Tag: চাষ

  • ড্রাগন ফলের চাষ করে ভাগ্য বদল সীতাকুণ্ডের যুবক ইমনের

    ড্রাগন ফলের চাষ করে ভাগ্য বদল সীতাকুণ্ডের যুবক ইমনের

    দেশি ফল চাষের পাশাপাশি ড্রাগন ফল চাষ করে সফলতা পেয়েছেন সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের খাদেমপাড়া গ্রামের সাবের শাহ্‌ ইমন। চলতি মৌসুমে তিনি দুই লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করেছেন বলে জানালেন। বাগানে রয়েছে আরও কমপক্ষে এক থেকে দুই লাখ টাকার ফল।

    জানা যায়, ইমন শিক্ষিত যুবক। চট্টগ্রাম সিটি কলেজ থেকে হিসাব বিভাগে মাস্টার্স ও আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেন এই যুবক, রুক্ষ পাহাড়ের তলদেশে ড্রাগন ফলের বাগান গড়ে তুলেন প্রথমে শখের বশে। অপরূপ সুন্দর লতানো গাছে এখন কাঁচা-পাকা ড্রাগন ফলের সমারোহ। রসে ভরা টসটসে ড্রাগন ফল দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি খেতেও অনেক মজাদার।

    সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সীতাকুণ্ড উপজেলার কৃষি অফিসারদের সহায়তায় ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ২০ শতক জায়গায় ৬০ টাকা দরে ৫২০টি ড্রাগন গাছের চারা রোপণ করেন ইমন। ড্রাগন ফলের চাষ কিছুটা বৈচিত্রময়। নির্দিষ্ট দূরত্বে একটি করে পাকা সিমেন্টের খুঁটি গেড়ে তার উপর রিকসা ও সাইকেলের পরিত্যক্ত টায়ার ব্যবহার করা হয়।

    খুঁটির চারপাশে ৪টি করে ড্রাগন ফলের চারা রোপণ করা হয়। ড্রাগন গাছের লতা বড় হলে খুঁটি বেয়ে টায়ারের ভেতর থেকে বাইরে ঝুলে পড়ে। সঠিক পরিচর্যা হলে চারা লাগানোর ২ বছর পরই গাছে ফল আসতে শুরু করে। একটি ড্রাগন গাছ অন্তত ২০ বছর ফল দিয়ে থাকে।

    এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৭ মাসে ড্রাগন গাছে ৫ থেকে ৬ বার ফলন আসে। চলতি মৌসুমের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন বার ফল বিক্রি করে দুই লাখ টাকার মত আয় করেছেন ব্যবসায়ী সাবের শাহ্‌ ইমন। এখনো আরো ২লাখ টাকার ফল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।

    নানা বয়সের মানুষ প্রতিদিন তার বাগান দেখতে আসেন। কৃষকরা এসে প্রশিক্ষণও নেন তার কাছে। অনেক সময় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার লোকজনও আসেন তার বাগান কৌশল জানতে।

    তিনি জানান, লোকজনকে বিনামূল্যে দেশি-বিদেশি ফলজ চারা বিতরণের মাধ্যমে চাষাবাদে উৎসাহিত করছেন তিনি। শুধু সীতাকুণ্ড নয়, চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক উৎসাহী লোকজন আসেন তার বাগানে।