সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সাড়ে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে বীভৎসভাবে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনার মামলায় বাবা আব্দুল বাছির ও চাচা নাসির মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। কারাগারে আটক অপর দুই চাচা জমসেদ ও মোছাব্বির খালাস পেয়েছেন।
সোমবার (১৬ মার্চ) বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার এই রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ১০ মার্চ আরেক অভিযুক্ত শিশুর চাচাতো ভাই শাহরিয়ারকে আট বছরের আটকাদেশ দেয় শিশু আদালত।
আলোচিত এই মামলায় পাঁচ মাসের মধ্যেই বিচারকাজ শেষ করেছে আদালত।
মামলার আইনজীবী বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু বলেন, তুহিন হত্যা মামলায় বাবা আব্দুল বাছির ও চাচা নাসির মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। কারাগারে আটক দুই চাচা মোছাব্বির ও জমসেদকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পাবলিক প্রসিকিউর এডভোকেট শামুসন্নাহার রব্বানী শাহানা বলেন, আলোচিত মামলায় দ্রুততম সময়ে রায় দিয়েছে আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়,২০১৯ সনের ১৩ অক্টোবর গভীর রাতে দিরাই উপজেলার কেজাউড়া গ্রামের বসতঘর থেকে তুলে নিয়ে ঘুমন্ত শিশু তুহিন মিয়াকে গলাকেটে তার লিঙ্গ, দুই কান কেটে পেটে দুটি ছুরি বিদ্ধ করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়। ঘটনার দুই দিন পর চাচাতো ভাই শাহরিয়ার আহমদ ও তার দুই চাচা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আদালতে ৬৪ ধারার জবানবন্দিতে স্বীকার করেন। তবে বাবা আব্দুল বাছির ও চাচা মাওলানা আব্দুল মোছাব্বির তুহিন হত্যার কথা স্বীকার করেননি। পিতা আব্দুল বাছিরকে দুই দফা রিমান্ডে নিলেও তিনি ছেলে হত্যার সম্পৃক্ততা স্বীকার করেননি।
মামলায় বাবা আব্দুল বাছির, চাচা জমসেদ, নাছির, মাওলানা মোছাব্বির ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে গত ৩০ ডিসেম্বর আদালতে পৃথক পৃথকভাবে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
অভিযুক্ত চাচাতো ভাই শাহরিয়ারের বয়স কম হওয়ায় তাকে বিচারের জন্য শিশু আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
গত ২ জানুয়ারি শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে আদালত চার্জ গঠন করে আদালত। গত ৩ মার্চ আদালত যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ১০ মার্চ মঙ্গলবার সকালে তুহিন হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত শিশু চাচাতো ভাই শাহরিয়ার আহমদকে আট বছরের আটকাদেশ দেন শিশু আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন।