Tag: চসিক মেয়র

  • বিজয়ী ও লড়াকু জাতি হিসেবে বাঙালির ঘুরে দাঁড়াবার শক্তি আছে: চসিক মেয়র

    বিজয়ী ও লড়াকু জাতি হিসেবে বাঙালির ঘুরে দাঁড়াবার শক্তি আছে: চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, করোনা ভাইরাসের বাহন এখন বাতাস। এই বাতাসের উপর ভর করে চীনের উহান প্রদেশ থেকে ঢাকায় আসতে করোনা সময় নিয়েছে মাত্র ৩ মাস। বাংলাদেশে যেদিন প্রথম রোগী সনাক্ত হলো সেদিন ছিল এটা বড় সংবাদ।

    এখন এই করোনা প্রতিদিনের বড় সংবাদ। এই করোনাকালে অন্য দূর্যোগগুলোও বসে নেই। এরই মধ্যে রুটিন মাফিক হানা দিয়েছে ঘুর্ণিঝড় আম্ফান। তারও আগে সিডর ও আইলা ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাস বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চল সহ জনপদ লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। ভয়াবহ প্রাকৃতিক দূর্যোগের অভিজ্ঞতা থাকলেও করোনা মহামারি সম্পর্কে বাংলাদেশতো বটেই সারা বিশ্বেরও কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। তাই তার লাগামহীন দৌরাত্মে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। এতকিছুর পরও এখন পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধক স্থায়ী প্রতিশেষধক আবিস্কার হয়নি। তাই সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না কবে ও কখন করোনা আগ্রাসন থেকে মানব জাতি মুক্তি পাবে। তবে আমরা ভয়কে জয় করতে জানি। বিজয়ী ও লড়াকু জাতি হিসেবে বাঙালির ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি আছে।

    তিনি আজ সকালে স্থানীয় সরকার পরিচালিত ইউএনডিপি ও ইউকে- এইডের সহায়তায় বাস্তবায়িত প্রান্তিক জনগোষ্টির জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৪০ ও ৪১ নং ওয়ার্ডের দরিদ্র জনগোষ্টির গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের জন্য ১ হাজার দিনের জরুরী পুষ্টি খাদ্য সহায়তা প্রদানকালে একথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, করোনাকালে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ধ্বস ও স্থবিরতার কারণে শ্রেণীগত অবস্থানের ক্রম অবনমন ঘটছে। বাংলাদেশে দারিদ্রসীমা নিম্নমুখি হতে হতে করোনা পূর্ববর্তী সময়ে ৭ ভাগের কাছাকাছি নেমে এলেও এখন বিরূপ পরিস্থিতিতে বেকারত্ব ও কর্মহীন মানুষের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় দারিদ্র বৃদ্ধির মাত্রা ৩০ শতাংশে উত্তীর্ণ হয়েছে। এছাড়াও বিদেশেও অনেক প্রবাসী কর্মহীন অবস্থায় কালাতিপাত করছেন। তারা দেশে ফেরার পর দারিদ্রের ক্রম অবনমন পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে নামবে তা ভাবতে গিয়ে শিউরে উঠতে হয়। এমন একটি প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সরকার প্রধান শেখ হাসিনা সুদিন ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াইয়ের মাঠে আছেন। তিনি বিধ্বস্থ অর্থনীতি পূনরুদ্ধারে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীসহ সকল অর্থনৈতিকখাতে প্রণোদনা বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছেন। লকডাউনের মধ্যেও জীবন-জীবিকার সমন্বয়ে অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল রাখার জন্য সময়োপযোগি পদক্ষেপ নিয়েছেন। আজ গণমাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই দু:সংবাদ জানান দেয়া হলেও অনেক ইতিবাচক আশাবাদও আছে। বাংলাদেশে রাষ্ট্রিয় তহবিল ভান্ডারে ৩৬ বিলিয়ন ডলার মওজুদ আছে। জুন মাসে প্রবাসীদের রেমিটেন্স প্রেরণের হার ছিল সর্বোচ্চ। সবচেয়ে শুভ সংবাদ হলো আউশ ধানসহ মৌসুমী ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। মানুষের স্বাভাবিক ক্রয় ক্ষমতা কিছুটা কমতির দিকে হলেও কারও না খেয়ে মৃত্যুর কোন দু:সংবাদ নেই।

    তিনি করোনা মোকাবেলায় জনসচেতনতা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকারি নির্দেশনা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনার মত একটি মারাত্মক আগ্রাসনকে প্রতিহতের জন্য জনসচেতনতাকে প্রাথমিক প্রতিরোধ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, আগে জানতাম ছোঁয়াছে সংক্রমনের কথা। কিন্তু করোনা কখনো সহজেই ঘরে ঢুকে না এবং সে ভিশন অভিমানী, তাকে দাওয়াত দিয়ে ঘরে ডেকে আনতে হয়। সে-তো বাতাসেই ভর কর আছে। আমরা যদি দাওয়াত দিয়ে তাকে ঘরে ডেকে না আনি তাহলে সে-তো জোর করে ঘরে ঢুকতে পারে না। তাই করোনা নিয়ে ভয়ের কোন দরকার নেই। প্রয়োজন শুধু নিজের সচেতনতা ও সুরক্ষা।

    এসময় কাউন্সিলর সালেহ আহমদ চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহানুর বেগম, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার মোহাম্মদ সরোয়ার খান, পুষ্টি বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ হানিফ, টাউন ফেডারেশনের চেয়ারপার্সন কোহিনুর আকতার, মোহাম্মদ জাবেদ হোসেন, হারুনুর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনাকালে নিজের সুস্থতা সামাজিক অর্থনৈতিক সক্ষমতা পুনরুদ্ধারের পূর্বশর্ত:চসিক মেয়র

    করোনাকালে নিজের সুস্থতা সামাজিক অর্থনৈতিক সক্ষমতা পুনরুদ্ধারের পূর্বশর্ত:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন,করোনা মহামারি প্রাদুর্ভাব পূর্ববর্তী বাংলাদেশে দারিদ্রের নিম্নমূখি হার ৭ শতাংশে নেমে এলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ কর্মহীন হয়ে পড়ায় দারিদ্রের হার উর্দ্ধমুখি হয়ে ৩০ শতাংশে উন্নিত হওয়ার আশংখা দেয়া দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রতিরোধ হিসেবে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং জীবন-জীবিকার সমন্বয়ে অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখা। তাই নিজের সুস্থতাই হলো সামাজিক ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা পুন:রুদ্ধারের পূর্বশর্ত।

    আজ সকালে টাইগারপাসস্থ নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে ইউএনডিপি ও ইউকে এইড’র প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ওয়ার্ড এলাকায় দ্বিতীয় দফা সাবান বিতরণ অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন একথা বলেন।

    তিনি জানান নগরীর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরতদের মাঝে করোনা সচেতনতা বাড়াতে “প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়ন প্রকল্পের ৩৭৪টি সিডিসি’র মাধ্যমে নগর জুড়ে উঠান বৈঠকের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। প্রকল্পের সিডিসি ক্লাস্টার নেত্রীরা স্ব স্ব সিডিসি-তে বসবাসকারী জনগণকে উঠান বৈঠক আয়োজন করে করোনা প্রতিরোধে নানামুখী সচেতনতা জ্ঞান প্রদান করবেন।

    তিনি সিডিসি নেত্রীবৃন্দদের স্ব স্ব ওয়ার্ডে সিডিসি-তে উঠান বৈঠক করে নগরবাসীর মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করার নির্দেশনা দিয়ে বলেন বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে সাবানের গুরুত্ব অপরিসীম। স্বাস্থ্যবিধি জানা সবার জন্য যেমন জরুরী তেমনি তা মেনে চলাও অত্যাবশ্যক। ঘরে এবং বাইরে সব সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধির সতর্কতাগুলো আমাদের অবশ্যই অনুসরণ ও মেনে চলতে হবে।

    তিনি বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্টির জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দরিদ্র বসতি এলাকার মানুষকে কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে সচেতন করার জন্য লিফলেট, পোস্টার, স্টিকার, ক্যাবল নেটওয়ার্কিং ও মাইকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। নগরের ৩৭৪ টি হাত ধোয়ার পয়েন্টের প্রতিটিতে ৫৬ টি করে মোট ২১ হাজার সাবান বিতরণ করা হয়েছে। গত এপ্রিলে প্রথম দফায় ৪৫ হাজার সাবান বিতরণ করা হয়েছে। এই কার্যক্রমের আওতায় প্রায় ১ লাখ নগরবাসী হাত ধোয়ার সুবিধা ভোগ করবে।

    অনুষ্ঠানে চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, কাউন্সিলর মোহাম্মদ আজম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার মো. সারোয়ার হোসেন খান,আউটপুটপ্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান চৌধুরী, টাউন ফেডারেশন চেয়ারম্যান কোহিনূর আক্তারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

    সিটি মেয়রের নিকট প্রয়োজনীয় ওষুধ দিল হাজারী লেইন ঔষধ ব্যবসায়ী সিমিতির নেতৃবৃন্দ

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, কোভিড ১৯ ভাইরাসটি দেশ এবং পরিবেশ অনুযায়ী তার চরিত্র বদলাচ্ছে। ফলে এর কোনও একক, ও বিশেষায়িত চিকিৎসা পদ্ধতি নির্দিষ্ট করে দেওয়া সম্ভব নয়। এক দেশে, এক ধরনের পরিবেশে যে ওষুধ, যে চিকিৎসা পদ্ধতি কাজ করবে, আরেক দেশে তা কাজ নাও করতে পারে।কারণ ভাইরাসটি তার চরিত্র বদলাচ্ছে। কাজেই করোনার চিকিৎসায় সাফল্য পেতে গেলে, কোভিড ১৯ ভাইরাসের তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী যে জিনটি নিজেকে বদলে নিয়ে আরও বেশি সংক্রামক হয়ে উঠছে, সেটা শনাক্ত করা জরুরি।

    আজ সকালে চসিক মেয়র দপ্তরে হাজারী লেইন ঔষধ ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে হাজারী লেইন ঔষধ ব্যবসায়ী সিমিতির নেতৃবৃন্দ সিটি মেয়রের কাছে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধক সংশ্লিষ্ট ওষুধ প্রদানকালে মেয়র একথাগুলো বলেন।

    মেয়র এই ক্রান্তিলগ্নে ওষুধ ব্যবসায়ীরা মানবতার কল্যাণে ওষুধ-পত্র নিয়ে মানবতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নিয়মকানুন মেনে সতর্ক থাকা ও অনুমান নির্ভর পথ্য ছাড়া এখনও পর্যনÍ এই ভাইরাসের চিকিৎসা সঠিক প্রতিষেধক আবিস্কার হয়নি। তবে বিজ্ঞানীরা এর ভ্যাকসিনের জন্যে চেষ্টা করছেন। আমরা আশাবাদী অতি শীঘ্রই এর ভ্যাকসিন আমরা পাবো।

    ওষুধ প্রদানকালে সমিতির সভাপতি সফিউল আলম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, সহ-সভাপতি বিকাশ কান্তি সিংহ, আশীষ কুমার চৌধুরী, বিপ্লব কান্তি ঘোষ, সুরেশ বড়ুয়া, শ্যামল চৌধুরী, মোহাম্মদ লেয়াকত আলী উপস্থিত ছিলেন।

    ছালেহ আহমদ খুরশিদা ফাউন্ডেশন : ছালেহ আহমদ খুরশিদা ফাউন্ডেশন পক্ষথেকে ৩শ পিস হাইফো অক্সিজেন ক্যানোলা প্রদান করেছেন।

    আজ মেয়র দপ্তরে সিটি মেয়র আ জ.ম নাছির উদ্দীন এই পিছ হাইফো অক্সিজেন ক্যানোলা গ্রহণ করে বলেন, জরুরী এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে যারা সহযোগিতার হাত প্রসারিত করছেন তারা আমাদের সকলের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি সামাজিক উদ্যোগ অন্যতম সহায়ক শক্তি।

    এসময় মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হুমায়ুন মোর্শেদ সিদ্দিকী শাকিল, ওয়াসিফ, ছাত্রনেতা অনিন্দ্যদেব উপস্থিত ছিলেন।

    দক্ষিণ বাকলিয়া জাতীয় শ্রমিকলীগ: দক্ষিণ বাকলিয়া জাতীয় শ্রমিকলীগের উদ্যোগে শিক্ষার্থী ও শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে ভোগ্যপন্য উপহার সামগ্রী ও রান্নাকরা খাবার বিতরণ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন।

    গতকাল সন্ধ্যায় দক্ষিণ বাকলিয়ায় মনোহর আলী মাস্টার বাড়ীতে এই উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।

    এসময় মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি আবু বক্কর, সাধারণ সম্পাদক মিজান চৌধুরী, বাকলিয়া থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক হাজী ছিদ্দিক আলম, বিপনী বিতান কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, শফিউল আলম, গোলাম রাব্বানী, আ খ ম আরিফ, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আলম জাহেদ, এড.জি এম জাহেদ, হাজী বেলাল আহমদ, এস এম মামুনুর রশিদ, আনিসুর রহমান চৌধুরী, মোহাম্ম জুয়েল, মোহাম্মদ রুবেল, জামশেদ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সবুজ ও পরিবেশ ঘাতকরা করোনার চেয়েও ভয়ংকর ভাইরাস:চসিক মেয়র

    সবুজ ও পরিবেশ ঘাতকরা করোনার চেয়েও ভয়ংকর ভাইরাস:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ. ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, সবুজ উদ্ভিদ জগত মানবকুল সহ জীব-প্রাণীর বেঁচে- থাকার অবলম্বন। এ সুবজ উদ্ভিদ মানব ও প্রাণীকূলকে বেঁচে থাকার অক্সিজেন জোগায় এবং নির্গত কার্বনডাই অক্সাইড টেনে নিয়ে প্রাণ-প্রকৃতি জগতের ভারসাম্য রক্ষা করে। এ সবুজ উদ্ভিদের প্রতি অশেষ ঋণ থাকা সত্বেও আমরা কতটুকুই বা তা অনুধাবন করি!

    আজ লাগামহীন সবুজ উদ্ভিদ নিধনের ফলে অক্সিজেন শূন্যতার সৃস্টি হচ্ছে। প্রকৃতির প্রতি মানুষের নির্দয় ও অবিবেচক আচরণের ফলেই আমরা আজ করোনাকালের দূর্যোগের ঘনঘটায় বিপর্যস্থ।

    মনে রাখতে হবে সবুজ উদ্ভিদ ও পরিবেশ ঘাতকরা করোনার চেয়ে ভয়ংকর ভাইরাস। এই সত্যকে উপলব্ধি করে চসিকের উদ্যোগে নগরীতে সবুজায়নের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে চলতি বর্ষার মৌসুমেই ৫০ লক্ষ চারাগাছ রোপন করা হবে।

    তিনি আজ সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মিউনিসিপ্যাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন কালে একথাগুলো বলেছেন।

    তিনি বৃক্ষের গুরুত্ব, উপযোগিতা, কার্যকারিতা এবং প্রাকৃতিক দূর্যোগ প্রতিরোধে একে সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তি হিসেবে অবিহিত করে বলেন, আমরা বহুবার প্রমাণ পেয়েছি যে, সবুজ উদ্ভিদ মানব ও প্রাণি জাতিকে প্রাকৃতিক মহাদূর্যোগ থেকে রক্ষা করে। এই তো কিছুদিন আগেও আম্ফান নামক বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়টি তীব্র গতিতে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসার পথে সুন্দরবনের বৃক্ষ বেষ্টনী তার গতি রুদ্ধ করে দূর্বল করে দেয়। এই কারণে আম্ফানের আগ্রাসনে কোলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গ লন্ডভণ্ড হলেও করোনাকালে ভয়াভহ ক্ষতি থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি। আজ এটাই প্রমাণিত হয় যে, সুন্দরবনের এই বৃক্ষ বেষ্টনী না থাকলে বাংলাদেশে মানুষের হাহাকার ভারি হয়ে উঠতো।

    আরও একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, মানবকুল ও প্রাণি জগত উদ্ভিদ থেকে খাদ্য সংগ্রহ করলেও একমাত্র উদ্ভিদই নিজে থেকেই নিজের খাদ্য সংগ্রহ করে। শুধু তাই নয় ওষুধ, বস্ত্র ও বাসস্থান যোগায়। ঝড়-ঝঞ্জার ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করে। শিল্পের কাচাঁমাল ও জ্বালানী যোগায়। শব্দ ও বায়ু দুষণ থেকে রক্ষা করে। সময়মত বৃষ্টিপাত ঘটাতে সহায়তা করে। উঞ্চায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে। তাই পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগানোর কোন বিকল্প নেই।

    তিনি ক্ষোভ উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূল রক্ষায় বিপুল অর্থ ব্যয়ে যে প্যারাবন বেষ্টণী গড়ে তোলা হয়েছে তা ভূমিদস্যুদের আগ্রাসনে ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে। এই প্যারাবন উজাড় করে সেখানে অপরিকল্পিত মাছের ঘের করা হচ্ছে। এর ফলে আমাদের উপকূল অরক্ষিত বলে প্রাকৃতিক দূর্যোগে এসকল জনপথ বার বার লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়।

    মেয়র আরো উল্লেখ করেন যে, এই চট্টগ্রাম নগরীতেই অনেকগুলো শতবর্ষী বড় বড় বৃক্ষ ছিল। এক শ্রেণির দস্যু প্রকৃতির মানুষ যারা সরকারি জায়গা থেকে এই শতবর্ষী বৃক্ষগুলোকে একে একে নিধন করেছে এবং এখনও করা হচ্ছে। এ কারণে চট্টগ্রামে যে ভূ-প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছিল তা আজ অনেকাংশে লুন্ঠিত।

    তিনি প্রশ্ন করেন যে, লক ডাউনের মধ্যেও পাহাড় নিধন কেন হয়েছে, কেন বৃক্ষ নিধন হয়েছে, কেন জবর দখলের মাধ্যমে সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে? কেমন করে এভাবে প্রকৃতি বিনাশ হলো তার জবাব অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জনগণ চাইতে পারে। এই দাবীর সাথে সকলকে কন্ঠ মেলাতে হবে।

    সিটি মেয়র বৃক্ষরোপনে অতুলনীয় অবদানের জন্য একাধিকবার জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত হওয়ার কৃতিত্বের কথা তার ধারাবাহিকতায় রক্ষায় চট্টগ্রাম নগরীর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসাকেন্দ্র, ওয়ার্ড অফিস, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মিড আইল্যান্ড, নদীর পাড়,কবরস্থান, ঘরের আঙ্গিনা এবং ছাদবাগানসহ সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প স্থানে বৃক্ষরোপনের ব্যপক পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

    তিনি এই কর্মসূচী সফল করার জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলর সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহবান জানান।

    এ সময় প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাহেদুল কবির চৌধুরী, কৃষ্ণকুমারী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহমেদ হোসাইন, বন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন আলী জয়সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    উদ্বোধন শেষে সিটি মেয়র শিক্ষার্থীদের হাতে ৫শত চারাগাছ বিতরণ করেন।

    অপর্ণাচরণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন :

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ. ম নাছির উদ্দীন আজ অপরাহ্নে চসিক পরিচালিত অপর্ণাচরণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের উন্নয়ন ও অবকাঠামো নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন।

    এ সময় তিনি মাষ্টার দা সূর্যসেন এর নেতৃত্বাধীন চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের সহযোদ্ধা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ও কল্পনা দত্তের স্মৃতি বিজরিত ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে চসিক অধিগ্রহণ করার পর যে উন্নয়ন হাতে নিয়েছে তা দ্রুততার সাথে বাস্তাবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের নির্দেশনা দেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, সহকারী প্রকৌশলী গোলাম আফজল মহিউদ্দিন, উপসহকারী প্রকৌশলী সুদেব কুমার দেব, ঠিকাদার মোঃ মিনহাজ, বেলাল আহমদ, এস এম মামুনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।

    এইচকে গ্রুপের পক্ষ থেকে হোমিও ঔষধ আর্সেনিক এ্যালবাম-৩০ হস্তান্তর: আজ দুপুরে টাইগারপাসস্থ মেয়র দপ্তরে সিটি মেয়র আ. জ. ম নাছির উদ্দীনের হাতে এইচকে গ্রুপের পক্ষ থেকে করোনা (কোভিড-১৯) চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত হোমিও ঔষধ আর্সেনিক এ্যালবাম-৩০ একশ জনের জন্য এক মাসের ঔষধ হস্তান্তর করেন।

    হস্তান্তরকালে মেয়র করোনা মহামারী দুর্যোগকালিন সময়ে দেশের মানুষকে এ মহামারী থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসায় এইচকে গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান এবং সাধারণ মানুষের চিকিৎসায় সকল হোমিও চিকিৎসকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাসেম, এইচকে গ্রুপ সিইও ছৈয়দ ছারওয়ার আলম ও ডা. কাজী সাজিয়া আফরিন শাওন উপস্থিত ছিলেন।
    মিমি আবাসিক এলাকার গেইট উদ্বোধন :
    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, নগরীকে সুন্দর করতে হলে প্রথমে এলাকাভিত্তিক সৌন্দর্য্যের গুরুত্ব রয়েছে। প্রত্যেকে যার যার এলাকায় পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ে তুলতে পারলেই পুরো নগরী বদলে যাবে।

    মেয়র প্রত্যেককে করোনা প্রতিরোধে সচেতন থাকার আহবান জানান।

    আজ সকালে ফলক উম্মোচনের মাধ্যমে পূর্বনাসিরাবাদস্থ মিমি সুপার মার্কেট সংলগ্ন মিমি আবাসিক এলাকার স্থায়ী গেইট নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে মেয়র একথাগুলো বলেন।

    তিনি আবাসিক এলাকার নিরাপত্তা সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধাগুলো যদি আবাসিক এলাকার অধিবাসীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায় তাহলেই এই নিরাপত্তা মূলক তোরণ নির্মাণে স্বার্থকতা বয়ে আনবে। সাথে সাথে এই তোরণে নিরাপত্তামূলক প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম স্থাপনের উপরও গুরুত্বারোপ করেন মেয়র।

    এ সময় কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, আবাসিক এলাকার সহ সভাপতি এ.কে.এম মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দিন মজুমদার, ফখরুল ইসলাম, এস এম সিরাজ, ওয়াহিদুল আলম শিমুল, তোফাজ্জল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতারকে বিদায় সংবর্ধনা দিল চসিক :
    দুই বছর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন শেষে বিদায় নিয়েছেন আফিয়া আখতার। চট্টগ্রামে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের মহাব্যবস্থাপক পদে তার যোগদানের কথা রয়েছে।

    আজ সকালে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় দিয়েছে চসিক। নগর ভবনের চসিক মেয়র দপ্তরে অনুষ্ঠিত বিদায় সংবর্ধনায় প্রধান অতিথি ছিলেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, আফিয়া আখতার চসিকে আন্তরিকতা ও সফলতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন। এজন্য মেয়র তাঁর পেশাগত দক্ষতার প্রশংসা করে বলেন, তিনি যেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং করবেন সেই ধারাবাহিতকতাকে অব্যাহত রাখার জন্য আহবান জানান।

    তিনি বলেন, আফিয়া আখতার চট্টগ্রাম নগরে অনেক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সহ গুরুত্বপুর্ণ অভিযান পরিচালনা করেছেন। তাঁর এই কার্যক্রম চট্টগ্রামবাসী স্মরণীয় করে রাখবেন।

    মেয়র তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন। বিদায় অনুষ্ঠানে চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল সোহেল আহমদ, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম উপস্থিত ছিলেন।

    বিদায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ফুল, চসিকের মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট তুলে দেন সিটি মেয়র।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নের পথে:চসিক মেয়র

    জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নের পথে:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, নগরীর সড়ক যোগাযোগ সহ বিভিন্ন উন্নয়ন অবকাঠামো নির্মাণ,সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্ম-পরিকল্পনা প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি উদ্ভুত পরিস্থিতিগত কারণে ক্ষেত্র বিশেষে শ্লথ হলেও গুরুত্ব বিবেচনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এগুলোর কাজ সম্পন্ন করা হবে।

    দ্রুততম সময়ের মধ্যে জনগুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর কাজের মান ও স্থায়িত্ব ক্ষমতায় কোন রকমের ত্রুটি যাতে না থাকে সেজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সময়ের কাজ সময়ে শেষ না হলে জনগণের দূর্ভোগ বাড়ে এবং প্রকল্পের অর্থেরও অপচয় হয়।

    সিটি কর্পোরেশনের অনেকগুলো প্রকল্পের জাইকার অর্থায়নে বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাই দাতা কর্তৃপক্ষ চায় না কাজে কোন ধরনের খুঁত থাকুক। এজন্য বিরূপ আবহাওয়াজনিত কারণে কাজের মান যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য কাজ সাময়িক বন্ধ রাখা হয় এবং কারিগরি দৃষ্টিকোণ থেকে এই সময়ক্ষেপনকে অযৌক্তিক বলা যাবে না। তারপরও নির্দ্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে কোন কোন ঠিকাদার অযৌক্তিক অজুহাত খাঁড়া করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ বুঝিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এটা পরিস্কারভাবে চুক্তির শর্ত লংঘন। তবুও আমরা কাজ শেষ করার নতুন বর্ধিত সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছি। এরপরও মানসম্পন্ন ও টেকসই কাজ বুঝিয়ে দিতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্টদের শাস্তি পেতে হবে এবং নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    তিনি নগরবাসীকে আশ্বস্থ করে বলেন, করোনাকালে বিরূপ পরিস্থিতি সীমাবদ্ধতা ও আর্থিক সংকটের মধ্যেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কোন কর্মপরিকল্পনাই থেমে থাকছে না। প্রকল্পগুলোর সিংহভাগ কাজের অগ্রগতি হলেও কিছুটা ফিনিশিং বাকি রয়েছে। এই প্রকল্পগুলো নভেম্বর মাসের মধ্যেই শেষ করে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা সম্ভব হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বর্ধিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে জনবল বৃদ্ধি ও দিনে-রাতে কাজ করার জন্য ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের নির্দেশনা দেন মেয়র।

    তিনি আজ পিসি রোডস্থ তাসফিয়া থেকে সাগরিকা মাজার পর্যন্ত এবং সাগরিকা মাজার থেকে অলংকার পর্যন্ত চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।

    তাসফিয়া থেকে সাগরিকা মাজার পর্যন্ত ১৫৪৩ মিটারের এই কাজের জন্য ৪০ কোটি টাকা এবং সাগরিকা মাজার থেকে অলংকার পর্যন্ত ৭৫০ মিটার সড়ক নির্মাণে ২৮ কোটি টাকা ব্যয় করছে জাইকা। ইতোমধ্যে এই প্রকল্প কাজ প্রায় সিংহভাগ সম্পন্ন হয়েছে এবং বর্তমানে শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

    এছাড়া সিটি মেয়র আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ পালন উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্মিত ম্যুরাল প্রতিস্থাপন স্থানের বড়পোল মোড়স্থ নির্দিষ্ট স্থান পরিদর্শন করেন।

    তিনি এই প্রতিস্থাপন কাজ আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দেন এবং এরপর দুই একদিনের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করতে পারেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    সাগরিকা স্টোর পরিদর্শন : সাগরিকা স্টোর ও এ্যাসফল্ট প্ল্যান্ট পরির্শনে যান সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন।

    এসময় মেয়র সাগরিকা স্টোরে মালামাল সংরক্ষনের পদ্ধতি প্রত্যক্ষ করেন এবং স্টোরে রক্ষিত মালামাল সঠিক নিয়মে সংরক্ষনের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।

    মেয়র সাগরিকা স্টোরে স্থাপিত পরীক্ষাগারে রাস্তারকাজে ব্যবহৃত ইট, স্টোন, বালি ও সয়েল টেস্ট সম্পন্ন করে গুনগত মান যাচায়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

    এসময় মেয়রের সহকারী একান্ত সচিব রায়হান ইউসুফ, চসিক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান, সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) তৌহিদুল ইসলাম, হাজী মোহাম্মদ বেলাল আহমেদ, আনিসুর রহমান চৌধুরী, এস এম মামুনুর রশীদ, জসিম উদ্দীন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মহান আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও ধর্মীয় অনুশাসনই সংকট মুক্তির পথ:চসিক মেয়র

    মহান আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও ধর্মীয় অনুশাসনই সংকট মুক্তির পথ:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, অর্থ-বিত্ত-ক্ষমতার অহংকার, মানবতা ও প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশের প্রতি নির্দয় আচরণ এবং আল্লাহ-রাসুলের নির্দেশিত পথ সঠিকভাবে অনুসরণ করতে না পারায় আমরা বালা-মুছিবতের শিকার হচ্ছি।

    তিনি আরো বলেন, সকল রোগ-বালাই অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও অভ্যাসগত অসতর্ক চলাফেরার পরিণতি। অথচ আমরা অসচেতন, তাই যারা ঘুমের ভান করে শুয়ে আছি তাদেরকে কখনও জাগানো যায় না। মনে রাখতে হবে মহান আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা সংকট মুক্তির পথ।

    তিনি আজ শুক্রবার বাদ জুমা শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন মেহেদী জামে মসজিদে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অনুদান স্বরূপ ৩২ টি সিলিং ফ্যান প্রদানকালে এ-কথাগুলো বলেন।

    শুদ্ধাচারী জীবনযাপনকে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার প্রধান বেষ্টনী হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার কথা বলা হচ্ছে, তা আমাদের ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যেই নিহিত আছে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার আগে অজু করার বিধান রয়েছে, যা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রধান অনুষঙ্গ।

    তিনি করোনাকালে মহল বিশেষের সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ও নেতিবাচক সমালোচনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সবকিছুকে বাঁকা-চোখে দেখা একটি স্বাভাবগত অভ্যাস। আর যারা দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে সরকার বিরোধী তাদের বোঝা উচিত বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্বব্যাপী দল-মত নির্বিশেষে সকলকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে এবং সমাধানটাও আসবে সর্বজনীন ভাবে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার যা কিছু করছে তা যদি যথেষ্ট না হয় তাহলে সমালোচনার বদলে পরামর্শ থাকা উচিত। সরকারের বাইরেও নিজের যে দায়িত্ব থাকতে পারে তা ভুলে গেলে চলবে না।

    তিনি প্রসঙ্গক্রমে আরো বলেন, একপেশে ও ক্রস-চেক ছাড়া তথ্য যাচাই-বাছাই না করে সংবাদ পরিবেশনা প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও জনমনে হতাশা বাড়ায়। এটা কখনো বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণ হতে পারে না।

    তিনি গণমাধ্যমে পিসি রোডের নির্মাণ ও সংস্কার কাজ নিয়ে পরিবেশিত সংবাদে তথ্য বিভ্রাট রয়েছে বলে উল্লেখ করে বলেন, কাজটি করার কথা জাইকার। তাদের পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে এটা থেমে গেলে ২৭ মাস আগে কাজটি সিটি কর্পোরেশন শুরু করে। অথচ প্রতিবেদনে লেখা হয় ৪৭ মাসেও কাজটি শেষ হয়নি। কাজ শেষ হয়নি মানে আমরা কী বসে আছি? এই কাজটি এখন সমাপ্তির পথে এবং নভেম্বর মাসে কাজটি বুঝিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই কাজের এখন পর্যন্ত যে অগ্রগতি হয়েছে প্রতিবেদনে সে-সম্পর্কে কিছুই লেখা হয়নি। তাহলে এটাতো সঠিক তথ্য-উপাত্ত ছাড়া একটি অসম্পুর্ণ প্রতিবেদন।

    এসময় জামাল আহমদ, মোহাম্মদ নোমান আল মাহমুদ,মেয়রের একান্ত সহকারি রায়হান ইউসুফ, মোহাম্মদ ঈসা,মোঃ সোলাইমান মোহাম্মদ বেলাল আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ ইব্রাহীম, মোহাম্মদ জাকারিয়া ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • নিম্নমান ও ঠিক সময়ে কাজ শেষ না হলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে:চসিক মেয়র

    নিম্নমান ও ঠিক সময়ে কাজ শেষ না হলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা না হলে এবং নিম্নমানের ও ত্রুটিপূর্ণ কাজ বুঝিয়ে দেয়া হলে ঠিকাদারদের কালো তালিকাভুক্ত করে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। কাজের গতি কোন অবস্থাতেই যাতে শ্লথ না হয় এবং জোড়াতালি দিয়ে কাজ বুঝিয়ে দেয়ার প্রবণতার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের দায়িত্বশীল থাকতে তিনি নির্দেশনা দেন।

    তিনি বলেন, কোন কোন ঠিকাদার কাজের চুক্তির সময়সীমা লঙ্ঘন করে দীর্ঘ সুত্রতার আশ্রয় নিচ্ছে। এর ফলে জনদূর্ভোগ বাড়ছে এবং সরকার ও সিটি কর্পোরেশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। আমি বার বার সতর্ক করে দেয়ার পরও কোন কোন ঠিকাদার এক্ষেত্রে চরম উদাসীনতা প্রদর্শন করে যাচ্ছেন এবং নানা ধরনের অযৌক্তিক অজুহাত খাঁড়া করছেন। যৌক্তিক কারণ থাকলে তা গ্রহণ করার মানসিকতা আমার আছে। কিন্তু অযৌক্তিক সময়ক্ষেপণ করে কাজ ঝুলিয়ে রাখা এবং নিম্নমানের কাজ বুঝিয়ে দেয়ার প্রবণতা সহ্যের সীমা হারিয়েছে।

    মেয়র নগরীর পোর্ট কানেকটিং সড়কের কাজ আগামী নভেম্বর মাসে এবং নগরীর ড্রেন,মিডআইল্যান্ড সহ বাকি সড়কগুলোর অসমপূর্ণ কাজ সমূহ জুলাই মাসের মধ্যে শেষ করার জন্য কড়া নির্দেশনাও দেন মেয়র। এর পর আর কোন ধরনের ওজর-আপত্তি গ্রাহ্য করা হবে না এবং সংশ্লিষ্টদেরকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে কঠোর হুঁশিয়রিী উচ্চারণ করেন।

    এসময় চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোছাইন, মনিরুল হুদা, আবু ছালেহ, কামরুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, অসিম বড়ুয়া, আবু সিদ্দিক, বিপ্লব দাস, সহকারি প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, জাইকার মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম, ঠিকাদার মোহাম্মদ মনজুর আলম, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ ফরহাদুল ইসলাম, আশীষ মহাজন, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ রোকন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • অর্থহীন সমালোচনা নয়, যুদ্ধ জয়ের সঠিক রণকৌশল চাই:চসিক মেয়র

    অর্থহীন সমালোচনা নয়, যুদ্ধ জয়ের সঠিক রণকৌশল চাই:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, সম্পূর্ণ অজানা-অচেনা-অদৃশ্য করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের রণকৌশল আগে থেকে নির্ধারিত থাকার কথা নয়। বাংলাদেশের তো নয়, উন্নত দেশগুলোরও ছিলো না। প্রস্ততিবিহীন এই যুদ্ধ সম্পুর্ণ নিরস্ত্র অবস্থায় শূন্য থেকেই শুরু করতে হয়েছে। তাই অযৌক্তিক সমালোচনা অর্থহীন,সক্ষমতা ও সামর্থ্যরে মাত্রা বিবেচনা এবং বাস্তবতার নিরীখে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও সম্মিলিত অংশগ্রহণ এবং সমন্বয় ছাড়া শুধু মুখের কথা বার বার আউড়িয়ে কোন ফলোদয় হবে না।

    আজ ৩৪ নং পাথরঘাটা ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইল বালীর উদ্যোগে বিনামূল্যে প্রতিষ্ঠিত অক্সিজেন,জরুরী ওষুধসরবরাহ ও টেলি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, করোনা সংক্রমণের পিক-টাইমে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে ঠাঁই নেই অবস্থা। তাই আক্রান্তরা কাঙিক্ষত সেবা না পাওয়ারই কথা। গণমাধ্যমে এ- নিয়ে হাহাকার ফলাও করে প্রচার হচ্ছে কিন্তু বাস্তবতা,সক্ষমতা ও চিকিৎকদের সীমাবদ্ধতার ঘাটতিগুলো তুলে ধরা হচ্ছে না। মনে রাখতে হবে তড়িঘড়ি প্রশিক্ষণ দিয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তৈরী করা যায় না এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম ও করোনা বিশেষায়িত চিকিৎসা কেন্দ্র আগে থেকেই ছিলো না। তাই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাময়িক অসুবিধা থাকলেও তা নিরসন হবে।

    তিনি উল্লেখ করেন যে, প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও আতঙ্কের কারণ নেই। সংক্রমন সাংঘাতিক ছোঁয়াছে হলেও মারাত্মক নয়। আক্রান্তকে সুস্থ হতে ১৪ দিন লাগে এবং ঘরে থেকেই চিকিৎসা নেয়া সবচেয়ে উত্তম।

    তিনি সামনের সময়কে কঠিন বলে উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বের সকল অর্থনৈতিক খাত ভঙ্গুর। বাংলাদেশে বিগত ১২ বছরে দারিদ্রের হার শতকরা ৭ এর নীচে নামিয়ে আনা হয়েছিল। করোনা ছোবলে মাত্র ৪ মাসে তা ৩০ শতাংশে পৌঁছেছে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেই করোনা মোকাবেলায় যুদ্ধের রণ-কৌশল নির্ধারণ করেছেন।

    অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইল বালী বলেন, মৃত্যুর আগেই মৃত্যু চাইনা। তাই জীবন বাঁচাতে সকল সামর্থ্য ও সক্ষমতা নিয়ে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে আছি।

    তিনি আগামীতে এই ওয়ার্ডে মাসে ১শ টি পরিবারকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের অঙ্গীকার ঘোষণা করেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন ৩৩ নং ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, মোহাম্মদ ইকবাল, মহল্লা সর্দার আবু মোহাম্মদ জামাল, সমাজ সেবক দেবব্রত দাশ দেবু, মাওলানা মোহাম্মদ ইউছুফ প্রমূখ।

    জহুর আহমদ চৌধুরী
    উজান ঠেলে এগিয়ে যাওয়া তরী-আ.জ.ম নাছির

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, জহুর আহমদ চৌধুরী শুধু চট্টগ্রামের নন, তিনি একাধারে জাতীয় রাজনীতিক এবং পাশাপাশি উপমহাদেশ খ্যাত শ্রমিক আন্দোলনের অগ্রদূত। তাঁর জীবন উজান ঠেলে সামনে এগিয়ে চলা তরী। দল ও জাতির ক্রান্তিকালে তিনি এক অদম্য শক্তি হয়ে ইতিহাসে স্বাক্ষী হয়ে আছেন।

    গতকাল বুধবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ইষ্টার্ণ জোনের চেয়ারম্যান মরহুম জহুর আহমদ চৌধুরীর ৪৬ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে তাঁর কবরে খতমে কোরআন দোয়া মাহফিল ও শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে সংক্ষিপ্ত স্মরণানুষ্ঠানে একথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, করোনাকালে সংকট মোকাবেলায় মরহুম জহুর আহমদ চৌধুরী প্রেরণার উৎস। তিনি রাজনীতিক ও মানবিক বিপর্যয়ে ত্রাতা হিসেবে নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। তাই তিনি আমাদের নির্ভরতার প্রতিক।

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও মরহুম জহুর আহমদ চৌধুরীর পুত্র মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমার পিতা রাজনীতিকে অর্থ বিত্তের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেননি। এই চট্টগ্রামে তিনি কোন সম্পদের পাহাড় গড়েন নি। তবু তিনি গোটা জাতির মানব সম্পদ।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা আলহাজ্ব সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সফিকুল ইসলাম ফারুক, কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন, সলিম উল্লাহ বাচ্চু এবং বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য পরিবহনে নিমতলা পোর্ট কানেকটিং রোড গুরুত্বপূর্ণ:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য পরিবহনে নিমতলা পোর্ট কানেকটিং রোড গুরুত্বপূর্ণ:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম মহানগরীর অন্যতম ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ নিমতলা থেকে পোর্ট কানেকটিং সড়কের চলমান উন্নয়ন কাজ আকষ্মিক পরিদর্শন করলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

    পরিদর্শনকালে মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য পরিবহনে নিমতলা পোর্ট কানেকটিং রোড গুরুত্বপূর্ণ। এই সড়ক দিয়েই বন্দর থেকে প্রতিদিন পণ্য বা কন্টেইনারবাহী পরিবহন ঢাকাসহ দেশের নানাপ্রান্তে যাতায়াত করে। দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে পণ্য পরিবহনে দুর্ভোগ এবং হয়রানি পোহাতে হচ্ছে। ছয় লেন বিশিষ্ট পোর্ট কানেকটিং রোড উন্নয়ন কাজ এখন প্রায় শেষ প্রান্তে। এটি বাস্তবায়িত হলে বন্দরের পণ্য পরিবহনে গতিশীলতা ফিরে আসবে।

    এসময় তিনি সড়ক সংলগ্ন এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময়কালে উন্নয়ন কাজ চলাকালীন সময়ের ভোগান্তির কথা তুলে ধরে বলেন, সড়কের উন্নয়ন কাজ চলাকালীন সময়ে সাময়িক দুর্ভোগ, হয়রানি হচ্ছে। এটা উন্নয়নের প্রসব বেদনা। এ বেদনা সইতে হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এই এলাকা হবে নগরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য পরিবহনকে কেন্দ্র করে এই এলাকায় গড়ে উঠবে সংশ্লিষ্ট শিল্পাঞ্চল। এই সড়কে দুই দফায় ৫০ কোটি করে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নিমতলা পোর্ট কানেকটিং থেকে বড়পুল, বড়পুল থেকে নয়াবাজার পর্যন্ত এবং আগ্রাবাদ বাদামতলী থেকে বড়পুল নয়াবাজার পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় রাস্তার দুইপাশে আর সিসি ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ, রাস্তার মাঝখানে ৮ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট মিডিয়ান নির্মাণ, এলইডি আলোকায়ন ব্যবস্থা থাকবে। ছয় লেনের সড়কটি দৈর্ঘ্য দুই কিলোমিটার ও প্রস্থ ১২০ ফুট। অপরদিকে একই প্রকল্পে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের ২ কিলোমিটার পর্যন্ত উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা হবে।

    মেয়র সকল ধরণের সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্বাচ্ছন্দে যাতায়তের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নে নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

    তিনি সরকারের সেবামূলক কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চলমান সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার কাজে অহেতুক দীর্ঘসূত্রিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং কাজের মানও রক্ষা হচ্ছে না। এ ধরণের জনস্বার্থ বিরোধী কার্যকলাপ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে এসব কার্যকলাপেলিপ্ত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

    তিনি আরো বলেন, করোনাকালে অসৎ প্রকৃতির স্বার্থপর গোষ্ঠী ও সিন্ডিকেট লুন্ঠন প্রবৃত্তিতেলিপ্ত। এরা সরকার ও জনগণের শত্রু। করোনা অদৃশ্য শত্রু। তাই ধরাছোঁয়ার বাইরে। যারা দৃশ্যমান শত্রু তাদেরকে ঘায়েল করার ক্ষমতা সরকার ও জনগণের আছে। তাই এই শত্রুকে নির্মূল করতে জিরোটলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে হবে।

    এসময় মেয়র আগামী নভেম্বরের মধ্যে এই সড়কের সকল উন্নয়ন কাজ শেষ করে যান ও জন চলাচলের উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

    পরিদর্শনকালে সিটি মেয়রের সহকারী একান্ত সচিব রায়হান ইউসুফ, চসিক নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব, সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান, হাজী বেলাল আহমদ, এস এম মামুনুর রশিদ, আনিসুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সাক্ষাত : আজ সকালে টাইগারপাসস্থ মেয়র দপ্তরে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ সিটি মেয়র আ. জ. ম নাছির উদ্দীনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।

    সাক্ষাতকালে এই দুর্যোগকালিন সময়ে মেয়র নগরীর সামাজিক সংগঠন ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মানবতার সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

    এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সমন্বয়ক মুজিবুর রহমান, অর্গানিয়ার কো-অডিনেশন এস এম সাজ্জাদ হোসেন, অর্গানিয়ার কাজী আবু জব্বার, কোয়ান্টাম লাশ দাফন টীমের প্রধান সেবক মো. এহসানুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সংকট মোকাবেলায় সমালোচনায় নয়, সমাধান খুজতে হবে:চসিক মেয়র

    সংকট মোকাবেলায় সমালোচনায় নয়, সমাধান খুজতে হবে:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ. জ. ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, করোনা বৈশ্বিক সংকটময় একটি মহামারি। এটাকে সামাল দিতে বিশ্বের সরকার প্রধানরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আমাদেরমত উন্নয়নশীল দেশে জীবন ও জীবিকার সমন্বয়ে করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রনের প্রচেষ্টা চলছে। অথচ কেউ কেউ এর সমালোচনা করেই চলেছে।

    মেয়র বলেন, সমালোচনায় সংকট হতে উত্তরণ সম্ভব নয়। সমাধান খুঁজতে হবে সম্মিলিতভাবে দেশের সর্বস্তরের নাগরিককে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব যতটা সম্ভব বজায় রেখে আমরা যদি দেশের প্রতিটি প্রয়োজনীয় সেক্টরকে সচল রেখে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা করতে পারি তবেই বাঁচবে দেশ, বাঁচবে দেশের সর্বস্তরের মানুষ। সরকার সবদিক বিবেচনায় শপিংমল সহ অন্যান্য ব্যবসাকেন্দ্র সীমিত আকারে চালু রেখেছে। এতে করে কম বেশি সবাই উপকৃত হচ্ছেন। দেশের অর্থনীতি যদি দেউলিয়া হয়ে যায় বেঁচে থাকলেও আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে বেশ বেগ পেতে হবে। দেশ ও দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ঠিক রেখে গণস্বাস্থ্য সংরক্ষণ সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী যে, সতর্কভাবে দেশের মানুষ সরকার ও প্রশাসনকে সহযোগিতা করলে সংকট উত্তরণ কঠিন হবে না। দোকান কর্মচারীদের পরিচ্ছন্ন হয়ে দোকানে বসার পাশাপাশি ক্রেতারা এলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। করোনা প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন থেকে কাজ করতে হবে। নিজেরা আক্রান্ত হলে অন্যের সেবার যে দায়িত্ব আমাদের কাঁধে, তা ভালোভাবে করতে পারবো না।

    আজ সোমবার সকালে নগরীর বিপনী বিতান কার্যালয়েবিপনী বিতান ব্যবসায়ী কল্যাণ সংস্থা ও বিপনী বিতান দোকান কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে বিপণী বিতানের কর্মচারীদের মাঝে করোনা প্রতিরোধক স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

    এ সময় মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, বিপণী বিতান ব্যবসায়ী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো. সাগির, বিপনী বিতান দোকান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নির্মল কান্তি শীল, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, বেলাল আহমদ, এস এম মামুনুর রশীদ, আনিসুল ইসলাম আনিস, অনিল ধর, জনি ইসলাম, মো. ফরহাদ, আহমেদ রুবেল, তাজুল ইসলাম রিপন, আজাদ হোসেন, মনসুর আলম, মহিউদ্দিন, অনিক, আলী, ফজলুল, অরুন চৌধুরী ও সুভাশিষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    পূর্ব মাদারবাড়ি সেবক কলোনী পরিদর্শনে- মেয়র
    যারা নগরীকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখেন তাদের জীবনধারাও একই রকম হতে হবে
    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ. জ. ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন রোগ বালাই প্রতিরোধের প্রধান প্রতিষেধক। করোনাকালে এর গুরুত্ব অপরিসীম। পরিচ্ছন্ন আবাস ও দেহকে জীবাণু সহজে স্পর্শ করেনা। তাই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ কর্মপরিকল্পনায় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতাকে অধিকতর গুরত্ব দেয়া হয়েছে। সামাজিক সুরক্ষাবেষ্টনী নিশ্চিত হলে রোগ-ব্যাধি সংক্রমণের জীবানু নিস্তেজ ও নিষ্প্রান হতে বাধ্য।

    তিনি গতকাল পূর্বমাদারবাড়িতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের আবাসিক কলোনী পরিদর্শনকালে একথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, নগরীকে যারা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখেন তাদের জীবনধারাও একই রকম হতে হবে। তাই তাদের জন্য বহুতল ভবন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঝাউতলায় সেবক কলোনী বহুতল ভবন নির্মাণকাজ চলমান। বাকী কলোনীগুলোতেও একই ধরণের সুযোগ-সুবিধায় আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে চসিক। এইসব প্রকল্পে আবাসনের সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি হল ও উপাসনালয়ও থাকছে।

    এ সময় চসিক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জসিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • পোর্ট কানেকটিং রোডের চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে মেয়র

    পোর্ট কানেকটিং রোডের চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন নগরীর তাসপিয়া হতে সাগরিকা পর্যন্ত চলমান রাস্তার কাজ পরিদর্শন করেছেন।

    এসময় মেয়র কাজ সমাপ্তিতে দীর্ঘসুত্রিতা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও দায়িত্বরত প্রকৌশলীদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

    পরিদর্শনকালে মেয়র অত্র এলাকার যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটায় দু:খ প্রকাশ করেন এবং কাজের গুনগত মান বজায় রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

    এসময় তিনি বলেন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার কাজের দীর্ঘ সুত্রিতা জন দূর্ভোগকে বাড়াচ্ছে। এটা ঠিকাদারদের চুক্তির বরখেলাপ। কোন অজুহাতে কাজের দীর্ঘসূত্রিতা এবং গুনগত মান রক্ষা করা না হলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করা হবে না।

    পরিদর্শনকালে চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান, নাসির উদ্দিন, মোহাম্মদ মাহবুব, উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চসিক মেয়রের সাথে বিশ্ব ফোরাম নেতৃবৃন্দের সাক্ষাত

    চসিক মেয়রের সাথে বিশ্ব ফোরাম নেতৃবৃন্দের সাক্ষাত

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, করোনাকালে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে গিয়ে প্রতিদিন যে অভিজ্ঞতাগুলো আমরা অর্জন করছি তার আলোকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর স্বাস্থ্যখাতকে সচল রেখে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সেবাদানকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সাধ্য ও সামর্থ্য অনুযায়ী সেবা দেয়া হচ্ছে। সামর্থ্য-সীমার বাইরেও সামাজিক শক্তি ও বেসরকারি ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করে করোনা টেস্টিং বুথ সহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছি। এর সুফল উপকারভোগীরা পাচ্ছেন।

    তিনি আজ সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক অস্থায়ী নগরভবনে তাঁর দপ্তরে ইউ.এস সেন্টারস্ ফর ডিজিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন এর-বাংলাদেশস্থ প্রধান আবাসিক কর্মকর্তা ড.মিচেল এস ফ্রেডম্যানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন।

    তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কোভিড-১৯ প্রতিরোধক ও নিয়ন্ত্রন কার্যক্রমের বিভিন্ন পদক্ষেপ,উদ্যোগ, নীতিমালাসহ জনকল্যাণমুখী সেবা প্রদানের কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, আমাদের এসকল কার্যক্রম ও কর্মপরিকল্পনা পরিস্থিতি ও বাস্তবতা বিবেচনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে আর্থিক সংকটসহ নানান প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও আমাদের কর্মপরিকল্পনাগুলোকে সচল ও সক্রিয় রাখা এবং সম্ভাব্য প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি চলমান রাখা হয়েছে।

    প্রতিনিধি দলের নেতা ড.মিচেল এস ফ্রেডম্যান বলেন, সীমিত সামর্থ্য ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেও করোনাকালে পরিস্থিতি মোকাবেলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সামাজিক ও মানবিক উদ্যোগ একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। আশা করি এর সুফল জীবন ও জীবিকা রক্ষায় উপকারভোগীরা পাচ্ছেন। তাই এই প্রাপ্তি যথেষ্ট না হলেও উল্লেখ করার মত এবং অন্যান্য স্থানীয় প্রষ্ঠিানের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

    তিনি কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর্মপরিকল্পনায় সন্তোষ প্রকাশ করে আরো বলেন, বিপর্যয়কালীন সময়ে আমাদের পরামর্শগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আমলে আনা হয়। পরিস্থিতি মোকাবেলায় যেখানে ইতিবাচক কর্মপরিকল্পনাগুলো চলছে সেগুলো সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করার পর তা অনুসরণ করার জন্য বিশ্ব ফোরামে তুলে ধরা হয়। তাই আমাদের কাছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের করোনাকালীন কর্মপরিকল্পনা একটি কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা।

    ড.মিচেল এস ফ্রেডম্যান মেয়রের কাছে দূর্যোগ মোকাবেলায় তাঁর বৈশ্বিক অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরে বলেন, দুর্যোগকালীন সময়ে পরিস্থিতি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় থাকার জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোর নির্দেশনা সহায়ক প্রেরণা হয়ে থাকতে পারে। তাই আমাদের অভিজ্ঞতাগুলো বিনিময় করে চসিকের করোনাকালের কর্মপরিকল্পনা ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যেতে পারে বলেই আস্থা ও বিশ্বাস জন্মেছে।

    এপ্রসঙ্গে তিনি আরো পরামর্শ দেন যে, দূর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে চসিকের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সামাজিক শক্তি এবং শ্রেণী- পেশাজীবিদের নেতৃত্বকে যতবেশি সম্পৃক্ত করা যাবে ততবেশি ইতিবাচক সুফল অর্জিত হবে। এই দিকটি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় আনা হলে চসিকের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কোন বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকবেনা বলে তিনি মন্তব্য করেন এবং কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন।

    এসময় প্রকল্প গবেষনা কর্মকর্তা লে.কর্ণেল দস্তগীর হারুন,গবেষক ও সাংবাদিক মিস প্রিয়াতা, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমেদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ক্রীড়াসূলভ চেতনা ও গতি জেগে ওঠার বড় শক্তি: চসিক মেয়র

    ক্রীড়াসূলভ চেতনা ও গতি জেগে ওঠার বড় শক্তি: চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, মরণঘাতী করোনার ভয়াবহ আগ্রাসনে বিপর্যস্ত বিশ্বের অর্থনৈতিক খাতসহ ক্রীড়া, বিনোদন, সংস্কৃতি, শিক্ষাঙ্গনে স্থবিরতা ও কবরের নিস্তবদ্ধতা বিরাজ করছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ক্রীড়াঙ্গনের উচ্ছাসকে অদ্ভূত এক আঁঠার গাম করেছে। ক্রীড়াবিদ, প্রশিক্ষক, সংগঠকরা প্রাণ স্পন্দনহীন। এই ক্ষেত্রে যারা পেশাদার তাদের রুটি-রুজি নেই। তাদের শক্তি ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু। তবুও আমরা স্বপ্ন দেখি ক্রীড়া শক্তি নিঃশেষ হবে না। স্বাভাবিক অবস্থায় আমরা অবশ্যই জেগে উঠবো। তাই সাহস না হারিয়ে আগে বেঁচে থাকতে হবে এবং ভবিষ্যতের স্বপ্নের জাল বুনতে হবে।

    আজ সকালে পূর্ব মাদারবাড়ীতে চট্টগ্রাম শোভন ক্লাবের উদ্যোগে ২০জন ফুটবল কোচারদের নগদ অর্থ ও উপহার সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

    তিনি আরও বলেন আজকে দুর্বিষহ পরিস্থিতি ও সংকটকালীন অবস্থায় কেউ নিরাপদ নয়। সাহস- ধৈর্য্য- সংযম- সহনশীলতা এবং সচেতনতাই আত্নশক্তিকে বলীয়ান করবে। ক্রীড়াসূলভ চেতনা ও গতিই হলো প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও একমাত্র জেগে ওঠার শক্তি।

    শোভন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সভাপতি, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি আলী আব্বাস, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি আলমগীর সিরাজ, চট্টগ্রাম রেফারিজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান মিলন,সিজেকেএস কাউন্সিলর মোহাম্মদ সোলেমান,মোহাম্মদ দিদারুল আলম, বেলাল আহমদ,এসএম মামুনউর রশিদ,আনিসুর রহমান আনিস,আব্দুল আজিজ, নূর জাহেদ বাবুল প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর