Tag: চসিক মেয়র

  • করোনার ভ্যাকসিন আবিস্কৃত না হওয়া পর্যন্ত মনোবলই উত্তম প্রতিষেধক: চসিক মেয়র

    করোনার ভ্যাকসিন আবিস্কৃত না হওয়া পর্যন্ত মনোবলই উত্তম প্রতিষেধক: চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ. জ. ম নাছির উদ্দীন বলেন, বাংলাদশের সব শহরের পরিস্থিতিই করোনার ছোবলে বিপদগ্রস্থ। মহামারির আঘাত আর বেঁচে থাকার লড়াই যুগপৎভাবে চলছে সর্বত্র। বিশ্বের বড় বড় নিরাপদ শহরের চিত্রও অভিন্ন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের উন্নয়ন সমৃদ্ধি ও কর্মযজ্ঞের করোনা পূর্ব সক্ষমতাকে ফিরিয়ে আনতে যে চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করেছেন তার সাথে আমরা যতই নিবিড়ভাবে একাত্ম হতে পারব ততই আমাদের পুন:যাত্রার পথ প্রশস্থ হবে।

    প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ধর্ম-বর্ণ-শ্রেনী – পেশা- ধনী – গরীব -অঞ্চল নির্বিশেষে ছড়াচ্ছে। শহর বা গ্রামকে বাছ-বিচার করছে না। তবুও স্বাভাবিকভাবেই শহরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বেশি হওয়ার ফলে মানুষের মধ্যে একধরনের আস্থা কাজ করে। কিন্তু সেই ভরসাও ম্লান হয়ে যাচ্ছে, কিছু চিকিৎসক ও বেসরকারী হাসপাতালের অসহযোগীতার কারনে।

    তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাস কালকেই চলে যাবে বা পরশু থেকে কমে যাবে কিংবা দীর্ঘকাল অবস্থান করবে বিষয়টি এমন নয়। পরিস্থিতি আরো শোচনীয় কিংবা ভালোর দিকেও যেতে পারে। এটাই বাস্তবতা, এই বাস্তবতায় সামাজিক দূরত্ব ও জরুরী স্বাস্থ্যবিধি পালনের ক্ষেত্রেও একনিষ্ঠতা অপরিহার্য। করোনা নিরাময়ক ভ্যাকসিন আবিস্কৃত না হওয়া পর্যন্ত মনোবলই উত্তম প্রতিষেধক। সরকারী, বেসরকারী, সামাজিক, ব্যক্তিগত ইত্যাদি যাবতীয় শক্তি ও সম্পদ এসব ক্ষেত্রে নিয়োজিত করেই করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে হবে।

    মেয়র বলেন, মানুষ নিত্যদিনের আতংককে দেখতে দেখতে যেন মূষড়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে তাকে লড়াইয়ের মধ্যে রাখতে হবে উপযুক্ত উপকরণ, সাহসও সহযোগিতা দিয়ে, তাহলেই বেঁচে থাকার সংগ্রামের দীপ্তিতে আতংকের ঘোর কেটে গিয়ে উদ্ভাসিত হবে সৌন্দর্যময় জীবন ও আলোকোজ্জ্বল দিগন্ত।

    আজ নগরীতে বিভিন্ন শ্রমজীবি সংগঠনের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত উপহার সামগ্রী বিতরণকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

    এসময় মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম উপস্থিত ছিলেন।

    পরিবহন শ্রমিক লীগ : পাহাড়তলী রেলওয়ে স্কুল প্রাঙ্গনে পরিবহন শ্রমিক লীগের ৩শ পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত উপহার সামগ্রী বিতরণকালে মো. মিনহাজ, বেলাল হোসেন, আলী আকবর, কলিম শেখ, রেদুয়ান ফারুক প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    শ্রমিক লীগ : রাহাত্তারপুলস্থ ব্লুমিং পার্কে শ্রমিক লীগের ৬ শ পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত উপহার সামগ্রী বিতরণকালে মোকতার হোসেন নির্মল, সহিদুল ইসলাম সুমন, মা. জাহাঙ্গীর আলী, মো. আবু বক্কর হারুন, মো. মিজান চৌধুরী, মো. দেলোয়ার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    মহানগর রিকশাচালক শ্রমিকলীগ : কালুরঘাটস্থ ইস্পাহানি স্কুলে মহানগর রিকশাচালক শ্রমিকলীগের ৪শ পরিবারে মাঝে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত উপহার সামগ্রী বিতরণকালে মো. ইসমাইল, মো. নাছির, মো. শুক্কুর, মো. জসিম উদ্দীন, মো.আব্বাস, মো. জসিম, লিটন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা জেনেও যারা জেগেও ঘুমিয়ে আছে তারাই বড় সমস্যা:চসিক মেয়র

    করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা জেনেও যারা জেগেও ঘুমিয়ে আছে তারাই বড় সমস্যা:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন রেডজোন চিহ্নিত এলাকায় লকডাউন কার্যকর করণে সক্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদের যুদ্ধের ময়দানের পদাতিক যোদ্ধা হিসেবে অবহিত করে বলেন, অদৃশ্য শত্রু ও মরণঘাতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুজীব করোনার বিরুদ্ধে জয়ী হতে মানুষকে সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে প্রশিক্ষিত ও সুশৃংখল স্বেচ্ছাসেবকরাই প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, স্থানীয় সরকার সংস্থা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সহায়ক শক্তি।

    আজ সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আইইডিসিআর ও সিভিল সার্জন চট্টগ্রাম এর সহযোগিতায় থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে অনুষ্ঠিত রেডজোন এলাকায় স্বেচ্ছাসেবকদের কোভিড-১৯ কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং সংক্রান্ত ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি চলমান ক্রমঅবনতিশীল করোনার সামাজিক সংক্রমণ পরিস্থিতির মারাত্মক প্রভাব ও এর বিরুপ প্রতিক্রিয়া ব্যাখ্যা করে বলেন, আমরা একটি কঠিন সময় অতিক্রম করছি। পরিস্থিতির ভয়াবহতা সম্পর্কে আমরা জানি। এ পরিস্থিতি প্রত্যেকের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই নিজের সুরক্ষা নিজেরই হাতে। এই বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলেও তাকে অনেকেই আমলে আনছেন না। এই উদাসিনতাও একটি মারাত্মক ব্যাধি। যারা জেগে ঘুমায় তাদের জাগানো যায় না। এই আত্মঘাতি ঘুমের ভান স্বেচ্ছাসেবকরাই ভাঙ্গাতে পারেন।

    তিনি একাজটি করতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের স্বাস্থ্য রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাদেরকে সংক্রমণ প্রবণ এলাকায় আক্রান্ত ব্যক্তি ও পরিবারের কাছে শারীরিকভাবে সরাসরি যেতে হবে না। এক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হবে। রোগী যেখানেই থাকুক দুর থেকে মোবাইল বা ভিডিও কলে রোগীর স্বাস্থ্য অবস্থা, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা,ওষুধপত্র ও চাহিদা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া যাবে। সুতরাং স্বেচ্ছাসেবক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তার ঝুঁকির বিন্দুমাত্র আশংকার অবকাশ নেই।

    সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোরতা অবলম্বন ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, জীবনতো সবার আগে এবং তা কখনো থেমে থাকে না। জীবন থাকলে জীবিকার কথা চলে আসে। তাই জীবন ও জীবিকার সমন্বয় করে কাজ করতে হচ্ছে এবং সারা বিশ্ব তাই করছে। যারা খেটে খাওয়া মানুষ দিনে রুজি করে দিনে খায় এদেরতো সঞ্চয় ও সম্পদ বলতে কিছুই নেই। তারা যদি ক্ষুধায় মারা যান- এটাও হত্যার সামিল এবং তা আমরা কিছুতেই করতে পারি না। তবে লকডাউন কোথায় কিভাবে-কখন হবে এবং সংক্রমেণের হার প্রবণ এলাকা সু-নির্দ্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে শুধু সেখানে তা প্রয়োগ করার বিষয়টি মাথায় রাখতে হচ্ছে।

    তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলাই পজেটিভ ক্যাম্পেইন পাওয়ার হিসেবে অবিহিত করে বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্বের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। আমদেরও ছিল না। তাই পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে সে সম্পর্কে ধারানাও ছিল না। শুরুতেই কোন কোন ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত ও সমন্বয়হীনতা ছিল। এসব নিয়ে সমালোচনা থাকতে পারে, তবে পরামর্শও থাকতে হবে। তাই কখন-কোথায়-কী ভুল হয়েছে, কেন হয়েছে সে কথা বার বার না লিখে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যায়, কী করা যায় সেই পরামর্শ ও পথ বাতলে দিলে আমরা অবশ্যই গ্রহণ করবো।

    তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে ও ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠিত সিটি হল কোভিড আইসোলেশন সেন্টারটিকে সর্ববৃহৎ করোনা চিকিৎসালয় হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এখান থেকেই করোনা আক্রান্তরা যাতে সহজলভ্য সু-চিকিৎসা পান সেভাবেই এই সেন্টারটির অবকাঠামো তৈরী সহ চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক, নার্স সহ প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগ এবং অক্সিজেনের পর্যাপ্ততা,সেন্ট্রাল এসি ব্যবস্থা, ওয়াইফাই সুবিধা সংযোজিত করা হয়েছে। এছাড়াও আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা, ওষুধপত্র, খাবার ব্যয় সিটি কর্পোরেশন থেকে নির্বাহ করা হবে।

    আজকে থেকেই কোভিড আইসোলেশন সেন্টারে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে যে সমস্ত রোগীর নিজেদের ঘরে আইসোলেশনে থাকার সুযোগ নেই তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এই আইসোলেশন সেন্টারটিতে নন-কোভিড রোগীদেরও প্রয়োজনীয় জরুরী চিকিৎসা দিয়ে পরে বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে।

    তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত এই আইসোলেশন সেন্টারটি চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় একটি কার্যকর ও আশাজাগানিয়া উদ্যোগ হিসেবে সকলের গ্রহণযোগ্য করে গড়ে তোলা হয়েছে। এই সেন্টারটিকে পর্যায়ক্রমে অত্যাধুনিক ও আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামে স্বয়ং সম্পূর্ণ করে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে।

    সভাপতির ভাষনে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, রেডজোন এলাকায় স্বেচ্ছাসেবকদের কোভিড-১৯ কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং সংক্রান্ত ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার এই কাজটি করার দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তবুও নাগরিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক ও সার্বিক সহযোগিতায় এই কর্মশালাটি হচ্ছে বিধায় এর একটি ইতিবাচক প্রভাব সমাজে প্রতিফলিত হবে।

    যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এই মানবিক কার্যক্রমে এগিয়ে এসেছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা যে দায়িত্ব পালন করছেন এথেকে আপনাদের কাছে সমাজ ঋণী হয়ে থাকবে। এটা পেশা না হলেও একটি সামাজিক দায়বদ্ধতা। শুধু করোনাকালে নয় আপনাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা সকল ধরনের দূর্যোগ মোকাবেলায় জাতিকে আশার আলো দেখাবে।

    দিনব্যাপী এই কর্মশালায় ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহণ করেন।

    কর্মশলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর ড.নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টু, শৈবাল দাশ সুমন, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম,চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, কর্মশালার আইইডিসিআর এর প্রশিক্ষক ডা. মোহাম্মদ ওমর কাইয়ুম, ডা:তৌহিদুল আনোয়ার প্রমুখ।

    চসিকের রাজস্ব কর বাবদ ১০ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা দিল রেলওয়ে
    বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলের বকেয়া রাজস্ব কর বাবদ ১০ কোটি ৪১ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বরাবরে।

    আজ বিকেল চসিক মেয়র দপ্তরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মফিদুল আলম ১০ কোটি ৪১ লক্ষ টাকার এই চেক মেয়র বরাবরে হস্তান্তর করেন।

    এসময় বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল জোন থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কে বকেয়া কর প্রদান, করেন, মহিউদ্দিন আহমেদ, কর কর্মকর্তা সরোয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।

    চেক গ্রহণ করে সিটি মেয়র রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্সের উপর চসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করা হয়। সময়মত কর পরিশোধ করে রেলওয়ে চসিকের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার সাথী হলেন।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনাকালে চসিক আইসোলেশন সেন্টারটি একটি আশাজাগানিয়া উদ্যোগ:মেয়র নাছির

    করোনাকালে চসিক আইসোলেশন সেন্টারটি একটি আশাজাগানিয়া উদ্যোগ:মেয়র নাছির

    আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনায় করোনা আক্রান্তদের জন্য প্রতিষ্ঠিত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সিটি হল কোভিড আইসোলেশন সেন্টারে রোগী ভর্তির মাধ্যমে আগামীকাল রোববার থেকে এর কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।

    এই সেন্টারে ডা. সুশান্ত বড়ুয়াকে পরিচালকের দায়িত্ব দিয়ে চসিক স্বাস্থ্য বিভাগের ১৬ জন চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয়, ল্যাব টেকনোলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট ও আয়াসহ ৬০জন লোকবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

    এর আগে তাদেরকে করোনা স্বাস্থ্য সেবা প্রদান সম্পর্কিত তিন দিন ব্যাপী এক কর্মশালায় বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

    এ হাসপাতালটিতে বর্তমানে প্রাথমিকভাবে ৫০ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও এর উপকরণ সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও হাইফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা সংগ্রহ করার পরিকল্পনাও রয়েছে।

    চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার অতিক্রম করেছে। এর বিপরীতে চট্টগ্রাম মহানগরীতে করোনা চিকিৎসা দেয়া হয় এমন ৮টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আইসোলেশন শয্যা আছে ৬৬৮টি। সংগত কারণেই আক্রান্তের তুলনায় চিকিৎসার সেবার পরিধি খুবই অপ্রতুল। এই প্রেক্ষিত বিবেচনায় সময় উপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে কোভিড রোগীদের সেবা প্রাপ্তি সহজলভ্য করতে ও আইসোলেশন সংকট দুরীকরণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে সিটি কনভেনশন হল কমিউনিটি সেন্টারকে কোভিড আইসোলেশন সেন্টারে রূপান্তর করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

    গত ১ জুন চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের সভায় আইসোলেশন সেন্টারটি গড়ে তোলার জন্য তিনি চূড়ান্ত অনুমোদন দেন। গত ৪ জুন কনভেনশন হলটির মালিক কর্তৃপক্ষ এ হলটিকে চসিকের কাছে হস্তান্তর করেন।

    দ্রুতগতিতে অবকাঠামোগত নির্মাণ, ঔষুধপত্র ও চিকিৎসার সরঞ্জাম সংযোজন, চিকিৎসকসহ জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে সমাপ্তির পর গত ১৩ জুন বিকেলে এ কোভিড আইসোলেশন সেন্টারটি উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ চৌধুরী এমপি।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এ কোভিড আইসোলেশন সেন্টারটির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বলেন, করোনাকালে অবনতিশীল পরিস্থিতির মোকাবেলায় সিটি হল কোভিড আইসোলেশন সেন্টারটি চট্টগ্রাম নগরবাসীর জন্য একটি আশাজাগানিয়া উদ্যোগ এবং তারা স্বস্থি ও সাহস সঞ্চয় করে বেঁচে থাকতে প্রাণিত হবে। তিনি আরো বলেন, সদ্যপ্রতিষ্ঠিত এই আইসোলেশন সেন্টারে প্রায় ৭০ লক্ষ জনঅধ্যুষিত নগরীর করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থাই নিশ্চিত করা হয়েছে। এ সেন্টারটিতে নগরীর বাইরেরও করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি হতে পারবে এবং নন-কোভিড রোগীরাও তাৎক্ষণিক সেবা নেয়ার পর তাদের রোগ অনুযায়ী বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থান্তরিত করা হবে।

    তিনি আরো জানান যে, এ সেন্টারে প্রথমত কোভিড-১৯ আক্রান্ত মৃদু ও মাঝারি পর্যায়ে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার পর কোন রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে তাকে নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্স করে বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে।

    মেয়র আরো উল্লেখ করেন যে, এছাড়াও এ সেন্টারটিতে ভর্তি হওয়া রোগীদের প্রয়োজনীয় ঔষুধপত্র প্রদান করা হবে।

    তিনি বলেন, এ সেন্টার থেকে কোন রোগীই যাতে বিনা চিকিৎসায় ফিরে না যায়। এই কোভিড আইসোলেশন সেন্টারে আগত রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য ডাক্তার ও নার্সদের দায়িত্বের প্রতি সচেতন থাকার আহ্বান জানান মেয়র।

    লকডাউনের ৪র্থ দিনে উত্তর কাট্টলী পরিদর্শনকালে সিটি মেয়র
    আরোপিত নিষেধাজ্ঞা, স্বাস্থ্যবিধি, সরকারি ও চসিকের নির্দেশনা মেনে চলুন

    নগরীর ১০ নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে লকডাউনের চতুর্থ দিনে আজ শনিবার সকালে সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন।

    তিনি সকলকে লকডাউন চলকালীন সময়ে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এবং পরবর্তী স্বাভাবিক জীবন যাপনে স্বাস্থ্যবিধি ও নির্দেশনা মেনে চলার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

    মেয়র বলেন, লকডাউন চলাকালীন সময়ে কিছু কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান চালু রেখে শ্রমিকদের বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে । এতে করে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করতে বাধ্য হচ্ছে । তবে খেটে খাওয়া মানুষের জীবিকার বিষয়টিও আমরা ভাবছি এবং জীবন এবং জীবিকার সমন্বয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছে ও আখাংকার প্রতিফলন ঘটিয়ে প্রত্যেকের স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করার জন্যই বাস্তব পরিস্থিতিকে অবশ্যই মোকাবেলা করতে হবে।

    সিটি মেয়র শিল্প মালিকদের লকডাউনের সময় শিল্প বন্ধ রাখার আহ্বান জানান।

    মেয়র বলেন, উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড এলাকার ছয় হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। লকডাউনের প্রথম দিনই দুই হাজার পরিবারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু গত দুই দিনে প্রায় সাড়ে চারশ পরিবারকে এই সহায়তা বিতরণ করেন। এলাকায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ

    প্রসঙ্গে বলেন, গত ১৮ জুন আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে দুই জন চিকিৎসককে পাঠানো হয়েছে লকডাউন এলাকার স্বেচ্ছাসেবকদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য। আগামীকাল রবিবার থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। এক ওয়ার্ডের ২০ জন করে তিন ওয়ার্ডের মোট ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবককে এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের কনটাক্ট ট্রেসিং করা, নমুনা সংগ্রহকারীদেরকে সহায়তা করা, লকডাউন শতভাগ বাস্তবায়নে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণসহ নানামুখী কাজ করবে এই স্বেচ্ছাসেবক দল। তবে সংগৃহীত নমুনার যাতে নিয়মিত পরীক্ষা কার্যক্রম গতিশীল হয় সে ব্যাপারে স্বাস্থ্য দপ্তরকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। দিনের পরীক্ষার ফলাফল দিনে প্রকাশে সংশ্লিষ্টদেরকে সক্রিয় হতে হবে। এই লকডাউন এলাকার জন্য ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক রাখা হয়েছে। তারা লকডাউন চলাকালীন সময়ে এলাকাবাসীর চাহিদা অনুযায়ী কাচাঁবাজার, ঔষুধপত্র ও প্রয়োজনীয় দৈনন্দিন উপকরণ ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন।

    এ ছাড়াও কোন বাসায় অসুস্থ রোগী থাকলে তাদের চিকিৎসা সহায়তার জন্য খোজখবর নিচ্ছেন। গুরুতর রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেয়ার জন্য সার্বক্ষণিকভাবে এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

    সিটি মেয়র স্বস্থি প্রকাশ করে বলেন যে, জোন ভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা হওয়ার আগ পর্যন্ত এ ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত সংখ্যা ছিল ১৪৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৭ জনের। লকডাউন কার্যকর হওয়ার অদ্যাবধি নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি এবং মৃত্যুবরণও করেনি।

    এসময় কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু,সংরক্ষিত কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, মেয়রের একান্ত সহকারী রায়হান ইউসুফ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইকবাল চৌধুরী, পাহাড়তলী থানার এসি আরিফুল ইসলাম সহ এলাকায় দায়িত্বপালনকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণ করলেন মেয়র
    করোনা ভাইরাস সাম্যবাদী বিধায় কাউকে ছাড় দেয় না-মেয়র
    চট্টগ্রাম -২০ জুন-২০২০ খ্রি.
    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, লকডাউন সময়ে আরোপিত সকল নিষেধাজ্ঞা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি যাতে কোন ভাবেই লঙ্ঘিত না হয় তা নিশ্চিত করতে সরকারের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ, প্রশাসন,আইনশৃংখলা বাহিনী ও চসিক সর্বাত্মক সতর্কতা ও প্রস্তুতি নিয়ে সার্বক্ষণিকভাবে মাঠে থাকবে। দেশব্যাপী লকডাউন চলাকালীন সময়ে সাধারণ মানুষের মাঝে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার বেপরোয়া মানসিকতা পরিস্থিতিকে দ্রুত অবনতিশীল করে তোলে। তিনি বলেন, আমাদের দৈনিন্দন জীবন যাপন ও আচার আচরণের উপর নির্ভর করে করোনা ঝুঁকি কতটা নিরাময় করা যায়। এ ঝুঁকি মোকাবেলায় যে সমস্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে তা আমাদের অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস সাম্যবাদী। এই ভাইরাস ধনী-গরীব, ছোট-বড় ভেদাভেদ করে না। প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণকালে মেয়র এসব কথা বলেন।
    রিয়াজউদ্দিন বাজার কর্মচারী সমিতি ও চট্টগ্রাম দোকান কর্মচারী ফেডারেশন: রিয়াজউদ্দিন বাজার কর্মচারী সমিতি ও চট্টগ্রাম দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের ২শ পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ সময় চসিক সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, মো. জাহাঙ্গীর, বাচ্চু মিয়া, জসিম উদ্দিন, জহির উদ্দিন রাজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    ভিআইপি টাওয়ার শপিংমল মালিক ও কর্মচারী পরিষদ: নগরীর ভিআইপি টাওয়ারে দোকান মালিক ও কর্মচারীর ৫শ পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ সময় চসিক কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, পরিষদের সহ সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন, প্রবীর কুমার চৌধুরী, মো. জালাল হোসেন, টিপু সুলতান, মিটু মল্লিক, মো. সিরাজ, মো. কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, আবদুল মালেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    সাংবাদিক কামাল লোহানীর মৃত্যুতে সিটি মেয়রের শোক: বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানীর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন। এক শোকবার্তায় মেয়র বলেন, সাংবাদিকতার পাশাপাশি আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন, মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে কামাল লোহানী বিপুল অবদান রেখেছেন। তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলার বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক।সাংস্কৃতিক আন্দোলনসহ বাঙালি সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে তিনি ছিলেন একজন পুরোধা ব্যক্তি। তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন বরেণ্য সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে হারালো। তার মৃত্যু দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি । মেয়র মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • হতাশা ও আতংক মৃত্যুভয় বাড়িয়ে প্রতিরোধ শক্তি কেড়ে নেয়:চসিক মেয়র

    হতাশা ও আতংক মৃত্যুভয় বাড়িয়ে প্রতিরোধ শক্তি কেড়ে নেয়:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ক্রম অবনতিশীল করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মনোবল ও মানসিক শক্তিই প্রধান ভরসা। এই শক্তিতে বলিয়ান হয়ে ভয় ও আতংককে জয় করে চসিকের জনবল দিয়ে যুদ্ধের ময়দানে আছি।

    তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সংকট একদিন কেটে যাবে। বাংলাদেশ ও বিশ্ব অবশ্যই অতিতের সকল মহামারির মত চলমান মহামারি থেকেও মুক্ত হবে।

    তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে ও ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কোভিড আইসোলেশন সেন্টার থেকে কোন রোগী বিনা চিকিৎসায় ফিরে যাবেন না। এমনকি নন কোভিড রোগিরাও। এই চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়োজিত সকল ডাক্তার,নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী,কর্মকর্তা-কর্মচারিরা স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম পাবেন। যারা এখানে সেবা দিচ্ছেন তারা প্রত্যেকেই সরকারি চাকুরী বিধি অনুযায়ী সকল সুযোগ-সুবিধা এবং তাদের কোন ক্ষয়-ক্ষতি হলে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা ও আর্থিক সহায়তা পাবেন। মনে রাখতে হবে যে, কোন শর্ত দিয়ে মানব ও সমাজ সেবা করা যায় না। যারা অস্থায়ী তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থায়ী করণসহ পরিস্থিতি বিবেচনায় যখন যা কিছু করার প্রয়োজন তাই করা হবে বলে মেয়র প্রতিশ্রুতি দেন।

    আজ সকালে সিটি কনভেনশন হল কোভিড আইসোলেশন সেন্টারে জুমাপূর্ব মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত চিকিৎসক,কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দ্যেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, আগামী ২১ জুন (রবিবার) থেকে এই আইসোলেশন সেন্টারে রোগী ভর্তি শুরু হবে। সেবা দানের ক্ষেত্রে এমন কোন কথা বলা যাবে না যাতে সাধারণ মানুষের মনে হতাশা ও আতংক বাড়াতে পারে। কারণ হতাশা ও আতংক মৃত্যুভয় বাড়ায়। এবং প্রতিরোধ শক্তি কেড়ে নেয়।

    মৌলানা হারুনুর রশিদ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর নামজুম হক ডিউক, মো. এরশাদ উল্লাহ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, আইসোলেশন সেন্টারের পরিচালক ডা. সুশান্ত বড়ুয়া, উপ-পরিচালক ডা. মুজিবুল আলম চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সহকারি রায়হান ইউসুফ, বেলাল আহমদ, এস এম মামুনুর রশিদ, আনিসুর রহমান চৌধুরী প্রমূখ।

    দোয়া মাহফিল শেষে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন আগ্রাবাদ এক্সেস রোডস্থ লিংকরোডের পিসি রোড সংলগ্ন এলাকায় অতিবর্ষনের ফলে জলাবদ্ধতা নিন্মাঞ্চল পরিদর্শন করেন।

    এসময় মেয়র স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় করেন। মেয়র দ্রুত পানি নিস্কাশনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের নির্দেশনা দেন। এই কাজে কোন ধরনের ত্রুটি থাকলে তা সহসা নিরসন করে কাজ বুঝিয়ে দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেন মেয়র।
    ২৪ ঘণ্টা/এম  আর

  • ২১ জুন থেকে সিটি হল কোভিড আইসোলেশন সেন্টারে রোগী ভর্তি শুরু

    ২১ জুন থেকে সিটি হল কোভিড আইসোলেশন সেন্টারে রোগী ভর্তি শুরু

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়ন ও সামগ্রীক ব্যবস্থাপনায় কোভিড-১৯ সনাক্তদের জন্য চিকিৎসা কেন্দ্র আগ্রাবাদস্থ সিটি কনভেনশন হলে প্রতিষ্ঠিত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন হাসপাতালে আগামী ২১ জুন রোববার থেকে রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, চিকিৎসক ও নার্সসহ প্রশিক্ষিত জনবল এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে হাসপাতলটির কার্যক্রম শুরুর সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

    যারা প্রশিক্ষণ নিয়ে এখানে সেবা দিতে উদ্যেগী হয়েছেন তাদের সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রশিক্ষিত করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় নিয়োজিত সম্মুখ যোদ্ধাদের স্বাস্থ্যসুরক্ষায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তাসহ বর্ধিত বেতন ও ঝুঁকিভাতা প্রদান এবং সরকারি প্রণোদনা প্রাপ্তির সকল ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।

    তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে আগ্রাবাদস্থ সিটি হল কোভিড আইসোলেশন সেন্টারে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স ও অন্যাদের সাথে পরামর্শমূলক বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    এ সময় চসিক কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. প্রীতি বড়ুয়া, আইসোলেশন সেন্টারের পরিচালক ডা. সুশান্ত বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    সিটি মেয়র আইসোলেশন সেন্টারটি শুরু হওয়ার আগে এখানে যাদের নিয়োজিত করা হবে তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ১০ জন চিকিৎসক ও স্টোর কিপারের অনুপস্থিতিতে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, করোনা আক্রান্তদের সেবা প্রদানে তাদের অনীহা, শপথ ভঙ্গ ও পেশার প্রতি অবমাননা এবং রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যহীনতার সামিল। দেশপ্রেম বর্জিত এ অনৈতিক আচরণের জন্য তাদের তাৎক্ষণিকভাবে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তাদের বাদ দিয়ে নব উদ্যোগ ও সামর্থ্য নিয়ে চসিক সিটি হল কোভিড আইসোলেশন যথাসময়ে সেন্টারটি চালু হওয়ার পর চট্টগ্রাম মহানগরীতে করোনা প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় কার্যকর ও ইতিবাচক সুফল বয়ে আনবে।

    তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, করোনা সনাক্তরা যাতে এ আইসোলেশন সেন্টার থেকে উপযুক্ত ও যথাযথ সেবা পান, সে ব্যাপারে দায়িত্বরত কর্মকর্তা, চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সর্বাত্নক প্রচেষ্টা চালিয়ে মানবিক ও সামাজিক দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হয়ে সারাদেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন।

    সিটি মেয়রের নিকট সিটি কলেজের সাবেক
    ছাত্রলীগের চিকিৎসা সরঞ্জাম হস্তান্তর
    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রলীগ বাংলাদেশ বাঙালির স্বাধীন জাতিসত্ত্বা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, সংগ্রাম, লড়াইয়ে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের হীরকখন্ডক। সর্বপরি রাজনৈতিক, মানবিক ও সামাজিক সংকট উত্তোরণের অগ্রবর্তি বাহিনী। এ গর্বিত ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে ছাত্রলীগের বর্তমান প্রজন্মের নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সোনার বাংলা বাস্তবায়নে নিজেদের উৎসর্গ করে মাটি ও মানুষের সাথে মিশে যেতে হবে।

    আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চসিক সম্মেলন কক্ষে সরকারি সিটি কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ চিকিৎসা সরঞ্জাম হস্তান্তর কালে মেয়র এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যত্থান, সত্তরের নির্বাচন, প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড়-জলোচ্ছাস, মুক্তিযুদ্ধ, সামরিক স্বেরাচারাবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। ছাত্রলীগের নেতারাই ’৭৫ পরবর্তী দুঃসময়ে’৭১ এর পরাজিত শক্তির দোসর জামাত শিবির প্রতিরোধে দুঃসাহসী ভূমিকা ও অবদান রেখেছেন। সিটি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা তবারক প্রাণ দিয়ে ইতিহাসের অংশ হয়ে আছেন। সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা তাদের পূর্বসুরীদের পথ ধরে আজ মানবসেবায় এগিয়ে এসে নিজেদের ধন্য করায় আমি কৃতজ্ঞ। এই মহামারীকালে ছাত্র যুবকদের মানব সেবা এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মেয়র।

    ছাত্রলীগের প্রদত্ত চিকিৎসা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে অক্সিমিটার, ব্লাড প্রেসার মেশিন, থার্মালমিটার, হুইল চেয়ার, স্টেথেস্কুপ, পোর্টেবল স্ট্রেচার, ১৫০ রোগীর ঔষধ ও জীবানু নাশক লিকুইড।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক কাউন্সিলর গোলাম মো. জোবায়ের, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, সিটি কলেজ প্রাক্তন ছাত্রলীগের মধ্যে দিদারুল আলম, সৌমিত বড়ুয়া রাসেল, সঞ্চয় মহাজন, মো. আলম, মো. আজাদ খান, মো. শরিফুল ইসলাম, মো. নুর হোসেন অনিক, মো. তৈয়ব খান, মো. আজাদ, অস্থি মজুমদার, মো. আরিফ ও অতি বিশ্বাস প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঘরে থাকার নিশ্চয়তা দিন,আপনাদের পাশে আছি:চসিক মেয়র

    ঘরে থাকার নিশ্চয়তা দিন,আপনাদের পাশে আছি:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, সরকারি সাধারণ ছুটির ৬৬ দিন অতিবাহিত করেছি আমরা। এরই মধ্যে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম নগরীতে আক্রান্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫শ‘র মতন এবং মৃত্যু হয়েছে ১১৭ জনের। শুধুমাত্র ১০নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে ৭৮ হাজার জনগণের মধ্যে গত ১৪ দিনের হিসাব মতে ১৪৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণ করেছে ৭ জন, যা-কোন ভাবেই কাম্য নয়।

    এমন পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর হারে লাগাম টানতে ঘরে অবস্থানের কোন বিকল্প নাই।

    দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামীকাল মঙ্গলবার রাত ১২ টা ১মিঃ থেকে লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে নগরীর ১০নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে , যা আগামী ২১ দিন পর্যন্ত বহাল থাকবে। এই লকডাউন চলাকালীন সময়ে রেড জোন ঘোষিত এলাকায় প্রবেশ ও বাইরে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞ থাকবে।

    প্রধান সড়কে কোন প্রকার যাত্রী উঠা-নামা চলবে না, তবে রাত ১২ টার পর পণ্যবাহী গাড়ী চলাচল উম্মুক্ত থাকবে। এলাকার মানুষের সার্বিক সহায়তার জন্য থাকবে সিটি কর্পোরেশনের একাধিক কন্ট্রোলরুম ও এলাকাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক টীম। বিশেষ কোন প্রয়োজনে কন্ট্রোলরুমের নির্দিষ্ট নম্বরে যোগাযোগ করে মিলবে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা। স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা প্রতিটি ঘরে জিনিসপত্র পৌছে দেয়া হবে।

    চসিকের পক্ষ থেকে চলবে দিনভর প্রচারাভিযান ও লিফলেট বিতরণ।

    আজ সকালে নগরীর ১০ নং উত্তর কাট্টলীতে রেডজোন ঘোষাণার পূর্বদিনে জনসচেতনতা মূলক পরিদর্শনে সিটি মেয়র এসব তথ্য জানান।

    এসময় তিনি মাইকিং করে এলাকাবাসীকে লকডাউন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনায় বলেন, লকডাউন এখন সময়োচিত একটি পদক্ষেপ। তাই নিজেদের সুরক্ষায় ঘরে অবস্থান করে করোনা মহামারীকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সেজন্য আপনারা দৈনন্দিন প্রয়োজন সীমিত করে ঘরে অবস্থান করুন। অহেতুক কোন গুজবে কান না দিয়ে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি ও চসিকের নির্দেশনা মেনে চলুন। প্রয়োজনের বাইরে কেনাকাটা করা থেকেও বিরত থাকুন। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই সংগ্রহ করুন।

    তিনি আরো বলেন, এলাকার নিম্মবিত্তদের মাঝে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি জরুরী চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হবে। মুমূুর্ষ রোগী পরিবহনে থাকবে এ্যাম্বুলেন্স। মোট কথা ঘরে থাকার নিশ্চয়তা দেবেন এলাকাবাসী আর আপনাদের প্রয়োজন মেটাতে আছি আমরা।

    এই ওয়ার্ডটি ছাড়াও নগরীর আরো ৯টি ওয়ার্ড রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ধাপে ধাপে সেগুলোও লকডাউন করা হবে। তবে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া এইসব এলাকা লকডাউন করা হচ্ছে না।

    এ সময় চসিক প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঈনুর রহমান, কাট্টলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান আমিন, ইকবাল চৌধুরী, মো. দুলদুল, সুদীপ কুমার দাশ, মো. ছগির আলম, নুর আলম, হায়দার আলী, মুজিবুর রহমান, রোমন উদ্দিন, হারুন উর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • নিজেকে সুরক্ষিত রেখে রোগীদের সেবা দিতে হবে:চসিক মেয়র

    নিজেকে সুরক্ষিত রেখে রোগীদের সেবা দিতে হবে:চসিক মেয়র

    সদ্য উদ্বোধনকৃত চসিকের ২৫০ শয্যার সিটি হল কোভিড আইসোলেশন সেন্টারে নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তার,নার্স ও অন্যান্য স্টাফদের ২ দিনের সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    আজ ছিল এর প্রথম দিন। এই দিন প্রশিক্ষণার্থীদের পাশে থেকে বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ. ম নাছির উদ্দীন।

    আজ সকালে সিটি হল কোভিড আইসোলেশন সেন্টারে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, করোনা সেবাদান কালে প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে নিজেকে সুরক্ষিত রেখে কিভাবে সেবা দেয়া যায়। নিজেকে সুরক্ষিত রেখে সেবা প্রদান করা গেলে দীর্ঘদিন সেবা দেওয়া সম্ভব বলে মেয়র মন্তব্য করেন।

    এসময় তিনি আরো বলেন, এই আইসোলেশন সেন্টারের সেবার উপর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য সেবার সুনাম জড়িত। তাই নগরবাসী যতবেশি সেবা পাবেন ততবেশি চসিকের সম্মান বৃদ্ধি পাবে। করোনা মহামারীর এই ঝুঁকি মোকাবেলায় যারা কাজ করবেন তাঁরা মানবসেবায় ও দেশের সেবায় একজন যোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন।

    এই আইসোলেশন সেন্টারে নিয়োগপ্রাপ্ত যেসকল ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্টাফ রয়েছেন চাকুরী স্থায়ীকরণে তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে মেয়র উল্লেখ করেন। তাই সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থেকে সঠিকভাবে কর্তব্য পালন করার আহ্বান জানান। এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ হলে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি করানো হবে।

    এ সময় চসিক কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, ডা. সুশান্ত বড়ুয়া, ডা. অনুরুদ্ধ ঘোষ জয়, ডা. মো. রবিউল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণ
    সচেতনতা অবলম্বন করে
    করোনা মোকাবেলা করা সম্ভব-মেয়র
    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, নগরীতে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

    এই সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবেলায় নগরবাসীকে আরো বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সিটি মেয়র বলেন, করোনার মতো মহামারী কালে আমাদের প্রধানমন্ত্রী জনগণের পাশে রয়েছেন। এই মহামারী দুর্যোগে কেউ যেন অনাহারে না থাকে, সেজন্য আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মাননমীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই কোন অসহায় ব্যক্তি যাতে অভুক্ত না থাকে সেদিক চিন্তা করে তাঁর প্রদত্ত উপহার সামগ্রী প্রতিদিন অসহায়দের হাতে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

    তিনি বলেন, আমরা যে- যেখানে কাজ করিনা কেন সর্বাগ্রে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।সচেতনতা অবলম্বন করে করোনা মোকাবেলা করা সম্ভব। মেয়র সকল শ্রেণি-পেশার মানুষদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।

    এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর জন্য সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করেন।

    মেয়র আজ রবিবার বিকালে বিভিন্ন সংগঠনের শ্রমিক কর্মচারীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন: চট্টগ্রাম ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের ২৫০শ্রমিক পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার তুলে দেয়ার সময় মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, আব্দুল নবী লেদু, সফিকুর রহমান, আবদুর সবুর, উৎপল বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
    সিটি হকার্স লীগ ও নিউমার্কেট দোকান কর্মচারী ইউনিয়ন : সিটি হকার্স লীগ ও নিউমার্কেট দেগাকান কর্মচারী ইউনিয়ন এর ৪শ পরিবারের মাঝে উপহার বিতরণের সময় মো. আজগর আলী, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. আলমগীর, মো. বগতিয়ারসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির

    ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ-এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    শনিবার (১৩ জুন) রাতে মেয়র নাছির গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে এ শোক জানান।

    শোক বার্তায় আ জ ম নাছির বলেন, আওয়ামী লীগের সৎ,পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক মুক্তিযোদ্ধা মাননীয় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ সাহেব একজন আদর্শবান রাজনৈতিক নেতা।

    দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ শেখ আবদুল্লাহ ছিলেন তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে আসা ইতিবাচক রাজনীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে গণমানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে শেখ আবদুল্লাহ ছিলেন অকুতোভয় সৈনিক। সাধারণ মানুষের কল্যাণে তার অবদান অক্ষয় হয়ে থাকবে।

    তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

    উল্লেখ্য, শনিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিতি সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর মৃত্যু হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • পরিস্থিতি মোকাবেলায় চট্টগ্রামে আরো বেশি আইসোলেশন সেন্টার প্রয়োজন:তথ্যমন্ত্রী

    পরিস্থিতি মোকাবেলায় চট্টগ্রামে আরো বেশি আইসোলেশন সেন্টার প্রয়োজন:তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, সারা বিশ্বে করোনা মহামারি পরিস্থিতি এখনও বিপদজনক পর্যায়ে রয়েছে। যতদিন পর্যন্ত ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক আবিস্কৃত ও বাজারজাত হবে না করোনা পরিস্থিতির স্থায়ী নিরসন সম্ভব নয়।

    তারপরও সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও করোনা বিস্তার প্রতিরোধ এবং আক্রান্ত রোগীদের সাধ্যমত চিকিৎসা প্রদানের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য নতুন অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্যখাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে ২৯ হাজার ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা মোট খাতওয়ারী বরাদ্দের ৭.৪ শতাংশ। এতে প্রতীয়মান হয় যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুরক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রয়াস অব্যাহত রেখেছেন এবং স্বাস্থ্যখাতকে আরো বেশি সেবামূলক ও কার্যক্ষম করার জন্য ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।

    তিনি করোনাজনিত বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বলেন, দিন দিন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশতো বটেই বিশ্বেও করোনা সংক্রমণ সম্পর্কে কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশে করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রম কে নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই।

    অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী

    আজ বিকেলে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডস্থ সিটি কনভেনশন সেন্টারে চসিকের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা ও অর্থায়নে নির্মিত ২৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ও সমন্বিত উদ্যোগে সিটি মেয়র যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং আইসোলেশন সেন্টারটি প্রতিষ্ঠা করেছেন সেজন্য কৃতজ্ঞতা ও সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী। প্রায় ১ কোটি জনঅধ্যুষিত এই নগরীতে আজ পর্যন্ত ৪ হাজারেরও বেশি করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে এবং তা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা স্বীকার করতে দ্বীধা নেই যে, চট্টগ্রামে শনাক্ত রোগীদের জন্য যে পরিমাণ সেবাকেন্দ্র ও আইসোলেশন সেন্টার থাকা প্রয়োজন তা নেই। তাই আরো বেশি আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করার প্রয়োজন রয়েছে। এই উপলদ্ধী থেকে চট্টগ্রামের সিটি মেয়র নগরীতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ যে আইসোলেশন সেন্টারটি স্থাপন করেছেন এবং যা আজ উদ্বেধিত হলো তার সুফল অবশ্যই নগরবাসী পাবেন।

    তিনি আরো বলেন, আজ করোনা পরিস্থিতির সবকিছুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মনিটরিং করছেন। তাই হতাশার কোন কারণ নেই। আমরা এও জানি যে, বাংলাদেশতো বটেই, উন্নত দেশগুলো এত চেষ্টা করেও এই পরিস্থিতি পুরোপুরি সামাল দিতে পারছে না। আজ দূর্বল ও সবল একাকার হয়ে গেছে। তাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রত্যেকে নিজের সুরক্ষা এবং অপরেরও সুরক্ষা নিশ্চিত করা। তাহলেই আমাদের ভয় কেটে যাবে এবং আমরা আবার সামাজিক সক্ষমতায় ফিরে যেতে পারবো।

    প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জননেতা মোহাম্মদ নাসিম এর মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং করোনাকালে তাঁর মৃত্যুকে জাতির জন্য একটি ট্র্যাজেডি বলে উল্লেখ করেন।

    বক্তব্য দিচ্ছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন

    অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, আজকেই এই আইসোলেশন সেন্টারটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, স্বাস্থকর্মী ও জনবল নিয়ে আগামী দুই-এক দিনের মধ্যেই এখানে রোগী ভর্তি করা হবে। প্রথমত এই সেন্টারে মৃদু ও মাঝারী পর্যায়ের রোগাক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে। এদের মধ্যে যাদের অবস্থা গুরুতর হবে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল সহ যেখানে আইসিইউ ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা আছে সেখানে স্থানান্তর করা হবে।

    তিনি দেশের করোনা পরিস্থিতি ও চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম উপস্থাপন করে বলেন, এব্যাপারে চলমান কার্যক্রমকে সন্তোষজনক বলার অবকাশ নেই। একথা সত্য যে, মৃদু ও মাঝারী পর্যায়ের রোগীরা ভালো হয়ে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে যান, তবে যাদের অবস্থা বিপজ্জনক ও গুরুতর তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের অপ্রতুলতা রয়েছে। তাই যতবেশি আইসোলেশন সেন্টারের সংখ্যা বাড়ানো যাবে ততই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে।

    তিনি দু:খ প্রকাশ করে বলেন যে, মানুষের মধ্যে করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসা নিয়ে অবিশ্বাস এবং আস্থার অভাব রয়েছে। আমি জানি এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা লাগাতার পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, তবে এটাও ঠিক যে, কোন কোন চিকিৎসক ভীত হয়ে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন এবং কোভিড ও ননকোভিড রোগীদের হাসপাতাল ও চেম্বার থেকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এরফলে একাধিক হাসপাতালে গিয়ে গিয়ে ধর্না দেবার পরও ভর্তি হতে না পেরে মারা যাচ্ছেন। এই অবস্থাটি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।

    তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের দাবী-দাওয়ার বিষয়ে আমি সচেতন। আমি এই বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে আগ্রহী। তবে তার আগে আপনাদের উপর যে অর্পিত দায়িত্ব রয়েছে কোন অযুহাতেই তাথেকে বিরত থাকবেন না।

    তিনি বলেন, শুধু করোনায় নয়,যে কোনভাবেই মৃত্যু হতে পারে এবং তা অবধারিত। আমরা মারা যেতে পারি কিন্তু মনুষ্যত্ব মারা গেলে মানবজন্ম বৃথা এবং স্রষ্টার সেরা সৃষ্টির শ্রেষ্টত্ব বলতে আর কিছুই থাকবে না। তাই মৃত্যুভয়ে ভীত হয়ে কোন চিকিৎসক যদি রোগীর জীবন রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব পালন না করেন তা হলে স্রষ্টার কাছেই অপরাধী হয়ে থাকতে হবে। এ কারণে কী পেলাম, কী পেলাম না এই চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে পেশাগত দায়িত্ব ও শপথকে বড় করে দেখতে হবে।

    মেয়র কনভেনশন সেন্টারের স্বত্বাধিকারী সীকম গ্রুপের চেয়ারম্যান আমিনুল হকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

    সিটি কনভেনশন হল আইসোলেশনের পরিচালক ডা. সুশান্ত বড়ুয়ার সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোস্তফা খালেদ আহমেদ, সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী, ১৫ আনসার ব্যাটেলিয়ানের ডাইরেক্টর এ এস এম আজিজ উদ্দীন, উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ফারুক। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, মো. এরশাদ উল্লাহ, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা জাবেদ, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, ডা. মোহাম্মদ আলী,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, আবু সাদাত মো. তৈয়ব, আনোয়ার জাহান, আইটি অফিসার ইকবাল হাসান, সেলিম রেজা, হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, সিকম গ্রুপের এস এম নাসির উদ্দীন আল মামুন, গোলাম কিবরিয়া, ওয়াহিদুল আলম, জোবায়ের আলম, হামিদুল্লাহ চৌধুরী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা নির্ণয়ে প্রয়োজন একাধিকবার টেস্ট-চসিক মেয়র

    করোনা নির্ণয়ে প্রয়োজন একাধিকবার টেস্ট-চসিক মেয়র

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে করোনা সনাক্তের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে টেস্ট, টেস্ট এন্ড টেস্ট। এর কোন বিকল্প নাই।

    অথচ এখন পরীক্ষা-নিরিক্ষা ছাড়া কোন অসুস্থ রোগী বেসরকারি হাসপাতালে গেলে তাদেরকে ভর্তি করানো হচ্ছে না। এতে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত চট্টগ্রামের রোগীরা। এটা কোন ভাবেই কাম্য নয়।

    তিনি আরো বলেন, ইউরোপ-আমেরিকার পর করোনা সুনামি এখন হামলে পড়েছে এশিয়ায়। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া এখন করোনার বিষাক্ত ছোবলে ভয়াবহ আকার ধারন করতে চলেছে।

    আতংকে কাঁপছে দেশ। হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। কোনক্রমেই রোধ করা যাচ্ছে না এর বিস্তার। প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে নতুন রের্কড। আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই ভাঙ্গছে-গত দিনের রের্কড। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। গত ৯ দিনে মারা যায় ৩২৫জন, যা মোট মৃত্যুর ৩৩ শতাংশ।

    অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, আমরা সংক্রমণের দিকে অবস্থান করছি। আর এ মুহুর্তে সর্বাগ্রে প্রয়োজন ব্যক্তি পর্যায়ে কঠিন সচেতনতা। যে সচেতনতা করোনার আগ্রাসন ঠেকাতে আমাদের সার্বিকভাবে সহায়তা দিতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    তিনি বলেন, আমরা যদি আরো দু-তিন সপ্তাহ কঠিনভাবে নিজেদের সংযত রাখতে পারি, তাহলে আমাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অনেক কম হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

    কিছুটা দেরিতে হলেও সরকার লকডাউন প্রশ্নে অনেকটা কঠোর অবস্থান নিয়েছে, যা করোনা প্রতিরোধে কিছুটা হলেও সহায়ক হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। করোনা আর্বিভাব অনেকটা শাখের করাতের মতো উভয় পথেই রক্তক্ষরণ ঘটাচ্ছে।

    বিশ্বসম্প্রদায় না পারছে একটানা ঘরে বসে থাকতে, না পারছে আগের মতো সাধারণ জীবনযাপন করতে। একদিকে মৃত্যু আর বিপরীতে অভাবের হাতছানি। মাঝখানে মানবজীবন। কেবল আমরাই নই বিশ্বই আজ করোনার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত।

    আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর ছোটপুল এলাকায় এম.এ. সালাম নগর স্বাস্থাকেন্দ্রে করোনা টেস্টিং বুর্থ উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

    এর আগে নগরে নমুনা সংগ্রহের আরো চারটি বুথ চালু করেছে সিটি কর্পোরেশন। এর মধ্যে গত ৭ জুন বিবিরহাটস্থ ওয়ার্ড অফিস ও চান্দগাঁওস্থ হামিদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত দুটি বুথ চালু করা হয়।

    গত ৫ জুন উদ্বোধন করা হয় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও উত্তর কাট্টলী কর্নেলহাটস্থ হাশেম নাজির হেলথ সেন্টারে স্থাপিত দুটি বুথ।

    চট্টগ্রাম নগরে মোট ১২টি বুথ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে চসিকের। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ৬টি বুথ বসানোর কথা। এম.এ. সালাম নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ ইতোমধ্যে পাঁচটি বুথ বসানো হয়েছে। প্রথম ধাপের বুথগুলো স্থাপনে সহায়তা করছে ব্রাক বাংলাদেশ । বাকি বুথগুলো চসিকের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বসানো হবে।

    দ্বিতীয় ধাপে বুথ স্থাপনে প্রাথমিকভাবে আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবন, মেমন টু হাসপাতাল, অক্সিজেন আবদুর রহিম দাতব্য চিকিৎসালয় ও বন্দরটিলা মাতৃসদন হাসপাতালকে নির্বাচন করা হয়েছে।

    এসময় কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, এইচ.এম সোহেল, চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সেলিম আকতার চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, ত্বত্তাবধায়ক প্রকৌশলি সুদিপ বসাক,মেডিকেল অফিসার ডাঃ বিজয় তালুকদার,ডাঃ সুশান্ত বড়ুয়া, ব্র্যাক এর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. হানিফ উদ্দিন,মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য বেলাল আহম্মেদ, মামুনুর রশিদ মামুন, আনিসুর রহমান চৌধুরী, সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান প্রমূখ।

    পরে মেয়র আগ্রাবাদ এক্সেস রোড এলাকায় সিটি কনভেশন সেন্টারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে চালু হতে যাওয়া আইসোলিশন সেন্টার পরির্দশনে যান। এই সময় তিনি ওই সেন্টারের কাজের সঠিক অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেন।

    উল্লেখ্য আগামী ১৫জুনের মধ্যে এই আইসোলিশন সেন্টার উদ্বোধন কথা রয়েছে। ইতি মধ্যে এই সেন্টারের যাবতীয় সরঞ্জাম এসে পৌঁছেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে উন্নয়ন কাজগুলো গতি ফিরে পাবে-চসিক মেয়র

    করোনা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে উন্নয়ন কাজগুলো গতি ফিরে পাবে-চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, নগরের ৪১ ওয়ার্ডে এলইডি বাতি স্থাপনের ফলে প্রতি মাসে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় হচ্ছে। শহরের রাস্তাঘাটে আলোর পরিমাণ আগের চেয়ে অনেকগুণ বেড়েছে। বিদ্যুৎ ব্যয় সাশ্রয়ের পাশাপাশি বেশি আলো পাওয়া যাচ্ছে। মূলত এ কারণেই সড়কবাতি হিসেবে এলইডি লাইট স্থাপিত হচ্ছে।

    আজ মঙ্গলবার সকালে নগরের জিইসি মোড়ে ৪১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭৫ কিলোমিটার সড়কে এলইডি বাতি স্থাপন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। জাইকা ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। মেয়র বলেন, করোনার কারনে চট্টগ্রাম সহ দেশের সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে স্থবিরতা এসেছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে উন্নয়ন কাজগুলো গতি ফিরে পাবে।

    উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, শৈবাল দাশ সুমন, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, এইচটিএমএসের প্রকৌশলী মাহবুব হোসেন প্রমুখ।

    চারটি প্যাকেজে ৩০টি সড়কে এলইডি বাতি লাগানো হবে এ প্রকল্পের অধীনে। সড়কগুলো হচ্ছে- ভাটিয়ারী লিংক রোড, চানমারী রোড, চট্টগ্রাম কলেজ রোড, ঢাকা ট্রাংক রোড, কালুরঘাট রোড, জাকির হোসেন সড়ক, পোর্ট কানেকটিং রোড, সাউদার্ন মেডিক্যাল কলেজ রোড, নাসিরাবাদ ইন্ডাস্ট্রিজ রোড, পুরাতন স্টেশন থেকে কদমতলী, আনন্দবাজার রোড, স্ট্র্যান্ড রোড, মাঝিরঘাট রোড, আইস ফ্যাক্টরি রোড, অক্সিজেন কুয়াইশ কানেকটিং রোডের মিড আইল্যান্ড, আমবাগান রোড, পাঠানটুলী রোড, হালিশহর রোড, শৈলবালা স্কুল রোড, ডুলুনিয়া ডেলা রোড (কেবি দাস রোড), পলিটেকনিক রোড, কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, খুলশী আবাসিক এলাকা, পুলিশ লাইন আবাসিক এলাকা, কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকা, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা, লেকভ্যালি আবাসিক এলাকা, জাকির হোসেন সড়ক পার্ট-২ এবং নুরুজ্জামান নাজির রোড।

    এসময় মেয়র আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতি সারা বিশ্বকে ক্রমশ কঠিন এক অনিশ্চয়তার মুখে ফেলে দিচ্ছে। এটা বিশ্বের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় কোন প্রচেষ্টা-ই বাদ রাখা উচিত হবে না, এই চিন্তা মাথায় রেখে সরকার এগুচ্ছে। করোনা সংক্রমনের এই সময়ে অন্যান্য রোগের চিকিৎসা মারাত্নক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, চিকিৎসা না পেয়ে নন কোভিড আক্রান্তরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অথচ চিকিৎসা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। রোগিরা চিকিৎসা পাবেন না, এ পরিস্থিতি মেনে নেওয়া যায় না। চিকিৎসা পরিধি ও সক্ষমতা আরো ব্যাপকভাবে বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসায় হাসপাতাল,চিকিৎসা সরঞ্জাম, ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান সহ লোকবল আরো বাড়াতে হবে। মূল কথা হলো প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সমন্বিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • প্রসুতি ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের জন্য ১ হাজার দিনের পুষ্টি সহায়তা প্রকল্প

    প্রসুতি ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের জন্য ১ হাজার দিনের পুষ্টি সহায়তা প্রকল্প

    গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের জন্য ১ হাজার দিনের পুষ্টি সহায়তা সামগ্রী তুলে দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    ইউএনডিপি ও ইউকে-এইড এর সহায়তায় পরিচালিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগীদের মাঝে এই সহায়তা তুলে দেয়া হচ্ছে।

    এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১ হাজার ৬ শত ৭৪ জনকে সহায়তা দেয়া হবে তন্মধ্যে এর আওতায় ১৮০ জনকে খাদ্য সহায়তা সামগ্রী তুলে দেয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে ১লিটার ভোজ্য তেল, ৩০ টি ডিম ও ১ কেজি ডাল।

    এই উপলক্ষে নগরীর ১৩ নং ওয়ার্ডস্থ টাইগারপাস বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হিরন।

    এসময় সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, প্রান্তিক জনগোষ্টির জীবনমান র্উনয়ন প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার মো. সরোয়ার হোসেন খান, সোসিও-ইকোনমিক ও নিউট্রিশন এক্সপার্ট মোহাম্মদ হানিফ, টাউন ফেডারেশন এর চেয়ারপার্সন কোহিনুর আক্তার, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সার মালিক উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, সম্প্রতি সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ একটি মহামারি রূপ ধারণ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশেও তা চরম আকার ধারণ করেছে। সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে আমাদের দেশের প্রান্তিক মানুষজন বিশেষ করে নগরে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষজন। বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতির কারনে কর্মহীন নগর দরিদ্র মানুষজন চরম দূর্দশার ভিতর দিন যাপন করছে। তারমধ্যে গর্ভবর্তী ও দুদ্ধদানকারী মায়েরা চরম পুষ্টিহীনতায় ভূগছে। এমন অবস্থায় নগরীতে এসব জনগোষ্ঠির জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি ইউএনডিপি ও ইউকে-এইড এর সহায়তায় পরিচালিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প অনন্য ভূমিকা রাখছে।

    তিনি আরো বলেন, কোভিড-১৯ দূর্যোগ সময়ে সবাইকে ধৈর্যশীলতার সাথে মোকাবেলা করতে হবে।

    মেয়র বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় খুব শীগ্রই অতি দরিদ্র ও ঝূঁকিপূর্ণ নগরবাসীর জরুরী খাদ্য সহায়তার জন্য নগদ অর্থ সহায়তা দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর