চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তিন নারী ও এক শিশুসহ একই পরিবারের ৬ সদস্য দগ্ধ হয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার পর দগ্ধ নজরুল ইসলাম (৫৫) চিকিৎসাধিন অবস্থায় দুপুর আড়াইটায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার দুপুরে সময় কে বি আমান আলী সড়কের বাদশা মিয়া চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকার হাজী মফিজুর রহমান আবাসিক এলাকার বেদার মিয়া চৌধুরী টাওয়ারের তৃতীয় তলায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহত নজরুল ইসলাম ছোটন (৫৫) চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ইপিজেডের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
এ ঘটনায় দগ্ধ অন্য সদস্যরা হলেন, নজরুলের মা মনোয়ারা বেগম (৭০), নজরুলের স্ত্রী জোবাইদা (৩৫), নজরুলের বোন সেলিনা কলি (৩২), নজরুলের ২ ছেলে হাজ্জাজ (৩) ও আজবির (১৩)।
দগ্ধ ৬ জনেরই শরীরে বিভিন্ন অংশে ১৫ শতাংশ থেকে ৬৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, সোমবার দুপুরে নগরীর চান্দগাঁও থানা এক কিলোমিটার এলাকা থেকে আগুনে দগ্ধ একই পরিবারের ৬ সদস্যকে চমেক হাসপাতালে আনা হলে একজনের মৃত্যু ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বাকিরাও আশংকাজনক জানিয়ে ২জনকে ঢাকায় প্রেরণ করে বাকি তিনজনকে চমেক হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও তাৎক্ষনিক বিস্তারিত জানাতে পারেনি তিনি। তবে তিনি প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট বা গ্যাসের লাইন লিক হয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে।
পরিবারের লোকজন বলছে বাইরে থেকে আগুনের পুলকি ভেতরে ঢুকেছে। ঘরের কাঠের মূল দরজা এবং সিঁড়ির জানালার কাঁচ ভাঙ্গা দেখে তারা ধারণা করছে বজ্রপাত বা আগুনের ফুলকি বাইরে থেকে এসেছে।