Tag: চালান

  • কক্সবাজারের মাছ ধরার ট্রলারে ১৪০ প্যাকেটে ১৪ লাখ ইয়াবা, আটক ২

    কক্সবাজারের মাছ ধরার ট্রলারে ১৪০ প্যাকেটে ১৪ লাখ ইয়াবা, আটক ২

    ডেস্ক নিউজ : কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী ঘাট এলাকায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে জেলার সর্ববৃহৎ ইয়াবার চালানটি জব্দ করতে সক্ষম হয়।  

    মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াই টার দিকে অভিযান চালিয়ে সমুদ্র পথে পাচার হয়ে আসা সাত বস্তা ভর্তি ১৪ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। এসময় পাচার কাজে ব্যবহৃত ট্রলারটি জব্দ করার পাশাপাশি দুজনকে আটক করা হয়েছে।

    আটকরা হলেন- কক্সবাজার পৌরসভার উত্তর নুনিয়ার ছড়া মো. নজরুল ইসলামের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম ফারুক (৩৭) ও একই এলাকার মো. মোজ্জাফরের ছেলে মো. বাবু (৫৫)।

    কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়।

    অভিযানে মাছ ধরার একটি ট্রলারে ইয়াবা ভর্তি সাতটি বস্তা উদ্ধার করা হয়। বস্তাগুলো থেকে ১৪০টি ইয়াবার প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি প্যাকেটে ১০ হাজার করে ইয়াবা রয়েছে।

    তিনি জানান, এ চালানটি কক্সবাজারের সর্ববৃহৎ ইয়াবার চালান। বৃহৎ এ ইয়াবা চালানটি পাচারে জড়িত ২ জনকে আটক করার পাশাপাশি ইয়াবা পাচারে ব্যবহৃত মাছ ধরার ট্রলারটিও জব্দ করা হয়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস

  • করোনা মোকাবিলায় ভারতের চিকিৎসা সহায়তার ৩য় চালান এল দেশে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর

    করোনা মোকাবিলায় ভারতের চিকিৎসা সহায়তার ৩য় চালান এল দেশে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জাতীয় ডেস্ক : করোনা মোকাবিলায় বন্ধু প্রতিম দেশ ভারত থেকে আজ দেশে এলো কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিট সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সহায়তার তৃতীয় চালান।

    আজ ৬ মে বুধবার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে. আবদুল মোমেনের কাছে জরুরি চিকিৎসা সহায়তার চালানটি হস্তান্তর করেন ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রীমতী রীভা গাঙ্গুলি দাশ।

    জানা যায়, সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিলের আওতায় কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় সাহায্য করার উদ্দেশ্যে এই সহায়তা দেয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক ব্যবহার উপযোগী এই পরীক্ষার কিটগুলি বাংলাদেশ সরকারকে ব্যাপকভাবে পরীক্ষা করার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।

    আরটি-পিসিআর পরীক্ষার কিটগুলি প্রয়োজনীয় তাপমাত্রায় সংরক্ষিত অবস্থায় ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে নিয়ে আসার পর বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (IEDCR) পাঠানো হয়েছে।

    ভারত থেকে ৩য় চালানে আসা কিটগুলির সাহায্যে ৩০ হাজার করোনা রোগীর পরীক্ষা করা সম্ভব হবে জানিয়ে ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রীমতী রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, এই আরটি-পিসিআর শনাক্তকরণ কিটগুলি ভারতের ‘মাই ল্যাব ডিসকভারি সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড’ দ্বারা উৎপাদিত এবং কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের জন্য ভারতে বহুল ব্যবহৃত।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই শনাক্তকরণ কিট প্রাপ্ত প্রথম অংশীদার দেশ যা এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি ভারতের গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে।

    ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথমে’ নীতির অংশ হিসেবে এবং কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে একটি সহযোগিতামূলক আঞ্চলিক প্রচেষ্টার লক্ষ্যে গত ১৫ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সার্ক নেতাদের নিয়ে একটি ভিডিও সম্মেলন করেছিলেন।করোনা ভারতের চিকিৎসা সহায়তার তৃতীয় চালান

    দুই দেশের মধ্যকার কালোত্তীর্ণ বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন মহামারী সংক্রমণের পর তিন দফায় ভারতের সহায়তার প্রশংসা করেন এবং বলেন, শনাক্তকরণ কিটগুলি বাংলাদেশে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে দেবে যা এই মুহূর্তে খুব প্রয়োজন।

    গত ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ফোনালাপে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিতে এই মহামারীটির প্রভাব হ্রাস করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তায় ভারতের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিলেন।

    এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণায় ভারতের ১০ মিলিয়ন ডলার প্রাথমিক সহায়তা নিয়ে সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিল গঠিত হয়।

    এই তহবিলের অধীনে ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক এবং ১৫ হাজার হেড-কভার সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সহায়তার প্রথম চালান গত ২৫ মার্চ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আবদুল মোমেনকে হস্তান্তর করা হয়।

    গত ২৬ এপ্রিল এক লাখ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট এবং ৫০ হাজার জীবাণুমুক্ত সার্জিকাল ল্যাটেক্স গ্লাভস সমন্বিত জরুরি চিকিত্সা সরবরাহের দ্বিতীয় চালানটি বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

    এছাড়াও, ভারতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা (ITEC) কাঠামোর আওতায় অনলাইন কোর্স পরিচালনা করে সার্ক দেশগুলির চিকিত্সা পেশাজীবীদের সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছে ভারত।

    এই জাতীয় দু’টি e-ITEC কোর্স ১৭-২১ এপ্রিল রায়পুরের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS) এবং ২৭ এপ্রিল–৬ মে চন্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন এন্ড রিসার্চ কর্তৃক পরিচালিত হয়েছে।

    এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৫০ জনেরও বেশী স্বাস্থ্য পেশাজীবী এ কোর্সগুলো দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। বর্তমানে, বাংলাদেশী অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি একটি ই-আইটিইসি কোর্সের আয়োজন নিবন্ধন চলছে।

    এই কোর্সটি ১২-১৩ মে পর্যন্ত ভূবনেশ্বরের অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS) কর্তৃক বাংলাভাষায় পরিচালিত হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব সেন প্রিন্স