জন, পোলিং ও কর্মকর্তা ২৯৪০ জন দায়িত্ব পালন করবেন।নিরাপত্তার দায়িত্বে মোট ১৮ হাজার পুলিশ ও আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে র‌্যাবের সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। ইতোমধ্যে ২৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি ২০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৬৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন।

    রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এবার নগরীর ৭৩৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। বুধবার সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হবে। আশা করছি, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে বিকাল ৪টায় নির্বাচন শেষ হবে। ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীকে মেয়র নির্বাচিত করতে পারবেন নগরবাসী।’

  • করোনাকালে জেগে উঠুক ক্রান্তিকাল উত্তরনে বজ্রকন্ঠ : মেয়র নাছির

    করোনাকালে জেগে উঠুক ক্রান্তিকাল উত্তরনে বজ্রকন্ঠ : মেয়র নাছির

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য ‘বজ্রকণ্ঠ’ নামকরণে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ভাস্কর্য তৈরী করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। চট্টগ্রামের হালিশহরস্থ বড়পুল মোড়ে নির্মিত হয়েছে সুবিশাল এই ভাস্কর্য।

    আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বঙ্গবন্ধুর এই ভাস্কর্যের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

    উদ্বোধনকালে সিটি মেয়র বলেন, এই‘বজ্রকণ্ঠ’ ভাস্কর্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিরচেনা সেই ভঙ্গিতে তাঁর ‘বজ্রকণ্ঠে’ ভাষণের অভিব্যক্তিকে। বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আর দূরদর্শী রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় বাঙালি অর্জন করেছিল একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ।

    বাংলাদেশ আজ যখন শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ইত্যাদিতে উন্নতির ধারাবাহিকতায় এগিয়ে চলছে তখন এলো বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সময়ের সাহসী কণ্ঠস্বর জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী। তাঁর দৃপ্ত কণ্ঠের বজ্রধ্বনি কাঁপিয়ে দিয়েছিল সাম্রাজ্যবাদী পাকিস্তানী শক্তির ভীত এবং ঐক্যবদ্ধ করেছিল সমগ্র বাঙালি জাতিকে। ভাষণরত বঙ্গবন্ধুর শক্তিশালী সেই হাতটিই যেন সমগ্র বাঙালি জাতির ঐক্যবদ্ধতার প্রতীক।

    তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রায় পঞ্চাশ বছর পার করতে চলেছে। জাতির অতীত গৌরবময় পর্বকে নতুন প্রজন্মের সামনে মূর্ত করে তুলে ধরতেই ‘বজ্রকণ্ঠ’ শিরোনামের এই ভাস্কর্য প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে, যা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে উদ্দীপ্ত করবে নিঃসন্দেহে। একটি দেশের শিল্প- সংস্কৃতিতে ভাস্কর্যও একটি শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ ভাস্কর্য (পাবলিক প্রেস স্কাল্পচার) পৃথিবীর বহুদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক হিসাবে প্রভাব বিস্তার করছে।

    ‘বজ্রকণ্ঠ’ নামের ভাস্কর্যটিও আমাদের জাতির মানষপটে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারবে, দেশবাসীর মধ্যে দৃঢ়তর করতে পারবে ঐক্যের বন্ধন। বঙ্গবন্ধুর নীতি আদর্শকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা ও মুক্তিযুদ্ধের অভিনাসী চেতনাকে ধারণের চিন্তা-চেতনার শিল্পীত রূপকল্পটি বাঙালি জাতি সত্ত্বার অস্তিত্তের ভিত্তি সোপান।

    ‘বজ্রকণ্ঠ’ ভাস্কর্যটি নির্মাণ ও স্থাপন কাজে চসিকের ব্যয় হয়েছে ৮৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এর উচ্চতা সাড়ে ২২ ফুট, বেইজসহ (বেদি) পুরো ভাস্কর্যের উচ্চতা ২৬ ফুট। সাদা সিমেন্টের (আর.সি.সি) ঢালাই এর মাধ্যমে ভাস্কর্যটি স্থায়ী রূপপ্রাপ্ত হয়, যার ওজন প্রায় ৩০ টন। এর পূর্বে প্রায় ৪ মাস সময় ধরে মাটি (মডেলিং ক্লে) দিয়ে মূল ভাস্কর্যের আদলটি তৈরী করা হয়েছিল। মাটির তৈরী ওই আদলকে (অনূকৃত) প্রথমে জনসম্মুখে উন্মোচিত করা হয়েছিল।

    গণমাধ্যমের সংবাদ প্রতিনিধিদের ব্যাপক উপস্থিতিতে এই অনুকৃতির দিনব্যাপী প্রদর্শণী অনুষ্ঠিত হয়, যা ছিল সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। এর মাধ্যমে বরেণ্য প্রথিতযশা বেশ কয়েকজন শিল্পী ও শিল্প- শিক্ষকের মূল্যবান পরামর্শ পাওয়া সহজ হয়েছিল। উক্ত পরামর্শের আলোকে ভাষ্কর্যের মাটির অনুকৃতিকে (আদল) কয়েক দফা পরিমার্জন করে উপরোক্ত পরামর্শমতে শিল্পকর্মটির মাটির মডেলিং সম্পাদন করা হয়েছিল।

    ‘বজ্রকণ্ঠ’ ভাস্কর্যটির দীর্ঘ স্থায়িত্বকাল নিশ্চিত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এর বেদীর (বেইজ) ভূগর্ভস্থ অংশ ও উপরিতলের অংশে রডের কাঠামো এমনভাবে দেয়া হয়েছে যা স্বাভাবিক মাত্রার ভূমিকম্পেও ক্ষতিগ্রস্থ হবে না। মূল ভাস্কর্যের (আর.সি.সি) ঢালাই ও শক্তিশালী এম.এস রডের কাঠামোর পাশাপাশি কিছু বিশেষ জায়গায় এস.এস রড ব্যবহৃত হয়েছে। দীর্ঘতর সময়কাল স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে পানি, অক্সিজেন ও লবণ ঘটিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমাতে বিশ্বসেরা কোম্পানী থেকে সংগৃহীত ক্যামিকেল-যৌগ ঢালাই এর মিশ্রণে সুনির্দিষ্ট অনুপাতে মিশানো হয়েছে। এছাড়া কিউরিং (পানিশোষণ প্রক্রিয়া) পর্ব পার করে ভাস্কর্যকে পূর্ণ শুকিয়ে নিয়ে এতে শেওলা প্রতিরোধী ক্যামিকেল স্প্রে (ওয়েদার কোট) ব্যবহার করা হয়েছে। ভাস্কর্যের সলিডিটির অনুভূতিকে বাঁচিয়ে রাখতে ‘ফেয়ার-ফেস’ পদ্ধতিতে এর ঢালাই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের তৎকালীন পরিচালক শিল্পী শায়লা শারমিন এবং নাট্যব্যক্তিত্ব আহমেদ ইকবাল হায়দারের পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে এই ভাস্কর্যকর্ম সৃজিত। এই ভাস্কর্যের ভাস্কর হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ভাষ্কর মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম ভাস্কর্যের নকশা (মডেল) প্রণয়ন থেকে শুরু করে মূল ভাস্কর্য নির্মাণের সার্বিক কর্মকান্ড সম্পাদনা করেন।

    এই ভাস্কয্য তৈরীতে সহযোগী শিল্পী হিসেবে ছিলেন জয়াশীষ আচার্য্য, তপন ঘোষ ও মোহাম্মদ পারভেজ আলম,শিক্ষার্থী বিলাস মন্ডল, নুর-এ-আলা সিদ্দিক, গোপাল কৃষ্ণ রুদ্র, মোস্তাফিজুর রহমান তোহা, জয়দীপ দেওয়ানজী।

    এই ভাস্কর্যের অন্যতম একজন সহ-শিল্পী তরুণ ভাস্কর্য তপন ঘোষ এই নামটি নাম ‘বজ্রকণ্ঠ’ প্রস্তাব করেছিলেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোঃ তৈয়ব,সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান এই ভাস্কর্য নির্মাণের ক্ষেত্রে নানাভাবে অবদান রেখেছেন। তারা এই ভাস্কর্যের বেইজমেন্টের ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িং প্রণয়নসহ নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন।

    এছাড়াও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এ ভাস্কর্য বাস্তবায়নে ভূমিকা রেখেছেন। উদ্বোধনকালে কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল, নাজমুল হক ডিউক, হাসান মুরাদ বিপ্লব, এরশাদ উল্লাহ, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফরোজা কালাম, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, টিআইসি’র পরিচালক আহমেদ ইকবাল হায়দার, মেয়রের একান্ত সহকারী রায়হান ইউসুফ, আতিকুল ইসলাম, শায়লা শারমিন, সাবেক কাউন্সিলর লায়ন মোহাম্মদ হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, ঝুলন কান্তি দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল আলম পিপিএম, সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান, প্রকৌশলী রেজাউল বারী, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স জে বি ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ জাবেদ আলম, রাজনীতিক বেলাল আহমদ, এনামুল হক মুনীরি, আবু সুফিয়ান, এস . এম মামুনুর রশিদ, সুমন দেবনাথ, আনিসুর রহমান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

    কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে প্রস্তুতি সভায় মেয়র
    বিকেল ৫ টার মধ্যে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের বর্জ্য অপসারণ করতে হবে

    করোনা মহামারীকালে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে আসন্ন কোরবানির ঈদের বর্জ্য অপসারণে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। বিগত বছরের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবারো ঈদের দিন বিকেল ৫ টার মধ্যে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের বর্জ্য অপসারণের পরিকল্পনা নিয়েছে কর্পোরেশন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সম্মেলন কক্ষে আজ বৃহষ্পতিবার বিকেলে এ লক্ষ্যে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন একথা জানান।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বর্জ্য ষ্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হাজী নুরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় চসিক কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোবারক আলী, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

    সভায় বক্তাগণ বর্জ্য অপসারণে তাদের মতামত, লোকবল ও গাড়ির চাহিদা ও পরিকল্পনার কথা সভায় তুলে ধরেন।

    ৪১টি ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্ন বিভাগের সুপারভাইজাররা বর্জ্য অপসারণে তাদের কাজের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় ওয়াকিটকি, গাড়ি, টমটম গাড়ি, বেলছা, ঝাড়ু, হুইল ভেরু’র চাহিদার কথা উল্লেখ করে তা সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন।

    উল্লেখ্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবার ৪টি জোনে বিভক্ত হয়ে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করবে। ৪টি জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোবারক আলী’র ওয়ার্ডসমূহ ১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,১৫ ও ১৬, দ্বিতীয় জোনের দায়িত্বে কাউন্সিলর মো. আবদুল কাদের’র ওয়ার্ড সমূহ ২৩,২৭,২৮,২৯,৩০,৩৬,৩৭,৩৮,৩৯,৪০ ও ৪১, তৃতীয় জোনের দায়িত্বে কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক’র ওয়ার্ড সমূহ ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪,৩৫ এবং চতুর্থ জোনের দায়িত্বে কাউন্সিলর মোরশেদ আকতার চৌধুরী’র ওয়ার্ড সমূহ ৯,১০,১১,১২,১৩,১৪,২৪,২৫ ও ২৬। আর এ কাজের জন্য কর্পোরেশন প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক, ৩৫০ টি গাড়ি, পশু জবাইকৃত স্থানে ২০ টন ব্লিচিং পাওডার ছিটানোর ব্যবস্থা করেছে।

    এর মধ্যে সরু রাস্তা ও গলি থেকে বর্জ্য অপসারণের জন্য টমটম, হুইল ভেরু ও বর্জ্য অপসারণ কাজ তদারকিতে নিয়োজিত পরিচ্ছন্ন বিভাগের সুপারভাইজারদের জন্য সিএনজিচালিত ট্যাক্সির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

    এ ছাড়া কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নাগরিকদের সহযোগিতা চেয়ে চট্টগ্রামের স্থানীয় পত্রিকাগুলো বিজ্ঞাপন প্রচার, প্রতিটি ওয়ার্ডের মসজিদগুলোতে শুক্রবার জুমার খুতবায় ইমাম সাহেবের মাধ্যমে প্রচার, হ্যান্ড বিল ও লিফলেট বিলির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এবারো বর্জ্য অপসারণে কোন ওয়ার্ডে যত ট্রিপ গাড়ি দেওয়া প্রয়োজন তা দেয়া হবে জানানো হয়েছে। এ জন্য দামপাড়াস্থ চসিক কার্যালয়ে ১টি কন্ট্রোলরুম খোলাসহ চসিকের প্রকৌশল বিভাগের যান্ত্রিক শাখা ও পরিবহন পুলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন কোরবানির ঈদের বর্জ্য অপসারণে নগরবাসী সকল ওয়ার্ড কাউন্সিলর, কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন, প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

    মেয়র বিশেষ করে এবারে করোনা মহামারীকালে সর্বোচ্চ সর্তকতার সহিত পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার পরামর্শ দেন।

    তিনি এবারো অন্যান্য বারের মত বর্জ্য অপসারণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সাফল্য ধরে রাখতে পারলে পরিচ্ছন্ন বিভাগের দায়িত্বরত শ্রমিক-সেবকদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানান।

    সভায় চসিক প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ সফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী সহ পরিচ্ছন্ন বিভাগের সুপারভাইজার ও দলনেতাগণ উপস্থিত ছিলেন।

    অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা লতিফুল আলম মৃত্যুতে সিটি মেয়রের শোক

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) লতিফুল আলম’র মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

    আজ এক শোকবার্তায় মেয়র মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লাল দিঘীর পাড়ে জ্ঞানের দুয়ার ও বহুমাত্রিক সেবার দুয়ার খুলে গেল: চসিক মেয়র

    লাল দিঘীর পাড়ে জ্ঞানের দুয়ার ও বহুমাত্রিক সেবার দুয়ার খুলে গেল: চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, মানবতা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ধর্ম, ইতিহাস, ঐতিহ্য অনুশীলন ও জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে পাঠাগারের কোন বিকল্প নেই। কলকাতাস্থ চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই পাঠাগারটি ১৯০৪ সালে উন্নত মানস গঠন চর্চায় চট্টগ্রামে এই লাইব্রেরীটি স্থানান্তর করে। চট্টগ্রাম নগরীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত লালদিঘীর পাড়ের এই লাইব্রেরীটি বিট্রিশ কাউন্সিল সহ অনেক পাঠাগার প্রতিষ্ঠানের জন্মসূত্র। এই পাঠাগারে অনেক দুর্লভ গ্রন্থ, প্রামাণ্য দলিলসহ অনেক প্রকাশনাপত্র সংরক্ষিত আছে। তবে ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি ও আর্থিক অসক্ষমতার কারণে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে পারেনি। আমার একাগ্রতা ও একান্ত ইচ্ছায় তা সম্ভব করতে পেরেছি। এজন্য এরসাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাই।

    আজ সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক পরিচালিত লালদিঘী কেন্দ্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রন দপ্তর, লাইব্রেরী কমিউনিটি সেন্টার কাম সাইক্লোন সেন্টারটি উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, এই শহরেই আমার বেড়ে উঠা। একসময় দেখেছি এই প্রতিষ্ঠানটির জৌলুষ। কিন্তু পরিচর্যার অভাবে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানটি অবহেলিত ও জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। এক সময় জ্ঞান অনুসন্ধানী নাগরিকরা এখানে ভিড় করতেন। তবে এর অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে এখানে সংরক্ষিত বই-পত্রসহ অনেক মূল্যবান দালিলিক পান্ডুলিপি ও লেখাপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। এটি আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের বিষয়। তারপরও এই অবকাঠামোটিকে জ্ঞান চর্চাসহ একটি বহুমাত্রিক সেবামূলক স্থাপনা হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এই পাঠাগারসহ বহুমাত্রিক সেবাপ্রতিষ্ঠানটি চালু হলে বই পড়ুয়াদের মনের খোরাক মিটবে। তবে এটাও সত্যি যে, একটি অবকাঠামোগত স্থাপনা হলেও লালন পালনের অভাব, বইপত্র সংগ্রহসহ অন্যান্য ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় আর্থিক সংকটের বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

    উল্লেখ্য ১৪ কোটি ১৭ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা ব্যয়ে সাতান্ন হাজার দুইশত স্কয়ারফুটের ৭ তলা বিশিষ্ঠ এই ভবনের নীচ তলায় থাকছে পার্কিং, সাবস্টেশন, জেনারেটর, প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ট্যাংক ও টয়লেট ব্লক প্রথম তলায় রয়েছে ৩ হাজার বর্গফুটের কমিউনিটি সেন্টার,রান্নাঘর ও টয়লেট ব্লক, ২য় তলায় রয়েছে কেন্দ্রীয় দূর্যোগ নিয়ন্ত্রণ অফিস, মিটিং রুম, হিসাব শাখা, শহর তথ্য কেন্দ্র, রেকর্ড রুম, নিয়ামক কক্ষ, জিআইএস ইউনিট, টয়লটে ব্লক, তৃতীয় তলায় আছে শিক্ষা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র,চতুর্থ তলায় আছে ১৬শ বর্গফুটের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী, কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার(ডিজিটাল ল্যাব)মিনি ক্যাফে, প্রশাসনিক কক্ষ, টয়লেট ব্লক, পঞ্চম তলায় রাখা হয়েছে,ফুটবল ক্লাব ও অন্যান্য ক্লাব,ওয়েটিং রুম,মিটিং রুম, ষষ্ঠ তলায় রয়েছে জিমনেশিয়াম(পুরুষ-মহিলা) ইনডোর গেইম, অফিসরুম, সপ্তম তলায় থাকছে ভিআইপি গেস্ট রুম, রুম সার্ভিস,চেঞ্জিং রুম।

    এ সময় চসিক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী রিফাতুল করিম চৌধুরী, মিজবাহ-উল আলম, লাইব্রেরিয়ান এ আর ফারুকী, সহকারী লাইব্রেরীয়ান সৈয়দা পারভীন, বেলাল আহমেদ, এস এম মামুনুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।

    ৩টি বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার উদ্বোধন
    নিজেকে সুরক্ষা ও সমাজকে সুরক্ষা করায় একটি মানবিক ও সামাজিক দায়

    মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, শিক্ষা সংস্কৃতি প্রসারের পাশাপাশি সামাজিক অগ্রগতি এবং দূর্যোগ মোকাবেলায় আজ যে তিনটি সেবামূলক স্থাপনাগত অবকাঠামো উদ্বোধন হলো তা একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। এইসব স্থাপনার ব্যবস্থাপনায় জনবল নিয়োগ ও সেবার মান অক্ষুন্ন রাখার উপর গুরুত্বারোপ করে মেয়র বলেন, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃত্ব মানুষের কাছাকাছি থাকলে মানবিক সংকট কখনো ঘণীভূত হবে না। তাই তিনি এই উদ্যোগের সাথে সংশ্লিষ্ট যারা ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন তাদের কর্মশক্তি ও সামাজিক দায়বদ্ধতাকে চলমান রেখে করোনাকাল পরবর্তী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এই স্থাপনাগত অবকাঠামো যাতে সত্যিকারভাবে স্থানীয়জনদের জীবন যাপনে সামাজিক নিরাপত্ত বেষ্টনী তৈরী করতে পারে, সেই লক্ষে প্রত্যেকেরই নিজ নিজ সামর্থ্য ও অবদানকে উৎসর্গ করা সম্ভব হলে এখানে আমাদের কোন দু:খ, হতাশা, ক্লান্তি ও অবসাদ থাকবে না। আজ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা এবং নিজেকে সুরক্ষা ও অন্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করে একটি কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করার ব্রত।

    আজ রবীন্দ্র নজরুল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার , পশ্চিম মাদারবাড়ী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার ও পূর্ব মাদারবাড়ী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

    এসব ভবন উদ্বোধনকালে শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, কাউন্সিলর হাজী ইসমাইল বালী, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম, নীলু নাগ, সাবেক কাউন্সিলর জহির আহমেদ, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী মিজবাহ-উল আলম, রিফাতুল করিম চৌধুরী, উপ সহাকারী প্রকৌশলী তানজিম ভূইয়া, মৃদুল কান্তি সিংহ, পশ্চিম মাদারবাড়ী সি/ক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপা চৌধুরী, রবীন্দ্র নজরুল চসিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুপর্না ধর, আওয়ামীলীগ নেতা আতাউল্লাহ চৌধুরী, আলহাজ্ব সালাউদ্দিন আহমেদ, শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, প্রকৌশলী আব্দুল রশিদ, উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য যে, ৯ কোটি ৫২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫ তলা বিশিষ্ঠ রবীন্দ্র নজরুল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার, ৫ কোটি ৪২ লাখ ১৮ হাজার টাকা ব্যয়ে পশ্চিম মাদারবাড়ী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার ও ৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে পূর্ব মাদারবাড়ী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার সমূহ নির্মাণ করা হয়। জাইকার অর্থায়নে প্রতিটি ৫ তলা ভবনগুলোতে রয়েছে আধুনিক পাঠদানের জন্য লিফট, ৩ফেইজ ডিজেল জেনারেটর,সোলার প্যানেল,অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা,শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, বজ্রনিরোধক, মেডিকেল বেড, ল্যাব টেবিল, ওভারহেড ট্যাংক, রেইন ওয়াটার হার্ভেষ্টিং সিস্টেম, টয়লেট ব্লক, ক্যান্টিন, টিচার্সরুম,মিটিং রুম.ফাষ্ট এইড মেডিকেল রুম, মাল্টিপারপাস হলরুম ও সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।

    পূর্বমাদার বাড়ীতে সেবক নিবাস উদ্বোধন করলেন মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, শহর পরিচ্ছন্ন রাখার গুরু কাজটি যারা করছে তারা আমাদের সেবক। এতদিন নিতান্তই অবহেলায় কেটেছে তাদের জীবন-মান। অথচ তাদের কারণেই আমরা প্রতিদিন সকালে একটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন নগরীর মুখ দেখতে পাই। তাদের জীবন-মান ও বাসস্থান উন্নয়নে তাই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাদের বাসস্থান তৈরীর জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় নগরীতে ৪টি সেবক নিবাস নির্মাণকাজ শুরু করেছি। এতে করে তাদের অনেকদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। আজ সকালে পূর্ব মাদারবাড়ী সেবক নিবাস নির্মাণকাজ উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

    এসময় মেয়র আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী এক আতংকের নাম করোনা ভাইরাস। করোনা মহামারীর কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে বিভিন্ন দেশে জরুরি অবস্থা জারী আবার কোথাও কোথাও শীতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ। এ অবস্থায় খেটে খাওয়া মানুষজনের আয়ের পথ সংকুচিত হয়েছে। এজন্য দুঃস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা সাময়িক দূর্ভোগে পড়েছে।

    তিনি বলেন, এই সংকটকালীন সময়ে সেবকরা নিজেদের নিরাপদে রেখে নগরবাসীর সেবা দান করছেন সেজন্য আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

    উল্লেখ্য ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪ তলা বিশিষ্ঠ এই সেবক নিবাসে ৬শ স্কয়ার ফুটের ২শটি পরিবারের জন্য ফ্লাট বরাদ্দ থাকছে। এতে থাকছে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা। উদ্বোধনকালে কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, নাজমুল হক ডিউক, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিলু নাগ, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমেদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, চসিক সিবিএ এর সভাপতি ফরিদুল আলম চৌধুরী, অতিরিক্ত পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, উপ সহকারী প্রকৌশলী নুর সোলেমান, হাজী বেলাল আহমদ, এস এম মামুনুর রশিদ, হরিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিষ্ণু লাল, কার্তিক দাশ, রঘুবীর দাশ উপস্থিত ছিলেন।

    দামপাড়া পুলিশ লাইনে এলইডি বাতি স্থাপন কাজের উদ্বোধন: দামপাড়া পুলিশ লাইনে আড়াই কিলোমিটার রাস্তায় ১ শটি পুল ও ১শটি এলইডি লাইট স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    এসময় তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ মহামারী করোনাকালীন সময়ে যে মানবিককতার হাত প্রসারিত করেছে তা প্রশংসনীয়।

    মেয়র সিএমপি কমিশনার এর সাহসী ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি নিজে করোনা আক্রান্ত হয়েও স্বীয় সাহসিকতায় তা মোকাবেলা করে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন তা অন্যদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

    ১ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সফল হলে অত্র এলাকায় বাসিন্দারা স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করার সুযোগ পাবেন।

    সিএমপি কমিশনার মাহবুবুর রহমান বিপিএম, পিপিএম চসিক কর্তৃক এই প্রকল্প বাস্তয়নের জন্য মেয়রের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করেন।

    এসময় মেয়র করোনাকালীন সেবা দিতে গিয়ে যেসমস্ত পুলিশ অফিসার ও কনস্টেবল মারা গিয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপণ করেন।

    এসময় চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম বিপিএম, মোস্তাক আহমেদ বিপিএম,পিপিএম, শ্যামল কুমার নাথ বিপিএম, উপ পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ, আমির জাফর, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশসহ সিএমপি ও চসিকের সংশিল্লষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • নগরী অন্ধকারে ডুবে থাকে না এটাই আমার বড় অর্জন : মেয়র নাছির

    নগরী অন্ধকারে ডুবে থাকে না এটাই আমার বড় অর্জন : মেয়র নাছির

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বরেছেন, নগরবাসী প্রদত্ত রায়ে মেয়র পদে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে সকলের সমন্বিত উদ্যোগে নাগরিক প্রত্যাশা পূরণ করার চেষ্টা করেছি। আমাকে নগরবাসী ৫ বছরের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে আমার দেয়া অঙ্গীকার ও নাগরিক প্রত্যাশা পূরণে আমি সচেষ্ট থেকেছি। নাগরিক সেবাবৃদ্ধিতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় নাগরিক প্রত্যাশা পূরণের পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছি। এই নগরী অন্ধকারে ডুবে থাকে না এটাই আমার বড় অর্জন।

    মেয়র বলেন, সিটি কর্পোরেশনের ঠিকাদারগণের প্রায় ১৮১ কোটি টাকা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ প্রায় ৩শ কোটি টাকার দায়-দেনার ভার কাঁধে নিয়ে আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। ধীরে ধীরে এই সংকট কাটিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে স্বাবলম্বী করেছি। আমি বিশ্বাস করি স্বদিচ্ছা থাকলে কঠিনকে জয় করা কোনো কঠিন কাজ নয়।

    তিনি বলেন, প্রশাসনিক শৃঙ্খলা এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনায়ন ও অনিয়ম দূর করার শতভাগ সফল হওয়ার লক্ষ্যেই আমি কাজ করেছি। কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বছরে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা ভূর্তুকি দেয়াসহ এ দু’টি বিভাগকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও নগরবাসীর প্রত্যাশা অনুযায়ী পরিচ্ছন্নতা, উন্নয়ন, আলোকায়নের সাথে সাথে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের পরিকল্পিত উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছি।

    নগরীর পরিবেশ উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যসম্মত নগরীর স্বার্থে রাতে আবর্জনা অপসারণ, নগরীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মোড়কে দৃষ্টিনন্দন ও সবুজায়ন এবং বিলবোর্ডমুক্ত নগরী উপহার দিয়েছি।

    মেয়র আক্ষেপ করে বলেন, বর্তমান চলমান সংকট করোনার কারণে সারা দেশের মত নগরীর উন্নয়নকাজে ধীরগতি হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চট্টগ্রামকে নান্দনিক, গ্রীন ও ক্লিন সিটিতে উন্নীত করণের যে প্রয়াস আমি হাতে নিয়েছি তা পরবর্তী নেতৃত্ব অব্যাহত রাখবে।

    আজ সকালে আন্দরকিল্লাস্থ চসিক পুরাতন নগরভবনের কেবি আবদুচ ছাত্তার মিলনায়তনে চসিক বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে সমন্বয় সভায় মেয়র এসব কথা বলেন।

    এসময় মেয়র করোনাকালীন দু:সময়ে চসিকের বিদ্যুৎ কর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় আলোকায়নের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনাদের দুরদর্শী কর্মক্ষমতায় এহেন সংকটকালীন সময়েও চসিকের সড়ক বাতি সচল ছিল। বর্তমানে ভারী বর্ষায়ও জনগণ স্বাচ্ছন্দে রাস্তায় চলাফেরা করতে পারছে। প্রধান প্রধান সড়ক ও অলি-গলিতে আলোকায়ন এখন চসিকের অন্যতম সেবা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামীতেও এমন কর্মদক্ষতা অব্যাহত রাখার জন্য মেয়র তাদের প্রতি আহবান জানান।

    বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মরত কর্মচারীদের হাতে চসিকের পরিচয় পত্র ও মুখে পরার মাস্ক তুলে দিয়ে সিটি মেয়র বলেন, ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে চসিকের বিদ্যুৎ লাইন হতে অসাধু একটি চক্র অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে এর অপব্যবহার করছে। এই বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সতর্ক থেকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে। চসিকের বিদ্যুৎকর্মীরা যাতে কোন ধরনের সমস্যায় না পরে সেজন্য চসিক প্রদত্ত পরিচয়পত্র সার্বক্ষণিক সাথে রাখার নির্দেশনাও দেন সিটি মেয়র।

    উল্লেখ্য যে, ১৯৯৪ সালের আগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ১৮টি ওয়ার্ড এলাকায় সড়ক বাতির ব্যবস্থা ছিল। পরবর্তীতে ৪১টি ওয়ার্ড এলাকায় আলো সেবা প্রদান কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে সম্প্রসারিত হয়। যার সংখ্যা বর্তমানে সোডিয়াম ও এলইডি বাতিসহ ৫১ হাজার ৫ শত ৭৩টি।

    সমন্বয় সভায় মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কান্তি দাশ, সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল বারী, আনোয়ারুল হক চৌধুরী,সালমা বেগম, সিবিএ’র জাহেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।

    আল মানাহিল নার্চার জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনে সিটি মেয়র

    নগরীর হালিশহরস্থ আল মানাহিল নার্চার জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন। পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন,করোনাকালে সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারী সামাজিক উদ্যোগ প্রকৃত অর্থেই নি:স্বার্থ মানবিক সেবামূলক প্রয়াস। আলমানাহিল নাচার জেনারেল হাসপাতাল করোনা আক্রান্তদের জন্য ৫০ শয্যা বিশিষ্ট যে চিকিৎসা কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা করেছেন তা সংকট উত্তরণের পাথেয় থাকবে। এই হাসপাতালটিতে ১২টি আইসিইউসহ রয়েছে ফ্রি অক্সিজেন সার্পোট ব্যবস্থা। এ হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়।

    এসময় কাউন্সিলর মোহাম্মদ আবুল হাশেম, মোহাম্মদ হোসেন হিরন, আল মানহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর চেয়াম্যান হেলাল উদ্দিন জমির উদ্দিন, ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ফরিদ উদ্দিন জমির উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান হাফেজ শিহাব উদ্দিন জমির উদ্দিন, হাসপাতালের পরিচালক এ ইউ এম সেলিম উল্লাহ, প্রধান সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ ও পরিচালক শরীফ উদ্দিন জমির উদ্দিন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    কমল মহাজন হাট অস্থায়ী পশুর বাজার পরিদর্শন ঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন পতেঙ্গায় কমল মহাজন হাট অস্থায়ী পশুর বাজার পরিদর্শনকালে বলেন, এবার ঈদ-উল আযহার কেরবানীর পশু বাজারে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচা-কেনার পর্বটি সম্পাদন করতে হবে। কারণ পরিস্থিতি বুঝে আমাদেরকে সঠিকভাবে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কে অযথা সময় ক্ষেপন না করে স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

    এসময় মেয়র বাজার ইজারাদার ও পশু বিক্রেতাদের নিরাপদ দূরত্ব বজিয়ে রেখে পশু বেচা কেনার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, নির্দ্দিষ্ট সীমার বাইরে যাতে কোন প্রকার পশু বেচা-কেনা না হয়। এর ব্যত্যয় ঘটলে সিটি কর্পোরেশন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় নামবেন।

    তিনি প্রধান সড়ক হতে কমপক্ষে ১শ গজ দূরত্বে পশু বাজার পরিচালনার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

    বাজার পরিদর্শনকালে কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হিরন, চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম ও বাজার ইজারাদারগণ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে চাই সমন্বিত উদ্যোগ : চসিক মেয়র

    উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে চাই সমন্বিত উদ্যোগ : চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ভূ-প্রকৃতিগত ভাবে চট্টগ্রাম হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক জনপদ। প্রায় ৭০ লক্ষ জনঅধ্যুষিত এই জনপদের কল্যাণ ও উন্নয়নে আমি আমার সামর্থ্য উজাড় করে দিয়েছি। নগরীর প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা, তা নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় কিছু মেগা প্রকল্প সংয্ক্তু হয়েছে। এগুলো বাস্তাবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। তবে জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ওয়াসাসহ যে সরকারি স্বায়ত্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো আছে তার পারস্পরিক সমন্বয় প্রয়োজন।

    নগর উন্নয়নে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে যেভাবে যা কিছু দরকার তা করতে আমি উদ্যোগী হয়েছি। আমি আশা করি এই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতা থাকবে। এই প্রচেষ্টা বাস্তবায়নে পরবর্তীতে যারা দায়িত্ব পালন করবেন রাজনীতিক হিসেবে আমি যে অবস্থানে থাকি না কেন তাতে আমি একাত্ব হবো।

    তিনি আরো বলেন, আমাদের এ নগরীর উপর প্রবাহিত ৩৬টি খাল পানি নিষ্কাশনের প্রধান নির্গমন পথ। এ নগরীতে যেগুলো পাহাড় পরিবেষ্টিত এলাকা রয়েছে তাথেকে যে মাটি নিচে নেমে আসে তার ফলে পানি নিষ্কাশন পথ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এজন্য একটি সঠিক পরিকল্পনা আগেই গ্রহন করা উচিত ছিল। তবে এখন যা হয়েছে তার বাস্তবায়ন যদি সম্ভবপর হয় তাহলে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি সমন্বয়ের উপরেই গুরুত্ব দিই।

    চট্টগ্রামের উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি ও আধাসরকারি সংস্থার কর্তৃপক্ষগণ সরকার নিযুক্ত ও নিয়োগকৃত। তবে জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেয়র পদে থেকে জবাবদিহিতার সকল দায়ভার আমার কাঁধে চেপে বসেছে। এই দায় বহন করে আমি কি করতে পেরেছি বা কি করতে পারিনি তার মূল্যায়ন নগরবাসীর উপর ছেড়ে দিলাম।

    তিনি আরো বলেন, পরিকল্পিত নগরায়নের ক্ষেত্রে যে কোন আবাসিক এলাকায় যুগোপযোগী যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত হলে যেখানে অধিবাসীদের জীবন স্বাচ্ছন্দ হবে। এই যোগাযোগ ব্যবস্থাপনাকে সক্রিয় রাখতেই আজ যে প্রকল্প শুরু হলো তার সুষ্ঠু ও যথাযথ বাস্তবায়ন সম্ভব হলে সকলেই উপকৃত হবেন।

    মেয়র আজ সকালে শুলকবহর ওয়ার্ডস্থ নাছিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৪ ও ৫ নং সংযোগ সড়কে ব্রিজ নির্মাণ কাজ, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অভ্যন্তরিন উন্নয়নকৃত রাস্তা ও দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির ৪র্থ প্রকল্পের মাটি ভরাট কাজের উদ্ভোধনকালে এসব কথা বলেন।

    মেয়র প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেন।

    এসময় কাউন্সিলর মোরশেদ আলম,সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসী, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, চসিক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো.কামরুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আবু সিদ্দিক, সহকারী প্রকৌশলী মিসবা উল আলম, নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির সেক্রেটারি মো. শাহাজাহান, মো. ইদ্রিস, যুবনেতা ওয়াহিদুল আলম শিমুল, এস এম মামুনুর রশিদ, আনিসুর রহমান,জাফর সাদেক,তাজ উদ্দিন মোহাম্মদ শিমুল, রাইসুল উদ্দিন,মেহাম্মদ রাশেদুল আমিন, আলাউদ্দিন আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।

    সিটি মেয়রকে স্মারকলিপি দিল
    চট্টগ্রাম কমিউনিটি সেন্টার মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীনের কাছে চট্টগ্রামের কমিউনিটি সেন্টার সমূহ পুনরায় চালু করার অনুমতিসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে স্মারক লিপি দিয়েছেন চট্টগ্রামের কমিউনিটি সেন্টার মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

    আজ সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক নগর ভবনে মেয়র দপ্তরে এই স্মারকলিপি গ্রহণকালে মেয়র বলেন, আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আপনাদের সুবিধা-অসুবিধা ও দুর্ভোগের কথা জানি। করোনাকালে যে দুর্ভোগ শুরু হয়েছে তাতে আজ অনেক কাজ ও উন্নয়নের গতি থেমে গেছে। বিশেষ করে কমিউনিটি সেন্টারগুলো বন্ধ থাকার কারনে এর সাথে সংশ্লিষ্ট ডেকোরেশন শ্রমিক, বাবুর্চী,বয়সহ অনেকেই বেকার হয়ে দুরাবস্থায় জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। তাই আপনাদের দাবী দাওয়ার প্রতি আমার সহানুভুতি এবং দায়িত্ব নিয়ে কিছু করা দরকার। আমি আপনাদের কথা শুনতে এসেছি, দাবি-দাওয়া শুনেছি। আমি, আপনি, আপনারা সংকট জয় করে বেঁচে থাকলে সবকিছু পূরণ করতে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পাশে থাকব। এখন আমাদের প্রত্যেককে আগে বাঁচতে হবে এবং বেঁচে থাকার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজের ও সমাজের সুরক্ষা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলেই আবার নতুন বাংলাদেশ গড়বো।

    তিনি তাদের আশ্বস্থ করে বলেন, শুধু কমিউনিটি সেন্টার মালিক, শ্রমিক নয় জীবন বাঁচাতে সকল জনগোষ্ঠীর জীবিকা নির্বাহে সংশ্লিষ্টদের শরণাপন্ন হয়ে আপনাদের চাওয়া পাওয়া তুলে ধরব। আশা করছি বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এই গুরুত্বপূর্ণ খাতকে রক্ষায় সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

    এসময় চট্টগ্রাম কমিউনিটি সেন্টার মালিক সমিতির উপদেষ্টা, প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সভাপতি হাজী মো. সাহবুদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন চৌধুরী দুলাল, সহ-সভাপতি আবদুল মালেক, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, আব্দুল্লাহ মালিক, মো. মাসুদ, রাজেন দাশ গুপ্ত, খোকন দেবনাথ, নুরুল ইসলাম, মো. মাসুম, মো. গিয়াস উদ্দিন, এস এম মোস্তফা, মো. নাসের, সাজেদুল আলম চৌধুরী ও মো. সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • শেখ হাসিনায় প্রেরণায় মানবতা ও দেশপ্রেমিক শক্তিকে সাথে নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে আছি: চসিক মেয়র

    শেখ হাসিনায় প্রেরণায় মানবতা ও দেশপ্রেমিক শক্তিকে সাথে নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে আছি: চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন,কবে করোনাকালের থাবা অন্তিম হবে জানিনা। এই ক্রান্তিকালেও মানবতার হাহাকার সুস্থ বিবেককে কষ্ট দেয়। তবে কষ্ট মেনে নিয়ে যদি শুদ্ধাচারী জীবনযাপন করতে পারি তা হলেই শুধু আমি ও আমরা নয় বিশ্ববাসী আবার জেগে ওঠার শক্তি ফিরে পাবে।

    তিনি আরো বলেন, অনেক সীমাবদ্ধতা,অর্থ ও জনসংকটের মধ্যেও মুহুর্তের জন্যেও সেবা কার্যক্রম থেমে থাকেনি। তারপরও কিছু সমালোচনা বা দোষ-ত্রুটি থাকতে পারে। যখন আমি দায়িত্ব নিয়ে কথাবলি এর সাথে কাজের মিল আছে এবং থাকবেই।

    তিনি আরো বলেন, দু:সময় ও প্রতিকূল পরিস্থিতির সুযোগে যারা মানবতাকে জিম্মি করেছে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনায় প্রেরণায় মানবতা ও দেশপ্রেমের শক্তিকে সাথে নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে আছি এবং থাকবই। যারা করোনা মহামারীর এই সংকটকালে মানবিক সহায়তা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তারা অন্যদের জন্য উদাহরণ। করোনা মানুষের মাঝে মানবতাবোধ জাগ্রত করে দিয়েছে। দেশের মানুষের এই মানবিকতা বোধ পরবর্তী প্রজন্মের কাছে শিক্ষনীয় হয়ে থাকবে। এই মানবিকতাবোধ যেন চির জাগ্রত থাকে। বাঙালি সাহসী জাতি, বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে সাহসিকতার সাথে প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও করোনাকে মোকাবেলা করছে।

    আজ রবিবার বিকালে চান্দগাঁও দারিদ্র বিমোচন মহিলা সমিতির সদস্য ও আনন্দ স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

    সিটি মেয়র আরো বলেন, ত্রাণ নিয়ে সাময়িক কষ্ট লাঘব হলেও তার উপর জীবিকার দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তা নির্ভর করে না। জীবিকা ছাড়া জীবন অচল। নিরাপদ ও নিশ্চিত জীবন জীবিকার জন্য সমন্বয়,শৃঙ্খলা ও দায়িত্বশীলতা অপরিহার্য। তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে হতাশা হচ্ছে আগাম মৃত্যুর অশনি সংকেত, আর আশা হচ্ছে বেঁচে থাকার আলো ও শক্তি। এই আলো দেখতে ও শক্তি অর্জনে জ্ঞান-বিজ্ঞাণ-মেধা ও মনের প্রয়াস থেমে নেই।

    চান্দগাঁও দারিদ্র বিমোচন মহিলা সমিতির ৫শ পরিবারের মঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণকালে কাউন্সিলর মোহাম্মদ আজম, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, সমিতির উপদেষ্টা কে এম শহীদুল্লাহ, সভাপতি সিরাজুন নূর বেগম, সাধারণ সম্পাদক রাশেদা বেগম,মো. মিজান ও আনন্দ স্কুলের সাড়ে ৪শ শিক্ষার্থীর মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে স্কুলের শিক্ষিকা শান্তা আক্তার, বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজান, বিপণী বিতান কর্মচারী এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর, এস এম মামুনুর রশিদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    পুষ্টি কর্মী হোমাইরা মাহমুদ এর পরিবারকে
    অর্থ সহায়তা তুলে দিলেন মেয়র
    সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ কর্মসূচি প্রকল্পে কর্মরত পুষ্টি কর্মী হোমাইরা মাহমুদ এর পরিবারকে সাড়ে ৩ লাখ টাকার আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    আজ বিকেলে টাইগারপাসস্থ নগরভবনের মেয়র দপ্তরে এই চেক হস্তান্তর করা হয়।

    এসময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামসুদ্দোহা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মান্নান সিদ্দীকি, তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক,আইটি অফিসার ইকবাল হোসেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের ও দারিদ্র্য হ্রাস কর্মসূচি প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার সরোয়ার হোসেন খাঁন, কোহিনুর আকতারসহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে সংক্রমণমুক্ত পরিবেশে পশু বেঁচা-কেনা চলবে: চসিক মেয়র

    স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে সংক্রমণমুক্ত পরিবেশে পশু বেঁচা-কেনা চলবে: চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, করোনাকালে নগরীতে নির্ধারিত কোরবাণী পশুর হাটগুলোতে ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় এনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক পশু বেঁচা-কেনার সুশৃংখল ও স্বাস্থ্যবান্ধব পরিবেশ রক্ষায় চসিক সর্বোচ্চ সর্তকতা, পর্যবেক্ষণ, অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা ও বর্জ্য অপসারণের সার্বক্ষণিক ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সর্বপরি সামাজিক দূরুত্ব বজায় ও অহেতুক লোক সমাগম এড়িয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পশু বেঁচা- কেনা পর্ব সম্পন্ন করার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

    আজ শনিবার দুপুরে নগরীতে চসিকের অনুমোদিত কোরবাণীর পশুর হাটগুলোর ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, করোনাকালের পরিস্থিতি বিবেচনায় পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও রীতিনীতি পালনের ধরণ পাল্টে গেছে। চাল-চলনে শৃংখলা, সংযম, সচেতনতা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সংক্রমণ প্রতিরোধের বিষয়টি পরিস্থিতি মোকাবেলার পূর্বশর্ত। তাই ধর্মীয় রীতিনীতি ও সামাজিক আনুষ্ঠানিকতা পালনে যা না করলেই নয়, সেটাই ধর্মীয় ও সামাজিক দৃষ্টিতে যথার্থ ও ফরজ। এজন্য উৎসবের আড়ম্বরতা বাদ দিয়ে পবিত্র ঈদ-উল আযহার ওয়াজিব নামাজ ও সামর্থ্যবানদের আল্লাহর উদ্দেশ্য পশু কোরবাণী দেয়াটাই যথেষ্ট।

    তিনি এই বিষয়টি মাথায় রেখে ঈদুল আযহার আগেই পশুর হাটগুলো বসানোর ক্ষেত্রে আবশ্যিক ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামো ছাড়া অন্য সকল আড়ম্বর ও লোক সমাগম এড়িয়ে চলা ও নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য ইজারাদার, ক্রেতা-বিক্রেতা, প্রশাসন ও চসিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেন।

    তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, পশুরহাট ব্যবস্থাপনার সাথে যারা সংশ্লিষ্ট, যাদের যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা তারা শতভাগ পালন করবেন।

    পরিদর্শনকালে চসিক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, এস্টেট অফিসার এখলাছুর রহমান, সাগরিকা পশুর বাজারের ইজারাদার সাইফুল হুদা জাহাঙ্গীর, আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম, জামসেদ খান, বিবির হাট পশু বাজারের ইজারাদার এরশাদ মামুনসহ সুমন দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।

    কর্মচ্যুত পেশাজীবীদের প্রধানমন্ত্রী উপহার সামগ্রী প্রদানকালে মেয়র
    স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না এলে দুর্ভাগ্য ঘুচবে

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, করোনাকালে বেকারত্ব বেড়েই চলেছে। কর্মহীন মানুষের শ্রোত বাড়ছেই। তারপরও জীবন তো থেমে থাকে না। ত্রাণ সাময়িক পরিত্রান হলেও চিরস্থায়ী যোগান নয়। সীমিত পরিসরে হলেও জীবিকা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।

    তিনি আরো বলেন, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না আসা পর্যন্ত দুর্ভাগ্য ঘুচবে না। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে হলে ঘরের বাইরে, প্রাত্যহিক জীবন-যাপনে স্বাস্থ্যবিধির প্রতিটি অক্ষর নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হবে।

    তিনি আজ নগরীর বিভিন্ন স্থানে কর্মচ্যূত পেশাজীবী পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার সামগ্রী প্রদানকালে একথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, আমরা সকলেই কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি। এই বাস্তবতা অবধারিত সত্য। এই সত্যকে মেনে নিয়ে প্রত্যেকের সুরক্ষা নিজেকেই করতে হবেই, তবেই আমরা শঙ্কামুক্ত।

    চসিকের সড়ক বাতির সুইচ অন-অফকারীদের সম্মানী প্রদানকালে মেয়র
    আপনারা ভেতনভূক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী নন
    যে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তা প্রশংসনীয়

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন সড়ক বাতির সুইচ অন-অফকারী মসজিদের ইমাম- মুয়াজ্জিন ও মন্দিরের পুরোহিতদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আপনারা বেতনভুক্ত কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নন। এরপরও নগরবাসী হিসেবে যে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তা অবশ্যই প্রশংসনীয়।

    আপনাদেরকে সকলে শ্রদ্ধা করে এবং আপনাদের কথা সকলে শুনেন। আপনারা যে-ভাবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সড়ক বাতি অফ-অন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয়ে সমাজকে সেবা দিচ্ছেন একই ভাবে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে জনসেচতনতা সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন এবং সামনেও এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

    আজ সকালে থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম মিলনায়তনে নগরীর সড়ক বাতির সুইচ অন-অফকারী মসজিদের ইমাম- মুয়াজ্জিন ও মন্দিরের পুরোহিতদের সম্মানীভাতা প্রধান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, ‘নগরের ৪১ ওয়ার্ডে এলইডি বাতি স্থাপনের ফলে প্রতি মাসে বিপুল পরিমাণ বিদুৎ খরচ সাশ্রয় হচ্ছে। শহরের রাস্তাঘাটে আলোর পরিমাণ আগের চেয়ে অনেকগুণ বেড়েছে। বিদ্যুৎ ব্যয় সাশ্রয়ের পাশাপাশি বেশি আলো পাওয়া যাচ্ছে। মূলত এ কারণেই সড়কবাতি হিসেবে এলইডি লাইট স্থাপিত হচ্ছে। পুরো নগরীকে আরো বেশি আলোকিত করার জন্য ২৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভারত সরকারের সহায়তায় একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এই প্রকল্প অনুমোদিত হয়ে আসলে এবং পরবর্তীতে বাস্তবায়ন হলে পুরো নগরীই একটি আলোকিত নগরী হিসেবে প্রস্ফুটিত হবে। এতে করে আরো বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মানী প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কান্তি দাশ, সহকারী প্রকৌশলী সালমা বেগম, সিবিএ’র জাহেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।

    ফুটবল খেলোয়াড়দের মাঝে অর্থ সহায়তা প্রদানকালে মেয়র
    মেঘ দেখে করিসনে ভয় আড়ালে ঐ সূর্য হাসে

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ক্রীড়াঙ্গনে যারা পেশাদার করোনা তাদের জীবনকে দূর্বিসহ করে তুলেছে।

    আজ খেলাধুলা নেই। ক্রীড়াঙ্গণ ধূ ধু করছে। খেলোয়াড়,কোচ ও সংগঠকদের রুটি-রুজির পথ বন্ধ। অথচ এদের অনেকেই ক্রীড়া ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মান বয়ে এনে জাতির মুখ উজ্জ্বল করেছে। অথচ আজ মহাদূর্যোগ তাদের মুখগুলো মলিন। অবশ্য একদিন এই দূর্যোগ কেটে যাবে। এজন্য কতদিন অপেক্ষা করতে হবে তা জানিনা। তারপরও এই দূর্যোগকালীন সময়ে কিছুটা সহায়তায় আপনাদের কষ্ঠ লাঘব হলে সাহস ফিরে আসবে। এই দুর্যোগকালে বিশ্বাস করতে হবে- মেঘ দেখে করিসনে ভয় আড়ালে ঐ সূর্য হাসে।

    আজ বিকেলে চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে সিজেকেএস কনভেনশন হলে দূর্যোগকালী ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে ১২০জন খেলোয়াড়ের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন।

    এসময় প্যানেল মেয়র ড.নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, ক্রীড়া সংগঠক মশিউল আলম স্বপন, মোহাম্মদ হাসান, দেবাশীষ বড়ুয়া, কিশোর দত্ত মানু, নিজাম উদ্দিন নাজু, মোহাম্মদ সরোয়ার, হায়দার কবির প্রিন্স, মোহাম্মদ ইব্রাহীম, মোহাম্মদ সোহেল, মোহাম্মদ একরাম, টুটুল, তুষার বড়ুয়া, উজ্জ্বল বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • তিলোত্তমা নগরীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়ে ধরা দেবে:চসিক মেয়র

    তিলোত্তমা নগরীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়ে ধরা দেবে:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ভূ-প্রাকৃতিকগত বৈচিত্র্য ও বৈশিষ্ঠ্যগুনেই চট্টগ্রাম নগরী প্রাচ্যের রানী। পাহাড়-নদী-সমুদ্র ও সমতল মিলিয়ে এমন রূপ আগে কোথাও সচারচর দেখা যেত না। অথচ এখন ভিন্নরূপ। কিছু অপরিনামদর্শী অমানুষের হাতেই আমাদের প্রচ্যের রানীর সৌন্দর্য্য লুন্ঠিত হয়েছে। দুর্বৃত্তরা পাহাড়,নদী,খাল গোগ্রাসে গিলে খেয়ে এই নগরীকে হতশ্রী করেছে। যারা এসব অপকর্ম করেছে তাদেরকে চিনি অনেকের ভূমিকা রক্ষক হয়ে ভক্ষকের মতই। তাই আমার স্বপ্ন ছিলো সুযোগ পেলেই প্রাচ্যের রানী চট্টগ্রামের হৃত সৌন্দর্য পুনরুদ্দার করবো।

    তিনি আরো বলেন, যখন মেয়র পদে দায়িত্ব গ্রহণ করি তখনই আমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন শুরু। এই চট্টগ্রামকে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ নগরীতে পরিণত করে সৌন্দর্য্য বর্ধনই আমার প্রধান ব্রত হয়ে দাড়ালো। কিন্তু কাজটা অত সহজ ছিলো না, পদে পদে বাঁধা এবং সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে প্রাচ্যের রানীর যে-টুকু সৌন্দর্য ফিরে এসেছে তাতেও আমি পরিতৃপ্ত নই। সৌন্দর্য বর্ধনের বেশ কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছে, অনেকগুলো বাস্তবায়নের পথে। বলতে দ্বিধা নেই,এই নগরী তিলোত্তমা হবে-এটা শুধু স্বপ্ন নয়,বাস্তব ধরা দেবে। তবে এর জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন চট্টগ্রামের উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারী,আধাসরকারী,স্বায়ত্বশাসিত সংস্থাও কর্তৃপক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ।

    আজ দুপুরে আউটার স্টেডিয়ামে সার্কিট হাউস থেকে নেভাল এভিনিউ পর্যন্ত সৌন্দর্যবধন ও মুক্তমঞ্চ তৈরীর কাজ পরিদর্শনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

    তিনি চট্টগ্রামের সৌন্দর্যবর্ধনে চসিকের পদক্ষেপ ও কর্মপন্থাগুলো তুলে ধরে বলেন, যে-সকল ফুটপাত ও খালি জায়গাগুলো আবর্জনার ভাগাড় ছিলে সেগুলোকে পরিচ্ছন্ন করে সবুজায়নের কাজের সিংহভাগই শেষ হয়েছে। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কের দুপাশ ও আইল্যান্ড রকমারী বৃক্ষরাজিতে শোভিত করা হয়েছে। দেয়ালে শিল্পিত ছোঁয়ায় ম্যুরাল প্রকৃতি,বিপ্লব-দ্রোহের খন্ড খন্ড চিত্র এবং কৃতি বাঙালির প্রতিকৃতি নগরবাসী আকর্ষনের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

    সার্কিট হাউজ থেকে নেভাল এভিনিউ,এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম ও আউটার স্টেডিয়াম জুড়ে ফুটপাতকে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে ও একটি মুক্তমঞ্চ নির্মানের কাজ আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

    এছাড়া এই বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রাম নগরীর সকল ওয়ার্ডে ৫০ লাখ ফলদ,বনজ ও ঔষধী বৃক্ষের চারা রোপন করা হবে।

    তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, পরিবেশগত ভারসাম্য ও ঘরে বাইরে পরিচ্ছন্নতা, সবুজায়ন, পরিবেশগত ভারসাম্য ও সজীব রাখে এবং রোগ বালাই-মুছিবতের আশঙ্খা দূর করে। করোনাকালে এই উপলব্ধি বিশেষভাবে প্রনিধান যোগ্য। আর জনসচেতনতাই ঝুঁকিমুক্ত জীবন ধারার প্রধান উপজীব্য বোধশক্তি।

    পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরীর সৌন্দর্যবর্ধন কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,প্রকৌশলী,পরিবেশবিদসহ অন্যান্যদের মধ্যে বেলাল আহমেদ, মামুনুর রশীদ মামুন, আনিসুর রহমান, মোশাররফ হোসেন লিটন, খায়রুল আব্বাস চৌধুরী, সুলতান,মঈন উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • নগরীর প্রান্তিক শ্রেণিকে আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তায় আনা হবে: চসিক মেয়র

    নগরীর প্রান্তিক শ্রেণিকে আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তায় আনা হবে: চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন পাথরঘাটা ওয়ার্ডস্থ বান্ডেল রোড সেবক কলোনীতে ১৪ তলা বিশিষ্ট ৩টি নির্মাণাধীন ভবনের অবশিষ্ট কাজ আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করার জন্য ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীদের জন্য এই আবাসন কমপ্লেক্স সরকার অনুসৃত সারাদেশে প্রান্তিক কর্মজীবী জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তারই অংশ। এই আবাসন প্রকল্পের ৫৫৯ টি ফ্ল্যাট শিঘ্রই পরিচ্ছন্ন কর্মী পরিবারের কাছে হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা ঘটবে।

    তিনি জানান, বান্ডেল রোডস্থ সেবক কলোনি ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পাশাপাশি নগরীতে চসিকের আরো তিনটি সেবক কলোনীতে বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ কাজ সমাপ্তির পথে। এভাবে সকল পরিচ্ছন্ন কর্র্মীর মাথাগোঁজার ঠাই তৈরী করে দিয়ে মানুষের অন্যতম একটি প্রধান মৌলিক অধিকার বাসস্থানের চাহিদা পূরণ করতে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

    চট্টগ্রাম নগরীতে পর্যায়ক্রমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী প্রতিটি পরিবারকে আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে আওতায় এনে সরকার দারিদ্র বিমোচনের যে লড়াই অব্যাহত রেখেছেন তা করোনাকালে আপাতত স্তিমিত হলেও কখনো গতি হারাবে না।

    তিনি আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের মোট সংখ্যা ৩৬৩৯ জন। তাই তাদের আবাসনের চাহিদার তুলনায় তা পূরণ করার সামর্থ্য অপ্রতুল। তারপরও যারা নগরীকে পুত:পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন রাখছেন তাদের বাসস্থানের চাহিদা পূরণের বিষয়টিকে আমি অগ্রাধিকার দিই।

    মেয়র আরো জানান যে, সেবক কলোনিতে নির্মিতব্য আবাসন কমপ্লেক্সে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র, চিত্তবিনোদন কেন্দ্র ও প্রার্থনার উপাসনালয় থাকবে।

    তিনি আজ সকালে বান্ডেল রোডস্থ সেবক কলোনিতে নির্মাণাধীন আবাসন প্রকল্প পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।

    পরিদর্শনকালে চসিক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, ঝুলন কান্তি দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী সালমা খাতুন, উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, উপসহকারী প্রকৌশলী রিফাতুল করিম, তানজিম ভূইয়া, বান্ডেল হরিদাস যুবকল্যাণ সংঘের জগনাথ দাশ ঝর্না, সাধন দাশ, ডালিম দাশ ও অমর দাশ উপস্থিত ছিলেন।

    চসিকের স্বাস্থ্যবিভাগে সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করলেন ইউএনডিপি ও ইউকে এইড

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, সম্প্রতি সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ একটি মহামারী রূপ ধারণ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশেও তা চরম আকার ধারন করেছে। সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে আমাদের দেশের প্রান্তিক মানুষজন বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার বসবাসরত মানুষ। করোনা মহামারী বর্তমান অচল পরিস্থিতির কারণে কর্মহীন মানুষজন চরম দূর্দশার ভিতর দিয়ে দিন যাপন করছে এবং রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেও । এমন অবস্থায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ জরুরী স্বাস্থ্য সেবাসহ কোভিড-১৯ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নানামুখী উদ্যোগ গ্রহন করেছে। এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী পরিধান ও ব্যবহার করার কোন বিকল্প নেই।

    আজ বিকেলে চসিক নগরভবনের কনফারেন্স হলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত ইউএনডিপি ও ইউকে-এইড এর পক্ষ থেকে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

    এসময় চসিক প্যানেল মেয়র ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, আইটি অফিসার মো. ইকবাল হাসান, মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. প্রীতি বড়ুয়া, ইনফ্রাক্টাকসার এন্ড হাউজিং অফিসার মো. সাইফুর রহমান চৌধুরী, আর্থ সামাজিক ও পুষ্টি বিষয়ক কর্মকর্তা মো. হানিফ, টাউন ফেডারেশন এর চেয়ারপার্সন কোহিনুর আক্তার, এলআইইউপিসি প্রকল্পের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

    আর্চ বিশপ মজেস এম. কস্তা’র কফিনে সিটি মেয়রের শ্রদ্ধাঞ্জলি
    তিনি সাম্য-মৈত্রী-কল্যাণের মঙ্গলালোক বর্তিকা:মেয়র

    নগরীর পাথঘাটাস্থ জপমালা রাণী ক্যাথিড্রাল গীর্জায় শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এবং হাজারো মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন চট্টগ্রামের আর্চ বিশপ ও খ্রিস্টান সমাজের প্রধান ধর্মগুরু মজেস এম. কস্তা, সিএসসি। তাঁর মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন।

    এ সময় মেয়র আর্চ বিশপের বর্ণাঢ্য ও পুতঃ পবিত্রময় শুদ্ধাচারী জীবনাচারণের কথা উল্লেখ করে বলেন, আর্চবিশপ মোজেস এম. কস্তা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু হলেও তিনি চট্টগ্রামের সব ধর্মের, সব শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। সর্বোপরি তিনি ছিলেন একজন সর্বজনীন সাম্য-মৈত্রী-কল্যাণের মঙ্গলালোক বর্তিকা। এ অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধর্মগুরু চট্টগ্রামে শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সেবামূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডেও নিজেকে জড়িত রেখেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে চট্টগ্রামবাসী একজন সর্বজন স্বীকৃত সমাজ সেবক হারালো।

    এ সময় চসিক কাউন্সিলর ইসমাইল বালী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, জহর লাল হাজারী, শৈবাল দাশ সুমনসহ অন্যদের মধ্যে মো. জাহাঙ্গীর আলম, আনিসুর রহমান ইমন, পুলক খাস্তগীর ও গোপাল দাশ টিপু উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা শিখিয়েছে সচেতনতা ও সাবধানতার মার নেই: চসিক মেয়র

    করোনা শিখিয়েছে সচেতনতা ও সাবধানতার মার নেই: চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, করোনা সংক্রমণের হার উর্ধমুখী না নিম্নমুখী তা বিবেচ্য বিষয় নয়, কারণ ভাইরাস জীবাণুটি জীবন্ত এবং বার বার চরিত্র ও রূপ পাল্টাচ্ছে। তাই যতদিন পর্যন্ত স্থায়ী প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন আবিস্কার না হচ্ছে ততদিন সংক্রণের থাবা থাকবে। এই ভাইরাসের আয়ুস্কাল কতদিন তাও নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই সামজিক গুরুত্ব ও সচেতনতার ক্ষেত্রে সামান্যতম ঢিলেমী ও উদাসীনতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠবে। এজন্য শুধু করোনা নয়, প্রাত্যহিক জীবনযাপন ও চলাফেরায় নিয়ন্ত্রনহীনতা,শিষ্ঠাচার বিরুদ্ধ উচ্ছৃংখলতা আরো বড় ধরনের রোগ-বালাই-মুছিবত-বিপর্যয়কে ডেকে আনবে। তাই মনে রাখতে করোনা শিখিয়েছে যে কোন পরিস্থিতিতে সচেতনতা ও সাবধানতার মার নেই।

    আজ সকালে নগরীর ৯ নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে কাউন্সিলর কার্যালয়ে বস্তি উন্নয়ন দরিদ্রহ্রাস কর্মসূচী প্রকল্প ‘প্র্যাপ’ এর আওতায় চট্টগ্রাম সিটিকর্পোরেশন এলাকায় কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।

    তিনি নগরীর বস্তীবাসী ও ভাসমান মানুষের জীবনধারা তুলে ধরে বলেন, এখানের পরিবেশ সাধারণত গিঞ্জি ও অস্বাস্থ্যকর, মশা-মাছির উপদ্রব ছাড়াও নেই মান সম্পন্ন স্যানিটারী ব্যবস্থা। সুপেয় ও ব্যবহার্য পানির ব্যবস্থাও অপ্রতুল। পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা নেই এবং যত্রতত্র আবর্জনার ভাড়াগ পড়ে থাকে। একারণে এখানে জীবাণু কিলবিল করে এবং রোগবালাই তো লেগেই থাকে।তাই করোনাকালে এখানকার পরিস্থিতি শোচনীয় হবারই কথা।

    তবে করোনা শুধু বস্তী নয়, অভিজাত আবাসিক এলাকাসহ ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলের জন্য সমান বিপজ্জনক। আসলে গরীবের আল্লাহর রহমত থাকেই বলেই তিনিই তাদের রক্ষা করেন। কিন্তু কারও এমনটি ভাবা উচিত নয়, যারা এসি রুমে থাকনে, টাকা-পয়সা ওয়ালা বড়লোক এবং আলিশান বাড়ীতে বাস করেন, করোনা তাদেরকেই ঘায়েল করবে, গরীবদের নয়, আসলেই এটা ভুল ধারনা, কারণ মুম্বাই সহ অনেক বড় বড় শহরে করোনায় বহু বস্তি ছারকার হয়ে গেছে।

    তিনি বলেন, করোনাকালে সবখানেই হতদরিদ্রের সংখ্যা বেড়েছে যারা দিনে এনে দিনে খায় তারা কর্মহীন হয়ে পড়ছে। তাদের স্বাভাবিক জীবন এমনিতেই দুর্বিষহ, বর্তমানে তারা ক্ষুধায় কাতর ঘরে বন্দী থাকলে অন্ন জোটে না। তাই জীবিকাটাই এখন বড়। তাই জীবনের সুরক্ষা নিয়েই জীবিকার জন্য লড়াইয়ে সরকার দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে আছে এবং থাকবে।

    সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ৯নং ওর্য়াড কাউন্সিলর আলহাজ্ব জহুরুল আলম জসিম।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, সাবেক কাউন্সিলর ও ওর্য়াড আওয়ামী লীগের আহবায়ক এস.এম.আলমগীর, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুুল হোসেন আলী জয়, সিনিয়র বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা সঞ্জিৎ কুমার দাশ, মোস্তফা কামাল বাচ্চু, শফিকুল আলম ওয়াসিম, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, মোহাম্মদ মুমিন ,মোঃ দুলাল, মোঃ ফারুক শেখ প্রমুখ।

    কর্ণফুলী সেতু সংলগ্ন মেহেদী মসজিদ উন্নয়নে মেয়রের অর্থ সহায়তা।

    নগরীর কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন মেহেদী মসজিদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীনের পক্ষ থেকে দেড় লাখ টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

    আজ সকালে টাইগারপাস্থ চসিক নগরভবনের মেয়র দপ্তরে সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন মসজিদ পরিচালনা কমিটির কাছে এই অর্থ সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন।

    এসময় তিনি বলেন, মসজিদসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে শরিক হতে পারলে নিজেকে আত্মতৃপ্ত মনে হয়। একাজে শুধু দান নয় ছোয়াবেরও অংশিদার হওয়া যায়।

    মেয়র কর্নফুলী সেতু সংলগ্ন জনবহুল ও গরুত্বপূর্ণ এলাকায় মসজিদ স্থাপনের সাথে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।

    এসময় সিজেকেএস কাউন্সিলর মো সোলায়মান, সিজেকেএস কাউন্সিলর আবদূর রশিদ লোকমান, মসজিদের মোতোয়াল্লি আমান উল্লাহ আমান,মৌলানা ইদ্রিস, হাসান মাহমুদ ও নুরুল আজিম উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • দুর্যোগে যারা মানবিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসেন তারাই শ্রেষ্ঠ মানুষ : চসিক মেয়র

    দুর্যোগে যারা মানবিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসেন তারাই শ্রেষ্ঠ মানুষ : চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। তাদের পরিশ্রমের টাকায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই প্রবাসীরাই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রক্ত সঞ্চালন করে যাচ্ছেন। দেশের উন্নয়নে তাদের অবদান অপরিসীম। এই দুর্যোগকালীন সময়ে জুন মাসে রেমিটেন্স আদায়ের হার ছিল সর্বোচ্চ। প্রবাসী বাংলাদেশীরা সারাবিশ্বে মেধা ও মানবিকতার স্বাক্ষর রাখছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটিরও বেশি প্রবাসী রয়েছে, তারা তাদের শ্রম আর মেধার স্বাক্ষর রাখতে পারছে বলেই সেখানে তারা সাফল্যের সাথে থাকতে পারছে। আমেরিকায় বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীরা অনেকেই কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। সেখানকার অবস্থা আমাদের চেয়েও খারাপ। সে অবস্থায়ও দেশের মানুষের প্রতি ভালবাসার টানে যারা ত্রাণ উপহার দেয়ার জন্য হাত বাড়িয়েছেন সত্যিকার অর্থে তারা অনেক মহৎ। দুর্যোগ মহামারীতে যারা মানবিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসেন তারাই শ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে বিবেচিত হয়।

    তিনি আজ শনিবার সকালে নগরীর চান্দগাঁওস্থ খাজা রোডে নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে চট্টগ্রাম সমিতি উত্তর আমেরিকার উদ্যোগে গৃহহীন হতদরিদ্র ও এতিমদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ‘সামাজিক দূরত্ব’ নিশ্চিতকল্পে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে করোনা মোকাবেলায় আমরা সবাই একযোগে কাজ করছি। বিভিন্ন নিয়মনীতি অনুসরণ ও ছুটি থাকার দরুন অনেক দরিদ্র লোকের পক্ষে খাবার জোগাড় করা কষ্টসাধ্য হচ্ছে। সরকার তাঁদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণসহ যথাসম্ভব সহযোগিতা করার চেষ্টা করছে। পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দুস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণে আমেরিকা-চট্টগ্রাম সমিতি এগিয়ে আসায় তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

    খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, চট্টগ্রাম সমিতি উত্তর আমেরিকার উপদেষ্টা কমরুদ্দিন আহমদ, মুজিবুদ্দৌলা চৌধুরী, গোলাম রব্বানী, সভাপতি আবদুল হাই, সহ সভাপতি খোকন কে চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী, এনাম চৌধুরী, সামসুল আলম চৌধুরী, মাসুদ হোসেন সিরাজী, মতিউর রহমান, আশরাফ আলী খান লিটন, মহিউদ্দিন লাবু, জাফর শফি, শফিউল আজম সিকদার, পরিমল কান্তি চৌধুরী, সাহাব উদ্দিন চৌধুরী লিটন, তারেক ইকবাল চৌধুরী, ফয়সাল বাপ্পী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    শহীদ করোনা যোদ্ধাদের দোয়া মাহফিল ও স্মরণ অনুষ্ঠানে মেয়র
    যারা জীবন বিলিয়ে করোনাকাল
    মোকাবেলা করেছেন তাঁরা জাতীয় বীর

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, যারা মরণঘাতি করোনাকালে প্রতিরোধ যুদ্ধে হারিয়ে গেছেন তাঁরা একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মতই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তবে এই দুর্যোগের মাঝেও সমাজ ও সভ্যতা বিরোধী নষ্ট মানুষের কালো কারবার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে একটি জনযুদ্ধ শুরু হওয়া সময়ের দাবী। কারণ এরা সমাজ-সভ্যতার অশুভবোধের বিপরীত কলংকের চিহ্ন। এ চিহ্নকে নির্মূল করতেই হবে। যারা ভয়কে জয় করে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের প্রতি জাতির সহস্র সালাম।

    তিনি আজ বিকালে দারুল ফজল মার্কেটস্থ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ড কার্যালয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কামান্ডের উদ্যোগে করোনায় (কোভিড- ১৯) আক্রান্ত এ সময়ের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ও প্রসাশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও স্মরণসভায় মেয়র এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-দল-মত নির্বিশেষে করোনা যুদ্ধে আমরা অভিন্ন যৌথ বাহিনী। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুধু দখলদারিত্বের জন্য হলেও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলো মানব, প্রাণি-প্রকৃতি, জগৎ রক্ষায়। সম্মিলিত সহযোগে এই যুদ্ধে সকল প্রাণি-প্রকৃতি একাকার। এই যুদ্ধ ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির জন্য নয়, প্রাণি-প্রকৃতি জগতে সাম্য প্রতিষ্ঠার। তাই আমরা কেউ-ই নিরাপদ নয় জেনে শুধু প্রাণ রক্ষার জন্য নয়, বিশ্ব সামাজিক সাম্য-নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লড়ায়ের মুক্তিযোদ্ধা।

    তিনি করোনা আগ্রাসনে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের রুহের শান্তি কামনা করে বলেন, আল্লাহ’র রহমত আছে বলেই যতক্ষণ প্রাণশক্তি আছে জীবন বাঁচিয়ে জীবিকার জন্য লড়াই করবো। ভিক্ষা ও ত্রাণ কখনো জীবনের জন্য অপরিহার্য ও দীর্ঘস্থায়ী নয় এবং তা সাময়িক। এই বোধ আমাদের ভেঙে না পড়ার উজ্জীবন শক্তি। যারা জীবন বিলিয়ে করোনাকাল মোকাবেলা করেছেন তাঁরা জাতীয় বীর এবং তাঁদের পথ অনুসরণ করি।

    মহানগর মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান, ডেপুটি কমান্ডার শহিদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, সহকারী কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, কোতোয়ালী থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা সৌরেন্দ নাথ সেন, চান্দগাও থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, পাঁচলাইশ থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আহমদ মিয়া, বন্দর থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা কামরুল আলম, আকবরশাহ থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নুর উদ্দিন, ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ, হালিশহর থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল হোসেন, পাহাড়তলী থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী জাফর আহমদ, খুলশী থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউসুফ, বাকলিয়া থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউসুফ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের স্বাক্ষী কাজী নুরুল আবছার, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের পক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক ও শাহেদ মুরাদ সাকু প্রমুখ।

    সভাপতির বক্তব্যে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের কমান্ডার মোজাফফর আহমদ করোনাকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন সাহসের সাথে যে ভূমিকা পালন করেছেন এজন্য তাঁকে অভিনন্দন জানান। এছাড়া ইতিমধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যে বাড়ী নির্মাণ করে তাদের স্থায়ী বাসস্থানের যে ব্যবস্থা করেছেন এ জন্যে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং বাকী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য বাড়ীগুলো নির্মাণ কাজ শিঘ্রই উদ্বোধন করে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সরকার সকল শিক্ষার্থীকে অনলাইনে পাঠ গ্রহণের আওতায় আনতে চায়:চসিক মেয়র

    সরকার সকল শিক্ষার্থীকে অনলাইনে পাঠ গ্রহণের আওতায় আনতে চায়:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন,করোনা মহামারি দেশের শিক্ষার্থীদের মূল্যবান শিক্ষাবর্ষকে দাবিয়ে রেখেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকলেও একেবারে হাত-পা গুটিয়ে শিক্ষার্থীদের বসে থাকতে হবে না। প্রযুক্তি তাদেরকে এই আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় যে শক্তি ও ক্ষমতা দিয়েছে তাকে ব্যবহার করে শিক্ষা পাঠ গ্রহণ চালিয়ে যেতে সরকার যে উদ্যোগগুলো নিয়েছেন তাকে পালন ও অনুসরণ করতে পারলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের তৈরী করে নিতে পারবে। তবে এটাও ঠিক শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এবং যে পরিবারগুলো দারিদ্রসীমার নিচে তাদের প্রযুক্তিগত সুবিধা ভোগ করারমত সামর্থ নেই। স্বাভাবিক অবস্থায়ও শিক্ষাপাঠ গ্রহণ বা অধ্যয়ন প্রযুক্তিনির্ভর। ইন্টরনেট এক্ষেত্রে একটি সবচেয়ে কার্যকর ব্যবস্থা। সরকার চিন্তা করছেন ইন্টারনেটের গতিকে অধিকতর দ্রুত করতে এবং এই ইন্টারনেটের আওতায় শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহণে আনা।

    তিনি আরো বলেন, আজকের এই সংকট একদিন কেটে যাবে কিন্তু তারপরও এর জের অনেকদিন ধরে থাকবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তখন তাদের যোগ্যতা মেধা ও সক্ষমতা দিয়ে মোকাবেলা করতে পারে সেজন্য এখন থেকেই মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে।

    আজ অপরাহ্নে ১৯ নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের আরবান হোম আনন্দ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

    এসময় কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মাদ আবুল হাশেম, নিউ মার্কেট কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর, হাজী বেলাল আহমদ, আনিসুর রহমান চৌধুরী, শ্রমীকলীগ নেতা মোহাম্মদ হারুন, মোহাম্মদ মিজান, চর চাক্তাই সিটি কর্পোরেশন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মানিক চন্দ্র বৈদ্য, শিক্ষক শান্তা আকতার, এস এম মামুনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর