Tag: চা বাগান

  • চা শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ

    চা শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ

    চা-বাগান শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। চা শ্রমিকদের চলমান ধর্মঘট নিয়ে শনিবার বিকালে গণভবনে বাগান মালিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাগান মালিকদের ১৯ জন প্রতিনিধি।

    বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব জানান, চা বাগান মালিকদের বৈঠকে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ছাড়া আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

    দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করার দাবিতে টানা ১৯ দিন ধরে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার ২৪১টি চা বাগানের শ্রমিকরা।

  • প্রতিকুল পরিবেশেও সাফল্যের শীর্ষে ব্র্যাকের তিনটি চা বাগান

    প্রতিকুল পরিবেশেও সাফল্যের শীর্ষে ব্র্যাকের তিনটি চা বাগান

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধিঃ করোনার লকডাউন, খরা-অনাবৃষ্টির প্রতিকুল পরিবেশেও ব্র্যাকের তিনটি চা বাগান ঈর্ষনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। ২০২০ সালে চা শিল্পের সফলতার মধ্যে ব্র্যাকের চা বাগানের অবস্থান ছিলো প্রথম। এ সাফল্য ধরে রাখতে দরকার সরকার ঘোষিত ব্যাংক লোনের অর্থনৈতিক প্রনোদনা।

    অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ১৮৬৩ সালে প্রথম বানিজ্যিক চা বাগানের সুচনা হয় রাঙ্গুনিয়ার কোদালা চা বাগানে। এটির আয়তন ২ হাজার ৪শত ৮৫.৪৬ একর। ১৮৬৪ সালে ফটিকছড়ির কর্ণফুলী চা বাগানের সূচনা হয় ৬ হাজার ৫ শত ৭২.৬৯ একর আয়তন নিয়ে। ১৯৬৪ সালের দিকে কৈয়াছড়া ডলু চা বাগানের যাত্রা শুরু হয় ১ হাজার ৭শত ২৫ একর জমি নিয়ে। ২০০৩ সালের পর এই তিনটি চা বাগানের মালিকানা আসে স্যার ফজলে হাসান আবেদের এনজিও প্রতিষ্টান ব্র্যাকের হাতে। তখন থেকে বাংলাদেশের চা শিল্পের উন্নয়নে এবং চা শ্রমিকদের মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখে চলছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশে মোট চা উৎপাদন হয় ৮ কোটি ৬৩ লক্ষ ৯০ হাজার কেজি। তার মধ্যে ব্র্যাকের তিনটি চা বাগানের মোট উৎপাদন ছিল ৩১ লক্ষ ৭২ হাজার ২শত ৫৯ কেজি।

    ওই বছর সারাদেশে চা উৎপাদন ২০১৯ সালের তুলনায় ১০.০১% কম। সেখানে ব্র্যাকের পরিচালনাধীন বাগানে উৎপাদন কম ছিল মাত্র ১.৪৬% । ২০২০ সালে বাগান তিনটির উৎপাদিত চায়ের গড় বাজার মূল্য ছিল প্রতি কেজি ২২৯.১৬ টাকা আর বাংলাদেশে উৎপাদিত চায়ের জাতীয় গড় বাজার মূল্য ছিল প্রতি কেজি ১৮৯.২৫ টাকা। ব্র্যাক’র চা এর জাতীয় বাজার মূল্যের চেয়ে প্রতি কেজিতে ২১% বেশি ছিলো। ২০২০ সালে নিলাম বাজারে ব্র্যাকের তিনটি বাগানের উৎপাদিত চা বাজার মূল্যের টপ টুয়ান্টিতে ছিল। এর মধ্যে ব্র্যাক কৈয়াছড়া ডলু চা বাগান প্রথম স্থান, ব্র্যাক কর্ণফুলী চা বাগান ষষ্ঠ স্থান এবং ব্র্যাক কোদালা চা বাগান ১৩তম স্থান অর্জন করে।

    ব্র্যাক চা কোম্পানী সূত্র জানায়, ব্র্যাক কৈয়াছড়া ডলু চা বাগান পরপর দুই বছর (২০১৯,২০২০) নিলাম বাজারে প্রথম স্থান অর্জন করে। চা উৎপাদনে ১ মিলিয়ন প্লাস বাগানের মধ্যে ব্র্যাক কর্ণফুলী চা বাগান বাজার মূল্যে ১ম স্থানে রয়েছে। কোম্পানী হিসাবে চায়ের বাজার মূল্যের অবস্থানের দিক থেকে ব্র্যাক ১ম স্থানে রয়েছে। ব্র্যাকের আওতাধীন তিনটি চা বাগানে প্রতি বছর ১৫০ একর এর উর্দ্ধে নতুন চা আবাদ সম্প্রসারন করা হয়।

    চট্টগ্রাম চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নিরঞ্জন নাথ মন্টু জানান, ব্র্যাকের চা বাগানের শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সেবা সুষ্ঠ ও সুচারু ভাবে সম্পাদনের জন্য নিজস্ব হাসপাতাল/ডিসপেনসারির ব্যবস্থা রয়েছে। শ্রমিকদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করার জন্য বাগানের অভ্যন্তরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ব্র্যাকের নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত কয়েকটি স্কুল রয়েছে। বাগানের মহিলা শ্রমিক ও শিশুদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যাপারে ও তাদের সার্বিক কল্যানে দুই জন মহিলা ওয়েলফার অফিসার রয়েছে। ব্র্যাকে চা বাগানের শ্রমিক ও শিশুদের জন্য ক্রেস হাউজ আছে এবং তাদেরকে প্রতিদিন পুষ্টি জাতীয় খাবার সরবরাহ করা হয়।

    ব্র্যাক কর্ণফূলী চা বাগানের ম্যানেজার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, জলবায়ু মোকাবিলার ধারাবাহিকতায় চা বাগান গুলিতে প্রচুর পরিমানে ফলজ, বনজ ও ঔষধী গাছ রোপন করেছে ব্র্যাক। কীটনাশক, বালাইনাশক এবং আগাছা দমনের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে যাতে পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব না পড়ে। এদিক বিবেচনা করে পরিবেশ বান্ধব বালাইনাশক ও আগাছানাশক ঔষধ ব্যবহার করে আসছে। ব্র্যাকের তিনটি বাগানে প্রচুর পরিমানে আগর গাছ রয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে প্রথম আগর গাছ রোপনের উপর প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জাতীয় বৃক্ষরোপণ পুরস্কার-২০০৯ এ ভূষিত হয়েছে।

    কর্ণফুলী চা বাগান সূত্র জানা গেছে, ২০২০-২০২১ সালে চা বাগানগুলো তীব্র খরার সম্মুখীন হচ্ছে। বাগান গুলিতে বৈদ্যুতিক সুবিধার আওতায় সেচ (আন্ডার গ্রাউন্ড ইরিগেশন) এর সুব্যবস্থা রয়েছে কিন্তু বাগানগুলোতে বিদ্যমান জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ায় সেচ প্রদানের জন্য পানির তীব্র সংকট হচ্ছে। চা বাগানগুলো বিগত ২০ বছরের মধ্যে এরকম তীব্র খরার সম্মুখীন হয়নি। তাই বর্তমানে বাগান গুলোতে জলাশয় বৃদ্ধি ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা অতীব জরুরী।

    এ ব্যাপারে ব্র্যাক চা বাগানের ডিজিএম মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ চা বোর্ড এর মাধ্যমে নতুন জলাশয় ও সেচ ব্যবস্থা উন্নয়ন সহযোগীতা প্রয়োজন। বাংলাদেশ চা বোর্ড কর্তৃক বাগান মালিকদেরকে প্রনোদনা ঋণের ব্যবস্থা করা হলে ব্র্যাকের চা বাগানগুলো আরও উন্নতি সাধন করবে এবং বিগত বছরের তুলনায় আরো চা উৎপাদন করে দেশীয় চায়ের বাজারে ভাল অবস্থান সৃষ্টি করবে।

  • ছুটির দাবিতে শনিবার সকল চা বাগানে মানববন্ধনের ডাক

    ছুটির দাবিতে শনিবার সকল চা বাগানে মানববন্ধনের ডাক

    কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষায় চা বাগান মালিক পক্ষ শ্রমিকদের মজুরিসহ বাগান বন্ধের সিদ্ধান্ত না নেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করার ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন।

    শনিবার (১১ এপ্রিল) দেশের সব চা বাগানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ১০ মিনিটের প্রতিবাদ কর্মসূচি ও মানবন্ধন করা হবে বলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    মানববন্ধনে বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ এসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে সংহতি প্রকাশ করা হয়েছে। শনিবার সকালে কাজে যাওয়ার আগে ফাঁড়ি বাগানসহ প্রতিটি চা বাগানে ‘মানববন্ধন’ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি বাগানে চা শ্রমিকদের পক্ষে ১০ জন প্রতিনিধি ১০ মিনিটের জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে, শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচি পালনে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন।

    করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে অফিস-আদালত সবই এখন বন্ধ। তবে ছুটি নেই চা-বাগানের কর্মীদের। তাই এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানান সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রামভজন কৈরী। তিনি বলেন, ১০ এপ্রিল শুক্রবার এ কর্মসূচি পালনের কথা ছিল। কিন্তু পবিত্র শবে বরাতের কারণে তারিখ পিছিয়ে ১১ এপ্রিল শনিবার নির্ধারণ করা হয়।

    বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৬৬টি চা-বাগান রয়েছে। এসব বাগানে শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও চা-শিল্প এর আওতার বাইরে পড়ে যায়। অথচ বাগানের শ্রমিকেরা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বাস করেন। ফলে তাঁদের ঝুঁকি বেশি। এ অবস্থায় বাগানে ছুটি ঘোষণার যৌক্তিকতা তুলে ধরে চা শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে চা-বাগানের মালিকপক্ষের সংগঠন বাংলাদেশ চা-সংসদসহ (বিটিএ) বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে একাধিকার চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি। এর প্রতিবাদ জানাতে শনিবার সকালে কাজে যোগদানের আগে সব বাগানে অন্তত ১০ জন শ্রমিক ব্যানার নিয়ে একটি নির্ধারিত স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকবেন।

    কমলগঞ্জ উপজেলার মৃর্তিঙ্গা চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির নেতা ধনা বাউরি বলেন, অন্য সবার মতো আমরাও দেশের নাগরিক। এমনিতেই প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা আমরা ঠিকমত পাইনা। সেখানে করোনার মতো রোগ আসলে আমাদের কি হবে তা কল্পনাও করা যায় না। তাই আমাদের নিরাপদ জীবনের স্বার্থে সরকার ঘোষিত ছুটি কার্যকর করা হোক।

    চা শ্রমিকরা জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারতের আসাম রাজ্যের ৮৬০টি চা বাগানের কাজ বন্ধ ঘোষণার খবর এলে তারাও এই দাবি তোলেন। নিজ ব্যবস্থায় এবং কিছু কিছু বাগান হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছে তবে তা এত অপ্রতুল যে অধিকাংশ শ্রমিকও সে সুযোগ পাচ্ছেন না। আমরা কাজ করি এক সঙ্গে। বিকেলে যখন পাতা জমা দেই তখন সবাই কাছাকাছি লাইনে দাঁড়িয়ে জমা দেই। এতে একজনের সংক্রমণ হলে সবার হতে পারে। ছুটি দেয়া হলে বেতন-ভাতা পরিশোধের বাধ্যবাধকতার অজুহাতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বাগান মালিকরা। তাই আমাদের মজুরিসহ ছুটি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।

    কমলগঞ্জ উপজেলার কানিহাটি চা বাগানের শ্রমিক নেতা, শমশেরনগর ইউপি সদস্য ও মাসিক চা মজদুর সম্পাদক সীতারাম বীন বলেন, ইতিমধ্যে কমলগঞ্জের সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের চাম্পারায় চা বাগানসহ কয়েকটি বাগানে ঢাকা ফেরত একাধিক ব্যক্তি ঢুকে পড়ছে। তাই আমরা খুবই আতঙ্কের মাঝে আছি। চা বাগানে নির্ধারিত শ্রমিকের সাথে সাথে ওই পরিবারে আরও বেশ কিছু শ্রমিক রয়েছে, যাদের বাগানে কাজ নেই তারা, ইট ভাঙাসহ বিভিন্ন ধরণের দিনমজুরের কাজ করেন। এখন সব কিছু বন্ধ থাকায় তারা বেকার হয়ে ঘরবন্দি। তাদের জন্য সরকার ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।

    তবে বাংলাদেশ চা-সংসদের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম বলেন, চা-বাগানে এখন পর্যন্ত কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি। করোনার সংক্রমণ রোধে আগে থেকেই বাগানগুলোতে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে বলা হয়েছে। তাদের মাস্ক-সাবান দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ করতে বলা হয়েছে। আর চায়ের ব্যবসা এমনিতেই খারাপ। ছুটি দিলে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। এর প্রভাব শ্রমিকদের ওপরও পড়বে। এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে চা-বাগানে ছুটি ঘোষণার কোনো নির্দেশনা নেই। এ ব্যাপারে সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা দরকার।

    বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে চা বাগানের শ্রমিকেরা দল বেঁধে কাজে যাচ্ছেন। বাগানগুলোতে করোনা সংক্রমিত হলে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। চা শ্রমিকরা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বাস করেন। নিত্যপ্রয়োজনে হাটবাজার ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে চলাচল করেন। আমরা সরকার এবং মালিকপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছি কিন্তু কেউই গুরুত্ব দিচ্ছেন না। সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় ছুটির দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছি। সবাই বলছে সরকার নির্দেশ দিলে ছুটি ঘোষণা করা হবে। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি আহবান করতে হয়েছে। ইতিমধ্যে মোবাইল ফোনে সব ভ্যালির (কয়েকটি চা-বাগান নিয়ে একটি ভ্যালি গঠিত) সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে কর্মসূচির কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী কাছেও চা শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তারা আবেদন পাঠাবেন বলে জানান তিনি।