Tag: চাচা-ভাতিজা

  • সন্ধ্যায় ভাতিজাকে জবাই করে হত্যা,ভোরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত

    সন্ধ্যায় ভাতিজাকে জবাই করে হত্যা,ভোরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত

    চট্টগ্রাম মহানগরীতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় তিন বছর বয়সী আপন ভাতিজাকে জবাই করে হত্যাসহ অন্তত ১৩ মামলার আসামি জসিম উদ্দিন (৩২) নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ, একটি বিদেশী ফোল্ডিং টিপ ছোরা ও ৮৭৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।

    আজ বুধবার (৮ জুলাই) ভোরে ডবলমুরিং থানার ঝরনা পাড়া জোড় ডেবার পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জনিয়েছেন ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ।

    ডবলমুরিং থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে নগরের ডবলমুরিং, হালিশহর, বন্দর থানায় হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১৩টি মামলা রয়েছে।

    ২০১৪ সালে নগরের আগ্রাবাদ জাম্বুরি পার্ক এলাকায় পুলিশ সদস্য ফরিদ উদ্দিনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার মামলার আসামিও জসিম। সর্বশেষ ২০০৮ সালে মোহাম্মদ খোরশেদ হত্যা মামলায় জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন।

    পারিবারিক বিরোধের জেরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝরনা পাড়ায় নিজের ছোট ভাই মো. রাশেদের ছেলে মো. মেহেরাবকে (৩) গলা কেটে হত্যা করে জসিম। এ ঘটনায় নিহতের মা নীলু বেগম বাদী হয়ে জসিমের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ জসিমকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে।

    ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জসিমকে গ্রেপ্তারের জন্য ঝরনা পাড়ায় গেলে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে জসিমকে সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আহত জসিমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    গুলি বিনিময়ের সময় নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার পশ্চিম এমএমএম হুমায়ুন কবির, ডবলমুরিং থানার ওসি সুদীপ কুমার দাস, পরিদর্শক তদন্ত জহির হোসেন, এসআই অন্য বড়ুয়া ও হেলাল উদ্দিন সহ পুলিশের ৫ জন আহত হয়েছেন, তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও তথ্য দিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা জহির হোসেন।

    ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ বলেন, জসিম উদ্দিন রাজু একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। সে একাধিক হত্যা মামলার আসামি, অবৈধ অস্ত্রধারী ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। জসিম বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম মহানগরীতে চুরি, ছিনতাই, মাদক ও খুনসহ ডাকাতির কাজে লিপ্ত ছিল। একেক সময় একেক অপরাধ করে আসছিল সে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লোহাগাড়ায় কলেজ ছাত্রকে মারধরের পর পুলিশ অভিযোগ তদন্তে গেলে চাচাকেও মারধর

    লোহাগাড়ায় কলেজ ছাত্রকে মারধরের পর পুলিশ অভিযোগ তদন্তে গেলে চাচাকেও মারধর

    লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মোস্তফা আল হোসাইন ইমরান (২১) নামের এক কলেজ ছাত্রকে মারধর করে পাহাড়ের গহীন অরণ্যে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ পুলিশ তদন্ত করতে গেলে তাঁর চাচাকেও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।

    সোমবার (৬ জুলাই) বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলার উত্তর চরম্বা দেওয়ান আলী সিকদার পাড়ার দোকানের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।

    এ ঘটনায় সোমবার রাতে একই এলাকার মৃত আহমদুল্লাহর ছেলে নুরুল আবছার, তার ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম ও শামসুল আলমের ছেলে জসিম উদ্দিন হেলালীসহ তিন জনের বিরুদ্ধে লোহাগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দাযের করেছে কলেজ ছাত্র মোস্তফা আল হোসাইন ইমরান।

    ভূক্তভোগী পটিয়া সরকারী কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র ইমরান জানান, গত ৪ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমি স্থানীয় দোকানে বাজার করতে গেলে স্থানীয় নুরুল আবছার কথা আছে বলে আমাকে ডেকে অন্ধকারে নিয়ে যায়। এর পর কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে কিল-ঘুষি-লাথি মারতে মারতে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের দিকে নিয়ে যেতে টানা-হেঁচড়া করলে আমি জোরে চিৎকার দিই। এতে আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দাযের করলে থানা পুলিশের এএসআই শ্যামল দত্ত সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে যায়। এতে প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করত: আমার চাচা শফিক আহমদ সিকদারকে গলা টিপে ধরে কিল-ঘুষি-লাথি মেরে গুরতর আহত করে। এসময় স্থানীয় লোকজন ও এএসআই শ্যামল দত্ত প্রতিপক্ষদের হাত থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। প্রতিপক্ষরা আমি এবং চাচাকে মারধর করেও ক্লান্ত নয়, প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ঘটনায় সোমবার রাতেই পূণরায় থানায় লিখিত অভিযোগ দাযের করেছি।

    ইমরান আরো জানান, প্রতিপক্ষরা খুব হিংস্র ও সন্ত্রাসী। জামায়াতের দুধর্ষ ক্যাডার। তাদের বিরুদ্ধে নাশকতা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৮/১০টি মামলা রয়েছে থানায়।

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঘটনা তদন্তে যাওয়া এএসআই শ্যামল দত্ত বলেন, সোমবার বিকেলে কলেজ ছাত্র ইমরানের ওপর হামলার ঘটনায় দাযেরকৃত অভিযোগ তদন্তে গিয়েছিলাম। আমি তদন্ত করে যথারীতি চলে আসি। আসার পথে খবর পেলাম বাদি-বিবাদি কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি দিয়েছে।

    এ প্রসঙ্গে লোহাগাড়া থানার ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসআই অজয়দেব শীলকে পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/আজাদ