Tag: চিকিৎসক

  • চকরিয়ায় মাইক্রোবাস-পিকআপ সংঘর্ষে চিকিৎসক নিহত

    চকরিয়ায় মাইক্রোবাস-পিকআপ সংঘর্ষে চিকিৎসক নিহত

    কক্সবাজারের চকরিয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে মাইক্রোবাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ডা. সৈয়দুল ওমাম (২৮) নামে এক চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। এ সময় মাইক্রোবাসে থাকা আরও ৯ যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিস্টান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে মহাসড়কের ডুলাহাজারা পাগলিরবিল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সৈয়দুল ওমাম চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের গোরস্থান চৌধুরী পাড়ার শাহজাহান চৌধুরীর ছেলে। তিনি নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।

    হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, কক্সবাজার মুখি একটি যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস ডুলাহাজারার পাগলির বিল এলাকায় পৌঁছালে উল্টো দিক থেকে আসা পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে ডা. ছৈয়দুল ওমামের মৃত্যু হয়। আহত হয় মাইক্রোবাসের আরও ৯ যাত্রী। নিহত চিকিৎসক সৈয়দুল ওমাম লোহাগাড়ার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের কুমিরাঘোনা শাহ জব্বারিয়া হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।

    মালুমঘাট হাইওয়ে থানার ইনচার্জ ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত চিকিৎসকের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে চালক-হেলপার পালিয়ে গেছেন।’

     

  • চট্টগ্রামে চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বার ও অপারেশন বন্ধ

    চট্টগ্রামে চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বার ও অপারেশন বন্ধ

    ঢাকা সেন্ট্রাল হসপিটালে মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় দুই চিকিৎসককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে প্রাইভেট চেম্বার ও অপারেশন বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকরা।

    সোমবার (১৭ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিবাদ কর্মসূচি চলবে মঙলবার (১৮ জুলাই) পর্যন্ত।

    তবে এ সময়ে জরুরি অপারেশন চলবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান।

    কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে অবস্ট্রেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনেকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) চট্টগ্রাম শাখার সদস্যরা সোমবার সব ধরনের অপারেশন বন্ধ রেখেছেন একইসাথে প্রাইভেট চেম্বারও করছেন না তারা।

    ওজিএসবি চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুন্নেছা রুনা বলেন, মামলা বা গ্রেফতারের নামে চিকিৎসক হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

    একইসাথে হাসপাতালে রোগীর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিনা তদন্তে গ্রেফতারকৃত দুই নারী চিকিৎসককে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবী জানাচ্ছি।

    এদিকে এই কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রাইভেট চেম্বার ও অপারেশন বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি ও বাংলাদেশ অটিজম অ্যান্ড ডিজএবিলিটি ইন্সটিটিউট (বাডি)।

    এ অবস্থায় কিন্তু যারা নিয়মিত ব্যক্তিগত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আছেন, তারা পড়েছেন বিপদে।

  • চিকিৎসককে জরিমানা করা সেই ইউএনও প্রত্যাহার

    চিকিৎসককে জরিমানা করা সেই ইউএনও প্রত্যাহার

    চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় লকডাউনের সময় রোগী দেখতে যাওয়া চিকিৎসককে জরিমানা করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

    রবিবার (৪ জুন) বিকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ আদেশ দেয়া হয়। সাতকানিয়া থেকে প্রত্যাহার করে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে।

    এর আগে গত শুক্রবার (২ জুন) বিকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌরসভা এলাকায় ডা. ফরহাদ কবিরকে চেম্বারে যাওয়ার পথে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক হাজার টাকা জরিমানা করেন। চিকিৎসকের হেলমেট ও গাড়ির লাইসেন্স না থাকার অভিযোগে মোটরযান আইনে মামলা দেয়ার কথা বললেও মামলায় অপরাধ হিসেবে দণ্ডবিধি ২৭০ ও ২৭১ উল্লেখ করা হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় হয়।

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান বলেন, ‘সাতকানিয়ার ইউএনওকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগ দিতে বলা হয়েছে। তার স্থলে আপাতত দায়িত্ব পালন করবেন সাতকানিয়া সহকারি কমিশনার (ভূমি) আল বরিশরু ইসলাম।’

    জানা যায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব স্বাক্ষরিত এক আদেশে সাতকানিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। একই আদেশে হবিগঞ্জের ইউএনও ফাতেমা তুজ জোহরাকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ আদেশ দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

    জানা যায়, গত শুক্রবার বিকালে সাতকানিয়া পৌরসভা এলাকায় ডা. ফরহাদ কবির নামে এক চিকিৎসককে রোগী দেখতে যাওয়ার সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সংক্রমণ প্রতিরোধ আইনে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন ইউএনও। এসময় চিকিৎসকদের চেম্বারে আসা-যাওয়ায় কোনো নিষেধ না থাকার কথা জানালে ওই চিকিৎসকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে জেলে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে বলে হুমকিও দেন। গত শনিবার ঘটনাটি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন চট্টগ্রাম বিএমএ নেতারা। এ নিয়ে গতকাল বিভাগীয় কমিশনার, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), জেলা প্রশাসক ও জেলা সিভিল সার্জনদের মধ্যে আলোচনাও হয়।

  • মানবিক দিক বিবেচনায় চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারগুলি দ্রুত চালুর দাবি

    মানবিক দিক বিবেচনায় চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারগুলি দ্রুত চালুর দাবি

    বৈশ্বিক মহামারী বাংলাদেশে শুরু হবার সময় থেকে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার অজুহাতে চিকিৎসকরা বেসরকারী ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা যেরকম বন্ধ রেখেছিলেন, তেমনি তাদের প্রাইভেট চেম্বারগুলিও বন্ধ রেখেছিলেন। যদিও অনেকেই টেলিমেডিসিন সেবা চালু রাখার কথা বলছেন। সরকারী হাসপাতালগুলিতে কাংখিত সেবা না পেয়ে রোগীরা বেসরকারী ক্লিনিকে দ্বারস্থ হন। আবার সেবায় গলাকাটা ফিস ও নানা ধরনের চার্জ আদায়ের কারনে রোগীরা পরামর্শ ও সেবার জন্য প্রাইভেট চেম্বার নির্ভর হয়ে পড়েন। কিন্তু করোনা মহামারী সংকটে অধিকাংশ চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ থাকায় রোগীরা অসহায় হয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু বরণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকারের নির্দেশনায় বেসরকারী ক্লিনিকগুলি কভিট ও নন-কভিট রোগীদের সেবা প্রদান শুরু করলেও চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বারগুলি আজ পর্যন্ত খোলা হয় নি। ফলে প্রাইভেট চেম্বার নির্ভর রোগীরা ভয়াবহ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

    এমতাবস্থায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে চেম্বারগুলি খোলার দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম।

    রবিবার (১২ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কে এনএম রিয়াদ ও সম্পাদক নিপা দাস উপরোক্ত দাবি জানান।

    বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন চট্টগ্রাম শহরে হাজার থেকে দে হাজার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গড়ে ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ জন রোগীর চিকিৎসা ও পরামর্শ দিতেন। আর দৈনিক ত্রিশ-পয়ত্রিশ হাজারেরও বেশি রোগী নিজেদের নানা অসুস্থতায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হতেন। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চেম্বার বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে হাজার হাজার রোগী অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন। নানাভাবে চেষ্টা করেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ বঞ্চিত হচ্ছেন বহু রোগী। অনেক সংকটাপন্ন রোগী শারীরিক যন্ত্রনা ও কষ্ট নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন।

    বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন চিকিৎসা একটি মহান মানবিক পেশা। মানুষের জীবন বাঁচানোই এই পেশার মূল কাজ। আর করোনা যেহেতু স্বাস্থ্যগত সংকট, সেকারনে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী এখানে মূখ্য ভূমিকায় অবর্তীন হবার কথা। কিন্তু সুরক্ষা সামগ্রীর অজুহাতে অনেকেই রোগী দেখা বন্ধ রেখেছেন। অথচ যুদ্ধের ময়দানেও চিকিৎসকরা আহত সৈনিকের চিকিৎসা সেবা দিয়ে জীবন বাঁচান। বাংলাদেশের করোনা মহামারী সংকটে কিছু কিছু চিকিৎসকের বিপরীত ধর্মী ভূমিকায় জাতি হতাশ।

    বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন মহামারী সংকটে চট্টগ্রামে আশার আলো জ্বালিয়ে উদাহারণ তৈরী করেছেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, ফৌজদারহাটের ডাক্তার বিদ্যুৎ বড়ুয়ার ফিল্ড হাসপাতাল। করোনা চিকিৎসায় অনন্য ভূমিকা রেখে ইতোমধ্যেই দেশব্যাপী বেশ নন্দিত হয়েছেন।স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি উপর যথাযথ গুরুত্বারোপ করায় চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা রোগীদের সেবায় সার্বক্ষনিক কাজ করলেও সংক্রমনের হার নিয়ন্ত্রণে আছে।

    বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য বিভাগ, প্রশাসন ও বিএমএ নেতৃবৃন্দ জনস্বার্থ ও মানবিক বিবেচনায় দ্রুত প্রাইভেট চেম্বার খোলার বিষয়ে আন্তরিক হবেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিধানগুলি নিশ্চিত করে সেবা দিলে সাধারণ রোগীদের কষ্ট লাঘব হবে। রোগীর সিরিয়াল দেয়ার সুনির্দিষ্ঠ সময় নির্ধারন করা, টাইম ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করা, অহেতুক চেম্বারে রোগী অপেক্ষা না করা, অধিক রোগী ও তাদের স্বজনদের জড়ো না করা, চেম্বারে প্রবেশের সময় মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা, টার্মাল স্কেল ব্যবহার করার মতো স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিধান শতভাগ নিশ্চিত করে, সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনাকে জোরদার করে চেম্বারগুলি সচল করার দাবি জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনায় হেরে গেলেন আরো এক চিকিৎসক/শেষ যাত্রা নিজ কর্মস্থল মেট্রোপলিটন হাসপাতালেই

    করোনায় হেরে গেলেন আরো এক চিকিৎসক/শেষ যাত্রা নিজ কর্মস্থল মেট্রোপলিটন হাসপাতালেই

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : করোনায় হেরে গেলেন চট্টগ্রামের আরো এক চিকিৎসক ডা নূরুল হক। মানুষের জীবন রক্ষার এই করোনাযোদ্ধা ইন্তেকাল করলেন নিজ কর্মস্থল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে। আজ বুধবার সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। (ইন্নালিল্লাহে … রাজেউন)।

    করোনা উপসর্গ থাকা ডা. নুরুল হকের শরীরে অক্সিজেন সিস্যুরেশন কমে গেলে তাকে গত ১৪ জুন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের আইসিও’তে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি আজ ভোর ৬টা ২৫ মিনিটে চীর বিদায় নিয়েছেন।

    চলমান বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস যুদ্ধের ফ্রন্ট লাইনের মৃত্যুবরণ করা ৩৭ তম চিকিৎসা যোদ্ধা ডা নূরুল হক। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৩৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ডা. নুরুল হক মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম দৈয়ার পাড়ার সন্তান।

    তিনি গত ১৯ বছর ধরে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ছিলেন। নূরুল হকের স্ত্রী, ৫ বছর বয়সী সন্তান ও আড়াই বছর বয়সী কন্যা সন্তান ছাড়াও মা, এক ভাই ও ৫ বোন রয়েছে বলে জানা গেছে।

    বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন বাংলা চট্টগ্রাম ব্যুরোতে কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিক আবুল হাসনাত তথ্যটি নিশ্চিত করেন। তিনি এ চিকিৎসকের মৃত্যুতে দুঃথ প্রকাশ করে তার ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেছেন, সহজ-সরল নির্লোভ, তরুণ মানবিক এই চিকিৎসক ছিলেন অনেকের মতো আমারও চিকিৎসক ও চিকিৎসা পরামর্শক।

    আর তাঁকে ফোন করা হবে না। বলা হবে না নূরুল হক ভাই কেমন আছেন? এইতো মৃত্যুর দু’দিন আগেও একটু সুস্থ বোধ করলে ফোনে তার সাথে শেষ কথা হয়। জানালেন, এখন কিছুটা ভালো আছেন।

    সর্বশেষ ডা. নূরুল হক আমার ফোনের জবাব দিয়েছিলেন হাসপাতাল বেডে শুয়ে মৃত্যুর মাত্র একদিন আগে ১৫ জুন সকাল ১০টা ৫৬ মিনিটে। ৪৩ সেকেন্ড কথা হয় তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে। তখন বলেছিলেন, এখন ভালো লাগছে।

    মৃত্যুর সপ্তাহখানেক আগে কথা প্রসঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতে নিজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে অনেক অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন এই চিকিৎসক।

    মেট্রোপলিটন হাসপাতালের মহাব্যবস্থাপক ডা. মো. সেলিম বলেন, গত ১৪ জুন থেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আমাদেরই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নুরুল হক। গতকাল থেকে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। আজ ভোরে তিনি মারা যান।

    তিনি বলেন মৃত্যুর আগে তার করোনা টেস্ট করানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে জানা যাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা। তবে তার মধ্যে করোনার অনেক উপসর্গ ছিল।

    প্রসঙ্গত: এই মানুষটা গত আড়াইমাস ধরে করোনা আক্রান্ত অন্তত ২০ জন মানুষের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত ছিলেন। আক্রান্তদের সংস্পর্শ থেকে নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েন করোনা উপসর্গে। সপ্তাহখানেক আগে বলছিলেন, লক্ষণ বলছে আমি করোনা আক্রান্ত। অল্প সময়ের ব্যবধানেই চলে গেলেন।

    চমেকের ছাত্র জীবন থেকেই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের সাথে নিজেকে জড়ান ডা. নূরুল হক। ডাক্তারী পাশের পর ওই হাসপাতালই ছিল বলতে গেলে তার ঘর-বাড়ী। কখনো অপারেশন থিয়েটার, কখনো আইসিইউ ইউনিট, কখনো জরুরী বিভাগে। সবখানে ছিল ডা. নূরুল হক। ফোন ধরতে না পারলে নিজেই ফোন ব্যাক করতেন।

    আল্লাহ তাঁকে জান্নাতের মেহমান বানিয়ে দিক। তার অবোধ দুই শিশু সন্তান ও স্ত্রী সহ স্বজনদের ধৈয্য ধারণ করার তওফিক দিক।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • চট্টগ্রামে করোনাযুদ্ধে হেরে গেলেন আরো এক চিকিৎসক/৭ ঘণ্টায় ৩ মৃত্যু

    চট্টগ্রামে করোনাযুদ্ধে হেরে গেলেন আরো এক চিকিৎসক/৭ ঘণ্টায় ৩ মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দিনের মাত্র ৭ ঘণ্টার ব্যবধানেই ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। করোনা যুদ্ধে হেরে গেছেন চট্টগ্রামের আরো এক চিকিৎসক।

    আজ ৪ জুন বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল ১২টার মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে এবং জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

    জানা যায়, আজ ৪ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন একই হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা.মুহিদ হাসান।

    তার মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিএমএ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী।

    তিনি বলেন,মাত্র একদিনের ব্যবধানে আমাদের আরেক সহকর্মীকে হারালাম। কয়েকদিন আগে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে তার শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। মুহিত মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চমেক হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    এর আগে একই হাসপাতালে চট্টগ্রামে প্রথম করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছিলো। গতকাল ৩ জুন বুধবার দুপুরে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন চট্টগ্রাম মেরিন সিটি মেডিকেলের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এহসানুল করিম।

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২ নারীর মৃত্যু :

    আজ একদিনে চিকিৎসক মুহিদ হাসানের মৃত্যুর মাত্র ৭ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনা আক্রান্ত আরো ২ নারীর মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক।

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব জানান, মাত্র দুই ঘন্টার ব্যবধানে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। দুজননেরই করোনা পজেটিভ ছিলো।

    তিনি বলেন, এদের একজন হলেন নগরীর জামালখান এলাকার বাসিন্দা সেলিনা আফরোজ (৫৬)। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৯ মে তিনি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।

    আজ ভোরে তার শারিরীক অবস্থা খারাপ হলে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনি করোনা আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগেও ভোগছিলেন।

    তিনি আরো বলেন, এ নারীর মৃত্যুর মাত্র ২ ঘণ্টা আগেই চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সী অপর এক নারী করোনায় মারা গেছেন।

    আজ ভোর ৫টার সময় হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধিন অবস্থায় হাফসা বেগমের মৃত্যু হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার করোনা আক্রান্ত এ নারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

    করোনার পাশাপাশি তিনিও রক্ত চাপ ও ডায়াবেটিস রোগে ভোগছিলেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব।

    প্রসঙ্গত : জেলা সিভিল সার্জন সুত্রে গতকাল ৩ জুন রাতে সর্বশেষ প্রকাশিত ফলাফলে জানা গেছে চট্টগ্রামের মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৫৩৭ জন। এর মধ্যে নগরে ২৬৬৬ জন এবং উপজেলায় ৮৭১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ইতিমধ্যে ৮৫ জন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২৪৮ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • চট্টগ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৩ ঘণ্টায় ৩ মৃত্যু/মারা গেছে পুলিশ,চিকিৎসক ও হাসপাতাল ক্লিনার

    চট্টগ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৩ ঘণ্টায় ৩ মৃত্যু/মারা গেছে পুলিশ,চিকিৎসক ও হাসপাতাল ক্লিনার

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রামে একদিনের মাত্র ৩ ঘণ্টার মধ্যেই ৩টি মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।

    মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে একজন সিএমপি’র পুলিশ কনস্টেবল, একজন হোমিও চিকিৎসক ও অন্যজন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক ক্লিনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    আজ ১ জুন সোমবার সকাল ৮টা থেকে সকাল ১১ টা পর্যন্ত মাত্র ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে এ তিনজনের মৃত্যু হয়।

    চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবু জানান, আজ সোমবার সকাল ৮টার সময় তার ওয়ার্ডে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৬০ বছর বয়সী এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।

    তিনি বলেন, ওই চিকিৎসক জালালাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসে নিয়মিত রোগী দেখতেন। সপ্তাহ খানেক আগে তার জ্বর ও সর্দি দেখা দিলে তিনি রোগী দেখা বন্ধ করে দেন।

    সর্বশেষ ২৭ এপ্রিল রোগী দেখেছিলেন তিনি। গত ৩১ এপ্রিল তার নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়। রিপোর্ট আসার আগেই আজ সকালে তার বাকলিয়াস্থ নিজ বাসায় তিনি মারা যান।

    দিনের ঠিক একই সময়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ৬০ বছর বয়সী এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে। তিনি ওই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চুক্তিভিত্তিক ক্লিনারের দায়িত্বে নিযুক্ত ছিলেন। আরো পড়ুন : উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আয়ার মৃত্যু

    আজ ১ জুন সোমবার সকাল ৮ টার দিকে জেনারেল হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব মাসুম।

    এর মাত্র ৩ ঘন্টা পর করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়। আজ ১ জুন সোমবার সকাল ১১টার সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

    নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও জনসংযোগ কমকর্তা আবু বকর সিদ্দিক। করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর পর করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা জানা যাবে। আরো পড়ুন : উপসর্গ নিয়ে মারা গেল সিএমপির পুলিশ কনেস্টেবল

    এদিকে সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান সহ সিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে মারা যাওয়া ওই পুলিশ কনস্টেবলের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

    নগরীর সিএমপির দামপাড়া পুলিশ লাইনে জানাজা শেষে সিএমপি’র ব্যবস্থাপনায় মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে বললেন সিএমপির জনসংযোগ শাখার এ কর্মকর্তা ।

    মৃত্যুবরণকারী পুলিশ কনস্টেবলের বাড়ি ফেনী জেলার পরশুরামে এলাকায়। তিনি ২০১২ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেছিলেন বলে সিএমপি সূত্রে জানা গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • আক্রান্ত ২ চিকিৎসককে বাঁচাতে প্লাজমা দিলেন করোনা জয়ী পুলিশ সদস্য/প্লাজমা দেবে করোনা জয়ী সাংবাদিক

    আক্রান্ত ২ চিকিৎসককে বাঁচাতে প্লাজমা দিলেন করোনা জয়ী পুলিশ সদস্য/প্লাজমা দেবে করোনা জয়ী সাংবাদিক

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রাণঘাতী করোনার কবল থেকে সদ্য মুক্ত হয়ে আক্রান্ত দুই চিকিৎসককে বাঁচাতে নিজের প্লাজমা দিলেন করোনা জয়ী পুলিশ সদস্য অরুন চাকমা।

    অন্যদিকে করোনাকে জয় করে সম্প্রতি ঘরে ফেরা সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শিল্পী আক্রান্তদের বাঁচাতে নিজের প্লাজমা দেবার ঘোষণা দিয়েছেন।

    জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের ট্রাফিক (উত্তর) বিভাগে কর্মরত পুলিশ সদস্য অরুন চাকমা গত ৩ মে সুস্থ হয়ে কর্মস্থলে ফিরে আসেন। ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনও শেষ হয়েছে সম্প্রতি।

    এরমধ্যেই বৃহস্পতিবার বিকেলে করোনা আক্রান্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. সমিরুল ইসলাম ও ডা. মোহিদকে করোনা মুক্ত করার লক্ষ্যে নিজের প্লাজমা দিয়ে আসেন।

    প্লাজমা দেয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আবু বকর সিদ্দিক। তিনি বলেন, এর আগেও মানুষের সেবা করতে আক্রান্ত হয়েছিলেন সিএমপির এ পুলিশ কনস্টেবল। করোনা মুক্ত হওয়ার পরও তিনি আক্রান্তদের বাঁচাতে নিজের প্লাজমা দিয়ে পুলিশকেও গৌরবের অংশ করলেন।

    সিএমপি সূত্রে জানা যায়, অরুণ চাকমার করোনা পজেটিভ আসলে গত ১৯ মার্চ রাতে তিনি নগরীর আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে ১৪দিন টানা ১৪ দিন চিকিৎসা শেষে গত ৩ মে হাসপাতাল কতৃপক্ষ তাঁকে ছাড়পত্র দেন।

    করোনা জয় করে ফেরা সিএমপির প্রথম পুলিশ সদস্য অরুন চাকমা
    করোনা জয় করে ফেরা সিএমপির প্রথম পুলিশ সদস্য অরুন চাকমা

    এর আগে প্রথম দফায় করোনা পরীক্ষায় পজেটিভ রিপোর্ট আসার পর চিকিৎসাধীন থাকার সময় আরো দুই দফা পরীক্ষা করানো হয়। পরপর দুইদফা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় চিকিৎসকরা তাকে ছাড়পত্র দেন। চিকিৎসা শেষে কর্মস্থলে ফিরেন চট্টগ্রাম মহানগর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল অরুণ চাকমা। তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।

    সিএমপির প্রথম করোনা জয়ী অরুণ চাকমা গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা যুদ্ধে আমরা পিছু হটতে চাই না। পুলিশ বাহিনীর একজন গর্বিত সদস্য হিসেবে আমি করোনা যুদ্ধে নিজেকে নিয়োজিত রাখতেই দুই চিকিৎসকের প্রাণ বাঁচাতে নিজের প্লাজমা দান করেছি।

    এদিকে গত বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে পোস্ট দিয়ে করোনা আক্রান্তদের নিজের প্লাজমা দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন চট্টগ্রামের প্রথম করোনা আক্রান্ত সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শিল্পী।

    তিনি করোনামুক্ত হয়ে গতকাল ২৮ মে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার সময় তার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক টাইমলাইনে প্লাজমা দেয়ার ঘোষণা দেন।করোনা মুক্ত সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শিল্পী

    তার ফেসবুকে তিনি শিরোনাম করেন, প্লাজমা (রক্ত) দিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীকে বাঁচাতে চাই…। পোস্টে তিনি লেখেন আমি একজন করোনা আক্রান্ত রোগী ছিলাম। পজেটিভ থেকে নেগেটিভ হয়েছি চিকিৎসার মাধ্যমে। হাসপাতাল থেকে এসে এখন বাসায় আইসোলেশনে আছি।

    সুস্থ হয়ে উঠা করোনা রোগীর রক্ত নিয়ে (গ্রুপ মিল রেখে) অন্য আক্রান্ত ব্যাক্তির শরীরে দেয়ার মাধ্যমে প্লাজমা পদ্ধতিতে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে সুস্থ্য করো যায়। ইতোমধ্যে দেশে প্লাজমা পদ্ধতিতে করোনা রোগীদের সুস্থ করার চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

    চট্টগ্রামেও একজন চিকিৎসককে প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়েছে। আমার রক্তের গ্রুপ (O+)। ইতোমধ্যে কয়েকজন আমার সাথে রক্ত নেয়ার বিষয়ে যোগাযোগ করেছেন। আমিও আমার রক্তের মাধ্যমে করোনা আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করতে চাই।

    তবে এ বিষয়ে আমার তেমন ধারণা নেই। আমার ১৪ দিন আইসোলেশন শেষে চিকিৎসকদের পরামর্শে আমি রক্ত দিতে পারবো ইনশআল্লাহ।

    সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শিল্পী চট্টগ্রাম থেকে পরিচালিত অনলাইন পোর্টাল পাঠক ডট নিউজের সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক বার্তা ইউএনবির চট্টগ্রাম প্রতিবেদক।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • ঠাকুরগাঁওয়ে কেভিড-১৯ বিষয়ে আলোচনা সভা ও সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসক-নার্সদের শুভেচ্ছা

    ঠাকুরগাঁওয়ে কেভিড-১৯ বিষয়ে আলোচনা সভা ও সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসক-নার্সদের শুভেচ্ছা

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ে কেভিড-১৯ শীর্ষক আলোচনা সভা ও জেলায় সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ১৫ জন করোনাযোদ্ধা চিকিৎসক ও নার্সদের অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

    ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের
    আয়োজনে ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) ও জাহাঙ্গীর
    নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগিতায় শুক্রবার (২২ মে) বিকেলে জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম (বিডি হলে) এ তাদের এ শুভেচ্ছা দেওয়া হয়।

    অনুষ্ঠানে সংগঠনের আহবায়ক মাসুদুর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম, পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান (পিপিএম), এন.এস.আই জয়েন্ট ডিরেক্টর হেমায়েত হোসেন, জেলা বিএমএ’র সভাপতি ডা: আবু মো: খয়রুল কবীর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. আনোয়ার খসরু পারভেজ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মনতোষ কুমার দে, বাংলাদেশ আ’লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক রাজিউর রেজা খোকন চৌধুরী, সদর হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডা: নাদিরুল আজিজ চপল, সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী প্রমুখ।

    অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা আ’লীগের প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন। এ সময় জেলায় সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ১৫ জন চিকিৎসক ও স্টাফ নার্সকে ফুলের
    তোরা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান অতিথিরা। কেভিড-১৯ বিষয়ে চিকিৎসকগণের
    অংশগ্রহনে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/গৌতম

  • চট্টগ্রামে চিকিৎসক কণ্যা করোনা আক্রান্ত, সাংবাদিক পিতার ফেসবুকে হৃদয়স্পর্শী স্ট্যাটাস!

    চট্টগ্রামে চিকিৎসক কণ্যা করোনা আক্রান্ত, সাংবাদিক পিতার ফেসবুকে হৃদয়স্পর্শী স্ট্যাটাস!

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত শিশুদের সুস্থ করে তুলতে, তাদের সেবায় একাত্ব হয়ে এমনভাবে নিজেকে উৎসর্গ করেছে, এখন সে নিজেই এ রোগের শিকার।

    সাজাজিক যোগাযোগাগ মাধ্যম ফেসবুকে এমনভাবেই মত প্রকাশ করেন চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী। তিনি স্ট্যাটাসে তার ২৯ বছর বয়সী চিকিৎসক কণ্যা ডাঃ সামিয়া নাজনীন করোনা আক্রান্তের তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

    তিনি ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজকে জানান, গত কয়েকদিন ধরে তার মেয়ের শরীরে জ্বরসহ করোনা উপসর্গ দেখা দিলে করোনা পরীক্ষার জন্য গত ১০ মে বিআইটিআইডিতে নমুনা দিয়ে আসেন। গতকাল সোমবার (১১ মে) রাতে বিআইটিআইডি ল্যাবের রিপোর্টে তার করোনা পজিটিভ আসে।

    সাংবাদিক পিতা তার ফেসবুকে হৃদয়স্পর্শী স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসার পর থেকে আমার কোমলমতি মেয়েটি খুব কাঁদছে, তার মাও কাঁদছে অবিরত। চোখেও ঘুম নেই মেয়ের কথা চিন্তা করতে করতে। অন্যদিকে আমার ভিতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অস্রু জমাট বেধে আছে কিন্তু চোখ ফেটে বের হতে পারছে না।

    এদিকে করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর থেকেই করোনা আক্রান্ত এ নারী চিকিৎসক তার শ্বশুরবাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সামিয়া নাজনীনের স্বামী সানিউল ইসলাম।

    তিনি বলেন, করোনা মহামারিতেও সে ঘরে বসে ছিলেন না। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন তিনি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে উপস্থিত থেকে শিশুদের সেবা করেছেন।

    তবে কিভাবে সামিয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তার কোন নির্দ্দিষ্ট কারণ তিনি জানে না উল্লেখ করে বর্তমানে সে বাসায় আইসোলেশনে আছেন এবং শরীরও মোটামুটি ভাল বলে জানায়।

    এদিকে মেয়ে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে বুক ফাঁটা, মনে কষ্ট ও চাপা ক্ষোভ মিশ্রিত এক মন্তব্য প্রকাশ করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী। তার মেয়ের জন্য তিনি সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন।

    তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, আমার মেয়ে তার বাপের স্বভাবই পেয়েছে। আমি সারাজীবন জনসেবা করার চেষ্টা করেছি। অন্যের সেবায় জীবন উৎসর্গ করেছি। রাজনীতি, সাংবাদিকতা যখন যা করেছি সমস্ত মন প্রান দিয়ে করেছি। পরের কাজে জীবনটা বিলিয়ে দিয়েছি, কোন ফাঁকি রাখিনি।

    নিজের স্বার্থ নিয়ে কোনদিন মাথা ঘামাইনি। যখন যে কাজ করেছি তাতে ষোলআনা উজাড় করে দিয়েছি। নিজেকে এমনভাবে কাজের মধ্যে ডুবিয়ে দিয়ে কখন জীবনের শেষপ্রান্তে এসে পৌঁছেছি টেরই পাইনি।

    শেষ বেলায় হিসেব করে দেখছি আমার হিসেবের ঘরে ফাঁকি। আমি একজন ব্যর্থ মানুষ। আমার প্লট নেই, ফ্ল্যাট নেই, গাড়ি নেই, বাড়ি নেই, ব্যাংক ব্যালান্স নেই। আমার ছেলেমেয়েদের ইউরোপ আমেরিকায় পড়াতে পারিনি।

    আমার মেয়েও আমার মত আত্মবিস্মৃত হয়ে করোনা রোগিদের সেবা করতে যেয়ে নিজের শরীরে করোনা ভাইরাস ঢুকিয়েছে।

    আমার সকল মুরব্বী, মুক্তিযুদ্ধের সহযোদ্ধা, রাজনৈতিক জীবনের নেতা, রাজনৈতিক সহকর্মী, সিনিয়র, জুনিয়র, বন্ধু, ছোট ভাইয়ের মত আমি যাদেরকে পরিচর্যা করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করেছি, তারা এবং আমার সহযোগি সাংবাদিক-সকলের প্রতি আমার সকরুন মিনতি, আমার মেয়েটাকে সুস্থ করে তুলতে কারো কোন করনীয় থাকলে, সাহায্যের উদার হস্ত নিয়ে এগিয়ে আসুন, আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।

    আমার মেয়ে এখন শ্বশুরবাড়িতে কোয়ারান্টাইনে বাস করছে। আমি মুক্তিযুদ্ধে জিতেছি,আশা করি আমার মেয়েও করোনা যুদ্ধে জিতবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব সেন প্রিন্স

  • নতুন দুই হাজার চিকিৎসককে করোনা হাসপাতালে পদায়ন

    নতুন দুই হাজার চিকিৎসককে করোনা হাসপাতালে পদায়ন

    ২৪ ঘণ্টা ডট ডেস্ক নিউজ : করোনা ভাইরাস চিকিৎসায় রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে নিয়োগকৃত দুই হাজার চিকিৎসককে পদায়ন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

    রবিবার (১০ মে) তাদের নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর আগে গত ৪ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাদের নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।

    অধিদফতরের আদেশে বলা হয়, ৩৯তম (বিশেষ) বিসিএস পরীক্ষা, ২০১৮ এর ফলাফলের ভিত্তিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশের আলোকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের আলোকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের সহকারী সার্জন পদে জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ অনুসারে ২২০০০-৫৩০৬০ টাকা বেতনক্রমে পদায়ণ করা হল।

    আদেশে বলা হয়, নবনিয়োগপ্রাপ্ত এবং পদায়নকৃত কর্মকর্তাদের আগামী ১২ মে আবশ্যিকভাবে পদায়ন/সংযুক্তকৃত কার্যালয়ে যোগদানপত্র দাখিল করতে হবে।

    এক্ষেত্রে ইতোপূর্বে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যোগদান পত্রের নির্ধারিত নমুনা অনুসরণ করতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সংযুক্ত কর্মকর্তাগণ স্বাস্থ্য অধিদফতরের নতুন ভবনে যোগদান করবেন।

    অন্যান্য শর্তের মধ্যে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কর্মকর্তারা শুধুমাত্র কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল/প্রতিষ্ঠানসমূহে দায়িত্ব পালন করবেন।

    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নবনিয়োগ অধিশাখার ৪ মে প্রজ্ঞাপনে বর্ণিত শর্তাবলী প্রযোজ্য হবে।

    চাকরিতে যোগদানকৃত কর্মকর্তাগণকে ৩০০ টাকা মূল্যের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নিজে বা পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য কোনও যৌতুক নেবেন না এবং কোনও যৌতুক দেবেন না মর্মে অঙ্গীকারনামা সম্পাদন করতে হবে, যা দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে যোগদানের সময়ে জমা প্রদান না করে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর দাখিল করবেন।

    দ্য গর্ভনমেন্ট সার্ভেন্টস (কনডাক্ট) রুলস, ১৯৭৯ এর ১৩(১) উপবিধি অনুযায়ী সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিবরণ সম্বলিত একটি ঘোষণাপত্র যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে করোনা পরবর্তী সময়ে অবশ্যই অধিদফতরে প্রেরণ করতে হবে।

    করোনা পরিস্থিতে চিকিৎসকের জরুরি সংকট মোকাবিলায় গত ৩০ এপ্রিল ২০০০ চিকিৎসককে সাময়িকভাবে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল পিএসসি।

    ওই দিন সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে ৫ হাজার ৫৪ জনও নিয়োগের সুপারিশ করে কমিশন। নার্সদের ৭ মে পদায়ন করে ১৩ মে’র মধ্যে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লাশের সারি দেখতে দেখতে ক্লান্ত, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ চিকিৎসকের আত্মহত্যা

    লাশের সারি দেখতে দেখতে ক্লান্ত, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ চিকিৎসকের আত্মহত্যা

    প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকা। দেশটিতে প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত (মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টা) দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ১০ লাখ ১০ হাজার ৫০৭ জন। এর মৃত্যু হয়েছে ৫৬ হাজার ৮০৩ জনের।

    পাশাপাশি আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে আরও ১৪ হাজার ১৮৬ জন।

    লাশের সারি দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে দেশটিতে করোনা মোকাবিলায় সামনের সারিতে থাকা এক শীর্ষ চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। তার নাম ডা. লরনা ব্রিন।

    তিনি করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে গিয়ে নিজেও কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর সুস্থ হয়ে আবার নেমে পড়েছিলেন করোনা মোকাবিলায়।

    বিবিসি জানায়, নিউইয়র্ক সিটির বাসিন্দা ডা. লরনা ম্যানহাটানের নিউইয়র্ক-প্রেসবাইটেরিয়ান অ্যালেন হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ডিরেক্টর ছিলেন।

    ৪৯ বছর বয়সী এই চিকিৎসক রবিবার নিজের শরীরে আঘাত করে আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। সে সময় তিনি ভার্জিনিয়ায় নিজের পরিবারের সঙ্গেই ছিলেন।

    ডা. লরনার বাবা ফিলিপ ব্রিন নিজেও একজন চিকিৎসক। তিনি নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ‘সে তার কাজটি করে যাচ্ছিল এবং এটিই তাকে হত্যা করেছে। ’

    তিনি জানান, তার মেয়ের কোনও ধরনের মানসিক অসুস্থতার ইতিহাস ছিল না।

    ফিলিপ ব্রিন জানান, হাসপাতালে কাজ করতে করতে তার মেয়েও করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছিল। পরে সুস্থ হয়ে দেড় সপ্তাহ পর আবার কাজে ফিরে গিয়েছিল। তবে পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে আবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিল।

    সর্বশেষ যখন কথা বলছিলেন মেয়েকে ‘বিচ্ছিন্ন’ মনে হয়েছিল ফিলিপের। সে সময় লরনা তাকে বলছিলেন, হাসপাতালে কীভাবে মানুষ অ্যাম্বুলেন্সে তোলার আগেই করোনায় মারা যাচ্ছিল। ম্যানহাটনের ২০০ শয্যার হাসপাতালটিতে বহু সংখ্যক মানুষ মারা গেছে করোনায়।

    ফিলিপ ব্রিন বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে একেবারে খাদের সামনে গিয়ে লড়ছিল সে। আমি নিশ্চিত হয়েছি যে, সে একজন বীর হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।’

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসন এই লড়াকু চিকিৎসকের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী জানায় সেই সঙ্গে করোনা মোকাবেলায় একজন ‘মহান বীর’ বলে আখ্যা দেয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর