Tag: চসিক

  • এবার ওয়ার সিমেট্রির পাশের খাল পরিস্কার করলো চসিক

    এবার ওয়ার সিমেট্রির পাশের খাল পরিস্কার করলো চসিক

    নগরীর ওয়ার সিমেট্রির পাশের খাল থেকে ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নগরবাসী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনকে অবহিত করায় তিনি তাঁর দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে ধারাবাহিকভাবে নাল-খাল পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম শুরু করেন। তারই আলোকে এবার ওয়ার সিমেট্রির পাশের খালটি পরিস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগ।

    দীর্ঘদিন ধরে এই খালে কোন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কাজ না করার কারণে প্লাস্টিক, পলিথিনসহ গৃহস্থালী বর্জ্যে এটি মশার উর্বর প্রজনন ক্ষেত্রে পরিণত হয়। তাই প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের নির্দেশে খালটি পরিস্কার করা হলো। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলাকালে কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদ আলম চৌধুরী সহ পরিচ্ছন্ন সুপারভাইজারগণ কাজের তদারকি করেন।

  • সাড়ে ৭ লাখ শিশুকে হাম-রুবেলা টিকা দেবে চসিক

    সাড়ে ৭ লাখ শিশুকে হাম-রুবেলা টিকা দেবে চসিক

    ভাইরাসজনিত মারাত্মক সংক্রমণ রোগ হাম-রুবেলা প্রতিরোধে ৭ লাখ ৫২ হাজার ৫৬৪ জন শিশুকে টিকা দেওয়া হবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ব্যবস্থাপনায়। আগামী ১২ ডিসেম্বর ২০২০ থেকে ২৪ জানুয়ারি ২০২১ মধ্যে নগরের ৪১ ওয়ার্ডের ৯ মাস থেকে ৫ বছরের কম বয়সী ৩ লাখ ১ হাজার ২৬ জন এবং ৫ বছর থেকে ১০ বছরের ৪ লাখ ৫১ হাজার ৫৩৮ শিশুকে ১ ডোজ করে টিকা দেওয়া হবে।

    বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

    সংবাদ সম্মেলনে চসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, ডা. সানোয়ার আলম, ডা. আশরাফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় কো অর্ডিনেটর ডা. ইমং প্রু চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    তিনি বলেন, নির্দিষ্ট বয়সের কোনো শিশু আগে হাম-রুবেলা টিকা পেলেও ক্যাম্পেইন চলাকালে ১ ডোজ টিকা অতিরিক্ত হিসেবে নিতে হবে।

    টিকাদান কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা ও মুখে মাস্ক রাখতে হবে।

    সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় হাম সাধারণত আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা অন্যদের মধ্যে হাঁচি কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। শিশু ছাড়াও যেকোনো বয়সে হাম হতে পারে। রুবেলা রোগের জীবাণু প্রধানত বাতাসের সাহায্যে শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে সুস্থ শরীরে প্রবেশ করে এবং লক্ষণ দেখা দেয়।

    ডা. সেলিম আকতার আরো জানিয়েছেন, গর্ভবতী মায়েরা গর্ভের ৩ মাসের সময় রুবেলা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে মা থেকে গর্ভের শিশু আক্রান্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে গর্ভপাত এমনকি গর্ভের শিশুর মৃত্যুও হতে পারে। শিশু জন্মগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে যা কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম (সিআরএস) নামে পরিচিত। কোনো শিশু এমআর টিকা না পেলে অন্যরাও তার মতো হাম রুবেলা রোগের ঝুঁকিতে থাকে। ক্যাম্পেইন চলাকালে চসিক জেনারেল হাসপাতালে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (নম্বর ০৩১-৬৩৪৫৮৪, ০৩১-৬১৬৫৫৫) খোলা থাকবে।

  • বায়েজিদে চসিক’র উচ্ছেদ অভিযান শেষে আবারও দখল পায়তারা

    বায়েজিদে চসিক’র উচ্ছেদ অভিযান শেষে আবারও দখল পায়তারা

    চট্টগ্রাম ডেস্ক : চসিকের চলমান অভিযানের মধ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর বায়েজিদ বোস্তামী মেইন সড়কের পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকান রিক্সার গ্যারেজ সহ একাধিক অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ করা হয়। বায়েজিদ চা বোর্ড সংলগ্ন থেকে অক্সিজেন মোড় পর্যন্ত এ অভিযান চলে।

    এদিকে বায়েজিদ মাজার পুকুর পূর্ব পাড় গণপূর্তের জায়গার উপর অবৈধভাবে গড়ে তুলেছিলো দোকানপাট জনসাধারণের চলাচল রাস্তাও দখল করে নিয়ে কথিত হকারলীগের ব্যনারে বাবুল নামক ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবত চাঁদাবাজি করে আসছে।

    ফুটপাত দখল করে নেওয়াতে জনসাধারণের চলাচলের খুব অসুবিধা হতো বলে জানান স্থানীয় জনগণ।

    চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন নিজেই দারিয়ে থেকে অভিযান চালালে কথিত হকারলীগ নেতা বাবুল চুপসে যায়। উচ্ছেদ অভিযান শেষ করে চসিক প্রশাসক ফিরে গেলে তার ঘন্টা ক্ষানিকের মধ্যে বাবুল ও তার ভগ্নিপতি রাজ্জাককে সাথে নিয়ে পুনরায় অবৈধ দোকান গড়ে তুলতে কাজ শুরু করে। জনসাধারণ বলছে বাবুল চসিক প্রশাসককে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তার ক্ষমতা আছে জানান দিলো।

    ২৪ ঘণ্টা/রানা

  • ঐতিহাসিক বদর পুকুর রক্ষায় এগিয়ে এলেন চসিক প্রশাসক সুজন

    ঐতিহাসিক বদর পুকুর রক্ষায় এগিয়ে এলেন চসিক প্রশাসক সুজন

    নিজস্ব প্রতিবেদক : মহান অলীদের স্মৃতিধন্য বদর পুকুর। প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহাসিক স্থানও এটি। আর ঐতিহাসিক ‘বদর পুকুর’ সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনে এগিয়ে এলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন

    তার আন্তরিক উদ্যোগে প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরু করার বিষয়ে বদরপাতি এলাকাবাসীর সাথে এক সমন্বয় সভায় তিনি মিলিত হন। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবনের আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এ সভাটি।

    সভার প্রারম্ভে প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন ‘বদর পুকুর সংস্কার প্রকল্প’র বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।

    এসময় তিনি বলেন, মহান অলীদের স্মৃতিধন্য বদর পুকুর। এটি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহাসিক স্থান। এটিকে রক্ষা করা সকলেরই দায়িত্ব। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এ প্রকল্পের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে।

    অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন হলে ‘বদর পুকুর’ শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও একটি আধ্যাত্মিক ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে সার্বজনীনতা পাবে। তিনি এলাকাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে বাকী কাজটুকু শেষ করার তাগিদ দেন।

    এসময় সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদুল আলম, ভূমি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, প্রশাসকের একান্ত সচিব আবুল হাশেম।

    বদরপাতি এলাকাবাসীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ৩২নং আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ও চট্টগ্রাম সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ও ছাত্রনেতা মুহাম্মদ নোমান লিটন, নগর বিএনপির সহ সভাপতি হারুন জামান, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন শাহ্, বদর পুকুর পাড়স্থ ‘যুবকণ্ঠে’র সভাপতি নুরুল হুদা, বদর আউলিয়া মাজার শরীফের মোতোয়ালি সৈয়দ আবুল হাশেম, আখতার আজিম খান, দিদার আজিম খান, মাহমুদ উল্যাহ্, হাবিব উল্যাহ্, জসিমউদ্দিন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবুল বশর, নগর স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা জানে আলম, যুবকণ্ঠে’র সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস জ্যাকী, সুমন, মোরশেদ প্রমুখ।

    সভায় উপস্থিত এলাকাবাসী বদর পুকুর সংস্কার প্রকল্পের অবশিষ্ট কাজ দ্রুত শেষ করার বিষয়ে একাত্মতা প্রকাশ করে সিটি কর্পোরেশনকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

    এসময় বক্তারা চলমান প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম, দূর্ণীতি, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের তৎকালিন কাউন্সিলরের অদক্ষতা ও সমন্বয়হীনতার ব্যাপারে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

    প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এজন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং প্রকল্পের কাজে দূর্ণীতির ব্যাপারে তদন্তের আশ্বাস দেন।

    তিনি এসময় আবারো প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ সকলের সহযোগিতা নিয়ে দ্রুত শেষ করার ব্যাপারে দৃঢ সংকল্প ব্যক্ত করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/কামরুল/রাজীব

  • স্টেশন রোড ও দেওয়ানহাটে চসিকের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত

    স্টেশন রোড ও দেওয়ানহাটে চসিকের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জাহানারা ফেরদৌস এর নেতৃত্বে আজ চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।

    অভিযানকালে নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন স্টেশন রোডের রেয়াজউদ্দিন বাজার সংলগ্ন ফুট ওভারব্রীজের নিচ থেকে অবৈধ দোকানসহ আশপাশের ফুটপাত থেকে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করে ফুটপাত ও ফুটওভারব্রীজের নিচের অংশ অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়।

    একই অভিযানে নগরীর দেওয়ানহাটস্থ সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন পোর্ট সিটি কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরের করিডোর থেকে দোকানের মালামাল অপসারন করে লোকজন চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

    অভিযানকালে সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয়কে সহায়তা প্রদান করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চসিক বিকাল ৪ টার মধ্যে শতভাগ কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন করেছে: মেয়র

    চসিক বিকাল ৪ টার মধ্যে শতভাগ কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন করেছে: মেয়র

    নগরীর ওয়ার্ড সমূহ থেকে আনুমানিক পাঁচ হাজার টন কোরবানির বর্জ্য অপসারণের টার্গেট নিয়ে কাজ শুরু চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। এই বর্জ্য অপসারণ কাজে সার্বক্ষনিক নিয়োজিত ছিল চসিকের প্রায় পাঁচ হাজার পরিচ্ছন্ন কর্মী। সরাসরি এ কার্যক্রম তদারকি করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

    আজ বিকেলে সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন নগরীর আলমাস সিনেমার সামনে, আগ্রাবাদ, পোর্ট মার্কেট, নিমতলা বিশ্বরোড, হালিশহর, পতেঙ্গা সহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

    এসময় তিনি প্রধান সড়কের বিভিন্ন ডাস্টবিনগুলোতে কোরবানি বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে নিয়োজিতদেরকে নানামুখী দিক নির্দেশনা দেন।

    এছাড়া তিনি জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলরদের সাথে সার্বক্ষণিক মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন। বর্জ্য অপসারণ কাজ আরো বেগমান করতে এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই নগর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ঠদের দিক নির্দেশনা দেন।

    পরিদর্শনকালে সিটি মেয়র নগরীর প্রধান সড়কে বিকাল ৪ টার মধ্যে এবং রাত ৮ টার মধ্যে অলিগলির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করার জন্য গুরুত্বারোপ করেন।

    তিনি বলেন, বিকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কোরবানির বর্জ্য প্রায় পরিস্কার করা হয়ে গেছে।

    প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, এবার যেহেতু করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে, সেজন্য বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে আলাদা সাবধানতা অবলম্বন করেছে চসিক। কোথাও যাতে বর্জ্য বা পানি জমে না থাকে সেব্যাপারে সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এবছর বর্জ্য অপসারণ কাজে ৩৫০ টি গাড়ি সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা শতভাগ আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে। এজন্য চসিক পরিচ্ছন্ন কর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করে এই ঈদে পরিবার পরিজনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দায়িত্ব পালন করছে। এজন্য তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাাছির উদ্দীন।

    নগরীর কোথাও কোরবানির জবাইকৃত পশুর বর্জ্য কোরবানির দিন রাত ৮.০০ ঘটিকার পরে জমা হয়ে থাকতে দেখা গেলে তাৎক্ষনিকভাবে কন্ট্রোলরুমে ০৩১-৬৩০৭৩৯, ০৩১-৬৩৩৬৪৯ অথবা ০১৬৭৫২১৮৪৮৫ নম্বরে সংবাদ দেয়ার আহবান সিটি মেয়রের।

    পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, গিয়াস উদ্দিন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লেঃ কর্নেল সোহেল আহমেদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, ঝুলন কুমার দাশ, প্রধান পরিছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী জিসু, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, পরিছন্ন কর্মকর্তা শেখ হাসান রেজা, আওয়ামী লীগ নেতা বেলাল আহমেদ, মহানগর যুবলীগ নেতা সুমন দেবনাথ, লিটন রায়,ওয়াহিদুল আলম শিমুল, এস এম মামুনুর রশিদ মামুন ও তাজউদ্দিন প্রমুখ।

    এ সময় মেয়র নগরবাসীর সাথে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কুশল ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি বর্জ্য, নাড়িভুঁড়ি ও কোরবানীর পশুর উচ্ছিষ্ট অংশ নির্ধারিত ডাষ্টবিনে ফেলার অনুরোধ জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা চিকিৎসায় রাজি না হওয়ায় চসিকের ১০ চিকিৎসক বরখাস্ত

    করোনা চিকিৎসায় রাজি না হওয়ায় চসিকের ১০ চিকিৎসক বরখাস্ত

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত ২৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে অনীহা প্রকাশ করায় ১০ চিকিৎসককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে চসিক। একই অভিযোগে একজন স্টোর কিপারকেও চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার (১৬ জুন) চসিকের সচিব স্বাক্ষরিত আদেশে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।

    তারা সকলেই আগ্রাবাদ এক্সেস রোডস্থ চট্টগ্রাম সিটি হল কমিউনিটি সেন্টারে চসিকের আইসোলেশন সেন্টারে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। এই সেন্টারে ১৬ চিকিৎসককে চসিকের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে এনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

    তবে এরমধ্যে ১০ চিকিৎসক ও এক জন স্টোর কিপার এই আইসোলেশন সেন্টারে যোগ দিতে অনীহা প্রকাশ করায় নির্ধারিত সময়েও এটি চালু করতে পারেনি চসিক। তাই বাধ্য হয়ে করোনা চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম আইসোলেশন সেন্টারে অবাধ্য এসব চিকিৎসককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
    চাকরিচ্যুতরা হলেন: চসিকের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সিদ্ধার্থ শংকর দেবনাথ, ডা. ফরিদুল আলম, ডা. আবদুল মজিদ সিকদার, ডা. সেলিনা আক্তার, ডা. বিজয় তালুকদার, ডা. মোহন দাশ, ডা. ইফতেখারুল ইসলাম, ডা. সন্দিপন রুদ্র, ডা. হিমেল আচার্য্য, ডা. প্রসেনজিৎ মিত্র। এছাড়া অব্যাহতি পেয়েছেন স্টোর কিপার মহসিন কবির।

    এ বিষয়ে চসিকের বক্তব্য ‘যারা মানব সেবা করার শপথ নিয়ে বিপদের সময় অমানবিক কাজ করছেন। সিটি করপোরেশনের চিকিৎসক হয়ে অফিস আদেশ মানেনি, তাদের চাকরি করার কোনও অধিকার নেই। তাদের সরকার ঘোষিত প্রণোদনা দেওয়া হবে। মেয়র মহোদয় দ্বিগুণ বেতন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন৷ সকল সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরপর কাজে যোগ না দেওয়া তা খুবই দুঃখজনক।’

    ‘প্রতিষ্ঠারের শৃঙ্খলা রক্ষায় ও অমানবিক কাজ করায় দশ চিকিৎসক ও একজন স্টাফকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেখানে মোট ১৬ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এরমধ্যে একজন অসুস্থ আর পাঁচজন আছে। এখন নতুন করে চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে তাদের ট্রেনিং দিয়ে আইসোলেশন সেন্টারটি চালু করতে হবে।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ৩ কি.মি.পায়ে হেটে সড়কে জীবাণুনাশক ঔষুধ মিশানো পানি ছিটালেন মেয়র নাছির

    ৩ কি.মি.পায়ে হেটে সড়কে জীবাণুনাশক ঔষুধ মিশানো পানি ছিটালেন মেয়র নাছির

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম নগরীর দামপাড়া থেকে মুরাদপুর মোড় পর্যন্ত প্রায় ৩ কি. মি. পথ পায়ে হেটে সড়কে জীবাণুনাশক মিশ্রিত পানি ছিটিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

    আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় দামপাড়াস্থ ওয়াসার মোড়ে জীবাণুনাশক ঔষুধ মিশানো ভাউজারের পাইপ হাতে নিয়ে রাস্তার দুই পাশে ছিটিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি।

    এ সময় রাস্তার দু’পাশে উৎসুক জনতা মেয়রের এই কার্যক্রমকে হাত নেড়ে সমর্থন দেন এবং অভিনন্দন জানান। এর জবাবে সিটি মেয়র তাঁর স্বভাব সুলভ হাসি দিয়ে এবং হাত নেড়ে নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানান।

    এই কার্যক্রম উদ্বোধনকালে সিটি মেয়র বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। সচেতনতাই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারে।

    এ ভাইরাসের সংক্রামণ ঠেকাতে প্রত্যেকেই সতর্কতার অংশ হিসেবে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা, গণপরিবহন ও ময়লা পোশাক এড়িয়ে চলা, ফলমূলের রসসহপর্যাপ্ত পানি পান করা, ঘরে ফিরে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালো করে হাত ধোয়া, ডিম কিংবা মাংস রান্নার সময় ভালো করে সিদ্ধ করা, নিয়মিত থাকার ঘর এবং কাজের জায়গাসহ ঘরের আঙিনা পরিষ্কার রাখতে হবে। জীবাণূনাশক ছিটাচ্ছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন

    নগর পরিচ্ছন্ন রাখতে চসিকের উদ্যোগে সড়কে জীবাণুনাশক ঔষুধ মেশানো পানি ছিটানো হচ্ছে বলে সিটি মেয়র উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চসিক বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। চসিক একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান হিসেবো শতভাগ আন্তরিকতার সাথে এবং নাগরিক দায়বদ্ধতা থেকে এ কাজ করে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

    প্রতিটি ওয়ার্ডে যেখানে লোক সমাগম হয় সেখানেও জীবাণুনাশক পানি ছিটানো হবে। শুরুতে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে এবং পরবর্তীতে অলিগলিতে জীবাণুনাশক পানি ছিটানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    এছাড়া গতকাল মঙ্গলবার নগরীর আদালত ভবন, বিভিন্ন হাটবাজার, রাস্তার মোড়গুলোতে হ্যান্ড মেশিন দিয়ে স্প্রে করা হয়। নগরীর বিভিন্ন স্থানে কর্পোরেশনের অনেক হাটবাজার ও মার্কেট রয়েছে। এই বাজারগুলো আগত ক্রেতা-বিক্রেতা সর্বসাধারণকে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষার নিমিত্তে চসিকের উদ্যোগে হাত ধোয়া কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।

    করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যেকোন তথ্য জানার জন্য চসিক কন্ট্রোল রুমের সাথে যোগাযোগ করতে পারে নগরবাসী। এলাকায় কেউ হোম কোয়ারেন্টাইন না মানলে সে তথ্যও জানাতে পারবে নাগরিকবৃন্দ। কন্ট্রোল রুমের নাম্বার হচ্ছে ০৩১-৬৩০৭৩৯ ও ০৩১-৬৩৩৬৪৯।

    চসিক সূত্রে জানা যায়, চসিকের ৩টি ভাউজারে প্রতিদিন নগরীর প্রধান সড়কে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাজে দৈনিক ৪২ হাজার লিটার জীবাণুনাশক ঔষধ (ব্লিচিং পাউডার মেশানো) পানি ছিটানো হবে। ৩টি মধ্যে ২টি ১৬ হাজার লিটার সম্পন্ন পানির ভাউজার এবং অপরটি ১০ হাজার লিটারের ভাউজার রয়েছে।

    আজ বুধবার ভাউজার গুলোর একটি দামপাড়া থেকে কালুঘাট, অপরটি দামপাড়া থেকে পতেঙ্গা, আরেকটি দামপাড়া হয়ে চট্টেশ্বরী, চকবাজার, সিরাজদৌল্লা, আন্দরকিল্লা, কোতোয়ালী, নিউ মার্কেট, জুবলী রোড হয়ে পুনরায় দামপাড়ায় ফিরে আসবে।

    ভাউজার গুলো প্রতিদিন এ পরিক্রমায় জীবাণুনাশক পানি রাস্তায় ছিটানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে। এই তিন ভাউজারের মাধ্যমে চসিক প্রতিদিন ৪২ হাজার লিটার জীবাণুানাশক মিশ্রিত পানি নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে ছিটাবে বলে চসিক সূত্রে জানা গেছে।

    উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান ছিদ্দিকী যিশু ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক।

    ২৪ ঘন্টা/আর এস পি

  • বাজারে আগত ক্রেতা-বিক্রতাকে হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা করবে চসিক

    বাজারে আগত ক্রেতা-বিক্রতাকে হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা করবে চসিক

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন বলেন, নগরীর বিভিন্ন স্থানে চসিকের অনেক হাট-বাজার আছে। এই বাজার গুলোতে আগত ক্রেতা-বিক্রতাকে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষার নিমিত্তে চসিকের উদ্যোগে হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

    তিনি আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিটি কর্পোরেশন কনফারেন্স হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির দ্বিতীয় সভায় একথা বলেন।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং যার যার অবস্থান থেকে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জাতিকে সহায়তা করার উপর গুরুত্বারোপ করলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র।

    মেয়র বলেন করোনা ভাইরাসের অন্যতম চিকিৎসা হচ্ছে হোম কোয়ারেন্টাইন। এই ভাইরাসের জন্য এটি এক ধরণের এন্টিবেটিক ঔষুধ। এই রোগীর জন্য ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টাইন থাকা বাধ্যতামূলক।

    কোয়ারেন্টাইনকৃত ব্যক্তি ১৪দিন ঘরের বাইরে না গিয়ে নিজ বাড়ীর একটি কক্ষে অবস্থান করলে আপনা আপনি ভাল হয়ে যায়। কারণ ১৪দিনের পর করোনাভাইরাসের কার্যকারিতা থাকে না।

    সিটি মেয়র আরো বলেন করোনা ভাইরাসের জন্য আজকে থেকে সারা দেশে সেনাবাহিনী কাজ করবে। আমাদের সকলের উচিত দেশ মাতৃকার অতন্ত্র প্রহরী সেনাবাহিনীকে সর্বোতভাবে সহায়তা করা। আসুন এই দুর্যোগ মহুর্তে আমরা স্ব-স্ব অবস্থান থেকে তাদেরকে সহযোগিতা যুগিয়ে যায়।

    তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় প্রশাসনের সম্মিলিতভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। সমন্বয় সভায় জেলা পর্যায় থেকে শুরু করে বিভাগীয় পর্যায়ে কোন কোন হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি হবে তা নির্ধারণ করা হয়েছে।

    যারা কোয়ারেন্টাই মানবে না, সংক্রামক রোগ আইন ২০১৮ অনুযায়ি তাদের বিরুদ্ধে জেল বা জরিমানা বা উভয়দন্ড হতে পারে।

    চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সেলিম আকতার চৌধুরীর সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সিভিল সার্জন চট্টগ্রাম ডা. এস কে ফজলে কবির, এডিসি মো. কামাল হাসান, প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের ডিডি মো. সুলতান মিয়া, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ, বিভাগীয় সমাজকল্যাণ অফিস ডেপুটি ডাইরেক্টর হাসান মাসুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • ১৫ গুণী ব্যক্তিকে একুশে স্মারক সম্মাননা পদক ও সাহিত্য পুরস্কার দিল চসিক

    ১৫ গুণী ব্যক্তিকে একুশে স্মারক সম্মাননা পদক ও সাহিত্য পুরস্কার দিল চসিক

    আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ ১১জনকে একুশে সম্মাননা ও ৪জনকে একুশে সাহিত্য পুরস্কার দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।

    আজ শুক্রবার এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের সিজেকেএস জিমনেসিয়ামে মুজিব বর্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অমর একুশে বইমেলা-২০২০ চট্টগ্রাম মঞ্চে চসিক মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন সম্মাাননা প্রাপ্তদের হাতে এ সম্মাননা পদক তুলে দেন।

    পুরষ্কারপ্রাপ্তরা হলেন :

    ভাষা আন্দোলনে আবু তালেব চৌধুরী (মরণোত্তর), শিক্ষায় অধ্যক্ষ এএফএম মোজাফফর আহমদ (মরণোত্তর), চিকিৎসাসেবায় প্রফেসর সৈয়দা নুরজাহান ভূঁইয়া (মরণোত্তর), স্বাধীনতা আন্দোলনে শহীদ হারুনুর রশীদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধে মোহাম্মদ হারিছ, সাংবাদিকতায় আখতার-উন-নবী (মরণোত্তর), সংগঠক প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন, সংগঠক বিএফইউজের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, ক্রীড়ায় সিরাজ উদ্দিন মো. আলমগীর, সংগীতে ওস্তাদ স্বপন কুমার দাশ, সমাজসেবায় সন্ধানী চমেক ইউনিটকে একুশে সম্মাননা স্মারক এবং কথাসাহিত্যে (অনুবাদ) ড. মাহমুদ উল আলম, প্রবন্ধ গবেষণায় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল আমিন, কবিতায় ওমর কায়সার ও শিশুসাহিত্যে আকতার হোসাইনকে সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

    মরণোত্তর সস্মাননা স্মারক প্রাপ্তদের পক্ষে তাদের প্রতিনিধি এবং মুক্তিযোদ্ধা হারিছ, প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন, বিএফইউজের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, সিরাজউদ্দিন মো. আলমগীর, ওস্তাদ স্বপন কুমার দাশ, ড.মাহমুদ উল আলম, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল আমিন, কবি ওমর কায়সার ও আকতার হোসাইন প্রমুখরা উপস্থিত থেকে সিটি মেয়রের হাত থেকে স্মামননা স্মারক ও পুরস্কার গ্রহন করেন।

    এই উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চসিক প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, অমর একুশে বইমেলার আহ্বায়ক কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক এবং চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস।

    সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন আমি এই শহরের আদিবাসি। আমার পিতা,দাদা এ শহওে জম্ম গ্রহন করেন। আমার জম্মও এ শহরে। সম্ভবত: ১১৮০ সালে আমার পূর্ব পুরুষেরা এ শহরে এসেছিল। সেই ধারাবাহিকতায় আামি এই শহরের অনেক ভালো-মন্দের সাথে পরিচিত। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে অনুপ্রাণিত হয়ে স্কুলজীবনে ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত হই। অনেক চড়াই -উতরাই পেরিয়ে আজকের এ অবস্থানে আসা। আমি এদেশের মাটি ও মানুষকে অন্তরে ধারণ করে রাজনীতি করি। আমৃত্যু এটি থাকবে। এ নগরবাসীর সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং আগামীতেও থাকবো। এ নগরবাসীর কাছে আমি অনেক বেশি ঋণী। বেঁচে থাকলে, এ ঋণ শোধ করার চেষ্টায় থাকবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

    সিটি মেয়র বলেন, আগামী ৪ আগস্ট মেয়র হিসেবে মেয়াদ শেষ হবে আমার। গত মেয়র নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মেয়র পদে মনোনয়ন দিয়েছেন। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতি আমি চিরঋণি।

    তিনি বলেন, এবার বইমেলায় গতবারের চেয়ে দ্বিগুণ স্টল হয়েছে। গতবারের ভুল ত্রুটি দূর করে এবারের বইমেলা সাজানো হেেয়ছে। আগামীতেও জিমনেশিয়ার প্রাঙ্গনে এই মেলা আয়োজনের কথা উল্লেখ করে সিটি মেয়র এব্যাপারে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে বলে উল্লেখ করেন। এক্ষেত্রে নতুন মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরও যেন ফেরুুয়ারিতে চট্টগ্রামে সম্মিলিত বইমেলার ধারাবাহিকতা থাকে সেব্যাপারে চসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান সিটি মেয়র ।

    তিনি বলেন, একুশ বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটিয়েছে। এটি চির অম্লান হয়ে থাকবে। এ ভাষা যত বেশি অন্তরে ধারণ করবো, লালন করবো আন্তর্জাতিক ভাবে ততবেশী গ্রহণযোগ্যতা, সম্মান ও মর্যাদা বাড়বে। নগরীর ঝুপড়ি দোকানে ইংরেজি সাইনবোর্ড , সামাজিক অনুষ্ঠানে ইংরেজীতে নিমন্ত্রণপত্র ছাপানোকে বিকৃত মানসিকতা বলে মন্তব্য করে মেয়র।

    কবি ওমর কায়সার বলেন, পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্টের পর দেশের মানুষ ছিল স্তব্ব । কথা বলতে পারছিলো না। তখন কয়েকজন তরুণ চট্টগ্রামের রাজপথে জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছিলেন। সেই শ্লোগান দাতাদের মধ্যে একজন হলেন মেয়র নাছির। চট্টগ্রামের মেয়র পদবীটা ছোট্ট একটি স্টেশন। এই ছোট্ট স্টেশনের গন্ডি পেরিয়ে মেয়র নাছির অনেক দূরে যাবেন বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

    রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, পদকের জন্য আমি নিজেকে যোগ্য মনে করি না। কম বয়সে আমাকে এ স্বীকৃতি দেওয়া হলো। আমি চসিকের কাছে কৃতজ্ঞ।

  • চসিক বই মেলায় ১৫ গুণী পাচ্ছেন একুশে স্মারক সম্মাননা ও সাহিত্য পুরস্কার

    চসিক বই মেলায় ১৫ গুণী পাচ্ছেন একুশে স্মারক সম্মাননা ও সাহিত্য পুরস্কার

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ।চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আয়োজিত মুজিব বর্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অমর একুশে বই মেলায় ১৫ গুণী ও বিশিষ্ঠজনকে মহান একুশে স্মারক সম্মাননা পদক ও সাহিত্য পুরস্কার-২০২০ প্রদান করবে চসিক।

    আগামীকাল শুক্রবার বিকেলে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামস্থ জিমনেসিয়াম চত্বরে চসিক আয়োজিত বই মেলার মঞ্চে এসব গুণীজনদের হাতে সম্মাননা পদক ও সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করবেন চসিক মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    সম্মাননা পদক পাচ্ছেন যারা : ভাষা আন্দোলনে আবু তালেব চৌধুরী (মরণোত্তর), শিক্ষায় অধ্যক্ষ মোজাফ্ফর আহমদ (মরণোত্তর), চিকিৎসা সেবায় প্রফেসর সৈয়দা নুরজাহান ভূঁইয়া (মরণোত্তর), স্বাধীনতা আন্দোলনে শহীদ হারুনুর রশীদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধে মোহাম্মদ হারিছ, সাংবাদিকতায় আকতার-উন-নবী (মরণোত্তর), সংগঠক প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসাইন পি.ইঞ্জ, সংগঠক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, ক্রীড়ায় সিরাজউদ্দিন মো. আলমগীর, সংগীতে ওস্তাদ স্বপন কুমার দাশ, সমাজসেবায় সন্ধানী (সত্রিমসিউ)।

    সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন কথা সাহিত্যে (অনুবাদ) ড. মাহমুদ উল আলম, প্রবন্ধ গবেষণায় অধ্যাপক নুরুল আমিন, কবিতায় ওমর কায়সার ও শিশু সাহিত্যে আকতার হোসাইন।

    মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২০ উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ২০ দিন ব্যাপী বই মেলা আয়োজনের পাশাপাশি শুক্রবার দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে।

    কর্মসূচির মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিটে সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ বেদীতে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরনে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিকেল ৪ টায় এম এ আজিজ স্টেডিয়ামস্থ জিমনেসিয়াম চত্বরে আলোচনা সভা ও ১৫ গুণীকে একুশে স্মারক সম্মাননা ও সাহিত্য পুরষ্কার-২০২০ প্রদান এবং সন্ধ্যায় এম এ আজিজ স্টেডিয়াম চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।

    অনুষ্ঠানে সর্বস্তরের নাগরিকদের উপস্থিতি কামনা করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

     

  • চসিক নির্বাচন ২৯ মার্চ

    চসিক নির্বাচন ২৯ মার্চ

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী চট্টগ্রাম সিটিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ মার্চ। মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর ১ মার্চ হবে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই। ৮ মার্চ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময়। প্রতীক বরাদ্দ ৯ মার্চ।

    রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন এবং বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর।

    তিনি জানান, চট্টগ্রাম সিটিতে ২৯ মার্চ সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভোটই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) গ্রহণ করা হবে। একই দিন বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে ব্যালটে ভোটগ্রহণ করা হবে।

    এর আগে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন এবং বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচন নিয়ে আজ আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। বৈঠক শেষে ঘোষণা করা হয় তফসিল।

    ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হয়। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটির সঙ্গে ভোট হয় চট্টগ্রাম সিটিতেও। আর চট্টগ্রাম সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের জুলাইয়ে।

    নির্বাচনে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী।

    শনিবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    অপরদিকে নির্বাচনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আবু হাশেম বক্কর ও বিএনপি নেতা এরশাদ উল্যাহ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। তবে নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির আগ্রহী প্রার্থীদের মধ্যে তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।

    চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনজুড়ে আলোচনা প্রাধান্য পাচ্ছে। একদিকে মেয়র পদ, অপর দিকে ৪১ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ। এছাড়াও রয়েছে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদ। এসব পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক প্রার্থী নিজেদের গুছিয়ে মাঠ গোছানোর প্রস্তুতিতে তৎপর।